সর্বশেষ সংবাদ-
দেবহাটায় জাতীয় প্রাণি সম্পদ সপ্তাহ ও প্রাণি সম্পদ প্রদর্শনীর উদ্বোধনসাতক্ষীরায় জাতীয় দৈনিক রুপালী বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনসাতক্ষীরার মিঠু খানের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করল বিএনপিকালিগঞ্জে পুকুরের পানিতে দুই শিশুর মৃত্যুদেবহাটায় ৪০ জন উপকার ভোগীর মাঝে ছাগল বিতরণদেবহাটার সরকারি কর্মকর্তা-সুধীজনদের সাথে ডিসির মতবিনিময়সাতক্ষীরার ১৮৫টি ভোটকেন্দ্রের স্কুল সংস্কারে বরাদ্দ প্রায় ৬৪ লাখ টাকাসাতক্ষীরা জেলা রোভারের ৪১ তম কোর্স ফর রোভারমেট এর মহাতাঁবু জলসাশ্যামনগরে বুনো শাকের রান্না প্রতিযোগিতাসাতক্ষীরায় দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে রাস্তা সংস্কার কার্যক্রমের উদ্বোধন

কেমন আছে আমাদের সাতক্ষীরার সেই মুক্তামনি?

অনলাইন ডেস্ক : বিরল রোগে আক্রান্ত সাতক্ষীরার শিশু মুক্তামনিকে ২ মাস ২০ দিন আগে ভর্তি করানো হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) বার্ণ ইউনিটে। এখন কেমন আছে মুক্তামনি?

হাসপাতালে গিয়ে এই প্রতিনিধির সঙ্গে কথা হয় মুক্তামনির। মুক্তামনি বলে, আগের থেকে ভালো আছি কিন্তু কতোটা ভালো আছি তা বলতে পারবো না। হাসপাতালে থাকতে কার ভালো লাগে। একটা রুমের মধ্যে আটকা আছি। একটু খেলতে পারি না, ভালো লাগে না এই ভাবে। আল্লাহর কাছে দোয়া কইরেন আমি যাতে ভালো হইয়া যাই।

মুক্তার বাবা জানান, মেয়ের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য আজ ২মাস ২০দিন ধরে হাসপাতালে পরে আছি। হাসপাতালে কি কেউ এমনি থাকতে চায়। খুব কষ্ট লাগে কিন্তু কিছুই করার নাই। আজ মঙ্গলবার মুক্তা মনির হাতে চামড়া লাগাবে। মুক্তার ড্রেসিং করানোর সময় দুই ব্যাগ করে রক্ত লাগে। মানুষের সহযোগিতায় রক্তের কোন অভাব হয় নাই। আমি কৃতজ্ঞ যে আমাকে সবাই অনেক সহযোগিতা করেছে এবং বর্তমানেও করছে।

কোন ধরনের অসুবিধায় রয়েছে কিনা জানতে চাইলে মুক্তার বাবা ইব্রাহীম হোসেন জানান, গত সপ্তাহে ড্রেসিং করানোর সময়, দুই ব্যাগ রক্ত দরকার ছিল। তখন গাবতলী থেকে রাত ১০টায় দুই জন মানুষ এসে রক্ত দিতে চায় কিন্তু ঢাকা মেডিকেল ব্লাড ব্যাংক আমাকে সহযোগিতা করে নাই। আমার সাথে অনেক খারাপ ব্যবহার করে।
আমি ৪ বার তাদের কাছে অনেক অনুরোধ করি কিন্তু তারা শুনে নাই আমার কথা। মেয়ের সুস্থতার জন্য আমি এইখানে পরে আছি। যত দুঃখ পাইনা কেন আমি থাকব। দিন শেষে মেয়েটার মুখে তাকালে সব কষ্ট চলে যায়।

দেশবাসীর কাছে আমার একমাত্র চাওয়া সবাই যেন আমার অসুস্থ মেয়েটার মুখের দিকে তাকিয়ে নামাজান্তে আমার এই ছোট্ট মেয়েটার জন্য দোয়া করে। আমি যেন আমার মেয়েটাকে আবারও সুস্থ ও স্বাভাবিকভাবে ফিরে পাই। এটাই আমার একমাত্র চাওয়া।

ঢাকা মেডিকেলের চিকিৎসকদের প্রতি আস্থা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ডা. সামন্ত লাল তাদের মেয়ের চিকিৎসার সব দায়িত্ব নিয়েছেন। আমি আমার মেয়েকে নিয়ে ঢাকা মেডিকেলে আসার পর এখানকার ডাক্তাররা খুবই আগ্রহ নিয়ে আমার মেয়েকে দেখছেন। ডা. সামন্ত লাল সেন আমারে খুবই আশ্বাস দিয়েছেন এবং বলেছেন আমার বাচ্চা ভালো হয়ে যাবে।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ব্রয়লার মুরগি খেলে হতে পারে ক্যান্সার

একাধিক গবেষণায় একথা প্রমাণিত হয়েছে যে ব্রয়লার মুরগি শরীরের পক্ষে একেবারেই ভালো নয়। আসলে যেভাবে ব্রয়লার মুরগিদের বড় করা হয়, তা একেবারেই সঠিক পদ্ধতি নয়।

সর্বোপরি, বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির তোয়াক্কা না করেই তাদের ব্রিড করানো হয়, যার সরাসরি প্রভাব পড়ে আমাদের শরীরের উপর। মুরগি মোটাসোটা হবে তো তা থেকে বেশি মাংস পাওয়া যাবে, ফলে লাভ হবে বেশি। এই লোভে যেভাবে মুরগিদের মোটা করা হয় তা একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয়। তাই সাবধান!
আসুন জেনে নেওয়া যাক ব্রয়লার মুরগীর বিপদগুলো…

ব্রয়লার মুরগির বাচ্চা মাত্র পাঁচ সপ্তাহেই প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে যায়! মাত্র এক কেজি আটশো গ্রাম ম্যাশ খাওয়ালেই এক কেজির নিট মাংস! দুই কেজি ওজনের মুরগি জবাইয়ের আগে ম্যাশ খাচ্ছে মাত্র তিন কেজি ছয়শো গ্রাম! রহস্যটা কী? ম্যাশের সঙ্গে মেশানো হচ্ছে ভিটামিন, ক্যালসিয়াম। ইনজেকশন পুশ করে দেওয়া হচ্ছে অ্যান্টিবায়োটিক। চড়চড় করে বড় হচ্ছে মুরগি, হু হু করে বাড়ছে ওজন। এই ব্রয়লারের মুরগিই বিক্রি হচ্ছে বাজারে। তারপর চেটেপুটে খাচ্ছি আমরা।

কিন্তু জানি কি, পিছনে লুকিয়ে রয়েছে কী ভয়ঙ্কর বিপদ? সাম্প্রতিক একটি গবেষণা বলছে, পোলট্রির মুরগি খেলে একাধিক অ্যান্টিবায়োটিক আর কাজ করবে না আমাদের শরীরে।

-রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাই ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যাবে। ছোটখাটো পেটের রোগ, গ্যাস, অম্বল, সর্দিকাশি, ইনফেকশনের ক্ষেত্রেও অ্যান্টিবায়োটিক আর কাজ করবে না। ফলে রোগ সারাতে উচ্চমাত্রার অ্যান্টিবায়োটিকের সাহায্য নিতে হবে ডাক্তারদের। যে অ্যান্টিবায়োটিকের একাধিক কুপ্রভাব পড়বে আমাদের শরীরে।

-কাঁচা মাংসে প্রচুর মাত্রায় ব্যাকটেরিয়া থাকে। আর দোকানে যেভাবে একাধিক মুরগিকে এক সঙ্গে রাখা হয় তাতে দু-পাঁচটার শরীরে সেই ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াগুলি প্রবেশ করে না যাওয়াটা কোনও অস্বাভাবিক নয়। আর এমনটা যে হয় না, সে কথা কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারে কি? শুধু তাই নয়, যখন মুরগী কাটা হয় তখনও জীবিত মুরগির শরীর থেকে কাঁচা মাংসে ব্যাকটেরিয়া চলে যাওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। আর এই জীবাণু যদি আমাদের শরীরে প্রবেশ করে তাহলে আর রক্ষা নেই।

-কয়েকজন বিশেষজ্ঞের মতো মাত্রাতিরিক্ত ব্রয়েলার মুরগি খেলে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধা পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও বৃদ্ধি পায়। তবে এই যুক্তির স্বপক্ষে এখন পর্যন্ত কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

-ব্রয়লার চিকেন খেলে ফুড পয়জনিং হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। একাধিক গবেষণয়া দেখা গেছে প্রায় ৬৭ শতাংশ ব্রয়েলার মুরগির শরীরে ই-কোলাই ব্যাকটেরিয়া থাকে, যা কোনও ভাবেই কিন্তু আমাদের শরীরের জন্য ভালো নয়।

-বাজার থেকে ব্রয়লার মুরগির মাংস কিনে কখনই বাকি খাবার বা সবজির সঙ্গে সেটি রাখবেন না। শুধু তাই নয়, যে ছুরি দিয়ে মাংসটা কাটবেন তা দিয়ে ওই সময় সবজি কাটবেন না। আর যে প্লেটে কাঁচা মাংসটা রাখবেন তা ভালো করে ধুয়ে নিয়ে তবেই অন্য় কাজে লাগাবেন। যেমনটা আগেও বলেছি কাঁচা মাংসে অনেক সময়ই ব্যাকটেরিয়া থাকে। এই নিয়মটা মানলে সেই জীবাণু বাকি খাবারে ছড়িয়ে যাওরা সুযোগ পায় না। ফলে শরীর খারাপ হওয়ার আশঙ্কা কিছুটা হলেও কমে।

দেশি মুরগি কি ক্ষতিকারক নয়?
একেবারেই না। কারণ কি জানেন? দেশি মুরগি একেবারে প্রকৃতির নিয়ম মেনে বড় হয়। ফলে ব্রয়লার মুরগির মতো তাদের শরীরে কোনও কেমিকেলের উপস্থিতি যেমন পরিলক্ষিত হয় না, তেমনি দেশি মুরগি অনেকাংশেই ব্যাকটেরিয়া মুক্ত হয়। ফলে তা থেকে আমাদের শরীর খারাপ হওয়ার আশঙ্কা থাকে না।

সূত্র: বোল্ডস্কাই

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ভারতে এবার নিম্নবর্ণের হিন্দু যুবককে পিটিয়ে মারল উচ্চ বর্ণের লোকজন

অনলাইন ডেস্ক : ভারতের গুজরাটে নবরাত্রি উৎসবের সময় যে নাচের অনুষ্ঠান হয়, সেখানে যাওয়ার পর উচ্চবর্ণের প্যাটেল সম্প্রদায়ের লোকজন এক দলিত বা তথাকথিত নিম্নবর্ণের যুবককে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে।

পুলিশ বলছে, আনন্দ জেলার ওই ঘটনায় জয়েশ সোলাঙ্কিকে রবিবার ভোররাতে তার গ্রামেরই প্যাটেল সম্প্রদায়ের কিছু লোক একসঙ্গে মিলে মারধর করেছিল। তবে এখন অভিযুক্ত মোট আটজনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে।

গুজরাটের পরিস্থিতি সম্পর্কে যারা ওয়াকিবহাল, তারা বলছেন উত্তর ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের মতোই সেখানেও দলিতদের ওপর আক্রমণের ঘটনা প্রায়শই ঘটে থাকে – যদিও সংবাদমাধ্যমে সে সব ঘটনা তেমন গুরুত্ব পায় না।

গুজরাটে নবরাত্রির সময় গারভা নৃত্যানুষ্ঠান প্রায় প্রতিটি পাড়া বা মহল্লায় খুব জনপ্রিয় – আর আনন্দ জেলার ভাদরানিয়া গ্রামের স্থানীয় মন্দিরে এমনই একটি গারভা দেখতে গিয়েছিলেন একুশ বছরের যুবক জয়েশ সোলাঙ্কি।

সেখানে জাতপাত নিয়ে প্যাটেল সম্প্রদায়ের কিছু লোকজনের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। আর তারা একসঙ্গে মিলে তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে।

ওই নিহত যুবকের এক ভাতিজা বলছিলেন, “সঞ্জয় প্যাটেল ওরফে ভিমোর নেতৃত্বে একদল ছেলে আমার চাচাকে জিজ্ঞেস করে, আমরা গারভায় কী করছি, কী দেখতে এসেছি। বলেই তারা তাকে চড়-থাপ্পড় মারতে থাকে, তারপর বলে আমাদের গারভায় আমার কোনও অধিকার নেই।”

“শেষে মারতে মারতে তাকে একেবারে আধমরা করে ফেলে দিয়ে যায় – একটু পরে ওকে হাসপাতালে নিয়ে যেতেই বলা হয় সব শেষ।”

রবিবার ভোর চারটের পর ঘটা ওই ঘটনায় নিহতের মাথা বারবার সজোরে দেওয়ালে ঠুকে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ – তার শরীরেও নানা স্থানে মিলেছে গভীর ক্ষতচিহ্ন।
আনন্দ জেলার পুলিশ সুপার সৌরভ সিং জানান, অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তারা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছেন।
তিনি বলেন, “আমরা ইতিমধ্যেই ডিএসপি পদমর্যাদার এক কর্মকর্তার নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। মারধরে অভিযুক্ত আটজনকেই গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে। আরও কেউ জড়িত ছিল কি না সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। খুব দ্রুতই আমরা এই ঘটনায় চার্জশিট পেশ করব।”

ভারতে যিনি জাতির জনকের মর্যাদা পান, অহিংসার পূজারী সেই মোহনদাস গান্ধীর জন্মজয়ন্তীর প্রাক্কালে তার নিজের রাজ্য গুজরাটের এই ঘটনা রাজ্যের মাথা হেঁট করে দিয়েছে বলেই মনে করছেন সেখানকার বিদগ্ধ সমাজ।

গুজরাটের সাবেক তথ্য কমিশনার শৈলেশ গান্ধীর কথায়, “একটা চরম অসহিষ্ণুতা ও ঔদ্ধত্যের বাতাবরণ সর্বত্র ছেয়ে আছে – সরকার যদি এখনই এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না-নেয় তাহলে এমন ঘটনা আরও ঘটবে। আমি প্রধানমন্ত্রীকে বলব, স্বচ্ছ ভারত অভিযানের পাশাপাশি তিনি যেন দেশকে হিংসামুক্ত করার অভিযানেও নামেন।”

আসলে গারভার মতো একটা সামাজিক উৎসব, যেখানে নবরাত্রি উদযাপন করা হয় ও সমাজের সব শ্রেণীর লোক যোগ দিয়ে থাকে – সেখানেই এই ঘটনাটা ঘটা খুব দু:খজনক, বলছিলেন অনন্যা দাস।
কিন্তু বিহার-উত্তরপ্রদেশে যেমন দলিতদের ওপর হামলার খবর প্রায়ই শোনা যায়, গুজরাটও কিন্তু সে দিক থেকে একেবারে পিছিয়ে নেই।
অনন্যা দাস বলছিলেন, “গুজরাটেও দলিতদের সংখ্যা প্রচুর – আর তাদের ওপর হামলার ঘটনাও হামেশাই ঘটে থাকে। দলিতরা সাধারণত লোকের বাড়িতে কাজকর্ম, শৌচাগার বা শহরের সাফাই এই জাতীয় ছোটখাটো কাজকর্ম করে থাকেন – কিন্তু তাদের ওপর হামলা হলেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রে জাতীয় সংবাদমাধ্যমে তা নিয়ে কোনও হইচই হয় না!”
গুজরাটে বিধানসভার ভোট এ বছরের শেষ দিকেই – তার আগে উচ্চবর্ণের লোকজনের হাতে দলিত যুবককে পিটিয়ে মারার ঘটনায় রাজ্য রাজনীতিও উত্তপ্ত হয়ে উঠবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা বাড়ায় লবণ

যতবার আমরা আলাদা করে লবণ খাই, ততবারই দ্বিগুণ হারে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা বাড়তে থাকে। তাহলে এবার দেখেই নিন কত মারাত্মক ক্ষতিটাই না আপনি করে ফেলেছেন হার্টের। এবার থেকে খাবারে লবণের পরিমাণ কমান। সেই সঙ্গে কাঁচা লবণ খাওয়ার অভ্যাসকে চিরদিনের জন্য বিদায় জানান।

একাধিক কেস স্টাডির পর এ বিষয়ে চিকিৎসকেরা নিশ্চিত হয়েছে যে, যারা প্রতিদিন ১৩.৭ গ্রাম লবন খেয়ে থাকেন, তাদের হার্টে অ্যাটাকের আশঙ্কা সাধারণ মানুষদের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ হারে বেড়ে যায়। শুধু তাই নয়, খাবারে লবণের পরিমাণ বাড়তে থাকলে শরীরে আরও অনেক ধরনের ক্ষতি হয়ে থাকে।

১) রক্তচাপ বৃদ্ধি পায়ঃ
দীর্ঘদিন ধরে বেশি মাত্রায় লবণ খেয়ে এক সময় ব্লাড প্রেসার বাড়ার আশঙ্কা মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পায়। আর ব্লাড প্রেসার মাত্রা ছাড়ালে হার্ট এবং মস্তিষ্কের উপর মারাত্মক চাপ পড়তে শুরু করে। ফলে হঠাৎ করে হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়।

২) স্টমাক ক্যান্সার দেখা দেয়ঃ
বিশ্বে প্রতি বছর যত সংখ্যক মানুষ স্টমাক ক্যান্সার আক্রান্ত হন, তাদের মধ্যে বেশিরভাগের অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার বদ-অভ্যাস রয়েছে। আসলে বেশি মাত্রায় লবণ খেলে স্টমাকের আবরণ নষ্ট হতে শুরু করে। সেই সঙ্গে এইচ.পাইলোরি নামে একটি ব্যাকটেরিয়ার প্রকোপ বাড়তে থাকে। এই ব্যাকটেরিয়াটি স্টমাক আলসারের পথ প্রশস্ত করে, যা পরবর্তি সময় স্টমাক ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ায়।

৩) কিডনি খারাপ হতে শুরু করেঃ
শরীরে ইলোকট্রোলাইটসের মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে লবণ কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। কিন্তু তাই বলে বেশি মাত্রায় লবণ খাওয়া একেবারেই চলবে না। কারণ যত বেশি করে লবণ আমাদের শরীরে প্রবেশ করবে, তত কিডনির কর্মক্ষমতা কমে যেতে শুরু করবে। সেই সঙ্গে বাড়বে রক্তচাপও, যা যে কোনও মানুষকে ধীরে ধীরে শেষ করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট।

৪) ওজন বৃদ্ধি করেঃ
লবণ ওজন বৃদ্ধির পথকে প্রশস্ত করে থাকে। বেশি মাত্রায় লবণ খেলে বা অতিরিক্ত লবণ দিয়ে বানানো খাবার খেলে পানির তৃষ্ণা বেড়ে যায়। ফলে অতিরিক্ত মাত্রায় জল এবং কোল্ড ড্রিংক খাওয়ার প্রবণতা দেখা দেয়। অতিরিক্ত মাত্রায় কোল্ড ড্রিঙ্ক খেলে শরীরে ক্যালরির মাত্রা বাড়তে থাকে। ফলে স্বাভাবিকবাবেই বৃদ্ধি পায় ওজন।

৫) হাড় দুর্বল করেঃ
শরীরে লবণের মাত্রা যত বাড়বে, তত পানির পিপাসা পাবে। আর পানি বেশি করে খেলে প্রস্রাবও বেশি করে হবে। ফলে শরীর থেকে ক্যালসিয়াম বেরিয়ে যেতে শুরু করবে মাত্রাতিরিক্ত পরিমাণে। আর এমনটা হলেই ধীরে ধীরে হাড় দুর্বল হয়ে গিয়ে দেখা দেবে অস্টিওপোরোসিসের মতো রোগ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি হলেন ওয়াহাব মিঞা

প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা এক মাসের ছুটিতে যাওয়ায় আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহাব মিঞাকে অস্থায়ী তথা ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি করে রাতেই গেজেট প্রকাশ করেছে আইন মন্ত্রণালয়।

সোমবার (২ অক্টোবর) দিবাগত রাতে সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হক।

জানা যায়, এক মাসের ছুটি কথা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বরাবর চিঠি পাঠান প্রধান বিচারপতি। ওই চিঠির প্রেক্ষিতেই এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

আবদুল ওয়াহাব মিঞার জীবনী:

বিচারপতি আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা ১৯৫১ সালের ১১ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৬ সালে তিনি সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। ১৯৯৯ সালের ২৪ অক্টোবর তিনি হাইকোর্ট বিভাগে অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে দায়িত্ব নেন। পরে ২০০১ সালের ২৪শে অক্টোবর হাইকোর্ট বিভাগে স্থায়ী বিচারক হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন আবদুল ওয়াহাব মিঞা। এরপর ২০১১ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি তিনি আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়ে বর্তমানে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
‘রোহিঙ্গা গণহত্যার পেছনে রয়েছে ইসরাইলের হাত’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর চলমান হত্যা, নির্যাতন ও ধ্বংসযজ্ঞে ইসরাইলের ভূমিকা রয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরাইলি দৈনিক হারেতজ।

দৈনিকটির উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, আমেরিকা ও ইউরোপীয় দেশগুলো যেখানে মিয়ানমার সরকারের কাছে অস্ত্র পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছে সেখানে ইসরাইল রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর হত্যা নির্যাতন চালানোর জন্য মিয়ানমার সেনাবাহিনীকে অস্ত্র সরবরাহ করছে।

জাতিগত শুদ্ধি অভিযানে লিপ্ত সরকারগুলোর কাছে অস্ত্র সরবরাহ করার ক্ষেত্রে তেলআবিবের ভূমিকা সম্পর্কে সাবেক কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে ইসরাইলের এ দৈনিকটি আরো জানিয়েছে, এর আগে ১৯৯০এর দশকে রুয়ান্ডা ও সার্বিয়ার কাছেও অস্ত্র পাঠানো হয়েছিল।

২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে মিয়ানমারের সেনা প্রধান মিন আওং হাইং ইসরাইল সফর করে সেখানকার অস্ত্র নির্মানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেন। পার্সটুডে

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
নাটকীয় ম্যাচে পাকিস্তানকে হারালো শ্রীলংকা

পাকিস্তানকে তিনবার অলআউট করল শ্রীলঙ্কা! প্রথম ইনিংসে একবার, দ্বিতীয় ইনিংসে দুবার! বুঝতেই পারছেন, এর একবার পাকিস্তান অলআউট হয়েও হয়নি। পাকিস্তানের শেষ উইকেট তুলে নিয়ে শ্রীলঙ্কান খেলোয়াড়েরা যখন স্টাম্প উপড়ে উদ্‌যাপন করছেন, তৃতীয় আম্পায়ার জানালেন নো বল! আবারও খেলা শুরু হলো। তবে কি নাটকের নতুন মোড়? না, এবার আর কোনো অ্যান্টি ক্লাইম্যাক্স হলো নয়। নাটকীয় ম্যাচটা শেষ পর্যন্ত মাত্র ২১ রানে জিতে নিল শ্রীলঙ্কা।

টেস্ট ক্রিকেটে ভুতুড়ে একটা দিন গেল সোমবার। পচেফস্ট্রুমে ১৭.১ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। ওদিকে আবুধাবি টেস্টের শেষ দিনে শ্রীলঙ্কা আর পাকিস্তান মিলে হারিয়েছে ১৬ উইকেট! শ্রীলঙ্কাকে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৩৮ রানে অলআউট করে পাকিস্তান ধুঁকছে। ১৩৬ রানের জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে অলআউট হয়েছে ১১৪ রানে। তাতেই দেশের বাইরে ২৫তম টেস্ট জয়ের দেখা পেয়েছে শ্রীলঙ্কা।
মাত্র ৪৩ রানে ৬ উইকেট তুলে নিয়েছেন রঙ্গনা হেরাথ। নবমবারের মতো ম্যাচে ১০ উইকেট। প্রথম বাঁহাতি স্পিনার হিসেবে টেস্টে ৪০০ উইকেটের মাইলফলকও পেরোলেন। ৩ উইকেট নিয়েছেন দিলরুয়ান পেরেরা।
প্রথম ইনিংসে দুই দলই সমানে সমানে জবাব দিচ্ছিল। শ্রীলঙ্কার ৪১৯ রানের জবাবে ৩ রানের লিড নিয়ে পাকিস্তান করেছিল ৪২২। দ্বিতীয় ইনিংসেও দুই দল সমানে সমান জবাব দিচ্ছে। এবার অবশ্য লড়াইটা হচ্ছে বোলারদের। ৪ উইকেটে ৬৯ রান নিয়ে দিন শেষ করা শ্রীলঙ্কা সোমবার অলআউট হয়েছে আরও ঠিক ৬৯ রান যোগ করেই। ৫ উইকেট নিয়েছেন ইয়াসির শাহ।
কিন্তু সহজ লক্ষ্যটা শুরুতেই কঠিন বানিয়ে ফেলে পাকিস্তান। নিয়মিত বিরতিতে হারায় উইকেট। ৩৬ রানে পড়ে যায় ৫ উইকেট। ষষ্ঠ উইকেটে হারিস-সরফরাজ মিলে ৪২ রান যোগ করায় মনে হচ্ছিল পাকিস্তান বুঝি জিতেই যাবে। ৫ উইকেট হাতে রেখে ৫৮ রান দরকার। এমন সময় আবারও পথ হারায় পাকিস্তান। মাত্র ১৬ রানে শেষ ৪ উইকেট পড়েছে তাদের। এর তিনটিই নিয়েছেন হেরাথ।
আর তাতেই সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল শ্রীলঙ্কা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বিতর্কিত জান্নাতুলের পরিবর্তে জেসিয়াই হবেন ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’?

অনলাইন ডেস্ক : ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতায় প্রথম রানার আপ জেসিয়া ইসলাম ও চ্যাম্পিয়ন জান্নাতুল নাঈম তথ্য গোপন করে সমালোচনার মুখে পড়ে মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশের মুকুট হারাতে হতে পারে চট্টগ্রামের মেয়ে জান্নাতুল নাঈমকে। আয়োজক ও বিচারকদের সঙ্গে কথা বলে তেমন আভাস পাওয়া গেছে। তাঁরা জানান, বিশ্বসুন্দরী প্রতিযোগিতার নিয়মানুযায়ী প্রথম রানারআপ জেসিয়া ইসলামই ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

২৯ সেপ্টেম্বর রাজধানীর বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের নবরাত্রি হলে জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশের নাম ঘোষণা করা হয়। সেদিন মঞ্চে মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ জান্নাতুল সুমাইয়ার নাম ঘোষণা করেন উপস্থাপক শিনা চৌহান। এরপর আয়োজকের পক্ষ থেকে অন্তর শোবিজের চেয়ারম্যান স্বপন চৌধুরী মঞ্চে এসে জান্নাতুল নাঈমের নাম ঘোষণা করেন। এরপর পুরো বিষয়টি নিয়ে বিচারক আর দর্শকেরা আয়োজকদের ভূমিকার সমালোচনা করেন। অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও চ্যাম্পিয়ন জান্নাতুল নাঈমকে নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা তৈরি হয়।

‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’-এর আয়োজক প্রতিষ্ঠান অন্তর শোবিজের চেয়ারম্যান স্বপন চৌধুরী গতকাল সোমবার বিকেলে বলেন, ‘এভ্রিলকে (জান্নাতুল নাঈম) নিয়ে অনেক কথা আমাদের কানে এসেছে। বিয়ের খবরটাও শুনেছি। আমরা টাইম টু টাইম সব তথ্য চীনে বিশ্বসুন্দরী প্রতিযোগিতার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে পাঠাচ্ছি। এরই মধ্যে আমরা বিচারকদের সঙ্গেও যোগাযোগের চেষ্টা করছি। সবার সঙ্গে আলাপ করে বিশ্বসুন্দরী প্রতিযোগিতার নিয়ম অনুযায়ী যা হওয়ার, সে সিদ্ধান্তই নেব। এ বিষয়ে আগামীকাল বুধবার বিচারকদের উপস্থিতিতে সংবাদ সম্মেলন করে সবকিছু জানিয়ে দেব।’

অনুষ্ঠানের অন্যতম বিচারক শম্পা রেজা বলেন, ‘আমরা নম্বর দিয়ে যাঁকে সেরা বানিয়েছিলাম, ঘটনাচক্রে সে-ই এখন চ্যাম্পিয়ন হবে। একেই বলে ভাগ্যের নির্মম পরিহাস। শুনলাম, এভ্রিলের বিয়ের ছবি আর অনুষ্ঠানের একটি ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে। যত দূর জানি, বিশ্বসুন্দরী প্রতিযোগিতায় কোনো বিবাহিত কিংবা সন্তানের মা অংশ নিতে পারেন না। তথ্য গোপন করার অপরাধে এখন যাঁকে চ্যাম্পিয়ন নির্বাচিত করা হয়েছে, তা বাতিল হয়ে যাবে। সে হিসেবে জেসিয়া ইসলামই হবেন মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ।’

‘মিস ওয়ার্ল্ড’ প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে গত জুলাই মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে সংবাদ সম্মেলন করে হয়। আয়োজক প্রতিষ্ঠান অন্তর শোবিজের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার জন্য প্রাথমিকভাবে প্রায় ২৫ হাজার আগ্রহী নাম নিবন্ধন করেন। তাঁদের মধ্য থেকে কয়েকটি ধাপে বাছাই করা হয়েছে সেরা ১০ জনকে। এই ১০ জন হলেন রুকাইয়া জাহান, জান্নাতুল নাঈম, জারা মিতু, সাদিয়া ইমান, তৌহিদা তাসনিম, মিফতাহুল জান্নাত, সঞ্চিতা দত্ত, ফারহানা জামান, জান্নাতুল হিমি ও জেসিয়া ইসলাম। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারের নবরাত্রী হলে এ প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফিনালেতে অংশ নেন তাঁরা। যিনি সেরা হবেন, তিনি ১৮ নভেম্বর চীনের সানাইয়া শহরে অনুষ্ঠেয় ৬৭তম মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ থেকে অংশ নেবেন।

‘লাভেলো মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফিনালের বিচারক ছিলেন জুয়েল আইচ, শম্পা রেজা, বিবি রাসেল, চঞ্চল মাহমুদ, রুবাবা দৌলা ও সোনিয়া বশির কবির। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন শিনা চৌহান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest