সর্বশেষ সংবাদ-
ব্যবসায়ীকে মারধরের ঘটনার ভিডিও করায় সাংবাদিকদের মারপিটের অভিযোগ ডা; ফয়সালের বিরুদ্ধেতাপদাহে রিকশাচালক-পথচারী‌দের‌ মাঝে ড্রিম সাতক্ষীরার পা‌নি ও স্যালাইন বিতরণআন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে র‌্যালি ও আলোচনাসাতক্ষীরা সদর সাব রেজিষ্ট্রি অফিস চত্বরে মরা শিশু গাছে ঝুঁকি বাড়ছেকলারোয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী আলতাফ হোসেন লাল্টুর গণ সমাবেশএডভোকেসি নেটওয়ার্ক এবং সিভিল সোসাইটি অর্গানাইজেশন সদস্যদের ত্রৈমাসিক সমন্বয় সভাশ্যামনগরের কৈখালী পোলের খাল খনন কর্মসূচির উদ্বোধনশ্যামনগরে সালাতুল ইস্তেকার নামাজ আদায়তীব্র তাপদাহে পুড়ছে উপকুলীয় জেলা সাতক্ষীরা, তাপমাত্রা আজ সর্বোচ্চ ৩৯.৩ ডিগ্রিদেবহাটায় উন্নয়ন কার্যক্রমে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্তি বিষয়ক মতবিনিময়

টাঙ্গাইলে চলন্ত বাসে কলেজ ছাত্রীকে গণধর্ষণের পর হত্যা

ন্যাশনাল ডেস্ক : টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলায় গত শুক্রবার এক অজ্ঞাত তরুণীর লাশ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। এবার তাঁর পরিচয় মিলেছে। নাম, রূপা (২৫)। পুলিশ বলছে, তাঁকে চলন্ত বাসে গণধর্ষণের পর হত্যা করে রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার বাসের তিন শ্রমিক মঙ্গলবার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। রূপার বাড়ি সিরাজগঞ্জের তারাশ উপজেলার আসানবাড়ি গ্রামে। তিনি বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজ থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান্নেস্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করে ঢাকা আইডিয়াল ল’ কলেজে এলএলবি শেষ পর্বে পড়াশোনা করছিলেন। পড়াশোনার পাশাপাশি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন তিনি। তাঁর কর্মস্থল ছিল শেরপুর জেলা। পুলিশ ও ওই তরুণীর পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার রুপা বগুড়ায় শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় অংশ নেন। পরে বগুড়া থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার জন্য সন্ধ্যা সাতটার দিকে ছোঁয়া পরিবহনের একটি বাসে ওঠেন। রাত ১০টা পর্যন্ত রূপার সঙ্গে তাঁর বড় ভাই হাফিজুর রহমান প্রামাণিকের মুঠোফোনে যোগাযোগ ছিল। কিন্তু এর পর থেকে রূপার ফোন বন্ধ পাওয়া যায় বলে জানান হাফিজুর। পরের দিন শনিবার কোনো খোঁজ না পেয়ে হাফিজুর ময়মনসিংহ যান এবং ময়মনসিংহ কোতোয়ালি থানায় এ ব্যাপারে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
অন্যদিকে শুক্রবার রাতে পুলিশ টাঙ্গাইলের মধুপুর বনাঞ্চল থেকে এক অজ্ঞাত তরুণীর লাশ উদ্ধার করে। শনিবার টাঙ্গাইলে ময়নাতদন্ত শেষে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় গোরস্থানে অজ্ঞাত পরিচয় লাশ হিসেবে তা দাফন করা হয়। ওই দিনই পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মধুপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে হাফিজুর সোমবার রাতে মধুপুর থানায় যান। সেখানে লাশের ছবি দেখে তা বোন রূপার বলে শনাক্ত করেন তিনি।
শুক্রবার রাতে ছোঁয়া পরিবহনের যে বাস বগুড়া থেকে ময়মনসিংহ গিয়েছিল, সেই একই বাস সোমবার মধুপুর অতিক্রম করার সময় পুলিশ আটকায়। এরপর ওই বাসের চালক হাবিব (৪৫), সুপারভাইজার সফেদ আলি (৫৫) এবং বাসের সহকারী শামীম (২৬), আকরাম (৩৫) ও জাহাঙ্গীরকে (১৯) আটক করে পুলিশ। থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে বাসের তিন সহকারী রূপাকে ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে জানিয়েছে, ওই দিন বাসে রূপাসহ ছয় থেকে সাতজন যাত্রী ছিলেন। অন্য যাত্রীরা সিরাজগঞ্জ মোড় এবং বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম প্রান্তে নেমে যান। বঙ্গবন্ধু সেতু পার হওয়ার সময় রূপা একাই বাসে ছিলেন। বাসটি টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার কাছাকাছি এলে বাসের সহকারী শামীম জোর করে রূপাকে বাসের পেছনের আসনে নিয়ে যায়। এ সময় রূপা তাঁর কাছে থাকা পাঁচ হাজার টাকা ও মুঠোফোন শামীমকে দিয়ে দেন এবং ক্ষতি না করতে অনুরোধ করেন। সেই অনুরোধ উপেক্ষা করে শামীম, আকরাম ও জাহাঙ্গীর তাঁকে ধর্ষণ করে। রূপা চিৎকার শুরু করলে ধর্ষকেরা তাঁর মুখ চেপে ধরে। একপর্যায়ে ঘাড় মটকে রূপাকে হত্যা করা হয়। পরে মধুপুর উপজেলা সদর পেরিয়ে বন এলাকা শুরু হলে পঁচিশ মাইল এলাকার রাস্তার পাশে লাশটি ফেলে দেওয়া হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া বাসের তিন সহকারী শামীম, আকরাম, ও জাহাঙ্গীরকে আজ মঙ্গলবার বিকেলে টাঙ্গাইল বিচারিক হাকিম আদালতে নেওয়া হয়। আকরাম ও জাহাঙ্গীরের বাড়ি ময়মনসিংহ সদর উপজেলার মির্জাপুর গ্রামে। শামীমের বাড়ি মুক্তাগাছার নন্দীবাড়ি। এই তিনজন ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। টাঙ্গাইলের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম গোলাম কিবরিয়া জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেছেন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফিকুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে চালক হাবিব ও সুপারভাইজার সফেদ আলি ধর্ষণ ও হত্যায় জড়িত ছিলেন না বলে দাবি করেছেন। তাদের দাবি, তারা শুধু লাশ ফেলতে সহায়তা করেছে। তাদের আজ বুধবার আদালতে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন ওসি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রক্তস্বল্পতা দূর করে কচুশাক

কচুশাক আমাদের সবার কাছেই একটি অতি পরিচিত সবজি। কচুশাক কম পরিশ্রমে ও সহজে চাষ করা যায়। কচুগাছের পাতা, ডাটা, মুখী ও লতি সবজি হিসেবে খাওয়া যায়। কচু শুধু পুষ্টিকর নয়, এর অনেক ঔষধী গুণও আছে। কচুশাকে ভিটামিন এ, ডি এবং প্রচুর পরিমাণে লৌহ আছে। যা মানব দেহের জন্য খুবই উপকারী।
আসুন জেনে নেই কচুর গুনাগুন সম্পর্কে–

– রক্তস্বল্পতা দূর করেঃ
রক্তস্বল্পতা দূর করতে পারে কচুরশাক ও সবুজ শাকসবজি। দেহে ফলিক অ্যাসিড এবং আয়রনের ঘাটতি দূর করে রক্তস্বল্পতা থেকে পরিত্রাণ দেয় কচু শাক। বিশেষ করে কচুশাকএক্ষেত্রে খুবই কার্যকর।

– আয়রনের চাহিদা পূরণ করেঃ
কচুশাকে আছে নানা রকমের ভিটামিন যা গর্ভবর্তী মা ও শিশুর জন্ম ধারণের জন্য উপকারী। কচু দামেও বেশ সস্তা, তাই দরিদ্র পরিবারের গর্ভবতী মহিলারা ভিটামিন ও আয়রনের চাহিদা পূরণের জন্য কচুশাক খেতে পারেন।

– রাতকানা প্রতিরোধ করেঃ
কচুর শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন এ,বি,সি,ক্যালসিয়াম ও লৌহ। ভিটামিন এ জাতীয় খাদ্য রাতকানা প্রতিরোধ করে আর ভিটামিন সি শরীরের ক্ষত সারাতে সাহায্য করে। তাই শিশুদের ছোট বেলা থেকেই কচুর শাক খাওয়ানো উচিত।

– হজম শক্তির উন্নতি করেঃ
কচুতে আছে প্রচুর ফাইবার, ফোলেট ও থায়ামিন যা মানব শরীরের জন্য অনেক দরকারি উপাদান। কচুর শাকে পর্যাপ্ত পরিমানে আঁশ থাকে যা হজমে সহায়তা করে। নিয়মিত কচুশাক খেলেও কোলন ক্যান্সার ও ব্রেষ্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে।

– হাড় ও দাঁত গঠনেঃ
কচুশাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেশিয়াম ও ম্যাঙ্গানিজ। দাঁত ও হাড় গঠনে ও ক্ষয়রোগ প্রতিরোধে এসব উপাদানের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ডেঙ্গু নিরাময়ে পেঁপে পাতা!

ডেঙ্গু জ্বর হল ভাইরাসজনিত এক ধরনের তীব্র জ্বর। এ জ্বরের বাহক এডিস মশা। এডিস মশা ডেঙ্গুর জীবাণু বহন করে থাকে। জীবাণু বহনকারী এডিস মশা কাউকে কামড়ালেই ডেঙ্গু জ্বর হয়ে থাকে। এ জ্বর হলে প্রাথমিক পরিচর্চা হিসেবে দ্রুত জ্বর কমানো জরুরি।

তবে ডেঙ্গু প্রতিরোধে পেঁপে পাতার রস কার্যকরী ভূমিকা পালন করে বলে জানা যায়। স্বাস্থ্যকর ফল হিসেবে পেঁপের পরিচিতি বেশ আগে থেকেই, এবার সেই তালিকায় পেঁপের পাতাও যুক্ত হল। ফ্লোরিডার গবেষক ডা. ডেঙ এবং শ্রীলংকার গবেষক ডা. সানাথ হেট্টিগ এবং এমআই কাঠিবেসান তাদের গবেষণায় দেখিয়েছেন, পেঁপে পাতার রস ডেঙ্গু জ্বরে অনেকটা উপকারী ভূমিকা পালন করে।

ডেঙ্গুর ভাইরাস শরীরে যতদিন কার্যকর থাকে ততদিন পর্যন্ত শরীরে নতুন প্লেটলেট উৎপাদনের ক্ষমতা নষ্ট করে দিতে ভূমিকা রাখে। সাধারণত একজন সুস্থ মানুষের রক্তের স্বাভাবিক প্লেটলেটের পরিমাণ হলো প্রতি মাইক্রো লিটারে ১৫০,০০০ থেকে ২৫০,০০০ পর্যন্ত। ডেঙ্গু হলে এই প্লেটলেটের সংখ্যা খুব দ্রুত কমে যেতে থাকে।

তার মতে, ১০০,০০০ এর নিচে প্লেটলেট লেভেল চলে আসলে তা মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারেন। প্লেটলেট লেভেল যদি ৫০০০০ এ নেমে আসে তাহলে থ্রমবোসাইটোপেনিয়া হয়ে যায়। ফলে অনেক সময় রোগীর মৃত্যু হতে পারে। তাই ডেঙ্গু হলে প্লেটলেট পরীক্ষা করে দেখা হয়। প্লেটলেট খুব কমে গেলে জরুরী ভিত্তিতে হাসপাতালে ভর্তি করানো উচিত। প্লেটলেটের পরিমাণ যখন অস্বাভাবিক কমে যায় তখন রক্ত জমাট বাধতে শুরু করে এবং হ্যামোরেজিং হতে পারে। এর ফলে শরীরের অভ্যন্তরীন রক্তক্ষরণ হয় এবং রোগীর মৃত্যু ঘটে।

পেঁপে পাতার রস ডেঙ্গুর প্রতিষেধক এটা নিয়ে অনেক মানুষ দ্বিমত পোষন করেছে। কিন্তু ইউনিভার্সিটি অফ ফ্লোরিডা রিসার্চ সেন্টারের গবেষক নাম ড্যাং এর মতে পেঁপে পাতার রস রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং তা ডেঙ্গু জ্বর খুব দ্রুত সারিয়ে তোলে। এমনকি পেঁপে পাতার রস ক্যান্সার প্রতিরোধেও সহায়তা করে। শ্রীলঙ্কার ফিজিশিয়ান ডাক্তার সানাথ হেট্টিগ এর মতে পেপে গাছের কচি পাতার রস ডেঙ্গুর ওষুধ হিসেবে খুবই উপকারী। তার এই গবেষণাটি ২০০৮ সালে শ্রীলংকান জার্নাল অফ ফ্যামিলি ফিজিশিয়ানস এ প্রকাশিত হয়েছিলো।

পেঁপে পাতার রস তৈরির নিয়ম:
প্রথমে পেঁপে গাছের কচি পাতা সংগ্রহ করে বেটে বা ব্লেন্ড করে ছেঁকে নিতে হবে। ছেঁকে নেয়ার পর এ রস একজন প্রাপ্তবয়স্ক রোগীকে ১০ মিলি লিটার করে ০৮ ঘণ্টা পরপর দিনে দু’বার করে খেতে দিতে হবে। ৫-১২ বছর বয়সী শিশু রোগীদের ক্ষেত্রে ০৫ মিলি লিটার করে ০৮ ঘণ্টা পরপর দিনে দু’বার করে খেতে দিতে হবে।

পাঁচ বছরের নিচের শিশুদের জন্য ২.৫ মিলি লিটার করে ০৮ ঘণ্টা পরপর দিনে দু’বার করে খেতে দিতে হবে। তবে একটি বিষয় মনে রাখা প্রয়োজন, তৈরি করা পেঁপে পাতার রসের সঙ্গে কোনো প্রকার লবণ বা চিনি মেশানো যাবে না।-সূত্রঃ টাইম্‌স অফ ইন্ডিয়া।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ওজন কমায় লাউয়ের জুস!

ওজন নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন। ভেবে পাচ্ছেন না কী করবেন? এখানে এমন একটি ঘরোয়া ওষুধ নিয়ে আলোচনা করা হল যা দ্রুত ওজন কমাতে আপানকে সাহায্য করতে পারে। ওজন কমানো হল সব থেকে কঠিন কাজ।

যারা বেশি করে খেতে ভালোবাসেন তাদের ক্ষেত্রে তো কাজটা আরও কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু ওজন কমানোটা খুবই জরুরি। না হলে যে শরীরে একের পর এক মরন ব্যাধি রোগ বাসা বাঁধতে শুরু করে। তাই এখনই সাবধান হতে হবে। না হলে কিন্তু বিপদ।

প্রথমে আপনাকে খাওয়া-দাওয়াকে নিয়ন্ত্রণ আনতে হবে। রোজকার ডায়েট থেকে বাদ দিতে হবে ভাজাপোড়া এবং তৈলাক্ত খাবার। সেই সঙ্গে পরীক্ষা করে দেখতে হবে কোনো রোগের কারণে ওজন বাড়ছে কিনা। আর যদি কোনও রোগ নয়, অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের জন্য মেদবহুল হয়ে পড়ছেন, তাহলে এই ঘরোয়া ওষুধটি আজ থেকেই খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন ফল পাবেন একেবারে হাতে-নাতে।

জুস বানাতে প্রয়োজন পড়বেঃ
১. লাউয়ের রস- হাফ কাপ।
২. গোলমরিচ- ১ চামচ।

কীভাবে বানাবেনঃ
১. একটা কাপে পরিমাণ মতো লাউয়ের রস এবং গোলমরিচ নিন।
২. এখন ভাল করে উপকরণ দুটি মিশিয়ে নিন।
৩. এখন আপনার ঔষধটি খাওয়ার উপযোগী।
৪. প্রতিদিন সকালের নাশতার পর এই ওষুধটি ২৫/৩০ দিন খেলেই শরীরের ওজন কমতে শুরু করবে।

এই ঘরোয়া ওষুধটি নিমেষে ওজন কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। লাউয়ের রসে ভিটামিন-সি এবং ফাইবার রয়েছে, যা হজম ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। এক কাপ লাউয়ের জুস হতে ২৬ মিলিগ্রাম ভিটামিন-সি ও ১ দশমিক ৮ মিলিগ্রাম জিংক পাওয়া যায়। ফলে গৃহীত খাবার চর্বিতে রূপান্তরিত হওয়ার সুযোগই পায় না।
অপরদিকে গোলমরিচে কেপসাইসলিন নামক একটি উপাদান রয়েছে, যা চর্বি কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
যে খাবারগুলো আপনার চুপচাপ ক্ষতি করছে!

মাঝেমাঝে এমন কিছু খাবার আমরা খেয়ে থাকি, যা আমাদের শরীরের জন্য অনেক বেশি খারাপ বার্তা নিয়ে আসে। এই ধরেন যে, দুইএকটি বিস্কুট বা একটু চিপস খেলে ক্ষুধা কমে যায়, তাহলে এসব খেলে সমস্যা কি? এই কথা ভেবে আমরা প্রায়ি এসকল অস্বাস্থ্যকর খাবার খাই। যা আমাদের স্বাস্থ্য খারাপ করে তোলে। আসুন এরকম কিছু খাবারের তালিকা নিয়ে আলোচনা করা যাক-

১. আলুর চিপস:
আলুর চিপস এ প্রচুর পরিমানে ফ্যাট থাকে, কারণ চর্বির তেল দিয়ে এসকল চিফস ভাঁজা হয়। আবার এতে সোডিয়ামের পরিমানও অনেক বেশি পরিমানে থাকে, যা উচ্চ রক্তচাপের কারণ এবং শরীরে পানির অভাবের তৈরি করে। ১০০ গ্রাম ওজনের একটি চিপসের প্যাকেটে ৫৫০-৬০০ ক্যালোরি থাকে। আবার, একই তেলে বারবার চিপস তৈরি করা হয় বলে, এসব খাবার অনেক অস্বাস্থ্যকর ও হয়।

২. প্যাকেটের জুস:
কোন ধরণের জুসে ফল ব্যবহার করা হয় না। কোম্পানি যতই প্রচার করুক না কেন, তারা এতে প্রচুর পরিমানে চিনি ব্যবহার করেন এবং আম, কমলা ইত্যাদি ফলের রস বলে এখানে মিষ্টি কুমড়া ব্যবহার করে। তাই ফলের জুস ক্রয় না করে ফল খান। এটি আপনার স্বাস্থ্যের কোন ক্ষতি করবে না।

৩. সফট ড্রিংকস:
এতে স্বাস্থ্যের জন্য ভাল কিছু নেই। প্রচুর পরিমানে চিনি ব্যবহার করার ফলে, আমাদের শরীরে এর খারাপ প্রভাব খুব বেশি সময় ধরে থাকে।

৪. বিস্কুট:
ছোট্ট একটি বিস্কুটের প্যাকেট আর কতই বা ক্ষতি করবে? এই চিন্তা করে আমরা অনেকে এক বেলার নাস্তায় বিস্কুটের হিসাব ঠিকই মিলিয়ে রাখি। কিন্তু বিস্কুট তৈরিতে ভাল ময়দা তৈরি করা হয় না। আবার এতেও অস্বাস্থ্যকর তেল এবং প্রচুর চিনি ব্যবহার করা হয়। তাই প্যাকেটের বিস্কুট খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

৫. চানাচুর, ঝালমুড়ি:
রাস্তার আসেপাসে এসব খাবারে প্রচুর পরিমানে ঝালযুক্ত করা হয়, আবার এতে তেল ও সোডিয়ামের পরিমান থাকে অনেক বেশি, যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।-সূত্রঃ টাইম্‌স অফ ইন্ডিয়া।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
৬ বছর ধরে নতুন জামা পরতে পারেনি মুক্তামনি

আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহায় নতুন জামা পরতে পারবেন না মুক্তামনি। শুধু এই ঈদে নয়,গত ছয় বছর ধরে আমার মেয়ে (মুক্তা মনি) কোন অনুষ্ঠানেও নতুন জামা পরতে পারেনি। কান্না জড়িত কন্ঠে এই প্রতিবেদককে কথাগুলো বলছিলেন মুক্তামনির মা।

বিরল রোগে আক্রান্ত শিশু মুক্তামনিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (ঢামেক) বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয় গত মাসের নয় তারিখে। মুক্তামনির শরীরের অবস্থা আগের থেকে অনেক উন্নতি হয়েছে বলে জানান মুক্তার বাবা ইব্রাহীম হোসেন।

ঈদের দিন মুক্তামনি কি করে জানতে চাইলে, মুক্তামনি বলে, ঈদে আমার আনন্দ হচ্ছে, আম্মু ভালো খাবার রান্না করে আমাকে খাইয়ে দেয়। এই ঈদেও আব্বু বলসে ভালো খাবার কিনে নিয়ে আসবে। মুক্তা বলে আমাদের গ্রামে যদি ভালো ডাক্তার থাকতো, তাহলে প্রতি ঈদে আমি নতুন জামা পরতে পারতাম।

মুক্তার বোন হিরা মনি বলেন, আমাকে আব্বু নতুন জামা কিনে দেয়, কিন্তু আমি মুক্তার জন্য পরি না। মুক্তার যে মন খারাপ হবে তাই, কিন্তু সামনের ঈদ থেকে পরতে পারবো। মুক্তা আমি দুজনে এক সাথে নতুন জামা পরবো।

সম্প্রতি মুক্তামনির এই বিরল রোগ নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপরই তাকে ঢাকায় পাঠিয়ে সরকারি ব্যবস্থাপনায় চিকিৎসার উদ্যোগ নেয়া হয়। পরে মুক্তামনির চিকিৎসার দায়িত্ব নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মুক্তামনি আগের থেকে অনেক ভালো আছে বলে জানান মুক্তার বাবা। তিনি বলেন, আমার কাছে ঈদ হচ্ছে আমার মেয়েটার সুস্থতা।
শিশু মুক্তামনির বাবা সাতক্ষীরার সদর উপজেলার কামারবায়সা গ্রামের মুদি দোকানি ইব্রাহীম হোসেন। তার দেশবাসীর কাছে একমাত্র চাওয়া সবাই যেন আমার অসুস্থ মেয়েটার মুখের দিকে তাকিয়ে নামাজান্তে আমার এই ছোট্ট মেয়েটার জন্য দোয়া করে। আমি যেন আমার মেয়েটাকে আবারও সুস্থ ও স্বাভাবিকভাবে ফিরে পাই প্রতিটা ঈদে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশাশুনিতে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি সম্বলিত পোস্টার ও ব্যানার ছিঁড়েছে দুর্বৃত্তরা!

নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও ঈদ-উল-আয্হাকে সামনে রেখে সরকারের উন্নয়নমূলক বিভিন্ন কর্মকান্ডের চিত্র এবং শুভেচ্ছা জানাতে সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলায় বিভিন্ন স্থানে টানানো বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ছবি সম্বলিত সাতক্ষীরা-৩ আসনের সংসদ সদস্য, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হক এমপির পোস্টার ব্যানার ও ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা।
এ বিষয়ে ডা. আ ফ ম রুহুল হক এমপি জানান, যারা সরকারের উন্নয়ন চায়না, যারা ২০১৩-১৪ সালে দেশটাকে জঙ্গী-সন্ত্রাসী রাষ্ট্রে পরিণত করতে চেয়েছিল তারা আবার মাথা তোলার চেষ্টা করছে। ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারকে যারা নৃশংসভাবে-জঘন্যভাবে হত্যাকান্ড ঘটিয়েছিল,২১ আগস্টে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে যারা হত্য করার চেষ্টা করতে গিয়ে ২৪ জন আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীদের হত্যা করেছিল, ২০১৪ সালে সংসদ নির্বাচনের সময়ে যারা দেশে তান্ডব চালিয়েছিল, চলন্ত বাসের ভিতরে আগুন দিয়ে যারা শিশুকে পুড়িয়ে মেরেছিল এবং আশাশুনি, দেবহাটার কয়েকজন আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীকে যারা হত্য করেছিল তারাই এখন আবার নির্বাচনে আসতে চাচ্ছে। তারা দেশকে ধ্বংস করার অস্থিতিশীল প্রক্রিয়ায় নেমেছে। তিনি সকলের প্রতি দায়িত্বশীল হয়ে তাদেরকে প্রতিহত করতে এবং জননেত্রী শেখ হাসিনাকে যাতে করে নেতৃত্ব থেকে না সরাতে পারে সেদিকে খেয়াল রেখে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। এবং তিনি আরও বলেন, আমি এ সকল দুর্বৃত্তদের গ্রেফতার ও তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য, গত ২৮ আগস্ট সোমবার রাতে সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়নে কয়েকটি এলাকার পোস্টার ব্যানার ও ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। এবিষয়ে আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম শাহীন বলেন, এখনো লিখিত কোন অভিযোগ আসেনি। তবে আমরা নিজেদের উদ্যোগে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
পাকিস্তানে নাচনেওয়ালিসহ পশুর হাট!

আর মাত্র কয়েকটা দিন। তারপরই ঈদুল আজহা।
আর কোরবানির ঈদ মানে জমজমাট পশুর হাট। ব্যতিক্রম নয় পাকিস্তানও। আমাদের দেশের মতো ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য সেখানেও পশুকে সাজিয়ে হাটে আনার নজির রয়েছে। এর পাশাপাশি অভিনব এক পন্থাও অবলম্বন করতে দেখা গেল এবার লাহোরের পশু ব্যবসায়ীদের।

সম্প্রতি ইন্টারনেটে পাকিস্তানের পশুর হাটের বেশ কয়েকটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। তাতে লাহোরের একটি পশুর হাটে দেখা গেল ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে প্রতি গরুর সাথে একজন মেয়েকে হাঁটে নিয়ে আসা হয়। এই মেয়েটি নেচে এবং বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গি প্রদর্শন করে ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেন। ফলে ক্রেতা জমতে শুরু করে। কারো পছন্দ হলে সে পশু কিনে নিয়ে যায়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest