সর্বশেষ সংবাদ-
ব্যবসায়ীকে মারধরের ঘটনার ভিডিও করায় সাংবাদিকদের মারপিটের অভিযোগ ডা; ফয়সালের বিরুদ্ধেতাপদাহে রিকশাচালক-পথচারী‌দের‌ মাঝে ড্রিম সাতক্ষীরার পা‌নি ও স্যালাইন বিতরণআন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে র‌্যালি ও আলোচনাসাতক্ষীরা সদর সাব রেজিষ্ট্রি অফিস চত্বরে মরা শিশু গাছে ঝুঁকি বাড়ছেকলারোয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী আলতাফ হোসেন লাল্টুর গণ সমাবেশএডভোকেসি নেটওয়ার্ক এবং সিভিল সোসাইটি অর্গানাইজেশন সদস্যদের ত্রৈমাসিক সমন্বয় সভাশ্যামনগরের কৈখালী পোলের খাল খনন কর্মসূচির উদ্বোধনশ্যামনগরে সালাতুল ইস্তেকার নামাজ আদায়তীব্র তাপদাহে পুড়ছে উপকুলীয় জেলা সাতক্ষীরা, তাপমাত্রা আজ সর্বোচ্চ ৩৯.৩ ডিগ্রিদেবহাটায় উন্নয়ন কার্যক্রমে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্তি বিষয়ক মতবিনিময়

সাতক্ষীরায় ২২ পিচ ইয়াবাসহ আটক ২

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার পুরাতন সাতক্ষীরা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস.আই সেলিম রেজা’র নেতৃত্বে ২২ পিচ ইয়াবাসহ ২ জনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতরা হলেন পুরাতন সাতক্ষীরা পেট্রল পাম্প এলাকার নূর মোহাম্মাদ এর পুত্র মো: আলাউদ্দিন(২৭) এবং একই এলাকার রেজাউল হোসেন বাবু’র পুত্র রাকিবুল হাসান(২২)।
জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুরাতন সাতক্ষীরা পেট্রল পাম্প সংলগ্ন এলাকায় এস.আই সেলিম রেজা ও এ.এস.আই শুকুর আলীসহ সঙ্গীয় ফোর্স আনুমানিক বিকাল ৫.৪৫টার দিকে ২২ পিচ ইয়াবাসহ ২ জনকে হাতেনাতে আটক করে ।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আটককৃতদের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা সদর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলার প্রস্তুতি চলছিল বলে জানা যায়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
অস্ট্রেলিয়াকে ২৬৫ রানের লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ

শূন্য রানে ৩ উইকেট হারিয়ে হঠাৎ বিপাকে বাংলাদেশ। ১৮৬/৫ থেকে মুহূর্তেই ১৮৬/৮ হয়ে গেল বাংলাদেশ। তাতেই ম্যাচে ফিরে এল অস্ট্রেলিয়া। তবে মেহেদী হাসান মিরাজ চা-বিরতির আগে দলকে আর কোনো ধাক্কা খেতে দেননি। শফিউলকে নিয়ে বাকি সময়টা কাটিয়ে দিয়েছেন, দলকে এনে দিয়েছেন মহাগুরুত্বপূর্ণ আরও ২৮টি রান। ৭ রানের ব্যবধানে দুজনই আউট হওয়ায় ২২১ রানে থেমেছে বাংলাদেশ। ২৬৪ রানের লিড বাংলাদেশের।

হুটহাট ৩ উইকেট পড়ার পর উইকেটে ছিলেন মিরাজ আর শফিউল। অ্যাশটন অ্যাগারের ওভারে পরপর দুটি বাউন্ডারি হাঁকিয়েছেন মিরাজ। লক্ষ্যটা অনুমিতই। অলআউট হওয়ার আগে অস্ট্রেলিয়ার জন্য টার্গেটটা ধরাছোঁয়ার বাইরে নিয়ে যাওয়া।

এর আগে অদ্ভুতুড়ে আউট হয়েছেন দুর্দান্ত খেলতে থাকা অধিনায়ক। ৪১ রান করেছেন। কিন্তু ননস্ট্রাইক প্রান্তে ক্রিজে না থাকার মাশুল দিয়েছেন মুশফিক। লায়নের হাত ছুঁয়ে বল স্টাম্পে যাওয়ায় রানআউট হয়ে ফিরেছেন। এরপর চার বল খেলে কোনো রান না করেই ওয়েডের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন নাসির হোসেন। সাব্বির খেলছিলেন নিজের মারমুখী ভঙ্গিতেই। কিন্তু আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্তে তাঁকেও ফিরতে হয়েছে। প্রথম ইনিংসের ভুলের পুনরাবৃত্তি না করতেই হয়তো আর রিভিউ নিলেন না। এরপর মিরাজ আর শফিউল বিপদ হতে দেননি। ২৪৮ রানের লিড আর হাতে ২ উইকেট নিয়ে চা-বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।

প্রথম সেশনেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় বাংলাদেশ। তাইজুল ইসলাম আর ইমরুল কায়েস ফিরে গেলেও আক্রমণটা সচল রেখেছিলেন তামিম ইকবাল ও অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। প্রথম ইনিংসের মতো এই ইনিংসেও দারুণ ধারালো তামিমের ব্যাট। মুশফিকও যেন প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিলেন প্রথম ইনিংসের বড় রান না করার দুঃখটা ঘোচাতে। তবে মধ্যাহ্ন বিরতির পরই ধাক্কা খেয়েছে বাংলাদেশ। তামিমের পর খুব দ্রুত আউট হয়েছেন সাকিব আল হাসানও। তামিম আউট হয়েছেন ৭৮ রানে। ১৫৫ বলের ইনিংসে ছিল ৮টি চার। প্রথম সেশনের দুই ঘণ্টায় ৮৭ রান তুলেছিল বাংলাদেশ।

সকালে তাইজুলের ফেরাটা খুব অপ্রত্যাশিত ছিল না। ‘নাইটওয়াচম্যান’ হিসেবে ভালোই খেলে গেছেন তিনি। ২২ বল খেলে ৪ রান করেছেন। কিন্তু সত্যিকারের ধাক্কা হয়ে আসে ইমরুলের উইকেটটি। নাথান লায়নের বলে বারবার পরাস্ত হচ্ছিলেন। অফস্টাম্পের ওপর দুর্বলতাটা বোঝা যাচ্ছিল। ইমরুলের সেই দুর্বল জায়গায় একের পর এক বল করে ফল পেলেন অস্ট্রেলীয় অফস্পিনার। ১৮ বল খেলে ২ রান করে ফিরেছেন ইমরুল। স্লিপে তাঁর ক্যাচটি নিয়েছেন ডেভিড ওয়ার্নার।
দিনের প্রথম বলেই ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট দিয়ে প্যাট কামিন্সকে সীমানাছাড়া করেছিলেন তামিম ইকবাল। চতুর্থ বলে আবার স্লিপ ও গালির ফাঁক গলে বাউন্ডারি। দিনের শুরুটা একেবারে মনের মতোই হয়েছিল বাংলাদেশের।
কামিন্সের বলে তামিমের বিরুদ্ধে একটি এলবিডব্লুর জোরালো আবেদন হয়েছিল। মাঠের আম্পায়ার আলিম দার তাতে ‘না’ বলে দেওয়ায় অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ রিভিউও নিয়েছিলেন, কিন্তু টিভি আম্পায়ার ইয়ান গোল্ড নিশ্চিত করেছেন, আলিম দারের সিদ্ধান্ত ঠিকই ছিল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রহস্যময় ‘ভুতুড়ে কণার’ কীর্তি আবিষ্কার!

সম্প্রতি মিলে গেল ৪৩ বছর আগের এক বিজ্ঞানীর পূর্বাভাস। এই ব্রহ্মাণ্ডের একটি ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কণা।
যার নাম- নিউট্রিনো। যার আরও একটি নাম রয়েছে। ভুতুড়ে কণা। নিউট্রিনো বা ভুতুড়ে কণাদের বিচিত্র কেরামতি দেখে তো বিস্ময়ে হতবাক হয়ে গিয়েছেন বিজ্ঞানীরা! টগবগ করে ফুটতে শুরু করে দিয়েছেন উৎসাহে। তাঁদের আশা, মশার হাতি নাড়ানোর পথ ধরে এক দিন পৌঁছে যাওয়া যাবে বিগ ব্যাং বা সেই মহা বিস্ফোরণের ঠিক পরের সময়ে। সেই বিস্ফোরণের ঠিক পরের ৪ লক্ষ বছরে কী কী ঘটেছিল, তা তো এখনও রয়েছে পুরোপুরি অন্ধকারে।

সেই অজানা কাহিনী কেন জানতে পারিনি?
অতীত বা ভবিষ্যৎ সম্পর্কে আমরা যা কিছু জানতে পারি, জানতে পেরেছি এত দিন, সে সবই ওই আলোর সূত্র ধরে। আলোর কণা ‘ফোটন’-এর হাত ধরে, তারই দেখানো পথে। ফোটনই তো এই ব্রহ্মাণ্ডকে চেনা, জানার এক ও একমাত্র ‘হাতিয়ার’ হয়েছে এত দিন। হয়ে চলেছে। ব্রহ্মাণ্ডের ‘ওয়ান অ্যান্ড ওনলি টর্চ বেয়ারার’। বিগ ব্যাং-এর পরপরই জন্ম হয়েছিল আলোর কণা ফোটনের। কিন্তু সেই ফোটনগুলি তখন নিজেদের মধ্যে ঘুষোঘুষি, খুনসুটি (স্ক্যাটারিং) করতেই ব্যস্ত ছিল। বিগ ব্যাং-এর পরের ৪ লক্ষ বছর পর্যন্ত নিজেদের মধ্যে সেই ঘুষোঘুষি, খুনসুটিতে মেতে থাকার ফলে ফোটনগুলি বাইরে বেরিয়ে আসতে পারেনি। ছড়িয়ে, ছিটিয়ে পড়তে পারেনি। ফলে, সেই ফোটনগুলি আমাদের সামনে টর্চের আলো ফেলতে পারেনি। তাই বিগ ব্যাং-এর পরের ৪ লক্ষ বছরে ঠিক কী কী ঘটনা ঘটেছিল, তা আমরা আজও জানতে পারিনি।

আর যারা সেই অজানা ঘটনাবলী জানাতে পারতো, তারা এই ভুতুড়ে কণা বা নি‌উট্রিনো। কারণ, তারাও ফোটনের সঙ্গেই জন্মেছিল বিগ ব্যাং বা সেই মহা বিস্ফোরণের পরপরই। ফোটনরা বেরিয়ে আসতে না পারলেও, বোধহয় প্রায় ‘অশরীরী’ বলেই ভুতুড়ে কণারা কিন্তু বেরিয়ে আসতে পেরেছিল বিগ ব্যাং-এর পরেই। হু হু করে চার পাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়তে শুরু করেছিল। ছুটতে শুরু করেছিল উদ্দাম গতিতে। প্রায় আলোর কণা ফোটনের গতিবেগেই। এই ব্রহ্মাণ্ডে চলার পথে কোনও কণা, কোনও মহাজাগতিক বস্তুই বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি নিউট্রিনোদের।
তবে তারা যে আবার প্রায় ‘অশরীরী’! তাই ভুতুড়ে কণাদের ওপরেও এত দিন সেই অন্ধকার সুড়ঙ্গের গোপন রহস্যের জাল কাটার ব্যাপারে ততটা ভরসা করা যাচ্ছিল না।
বিজ্ঞানীদের ধারণা, এ বার ভুতুড়ে কণাদের এই বিচিত্র কেরামতি সেই অন্ধকার সুড়ঙ্গের গোপন রহস্যের জাল কেটে দিতে পারে এক দিন। জানা যেতে পারে সেই মহা বিস্ফোরণের পর কী কী ঘটনা ঘটেছিল। কারা কারা জন্মেছিল। জন্মানোর পর তারা কী করছিল। জানা যেতে পারে সেই মহা বিস্ফোরণের পিছনে কার হাত ছিল। কার ‘ইচ্ছা’য় ঘটেছিল ওই প্রলয়ঙ্কর বিস্ফোরণ। সেই বিস্ফোরণ ঠিক কী ভাবে বীজ পুঁতেছিল এই ব্রহ্মাণ্ডের সৃষ্টির উন্মাদনার।

তাই একটা হালকা, পলকা ভুতুড়ে কণা (খুব বেশি হলে, ইলেকট্রনের ভরের ৫ লক্ষ ভাগের মাত্র ১ ভাগ) শেষমেশ আস্ত একটা হাতিকে নাড়িয়ে দেওয়ার এই যে কেরামতি দেখাল, তা আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানের ইতিহাসে হয়ে গেল একটি যুগান্তকারী ঘটনা। গত সাড়ে ৪ দশক ধরে যে ঘটনা চাক্ষুষ করার জন্য হাপিত্যেশ অপেক্ষায় ছিলেন বিশ্বের তাবৎ বিজ্ঞানীরা।
কোনও গল্পকথা নয়। নয় কোনও কল্পকাহিনীও। প্রায় অশরীরী ভুতুড়ে কণার এই কেরামতির কথা হালে প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান-জার্নাল ‘সায়েন্স’-এ। গত ৩ অগস্ট সংখ্যায়। একটি আন্তর্জাতিক গবেষকদলের ওই গবেষণাপত্রটির শিরোনাম- ‘অবজারভেশন অফ কোহেরেন্ট ইল্যাস্টিক নিউট্রিনো-নিউক্লিয়াস স্ক্যাটারিং’। মূল গবেষক মস্কোর ন্যাশনাল রিসার্চ সেন্টারের ইনস্টিটিউট ফর থিয়োরেটিক্যাল অ্যান্ড এক্সপেরিমেন্টাল ফিজিক্সের অধ্যাপক দিমিত্রি আকিমভ। গবেষকদের অন্যতম বিশিষ্ট কণাপদার্থবিজ্ঞানী জে আই কোলার শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের এনরিকো ফের্মি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক।
ভুতুড়ে কণাদের এই বিচিত্র কেরামতি চাক্ষুষ করতে গবেষকরা বানিয়ে ফেলেছেন বিশ্বের ক্ষুদ্রতম নিউট্রিনো সন্ধানী যন্ত্র বা নিউট্রিনো ডিটেক্টর। যার ওজন সাকুল্যে সাড়ে ১৪ কিলোগ্রাম বা ৩২ পাউন্ড। যা লম্বায় ৪ ইঞ্চি। চওড়ায় ১৩ ইঞ্চি।
ভুতুড়ে কণাদের চলার পথে কেউ বাধা হতে পারে না কেন?
ভারতে নিউট্রিনো গবেষণার পথিকৃৎ বিজ্ঞানী, কলকাতার সাহা ইনস্টিটিউট অফ নিউক্লিয়ার ফিজিক্সের (এসআইএনপি) রাজা রামান্না ডিসটিঙ্গুইজ্‌ড ফেলো অধ্যাপক নবকুমার মণ্ডলের কথায়, ‘‘সে কাউকেই পরোয়া করে না বলে। কারও সঙ্গে মেলামেশা করতে চায় না বলে। কথা বলতে চায় না বলে। মোদ্দা কথায়, এই ব্রহ্মাণ্ডে যেন কারও সঙ্গেই ইন্টারঅ্যাকশনের বিন্দুমাত্র ইচ্ছা নেই ভুতুড়ে কণাদের।

স্ট্রং ফোর্স বা শক্তিশালী বল তো দূরের কথা, তড়িৎ-চৌম্বকীয় বল বা ইলেক্ট্রো-ম্যাগনেটিক ফোর্সের সঙ্গেও কখনও কোনও বনিবনা হয় না এই ভুতুড়ে কণাদের। তাদের বনিবনা হয় শুধুই খুব দুর্বল মহাকর্ষীয় হল বা গ্র্যাভিটেশনাল ফোর্স আর অত্যন্ত অল্প পাল্লার উইক ফোর্স (যে বলে বাঁধা থাকে বলেই তেজস্ক্রিয় পদার্থের পরমাণু ভেঙে যায়) বা দুর্বল বলের সঙ্গে।
মুম্বইয়ের টাটা ইনস্টিটিউট অফ ফান্ডামেন্টাল রিসার্চের (টিআইএফআর) অধ্যাপক অমল দিঘের কথায়, ‘‘কোনও কণা বা মহাজাগতিক বস্তুর সঙ্গে ইন্টারঅ্যাকশন করাটা তাদের স্বভাবে নেই বলে এই ভুতুড়ে কণারা সব কিছুর মধ্যে দিয়েই অনায়াসে গলে যায়। তাদের ফুঁড়ে বেরিয়ে যায়। তাই এদের হদিশ পেতে বহু ঘাম ঝরাতে হয়েছে বিজ্ঞানীদের। ’’
ভুতুড়ে কণারা আমাদের শরীর ফুঁড়ে বেরিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু কেউই টের পাচ্ছি না! কেন?
নবকুমারবাবুর বক্তব্য, এরা এতটাই ভুতুড়ে যে, প্রতি মুহূর্তে আমাদের শরীরের ১ বর্গ সেন্টিমিটারে এসে ঢুকছে ১ লক্ষ কোটি নিউট্রিনো। শরীর ফুঁড়ে সেগুলি বেরিয়েও যাচ্ছে। আমরা টেরও পাচ্ছি না। এই ব্রহ্মাণ্ডের সর্বত্রই প্রতি ১ ঘন সেন্টিমিটারে থাকে ৪৩০টি ফোটন। আর নিউট্রিনো কণা থাকে ৩১০টি। নিউট্রিনোরা আদতে ইলেকট্রনের মতোই মৌল কণা। তাদের আর ভাঙা যায় না। তবে ইলেকট্রনের যেমন আধান (চার্জ) রয়েছে, এদের তা নেই। নিউট্রিনোরা একেবারে শ্রীনিরপেক্ষ! ’৬০-এর দশকের শেষাশেষি প্রথম জানা যায়, এরা তিন ধরনের হয়। মানে, তাদের তিন ধরনের ‘ফ্লেভার’ থাকে। ইলেকট্রন নিউট্রিনো, মিউওন নিউট্রিনো আর টাওন নিউট্রিনো। এও জানা গিয়েছে, ব্রহ্মাণ্ডে নিজেদের যাত্রাপথে এরা ‘বহুরূপী’ হয়। এক রূপ থেকে ঘন ঘন বদলে যায় অন্য রূপে। ইলেকট্রন নিউট্রিনো বদলে যায় মিউওন নিউট্রিনো বা টাওন নিউট্রিনোয়। আর ’৯৮ সালে প্রথম জানা যায়, এদের ভরও রয়েছে খুব সামান্যই। তবে তা কত, এখনও ঠিকঠাক ভাবে তা জানা সম্ভব হয়নি। সুজয় চক্রবর্তী, আনন্দবাজার পত্রিকা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরা সীমান্তে ৩টি পিস্তলসহ ভারতীয় নাগরিক আটক

আসাদুজ্জামান : সাতক্ষীরার কুশখালি সীমান্ত থেকে তিনটি পিস্তলসহ এক ভারতীয় নাগরিককে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি।
আজ মঙ্গলবার সকালে সীমান্তের ছয়ঘরিয়া এলাকায় বিজিবির কুশখালি বিওপির টহল দল তাকে আটক করে। পরে তার দেহ তল্লাশি করে তিনটি ভারতীয় পিস্তল জব্দ করা হয়। আটক ভারতীয় নাগরিকের নাম গোপাল বিশ্বাস (৩৫)। তিনি ভারতের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাট মহকুমার স্বরুপনগর থানার খলসি গ্রামের কৃষ্ণ বিশ্বাসের ছেলে।
বিজিবির কুশখালি বিওপির সুবেদার নাসির জানান, মেইন পিলার ১০ এর সাব পিলার ২ এর কাছে সীমান্তের ছয়ঘরিয়া এলাকা থেকে তার নেতৃত্বে বিজিবির একটি টহল দল তাকে আটক করেন। আটক ভারতীয় নাগরিক সোনাই নদী সংলগ্ন একটি বাওড়ের মধ্য ধেকে সাঁতার দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। পরে তার দেহ তল্লাশী করে এ সময় তিনটি পিস্তল ও পাঁচ বোতল মদ উদ্ধার করা হয় বলে তিনি আরো জানান।
বিজিবির ৩৮ ব্যাটালিয়ন এর উপ-অধিনায়ক মেজর আমিন এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত কওে জানান, তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তিনি আরো জানান, তার কাছে তিনটি পিস্তল পাওয়া গেলেও সাথে কোনো গুলি ছিল না বলে জানান তিনি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দুর্নীতি মামলা; রানা প্লাজার মালিকের ৩ বছরের কারাদণ্ড

রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানার বিরুদ্ধে দুদকের দায়ের করা দুর্নীতি মামলায় ৩ বছরের কারাদণ্ড এবং একই সাথে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) ঢাকার ৬ নং বিশেষ জজ আদালতের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েস দুপুর ২টায় এ রায় ঘোষণা করেন।

গত ২২ আগস্ট রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করেন আদালত। এটা রানার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার প্রথম রায় হবে।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২২ মে রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানা, তার স্ত্রী এবং তার ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিদের স্বনামে/বেনামে অর্জিত যাবতীয় স্থাবর/অস্থাবর সম্পত্তির দায়দেনা ও আয়ের যাবতীয় সম্পদের বিবরণীয় দাখিলের নোটিশ জারি করে দুদক। নোটিশ জারির আগে থেকে রানা কাশিমপুর কারাগারে থাকায় তার নামীয় নোটিশ জারি হয়নি। পরে দুদক কারাগারে নোটিশ জারির সিদ্ধান্ত হয়।

২০১৫ সালের ২৬ এপ্রিল সোহেল রানা সম্পদের হিসাব বিবরণী ফরমে কোনো তথ্য না দিয়ে তা খালি পাঠান। এ ঘটনায় ২০ মে দুদকের উপ-পরিচালক মাহবুবুল আলম রমনা থানায় রানাকে আসামি করে একটি মামলা করেন। ২০১৬ সালের ১ জুন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মাহবুবুল আলম রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬ (২) ধারায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
জাপানের উপর দিয়ে শক্তিশালী মিসাইল ছুঁড়ল উত্তর কোরিয়া

তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধ লাগিয়েই কি তবে শান্ত হবেন উত্তর কোরিয়ার স্বৈরাচারী শাসক প্রেসিডেন্ট কিম জং উন। জাপানের উপর দিয়ে উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ আবার তুলে দিল সেই প্রশ্ন।

দক্ষিণ কোরিয়ার মিলিটারি সূত্রের খবর, স্থানীয় সময় সকাল ৫টা ৫৭ মিনিট নাগাদ জাপানের উপর দিয়ে একটি শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে উত্তর কোরিয়া। যা জাপান অতিক্রম করে চলে গেছে।

দক্ষিণ কোরিয় প্রশাসনের J-Alert warning system ধরা পড়েছে উত্তর কোরিয়ার মিসাইলটি। যদিও জাপানের কোন ক্ষতি হয়নি। জাপানের সময় সকাল ৬টা ০৬ টা নাগাদ এটি জাপান অতিক্রম করে বলে সংবাদ সংস্থা সূত্রের খবর।

দেখতে গেলে পুরো বছর ধরে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে গিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার একনায়ক কিম জং উন। জাতিসংঘ, আমেরিকাসহ বিশ্বের একাধিক দেশের বিরোধিতা সত্ত্বেও কোন গ্রাহ্য করেনি তারা। এমনকি আমেরিকাতে পারমাণবিক হামলারও হুমকি শোনা গিয়েছে কিমের মুখে।

একদিকে উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম, অন্যদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। উত্তর কোরিয়াকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি।

সমগ্র বিশ্বে তৈরি হয়েছে এক অস্বস্তির পরিবেশ। উত্তেজনার পারদ চড়ছে সব দেশের মধ্যে। এমত অবস্থায় সকলকে অগ্রাহ্য করে উত্তর কোরিয়ার আবারও এক ক্ষেপণাস্ত্র মিসাইল প্রয়োগ যে ভালো ভাবে নেবে না জাপান ও আমেরিকা তা কিন্তু বলাই যায়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রাম রহিমের ‘আশ্রম’ বন্ধ, কর্মহীন দুই হাজার শ্রমিক

ডেরা বন্ধ হওয়ায় কাজ হারালেন বিহারের প্রায় দু’হাজার মানুষ। ডেরা সচ্চা সৌদার সিরসা ও হিসার-সহ বেশ কয়েকটি আশ্রম বন্ধ।
প্রশাসন ডেরার বাসিন্দাদের বের করে দিচ্ছেন আশ্রম থেকে। এর ফলে ভারতের ভাগলপুরের নাথনগর থানা এলাকার গোঁসাইদাসপুর ও সংলগ্ন গ্রামগুলির বাসিন্দা, ওই সব কর্মীরা এখন ঘরে ফিরে আসছেন। বাড়ির পথে কেউ রয়েছেন ট্রেনে, কেউ দিল্লি স্টেশনে, কেউ বা এখনও আশায় আশায় রয়ে গিয়েছেন সিরসাতেই। সকলের পরিবারই চিন্তিত। তাঁরা নিয়মিত ফোনে যোগাযোগ করছেন কর্মহারা স্বজনদের সঙ্গে।

ভারতের গোঁসাইদাসপুরের বাসিন্দা মলয় পাশোয়ান কাজের খোঁজে প্রায় ১৮ বছর আগে দিল্লি যান। সেখানে তেমন কোন কাজ না পেয়ে এক সঙ্গীর সঙ্গে হরিয়ানার সিরসায় পৌঁছন। সেখানে দিনমজুর হিসেবে কাজ করতে করতেই ডেরার সদস্যদের সংস্পর্শে আসেন। কাজ জুটিয়ে নেন সিরসার আশ্রমে। থাকা ও খাওয়ার পাশপাশি মাসিক ৮ হাজার টাকা বেতন। ছ’মাসে এক বার গ্রামেও আসতেন মলয়। এর পরে কার্যত মলয়ের হাত ধরেই হরিয়ানার সিরসা এবং হিসারের আশ্রমে গোঁসাইদাসপুরের লোকেরা পৌঁছতে শুরু করেন কাজের খোঁজে। বিশাল আশ্রমে কাজও জুটে যায়। চাষ-আবাদ, গো-পালন ইত্যাদি নানা কাজের দায়িত্বে গত বেশ কয়েক বছর ধরে বহাল তাঁরা। প্রায় দশ হাজার জনবসতির গোঁসাইদাসপুর ও আশপাশের হাজার দু’য়েক লোক কাজ করেন ডেরার বিভিন্ন আশ্রমে। সূত্র: আনন্দবাজার।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরার সাবেক জেলা শিক্ষা অফিসার ছারিয়া খাতুনের মৃত্যু

কাজী জামালউদ্দীন মামুন : সাতক্ষীরার সাবেক জেলা শিক্ষা অফিসার মিসেস ছারিয়া খানম(৭০) আজ দুপুর ১:৩০টায় ঢাকাস্থ নিজ বাসভবনে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহে……..রাজেউন)। তার লাশ আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকা থেকে নিজ জেলা সাতক্ষীরায় আনা হবে।

বিস্তারিত আসছে………

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest