সর্বশেষ সংবাদ-
শ্যামনগর উপজেলায় নাগরিক প্লাটফর্মের সাথে যুব ফোরামের তথ্য বিনিময়সাতক্ষীরায় মরিচ্চাপ ফিস এন্ড ফিড এর উদ্বোধনশ্যামনগর উপজেলায় যুব ফোরামের ত্রৈমাসিক সভাদেবহাটায় আমাদের টিমের বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণপ্রচন্ড তাপপ্রবাহ উপেক্ষা করে সাতক্ষীরায় মোটরযানের উপর মোবাইল কোর্টজনগণ যাকে চাইবেন, তিনিই নির্বাচিত হবেন-সাতক্ষীরায় নির্বাচন কমিশনার হাবিব খানসাতক্ষীরায় হিট স্ট্রোকে এক শিক্ষকের মৃত্যু : সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২.২ ডিগ্রিসাতক্ষীরায় রাসায়নিক দ্রব্যে পাকানো ৬ হাজার কেজি গোবিন্দভোগ আম বিনষ্টশ্যামনগরে শরীরে পেট্টোল ঢেলে হত্যা চেষ্টার অভিযোগতীব্র তাবদাহে সাতক্ষীরায় সুপেয় খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন

তালা উপজেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

তালা ডেস্ক : তালা উপজেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভা সোমবার সকালে উপজেলা পরিষদ সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ফরিদ হোসেন।
এসময় কমিটির সদস্য যথাক্রমে তালা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার, তালা থানার ওসি মো. হাসান হাফিজুর রহমান, পাটকেলঘাটা থানার ওসি মোল্যা জাকির হোসেন, উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান মো. ইখতিয়ার হোসেন, জেবুন্নেছা, ধানদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আলম, নগরঘাটা ইউপি চেয়ারম্যান মো. কামরুজ্জামান লিপু, সরুলীয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. মতিয়ার রহমান, কুমিরা ইউপি চেয়ারম্যান, মো. আজিজুল ইসলাম, তেঁতুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সরদার রফিকুল ইসলাম, ইসলামকাটী ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যাপক সুভাষ সেন, মাগুরা ইউপি চেয়ারম্যান গনেশ দেবনাথ, খলিশখালী ইউপি চেয়ারম্যান সাংবাদিক মোজাফ্ফর রহমান, খেশরা ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যাপক রাজিব হোসেন রাজু, জালালপুর ইউপি চেয়ারম্যান এম. মফিদুল হক লিটু, খলিলনগর ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান রাজু, সিনিয়র সাংবাদিক আব্দুল আলীম ও রিপোটার্স ক্লাব’র সদস্য সচিব বি.এম.জুলফিকার রায়হান সহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানগন উপস্থিত ছিলেন।
উক্ত সভায়- আসন্ন শারদীয় দূর্গা পূজা উৎসবমূখর পরিবেশে উৎযাপন, খাস জমি দখল রোধ ও দখলীয় জমি উদ্ধার, সকল প্রকার মাদক বিকি-কিনি বন্ধ করা, বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ সহ সামগ্রীক ভাবে তালা উপজেলার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার উপর আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কলারোয়ায় শ্রমিক লীগ সভাপতির উপর হামলার প্রতিবাদে মিছিল-সমাবেশ

কলারোয়া ডেস্ক : সাতক্ষীরার কলারোয়ায় উপজেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি ও শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিমের উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার সকালে শ্রমিক লীগ ও শ্রমিক ইউনিয়নের যৌথ উদ্যোগে ওই প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
মিছিলটি কলারোয়া পৌর সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সরকারি কলেজ বাসস্ট্যান্ডস্থ শ্রমিক লীগ ও শ্রমিক ইউনিয়ন অফিসের সামনে এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম সাবু, সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ, কলারোয়া উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান স.ম মোরশেদ আলীসহ শ্রমিকলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, সৈনিকলীগের নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশটি পরিচালনা করেন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ও উপজেলা শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক মুনজুরুল ইসলাম মিঠু।
উল্লেখ্য, রবিবার রাতে বাসায় ফেরার সময় সরকারি কলেজ এলাকায় রড-হাতুড়ি-লাঠিসোটা দিয়ে শ্রমিকলীগ সভাপতি আ.রহিমকে মারপিট করে কতিপয় সন্ত্রাসীরা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
‘রোহিঙ্গা সমস্যা মিয়ানমারের সৃষ্টি, তাদেরকেই সমাধান করতে হবে’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রোহিঙ্গা সমস্যা মিয়ানমারের সৃষ্টি, তাদেরকেই এই সমস্যার সমাধান করতে হবে। অবশ্যই মিয়ানমারকে তাদের নাগরিকদের নিজ বাসভূমিতে ফেরত নিতে হবে।

তিনি আজ সংসদে রোহিঙ্গা নির্যাতন বন্ধ ও বাংলাদেশ আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের নাগরিকদের সেদেশে ফেরত নিতে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মহলের চাপ প্রয়োগের প্রস্তাব সম্বলিত সংসদ কার্যপ্রণালী বিধির ১৪৭ (১) বিধির অধীনে আনীত প্রস্তাবের উপর আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গারা যে মিয়ানমারেরই নাগরিক এটা সকলেরই জানা। তাদের এক সময় ভোটের অধিকারসহ সব কিছু ছিল। ১৯৮২ সালে তাদের এই অধিকার কেড়ে নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। একটি জাতির প্রতি মিয়ানমার সরকার কেন এধরনের আচরণ করছে এটা আমাদের বোধগম্য নয়। এ ব্যাপারে আমরা বরাবরই প্রতিবাদ করে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে বাংলাদেশ মিয়ানমারের সাথে কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোনো সন্ত্রাসী গ্রুপকে এদেশের ভূমি ব্যবহার করে অন্য কোনো দেশে সন্ত্রাস চালাতে দেয়া হবে না। আমরা এ ব্যাপারে সব সময় সচেষ্ট রয়েছি। এ ব্যাপারে আমরা নিজেরাও ভুক্তভোগী। একসময় পার্বত্য এলাকার সমস্যা সমাধানে সামরিক বাহিনীকে ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের পর পার্বত্য এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে ‘শান্তি চুক্তি’ করা হয়। তখন ওই এলাকার যারা ভারতে শরণার্থী হিসেবে ছিল তাদের সবাইকে ফেরত আনা হয়।
তিনি বলেন, ‘ধর্মীয়ভাবে নয় রোহিঙ্গাদের মানবিক কারণে এদেশে আশ্রয় দেয়া হয়েছে। ছোট শিশু, নারী, বৃদ্ধদের প্রতি আমরা অমানবিক হতে পারি না। ’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা এসেছে তাদের ছবিসহ পরিচয়পত্র দেয়া হবে। যাতে তাদের সঠিকভাবে ফেরত পাঠানো যায়।
এই সমস্যাকে নিয়ে কেউ যাতে রাজনীতি না করে এ আহ্বান জানিয়ে সংসদ নেতা বলেন, ১৬ কোটি মানুষকে খাদ্য ও বাসস্থানের ব্যবস্থা করতে পারলে ৫ লাখ মানুষেরও খাদ্য যোগাতে আমরা পারবো।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রোহিঙ্গাদের নিয়ে উদ্বেগ জার্মানির: মিয়ানমারকে সহায়তা বন্ধের ঘোষণা

মিয়ানমারে চলমান সহিংসতার কারণে উদ্বেগ প্রকাশ করে দেশটির বেশ কিছু খাতে সহায়তা বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে জার্মানি। সোমবার জার্মানির উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট এই খবর প্রকাশ করেছে।

জার্মানির উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ক্যাথরিনা মায়েজ বলেন, মিয়ানমারে খাদ্য নিরাপত্তা, কর্মসংস্থান, চিকিৎসাসেবাসহ বেশ কয়েকটি খাতে সহায়তা করে আসছিল জার্মানি। যেসব অঞ্চলগুলোতে সহিংসতা চলছে সেখানে এই সহায়তা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সহিংসতা বন্ধ হলে আবার এই সহায়তা কার্যক্রম দ্রুত চালু করা হবে।

জার্মানির আরেক সরকারি মুখপাত্র স্টিফেন সেইবার্ট বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের চলমান সহিংসতার ঘটনাটি নিবিড় পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। মিয়ানমারের সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমানদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় নোবেল বিজয়ী নেত্রী অং সান সু চিকে সসিংসতা বন্ধের পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানান তিনি।

গত ২৫ আগস্ট রোহিঙ্গা জঙ্গিরা রাখাইন রাজ্যের পুলিশ থানায় হামলা চালায় এবং ১২ জন নিরাপত্তাকর্মীকে হত্যা করে। এর পর থেকে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী নিরস্ত্র রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ-শিশুদের ওপর নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞ চালাতে থাকে। সহিংসতার মধ্যে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে এসেছে সোয়া তিন লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
এবার জাতিসংঘকে জানানো হচ্ছে সাতক্ষীরার মুক্তামনির গল্প

ডেস্ক রিপোর্ট : এবার জাতিংঘকে জানানো হচ্ছে সাতক্ষীরার বিরল রোগে আক্রান্ত মুক্তামণির চিকিৎসায় সাফল্যের কথা। জানানো হচ্ছে তোহা-তহুরাকে সফলভাবে আলাদা করার গল্পও।

আগে ছিল তোফা-তহুরা, এখন তারা তোফা ও তহুরা। আগে ছিল এক শরীর, এখন পৃথক। আগে একজন আরেকজনকে দেখতে পেত না, এখন একজন আরেকজনকে জড়িয়ে ধরে, হাত দিয়ে মুখে চিমটি কাটে। তোফা ও তহুরা আজ বাড়ি ফিরছে, আর তাতে হাসি ফুটেছে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকসহ প্রতিটি কর্মকর্তা ও কর্মচারীর মুখে। তোফা ও তহুরার সুস্থ হয়ে বাড়ি যাওয়াতে তারা সবাই খুশি। কেবল তাই নয়, জানা গেল, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে বাংলাদেশের যে প্রতিনিধি দল অংশ নেবেন তারা সঙ্গে করে নিয়ে যাচ্ছেন বাংলাদেশের কিছু সাফল্যের গল্প, যে সাফল্যের মুকুটে পালক যোগ করেছে বাংলাদেশের চিকিৎসা সেবা, যেখানে ঠাঁই পেয়েছে তোফা ও তহুরা এবং মুক্তামনির চিকিৎসার সফলতার কথা।

আজ ১০ সেপ্টেম্বর ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে বিদায় দেওয়া হয় দেশের প্রথম ‘পাইগোপ্যাগাস শিশু’ তোফা ও তহুরাকে। হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়ার অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ এ তথ্য দেন। তিনি বলেন, তোফা ও তহুরা এবং মুক্তামনির সফল অপারেশনের খবর জাতিসংঘে যাচ্ছে বইয়ের পৃষ্ঠায় লিপিবদ্ধ হয়ে। স্বাস্থ্য খাতের সফলতা নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে একটি বই তৈরি করেছি, যে বইটি জাতিসংঘের অধিবেশনে আসা প্রতিটি দেশের প্রতিনিধি দলকে বিতরণ করা হবে।সেই বইয়ে মুক্তামনি এবং তোফা ও তহুরার ছবি এবং এদের চিকিৎসা করা চিকিৎসকদলের ‘সাকসেস স্টোরি’ আমরা লিপিবদ্ধ করেছি বলেন অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ।
দেশের প্রথম পাইগোপ্যাগাস শিশু তোফা ও তহুরা, আর রক্তনালীতে টিউমার নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল মুক্তামনি। তোফা ও তহুরার আগে বিশ্বে ১৩টি পাইগোপ্যাগাস শিশুর জন্ম হয়, যাদের ৬০ শতাংশই অপারেশন পরবর্তী জটিলতায় মারা যায়। কিন্তু প্রায় ৯ ঘণ্টার অস্ত্রোপচার শেষে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগের প্রায় ২০ থেকে ২২ জনের একটি দল জোড়া লাগা শিশু তোফা-তহুরার অস্ত্রোপচার করেন।

অপরদিকে, উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠাতে চাইলেও মুক্তামনির অপারেশন করতে অস্বীকৃতি জানায় সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতাল। পরে বিষয়টিকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের চিকিৎসকরা। ৩০ জন বিশিষ্ট চিকিৎসকের নিবিড় পর্যবেক্ষণ ও সে অনুযায়ী নেওয়া সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে মুক্তামনির হাত অক্ষুণ্ন রেখেই সফল অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়। তার হাত ও রক্তনালীতে আর কোনও টিউমার নেই বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। শিশুটি এখন হাসপাতালে নিবিড় শুশ্রূষার মধ্যে রয়েছে।

রবিবার হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, তোফা ও তহুরার মা ২৩ বছরের সাহিদার মুখ যেখানে দুইমাস আগেও ছিল বিষাদে ঘেরা, সেখানে আজ তার মুখের হাসি থামছিলই না। এক মেয়েকে পাশে রেখে আরেক মেয়েকে কোলে নিয়ে বাটি থেকে চামুচ দিয়ে ‍দুধ খাইয়ে দিচ্ছিলেন।আর কিছু সময় পরেই তারা হাসপাতাল ছাড়বেন বলে তোফা ও তহুরার বাবা রাজু মিয়া ব্যস্ত ছিলেন ব্যাগ গোছানোর কাজে। তবে এরমধ্যেই একমুখ হাসি নিয়ে তিনি বলেন, মেয়েদের নিয়ে বাড়ি যাচ্ছি-ওরা সুস্থ আছে, এটাই ছিল একমাত্র চাওয়া।

পরে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া অনুষ্ঠানে তোফা ও তহুরা হাজির হয় গোলাপি রং এর জামা,ম্যাচিং করে হেয়ার ব্যান্ড, হাতে চুড়ি, কপালে কালো ছোট কালো টিপ এবং কপালের আরেক পাশে নজর কাটানো টিপ দিয়ে। তারা বাবা মায়ের কোলে বসে কখনও কাঁদছে, কখনওবা আবার হাসছে, চিকিৎসকদের সঙ্গে সেলফি তোলায় তাকিয়ে থাকছে চোখ বড় করে। ছাড়পত্র দেওয়া অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম দুজনকেই একসময় একসঙ্গে কোলে তুলে নেন। এসময় তিনি গণমাধ্যমে সংবাদটি প্রাধান্য দিয়ে প্রচার ও প্রকাশের অনুরোধ জানান। কারণ, সীমিত সম্পদের মধ্যেও চিকিৎসাসেবায় এটি বাংলাদেশের অনন্য সাফল্যের দৃষ্টান্ত যা বিশ্ববাসীকে জানানোর পাশাপাশি তরুণ চিকিৎসকদেরও উৎসাহিত করবে।

ছাড়পত্র দেওয়ার পর তোফা ও তহুরার মা সাহিদা বেগম ও বাবা রাজু মিয়া চলে যান তাদের কেবিনে, কিছু গোছগাছ যে এখনও বাকি। কেবিনে গিয়ে দেখা যায়, তোফাকে কোলে নিয়ে খাওয়াতে ব্যস্ত মা, একসঙ্গে লাগানো দুটো বেডের আরেকটিতে হামাগুড়ি দিয়ে রয়েছে তহুরা। সে কাঁদছে,খেলছে আর হাসছে। মা সাহিদা বেগম হাসতে হাসতে বলেন, ১৮ বছর বয়সে বিয়ে হয়। একটি ছেলে ছিল, ইচ্ছে ছিল মেয়ে হবে একটা। কিন্তু এই মেয়েদুটো যখন হলো তখন কেবলই আমি কেঁদেছি―এই মেয়েদের নিয়ে আমি কী করবো, কোথায় যাবো, এরা বাঁচবে কী করে? কিন্তু তারপর যা হলো আমি তার জন্য এই হাসপাতালের চিকিৎসকসহ সবার কাছে কৃতজ্ঞ।

আর তোফা ও তহুরা যার অধীনে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ছিল, সেই চিকিৎসক ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শিশু সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডা. সাহনূর ইসলাম বলেন, ‘ওদের জন্ম গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর। ওরা এখানে আসে ৭ অক্টোবর। তারপর থেকেই আমার অধীনে ছিল। আমি এই এতগুলো মাস ঠিকমতো ঘুমাইনি, রাতে ঘুম ভেঙে যেত, একটা বিশাল চ্যালেঞ্জ ছিল, ইন্টারনেট ঘাঁটতাম, দেখতাম কীভাবে কী করা যায়। এর আগে পৃথিবীতে এ ধরনের ১৩টি জোড়া শিশুর জন্ম হয়েছিল, তাদের অস্ত্রোপচার কীভাবে করেছিলেন চিকিৎসকরা সেগুলো দেখতাম,পড়তাম। অবশেষে আমরা তোফা ও তহুরাকে পৃথক করতে পেরেছি।’ তিনি বলেন, ‘আজকের দিনটির অপেক্ষায় ছিলাম, কিন্তু গতকাল রাত থেকে ফাঁকা লাগছে বুকের ভেতরটা, এতোগুলো মাস ধরে দিনের অধিকাংশ সময় কাটাতাম ওদের পাশে।কাল থেকে আর সেটি হবে না।’

রোগীর জন্য আপনার এত কষ্ট হচ্ছে প্রশ্ন করলে অধ্যাপক ডা. সাহনূর বলেন, ‘ওরা আমার রোগী ছিল না, ওরা আমার মেয়ে।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ইট ইজ অ্যান অ্যাটাক অন বাংলাদেশ : অর্থমন্ত্রী

মিয়ানমারে রাখাইন প্রদেশে হত্যা-নির্যাতনের ফলে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থী বেড়ে যাওয়াকে দেশটির পরোক্ষ আক্রমণ বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

সোমবার দুপুরে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালনা পর্ষদের সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেন মন্ত্রী।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘ইট ইজ অ্যান অ্যাটাক অন বাংলাদেশ। এটা বার্মার ইনডাইরেক্ট অ্যাটাক অন বাংলাদেশ। ’

মিয়ানমার সরকারের এমন আচরণের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেওয়া যায়, তা বিশ্বকে ভেবে দেখতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আরেক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের জন্য যা কিছু করা দরকার, আমরা করছি। তাদের আশ্রয় দিচ্ছি, তাদের জন্য মায়ানমারে আলাদা জোন সৃষ্টি করার দাবিও তুলছি। ’
এর আগে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালনা পর্ষদের সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। সভায় হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে মাহবুবুল আলম সভাপতিত্ব করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দুদকের শুভেচ্ছা দূত সাকিব আল হাসান

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) শুভেচ্ছা দূত হলেন আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত তারকা বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।

দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়তে একসঙ্গে কাজ করার লক্ষ্য নিয়ে সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে শুভেচ্ছা দূত হিসেবে নিয়োগ দেয় কমিশন।
এ উপলক্ষে আজ দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটি বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে ক্রেস্ট এবং ফুল দিয়ে বরণ করে নেয়। এসময় দুদকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

সাকিব আল হাসানকে উদ্দেশ্য করে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, আমরা সম্মিলিতভাবে দুর্নীতি দমন ও প্রতিরোধ করার চেষ্টা করছি। আপনারা বিশেষ করে আপনি বাংলাদেশকে একটি বিশেষ মাত্রায় নিয়ে গেছেন। বিশ্বে বাংলাদেশকে মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। এজন্য আমরা গর্বিত।

তিনি বলেন, আপনি তরুণ, দেশকে কিছু দেওয়ার জন্য এখনই উত্তম সময়। আপনি দেশের কোটি কোটি তরুণ-তরুণীর আইকন। আপনার কারণে যদি দেশের ১০টি তরুণ সৎ জীবনযাপনে উদ্বুদ্ধ হয় সেটাও বিশাল প্রাপ্তি। তাই আপনাকে দুর্নীতি প্রতিরোধে কমিশনের শুভেচ্ছা দূত হিসেবে তরুণদের মাঝে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।

নন্দিত ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান দুর্নীতি দমন কমিশনের কার্যক্রমকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘দুর্নীতি দমন কমিশনের যেকোনো কর্মসূচিতে আমি আসব। আমরাও চাই দুর্নীতিমুক্ত দেশ। আমরা যখন কোনো দেশের অভিবাসন দফতরে আমাদের পাসপোর্ট জমা দেব, তখন তারা যেন মনে করে, বাংলাদেশের মানুষ দুর্নীতিমুক্ত এবং বিশ্বের রোল মডেল।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মিশরে আইএসের হামলায় ১৮ সেনা নিহত

মিশরের সিনাইয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর একটি সাঁজোয়া বহরে কথিত ইসলামিক স্টেটের (আইএস) অতর্কিত হামলায় কমপক্ষে ১৮ সেনা নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও সাতজন।
সোমবার উত্তর সিনাইয়ের আল-আরিশের ৩০ কিলোমিটার পশ্চিমে এই হামলার ঘটনা ঘটে।

দেশটির পুলিশ এবং সামরিক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাস্তার পাশে পুঁতে রাখা বোমা চারটি সাঁজোয়া যান এবং একটি সিগন্যাল জ্যামিং যানে আঘাত হানলে সেগুলো বিধ্বস্ত হয় এবং আগুন ধরে যায়।

এরপর হামলাকারীরা রাইফেল দিয়ে গুলিবর্ষণ শুরু করে। একপর্যায়ে তারা একটি পুলিশ ট্রাকের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়।
নিহতদের মধ্যে দুইজন পুলিশ সদস্য রয়েছেন। এছাড়া আহতদের মধ্যে একজন বিগ্রেডিয়ার জেনারেল রয়েছেন বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

অবশ্য দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে হামলার কথা স্বীকার করলেও হতাহতের সংখ্যা উল্লেখ করেনি।

আমাক ওয়েবসাইটে দেয়া এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে ইসলামিক স্টেস্ট ইরাক অ্যান্ড লেভান্ত (আইএসএল) এই হামলার দায় স্বীকার করেছে।

সহিংসতা প্রবণ সিনাইয়ের ওই সশস্ত্র গ্রুপটি মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠীটির আনুগত্য প্রকাশ করেছিল। গ্রুপটি এর আগে জুলাইতে হামলা চালিয়ে রাফাহ এলাকায় ২৩ সেনাকে হত্যা করেছিল। সূত্র: আল-জাজিরা

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest