সর্বশেষ সংবাদ-
কালিগঞ্জে পুকুরের পানিতে দুই শিশুর মৃত্যুদেবহাটায় ৪০ জন উপকার ভোগীর মাঝে ছাগল বিতরণদেবহাটার সরকারি কর্মকর্তা-সুধীজনদের সাথে ডিসির মতবিনিময়সাতক্ষীরার ১৮৫টি ভোটকেন্দ্রের স্কুল সংস্কারে বরাদ্দ প্রায় ৬৪ লাখ টাকাসাতক্ষীরা জেলা রোভারের ৪১ তম কোর্স ফর রোভারমেট এর মহাতাঁবু জলসাশ্যামনগরে বুনো শাকের রান্না প্রতিযোগিতাসাতক্ষীরায় দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে রাস্তা সংস্কার কার্যক্রমের উদ্বোধনতারেক রহমানের জন্মদিনে সাতক্ষীরায় শিক্ষার্থীদের মাঝে ছাত্রদলের শিক্ষা উপকরণ বিতরণদেবহাটায় উপজেলা মাসিক আইনশৃঙ্খলা ও উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভামহেশ্বরকাটি বাজারে বিএনপির প্রার্থী কাজী আলাউদ্দিনের লিফলেট বিতরণ

এক পরিবারের ১৪ সদস্যই মোবাইল চোর!

বেশ কিছু দিন ধরেই অভিযোগ আসছিল দিল্লির বিভিন্ন মেট্রো স্টেশন থেকে মোবাইল চুরির খবর। কোন দিনতো আবার একই দিনে ২০-২৫টা করে অভিযোগ।
এত অভিযোগ পাওয়ার পর নড়েচড়ে বসে দিল্লি পুলিশ। শুরু হয় তদন্ত।

সোমবার পুলিশের জালে ধরা পড়ে এক জন। তাকে জেরা করে যে তথ্য মিলল, তাতে চক্ষু চড়কগাছ তদন্তকারীদের। দিল্লি মেট্রো সূত্রে খবর, ১৪ জনের একটি দল বেশ কিছু দিন ধরেই অপারেশন চালাচ্ছিল বিভিন্ন স্টেশনে। চোরেরা প্রত্যেকে একই পরিবারের সদস্য। আটককৃতদের মধ্যে রয়েছে বেশ কয়েক জন নাবালকও।

দিল্লি মেট্রো পুলিশের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গত সোমবার দুপুরে গ্রেফতার করা হয় বচ্চন সিংহ নামে এক অভিযুক্তকে। জেরায় সে চুরির কথা স্বীকার করে। তার কাছ থেকেই তদন্তকারীরা জানতে পারেন ছ’জন নাবালকসহ ১৪ জনের এই দলের কথা।

জেরার মুখে বচ্চন জানান, তার সঙ্গীরা সবজি মান্ডি থানার কাছে একটি পার্কে বিশ্রাম নিচ্ছে। এর পরই কাশ্মীরি গেট মেট্রোর পুলিশ সেখানে হানা দেয়। বাকি ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ২৪টা মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে। এরা সবাই আগরার কাছে বিষ্ণুপুরা গ্রামের বাসিন্দা।

তদন্তকারীদের দাবি, আটককৃতরা জানিয়েছেন, তাদের গ্রামের অনেকেই চুরি করে। অন্য সময় চাষ বা জুতো সারাইয়ের কাজ করে। কিন্তু মোবাইল ফোন চুরিই তাদের আসল পেশা। মাস কয়েক আগে ওই পরিবারের কয়েক জন দিল্লিতে এসেছিলেন। তখনই তারা বুঝতে পারে, মেট্রো যাত্রীদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন চুরি করা খুব সহজ। এরপর গোটা পরিবার মেট্রোয় মোবাইল ফোন চুরির ছক কষে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বহুমুখী উপকারিতার কারণে প্রতিদিন খান আমড়া

আকারে যত ছোট, গুণে তত বড়। এক কথায় এটাই হল আমড়া।
বহুমুখী উপকারিতার কারণে অনেকেই নিয়ম করে আমড়া খাচ্ছেন। প্রতিদিনের দূষণভরা জিবনে সুস্থ থাকার টোটকা এখন আমড়া। আমড়া ব্লাড পিউরিফায়ারের কাজ করে। স্ট্রেসের জাল বিছানো সমাজ জীবনে শরীর সুস্থ রাখাই যেখানে চ্যালেঞ্জ, সেখানে আমড়া থাকতে হবে অবশ্যই।

এই ফলে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন সি আর ক্যালসিয়াম। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে। দামেও সস্তা। গুণে মহার্ঘ। তাই আমড়া খান রোজ। শরীর সুস্থ রাখতে পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক আমড়ার গুণাবলী-

১। রক্তে ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। স্ট্রোক ও হৃদরোগ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। চর্বি কমিয়ে হৃত্‍‍পিণ্ডে সঠিক ভাবে রক্ত চলাচলে সাহায্য করে

২। চিনির পরিমাণ কম থাকায় উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের রোগীরা নিশ্চিন্তে খেতে পারেন। আমড়ার খোসায় থাকা আঁশ বদহজম ও কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে সাহায্য করে।

৩। ভিটামিন ও ক্যালসিয়াম দাঁত ও মাড়ি শক্ত করে। দাঁতের গোড়া থেকে রক্ত, পুঁজ বের হওয়া প্রতিরোধ করে।

৪। আমড়া পিত্ত ও কফ নাশ করে, কণ্ঠস্বর পরিষ্কার রাখে। নিয়মিত আমড়া খেলে চুল, নখ, ত্বক সুন্দর থাকে।

৫। অরুচি দূর করে, শরীরের অতিরিক্ত উত্তাপ কমায়। আমড়ায় থাকা অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে রক্ত জমাট বাঁধার ক্ষমতা বাড়ায়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
৫ নাবালক ছাত্রের সঙ্গে যৌন সম্পর্কে শিক্ষিকা, অতঃপর…!

সম্পর্ক তৈরির অভিযোগে এক শিক্ষিকাকে গ্রেফতার করল পুলিশ৷ তবে ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগ প্রথম নয়৷ ২০১২ সালেও পাঁচ নাবালক ছাত্রের সঙ্গে একই কাজ করার অভিযোগে জেল খেটেছিলেন তিনি৷

চুয়াল্লিশ বছরের এমা ওয়েব স্বামী বাড়িতে না থাকলে নাবালক ছাত্রদের সঙ্গে সহবাস করতেন৷ সংবাদ সংস্থা ডেইলি মেলের খবর অনুযায়ী, এক ১৬ বছরের কিশোরকে সাহায্য করার জন্যে নিযুক্ত করা হয়েছিল তাকে৷ এই সুযোগেই এমা ওই নাবালকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ান৷ তাকে মাঝেমধ্যে বিভিন্ন উপহারও দিতেন এমা৷ এরপরেই একদিন ওই ছাত্রকে বাড়ি পৌঁছে দেোয়ার কথা বলে নিজের গাড়িতে তুলে নেন এমা৷ রাস্তার জ্যামে গাড়ি আটকে থাকায় গাড়িতেই তাকে জড়িয়ে ধরেন এমা৷ এমনকি তাকে নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে তার সঙ্গে যৌনতা স্থাপণ করেন৷

এরপরে ক্লাস ফাঁকি দিয়ে নির্জন জঙ্গলে সেই নাবলককে নিয়ে গিয়ে ফের একই কাজ করেন এমা৷ এমা নিজে দুই সন্তানের জননী৷ ২০১২ সালেও পাঁচ নাবালকের সঙ্গে একই কাজ করায় ৩২ মাস জেলে ছিলেন এমা৷ তবে এটি এমার একপ্রকার রোগ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা৷ এই কারণেই তাকে এবারের রেহাই দিয়েছে আদালত৷

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
‘মাদকের অভিযোগ প্রমাণ হলে ছেলেকে হত্যা করা হবে’

আইন শৃঙ্খলা নিয়ে নজিরবিহীন প্রচারণার মধ্যদিয়ে ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন দুতার্তে। মাদক পাচারকারী ও মাদকাসক্তকে হত্যা করে সমাজ থেকে অবৈধ মাদক নির্মূলে বদ্ধপরিকর তিনি।

আর তারই জের ধরে দুতার্তে বলেছেন, তার ছেলের বিরুদ্ধে ওঠা মাদক চোরাচালানের অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকে গুলি করে মেরে ফেলা হবে। আর এই কাজ যেসব পুলিশ করবে তাদের তিনি সুরক্ষা দেবেন। ম্যানিলায় প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে সরকারি কর্মীদের উদ্দেশ্যে দুতার্তে একথা বলেন।

এর আগে, বিরোধীদলীয় একজন পার্লামেন্ট সদস্যের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে চলতি মাসে প্রেসিডেন্টের ছেলে পাওলো দুতার্তের (৪২) বিরুদ্ধে সিনেটে তদন্ত শুরু হয়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি একজন চীনা মাদক ব্যবসায়ীকে চীন থেকে বিপুল পরিমাণ মাদক পাচার করতে সহায়তা করেছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে জানাবে রক্তচাপ : গবেষণা

গর্ভের সন্তান ছেলে নাকি মেয়ে, সেটা জানা যাবে গর্ভবতী ণাড়িড় রক্তচাপ থেকেই। এমনটাই জানাচ্ছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত কানাডার গবেষক রবি রত্নাকরণ।

কানাডার মাউন্ট সিনাই হাসপাতালের এই চিকিত্‍সক জানিয়েছেন, যদি গর্ভবতী নারীর রক্তচাপ প্রসবের আগে কম থাকে, তাহলে সাধারণত, সেই নারী কন্যা সন্তান প্রসব করেন। আর মহিলার রক্তচাপ যদি বেশি থাকে, তাহলে পুত্র সন্তানের জন্ম হয়।

২০০৯ সাল থেকে চীনের লুইয়াং শহরে গত সাত বছর ধরে ৩৩৭৫ জন গর্ভবতী নারীর উপর পরীক্ষা করেছে এই গবেষক দল। তার মধ্যে ১,৬৯২ জনের রক্তচাপ, কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইড এবং গ্লুকোজের মূল্যায়ন করা হয়। তাদের মধ্যে ৭৩৯ জনের ছেলে ও ৬২৭ জনের মেয়ে হয়। দীর্ঘ পর্যবেক্ষণের পরই গবেষক দল এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন।

চিকিৎসক রবি রত্নাকরণ বলেছেন, ‘গর্ভবতী মহিলার প্রসবের আগের রক্তচাপের ওঠানামা অনেক কিছুই নির্দেশ করে। আমরা দীর্ঘদিন ধরে পরীক্ষা করে দেখেছি যে, যদি প্রসবের আগে গর্ভবতী মহিলার রক্তচাপ বেশ কমে যায়, তাহলে তিনি কন্যা সন্তানের জন্ম দিচ্ছেন। আর যাঁর রক্তচাপ অনেকটা বেড়ে যায়, তাহলে তিনি পুত্র সন্তানের জন্ম দিচ্ছেন। ’

এক্ষেত্রে একজন প্রাপ্ত বয়স্ক গর্ভবতীর বয়স, শিক্ষা, ধূমপান, এলডিএল কোলেস্টেরল, এইচডিএল কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইডস এবং গ্লুকোজের উপর নির্ভর করে গর্ভাবস্থার রক্তচাপ। পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, যেসব মহিলাদের রক্তচাপ গর্ভাবস্থার একেবারে শেষ লগ্নে বেশি থাকে, তাদেরই ছেলে হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
চা-কফির দাগ দূর করার উপায়

চা-কফি পান করতে গিয়ে মাঝে মাঝে বিরক্তিকর অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। চা বা কফির কাপে চুমুক দিতে গিয়ে হঠাৎ নিজের পরিধেয় কাপড়ে কয়েক ফোটা চা বা কফি পড়ে গেলো এরকম অভিজ্ঞতা আমাদের কমবেশি হয়তো সবারই আছে।
এতে করে সুন্দর পেন্ট বা শার্টটি একটু দেখতে বিশ্রীই লাগে। দাগ কীভাবে দূর করা যায় তা নিয়ে আমরা একটু টেনশনেই পড়ে যাই। নিচে চা বা কফির দাগ দূর করার উপায় নিয়েই আলোচনা করা হলো :

১. লবণ বা কৃত্রিম সুইটনার : মোটামুটি নামীদামি ক্যাফেটরিয়া বা চা, কফির দোকানে এই দুটি উপাদান রাখতে দেখা যায়। দ্রুত দাগ দূর করতে এর যেকোনোটি ব্যবহার করলেই চলে। চা বা কফির দাগ দূর করতে এ দুটি উপাদান যেভাবে ব্যবহার করতে হয়- কয়েক মিনিট ধরে এগুলো দাগের ওপর রাখুন। তারপর তা মুছে ফেলুন।

২. বেবি ট্যালকম পাউডার: এর বহু ব্যবহারিক দিক রয়েছে। চুল থেকে অতিরিক্ত তেল দূর করতে শুষ্ক শ্যাম্পু হিসেবেও এটি ব্যবহার করা যায়। এছাড়া চা বা কফির দাগ দূর করতেও এটি দারুণ কার্যকর। এজন্য আপনাকে দাগের ওপর তা দিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে। তারপর তা ব্রাশ করলেই উঠে যাবে।

৩. স্টেইন পেন: যদি আপনি খুবই কফি বা চাপ্রেমী হন তাহলে অবশ্যই তা আপনাকে সবসময় সঙ্গে রাখতে হবে। আর পোশাকে চা বা কফির দাগ পড়ে গেলে এই পেনের পেছনে লেখা নির্দেশনা অনুযায়ী তা ব্যবহার করুন। এতে একগুঁয়ে দাগ উঠে যেতে বাধ্য।

৪. বেবি উইপস: এটি মুখ পরিষ্কার রাখার পাশাপাশি দাগ দূর করতেও অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। চা বা কফির দাগ দূর করতে এটি সর্বোত্তম পদ্ধতিও বটে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রোহিঙ্গা সমস্যার স্থায়ী সমাধানে জাতিসংঘে প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর

সহিংসতা, হত্যা, নির্যাতনের কারণে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের সমস্যার স্থায়ী সমাধানে দ্রুত কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের জন্য জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সমস্যা সমাধানে তিনি কিছু সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব তুলে ধরেন।

জাতিসংঘের সদর দপ্তরে ৭২ তম সাধারণ অধিবেশনে নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় (বাংলাদেশ সময় শুক্রবার ভোরে) প্রধানমন্ত্রী ওই প্রস্তাব তুলে ধরেন।

বাংলাদেশের কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে যাওয়ার অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে মাতৃভাষা বাংলায় বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বক্তব্য শুরুর কিছুক্ষণ পরেই তিনি রোহিঙ্গা সমস্যার স্থায়ী সমাধানে কিছু সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রস্তাবগুলো হলো—

প্রথমত, অনতিবিলম্বে এবং চিরতরে মিয়ানমারে সহিংসতা ও ‘জাতিগত নিধন’ নিঃশর্তে বন্ধ করা;
দ্বিতীয়ত, অনতিবিলম্বে মিয়ানমারে জাতিসংঘের মহাসচিবের নিজস্ব একটি অনুসন্ধানী দল প্রেরণ করা;
তৃতীয়ত, জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সব সাধারণ নাগরিকের নিরাপত্তা বিধান এবং এ লক্ষ্যে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে সুরক্ষা বলয় (safe zones) গড়ে তোলা;
চতুর্থত, রাখাইন রাজ্য হতে জোরপূর্বক বিতাড়িত সকল রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে তাদের নিজ ঘরবাড়িতে প্রত্যাবর্তন ও পুনর্বাসন নিশ্চিত করা;
পঞ্চমত, কফি আনান কমিশনের সুপারিশমালার নিঃশর্ত, পূর্ণ এবং দ্রুত বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা।

সাধারণ পরিষদ অধিবেশনে চতুর্দশবারের উপস্থিত হওয়ার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার হৃদয় আজ দুঃখে ভারাক্রান্ত। কেননা আমার চোখে বারবার ভেসে উঠছে ক্ষুধার্ত, ভীত-সন্ত্রস্ত এবং নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের মুখচ্ছবি। আমি মাত্র কয়েক দিন আগেই আমার দেশে আশ্রয় নেওয়া কয়েক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে দেখা করে এসেছি। যারা ‘জাতিগত নিধনে’র শিকার হয়ে নিজ দেশ থেকে জোরপূর্বক বিতাড়িত। অথচ তারা হাজার বছরেরও অধিক সময় মিয়ানমারে বাস করে আসছেন। এদের দুঃখ-দুর্দশা আমি গভীরভাবে অনুধাবন করতে পারি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট আমার বাবা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করার পর আমার ছোট বোনকে নিয়ে ছয় বছর উদ্বাস্তু জীবন কাটিয়েছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশের হয়ে প্রথমবারের মতো এখানে ভাষণ দেওয়ার সময় এ মঞ্চে দাঁড়িয়ে আমার বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শান্তি ও ন্যায়বিচারের পক্ষে তাঁর অঙ্গীকারের কথা বলে গেছেন। সেই ভাষণে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘এমন এক বিশ্বব্যবস্থা গঠনে বাঙালি জাতি উৎসর্গীকৃত, যে ব্যবস্থায় সব মানুষের শান্তি ও ন্যায়বিচার লাভের আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত হবে। এবং আমি জানি আমাদের এ প্রতিজ্ঞা গ্রহণের মধ্যে আমাদের লাখ লাখ শহীদের বিদেহী আত্মার স্মৃতি নিহিত রয়েছে।’

রোহিঙ্গাদের মর্যাদার সঙ্গে মিয়ানমারে ফেরার ব্যবস্থা করতে হবে
শেখ হাসিনা বলেন, এ মুহূর্তে নিজ ভূখণ্ড হতে জোরপূর্বক বিতাড়িত আট লাখেরও অধিক রোহিঙ্গাকে আশ্রয় ও সুরক্ষা দিয়ে যাচ্ছি। আপনারা সকলেই জানেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান নৃশংসতা এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের ফলে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে অবস্থার ভয়াবহ অবনতি ঘটেছে। এ নৃশংসতার হাত থেকে বাঁচার জন্য প্রতিদিন হাজার হাজার রোহিঙ্গা সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার তথ্যমতে গত তিন সপ্তাহে চার লাখ ৩০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে। রোহিঙ্গাদের ফেরত যাওয়া ঠেকানোর জন্য মিয়ানমার দেশটির অভ্যন্তরে সীমানা বরাবর স্থলমাইন পুঁতে রাখছে। এতে আমরা ভীষণভাবে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত। এ সব মানুষ যাতে নিরাপদে এবং মর্যাদার সঙ্গে নিজ দেশে ফিরে যেতে পারেন এখনই তার ব্যবস্থা করতে হবে।

সব ধরনের সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের নিন্দা জানান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আমাদের সরকার ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি মেনে চলে। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান সহিংসতা বন্ধে এবং ওই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় সক্রিয় উদ্যোগ গ্রহণ করায় নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য রাষ্ট্রসমূহ ও জাতিসংঘের মহাসচিবকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ ভয়াবহতম গণহত্যার শিকার শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ সম্প্রতি ২৫শে মার্চকে ‘গণহত্যা দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। মূলত ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতেই ‘অপারেশন সার্চলাইটের’ মাধ্যমে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনী এই গণহত্যার সূচনা করেছিল। এ গণহত্যার সঙ্গে জড়িত মূল অভিযুক্তদের আমরা ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে বিচারের মুখোমুখি করেছি। বিশ্বের কোথাও যাতে কখনই আর এ ধরনের জঘন্য অপরাধ সংঘটিত না হয় সে জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়কে সম্মিলিত পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি, ৭১-এর গণহত্যাসহ সকল ঐতিহাসিক ট্র্যাজেডির আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আমাদের এ লক্ষ্য অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

জঙ্গিবাদ মোকাবিলায় প্রস্তাব তুলে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, সন্ত্রাসবাদ এবং সহিংস জঙ্গিবাদ শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং উন্নয়নের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি। সন্ত্রাসীর কোনো ধর্ম, বর্ণ বা গোত্র নেই। নিজে বেশ কয়েকবার সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছি। সে হিসেবে সন্ত্রাসের শিকার মানুষের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করেন। ধর্মের নামে যেকোনো সহিংস জঙ্গিবাদের নিন্দা জানিয়ে তিনি সহিংস জঙ্গিবাদ বিস্তার রোধে তৃণমূল পর্যায়ে আমরা পরিবার, নারী, যুবসমাজ, গণমাধ্যম এবং ধর্মীয় নেতাদের সম্পৃক্ত করেছি। বৈশ্বিক এ সমস্যা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রস্তাব হচ্ছে—
১. সন্ত্রাসীদের অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করতে হবে;
২. সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন বন্ধ করতে হবে এবং
৩. শান্তিপূর্ণ উপায়ে আন্তর্জাতিক বিবাদ মীমাংসা করতে হবে।

বন্যা সফলভাবে মোকাবিলা করেছি
জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে প্যারিস চুক্তির বাস্তবায়নে আশাবাদী উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতীয় পর্যায়ে জলবায়ু সংবেদনশীলতার দিকে লক্ষ্যে রেখে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলায় আমরা কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। সামুদ্রিক সম্পদের টেকসই ব্যবহার এবং সামুদ্রিক পরিবেশ রক্ষার ক্ষেত্রে ‘ব্লু ইকনোমি’র সম্ভাবনার প্রতি আমরা আস্থাশীল। বাংলাদেশ বন্যা এবং অন্যান্য দুর্যোগ মোকাবিলায় দৃষ্টান্তমূলক সাফল্য দেখিয়েছে। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের লক্ষ্যে আমরা শস্য-নিবিড়করণ প্রযুক্তি এবং বন্যা-প্রতিরোধী ফসলের জাত উদ্ভাবন করেছি। এ বছর বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশে যে ব্যাপক বন্যা আঘাত হেনেছে আমরা তা সফলভাবে মোকাবিলা করেছি।

এ বছরেই বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের মাধ্যমে জ্ঞান-ভিত্তিক সমাজ গঠনে আমাদের যুবসমাজ মূল চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করছে। আমরা এমন একটি পরিবেশ তৈরির জন্য কাজ করছি যেখানে তারা যুগোপযোগী শিক্ষাগ্রহণ করে কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবে এবং প্রকৃত অর্থেই বিশ্ব নাগরিকে পরিণত হবে। এ বছরের মধ্যেই আমরা প্রথমবারের মতো বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ মহাকাশে উৎক্ষেপণ করার পরিকল্পনা নিয়েছি।

সবশেষে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা যুদ্ধ চাই না, শান্তি চাই। আমরা অর্থনৈতিক উন্নতি চাই, মানব ধ্বংস নয় মানবকল্যাণ চাই। এটাই হোক আমাদের সকলের লক্ষ্যে।

সূত্র: প্রথম আলো।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশাশুনি তাঁতীলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : ক্ষুধা, দারিদ্র, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ নিরক্ষর মুক্ত বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার রূপকার জননেত্রী শেখ হাসিনার ভিশন-২০২১ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সংগঠনকে তৃণমূল পর্যায়ে সুসংগঠিত ও একাদ্বশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে আশাশুনি উপজেলা তাঁতালীগের ৫১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ২০ সেপ্টেম্বর’১৭ তারিখে সাতক্ষীরা জেলা তাঁতীলীগের সভাপতি মীর আজাহার আলী শাহীন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ তৌহিদ হাসান স্বাক্ষরিত এক পত্রে উক্ত কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়। কমিটির সভাপতি এম এম সেলিম রেজা, সহ-সভাপতি শরিফুজ্জামান, সুবোধ কুমার স্বর্ণকার, বিপ্লব কুমার সরকার, সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজির আহমেদ, বিকাশ মন্ডল, আবু রায়হান, সাংগঠনিক সম্পাদক তুহিন আহমেদ, ইদ্রিস আলী গাজী, আবু তাহের, আওছাফুর রহমানসহ ৫১ সদস্য বিশিষ্ট আশাশুনি উপজেলার পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দেন জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest