সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের পিতার মৃত্যুতে শােকসাতক্ষীরায় পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা: আসামী ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগশ্যামনগরে কোস্টগার্ডের অভিযানে ভারতীয় মদ জব্দআশাশুনিতে জলবায়ু-স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ক যুব নেতৃত্বাধীন প্রচারনাসাতক্ষীরা জেলা স্কাউট ভবন এর উর্ধ্বমুখি সম্প্রসারণ কার্যক্রম উদ্বোধনখুলনায় এনসিপি নেতা গুলিবিদ্ধ: সাতক্ষীরা সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদারশ্যামনগরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনিয়ম ‌দুর্নীতির অভিযোগল স্টুডেন্টস ফোরাম এর নবনির্বাচিত কমিটি নির্বাচন কমিশনের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়তিতাস বহুমুখী সমবায় সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভাঝিনাইদহের জয়দিয়া বাওড়ের অবৈধ বন্দোবস্ত বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন

দেবহাটায় অসহায় ব্যক্তিদের জেলা পরিষদের সহযোগিতা প্রদান

দেবহাটা ব্যুরো : দেবহাটায় ৩৬ জন অসহায় ব্যক্তিকে জেলা পরিষদের সহায়তা(নগদ) অর্থ প্রদান করা হয়েছে। সোমবার বেলা ১১টায় দেবহাটা সদর ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের ৩৬জন ব্যক্তিকে এ অর্থ প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানের সদর ইউপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আজগর আলীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদের ৬নং ওয়ার্ড সদস্য আল ফেরদাউস আলফা। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইউপি সচিব কামরুল ইসলাম, সংরক্ষিত সদস্য সাবিনা পারভীন, রোকেয়া বেগম, শাহানাজ পারভীন, ১নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য কামরুল ইসলাম, ২নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আব্দুল জলিল, ৩নং ওয়ার্ড সদস্য এবাদুর রহমান, ৪নং ওয়ার্ড সদস্য শরিফুল ইসলাম মোল্যা, ৫নং ওয়ার্ড সদস্য হাবিবুর রহমান মাসুম, ৬নং ওয়ার্ড সদস্য মাহবুব রহমান বাবলু, ৭নং ওয়ার্ড সদস্য আজগর আলী, ৮নং ওয়ার্ড সদস্য গোলাম মোক্তার, ৯নং ওয়ার্ড সদস্য আরমান হোসেন প্রমূখ। এসময় প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে ৪জন দুঃস্থ, অসহায় ব্যক্তিদের প্রত্যেকে ৫শত টাকা করে মোট ১৮ হাজার টাকা করে প্রদান করা হয়। জেলা পরিষদের সহযোগিতা পেয়ে অসহায় ব্যক্তিদের পক্ষ থেকে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নজরুল ইসলামকে ধন্যবাদ জানান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দেবহাটার নওয়াপাড়ায় কৃষি দিবস অনুষ্ঠিত

দেবহাটা প্রতিনিধি : দেবহাটার নওয়াপাড়া ইউনিয়নের জগন্নাথপুরে আইএফএমসি মাঠ দিবস পালিত হয়েছে। সোমবার বিকালে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে নওয়াপাড়া ইউনিয়নের জগন্নাথপুরে উক্ত মাঠ দিবস পালিত হয়। অনুষ্ঠানে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জসীম উদ্দীনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা কৃষক প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা আলহাজ্ব নুরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা কৃষি সম্প্রাসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক(শস্য) আজগর আলী, উপজেলা কৃষি সম্প্রাসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা শাহজাহান আলী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আহাদ আলী খান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
পাটকেলঘাটায় খেজুর রস সংগ্রহে ব্যস্ত গাছিরা

পাটকেলঘাটা প্রতিনিধি : পাটকেলঘাটাসহ আশে পাশের গ্রামগুলোতে শীতের আগমনের সাথে সাথে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী খেজুর রস সংগ্রহে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন গাছিরা। শীতের ভরা মৌসুমে রস সংগ্রহের জন্য শীতের আগমনের শুরু থেকেই খেজুর রস সংগ্রহের প্রতিযোগিতায় মেতে উঠেছে গাছিরা। বেড়েছে অযতেœ অবহেলায় পড়ে থাকা সারা বাংলার গ্রাম-গঞ্জের খেজুর গাছের কদর। এখনো শীতের তীব্রতা দেখা না মিললেও এর মধ্যে খেজুর রস সংগ্রহের কাজ শুরু করে দিয়েছেন অনেকেই। পাটকেলঘাটায় খেজুর গাছ সংকটের কারণে প্রতি বছরের মতো এ বছরও চাহিদা অনুযায়ী রস পাওয়া যাবে না বলে আশঙ্কা করেছেন সংগ্রহকারীরা। উপজেলার থেকে গ্রামগুলোতে জীবন বৈচিত্রের সংরক্ষণ ও প্রাকৃতিক পরিবেশ উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট বন বিভাগ সংরক্ষণ না করার কারণে সব অঞ্চলে দেশী খেজুর গাছ অনেকটা বিলুপ্তির পথে। এক সময় খ্যাতি থাকলেও কালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে গ্রামবাংলার ঐতিহ্য খেজুরের রস ও গুড়। কয়েক বছর আগেও এলাকার প্রতিটি বাড়িতে, ক্ষেতের আইলের পাশে ও রাস্তার দুই ধার দিয়ে ছিল অসংখ্য খেজুর গাছ। খেজুর গাছ সচারাচর উপযোগী আবহাওয়ায় জন্ম হয়। এমনকি অনেক স্থানে একাধিক গাছ জন্ম নেয়ায় সৃষ্টি হয় দেশী খেজুর বাগান। এ সব গাছ বাড়ীর আঙ্গিনা, জমির আইল ও পতিত ভূমিতে জন্ম নেয় বেশী। খেজুর গাছ সারা বছর অযতেœ অবহেলায় পড়ে থাকলেও শীত মৌসুমে কদর বেড়ে যায় অনেকাংশে। কারণ প্রতি বছরে ৪ মাস খেজুর গাছ থেকে গুড় ও মিষ্টি রস সংগ্রহ করা হয়। এ রস অত্যন্ত সুস্বাধু ও মানব দেহের উপকারিতার কারণে মানুষের কাছে অতি জনপ্রিয় হয়ে উঠে। শীতকালে শহর থেকে মানুষ দলে দলে ছুটে আসতো গ্রাম বাংলার খেজুর রস খেতে। সন্ধ্যাকালীন সময়ে গ্রামীণ পরিবেশটা খেজুর রসে মধুর হয়ে উঠতো। রস আহরণকারী গাছিদের প্রাণচাঞ্চল্য লক্ষ্য করা যেত সে সময়ে। রস জ্বালিয়ে পাতলা ঝোলা, দানা গুড় ও পাটালী তৈরি করতেন। যার স্বাধ ও ঘ্রাণ ছিল সম্পূর্ণ রুপে ভিন্ন। এখন অবশ্যই সে কথা নতুন প্রজন্মের কাছে রূপকথা মনে হলেও বাস্তব। যত বেশি শীত পড়বে তত বেশি মিষ্টি রস দেবে খেজুর গাছ। খেজুর গাছ ১৫ থেকে ২০ বছর পর্যন্ত রস দেয়। এটাই তার বৈশিষ্ট্য। শীতের পুরো মৌসুমে চলে রস, গুড়, পিঠা, পুলি ও পায়েস খাওয়ার পালা। এ ছাড়া খেজুরর পাতা দিয়ে আর্কষনীয় ও মজবুত পাটি তৈরী হয়। এমনকি জ্বালানি কাজেও ব্যাপক ব্যবহার হয়। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তন, কালেরর্বিতনসহ বন বিভাগের নজরদারী না থাকায় বাংলার ঐতিহ্যবাহী পরিবেশবান্ধব খেজুর গাছ এখন গ্রাম-বাংলা জুড়ে বিলুপ্তির পথে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সালমা খাতুনের হয়রানি থেকে পরিত্রাণ পেতে সংবাদ সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরায় পিতার দ্বিতীয় স্ত্রী পরিচয়ে কুচক্রী সালমা খাতুন কর্তৃক একাধিক অভিযোগ ও মিথ্যে মামলায় জড়িয়ে হয়রানির প্রতিবাদ জানিয়েছেন শহরের পলাশপোল এলাকার মোঃ সাইদুর রহমান মুকুল এর ছেলে মোঃ ইমরান হাসান তুহিন।
সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরায় অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি ঢাকায় কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শেষ সেমিস্টারে ছাত্র। বাবা সাইদুর রহমান দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসে থাকায় মা বিউটি পারভীন আমার বোনকে নিয়ে সাতক্ষীরায় থাকে। এমতাবস্থায় গত রমজান মাসে রাজারবাগান এলাকার মৃতঃ গোলাম ওয়াহেদ সরদারের মেয়ে সালমা খাতুন আমাদের বাড়িতে গিয়ে একটি কাবিন নামা দেখিয়ে আমারা বাবার সাথে তার বিয়ে হয়েছে বলে দাবি করে। এসময় সে বলে, তোমার বাবাকে যোগাযোগ করতে বলো, নইলে মিথ্যা মামলা ও পুলিশ দিয়ে গ্রেফতার করানোর হুমকি দিয়ে চলে যায়। সালমার বিয়ের কথা বাবার কাছে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেন। এরপর সালমা নিজে ও তার আতœীয়দের দিয়ে সদর থানা, পৌরসভাসহ বিভিন্ন দপ্তরে আমার ও মায়ের নামে একাধিক মিথ্যা অভিযোগ করে। বিষয়টি তদন্তের জন্য পুলিশ সদস্যরা আমাদের বাড়িতে যাওয়ায় কারণে আমার মা ও বোন ভীতসন্ত্রস্থ হয়ে পড়েছে। সালমা খাতুনের এধরনের হয়রানির কারণে তারা মানুষিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। একই সাথে আমার ভবিষ্যত জীবন হুমকির মুখে পড়তে পারে বলে আমি আশংকা করছি।
তিনি আরো বলেন, ২৫ জুলাই সালমা খাতুন বাবা মুকুল, মা বিউটি ও আমার নামে সাতক্ষীরা আমলী আদালতে একটি মিথ্যে মামলা দায়ের করলে বিচারক শুধুমাত্র বাবার নামে সমন জারি করেন। এতে সালমা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং মা ও আমাকে পুলিশ দিয়ে নাশকতাসহ বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতারের ভয় দেখানোসহ আমাকে হত্যার হুমকি দিতে শুরু করেছে। এঘটনায় আমাদের নিরাপত্তা চেয়ে মা বিউটি পারভীন সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, উক্ত সালমা খাতুন নিজেকে আমার বাবার স্ত্রী দাবি করলেও ইসতিয়াক আহমেদ পরাগের সাথে স্বামী-স্ত্রী রুপে ঘর সংসার করছেন। ইসতিয়াকের ঔরসে তার ২টি সন্তানও রয়েছে। এছাড়া বাবার সাথে কথিত বিয়ের কাবিনে ২৩/২/১৫ তারিখ দেখালেও তার ৪ মাস পর ২৯/৬/১৫ তারিখে বেকার পুর্নবাসন সংস্থার নির্বাচনে সালমা খাতুন তার স্বামীর নামের স্থানে পরাগের নাম দিয়েছিলেন। এছাড়া ১০ নভেম্বর সালমার বসভবন থেকে তার স্বামী পরাগকে সাতক্ষীরা সদর থানার পুলিশ গ্রেফতার করে। একজন নারী একই সাথে কিভাবে ২ জন ব্যক্তিকে স্বামী হিসাবে দাবি করতে পারেন এমন প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, আমার বাবা যদি অন্যায় করে থাকেন তার শাস্তি তিনি ভোগ করবেন। কিন্তু আমি এবং আমার অসহায় মা ও বোন কেন এর দায়ভার নেব, কেন আমাদের হয়রানি করা হবে? তিনি উক্ত সালমার হাত থেকে রক্ষা পেতে ও জীবনের নিরাপত্তার দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশি¬ষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ক্ষ্যাপা কুকুরের কামড়ে আহত প্রবীণ সাংবাদিক সুভাষ চৌধুরী

নিজস্ব প্রতিবেদক : ক্ষ্যাপা কুকুরের কামড়ে আহত হয়েছেন সাতক্ষীরার প্রবীণ সাংবাদিক সুভাষ চৌধুরী। সোমবার দুপুর ১২ টায় শহরের সরকারপাড়ায় ধোপাপুকুর পাড়ে তার বাড়ির কাছে এ ঘটনা ঘটে। পরে তাকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
সাংবাদিক সুভাষ চৌধুরী জানান, তিনি একটি ভ্যানে চড়ে শহর অভিমুখে আসছিলেন। এ সময় একটি কুকুর শাবক ভ্যানের চাকার নিচে পড়ে চিৎকার করে ওঠে। শাবকের কান্না শুনে পাশ থেকে শাবকটির মা দ্রুতবেগে ছুটে এসে তার পায়ে সজোরে কামড় বসিয়ে দেয়। ক্ষিপ্রতার সাথে তার বাম পায়ে কয়েকটি দাঁত বসিয়ে দেওয়ায় রক্তক্ষরণ শুরু হয়। কুকুরের কামড়ে তার পরনের প্যান্টও ছিড়ে যায়। মুহুর্তেই কোনো কিছু বুঝে উঠবার আগেই কুকুরটি অপর একজন পথচারীকে তাড়া করলে তিনিও মাটিতে পড়ে যান। পরে এলাকাবাসী কুকুরটিকে ধাওয়া দেয়। পরে তাকে উদ্ধার করে দ্রুত সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়।
এদিকে সাংবাদিক সুভাষ চৌধুরী কুকুরের কামড়ে আহত হয়েছেন এই খবর পেয়ে হাসপাতালে সাংবাদিকরা তার চিকিৎসার খোঁজ খবর নিতে হাজির হন। তারা হাসপাতালে ও তার বাড়িতে উপস্থিত হয়ে তার দ্রুত রোগমুক্তি কামনা করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
নর্দান ইউনিভার্সিটি খুলনার উদ্যোগে পরিচ্ছন্নতা অভিযান

নিজস্ব প্রতিনিধি : নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এন্ড টেকনোলজি খুলনা এর ইংরেজী বিভাগ এবং ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থীদের নিয়ে সমাজ সেবামূলক (Community Service) কাজে উদ্ভুদ্ধ করার লক্ষে আজ সোমবার দুপুরে নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে রাস্তার দু- পাশের ময়লা আবর্জনা পরিস্কার করার উদ্ব্যোগ নেওয়া হয়।
উক্ত উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এ.এইচ.এম.মনজুর মোরশেদ বলেন, এটি একটি প্রশাংসনীয় কাজ। যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এমন সচেতন মূলক কাজ করে তখন সাধারণ মানুষ সচেতন হবে আর তারা নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা ফেলবে।
উদ্যোগটির মূল পরিকল্পনা ও পরিচালনায় ছিলেন ইংরেজী বিভাগরে বিভাগীয় প্রধান মোজাফ্ফার হোসেন। এই উদ্যোগের সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান রবিউল ইসলাম, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান জনাব এস.এম. মনিরুল ইসলাম, সিনিয়র সহকারি পরিচালক ড. মো: আলাউদ্দীন সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ভারতের প্রাক্তন মন্ত্রী ও কংগ্রেস নেতা প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি আর নেই

ভারতের প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির সোমবার দিল্লিতে জীবনাবসান হয়েছে।

গত ন’বছর ধরে দিল্লির একটি বেসরকারি হাসপাতালে প্রায় জীবন্মৃত অবস্থায় তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন।

সোমবার বেলা ১২টা ১০ মিনিট নাগাদ দিল্লির সেই অ্যাপোলো হাসপাতালেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর।

স্বাধীন ভারতে পশ্চিমবঙ্গের যে হাতে গোনা কয়েকজন রাজনীতিবিদ জাতীয় রাজনীতিতেও বিরাট প্রভাব রাখতে পরেছিলেন মি. দাশমুন্সি ছিলেন তাদের অন্যতম।

তিনি শুধু সুবক্তা হিসেবেই পরিচিত ছিলেন না, পশ্চিমবঙ্গ থেকে অন্তত পাঁচবারের নির্বাচিত লোকসভা এমপি হিসেবে তার সংসদীয় অভিজ্ঞতাও ছিল বিপুল।

তথ্য ও সম্প্রচার, জলসম্পদ, সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রণালয়-সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দফতরের দায়িত্বও সামলেছেন তিনি।

যুব কংগ্রেস নেতা হিসেবে তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীরও অত্যন্ত আস্থাভাজন ছিলেন।

১৯৭১ সালে মাত্র ২৬ বছর বয়সে তিনি দক্ষিণ কলকাতা থেকে কংগ্রেস সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হয়ে পার্লামেন্টে পা রাখেন।

রাজনীতির পাশাপাশি ২০ বছর ধরে অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি পদেও ছিলেন তিনি।

তিনিই প্রথম ভারতীয় যিনি ফিফা বিশ্বকাপের কোনও ম্যাচে ম্যাচ কমিশনারের দায়িত্বও পালন করেছেন।

প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করে টুইট করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কংগ্রেস সভাপতি সনিয়া গান্ধীসহ সভাপতি রাহুল গান্ধী এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়সহ আরও অনেকে।

তবে মি. দাশমুন্সির বর্ণময় রাজনৈতিক জীবনের শেষ পর্বটা ছিল বেশ করুণ। ২০০৮ সালে মারাত্মক স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার পর তিনি যে কোমায় চলে যান, তা থেকে কখনওই আর পুরোপুরি বেরিয়ে আসতে পারেননি।

গত এক মাস ধরে তাঁর অবস্থা ছিল খুবই সঙ্কটজনক। দিনকয়েক আগে তাঁর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়।

গত ন’বছর ধরে দিল্লির একটি দামী বেসরকারি হাসপাতালের একটি কামরায় রেখে তাকে ভারতে যতটা ভাল চিকিৎসা সম্ভব সেটাই দেওয়া হয়েছে – আর একজন সাবেক মন্ত্রী তথা সাংসদের সেই চিকিৎসার সব খরচ কেন্দ্রই বহন করেছে।

প্রথমে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার ও পরে বিজেপি সরকার উভয়েই এক্ষেত্রে একই নীতি বজায় রেখেছে – বছরের পর বছর ধরে মি. দাশমুন্সির চিকিৎসায় কোনও সরকারই কোনও কার্পণ্য করেনি।

কেন্দ্রীয় সরকার কেন দেশের সব নাগরিকদের স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে এতটা দরাজ মনোভাব দেখায় না, মি. দাশমুন্সির চিকিৎসার সূত্র ধরে এর আগে ভারতে সোশ্যাল মিডিয়াতে এই জাতীয় নানা অপ্রিয় প্রশ্নও উঠেছে।

তবে সোমবার দিল্লিতে মি. দাশমুন্সির মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে সেই বিতর্কও বোধহয় আপাতত থেমে গেল।

আগামিকাল মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে বলে পরিবারের সূত্রে জানানো হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরা পাবলিক স্কুল পরিচালকের বিরুদ্ধে বেআইনি টাওয়ার বসানোর অভিযোগ ভবন মালিকের

নিজস্ব প্রতিনিধি : আমার কাটিয়া মৌজাস্থ ৫৮ শতাংশ জমিতে তৈরি আমার বাড়ি কমিউনিটি সেন্টার হিসাবে ভাড়া দেওয়া হতো। গত ২০১৬ সালের ১ ডিসেম্বর আমার বাড়িতে স্কুল করার জন্য দশ বছরের চুক্তিতে ভাড়া নেন কালিগঞ্জ উপজেলার কালিকাপুর শংকরপুর গ্রামের আবদুল খালেক তরফদার। কিন্তু সাতক্ষীরা পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ’র পরিচালক আবদুল খালেকের ছেলে আলাউদ্দিন ফারুকী প্রিন্স চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করে স্কুল চালাচ্ছেন। পরিচালক আমার কিংবা অন্য কারও সম্মতি না নিয়েই বাড়ির ছাদের ওপর ড্রিল মেশিন দিয়ে ছাদ ফুটো করে উঁচু টাওয়ার স্থাপন করেন।
সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরায় এক সংবাদ সম্মেলন করে এ কথা বলেন সাতক্ষীরা শহরের কাটিয়ার এমএ হাকিম।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, টাওয়ার বসানোর ব্যাপারে তার বাড়ির কেয়ারটেকার মো. নুরুজ্জামান এর প্রতিবাদ করেন। পরে ১৮ অক্টোবর জজকোর্টের এড. শেখ জিল্লুর রহমান ভাড়া শর্তের চুক্তিভঙ্গ করে এই টাওয়ার নির্মাণের কারণ জানতে নোটিশ করেন। তিনি ১৫ দিনের মধ্যে জবাব দেওয়ারও নির্দেশ দেন। কিন্তু নোটিশের কোনো জবাব না দিয়ে তারা টাওয়ারটি খুলে ফেলেন। টাওয়ারটি বসাতে ছাদ ফুটো করায় বাড়ির ক্ষতি হয়েছে বলে জানান এমএ হাকিম। তিনি আরও বলেন কেয়ারটেকারকে তারা হুমকি দেন। এ নিয়ে সাতক্ষীরা থানায় একটি সাধারন ডায়েরি করেছেন কেয়ারটেকার মো. নুরজ্জামান।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ভবনের ছাদ ফুটো করায় আমার ভবনটি হুমকির মুখে পড়েছে। এতে বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। তিনি জানান স্বার্থহানী, রাষ্ট্রবিরোধী ও অসামাজিক জাতীয় কোনো কাজে জড়িত থাকলে শর্ত অনুযায়ী ভবন অবমুক্ত করার কথা। কিন্তু ছাদ ছিদ্র করে শর্ত ভ্গং করায় আমার স্বার্থহানী হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন আমি আইনজীবীর মাধ্যমে তাকে আমার বাড়ি ছাড়ার নোটিশ দিয়েছি। কিন্তু নোটিশের জবাব না দিয়ে তারা আমাকে উল্টো হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন এমএ হাকিম।
তিনি এ ব্যাপারে সাতক্ষীরার পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest