সর্বশেষ সংবাদ-
নাসিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর বিলুপ্তির প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় বিক্ষোভদৈনিক আমাদের মাতৃভূমি পত্রিকার ৯ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে সাতক্ষীরায় আলোচনা সভা  দেবহাটায় জাতীয় প্রাণি সম্পদ সপ্তাহ ও প্রাণি সম্পদ প্রদর্শনীর উদ্বোধনসাতক্ষীরায় জাতীয় দৈনিক রুপালী বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনসাতক্ষীরার মিঠু খানের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করল বিএনপিকালিগঞ্জে পুকুরের পানিতে দুই শিশুর মৃত্যুদেবহাটায় ৪০ জন উপকার ভোগীর মাঝে ছাগল বিতরণদেবহাটার সরকারি কর্মকর্তা-সুধীজনদের সাথে ডিসির মতবিনিময়সাতক্ষীরার ১৮৫টি ভোটকেন্দ্রের স্কুল সংস্কারে বরাদ্দ প্রায় ৬৪ লাখ টাকাসাতক্ষীরা জেলা রোভারের ৪১ তম কোর্স ফর রোভারমেট এর মহাতাঁবু জলসা

সাতক্ষীরায় মৎস্য ঘেরে মাচা পদ্ধতিতে সবজি চাষে বিপ্লব

আসাদুজ্জামান : সাতক্ষীরায় মৎস্য ঘেরে মাচা পদ্ধতিতে সবজি চাষ করে বিপ্লব ঘটেছে। এ পদ্ধতিতে লাউ, কুমড়া ও করোলার (উচ্ছে) বাম্পার ফলনে সম্ভাবনার নবদিগন্ত দেখা দিয়েছে। এতে একই জমির বহু ব্যবহারে কৃষকের আয় যেমন কয়েক গুণ বাড়ছে, তেমনি দেশে সবজির চাহিদা মেটাতেও রাখছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।
সাতক্ষীরা-খুলনা মহাসড়ক সংলগ্ন তালা উপজেলার নগরঘাটা ইউনিয়নের মিঠাবাড়ি বিলে গিয়ে দেখা গেছে, শত শত বিঘা জমির মৎস্য ঘেরে মাচা পদ্ধতিতে লাউ, কুমড়া ও করলার চাষাবাদ করা হয়েছে। মাচায় ঝুলছে হাজার হাজার করলা, শত শত লাউ ও কুমড়া। একই সাথে ঘেরের বেড়িতে লাগানো হয়েছে পুঁইশাক ও ঢেড়স।
তালা উপজেলার মিঠাবাড়ির কৃষক মমিনুর রহমান জানান, তিনি তার ছয় বিঘা জমির ঘেরে মাচা পদ্ধতিতে লাউ, কুমড়া ও করলার চাষাবাদ করেছেন। মাঘ মাস পর্যন্ত এভাবেই মাছের পাশাপাশি সবজি উৎপাদন চলবে। তারপর পানি শুকিয়ে গেলে রোপন করা হবে ধান।

তিনি বলেন, তার ছয় বিঘা ঘেরে নেট, বাশ ও কট সুতা দিয়ে মাচা তৈরিতে আট হাজার টাকা খরচ হয়েছে। কিন্তু বাম্পার ফলনে ইতোমধ্যে লাখ টাকা ছাড়িয়েছে আয়। আরও হবে।
১০ বছর যাবৎ মাচা পদ্ধতিতে ফসল উৎপাদনকারী মমিনুর রহমান আরও বলেন, মাচা তৈরির খরচ প্রতিবছর হয় না। দুই-তিন বছর পরপর মাচা তৈরি করতে হয়। এতে লাভের পরিমান বাড়ে। শুধু মমিনুর রহমানের ঘের নয়, পার্শ্ববর্তী কৃষক বাক্কার সরদার, আজিবার মোড়ল, জাহিদ হোসেনের ঘেরসহ যতদূর চোখ যায় শুধু সবুজ আর সবুজ। প্র্রত্যেকের ঘেরের মাচায় ঝুলছে করলা, লাউ ও কুমড়া। এ যেন সম্ভাবনার নব দিগন্ত।

তবে, শুধু তালা উপজেলা নয়, জেলার কালিগঞ্জ, কলারোয়া, দেবহাটা ও সাতক্ষীরা সদর উপজেলায়ও ঘেরে মাচা পদ্ধতিতে চাষাবাদ কৃষিতে বিপ্লব সৃষ্টি করেছে।
এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কাজী আব্দুল মান্নান জানান, সাতক্ষীরায় যে পরিমাণ সবজি উৎপাদন হয়ে থাকে তার ৩০ শতাংশ উৎপাদিত হয় মৎস্য ঘেরের আইলে অথবা মৎস্য ঘেরে মাচা পদ্ধতিতে। যা জেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের অন্যান্য জেলায় সরবরাহ করা হয়। এছাড়া মাচা পদ্ধতিতে সবজি চাষ লাভজনক হওয়ায় জেলার এই পদ্ধতিতে চাষাবাদ দিন দিন বাড়ছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় শ্রমিকলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে ঐক্য চাইলেন সকল নেতা

মাহফিজুল ইসলাম আককাজ : সাতক্ষীরায় র‌্যালি, আলোচনা সভা ও কেক কাটার মধ্য দিয়ে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনায় জাতীয় শ্রমিকলীগের ৪৮তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পলিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে সাতক্ষীরা মোজাহার আলী পেট্রোল পাম্প সংলগ্ন নাহার মটরের সামনে জাতীয় শ্রমিকলীগের সভাপতি ছাইফুল করিম সাবুর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা-০২ আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। এ সময় তিনি বলেন, ১৯৬৯ সালের ১২-ই অক্টোবর জাতির জনক বঙ্গ বন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় শ্রমিকলীগ প্রতিষ্ঠিত করেন। জাতীয় শ্রমিকলীগ বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের একটি শক্তিশালী সংগঠন। দেশের বিরুদ্ধে সকল ষড়যন্ত্র রুখতে শক্তিশালী ভূমিকা রাখতে পারে এ সংগঠন। দেশ ও জাতির সামগ্রীক উন্নয়নের স্বর্থে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আগামী প্রজন্মকে দেশের সামগ্রীক উন্নয়নে কাজে লাগাতে হবে। আজ জাতীয় শ্রমিকলীগের ৪৮তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে সকল নেতাই ঐক্য চাই। এর মূল লক্ষ্যই জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করা। সেজন্য সকল ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে আওয়ামীলীগকে শক্তিশালী করতে হবে।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা এম.এ খালেক। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ফিরোজ কামাল শুভ্র, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো আসাদুজ্জামান বাবু, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এস.এম শওকত হোসেন, জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশিদ, জেলা যুবলীগের আহবায়ক মো. আব্দুল মান্নান, জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামীলীগের সদস্য পৌর কাউন্সিলর জ্যোৎন্সা আরা প্রমুখ। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইটাগাছা ট্রাক ও ট্রাংলরী শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শেখ শাহাঙ্গীর হোসেন সাহিন, তালা উপজেলা শ্রমিকলীগের আহবায়ক আব্দুর জব্বার, কলারোয়া উপজেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি আব্দুর রহিম, আশাশুনি উপজেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি শামছুল আলম ঢালী, শ্যামনগর উপজেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি লিয়াকত আলী, দেবহাটা উপজেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি আবু তাহের, কালিগজ্ঞ উপজেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি শাহাজালাল, মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুর রহমান প্রমুখ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন পৌর শ্রমিকলীগের সভাপতি মো. জোহর আলী, সাধারণ সম্পাদক মো. রমজান আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তানভীর হোসাইন সুজন, সাধারণ সম্পাদক এহছান হাবীব অয়ন, এপিপি এড. তামিম আহম্মেদ সোহাগ, ওজোপাডিকো বিদ্যুৎ শ্রমিকলীগের সভাপতি বিকাশ চন্দ্র দাস, পৌর যুবলীগের সভাপতি মনোয়ার হোসেন অনু, সাধারণ সম্পাদক তুহিনুর রহমান তুহিন, নারকেলতলা ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের আব্দুল কাদের কাদু, জেলা অটো রিকসা অটো টেম্পু মালিক সমিতির সভাপতি মো. মাসুম বিল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক মো. গাউস আলী সরদার, বাংলাদেশ স্থল বন্দর শ্রমিক ফেডারেশন ভোমরা শাখার সাধারণ সম্পাদক আজিবুর রহমান আলিম, শেখ নুরুল্লাহ, ইদ্রিস আলী, বাবুল হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান, মিলন হোসেনসহ জেলার বিভিন্ন ট্রেড ও বেসিক ইউনিয়নের শ্রমিক নেতৃবৃন্দ। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলা শ্রমিকলীগের সিনিয়র যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল্লাহ সরদার।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কৃষি ও কৃষকের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা- এমপি রবি

মাহফিজুল ইসলাম আককাজ : ‘কৃষিই সমৃদ্ধি’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সাতক্ষীরায় ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে সরিষা, ভুট্টা, গ্রীষ্মকালীন তিল ও মুগ এবং বিটি বেগুনের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রণোদনা কর্মসুচীর উদ্বোধন করা হয়েছে। সদর উপজেলার ক্ষুদ্র-প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ, রাসায়নিক সার বিতরণ করা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে সদর উপজেলা মিলনায়তনে সদর উপজেলা কৃষি অফিসের বাস্তবায়নে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সাতক্ষীরা খামার বাড়ির উপ-পরিচালক কৃষিবিদ কাজী আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে কৃষকদের মাঝে এ কৃষি উপকরণ বিতরণ করেন সাতক্ষীরা-০২ আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। এ সময় তিনি বলেন, বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ। কৃষির উন্নয়নে জননেত্রী শেখ হাসিনা কৃষকদের কল্যাণে মনে প্রাণে কাজ করছেন। কৃষকদের দোর গোড়ায় পৌছে দেওয়ার জন্য পৌরসভা ও ইউনিয়ন ওয়ারী ক্ষুদ্র-প্রান্তিক কৃষকদের বিভাজন ও বিতরণের কর্মসূচি দেশ ব্যাপী হাতে নিয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় বিনামূল্যে সার বীজ বিতরণ।’
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা কৃষি অফিসার মো. আমজাদ হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সদর সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাদিয়া আফরিন, জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশিদ, সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কোহিনুর ইসলাম প্রমুখ। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগ নেতা অতিরিক্ত পিপি এড. আব্দুল লতিফ, জেলা কৃষকলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি সদস্য এস.এম রেজাউল ইসলাম, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা কিরন্ময় সরকার, সীমন্ত কুমার দাশ ও রঘুজিৎ গুহ প্রমুখ। এ সময় সদর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার ১ হাজার ৮৫ জনকে ২০ কেজি করে সরিষা বীজ, ১০ কেজি এমওপি সার ও ২০ কেজি ডিএমপি সার, ১২ জন কৃষককে ২ কেজি করে বিটি বেগুন বীজ, ১৫ কেজি ডিএমপি সার ও ১৫ কেজি এমওপি সার, ১ শ’ ৯০ জন কৃষককে ২ কেজি করে ভুট্রা বীজ, ২০ কেজি ডিএমপি সার ও ১০ কেজি করে এমওপি সার, ২শ’ ৫৫ জন কৃষককে গ্রীষ্মকালীন তিল বীজ ১ কেজি করে, ২০ কেজি ডিএমপি সার ও ১০ কেজি এমওপি সার, ২শ’ ১০ জন কৃষককে ৫ কেজি করে গ্রীষ্মকালীন মুগ, ১০ কেজি ডিএমপি সার ও ১০ কেজি করে এমওপি সার দেওয়া হয়। সদর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার মোট ১ হাজার ৭শ’৫২ জন কৃষককে এ সুবিধা দেওয়া হয়েছে। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা অমল ব্যানার্জী। অপর দিকে একই সময়ে ‘ইঁদুর দমন সফল করি মাঠের ফসল গোলায় ভরি’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বৃহস্পতিবার সকালে সদর উপজেলা মিলনায়তনে সদর উপজেলা কৃষি অফিসের বাস্তবায়নে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সাতক্ষীরা খামার বাড়ির উপ-পরিচালক কৃষিবিদ কাজী আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে জাতীয় ইঁদুর নিধন অভিযান ২০১৭ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
প্রধান বিচারপতি কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত আবদুল ওয়াহহাব মিঞা

সরকারের জারি করা নতুন প্রজ্ঞাপন মতে, প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা বর্ধিত ছুটি অনুযায়ী আগামী ২ নভেম্বর থেকে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত দেশে থাকবেন না। এ সময়ে অথবা পুনরায় স্বীয় কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞাকে বাংলাদেশের মাননীয় প্রধান বিচারপতির কার্যভার পালনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার বিদেশ যাওয়া সংক্রান্ত সরকারি আদেশ (জিও)বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) সকাল ১১টার দিকে আইনমন্ত্রণালয় থেকে জারি করা হয়। প্রজ্ঞাপনে বলা আছে, ‘গণপ্রজাততন্ত্রী বাংলাদেশের মাননীয় রাষ্ট্রপতি সংবিধানের ৯৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বাংলাদেশের মাননীয় প্রধান বিচারপতি জনাব সুরেন্দ্র কুমার সিনহা- এর বর্ধিত ছুটিতে বিদেশে অবস্থানকালীন সময়ে আগামী ২ নভেম্বর ২০১৭ তারিখ হতে ১০ নভেম্বর ২০১৭ খ্রি. তারিখ পর্যন্ত, অথবা মহোদয় পুনরায় স্বীয় কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, আপিল বিভাগের কর্মে প্রবীণতম বিচারক মাননীয় বিচারপতি জনাব মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞাকে বাংলাদেশের মাননীয় প্রধান বিচারপতির কার্যভার পালনের দায়িত্ব প্রদান করেছেন।’ প্রসঙ্গত, বুধবার রাতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং দুপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার বিষয়ে জিও (গভর্নমেন্ট অর্ডার) জারির ফাইলে সই করেন। উল্লেখ্য, ২৫ দিনের অবকাশ শেষে ৩ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্ট খোলার দিনই অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে ১ নভেম্বর পর্যন্ত এক মাসের ছুটি চেয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে চিঠি দেন সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। এরপর মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) তিনি আইন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতিকে তার বিদেশ ভ্রমণের বিষয়টি চিঠি দিয়ে অবহিত করেন। ওই চিঠিতে আগামী ১৩ অক্টোবর থেকে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত প্রধান বিচারপতি অস্ট্রেলিয়ায় থাকতে চান বলে উল্লেখ রয়েছে। এরআগে তিনি সস্ত্রীক অস্ট্রেলিয়ায় যেতে পাঁচ বছরের ভিসার জন্য দূতাবাসে আবেদন করেন। তাদের তিন বছরের ভিসা দেয় অস্ট্রেলিয়া দূতাবাস।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের নয়, তাদের বাংলাদেশ থেকে আনা হয়েছে: মিয়ানমার সেনাপ্রধান

রোহিঙ্গাদের আবারও বাঙালি আখ্যা দিয়ে মিয়ানমারের সেনাপ্রধান বলেছেন, উপনিবেশের কালে ব্রিটিশ শাসকরা তাদের প্রতিবেশী বাংলাদেশ থেকে তাদের নিয়ে এসেছে। মার্কিন রাষ্ট্রদূত স্কট মার্সেলের সঙ্গে এক বৈঠকে এই মন্তব্য করেন তিনি। বৃহস্পতিবার তার ফেসবুক পেজে এমনটা জানানো হয়েছে। ডি-ফ্যাক্টো সরকার শাসিত মিয়ানমারে সেনাপ্রধান মিন অংকেই সবচেয়ে ক্ষমতাবান ব্যক্তি বিবেচনা করা হয়ে থাকে।

সাম্প্রতিক সহিংসতার শিকার হয়ে পাঁচ লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় তাকে খুব একটা বিচলিত হতে দেখা যায়নি। রোহিঙ্গাদের ‘বাঙালি’ বলে অভিহিত করে তাদের দুর্ভাগ্যের জন্য তিনি ব্রিটিশদের দায়ী করেন। বলেন, ‘বাঙালিদেরকে ব্রিটিশরাই মিয়ানমার নিয়ে আসে। তারা আমাদের দেশি নয়। এমনকি তারা রোহিঙ্গাও নয়। তারা শুধুই বাঙালি।’

জাতিসংঘের মানবাধিকার দফতর থেকে জানানো হয়, মিয়ানমারের সরকারি বাহিনী রোহিঙ্গাদের উপর নিধনযজ্ঞ চালিয়েছে। তাদের বাড়ি ও ফসল পুড়িয়ে দিয়েছে। ২৫ আগস্ট হামলার পর চালানো সরকারি বাহিনীর নিধনযজ্ঞে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছেন প্রায় পাঁচ লাখ রোহিঙ্গা। বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ৬৫ জন মানুষের সঙ্গে জাতিসংঘ-কর্মীদের আলোচনার ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। মিয়ানমার ২৫ আগস্টে নিরাপত্তা চৌকিতে আরসার হামলাকে রোহিঙ্গাবিরোধী অভিযানের কারণ বললেও ওই প্রতিবেদনে দেখা গেছে এর আগে থেকেই সেখানে জাতিগত নিধনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে দেশটির ডি ফ্যাক্টো সরকারের রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চির। গত বছর নির্বাচনে জয়লাভ করে দায়িত্ব নিলেও আদতে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর হাতেই সব ক্ষমতা রয়েছে। মিন অং হ্লায়াং বলেন, ‘বাঙালিরা আরসার নেতৃত্বে হামলা চালিয়েছে। নিজেরা বাঁচতে পারবে না জেনেই তারা পালিয়ে যাচ্ছে।’

মানবাধিকার সংগঠনগুলোর দাবি, সৃষ্ট এই পরিস্থিতির জন্য মিন অং ব্যক্তিগতভাবে দায়ী। তিনি সবসময়ই চেয়েছেন রোহিঙ্গারা ফিরে যাক। মিন অং বলেন, বাঙালিরা বাংলায় ফিরে যাক। তারা হয়তো অন্য দেশেও পালিয়ে গেছে। সেখানেও হয়তো নাগরিকত্ব দাবি করেছে। তিনি দাবি করেন, বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়া রোহিঙ্গাদের সংখ্যা ‘অনেক বাড়িয়ে’ বলা হচ্ছে। আর এর পেছনে অনেক সংবাদমাধ্যম অপপ্রচার চালাচ্ছে।

১৮২৪ সাল থেকে ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত মিয়ানমার শাসন করে ব্রিটিশরা। অ্যাংলো-বার্মিজ যুদ্ধের পর ভারতে বার্মা নামে একটি প্রদেশ তৈরি করে ব্রিটিশরা। ভারত থেকেই সেখানে শাসনকার্য চালাতো তারা। ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি ব্রিটিশদের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে মিয়ানমার। ইতিহাসবিদরা মনে করেন, উপনিবেশের অনেক আগেই মুসলিমরা রাখাইন রাজ্যে বসবাস শুরু করে। ব্রিটিশ শাসনামলে এই সংখ্যাই শুধু বৃদ্ধি পেয়েছিলো।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
‘প্রধান বিচারপতিকে দেশত্যাগে বাধ্য করার হুমকি দেয়া হচ্ছে’-সংবাদ সম্মেলনে রানা দাশগুপ্ত

প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাকে দেশত্যাগে বাধ্য করার হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে দাবি করেছেন হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। তারা বলছেন, প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাকে নিয়ে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে দেশের আড়াই কোটি ধর্মীয়-জাতিগত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠি শঙ্কিত।

বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত। এতে আরো বলা হয়, প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার চরিত্রে কলঙ্কের কালিমা লেপনের অপপ্রয়াস চলেছে ও চলছে। এমনকি তাকে দেশত্যাগে বাধ্য করার হুমকি পর্যন্ত দেয়া হয়েছে।

রানা দাশগুপ্ত বলেন, বিগত ৭০ বছরে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ভুক্ত কেবল সুরেন্দ্র কুমার সিনহা তার মেধা, মনন ও যোগ্যতায় সাংবিধানিক অন্যতম প্রধান পদ অলঙ্কৃত করেছেন। সরকারি দল ও সরকারের একাংশের তীব্র বিরোধিতাকে অগ্রাহ্য করে প্রধানমন্ত্রী তাকে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। দুঃখজনক হলেও সত্য সুপ্রিম কোর্টের ৭ বিচারপতির সর্বসম্মত একটি রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে শুধু বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাকে টার্গেট করে সরকারি দল ও জোটের মহলবিশেষ থেকে ব্যক্তিগতভাবে তার বিরুদ্ধে শুধু একতরফা আক্রমণাত্মক, বিদ্রূপাত্মক বক্তব্য উত্থাপন করা হচ্ছে।

পরিষদের সভাপতি হিউবার্ট গোমেজের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন পরিষদের সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক ড. নিম চন্দ্র ভৌমিক, কাজল দেবনাথ, অ্যাডভোকেট সুব্রত দেবনাথ, জয়ন্ত সেন দীপু, জেএম ভৌমিক, মিলন কান্তি দত্ত, পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক রবীন্দ্র নাথু বসু, সঞ্জিব দ্রং। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ঐক ন্যাপের সভাপতি পঙ্কজ ভট্টাচার্য।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
প্রধান বিচারপতির বিদেশ সফরে অনাপত্তির প্রজ্ঞাপন জারি

প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহার বিদেশে যাওয়ার ব্যাপারে অনাপত্তি পত্র ও ছুটির প্রজ্ঞাপন জারি করেছে আইন, সংসদ ও বিচার বিষয়ক মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) সকালে এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এর আগে বুধবার (১১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছিলেন, প্রধান বিচারপতির করা বিদেশ যাওয়ার আবেদনপত্রে অনুমোদন দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

ছুটিতে থাকা প্রধান বিচারপতি বিদেশ যাওয়ার অনুমতি চেয়ে গত মঙ্গলবার যে আবেদনটি করেছেন, সেটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমোদনের পর রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের জন্য বঙ্গভবনে যায়। আগামী ১৩ অক্টোবর থেকে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশের বাইরে অবস্থানের অনুমতি চেয়ে গতকাল একটি চিঠি দেন প্রধান বিচারপতি।

২ অক্টোবর এক মাসের ছুটির আবেদন করেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। ছুটির কারণ হিসেবে তিনি ‘অসুস্থতা’র কথা উল্লেখ করেন। সেদিন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছিলেন, ‘দীর্ঘ এক মাস অবকাশ শেষে কোর্ট খোলার পর প্রথম দিন থেকেই তিনি ছুটিতে থাকবেন বলে জানিয়েছেন। তাঁর অবর্তমানে জ্যেষ্ঠ বিচারপতি আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা দায়িত্ব পালন করবেন।’ এর আগে গত ১০ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রধান বিচারপতি দেশের বাইরে ছুটিতে ছিলেন। ২৩ সেপ্টেম্বর তিনি দেশে ফেরেন।

প্রসঙ্গত, বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে ফিরিয়ে নিতে করা সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের পূর্ণাঙ্গ রায় গত ১ আগস্ট প্রকাশের পর থেকে মন্ত্রী-এমপিদের কঠোর সমালোচনার মুখে পড়েন প্রধান বিচারপতি। জাতীয় সংসদেও তাঁর সমালোচনা করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১১ বাংলাদেশি বহিষ্কার করলেন ট্রাম্প

স্বামী-স্ত্রী দম্পত্তিসহ ১১ বাংলাদেশিকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। ১১ অক্টোবর ভোর রাতে তাদেরকে বহিস্কার করা হয়। হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্টের বিশেষ বিমানে দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের অবৈধ ও অপরাধী শতাধিক অভিবাসীর সাথে এই ১১ জনকেও কড়া প্রহরায় ঢাকায় নামিয়ে দেয়া হবে বলে জানা গেছে।

হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্টে আইস তথা ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট’র মিডিয়া দফতর এ তথ্যের সত্যতা স্বীকার করে জানান, ‘এটি প্রচলিত কার্যক্রমেরই একটি অংশ। একদিকে অভিবাসনের আইন লংঘন, অপরদিকে নানাবিধ অপকর্মে লিপ্তদের যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কারের যে কার্যক্রম চলছে, তারই ধারাবাহিকতায় এদের গ্রেফতার করে নিজ নিজ দেশে পাঠিয়ে দেয়া হলো।’ হোমল্যান্ড সিকিউরিটি দফতরের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর দৈনিক গড়ে প্রায় ৪০০ অবৈধ অভিবাসীকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কার করা হচ্ছে। গত বছরের চেয়ে তা ৪০% বেশী।

এই ১১ বাংলাদেশীর মুক্তির ব্যাপারে মার্কিন সিনেট ও কংগ্রেসে আবেদনকারী একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রধান মাজেদা এ উদ্দিন প্রচন্ড ক্ষোভের সাথে বলেন, ‘শুধুমাত্র গুরুতর অপরাধীদের ধরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কার করা হচ্ছে সামাজিক ও জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে’-এমন দাবি করছে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। অথচ এই ১১ বাংলাদেশির একজনও কোন ধরনের অপরাধে লিপ্ত ছিলেন না।

তাদের অপরাধ একটাই, আর তা হচ্ছে অভিবাসনের মর্যাদা নেই। তারা সকলেই ব্যবসা-বাণিজ্য কিংবা দোকানের বিক্রেতা অথবা ট্যাক্সি ড্রাইভিং করে দিনাতিপাত করছিলেন। ব্রুকলীনের কোনি আইল্যান্ডে রেস্টুরেন্টে কর্মরত অবস্থায় মোজাম্মেল হককে গ্রেফতারের সময় তার স্ত্রী (একই রেস্টুরেন্টের কর্মী) বাধা দিয়ে ফেঁসে গেছেন। কারণ, তিনিও অবৈধভাবে এদেশে বাস করছিলেন। এ দম্পতির ৩টি শিশু সন্তান রয়েছে। সকলেরই জন্ম আমেরিকায়।

অপর বাংলাদেশিদেরও রয়েছে ২৫ শিশু-সন্তান। বাবার অনুপস্থিতিতে এই শিশুদের কী অবস্থা হবে, সেটি উল্লেখ করে সম্পূর্ণ মানবিক কারণে তাদের মুক্তি প্রদানে সর্বাত্মক সহায়তা চেয়ে আবেদন করেছিলাম ইউএস সিনেট ও ইউএস হাউজে। কিন্তু কোন সাড়া পাইনি।’ মাজেদা উদ্দিন বুধবার রাতে আরও জানান, ‘নিউইয়র্ক সিটির মেয়র বিল ডি ব্লাসিয়ো কিছুক্ষণ আগে এক বার্তায় আমাকে জানিয়েছেন, গ্রেফতারকৃতদের জামিনে মুক্তির ব্যাপারে তিনি চেষ্টা করবেন।’

এদিকে, নিউইয়র্কসহ বিভিন্ন স্যাঙ্কচুয়ারি সিটিতে অভিযান চালিয়ে গত মাসের শেষ সপ্তাহের ৪ দিনে বাংলাদেশীসহ ৪২ দেশের ৪৮৯ অবৈধ ইমিগ্র্যান্টকে গ্রেফতার করেছে আইস (ইমিগ্রেশন এ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট) এজেন্টরা। এরা নানা অপকর্মে জড়িত ছিল এবং ইমিগ্রেশনের আইন লংঘন করে বসবাস করছিল। কর্মকর্তারা আরো জানান, যে সব সিটি প্রশাসন অবৈধ এবং ক্রিমিনাল ইমিগ্র্যান্টদের ধর-পাকড়ে আইসকে সহায়তা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেছে সেগুলোতে এ ধরনের অভিযান মাঝেমধেই চালানো হবে।

আইস জানিয়েছে, এক বাংলাদেশী গুরুতর অপরাধ করে জেল খেটেছে। মানুষজনকে হয়রানি করেছে। হুমকি-ধমকি অব্যাহত রেখেছিল। একদিকে ইমিগ্রেশনের স্ট্যাটাস নেই, অপরদিকে সামাজিক অস্থিরতার জন্যে অভিযুক্ত হওয়ায় তাকেসহ বেশ ক’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে অবিলম্বে বহিষ্কারের প্রক্রিয়ায়। সূত্র : এনআরবি নিউজ

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest