সর্বশেষ সংবাদ-
ব্যবসায়ীকে মারধরের ঘটনার ভিডিও করায় সাংবাদিকদের মারপিটের অভিযোগ ডা; ফয়সালের বিরুদ্ধেতাপদাহে রিকশাচালক-পথচারী‌দের‌ মাঝে ড্রিম সাতক্ষীরার পা‌নি ও স্যালাইন বিতরণআন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে র‌্যালি ও আলোচনাসাতক্ষীরা সদর সাব রেজিষ্ট্রি অফিস চত্বরে মরা শিশু গাছে ঝুঁকি বাড়ছেকলারোয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী আলতাফ হোসেন লাল্টুর গণ সমাবেশএডভোকেসি নেটওয়ার্ক এবং সিভিল সোসাইটি অর্গানাইজেশন সদস্যদের ত্রৈমাসিক সমন্বয় সভাশ্যামনগরের কৈখালী পোলের খাল খনন কর্মসূচির উদ্বোধনশ্যামনগরে সালাতুল ইস্তেকার নামাজ আদায়তীব্র তাপদাহে পুড়ছে উপকুলীয় জেলা সাতক্ষীরা, তাপমাত্রা আজ সর্বোচ্চ ৩৯.৩ ডিগ্রিদেবহাটায় উন্নয়ন কার্যক্রমে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্তি বিষয়ক মতবিনিময়

দরবার শরিফের টাকা লুট, র‍্যাব সদস্যদের বিচার শুরু

চট্টগ্রামের আনোয়ারার তালসরা দরবার শরিফ থেকে কোটি টাকা লুটের অভিযোগে করা ডাকাতির মামলায় র‍্যাবের চার সদস্যসহ সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে পঞ্চম অতিরিক্ত চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ মো. নূরে আলম শুনানি শেষে বিচার শুরুর আদেশ দেন।

মামলার আসামিরা হলেন র‍্যাব-৭ এর সাবেক অধিনায়ক (বরখাস্ত) লেফটেন্যান্ট কর্নেল জুলফিকার আলী মজুমদার, তৎকালীন সদস্য ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট (বাধ্যতামূলক ছুটিতে) শেখ মাহমুদুল হাসান, র‍্যাবের সাবেক উপসহকারী পরিচালক (ডিএডি) আবুল বাশার ও উপপরিদর্শক (এসআই) তরুণ কুমার বসু এবং র‍্যাবের সোর্স দিদারুল আলম, আনোয়ার মিয়া ও মানব বড়ুয়া।
আইনজীবী মো. মামুন জানান, এ মামলায় র‍্যাব সদস্যসহ ১২ আসামির মধ্যে সাতজনকে অভিযুক্ত করে চার্জ গঠন করা হয়েছে।

২০১১ সালের ৪ নভেম্বর আনোয়ারার তালসরা দরবার শরিফে র‍্যাবের অভিযানের কথা বলে র‍্যাব ৭-এর অধিনায়ক জুলফিকার আলী মজুমদারের নেতৃত্বে একটি দল দরবারের লকার ভেঙে দুই কোটি সাত হাজার টাকা লুট করে। এ ঘটনায় দরবারের পীরের গাড়িচালক মো. ইদ্রিস বাদী হয়ে মামলা করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রোহিঙ্গা সংকটে আবারও মিয়ানমারের পক্ষে দাঁড়ালো চীন

রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের এক জরুরী বৈঠকের আগে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশগুলোর মধ্যে এ নিয়ে মতপার্থক্য দেখা যাচ্ছে।

বুধবার নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের এই জরুরী বৈঠকটি ডাকা হয়েছে। ই বৈঠকের প্রাক্কালে চীন আবারও মিয়ানমারের প্রতি তাদের পূর্ণ সমর্থনের কথা জানিয়েছে।

রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর যে অভিযানকে জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন জাতিগত নির্মূল অভিযান বলে বর্ণনা করেছে, চীন আবারও সেই অভিযানের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কমিশনার মাত্র গতকালই রাখাইনে যা ঘটছে তাকে ‘টেক্সটবুক এথনিক ক্লিনজিং’ অর্থাৎ জাতিগত শুদ্ধি অভিযানের যা সংজ্ঞা, হুবহু তাই বলে বর্ণনা করেন। তারপরই জাতিসংঘের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই পরিষদের বৈঠক হচ্ছে।

জানা গেছে, ব্রিটেন এবং সুইডেনের অনুরোধে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের এই জরুরী বৈঠক ডাকা হয়েছে। কিন্তু সেখানে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ব্যাপক হত্যা-নির্যাতন-নিপীড়নের অভিযোগে মিয়ানমারের ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্তের সম্ভাবনা এখনো পর্যন্ত ক্ষীণ বলেই মনে করা হচ্ছে।

নিরাপত্তা পরিষদে পাঁচটি স্থায়ী সদস্য দেশের যে কোন দেশ একটি যদি কোন প্রস্তাব বা সিদ্ধান্তের বিপক্ষে ভোট দেয়, তাহলে সেটি আটকে যায়। রোহিঙ্গা ইস্যুতে নিরাপত্তা পরিষদের এই বৈঠকে তাই ঘটতে যাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।

এর অন্যতম কারণ, চীন এখনো পর্যন্ত রোহিঙ্গা সংকটে মিয়ানমার সরকারের গৃহীত সব ব্যবস্থাকে শতভাগ সমর্থন জানিয়ে চলেছে।

আজ মঙ্গলবার চীন আবারও বলেছে, তারা ‘শান্তি ও স্থিতিশীলতা’ রক্ষায় মিয়ানমার সরকারের পাশে আছে।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গেং শুয়াং বলেছেন, “মিয়ানমার সরকার তাদের জাতীয় উন্নয়নের জন্য শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার যে চেষ্টা করছে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত তার পাশে থাকা।”

মনে করা হচ্ছে চীন আজ মিয়ানমারের পক্ষে এই বিবৃতি দিয়েছে যাতে করে নিরাপত্তা পরিষদের কালকের বৈঠকে মিয়ানমারের নিন্দা করে কোন প্রস্তাব আনা না যায়।

রাশিয়ার অবস্থানও মিয়ানমারের পক্ষে বলে মনে করা হচ্ছে। মিয়ানমারের বিরুদ্ধে কোন প্রস্তাব যদি ভোটাভুটিতে দেয়া হয়, তাহলে রাশিয়া তাতে কতটা সমর্থন দেবে, সেটা নিয়ে সংশয় আছে।

জাতিসংঘের কূটনীতিকদের উদ্ধৃত করে বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, রোহিঙ্গা সংকটে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ কোন মাথা গলাক, সেটা চীন চায় না।

নিরাপত্তা পরিষদের আরেক স্থায়ী সদস্য অবশ্য রোহিঙ্গা সংকটের ব্যাপারে তাদের দীর্ঘ নীরবতা ভেঙ্গেছে। যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, সহিংসতার মুখে যেভাবে রোহিঙ্গারা তাদের বাড়ীঘর ছাড়া হয়েছে তাতে বোঝা যায় মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী সেখানে বেসামরিক মানুষকে নিরাপত্তা দিচ্ছে না।

উল্লেখ্য, নিরাপত্তা পরিষদে গত সপ্তাহে আরেকটি বৈঠকেও চীন মিয়ানমারের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় শ্রমিক গ্রেফতার করে পুলিশের লাখ টাকা আদায় চেষ্টায় ভোমরায় কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি!

নিজস্ব প্রতিবেদক : এক লক্ষ টাকা চাঁদা না পেয়ে সাতক্ষীরা সদর থানার পুলিশ ভোমরা স্থলবন্দরের এক শ্রমিককে ১০ বোতল ফেন্সিডিল দিয়ে মামলা দিয়েছেÑএমন অভিযোগে সাতক্ষীরা জেলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক অঞ্চল ভোমরা স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় ভোমরার সকল শ্রমিক সংগঠন। পরে পুলিশ কর্মকর্তাদের সাথে দীর্ঘ বৈঠক এবং ওই শ্রমিক সদস্যকে পুলিশ বুধবারের মধ্যে জামিনে মুক্তি পাওয়ার ব্যবস্থা করবে, শ্রমিকদের কোন প্রকার হয়রানি করবে না এবং এসআই সাইমুমের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে- এমন আশ্বাসের ভিত্তিতে শ্রমিক নেতৃবৃন্দ ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেয়। মঙ্গলবার দুপুর ১:৩০টা থেকে বিকাল ৫:১০টা পর্যন্ত আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকায় সরকার রাজস্ব হারিয়েছে এক কোটি টাকারও বেশি।
সরেজমিনে ভোমরা স্থলবন্দরের শ্রমিক নেতাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, মঙ্গলবার ভোর রাতে (আড়াইটার সময়) ভোমরার লক্ষ্মীদাঁড়ি গ্রামের বাড়ি থেকে ভোমরা স্থলবন্দর শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য(নং৩৩৭) আব্দুল হামিদকে তুলে নিয়ে আসেন সাতক্ষীরা সদর থানার এসআই সাইমুম ও তার সঙ্গীয় ফোর্স। সেসময় তাকে আটকের কারণ জানতে চাইলে এসআই সাইমুম জানান, তার বিরুদ্ধে ফেন্সিডিল পাচারের অভিযোগ আছে। এসময় হামিদের কাছে কিছুই পাওয়া য়ায়নি বলে জানিয়েছে তার পরিবার। মঙ্গলবার সকালে পরিবারের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে এইআই সাইমুম সাফ জানিয়ে দেন এক লক্ষ টাকা না পেলে হামিদকে ছাড়া হবে না- এমনটাই অভিযোগ শ্রমিক আব্দুল হামিদের পরিবার ও ভোমরার শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের।
অন্যদিকে, পুলিশের অভিযোগ হামিদকে ১০ বোতল ফেন্সিডিলসহ আটক করা হয়েছে। কিন্তু হামিদের পরিবারের সদস্যরা বলছেন হামিদকে যখন পুলিশ আটক করে তখন তার কাছে কোনকিছুই ছিল না। চাহিদামত টাকা না দেয়ায় পুলিশই ফেন্সিডিল নাটক সাজিয়েছে। এদিকে, শ্রমিক আটকের প্রতিবাদে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরে দুপুর থেকে আমদানি-রপ্তানী বন্ধ করে দেয় শ্রমিক সংগঠনগুলো।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মারুফ আহম্মেদ ও সাতক্ষীরা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আলী আহম্মেদ হাশমী দুপুরে ভোমরায় সিএন্ডএফ এসোসিয়েশনের অফিসে শ্রমিক নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনায় বসেন। এসময় সেখানে হাজার হাজার শ্রমিক জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে। আলোচনায় শ্রমিক নেতারা বলেন ওই এসআই সাইমুমকে প্রত্যাহার করতে হবে, ওই শ্রমিকের মামলা বাবদ যাবতীয় খরচাদির টাকা পুলিশকে দিতে হবে এবং এরপর থেকে যে কোন শ্রমিকককে আটকের সময় অবশ্যই যাচাই বাছাই করে আটক করতে হবে। ক্ষুব্ধ শ্রমিক নেতৃবৃন্দ এক পর্যায়ে পুলিশ কর্মকর্তাদেরকে বলেন, “আমরা গরু বিক্রির টাকা বাড়িতে রাখতে পারব কি না তা আপনাদের জানাতে হবে।”

শ্রমিক নেতৃবৃন্দের সাথে পুলিশ কর্মকর্তাদের বৈঠক

এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন, ভোমরা স্থলবন্দর সিএন্ডএফ এজেন্টস এসোসিয়েশনের সভাপতি কাজী নওশাদ দিলওয়ার রাজু, সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান নাসিম, ভোমরা স্থলবন্দর হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়ন সভাপতি রেজাউল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ আলম, ভোমরা স্থলবন্দর গোডাউন সভাপতি আনরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক ইমাম হোসেন, ভোমরা ইউনিয়ন আ ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আনারুল ইসলাম, ভোমরা ইউনিয়ন হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মহিদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক আবিদ হোসেন, ভোমরা স্থলবন্দর লেবার শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আবু সালেক ও সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম রঞ্জু।
এদিকে, শ্রমিকদের বিক্ষোভ চলাকালীন সেখানে উপস্থিত হন সাতক্ষীরা জেলা আ ’লীগের দপ্তর সম্পাদক ও বিশিষ্ট ট্রেড ইউনিয়ন নেতা শেখ হারুণ অর রশীদ। তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, “সরকারের সকল অবদানকে ম্লান করে দিচ্ছে সাতক্ষীরার পুলিশ।” স্থানীয় শ্রমিক নেতাদের উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, “বিগত ৬ মাস যাবত সাতক্ষীরা সদর থানার এসআই সাইমুম ভোমরা সীমান্তে ত্রাসের রাজত্ব কায়ম করেছেন। মাসখানেক আগে ভোমরার লক্ষীদাাঁড়ি গ্রামের রফিকুল ইসলামকে আটক করে ৩৫ হাজার টাকা, একই গ্রামের আরেক শ্রমিক জাহাঙ্গীর হোসেন গরু বিক্রি করেছেন জানতে পেরে তাকে আটক করে ২৮ হাজার টাকা, আরেক শ্রমিক মো. সেলিমকে আটক করে ৩০ হাজার টাকা আদায় করে তবে মুক্তি দেন এসআই সাইমুম। এছাড়াও শ্রমিকসহ স্থানীয়দের শত শত আটক বাণিজ্যের অভিযোগ রয়েছে পুলিশের বিরুদ্ধে।” তিনিও আরও বলেন, “মাত্র ২দিন আগেই জেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আ ’লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম সুস্পষ্টভাবে বলেছিলেন, সাতক্ষীরায় পুলিশের কিছু অত্যুৎসাহী সদস্যের বাড়াবাড়ির কারণে সাধারণ মানুষের কাছে সরকার ও আ ’লীগের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ হচ্ছে। তার বক্তব্যের সত্যতা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রমাণিত হয়েছে। আজ ভোমরা বন্দরকে অস্থিতিশীল করে তুলেছে পুলিশের এই হয়রানি।”
শ্রমিক নেতৃবৃন্দ এই প্রতিবেদককে বলেন, “সামনে দুর্গা পূজা উপলক্ষ্যে ভোমরা স্থলবন্দরের কার্যক্রম প্রায় ৭দিন বন্ধ থাকবে। আমাদের শ্রমিকরা “নো ওয়ার্ক নো পে”- ভিত্তিতে কাজ করে। ঈদের বন্ধে তারা কাজ করতে পারেননি। এখন পূজার আগে কাজ করে সঞ্চয় করবেন তবেই ছুটিতে তাদের সংসার চলবে। অথচ এরকম সময়ে প্রতিদিন পুলিশের অত্যাচারে কোন না কোন শ্রমিক পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আমরা সংসার চালাব কি করে? আমাদের সন্তানদের কি লেখাপড়া করাতে পারব না?
উল্লেখ্য, গত রবিবার অনুষ্ঠিত জেলার আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় সাতক্ষীরায় পুলিশি হয়রানির বিষয়টি আলোচিত হয়।
অন্যদিকে, সোমবার সাতক্ষীরা সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান মিজান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে সাতক্ষীরায় পুলিশের আটক বাণিজ্য নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং মন্তব্য করেন আগামী নির্বাচনে মানুষের কাছে ভোট চাইতে গেলে এসব কারণে মানুষ ভোটের পরিবর্তে আমাদের গালি দিতে পারে।
এসব ঘটনায় সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ হচ্ছে কিনাÑ এমন প্রশ্নের জবাবে সাতক্ষীরা জেলা আ ’লীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুণ অর রশিদ বলেন, “আমরাও বিষয়টিও নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আমাদের জেলা সভাপতি হজ্ব থেকে দেশে ফিরবেন ১৬ সেপ্টেম্বর। অন্যদিকে সংসদ অধিবেশন চলায় সংসদ সদস্যরা ঢাকায় আছেন। আমরা খুব শীঘ্রই জেলা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছ থেকে সময় নিয়ে ওয়ার্কিং কমিটির সভা আয়োজন করব এবং এসব ঘটনাগুলো সেখানে আলাপ করে কি ভূমিকা রাখা াযয় সে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। আমাদের দলীয় প্রার্থীদেরকে আগামী নির্বাচনে সাধারণ মানুষের কাছে ভোট চাইতে হবে। সুতরাং পুলিশের এসব বিতর্কিত ভূমিকা নিয়ে চুপ থাকার কোন সুযোগ নেই।”
এ বিষয়ে জানতে সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার অফিসিয়াল নম্বরে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
‘২ লাখ টাকা না দিলে আধ ঘণ্টার মধ্যে ক্রসফায়ার’

‘বেশি বাড় বাড়ছে, আগের বার চোখ বেঁধে বুকের মধ্যে পারা দিয়া মারছি সে কথা মনে নাই, এবার ধরতে পারলে গুলি দিয়ে মেরে ফেলবো’। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার সাব ইন্সপেক্টর (এসআই) তারেক সুমনের এই হুমকিতে তটস্থ চিনাইর গ্রামের আতাউর রহমান ও তার পরিবার। এরপর থেকে অনেকটাই পালিয়ে জীবনযাপন করছেন পরিবারের সদস্যরা।

পুলিশের এই সাব ইন্সপেক্টরের বিরুদ্ধে ক্রসফায়ারে হত্যার ভয় দেখিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা আদায়ের অভিযোগও রয়েছে। তার বেঁধে দেয়া সময় আধ ঘণ্টার মধ্যেই টাকা নিয়ে হাজির হতে হয়েছে আটক এক প্রবাসীর স্বজনদের। এসব ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অভিযোগ এবং আদালতে মামলা হয়েছে। মাদক ব্যবসায় মদত, নানাভাবে সামারি, পুলিশের বিভিন্ন কর্মকর্তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে।

জেলা পুলিশের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন- এসআই তারেকের বিরুদ্ধে একটি গোয়েন্দা রিপোর্ট জেলা পুলিশের কাছে রয়েছে। যেটি অনুসন্ধান করে দেখছেন তারা। এ ছাড়া বিভিন্ন মহল থেকে তার বিরুদ্ধে আরো কিছু অপকর্মের অভিযোগ পাওয়ার কথাও জানান এই কর্মকর্তা।

সূত্র জানিয়েছে- প্রভাবশালী এক জনপ্রতিনিধির আগে-পিছে ডিউটির বদৌলতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে এই সাব ইন্সপেক্টর। স্ট্রং পার্টির লোক হিসেবেই পরিচিত হয়ে উঠেছে পুলিশ মহলে। সেকারণে তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থাও নিতে পারছে না জেলা পুলিশের কর্মকর্তারা।

সদর উপজেলার চিনাইর গ্রামের আতাউর রহমান গত ২০শে জুন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দেন সাব ইন্সপেক্টর তারেক সুমন ও যুবরাজের বিরুদ্ধে। অভিযোগে বলা হয়-গোলাম রহমান, আবদুল কুদ্দুস চৌধুরী, শামসুদ্দিন চৌধুরী, মোশাররফ হোসেন চৌধুরী ও আবদুল কাহার চৌধুরীর কাছ থেকে ১৯৮৯ সালের ১৩ই ডিসেম্বর ৯ শতক ভূমি ক্রয় করেন আতাউর। এরপরই ঘরবাড়ি করে সেখানে বসবাস শুরু করেন। বাংলাদেশ জরিপামলে এসএ ১২৮০ দাগ, বিএস ৩৬২৫, ৩৬২৮ ও ৩৬৩৩ দাগে এই ভূমি লিপিবদ্ধ হয়। আতাউরের নামে বিএস খতিয়ান লিপি না হওয়ায় বিএস খতিয়ান সংশোধনের জন্য ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনাল আদালতে (এলএসটি মামলা নং-২০৭/২০১৬ইং) মামলা করেন। যা বর্তমানে বিচারাধীন আছে। এই জায়গাটি দখল করার চেষ্টায় চিনাইর গ্রামের আবদুল হাইয়ের ছেলে জাহাঙ্গীর, জিল্লু রহমান ভূঁইয়ার ছেলে হামিদুল ভূঁইয়া, সামসু ভূঁইয়ার ছেলে আলম ভূঁইয়া, লাল মিয়ার ছেলে শাহআলম ও ঘাটিয়ারা গ্রামের মোবারক পুলিশ দিয়ে তার ওপর নির্যাতন করাচ্ছে। ধারাবাহিকভাবে চলছে পুলিশি নির্যাতন। জায়গাটি লিখে না দেয়ায় মাদক ও ডাকাতি মামলা দিয়ে জেলে পাঠানো হয় তাকে। ৬ মাস জেল খেটে সম্প্রতি বেরিয়ে আসেন তিনি। এখন আবার তাকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে পুলিশ।

গত ৮ই জুন এসআই তারেক সুমন পুলিশ নিয়ে আতাউরের বাড়িতে হানা দেয়। এই সময় বাদী ও তার স্ত্রীকে না পেয়ে গুলি করে মারার হুমকি দিয়ে আসে।

এদিকে ক্রস ফায়ারে হত্যার ভয় দেখিয়ে ২ লাখ টাকা আদায় করার অভিযোগে সাব ইন্সপেক্টর তারেক সুমনের বিরুদ্ধে ২০শে এপ্রিল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন মুক্তিযোদ্ধা হামদু মিয়া। এই মামলায় আরো ৩ জন- পাঘাচং বড়বাড়ির সোলেমান মিয়া, সরকারবাড়ির নুরুল ইসলাম, আটলার আনু মিয়াকে আসামি করা হয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ১৫ই মার্চ হামদু মিয়ার ছেলে সালাহ উদ্দিন বিদেশ থেকে দেশে আসেন। দেশে আসার পর সে আত্মীয়স্বজনকে উপহার ও টাকা পয়সা প্রদান এবং গরিব মানুষদের দান খয়রাত করে। এ বিষয়টি আসামিদের দৃষ্টিতে পড়ে। ১৬ই এপ্রিল বিকালে সালাহউদ্দিন চানপুর রেলব্রিজে বসে গল্পগুজব করার সময় সাব ইন্সপেক্টর তারেক সুমন সেখানে উপস্থিত হয়ে তাকে ধরে টেনেহিঁচড়ে চানপুর বাজারে এনে মাইক্রোবাসে উঠিয়ে নেয়। এরপর কোড্ডা ব্রিজের কাছে নিয়ে তাকে নামায়। এ সময় তারেকের সঙ্গে অস্ত্রধারী আরো ৬ জন ছিল। তারেকসহ এরা নিজেদের গোয়েন্দা পুলিশ বলে পরিচয় দেয়। তারা সালাহ উদ্দিনের কাছে ২ লাখ টাকা দাবি করে। টাকা দিতে ব্যর্থ হলে আধ ঘণ্টার মধ্যে ক্রসফায়ারে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দেয়। সালাহ উদ্দিন তার পিতাকে ফোনে এই খবর জানালে মুক্তিযোদ্ধা হামদু মিয়া ও পরিবারের অন্য সদস্যরা দ্রুত তারেক সুমনের নির্দেশিত স্থান চানপুর বাজার রেলগেটে পৌঁছে টাকা নিয়ে। সেখানে টাকা গ্রহণ করে সালাহ উদ্দিনকে ছেড়ে দেয় এবং নিজেদের মধ্যে টাকা ভাগভাটোয়ারা করে চলে যায়। এই মামলাটি তদন্ত করছে পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর মাসুদ আলম জানান- মামলাটির তদন্ত শেষ হয়নি। তবে তদন্ত অনেকদূর এগিয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যেই তদন্ত প্রতিবেদন দেয়া হবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসাইন বলেন- এসআই তারেক সুমনের বিরুদ্ধে আমাদের কাছে অভিযোগ রয়েছে। সেগুলো আমরা অনুসন্ধান এবং ওয়াচ করছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও জানানো হয়েছে।

তারেক সুমন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় এএসআই হিসেবে যোগদান করেন ২০১৪ সালের ১৬ই মার্চ। এসআই হিসেবে পদোন্নতির পর তার পোস্টিং হয়েছে একই থানায়। অভিযোগ, থানার এএসআই শাহিদুল, কনস্টেবল রহমান ও ওবায়েদকে সঙ্গী করে নানা অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে সাব ইন্সপেক্টর তারেক সুমন। এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তারেক সুমন বলেন- আমি যেহেতু একজন জনপ্রতিনিধির বডিগার্ড সেহেতু অনেকেই আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে পারে। সূত্র: মানবজমিন

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশাশুনিতে বজ্রপাতে দুই জন নিহত

আসাদুজ্জামান : সাতক্ষীরার আশাশুনিতে বজ্রপাতে দুই জন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার কাঁদাকাটি ও তুয়াডাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। নিহতরা হলেন, উপজেলার কাঁদাকাটি গ্রামের মোক্তার আলির ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন (৪৫) ও তুয়াডাঙ্গা গ্রামের মৃত মঙ্গল মন্ডলের ছেলে ভজহরি মন্ডল (৫০)।

স্থানীয়রা জানান, সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে মৎস্য ঘের ব্যাবসায়ি জাহাঙ্গীর বৃষ্টির মধ্যে তিনি তার নিজ ঘেরে মাছ ধরছিলেন। এ সময় হঠাৎ আকস্কিক বজ্রপাতে তিনি ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এর আগে সকাল ৭ টার দিকে ভজহরি মন্ডল কাজের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় বাড়ির পাশে সড়কের উপর হঠাৎ বজ্রপাত ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন। তাদের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিদুল ইসলাম শাহিন এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
‘মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের পড়তে দেওয়া হয় না’

মিয়ানমারের একটি স্কুলে দশম শ্রেণিতে পড়ে পারভীন ফাতেমা। তার গ্রামের নাম টংবাজার। রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমারের সেনাবাহিনী, পুলিশ ও স্থানীয়দের চলমান সহিংসতা থেকে বাঁচতে স্বজনদের নিয়ে পাহাড়ের বনে আশ্রয় নেয় তারা। পরে চার দিন ধরে হেঁটে পাড়ি দিয়েছে খাল-নদী। ভাইবোনদের সঙ্গে গতকাল সোমবার সীমান্ত পেরিয়ে উখিয়ায় আসে ফাতেমারা।

ফাতেমা কথা বলে রোহিঙ্গাদের আঞ্চলিক ভাষাতেই। কক্সবাজারের আঞ্চলিক ভাষার সঙ্গে যার অনেকটাই মিল রয়েছে। ভাঙা ভাঙা ইংরেজিও বলতে পারে সে। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে সে জানে, তার ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। তবু সে স্বপ্ন দেখে আরো পড়াশোনা করার। ফাতেমার সঙ্গে কথা হয় বর্তমান পরিস্থিতি, মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের শিক্ষাব্যবস্থা, শিক্ষার অধিকারসহ নানা বিষয় নিয়ে।

কক্সবাজারের উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নে আনজুমানপাড়ায় ফাতেমার সঙ্গে হওয়া সেই কথোপকথনটি প্রমিত বাংলায় পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো।

ফাতেমা, তুমি পড়াশোনা করো?

ফাতেমা : হ্যাঁ, ক্লাস টেনে পড়ি। বিজ্ঞান বিভাগে, টংবাজার উচ্চ বিদ্যালয়ে (মিয়ানমারে)।

এখন যে চলে এলে?

ফাতেমা : আমাদের স্কুল এখন বন্ধ। রোহিঙ্গা এলাকার সব স্কুলই এখন বন্ধ। ঈদের আগেও আমাদের ক্লাস হয়েছে। এর পর শুরু হলো সহিংসতা। সেনারা এসে বলল, বাড়িঘর ছেড়ে চলে যেতে। তার পর থেকে স্কুলও বন্ধ হয়ে গেল।

 স্কুলের শিক্ষকরা…

ফাতেমা : স্কুলের শিক্ষকদের অধিকাংশই রোহিঙ্গা হওয়ায় অনেকে খুন হয়েছেন। অনেকে এলাকা ছেড়েছেন।

তোমাদের স্কুলে রোহিঙ্গাদের বাইরে কোনো শিক্ষার্থী নেই?

ফাতেমা : ছিল। মগ (বৌদ্ধ) ছেলেমেয়েরা পড়ত। কিন্তু কিছুদিন আগে ওদের সরিয়ে নিয়েছে ওদের বাবা-মা।

দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়েছ। এখন যে চলে এসেছ, পড়াশোনা বন্ধ হয়ে গেল না?

ফাতেমা : বাড়িঘর পুড়িয়ে দিচ্ছে। মানুষকে গলা কেটে মেরে ফেলছে। মেয়েদের ওপর জুলুম করছে। ওখানে কি থাকা যায়? আগে তো প্রাণ বাঁচাতে হবে, তাই না?

তোমাদের ওপর সহিংসতা শুরু না হলো তো পড়াশোনা চালিয়ে যেতে, তাই না?

ফাতেমা : না, চালিয়ে যেতে পারতাম না। আমাদের ওখানে (মিয়ানমারে) ইচ্ছে করলেই আমরা পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারি না। রোহিঙ্গা ছেলেমেয়ে দশম শ্রেণির বেশি পড়তে পারে না। পড়তে দেওয়া হয় না। কোনো কলেজ রোহিঙ্গাদের ভর্তি করায় না।

তাহলে কি কোনো রোহিঙ্গা উচ্চশিক্ষা নেয় না?

ফাতেমা : কীভাবে নেবে? নিতে তো দেয় না। উচ্চশিক্ষার তো অধিকারই নেই। পরিচয় গোপন করে যদি কেউ করে, সেটা অন্য ব্যাপার। করতে পারলে তো ভালো।

এখন তোমার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?

ফাতেমা : জীবন বাঁচিয়েছি। ইচ্ছা আছে পড়াশোনা করার। অনেক পড়াশোনা করতে চাই। বাংলাদেশে এসেছি। আর ফিরতে চাই না। ওখানে আর শান্তি আসবে না। এখানে সুযোগ পেলে পড়াশোনা করব।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় ৫৬৪ টি মন্ডপে অনুষ্ঠিত হবে দুর্গা পূজা; আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কঠোর নজরদারী

আসাদুজ্জামান : সনাতন ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব আসন্ন শারদীয় দূর্গা পূজা’র আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। ইতিমধ্যে রং তুলির কাজ কোথাও শেষ হয়েছে আবার কোথাও দ্রুত গতিতে চলছে। তবে আনন্দঘন পরিবেশ বিরাজ করছে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে। আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর এ পূজার মহা ষষ্টী। এবার সাতক্ষীরা জেলার ৭ টি উপজেলার ৭৮টি ইউনিয়নের ৫৬৪ টি পূজা মন্ডপে মন্ডপ তৈরী করা হচ্ছে। এর মধ্যে অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে ১০৬ টি মন্ডপকে। গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে ১৩৭ টি মন্ডপকে। বাকি ৩২১ টি মন্ডপে কোন ঝুঁকি নেই।
শারদীয় দূর্গাৎসব উপলক্ষে জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। প্রতিটি মন্ডপে এবার নিরাপত্তা জোরদার করার লক্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোরভাবে অবস্থান করবে বলে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
প্রাপ্ত তথ্যে জানাগেছে, আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত শারদীয় দূগা উৎসব পালনে সাতক্ষীরা জেলায় ৫৬৪ টি পূজা মন্ডপ প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। এরমধ্যে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার মোট ১০৫ টির মধ্যে ৫৪ টি মন্ডপে কোন ঝুকি নাই, বাকী ৩৬ টি গুরুত্বপূর্ন ও ১৬ টি মন্ডপকে অধিক গুরুত্বপূর্ন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। কলারোয়া উপজেলায় ৪০ টি পূজা মন্ডপের মধ্যে ৬ টিতে কোন ঝুকি নাই, বাকী ১৩ টি গুরুত্বপূর্ণ ও ২১ টি অধিক গুরুত্বপূর্ণ। তালা উপজেলার ১০৭ টির মধ্যে ৬৭টিতে কোন ঝুকি নাই, বাকী ২৫টি গুরুত্বপূর্ণ ও অধিক গুরুত্বপূর্ণ ১৫টি। পাটকেলঘাটা থানার আওতায় ৭২ টি পূজা মন্ডপের মধ্যে ৬৪ টিতে কোন ঝুকি নাই, বাকী ৫ টি গুরুত্বপূর্ণ ও অধিক গুরুত্বপূর্ণ ৩টি। দেবহাটা উপজেলার ২০ টির মধ্যে ১০ টিতে কোন ঝুকি নাই, বাকী ৫টি গুরুত্বপূর্ন ও অধিক গুরুত্বপূর্ণ ৫টি। আশাশুনি উপজেলার ১০৪ টির মধ্যে ৭৮ টিতে কোন ঝুকি নাই, বাকী ১২ টি গুরুত্বপূর্ন ও অধিক গুরুত্বপূর্ণ ১৪ টি। কালিগঞ্জ উপজেলার ৫২ টির মধ্যে ৫ টিতে কোন ঝুকি নাই, বাকী ২৫ টি গুরুত্বপূর্ণ ও অধিক গুরুত্বপূর্ণ ২২টি এবং শ্যামনগর উপজেলায় ৬৪ টি পূজা মন্ডপের মধ্যে ৩৭ টিতে কোন ঝুকি নাই , বাকী ১৬ টি গুরুত্বপূর্ণ ও অধিক গুরুত্বপূর্ণ ১১টি পূজা মন্ডপকে চিহ্নিত করা হয়েছে।
এদিকে আসন্ন শারদীয় দূর্গা পূজাকে সামনে রেখে জেলায় আইন শৃখংলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশের পক্ষ থেকে সকল প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে।
জেলা পুলিশের দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, হিন্দু সম্প্রদায়ের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব দুর্গাূপূজা শান্তিপূর্ণভাবে পালনের সুবিধার্থে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এবার পুলিশ, কমিউনিটি পুলিশ, আনছার, স্থানীয় পূজা কমিটি, স্বেচ্ছসেবক ও নির্বাহী ম্যােিজস্ট্রেটের অধীনে ভ্রাম্যমাণ পুলিশ টিম নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে।
সার্বিক বিষয়ে সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেন জানান, সাতক্ষীরা জেলায় এবার মহসাড়ম্বরে ৫৬৪ টি পুজা মন্ডপে শারর্দীয় দূর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ দূর্গা পূজা সুন্দর ও সুষ্ঠভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে ৬৭ টি মোবাইল টিম সার্বক্ষনিক মাঠে থাকবে। তিনি আরো জানান, যে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আইন শৃখংলা রক্ষা বাহিনী সর্বদা প্রস্তুত থাকবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রোহিঙ্গা ইস্যুতে জরুরি বৈঠক ডেকেছে জাতিসঘ নিরাপত্তা পরিষদ

মিয়ানমারের রাখাইনে সহিংসতা ও রোহিঙ্গা নির্যাতন ইস্যুতে বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বৈঠকে বসবে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। পরিস্থিতি দিন দিনই অবনতির দিকে যাওয়ায় জরুরি বৈঠকের ঘোষণা দেন নিরাপত্তা পরিষদের প্রেসিডেন্ট। এদিকে, রোহিঙ্গাদের ওপর নিপীড়নের বিষয়ে আবারও উদ্বেগ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

সোমবার হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র সারাহ হাকাবি জানান, রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর সেনা নিপীড়ন পরিস্থিতিকে ভয়াবহ করে তুলেছে। তবে এই ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপের ব্যাপারে কিছু জানাতে পারেননি তিনি।

এদিকে, রাখাইনে এখনও জ্বলছে একের পর এক গ্রাম। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে এপি জানায়, সোমবারও মিয়ানমারের সেনারা আগুন দিয়েছে রাখাইনের ‘পা দিন’ গ্রামে। বলা হচ্ছে গুলি করে হত্যা করা হয় অনেককে। এদিকে, রোহিঙ্গা নিপীড়ন ইস্যুতে বিক্ষোভ অব্যাহত আছে বিভিন্ন দেশে। বিক্ষোভ হয়েছে ভারত ও ইসরায়েলেও।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest