সর্বশেষ সংবাদ-
দেবহাটায় জাতীয় প্রাণি সম্পদ সপ্তাহ ও প্রাণি সম্পদ প্রদর্শনীর উদ্বোধনসাতক্ষীরায় জাতীয় দৈনিক রুপালী বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনসাতক্ষীরার মিঠু খানের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করল বিএনপিকালিগঞ্জে পুকুরের পানিতে দুই শিশুর মৃত্যুদেবহাটায় ৪০ জন উপকার ভোগীর মাঝে ছাগল বিতরণদেবহাটার সরকারি কর্মকর্তা-সুধীজনদের সাথে ডিসির মতবিনিময়সাতক্ষীরার ১৮৫টি ভোটকেন্দ্রের স্কুল সংস্কারে বরাদ্দ প্রায় ৬৪ লাখ টাকাসাতক্ষীরা জেলা রোভারের ৪১ তম কোর্স ফর রোভারমেট এর মহাতাঁবু জলসাশ্যামনগরে বুনো শাকের রান্না প্রতিযোগিতাসাতক্ষীরায় দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে রাস্তা সংস্কার কার্যক্রমের উদ্বোধন

রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে ‘রাজি’ মিয়ানমার

সেনাবাহিনীর নির্যাতন-হত্যা আর ধর্ষণের মুখে রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ রাজি হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী।

মন্ত্রী জানান, এ জন্য বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে একটি যৌথ ওয়ার্কিং কমিটি গঠন করা হবে। দুই দেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে শিগগির এ কমিটি ঘোষণা করা হবে। তার আগে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মিয়ানমার সফর করবেন।

আজ সোমবার দুপুরে সফররত মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চির দপ্তরবিষয়ক মন্ত্রী উ কিয়া তিন্ত সোয়ের সঙ্গে বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান এ এইচ মাহমুদ আলী। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম উপস্থিত ছিলেন।

গত ২৫ আগস্ট শুরু হওয়া নির্যাতনের জের ধরে পাঁচ লাখ এক হাজার ৮০০ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। এদের মধ্যে বেশির ভাগই শিশু ও নারী। রোহিঙ্গাদের ওপর চলা নির্যাতনে নিন্দা জানায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। গত বৃহস্পতিবার এ সংকট সমাধানে মিয়ানমার সরকারকে অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেজ।

গুতেরেজ মিয়ানমারকে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর সেনা অভিযান বন্ধের আহ্বান জানান। এ ছাড়া অবিলম্বে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের তাদের স্বভূমিতে ফেরত নেওয়া এবং আক্রান্ত এলাকাগুলোতে জাতিসংঘ ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার কর্মীদের পরিদর্শনের সুযোগ দিতে বলেন।

এ ছাড়া সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকেও রোহিঙ্গা সমস্যা দ্রুত সমাধানের ওপর জোর দেয় পরিষদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য। এসব কারণের রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে মিয়ানমার বেশ চাপে আছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

এই প্রেক্ষাপটে মিয়ানমারের মন্ত্রীর বাংলাদেশ সফর কোনো কৌশলের অংশ কি না—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী বলেন, ‘এ জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
প্রখ্যাত বিপ্লবী কমরেড জসিম মন্ডল মারা গেছেন

বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির উপদেষ্টাম-লীর অন্যতম সদস্য ও প্রবীণ রাজনীতিক কমরেড জসিম উদ্দিন মন্ডল (৯৫) মারা গেছেন।
সোমবার সকাল ৬টায় রাজধানীর হেলথ অ্যান্ড হোপ হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার মেয়ে আসমা আলো।
তিনি বলেন, বার্ধক্যজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে বাবা শয্যাশায়ী ছিলেন। হঠাৎ বেশি অসুস্থ হলে তাকে রাজধানীর হেলথ অ্যান্ড হোপ হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সকালে বাবার মৃত্যু হয়

তার মৃত্যুতে শভীর শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা জেলা সিপিবি’র সভাপতি আবুল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান পলাশ।

১৯১২ সালে অবিভক্ত ভারতের নদীয়া জেলার কালিদাসপুর গ্রামে তিনি জন্ম গ্রহণ করেন। যুব বয়সে ১৯৩৯ সালে তিনি রেল ইঞ্জিনে কয়লা ফেলার শ্রমিক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। এ থেকে শ্রমিক শোষণের চিত্র দেখে তিনি প্রতিবাদী হয়ে ওঠেন। একদিকে দারিদ্রতা অন্যদিকে অত্যাচার তাকে বিৃটিশ রেল কোম্পানীর বিরুদ্ধে ধীরে ধীরে আন্দোলনে উদ্বুদ্ধ করে, তিনি হয়ে ওঠেন জীবনের রেলগাড়ির অগ্রযাত্রার পথিক।

সুস্থ থাকাকালীন স্মৃতিচারণে তিনি অনেক কথাই বলেছেন। তার পিতা হাউস উদ্দিন মন্ডলও রেলওয়েতে চাকুরি করতেন। বাবার পোস্টিং ছিল শিলিগুড়িতে। তখন বেতন ছিল ১৩ টাকা। এরপর ১৯২৫ সালে তাঁর পিতা বদলি হন সৈয়দপুরে। কিশোর বয়সেই জসিম মন্ডল দেখা পেয়েছিলেন মহাত্মা গান্ধীর। তখন তিনি জানলেন অসহযোগ আন্দোলনে যোগ দেওয়া ব্যক্তিদের কথা। পাশের বাসার বাবার এক বন্ধু স্বদেশী বাবুর কাছে শুনেছিলেন স্বদেশীর গল্প, মাস্টারদা, বাঘা যতীন, প্রীতিলতারা তখন অসহযোগ আন্দোলনের নায়ক-নায়িকা। সে সময় তাঁরা ধুতির কোচায় পিস্তল গুঁজে রাখতেন, বোমা ফাটাতেন। এসবই ছিল নাকি তাদের কাজ। তিনিও হয়ে গেলেন লাল ঝান্ডা পার্টির কর্মী।

তখন অল ইন্ডিয়া কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মোজাফফর আহমেদ এর সাথে দেখা করতে গিয়ে তার সৌভাগ্য হয়েছিল বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে দেখার। কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের সান্নিধ্যেও এসেছিলেন তিনি।

এরপর ১৯৪২ এর আগস্ট শুরু হয় ঐতিহাসিক ভারত ছাড় আন্দোলন বৃটিশদের বিরুদ্ধে। চাকুরি করা তখন বেশ কঠিন ছিল। মাসে ১৭ টাকা বেতনে সহকারি ফায়ারম্যান হিসেবে চাকুরি করতে হতো।

পাকিস্তানামলে জসিমউদ্দিন মন্ডল উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন শ্রমিক এলাকায় সক্রিয়ভাবে আন্দোলন সংগ্রামে জড়িয়ে পড়েন। অনেকবার তিনি কারাভোগ করেছেন। তিনি শ্রমিক-জনসভাগুলোতে সাধারন ভাষায় সুন্দরভাবে বক্তব্য দিতে পারতেন বলে তাঁর সমাবেশগুলোতে প্রচুর মানুষ উপস্থিত হতো।

তার স্ত্রী ও বড় ছেলে ইতিপূর্বে মারা গেছেন, বর্তমানে তার ৫ মেয়ে ও নাতি-নাতনি রয়েছেন।

পাবনা জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সাধারন সম্পাদক আহসান হাবিব জানান, ঢাকায় পার্টি অফিসের আনুষ্ঠানিকতা শেষে তার লাশ ঈশ্বরদীতে এনে দাফন করা হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
তালায় স্ত্রীকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় স্বামী মুসা আটক

তালায় নাসরিন নাহার মুন্নি (২৮) নামের এক গৃহবধূকে শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় ঘাতক স্বামী মুসা গাজী (৪২) কে আটক করেছে পুলিশ। সে উপজেলার বাগমারা গ্রামের মৃতঃ আমিরুল গাজীর পুত্র।
রোববার (১ অক্টোবর) বিকালে পাটকেলঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ মোল্যা  জাকির হোসেনের নেতৃত্বে ওসি তদন্ত উজ্জ্বল কুমার মৈত্র, এসআই আসাদুজ্জামান, এসআই শাহাদাতুল আলম, এসআই আসাদুজ্জামান (মিন্টু), এএসআই (নিঃ) এনামুল হাসান, এএসআই মানিক মিয়াসহ সঙ্গীয় ফোর্সের সহয়তায় তালা উপজেলার মির্জাপুর বাজার এলাকা থেকে তাকে আটক করে। এদিকে রোববার ভোর রাতে বাগমারা গ্রামের বাড়িতেই এ ঘটনা ঘটলে বেলা সাড়ে ১২ দিকে মারা যায় মুন্নি। এ ঘটনায় পাটকেলঘাটা থানায় মামলা হয়। সাতক্ষীরার সার্কেল এসপি মোঃ আতিকুল হক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এলাকাবাসী ও নিহতের স্বজনরা জানান, এক সন্তানের জননী মুন্নি খাতুনকে প্রায় মারধর করত স্বামী মুসা গাজী। তাদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকত। স্বামী মুসা প্রতিনিয়ত তাকে বাপের বাড়িতে চলে যাবার জন্য চাপ সৃষ্টি করত। তা না হলে তাকে হত্যার হুমকি দিত। শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথাকাটি হয়। এ সময় স্বামী মুসা গাজী স্ত্রীকে মারধর করে। রাতে খাওয়া দাওয়া শেষে ঘুমিয়ে পড়লে ভোর রাতে পাষন্ড স্বামী মুসা গাজী গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে তাঁর স্ত্রীকে হত্যার চেষ্টা করে। এ সময় তার আত্মচিৎকারে এলাকাবাসি তাকে উদ্ধার করে মুমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: ফরহাদ জামিল বলেন, গৃহবধূর মুন্নি খাতুনের শরীরের ৭৫ শতাংশ পুড়ে যায়। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার্ড করা হয়। রোববার (১ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১২ দিকে খুলনায় নিয়ে যাওয়ার সময় পথিমধ্যে সে মারা যায়।
তালা উপজেলার পাটকেলঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্যা জাকির হোসেন জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। যার নং ১, তাং- ০১/১০/১৭ খ্রিঃ, ধারা- নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০(সংশোধনী/০৩) এর ৪ (১)। পুলিশ রোববার সন্ধ্যায় উপজেলার মির্জাপুর এলাকা থেকে ঘাতক মুসা গাজী কে আটক করে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রোহিঙ্গা সংকট: বাংলাদেশ-মিয়ানমার বৈঠক শুরু

রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক শুরু হয়েছে। বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দিচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী। বৈঠকে আরও উপস্থিত আছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, মুখ্য সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমসহ আরও অনেকে। আর মিয়ানমারের পক্ষে আছেন দেশটির স্টেট কাউন্সিলর দফতরের মন্ত্রী টিন্ট সোয়ে।

সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বৈঠকটি শুরু হয়।

২৫ আগস্ট রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন শুরু হওয়ার পরে এই প্রথম দুই দেশ রোহিঙ্গাদের নিয়ে আলোচনায় বসলো। আলোচনায় বাংলাদেশের পক্ষে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ও কফি আনান কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের ওপর জোর দেওয়া হবে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনে দেশটির রাখাইন রাজ্য থেকে পাঁচ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। এ নিয়ে সু চি’র ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ার কারণে তিনি (সু চি) তার মন্ত্রী উ টিন্ট সোয়েকে বাংলাদেশে পাঠিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, টিন্ট সোয়ে মিয়ানমারের একজন প্রভাবশালী রাজনীতিক। তিনি রাখাইনদের বিষয়টি দেখভালের দায়িত্বে নিয়োজিত আছেন। একজন পেশাদার কূটনীতিক হিসেবে তিনি দীর্ঘ ১০ বছর জাতিসংঘে মিয়ানমারের স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
‘স্বাধীনতার অধিকার আদায় করেছে কাতালানবাসী’

স্পেন থেকে আলাদা হয়ে স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের দাবিতে দেশটির কাতালান অঞ্চলে গণভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। পুলিশি সহিংসতার মধ্যে শেষ হওয়া গণভোটে কাতালানবাসীর স্বাধীনতার অধিকার আদায় হয়েছে বলে দাবি করেছে অঞ্চলটির স্বায়ত্তশাসিত সরকার।

স্থানীয় সময় রোববার স্পেন থেকে কাতালানের স্বাধীনতার দাবিতে গণভোট আয়োজন করে কাতালানের স্থানীয় সরকার। স্পেনের কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে ভোট শুরু হওয়ার আগেই কেন্দ্রগুলো দখল করে নেয় পুলিশ। ভোটকেন্দ্রগুলোতে কাতালানবাসীকে প্রবেশে বাধা দিতে মাঠে নামে দাঙ্গা পুলিশ। তাদের ছোড়া রাবার বুলেট ও লাঠিপেটায় আহত হয় অনেকে।

কাতালান সরকারের মুখপাত্র জরদি তুরুল বলেন, কাতালানে রোববার মোট ভোট দিয়েছেন ৫৩ লাখ। এখন পর্যন্ত ২২ লাখ ব্যালট পেপার গণনা করা হয়েছে। এর মধ্যে ৯০ শতাংশ স্বাধীনতার পক্ষে ‘হ্যাঁ’ ভোট দিয়েছেন।

তুরুল আরো বলেন, পুলিশি বাধা না এলে ভোটদাতার সংখ্যা আরো বেশি হতো। সহিংসতার কারণে কমপক্ষে সাত লাখ ৭০ হাজার ভোটার ভোট দিতে আসেননি।

কাতালান সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, রোববারের পুলিশি সহিংসতায় কমপক্ষে ৮০০ জন আহত হয়েছে। এ ছাড়া ৪০০টি ভোটকেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে স্পেনের কেন্দ্রীয় সরকার জানায়, দুই হাজার ৩০০টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে মাত্র ৯২টি বন্ধ করে দেয় পুলিশ।

কাতালানের প্রেসিডেন্ট কার্লেস পুইদেমন বলেন, ‘বাধার মুখেও কাতালানবাসী স্বাধীনতার অধিকার আদায় করেছে। আমরা সবকিছু জানার, সম্মান ও পরিচিতি পাওয়ার অধিকার আদায় করেছি।’

এদিকে রোববার রাতেই একটি টেলিভিশন চ্যানেলে দেওয়া বক্তব্যে স্পেনের প্রধানমন্ত্রী মারিয়ানো রাজয় বলেন, ‘এ মুহূর্তে আমি একটি কথাই পরিষ্কারভাবে বলতে পারি, আজ কাতালানে তাদের স্ব-স্বীকৃত গণভোট অনুষ্ঠিত হয়নি।’

কাতালান স্পেনের একটি স্বায়ত্তশাসিত অঙ্গরাজ্য। পাঁচ বছর ধরে স্বাধীনতার দাবি জানিয়ে আসছিল তারা। এ দাবিতে গতকাল রোববার গণভোটের আয়োজন করে কাতালানের আঞ্চলিক সরকার। তবে স্পেন সরকার এই ভোট বন্ধের অঙ্গীকার করে। দেশটির সর্বোচ্চ আদালতও এই ভোটকে অবৈধ ঘোষণা করে।

এত কিছুর পরও স্বাধীন কাতালানের জন্য ভোট দিতে আসেন কাতালানরা। ভোট শুরুর আগেই শুক্রবার থেকে ভোটকেন্দ্রগুলোর দখল নিয়ে নেন স্বাধীন কাতালোনিয়ার সমর্থকরা। এসব ভোটকেন্দ্র খোলা রাখার জন্যই তাঁদের এ উদ্যোগ। কোথাও কোথাও ভোটকেন্দ্রের সামনে ট্রাক্টর বসিয়ে রাখেন কৃষকরা। যেন পুলিশ সেখানে প্রবেশ করতে না পারে। আবার কোনো কোনো ভোটকেন্দ্রের দরজা খুলে ফেলা হয়েছে, যাতে করে স্পেন সরকার এসব কেন্দ্র বন্ধ করে দিতে না পারে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
অবশেষে ঘরের মাঠে জয় পেল রিয়াল

লা লিগার নতুন মৌসুমের শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি রিয়াল মাদ্রিদের। দুটি ম্যাচে ড্র ও একটিতে হারের মুখ দেখে বেশ খানিকটা পিছিয়েই পড়েছে গতবারের শিরোপাজয়ীরা। লা লিগায় ঘরের মাঠে জয় পেতেও রিয়াল মাদ্রিদকে অপেক্ষা করতে হয়েছে নিজেদের সপ্তম ম্যাচ পর্যন্ত। অবশেষে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে এসেছে সেই কাঙ্ক্ষিত জয়। রোববার এসপানিওলকে ২-০ গোলে হারিয়েছে রিয়াল।

লা লিগায় রোববারের আগে ঘরের মাঠে রিয়াল খেলেছিল তিনটি ম্যাচ। এ তিনটি ম্যাচের কোনোটিতেই জয়ের স্বাদ পায়নি ইউরোপের অন্যতম সেরা এই ক্লাব। ভ্যালেন্সিয়া ও লেভান্তের বিপক্ষে ড্রয়ের পর হেরে গিয়েছিল রিয়াল বেটিসের বিপক্ষে। অবশেষে রোববার বার্নাব্যুতে কাঙ্ক্ষিত সেই জয়টি পেয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। ইসকোর জোড়া গোলে ভর করে এসপানিওলকে ২-০ গোলে হারিয়েছে জিনেদিন জিদানের শিষ্যরা।

৩০ মিনিটের মাথায় রিয়ালের প্রথম গোলটির নেপথ্যের কারিগর ছিলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। তাঁর পাস থেকে বল পেয়ে সেটি জালে জড়িয়েছিলেন ইসকো। ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধও শেষ করেছিল রিয়াল। দ্বিতীয়ার্ধে আবার প্রতিপক্ষের জালে বল জড়িয়েছেন ইসকো। ৭০ মিনিটে তাঁর সৌজন্যেই রিয়াল পেয়েছে ম্যাচের দ্বিতীয় গোলটি। এবার ইসকোকে বল জুগিয়েছিলেন মার্কো অ্যাসেনসিও। শেষ পর্যন্ত এই ২-০ গোলের ব্যবধানেই জয় পেয়েছে রিয়াল।

লা লিগায় টানা দুটি জয় পেলেও পয়েন্ট তালিকায় এখনো বেশ খানিকটা পিছিয়ে আছে গতবারের শিরোপাজয়ী রিয়াল মাদ্রিদ। সাত ম্যাচের চারটিতে জয় দিয়ে তারা এখন আছে পয়েন্ট তালিকার পঞ্চম স্থানে। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনা সাত ম্যাচের সাতটিতেই জয় দিয়ে দখল করেছে শীর্ষস্থান। বার্সেলোনা ছাড়া লা লিগার প্রথম সাতটি ম্যাচের সাতটিতেই জয় পায়নি অন্য কোনো দল। ১৬ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে সেভিয়া। আর তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে থাকা ভ্যালেন্সিয়া ও আতলেতিকো মাদ্রিদের ঘরে জমা হয়েছে ১৫ পয়েন্ট।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বিড়ালের টানাহেঁচড়া, পলিথিনের ব্যাগ খুলে মিলল জীবন্ত নবজাতক

রাজধানীর খিলগাঁও এলাকায় ময়লার মধ্যে পড়ে থাকা পলিথিনের ব্যাগ থেকে একটি জীবন্ত নবজাতক উদ্ধার করা হয়েছে।

আজ সোমবার ভোরে খিলগাঁওয়ের চৌধুরীপাড়া এলাকার একটি ভবনের পাশ থেকে নবজাতকটি উদ্ধার করেন ওই ভবনের ভাড়াটিয়া শাহিনুর বেগম।

শাহিনুর বেগম জানান, আজ ভোরে তিনি ভবনের পাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা ময়লার মধ্যে একটি পলিথিনের ব্যাগ দেখতে পান। ব্যাগটি নিয়ে একটি বিড়াল টানাহেঁচড়া করছিল। হঠাৎ সেটি নড়ে উঠলে তাঁর সন্দেহ হয়। পরে ব্যাগটি খুলে তিনি একটি জীবন্ত নবজাতক দেখতে পান।

পরে ওই নবজাতককে নিজ বাসায় নিয়ে যান শাহিনুর। শিশুটিকে পরিষ্কার করে, কাঁথা ও কাপড় দিয়ে জড়িয়ে নিয়ে যান খিলগাঁও খিদমাহ হাসপাতালে। সেখান থেকে নিয়ে শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নবজাতক ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়।

এ বিষয়ে ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) বাচ্চু মিয়া জানান, খিলগাঁও থানা পুলিশ শাহিনুর ও নবজাতকটিকে সঙ্গে নিয়ে ঢামেক হাসপাতালে আসে। নবজাতক ওয়ার্ডে শিশুটির চিকিৎসা চলছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ত্রিশ বছর ভারতীয় বাহিনীতে চাকরি করলেও আজমলকে বলা হলো ‘অবৈধ বাংলাদেশী’

তিরিশ বছরেরও বেশি সময় ধরে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে কাজ করার পর আসাম পুলিশের কাছ থেকে ‘অবৈধ বাংলাদেশী’ হিসেবে নোটিশ পেয়েছেন গুয়াহাটির বাসিন্দা মহম্মদ আজমল হক।

বিবিসি বাংলাকে হক জানিয়েছেন, এত লম্বা সময় ধরে দেশের সেবা করার পর তাকে এভাবে অপমানিত ও অপদস্থ হতে হবে তা তিনি কখনও কল্পনাও করেননি।

আসামের মানবাধিকার আইনজীবীরাও বলছেন, সে রাজ্যে যেরকম ঢালাওভাবে বাংলাভাষী মুসলিমদের কাছে অবৈধ বিদেশি হিসেবে নোটিশ পাঠানো হচ্ছে আজমল হকও তার সাম্প্রতিকতম ভিক্টিম – এবং বাংলাদেশী খোঁজার এই হিড়িকে আসামে লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন দুর্বিষহ করে তোলা হচ্ছে।

ভারতীয় সেনাবাহিনীতে তিরিশ বছরের কর্মজীবনের শেষে গত বছরই জুনিয়র কমিশনড অফিসার হিসেবে অবসর নিয়েছেন মহম্মদ আজমল হক।

দেশের বাড়ি, আসামের রাজধানী গুয়াহাটির কাছে ছায়াগাঁওতে যখন নিশ্চিন্তে বাকি জীবনটা কাটাবেন বলে সবে থিতু হয়েছেন – তখনই তার কাছে আসাম পুলিশের নোটিশ এসেছে তিনি না কি অবৈধভাবে বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসেছিলেন।

“আমি ভারতের নাগরিক, তিরিশ বছর ধরে দেশের সেবা করেছি। এখন রিটায়ার করার পর বালবাচ্চা নিয়ে গুয়াহাটিতে নিজের বাড়িতে থাকি। এখন আচমকা আমাকে নোটিশ পাঠিয়ে বলা হচ্ছে আমি না কি অবৈধ, আমি না কি ১৯৭১-র পর আসামে এসেছি!”

“এই খবরটা শুনে তো আমি অতিশয় দুখী হইলাম, আমার দিলটা একেবারে ভাইঙ্গা গ্যালো। কী হচ্ছেটা কী আমার সাথে? নিজের দেশেই আজ আমি বিদেশি হয়ে গেলাম – তাও আবার তিরিশ বছর দেশকে সেবা দেওয়ার পর?”, বিবিসিকে দু:খ করে বলছিলেন আজমল হক।

অথচ সেনাবাহিনীতে নিয়োগ পাওয়ার সময় এই আসাম পুলিশই তাকে ভারতের নাগরিক হিসেবে ভেরিফাই করেছিল – আর এখন তারাই আবার তার নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলছে।

“এটাই তো আমি ভেবে পাচ্ছি না। কারণ যখন একজন জওয়ান ভারতীয় সেনায় ভর্তি হয়, পুলিশ তার প্রপার ভেরিফিকেশন করে। পুলিশ তার গ্রামে গিয়ে বাবা-মার কাগজপত্র খতিয়ে দেখে, বংশপরিচয় খোঁজ নিয়ে তারপরই তাদের রিপোর্ট পাঠায় – তারপরই আমাদের ‘কসম প্যারেড’ হয়। এত কিছুর পরেও আজ যে তাদের সন্দেহ হচ্ছে, এটা আমার জন্য অত্যন্ত দু:খের, অপমানের ও লজ্জার বিষয়!”

“এটা কিন্তু আমার প্রাপ্য ছিল না। রাষ্ট্রপতি এপিজে আবদুল কালাম সাহেব আমাকে সেনাবাহিনীতে জেসিও হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। তিরিশি বছর ধরে দেশের হয়ে বিভিন্ন কঠিন পোস্টিংয়ে যুদ্ধ পরিস্থিতিতে আমি ডিউটি করেছি। তার পরেও যদি দেশের মানুষ বা আসাম সরকার আমাকে এভাবে চরম অপমান করে, আমি শুধু ন্যায্য বিচারই দাবি করব”, বলছিলেন মহম্মদ আজমল হক।

আসলে আজমল হক হলেন আসামের সেই লক্ষ লক্ষ বাঙালি মুসলিমদের একজন, যাদের অবৈধ বিদেশি বলে ঢালাও নোটিশ পাঠানো হচ্ছে আর ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে তাদের ভারতীয়ত্ব প্রমাণ করতে হচ্ছে।

এরকম বহু কেস নিয়ে লড়ছেন রাজ্যের শীর্ষস্থানীয় মানবাধিকার আইনজীবী আমন ওয়াদুদ, তিনি বলছিলেন, “কেউ কিন্তু আজমল হকের কাছে কোনও কাগজ বা নথিপত্র চায়নি। কোনও তদন্ত ছাড়াই বলে দেওয়া হচ্ছে যে তিনি নাকি ১৯৭১-র পর বাংলাদেশ থেকে আসামে এসেছিলেন। আর এটা কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, আসামে লক্ষ লক্ষ লোকের সম্পর্কে কোনও তদন্ত না-করেই পুলিশ তাদের অবৈধ অভিবাসী বা বাংলাদেশী বলে রিপোর্ট করে দিচ্ছে!”

“ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালে কিন্তু শতকরা আশি ভাগ কেসই ভারতীয় নাগরিক বলে প্রমাণিত হচ্ছে। তার মানে এটাই যে পুলিশ কোনও ঠিকঠাক তদন্ত ছাড়াই এই রিপোর্টগুলো দাখিল করে দিচ্ছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তো কোনও তদন্তই হয় না।”

“ফলে পরিস্থিতি খুব গুরুতর। এই মুহুর্তে রাজ্যের ছটি ডিটেনশন শিবিরে হাজারখানেকেরও বেশি লোক আটক আছেন। বাংলাদেশও তাদের নেবে না – আর কেনই বা নেবে, তারা তো আসলেই ভারতীয় নাগরিক!”, গুয়াহাটি থেকে বিবিসিকে বলছিলেন আমন ওয়াদুদ।

বাংলাদেশ এদের কিছুতেই নিতে রাজি হবে না, জানা থাকা সত্ত্বেও কথিত বাংলাদেশীদের বিরুদ্ধে অভিযান চলছেই – কারণ আসামে এটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর একটি রাজনৈতিক ইস্যু।

মহম্মদ আজমল হক যেমন বলছিলেন, পাঁচ বছর আগে তিনি যখন সেনাবাহিনীর সার্ভিং অফিসার – তখন তার স্ত্রীও এই ধরনের নোটিশ পেয়েছিলেন।

“তখন আমি চন্ডীমন্দির ক্যান্টনমন্টে পোস্টেড, আমার স্ত্রীও সঙ্গেই ছিলেন। দেশ থেকে জানানো হল, আমার স্ত্রীর নামে না কি নোটিশ এসেছে তিনি বিদেশি। সঙ্গে সঙ্গে আমি ছুটে গিয়ে কোর্টে কাগজপত্র সব জমা দিলাম, মহামান্য আদালত রায় দিলেন – না, মমতাজ খানম ওয়াইফ অব আজমল হক অবশ্যই ভারতের একজন বৈধ নাগরিক!”

“আমাদের গ্রামেই তো অন্তত চল্লিশজেনের বিরুদ্ধে এরকম বিদেশি বলে নোটিশ এসেছে। কিন্তু আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি – চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে পারি তারা সবাই নিজেদেরকে ভারতীয় বলে প্রমাণ করতে পারবে”, খুব আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলেন আজমল হক।

আগামী ১৩ অক্টোবর ট্রাইব্যুনালে গিয়ে ভারতের এই প্রাক্তন সেনা নিজের নাগরিকত্ব হয়তো প্রমাণ করতে পারবেন – কিন্তু ঠিকঠাক কাগজপত্র না-থাকা আসামের লক্ষ লক্ষ বাঙালি মুসলিম কিছুতেই ততটা আশাবাদী হতে পারছেন না।
সূত্র : বিবিসি বাংলা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest