সর্বশেষ সংবাদ-
হাসানের পরিবারের দাপট অব্যাহত: পাটকেলঘাটায় মানববন্ধনে প্রকাশ্য হামলাচতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী স্মৃতিতে অম্লান চিকিৎসক ডা. আনিছুরসাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের পরিবারের অনুকুলে ২৬ লাখ টাকার চেক বিতরণশ্যামনগরে কাজী আলাউদ্দীনের উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পদেবহাটা উপজেলা জামায়াতের সুধী সমাবেশপ্রাণসায়ের খাল বাঁচাতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন ও সমাবেশদিনে ভোট, রাতে নয় আমার ভোট আমি দেব : আফরোজা আব্বাস অন্যায় কাজে কাউকে প্ররোচিত করবো না, উন্নয়নই হবে মূল লক্ষ্য : সাবেক এমপি হাবিবশোভনালীতে মানব পাচার প্রতিরোধ ও নিরাপদ অভিবাসন ডেস্ক উদ্বোধনআশাশুনির গোয়ালডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মানববন্ধন

১ কাপ দুধে ৩ কোয়া রসুন : অবিশ্বাস্য ফল দেখুন নিজের চোখে!

দ্রুত বদলাচ্ছে আবহাওয়া। এই সময়ে সর্দিকাশি বা ভাইরাল ফিভার হওয়ার প্রচুর সম্ভাবনা থাকে। এই ধরনের রোগের চিকিৎসা সাধারণত কড়া ডোজের অ্যান্টিবায়োটিক। কথায় কথায় ওষুধ খাওয়া অনেকেরই না-পছন্দ!

সাম্প্রতিক গবেষণা হদিশ দিচ্ছে এমন একটি ঘরোয়া কৌশলের, যার সাহায্যে সহজেই রুখে দেওয়া যেতে পারে ভাইরাস ও সর্দি-জ্বরের আক্রমণ। শুধু তাই নয়, এর সাহায্যে বাতের ব্যাথার মতো রোগেরও প্রতিরোধ করা সম্ভব।

এটা বানানোর জন্য প্রয়োজন কেবল এক কাপ দুধ, তিন কোয়া রসুন, এক চামচ হলুদ গুঁড়ো, প্রয়োজন মতো চিনি ও পরিমাণ মতো পানি।

প্রথমে দুধ-পানি মিশিয়ে একটু পাতলা করে নিন। এর মধ্যে রসুন কোয়াগুলো থেঁতলে ফেলে ফোটান। দুধের সঙ্গে সেগুলি মিশে গেলে হলুদ গুঁড়ো ও চিনি দিয়ে নে়ড়ে নিন। প্রয়োজনে পছন্দমতো ফ্লেভারও মেশাতে পারেন দুধে। এর পর মিনিট দশেক গরম করলেই আপনার ঘরোয়া ওষুধ তৈরি।

এই বিশেষ পানীয় শুধু যে সর্দিকাশির প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে, তা নয়। রসুন-দুধ অ্যাজমা প্রতিরোধেও কাজে আসে। এছাড়া শরীরে ব্যাড কোলেস্টেরলের সমস্যা কমায় এটি। রসুন-দুধের মিশ্রণ যৌনক্ষমতা বাড়ায় বলেও দাবি বিশেষজ্ঞদের।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
খালেদার গাড়িবহরে হামলা : একটি ফোন রেকর্ড নিয়ে তোলপাড়

ফেনীতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘিরে বড় দুই দলে দোষাদুষি এখন চরমে উঠেছে। আর উত্তেজনায় নতুন রং ছড়িয়েছে এক ‘টেলিফোন আলাপচারিতার রেকর্ড’।
একপক্ষে বলা হচ্ছে, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেনই ফোনে অন্য একজনকে হামলার নির্দেশনা দিচ্ছেন। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে গতকাল সোমবার সংবাদ সম্মেলন করেছেন ডা. শাহাদাত হোসেন। তিনি দাবি করেন, অডিও টেপের কণ্ঠটি তাঁর নয়, এটি ফেনীর ধর্মপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা শাহাদাত হোসেন শাকার। এদিকে রাজধানীতে পৃথক অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ নেতা হানিফ এবং ড. হাছান মাহমুদ উপস্থিত সবাইকে অভিও রেকর্ডটি বাজিয়ে শোনান এবং হামলার ঘটনাটিকে বিএনপির সাজানো বলে দাবি করেন। ফেনীর ইউপি চেয়ারম্যান শাকাও অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছিলেন। গতকাল রাতে কালের কণ্ঠ থেকে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কণ্ঠটি তাঁর নয়, আর এমন নির্দেশনা দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।

কী আছে অডিওতে
ফেসবুক ও ইউটিউবে ছড়িয়ে পড়া অডিওটি আমাদের হাতেও এসেছে। তবে ফোনের অন্য প্রান্তে থাকা নির্দেশদাতার গলার স্বর ততটা স্পষ্ট নয়। কলের শুরুতেই নির্দেশদাতা বলছেন : ‘হ্যালো মোবারক (অস্পষ্ট) ওইডা কি হইসে?’ এই প্রান্তে নোয়াখালীর আঞ্চলিক উচ্চারণে একজন বলেন, ‘একদম সব ঠিকঠাক করে দিসি।
আপনি কুনু টেনশান করিয়েন না। সব রেডি করে দিসি। সব বুঝাইটোঝাই দিসি পোলাপাইনরে। ’ ওপ্রান্ত থেকে এবার বলা হয়, ‘ম্যাডামের গাড়িতে আবার ঢিলটিল মারিস না। ’ উত্তর দেওয়া হয়: ‘না না, ম্যাডামের গাড়িতে কোনো ঢিলমিল পইড়ত না। সাংবাদিকগোরে মাইরতে অইব। সুন্দর করে বুঝাইটোঝাই দিসি’। তখন ওই প্রান্তে শোনা যায়, ‘খেয়াল রাখিস। দুই-একটা চ্যানেলের গাড়ি কিন্তু ভাঙিস। ’ এদিক থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়, ‘হ্যা, চ্যানেলের গাড়ির মধ্যেই মাইরব। কোনো টেনশন করিয়েন না। দলের কোনো গাড়ির মধ্যে ঢিলমিল মাইরত না। কইয়া দিসি। ’ তখন নির্দেশদাতা বলেন, ‘আর শোন। ছাত্রলীগের পোলাপান ভাড়া কইরা লইস। ’ নির্দেশগ্রহীতা বলেন, ‘হ্যাঁ। এদিকে লোকাল দুই-তিনডারে কইয়ে রাখসি। টেহাপইসা দিয়ে দিসি জায়গামতন। কোনো টেনশন করিয়েন না। ’ ওরা যেন সামনে সামনে থাকে—এমন নির্দেশের জবাবে বলা হয়, সবাই সামনে থাকবে, এলাকার পোলাপাইন, কোনো সমস্যা নাই। ‘ওরা তো ছবিটবি তুলব। ওগো দোষ ওগো ঘাড়ে যেন আহে’—নির্দেশদাতার এই কথার উত্তরে বলা হয়, ‘একদম ঠিক কইরা আমি বুঝাইয়া কইসি। একটু পরে যামু। আবার সবটিরে বুঝাইয়া কমু। ’ নির্দেশগ্রহীতা কথা শেষ করেন, ‘লিডার, আসসালামু আলাইকুম’ বলে, শুরুতেই তিনি লিডার সম্বোধন করে সালাম দিয়েছিলেন।

‘আমি সেই শাহাদাত না’
বিভিন্ন সূত্র মতে, রবিবার রাতে অডিওটি প্রথম ছাড়ে একেবারেই অপরিচিত একটি নিউজপোর্টালে। এতে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির নেতা সভাপতিকে নির্দেশদাতা হিসেবে দেখানো হয়। এর প্রতিবাদে গতকাল দুপুর ১টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন ডাকেন ডা. শাহাদাত হোসেন। তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘আমার ৩০ বছর রাজনৈতিক জীবনে কাউকে মারা দূরের কথা, থাপ্পড় মারারও নির্দেশ দিয়েছি—এমন কেউ বলতে পারবে না। আমি সব সময় সুস্থ রাজনীতির ধারায় বিশ্বাসী এবং পরিচ্ছন্ন রাজনীতি করে এসেছি। এ ছাড়া আমার কণ্ঠ দেশবাসী চেনে ও জানে, কারণ বিভিন্ন টক শো মিডিয়াতে আমি সব সময় কথা বলে আসছি। ’ একটি অপরিচিত নিউজ পোর্টালের নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এই অনলাইনে গতকাল (রবিবার) রাত আনুমানিক দেড়টায় ছাড়া প্রতিবেদনে আমার কণ্ঠ উল্লেখ করে যে অডিও প্রচার করা হয়েছে তা মিথ্যা, ভিক্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। অডিও প্রচারকারী ব্যক্তিকে চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় এনে শাস্তির জোর দাবি জানাচ্ছি। ’ তিনি বলেন, কাদের এজেন্ডা বাস্তবায়নে ভুয়া অডিও ছাড়া হলো তারও তদন্ত হওয়া উচিত। যে হামলার নির্দেশ দিয়েছে তদন্ত করে তাকে গ্রেপ্তার ও বিচারের আওতায় আনা উচিত।

ডা. শাহাদাত আরো বলেন, ‘ওই আলাপের শব্দ, কণ্ঠ, একসেন্ট কোনোটারই মিল নেই। যেখানকার ঘটনা সেখানকার আঞ্চলিকতা রয়েছে কথায়। গণমাধ্যমে এসেছে ওই হামলার মূল দায়িত্বে ছিলেন ফেনীর শর্শদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জানে আলম ভূঁইয়া এবং ধর্মপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন শাকা। ওই শাহাদাতকে আমি শাহাদাত বলে চালিয়ে দিল। ’ বিএনপি চেয়ারপারসনের কক্সবাজার সফর বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের দেওয়া সাম্প্রতিক বিভিন্ন বক্তব্যকে ‘হাস্যকর’ বলে দাবি করেন ডা. শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, কোনো তদন্ত ছাড়াই ওবায়দুল কাদের হামলাকারীরা ছাত্রদল, যুবদল বলে দাবি করেছেন; ফেনীতে দলীয় চেয়ারপারসনের গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় দায়ীরা ছাত্রলীগ ও যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।

‘অডিওটি বিএনপি নেতার’
গতকাল সকালে ঢাকায় ‘এনাম-আনার জনকল্যাণ ফাউন্ডেশন’ আয়োজিত বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে অনলাইনে পাওয়া টেলিফোনের অডিও রেকর্ডটি বাজিয়ে শুনিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, ‘বিএনপি সব সময় চক্রান্ত করে, এবারও তা-ই করেছে। সরকার এসব দুষ্কৃতকারীদের (খালেদার বহরে হামলাকারী) খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনবে। কারা এর সঙ্গে জড়িত, তা আমরা দেখতে চাই। ’

একইভাবে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ সকালে রাজধানীতে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদের অনুষ্ঠানে সমবেতদের অডিওটি বাজিয়ে শোনান এবং হামলার নির্দেশদাতা হিসেবে বিএনপিকে অভিযুক্ত করেন। পরে সন্ধ্যায় ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের পক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘বিএনপি নেত্রীর বক্তব্যের মাধ্যমে প্রমাণিত হয় এটা তাঁদের পরিকল্পিত হামলা। বহরে হামলার ঘটনায় একজন বিএনপি নেতার গাড়িরও ক্ষয়ক্ষতি বা কোনো নেতার গায়ে আঁচড়ও লাগেনি, এটা আসলেই রহস্যজনক। ’ ফেনীর স্থানীয় একটি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হামলার সঙ্গে জড়িত—বিএনপির এমন বক্তব্যের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ছবি এডিট করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিএনপি অপপ্রচার চালাচ্ছে। ’ বিএনপির প্রতি প্রশ্ন রেখে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বেগম জিয়া কী কারণে যানজট সৃষ্টি করে পরীক্ষার্থীদের অসুবিধা করে সড়কপথে চট্টগ্রাম হয়ে কক্সবাজার গেলেন? কেনই বা খালেদা জিয়ার নিজের এলাকায় তাঁদের গাড়িবহরে হামলা হলো? কী কারণে অসুস্থতার কথা বলেও এত দূরের পথ তিনি সড়কপথে গেলেন? আর গাড়িবহরে কেন কোনো ত্রাণ ছিল না। কী কারণে দেশে আসার প্রায় ১০ দিন পর রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে গেলেন? আগে কেন এলেন না?’

পরে রাতে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে হাছান মাহমুদ জানান, রোহিঙ্গাদের ত্রাণ দেওয়াকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে খালেদা জিয়া রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করছেন। তাঁর গাড়িবহরে তারাই পরিকল্পিতভাবে হামলা করেছে। এর প্রমাণ ফাঁস হওয়া অডিওতে আছে। তিনি বলেন, এই রকম নোংরা রাজনীতি বিএনপিই করে।

এর আগে রবিবার আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের নিজ মন্ত্রণালয়ে বলেন, ‘আমার কাছে খবর আছে, ছাত্রদল ও যুবদল এ ঘটনা ঘটিয়েছে। পরিকল্পিতভাবে ছাত্রদল ও যুবদলকে দিয়ে এ ঘটনা ঘটিয়ে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ওপর দোষ চাপানোর এটি একটি মতলব, সেই মতলবটি এখন পরিষ্কার। ’

গত শনিবার বিকেলে ফেনী অতিক্রম করার সময় খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত ও সম্প্রচারিত একটি ছবিতে কয়েক ব্যক্তিকে হামলা করতে দেখা গেছে। স্থানীয় বিএনপি নেতাদের দাবি, হামলাকারীদের একজন ফেনী সদর উপজেলার শর্শদী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ওসমান গণি ওরফে রিয়েল। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গণমাধ্যমে প্রচারিত ওই ছবি সম্পাদনা করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
পাকিস্তান হাইকমিশনের চরম ধৃষ্টতা: জিয়াকে স্বাধীনতার ঘোষক বানিয়ে ভিডিও প্রকাশ

‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নন, জিয়াউর রহমানই বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক!’—খোদ বাংলাদেশে বসে এমন নির্জলা অপপ্রচার চালাচ্ছে ঢাকার পাকিস্তান হাইকমিশন। পাকিস্তান অ্যাফেয়ার্স নামে একটি ফেসবুক পেজে প্রকাশিত ১৩ মিনিট ৪৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিও গত বৃহস্পতিবার পাকিস্তান হাইকমিশন তার ফেসবুক পেজে শেয়ার করার মাধ্যমে প্রকাশ করে।
সেই ভিডিওতে আরো দাবি করা হয়েছে, শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতাই চাননি; তিনি স্বায়ত্তশাসন চেয়েছিলেন।

কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, হাইকমিশনের অফিসিয়াল ফেসবুকে কিছু প্রকাশ করার অর্থ সেটি দায়িত্ব নিয়েই প্রচার করা। এর আগেও বিভিন্ন সময় পাকিস্তান হাইকমিশনের ফেসবুক পেজে অন্য দেশের প্রতি বিদ্বেষমূলক প্রচারণা চালানো হয়েছে। এবার বাংলাদেশ নিয়ে যে ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে তার মধ্যে সুস্পষ্ট উসকানি রয়েছে। ঐতিহাসিকভাবে স্বীকৃত বিষয়াদি নিয়ে পাকিস্তান হাইকমিশনের নতুন করে বিতর্ক সৃষ্টির চেষ্টা উদ্দেশ্যপূর্ণ ও দূরভিসন্ধিমূলক।

সাবেক রাষ্ট্রদূত ওয়ালিউর রহমান বলেন, কোনো বিদেশি দূতাবাস বা হাইকমিশনের এ ধরনের প্রচারণা চালানো অত্যন্ত ঔদ্ধত্যপূর্ণ এবং সম্পূর্ণভাবে কূটনৈতিক শিষ্টাচারবহির্ভূত। এই ধৃষ্টতার মাধ্যমে তারা ভিয়েনা কনভেনশন আদ্যোপান্ত লঙ্ঘন করেছে। তিনি বলেন, ‘আমি আশা করব, পাকিস্তান হাইকমিশন এই ফেসবুক পোস্টটি সরিয়ে নেবে। যে মন্তব্যগুলো করা হয়েছে সেগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভ্রান্তিমূলক এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’

ওয়ালিউর রহমান বলেন, ‘পাকিস্তানি মেজর সিদ্দিক সালিক, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর, ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তর, ভারতীয় বেতার—তাদের সবাই জেনেছিল যে পাকিস্তানি বাহিনী অভিযান শুরু করার পরপরই বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন। সিদ্দিক সালিকের এ-সংক্রান্ত গ্রন্থ সবচেয়ে বড় দৃষ্টান্ত। পাকিস্তানের হাইকমিশন স্বাধীনতার বিষয়ে যে তথ্য প্রচার করতে চাচ্ছে আমরা তা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি। ’

পাকিস্তান হাইকমিশন তার ফেসবুকে যে ভিডিওটি শেয়ার করেছে তাতে ইংরেজি ভাষায় তার একটি বর্ণনাও রয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ‘ভিডিওতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, মুজিব স্পষ্ট বলছেন যে তিনি স্বাধীনতা চান না বরং আরো অধিকার চান। ’

ভিডিওর শেষ দিকে ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানে আটক থাকার সময় তাঁর দেখভালকারী ছিলেন বলে দাবিদার এক পাকিস্তানি পুলিশ কর্মকর্তার বক্তব্য জুড়ে দেওয়া হয়েছে। ভিডিওর বর্ণনায় বলা হয়েছে, মুজিবের সঙ্গে তিনিও কারাগারে ছিলেন এবং তিনি সত্য কাহিনিটি বলেছেন। ওই পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, ‘এমনকি ভুট্টো যখন মুজিবকে জানালেন যে পূর্ব পাকিস্তান স্বাধীনতা ঘোষণা করেছে এবং পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণ করেছে, তখন মুজিব বলেছিলেন, এখনো সময় আছে। তাঁকে রেডিও ও টেলিভিশনের মাধ্যমে জনগণের উদ্দেশে ভাষণ দিতে দেওয়া হোক। তিনি পুরোপুরি স্বাধীনতা থামাতে পারবেন। তবে ভুট্টো এটি প্রত্যাখ্যান করেন। ’

তবে ওই পুলিশ কর্মকর্তার দাবির সত্যতা পাওয়া যায় না। বরং তৎকালীন পাকিস্তানি নেতৃত্ব শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানের অখণ্ডতা রক্ষার চেষ্টা চালিয়েছে। ইতিহাসবিদ ও গবেষক অধ্যাপক মুনতাসির মামুন বলেন, ঐতিহাসিকভাবে সত্য বিষয়গুলো নিয়ে পাকিস্তানের এসব মিথ্যাচার নতুন কিছু নয়। এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া উচিত। তিনি বলেন, ‘আমাদের তথ্য-প্রযুক্তি আইন আছে। তথ্য-প্রযুক্তি আইনে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। এখানে কূটনীতির কোনো বিষয় নেই। ’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক তা আদালত দ্বারাও স্বীকৃত। মুক্তিযোদ্ধা ডা. এম এ সালামের দায়ের করা এক জনস্বার্থ রিট মামলায় ২০০৯ সালের ২১ জুন বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক ও বিচারপতি মমতাজ উদ্দিন আহমেদের হাইকোর্ট বেঞ্চ এক ঐতিহাসিক রায়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকেই স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে রায় দেন। সেই সঙ্গে আদালত জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে উপস্থাপন করে প্রকাশিত ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ, দলিলপত্র’-এর তৃতীয় খণ্ড বাতিল ঘোষণা করেন এবং সেই খণ্ডটি দেশ-বিদেশের সব স্থান থেকে বাজেয়াপ্ত ও প্রত্যাহার করারও নির্দেশ দেন।

আদালতের রায়ে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে প্রকাশিত বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা সংক্রান্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বলা হয়, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে গ্রেপ্তার হওয়ার আগেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন।

আদালত বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদের লেখা ‘এরা অব শেখ মুজিব’ গ্রন্থের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছেন, শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন।

আদালত ১৯৭২ সালের ২৬ মার্চ দৈনিক বাংলায় প্রকাশিত লেফটেন্যান্ট কর্নেল জিয়াউর রহমানের লেখা জাতির জনক শিরোনামের প্রবন্ধের কথা উল্লেখ করে বলেন, জিয়াউর রহমান ওই প্রবন্ধে ২৫ মার্চের বর্ণনা দিলেও সেখানে কোথাও নিজেকে স্বাধীনতার ঘোষক বলে দাবি করেননি।

১৯৭৭ সালের ১৬ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতি হিসেবে জিয়াউর রহমান তাঁর ভাষণে ১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ সম্পর্কে বলার সময়ও নিজেকে স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেননি।

১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রের ডিফেন্স ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘শেখ মুজিবুর রহমান আজ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করার পরপরই পাকিস্তানে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়েছে। ’ ১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ নিউ ইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্বাধীনতা ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একই দিন প্রকাশিত লন্ডনের দ্য টাইমস পত্রিকার প্রধান শিরোনামই ছিল ‘হেভি ফাইটিং অ্যাজ শেখ মুজিবুর ডিক্লেয়ার্স ই পাকিস্তান ইন্ডিপেনডেন্ট’।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনী ভয়াবহ গণহত্যা চালায়। এতে ৩০ লাখ বাংলাদেশি শহীদ হন। এ ছাড়া নির্যাতিত হন সাড়ে চার লাখের বেশি নারী। মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে পাকিস্তান নিজেই তার দেশের চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আশ্বাস দিয়ে ফিরিয়ে নিয়েও কার্যত তাদের দায়মুক্তি দিয়েছে। বাংলাদেশে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে পাকিস্তানের অযাচিত হস্তক্ষেপে দুই দেশের সম্পর্কে টানাপড়েন দেখা দেয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সবার চোখ শাহরুখের মেয়ের দিকে!

চারপাশে বলিউড তারকারা কিন্তু উপস্থিত সবার চোখ আটকে গেলো ১৭ বছরের এক কিশোরীর দিকে! সে হলো বলিউড বাদশা শাহরুখ খানের মেয়ে সুহানা খান। সব আলো কেড়ে নিয়েছেন গৌরির এই স্টাইলিশ মেয়েটি।

গত ২৭ অক্টোবর ভারতের মুম্বাইয়ে তাজ ল্যান্ডস এন্ড-এ হয়ে যাওয়া অনুষ্ঠানটি ছিল লন্ডনের বিখ্যাত নাইটক্লাব সার্ক লে সয়ারের হ্যালোইন পার্টি। এর ডিজাইনার সুহানার মা গৌরি খান। এখানে এসেছিলেন বলিউড অভিনেত্রী মালাইকা অরোরা, ইলিয়েনা ডি’ক্রুজ, হৃতিক রোশনের সাবেক স্ত্রী সুজান খান, অভিনেতা আরবাজ খান, সঞ্জয় কাপুর, ফ্যাশন ডিজাইনার মনীষ মালহোত্রাসহ অনেকে।
তবে আবেদন ও গ্ল্যামারের দিক দিয়ে অন্য তারকাদের ছাপিয়ে গেছে সুহানা। সোনালি চকচকে গাউনের সঙ্গে জাঁকালো সাজসজ্জায় ঝলমলে লেগেছে তাকে। অনুষ্ঠানে তোলা তার ছবিগুলো দেখলে সবারই মনে হবে, বলিউডের জন্য তৈরি হয়ে গেছে এই ছোট্ট তারা। বাবার পথ ধরে হাঁটতে অবশ্য খুব বেশি দেরিও নেই তার।
ভারতের একটি সংবাদ সংস্থা জানাচ্ছে, মুম্বাইয়ে নবীনদের অডিশন সাধারণত যেখানে নেওয়া হয় সেই স্থানে সম্প্রতি দেখা গেছে সুহানাকে। যদিও তিনি অডিশন দিতেই সেখানে গিয়েছিলেন কিনা তা নিশ্চিত নয়। অভিনেতা চাঙ্কি পাণ্ডের মেয়ে অনন্যা পাণ্ডে ও সঞ্জয় কাপুরের মেয়ে শানায়া কাপুর তার বান্ধবী। তারাও পা রাখছে বলিউডে। অডিশনে তাদেরকেও সঙ্গ দিতে কিংবা অডিশন কেমন হয় তা দেখতে সুহানা সেখানে যেতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এর আগে বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে শাহরুখ জানিয়েছেন, সুহানা অভিনেত্রী হতে চায়। স্কুলের বিভিন্ন নাটকে অভিনয় নৈপুণ্য দেখিয়ে দর্শকদের মুগ্ধ করেছে সে। মেয়ের ইচ্ছার ক্ষেত্রে আপত্তি নেই বাবার। তবে তার শর্ত একটাই— আগে পড়ালেখা শেষ করতে হবে। অন্তত স্নাতক সম্পন্ন না করলে বড় পর্দায় পা রাখার অনুমতি মিলছে না সুহানার। সে এখন পড়ছে একাদশ শ্রেণিতে। সুতরাং আরও পাঁচ বছর পড়ালেখা নিয়েই থাকতে হবে তাকে।
শাহরুখ ও গৌরি দম্পতি গত সপ্তাহে ২৬তম বিয়েবার্ষিকী উদযাপন করেছেন। সুহানা ছাড়া তাদের দুই ছেলে আছে। তারা হলো আরিয়ান খান ও আব্রাম খান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কালিগঞ্জে বিশ্ব হাতধোয়া দিবস পালিত

কালিগঞ্জ ব্যুরো : “পরিচ্ছন্ন হাত, সুন্দর ভবিষ্যৎ” পয়ঃবর্জের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা উন্নত স্যানিটেশন সম্ভাবনা প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে কালিগঞ্জে জাতীয় স্যানিটেশন মাস ও বিশ্ব হাতধোয়া দিবস উপলক্ষে র‌্যালি, আলোচনা সভা, কুইজ ও রচনা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকাল ১০টায় উপজেলা প্রশাসন ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তরের আয়োজনে পরিষদ প্রাঙ্গণ থেকে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, সাংবাদিক, এনজিও প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরবর্তীতে উপজেলা চত্ত্বরে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অমল কান্তি রায়ের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন ওয়াল্ড ভিশন নবযাত্রা প্রকল্পের কালিগঞ্জ ফিল্ড কো-অডিনেটর আশীষ কুমার হালদার, কালিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি শেখ আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সুকুমার দাশ বাচ্চু, সার্স উপজেলা ম্যানেজার তাপষ মল্লিক, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের আক্তার হোসেন প্রমুখ। এসময় শিক্ষার্থীদের মধ্যে হাতধোয়ার কলাকৌশল শেখানো হয়। পরে কুইজ ও রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানটি সার্বিক পরিচালনায় ছিলেন ওয়াল্ড ভিশন নবযাত্রা প্রকল্পের উৎপলা মন্ডল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সখিপুর স্কুলে পরীক্ষার্থীদের বিদায়ী সংবর্ধনা

দেবহাটা প্রতিনিধি : দেবহাটার সখিপুর দীঘিরপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জেএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে সোমবার সকাল সাড়ে ১১ টায় বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শেফালী মুখার্জীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সমাজসেবক আবু আব্দুল্লাহ আল আজাদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন যথাক্রমে দেবহাটা প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব আর.কে.বাপ্পা, বিদ্যালয়ের পিটিএ সভাপতি আব্দুল খালেক ও সহ-সভাপতি হুমায়ুন কবির। বক্তব্য রাখেন সদস্য রফিকুল ইসলাম, এসএমসির সদস্য আব্দুল গনি, সহকারী শিক্ষক জিয়াদ আলী, সহকারী শিক্ষক নাছিমা খাতুন, বিদায়ী শিক্ষার্থী সাদিয়া সুলতানা ও ৭ম শ্রেণির ছাত্রী ডালিয়া খাতুন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সহকারী শিক্ষক রিয়াজুল ইসলাম। শেষে বিদায়ী শিক্ষার্থীদেরকে ফুল দিয়ে বিদায়ী শুভেচ্ছা জানানো হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
নওয়াপাড়ায় মৎস্য খামারে বিষ প্রয়োগ: ৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি

দেবহাটা ব্যুরো : উপজেলার নওয়াপাড়া ইউনিয়নের নওয়াপাড়া গ্রামে মৎস্য খামারে টানা ৫ম বার বিষ প্রয়োগে ব্যাপক ক্ষতির সম্মূখিন হয়েছে এক মৎস্যচাষি। গত রবিবার গভীর রাতে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে টানা পাঁচবার বিষ প্রয়োগের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনা সূত্রে জানা গেছে, নওয়াপাড়া গ্রামের মৃত ছলেমান শেখের পুত্র আমিরুল শেখ নওয়াপাড়া সিদ্দিকিয়া আলিম মাদ্রাসার সংলগ্ন ১৮ বিঘা জমিতে একটি মৎস্য খামার করে দীর্ঘদিন ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। কিন্তু বিগত ২০১৩ থেকে এ পর্যন্ত তার খামারে ৫ বার বিষ প্রয়োগ করা হয়েছে। এ বিষয়ে খামারটির মালিক আমিরুল শেখ জানান, তার স্ত্রীর ছোট ভাই সাইকুল ইসলাম উক্ত মৎস্য খামারটির রক্ষক হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসছিল। কিন্তু ২০১৩ সালে পারিবারিক সমস্যার কারণে সাইকুলের ভাই সহিদুল ইসলাম খামারের মালিক আপন দুলাভাই এর সাথে বিভেদ সৃষ্টি করে। একই সাথে সাইকুলকে খামার থেকে নিয়ে চলে যায়। যাওয়ার সময় খামারের ক্ষতি করবে বলে বিভিন্ন হুমকি দিতে থাকে। তার কয়েকদিন পর উক্ত খামারে বিষ প্রয়োগের ঘটনা ঘটে। আর এতে প্রায় ১৪-১৮ মন গলদা চিংড়ি নষ্ট হয়ে যায়। ২য় বছর ২০১৪ সালে বিষ প্রয়োগে প্রায় ৩০মন বিভিন্ন প্রজাতির কার্পমিশ্র সাদা মাছ মারা যায়। পরবর্তীতে মাছ আহরণ শেষ সময়ের দিকে ২০১৫ সালে পুনরায় বিষ প্রয়োগ করলে ১৫-২০ মন মাছ মারা যায়। গত ২০১৬ সালে ভুল বশত খামারের পাশের পুকুরে বিষ দিলে ৫-৬মন সাদা মাছ মারা যায়। সেই ঘটনার পুনারাবৃত্তি ঘটেছে ২৯ অক্টোবর গভীর রাতে বিষ প্রয়োগ করলে রুই, কাতলা, গ্রাসকার্প, মিররকার্প, সঁরপুটি, মৃগেল, কালবাউসসহ বিভিন্ন প্রজাতির চালাই পোনা মারা যাওয়ায় প্রায় ৫ লক্ষার্ধীক টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে। আর এতে ৫ম বারের মত বিষ প্রদান করায় তিনি অর্থনৈতিক ভাবে লোকসানের মুখে পড়েছেন। এদিকে উক্ত মৎস্য খামারে টানা ৫ বার বিষ প্রয়োগ করার ঘটনায় আমিরুল শেখের স্ত্রী আক্তারুননেছা বাদি হয়ে দেবহাটা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
জাতীয় আইন সহায়তা সংস্থা সাতক্ষীরা জেলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : রবিবার জাতীয় আইনগত সংস্থা, সাতক্ষীরা জেলা কমিটির মাসিক সভা জেলা জজ আদালতের সম্মেলন কক্ষে বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ জোয়ার্দ্দার মো. আমিরুল ইসলাম সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনাল বিচারক মো. কেরামত আলীর সঞ্চালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন জজশিপের বিজ্ঞ বিচারকবৃন্দসহ ও কমিটির অন্যান্য সদস্যগণ।
জেলা জজ আদালতে নতুন অতি: জেলা ও দায়রা জজ হিসাবে যোগদানকারী অরুনাফ চক্রবর্তীর পরিচয়ের মধ্য দিয়ে সভা শুরু করা হয়। এ সভায় গত সভার কার্যাবলী পাঠ ও অনুমোদন, কিছু নীতি নির্ধারণী সিদ্ধান্ত গ্রহণ, ডিল্যাক কর্তৃক প্রকাশিত স্মরণিকা বিতরণ, সরকারি আইনি সহায়তার জন্য ২৭টি দাখিলকৃত আবেদন এবং জেল খানা হতে ৩টি আবেদন মিলে মোট ৩০টি আবেদন আলোচনা ও অনুমোদন, আইনজীবীগণের মামলা পরিচালনা বাজেট না থাকায় বিল পাশ করা সম্ভব হয়নি, সদস্য এনজিও সমূহের মাসিক আইন সহায়তার কার্যক্রমের প্রতিবেদন উপস্থাপন, জিও-এনজিও কর্তৃক বা কমিটিতে প্রেরিত পত্রালোচনা, সমাজের সর্বস্তরে অনুমোদিত সংস্থার মাধ্যমে বিকল্প পদ্ধতিতে বিরোধ নিষ্পত্তি করা, আইনজীবীদের নোটারি পাবলিক আইনজীবী কর্তৃক বাল্যবিবাহ বন্ধ করা এবং লিগ্যাল এইডের সহায়তায় বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭ বাস্তবায়নে মামলা পরিচালনা করা, ডিল্যাক কার্যক্রম আরও গতিশীল ও ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন দিক পর্যালোচনা ও জেলা সদরের বাহিরে মিটিং আয়োজন করা যেতে পারে কিনাসহ বিবিধ বিষয় আলোচনা করা হয়।
সভার সভাপতি তার অভিমত ব্যক্ত করে নির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন।
উল্লেখ্য, সাতক্ষীরা জেলা লিগ্যাল এইড কমিটি বর্তমান ৪৪ জন প্যানেল আইনজীবী মাধ্যমে মামলাগুলোতে আইনগত সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest