সর্বশেষ সংবাদ-
কালিগঞ্জে পুকুরের পানিতে দুই শিশুর মৃত্যুদেবহাটায় ৪০ জন উপকার ভোগীর মাঝে ছাগল বিতরণদেবহাটার সরকারি কর্মকর্তা-সুধীজনদের সাথে ডিসির মতবিনিময়সাতক্ষীরার ১৮৫টি ভোটকেন্দ্রের স্কুল সংস্কারে বরাদ্দ প্রায় ৬৪ লাখ টাকাসাতক্ষীরা জেলা রোভারের ৪১ তম কোর্স ফর রোভারমেট এর মহাতাঁবু জলসাশ্যামনগরে বুনো শাকের রান্না প্রতিযোগিতাসাতক্ষীরায় দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে রাস্তা সংস্কার কার্যক্রমের উদ্বোধনতারেক রহমানের জন্মদিনে সাতক্ষীরায় শিক্ষার্থীদের মাঝে ছাত্রদলের শিক্ষা উপকরণ বিতরণদেবহাটায় উপজেলা মাসিক আইনশৃঙ্খলা ও উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভামহেশ্বরকাটি বাজারে বিএনপির প্রার্থী কাজী আলাউদ্দিনের লিফলেট বিতরণ

সন্তানের পিতৃত্বের পরিচয় দাবিতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছে দেবহাটার প্রতিবন্ধী আছিয়া

ডেস্ক রিপোর্ট : আড়াই বছরের মেয়ে মাহীর পিতৃত্বের পরিচয় দাবিতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী কুমারী মাতা আছিয়া খাতুন। কিন্তু প্রভাবশালীদের লালসার শিকার আছিয়া আড়াই বছরেও কোন কূল কিনারা পায়নি।
অবশেষে শুক্রবার দুপুরে সাতক্ষীরায় এসে সাংবাদিকদের দ্বারস্থ হন আছিয়ার পরিবার।
প্রতিবন্ধী আছিয়া খাতুন সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার আজিজপুর গ্রামের মোমিন গাজীর মেয়ে।
আবেগ আপ্লুত হয়ে কান্নাজড়িত কণ্ঠে আছিয়া খাতুনের মা মছিরন জানান, ২০১৪ সালের ২৩ মে প্রতিবেশী নানী ফাতেমা খাতুন তার প্রতিবন্ধী মেয়ে আছিয়াকে নিয়ে একই গ্রামের মোকছেদ আলির বাড়িতে যায়। পরে ফাতেমা খাতুন মোকছেদ আলি ও আছিয়াকে কৌশলে একটি ঘরে ঢুকিয়ে দিয়ে বাইরে থেকে দরজায় শিকল লাগিয়ে দেন। এ সময় মোকছেদ আলি জোর করে আছিয়ার ওপর পাশবিক নির্যাতন চালায়। এর কিছুদিন পর তার শারীরিক পরিবর্তন দেখা দিলে ডাক্তারি রিপোর্টে জানা যায় আছিয়া অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে।
তিনি আরও জানান, ওর বাবা বিষয়টি অভিযোগ আকারে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বরকে জানান। পরে মেম্বর আজগর আলির নেতৃত্বে প্রতিবেশী মোজাম্মেল হক, আমির আলি ও আবদুল হামিদের উপস্থিতিতে এক সালিশ বৈঠকে ধর্ষক মোকছেদ আলিকে দোষী সাব্যস্ত করে তাকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
জরিমানার ৫০ হাজার টাকা সালিশদার আবদুল হামিদ গ্রহণ করেন। সালিশের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, একই সাথে তার গর্ভপাত করানোর জন্য চাপ প্রয়োগ করা হয়। কিন্তু আছিয়া, আছিয়ার বাবা ও মা তাতে অসম্মতি জানান।
পরে আছিয়ার মামা সামজেদ হোসেন সাজু দেবহাটা থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মেজবাহউদ্দিন মামলাটির চার্জশিট দেন। এতে ধর্ষক মোকছেদ আলি ও সহযোগিতাকারী ফাতেমা খাতুনকে অভিযুক্ত করা হয়। পুলিশ ফাতেমাকে গ্রেফতার করে। ফাতেমা খাতুন তার জবানবন্দিতে ধর্ষণের ঘটনা তুলে ধরে স্বীকারোক্তি দেন।
প্রতিবন্ধী আছিয়ার মামা ও মামলার বাদী সামজেদ হোসেন জানান, আসামিপক্ষের আবেদন অনুযায়ী ধর্ষিতা ও শিশু মাহীর রক্ত ডিএনএ টেস্টে পাঠানো হয়।
তিনি জানান, ডিএনএ টেস্টে নিগেটিভ রিপোর্ট আসায় আছিয়ার মেয়ের পিতৃত্বের দাবি ঝুলে যায়। এর ফলে দুই আসামিই খালাস হয়ে যায়।
আছিয়ার মামা অভিযোগ করে বলেন, মোকছেদ আলি রিপোর্ট প্রভাবিত করতে ডিএনএ টেস্টের জন্য নেওয়ার রক্তের স্যাম্পল পরিবর্তন করে অন্যের রক্ত পাঠায়। এজন্য প্রচুর টাকা খরচ করেছে সে। আমি এই রিপোর্টে নারাজি দিয়েছি। দ্বিতীয় দফায় ডিএনএ টেস্টের জন্য নিয়ম অনুযায়ী রক্ত দিয়েছে আছিয়া, তার মেয়ে মাহী ও আসামি মোকছেদ আলি। এখন পর্যন্ত এই রিপোর্ট সাতক্ষীরা আদালতে পৌঁছায়নি।
আছিয়ার অভিযোগ, প্রথমে সালিশের নামে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। দ্বিতীয় দফায় ডিএনএ টেস্টে জাল জালিয়াতি করা হয়েছে। আমি আমার মাহী পিতৃত্বের পরিচয় চাই।
পিতৃত্বের সঠিক পরিচয় নির্ধারণে এবারও এমন কোনো ঘটনা ঘটবে না তো- এই প্রশ্ন রেখেছেন প্রতিবন্ধী আছিয়া খাতুন।
এ ব্যাপারে দেবহাটা সদর ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বর আজগার আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি আমরা জানি। মাহীর পিতৃত্বের পরিচয় দরকার। স্থানীয়ভাবে আমরা চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছি। মোকছেদ আলি তখন বিষয়টি স্বীকার করলেও টাকার জোরে সে এখন অস্বীকার করছে। তার শাস্তি হওয়া উচিত।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শ্যামনগরে মন্ত্রী পরিষদ সচিব শফিউল আলম তালবীজ রোপণ কর্মসূচি উদ্বোধন করলেন

মোস্তাফ কামালঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুশাসন বাস্তবায়ে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত সারাদেশের ন্যায় সাতক্ষীরার শ্যামনগরে বজ্রপাত নিরোধক তাল বীজ রোপন কর্মসূচী উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০ টায় সুন্দরবন উপকুলীয় বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন রাস্তার পার্শ্বে কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রী পরিষদ সচিব মোঃ শফিউল আলম। এসময়ে খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মোঃ লোকমান হোসেন, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মোঃ মহিউদ্দীন, সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মোঃ আলতাফ হোসেন, শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ কামরুজজমান,উপজেলা চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) মহসিন উল-মুলক সহ সরকারী কর্মকর্তা বৃন্দ, জনপ্রতিনিধিগণ ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। শ্যামনগর উপজেলা প্রশাসনের বাস্তবায়নের এবং বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন পরিষদের আয়োজনে সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন বুড়িগোয়ালিনী ইউপি চেয়ারম্যান ভবতোষ মন্ডল। মন্ত্রী পরিষদ সচিব মোঃ শফিউল আলম তাল বীজ রোপন কর্মসূচী উদ্বোধন শেষে মুন্সীগঞ্জ কলবাড়ীর আকাশলীনা পরিদর্শন করেন। এসময় সাতক্ষীরা ৪ আসনের এম,পি এস,এম জগলুল হায়দার ও শ্যামনগর উপজেলা প্রেসক্লাব সভাপতি জি,এম আকবর কবীর অতিথিদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। পরবর্তীতে অতিথি বর্গ আকাশলীণা পরিদর্শন শেষে সুন্দরবনে কলা গাছিয়ায় বন টহল ফাঁড়িতে পরিদর্শন করেন। একই সাথে শ্যামনগরের ১২ টি ইউনিয়নে তাল বীজ রোপন কর্মসূচী স্ব-স্ব ইউনিয়ন পরিষদ আয়োজন করে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আবারও হাইড্রোজেন বোমা পরীক্ষার হুমকি উ. কোরিয়ার

প্রশান্ত মহাসাগরে শক্তিশালী হাইড্রোজেন বোমার পরীক্ষামূলক বিস্ফোরণ ঘটাবে বলে হুমকি দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির বিপক্ষে সামরিক পদক্ষেপ নেওয়ার হুমকি দিয়ে জাতিসংঘে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভাষণের পরই এ হুমকি দিল উত্তর কোরিয়া।

সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানায়, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে সাংবাদিকদের এ কথা জানান উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রি ইয়ুং হো।

তবে বোমা পরীক্ষার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের ওপরই নির্ভর করছে উল্লেখ করে রি ইয়ুং হো বলেন, ‘এর মানে হলো, প্রশান্ত মহাসাগরে সবচেয়ে শক্তিশালী হাইড্রোজেন বোমার পরীক্ষা চালানো হতে পারে।’

এর আগে গত মঙ্গলবার জাতিসংঘের ভাষণে উত্তর কোরিয়াকে ‘সম্পূর্ণ ধ্বংস’ করে দেওয়ার হুমকি দেন ট্রাম্প। জবাবে কিম বলেন, ট্রাম্পের এ ধরনের হুমকির চড়া মূল্য দিতে হবে।

জাতিসংঘে ট্রাম্প হুমকি দিয়ে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র যদি নিজেকে বা মিত্রদের রক্ষা করতে বাধ্য হয়, আমাদের সামনে উত্তর কোরিয়াকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করা ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না। উত্তর কোরিয়া সম্প্রতি পরমাণু বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে, যা জাতিসংঘ নীতিমালার পরিপন্থী।’

এদিকে, গতকাল বৃহস্পতিবার উত্তর কোরিয়ার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন ট্রাম্প।

সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে একের পর এক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের কারণে যুক্তরাষ্ট্র এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। একই সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্রের উন্নয়ন কর্মসূচিতে অর্থের উৎস বন্ধ রাখতেও এ নিষেধাজ্ঞা কাজ করবে। এর ফলে উত্তর কোরিয়ার পোশাকশিল্প, মৎস্য, তথ্যপ্রযুক্তিসহ বিভিন্ন উৎপাদনমুখী কারখানা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

এ বিষয়ে ট্রাম্প জানান, চীনের সেন্ট্রাল ব্যাংক ও অন্যান্য ব্যাংককে পিয়ংইয়ংয়ের (উত্তর কোরিয়ার রাজধানী) সঙ্গে ব্যবসা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আন্তর্জাতিক গণআদালতের রায়- রোহিঙ্গা গণহত্যায় দায়ী সু চি ও মিয়ানমারের সেনা

মিয়ানমারে রোহিঙ্গা ও অন্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন ও গণহত্যার দায়ে মিয়ানমার সরকারকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন আন্তর্জাতিক গণআদালত।

স্থানীয় সময় শুক্রবার মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের মালায়া বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রধান বিচারক ড্যানিয়েল ফেইয়ারস্টেইনের নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি বেঞ্চ এ রায় দেন। রোমভিত্তিক এই আদালতের নাম পার্মানেন্ট পিপলস ট্রাইব্যুনাল (পিপিটি)। বিগত শতাব্দীর ষাটের দশকে ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সেখানে ব্যাপক হারে যুদ্ধাপরাধ করে। তখন ব্রিটিশ দার্শনিক বার্ট্রান্ড রাসেল যুদ্ধাপরাধের বিচারের জন্য যে ধারণা দিয়েছিলেন, তার প্রেক্ষাপটেই পিপিটি প্রতিষ্ঠিত। এ আদালত মূলত যুদ্ধাপরাধের শিকার মানুষের ভাষ্য তুলে ধরে বিশ্ব পরিমণ্ডলে।

রায়ে রোহিঙ্গা, কাচিন ও অন্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যকে হত্যার জন্য মিয়ানমার সরকারকে দায়ী করা হয়। এর আগে পাঁচ দিনব্যাপী শুনানিতে দেশটির সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার বিষয়টি প্রমাণিত হয়।

রায়ের ওপর ভিত্তি করে ১৭টি প্রস্তাবনাও দিয়েছেন আন্তর্জাতিক গণআদালত। রায়ের পর প্রস্তাবনাগুলো পড়ে শোনান বিচারক গ্রিল এইচ বোয়েরিংগার। তিনি বলেন, মিয়ানমারে রোহিঙ্গাসহ সংখ্যালঘুদের ওপর নিপীড়নের বিষয়টি তদন্ত করে দেখার জন্য জাতিসংঘের প্রতিনিধিদলকে ভিসা ও অবাধে প্রবেশের সুযোগ দিতে হবে।

প্রস্তাবনায় আরো বলা হয়, মিয়ানমার সরকারকে অবশ্যই দেশটির সংবিধান সংশোধন করতে হবে এবং সংখ্যালঘুদের অধিকার ও নাগরিকত্ব দিতে সব পক্ষপাতমূলক আইন প্রত্যাহার করতে হবে। এ ছাড়া বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মতো যেসব দেশ পালিয়ে যাওয়া রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে, তাদের আর্থিক সাহায্য দিতে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়।

বিচারক গ্রিল এইচ বোয়েরিংগার আরো জানান, শুধু রায় দিয়েই বসে থাকবেন না আদালত। গণহত্যার বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন, রায়ের কপি ও প্রস্তাবনাগুলো বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার কাছে পাঠিয়ে মিয়ানমার সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগের জন্য আহ্বান জানানো হবে।

গত ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন ও গণহত্যা শুরু করে দেশটির সেনাবাহিনী। এর পর থেকে প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে কমপক্ষে চার লাখ ২০ হাজার রোহিঙ্গা।

এদিকে মিয়ানমারের এ ধরনের আচরণে নড়েচড়ে বসে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা। তাদের পক্ষ থেকে এর নিন্দা জানানোসহ রোহিঙ্গা হত্যাকাণ্ড বন্ধের আহ্বান জানানো হয়। কিন্তু এ সেনা অভিযান বন্ধে এখন পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ নেয়নি মিয়ানমার সরকার।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মুক্তি পেল জয়ার ‘খাঁচা’

দেশভাগের গল্প নিয়ে নির্মিত ‘রাজকাহিনী’ ছবিতে জয়া আহসানের অভিনয় প্রশংসিত হয়েছিল। আবারও দেশভাগের গল্পের ছবিতে অভিনয় করেছেন জয়া। তবে এবার বাংলাদেশে, আকরাম খান পরিচালিত ছবিটির নাম ‘খাঁচা’।

প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হকের ‘খাঁচা’ গল্প অবলম্বনে ছবিটি নির্মিত হয়েছে। এখানে জয়ার চরিত্রের নাম ‘সরোজিনী’। ছবিটি আজ সারা দেশের ছয়টি হলে মুক্তি পেয়েছে।

আজ সকাল সাড়ে ১০টার শো রাজধানীর স্টার সিনেপ্লেক্সে দেখেছেন বলে জানান পরিচালক আকরাম খান। এ বিষয়ে আকরাম খান বলেন, ‘হলে পরিপূর্ণ দর্শক ছিল। এটা দেখে অনেক স্বস্তি পেয়েছি। দর্শকের ছবিটি ভালো লাগলে আমাদের কষ্ট সার্থক হবে। ছবিটি দেরিতে মুক্তি পেলেও অনেক ভালো লাগছে।’

‘খাঁচা’ ছবিটি ২০১১-১২ সালে সরকারি অনুদান পায়। ছবিটি প্রযোজনা করেছে ইমপ্রেস টেলিফিল্ম। ২০১৫ সালের শেষের দিকে ছবির কাজ শুরু হয়েছিল। ছবির শুটিং মুন্সীগঞ্জের দোহার, নড়াইলের লোহাগড়ার ইতনা ও নাটোরের বিভিন্ন জায়গায় হয়েছে।

১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর পূর্ববঙ্গের হিন্দু পরিবারের দেশত্যাগের ঘটনা নিয়েই নির্মিত হয়েছে ছবিটি।

অভিনেতা আজাদ আবুল কালাম ও পরিচালক আকরাম খান যৌথভাবে ছবিটির চিত্রনাট্য লিখেছেন। ছবিতে জয়া ছাড়াও বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন মামুনুর রশীদ, আজাদ আবুল কালাম, কায়েস চৌধুরী, রানী সরকার ও শিশুশিল্পী পিদিম।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দেবহাটায় ফ্রি চক্ষু চিকিৎসা শিবির অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ রোটারী ক্লাব অব ঢাকা, রোটারী ক্লাব অব রয়েল সাতক্ষীরা ও সাইসসেভাস এর সার্বিক ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনায় দেবহাটায় ফ্রি চক্ষু চিকিৎসা শিবির অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২১ সেপ্টেম্বর দেবহাটা সৈয়দ মাহবুবর রহমান ডায়াবেটিক এন্ড মেডিকেল সেন্টারে উক্ত ফ্রি চিকিৎসা ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়। ওই দিন সকাল ৯ থেকে দুপুর ২টার পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে এ চিকিৎসা ক্যাম্প চলে। এসময় উপস্থিত ছিলেন রোটারী ক্লাব অব ঢাকার পাস প্রেসিডেন্ট ৩২৮১ এর কোষাধ্যক্ষ ক্যাপটেন খালেকুজ্জামান, রোটারী ক্লাব অব রয়েল সাতক্ষীরার সভাপতি ফারুকুল ইসলাম, মাকসুদ খান, কামরুজ্জামান বুলু, আবু মুসা, সিরাজুল ইসলাম, সুকদেব বিশ্বাস, তানভীর আহমেদ, সোহরাব হোসেন, কমিটির চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান প্রমুুখ। চিকিৎসা ক্যাম্পে ৩৪৭ জন রোগিকে সেবা প্রদান করা হয়। এদের মধ্যে ৩৭ জনের চোখ অপারেশনের জন্য খুলনায় নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মাদ্রাসা সুপারকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় বাদির বাড়ি-ঘর ভাংচুর ও মারপিটের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক : মাদ্রাসা সুপারকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় পুলিশকে আসামী করে মামলা দায়ের করায় মামলার বাদীর বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাট করেছে দুবৃত্তর।
মামলা তুলে না নিলে বাড়ির সবাইকে হত্যা করা হবে বলে হুমকী দেয়া হয়। বৃহস্পতিবার তিনটার দিকে সদরের কাথন্ডা গ্রামের মামলার বাদির বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
এসময় দুর্বৃত্তরা বাদীর বাড়ি-ঘর ভাংচুর,মামাল মাল লুটপাট,কয়েকটি দাবি মোবাইল ছিনিয়ে নেয়া সহ বাদী বজলুর রহমানের ছেলে রাকিবুজ্জামানকে ব্যাপক মারটি করে বলে অভিযোগ। মামলা তুলে না নিলে বাদীর স্ত্রীকে বিধবা, বোনকে পিতা-মাতা হারানো ও ছেলেকে জীবনাশের হুমকী দেয়া হয়।
বাদী বজলুর রহমান জানান,প্রথমে তারা তার বাড়িতে যেয়ে তাকে ডাকা ডাকি করতে থাকে। ঘর থেকে বলা হয় তার বাবা বাড়িতে নেই। এসময় তারা প্রথমে বারান্ডার গিরিল ভাঙ্গে। পরে দরজায় আঘাত করে ঘরে প্রবেশ করে। প্রবেশের পর মামলার বাদীকে না পয়ে তার ছেলে ব্যাপক মারপিট করে। ছেলে বলে আমি অনেক অসুস্থ। আমাকে মারবেন না। তখন দৃবৃর্ত্তরা বলে তোর বাপকে মামলা তুলে নিতে বল নইলে তোকে মেরে ফেলবো। সন্ত্রাসীদের মাথায় হেলমেট ছিল ও তাদের সাথে তিনজন পুলিশ সদস্য ছিল বলে ঘটনায় বাদীর স্ত্রী জানান।
এর আগে গত ১৯ সেপ্টেম্বর সাতক্ষীরায় পুলিশের নির্যাতনে আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসধীন অবস্থায় মাদরাসা সুপারের মৃত্যুর ঘটনায় দুইজন এসআইও চোর পুলিশ অফিসারসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে হত্যা মামলা করে নিহতের ভাই। নিহতের বড় ভাই মো: বজলুর রহমান বাদি হয়ে ২০ সেপ্টেম্বর সাতক্ষীরা আমলি আদালতে (১) মামলা করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্ত পূর্বক ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন।
এঘটনায় সদর থানারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মারুফ আহম্মেদের অফিসিয়াল নম্বারে(০১৭১৩৩৭৪১৪১) যোগাযোগ করলে এ এস আই রুবেল রিসিভ করে বলেন স্যার নাইট ডিউটি করে ৬টার সময় বেডে গেছেন। পরে কথা বলেন। এরপর ওসি তদন্ত আব্দুল হাসেমের সাথে (০১৭১১৯৩০৫১৬) যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ না করা তা সম্ভব হয়নি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দুই প্রেসিডেন্টের স্ত্রী তিনি!

রহস্যময়ী এই নারীর পর্দার আড়ালে নাকি অনেক ক্ষমতা। দাবি করেছেন, ক্ষমতাধর দুটি দেশের প্রভাবশালী দুই প্রেসিডেন্টের স্ত্রী তিনি। পয়সাকড়ির অভাব নেই। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মেয়ে ইভানকা ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ থাকার দাবিও করেন তিনি। বিলাসী জীবনযাপনে অভ্যস্ত এই নারীর মুখোমুখি হতে চেয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট।

মার্কিন দৈনিকের হাতে থাকা অসংখ্য অভিযোগের প্রমাণ উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। ওয়াশিংটন পোস্টের সঙ্গে কথা বলবেন বললেও শেষমেশ তা আর হয়নি। তবে মঙ্গলবার এই নারীকে নিয়ে এক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

মাদাম জিজেল ইয়াজ্জি বলে তিনি পরিচিত। তাঁর আরও অনেক নাম রয়েছে। এসব নাম তিনি বিভিন্ন সময়ে ব্যবহার করেছেন। বিশ্বের অনেক দেশেই বাড়ি ও সম্পদ রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা ও মেরিল্যান্ডেও আছে আলিশান বাড়ি। ৫০ বছর বয়সী এক নারীর দাবি করেছেন, তিনি দুটি দেশের দুই বিখ্যাত প্রেসিডেন্টের স্ত্রী! কিন্তু তাঁদের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়েছে গোপনে। প্রভাবশালী হওয়ায় প্রেসিডেন্ট স্বামীদের ইচ্ছায় তিনি বিয়ের তথ্য চাপা রেখেছেন।

জিজেল ইয়াজ্জির দাবি, মিসরের ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি তাঁর স্বামী! তবে এ খবর আর কেউ জানেন না। তাঁর দাবি, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সিসির ফোনালাপ করিয়ে দিয়েছেন তিনিই। ট্রাম্পের সঙ্গে সিসির সুসম্পর্কের কারণও নাকি তিনি!

জিজেল দৃঢ় গলায় দাবি করেন, ভেনেজুয়েলার প্রয়াত প্রেসিডেন্ট হুগো চাভেজ তাঁর স্বামী ছিলেন! কিন্তু এর কোনো প্রমাণ তিনি দেখাতে পারেননি। ভেনেজুয়েলার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসা-বাণিজ্যেও নাকি তাঁর হাত রয়েছে। ঘানার সাবেক প্রেসিডেন্ট জন কুফুয়োরের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠতা ছিল তাঁর। এ নিয়ে ঘানার বিভিন্ন গণমাধ্যম ও ব্লগে লেখালেখি হয়েছিল।

তবে হুগো চাভেজ ও সিসির সঙ্গে কবে তাঁর বিয়ে হয়েছে, তা জিজেল জানাননি।

জিজেল দাবি করেন, তাঁর জন্ম লেবাননে। তিনি বেড়ে উঠেছেন বিভিন্ন দেশে। যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন, কলম্বিয়া, ভেনেজুয়েলা, কিউবায় তাঁর অবাধ চলাচল। কলম্বিয়ার সামরিক বাহিনীকে অস্ত্র দিতে চেয়েছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত চুক্তি বাতিল হয়।

বিভিন্ন দাবি নিয়ে ধোঁয়াশার মধ্যে চটকদার এক দাবি করেছেন জেজেল। তাঁর দাবি, ট্রাম্পের মেয়ে ইভানকা ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে। ইভানকার কাছে নাকি তাঁর মর্যাদা অনেকটা মায়ের মতোই। শুধু তা-ই নয়, হোয়াইট হাউসে তাঁর বসারও ব্যবস্থা আছে।

হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, জিজেল নামে হোয়াইট হাউসে কেউ কাজ করেন না। জিজেলের অর্থ-সম্পদ নিয়ে তাঁর প্রতিবেশীদের মধ্যে নানা গুঞ্জন রয়েছে।

জিজেলের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ড অ্যাটর্নির কার্যালয়। ব্যক্তিগত জেট বিমানে চলাচল করা এই নারীর তথ্যগুলো কতটা সঠিক, তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে।

কে এই মাদাম জিজেল
তাঁর বাড়ির নম্বর ৭১৩-ওয়াশিংটন ছাড়িয়ে মেরিল্যান্ডের চেভি চেজের অভিজাত বহুতল ভবনে। ওটাই জিজেলের ঠিকানা! ভেনেজুয়েলার সেনাবাহিনীকে টি-শার্ট বিক্রির বুদ্ধি দুই ব্যক্তিকেই বাতলে দিয়েছিলেন জিজেল! এ থেকে হাতিয়ে নেন কাড়ি কাড়ি ডলার। বব আন্ডারউড আর সাদি, দুই পড়শি পরস্পরকে চিনতেনও না। মাদাম জিজেলের (এই নামে ডাকতেন তাকে) সূত্রেই জানতে পারেন, কী ভাবে প্রতারিত হয়েছেন তারা।

পরিবারের কাছেও জিজেল এক আতঙ্কের নাম। সন্তানেরা তার থেকে দূরে থাকতেই স্বচ্ছন্দ বোধ করেন।

মেরিল্যান্ডের ওই ভবনে কখনো লবি, কখনো লিফটে ‘রূপের’ ছটায় জিজেল আলাপ জমাতেন প্রতিবেশীদের সঙ্গে। ৫৩ বছরের ববের ৭ বছরের কন্যার সঙ্গে ভাব জমিয়ে ২০১৫ সালের শুরুর দিকে মাদাম জিজেল ঢুকে পড়েন আন্ডারউড পরিবারে। ববকে বলেছিলেন, জন্ম লেবাননে। ঘুরেছেন সারা বিশ্ব। মাসে আয় রোজগার ২১ লাখ ডলার! সন্তানদের কাছ থেকে দূরে থাকতে তার কষ্ট হয়। ববের মেয়েকে তাই তার এত পছন্দ!

হুগো চাভেজের সঙ্গে বিয়ের গল্পটা শুনেছিলেন বব-ই। অসুস্থ চাভেজের সঙ্গে কী ভাবে জিজেল কিউবায় যান, সেখানকার চিকিৎসকেরা কী বললেন, সেই গল্পও তিনি বলেন। তার বাকপটুতায় মুগ্ধ হয়ে অনেকে তাঁকে বিশ্বাস করতেন। বিবাহবিচ্ছেদের পরে সংসারে টানাটানি চলছিল ববের। টি শার্ট বিক্রি করে লাভের গল্প তখনই সামনে এল। ২০১৫-র শেষ দিকে রাজি হলেন বব। দিনে দিনে পুঁজির চাহিদা তুঙ্গে উঠল। গুনে গেঁথে বব দেখছেন, ৫০ হাজার ডলারেরও বেশি বেরিয়ে গেছে তার। এরপর এ বছর জুনে বব দেখা পান সাদি’র। বৃত্ত পূর্ণ হয় তখনই।

সাদিও স্বপ্ন দেখতেন, বড় বাড়ি, পিএইচডি ডিগ্রির। টি-শার্ট বেচার গল্প শুনে বিনা কাগজে পাঁচ হাজার ডলার জিজেলকে দেন। পরে সাদি গুগলে জানতে পারেন, মাদাম জিজেল আসলে কে। কলম্বিয়ায় বেশ পরিচিত একটা নাম জিজেল। ওখানেই প্রতারণায় হাত পাকে মাদামের। কারাবাসও হয়েছিল। আদালতের ফাঁক গলে বেরিয়ে আসেন। কলম্বিয়ায় আর ফেরেননি। সে দেশ তাকে চেনে ‘বিখ্যাত ফেরারি’ হিসেবে। সূত্র: জি নিউজ ও ওয়াশিংটন পোস্ট।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest