সর্বশেষ সংবাদ-
জেলা ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি গঠনচোরের উপদ্রবে অতিষ্ঠ কাটিয়া রেজিস্ট্রি অফিসপাড়ার বাসিন্দারা : মিথ্যা মামলার অভিযোগসাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের পিতার মৃত্যুতে শােকসাতক্ষীরায় পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা: আসামী ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগশ্যামনগরে কোস্টগার্ডের অভিযানে ভারতীয় মদ জব্দআশাশুনিতে জলবায়ু-স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ক যুব নেতৃত্বাধীন প্রচারনাসাতক্ষীরা জেলা স্কাউট ভবন এর উর্ধ্বমুখি সম্প্রসারণ কার্যক্রম উদ্বোধনখুলনায় এনসিপি নেতা গুলিবিদ্ধ: সাতক্ষীরা সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদারশ্যামনগরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনিয়ম ‌দুর্নীতির অভিযোগল স্টুডেন্টস ফোরাম এর নবনির্বাচিত কমিটি নির্বাচন কমিশনের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়

‘সরকারি দলের নাম ভাঙিয়ে সংখ্যালঘুদের জায়গা দখলের মহোৎসব চলছে’

বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত বলেন, সরকারী দলের নাম ভাঙিয়ে এক শ্রেণির মন্ত্রী, এমপি ও নেতাদের ছত্রছায়ায় এ দেশের সংখ্যালঘুদের ঘরবাড়ি ও মন্দিরের জায়গা দখলের মহোৎসব চলছে। এরা বঙ্গবন্ধুর স্লোগান দেয় কিন্তু হৃদয়ে বঙ্গবন্ধুকে ধারন করে না।
এরা বঙ্গবন্ধুর রাজনীতির কথা বলে ফায়দা লুটে, অথচ তার আদর্শ ধারন করে না। এ অবস্থায় দাড়িয়ে আজকের বাংলাদেশ, এটাই বাংলাদেশের বাস্তবতা। শুক্রবার বিকেলে পিরোজপুর জেলা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় তিনি আরো বলেন, এ দেশের আড়াই কোটি জনগণকে আর ধোকায় ফেলা যাবে না। কলা গাছ দিবেন, চোর দিবেন, ডাকাত দিবেন আর মাথার উপর থাকবে বঙ্গবন্ধুর ছবি। বলা হবে এখানে ভোট না দিলে মুক্তিযুদ্ধ ভেসে যাবে। সেখানে আমাদের কথা হলো যারা সৎ, যোগ্য আর প্রকৃত অর্থে বঙ্গবন্ধুকে হৃদয়ে ধারন করে তাদের মনোনয়ন দিন। আর যারা সংখ্যালঘুদের স্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ড করে তাদের আমরা ভোট দিতে পারি না।

রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমে পিরোজপুর জেলা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধন করেন জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা প্রবীন রাজনিতিবিদ এ্যাডভোকেট চন্ডি চরন পাল।
জেলা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদের আহবায়ক তুষার কান্তি মজুমদারের সভাপতিত্বে এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি মন্ডলীর সদস্য ক্যাপ্টেন (অবঃ) সচীন কর্মকার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনিন্দ্র কুমার নাথ, সাংগঠনিক সম্পাদক সুখেন্দু শেখর বৈদ্য, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ হাকিম হাওলাদার, জেলা উদীচীর সভাপতি এম এ মান্নান, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি খান মো. আলাউদ্দিন, পিরোজপুর প্রেসক্লাব সভাপতি শফিউল হক মিঠু, রেজাউল করিম মন্টু, জয়দেব চক্রবর্তী।

পরে ভোটারদের মতামতের ভিত্তিতে তুষার কান্তি মজুমদারকে সভাপতি, গৌতম চন্দ্র সাহাকে সাধারণ সম্পাদক, চন্দ্র শেখর হালদারকে সাংগঠনিক সম্পাদক ও দিপঙ্কর মাতা মিন্টুকে কোষাধ্যক্ষ করে ১০১ সদস্যের জেলা কমিটি গঠন করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মেসির চতুর্থ সোনার জুতা

লিগ শিরোপা বা ইউরোপ সেরার কোনো ট্রফিই উঁচিয়ে ধরতে পারেননি লিওনেল মেসি। দুটো শিরোপাই গেছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদের ঘরে। তবে গত মৌসুমেও ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে সপ্রতিভ ছিলেন মেসি। লা লিগার সর্বোচ্চ গোল স্কোরার ছিলেন আর্জেন্টাইন ফুটবল জাদুকর। চ্যাম্পিয়নস লিগের দ্বিতীয় সেরা গোলস্কোরারও ছিলেন বার্সার প্রাণভোমরা। সব মিলিয়ে ইউরোপীয় আসরে সংখ্যা সংখ্যায় মেসির আশপাশেও ছিলেন না বাকিরা। সেটারই পুরস্কার পেলেন ফুটবল বিশ্বের সবচেয়ে বড় তারকা। চতুর্থবারের মতো ‘গোল্ডেন সু’ ট্রফি জিতলেন তিনি।

শুক্রবার এই ট্রফি জেতেন মেসি। বার্সা তারকার হাতে স্বর্ণপাদুকা তুলে দেন ২০১৫-১৬ মৌসুমের সর্বোচ্চ গোলদাতা ও মেসির সতীর্থ লুইস সুয়ারেজ। এর আগে তিনবার স্বর্ণপাদুকা জিতেছেন মেসি। সর্বপ্রথম ২০০৯-১০ মৌসুমে এই ট্রফি জেতেন তিনি। সেবার ইউরোপের সব ধরনের প্রতিযোগিতায় ৩৪ গোল করেছিলেন তিনি। ২০১১-১২ মৌসুমে মোট ৫০টি গোল করে দ্বিতীয়বার এই স্বর্ণপাদুকা ঘরে তোলেন তিনি। পরের বছর মেসি করেন ৪৬ গোল। ফলে সেবারও এই মর্যাদাপূর্ণ এই ট্রফিটি নিজের করে নেন তিনি। গত মৌসুমে ৩৭ গোল করেছেন এই ফুটবলবিস্ময়।

মেসির মতো ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোও চারবার এই পুরস্কার জিতেছেন। এবার মেসির প্রতিপক্ষ ছিলেন রোনালদোর স্বদেশি বাস দোস্ত। পর্তুগিজ ক্লাব স্পোর্টিং লিসবনের হয়ে ৩১ ম্যাচে ৩৪ গোল করেন তিনি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
চীনের অধীনে থাকার কথা জানালেন দালাই লামা

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতায় এক অনুষ্ঠানে দালাইলামা বলেন, আমরা স্বাধীনতা চাইব না। আমরা চীনের সঙ্গে থাকতে চাই। আমরা আরও উন্নয়ন চাই।

গতকাল বৃহস্পতিবার ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্স আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি তিব্বতের স্বাধীনতার দাবি ত্যাগের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ এসব কথা বলেন।

দালাইলামা বলেন, দুটি আলাদা দেশ হলেও চীন-তিব্বতের মধ্যে গভীর সম্পর্ক রয়েছে, যদিও মাঝে মধ্যে লড়াই হয়। তবে আমরা এখন ভবিষ্যতের দিকে তাকাতে চাই। তিব্বতের আলাদা সংস্কৃতি আছে এবং পৃথক জীবনপ্রণালি আছে। চীনারা তাদের দেশকে ভালোবাসে এবং আমরাও আমাদের দেশকে ভালোবাসি।

উল্লেখ্য, তিব্বতের নির্বাসিত আধ্যাত্মিক নেতা দালাইলামা চীনের হাত থেকে স্বাধীন হতে চেয়েছিলেন আগে। কিন্তু এবার দীর্ঘদিনের সে স্বাধীনতার দাবি ত্যাগ করে চীনের অধীনে থাকার কথা জানিয়েছেন তিনি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
‘পদ্মাবতী’ মুক্তির প্রতিবাদে ঝুলন্ত মরদেহ

নতুন মোড় নিল পদ্মাবতী বিতর্ক। নাহারগড় দুর্গে উদ্ধার হল ঝুলন্ত মৃতদেহ।
পাশে পাথরের উপর রহস্যজনকভাবে লেখা, ‘আমরা কেবল পুতুলই ঝোলাই না পদ্মাবতী’। ঘটনার পরই নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। একই সঙ্গে সারা ভারত জুড়ে ‘পদ্মাবতী’ বিতর্কে নতুন মাত্রা যোগ হল। সেই সঙ্গে এই প্রথম বিতর্ককে কেন্দ্র করে কোনও মৃত্যুর ঘটনা ঘটল।

ঝুলন্ত সেই মরদেহ নিয়ে এখনও বেশ ধন্দে পুলিশ। আদতে এ ঘটনা আত্মহত্যা নাকি সেই ব্যক্তিকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে রহস্য দানা বেঁধেছে মৃতদেহ পাশের পাথরের ওপর লেখাটি নিয়ে। আসলেই লেখাটি সেই ব্যক্তি লিখেছেন না উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে কেউ লিখে দিয়ে গেছে, তা নিয়ে বেশ সন্দিহান পুলিশ।

কারণ ছবি নিয়ে যাদের সবচেয়ে বেশি আপত্তি, সেই করণী সেনাই সম্প্রতি আপোসের রাস্তা খুলে দিয়েছিল।
আগে দীপিকার নাক ও পরিচালকের মাথা কেটে নেওয়ার হুমকি দেওয়া হলেও বুধবার সেনার তরফ থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল, মেওয়ারের রাজ পরিবারকে দেখাতে হবে এই ছবি। রাজ পরিবারের সদস্যদের যদি আপত্তি না থাকে তাহলে এ ছবি নিয়ে তারাও আর আপত্তি জানাবেন না। নির্বিঘ্নে মুক্তি পেতে পারবে সঞ্জয় লীলা বানসালির এ ছবি।

যেখানে করণি সেনা আপোষের রাস্তা খুলে দিয়েছে, সেখানে শুক্রবারের এমন ঘটনা কি বিক্ষোভের আঁচ জিইয়ে রাখতেই ইচ্ছাকৃতভাবে ঘটনো হয়েছে কিনা বিভিন্ন মহলে উঠছে সেই প্রশ্ন। ইতিমধ্যেই ছবিকে প্রশংসাপত্র দিয়েছে ব্রিটেনের সেন্সর বোর্ড। এবার সিদ্ধান্ত নির্ভর করছে প্রসূন যোশীর সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ফিল্ম সার্টিফিকেশনের ওপর।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মিসরে মসজিদে হামলা, নিহত ২৩৫

মিসরে জনাকীর্ণ একটি মসজিদে সন্দেহভাজন জঙ্গিদের বোমা বিস্ফোরণ ও গুলিতে কমপক্ষে ২৩৫ জন নিহত হয়েছে। আজ শুক্রবার দেশটির নর্থ সিনাই প্রদেশে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আরও ১৩০ জন আহত হয়েছে। সরকারি এক কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা এমইএনএ এ কথা জানিয়েছে। খবর বিবিসি ও রয়টার্সের।

মিসরের সংঘাতময় ওই অঞ্চলে এটা অন্যতম ভয়াবহ হামলা। কেউ ঘটনার দায় স্বীকার করেনি। ওই অঞ্চলে ইসলামি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে আসছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী।

রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের ছবিতে দেখা গেছে, এল আরিশ শহরের পশ্চিমে বির আল-আবেদ এলাকার আল রাওদাহ মসজিদে মরদেহ কম্বল দিয়ে ঢাকা। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ও বার্তা সংস্থা এমইএনএর খবরে বলা হয়েছে, ২৩৫ জন নিহত হয়েছে ও ১৩০ জন আহত হয়েছে।

স্থানীয় লোকজনের উদ্ধৃতি দিয়ে গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, সুফি অনুসারীরা প্রায়ই ওই মসজিদে জমায়েত হতেন। আইএসসহ জিহাদি সংগঠনগুলো সুফি অনুসারীদের কাফের বলে বিবেচনা করে থাকে।

স্থানীয় এক বাসিন্দা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘হামলার পর আতঙ্কে মসজিদ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া লোকদের তারা গুলি করছিল। ঘটনাস্থলের কাছে থাকা অ্যাম্বুলেন্স লক্ষ্য করেও তারা গুলি ছোড়ে।’

মিসরের নিরাপত্তা বাহিনী সিনাইয়ের উত্তরে জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে লড়াই করে আসছে। সেখানে জঙ্গিরা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর কয়েক শ সদস্যকে হত্যা করে। গত তিন বছরে দুই পক্ষের লড়াই আরও তীব্র হয়েছে। সেখানে জঙ্গিদের বেশির ভাগ হামলার লক্ষ্যবস্তুই হলো নিরাপত্তা বাহিনী। তবে তারা মিসরের খ্রিষ্টান গির্জা ও তীর্থযাত্রীদের ওপর আক্রমণের মাধ্যমে হামলার পরিধিকে উপদ্বীপের বাইরেও প্রসারিত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে বলা হয়েছে, হামলার পরপরই দেশটির প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি জরুরি নিরাপত্তা বৈঠক ডাকেন। এ ঘটনায় তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
তালায় বারুইপাড়া মহাশশ্মান মন্দিরে মূর্তি চুরি

তালা প্রতিনিধি : তালা উপজেলার বারুইপাড়া চারিখাদা মহাশশ্মান মন্দিরের চুরির ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আনুমানিক তিনটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এসময় দলবদ্ধ চোর চক্র মন্দিরের কালি মূর্তির গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন ও গোবিন্দ মন্দিরে থাকা পিতলের একটি কৃষ্ণ মূর্তি নিয়ে যায়।
স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, বৃহস্পতিবার মধ্যেরাতের দিকে সংবদ্ধ চোর চক্র কৌশলে মন্দিরের ভেতরে থাকা কালি মূর্তির গলায় থাকা একটি স্বর্ণের চেইন ও পিতলের কৃষ্ণ মূর্তি চুরি করে নিয়ে যায়।
মন্দির পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক নির্মল দাশ জানান, তিনি শুক্রবার সকালে মন্দিরে এসে দেখতে পান মন্দিরে থাকা একটি স্বর্ণের চেইন ও পিতলের কৃষ্ণ মূর্তি নেই। সাথে সাথে তালা থানা পুলিশকে অবগত করলে তালা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। মাগুরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান গণেশ দেবনাথ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তালা উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রণব ঘোষ বাবলু জানান, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি নষ্ট করার জন্য ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য কোন সাম্প্রদায়িক শক্তি এ ঘটনা ঘটাতে পারে। অবিলম্বে অপরাধীদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশের প্রতি আহ্ব¦ান জানান তিনি।
তালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান হাফিজুর রহমান জানান, বিষয়টি শুনেই ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছি। এ ঘটনায় তালা থানায় একটি মামলা হয়েছে যার নং- ১৫/২০১৭ইং তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। খুব দ্রুত ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনুনাগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় মানতবাবিরোধী অপরাধের তদন্তে সাক্ষ্য দেওয়ায় সাক্ষীকে মারপিট

আসাদুজ্জামান : সাতক্ষীরায় মানতবাবিরোধী অপরাধের তদন্তে সাক্ষ্য দেওয়ায় সাক্ষীকে পিটিয়েছে দুর্বৃত্তরা। সাতক্ষীরা সার্কিট হাউজে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে সাক্ষ্য দেওয়ায় এক সাক্ষীকে দুর্বৃত্তরা পিটিয়ে হাত ভেঙে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহষ্পতিবার রাত ৯টার দিকে আশাশুনি উপজেলার পাইথালী বাজার এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহতের নাম আকবর আলী (৬২)। তার বাড়ি আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা গ্রামে।
আহত আকবর আলী শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি হলে সেখানে পুনরায় হামলা হতে পারে এমন খবরের ভিত্তিতে তিনি সেখান থেকে পালিয়ে যান বলে জানা গেছে।
মামলার বাদি সাতক্ষীরা শহরের রাজারবাগান এলাকার মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিন সানা জানান, ১৯৭১ সালের মার্চ মাসে মুক্তিযুদ্ধচলাকালীন আশাশুনি উপজেলার চাপড়া গ্রামের সদরউদ্দিন সরদারের ছেলে (সাতক্ষীরা শহরের চাপলা লজ পরিবার) রাজাকার কমান্ডার লিয়াকত আলী (৭৫), তার ভাই মুজিবর রহমান সরদার (৭০) ও একই গ্রামের তাহের সরদারের ছেলে আবুল হাশেম সরদার(৬৮) রাজাকার বাহিনী গঠন করে চাপড়া গ্রামের আমিনউদ্দিন সরদারের বাড়িতে রাজাকার ক্যাম্প স্থাপন করেন। ওই ক্যাম্পে অবস্থানকারী প্রায় ৫০ জন রাজাকার লিয়াকত আলী, মুজিবর ও হাশেম সরদারের নির্দেশনায় হত্যা, খুন, জখম ধর্ষণ, বাড়িতে লুটপাট, অগ্নিসংযোগসহ বিভিন্ন অপকর্ম শুরু করে। তাদেরই নির্দশনায় উপজেলার স্বরাপপুর গ্রামের মনোহর দাশের ছেলে কৃষ্ণপদ দাশ, চন্ডী চরণ দাশের ছেলে মেঘনাথ দাশ, একই গ্রামের তারাপদ দাশকে বাড়ি থেকে তুলে এনে কুল্ল্যা তিন রাস্তার মোড়ে প্রকাশ্য দিবালোকে গুলি করে হত্যা করে। একইভাবে লিয়াকত সরদারের নির্দেশে চাপড়া গ্রামের নিজামউদ্দিন সরদারের ছেলে আনিছুর রহমানকে গুলি করে হত্যা করা হয়। দয়ারঘাট গ্রামের গোরাচাঁদ ঠাকুরের মেয়ে নমিতা রানী ঠাকুরকে অপহরণ করে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এতে বাধা দেওয়ায় তাদের বাবা ও মেয়েকে গুলি করে হত্যা করে। ওই সালের নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে আশাশুনি গ্রামের আফতাবউদ্দিনের ছেলে আব্দুর রকিবের বাড়িতে হামলা ও লুটপাট শেষে অগ্নিসংযোগ করা হয়। একই গ্রামের আব্দুল হাকিমের ছেলে আব্দুর রাজ্জাককে ১৯৭১ সালের এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময়ে গুলি করে হত্যা করা হয়। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে ওই বছরের ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত তারা আশাশুনির বিভিন্ন স্থানে নির্মম অত্যাচার চালায়। চলতি বছরের গত ৪ সেপ্টেম্বর সাতক্ষীরার আমলি আদালত-১ এ মামলা দায়ের করেন মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিন সানা। মামলায় রাজাকার কমান্ডার লিয়াকত আলী সরদার, তার ভাই মুজিবর সরদার ও একই গ্রামের হাশেম সরদারকে আসামী করা হয়। মামলায় সাতজনকে সাক্ষী করা হয়। বিচারক হাবিবুল¬াহ মাহমুদ মামলাটি বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাব্যুনালে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে ওকালতনামাসহ মামলার নথি বাদিকে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন। এ মামলার খবর পেয়ে আসামীরা ওই মামলার সাক্ষী আবুল হোসেন, আব্দুর রকীব, সেলিম রেজা, আব্দুস সাত্তার, মিজানুর রহমান সানা ও রিয়াজউদ্দিন মোড়লকে হুমকি ধামকি দিয়ে তাদেরকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য না দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে।
তিনি আরো জানান, গত ১১ সেপ্টেম্বর তিনি আন্তজার্তিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে যেয়ে মামলা দাখিল করেন। সাতক্ষীরা আদালতে দায়েরকৃত মামলার একমাত্র সাক্ষী নুরুল ইসলাম বাবুলসহ আরো নতুন সাতজনকে সাক্ষী শ্রেণিভূক্ত করা হয়। বিচারক মামলাটি তদন্ত করে সিডিসহ প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। এরই জের ধরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সহকারী পরিচালক আব্দুর রাজ্জাক গত মঙ্গলবার ও বুধবার সাতক্ষীরা সার্কিট হাউজে এসে আটজন সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন।
তিনি অভিযোগ করে আরো বলেন, যুদ্ধাপরাধ মামলায় সাক্ষী দিয়েছেন এমন খবর পেয়ে বৃহষ্পতিবার রাত ৯টার দিকে পাইথালী বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে বুধহাটার আকবর আলীর উপর হামলা চালায় আসামী হাশেম আলী সরদার, কবীর হোসেনসহ কয়েকজন। তারা লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে আকবর আলীর বাম হাত ভেঙে দেয়। তার বাম কাঁধের উপর হামলা করে মারাত্মক জখম করার পর রাতে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। তারই পরামর্শে শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে আকবর আলীকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আকবর আলীর স্বজনরা জানান, মামলায় সাক্ষী দেওয়ায় তারাও হুমকির মুখে। অপর সাক্ষী সাদেক আলীকে হুমকি দেওয়ায় তিনি শুক্রবার দুপুর ২ টার দিকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আকবর আলীকে জানালে তারা দু’জন মিলে হাসপাতাল ছেড়ে পালিয়ে যান।
আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর রহমান শাহিন জানান, এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কেউ কোন অভিযোগ দয়ের করেননি। অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
জিম্বাবুয়ের নতুন প্রেসিডেন্ট এমারসন নানগাগবা

জিম্বাবুয়ের নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন ৭৫ বছর বয়সী এমারসন নানগাগবা। আজ স্থানীয় সময় সকালে রাজধানী হারারের জাতীয় স্টেডিয়ামে নানগাগবা প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন।
১৯৮০ সালে ব্রিটিশদের কাছ থেকে স্বাধীনতা অর্জনের পর তিনি হলেন দেশটির দ্বিতীয় কমান্ডার ইন চিফ। দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জেডবিসি (জিম্বাবুয়ে ব্রডকাস্টিং করপোরেশন) শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার করেছে।

এর আগে প্রাণ ভয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় পাড়ি জমানো নানগাগবা বুধবার (২২ নভেম্বর) দেশে আসলে তাকে উষ্ণ সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest