সর্বশেষ সংবাদ-
হাসানের পরিবারের দাপট অব্যাহত: পাটকেলঘাটায় মানববন্ধনে প্রকাশ্য হামলাচতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী স্মৃতিতে অম্লান চিকিৎসক ডা. আনিছুরসাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের পরিবারের অনুকুলে ২৬ লাখ টাকার চেক বিতরণশ্যামনগরে কাজী আলাউদ্দীনের উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পদেবহাটা উপজেলা জামায়াতের সুধী সমাবেশপ্রাণসায়ের খাল বাঁচাতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন ও সমাবেশদিনে ভোট, রাতে নয় আমার ভোট আমি দেব : আফরোজা আব্বাস অন্যায় কাজে কাউকে প্ররোচিত করবো না, উন্নয়নই হবে মূল লক্ষ্য : সাবেক এমপি হাবিবশোভনালীতে মানব পাচার প্রতিরোধ ও নিরাপদ অভিবাসন ডেস্ক উদ্বোধনআশাশুনির গোয়ালডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মানববন্ধন

দেবহাটা উপজেলা যুবলীগের বর্ধিত সভা

দেবহাটা প্রতিনিধি : দেবহাটা উপজেলা যুবলীগের বর্ধিত সভা শনিবার সন্ধ্যা ৭ টায় পারুলিয়া আস্থা সমিতির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান মিন্নুরের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি। প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা যুবলীগের আহবায়ক আব্দুল মান্নান। বিশেষ অতিথি ছিলেন নওয়াপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন সাহেব আলী, সাতক্ষীরা সদর পৌর যুবলীগের সভাপতি মনোয়ার হোসেন অনু, সাধারণ সম্পাদক তুহিনুর রহমান তুহিন, উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কুলিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মোশারাফ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, পারুলিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও ইউপি সদস্য ফরহাদ হোসেন হিরা, সাধারণ সম্পাদক রাসেল আহম্মেদ, সখিপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আব্দুর রব লিটু, সাধারণ সম্পাদক মহব্বত আলী, নওয়াপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি সুধান বর, সাধারণ সম্পাদক ইসমাঈল গাজী, দেবহাটা সদর ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক শাহিন সিরাজ, যুগ্ন আহবায়ক হালিম মোস্তফা, যুবলীগ নেতা আফছার আলী প্রমূখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বিজয় ঘোষ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দেবহাটা রিসোর্স সেন্টারের সৌন্দর্যবর্ধন কাজ উদ্বোধন

দেবহাটা ব্যুরো : দেবহাটা উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের নামজ ঘর, সীমানা প্রাচীর, সৌন্দর্যবর্ধক আলোক সজ্জা, ফুল বাগান ও মোটরসাইকেল স্টান্ড উদ্বোধন করা হয়েছে। শনিবার বেলা ১টায় উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের আয়োজনে উক্ত উদ্বোধন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাফিজ আল আসাদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন দেবহাটা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আলহাজ্ব আব্দুল গণি। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল হাই। বক্তব্য রাখেন বিআরডিবি কর্মকর্তা ইসরাইল হোসেন, পল্লী দারিদ্র বিমোচন কর্মকর্তা আশোক বরণ রায়, রিসোর্স সেন্টারের ইন্সট্রাক্টর সাইদুল হক প্রমূখ। এসময় মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অনুপ কুমার, দক্ষিণ সখিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খায়রুল ইসলাম, গুচ্ছগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুজিবর রহমান, জেলিয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুজিত কুমার ঘোষ, ঈদগাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম, এনামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সেলিমউল্লাহ, গড়িয়াডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিতাই মন্ডল, দক্ষিণ নাজিরের ঘের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামান, চাঁদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি আব্দুল হান্নান, মৃধাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোস্তাফিজ হাসান, আঁতাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বিজন মন্ডল, বসন্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সালেকুর রহমান, দেবহাটা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিক আব্দুল আজিজ ও শিক্ষিকা স্বপ্না পারভীন এবং খোদেজা পারভীন প্রমূখ। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চলনা করেন উপজেলা সহকারী শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল্লাহ আল তারিক।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
খালেদা জিয়ার সফর রাজনৈতিক, হামলার ঘটনা সাজানো: আ. লীগ

ঢাকা থেকে সড়কপথে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কক্সবাজার সফরকে মানবিক কারণ হিসেবে দেখছে না ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। দলটির শীর্ষ নেতাদের মতে, এই সফর সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও লোক দেখানো। তারা বলছেন, বিএনপির মাঠে নামার পূর্ব-পরিকল্পনারই অংশ এই সফর। এরমধ্য দিয়ে দলটি রাজনৈতিক মাঠে ‘স্পেস’ করে নিতে চায়। পাশাপাশি আন্দোলনের ইস্যুও খুঁজছে দলটি। এদিকে যাওয়ার পথে ফেনীতে খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলার ঘটনাকে সাজানো ঘটনা বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা। তারা বলছেন, এ ঘটনা দলীয় লোকজনের সাজানো নাটক। রোহিঙ্গাদের ত্রাণ দিতে খালেদা জিয়ার কক্সবাজার সফর ও তার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে ক্ষমতাসীন দলটির একাধিক নেতা এসব কথা বলেন।

সড়কপথে খালেদা জিয়ার কক্সবাজার যাওয়ার সমালোচনা করেন ক্ষমতাসীন দলটির নেতারা। তারা বলেন, বিএনপি নেত্রী যদি মানবিক উদ্দেশ্য নিয়ে রোহিঙ্গাদের দেখতে কক্সবাজার যেতেন, তাহলে তবে অবশ্যই সড়কপথ বাদ দিয়ে আকাশপথে যেতেন। রোহিঙ্গাদের ত্রাণ দিয়ে আবার আকাশ পথেই ঢাকায় ফিরে আসতেন। কোনোভাবেই সড়কপথ ব্যবহার করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করতেন না।

কক্সবাজার যাওয়ার পথে ফেনীতে খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলাকে পাতানো ঘটানো বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য ও খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া উদ্দেশ্য-প্রণোদিত ঘটনা ঘটানোর জন্যই এতদিন পরে ত্রাণ দিতে কক্সবাজার যাচ্ছেন। আলোচনায় আসার জন্যই পাতানো হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে বিএনপি।’

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান বলেন, ‘খালেদা জিয়ার হারানো জনপ্রিয়তা উদ্ধারের জন্য এটা ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে নিজেদের দলের লোকজন দিয়ে সাজানো নাটকের মতো ঘটনা কিনা, তাও খতিয়ে দেখতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘আমি প্রশাসনকে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে অনুরোধ করব।’

ত্রাণ দেওয়ার উদ্দেশ্যে গাড়িবহরের শোডাউনে সবাইকে অবাক করেছে মন্তব্য করে আব্দুর রহমান বলেন, ‘তবে, এ হামলা কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।’ সরাসরি কক্সবাজার বিমানের ফ্লাইটে না গিয়ে ত্রাণনাটক তৈরির কারণেই এ ধরনের দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

আওয়ামী লীগের উপ-দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, ‘খালেদা জিয়া তিন মাস লন্ডনে থেকে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের নীলনকশা করেছেন। তারাই ধারাবাহিকতায় তিনি দেশে ফিরে রাজনৈতিক কোনও ইস্যু না পেয়ে রোহিঙ্গা ইস্যু ধরে কৃত্রিম সংকট তৈরি করতে চান। অথচ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের জন্য সুনাম বয়ে এনেছেন।’

বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, ‘খালেদা  বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে সড়কপথে কক্সবাজার রওনা হয়েছেন, পথে মিড়িয়া কাভারেজের জন্য হামলার নাটক সাজিয়েছেন।’

এদিকে খালেদা জিয়ার কক্সবাজার সফর প্রসঙ্গে একই মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ফারুক খান। তার মতে, ‘খালেদা জিয়ার রোহিঙ্গাদের দেখতে কক্সবাজার যাওয়া মানবিক কারণে নয়, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য-প্রণোদিত ও লোক দেখানো। তিনি যদি মানবিক কারণে যেতেন, তাহলে এত আওয়াজ দিয়ে সড়কপথে যেতেন না, আকাশপথে গিয়েই ত্রাণ দিয়ে আবার আকাশ পথেই ঢাকা ফিরে আসতেন।’

তবে, এই সফরকে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্যাহ। তার মতে, ‘এটি ভালো লক্ষণ। বিএনপি নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে, বোঝা যাচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়ার এই সফরকে আমরা ভালো লক্ষণ হিসেবেই ধরে নিতে চাই। কোনোভাবেই যেন আমাদের ধারণা পরিবর্তন না হয়।’

প্রায় একই ধরনের মনোভাব পোষণ করেন দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘খালেদা জিয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী দলীয় নেত্রী হিসেবে যেতেই পারেন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে। বিষয়টিকে যদি জাতীয় সমস্যা মনে করে তিনি যান, তাহলে খুব ভালো কথা। তবে রোহিঙ্গা ইস্যুকে কেন্দ্র করে কোনও রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করলে তা মোকাবিলা করা হবে।’ তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।’

জানতে চাইলে ক্ষমতাসীন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘লোক দেখানোর উদ্দেশ্যেই দুই মাস পরে রোহিঙ্গাদের দেখতে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া।’ তিনি বলেন, ‘সড়কপথে যাতায়াতের মধ্য দিয়ে এখানেও তিনি জনগণকে ভোগান্তিতে ফেলার নিয়ত করেছেন। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল করতে খালেদা জিয়া এই সফর শুরু করেছেন।’

রোহিঙ্গাদের উস্কানি দিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতেই খালেদা জিয়া কক্সবাজার যাচ্ছেন বলে মনে করেন ক্ষমতাসীন দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘সরকারের প্রশাসন ও সেনাবাহিনী যখন রোহিঙ্গাদের একটি শৃঙ্খলার মধ্যে নিয়ে এসেছে, তখন রোহিঙ্গাদের ত্রাণ দেওয়ার নামে খালেদা জিয়া অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির জন্য কক্সবাজার যাচ্ছেন।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
হামলায় বিএনপির ক্ষতি হয়নি, সরকার আরো বেশি ধিকৃত ও জনবিচ্ছিন্ন হলো : ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তাঁর দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে যে হামলা চালানো হয়েছে তাতে বিএনপির কোনো ক্ষতি হয়নি। বরং এতে আওয়ামী লীগ সরকার আরো বেশি ধিকৃত ও জনবিচ্ছিন্ন হলো।

শনিবার সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব এসব কথা বলেন।

ফখরুল দাবি করেন, দেশব্যাপী বিএনপির চেয়ারপারসনের ব্যাপক জনপ্রিয়তা, মানুষের ভালোবাসা ও ঢল দেখে ঈর্ষান্বিত হয়ে সরকার নিজদলীয় সন্ত্রাসীদের দিয়ে হামলা চালিয়েছে। আওয়ামী লীগ তাদের ভয়াবহ দুঃশাসনের কারণে এখন জনবিচ্ছিন্ন। এ কারণে তারা এখন পুরোপুরি সন্ত্রাসনির্ভর হয়ে পড়েছে।

বিএনপি নেতা বলেন, তাঁর দলের নেতাকর্মীদের ব্যাপক মারপিট করে আহত করাসহ গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের গাড়িতে হামলা চালিয়ে গাড়ি ও ক্যামেরা ভাঙচুর এবং তাদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার ঘটনা কাপুরুষোচিত, এ ধরনের নজির পৃথিবীতে বিরল। তিনি অবিলম্বে এ ন্যক্কারজনক হামলাকারী আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানান। এ ছাড়া সন্ধ্যায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে গ্রেপ্তার হওয়া নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবি করেন তিনি।

শনিবার সকালে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের জন্য ঢাকা থেকে গাড়িবহর নিয়ে রওনা দেন খালেদা জিয়া। পথে ফেনীর শহরের কাছে মোহাম্মদ আল বাজার পার হওয়ার সময় একদল দুর্বৃত্ত গাড়িবহরে হামলা চালায়। এতে গণমাধ্যমকর্মীসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। বেশ কিছু গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এ ছাড়া চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে খালেদা জিয়ার গাড়িবহর আবার আক্রান্ত হয়। এতে এনটিভির সাংবাদিকসহ কয়েকজন আহত হন।

এরই মধ্যে খালেদা জিয়া চট্টগ্রামে পৌঁছে গেছেন। সেখানেই রাতযাপন করবেন। আগামীকাল রোববার রওনা দেবেন কক্সবাজারের উদ্দেশে। রোহিঙ্গাদের মধ্যে ত্রাণ করবেন খালেদা জিয়া।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শেখ হাসিনা হত্যাচেষ্টা মামলার রায় আজ

রাজধানীর ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরে পৈতৃক বাড়িতে শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে করা বিস্ফোরকদ্রব্য আইনের মামলার রায় আজ ঘোষণা করা হবে।

গত ১৬ অক্টোবর ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ জাহিদুল কবির এ দিন ধার্য করেন।

ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর আবদুল্লাহ আবু সাংবাদিকদের জানান, মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে বিচারক রায়ের জন্য দিন ধার্য করেছেন। পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের অস্থায়ী এজলাসে একই বিচারক মো. জাহিদুল কবির একই ঘটনায় দায়ের করা দণ্ডবিধির আরেকটি মামলায় রায় ঘোষণার জন্য আজ দিন ধার্য করেছেন।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ১৯৮৯ সালের ১০ আগস্ট মধ্যরাতে ফ্রিডম পার্টির নেতৃত্বে শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরের বাসভবনে গুলি ও গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়। তিনি তখন ওই বাসাতেই থাকতেন এবং ঘটনার সময় ওই বাড়িতেই অবস্থান করছিলেন।

এ ঘটনায় বাড়ির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কনস্টেবল জহিরুল ইসলাম একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ফ্রিডম পার্টির সদস্য কাজল ও কবিরের নেতৃত্বে ১০-১২ জনের একটি দল ৩২ নম্বরের বাড়িতে অতর্কিতে গুলিবর্ষণ ও বোমা হামলা করে এবং হামলাকারীরা তখন ‘কর্নেল ফারুক-রশিদ জিন্দাবাদ’ বলে স্লোগান দিতে দিতে পালিয়ে যায়।

পরবর্তী সময়ে মামলাটি তদন্ত করে ১৯৯৭ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি ১১ জনকে অভিযুক্ত করে দণ্ডবিধি ও বিস্ফোরক আইনের দুটি অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।

মামলার আসামিরা হলেন—গোলাম সারোয়ার ওরফে মামুন, জজ মিয়া, ফ্রিডম সোহেল, সৈয়দ নাজমুল মাকসুদ মুরাদ, গাজী ইমাম হোসেন, খন্দকার আমিরুল ইসলাম কাজল, মিজানুর রহমান, হোমায়েন কবির, মো. শাজাহান বালু, লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবদুর রশীদ, জাফর আহমেদ ও এইচ কবির।

আসামিদের মধ্যে প্রথম চারজন কারাগারে, শেষের তিনজন পলাতক এবং অপর আসামিরা জামিনে রয়েছেন।

২০০৯ সালের ৫ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
যশোরে ছাত্রলীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা

যশোর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি মনোয়ার হোসেন ইমন (২৯) দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত হয়েছেন।

গতকাল শনিবার রাতে জেলা শহরের বেজপাড়ার গুড়গোল্লার মোড়ে ইমন গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাঁকে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত মনোয়ার হোসেন ইমন গুড়গোল্লার মোড়ের আজিমাবাদ কলোনী এলাকার বাসিন্দা।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে নিহতের বাবা আনোয়ার হোসেন জানান, গতকাল গুড়গোল্লার মোড়ের সালাম ফার্নিচারের সামনে বসে বন্ধুদের সঙ্গে লুডু খেলা দেখছিলেন ইমন। রাত ১১টার পরপরই দুই-তিনজন যুবক এসে ইমনের বুকে পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করেন। এ সময় তিনটি গুলির শব্দ পাওয়া যায়। হাসপাতালে আনা হলে রাত ১১টা ১৩ মিনিটে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক কাজল মল্লিক জানান, বুকে গুলিবিদ্ধ হয়ে ইমন নিহত হয়েছেন।

যশোর কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হাসানুর রহমান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তিনি একটি গুলির খোসা উদ্ধার করেছেন। তবে কী কারণে ইমনকে কারা হত্যা করেছে, তা তাৎক্ষণিক জানা যায়নি।

যশোর জেলা ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বিপুল জানান, ইমন তাঁর কমিটির সহসভাপতি ছিলেন। তাঁর লাশ মরদেহ যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দীর্ঘ ৪৮ বছরেও এমপিওভুক্ত হয়নি সদরের বলাডাঙ্গা-ছয়ঘরিয়া দাখিল মাদ্রাসা

জি.এম আবুল হোসাইন : সীমান্তবর্তী উপজেলার মধ্যে সাতক্ষীরা সদর অন্যতম। এলাকাবাসির স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে ও সমাজে শিক্ষার আলো ছড়ানোর লক্ষ্যে বলাডাঙ্গা-ছয়ঘরিয়া দাখিল মাদ্রাসাটি সদর উপজেলা শহর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ১৯৭০ সালের ১লা জানুয়ারিতে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি দীর্ঘ ৪৭টি বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো এমপিওভুক্ত হয়নি। এ অঞ্চলে শিক্ষার আলো জ্বালাতে আজো বিনা বেতনে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষিকা, কর্মচারীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন। বর্তমানে নানাবিধ সমস্যার মধ্য দিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছে প্রতিষ্ঠানটি। প্রাপ্ত তথ্যমতে, ১৯৭০ সালে ছয়ঘরিয়া গ্রামের দুই ভাই মরহুম আনছার আলী ও মরহুম নিছার আলী তাদের ১একর ৬ শতক (এর মধ্যে অখন্ড ৭৬ শতাংশ) জমি নিয়ে এটি প্রতিষ্ঠা করেন। তখন থেকে প্রতিষ্ঠানটির অস্থায়ীভাবে পাঠদান শুরু করা হয়। ১৯৭০ সালে স্থায়ীভাবে ৬টি কক্ষ বিশিষ্ট একটি টিন শেট ও মাটির ভবনে পাঠদান শুরু করা হয়। ১৯৮৯ সালে প্রথম মাদ্রাসার নামে রেজিস্ট্রেশন করে পরীক্ষা দেওয়া হয়। ২০০৯ সালের ১লা জানুয়ারিতে প্রতিষ্ঠানটি একাডেমিক স্বীকৃতি লাভ করে। ১৯৯৬ সালে ফ্যাসিলিটিজ ডিপার্টমেন্ট, খুলনা জোনের উদ্যোগে ৩ কক্ষ বিশিষ্ট একতলা ভবন নির্মিত হয়। প্রতিষ্ঠানটিতে আন্তর্জাতিক ও জাতীয় বিভিন্ন দিবস পালনসহ পাঠদানের পাশাপাশি মাদ্রাসার মাঠে খেলার ব্যবস্থা রয়েছে। ইতোমধ্যে মাদ্রাসা থেকে ইবতেদায়ী সমাপনী, জেডিসি ও দাখিল পরীক্ষায় সাফল্যতার সাথে উত্তীর্ণ হয়ে অনেক ছাত্রছাত্রী দেশের উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়ণরত ও প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ে কর্মরত আছে। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটিতে ১২ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ৩জন কর্মচারী ছাত্রছাত্রীদের লেখা-পড়ায় গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। দীর্ঘদিন যাবৎ এমপিওভুক্ত না হওয়ায় এসব শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কর্মচারীদের মানবেতর জীবন-যাপন করতে হচ্ছে। মাদ্রাসার শিক্ষক মো. আব্বাস আলী বলেন, এলাকার ছেলেমেয়েদের শিক্ষিত করে গড়ে তোলার মহান উদ্দেশ্য নিয়ে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, এমপিওভূক্ত হওয়ার আগেই আমাকে অবসরে যেতে হবে কি না সে ব্যাপারে আমি সন্ধিহান। মাদ্রাসা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও ইউপি সদস্য মো. শরিফুজ্জামান ময়না বলেন, প্রতিষ্ঠানটিতে শিক্ষক-শিক্ষিকারা বিনা বেতনে পাঠদান করলেও তারা খুবই আন্তরিক। যে কারণে পরীক্ষায় শিক্ষার্থীরা ভাল ফলাফল করছে। তবে দীর্ঘদিন যাবত এমপিওভুক্ত না হওয়ার ফলে শিক্ষক-শিক্ষিকা কষ্টের মধ্য দিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। তিনি আরো বলেন, বিষটি নিয়ে আমরা শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এমপিওভুক্ত করার আবেদন করেছি। তাই এমপিওভুক্ত করার বিষয়টি নিয়ে জাতীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি’র সহযোগিতা ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি। ২০১২ সালে বিনা বেতনে অবসরে যাওয়া শিক্ষক মো. ইসহাক আলী আক্ষেপ করে বলেন, নিজের জন্য না হলেও আগামী প্রজন্মের মঙ্গলের জন্য আমরা আমাদের এপ্রতিষ্ঠানটি আগলে রাখব। বর্তমান সরকারের সদ্বিচ্ছায় অচিরেই এটি এমপিওভূক্ত হবে বলে আমার বিশ্বাস।

উপজেলার প্রাচীনতম এপ্রতিষ্ঠানে বর্তমান ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ৩শত ৭জন। মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে পড়ালেখার মান ভাল এবং রেজাল্টও আশানুরুপ। ২০১৭ সালের দাখিল পরীক্ষায় পাশের হার ছিল ৯০ শতাংশ। ২০০৩ সালে মাদ্রাসার সুপারিন্টেনডেন্ট হিসেবে যোগদানের পর থেকে প্রতিষ্ঠানের সার্বিক পরিবেশের উন্নয়ন ঘটিয়েছেন মাওলানা মো. আব্দুল কুদ্দুস। তিনি শিক্ষকমন্ডলী, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, সকল সদস্য ও অভিভাবকদের সহযোগিতা নিয়ে  প্রতিষ্ঠানের জন্য নিরলস কাজ করে চলেছেন। শিশু বান্ধব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আঙিনায় রয়েছে ফলজ বৃক্ষসহ মূল্যবান বৃক্ষরাজি। দৃষ্টিনন্দন পরিবেশ মাদ্রাসাটিকে অসাধারণ ও মনোরম করে তুলেছে। তিনি আরো বলেন, প্রাক – প্রাথমিক থেকে দাখিল ১০ম শ্রেণি নিয়ে ক্লাশ পরিচালনা করা শিক্ষক স্বল্পতার জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে। প্রতিদিন নিয়মিত ক্লাশ পরিচালনা এবং ছুটির পর ৫ম ও ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নিয়ে অতিরিক্ত ক্লাশ পরিচালনা করা হয়ে থাকে। ফলে শিক্ষকদের জন্য প্রতিষ্ঠান চলাকালে বিশ্রামের সুযোগ থাকেনা। তার পরে রয়েছে কক্ষ সংকট। অফিস সহ ১০টি কক্ষ রয়েছে। ছেলে মেয়েদের জন্য কক্ষ সংকট একটি বড় সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে। শ্রেণি কক্ষ সম্প্রসারণের জন্য এলাকাবাসী জোর দাবি জানিয়েছেন। প্রতিষ্ঠানকে সমহিমায় এগিয়ে নিতে এবং লেখাপড়ার মান আরও উন্নত করতে এমপিওভূক্ত, ক্লাশ রুম সম্প্রসারণ, প্রয়োজনীয় শিক্ষক ব্যবস্থা, ও সংস্কার কাজ করার জন্য ইউপি চেয়ারম্যান, উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সংসদ সদস্য সহ জেলা শিক্ষা বিভাগের পাশাপাশি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয় অভিভাবক ও সচেতন এলাকাবাসি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ফেনীতে খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলা

কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শনে যাওয়ার পথে ফেনীতে হামলার কবলে পড়েছে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গাড়িবহর।

আজ শনিবার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে ফেনী শহরের কাছে মোহাম্মদ আল বাজার পার হওয়ার সময় একদল মানুষ গাড়িবহরের ওপর হামলা চালায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা ইউএনবি।

এ সময় ওই ব্যক্তিরা খালেদা জিয়ার গাড়িবহরের সঙ্গে থাকা বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আই, ডিবিসি, একাত্তর ও বৈশাখী টেলিভিশনের গাড়িসহ বেশকিছু যানবাহনে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। একই সঙ্গে বিএনপির চেয়ারপারসনের বহরে থাকা বেশ কয়েকজন সাংবাদিক ও বিএনপির নেতাকর্মীকেও পেটায় তারা।

তবে এই হামলার পরও বিকেল ৫টা নাগাদ নিরাপদে ফেনী সার্কিট হাউসে পৌঁছান সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। সেখানে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা হবেন তিনি।

এর আগে চারদিনের কক্সবাজার সফরের উদ্দেশে আজ সকালে ঢাকা থেকে রওনা হন খালেদা জিয়া। পথে আজ রাতে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে যাত্রাবিরতি করবেন তিনি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest