সর্বশেষ সংবাদ-
জেলা ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি গঠনচোরের উপদ্রবে অতিষ্ঠ কাটিয়া রেজিস্ট্রি অফিসপাড়ার বাসিন্দারা : মিথ্যা মামলার অভিযোগসাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের পিতার মৃত্যুতে শােকসাতক্ষীরায় পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা: আসামী ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগশ্যামনগরে কোস্টগার্ডের অভিযানে ভারতীয় মদ জব্দআশাশুনিতে জলবায়ু-স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ক যুব নেতৃত্বাধীন প্রচারনাসাতক্ষীরা জেলা স্কাউট ভবন এর উর্ধ্বমুখি সম্প্রসারণ কার্যক্রম উদ্বোধনখুলনায় এনসিপি নেতা গুলিবিদ্ধ: সাতক্ষীরা সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদারশ্যামনগরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনিয়ম ‌দুর্নীতির অভিযোগল স্টুডেন্টস ফোরাম এর নবনির্বাচিত কমিটি নির্বাচন কমিশনের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়

শ্রদ্ধাঞ্জলি : শুয়াচান পাখির অমর বাঁশুরিয়া বারী সিদ্দিকী

সাধক সংগীতশিল্পী ও নন্দিত বংশীবাদক বারী সিদ্দিকী আমাদের শিল্পভুবনে শোকের ছায়া ফেলে গেলেন সত্য। কিন্তু মাত্র ছয় দশকের স্বল্পজীবন পেয়েও আলোয় ভুবন ভরিয়ে দিয়েছেন গ্রামীণ লোকসংগীত ও আধ্যাত্মিক ঘরানার এই শিল্পী। দুই বছর ধরে বিকল কিডনির দুঃসহ যন্ত্রণা সয়েও কী মোহময়ভঙ্গিতে গান শুনিয়ে গেছেন, ‘আমার গায়ে যত দুঃখ সয়!’ শেষ পর্যন্ত হৃদযন্ত্রের দুর্বলতার সঙ্গে পেরে না ওঠে ভক্তের মণিকোঠায় স্মৃতি হয়ে গেলেন তিনি। গভীর শোক ও প্রাণান্ত শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রিয় শিল্পী বারী সিদ্দিকী।

বারী সিদ্দিকী একনিষ্ঠ সংগীত অন্তপ্রাণ মানুষ ছিলেন। সংগীতে হাতেখড়ি পেয়েছিলেন পরিবার থেকেই। নিজের জন্মস্থান নেত্রকোনার শিল্পী ওস্তাদ গোপাল দত্তের সান্নিধ্য পান মাত্র ১২ বছর বয়সেই। তার পর একে একে ওস্তাদ আমিনুর রহমান, দবির খান, পান্নালাল ঘোষের কাছে সংগীতের মৌলিক প্রশিক্ষণ নেন। পরবর্তী সময়ে বাঁশির প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠেন এবং বাঁশির ওপর উচ্চাঙ্গসংগীতে প্রশিক্ষণ নেন। ভারতের পুনের পণ্ডিত ভিজি কার্নাড ছিলেন বারী সিদ্দিকীর শিক্ষক। নব্বইয়ের দশকে পুনে থেকে দেশে ফিরে লোকসংগীতের সঙ্গে উচ্চাঙ্গসংগীতের ফিউশনে স্বল্প পরিসরে গান গাওয়া শুরু করলেও বাঁশি বাজিয়ে জয় করেন শ্রোতা ও ভক্তের মন।

ক্লাসিক্যাল মিউজিকের ওপর পড়াশোনা করা বারী সিদ্দিকী নেত্রকোনার মানুষ। ১৯৯৯ সালে নেত্রকোনার আরেক কিংবদন্তি কথাশিল্পী হুমায়ূন আহমেদের নজরে পড়েন এই শিল্পী। ওই বছর মুক্তি পাওয়া হুমায়ূন আহমেদের জনপ্রিয় চলচ্চিত্র ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’-এ ছয়টি গানে কণ্ঠ দেন বারী সিদ্দিকী। সেই সিনেমায় গাওয়া ‘শুয়াচান পাখি আমি ডাকিতাছি তুমি ঘুমাইছ নাকি’, ‘পুবালি বাতাসে’, ‘আমার গায়ে যত দুঃখ সয়’, ‘ওলো ভাবিজান’, ‘মানুষ ধর মানুষ ভজ’ গানগুলো এখনো মানুষের মুখে মুখে ফেরে।

এর আগে ১৯৯৫ সালে হুমায়ূন আহমেদ নির্মিত টিভি ম্যাগাজিন ‘রঙের বাড়ই’-তে জনসমক্ষে প্রথম সংগীত পরিবেশন করে ওই লেখকের দৃষ্টি কাড়েন অকালপ্রয়াত এই শিল্পী। এরপর আর বারী সিদ্দিকী পেছন ফিরে তাকাননি। হুমায়ূন আহমেদের হাত ধরে বাংলাদেশের একজন জনপ্রিয় বংশীবাদক হয়ে উঠলেন সাধারণ মানুষের প্রিয়তর শিল্পী। একে একে অন্য চলচ্চিত্রেও তিনি বেশ কিছু গান গেয়ে নিজের কণ্ঠপ্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন। বেরিয়েছে বারী সিদ্দিকীর একক অ্যালবামও।

১৯৯৯ সাল বারী সিদ্দিকীর জন্য দুদিক থেকে পয়মন্ত ছিল। ওই বছর তিনি হুমায়ূন চলচ্চিত্রে যেমন ব্রেকথ্রু পান, তেমনি সে বছর জেনেভায় অনুষ্ঠিত বিশ্ব বাঁশি সম্মেলনে ভারতীয় উপমহাদেশ থেকে একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে অংশগ্রহণ করার গৌরব অর্জন করেন।

সর্বশেষ গেল ১৩ নভেম্বর কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ৬৯তম জন্মবার্ষিকীতে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে সরাসরি অনুষ্ঠানে নিজের জনপ্রিয় গানগুলো গেয়ে শ্রোতাদের মুগ্ধ করেছেন বারী সিদ্দিকী।

জীবনের শেষদিকে নিজের একটি টুপি পরে দর্শক-শ্রোতাদের সামনে হাজির হতেন এই শিল্পী। গান গাইতে গাইতে এক আধ্যাত্মিক ভাবগাম্ভীর্য রচনা করে ঐশ্বরিক বন্দনায় মেতে উঠতেন তিনি। সুরের সাধনায় মহান স্রষ্টার আরাধনা করবার ভঙ্গিমাটা বারী সিদ্দিকীর একান্ত নিজস্ব। সুর ও সংগীতের ইন্দ্রজালে নিজে কাঁদতেন আর ভক্তদেরও সমান কাঁদাতেন। মহামুণি অ্যারিস্টটলের ট্র্যাজিক বিমোক্ষণ কিংবা গ্রন্থিমোচনের সত্যিকারের স্বাদ পাওয়া যেত বারী সিদ্দিকী উপস্থাপিত মৃত্তিকাসংলগ্ন সংগীতে।

বাংলার হরিপ্রসাদ চৌরাশিয়া বারী সিদ্দিকী যদি তাঁর মোহন বাঁশিতেই মেতে থাকতেন, তবু শিল্পাকাশে উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়েই বিরাজ করতেন। তার ওপর তিনি এমন কিছু সুর সৃষ্টি করে গেছেন, যা তাঁকে যুগের পর যুগ সূর্যের মতোই দেদীপ্যমান রাখবে। তাঁরই উদ্দেশে আমরা গাইতে থাকব :

তুমি আমি জনম ভরা
ছিলাম মাখামাখি,
আজ কেন হইলে নীরব
মেলো দুটি আঁখি।
শুয়াচান পাখি আমার শুয়াচান পাখি
আমি ডাকিতাছি তুমি ঘুমাইছ নাকি।

প্রত্যেক প্রাণকেই চিরায়ত ঘুমের সকাশে যাত্রা করতে হয়, এটা অবশ্যম্ভাবী। হাজার ডাকেও অনন্তরের পা রাখা সেই ঘুমকাতুরের জাগরণ হয় না। প্রেমাস্পদ জীবিত প্রাণের সঙ্গে অশেষ মাখামাখিতেও আর ঘুচে না বিচ্ছেদের বিয়োগব্যথা। শিল্পী বারী সিদ্দিকী নিজের গানেরই আজ ট্র্যাজিক নায়ক। আমাদের হৃদয় বিদীর্ণ করে দিয়ে শিল্পী নিজেই আজ শুয়াচান পাখি। স্মরণের আলোয় যাঁকে আমরা ডেকে ফিরব, কিন্তু তিনি আর বাঁশের বাঁশরি হাতে আর সাড়া দেবেন না।

কলাজ্ঞ শ্রোতার শ্রবণ কুহরে বাংলা সংগীতের যে বর্ণিল তরঙ্গ ধ্বনি দিয়ে গেলেন বারী সিদ্দিকী, তার প্রাপ্তিতেই স্বস্তি ও আনন্দ খুঁজব আমরা। বাংলা গানের সহস্র বছরের সাধনায় বারী সিদ্দিকী প্রশান্তির বারি বর্ষণ করে যাক। বাংলা শিল্প রুচির সামগ্রিক অধঃপতন ঠেকাতে বারী সংগীত হোক অনন্য অনুপ্রেরণা।

আমাদের আকাশে বাতাসে বারী সিদ্দিকীর সুর ধ্বনিত হতে থাকবে অনেক অনেক দিন। তাঁর গানের সুর-সংগীত হবে শোক ভোলানোর মন্ত্র।

লেখক : ফারদিন ফেরদৌস, সংবাদকর্মী।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
পাকিস্তানের ‘বিতর্কিত ধর্মীয় নেতা’ হাফিজ সাঈদের মুক্তি

ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আপত্তি সত্ত্বেও পাকিস্তানের ধর্মীয় নেতা হাফিজ সাঈদকে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির আদালত। ২০০৮ সালে মুম্বাই বোমা হামলার সঙ্গে সাঈদ জড়িত—এমন অভিযোগ রয়েছে ভারতের।

অন্যদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একসময় জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বার প্রধান হাফিজ সাঈদের মাথার দাম ১০ মিলিয়ন ডলার ঘোষণা করেছিল। এর মধ্যেই লাহোরে গত জানুয়ারি থেকে গৃহবন্দি থাকা হাফিজ সাঈদের মুক্তির নির্দেশ আসে।

‘বিতর্কিত’ এই ধর্মীয় নেতা জনগণের নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ; পাকিস্তান সরকারের এমন আপত্তির পর এই সপ্তাহে আদালত তাঁকে মুক্তির নির্দেশ দেন। এরপর গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তিনি মুক্তি পান বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

ভারত সাঈদকে মুম্বাইয়ের যে হামলার জন্য দায়ী করে, সেখানে ১৬০ জন নিহত হন। যদিও সাঈদ সব সময়ই এ হামলায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে আসছিলেন।
মুক্তির নির্দেশ আসার পর এক ভিডিওবার্তায় সাঈদ বলেন, ‘ভারত সব সময়ই সন্ত্রাসের ব্যাপারে দোষারোপ করেছে… কিন্তু (লাহোর) হাইকোর্টের নির্দেশ প্রমাণ করেছে যে, ভারতের প্রপাগান্ডা মিথ্যায় পর্যবসিত হয়েছে।’

হাফিজ সাঈদ বিগত শতাব্দীর নব্বইয়ের দশকে জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বা প্রতিষ্ঠা করেন। পরে সন্ত্রাসে জড়িত অভিযোগে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে পাকিস্তান সরকার এই সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ করে দেয়।

এরপর ২০০২ সালে সাঈদ জামাত-উদ-দাওয়া প্রতিষ্ঠা করেন। হাফিজ এই সংগঠনটিকে ইসলামের কল্যাণমূলক কাজের সংগঠন বলে দাবি করলেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, জামাত-উদ-দাওয়া আসলে লস্কর-ই-তৈয়বারই একটি ফ্রন্ট। ২০১২ সালের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাঁর মাথার দাম ১০ মিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করে।

লস্কর-ই-তৈয়বা ভারতের সংসদ ভবনে হামলা করেছে—এ অভিযোগে পাকিস্তান সরকার সে সময় হাফিজ সাঈদকে তিন মাস আটকে রেখেছিল। এরপর ২০০৬ সালেও তিনি দীর্ঘ সময় ধরে আটক ছিলেন। মুম্বাই হামলার জন্য ২০০৮ সালে পাকিস্তান সরকার তাঁকে পুনরায় গৃহবন্দি করে। ছয় মাস পর তিনি মুক্তি পান। বিভিন্ন সময় সন্ত্রাসের অভিযোগে তাঁকে আটক করলেও পাকিস্তান সরকার কখনই তাঁর বিরুদ্ধে কোনো ধরনের অভিযোগ গঠন করতে পারেনি।

এবার গৃহবন্দি থেকে মুক্তির পর এক প্রতিক্রিয়ায় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রভিশ কুমার বলেন, ‘বোঝাই যাচ্ছে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিষিদ্ধ তালিকায় থাকা জঙ্গিদের দেশের মূলস্রোতে শামিল করার চেষ্টা করছে পাকিস্তান।’

এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে মার্কিন প্রশাসনও। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা জামাত-উদ-দাওয়ার প্রধানের মুক্তির দিকে নজর রাখছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
গোয়ালডাংগায় খাস জমিতে অবৈধ পাকা স্থাপনা তৈরির অভিযোগ

বড়দল প্রতিনিধি : আশাশুনি উপজেলার বড়দল ইউনিয়নের গোয়ালডাংগা বাজারে সরকারি খাস সম্পত্তিতে অবৈধ পাকা স্থাপনা তৈরীর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সরেজমিন দেখাগেছে, গোয়ালডাংগা বাজারের পুরাতন খেয়াঘাট সংলগ্ন মাছ বাজারে পুর্ব পাশে সরকারি খাস সম্পত্তিতে পাকা দোকান ঘর তৈরী করছে গোয়ালডাংগা গ্রামের ভিশ্বো কুমার বিশ্বাসের পুত্র স্বপন কুমার বিশ্বাস (৪৮)। জানাগেছে, বুধ ও বৃহস্পতিবার দুই দিন ঘর নির্মানের কাজ করছে তিনি। বৃহস্পতিবার সকালে ফকরাবাদ গ্রামের মাখম মন্ডলে পুত্র শুকৃতী মন্ডল সম্পত্তি তার দখলে দাবি করে ঘর তৈরীর কাজে বাধা দিলে কাজ কিছু সময়ের জন্য বন্ধ রেখে পুনরায় আবারও শুরু করে। এ বিয়য়ে স্বপন কুমার বিশ্বাস জানান, এই ঘরটা তৈরী করা আমার খুব দরকার। এ জায়গাটা আমি কিনেছি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সম্পত্তি কিভাবে কিনলেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, টাকা দিয়ে কিনেছি। বাজার কমিটির সভাপতি মোঃ আব্দুল হান্নান জানান, ঐ সম্পত্তি খাস। পানি উন্নয়ন বোর্পের আন্ডারের সম্পত্তি ওটা। তিনি আরও জানান, পাউবো’র লোক এখানে এসে ঘর তৈরি করতে বলে গেছেন। কমিটির সাধারন সম্পাদক মো. আলিম জানান, আমি ঘর তৈরির ব্যাপারে কিছু যানিনা। স্থানীয়রা জানান, এভাবে গায়ের জোরে যত্রতত্র পাকা স্থাপনা তৈরি করলে বাজারের পরিবেশ নষ্ট হবে। বাজারের অধিকাংশ ব্যাবসায়ীদের বক্তব্য, ডিসিয়ার সাড়া এভাবে অবৈধ ঘর নির্মাণে প্রশাসন বাধা না দিলে ভবিষ্যতে একের পর এক জোর করে অবৈধ ঘর নির্মাণ হতে থাকবে। এতে বাজারের আইন শৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটবে। যেখানে সেখানে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ বন্ধে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকার সচেতন মহল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশাশুনিতে ২য় শ্রেণি ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার শুভদ্রাকাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির এক ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অবিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভিকটিমের মা মওদুদা খাতুন বাদি হয়ে ধর্ষক মাসুদুজ্জামান সুমন ও তার বন্ধু সুজনের নামে বৃহস্পতিবার আশাশুনি থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। এর আগে ১৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় শুভদ্রাকাটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত ধর্ষিতাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য বৃহস্পতিবার তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। এদিকে ধর্ষকের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা না করার জন্য ধর্ষিতার পরিবারকে হুমকি দেয়া হচ্ছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের শুভদ্রাকাটি গ্রামের আবু ঈশার মেয়ে শুভদ্রাকাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী সন্ধ্যায় বাড়ির পাশে পুকুরের হাত মুখ পরিষ্কার করতে যায়। এসময় একই গ্রামের আমিরুল ইসলামের ছেলে লম্পট মাসুদুজ্জামান সুমন (১৮) তার বন্ধু আবু সাদেক গাজীর ছেলে সুজনের সহযোগিতায় তাকে ধরে পাশের বাগানে নিয়ে জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করে। তার আত্মচিৎকারে গ্রাসবাসী ছুটে এলে সুমন ও সুজন পালিয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় ধর্ষিতাকে উদ্ধার করে ঘটনার পরের দিন সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সদর হাসপাতলের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেল (ওসিস) এর সহায়তায় তাকে চিকিৎিসা সেবা দেয়া হয়। কিন্তু রক্তক্ষরনসহ তার শরীরের ক্ষত হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য বৃহস্পতিবার তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
এদিকে এ ঘটনা নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি ও থানায় মামলা না করার জন্য ধর্ষক ও তার লোকজন ধর্ষীতার পরিবারের সদস্যদেরকে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন আবু ঈশা। তিনি এঘটনার ন্যায় বিচার দাবি করেন।
আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহিনুর রহমান শাহিন বলেন, এ ঘটনায় ধর্ষিতার মা মওদুদা খাতুন বাদি হয়ে থানায় ধর্ষক মাসুদুজ্জামান সুমন ও তার বন্ধু সুজনের একটি মামলা দায়ের করেছন। আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে বলে তিনি জানান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দেবহাটায় এক হিন্দু পরিবারকে দেশ ছাড়ার হুমকির অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেবহাটার নাংলায় সংখ্যালঘু পরিবারকে দেশ ছাড়ার হুমকির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এক অসহায় সংখ্যালঘু সদস্য। বৃহস্পতিবার বিকালে দেবহাটা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে দক্ষিণ নাংলা গ্রামের মৃত দেবন্দ্র দাসের পুত্র হরিপদ ফকির দাস বলেন, দেবহাটার নাংলায় চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী সিদ্দিক গাজী বিরুদ্ধে এলাকাবাসী গনস্বাক্ষরের ভিত্তিতে থানায় লিখিত অভিযোগ স্বাক্ষর দেওয়ার অপরাধে সংখ্যালঘুদের বাড়ি গভির রাতে যেয়ে দেশে ছেড়ে চলে যাওয়ার হুমকি হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে সংখ্যালঘুরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন পরিবারের সদস্যরা। লিখিত অভিযোগে তিনি আরও বলেন, নাংলা গ্রামের আবদার গাজী পুত্র সিদ্দিক গাজী ও একই গ্রামের মৃত হায়দার গাজীর পুত্র সাইফুল ইসলাম দীর্ঘদিন যাবত মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছিল ও এলাকায় নানা অপকর্মের সাথে লিপ্ত আছে। এছাড়া সিদ্দিক ও তার দলবল কিছুদিন আগে গভীর রাতে আমার বাড়িতে যেয়ে মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে আমাকে মারপিট করে এবং দুই হাজার টাকা ও একটি মোবাইল ফোন নিয়ে ঘর থেকে বাহির হওয়ার সময় সিদ্দিকের মুখের বাধনটি খুলে গেলে আমার স্ত্রী রিতা দাস সিদ্দিকে চিনতে পারে। পরদিন সকালে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের বিষয়টি জানাই। কিন্ত সিদ্দিক সেটি অস্বীকার করে বলে আমি এমন কিছু করি নাই। এছাড়া সাম্প্রতিক পুলিশ মাদকসহ আটক করলে সিদ্দিক ও তার স্ত্রী পুলিশের উপর হামলা চালায়। তার এই অপকর্ম থেকে রেহায় পেতে স্ত্রীকে দিয়ে বিভিন্ন সময় মামলা ও সংবাদ সম্মেলন করে থাকে। ১৬ নম্বেবর এলাকার শত শত সাধারণ মানুষ মাদক ব্যবসায়ী সিদ্দিকের বিরুদ্ধে গণস্বাক্ষরের ভিত্তিতে দেবহাটা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগে আমার স্বাক্ষর থাকায় রাতে আমার বাড়িতে সিদ্দিক ও সাইফুল আসিয়া আমাকে ও আমার পরিবারকে দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা বলে না হলে আর বাঁচবিনা বলে হুমকি দিয়ে চলে যায়। তাছাড়া সিদ্দিক বিভিন্ন থানায় একাধীক মাদক, ডাকাতি মামলার আসামী। তার কাছে অবৈধ্য অস্ত্র থাকায় যে কোন অপরাধ করতে দ্বিধা করে না। আমি অসহায় হওয়ায় বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় জীবন যাপন করছি। তাই পুলিশ সুপারসহ উদ্ধতন প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দেবহাটায় ১৫০ বোতল ফেনসিডিল আটক

কেএম রেজাউল করিম, দেবহাটা ব্যুরো : দেবহাটা থানা পুলিশের অভিযানে ১৫০ বোতল ফেনসিডিল আটক হয়েছে। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে দেবহাটা ভূমি এলাকা থেকে উক্ত ১৫০ বোতল ফেনসিডিল আটক করা হয়। দেবহাটা থানার এসআই আব্দুল কাদের জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দেবহাটা সদর ভূমি এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি রাস্তার পার্শ্ববর্তী স্থানে বস্থাভর্তি পরিতক্ত অবস্থায় জব্দ করে। এসময় কাউকে আটক করা হয়নি বলে জানান তিনি। দেবহাটা থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী কামাল হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বিকার করে বলেন, দেবহাটা সদর ভূমি অফিস এলাকা থেকে জব্দকৃত ১৫০ বোতল ফেনসিডিল জব্দ করা হয়েছে। তবে জব্দকৃত মাদকের মালিকের ব্যবপারে খবর নেওয়া এবং মাদক আইনের মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সমাপনী প্রশ্নপত্রে ভুল : বরখাস্ত হলেন অস্তিত্বহীন কর্মকর্তা !

চলমান প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় প্রশ্নপত্রে ভুলের জন্য গাইবান্ধার সাদুল্ল্যাপুরের সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুল মান্নানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। কিন্তু খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, এই নামের কোন কর্মকর্তা সাদুল্ল্যাপুরে নেই।

চেষ্টা করেও অস্তিত্বহীন কর্মকর্তাকে বরখাস্তের বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে স্পষ্ট কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। গত ২১ নভেম্বর সিলেট বোর্ডের ‘বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়’ পরীক্ষার ইংরেজি ভার্সনের প্রশ্নপত্রে অর্ধ শতাধিক ভুল ছিল বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এসব ভুল ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। সংশ্লিষ্টদের সমালোচনায় মুখর ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম।

এই প্রেক্ষাপটে বৃহস্পতিবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে গাইবান্ধার সাদুল্ল্যাপুরের সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুল মান্নানকে সাময়িক বরখাস্ত করে আদেশ জারি করা হয়।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব মোহাম্মদ আসিফ-উজ-জামান স্বাক্ষরিত আদেশে বলা হয়, ‘সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ১৯৮৫’ অনুযায়ী অসদাচরণের অভিযোগে ২৩ নভেম্বর থেকে আব্দুল মান্নানকে বরখাস্ত করা হলো।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে জানান, প্রাথমিক সমাপনীতে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করে থাকে ময়মনসিংহের জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি(নেপ)। নেপ থেকে জানানো হয়েছে, ওই সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ভুলেভরা প্রশ্নপত্র প্রণয়নের দায়িত্বে ছিলেন। সেই অনুযায়ী বরখাস্তের আদেশ জারি করা হয়েছে।

গাইবান্ধার সাদুল্ল্যাপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নূর মোহাম্মদ জানান, এখানে আব্দুল মান্নান নামে কোন সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নেই।

সাদুল্ল্যাপুরের আরও কয়েকজন সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জানান, এই নামে কাউকে তারা চেনেন না।
সাদুল্ল্যাপুরের সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ আলী ছিদ্দিক বলেন, ‘এই নামে আমাদের উপজেলা কিংবা জেলায় কোন সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার আছেন বলে আমি শুনিনি।’
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. আবু হেনা মোস্তফা কামাল বলেন, ‘ভুল প্রশ্নপত্র প্রণয়নের জন্য গাইবান্ধার সাদুল্ল্যাপুরের সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুল মান্নানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।’

ওখানে এই নামে কোন কর্মকর্তা আছেন কিনা জানতে চাইলে বলেন, ‘আমি সেটা জানি না। প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করে নেপ। আর বরখাস্ত করেছে মন্ত্রণালয়। এখানে আমাদের কিছু নেই।’

এ বিষয়ে জানতে বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব মোহাম্মদ আসিফ-উজ-জামানকে দুটি নম্বর থেকে ২০ বার ফোন দেয়া হলেও তিনি ফোন ধরেননি। পরিচয় জানিয়ে মেসেজ পাঠানো হলেও সাড়া দেননি। অনেকবার ফোন দেয়া হলেও ধরেননি নেপের মহাপরিচালক মো. শাহ আলম।

নেপের ঊর্ধ্বতন বিশেষজ্ঞ মো. আব্দুল হাই বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে ফোনে এ বিষয়ে বলেন, ‘এটা মহপরিচালক বলতে পারবেন। মন্ত্রী (প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান) আমাদের এখানে এসেছেন। মহাপরিচালক তাকে নিয়ে ব্যস্ত আছেন।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
চলে গেলেন বারী সিদ্দিকী

সঙ্গীতশিল্পী বারী সিদ্দিকী আর নেই। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি।

বারী সিদ্দিকীর ছেলে সাব্বির সিদ্দিকী মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বারী সিদ্দিকী (জন্ম ১৫ নভেম্বর ১৯৫৪ খ্রিঃ) বাংলাদেশের একজন খ্যাতিমান সংগীত শিল্পী, গীতিকার ও বংশী বাদক। তিনি মূলতঃ গ্রামীণ লোকসংগীত ও আধ্যাত্মিক ধারার গান করে থাকেন। তিনি তার গাওয়া ‘শুয়া চান পাখি, ‘আমার গায়ে যত দুঃখ সয়’, ‘সাড়ে তিন হাত কবর’, ‘তুমি থাকো কারাগারে’, ‘রজনী’ প্রভৃতি গানের জন্য সবচেয়ে বেশি পরিচিত।বারী সিদ্দিকী ১৯৫৪ সালের ১৫ নভেম্বর বাংলাদেশের নেত্রকোনা জেলায় এক সঙ্গীতজ্ঞ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। শৈশবে পরিবারের কাছে গান শেখায় হাতেখড়ি হয়। মাত্র ১২ বছর বয়সেই নেত্রকোনার শিল্পী ওস্তাদ গোপাল দত্তের অধীনে তার আনুষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ শুরু হয়। তিনি ওস্তাদ আমিনুর রহমান, দবির খান, পান্নালাল ঘোষ সহ অসংখ্য গুণীশিল্পীর সরাসরি সান্নিধ্য লাভ করেন। ওস্তাদ আমিনুর রহমান একটি কনসার্টের সময় বারি সিদ্দিকীকে অবলোকন করেন এবং তাকে প্রশিক্ষণের প্রস্তাব দেন। পরবর্তী ছয় বছর ধরে তিনি ওস্তাদ আমিনুর রহমানের অধীনে প্রশিক্ষণ নেন। সত্তরের দশকে জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাথে যুক্ত হন। ওস্তাদ গোপাল দত্তের পরামর্শে ক্লাসিক্যাল মিউজিক এরুপর পড়াশোনা শুরু করেন। পরবর্তী সময়ে বাঁশির প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠেন ও বাঁশির ওপর উচ্চাঙ্গসঙ্গীতে প্রশিক্ষণ নেন। নব্বইয়ের দশকে ভারতের পুনে গিয়ে পণ্ডিত ভিজি কার্নাডের কাছে তালিম নেন। দেশে ফিরে এসে লোকগীতির সাথে ক্লাসিক মিউজিকের সম্মিলনে গান গাওয়া শুরু করেন।তিনি গোপাল দত্ত এবং ওস্তাদ আমিনুর রহমান থেকে লোক এবং শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে পাঠ নিয়েছেন। মূলতঃ বংশী বাদক বারী সিদ্দিকী [[[হুমায়ুন আহমেদ|কথাসাহিত্যিক ও চিত্রনির্মাতা হুমায়ূন আহমেদের]] প্রেরণায় নব্বুইয়ের দশকে সঙ্গীত জগতে প্রবেশ করেন এবং অল্পদিনেই বিরহ-বিচ্ছেদের মর্মভেদী গনের মধ্য দিয়ে সাধারণ মানুষের হৃদয়ে স্থায়ী আসন করে নেন। দৈনিক আমার দেশ সংবাদপত্রকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে সিদ্দিকী বলেন, “হুমায়ূন আহমেদ আমার গাওয়ার পেছনে যথেষ্ট উত্সাহ দিয়েছিলেন। মূলত তার সাহস নিয়েই সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রয়াস পেয়েছি।”

১৯৯৫ খ্রিস্টাব্দে বারী সিদ্দিকী প্রখ্যাত সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ‘রঙের বাড়ই’ নামের একটা ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানে জনসমক্ষে প্রথম সঙ্গীত পরিবেশন করেন। এরপর ১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দে হুমায়ূন আহমেদের রচনা ও পরিচালনায় নির্মিত শ্রাবণ মেঘের দিন চলচ্চিত্রে ৭টি গানে কণ্ঠ দেন। এর মধ্যে “শুয়া চান পাখি” গানটির জন্য তিনি অতিদ্রুত ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেন।

১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দে জেনেভায় অনুষ্ঠিত বিশ্ব বাঁশি সম্মেলনে ভারতীয় উপমহাদেশ থেকে একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে তিনি অংশগ্রহণ করেন।

বারী সিদ্দিকী বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দিয়েছেন ও গানের কথা লিখেছেন।

২০১৩ খ্রিস্টাব্দে সিদ্দিকী ফেরারী অমিতের রচনা ও পরিচালনায় পাগলা ঘোড়া নাটকে প্রথমবারের মত অভিনয় করেন।

https://www.youtube.com/watch?v=mMC8PPZBvlo

https://www.youtube.com/watch?v=gljjN6qyQ8Y

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest