সর্বশেষ সংবাদ-
জেলা ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি গঠনচোরের উপদ্রবে অতিষ্ঠ কাটিয়া রেজিস্ট্রি অফিসপাড়ার বাসিন্দারা : মিথ্যা মামলার অভিযোগসাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের পিতার মৃত্যুতে শােকসাতক্ষীরায় পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা: আসামী ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগশ্যামনগরে কোস্টগার্ডের অভিযানে ভারতীয় মদ জব্দআশাশুনিতে জলবায়ু-স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ক যুব নেতৃত্বাধীন প্রচারনাসাতক্ষীরা জেলা স্কাউট ভবন এর উর্ধ্বমুখি সম্প্রসারণ কার্যক্রম উদ্বোধনখুলনায় এনসিপি নেতা গুলিবিদ্ধ: সাতক্ষীরা সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদারশ্যামনগরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনিয়ম ‌দুর্নীতির অভিযোগল স্টুডেন্টস ফোরাম এর নবনির্বাচিত কমিটি নির্বাচন কমিশনের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়

কপিলমুনিতে বীর মুক্তিযোদ্ধা সালামের স্মরণ সভা

কৃষ্ণ দাস,তালা : বীর মুক্তিযোদ্ধা মোড়ল আব্দুস সালামের ৬ষ্ঠ মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে শোক ও শপথের ষষ্ঠ মৃত্যু বার্ষিকী-১৭ শীর্ষক’ এক স্মরণ সভা শনিবার বিকাল ৩ টায় কপিলমুনি সহচরী ময়দানে(বালুর মাঠ) অনুষ্ঠিত হয়। বিপ্লবী সালাম স্মৃতি পরিষদের আয়োজনে এ্যাডঃ বিপ্লব কান্তি মন্ডলের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,জাসদের কেন্দ্রিয় নেতা ও সাতক্ষীরা থেকে প্রকাশিত দৈনিক দক্ষিণের মশাল পত্রিকার সম্পাদক অধ্যক্ষ আশেক-ই এলাহী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,খুলনা জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক রেজাউল করিম,বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তালা জেএসডির সভাপতি ও অধ্যাপক মোড়ল আবু বক্কর সিদ্দীকি,জেএসডি’র কেন্দ্রীয় নেতা মীর জিল্লুর রহমান,তালা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার আলউদ্দীন জোয়াদ্দার। বক্তব্য রাখেন খুলনা জেলা ওয়ার্কাস পার্টির সদস্য সরদার জিল্লুর রহমান,তালা মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুর রহমান,কপিলমুনি মেহেরুন্নেসা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রহিমা আক্তার শম্পা,মাসুমা বেগম,সাংবাদিক জগদ্বীশ দে, জেএসডি’র তালা উপজেলা সহ-সভাপতি আনন্দ অধিকারী। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন,দিলীপ সরকার। সভায় বক্তারা বলেন, একটি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র কায়েম এবং সমাজতান্ত্রিক স্বাধীন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে আজীবন রাজপথে ছিলেন আব্দুস সালাম মোড়ল। তার মৃত্যুহীণ শ্লোগান ’যাদের জন্য ঘর ছেড়েছি,যাদের জন্য পথে নেমেছি সেই পথের মানুষের ঘরের ঠিকানা না দিয়ে ঐ ঘরে আর আমি ফিরে যাবনা” এখনো বিপ্লবীদের অনুপ্রেরণা যোগায়। বাংলাদেশ গড়ার প্রথম তহবিল গঠনের লক্ষ্যে সাতক্ষীরা কো-অপারেটিভ ব্যাংক থেকে অর্থ সংগ্রহ করে তিনি সরকারকে দিয়েছিলেন। সাতক্ষীরায় স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম পতাকা উত্তোলন করেন মোড়ল আব্দুস সালাম। তিনি ছিলেন,শ্রমজীবি,কর্মজীবি,পেশাজীবি,নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষের প্রতিনিধি। একজন নির্লোভী মানুষ হিসেবে মোড়ল আব্দুস সালামের স্বপ্ন ছিল ভিসামুক্ত পৃথিবী গড়ার।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ইয়ং টাইগার্স অনূর্ধ-১৮ নড়াইল কে হারিয়ে সাতক্ষীরা চ্যাম্পিয়ন

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরায় ইয়ং টাইগার্স অনূর্ধ-১৮ বিভাগীয় ক্রিকেট প্রতিযোগিতা-২০১৭-১৮ এর ফাইনাল খেলার পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। শানবার বিকালে সাতক্ষীরা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এর আয়োজনে এবং জেলা ক্রীড়া সংস্থার সার্বিক ব্যবস্থাপনায় জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে ফাইনাল খেলায় বিজয়ী ও রানার্সআপ দলের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন সাতক্ষীরা-০২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। এসময় তার বক্তব্যে বলেন,‘লেখা-পড়ার পাশাপাশি খেলা-ধুলা মেধা ও মনের বিকাশ ঘটায়। বাংলাদেশে বর্তমানে ক্রিকেটে প্রসার লাভ করেছে। মেধা ও শ্রম দিয়ে ক্রিকেট খেললে ভাল মানের ক্রিকেটার হওয়া সম্ভব।’ বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভাপতি আশরাফুজ্জামান আশু ও ইঞ্জিনিয়ার কবির উদ্দিন আহম্মেদ, বিসিবির কর্মকর্তা জভেদ ইসলাম তাপস। ফাইনাল খেলায় অংশ নেয় সাতক্ষীরা জেলা দল বনাম নড়াইল জেলা দল। ইয়ং টাইগার্স অনূর্ধ-১৮ বিভাগীয় ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় নড়াইল জেলা দলকে হারিয়ে সাতক্ষীরা জেলা দল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে। সাতক্ষীরা জেলা দল ৫০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৭৭ রান সংগ্রহ করে। জবাবে নড়াইল জেলা দল ৩২ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ৮৭ রান সংগ্রহ করে। ফলে সাতক্ষীরা জেলা দল ৯০ রানে জয় লাভ করে। উল্লেখ্য যে, সাতক্ষীরা জেলা ইয়ং টাইগার্স অনূর্ধ-১৮ বিভাগীয় ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় পর পর তিনবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করেছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার সিরাজুল ইসলাম খান, জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদিকা পৌর কাউন্সিলর জ্যোৎন্সা আরা, জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য অতিরিক্ত পিপি এড. আব্দুল লতিফ, পৌর কাউন্সিলর শেখ শফিক উদ দৌলা সাগর, জেলা ক্রীড়া সংস্থার কোষাধ্যক্ষ শাহ আলম শানু, জেলা ক্রীড়া সংস্থার কোষাধ্যক্ষ শাহ আলম শানু, নির্বাহী সদস্য ইকবাল কবির খান বাপ্পি, ইদ্রিস বাবু, কাজী কামরুজ্জামান, মীর তাজুল ইসলাম রিপন, সৈয়দ জয়নুল আবেদীন জসি, কবিরুজ্জামান রুবেল, স.ম সেলিম রেজা, খন্দকার আরিফ হাসান প্রিন্স, মো. হাফিজুর রহমান খান বিটু, জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কিরন্ময় সরকার ও বিসিবির কোচ মোফাচ্ছিনুল ইসলাম তপু, সাতক্ষীরা জেলা দলের কোচ ফজলুর রহমান, জেলা ক্রীড়া সংস্থার কর্মকর্তা ও ক্রিকেটপ্রেমী দর্শক। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাহী সদস্য ও খুলনা বিভাগীয় আম্পায়ারস্ এসোসিয়েশনের সভাপতি আ.ম আক্তারুজ্জামান মুকুল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest


দেবহাটা ব্যুরো : দেবহাটা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে। সাতক্ষীরা শহরের কাটিয়া টাউন বাজারস্থ কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার এক জরুরি সভা শেষে উক্ত কমিটি গঠন করা হয়। পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন অনুষ্ঠানে জেলা শাখার সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আবু বক্কর সিদ্দিকের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ হাসান ইমামের সঞ্চলানায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা শাখার সভাপতি ও জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন-সম্পাদক অধ্যক্ষ আবু আহম্মেদ। আগামী জাতীয় নির্বাচকে সামনে রেখে সংগঠনের গতিশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে দেবহাটা উপজেলা শাখার সভাপতি হাফিজুল ইসলাম, মোনয়েম হোসেনকে সহ-সভাপতি, রফিকুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক, মনিরুল ইসলামকে যুগ্ন-সম্পাদক আব্দুর রহিমকে সাংগঠনিক সম্পাদক মনোনিত করে ৪১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দেবহাটা উপজেলা প্রশাসনের আনন্দ শোভাযাত্রা


দেবহাটা ব্যুরো : দেবহাটায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ ইউনেস্কোর বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্যের স্বীকৃতি লাভ করায় আনন্দ শোভাযাত্রা, আলোচনাসভা, রচনা প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সারাদেশের সাথে একযোগে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উক্ত দিবসটি পালিত হয়। শুরুতে উপজেলা চত্বর হতে আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়ে দেবহাটা থানা মোড়, দেবহাটা বাজারসহ বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শহীদ মিনার চত্বরে আলোচনা সভা এবং ডিজিটাল সেন্টারে রচনা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। পরে শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাফিজ-আল আসাদের সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এ্যাড গোলাম মোস্তফা। বিশেষ অতিথি ছিলেন দেবহাটা থানার ওসি কাজী কামাল হোসেন। উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মিসেস নাজমুন নাহারের সার্বিক সঞ্চালনায় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দেবহাটা থানার ওসি (তদন্ত) শরিফুল ইসলাম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুব আলম খোকন, অধ্যক্ষ রিয়াজুল ইসলাম, সখিপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক হোসেন রতন, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের জেলা আহবায়ক আবু রাহান তিতু, কেবিএ কলেজের অধ্যক্ষ রিয়াজুল ইসলাম, মডেল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মদন মোহন পাল প্রমুখ। আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে রচনা প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণকারীদের বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কালিগঞ্জে ৭ মার্চের ভাষণের স্বীকৃতি উদযাপনে আলোচনা সভা ও বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা

কালিগঞ্জ ব্যুরো : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ঢাকা রেন্সকোর্স ময়দানের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ ইউনেস্কোর “মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিষ্ট্রার: এ অর্ন্তভূক্তির মাধ্যমে বিশ্ব প্রমান্য ঐতিহ্যে‘র স্বীকৃতি লাভ করায় কালিগঞ্জের সর্বস্থরের মানুষের অংশগ্রহণে আলোচনা সভা ও বিশাল বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সারাদেশের ন্যায় উৎসবের অংশ হিসেবে শনিবার সকাল ১০টায় জাতীয় সংসদীয় আসন ১০৮-সাতক্ষীরা-৪ এর সংসদ সদস্য এসএম জগলুল হায়দার আনন্দ উৎসব ও শোভাযাত্রার অনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। সোহরাওয়ার্দী পার্ক কমিটির সদস্য সচিব এ্যাডঃ জাফরুল্লাহ ইব্রাহীম ও প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সুকুমার দাশ বাচ্চু‘র সঞ্চালনায় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে পরিষদের মাঠ প্রাঙ্গণে অবস্থিত আনন্দ উৎসবের মুক্ত মঞ্চে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মাঈনউদ্দিন হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল হাকিম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও যুদ্ধকালিন (বিএলএফ) কমান্ডার আলহাজ্ব খান আসাদুর রহমান, প্রেসক্লাবের সভাপতি শেখ সাইফুল বারী সফু, কুশুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মেহেদী হাসান সুমন, ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব গাজী শওকাত হোসেন, ইউপি চেয়ারম্যান শেখ রিয়াজ উদ্দিন, ইউপি চেয়ারম্যান কেএম মোশারাফ, ইউপি চেয়ারম্যান প্রশান্ত সরকার প্রমুখ। পারে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারি, মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক, রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক, জনপ্রতিনিধি, এনজিও প্রতিনিধি, সামাজিক ও সুশীল সমাজ, বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষার্থীবৃন্দের উপস্থিতিতে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে খানবাহাদুর আহছানউল্লা সেতু সংলগ্ন বঙ্গবন্ধু‘র ম্যুরালের পাদদেশে পুস্পমাল্য অর্পণ করেন। এছাড়া মুক্তিযোদ্ধা ভিত্তিক চলচিত্র ওরা ১১জন প্রদর্শিত ও সন্ধ্যায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে কৃতি ও গুনি শিল্পীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কলারোয়ায় আওয়ামীলীগের দু’ গ্রুপের সংঘর্ষে আহত-১০

নিজস্ব প্রতিবেদক : আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। শনিবার সকাল ১০ টার দিকে কলারোয়া উপজেলা পরিষদ চত্বরে এ ঘটনাটি ঘটে।
প্রত্যক্ষ দর্শীরা জানান, বঙ্গবন্ধুর ৭ ই মার্চের ভাষন ইউনেস্কো কর্তৃক স্বীকৃতি পাওয়ায় সরকারি ভাবে কলারোয়া উপজেলা চত্বরে অনুষ্ঠান চলছিল। অনুষ্ঠান চলাকালিন পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দেওয়াকে কেন্দ্র করে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম লাল্টুর কর্মী সমর্থকরা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ফিরোজ আহমেদ স্বপনের উপর চড়াও হয়। এক পর্যায়ে লাল্টুর সমর্থকরা স্বপনের কর্মী সমর্থকদের উপর ইট, পাটকেল নিক্ষেপ করে। এ সময় উভয় পক্ষের সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়। পরে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ফিরোজ আহমেদে স্বপনকে তার কার্যালয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম লাল্টুর কর্মী সমর্থকরা দুই ঘন্টা অবরুদ্ধ করে রাখে।
কলারোয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ফিরোজ আহমেদ স্বপন জানান, লাল্টু গ্রুপের সন্ত্রাসী বাহিনী আমাকে অবরুদ্ধ করে রাখে এবং আমার নেতা কর্মীদের মারধর করে আহত করে।
তবে, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম লাল্টু জানান, এমন কোন ঘটনা ঘটেনি। এটা ফিরোজ আহমেদ স্বপনের কারসাজি। তার সন্ত্রাসী বাহিনী আমার নেতা কর্মীদের উপর হামলা চালিয়ে আহত করেছে।
কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার জানান, উভয় গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে এনেছে। এ রিপোর্ট লেখাপর্যন্ত কলারোয়া থানায় উভয় পক্ষ অবস্থান করছিলো বলে জানাগেছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মাত্র ২ রানে অলআউট!

মাত্র ২ রানে অলআউট!

কর্তৃক Daily Satkhira

ক্রিকেট মাঠে প্রায়ই বিভিন্ন রকমের মজার ঘটনা ঘটতে থাকে। কিছু ঘটনা ক্রিকেটপ্রেমীদের যেমন আনন্দ দেয়, তেমনই কিছু ঘটনা থাকে যা বিশ্বাস করা ছাড়া কোনও উপায় থাকে না। মাঝে মধ্যে নিজের চোখকেও বিশ্বাস হয় না। মনে হয় ঠিক দেখছি তো!

এই রকমই অবাক করা এক ঘটনার সাক্ষী থাকল গুন্টুরের জেকেসি কলেজ গ্রাউন্ড। শুক্রবার বিসিসিআইয়ের অনূর্ধ্ব-১৯ মহিলা ওয়ান ডে লিগ এবং নক-আউট টুর্নামেন্টের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল নাগাল্যান্ড ও কেরল। আর এই ম্যাচেই মাত্র ২ রানে শেষ হয়ে যায় নাগাল্যান্ডের ইনিংস।

১০ উইকেট হারিয়ে দুই রান। তার মধ্যে একটি ওয়াইড বলে এক রান। স্কোর বোর্ডের এরকম দুর্দশা দেখে অবাক হতে পারেন। কিন্তু এরকম ঘটনা ঘটেছে ভারতে। কেরালার বিপক্ষে এই রান করে নাগাল্যান্ড প্রদেশের অনূর্ধ্ব ১৯ নারী ক্রিকেট দল। এটি স্থানীয় খেলায় একটি রেকর্ড।

বিসিসিআই আয়োজিত অনূর্ধ্ব ১৯ মহিলাদের ওয়ানডে প্রতিযোগিতায় নাগাল্যান্ড নারী দল টস জিতে ব্যাট নেয়, শুরুতেই প্রথম বলে ওয়াইড দেয় কেরালা বোলার। তারপর ব্যাটসম্যান মেনকা ১৮ বলে খেলে এক রান করেন। এরপর মেনকা ছয়তম ওভারে আউট হয়ে যান ক্যাচ হয়ে। এরপর বাকিরা এসেছেন আর প্যাভিলিয়নে গিয়েছেন।

কেরলের হয়ে ছ’টি মেডেনসহ দু’টি উইকেট নেন সৌরভ্যা পি। একটিও রান না দিয়ে একটি করে উইকেট নেন সান্দ্রা সুরেন এবং বিবি সেবাস্তিন। কেরলের হয়ে সর্বোচ্চ চারটি উইকেট নেন মিনু মানি। নাগাল্যান্ডের দু’জন রান আউট হন। রান আউট দু’টি করেন দিব্যা গণেশ এবং মালবিকা সাবু।

এই দল মোট ১৭ ওভার বল খেলে তার মধ্যে ১৬টি ওভারই ছিলো মেইডেন। ২ রানে ১০ উইকেট হারিয়ে খেলা শেষ করে নাগাল্যান্ড। কেরালা নারী দল খেলতে নেমে ২ বলেই ৩ রান করে জিতে যান। অন্যদিকে এই নাগাল্যান্ড দলের এক বোলার গত ১ নভেম্বর মণিপুরের বিপক্ষে টানা ৪২টি ওয়াইড দিয়েছিলো।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলায় ২০০৪ সালের হারারেতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জিম্বাবুয়ের ৩৫ রান সর্বনিম্ম স্কোর।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় ৭ মার্চের ভাষণের স্বীকৃতি উদযাপনে বর্ণিল শোভাযাত্রা

মাহফিজুল ইসলাম আককাজ : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ ইউনেস্কোর “মেমোরি অব দ্য’ ওয়াল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্ট্রার” এ অর্ন্তভুক্তির মাধ্যমে” বিশ^ প্রামাণ্য ঐতিহ্যের’ র” স্বীকৃতি লাভ করায় এ অসামান্য অর্জনকে যথাযোগ্যভাবে পালনের লক্ষ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে আনন্দ শোভাযাত্রা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে প্রথমে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পূষ্পার্ঘ্য অর্পণ এর মধ্য অনুষ্ঠানে শুভ সুচনা করা হয়। পরে একটি বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের গুরুত্বপুর্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সাতক্ষীরা শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে আলোচনা সভায় মিলিত হয়।

জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা-০২ আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। এসময় এমপি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পাওয়া বাঙালী জাতির জন্য বিশাল গৌরবের। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণকে পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভাষণ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে বিশ^। বাঙালির বীরত্বপূর্ণ সংগ্রাম ও সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে জাতির পিতার এই ভাষণের দিক-নির্দেশনাই ছিল সে সময়ের বজ্রকঠিন জাতীয় ঐক্যের মূলমন্ত্র। আজ ৪৫ বছর পরেও বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের আবেদন বাঙালির কাছে অটুট আছে। লেখক ও ইতিহাসবিদ জেকব এফ ফিল্ড’-এর বিশ্বসেরা ভাষণ নিয়ে লেখা গ্রন্থে এই ভাষণ স্থান পেয়েছে। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ বিশ্ববাসীর কাছে বিশেষ করে বিশ্বের মুক্তিকামী মানুষের কাছে আলোর দিশারীতে পরিণত হয়েছে। তিনি এ ভাষণ দিয়েছিলেন ঔপনিবেশিক পাকিস্থানী দুঃশাসন থেকে বাঙালি জাতিকে মুক্তি দেওয়ার জন্য। ১৯৪৮ সালে ভাষার দাবিতে আন্দোলন শুরু করার সময়ই বঙ্গবন্ধু বুঝে গিয়েছিলেন স্বাধীনতা ব্যতীত এই জাতির চূড়ান্ত মুক্তি মিলবে না। তিনি আরো বলেন, রেসকোর্সের জনসমুদ্রে দেওয়া জাতির পিতার এই কালজয়ী ভাষণে ধ্বনিত হয়েছিল বাংলার গণমানুষের প্রাণের দাবি। এ প্রেক্ষাপটে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে এক জনসভার ডাক দেন। সেদিনের জনসমুদ্রে তিনি বজ্রকন্ঠে ঘোষণা দেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, জয় বাংলা।’ বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণই ছিল প্রকৃতপক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা। এই ভাষণে তিনি বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতার জন্য ঐক্যবদ্ধ করেন। আবার সশ¯্র সংগ্রামের দিক-নিদের্শনাও দিয়ে যান।’
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার মো. আলতাফ হোসেন, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মুনসুর আহমেদ, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ.এন.এম মঈনুল ইসলাম, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজেরঅধ্যক্ষ প্রফেসর বিশ^াস সুদেব কুমার, সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডা. তওহীদুর রহমান, সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. কাজী হাবিবুর রহমান, এনএসআই’র সাতক্ষীরা উপ-পরিচালক মোজাম্মেল হক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আব্দুল হান্নান, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু আহমেদ, সৈয়দ ফিরোজ কামাল শুভ্র, আব্দুল করিম বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাসরিন খান লিপি, এন.এসআই’র সাতক্ষীরা সহকারী পরিচালক আনিসুজ্জামান, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সাতক্ষীরা জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোশারফ হোসেন মশু, জেলা ডেপুটি কমান্ডার মো. আবু বক্কর সিদ্দীক, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এস.এম শওকত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাজান আলী, সাতক্ষীরা পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সাহাদাৎ হোসেন, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নূর হোসেন সজল, জেলা শিক্ষা অফিসার এস.এম ছায়েদুর রহমান, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শেখ অহিদুল আলম, দৈনিক আজকের সাতক্ষীরার সম্পাদক মহসিন হোসেন বাবলু, জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদিকা পৌর কাউন্সিলর জ্যোৎন্সা আরা, সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মো. হাসানুল ইসলাম, সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিটিউটের অধ্যক্ষ জি.এম আজিজুর রহমান, সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস.এম আব্দুল্লাহ আল-মামুন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কোহিনুর ইসলাম, জেলা শ্রমিক লীগ নেতা শেখ তহিদুর রহমান ডাবলু, পৌর কাউন্সিলর ফারহা দিবা খান সাথি, সাতক্ষীরা নবারুণ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি আমিনুর রহমান উল্লাস, জেলা সাংস্কৃতিক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হেনরী সরদার, জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সদস্য সচিব শেখ মুশফিকুর রহমান মিল্টন, কণ্ঠশিল্পী মনজুরুল হক, আবু আফফান রোজ বাবু, শামীমা পারভীন রতœা প্রমুখ। স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, সর্বস্তরের জনগণ, বাংলাদেশ পুলিশ, আনসার, বর্ডার গার্ড বাহিনীর বর্ণাঢ্য বাদক দল ও শিশু কিশোরদের সমন্বয়ে আনন্দ শোভাযাত্রায় হাজার হাজার মানুষ অংশ নেয়। কর্মসূচির মধ্যে ছিল সকাল ১০টায় আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়ে সাতক্ষীরা শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্ক, ঐদিন একই স্থানে বেলা ১১টায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সন্ধ্যায় চলচ্চিত্র প্রদর্শন (ওরা ১১জন), সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমুহে ৭ই মার্চের ভাষণের উপর রচনা প্রতিযোগিতা, কুইজ প্রতিযোগিতা ও সাধারণ জ্ঞান প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।

 

 

 

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest