সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরায় প্রকাশ্যে চেতনানাশক স্প্রে করে এক নারীর গহনা ও মোবাইল ছিনতাইসাতক্ষীরায় উপকূলীয় এলাকায় ক্রীড়া উৎসব১২ নভেম্বরকে ‘উপকূল দিবস’ ঘোষণার দাবিসড়ক দুর্ঘটনায় আহত জামায়াতে ইসলামী সাতক্ষীরা জেলা সেক্রেটারিসাতক্ষীরা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির নির্বাচন : জামায়াত সমর্থিত ৫টি পদে বিজয়সাতক্ষীরায় মুক্তিযোদ্ধার সনদ জালিয়াতির অভিযোগে চাকুরিচ্যুত দুই শিক্ষক ভ্রাতা চাকুরি ফিরে পেতে মরিয়াসাতক্ষীরায় অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকদের দ্রুত এমপিওর জন্য মতবিনিময় Master Your Game with These Winning Strategies at Kyngs Casinoসাতক্ষীরার চারটি আসনই ধানের শীষে ভোট দিয়ে বিজয়ী করতে হবে – হাবিবুল ইসলামসাতক্ষীরা সদরের দত্তবাগ টাইগার ক্লাবের নাইট ক্রিকেট টুর্ণামেন্টের উদ্বোধন

নগ্ন দৃশ্যে অভিনয় করে তোপের মুখে জনি ডেপ!

জনি ক্রিস্টোফার ডেপ। হলিউডের অ্যাকশন সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা।
একাধারে তিনি একজন পরিচালক, প্রযোজক ও মিউজিসিয়ান। পাইরেটস অব ক্যারিবিয়ানে তার মনোমুগ্ধকর অভিনয় সবাইকে বিমুগ্ধ করেছিল। কিন্তু এবার ৫৪ বছর বয়সে নগ্ন দৃশ্যে অভিনয় করে তোপের মুখে পড়েছেন এ গোল্ডেন গ্লোব অ্যাওয়ার্ড জয়ী।

সম্প্রতি একটি মিউজিক ভিডিওতে নগ্ন হয়ে আবেদনময়ী দুই নারীর সঙ্গে বিছানার দৃশ্যে অভিনয় করেছেন জনি। আর তাই বেশ সমালোচিতও হয়েছেন এই হলিউড তারকা।

জনি অভিনীত ওই মিউজিক ভিডিও এর প্রায় প্রতিটি দৃশ্যই ছিল প্রচণ্ড উত্তেজনাপূর্ণ। এরকম ভিডিওটিতে সম্পূর্ণ পোশাকহীনভাবে জনি ডেপকে দেখার জন্য প্রস্তুত ছিলেন না অনেকেই। যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় রক সঙ্গিতশিল্পী মেরিলিন ম্যানশন এর একটি গানের ভিডিওতে এরকম বেপরোয়া নগ্ন ভিডিওর কারণেই বিতর্কিত হলেন এই হলিউড অভিনেতা।

জানা গেছে, মেরিলিন ম্যানশনের সঙ্গে জনি ডেপের বহু বছরের ঘনিষ্ট বন্ধুত্ব।
তিনি মূলত বন্ধুত্বের খাতিরেই ভিডিওটিতে অন্তর্বাসহীন দুই নারীর সঙ্গে ওই নগ্ন দৃশ্যে অংশ নেন।

নিজের সেই ‘কিল ফর মি’ (Kill4Me) গানটির মিউজিক ভিডিওটি সম্পর্কে মেরিলিন ম্যানশন বলেন, আমি এই ভিডিওটিকে শৈল্পিক ভাবে তুলে ধরারা চেষ্টা করেছি। তবে হ্যাঁ, এভাবে দুই-দুইটি নারীর সামনে এভাবে নগ্ন হতে গিয়ে আমি যেমন ইতস্তবোধ করেছি ঠিক তেমনি আমার বন্ধু জনি ডেপও বেশ লজ্জা পেয়েছিল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাদাসিধে কথা; স্বপ্ন এবং দুঃস্বপ্ন-ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল

শপিং মলের খোলা জায়গায় একটি সুন্দর বসার জায়গা। সেখানে তের চৌদ্দ বছরের একজন কিশোরকে নিয়ে তার মা বসে আছেন। মায়ের বয়স খুব বেশি নয়, চেহারার মাঝে মার্জিত রুচিশীলতার ছাপ রয়েছে। কিশোরটিরও বুদ্ধিদীপ্ত চেহারা। মা হাসি হাসি মুখে তার ছেলেটিকে বললেন, ‘বাবা, ঐ যে কাপড়ের দোকানটা দেখছিস?’

ছেলে বলল, ‘হ্যাঁ মা, দেখছি।’

‘ওখানে একজন মহিলা কেনাকাটা করছে দেখেছিস?

ছেলে মাথা নাড়ল। বলল, ‘হ্যাঁ মা, দেখছি।’

মা বললেন, ‘মহিলাটা তার ব্যাগ পাশে চেয়ারটার ওপরে রেখেছে’।

ছেলে মাথা নাড়ল। মা তখন বললেন, ‘তুই গিয়ে ঐ ব্যাগটা নিয়ে ছুটে চলে আয়’।

ছেলেটি একটু অবাক হয়ে বলল, ‘মানে ব্যাগটা চুরি করব?’

‘হ্যাঁ, হ্যাঁ চুরি করবি।’

‘তুমি আমার মা, তুমি আমাকে চুরি করতে বলছ?’

মা হাসি হাসি মুখে বলল, ‘তুই এত অবাক হচ্ছিস কেন? সবাই চুরি করে।’

‘যদি ধরা পড়ে যাই?’ সিসি ক্যামেরাতে ছবি উঠে যায়?’

‘ধরা পড়বি কেন? আর সিসি ক্যামেরাতে ছবি উঠলেও কোনো সমস্যা নেই। তোর বয়স কম। তোকে কেউ কিছু বলবে না। পত্রপত্রিকায় ছবি উঠলেও তোর মুখটা ঝাপসা করে রাখবে। কম বয়সী চোরদের চেহারা পত্রিকায় ছাপানোর নিয়ম নেই।’

মায়ের উৎসাহ পেয়ে বুদ্ধিদীপ্ত চেহারার কিশোরটি কাপড়ের দোকান থেকে মহিলাটির ব্যাগটি চুরি করে নিয়ে এল। ছেলেটি যখন মায়ের কাছে ফিরে এল, মা ছেলেটির মাথায় হাত বুলিয়ে বললেন, ‘বাবা, আজকে তোর চুরিতে হাতেখড়ি হলো।’

ছেলেটি হাসি মুখে বলল, ‘তুমি উৎসাহ দিয়েছ বলে পেরেছি।’

মা বললেন, ‘পরের বার বাসা থেকে বড় চ্যালা কাঠ নিয়ে আসব। তুই পিছন থেকে একজনের মাথায় মারবি। মানুষটা পড়ে গেলে তার হ্যান্ডব্যাগ, মানি ব্যাগ সব তুলে নিয়ে আসবি। পারবি না?’

ছেলেটি উজ্জ্বল চোখে বলল, ‘কেন পারব না মা? তুমি দোয়া করো আমার জন্য।’

মা ছেলের মাথায় হাত বুলিয়ে বললেন, ‘সব সময় দোয়া করি। একজন মা যদি সন্তানের জন্য দোয়া না করে তাহলে কে করবে?’

আমি জানি, পাঠকদের যারা এ পর্যন্ত পড়েছেন তারা নিশ্চয়ই খুব বিরক্ত হচ্ছেন। মা-সন্তানকে নিয়ে এরকম জঘন্য একটা কাহিনী তৈরি করেছি বলে অনেকে হয়তো আমাকে শাপ শাপান্ত করছেন।

আমি এবারে পাঠকদের আবার গল্পটা পড়তে বলব, এবারে যেখানে যেখানে ‘ব্যাগ চুরি’র কথা বলা হয়েছে সেখানে ‘প্রশ্ন ফাঁস’কথাটা ঢুকিয়ে দিতে হবে। (চুরি করা অন্যায়, প্রশ্ন ফাঁসও অন্যায়। এ দুইয়ের মাঝে বিশেষ কোনো পার্থক্য নেই)। হঠাৎ করে পাঠকরা আবিস্কার করবেন আমার গল্পে বিন্দুমাত্র অতিরঞ্জণ নেই।

আমাদের দেশের মা-বাবা কিংবা শিক্ষকরা নিজ হাতে তাদের সন্তানদের অন্যায় করার হাতেখড়ি দিচ্ছেন। বড় হয়ে যেন আরও বড় অন্যায় করতে কুণ্ঠিত না হয় তার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ পাবার পর যখন এ সব বাবা-মায়ের ছেলেমেয়ে গোল্ডেন ফাইভ পাবে তারা বন্ধু-বান্ধবের বাড়িতে মিষ্টি পাঠাবেন। চুরি করার মতো অন্যায় করা এখন রাষ্ট্রীয়ভাবে মেনে নেওয়া হয়েছে।

জেএসসি পরীক্ষার প্রশ্ন প্রত্যেক দিন ফাঁস হয়েছে। পত্রপত্রিকায় তার খবর বের হয়েছে। ছবি ছাপা হয়েছে। কিন্তু কোনো পুলিশ র‌্যাব মিলিটারি বিজিবি কাউকে ধরতে যায়নি। কোনো মোবাইল কোর্ট কাউকে বিচার করে শাস্তি দেয়নি। তের চৌদ্দ বছরের ছেলেমেয়েরা ফাঁস হয়ে যাওয়া প্রশ্ন দেখে নিয়মিত পরীক্ষা দিচ্ছে অথচ একটি রাষ্ট্রের কোনো মাথাব্যথা নেই, সবাই নিরাসক্তভাবে দেখছে এটি কেমন করে হতে পারে?

বেশ কয়েক বছর আগের ঘটনা। নিয়মিত প্রশ্ন ফাঁস হচ্ছে এবং সেটি নিয়ে কারও কোনো মাথাব্যথা নেই। পরীক্ষার আগে ছেলেমেয়েরা আমার কাছে ফাঁস হয়ে যাওয়া প্রশ্ন পাঠায়। পরীক্ষা হয়ে যাওয়ার পর তারা আমার কাছে আসল প্রশ্নটি পাঠায়, আমি অবাক বিস্ময়ে দেখি হুবহু মিলে যাচ্ছে। আমি এ অকাট্য প্রমাণ দেখিয়ে লেখালেখি করেছি কিন্তু কারাও ভেতরে কোনো চিত্তচাঞ্চল্য নেই। শেষে কোনো উপায় না দেখে আমি ঠিক করলাম। ‘প্রশ্ন ফাঁস মানি না মানব না’লিখে একটা প্ল্যাকার্ড নিয়ে প্রতিবাদ হিসেবে শহীদ মিনারে বসে থাকব।

আমার প্রতি মায়া দেখিয়ে আমার কয়েকজন বন্ধু-বান্ধব পরিচিত মানুষ এবং বুয়েট ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অল্প কিছু ছেলেমেয়ে আমার সঙ্গে ছিল। (মজার কথা, আমি যে প্ল্যাকার্ডটি নিয়ে বসেছিলাম তার বক্তব্য একটু পরিবর্তন করে আমার একটা ছবি নেটওয়ার্কে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল) পরে শুনেছি আরও কিছু ছেলেমেয়ে শহীদ মিনারে আসতে চেয়েছিল কিন্তু তাদের ভয় দেখানো হয়েছিল বলে তারা সাহস করে আসেনি! টেলিভিশনের অনেক চ্যানেল এসেছিল তারা নিশ্চয়ই অল্পবিস্তর প্রচারও করেছিল।

তার ফলে কিছুদিনের ভেতরে তদন্ত কমিটি হলো, তারা তদন্ত করলেন, বড় বড় সরকারি কর্মকর্তা আমার বাসাতেও এসে আমার বক্তব্য শুনে গেলেন। সমস্যাটা সমাধানের পথ খুঁজে বের করার জন্য দেশের বড় শিক্ষাবিদদের নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী সচিবালয়ে একটা মিটিং ডাকলেন।

মিটিংয়ের এজেন্ডাতে ‘প্রশ্ন ফাঁস’কথাটি নেই, সামগ্রিকভাবে শিক্ষাব্যবস্থার সমস্যার কথা বলা হয়েছে। তাই খুবই স্বাভাবিকভাবে দেশের বড় বড় বর্ষীয়ান শিক্ষাবিদরা সামগ্রিক শিক্ষাব্যবস্থার সমস্যা নিয়ে আলোচনা শুরু করলেন।

দেশের বড় শিক্ষাবিদরা রিটায়ার করার পর প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি হয়ে যান তাই কিছুক্ষণের মাঝেই আলোচনা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যার দিকে মোড় নিল। আমি ততক্ষণে বুঝে গিয়েছি প্রশ্ন ফাঁসের ব্যাপারটা চাপা পড়ে গিয়েছে। বড় বড় শিক্ষাবিদ যারা এসেছেন তাদের কাছে এটি প্রশ্ন ফাঁস গুরুত্বপূর্ণ কোনো ইস্যু নয়। আমি ততক্ষণে ঠিক করে নিয়েছি কোনো কথা না বলে বিদায় নেব।

মিটিংয়ের শেষের দিকে শিক্ষামন্ত্রী মহোদয় নিজে আমাকে কিছু বলতে অনুরোধ করলেন। আমি কিছু বললাম, অন্যরাও কিছু বললেন, আলোচনা শেষ। তখন কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল এতদিন পর আমার আর সেটি মনে নেই, কিন্তু এটুকু সবাই জানে যে সমস্যাটির সমাধান হয়নি। এখনও নিয়মিতভাবে প্রশ্ন ফাঁস হয়ে যাচ্ছে। ফাঁস হয়ে যাওয়া প্রশ্ন দেখে পরীক্ষা দেওয়া অন্যায়। সারা পৃথিবীতে অন্যায় কাজ করা হয় গোপনে, শুধু আমাদের দেশে এটি করা হয় প্রকাশ্যে। কী লজ্জা! কী লজ্জা!

প্রশ্ন ফাঁসের ব্যাপারটি আমাকে যেটুকু আহত করে তার থেকে বেশি আহত করে এ পুরো ব্যাপারটি নিয়ে দেশের বড় বড় মানুষের নির্লিপ্ততা। এ দেশে কত শিক্ষক, শিক্ষক সংগঠন, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর, ভাইস চ্যান্সেলর, কোর্ট, হাইকোর্টের বিচারপতি, সাংবাদিক, সম্পাদক, কত পুলিশ, র‌্যাব, মিলিটারি, কত সংসদ সদস্য, মন্ত্রী, কত বুদ্ধিজীবী, কত রাজনৈতিক নেতা। কিন্তু কেউই জোর গলায় এর প্রতিবাদ করছে না।

একটা জাতির জন্য এটা যে কত বড় একটা বিপর্যয় সেটা কি কেউ ভেবে দেখেছে? এ দেশের একটা শিশু বড় হচ্ছে অন্যায় করতে শেখে! পুলিশ কাউকে ধরতে পারে না, অথচ আমার কাছে স্কুলের শিশুরা নিয়মিত চিঠি লিখে জানায় কে কোন সেন্টারে পরীক্ষা দিচ্ছে সেই সেন্টারের কোন শিক্ষক কীভাবে কোন স্কুলের ছেলেমেয়েদের কাছে প্রশ্ন ফাঁস করে দিচ্ছেন, তার উত্তর বলে দিচ্ছেন।

একটা স্কুলের বাচ্চারা যে অপরাধীদের চেনে এ দেশের পুলিশ মিলিটারি র‌্যাব মিলে সেই অপরাধীদের ধরতে পারে না এটা আমি কেমন করে বিশ্বাস করি? তাই আমাকে মেনে নিতেই হচ্ছে যারা প্রশ্ন ফাঁস করছে তাদের ধরার ব্যাপারে কারও কোনো আগ্রহ নেই।

একেবারে প্রথম দিন থেকে আমি যে কথাটা বলে আসছি এখনও আমি সেই একই কথা বলছি! একটা সমস্যা সমাধান করতে হলে প্রথমে সমস্যাটা বুঝতে হয়। সমস্যাটা বুঝতে পারলেই সমস্যার অর্ধেক সমাধান হয়ে যায়। কিন্তু সেই সমস্যাটা যদি কেউ বুঝতেই না পারে তাহলে তার সমাধানটা হবে কেমন করে? প্রশ্ন ফাঁসের সমস্যা সমাধানটা হচ্ছে না ঠিক এ কারণে। সেটা এখন পর্যন্ত কেউ সমস্যাটা বোঝার পর্যায়েই যায়নি।

কেমন করে যাবে? তাহলে স্বীকার করতে হবে প্রশ্নটা ফাঁস হয়েছে। কেমন করে স্বীকার করবে প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে? তাহলে পরীক্ষাটি বাতিল করতে হবে। কাজেই কখনই ঘোষণা দিয়ে স্বীকার করা হয়নি প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে। যেহেতু প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে বলা হয়নি তাই যারা প্রশ্ন ফাঁস করেছে তাদের অপরাধী বলার সুযোগ নেই। বরং আমি উল্টোটা হতে দেখেছি, যখন কেউ প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে বলে চিৎকার করেছে তখন তাকেই গুজব ছড়ানোর অভিযোগে শাস্তি দেয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে।

অথচ খুব সহজে প্রশ্ন ফাঁস বন্ধ করা সম্ভব। শুধু শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ঘোষণা দিতে হবে, ‘যা হওয়ার হয়েছে, এ দেশের মাটিতে ভবিষ্যতে আর কখনও প্রশ্ন ফাঁস হবে না।’কিন্তু আমি অনেকবার অনুরোধ করেও তাদের মুখ থেকে ঘোষণাটি বের করতে পারিনি। অথচ আমি নিশ্চিতভাবে জানি এ সমস্যা সমাধান করা সম্ভব। এ দেশের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে আগ্রহ আছে, ভালোবাসা আছে এ রকম অসংখ্য মানুষ রয়েছেন, প্রযুক্তিবিদ রয়েছেন, অসংখ্য তরুণ তরুণী আছে যারা সাহায্য করার জন্য প্রস্তুত।

শুধু তাদের সাহায্য নিতে হবে। যখন দেশে বন্যা হয়, ঘূর্ণিঝড় হয় তখন দেশের সব মানুষ সাহায্য করার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ে। সমস্যাটি বন্যা ঘূর্ণিঝড় থেকেও বড় বিপর্যয়। এর সমাধানে দেশের মানুষ এগিয়ে আসবে না আমি বিশ্বাস করি না।

আমি এ লেখাটি আশার কথা দিয়ে শেষ করতে চাই। আমি আশাবাদী মানুষ, দেখেছি জীবনে আমার কোনো আশাই বিফলে যায়নি।

কয়েক বছর আগের কথা। একটি মেয়ে আমাকে ই-মেইল পাঠিয়েছে। খুবই মন খারাপ করা ই-মেইল। সে লিখেছে তার আশপাশে যত ছেলেমেয়ে আছে তারা সবাই ফাঁস হয়ে যাওয়া প্রশ্ন দেখে দেখে পরীক্ষা দিয়েছে। এ মেয়েটি কখনও কোন প্রশ্ন দেখেনি কারণ সে পণ করেছে অন্যায় করবে না, ফাঁস হয়ে যাওয়া প্রশ্ন দেখবে না। কাজেই সবার পরীক্ষা খুব ভালো হচ্ছে, যে প্রশ্নে পরীক্ষা দেবে সেই প্রশ্ন আগে থেকে জানা থাকলে পরীক্ষা ভালো না হয়ে উপায় কী?

মেয়েটি তার ই-মেইলে লিখেছে সবার পরীক্ষা খুবই ভালো হচ্ছে তার পরীক্ষা সে রকম ভালো হয়নি। বিশেষ করে পদার্থবিজ্ঞানের পরীক্ষাটি বেশি খারাপ হয়েছে কারণ প্রশ্নটি বাড়াবাড়ি কঠিন হয়েছে। পরীক্ষার খবর দেওয়ার পর মেয়েটি লিখেছে যেহেতু তার এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল যথেষ্ট ভালো হবে না তাই সম্ভবত সে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ারই সুযোগ পাবে না। যেহেতু কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারবে না তাই তাকে হয়তো কোনো কলেজে যেনতেনভাবে লেখাপড়া শেষ করে একটি প্রাইমারি স্কুলে মাস্টারি করে বাকি জীবন কাটিয়ে দিতে হবে। তার স্বপ্ন দেখা শেষ।

মেয়েটির ই-মেইলের উত্তরে তাকে আমি সান্ত্বনা দিয়ে কী লিখব বুঝতে পারছিলাম না, কারণ সে যে কথাগুলো লিখেছে সেটি সত্যি। ‘কোনোভাবে অন্যায় করব না’পণ করার কারণে এ দেশে একটি ছেলে বা মেয়ের জীবনে বিপর্যয় নেমে আসতেই পারে! অনেক চিন্তা করে আমি মেয়েটিকে লিখলাম, প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক হয়ে বাকি জীবন কাটিয়ে দেওয়া নিয়ে তুমি মন খারাপ করো না।

আমিও ঠিক করেছি রিটায়ার করার পর প্রত্যন্ত কোনো গ্রামে একটা প্রাইমারি স্কুল খুঁজে বের করে সেখানে মাস্টারি করে জীবন কাটিয়ে দেব। তুমি আর আমি মিলে একই স্কুলে মাস্টারি করব, সমস্যা কী? আমার এ উত্তরে কাজ হলো, বুঝতে পারলাম সে মহাখুশি! প্রাইমারি স্কুলে মাস্টারি করার জন্য তখন আমরা দু’জনেই মানসিক প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছি।

তারপর অনেক দিন কেটে গেছে। হঠাৎ একদিন সেই মেয়েটির আরেকটি ই-মেইল এসেছে। সেখানে সে লিখেছে, ‘স্যার, আমি শেষ পর্যন্ত বেশ কয়েকটা ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পেয়েছি। মজার কথা কী জানেন, আমি যতগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিয়েছি সবগুলোতে চান্স পেয়েছি।

আর আমার পরিচিত বন্ধুবান্ধব যারা ফাঁস হয়ে যাওয়া প্রশ্নে পরীক্ষা দিয়ে অনেক ভালো রেজাল্ট করেছিল তাদের কেউ কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পায়নি!

আমার সঙ্গে সেই মেয়েটির প্রাইমারি স্কুলে মাস্টারি করার পরিকল্পনাটা সম্ভবত আপাতত স্থগিত হয়ে আছে। কিন্তু আমি খুব খুশি হয়েছি দুই কারণে। প্রথমত ফাঁস হয়ে যাওয়া প্রশ্নে পরীক্ষা দিয়ে পরীক্ষার ফলাফল হয়ত ভালো করা যায় কিন্তু তাতে জীবনের কোনো লাভ হয় না সেটি খুব ভালোভাবে প্রমাণিত হলো। দ্বিতীয়ত অন্যায় না করে মাথা উঁচু করে থাকার মাঝে বিশাল একটা মর্যাদার ব্যাপার আছে সেটিও সবাইকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখানো সম্ভব হলো।

আমি আশা করে আছি আমাদের দেশের সব ছেলেমেয়ে এরকমভাবে মাথা উঁচু করে থাকবে এবং এই ছেলেমেয়েদের উঁচু করে থাকা মাথাকে ভূলুণ্ঠিত করার জন্য যেন কোনো কোচিং সেন্টার, কোনো শিক্ষক কিংবা কোনো দায়িত্বহীন অভিভাবক তাদের ধারে-কাছে আসতে না পারে।

যদি এইটুকু আমরা নিশ্চিত করতে না পারি তাহলে দেশকে নিয়ে স্বপ্ন দেখব যেমন করে? আমরা তো দুঃস্বপ্ন দেখতে চাই না, স্বপ্ন দেখতে চাই।

কথাসাহিত্যিক; অধ্যাপক, শাবিপ্রবি

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
জীবনানন্দের ‘লাবণ্য’ জয়া

কবি জীবনানন্দ দাশের স্ত্রী লাবণ্য দাশের চরিত্রে অভিনয় করছেন জয়া আহসান। ছবির নাম ‘ঝড়া পালক’। বর্তমানে ছবিটির শুটিং নিয়ে ব্যস্ত আছেন বলে এনটিভি অনলাইনকে জানিয়েছেন জয়া।

কলকাতার আহিরীটোলায় ছবিটির শুটিং হচ্ছে। কবি জীবনানন্দ দাশের জীবনীভিত্তিক চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করছেন সায়ন্তন চট্টোপাধ্যায়।

ছবিতে আরো অভিনয় করছেন কলকাতার অভিনেতা ব্রাত্য বসু ও রাহুল। ছবিটিতে জীবনানন্দ দাশের দুটি বয়সের চরিত্রে তাঁরা অভিনয় করছেন। এ ছাড়া অভিনয় করছেন চান্দ্রেয়ী ঘোষ, দেবশঙ্কর হালদার প্রমুখ।

কলকাতার এক গণমাধ্যমে পরিচালক সায়ন্তন চট্টোপাধ্যায় জানান, ব্রাত্য বসুর সঙ্গে জীবনানন্দ দাশের অসম্ভব মিল রয়েছে। পাশাপাশি দুজনের ছবি রাখলে তাঁর এমনটিই মনে হয়।

অন্যদিকে, লাবণ্য দাশের চরিত্রে বাংলাদেশের জয়া আহসানকে উপযুক্ত মনে করেছেন তিনি।

ছবিটির বেশিরভাগ শুটিং কলকাতার বিভিন্ন লোকেশনে হবে। তবে বাংলাদেশে জীবনানন্দ দাশের বাড়ি বরিশালেও কিছু দৃশ্যের শুটিং হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে জানান পরিচালক সায়ন্তন চট্টোপাধ্যায়।

‘ভাওয়াল সন্ন্যাসী’ নামে আরো একটি ছবিতে সম্প্রতি চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন জয়া। ছবিটি কলকাতার জনপ্রিয় পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায় পরিচালনা করবেন। ছবির শুটিং বাংলাদেশের গাজীপুরে হওয়ার কথা রয়েছে।
বাংলাদেশে গত সেপ্টেম্বরে সর্বশেষ জয়া আহসানের ‘খাঁচা’ ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল। প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হকের ‘খাঁচা’ গল্প অবলম্বনে ছবিটি নির্মাণ করেছিলেন আকরাম খান। ছবিতে জয়ার ‘সরোজিনী’ চরিত্রটি সর্বমহলে প্রশংসিত হয়।

জয়া আহসান বাংলাদেশের ‘চোরাবালি’, ‘গেরিলা’ ও ‘জিরো ডিগ্রী’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
প্রকাশ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী অপহরণ, ভিসির বাসভবন ঘেরাও

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে হলের সামনে থেকে জোরপূর্বক মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ছাত্রী হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ও ওই ছাত্রীর সহপাঠীরা উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও করে আন্দোলন শুরু করেন। ওই ছাত্রীর সন্ধান দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে দুই ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

এ সময় শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে ‘শোভা কোথায় জানা নাই, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘আট ঘণ্টা চলে গেল, শোভা কোথায় ফিরিয়ে দাও’- বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। এ ছাড়া তাঁরা ‘ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা নাই’, ‘প্রশাসন চুপ কেন’ এসব প্ল্যাকার্ডও বহন করেন।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের চোখের সামনে আমাদের সহপাঠীকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাঁর স্বামীর সঙ্গে তালাক হয়েছে। আইনত তালাক কার্যকর না হলেও তাঁকে কেউ এভাবে নিয়ে যেতে পারে না। এভাবে হলের সামনে থেকে একটা মেয়েকে তুলে নিয়ে গেল। ক্যাম্পাসে আমাদের নিরাপত্তা কোথায়? আজ তাঁকে নিয়ে গেছে কাল অন্য কাউকে নিয়ে যাবে।

শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক জান্নাতুল ফেরদৌস ঘটনাস্থলে এসে শিক্ষার্থীদের শান্ত করার চেষ্টা করেন। পরে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আবদুস সোবহান বাসভবন থেকে বেরিয়ে আসেন। তিনি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের আন্দোলন স্থগিত করার আহ্বান জানান।

উপাচার্য শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে ‘অযৌক্তিক’ উল্লেখ করে বলেন, ‘এটা তাদের স্বামী-স্ত্রীর ব্যাপার। স্বামী তার স্ত্রীকে নিয়ে গেছে। অন্যায় হলে সেটা আইন দেখবে। এখানে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।’

উপাচার্য ওই ছাত্রীকে দ্রুত সময়ের মধ্যে খুঁজে বের করার আশ্বাস দিলেও শিক্ষার্থীরা আন্দোলন অব্যাহত রাখেন। পরে উপাচার্য ব্যর্থ হয়ে বাসভবনে ফিরে যান।

এ সময় সাংবাদিকদের উপাচার্য বলেন, ‘এটি তাদের পারিবারিক বিষয়। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তালাক হয়েছে। কিন্তু আইনত সেটা কার্যকর হতে তিন মাস সময় লাগবে। এখনো তিন মাস সময় পূরণ না হওয়ায় তালাক কার্যকর হয়নি। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সমস্যা থাকতেই পারে। আমি জানতে পেরেছি, তালাক হওয়ার পরও তাঁর স্বামী ক্যাম্পাসে এসে তাঁর সঙ্গে দেখা করতেন। এটা তাদের পরিবার মীমাংসা করবে। বিষয়টি এরই মধ্যে ওই ছাত্রীর এলাকার পুলিশকেও জানানো হয়েছে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গে আমি পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থা, র‌্যাবকে জানিয়েছি। তারা খোঁজ-খবর নিয়ে দেখছে। ওই ছাত্রীকে খুঁজে বের করতে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করছি।’

আন্দোলনের একপর্যায়ে ওই ছাত্রীর বাবা ঘটনাস্থলে আসেন। পরে তিনি উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলার জন্য তাঁর বাসভবনে প্রবেশ করেন। উপাচার্যের সঙ্গে প্রায় আধঘণ্টা কথা বলে বেরিয়ে এসে প্রশাসনের পদক্ষেপের প্রতি সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন তিনি।

ছাত্রীর বাবা শিক্ষার্থীদের বলেন, “আমি এখনো আমার মেয়ের সন্ধান পাইনি। এ জন্য আমি খুবই উদ্বিগ্ন। এখনো জানি না, আমার মেয়েকে কে উঠিয়ে নিয়ে গেছে। তবে তাঁর স্বামী আমার মেয়েকে ‘উঠিয়ে নিয়ে যাবে’ বিভিন্ন সময় এমন হুমকি দিয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমার মেয়েকে উদ্ধারে সর্বাত্মক চেষ্টা করছে। প্রশাসনের কাছে দাবি থাকবে আমার মেয়েকে যেন দ্রুত ফিরিয়ে দেওয়া হয়।”

আজ সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা হলের সামনে থেকে মাইক্রোবাসে করে ওই ছাত্রীকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। বাংলা বিভাগের স্নাতক (সম্মান) চূড়ান্ত বর্ষের ওই শিক্ষার্থী তাপসী রাবেয়া হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। তাঁর বাড়ি নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার মাতাজি এলাকার।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
তিন মাসেও ভিসি ভবন ছাড়েননি আরেফিন সিদ্দিক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভিসি হিসেবে গত ৪ সেপ্টেম্বর নিয়োগ পেয়েছেন ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের মেয়াদ শেষ হওয়ায় তাকে এ পদে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মো. আবদুল হামিদ। তবে নিয়োগের তিন মাসেরও অধিক সময় অতিবাহিত হলেও ভিসি ভবনে উঠতে পারেননি আখতারুজ্জামান।

জানা গেছে, সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক ভিসি ভবনটি না ছাড়ায় প্রো-ভিসির বাংলো (বাস ভবন) থেকেই অফিস করেন নতুন ভিসি অধ্যাপক আখতারুজ্জামান। ফলে কাজের ক্ষেত্রেও ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে অধ্যাপক আখতারুজ্জামানকে।

ভিসি অফিস সংশ্লিষ্টরা জানান, অফিস সময় ছাড়াও একজন ভিসিকে বাস ভবনে বসেই অনেক কাজ করতে হয় । প্রো-ভিসির বাংলো অপেক্ষাকৃত ছোট হওয়ায় সেখানে সমস্যা হচ্ছে।

সম্প্রতি দুটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিতে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে বরেণ্য শিক্ষাবিদ ও গবেষকরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন। এতে যোগ দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি, জাতীয় অধ্যাপক, ইমেরিটাস অধ্যাপকসহ বিশিষ্টজনরা। ঐতিহ্য অনুযায়ী আমন্ত্রিত অতিথিদের জন্য ভিসির বাসভবনে ডিনারের আয়োজন করা হয়। কিন্তু আরেফিন সিদ্দিক বাসভবন না ছাড়ায় আয়োজনটি প্রো-ভিসির বাংলোয় ঘিঞ্জি পরিবেশে করতে হয়।

ওই ডিনারে উপস্থিত ছিলেন এমন দুজন কর্মচারী বলেন, জায়গা সঙ্কুলান না হওয়ায় সকল অতিথি একসঙ্গে ডিনারে অংশ নিতে পারেননি। ফলে দুই পর্বে ডিনারটি সম্পন্ন হয়। সামনে এ ধরনের আরও একটি অনুষ্ঠান হওয়ার কথা আছে সেটি নিয়েও বর্তমান ভিসিকে বিভ্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হতে পারে বলে মনে করেন তারা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন সূত্রে জানা যায়, ভিসি, প্রো-ভিসি, কোষাধ্যক্ষ, প্রাধ্যক্ষদের বাসা ও বাংলো ‘ইয়ারমার্ক’ বাসা হিসেবে বিবেচিত হয়। তাই এ সব বাসা এবং তা সংশ্লিষ্ট সব সুবিধাদি ওই পদে বহাল ব্যক্তিরা ভোগ করবেন।

জানতে চাইলে ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, অসুবিধাতো একটু হচ্ছেই। তবে তিনি (আরেফিন সিদ্দিক) যেহেতু আছেন তাহলে আর কী করার! যদিও অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, নতুন যিনি (আখতারুজ্জামান) এসেছেন তিনি তার বাসা থেকে কার্যক্রম পরিচালনা করছেন এবং তাতে কোনো সমস্যা হচ্ছে না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের একটি সূত্র জানায়, গত ৩০ অক্টোবর সাবেক ভিসি আরেফিন সিদ্দিককে প্রভোস্ট কমপ্লেক্সে একটি বাসা বরাদ্দ দেয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত এস্টেট ম্যানেজার সুপ্রিয়া দাস স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বিষয়টি অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিককে জানানো হয়। চিঠিতে ভিসি ভবন খালি করার লক্ষ্যে শহীদ এম এ মুক্তাদির ভবনের (প্রভোস্ট কমপ্লেক্স) ৬ষ্ঠ তলার বাসাটি বরাদ্দ দেয়া হয় বলে উল্লেখ করা হয়। এছাড়াও ১৯৮৬ সনে সিন্ডিকেটে গৃহীত বাসা বরাদ্দের নীতিমালা অনুযায়ী নিজের নামে বরাদ্দকৃত বাসা বুঝে নিয়ে ভিসি ভবন বিশ্ববিদ্যালয়কে বুঝিয়ে দিতেও বলা হয় ওই চিঠিতে। কিন্তু নতুন বাসা বরাদ্দ পাওয়ার দুই সপ্তাহ পার হলেও ভিসি ভবন ছাড়েননি আরেফিন সিদ্দিক।

এদিকে বাসা বরাদ্দের চিঠি পাওয়ার ১০-১২ দিন পর ৬ষ্ঠ তলার বাসাটি নিতে অপরাগতা জানিয়ে ওই ভবনের সাত তলার বাসাটির জন্য আবেদন করেন বলেও প্রশাসনিক ভবন সূত্র জানিয়েছে।

জানা গেছে, ১৯৯২ সালে ভিসি হিসেবে নিয়োগ পাওয়া অধ্যাপক এমাজ উদ্দিন আহমদের পর থেকে অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিকের আগ পর্যন্ত ঢাবিতে যে কয়জন ভিসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন, তাদের মধ্যে মেয়াদ শেষে সর্বোচ্চ ২৭ দিন পর ভিসি ভবনে অবস্থান করেছিলেন অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী। আর সর্বনিম্ন ১০ দিন ছিলেন অধ্যাপক আনোয়ার উল্লাহ চৌধুরী। এছাড়া অধ্যাপক এস এম এ ফায়েজ ২০ দিনের মাথায় বাসা ছাড়েন। আর অধ্যাপক এমাজ উদ্দিন আহমদ নতুন ভিসি নিয়োগের পূর্বেই বাসা ছেড়ে দেন। কিন্তু অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিক নতুন ভিসি নিয়োগের সাড়ে তিন মাস পরেও এখনো ভিসি ভবন ছাড়েননি।

জানতে চাইলে অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ডিনেন্সে এরকম কোনো বিধান নেই যে ভিসি কিংবা প্রো-ভিসিকে কখন বাসা ছাড়তে হবে।

তিনি বলেন, নতুন যিনি এসেছেন তিনি তার বাসা থেকে কার্যক্রম পরিচালনা করছেন এবং এতে তার কোনো সমস্যা হচ্ছে না। বিকল্প সুরাহ হলে আমি ভিসি ভবন ছেড়ে দেব।

তবে বিকল্প সুরাহ বলতে তিনি কি বুঝিয়েছেন তা স্পষ্ট করেননি। কারণ ১৭ দিন আগেই তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য নির্ধারিত সবচেয়ে বড় বাসাগুলোর মধ্য থেকে একটি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বৃদ্ধ বাবাকে রাস্তায় ফেলে চলে গেল প্রভাবশালী কোটিপতি সন্তান

ঢাকার লালবাগের এক কোটিপতি তার অসুস্থ বৃদ্ধ বাবাকে বাড়ি থেকে তুলে এনে নারায়ণগঞ্জের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে ফেলে চলে গেছে। এতে করে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর নারায়ণগঞ্জ ৩শ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে তাকে ভর্তি করলে রাতেই বৃদ্ধের মেয়ের ঘরের নাতি এসে তাকে নিয়ে যায়। তবে হাসপাতালের ডিউটিরত লোকদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে রাস্তা থেকে কুড়িয়ে পাওয়া বৃদ্ধকে তার নাতি নিয়ে গেছে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এমনটাই জানিয়েছেন।

শুক্রবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়া কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার হতে কুড়িয়ে পাওয়া বৃদ্ধের খোঁজখবর নিতে গেলে হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ সাংবাদিকদের এমন তথ্য জানিয়েছেন। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বৃদ্ধসহ তার নাতনির নাম ঠিকানা জানাতে পারেনি।

এদিকে বৃদ্ধের চিকিৎসার তত্ত্বাবধানে থাকা চিকিৎসক তাহমিনা নাজনীনের সঙ্গে শুক্রবার বিকেলে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে বৃদ্ধের মেয়ের ঘরের নাতি এসে হাসপাতালে হৈচৈ করে নিয়ে গেছেন। তার নামটা মনে করতে পারছিনা। তবে বৃদ্ধের নাতনি জানিয়েছে বৃদ্ধের বাসা ঢাকার লালবাগে। বৃদ্ধের একমাত্র সন্তান রয়েছে। তাদের ঢাকা লালবাগে কয়েকটি বাড়ি রয়েছে। তার ছেলেই তার নানাকে নারায়ণগঞ্জে এসে ফেলে চলে যায়। কি কারণে ফেলে রেখে গেছে তা কিছুই জানাইনি। তাদের নাম ঠিকানা খাতায় এন্ট্রি করে রাখা হয়েছে রাত ১০টার পর আসলে নিতে পারবেন।
নারায়ণগঞ্জ চাষাড়া পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মোমেন বলেন, আমি শুক্রবার সকালে হাসপাতালে গিয়ে অসুস্থ বৃদ্ধে খবর নিতে গিয়ে জানতে পারি রাতের বেলায় বৃদ্ধের নাতি এসে তাকে নিয়ে গেছে। কোনো নাম ঠিকানা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নোট করেনি। বৃদ্ধের স্বজনরা অনেকটা রাগারাগি করে নাকি নিয়ে গেছে। শুধু জানিয়েছে বৃদ্ধের বাসা ঢাকার লালবাগে। তিনি একজন সচ্ছল পরিবারের। তাকে কেন ঢাকা হতে নারায়ণগঞ্জের শহিদ মিনারে ফেলে গেলো তা কিছু জানতে পারেনি তিনি।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই নারায়ণগঞ্জ শহরের প্রাণকেন্দ্র চাষাড়া বেইলী টাওয়ারের সামনে ৭০ বছরের একজন বৃদ্ধকে দেখতে পায় লোকজন। তিনি কথা বলতে পারেন না। কিছু খেতেও পারেন না। হাটতে বসতে ওঠতে পারেন না। কে বা কাহারা তাকে ফেলে চলে যায়। সকাল হতে নারায়ণগঞ্জে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছিল। সেই বৃষ্টিতে ভেজা কাকের মতো হয়ে গেছে সেই বৃদ্ধ। পরে বৃদ্ধকে পড়ে থাকতে দেখে কজন লোক প্রথমে শহীদ মিনারের ভেতরে এনে একটি গাছের নিচে শুয়ে দেন। সেখানে পরে থাকা অবস্থায় অনেকেই খেতে দেন। সারাদিন শহীদ মিনারে পুলিশ দায়িত্বে থাকলেও তাকে চিকিৎসার কোনো ব্যবস্থা করেনি। শেষ বিকেলে সন্ধ্যার দিকে কজন সংবাদকর্মীর খবরে চাষাড়া ফাঁড়ি পুলিশ এসে ওই বৃদ্ধকে নারায়ণগঞ্জ খানপুর ৩শ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বৃদ্ধকে চিকিৎসা শুরু করে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বিপিএলে ১০ ভারতীয়সহ ৭৭ জুয়াড়ি আটক

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) শুরু হওয়ার পর থেকেই সবচেয়ে বেশি আলোচিত হচ্ছে, এ টুর্নামেন্ট ঘিরে সারাদেশে চলছে জুয়ার হিড়িক। সেটাকে আরও ভারি করে তুলেছে আসরের শুরুর দিকে জুয়াকে কেন্দ্র করে রাজধানী বাড্ডায় এক তরুণের খুনের ঘটনা। বিষয়টি নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও (বিসিবি)। গ্যালারিতে বসে অনলাইনে জুয়া খেলার সময় ১০ ভারতীয়সহ মোট ৭৭ জুয়াড়িকে আটক করে পুলিশে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক।

শুক্রবার সিলেট সিক্সার্স এবং রাজশাহী কিংসের ম্যাচের পর আনুষ্ঠানিক এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান বিপিএল এবং বিসিবির এই কর্মকর্তা।

জানা গেছে, বাড্ডায় জুয়া নিয়ে এক তরুণের খুনের ঘটনার পরই নড়েচড়ে বসে বিসিবির দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা। তারা, খোঁজ নিয়ে জানতে পারে, শুধুমাত্র মাঠের বাইরেই নয়, মাঠের মধ্যে গ্যালারিতে বসেই ক্রিকেট জুয়ায় মেতে উঠেছে একটি চক্র। তাদের ধরতেই মূলতঃ বিসিবির অ্যান্টি করাপশন ইউনিট মাঠে নেমে পড়ে। প্রযুক্তির উৎকর্ষতার কারণে হয়তো তাদের ধরা কঠিন। তবে বিসিবি আড়ি পেতে হোক আর যে ভাবেই হোক, মাঠ থেকেই মোট ৭৭জন জুয়াড়িকে আটক করতে সক্ষম হয়।

ইসমাইল হায়দার মল্লিক জানান, ৭৭ জন আটককৃত জুয়াড়ির মধ্যে বাংলাদেশি রয়েছেন মোট ৬৫ জন। এছাড়া বিদেশি রয়েছেন ১২ জন। বিদেশিদের মধ্যে ১০ জনই ভারতীয়।

তিনি বলেন, ‘আমরা ৬৫ বাংলাদেশিকে মাঠে বসে অনলাইনে জুয়া খেলার সময় আটক করেছি। যেহেতু আমরা পুলিশ কেস করতে পারি না, তাই তাদেরকে পুলিশে সোপর্দ করেছি। ৬৫ বাংলাদেশি ছাড়াও বিদেশি ছিল ১২ জন। যার মধ্যে ভারতীয়ই ছিল ১০ জন।’

বিপিএলের ম্যাচ চলাকালীন প্রতিটি বলের মাঝে যেটুকু সময় থাকে, তারই ফাঁকে অনলাইনে জুয়া খেলা হয় বলে জানান মল্লিক। তিনি বলেন, ‘মূলতঃ এরা অনলাইনে জুয়া খেলে। বিভিন্ন জুয়ার সাইটে মাঠে বসেই জুয়া খেলে। প্রতিটা বল করতে যে টুকু সময় লাগে তার মাঝেই এই কাজটা করে তারা। প্রযুক্তি অনেক এগিয়ে গেছে, তাই এদের ধরা বেশ কঠিন। তবুও আমরা এদের খুঁজে বের করছি যতটা সম্ভব।’

জুয়াড়িদের বিরুদ্ধে বিসিবি কোন আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পারছে না বলেও স্বীকার করেন এই বোর্ড পরিচালক। তার মতে, ‘যেহেতু আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার কোন সুযোগ নেই, তাই আমরা তাদেরকে পুলিশে সোপর্দ করে দেই। পরে পুলিশ তাদেরকে অল্প শাস্তি দেয় হয়তো। তবে আমরা মাঠের মধ্যে কেউ কিছু করলে তাদের আমরা আটক করতে পারি।’

দেশে জুয়াড়িদের বিরুদ্ধে কোন প্রচলিত কঠিন আইন নেই বলেও জানান তিনি। এ প্রসঙ্গে মল্লিক বলেন, ‘সারাদেশে যে জুয়াটা হয়, তা নিয়ে আমাদের কোন ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ কিন্তু নেই। আর দেশে জুয়া নিয়ে প্রচলিত কোন কঠিন আইনও নেই। আপনাদের জানাচ্ছি, আমাদের স্টেডিয়ামের মধ্যে কিন্তু একটি দুর্নীতি বিরোধী ইউনিট আছে। স্টেডিয়ামের মধ্যে যদি কিছু হয় তাহলে তারা সাথে সাথে ব্যাবস্থা নেয়।’

জুয়া থেকে তরুণদের সচেতন করতে বিসিবি মাঠে বিভিন্নভাবে সচেতনতা সৃষ্টির চেষ্টা করছেও বলে জানান আইএইচ মল্লিক। তিনি বলেন, ‘বিষয়টা কি আসলে দেখেন, বিসিবি কিন্তু সচেতনতা তৈরি করা ছাড়া আর কিছু করতে পারে না। করার কোন সুযোগও নেই। আপনারা দেখবেন, আমরা অলরেডি বোর্ডে এবং স্কোরবোর্ডে জুয়া বিরোধী সচেতনাতামূলক বিভিন্ন লেখা দিচ্ছি।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দেশ ও জনগণের কল্যাণে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে- পারুলিয়ায় ডাঃ রুহুল হক এমপি

কেএম রেজাউল করিম/আরাফাত হোসেন লিটন: সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী ডাঃ রুহুল হক এমপি বলেছেন, দেশ ও জনগনের কল্যানে কাজ করতে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড যাতে মানুষের কাছে পৌছায় এবং সেবা যেন মানুষের দ্বারে দ্বারে যায় সেজন্য যুবলীগ সহ আওয়ামীলীগের সকল নেতাকর্মীকে কাজ করতে হবে। বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে দেবহাটা উপজেলা যুবলীগের বর্নাঢ্য আয়োজনে শুক্রবার পারুলিয়া শহীদ আবু রায়হান চত্বরে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখাকালে ডাঃ রুহুল হক উল্লেখিত কথাগুলো বলেন। শেখ হাসিনার সরকার, বার বার দরকার একথা তুলে ধরে রুহুল হক বলেন, একটি সুখী সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়তে শেখ হাসিনার সরকার বদ্ধপরিকর। মানুষের কল্যানের নেত্রী শেখ হাসিনার সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, চিকিৎসা, স্বাস্থ্য, খাদ্য, বাসস্থান নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করছি। বিদ্যুৎ শতভাগ মানুষের ঘরে পৌছে গেছে বলে যোগ করেন তিনি। সরকারের সকল ওয়াদা পূরনের লক্ষ্যে সকলকে শেখ হাসিনার হাতকে মজবুত করার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, দেশ থেকে সকল জঙ্গী অপরাধী, সন্ত্রাস দূর করা হয়েছে। দেশের উন্নয়নে কেউ বাধা সৃষ্টি করলে সেটা শক্ত হাতে মোকাবেলা করা হবে তিনি বলেন। দেবহাটা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান মিন্নুরের সভাপতিত্বে এবং সাধারন সম্পাদক বিজয় ঘোষের সার্বিক পরিচালনায় অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন যথাক্রমে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মুনসুর আহমেদ, দেবহাটা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ¦ মুজিবর রহমান ও দেবহাটা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি। প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা যুবলীগের সভাপতি আব্দুল মান্নান। এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক জর্জকোর্টের পিপি আব্দুল গনি, দেবহাটা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান শেখ ফারুক হোসেন রতন, সাতক্ষীরা পৌর যুবলীগের সভাপতি মনোয়ার হোসেন অনু, দেবহাটা উপজেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি আবু তাহের, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান সবুজ, কুলিয়া ইউনিয়ন শ্রমিকলীগের সভাপতি মোশাররফ হোসেন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে কেক কেটে যুবলীগের জন্মদিন পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে উপজেলা আঃলীগ ও সকল অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest