সর্বশেষ সংবাদ-
প্রেমিকার সাথে দেখা করতে গিয়ে নির্মম নির্যাতনের শিকার সাতক্ষীরার এক যুবকসাতক্ষীরায় সময় টিভির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে কেক কাটা ও আলোচনাশ্যামনগরে প্রেমিকাকে দায়ী করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে প্রেমিকের আত্মহত্যাসাতক্ষীরায় জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভাফরিদপুরে দুর্ঘটনায় নিহত ১৩: পাঁচজনই এক পরিবারের সদস্যনিজস্ব অর্থায়নে প্রতিবন্ধীদের মধ্যে হুইল চেয়ার বিতরণ করলেন ডা: রাজুজরিমানা ব্যাতীত মোটরযান ও ড্রাইভিং লাইসেন্সের হালনাগাদ করার সময় বৃদ্ধিউপজেলা নির্বাচনে লড়তে পদত্যাগ করলেন খাজরা ইউপি চেয়ারম্যান ডালিমপুরাতন সাতক্ষীরায় ঈদ পুনর্মিলনী ও প্রীতি ফুটবল খেলাদেবহাটায় তুচ্ছ ঘটনায় প্রতিপক্ষের মারপিটে রক্তাক্ত জখম

সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের কোটি কোটি টাকা পিতার নামের প্রতিষ্ঠানে নিচ্ছেন সেই মাহবুব

নিজস্ব প্রতিবেদক : জেলা পরিষদের আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে পরিচালিত হচ্ছে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ধুলিহরে মুক্তিযোদ্ধা চেয়ারম্যান স. ম আব্দুর রউফ কমপ্লেক্স ও এতিমাখানা। জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত এসএম মাহবুবুর রহমান একই স্থানে ২৭ বছর কাজ করার সুবাদে পেশি শক্তিকে ব্যবহার করে তিনি তার বাবার নামে এ প্রতিষ্ঠান তৈরি করে জেলা পরিষদ থেকে নেওয়া ও প্রকল্প বরাদ্দ বাবদ কয়েক কোটি টাকা শিক্ষক- কর্মচারিদের বেতন, শিক্ষার্থীদের বোর্ডিং খরচ ও অবকাঠামো উন্নয়নের নামে বেআইনিভাবে এসব টাকা অপচয় করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, জেলা পরিষদ আইন ২০০০ এর ২৭(৩) ধারা মোতাবেক প্রথম তফশীলের দ্বিতীয় অংশ ঐচ্ছিক কার্যাবলীর (গ) ২৬ মোতাবেক ২০১৩ সালের ৮ মে ও ৮ জুলাই অনুষ্ঠিত জেলা পরিষদের সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ি ৪৮(২) গ ধারার বিধান রেজিষ্ট্রি দলিল মূলে উক্ত প্রতিষ্ঠানের স্থাবর সম্পত্তি জেলা পরিষদে দান গ্রহণ পূর্বক উহা জেলা পরিষদের নিজস্ব প্রতিষ্ঠান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। রেজিষ্ট্রেশন পরবর্তী উক্ত প্রতিষ্ঠানের অস্থাবর সম্পত্তি সমূহ জেলা পরিষদ কর্তৃক গ্রহণ করা হয়। সেই থেকে উক্ত প্রতিষ্ঠানটি সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের নিজস্ব মালিকানায় ও অর্থায়নে পরিচালিত হচ্ছে।
এ দিকে জেলা পরিষদ থেকে সংগৃহীত আব্দুর রউফ কমপ্লেক্স ও এতিমখানা সম্পর্কিত কাগজপত্র ও চলতি বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটির পরিদর্শণ প্রতিবেদনের বিভিন্ন অংশে ভিন্নতা থাকায় জেলা পরিষদের টাকা তছরুপের বিষয়টি জেলাব্যাপি আলোড়ন তুলেছে।
চলতি বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের নব নির্বাচিত সদস্য মীর জাকির হোসেন, শিল্পী রানী মহালদার ও সৈয়দ আমিনুর রহমান স্বাক্ষরিত সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের মালিকানাধীন‘ মুক্তিযোদ্ধা চেয়ারম্যান স.ম আব্দুর রউফ কমপ্লেক্স ও এতিমখানা’ সরেজমিন পরিদর্শণ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, প্রতিষ্ঠানটি ২০০৮ সালে প্রাথমিকভাবে স্থাপিত হয় ও ২০১৩ সালে জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সমাজসেবা অধিদপ্তরের নিবন্ধন(সাত- ১১৭৭/২০১৩) লাভ করে। ওই প্রতিষ্ঠানে দানপত্রের মাধ্যমে এক একর ২৩ শতক জমি দেখানো হয়।
এদিকে গত পহেলা আগষ্ট জেলা পরিষদের প্রধান নির্বার্হী এ.এন.এম মঈনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত কাগজপত্র থেকে জানা গেছে ২০১২ সালে আব্দুর রউফ কমপ্লেক্স ও এতিমখানার কার্যক্রম শুরু হয়। ২০১৩ সালের ১১ নভেম্বর সাতক্ষীরা সদর সাব রেজিষ্ট্রি অফিসের ৪৮৮০নং দানপত্র দলিলমুলে সাড়ে ২০ শতক জমি জেলা পরিষদে দান করেন আব্দুর রউফ কমপ্লেক্সের পক্ষে ওই প্রতিষ্ঠানের সভাপতি এসএম মাহবুবুর রহমান। এ ছাড়া আরো ছয়জন দাতা মিলে এক একর আড়াই শতক জমি দান করেছেন উল্লেখ করলেও তার কোন দলিল পত্র হদিস মেলেনি। এমনকি ৪৮৮০ নং দলিলমুলে যে সাড়ে ২০ শতক জমি হস্তান্তর দেখিয়ে ২৮৩৬/৪ যে নামপত্তন জারি করা হয়েছে তাতে এসএ দাগ ৭৪৩০ দেড় শতক ও ৭৪৩০ এবং ৭৪৩২ দু’টি দাগে সাড়ে ছয় শতক মিলে মোট আট শতক জমি মাহাবুবর রহমানের নামে নামপত্তন দেখানো হয়েছে। এসএ ৭৪৩০ দাগটি বর্তমান জরিপে ১০৮৬৪ দাগের মোট ৬৪ শতক সম্পত্তির মধ্যে দানকৃত সম্পত্তি সাড়ে ১৬শতক কবরস্থান। বর্তমান জরিপে এসএ ৭৫২৩ দাগটি বর্তমান জরিপে ১০৮৫৯ দাগের মোট ৯৪ শতক সম্পত্তির মধ্যে দানকৃত সম্পত্তি সাড়ে ৪শতক ডাঙা। কিন্তু উক্ত চার শতক সম্পত্তির মালিক ধুলিহরের জনৈক আবুল কাশেম ও রাশিদা খাতুনের। সুতরাং এটা থেকে প্রমাণিত হয় যে উক্ত সম্পত্তি জেলা পরিষদের নামে দান দেখানো হলেও তার কোন বাস্তবতা খুঁজে পাওয়া যায় না।
অপরদিকে গত ১৯ ফেব্রুয়ারির পরিদর্শণ প্রতিবেদনে আব্দুর রউফ কমপ্লেক্স ও এতিমখানার নামে মোট জমির পরিমান এক একর ২৩ শতাংশ দেখানো হয়েছে। অথচ গত পহেলা আগষ্ট জেলা পরিষদ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ি ওই প্রতিষ্ঠানের জমির পরিমান দু’ একর ১৯ শতাংশ। যার কাগজপত্রের কোন বাস্তবতা মেলেনি। অথচ জেলা পরিষদ উক্ত প্রতিষ্ঠানের ব্যয়ভার চালানোর লক্ষ্যে প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা ও ওই প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন প্রকল্প দেখিয়ে দু’ কেটি ১৬ লাখ ৪৫ হাজার টাকা অনুমোদন দিয়েছেন। অন্যদিকে পরিদর্শন প্রতিবেদনে অবকাঠামো ব্যয় দু’ কোটি ৩৮ লাখ টাকা দেখানো হয়েছে।
গত ১৯ ফেব্রুয়ারির পরিদর্শণ প্রতিবেদন অনুযায়ি মতামত কলামে প্রতিষ্ঠান কর্তৃক পরিচালিত সকল ব্যাংক হিসাব বন্ধ করতঃ অন্যান্য সকল আয় জেলা পরিষদ তহবিলে জমা প্রদানের ব্যবস্থার নিমিত্তে আলাদা একটি ব্যাংক হিসাব খোলার সুপারিশ করা হয়। কিন্তু জেলা পরিষদ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ি গত ২২ ফেব্রুয়ারি সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক উক্ত প্রতিষ্ঠানের আয়ের অর্থ জমা রাখার জন্য‘ ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিঃ’ সাতক্ষীরা শাখায় হিসাব নং- ০১৪৬১২২০০০২০১৯৪ খোলা হয়েছে। যা’ জেলা পরিষদের নামে নয়। এ ছাড়া আব্দুর রউফ কমপ্লেক্ষ ও এতিমখানার আয়-ব্যয় জেলা পরিষদকে দেওয়া হয় না।
উক্ত প্রতিষ্ঠানটি জেলা পরিষদের মাধ্যমে পরিচালিত হলেও শিক্ষক -কর্মচারি নিয়োগের ক্ষেত্রে কোন সরকারি নিয়ম নীতি অনুসরণ করা হয়নি। আবার জেলা পরিষদ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ি শিক্ষক কর্মচারিদের বেতন নো ওয়ার্ক নো পে অনুযায়ি প্রদান করা হচ্ছে।
উক্ত প্রতিষ্ঠানে শুধুমাত্র ছাত্রদের শিক্ষা দেওয়া হয়। জেলা পরিষদ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ি মাটিয়াডাঙা ও ধুলিহর গ্রাম থেকে ২০ জন করে ছাত্র ভর্তি দেখানো হয়েছে। এবং মোট ছাত্র ২২০ জন দেখানো হলেও বাস্তবে এ সংখ্যা অনেক কম।
২০১৩ সালে শুরু থেকে চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত জেলা পরিষদ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ি শিক্ষক, কর্মচারির বেতন ও ছাত্রদের বোর্ডিং খরচ বাবদ এক কোটি দু’ লাখ সাত হাজার ১৪৬ টাকা দেখানো হয়েছে। কিন্তু গত ১৯ ফেব্রুয়ারির পরিদর্শন প্রতিবেদন অনুযায়ি তার পরিমান এক কোটি ৫৭ লাখ ৭৮ হাজার ৮৭৬ টাকা। অর্থাৎ তিন মাস ১২ দিনে শিক্ষক কর্মচারিদের বেতন ও শিক্ষার্থীদের বোডিং খরচ তো লাগেই নি বরং জেলা পরিষদের দেওয়া পরিসংখ্যান পরিদর্শণ প্রতিবেদনের চেয়ে ৫৫ লাখ টাকা কম দেখানো হয়েছে যা ’ পুকুর চুরির সামিল।
স্থানীয় সরকার ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, আব্দুর রউফ কমপ্লেক্সে ও এতিমখানার কর্মকা- জেলা পরিষদের আইন অনুযায়ি পরিচালিত হচ্ছে এটা বলা যাবে না। সেখানে মানা হয় না কোন সরকারি নির্দেশনা। তাই এ প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য সরকার কর্তৃক কোন নির্দেশনা পরিলক্ষিত হয় না। সেকারণে জেলা পরিষদ থেকে উক্ত প্রতিষ্ঠানের অনুকুলে বরাদ্দকৃত ও প্রকল্প অনুমোদন বাবদ সকল টাকা নিয়ম বহির্ভুতভাবে প্রদান করা হচ্ছে বলে প্রতীয়মান হয়। তাই জনস্বার্থে এ ধরণের প্রতিষ্ঠানে সরকারি অর্থ বরাদ্দ অবলিম্বে বন্ধ করে দেওয়া উচিত।
এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এসএম মাহাবুবুর রহমানের সঙ্গে তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী এএনএম মঈনুল ইসলাম এ প্রতিবেদককে জানান, দীর্ঘ সময় ধরে আব্দুর রউফ কমপ্লেক্স ও এতিমখানাটি পরিচালিত হচ্ছে। তৎকালীন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও কর্মকর্তারা বিষয়টি আইন অনুযায়ী কাজ করেছেন। বর্তমানেও তা আইন অনুযায়ী পরিচালিত হচ্ছে বলে তিনি দাবি করেন। কবরস্থানের জমি হস্তান্তরযোগ্য দাবি করে তিনি বলেন, আব্দুর রউফ কমপ্লেক্স ও এতিমখানার পক্ষে ‘ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকে’ হিসাব খোলা হয়েছে তা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহীর নামে বলে জানান তিনি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
তালায় স্বামীর পরকীয়া জেরে গৃহবধুর আত্মহত্যা

তালা প্রতিনিধি : তালার মহান্দি গ্রামে লম্পট স্বামীর পরকীয়া প্রেমের খেসারত দিতে গৃহবধু বিষপানে আত্মহত্যা করেছে। রোববার গভীর রাতে মহান্দি স্বামীর বাড়িতে গৃববধু হাসিনা খাতুন (২২) বিষপান করে। হাসিনা’র ২ বছর বয়সী ফুটফুটে একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
একাধিক সূত্র জানায়, উপজেলার শুভাষিণী গ্রামের আব্দুল মান্নান এর মেয়ে হাসিনা খাতুনের সাথে ৩ বছর পূর্বে বিয়ে হয় একই উপজেলার মহান্দি গ্রামের মৃত. জলিল শেখ এর লম্পট ছেলে আকবর আলী শেখ এর সাথে। বিয়ের কিছু দিন পরপরই আকবর শেখ তাঁর শশুর বাড়ির এক আত্মীয়’র সাথে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। এই পরকীয়া প্রেম নিয়ে হাসিনা এবং আকবর শেখের মধ্যে প্রতিনিয়ত ঝগড়া হতো। রোববার রাতে অনুরুপ ঝগড়ার এক পর্যায়ে হাসিনা খাতুন বিষপান করে। বিষপানে হাসিনা মারা যাবার পর রাত ১ টা ৩০ মিনিটে তালা হাসপাতালে আনা হয়। সোমবার সকালে তালা থানা পুলিশ হাসপাতাল থেকে মৃত. হাসিনা খাতুনের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশাশুনি স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক বিল্টু

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ আশাশুনি উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদকের শূন্য পদে ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও জেলার নেতৃবৃন্দের মতামতের ভিত্তিতে চলতি কমিটির মেয়াদ পর্যন্ত আবু হেনা বিল্টুকে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হলো। সোমবার জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি শেখ মারুফ হাসান মিঠু ও সাধারণ সম্পাদক মীর মোস্তাক আলী স্বাক্ষরিত এক পত্রে তথ্য জানানো হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
‘রোহিঙ্গাদের রক্তে ভেজা চাল বাংলাদেশের মানুষ খেতে চায় না’

মিয়ানমার থেকে চাল আমদানি না করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার বলেছেন, ‘রোহিঙ্গাদের রক্তে ভেজা চাল বাংলাদেশের মানুষ খেতে চায় না।’

সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকালে মিয়ানমার দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচিতে তিনি এ কথা বলেন। দূতাবাস ঘেরাওয়ে পুলিশ বাধা দিলে গুলশান-২ এর গোলচত্বরে অবস্থান নেন গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীরা। পরে ইমরান এইচ সরকারের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল মিয়ানমার দূতাবাসে গিয়ে রোহিঙ্গা নির্যাতন ও গণহত্যা বন্ধের দাবি জানিয়ে একটি স্মারকলিপি দেয়।

সম্প্রতি মিয়ানমার থেকে চাল আমদানির জন্য চুক্তি করে সরকার। রোহিঙ্গা নির্যাতন ও এ কারণে বাংলাদেশ অভিমুখে তাদের ঢল নামার মধ্যেই খাদ্যমন্ত্রী দেশটিতে গিয়ে এই চাল কেনার চুক্তি করেন। এর তীব্র বিরোধীতা করে ইমরান এইচ সরকার বলেন, ‘জনগণ এই চাল আমদানিতে বাধা দেবে। আমরা চাই, এর আগে সরকারই চাল আমদানি বন্ধ করুক।’ মিয়ানমার থেকে চাল আমদানির চুক্তি প্রত্যাহারেরও দাবি জানান তিনি।

ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের উদ্দেশে গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র বলেন, ‘আপনাদের টাকায় অস্ত্র, গোলাবারুদ কিনে মিয়ানমার সরকার সাধারণ মানুষের রক্ত ঝরাচ্ছে। তাই আমি আহ্বান জানাই, সারা দেশে মিয়ানমারের সব পণ্য বর্জন করুন। মিয়ানমারকে অর্থনৈতিকভাবে কোণঠাসা করে তাদের গণহত্যার প্রতিবাদ জানাতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আজকের এই সমাবেশ থেকে মিয়ানমারকে প্রত্যাখ্যান, প্রতিহত ও প্রতিরোধের আহ্বান জানাচ্ছি। আপনারা জানেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে মিয়ানমারের দূতাবাস ঘেরাওয়ের মাধ্যমে তাদের প্রত্যাখ্যান করা হচ্ছে।’

ইমরান এইচ সরকার বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার মানবিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। আমরা বলব, একই সঙ্গে বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বার্মায় মুসলিম বিরোধী এক উগ্র বৌদ্ধ ভিক্ষুর কথা

মুসলমানদের বিরুদ্ধে ক্রমাগত হিংসাত্মক বক্তব্য তুলে ধরার জন্য অনেকের কাছেই পরিচিত উগ্রপন্থী বৌদ্ধ ভিক্ষু আশ্বিন উইরাথু ।

মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমানদের বিষয়ে বৌদ্ধদের মনে ভীতি ছড়ানোর জন্য তাকে অভিযুক্ত করা হয়।

এমনকি জাতিসংঘের মিয়ানমার বিষয়ক বিশেষ দূত ইয়াংহি লি-কে ‘বেশ্যা’ বলে গালমন্দ করেছেন এ বৌদ্ধ ভিক্ষু আশ্বিন উইরাথু।

১৫ বছর আগেও এ বৌদ্ধ ভিক্ষু কারো কাছে পরিচিত ছিলেন না। ১৯৬৮ সালে জন্ম নেয়া আশ্বিন উইরাথু ১৪ বছর বয়সে স্কুল ছেড়ে ভিক্ষু হতে গিয়েছিলেন।

২০০১ সালে তিনি মুসলিম-বিরোধী এবং জাতীয়তাবাদী একটি গ্রুপ গঠন করেন, যার নাম ছিল ৯৬৯ গ্রুপ। এ সংগঠনটিকে উগ্রপন্থী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

যদিও উগ্রপন্থার বিষয়টি মি: উইরাথুর সমর্থকরা বরাবরই অস্বীকার করে আসছেন।

২০০৩ সালে তাঁকে ২৫ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছিল। কিন্তু ২০১০ সালে অন্যান্য রাজবন্দীর সাথে তাঁকে মুক্তি দেয়া হয়।

সরকার নিয়ম শিথিল করার পর তিনি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে বেশ সক্রিয় হয়ে উঠেন।

তিনি ইউটিউব এবং ফেসবুকে তাঁর নানা ধরনের বক্তব্য ছড়াতে থাকেন। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে তাঁর ৩৭ হাজারের বেশি ফলোয়ার ছিল ।

২০১২ সালে রাখাইন রাজ্যে মুসলমান এবং বৌদ্ধদের মধ্যে যখন তীব্র সংঘাত শুরু হয়। সে সময় আশ্বিন উইরাথু তাঁর জ্বালাময়ী বক্তব্য নিয়ে জনসমক্ষে আসেন।

তাঁর একটি পরিচিত উক্তি ছিল, ” তুমি যাই করো, সেটা একজন জাতীয়তাবাদী হিসেবে করবে।”

তাঁকে একবার জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, তিনি ‘বার্মার বিন লাদেন’ কি না? জবাবে মি: উইরাথু বলেছিলেন, এ বিষয়টি তিনি অস্বীকার করবেন না। বিভিন্ন জায়গায় তিনি বলেছেন, তিনি শান্তির জন্য কাজ করছেন।

২০১৩ সালের ১ জুলাই টাইম ম্যাগাজিন আশ্বিন উইরাথুকে নিয়ে একটি প্রচ্ছদ প্রতিবেদন করেছিল। সেটির শিরোনাম ছিল, “একজন বৌদ্ধ সন্ত্রাসীর মুখ”।

তাঁর বক্তব্য হিংসা ছড়িয়েছিল এবং সেগুলোর মূল টার্গেট ছিল রোহিঙ্গা মুসলমানরা।

রোহিঙ্গা মুসলমানদের তৃতীয় কোন দেশে স্থানান্তরিত করার দাবী নিয়ে তিনি সমাবেশও করেছেন।

মুসলমানদের মধ্যে জন্মহার বেশি – এমন বক্তব্য প্রচার করেছেন আশ্বিন উইরাথু। তিনি অভিযোগ করেন, বৌদ্ধ নারীদের জোর করে ধর্মান্তরিত করা হচ্ছে।

অনেকে মনে করেন, আশ্বিন উইরাথুর বিরুদ্ধে কথা বললে তাকে টার্গেট করা হবে।

তাছাড়া রোহিঙ্গা মুসলমানদের নাগরিকত্ব দেবার বিরুদ্ধে তিনি যেসব কথা বলতেন, সেগুলো ব্যাপক সমর্থন পেয়েছিল।

এমনকি মিয়ানমারের অন্য অনেক বৌদ্ধ ভিক্ষু তাঁর বিষয়ে কোন কথা বলতে চান না।

যদিও ২০০৭ সালে বৌদ্ধ ভিক্ষুরা সামরিক শাসকের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছেন।

আশ্বিন উইরাথু খুব দ্রুত বিশ্বের কাছে পরিচিত হয়ে উঠেন বার্মার বৌদ্ধদের প্রতীক হিসেবে।

তবে তিনি বাস্তবে বার্মার সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধদের প্রতিনিধিত্ব করেন কি না সেটি নিয়ে বেশ সংশয় আছে।

প্রায় অর্ধ শতাব্দী সামরিক শাসনের পরে মিয়ানমারে এখন নিয়ন্ত্রিত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা চালু হয়েছে।

অনেকে মনে করেন, উগ্রপন্থী ভিক্ষু আশ্বিন উইরাথু রোহিঙ্গা বিরোধী যে মনোভাব দেখিয়েছেন সেটি মিয়ানমারের ভেতরে অনেকেরই মনের কথা।

সরকারের ভেতরে অনেকেই কূটনৈতিক কারণে রোহিঙ্গা বিরোধী কথা সেভাবে বলতে পারেন না।

ফলে মি: উইরাথু রোহিঙ্গা বিরোধী যেসব বক্তব্য দিয়েছেন তাঁর পেছনে সরকারের সমর্থন রয়েছে।

মিয়ানমার সরকার জানিয়েছে, আশ্বিন উইরাথুর বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ না পেলে তারা কোন পদক্ষেপ নিতে পারবে না।

( বৌদ্ধ ভিক্ষু আশ্বিন উইরাথুকে নিয়ে ২০১৫ সালের ২৩ জানুয়ারী বিবিসি নিউজ অনলাইনে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এ লেখাটি অনুবাদ করা হয়েছে।)

 

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের জাতিগতভাবে নির্মূল করা হচ্ছে: জাতিসংঘ

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কমিশনের প্রধান বলেছেন, মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর যেভাবে পদ্ধতিগত-ভাবে হামলা চালানো হচ্ছে, সেটি ‘জাতিগত-ভাবে নির্মূল’ করার শামিল।

মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান জেইদ রাদ আল-হুসেইন বলেছেন, রোহিঙ্গাদের লক্ষ্য করে যেভাবে সামরিক অভিযান চালানো হচ্ছে , সেটি মনে হচ্ছে পাঠ্য বইয়ের জন্য ‘জাতিগত নিধনের’ উদাহরণ হয়ে থাকবে।

অবিলম্বে মিয়ানমার সরকারকে সামরিক অভিযান বন্ধের আহবান জানিয়েছেন মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান জেইদ রাদ আল-হুসেইন।

তিনি বলেন, জাতিসংঘের তদন্তকারীদের রাখাইন রাজ্যে ঢুকতে না দেয়ায় সেখানকার পরিস্থিতি পুরোপুরি নির্ণয় করা যাচ্ছে না।

গত মাসে মিয়ানমারের রাখাইন এলাকায় সামরিক অভিযান শুরুর পর প্রায় তিন লাখ রোহিঙ্গা মুসলমান সেখান থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।

মিয়ানমারের সরকার বলছে সন্ত্রাসীদের হামলার জবাবে এ সামরিক অভিযান চালানো হচ্ছে।

এর আগে গত বছরের নভেম্বর মাসে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআরের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা অভিযোগ করেছেন যে মিয়ানমারের সরকার সে দেশের সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমানদের বিরুদ্ধে জাতিগত নিধন অভিযান চালাচ্ছে।

তখন কক্সবাজারে ইউএনএইচসিআর অফিসের প্রধান কর্মকর্তা জন ম্যাককিসিক বলছেন, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রোহিঙ্গা পুরুষদের হত্যা করছে, শিশুদের জবাই করছে, নারীদের ধর্ষণ করছে, বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ এবং লুঠতরাজ চালাচ্ছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রোহিঙ্গাদের গ্রামে আগুন দেয়া স্বচক্ষে দেখলেন বিবিসির সাংবাদিক

গত দু সপ্তাহে যে রোহিঙ্গা মুসলিমরা মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছেন, তারা এসেছে তিনটি জেলা থেকে: মংডু, বুথিডং, এবং রাথেডং।

এ তিনটিই হচ্ছে মিয়ানমারের শেষ তিনটি এলাকা যেখানে বড় সংখ্যায় ‘মুক্ত পরিবেশে’ রোহিঙ্গা বসতি আছে। এ ছাড়া বড় সংখ্যায় রোহিঙ্গারা আছে শুধু মাত্র বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের শিবিরে।

এসব জেলায় যাওয়া খুব কঠিন, রাস্তা খারাপ – তা ছাড়া সেখানে যেতে সরকারি অনুমতিপত্র লাগে। আর সাংবাদিকরা এ পারমিট খুব কমই পায়।

বিবিসির জোনাথন হেড এক রিপোর্টে লিখছেন, সম্প্রতি তারা ১৮ জন দেশী-বিদেশী সাংবাদিকের এক দলের অংশ হিসেবে মংডু জেলায় যাবার এক বিরল সুযোগ পেয়েছিলেন। এ সফরের একটা সমস্যা হলো, আপনি শুধু সেসব জায়গাই দেখতে পারবেন যেগুলোতে কর্তৃপক্ষ তাদের যেতে দেবে।

কিন্তু কখনো কখনো এমন হয় যে এসব বিধিনিষেধের মধ্যেও আপনি অনেক কিছু বুঝে নিতে পারবেন।

তা ছাড়া সরকারের কিছু যুক্তি আছে যা শোনা দরকার। মিয়ানমার সরকার এখন একটা বিদ্রোহ পরিস্থিতি মুখোমুখি, তবে অনেকে বলতে পারেন যে তারা নিজেরাই এ সমস্যা তৈরি করেছে। রাখাইন প্রদেশের এই জাতিগত সংঘাতের এক বিরাট ইতিহাস আছে, এবং যে কোন সরকারের পক্ষেই এটা মোকাবিলা করা কঠিন।

রাখাইন রাজ্যের রাজধানী সিটওয়েতে পৌঁছার পর সাংবাদিকদের বলে দেয়া হলো, কেউ গ্রুপ ছেড়ে গিয়ে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবেন না। সন্ধ্যে ৬টা থেকে কারফিউ, তাই এর পর ঘুরে বেড়ানো যাবে না। সাংবাদিকরা যেখানে যেতে চান তারা সাংবাদিকরা যেখানে যেতে চান সেসব অনুরোধ নিরাপত্তার কারণে প্রত্যাখ্যান করা হলো। হয়তো তারা সত্যি নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিল।

সিটওয়ে থেকে বুথিডং যেতে লাগে ৬ ঘন্টা। সেখান থেকে এক ঘন্টা পাহাড়ি পথ ধরে গেলে পেীঁছবেন মংডু।

যারার পথে পড়লো মাইও থু গি গ্রাম। সেখানে প্রথমবারের মতো পুড়িয়ে দেয়া গ্রাম দেখতে পেলাম। এমনকি তালগাছগুলোও পুড়ে গেছে।

মিয়ানমার সরকারের উদ্দেশ্য হলো, রোহিঙ্গা শরণার্থীরা বাংলাদেশে ঢুকে তাদের বিরুদ্ধে যে পরিকল্পিত আক্রমণ ও ধবংসযজ্ঞ চলার বর্ণনা দিচ্ছে, সেই নেতিবাচক প্রচারের একটা জবাব দেয়া।

কিন্তু এসব প্রয়াস ভালোভাবে কাজ করছে না।

বিবিসির জোনাথন হেড বলছেন, “আমাদের প্রথম নেয়া হলো মংডুর একটি ছোট স্কুলে, এখানে আশ্রয় নিয়েছে ঘরবাড়ি হারানো হিন্দু পরিবার। সবাই বলছে একই গল্প – তাদের ওপর মুসলিমদের আক্রমণ, এবং তার পর ভয়ে পালানোর কাহিনি”।

“কিন্তু বিস্ময়কর ব্যাপার হলো, যে হিন্দুরা বাংলাদেশে পালিয়েছে তারা সবাই বলছে, তাদের ওপর আক্রমণ চালিয়েছে রাখাইন বৌদ্ধরা, কারণ তারা দেখতে রোহিঙ্গাদেরই মতো।”

“এই স্কুলে আমাদের সাথে ছিল সশস্ত্র পুলিশ ও কর্মকর্তারা । তারা কি মুক্তভাবে কথা বলতে পারছিল?”

“একজন লোক বলতে শুরু করলো কিভাবে সেনাবাহিনী তাদের গ্রামের ওপর গুলি করলো। কিন্তু খুব দ্রুত একজন প্রতিবেশী তার কথা সংশোধন করে দিল।”

“কমলা রঙের ব্লাউজ এবং ধূসর-বেগুনি লুঙ্গি পরা এক মহিলা উত্তেজিতভাবে মুসলিমদের আক্রমণের কথা বলতে লাগলো।”

“এর পর আমাদের নিয়ে যাওয়া হলো একটি বৌদ্ধ মন্দিরে। সেখানে একজন ভিক্ষু বর্ণনা করলেন, কিভাবে মুসলিমরা তাদের বাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে। অগ্নিসংযোগের ছবিও আমাদের দেখানো হলো। ছবিগুলো অদ্ভূত।”

“হাজিদের সাদা টুপি পরা কিছু লোক একটি ঘরের পাতার তৈরি চালায় আগুন দিচ্ছে। মহিলাদের দেখা যাচ্ছে – তারা নাটকীয় ভঙ্গিতে তলোয়ার এবং দা ঘোরাচ্ছে, তাদের মাথায় টেবিলক্লথের মতো লেসের কাজ করা কাপড়।”

“এর পর আমি দেখলাম, এই মহিলাদের একজন হচ্ছে স্কুলের সেই হিন্দু মহিলাটি – যে উত্তেজিতভাবে নির্যাতনের বর্ণনা দিচ্ছিল। আর এই ঘর পোড়ানো পুরুষদের মধ্যে একজনকে আমি সেই বাস্তুচ্যুত হিন্দুদের মধ্যে দেখেছি।”

“তার মানে, তারা এমনভাবে কিছু ভুয়া ছবি তুলেছে, যাতে মনে হয় মুসলিমরা ঘনবাড়িতে আগুন লাগাচ্ছে।”

বিবিসির জনাথন হেড বলছেন, তাদের আরো কথা হয় কর্ণেল ফোনে টিন্ট-এর সাথে। তিনি হচ্ছেন স্থানীয় সীমান্ত নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী্ ।

তিনি বর্ণনা করলেন, কিভাবে বাঙালি সন্ত্রাসীরা (আরাকান রোহিঙ্গা সালভেশন আর্মির জঙ্গীদের তারা এভাবেই বর্ণনা করে) রোহিঙ্গা গ্রামগুলো নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছে, এবং গ্রামের লোকদের চাপ দিয়েছে যেন প্রতি বাড়ি থেকে যোদ্ধা হিসেবে একজন লোক দেয়া হয়। যারা একথা মানছে না তাদের বাড়ি পুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে।

এই কর্নেল আরো অভিযোগ করলেন, জঙ্গীরা মাইন পাতছে এবং তিনটি সেতু উড়িয়ে দিয়েছে।

জোনাথন হেড তাকে জিজ্ঞেস করলেন, তার মানে তিনি কি এটাই বলতে চাচ্ছেন যে – এই যে এতসব গ্রাম পুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে – এগুলো জঙ্গীরাই করছে?

তিনি নিশ্চিত করলেন যে এটাই সরকারের বক্তব্য। সেনাবাহিনীর নৃশংসতা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি তা উড়িয়ে দিলেন। বললেন, “এর প্রমাণ কোথায়? যেসব মহিলারা এ দাবি করছে, আপনি তাদের দিকে তাকিয়ে দেখুন। এদেরকে কি কেউ ধর্ষণ করতে চাইবে?”

মংডুতে যে মুসলিমদের সাথে আমরা কথা বলতে পেরেছি, তারা ক্যামেরার সামনে কথা বলার সাহস করতে পারে নি। আমাদের পাহারাদারদের নজর এড়িয়ে এদের দু’একজনের সাথে কথা বললাম। তারা বললো, নিরাপত্তা বাহিনী তাদেরকে গ্রাম ছাড়তে দিচ্ছে না। তারা খাদ্যাভাব এবং তীব্র আতংকের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।

একজন যুবক বলছিল, তারা বাংলাদেশে পালিয়ে যেতে চায়, কিন্তু তাদের নেতারা কর্তৃপক্ষের সাথে এক চুক্তি করেছে যাতে তারা চলে যেতে না পারে। এখানকার বাঙালি বাজার এখন নিরব। এজনকে জিজ্ঞেস করলাম, তারা কিসের ভয় করছেন। “সরকার” – তার জবাব।

সূত্র : বিবিসি বাংলা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরা আহ্ছানিয়া মিশনের সভায় বহুতল বিশিষ্ট কমপ্লেক্স’র নকশা অনুমোদন

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরা আহ্ছানিয়া মিশনের ম্যানেজিং কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বিকালে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সাতক্ষীরা আহ্ছানিয়া মিশনের সভাপতি ও জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা আহ্ছানিয়া মিশনের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব শেখ আজিজুল হক, সহ-সভাপতি শেখ তহিদুর রহমান ডাবলু, আলহাজ্ব ফজলুর রহমান, আলহাজ্ব কাজী মুহম্মদ অলিউল্লাহ, যুগ্ম সম্পাদক কাজী সিরাজুল হক, সহ সম্পাদক মুজিব হোসেন নান্নু, কোষাধ্যক্ষ আলহাজ্ব আবু দাউদ, সদস্য অধ্যক্ষ আব্দুল মজিদ, কাজী মনিরুজ্জামান মুকুল, আলহাজ্ব আব্দুস সাত্তার, মো. হাদিউজ্জামান, আলহাজ্ব এড. মোনায়েম খান চৌধুরী, শেখ আব্দুল মাসুদ, কাজী আমিরুল হক (আহাদ), মো. সেলিম, আব্দুর রহমান প্রমুখ। নলতা কেন্দ্রীয় আহ্ছানিয়া মিশনের প্রতিনিধি ডাঃ নজরুল ইসলাম, ইউনাইডেট প্রিন্টিং প্রেস’র ডাইরেক্টর আবু সোয়েব এবেল, ইঞ্জিনিয়ার শেখ আহসান হাবীব টিপু, কেন্দ্রীয় আহ্ছানিয়া মিশনের সদস্য আলহাজ্ব মো. ইনামুল হক প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন আহ্ছানিয়া মিশন জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম জিয়া। সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মোঃ মহিউদ্দিন বলেন, ‘সাতক্ষীরা আহ্ছানিয়া মিশন একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা (রহ.) এর প্রতিষ্ঠাতা। এ প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্য ¯্রষ্টার ইবাদত ও সৃষ্ট্রের সেবা করা। জেলা প্রশাসক আরো বলেন, সাতক্ষীরা আহ্ছানিয়া মিশনে খুব শীঘ্রই একটি মাল্টিকমপ্লেক্স নির্মাণ করা হবে।’ এসময় সকলের সর্বসম্মতিক্রমে ৪তলা বিশিষ্ট মাল্টিকমপ্লেক্স এর ডিজাইন অনুমোদন করা হয় এবং দ্রুত কাজ শুরু করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest