সর্বশেষ সংবাদ-
ব্যবসায়ীকে মারধরের ঘটনার ভিডিও করায় সাংবাদিকদের মারপিটের অভিযোগ ডা; ফয়সালের বিরুদ্ধেতাপদাহে রিকশাচালক-পথচারী‌দের‌ মাঝে ড্রিম সাতক্ষীরার পা‌নি ও স্যালাইন বিতরণআন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে র‌্যালি ও আলোচনাসাতক্ষীরা সদর সাব রেজিষ্ট্রি অফিস চত্বরে মরা শিশু গাছে ঝুঁকি বাড়ছেকলারোয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী আলতাফ হোসেন লাল্টুর গণ সমাবেশএডভোকেসি নেটওয়ার্ক এবং সিভিল সোসাইটি অর্গানাইজেশন সদস্যদের ত্রৈমাসিক সমন্বয় সভাশ্যামনগরের কৈখালী পোলের খাল খনন কর্মসূচির উদ্বোধনশ্যামনগরে সালাতুল ইস্তেকার নামাজ আদায়তীব্র তাপদাহে পুড়ছে উপকুলীয় জেলা সাতক্ষীরা, তাপমাত্রা আজ সর্বোচ্চ ৩৯.৩ ডিগ্রিদেবহাটায় উন্নয়ন কার্যক্রমে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্তি বিষয়ক মতবিনিময়

আশাশুনিতে প্রতিমা ভাংচুরের প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

আশাশুনি ব্যুরো: আশাশুনি উপজেলার কুল্যায় প্রতিমা ভাংচুর ও মন্দির সভাপতিসহ ৫জনকে পিটিয়ে যখম করার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বিকাল ৩টায় কুল্যা বাঁকা সড়কের কচুয়া সর্বজনীন দূর্গা মন্দিরের সামনে মন্দির কমিটি এবং এলাকার সর্ব স্তরের জনগনের আয়োজনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মন্দির কমিটির সভাপতি উজ্জল ঘোষের সভাপতিত্বে মানববন্ধনের প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনায় প্রকৃত দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী ও সংখ্যালঘু নির্যাচনের বিচারের দাবি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সদস্য সাংবাদিক অসিম বরুন চক্রবর্তী, সাবেক উপজেলা তরুণলীগ সভাপতি ওমর সাকী পলাশ, কুল্যা ইউনিয়ন আ’লীগ সভাপতি ইয়াহিয়া ইকবাল, ইউপি সদস্য আলমগীর হোসেন আঙ্গুর, রফিকুল ইসলাম পান্না, মোঃ নজরুল ইসলাম, উত্তম কুমার দাশ প্রমুখ। এসময় বক্তরা বলেন কুল্যা ইউনিয়ন একটি শান্তির নীড়, আর সেখানে প্রতিমা ভাংচুরের মত ঘটনা অতন্ত দুঃখজনক। ৬সেপ্টেম্বর রাতে কচুয়া সর্বজনীন দুর্গা মন্দিরের কয়েকটি প্রতিমা ভাংচুরের প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় নিয়ে কঠিন শাস্তির দাবী জানান। এসময় মন্দির কমিটির সভাপতির উজ্জল ঘোষ তার স্বাগত বক্তব্যে বলেন আমরা ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হওয়ায় মন্দির কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক এবারের দুর্গা পূজা আমরা বর্জন করছি। উলেখ্য: গত ৬সেপ্টেম্বর রাত ১২টার দিকে ছাত্রলীগের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে ওয়ার্ড ছাত্রলীগ সভাপতি প্রার্থী ও কচুয়া সর্বজনীন দূর্গা মন্দিরের সভাপতি উজ্জল ঘোষসহ ৫জন আহত হয়। এজহারে উল্লেখ করা হয় স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায় সকালে দেখতে পায় কচুয়া সর্বজনীন দুর্গা মন্দিরের কয়েকটি প্রতিমা ভাংচুর করা হয়েছে। এব্যাপারে উজ্জল ঘোষের বাবা বাবুলাল ঘোষ বাদি হয়ে ১৫ জনকে আসামি করে আশাশুনি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ০৫, তাং ০৭(৯)১৭।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রাম রহিম যৌন উন্মাদ -স্বাস্থ্য পরীক্ষক চিকিৎসক দল

দুই নারী ভক্তকে ধর্ষণের দায়ে ২০ বছরের কারাদণ্ড পাওয়া ভারতের কথিত ধর্মগুরু গুরমিত রাম রহিমের ভয়ংকর রকমের যৌনাসক্তি রয়েছে। তাঁর এই সমস্যার চিকিৎসা সম্ভব বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।

ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত শনিবার রোহতকের কারাগারে রাম রহিমের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন একদল চিকিৎসক। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ওই চিকিৎসক দল এ তথ্য জানিয়েছেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, কারাগারে থাকা রাম রহিম চিকিৎসকদের জানিয়েছেন, কারাগারে শারীরিকভাবে তিনি খুব অস্বস্তি ও অস্থিরতায় ভুগছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে চিকিৎসক দলের একজন বলেন, ‘রাম রহিম একজন যৌন উন্মাদ ব্যক্তি। কারাগারে শারীরিক সংসর্গ করার কোনো ব্যবস্থা না থাকায় তিনি অস্থির। যদি এখনই তাঁর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে তাঁর বড় ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হবে।’

প্রতিবেদনে বলা হয়, রাম রহিম মাদকাসক্ত কি না, এ ব্যাপারে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বেশ কিছু প্রতিবেদনে জানা গেছে, ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত তিনি মদ্যপান করতেন।

রাম রহিমের ডেরার সাবেক সদস্য গুরুদাস সিং তুর দাবি করেন, ‘রাম রহিম এখন মদ্যপান করেন না। তবে তিনি নিয়মিত এনার্জি ড্রিংক ও যৌন উত্তেজক পানীয় খেতেন; যা অস্ট্রেলিয়াসহ অন্য দেশ থেকে নিয়ে আসা হতো।’

রায় ঘোষণার সময় আদালতে গুরমিত রাম রহিম নিজেকে নপুংসক বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, ‘১৯৯০ সাল থেকে আমি শারীরিকভাবে অক্ষম, নপুংসক। আমার পক্ষে কাউকে ধর্ষণ করা সম্ভব নয়।’

এ প্রসঙ্গে সিবিআইকে দেওয়া জবানবন্দিতে গুরুদাস সিং তুর বলেন, ‘তিনি মিথ্যাবাদী, তিনি নপুংসক নন। ১৯৯০ সালে তিনি যখন ডেরার প্রধান হন, তখন তাঁর ছেলের বয়স কয়েক মাস। মানুষ যখন তাঁর পুরুষত্ব পরীক্ষা দাবি জানিয়েছিলেন, তখন তিনি কথা ঘুরিয়ে বলেছিলেন যে শুধু স্ত্রীর সঙ্গেই তাঁর শারীরিক সম্পর্ক রয়েছে। তিনি আদালতকে ভুল পথে চালিত করার চেষ্টা করেছিলেন।’

প্রতিবেদনে বলা হয়, কারাগারে যাওয়ার সময় পালিত কন্যা হানিপ্রীতের সঙ্গে জেলে রাত্রিবাস করার আবেদন করেছিলেন রাম রহিম। তিনি দাবি করেছিলেন, হানি তাঁর ফিজিওথেরাপিস্ট। তবে সেই আবেদন খারিজ করে দেয় কারা কর্তৃপক্ষ। পরে কারাগারে যাঁদের সঙ্গে রাম রহিম নিয়মিত দেখা করতে চান, এমন ১০ জনের তালিকায় স্ত্রী হরজিৎ কৌরের বদলে হানিপ্রীতের নাম দিয়েছিলেন তিনি।

রাম রহিম কারাগারে যাওয়ার পর থেকে হরিয়ানায় সিরসার ডেরায় নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। সেখানে অভিযানের শুরুর দিকে বিপুল পরিমাণ কনডম ও জন্মনিরোধক ওষুধ জব্দ করা হয়। ডেরার ভেতরে সাধ্বী হোস্টেলে রাম রহিমের সরাসরি যাতায়াত ছিল। ওই যাতায়াতের জন্যই দুটি গোপন সুড়ঙ্গ তৈরি করা হয়েছিল। শনিবার ডেরার ‘গুফা’ থেকে সাধ্বী হোস্টেল পর্যন্ত একটি গোপন সুড়ঙ্গের সন্ধান পাওয়া যায়। এ ছাড়া তাঁর ডেরায় পানির নিচে গোপন ‘সেক্স কেভ’ বা ‘যৌন গুহার’ সন্ধান পেয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ডেরার প্রাসাদ চত্বরে যে সুইমিং পুল রয়েছে, তার নিচেই ওই ‘যৌন গুহা’ গড়ে তুলেছিলেন ডেরাপ্রধান রাম রহিম। গোপন গুহায় নারীদের নিয়ে অনৈতিক কার্যকলাপ করতেন তিনি। শুক্রবার রাম রহিমের ডেরায় শত শত আধা সামরিক বাহিনীর সদস্য, সরকারি কর্মকর্তা, পুলিশ ও ভিডিও চিত্র সাংবাদিকের বিশাল একটি দল অভিযান চালিয়ে এই গুহার সন্ধান পায়।

গত ২৫ আগস্ট দুই নারী ভক্তকে ধর্ষণের অভিযোগে করা দুটি মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয় রাম রহিমকে। এরপর নেওয়া হয় রোহতক শহর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরের সানোরিয়া কারাগারে। এতে রাম রহিমের সমর্থকেরা পঞ্চকুলা এলাকায় তাণ্ডব শুরু করেন। পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষে ৩১ জন নিহত ও ২৫০ জন আহত হন। পরে ২৮ আগস্ট রাম রহিমকে দুটি মামলায় ১০ বছর করে ২০ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন সিবিআই আদালত।

সূত্র : প্রথম আলো অনলাইন।

 

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আগামী নির্বাচনে আমরা সাতক্ষীরাবাসীর ভোট চাইতে পারব তো – মো. মিজানুর রহমান

সাতক্ষীরার মানুষ নৌকায় ভোট দেওয়ার জন্য অপেক্ষায় আছে । একজন সরকারি দলের নেতা হিসাবে হয়ত বা আমার প্রকাশ্যে এরকম লেখাটা যথার্থ নয়। কিন্তু সাধারণ জনগণকে নিয়েইতো আমাদের রাজনীতি। আমরা জানি , ২০১৮ সালের ডিসম্বরে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু সাতক্ষীরার সাধারণ মানুষকে যে সরকারে উপর ক্ষেপিয়ে তোলা হচ্ছে সেটা গ্রামের বিভিন্ন চায়ের দোকানের আড্ডা থেকে বোঝা যায় । সাতক্ষীরা শহরের প্রধান সড়কটি গত কয়েক বছর ধরে যে খারাপ অবস্থায় ছিল তা এবছর চরম বাজে অবস্থায় পৌঁছেছে। এর সাথে যোগ হয়েছে বিদ্যুৎ বিভ্রাট। সাতক্ষীরা পল্লীবিদুৎ এর খামখেয়ালিপনায় গত কয়েক দিনে লক্ষ করলে দেখা যায় যে, গ্রামে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৬ থেকে ৭ ঘণ্টার বেশি বিদ্যুৎ পাচ্ছে না। ভাদ্রের এই গরমে মানুষের কষ্ট দেখার যেন কেউ নেই।
আর আছে পুলিশের চরম হয়রানি, গ্রেপ্তার বাণিজ্য। প্রতিবাদ করার মত সাহসী নেতা সাতক্ষীরায় নেই বলে মনে হয়। এসকল বিষয়গুলো নিয়ে সাতক্ষীরার সাধারণ জনগনণর মাঝে সরকারের বিরুদ্ধে বিরুপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হচ্ছে। অথচ বিগত কয়েক বছরে আমাদের নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে উন্নয়নের এক অসামান্য মডেল হিসেবে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতে পেরেছেন। তার নেতৃত্ব বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হচ্ছে। স্বাধীনতার পরে বাংলাদেশের এত অগ্রগতি আর কেউই করতে পারেননি। দেশের অর্থনীতি নানাবিধ প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও দুর্ঘটনার মধ্যে এক অনন্য উচ্চ শিখরে পৌঁছেছে। কিন্তু, আমার সাতক্ষীরাার মানুষের কাছে জবাব দিতে পারছিনা, রাস্তাঘাট, বিদ্যুৎ আর পুলিশি হয়রানির কারণে। সুতারাং এখুনি এই সকল বিষায়ের সুস্থ সমাধান না করতে পারলে আগামীতে ভোট চাইতে গেল ভোটের পরিবর্তে আমাদের সাধারণ ভোটারদের গালাগালি শুনতে হবে।

লেখক: সভাপতি, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কুলিয়ায় যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত

কেএম রেজাউল করিম : দেবহাটার কুলিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের ১ ও ৩ নং ওয়ার্ড কমিটির ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বিকাল সাড়ে ৪টায় বহেরা বাজারে উক্ত সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে কুলিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মোশারাফ হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি রুহুল কুদ্দুস। প্রধান বক্তা ছিলেন উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান মিন্নুর। বিশেষ অতিথি ছিলেন কুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক বাবু বিধান চন্দ্র বর্মন। বিশেষ বক্তা ছিলেন উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বাবু বিজয় ঘোষ। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাফিজুল ইসলাম হাফিজ, পারুলিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রাসেল আহমেদ, কুলিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আবজাল হোসেন প্রমূখ। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন কুলিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
খুলনার বিভাগীয় কমিশনার আ. সামাদ নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব হলেন

ডেস্ক রিপোর্ট : খুলনার বিভাগীয় কমিশনার ও সাতক্ষীরার সাবেক জেলা প্রশাসক মো: আবদুস সামাদকে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব হিসেবে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।

রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে আজ এ সংক্রান্ত এক আদেশ প্রদান করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, মো. আব্দুস সামাদ সাতক্ষীরায় জেলা প্রশাসক হিসেবে সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। খুলনার বিভাগীয় কমিশনার হিসেবেও তিনি সুনাম অক্ষুণ্ণ রেখে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। তার ভিক্ষুকমুক্তকরণ কর্মসূচি সর্বমহলে প্রশংসিত হয়েছে। তিনি একাধারে একজন কবি ও লেখক। শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতির পৃষ্টপোষক হিসেবে তার বিশেষ সুনাম রয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের কোটি কোটি টাকা পিতার নামের প্রতিষ্ঠানে নিচ্ছেন সেই মাহবুব

নিজস্ব প্রতিবেদক : জেলা পরিষদের আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে পরিচালিত হচ্ছে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ধুলিহরে মুক্তিযোদ্ধা চেয়ারম্যান স. ম আব্দুর রউফ কমপ্লেক্স ও এতিমাখানা। জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত এসএম মাহবুবুর রহমান একই স্থানে ২৭ বছর কাজ করার সুবাদে পেশি শক্তিকে ব্যবহার করে তিনি তার বাবার নামে এ প্রতিষ্ঠান তৈরি করে জেলা পরিষদ থেকে নেওয়া ও প্রকল্প বরাদ্দ বাবদ কয়েক কোটি টাকা শিক্ষক- কর্মচারিদের বেতন, শিক্ষার্থীদের বোর্ডিং খরচ ও অবকাঠামো উন্নয়নের নামে বেআইনিভাবে এসব টাকা অপচয় করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, জেলা পরিষদ আইন ২০০০ এর ২৭(৩) ধারা মোতাবেক প্রথম তফশীলের দ্বিতীয় অংশ ঐচ্ছিক কার্যাবলীর (গ) ২৬ মোতাবেক ২০১৩ সালের ৮ মে ও ৮ জুলাই অনুষ্ঠিত জেলা পরিষদের সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ি ৪৮(২) গ ধারার বিধান রেজিষ্ট্রি দলিল মূলে উক্ত প্রতিষ্ঠানের স্থাবর সম্পত্তি জেলা পরিষদে দান গ্রহণ পূর্বক উহা জেলা পরিষদের নিজস্ব প্রতিষ্ঠান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। রেজিষ্ট্রেশন পরবর্তী উক্ত প্রতিষ্ঠানের অস্থাবর সম্পত্তি সমূহ জেলা পরিষদ কর্তৃক গ্রহণ করা হয়। সেই থেকে উক্ত প্রতিষ্ঠানটি সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের নিজস্ব মালিকানায় ও অর্থায়নে পরিচালিত হচ্ছে।
এ দিকে জেলা পরিষদ থেকে সংগৃহীত আব্দুর রউফ কমপ্লেক্স ও এতিমখানা সম্পর্কিত কাগজপত্র ও চলতি বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটির পরিদর্শণ প্রতিবেদনের বিভিন্ন অংশে ভিন্নতা থাকায় জেলা পরিষদের টাকা তছরুপের বিষয়টি জেলাব্যাপি আলোড়ন তুলেছে।
চলতি বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের নব নির্বাচিত সদস্য মীর জাকির হোসেন, শিল্পী রানী মহালদার ও সৈয়দ আমিনুর রহমান স্বাক্ষরিত সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের মালিকানাধীন‘ মুক্তিযোদ্ধা চেয়ারম্যান স.ম আব্দুর রউফ কমপ্লেক্স ও এতিমখানা’ সরেজমিন পরিদর্শণ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, প্রতিষ্ঠানটি ২০০৮ সালে প্রাথমিকভাবে স্থাপিত হয় ও ২০১৩ সালে জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সমাজসেবা অধিদপ্তরের নিবন্ধন(সাত- ১১৭৭/২০১৩) লাভ করে। ওই প্রতিষ্ঠানে দানপত্রের মাধ্যমে এক একর ২৩ শতক জমি দেখানো হয়।
এদিকে গত পহেলা আগষ্ট জেলা পরিষদের প্রধান নির্বার্হী এ.এন.এম মঈনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত কাগজপত্র থেকে জানা গেছে ২০১২ সালে আব্দুর রউফ কমপ্লেক্স ও এতিমখানার কার্যক্রম শুরু হয়। ২০১৩ সালের ১১ নভেম্বর সাতক্ষীরা সদর সাব রেজিষ্ট্রি অফিসের ৪৮৮০নং দানপত্র দলিলমুলে সাড়ে ২০ শতক জমি জেলা পরিষদে দান করেন আব্দুর রউফ কমপ্লেক্সের পক্ষে ওই প্রতিষ্ঠানের সভাপতি এসএম মাহবুবুর রহমান। এ ছাড়া আরো ছয়জন দাতা মিলে এক একর আড়াই শতক জমি দান করেছেন উল্লেখ করলেও তার কোন দলিল পত্র হদিস মেলেনি। এমনকি ৪৮৮০ নং দলিলমুলে যে সাড়ে ২০ শতক জমি হস্তান্তর দেখিয়ে ২৮৩৬/৪ যে নামপত্তন জারি করা হয়েছে তাতে এসএ দাগ ৭৪৩০ দেড় শতক ও ৭৪৩০ এবং ৭৪৩২ দু’টি দাগে সাড়ে ছয় শতক মিলে মোট আট শতক জমি মাহাবুবর রহমানের নামে নামপত্তন দেখানো হয়েছে। এসএ ৭৪৩০ দাগটি বর্তমান জরিপে ১০৮৬৪ দাগের মোট ৬৪ শতক সম্পত্তির মধ্যে দানকৃত সম্পত্তি সাড়ে ১৬শতক কবরস্থান। বর্তমান জরিপে এসএ ৭৫২৩ দাগটি বর্তমান জরিপে ১০৮৫৯ দাগের মোট ৯৪ শতক সম্পত্তির মধ্যে দানকৃত সম্পত্তি সাড়ে ৪শতক ডাঙা। কিন্তু উক্ত চার শতক সম্পত্তির মালিক ধুলিহরের জনৈক আবুল কাশেম ও রাশিদা খাতুনের। সুতরাং এটা থেকে প্রমাণিত হয় যে উক্ত সম্পত্তি জেলা পরিষদের নামে দান দেখানো হলেও তার কোন বাস্তবতা খুঁজে পাওয়া যায় না।
অপরদিকে গত ১৯ ফেব্রুয়ারির পরিদর্শণ প্রতিবেদনে আব্দুর রউফ কমপ্লেক্স ও এতিমখানার নামে মোট জমির পরিমান এক একর ২৩ শতাংশ দেখানো হয়েছে। অথচ গত পহেলা আগষ্ট জেলা পরিষদ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ি ওই প্রতিষ্ঠানের জমির পরিমান দু’ একর ১৯ শতাংশ। যার কাগজপত্রের কোন বাস্তবতা মেলেনি। অথচ জেলা পরিষদ উক্ত প্রতিষ্ঠানের ব্যয়ভার চালানোর লক্ষ্যে প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা ও ওই প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন প্রকল্প দেখিয়ে দু’ কেটি ১৬ লাখ ৪৫ হাজার টাকা অনুমোদন দিয়েছেন। অন্যদিকে পরিদর্শন প্রতিবেদনে অবকাঠামো ব্যয় দু’ কোটি ৩৮ লাখ টাকা দেখানো হয়েছে।
গত ১৯ ফেব্রুয়ারির পরিদর্শণ প্রতিবেদন অনুযায়ি মতামত কলামে প্রতিষ্ঠান কর্তৃক পরিচালিত সকল ব্যাংক হিসাব বন্ধ করতঃ অন্যান্য সকল আয় জেলা পরিষদ তহবিলে জমা প্রদানের ব্যবস্থার নিমিত্তে আলাদা একটি ব্যাংক হিসাব খোলার সুপারিশ করা হয়। কিন্তু জেলা পরিষদ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ি গত ২২ ফেব্রুয়ারি সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক উক্ত প্রতিষ্ঠানের আয়ের অর্থ জমা রাখার জন্য‘ ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিঃ’ সাতক্ষীরা শাখায় হিসাব নং- ০১৪৬১২২০০০২০১৯৪ খোলা হয়েছে। যা’ জেলা পরিষদের নামে নয়। এ ছাড়া আব্দুর রউফ কমপ্লেক্ষ ও এতিমখানার আয়-ব্যয় জেলা পরিষদকে দেওয়া হয় না।
উক্ত প্রতিষ্ঠানটি জেলা পরিষদের মাধ্যমে পরিচালিত হলেও শিক্ষক -কর্মচারি নিয়োগের ক্ষেত্রে কোন সরকারি নিয়ম নীতি অনুসরণ করা হয়নি। আবার জেলা পরিষদ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ি শিক্ষক কর্মচারিদের বেতন নো ওয়ার্ক নো পে অনুযায়ি প্রদান করা হচ্ছে।
উক্ত প্রতিষ্ঠানে শুধুমাত্র ছাত্রদের শিক্ষা দেওয়া হয়। জেলা পরিষদ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ি মাটিয়াডাঙা ও ধুলিহর গ্রাম থেকে ২০ জন করে ছাত্র ভর্তি দেখানো হয়েছে। এবং মোট ছাত্র ২২০ জন দেখানো হলেও বাস্তবে এ সংখ্যা অনেক কম।
২০১৩ সালে শুরু থেকে চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত জেলা পরিষদ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ি শিক্ষক, কর্মচারির বেতন ও ছাত্রদের বোর্ডিং খরচ বাবদ এক কোটি দু’ লাখ সাত হাজার ১৪৬ টাকা দেখানো হয়েছে। কিন্তু গত ১৯ ফেব্রুয়ারির পরিদর্শন প্রতিবেদন অনুযায়ি তার পরিমান এক কোটি ৫৭ লাখ ৭৮ হাজার ৮৭৬ টাকা। অর্থাৎ তিন মাস ১২ দিনে শিক্ষক কর্মচারিদের বেতন ও শিক্ষার্থীদের বোডিং খরচ তো লাগেই নি বরং জেলা পরিষদের দেওয়া পরিসংখ্যান পরিদর্শণ প্রতিবেদনের চেয়ে ৫৫ লাখ টাকা কম দেখানো হয়েছে যা ’ পুকুর চুরির সামিল।
স্থানীয় সরকার ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, আব্দুর রউফ কমপ্লেক্সে ও এতিমখানার কর্মকা- জেলা পরিষদের আইন অনুযায়ি পরিচালিত হচ্ছে এটা বলা যাবে না। সেখানে মানা হয় না কোন সরকারি নির্দেশনা। তাই এ প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য সরকার কর্তৃক কোন নির্দেশনা পরিলক্ষিত হয় না। সেকারণে জেলা পরিষদ থেকে উক্ত প্রতিষ্ঠানের অনুকুলে বরাদ্দকৃত ও প্রকল্প অনুমোদন বাবদ সকল টাকা নিয়ম বহির্ভুতভাবে প্রদান করা হচ্ছে বলে প্রতীয়মান হয়। তাই জনস্বার্থে এ ধরণের প্রতিষ্ঠানে সরকারি অর্থ বরাদ্দ অবলিম্বে বন্ধ করে দেওয়া উচিত।
এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এসএম মাহাবুবুর রহমানের সঙ্গে তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী এএনএম মঈনুল ইসলাম এ প্রতিবেদককে জানান, দীর্ঘ সময় ধরে আব্দুর রউফ কমপ্লেক্স ও এতিমখানাটি পরিচালিত হচ্ছে। তৎকালীন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও কর্মকর্তারা বিষয়টি আইন অনুযায়ী কাজ করেছেন। বর্তমানেও তা আইন অনুযায়ী পরিচালিত হচ্ছে বলে তিনি দাবি করেন। কবরস্থানের জমি হস্তান্তরযোগ্য দাবি করে তিনি বলেন, আব্দুর রউফ কমপ্লেক্স ও এতিমখানার পক্ষে ‘ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকে’ হিসাব খোলা হয়েছে তা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহীর নামে বলে জানান তিনি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
তালায় স্বামীর পরকীয়া জেরে গৃহবধুর আত্মহত্যা

তালা প্রতিনিধি : তালার মহান্দি গ্রামে লম্পট স্বামীর পরকীয়া প্রেমের খেসারত দিতে গৃহবধু বিষপানে আত্মহত্যা করেছে। রোববার গভীর রাতে মহান্দি স্বামীর বাড়িতে গৃববধু হাসিনা খাতুন (২২) বিষপান করে। হাসিনা’র ২ বছর বয়সী ফুটফুটে একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
একাধিক সূত্র জানায়, উপজেলার শুভাষিণী গ্রামের আব্দুল মান্নান এর মেয়ে হাসিনা খাতুনের সাথে ৩ বছর পূর্বে বিয়ে হয় একই উপজেলার মহান্দি গ্রামের মৃত. জলিল শেখ এর লম্পট ছেলে আকবর আলী শেখ এর সাথে। বিয়ের কিছু দিন পরপরই আকবর শেখ তাঁর শশুর বাড়ির এক আত্মীয়’র সাথে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। এই পরকীয়া প্রেম নিয়ে হাসিনা এবং আকবর শেখের মধ্যে প্রতিনিয়ত ঝগড়া হতো। রোববার রাতে অনুরুপ ঝগড়ার এক পর্যায়ে হাসিনা খাতুন বিষপান করে। বিষপানে হাসিনা মারা যাবার পর রাত ১ টা ৩০ মিনিটে তালা হাসপাতালে আনা হয়। সোমবার সকালে তালা থানা পুলিশ হাসপাতাল থেকে মৃত. হাসিনা খাতুনের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশাশুনি স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক বিল্টু

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ আশাশুনি উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদকের শূন্য পদে ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও জেলার নেতৃবৃন্দের মতামতের ভিত্তিতে চলতি কমিটির মেয়াদ পর্যন্ত আবু হেনা বিল্টুকে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হলো। সোমবার জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি শেখ মারুফ হাসান মিঠু ও সাধারণ সম্পাদক মীর মোস্তাক আলী স্বাক্ষরিত এক পত্রে তথ্য জানানো হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest