সর্বশেষ সংবাদ-
দেবহাটায় জাতীয় প্রাণি সম্পদ সপ্তাহ ও প্রাণি সম্পদ প্রদর্শনীর উদ্বোধনসাতক্ষীরায় জাতীয় দৈনিক রুপালী বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনসাতক্ষীরার মিঠু খানের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করল বিএনপিকালিগঞ্জে পুকুরের পানিতে দুই শিশুর মৃত্যুদেবহাটায় ৪০ জন উপকার ভোগীর মাঝে ছাগল বিতরণদেবহাটার সরকারি কর্মকর্তা-সুধীজনদের সাথে ডিসির মতবিনিময়সাতক্ষীরার ১৮৫টি ভোটকেন্দ্রের স্কুল সংস্কারে বরাদ্দ প্রায় ৬৪ লাখ টাকাসাতক্ষীরা জেলা রোভারের ৪১ তম কোর্স ফর রোভারমেট এর মহাতাঁবু জলসাশ্যামনগরে বুনো শাকের রান্না প্রতিযোগিতাসাতক্ষীরায় দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে রাস্তা সংস্কার কার্যক্রমের উদ্বোধন

দেবহাটা থানার ৪ মাদক ব্যবসায়ীর আত্মসমর্পণ

কেএম রেজাউল করিম : দেবহাটা থানার ওসি কাজী কামাল হোসেনের কাছে ৪ মাদক ব্যবসায়ী আত্মসমর্পণ করেছেন। এসময় ৪ জন মাদক ব্যবসায়ী পৃথক পৃথকভাবে ওসির কাছে জীবনে আর কখনো মাদক ব্যবসা করবেন না বলে অঙ্গীকারনামা প্রদান করেন।

পুলিশ সূত্র জানায়, দেবহাটা থানার ওসি কাজী কামাল হোসেন থানায় যোগদানের পর থেকে মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসেবীসহ সকল অন্যায় অপরাধমূলক কাজের সাথে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান ঘোষণা করেন।

পুলিশের এই বিরামহীন অভিযানের কারণে দেবহাটা উপজেলার মাদক রাজ্য নামে খ্যাত বহেরা খাসখামার এলাকার ৪ মাদক ব্যবসায়ী যথাক্রমে মৃত মেহের আলী গাজীর ছেলে আলী মোর্ত্তজা গাজী (৫৪), একই গ্রামের মৃত তছিম উদ্দীনের ছেলে হাকিম সরদার (৪৭), একই গ্রামের জিয়াদ আলী গাজীর ছেলে গোলাম মোস্তফা (২৭) ও একই গ্রামের মৃত তছিম উদ্দীনের ছেলে আব্দুল আলিম (৪৯) একত্রে এসে রবিবার রাতে দেবহাটা থানার ওসি কাজী কামালের কাছে আত্মসমর্পণ করেন এবং জীবনে কখনো কোন প্রকার মাদক, ফেন্সিডিল ও মাদক জাতীয় নেশাজাত দ্রব্য সেবন ও ক্রয় বিক্রয় করবে না বলে অঙ্গীকারনামা প্রদান করেন।

এসময় তাদের সাথে কুলিয়া ইউপির সাবেক ইউপি সদস্য মোশাররফ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শিক্ষকদের সংযুক্তি আদেশ বাতিলে দুদক চেয়ারম্যানের চিঠি

বিভিন্ন সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সংযুক্ত থাকা শিক্ষকদের সংযুক্তি বাতিল চান দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। সম্প্রতি মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে লেখা একটি আধা সরকারি পত্রে এ বিষয়টি উল্লেখ করেছেন। দুদক চেয়ারম্যানের চিঠিটি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে শিক্ষা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সংযুক্তির আদেশ বাতিলে প্রায়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর, মাদ্রাসা অধিদপ্তর, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকদের বলা হয়েছে।

“…সরকারি প্রাথমিক/মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও শিক্ষকবৃন্দ অন্যত্র বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সংযুক্তি আদেশের মাধ্যমে কর্মরত থাকায় মাঠ পর্যায়ের শিক্ষা কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে মর্মে গণশুনানিতে উঠে   এসেছে, যা প্রকারান্তরে দুর্নীতিকে প্রশয় দিচ্ছে,” চেয়ারম্যানের চিঠিতে  এমনটা বলা হয়।

আরও বলা হয়, “মাঠ পর্যায়ের শিক্ষকের স্বল্পতা থাকায় উল্লিখিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীগণ নিয়মিতভাবে মানসম্মত শিক্ষালাভ করতে পারছে না মর্মে ধারণা করা যায়। তাছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক স্বল্পতার কারণে তাদের কোচিং, নোটবই ইত্যাদির ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে, যা কাম্য নয়।”

দুদক চেয়ারম্যান ও মন্ত্রিপরিষদের চিঠির বরাত দিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে মাউশি অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে লেখা চিঠিতে অবিলম্বে সংযুক্তি বাতিল করে শিক্ষকদের মূল পদায়নকৃত কর্মস্থল বা শিক্ষক স্বল্পতা রয়েছে এমন প্রতিষ্ঠানে পদায়নের জন্য বলা হয়েছে।

জানা যায়,  শিক্ষা ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে কতিপয় কর্মকর্তাকে ঘুষ দিয়ে সংযুক্ত থাকছেন হাজার হাজার শিক্ষক। এদেরকে মধ্যে সরকারি কলেজ ও হাইস্কুলে সংযুক্তি পেতে ঘুষের পরিমাণ বেশি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’ জান্নাতুল নাঈম ডিভোর্সি !

এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের আগেই ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’ জান্নাতুল নাঈমের বিয়ে হয়। প্রায় আড়াই মাস সংসার করার পর তিনি বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটান। অথচ এসব তথ্য গোপন রেখেই জান্নাতুল নাঈম ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। ‘মিস ওয়ার্ল্ড’ প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার প্রথম শর্ত হলো, প্রতিযোগীকে অবিবাহিত হতে হবে। কিন্তু জান্নাতুল নাঈম তাঁর বিয়ের বিষয়টি গোপন রেখে প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। ফলে তাঁর মুকুট নিয়ে বিতর্ক উঠেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জান্নাতুল নাঈমের বাড়ি চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার ৫ নম্বর বরমা ইউনিয়নের সেরন্দি গ্রামের রাউলিবাগ এলাকায়। তাঁর বাবা তাহের মিয়া ও মা রেজিয়া বেগম। চন্দনাইশ পৌরসভার কাজি অফিস থেকে পাওয়া কাবিননামা অনুযায়ী ২০১৩ সালের ২১ মার্চ চন্দনাইশ পৌর এলাকার বাসিন্দা ও কাপড় ব্যবসায়ী মোহাম্মদ মুনজুর উদ্দিনের সঙ্গে জান্নাতুলের বিয়ে হয়। বিয়ের দেনমোহর ছিল ৮ লাখ টাকা। বিয়ের উকিল হন মেয়ের বাবা তাহের মিয়া। বিয়েতে কাজি ছিলেন আবু তালেব। একই বছরের ১১ জুন তালাকনামায় সই করেন জান্নাতুল।

সরেজমিন ঘুরে জানা গেছে, তাহের মিয়া ও রেজিয়া বেগম দম্পতির চার সন্তানের মধ্যে সবার ছোট জান্নাতুল নাঈম। গত শুক্রবার রাতে ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতায় তিনি বিজয়ী হন। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে। এলাকার লোকজন জানান, জান্নাতুল দুরন্ত ও চঞ্চল প্রকৃতির ছিলেন। চন্দনাইশের বরমা ত্রাহিমেনকা উচ্চবিদ্যালয় থেকে ২০১৩ সালে অনুষ্ঠিত এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন তিনি। ফলাফল প্রকাশের আগে ওই বছর ২১ মার্চ বেশ ধুমধাম করে একই উপজেলার কাপড় ব্যবসায়ী মোহাম্মদ মুনজুর উদ্দিনের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। চন্দনাইশ পৌর এলাকায় অবস্থিত মুনজুরের কাপড়ের দোকানের নাম ভিআইপি ক্লথ স্টোর অ্যান্ড টেইলার্স।

বরমা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য (ইউপি মেম্বার) নওশা মিয়া বলেন, ‘জান্নাতুলের বিয়ে হয়েছিল। দুই-আড়াই মাস এই বিয়ে টেকে। জান্নাতুলের বাবা একসময় গাছের ব্যবসা করতেন। এখন টুকটাক কৃষিকাজ করেন। জান্নাতুল নাঈম সুন্দরী প্রতিযোগিতায় প্রথম হওয়ার খবর আমি টিভি চ্যানেলে দেখতে পাই। এরপর গ্রামের লোকজনের মুখে মুখে এই খবর ছড়িয়ে পড়ে। জান্নাতুল আমাদের গৌরবান্বিত করেছে।’

জান্নাতুল নাঈম গ্রামের বরমা ত্রাহিমেনকা উচ্চবিদ্যালয় থেকে ২০১৩ সালে মাধ্যমিক পাস করেন। সেই স্কুলের প্রধান শিক্ষক এ এইচ এম সৈয়দ হোসেন বলেন, ‘জান্নাতুল আমাদের ছাত্রী ছিল। ছাত্রী থাকাকালীন তার বিয়ের অনেক প্রস্তাব আসত।’ সৈয়দ হোসেন আরও বলেন, ‘জান্নাতুল মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছে। আমি ফেসবুকে এই সংবাদ পাই।’

গত রোববার জান্নাতুলের গ্রামের বাড়িতে তাঁর মা রেজিয়া বেগমের সঙ্গে সরাসরি কথা হলে তিনি মেয়ের (জান্নাতুল) বিয়ের বিষয়টি এড়িয়ে যান। তখন তিনি বলেছিলেন, ‘মেয়ের বাগদান হয়েছিল। তবে বয়স কম ছিল এবং পাত্র পছন্দ না হওয়ায় সে বিয়ে করেনি। পরে কক্সবাজারের মহেশখালী গিয়ে ইন্টারমিডিয়েট পাস করে। এরপর ঢাকায় চলে যায়। কিন্তু বিয়ে না করায় তার বাবা খুব রাগ করেছে।’

পরে জান্নাতুল নাঈমের বিয়ের কাবিননামা প্রসঙ্গে মা রেজিয়া বেগম বলেন, ‘আসলে কীভাবে এই বিয়ে হলো, আমরাও বুঝতে পারছি না। আমার মেয়ে তখন ছোট ছিল। বিয়ে কী, সে সেটা বুঝতে পারেনি। তাই সংসার করেনি। তবে বিয়ে ভেঙে যাওয়ার কিছুদিনের মধ্যে জান্নাতুল আমার ছেলে ফোরকান উদ্দিনের কাছে মহেষখালীতে চলে যায়। সেখানে একটি কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাস করে আর পড়াশোনা করেনি। এখন ঢাকায় থাকে।’

এদিকে জান্নাতুলের সাবেক স্বামী মোহাম্মদ মুনজুর উদ্দীন বলেন, ‘আমার সঙ্গে জান্নাতুল নাঈমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর দুই মাস আমার বাড়িতে ছিল সে। সে বাপের বাড়িতে নাইওর যায়। নাইওর যাওয়ার দুদিন পর এক রাতে তার বাবা আমাকে ফোনকল দিয়ে বলেন, জান্নাতুলকে পাওয়া যাচ্ছে না। তাকে খুঁজে বের করতে বলেন। জান্নাতুলকে খুঁজে বের করতে আমি রাজি হইনি।’

মুনজুর উদ্দীন আরও বলেন, ‘পরদিন সকালে জান্নাতুল আমাকে ফোন করে বলে, আমাকে ডিভোর্স দাও, নইলে আমি তোমাকে ডিভোর্স দেব। ডিভোর্সের জন্য আমি এক সপ্তাহ অপেক্ষা করেছি। পরে জান্নাতুলের বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করে দুই পক্ষের সমঝোতায় নগরের লালদীঘি পারের একটি হোটেলে আমরা যাই। সেখানে ২০১৩ সালের ১১ জুন কাজির উপস্থিতিতে জান্নাতুল এবং আমি সই করে আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে বিচ্ছেদ ঘটাই। আসলে জান্নাতুল আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে। আমার মতো অন্য ছেলে যেন তাঁর প্রতারণার শিকার না হয়।’

এই বিয়ের ব্যাপারে জান্নাতুল নাঈমের বক্তব্য জানার জন্য তাঁর মুঠোফোন নম্বরে যোগাযোগ করা হয়। বিয়ের প্রসঙ্গ উঠতেই তিনি ফোনকল কেটে দেন। এরপর তাঁর নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
সূত্র : প্রথম আলো।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
এক মাসের ছুটি চাইলেন প্রধান বিচারপতি

এক মাসের ছুটি চেয়েছেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা (এস কে সিনহা)। সোমবার (২ অক্টোবর) এ বিষয়ে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে আবেদন করেছেন তিনি। সুপ্রিমকোর্ট সূত্রে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, ‘এরকম একটি বিষয় আছে। তিনি আগামীকাল থেকে আদালতে বসছেন না।’

এসময়ে প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব কে পালন করবেন প্রশ্ন করা হলে তিনি আরও বলেন, ‘নিয়মানুযায়ী, পরবর্তী জ্যেষ্ঠ বিচারপতি ওয়াহহাব মিয়া দায়িত্ব পালন করবেন।’

গত ১ আগস্ট বিচারপতি অপসারণ ক্ষমতা সংসদের হাতে ন্যস্ত করে আনা সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী ‘অবৈধ’ ঘোষণার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর প্রধান বিচারপতির নানা বিষয়ে কথা বলা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে সমালোচনার ঝড় ওঠে। ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় কারও কাছেই গ্রহণযোগ্যতা পায়নি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতীয় সংসদে ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় নিয়ে উত্থাপিত একটি প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন। এ রায়ে প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণের প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রধান বিচারপতি বিভিন্ন ধরনের কথা বলে নিজেকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন।
২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর উচ্চ আদালতের বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে ফিরিয়ে নিতে সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদ সংশোধনের প্রস্তাব সংসদে পাস হয়, এটা ষোড়শ সংশোধনী হিসেবে পরিচিত। সুপ্রিম কোর্টের ৯ জন আইনজীবীর এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ২০১৬ সালে সংবিধানের ওই সংশোধনী ‘অবৈধ’ ঘোষণা করে। পরে গত ৩ জুলাই প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে সাত বিচারপতির আপিল বেঞ্চ হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিল খারিজ করে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দ. আফ্রিকায় লজ্জ্বাজনক হারে শুরু বাংলাদেশের

স্পোর্টস ডেস্ক : বৃষ্টির আশঙ্কা মাথায় নিয়েই পচেফস্ট্রুমে পঞ্চম দিনে মাঠে নেমেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা ও বাংলাদেশ। আগের দিন ৩ উইকেট পড়ে যাওয়ায় ব্যাকফুটে থেকেই ব্যাট করছিল সফরকারীরা। সেই ভয়টাই শেষ পর্যন্ত পেয়ে বসে বাংলাদেশকে। রাবাদার আক্রমণে শুরুতে বিপর্যস্ত হয়ে বাংলাদেশ ৪২৪ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে দ্বিতীয় ইনিংসে গুটিয়ে যায় ৯০ রানেই! প্রথম ইনিংসে প্রোটিয়াদের ৪৯৬ রানের জবাবে বাংলাদেশ করেছিল ৩২০ রান। অথচ সেই বাংলাদেশই দ্বিতীয় ইনিংসে দিতে পারেনি কোনও প্রতিরোধ।প্রোটিয়াদের বোলিংয়ে বাংলাদেশ এতটাই অসহায় হয়ে পড়ে যে প্রথম সেশনেই ২৬ রানে ৬ উইকেট হারায় সফরকারী দল! সেই অসহায় বাংলাদেশের হারের ব্যবধানও ছিল বিশাল। এই টেস্টে বাংলাদেশ হারলো ৩৩৩ রানে।

দিনের শুরুতে রাবাদার লাফিয়ে উঠা বলে স্লিপে আউট সাইড এজ হয়ে ফেরেন টেস্ট অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। ৫৫ বলে ১৬ রানে ফেরেন মুশফিক। কিছুক্ষণ পর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও অসহায় আত্মসমর্পণ করেন। সেই রাবাদার বলেই বোল্ড হয়ে ফেরেন দুই ওভারের মধ্যেই। রিয়াদ বিদায় নেন ৯ রানে।

লিটন দাস নেমেও কিছু করতে পারেননি। আসা যাওয়ার মিছিলে এবার যোগ হন তিনি। রাবাদার বলে এলবিডব্লিউ হন। রিভিউ নিলেও বেঁচে যাওয়ার সুযোগটাও পাননি। এরপর মহারাজের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন সাব্বির। এরপর ছিল শুধু আনুষ্ঠানিকতা। একে একে লেজ ছেঁটে ফেলতে থাকেন স্বাগতিকরা। বিদায় নেন তাসকিন ও শফিউল তাসকিন মহারাজের স্পিনে এলবিডাব্লিউতে ঘায়েল হলেও রানআউট হন শফিউল।

এরপর কিছুক্ষণ মোস্তাফিজকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। কিন্তু মহারাজ মোস্তাফিজকে ফিরতি বলে তালুবন্দী করলে শেষ হয় বাংলাদেশের ইনিংস। ১৫ রানে অপরাজিত ছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ।

২৫ রানে ৪ উইকেট নেন মহারাজ। আর ৩ উইকেট নেন দিনের শুরুর দিকে ধস নামানো রাবাদা। আগের দিন দুটি নেন মরকেল।

আগের দিন বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুর দিকে ত্রাস ছড়িয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকান পেসার মরনে মরকেল। আর সেই পেসারই রয়েছেন ইনজুরিতে। আজকে তিনি মাঠে নামেননি। তার জায়গা বদলি হয়েছেন পারনেল। সাইড স্ট্রেইনের চোটে পড়েছেন প্রোটিয়া এই পেসার। এই অবস্থায় দ্বিতীয় টেস্টেও মরকেল থাকবেন কিনা সেটা নিশ্চিত নয়।

চতুর্থ দিনের শেষ দিকে শুরুর দিকে দ্রুত দুটি উইকেট তুলে নেন মরকেল। মুশফিককেও বোল্ড করেছিলেন। কিন্তু নো বল হওয়াতেই রক্ষা পান বাংলাদেশ অধিনায়ক। প্রথম ওভারের চতুর্থ বলে তামিমকে দুর্দান্ত এক বলে করেন বোল্ড। শেষ বলে মুমিনুলকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন। যদিও টিভি রিপ্লেতে দেখা গেছে বল লেগ স্টাম্প মিস করেছিল। পরের ওভারে মুশফিকের মিডল স্টাম্প উপড়ে ফেলেছিলেন। কিন্তু অবৈধ ডেলিভারি হওয়াতে উইকেটটি আর পাননি তিনি। ষষ্ঠ ওভারেই মাঠ ছেড়ে যান মরকেল। এরপর মহারাজের স্পিনে ফেরেন ইমরুল কায়েস (৩২)।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:
দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম ইনিংস: ৪৯৬/৩ (এলগার ১৯৯, আমলা ১৩৭) ডি. ও দ্বিতীয় ইনিংস ২৪৭/৬ ডি. (বাভুমা ৭১, ডু প্লেসিস ৮১; মুমিনুল ৩/২৭)
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস ৩২০/১০ (মুমিনুল ৭৭, মাহমুদউল্লাহ ৬৬; মহারাজ ৩/৯২) ও দ্বিতীয় ইনিংস ৯০/১০ (কায়েস ৩২; মহারাজ ৪/২৫)

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত নড়াইল জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কারাগারে

যশোর প্রতিনিধি : দুর্নীতির মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত নড়াইল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেন বিশ্বাসকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

আজ সোমবার সকালে সোহরাব হোসেন যশোরের বিশেষ জেলা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিচারক নিতাই চন্দ্র সাহা তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বলে এনটিভি অনলাইনকে জানিয়েছেন মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সিরাজুল ইসলাম।
গত ২৬ সেপ্টেম্বর নড়াইলের রূপগঞ্জ পশুর হাট ইজারা-সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় যশোরের বিশেষ জেলা জজ আদালত সোহরাব হোসেনসহ সাত আসামির প্রত্যেককে সাত বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে আত্মসাৎকৃত টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত অন্যরা হলেন নড়াইল পৌরসভার তৎকালীন কমিশনার শরফুল আলম লিটু, মুশফিকুর রহমান, আহম্মদ আলী খান, রফিকুল ইসলাম ও তেলায়েত হোসেন।
এদিন দণ্ডপ্রাপ্ত সোহরাব হোসেন আদালতে অনুপস্থিত থাকায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। এ ছাড়া এ মামলার অপর আসামিদের ওই দিনই কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত।
মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সিরাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, ২০০৪-০৫ অর্থবছরে আসামি সোহরাব হোসেন নড়াইল পৌরসভার মেয়র ছিলেন। ওই সময় রূপগঞ্জ পশুর হাট ইজারার দরপত্র আহ্বান করা হয়। এইচ এম সোহেল রানা পলাশ নামের এক ব্যক্তি সর্বোচ্চ ৬৫ হাজার ৫৫৫ টাকায় ওই হাটের ইজারা পান এবং তিনি দরপত্রের নিয়ম অনুযায়ী বিডি হিসেবে ৩৩ হাজার টাকা জমা দেন।
পরবর্তী সময়ে সোহেল রানা পলাশ দরপত্র মূল্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করে ইজারা থেকে অব্যাহতির আবেদন করেন এবং মেয়র হিসেবে সোহরাব হোসেন তা মঞ্জুর করেন। এরপর ইজারাদাতাকে তাঁর জমাকৃত টাকা ফেরত দেওয়া হয়। একই সঙ্গে নতুন করে ইজারা আহ্বান না করে সবাই অবৈধভাবে লাভবান হওয়ার জন্য ওই হাট তিন বছর ধরে খাস দেখিয়ে এক লাখ ৯৬ হাজার টাকা আদায় করেন এবং সমুদয় অর্থ আত্মসাৎ করেন।
এ ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশনের যশোরের সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ওয়াজেদ আলী বিশ্বাস ২০০৮ সালের ৭ আগস্ট আটজনকে আসামি করে নড়াইল সদর থানায় মামলা করেন। মামলার বিচার চলাকালে মতিয়ার রহমান নামের এক আসামির মৃত্যু হয়। ফলে তাঁকে এ মামলা থেকে বাদ দেওয়া হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রোহিঙ্গাদের জন্য প্রয়োজনে আমরা একবেলা খাবো -আমেরিকায় প্রধানমন্ত্রী

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া পাঁচ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাদের খাবার জোগাতে প্রয়োজনে দেশের মানুষ একবেলা করে খাবে। অন্য বেলার খাবার রোহিঙ্গাদের সঙ্গে ভাগ করে নেবে। এমনটাই জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আমরা যদি ১৬ কোটি মানুষের খাবারের সংস্থান করতে পারি,তাহলে আরও পাঁচ-সাত লাখ রোহিঙ্গার খাবারের ব্যবস্থাও করতে পারবো। তাদের এই বিপন্ন সময়ে প্রয়োজনে আমরা একবেলা করে খেয়ে অন্য বেলার খাবার তাদের সঙ্গে ভাগ করে নেবো। আমরাও তো মানুষ। আর আমরা সবসময় মানবতার পক্ষে।’

যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় রিটজ কার্লটন হোটেলে যুক্তরাষ্ট্রের আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। স্থানীয় সময় রবিবার (১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ধনী দেশ নই। তবে আমাদের হৃদয় অনেক উদার। তারাও তো মানুষ। তাদের তো আমরা বঙ্গোপসাগরে ফেলে দিতে পারি না।’
উদ্বাস্তু হয়ে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের কক্সবাজার থেকে নোয়াখালী জেলার ভাসানচরে স্থানান্তর করা হবে বলেও তিনি জানান।
জাতিসংঘের ৭২তম সাধারণ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গাদের দুর্দশার কথা তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, ‘প্রশাসন, সশস্ত্র বাহিনী, সীমান্তরক্ষী বাহিনী ও পুলিশসহ আওয়ামী লীগের স্বেচ্ছাসেবকরাও রোহিঙ্গাদের দুর্দশা লাঘবের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। বাইরের কোনও সহায়তা ছাড়াই আমরা তাদের জন্য আশ্রয়, খাদ্য ও চিকিৎসাসেবার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। এর জন্য এরই মধ্যে প্রাথমিকভাবে পাঁচ কোটি টাকা অনুদানও দিয়েছি।’
বাংলাদেশ সরকার যেভাবে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে উদার মনোভাব নিয়ে আশ্রয় দিয়েছে,তা দেখে আন্তর্জাতিক মহল বিস্মিত হয়ে গেছে বলে জানান তিনি।

দেশের প্রান্তিক পর্যায়েও সবাইকে শিক্ষাগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করতে শিক্ষার্থীদের মায়েদের প্রণোদনা এবং উচ্চ শিক্ষাতেও শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেওয়া হচ্ছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে প্রবাসীদের বিনিয়োগের সুবিধা রেখে একশটি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলতে সরকারের উদ্যোগের কথাও জানান তিনি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
যুক্তরাষ্ট্রের বন্দুকধারীর হামলায় নিহত ২০

যুক্তরাষ্ট্রের নেভাদা অঙ্গরাজ্যের লাস ভেগাস শহরে মান্দালয় বে হোটেলে একটি কনসার্ট চলার সময় বন্দুকধারীর হামলায় অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও অন্তত ১০০ জন। এ ঘটনায় প্রাণহানির সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এরইমধ্যে অভিযানে এক বন্দুকধারী নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১০ টার দিকে রুট নাইনটি ওয়ান হারভেস্ট সংগীত উৎসবে গুলির শব্দ পাওয়া যায়। এরপরই আতঙ্কিত হয়ে লোকজন ছুটোছুটি শুরু করে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, কনসার্টটি প্রায় শেষের দিকে ছিল। সংগীতশিল্পী জ্যাসন আলদিয়ান যখন সংগীত পরিবেশন করছিলেন তখনই গুলি শুরু হয়। এরইমধ্যে ঘটনাস্থলের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ওই ভিডিওতে লোকজনকে ছুটোছুটি করতে দেখা গেছে। কয়েকটি ভিডিও ক্লিপে গুলির শব্দও শোনা গেছে। লোকজনকে ওই এলাকা এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ।

প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, শত শত গুলি করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে না আসায়, লাস ভেগাসের ম্যাককারান বিমানবন্দরে অবতরণের অপেক্ষায় থাকা কয়েকটি ফ্লাইট ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest