সর্বশেষ সংবাদ-
ব্যবসায়ীকে মারধরের ঘটনার ভিডিও করায় সাংবাদিকদের মারপিটের অভিযোগ ডা; ফয়সালের বিরুদ্ধেতাপদাহে রিকশাচালক-পথচারী‌দের‌ মাঝে ড্রিম সাতক্ষীরার পা‌নি ও স্যালাইন বিতরণআন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে র‌্যালি ও আলোচনাসাতক্ষীরা সদর সাব রেজিষ্ট্রি অফিস চত্বরে মরা শিশু গাছে ঝুঁকি বাড়ছেকলারোয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী আলতাফ হোসেন লাল্টুর গণ সমাবেশএডভোকেসি নেটওয়ার্ক এবং সিভিল সোসাইটি অর্গানাইজেশন সদস্যদের ত্রৈমাসিক সমন্বয় সভাশ্যামনগরের কৈখালী পোলের খাল খনন কর্মসূচির উদ্বোধনশ্যামনগরে সালাতুল ইস্তেকার নামাজ আদায়তীব্র তাপদাহে পুড়ছে উপকুলীয় জেলা সাতক্ষীরা, তাপমাত্রা আজ সর্বোচ্চ ৩৯.৩ ডিগ্রিদেবহাটায় উন্নয়ন কার্যক্রমে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্তি বিষয়ক মতবিনিময়

রোহিঙ্গাদের প্রতি মানবিক আচরণের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রতি মানবিক আচরণ দেখাতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) সন্ধ্যায় গণভবনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ও রিয়াল অ্যাডমিরাল খোরশেদ আলমের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। ওই বৈঠকে তিনি এ নির্দেশ দেন বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।

সূত্রগুলো জানায়, মিয়ানমার সরকারের অত্যাচার-নির্যাতনে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মানবেতর জীবনের নানান তথ্য ও ছবি ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়েছে, যা মানবতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে শুরু করেছে। বিষয়টি মুসলিম সম্প্রদায়কে ব্যাপকভাবে নাড়া দিয়েছে এবং এ নিয়ে মুলমানদের ভেতরে সেন্টিমেন্ট গড়ে উঠতে পারে বলে মনে করছেন সরকারের শীর্ষ নীতি-নির্ধারক শেখ হাসিনা। এছাড়া বিষয়টি নিয়ে বিএনপিও রাজনীতি করতে পারে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও বাংলাদেশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারে। তাই কাউকে এসব সুযোগ দিতে চান না প্রধানমন্ত্রী। ইস্যুটি নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে বাংলাদেশের অবস্থান পরিষ্কার করতে সীমান্ত এলাকার ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরার ব্যাপারে উদ্যোগী হতেও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

সূত্রগুলো আরও জানায়, এসব বিষয় মাথায় নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে সহানুভূতিশীল হতে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি) নির্দেশ দিতে সংশ্লিষ্টদের অবহিত করেছেন। আপাতত অনুপ্রবেশের পরবর্তী পরিস্থিতি কী হতে পারে, তা নিয়ে সরকার ভাবছে না বলেও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রগুলো দাবি করে।

অন্য এক সূত্র জানায়, সরকারের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গাদের দেশে প্রবেশেও বিধি-নিষেধ শিথিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে সতর্ক থাকারও কথা বলা হয়েছে বিজিবিকে। বিশেষ করে, টেকনাফ, উখিয়া ও নাইক্ষ্যংছড়িতে রোহিঙ্গাদের আপাতত জায়গা করে দেওয়ার বিষয়টি নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।

এ সূত্র আরও জানায়, একইসঙ্গে ওইসব এলাকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটু সতর্ক অবস্থানে থাকার ব্যাপারেও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। আশ্রয় নিয়ে তারা যাতে কোনও অপকর্মের সঙ্গে জড়াতে না পারে, সেদিকটা বিশেষ নজরে রাখতে হবে।

সূত্র জানায়, গণভবনের ওই বৈঠকে রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধানের ব্যাপারেও জোর দেওয়া হয়েছে। দেশটির সঙ্গে কোঅপারটিভ ওয়ে-তে আলোচনা চালাতে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীকে পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী।

তবে এ ব্যাপারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ও প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেও তা সম্ভব হয়নি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
থমকে গেছে বিএনপি; সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড নেই বললেই চলে

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে থমকে গেছে দলটির সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড। শুধু বক্তৃতা-বিবৃতিতেই চলছে দলটি।
দলের পুনর্গঠন প্রক্রিয়া চলছে ধীরগতিতে। জুলাইয়ের মাঝামাঝিতে বেগম জিয়া লন্ডন যাওয়ার পর নতুন করে কোনো জেলায় কমিটি দিতে পারেনি দলটি। একইভাবে সদস্য সংগ্রহ বৃদ্ধি ও নবায়ন কার্যক্রমেও গতি নেই। নেতাদের বড় একটি অংশই নিজেদের নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। বিশেষ করে ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে নিজ নিজ এলাকা ঘিরে সবারই তৎপরতা বাড়ছে। বিএনপি চেয়ারপারসন ১৫ সেপ্টেম্বর দেশে ফিরতে পারেন। লন্ডনে চিকিৎসার পাশাপাশি পরিবারকে সময় দিচ্ছেন তিনি। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গতকাল সন্ধ্যায় জানান, ‘সাংগঠনিক পুনর্গঠন প্রক্রিয়া থেমে আছে কথাটা পুরোপুরি ঠিক নয়। এখন দেশে বন্যা চলছে। নেতা-কর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষের নজর সেদিকেই। সদস্য সংগ্রহ অভিযানও চলছে। এটা আমরা আরও এক মাস বৃদ্ধি করেছি। সেপ্টেম্বরজুড়েই এ অভিযান চলবে। এ পর্যন্ত ৫০ লাখেরও বেশি সদস্য ফরম কেন্দ্র থেকে সরবরাহ করা হয়েছে। ’ বিএনপি-প্রধানের দেশে ফেরা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘চিকিৎসা শেষে যথা শিগগিরই তিনি দেশে ফিরবেন। ১৫ সেপ্টেম্বর সেই সম্ভাবনা রয়েছে। ’ তবে দলের একটি সূত্র এও বলেছে, চিকিৎসার কারণে আরও কিছু সময় লন্ডনে থাকতে পারেন বিএনপি-প্রধান। সে ক্ষেত্রে অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত লেগে যেতে পারে। এদিকে জিয়া অরফানেজ চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১৪ সেপ্টেম্বর বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ আদালতে হাজিরা দেওয়ার দিন ধার্য রয়েছে। এ যাত্রাও তিনি আদালতে হাজির নাও হতে পারেন।
এ প্রসঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসনের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া জানান, চিকিৎসার কারণে তিনি (খালেদা জিয়া) দেশে না ফিরলে আবেদন করার সুযোগ আছে। লন্ডন সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বেগম খালেদা জিয়ার ডান চোখের ব্যান্ডেজ খোলা হয়েছে। দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তার বড় ছেলে তারেক রহমানের বাসার কাছাকাছি একটি হাসপাতালে গিয়ে এ ব্যান্ডেজ খোলা হয়। চোখের চিকিৎসা সম্পন্ন হয়েছে। এখন পায়ের চিকিৎসা চলবে। এ ছাড়া শারীরিক চেকআপও করাবেন বিএনপি-প্রধান। ১০ সেপ্টেম্বর চূড়ান্তভাবে দুই চোখের চিকিৎসা সম্পন্ন হবে। চিকিৎসকদের সবুজ সংকেত পেলেই তিনি ১৫ সেপ্টেম্বর দেশে ফিরতে পারেন। নইলে সেপ্টেম্বর মাস পুরোটাই লন্ডনে থাকতে পারেন তিনি। ঈদের পর সেখানে নেতা-কর্মীসহ প্রবাসীদের সঙ্গে বিএনপি-প্রধানের একটি মতবিনিময় সভারও আয়োজন করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। সার্বিক বিষয় তারেক রহমান নিজেই তদারকি করছেন। তবে এ ব্যাপারে অনেকটা গোপনীয়তা রক্ষা করা হচ্ছে। দলীয় সূত্র জানায়, গত আড়াই বছরে ৪৯টি সাংগঠনিক জেলা কমিটি পুনর্গঠন হয়েছে। এর মধ্যে বড় অংশই আংশিক। কয়েকটি জেলা চলছে আহ্বায়ক কমিটি দিয়ে। আরও অন্তত ৩২টি জেলা এখনো পুনর্গঠনের বাকি রয়েছে। এর মধ্যে ১০টির কমিটি প্রস্তুত করা হয়েছে। বিএনপি চেয়ারপারসন দেশে ফিরলেই এসব কমিটি অনুমোদন দেওয়া হবে। এ প্রসঙ্গে বিএনপি পুনর্গঠন প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত দলের ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান জানান, ‘ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) চলে যাওয়ার পর কিছুটা ধীরগতিতে পুনর্গঠন প্রক্রিয়া চলছে। তবে কমিটি নিয়ে কাজ চলছে। ম্যাডাম দেশে ফিরলেই অন্তত ১০টি কমিটি দেওয়া সম্ভব হবে। ’
বিএনপির সিনিয়র এক নেতা জানান, বেগম জিয়া দেশে ফিরলেই সহায়ক সরকারের রূপরেখাও দেওয়া হবে। সংশ্লিষ্টরা এর একটি খসড়াও তৈরি করে রেখেছেন। বেগম জিয়া দেশে ফিরলেই তাকে দেখানো হবে। পরে দলের স্থায়ী কমিটিসহ সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে এ রূপরেখা চূড়ান্ত করা হবে। বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় সূত্র জানায়, সদস্য সংগ্রহ অভিযানেও কিছুটা গতি কমে এসেছে। এ পর্যন্ত ৫০ লাখ সদস্য সংগ্রহ ফরম কেন্দ্র থেকে সরবরাহ করা হয়েছে। কয়েক দিন আগে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভী এ তথ্য জানান। সর্বশেষ গতকাল দফতর শাখায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ৫০ লাখের কিছু বেশি ফরম বিক্রি হয়েছে। বন্যাকবলিত জেলাগুলোয় এ কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। তা ছাড়া ঈদুল আজহা নিয়ে সবাই ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। এ কারণে গতি কিছুটা কমে এসেছে বলে দাবি দফতর শাখার কর্মকর্তাদের। বিএনপির দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা বলছেন, দেশের অধিকাংশ এলাকা এখন বন্যাকবলিত। তাই বিএনপি এখনো সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে বন্যাদুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানোকে। এজন্য সিনিয়র নেতাদের নেতৃত্বে টিম করে সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোয় ত্রাণ কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছে বিএনপি। এ ছাড়া ঈদুল আজহাও সমাগত। নেতাদের নিজ নিজ সংসদীয় এলাকায়ও যেতে হচ্ছে। কর্মী-সমর্থকসহ সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে হচ্ছে। সবকিছু মিলিয়েই সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে আপাতত গতি কিছুটা কমে এসেছে। ঈদের পরপরই আবারও সদস্য সংগ্রহ অভিযান পুরোদমে চালু হবে। একইভাবে শুরু হবে দলের পুনর্গঠন প্রক্রিয়াও। ১৫ জুলাই চোখ ও পায়ের চিকিৎসার জন্য লন্ডন যান বিএনপি চেয়ারপারসন। লন্ডন পৌঁছার পর থেকে বড় ছেলে ও বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বাসায় অবস্থান করছেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।

সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সকল দ্বন্দ্বের অবসান ঘটিয়ে একত্রিত শাকিব খান ও চলচ্চিত্র পরিবার

চলচ্চিত্র পরিবার ও শাকিব খানের মধ্যকার চলমান সমস্ত দ্বন্দ্বের পরিসমাপ্তি ঘটেছে। আর এই দ্বন্দ্বের অবসানের মাধ্যমে ঢাকাই চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রি শক্তভাবে ঘুরে দাঁড়াবে বলে মনে করছেন চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা।

মঙ্গলবার রাতে চিত্রনায়ক ফারু‌কের উত্তরার বাসায় চলচ্চিত্র পরিবারের নেতাদের উপস্থিতিতে এক ঘরোয়া বৈঠকে সমস্ত দ্বন্দ্বের অবসান ও সমঝোতা হয়। এই সমঝোতার মাধ্যমে সকল ধরণের নিষিদ্ধ খেলারও ইতি ঘটলো।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন চলচ্চিত্র পরিবারের আহবায়ক চিত্রনায়ক ফারুক, প্রখ্যাত চিত্রপ‌রিচালক আমজাদ হো‌সেন, চিত্রনায়ক শা‌কিব খান, বাপ্পারাজ, প্রযোজক আরশাদ আদনান, চল‌চ্চিত্র প‌রিচালক স‌মি‌তির মহাস‌চিব ব‌দিউল আলম খোকন, এডিটরস গি‌ল্ডের সভাপতি আবু মুসা দেবু, নৃত্য প‌রিচালক স‌মি‌তির সভাপ‌তি মাসুম বাবুল, শিল্পী স‌মি‌তির সভাপ‌তি মিশা সওদাগর ও সাধারণ সম্পাদক নায়ক জা‌য়েদ খান ও সাংবাদিক এফ আই দীপু।

সমঝোতা সভায় নি‌জে‌দের ম‌ধ্যে ঝা‌মেলা মি‌টি‌য়ে ভ‌বিষ্য‌তে একস‌ঙ্গে সম‌ঝোতা এবং সৌহার্দ্যপূর্ণ প‌রি‌বে‌শে কাজ করার ব্যাপা‌রে ঐক্যমত পোষণ ক‌রে নায়ক ফারুক ও শা‌কিব খা‌ন কোলাকু‌লি ক‌রেন। একই সঙ্গে সব ধর‌নের ব‌হিষ্কারা‌দেশ প্রত্যাহার করার ব্যাপা‌রেও উভয় পক্ষ সম্ম‌তি প্রকাশ ক‌রেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু, মিনায় সমবেত হচ্ছেন হাজিরা

আজ ৭ জিলহজ। এদিন সৌদি আরবের মক্কা নগরী থেকে ৮ কিলোমিটার দূরের তাবুর শহর মিনার উদ্দেশ্যে রওনা করার মধ্য দিয়ে হজের মূল আনুষ্ঠিকতা পালন করতে শুরু করেছেন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা প্রায় ২০ লক্ষাধিক ধর্মপ্রাণ মুসলমান।
হজপালনকারীদের জন্য মিনায় অবস্থান করা সুন্নত। মিনায় হাজিরা ৯ জিলহজ ফজর পর্যন্ত মোট পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করবেন। এবং সেদিন ফজরের নামাজের পর সূর্যোদয়ের পর মিনা থেকে আরাফাতের ময়দানের উদ্দেশ্যে রওনা করবেন এবং সেখানে সন্ধ্যা পর্যন্ত অবস্থান করবেন।

প্রায় ২০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের মিনা শহরে প্রায় এক লাখ তাবু খাটানো হয়েছে। তাবুগুলোতে হাজিদের যাত্রিযাপন এবং চিকিৎসার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে সৌদি সরকার। মিনার পূর্ব ও পশ্চিম দিক থেকে মুহাসসার উপত্যকা ও জামারা আকাবা ও মধ্যবর্তী স্থান। আর উত্তর ও দক্ষিণ দিক থেকে দু’পাশের সুউচ্চ দুটি পাহাড়।

৩০ আগস্ট সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক (হাজির হে আল্লাহ আমি হাজির) ধ্বনিতে প্রকম্পিত হবে আরাফাতের ময়দান। এদিন বেলা ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে আরাফাতের ময়দানে অবস্থিত মসজিদে নামিরা থেকে বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর শান্তি-সমৃদ্ধি কামনা করে খুৎবা পাঠ করা হবে।

৩১ আগস্ট আরাফাতের ময়দানে অবস্থান শেষে সন্ধ্যায় মুজদালিফায় যেয়ে রাত্রিযাপন করবেন। এবং জামারায় পাথর নিক্ষেপের জন্য ছোট ছোট কংকর সংগ্রহ করবেন।

মুজদালিফায় খোলা আকাশের নিচে রাত্রিযাপন শেষে ১ সেপ্টেম্বর সেখান থেকে ছোট ছোট কংকর নিয়ে পুনরায় মিনায় গিয়ে জামারায় অবস্থিত প্রথম স্তম্ভে কংকর নিক্ষেপ করে কোরবানি শেষে মাথা মুণ্ডিয়ে হালাল (ইহরাম খুলবেন) হবেন।

এরপর মক্কায় এসে তাওয়াফে জিয়ারত (তাওয়াফ ও সায়ি) শেষে আবার মিনায় যেয়ে জামারার(ছোট, মধ্যম ও বড়) স্তম্ভে কঙ্কর নিক্ষেপ করতে হবে হাজিদের। এটা হজের ওয়াজিব আমল।

মিনা ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য ইউসুফ জায়েদ বলেন, মিনায় আগত প্রত্যেক হাজির সার্বিক সেবা দিতে আমরা সর্বদা প্রস্তুত রয়েছি। আমরা আশা করছি মিনা হবে হাজিদের জন্য একটি নিরাপদ এবং শান্তির জায়গা। এখানে যাতে কেউ হাজিদের ইবাদত বন্দেগীতে বিঘ্ন ঘটাতে না পারে সেজন্য আমাদের পক্ষ থেকে যথেষ্ট নিরাপত্তা কর্মী নিয়োজিত করা হয়েছে।

মিনায় অবস্থান, কোরবানি, জামারার স্তম্ভে পাথর নিক্ষেপের জন্য মিনায় এই কয়দিন খুব ভিড় থাকে। মিনায় বাদশাহর বাড়ি, রয়েল গেস্ট হাউজ, মসজিদ, হাসপাতাল ও বিভিন্ন অফিস রযেছে। এছাড়া মিনায় রেলস্টেশন আছে ৩টি।

এবছর বাংলাদেশ থেকে ১২৭,২২৯ জন বাংলাদেশি হজের উদ্দেশ্যে সৌদি আরবে পৌঁছেছেন। এর মধ্যে মারা গেছেন ৩৬ জন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আগ্নেয়গিরি পিকো দে ওরিজাবা জয় করলেন ওয়াসফিয়া

সেভেন সামিট জয়ী বাংলাদেশের একমাত্র পর্বতারোহী ওয়াসফিয়া নাজরীন এবার মেক্সিকোর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ ও উত্তর আমেরিকার সর্বোচ্চ আগ্নেয়গিরি পিকো দে ওরিজাবা জয় করেছেন।

বন্ধু হুয়ান মেন্ডোজাকে সাথে নিয়ে উত্তরের পথ দিয়ে গত বৃহস্পতিবার পিকো ডে ওরিজাবার চূড়ায় পৌঁছান ওয়াসফিয়া।

২০১৬ থেকে গ্রামীণফোনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসেবে কাজ করছেন ওয়াসফিয়া।

মাউন্ট ডেনালি (প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে এর চূড়ায়ও উঠেছেন ওয়াসফিয়া) ও মাউন্ট লোগানের পরে উত্তর আমেরিকার তৃতীয় সর্বোচ্চ শৃঙ্গ পিকো দে ওরিজাবা।

এছাড়াও এ আগ্নেয়গিরিটি অ্যাজটেকদের নাহুয়াটাল ভাষায় সিটলালটেপেটল নামে পরিচিত। যার অর্থ ‘তারকা পর্বত’। এটি ট্রান্স-মেক্সিকান আগ্নেয় বেল্টের পূর্বে সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে ৫ হাজার ৬৩৬ মিটার (১৮ হাজার ৪৯১ ফুট) উঁচু। আগ্নেয়গিরিটি বর্তমানে সুপ্ত অবস্থায় আছে।

মেক্সিকোর যে তিনটি আগ্নেয়গিরিতে এখনো হিমবাহ আছে তাদের মধ্যে পিকো দে ওরিজাবা একটি। আর মেক্সিকোর সর্ববৃহৎ হিমবাহ গ্রান গ্রেসিয়ার নর্তে এখানেই অবস্থিত। প্রথম এবং একমাত্র বাংলাদেশি হিসেবে ওয়াসফিয়া নাজরীনই প্রথম এই সুউচ্চ আগ্নেয়গিরি জয় করলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ছুটিতে এসে নিখোঁজ কানাডার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র

ঢাকায় এসে নিখোঁজ হয়েছেন কানাডার বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ইশরাক আহম্মেদ (২০) নামে এক শিক্ষার্থী। শনিবার সন্ধ্যায় বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতে বের হয়ে তিনি আর বাড়ি ফিরেননি বলে রবিবার ধানমন্ডি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে তার পরিবার।

ধানমন্ডি থেকে নিখোঁজ হওয়া ইশরাক আহম্মেদের বাবার নাম জামালউদ্দীন আহম্মেদ। তিনি বন্ধুদের সঙ্গে খেতে যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়ে আর ফিরেননি বলে জিডিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল লতিফ জানান, তথ্যপ্রযুক্তি ও মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে ইশরাকের খোঁজ চলছে। তবে এখনো তার খোঁজ মেলেনি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
নিম পাতার কিছু জাদুকরী ব্যবহার

পেটের সমস্যা, হজমে সমস্যা, খসখসে ত্বক। এসব সমস্যার সমাধানে কাঁচা নিমপাতা খান।
অব্যর্থ দাওয়াই। এমনকি ঘুম থেকে উঠে দুটো নিমপাতা চিবোলেই জব্দ সুগারও। ত্বকের উজ্জ্বল্য বাড়াতে নিমপাতার জুড়ি মেলা ভার।

লোকমুখে অতিপরিচিত একটি প্রবাদ ঘোরাফেরা করে। নিমগাছের ভয়ে এইডস কাঁপে। নিমপাতা নাকি এইডস ভাইরাসকে মেরে ফেলতে সাহায্য করে। বাড়িতে একটি নিমগাছ থাকলে ডাক্তারের কাছে নাকি যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না।

বিশেষজ্ঞরাই বলে থাকেন, কথাটা খুব একটা ভুল নয়। এটি একটি ঔষধি গাছ। ডাল, পাতা, রস, ফুল, ফল, তেল, ছাল, শিকড় সবই কাজে লাগে। স্বাদ তেতো। কিন্তু উপকার বহু।

ডায়াবেটিসের যম নিমপাতা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিদিন ১ টেবিল চামচ নিমপাতার রস সকালে খালি পেটে ৩ মাস খেলে ডায়াবেটিসে দারুণ উপকার। ১০টি নিমপাতা গুঁড়ো করে বা চিবিয়ে খেলেও দারুণ উপকার। নিমপাতার রস খেলে ইনসুলিন নেওয়ার প্রবণতাও অনেকটা কমে যায়।

জন্ডিস প্রতিরোধে নিমপাতা। ২৫ থেকে ৩০ ফোঁটা নিমপাতার রস একটু মধুর সঙ্গে মিশিয়ে সকালে খালি পেটে খেলে জন্ডিসে দারুণ উপকার।

ম্যালেরিয়ার যম নিমপাতা। নিমপাতার নির্যাস ব্যবহারে ম্যালেরিয়া ভাল হয়। জলের সঙ্গে মিশিয়েও খাওয়া যেতে পারে। নিমপাতা অ্যান্টি ফাঙ্গাল ও অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল। চিকেন পক্সে নিমপাতা বেটে লাগালে উপকার পাওয়া যায়।

মানসিক চাপ কমায় নিমপাতা। প্রতিদিন অল্প একটু নিমপাতার রস খেলেই অনেক উপকার পাওয়া যায়। আলসার সারায় নিমপাতা। নিমপাতা ও নিম বীজের রস পেপটিক ও ডিওডেনাল আলসারে দারুণ কাজ দেয়।

রক্ত পরিষ্কার ও চর্মরোগ সারায়। নিমপাতার রস প্রতিদিন ২-৩বার করে নিয়মিত প্রায় ২ মাস খেলে রক্ত পরিষ্কার হয়। নিমপাতার সঙ্গে সামান্য কাঁচা হলুদ বেটে ৭ থেকে ১০দিন লাগালে চর্মরোগ ও পুরনো ক্ষত সারে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয় নিমপাতা। নিমপাতা স্কিন টোনার হিসাবে ব্যবহার করা যায়। নিমপাতা সেদ্ধ করে প্রতি রাতে মুখে লাগালে ব্রণ, ক্ষতচিহ্ন, মুখের কালো দাগ দূর হয়। এইভাবে চুলে ব্যবহার করলে খুসকি ও চুল পড়া বন্ধ হয়।

ফেসপ্যাক তৈরিতে নিমপাতা। ১০টি নিমপাতা ও একটি ছোট কমলালেবুর খোসা অল্প জলে জলে সেদ্ধ করতে হবে। অল্প পরিমাণ মধু ও দুধ পেস্টে মেশাতে হবে। ফেসপ্যাকটি সপ্তাহে ৩বার ব্যবহার করা যাবে। মধু ও নিম উন্নতমানের ময়শ্চারাইজার হিসাবে কাজ করে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
যে ৭ কারণে ফল বা সবজির রস খাওয়া দরকার

সুস্থ থাকতে, ওজন কমাতে অনেকেই ফল, সবজির রস খেলেও নিউট্রিশনিস্টরা জুস খাওয়ার ব্যাপারে বিশেষ উত্সাহ দেন না। কারণ, জুস করলে খাবারের ফাইবার নষ্ট হয়ে যায়।
তবে জুস মানেই কিন্তু খারাপ নয়, জুস খাওয়ার রয়েছে প্রচুর উপকারিতাও।

১। হজম: জুস করলে ফল, সবজির ফাইবার বেরিয়ে যায়। তাই তাড়াতাড়ি শোষিত হয় ও হজমও হয় তাড়াতাড়ি।

২। বেশি ফল ও সবজি: নিউট্রিশনিস্টরা দিনে অন্তত ৫-৬ রকমের ফল, সবজি খাওয়ার কথা বলে থাকেন। এত রকম ফল, সবজি এক দিনে খাওয়া সম্ভব হয় না। জুস করে খেলে যা সম্ভব।

৩। ডিটক্স: কোনও অনুষ্ঠানে ভারী খাওয়া দাওয়ার পর পাচনতন্ত্রের যখন বিশ্রামের প্রয়োজন হয় তখন ডিটক্স করার জন্য জুস খুবই উপকারি।

৪। ত্বক: জুস পুষ্টিগুণের কারণে ত্বকে ঔজ্জ্বল্য আনতে সাহায্য করে। আবার ভাজাভুজি, ফ্যাট জাতীয় খাবার খাওয়ার প্রবণতাও কমায়। ফলে ত্বক ভাল থাকে।

৫। স্ট্যামিনা: বিটরুট জুসের মতো বেশ কিছু জুস রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে, রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা বাড়িয়ে স্ট্যামিনা বাড়াতে সাহায্য করে। এই জুস অ্যাথলিটদের জন্য খুবই উপকারি।

৬। অনেক প্রকার সব্জি: জুস খেলে অনেক রকম সবজি রাখা যায় ডায়েটে। যে সবজি হয়তো রান্না করেন না বা স্যালাডে খান না, সেই সবও জুস করে খেতে পারেন।

৭। পুষ্টিগুণ: সবজির জুস খাওয়ার ভাল দিক হল এতে সবজির মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট বজায় থাকে। রান্না করলে বা গরম করলে যা নষ্ট হয়ে যায়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest