সর্বশেষ সংবাদ-
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান দিবসসমূহ যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনে সাতক্ষীরায় সভাপণ্যগ্রাফি নিয়ন্ত্রন আইনের মামলার আসামীদের গ্রেফতারের দাবিতে প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দের বিবৃতিসাতক্ষীরায় গৃহবধু গণধর্ষণের মামলার আসামী গ্রেপ্তারআশাশুনি বাজারের পাশে বসবাসকারীরা নদী ভাঙ্গনে উদ্বিগ্ন: ইউএনওর পরিদর্শণসাতক্ষীরায় সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলায় ৩৩ জনের জামিনসাংবাদিকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ছয় দিন, থানার সামনেই প্রকাশ্যে ঘুরছেন আসামিরাভারতীয় পর্ন ভিডিওতে সাংবাদিকের ছবি জুড়ে ব্লাকমেইল করে চাঁদা দাবিকালিগঞ্জে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে দূধর্ষ ডাকাতিজুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে সাতক্ষীরায় এতিমদের মাঝে খাবার বিতরণভোমরার ইউপি চেয়ারম্যানকে ৪৮ ঘন্টা সময় বেঁধে দিলেন ইউনিয়নবাসী

শাহরুখের জন্মদিনে সুহানার পার্টি

বলিউড তারকাদের জন্মদিন মানেই যেন একেকটি পার্টির উপলক্ষ। আর জন্মদিনটা যখন বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খানের তখন পার্টির জাঁকজমক কতটুকু হতে পারে তা সহজেই অনুমান করা যায়। ৫২ বছর পূরণ করেছেন শাহরুখ। তবে নিজের জন্মদিন উদযাপনের জন্য নিজে থেকে কোনো পার্টি দেননি তিনি। পার্টির আয়োজন করেছে শাহরুখের একমাত্র কন্যা সুহানা খান।

ডিএনএ ইন্ডিয়ার খবরে প্রকাশ, গতকাল বুধবার নিজেদের আলিবাগের ফার্মহাউসে শাহরুখের জন্মদিন উপলক্ষে পার্টির আয়োজন করেন সুহানা। রাত ১২টার পর শুরু হওয়া সুহানার সে পার্টিতে হাজির হয়েছিলেন করন জোহর, ফারহান আক্তার, দীপিকা পাডুকোন, আলিয়া ভাটের মতো বলিউড তারকারা। বাবার জন্মদিনে শুধু বাবার সহকর্মীদেরই নিমন্ত্রণ করেননি সুহানা, বরং সুহানার পার্টিতে সরব উপস্থিত ছিল তাঁর বন্ধুদেরও।

সেখানে উপস্থিত ছিলেন চাঙ্কি পান্ডে কন্যা অনন্যা, সঞ্জয় কাপুর কন্যা সানায়া। মজার ব্যাপার, শাহরুখ আর সানায়ার জন্মদিন একই দিনে ছিল। তাই শাহরুখের সঙ্গেই কেক কেটে নিজের জন্মদিন উদযাপন করেন সানায়া। পার্টিতে আরো উপস্থিত ছিলেন সুজানা খান। অন্য তারকাদের তুলনায় সুহানা, অনন্যা, সানায়ার সঙ্গেই বেশি সময় কাটান তিনি।

তবে সুহানার পার্টিতে উপস্থিত ছিলেন শাহরুখের বড় ছেলে আরিয়ান। পড়াশোনার জন্য বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় অবস্থান করছেন তিনি। তবে বাবার সঙ্গে বেশ মজার সময় পার করেছেন সুহানা এবং শাহরুখের ছোট ছেলে আব্রাম।

অন্যদিকে জুম টিভির খবরে প্রকাশ, শুধু পার্টি করেই শেষ হচ্ছে না শাহরুখের জন্মদিনের উদযাপন। আজ রাতে পরিবার ও বন্ধুদের নিয়ে শাহরুখের বাড়ি মান্নাতে আয়োজন করা হয়েছে মুক্তির অপেক্ষায় থাকা ‘ইত্তেফাক’ চলচ্চিত্রের বিশেষ প্রদর্শনী। আর এ কাজের দেখভাল করছেন শাহরুখের সহধর্মিণী গৌরী খান। তাই গতকালের পার্টিতে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়নি তাঁকে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটায় ছোট মাছ

পরিসংখ্যান বলছে কর্মব্যস্ততা, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন সহ আরও নানা কারণে ২৫-৪০ বছর বয়সিদের শরীরে পুষ্টির অভাব দেখা দিচ্ছে। ফলে একদিকে যেমন শরীরের সচলতা হ্রাস পাচ্ছে, তেমনি চোখের ক্ষমতাও কমছে। তাই তো প্রতিদিনের ডায়েটে বিশেষ কিছু খাবারের থাকাটা একান্ত প্রয়োজন।

আমাদের সবারই জানা যে ছোট মাছ খেলে দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটে। কিন্তু এই খাবারটি ছাড়াও যে আরও বেশ কিছু খাবার রয়েছে, যা নানাবিধ চোখের সমস্যাকে দূরে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

১। মাছঃ ছোট মাছ তো বটেই সেই সঙ্গে ম্যাকারেল এবং টুনার মতো সামুদ্রিক মাছও খেতে হবে। আসলে সামুদ্রিক মাছে উপস্থিত ফ্যাটি অ্যাসিড দৃষ্টিশক্তির উন্নতিতে সাহায্য করে। তাই চোখের দৃষ্টিশক্তি ভাল রাখতে প্রতিদিন খাবার টেবিলে মাছ রাখা খুব জরুরি।

২। ভূট্টাঃ এতে প্রচুর মাত্রায় লুটেইন এবং জিয়াক্সেনথিন রয়েছে। আর একথা তো সকলেই ইতিমধ্যে জানেন যে এই দুটি উপাদান হল চোখের বেস্ট ফ্রেন্ড। তাই ভুট্টা যত বেশি বেশি করে খাবেন, তত আপনার দৃষ্টিশক্তি বাড়তে শুরু করবে।

৩। বাদামঃ এতে উপস্থিত ভিটামিন ই ম্যাকুলার ডিজেনারেশন বা চোখের স্বাস্থ্যের অবনতি আটকাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই যদি চশমা ব্যবহার করতে না চান, তাহলে আজ থেকেই রোজ বাদাম খাওয়া শুরু করতে পারেন।

৪। লেবুঃ কমলা লেবু এবং পাতি লেবু বেশি করে খাওয়া শুরু করুন। এই সব ফলে প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন সি রয়েছে। এই ভিটামিন চোখে ছানি পড়া প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা নেয়। সেই সঙ্গে দৃষ্টিশক্তিরও উন্নতি ঘটায়।

৫। ডিমঃ প্রতিদিন একটা করে ডিম খেলে শরীরে লুটেইন, জিয়াক্সেনথিন এবং জিঙ্কের পরিমাণ বাড়তে শুরু করে। এই উপাদানগুলি চোখের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে দারুন ভাবে সাহায্য করে থাকে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
জেলহত্যা দিবস আজ

আজ শুক্রবার (৩ নভেম্বর) জেলহত্যা দিবস। পচাঁত্তরের পনেরই আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর দ্বিতীয় কলংকজনক অধ্যায় এই দিনটি। পনেরই আগস্টের নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর তিন মাসেরও কম সময়ের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম বীর সেনানী ও চার জাতীয় নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, এএইচএম কামারুজ্জামান এবং ক্যাপ্টেন মনসুর আলীকে এই দিনে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের অভ্যন্তরে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।

এর আগে এই চার জাতীয় নেতাকে কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। এ নির্মম ও বর্বরোচিত ঘটনার পরদিন তৎকালীন উপ-কারা মহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজন) কাজী আবদুল আউয়াল লালবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

জাতি শুক্রবার মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম বীর সেনানী ও চার জাতীয় নেতাকে যথাযথ শ্রদ্ধা প্রদর্শনের মাধ্যমে দেশের ইতিহাসের অন্যতম বর্বরোচিত এই কালো অধ্যায়টিকে স্মরণ করবে। রাষ্ট্রীয়ভাবে এবং আওয়ামী লীগ সহ বিভিন্ন দল সংগঠনের উদ্যোগে সারাদেশে পালিত হবে শোকাবহ এই দিবস।

রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন। বিবৃতিতে তারা শহীদ জাতীয় চার নেতার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।

বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রী সভার সবচাইতে ঘৃণিত বিশ্বাসঘাতক সদস্য হিসেবে পরিচিত এবং তৎকালীন স্বঘোষিত রাষ্ট্রপতি খন্দকার মোস্তাক আহমদের প্ররোচণায় এক শ্রেণীর উচ্চাভিলাসী মধ্যম সারির জুনিয়র সেনা কর্মকর্তা এ নির্মম হত্যাকাণ্ড ঘটায়।

দেশের এই চার শ্রেষ্ঠ সন্তানকে ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের পর কারাগারে পাঠিয়ে ষড়যন্ত্রকারীরা প্রথমে গুলি এবং পরে বেওনেট দিয়ে খুঁচিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে। জাতীয় এ চার নেতা মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানি সামরিক জান্তার হাতে আটক বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধেও নেতৃত্ব দান করেন।

বঙ্গবন্ধুর আনুষ্ঠানিক স্বাধীনতা ঘোষণার পর পরই পাকিস্তানের সামরিক জান্তা ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুকে তার ধানমন্ডির বাসভবন থেকে গ্রেপ্তার করে। পরে দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন সময় সৈয়দ নজরুল ইসলাম বাংলাদেশ সরকারের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশ সরকারের মুজিবনগর সরকারের সমধিক পরিচিত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাজউদ্দিন আহমেদ একটি স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় কোটি কোটি বাঙালীর স্বাধীনতার স্বপ্ন পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

বঙ্গবন্ধুর অপর ঘনিষ্ঠ সহযোগি এএইচএম কামারুজ্জামান ও ক্যাপ্টেন মনসুর আলী আধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে গেরিলা যুদ্ধ পরিচালনার ক্ষেত্রে নীতি ও কৌশল নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

মোশতাক ক্ষমতায় ছিলেন মাত্র ৮২ দিন। এরই মধ্যে দেশকে পাকিস্তানিকরণের দিকে এগিয়ে নেয়া ছাড়া তার সবচেয়ে বড় দুটি কুকীর্তি হলো জেলে জাতীয় চার নেতাকে খুন এবং ১৫ আগস্টের খুনীদের বিচার করা যাবে না – দায়মুক্তির অধ্যাদেশ জারি করা। পচাঁত্তরের ২৬ সেপ্টেম্বর তিনি এই অধ্যাদেশ জারি করেন। আর জেলে নির্মম হত্যাকান্ড ঘটান ৩ নভেম্বর ভোর রাতে।

গোলাম মুরশিদ তার ‘মুক্তিযুদ্ধ ও তারপর’ গ্রন্থে লিখেছেন মোশতাক জেল হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন কেবল ফারুক আর রশিদকে নিয়ে। তিনি ঠিক করেছিলেন যে, যে কোনো পাল্টা অভ্যুত্থান হলে কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক তাজউদ্দিন আহমদ, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, মনসুর আলী এবং কামারুজ্জামানকে হত্যা করা হবে। যাতে নতুন সরকার গঠিত হলেও এই নেতারা তাতে নেতৃত্ব দিতে না পারেন।

অন্যদিকে পঁচাত্তরের পনেরই আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্য এবং ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নিহত জাতীয় চার নেতা হত্যার তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছিল লন্ডনে।

এসব হত্যার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইন ও বিচারের প্রক্রিয়াকে যে সমস্ত কারণ বাধাগ্রস্ত করেছে সেগুলোর তদন্ত করার জন্য ১৯৮০ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে এই তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়। তবে সেই সময়ে বাংলাদেশ সরকারের অসহযোগিতার কারণে এবং কমিশনের একজন সদস্যকে ভিসা প্রদান না করায় এ উদ্যোগটি সফল হতে পারেনি। অধ্যাপক আবু সাইয়িদের ‘বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ড ফ্যাক্টস এন্ড ডকুমেন্টস’ গ্রন্থে এই কমিশন গঠনের বর্ণনা রয়েছে।

এতে বলা হয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দুই কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা, মনসুর আলীর পুত্র মোহাম্মদ সেলিম এবং সৈয়দ নজরুল ইসলামের পুত্র সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের আবেদনক্রমে স্যার থমাস উইলিয়ামস, কিউ. সি. এমপি’র নেতৃত্বে এই কমিশন গঠনের উদ্যোগ নেয়া হয়। বাংলাদেশ ও বিদেশে অনুষ্ঠিত জনসভাসমূহে এ আবেদনটি তখন ব্যাপকভাবে সমর্থিত হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সাতক্ষীরা ‘সেতু’ সমিতির অফিস ঘেরাও!

নিজস্ব প্রতিবেদক : টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটায় অবস্থিত ‘সেতু’ সমিতির অফিস ঘেরাও করেন সাধারণ গ্রাহকেরা। বৃহঃবার সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ৩ টা পর্যন্ত এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, পাটকেলঘাটায় অবস্থিত ‘সেতু’ সমিতি সরুলিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় গ্রুপ তৈরী করে আমানত সংগ্রহ করে। পরে ওই টাকা তারা বিভিন্ন কাজে ব্যয় করেন। এছাড়া ঐ টাকা দিয়ে রাস্তার পাশে গাছ রোপণ করা হয়। গাছ বিক্রয়ের টাকার ২০% সাধারণ গ্রাহকদের দেওয়ার কথা। সম্প্রতি সেই গাছ ২ কোটিরও অধিক টাকায় বিক্রি করা হয়। কিন্তু সাধারণ গ্রাহকদের কোন টাকা দেওয়া হয়নি। হঠাৎ রাস্তার পাশে লাগানো গাছের টাকা কর্মকর্তারা হজম করে ফেলেছে এমন খবর পেয়ে গ্রাহকেরা অফিস ঘেরাও করে।
কাশিপুর গ্রামের রতন দাশ, বাবুলাল দাশ, কৃষ্ণ পদ দাশ, অরুণা দাশ, তৈলকুপির সেলিনা সহ একাধিক গ্রাহক জানান, আমাদের এত বছরের সঞ্চয়কৃত টাকার কোন হিসাব দেখাতে পারছেন না এই সমিতির কর্মকর্তারা। বিভিন্ন টাল বাহানা করে আমাদের ৬০ লক্ষাধিক টাকা আতœসাৎ করেছেন তারা। আমরা অনেক পরিশ্রমের মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে সঞ্চয় করেছি। লাভের দরকার নেই, আমাদের সঞ্চয়কৃত আসল টাকা চাই।
‘সেতু’ সমিতির পরিচালক আবুল হোসেন বলেন, ‘সাধারণ গ্রাহকের টাকা তালা ইউএনও সাহেবের এ্যাকাউন্টে আছে। সময় মত প্রত্যেক গ্রাহককে দেওয়া হবে।’
তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ফরিদ হোসেন বলেন, ‘গ্রাহকের ৬০ লাখ টাকা আমার একাউন্টে আছে কথাটি সত্য। নিয়ম অনুযায়ী উপকারভোগীদের টাকা সঠিক নিয়মে প্রদান করা হবে। টাকা কিভাবে পাবে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, উপকারভোগীরা সর্বসম্মতিক্রমে ব্যক্তিগত একাউন্ট করলে আমি নিয়ম অনুযায়ী যার যার প্রাপ্য টাকা একাউন্টে জমা করে দেবো অথবা তারা সর্বসম্মতিক্রমে একটা কমিটি করতে পারে। যে কমিটি সকলের টাকা সঠিকভাবে বন্টন করে দেবে। আমি কোন একজন ব্যক্তির কাছে টাকা দেবোনা। টাকা নিয়ে সে যদি নিজেই আত্মসাৎ করে তবে উপকারভোগীরা টাকা না পেয়ে শেষে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করবে।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ঢাবি সিনেটে রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধি নির্বাচনের তফসিল

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেটে ২৫ জন রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ৬, ১৩ ও ২০ জানুয়ারি তিন ধাপে ঢাকার তিনটি কেন্দ্র ও সারা দেশের ৪২টি কেন্দ্রে এ নির্বাচন হবে। ফল প্রকাশ করা হবে ২১ জানুয়ারি।

আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এ নির্বাচন নিয়ে গত জুলাই মাস থেকে নানা নাটকীয়তার পর অবশেষে আজ তফসিল ঘোষণা করা হলো। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক নূর-ই-ইসলাম বলেন, নির্বাচনের কেন্দ্রগুলো সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৬ নভেম্বর থেকে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত প্রশাসনিক ভবন থেকে ১০০ টাকা দিয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দিতে হবে। ২৯ নভেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। ভোটারদের সশরীরে ১৫ নভেম্বর থেকে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রশাসনিক ভবন থেকে পরিচয়পত্র নিতে হবে।

রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট নির্বাচন ছাড়াই উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনের জন্য সিনেটের বিশেষ অধিবেশন আহ্বান করা হলে গত ২৪ জুলাই ১৫ জন শিক্ষক ও রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। হাইকোর্ট বিশেষ অধিবেশন ডাকার চিঠির কার্যকারিতা স্থগিত করলেও চেম্বার আদালতের স্থগিতাদেশ নিয়ে ২৯ জুলাই উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন হয়ে যায়। সেই নির্বাচনে সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকসহ তিনজনের প্যানেল নির্বাচিত হয়। কিন্তু ৩ আগস্ট আপিল বিভাগ এই প্যানেলের পরবর্তী কার্যক্রম স্থগিত করে হাইকোর্টে নিষ্পত্তির জন্য পাঠান। নিষ্পত্তির আগেই গত ৪ সেপ্টেম্বর অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামানকে সাময়িকভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেন আচার্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। পরে (১০ অক্টোবর) হাইকোর্ট সিনেটের মাধ্যমে নির্বাচিত প্যানেলকে অবৈধ ঘোষণা করে পূর্ণাঙ্গ সিনেটের মাধ্যমে ছয় মাসের মধ্যে উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনের নির্দেশ দেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বাংলাদেশকে আটে উঠতে দিল না উইন্ডিজ

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ১-০তে জিতে নিয়ে সাদা পোশাকের র‌্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশকে আট নম্বরে উঠতে দেয়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শেষ ম্যাচ ‘ড্র’ করে নিজেদের ৮ নম্বর স্থান বাঁচিয়ে বাংলাদেশকে ৯ নম্বরে রেখে দিয়েছে দলটি।

শেষ টেস্টে বৃহস্পতিবার শেষ সেশনে চাকাভা ও গ্রায়েম ক্রেমারের দারুণ এক জুটিতে ভর করে ৭ উইকেটে ৩০১ রান নিয়ে পঞ্চম দিন শেষ করে জিম্বাবুয়ে। তাতেই ড্র। এই ম্যাচটি জিম্বাবুয়ে জিততে পারলে সিরিজটি ১-১ এ ‘ড্র’ হতো। তাতে ৯ নম্বরে নেমে যেত ক্যারিবীয়রা।

প্রথম টেস্টে ১১৭ রানে জিতেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জেসন হোল্ডারের নেতৃত্বে এটাই তাদের প্রথম টেস্ট সিরিজ জয়।

ব্যাট-বল হাতে অলরাউন্ডিং নৈপুণ্যের জন্য ম্যাচসেরার পুরস্কার পান রাজা। দুই টেস্টে ১৩ উইকেট নিয়ে সিরিজ সেরা দেবেন্দ্র বিশু।

৭৫ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে সিরিজ শুরু করেছিল আটে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজ। নয়ে থাকা বাংলাদেশের পয়েন্ট ৭২। দশে থাকা জিম্বাবুয়ের এখন র‌্যাঙ্কিংয়ে কোনো পয়েন্ট নেই।

সিরিজ ‘ড্র’ হলেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের পয়েন্ট কমে হতো ৭২। সমান পয়েন্ট হলেও ভগ্নাংশের ব্যবধানে এগিয়ে থেকে আটে উঠত বাংলাদেশ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মালদ্বীপকে শেষ মুহূর্তের গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশ

আগের ম্যাচেই তাজিকিস্তানের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করেছিল বাংলাদেশ। এএফসি অনূর্ধ্ব-১৯ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইপর্বে দ্বিতীয় ম্যাচে জয় পেয়েছে লাল-সবুজের দল। মালদ্বীপকে তারা হারিয়ে দিয়েছে ১-০ গোলে।

আজ বৃহস্পতিবার দুশানবেতে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচের একেবারেই শেষ মুহূর্তে গোলের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ। ম্যাচের ইনজুরি সময়ে মাহবুবুর রহমান সুফিল দলের পক্ষে একমাত্র গোলটি করেন।

আগামী সোমবার শক্তিশালী উজবেকিস্তানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। এই উজবেকিন্তান নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ১০-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে।

এই জয়ের সুবাদে দুই ম্যাচে বাংলাদেশের সংগ্রহ চার পয়েন্ট। ‘বি’ গ্রুপ থেকে লাল-সুবজের দল এক জয় এবং এক ড্রয়ে এই সংগ্রহ ঝুলিতে পুরেছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দুদকের মামলায় চাম্পাফুল ইউপি চেয়ারম্যান ও সাত সদস্যের জামিন না’মঞ্জুর

নিজস্ব প্রতিবেদক : দশ টাকা কেজি দরের চাল বিতরণের অভিযোগে দু’দকের দায়েরকৃত মামলায় সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার চম্পাফুল ইউপি চেয়ারম্যান ও সাতজন ইউপি সদস্যের জামিন বাতিল না’ মঞ্জুর করেছেন জেলা ও দায়রা জজ জোয়ার্দ্দার আমিরুল ইসলাম। নিম্ন আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে বৃহষ্পতিবার দুপুরে আসামীপক্ষের জামিন আবেদন শুনানী শেষে তিনি এ আদেশ দেন। জামিন না’মঞ্জুর হওয়া আসামীরা হলেন, কালিগঞ্জ উপজেলার চম্পাফুল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক গাইন, ইউপি সদস্য গোলাম কাইয়ুম, আব্দুর রশিদ গাইন, মোঃ আব্দুস সাত্তার খান, ঠাকুর দাস সরকার, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য রাধা রানী অধিকারী, রাফেজা খাতুন ও শ্যামলী রানী সরকার। ঘটনার বিবরনে জানা যায়, ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরে সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলাধীন ৩নং চম্পাফুল ইউনিয়নে হত দরিদ্রদের জন্য সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ১০ টাকা কেজি দরে মাসিক ৩০ কেজি হারে (পরিবার প্রতি) চাল বিতরণ নীতিমালার আওতায় ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, ছয়জন ইউপি সদস্য ও তিনজন সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য পরষ্পর যোগসাজসে গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে ৬ নভেম্বরের মধ্যে নিয়মবহির্ভুতভাবে ব্যবসায়ি, চাকুরিজীবী, ধনী এমন ৪৬জন আর্থিকভাবে স্বচ্ছল ব্যক্তিকে তালিকাভুক্ত করে ৪১ হাজার ৪০০ টাকা মূল্যের চার হাজার ১৪০ কেজি চাল আত্মসাৎ করেন বলে গত ২৩ অক্টোবর ইউপি সদস্য আবুল কালাম আজাদের অভিযোগের ভিত্তিতে দুদক তদন্ত করে সত্যতা পায়। এ ঘটনায় দূর্ণীতি দমন কমিশন খুলনার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারি পরিচালক রাজ কুমার সাহা বাদি হয়ে গত ১৪ জুন কালিগঞ্জ থানায় এক মামলা(১৯নং) দায়ের করেন। এদিকে গত ১০ জুলাই মামলার ১০ জন আসামি মহামান্য হাইকোর্ট থেকে ৮সপ্তাহের অন্তবর্তীকালিন জামিন নিলেও ইউপি সদস্য আবুল কালামের পক্ষে আইনজীবী এড. সত্যরঞ্জন মন্ডলের আবেদনের প্রেক্ষিতে ২৪ আগষ্ট সুপ্রিম কোর্টের এপিলেড ডিভিশনে জামিন আদেশের উপর স্থগিতাদেশ দিয়ে মামলা নিষ্পত্তি করা হয়। উচ্চ আদালতের নির্দেশে আসামিরা নিম্ন আদালতে হাজির না হওয়ায় গত ৩ অক্টোবর সাতক্ষীরার আমলী আদালত-২ এর বিচারক রাজীব রায় আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেন। সে অনুযায়ি গ্রেফতারি পরোয়ানার আসামি ইউপি সদস্য আবু বক্কর গাইন ও আবু বক্কর গাজী ব্যতীত ইউপি চেয়ারম্যান ও সাত ইউপি সদস্য গত ২৬ অক্টোবর আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে শুনানী শেষে বিচারক রাজীব রায় তা না’মঞ্জুর করেন। এদিকে নিম্ন আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে আসামীপক্ষ গত ৩০ অক্টোবর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ১৩২৯/১৭ নং মিস কেস দাখিল করেন। বৃহষ্পতিবার ওই মামলার শুনানী শেষে বিচারক আসামীদের জামিন আবেদন না’মঞ্জুর করেন। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন, জজ কোর্টের পিপি এড. ওসমান গণি, দু’দকের আইনজীবী এড. আসাদুজ্জামান দিলু, অতিরিক্ত পিপি এড. ফাহিমুল হক কিসলু, এড. বিকেকানন্দ রায় প্রমুখ। আসামীপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাড. শাহ আলম, অ্যাড. মিজানুর রহমান পিণ্টু, আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন,অতিরিক্ত পিপি অ্যাড আজাহারুল ইসলাম প্রমুখ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest