সর্বশেষ সংবাদ-
কালিগঞ্জে পুকুরের পানিতে দুই শিশুর মৃত্যুদেবহাটায় ৪০ জন উপকার ভোগীর মাঝে ছাগল বিতরণদেবহাটার সরকারি কর্মকর্তা-সুধীজনদের সাথে ডিসির মতবিনিময়সাতক্ষীরার ১৮৫টি ভোটকেন্দ্রের স্কুল সংস্কারে বরাদ্দ প্রায় ৬৪ লাখ টাকাসাতক্ষীরা জেলা রোভারের ৪১ তম কোর্স ফর রোভারমেট এর মহাতাঁবু জলসাশ্যামনগরে বুনো শাকের রান্না প্রতিযোগিতাসাতক্ষীরায় দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে রাস্তা সংস্কার কার্যক্রমের উদ্বোধনতারেক রহমানের জন্মদিনে সাতক্ষীরায় শিক্ষার্থীদের মাঝে ছাত্রদলের শিক্ষা উপকরণ বিতরণদেবহাটায় উপজেলা মাসিক আইনশৃঙ্খলা ও উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভামহেশ্বরকাটি বাজারে বিএনপির প্রার্থী কাজী আলাউদ্দিনের লিফলেট বিতরণ

বিয়ে করতে গিয়ে ওমান ও কাতারের শেখরা কারাগারে

ভারতের হায়দ্রাবাদ শহরের পুলিশ ওমান ও কাতারের আট জন শেখ ও তিন জন কাজি সহ মোট ২০ জনকে গ্রেপ্তার করার পরে শিশু বিবাহের একটি বড় চক্র ধরা পড়েছে।

পুলিশ বলছে, প্রায় এক মাস ধরে নজরদারি আর তথ্য প্রমাণ যোগাড় করে তারা এই চক্রটিকে গ্রেপ্তার করে। ভারতে এসে শিশু কন্যাদের বিয়ে করে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন ওমান ও কাতারের শেখরা।

হায়দ্রাবাদের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার ভি সত্যানারায়না বলছেন, “কমবয়সী মেয়েদের বিয়ে দেওয়া হতো জাল নিকাহনামা তৈরি করে। তারপরে বিভিন্ন আরব দেশে নিয়ে গিয়ে এই মেয়েদের ৯৯ শতাংশকেই যৌন দাসী হিসাবে ব্যবহার করা হতো। বাকি কয়েকজনকে ঘরের কাজে লাগানো হত।”

জাল নিকাহনামা তৈরি ও চুক্তি বিবাহ প্রথা নামের এই কাজে সাহায্য করত এমন তিনজন কাজিকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

পুলিশ বলছে, ওমান ও কাতারের যে শেখরা ধরা পড়েছে, তাদের মধ্যে এক ৮০ বছর বয়সী ব্যক্তিও আছেন, যিনি লাঠিতে ভর দিয়ে হাঁটেন।

ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে তিনি কম বয়সী ভারতীয় কোনও মেয়েকে বিয়ে করে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। জিজ্ঞাসাবাদে সে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে যে তিন সপ্তাহের জন্য বিয়ে করে নিজের দেশে ফিরে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তার।

চন্দ্রায়নগুট্টা এলাকার একটি গেস্ট হাউসে পুলিশ যখন তল্লাশি চালায়, সেই সময়ে ৭০ বছর বয়সী এক ওমানি নাগরিকের সঙ্গে ১৫ বছর বয়সী একটি মেয়ের বিয়ে দেওয়ার প্রস্তুতি চলছিল।

সত্যনারায়নার কথায়, “কয়েকটি সূত্র থেকে আমরা খবর পেয়েছিলাম যে এরকম একটা চক্র চলছে। গত মাসে একটি মেয়েকে উদ্ধার করার পরে আমরা তদন্তে নেমেছি। বিমানবন্দর দিয়ে আরব দেশগুলির যত নাগরিক – বিশেষত শেখরা শহরে ঢুকেছেন, প্রত্যেকের ওপরে নজর রাখা হচ্ছিল। এরা পুরনো হায়দ্রাবাদের মুসলমান প্রধান এলাকাগুলোর নানা হোটেল বা লজে ওঠেন। তারপরে দালালের মাধ্যমে এই নকল বিয়ের কাজ সম্পন্ন হয়।”

দালাল চক্র ছড়িয়ে আছে বিভিন্ন আরব দেশেও। তাদের মাধ্যমেই প্রথম কথাবার্তা চালায় ওই শেখরা। তারপরে নিজেরা ভারতে এসে মেয়ে পছন্দ করে নিয়ে যায়। হায়দ্রাবাদ শহরে এরকম ৩৫ জন দালালকে চিহ্নিত করা হয়েছে, যাদের মধ্যে ২৫ জনই নারী।

বেশ কয়েকটি হোটেল ও লজে তল্লাশি চালাতে যখন পুলিশ পৌঁছে, সে সময়ে দালালদের নিয়ে আসা মেয়েদের বাছাই করার কাজ হচ্ছিল।

ধৃত আরব শেখরা গত এক সপ্তাহে ১২ টি কমবয়সী মেয়েকে পছন্দ করেছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে। এখনও শহর জুড়ে তল্লাসি অভিযান চালাচ্ছে হায়দ্রাবাদ পুলিশের তিনটি দল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ভোমরায় চেয়ারম্যান ইসরাইল গাজীর নেতৃত্বে অফিস ভাংচুর ও বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি তছনছের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক : ভোমরাস্থল বন্দর মটর সাইকেল চালক সমিতির অফিস ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে ভোমরা ইউপি চেয়ারম্যান ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে। শুক্রবার সকাল ১১টায় ভোমরাস্থল বন্দরে এঘটনা ঘটে।
এঘটনায় মটর সাইকেল চালক সমিতির সভাপতি জাকির হোসেন বাদী হয়ে ওই দিন বিকালে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি লিখিত এজাহার দায়ের করেছেন।

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ভোমরাস্থল বন্দর মটর সাইকেল চালক একটি অফিস রয়েছে কাস্টমসের পাশে। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার সকাল ১১টায় ভোমরা ইউপি চেয়ারম্যান ইসরাঈল গাজী ও তার পোষ্য বাহিনীর সদস্য বৈচনা গ্রামের রজব আলীর ছেলে শফিকুল ইসলাম, গয়েশপুর গ্রামের কিনু সরদারের ছেলে সোহরাব হোসেন, শ্রীরামপুর গ্রামের মুধ’র ছেলে মন্টু, ভোমরা’র আকবর গাজীর ছেলে এরশাদ আলী, জিয়াদ আলীর ছেলে সুমন হোসেন,লহ্মদাড়ী গ্রামের মীর আলীর মুনসুর আলী, নবাতকাটি গ্রামের সুমন কলু, চৌবাড়িয়া গ্রামের আসমাতুল্লাহ’র সিরাজুল ইসলাম, ও লহ্মীদাড়ী গ্রামের কেনা’র ছেলে খোকাসহ ১৫/১৬ জন দেশীয় অস্ত্র শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে উক্ত মটরসাইকেল চালক সমিতির ভাংচুর শুরু করে। এসময় তাদের বাধা দিতে গেলে তারা মটরসাইকেল চালক লহ্মদাড়ী গ্রামের মোমিনের ছেলে বাবুর আলী, আনারুল মোল্যার ছেলে তুহিন হোসেন, গয়েশপুর গ্রামের রাজ্জাক মোড়লের ছেলে রকিবকে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর জখম করে।

এদিকে অফিস ভাংচুরের সময় ইসরাঈল চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে অফিসে থাকা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জননেত্রী শেখ হাসিনা ও শীর্ষ পর্যায়ের আ’লীগ নেতাকর্মীদের ছবিও ভাংচুর করে তারা। এসময় তারা বলে ভোমরা জামায়াত-বিএনপির ঘাটি। এখানে আ’লীগের কোন অফিস থাকবে না। অফিস করার চেষ্টা করলে আবারো হামলা চালিয়ে ভেঙে গুড়িয়ে দেবো। এছাড়া মটরসাইকেল চালকদের জীবন নাশের হুমকি প্রদর্শন করে চলে যায় তারা।

উল্লেখ্য, ইউপি চেয়ারম্যান ইসরাঈল বিগত দিনে জামায়াতের সহযোগি ছিলো এবং অর্থ দাতা হিসাবে পরিচিত। তার এ জামায়াতের গন্ধ মুছতে তিনি সম্প্রতি জেলা জাতীয় পার্টির গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হয়েছে বলে জানিয়েছেন শ্রমিক নেতৃবৃন্দ।
অন্যদিকে অফিস ভাংচুরের সময় বঙ্গবন্ধু ও জননেত্রী ছবি ভাংচুর করায় ইউপি চেয়ারম্যান সহ দোষীদের দ্রষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন শ্রমিক নেতৃবৃন্দ।

এঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান ইসরাঈল গাজী বলেন আমি কোন অফিস ভাংচুর করিনি। মূলত ঘটনা হলো ওই গালিতে একজন ব্যক্তি দূর্ঘটনা কবলিত হয়ে ৩টি আঙ্গুল কেটে যায়। স্থানীয় মটরসাইকেলদের ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য বার বার অনুরোধ করলেও তারা নিয়ে যায়নি। যে কারণে স্থানীয় জনগন ক্ষিপ্ত ভাংচুর করেছে। এছাড়া ওই জমি সরকারি দখল অফিস করার কারনে এ দুর্ঘটনা ঘটছে। আর ওই ছবিগুলো সভাপতি জাকির নিজেই ভেঙেছে।
এঘটনায় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মারুফ আহম্মেদ বলেন, আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি। ইতোমধ্যে থানা থেকে তদন্তে গেছেন কয়েকজন কর্মকর্তা। তারা ফিরে আসলে তারপর তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী মামলা হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
পৌর ৬ নং ওয়ার্ডে আ ’লীগের আঞ্চলিক কমিটি গঠন ও কর্মী সমাবেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক : শুক্রবার বিকালে সাতক্ষীরা পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড কুখরালী আমতলার মোড়ে আওয়ামীলীগের আঞ্চলিক কমিটি গঠন উপলক্ষে কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ নজরল ইসলাম, বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, পৌর আওয়মীলীগের সভাপতি, মোঃ আবু সায়ীদ, যুগ্ন- সাধারণ সম্পাদক রাসেদুজামান রাশি, ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ শহিদুল ইসলাম এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি বাবু নারান চন্দ্র মন্ডল, সাধারন সম্পাদক সৈয়দ রাফিনুর আলী, আবুল হোসেন, আবু ছালেক ভুট্টো আব্দুস সালম, আবুল কালাম, আব্দর গফফার প্রমুখ এ সময় রবীন সরকারকে সভাপতি, মোঃ নুর মনোয়ার হোসেন সাধারন সম্পাদক ও শহিদুল ইসলামকে সাংঙ্গঠানিক সম্পাদক করে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট আঞ্চলিক কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়। এসময় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ নজরুল ইসলাম,বলেন প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরও শক্তিশালী করতে আগামী নির্বাচনে সকল নেতা কর্মী একসাথে মাঠে নৌকার পক্ষে কাজ করতে হবে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রবীন সরকার।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় ইয়াবা ও হেরোইনসহ নারী মাদক ব্যবসায়ী আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরায় ১শ পিস ইয়াবা ও এক গ্রাম হেরোইনসহ মনিরা খাতুন (৫৪) নামে এক নারী মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার দিকে সাতক্ষীরা পৌরসভার চালতেতলা বাগানবাড়ি এলাকার নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়। আটক মনিরা খাতুন ওই গ্রামের আব্দুল জলিলের স্ত্রী। মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সাতক্ষীরা সার্কেলের পরিদর্শক লাফিয়া খানম জানান, সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে মনিরা খাতুনকে আটক করা হয়েছে। এ সময় তার বাড়ি তল্লাশি চালিয়ে ১শ পিস ইয়াবা ও এক গ্রাম হেরোইন জব্দ করা হয়। তবে, এ সময় একই বাড়ি থেকে আশরাফুল ইসলাম নামে মনিরা খাতুনের মেঝ ছেলে মাদক ব্যবসায়ী পালিয়ে গেছে বলে জানান তিনি। এ ঘটনায় আশরাফুল ইসলামকে পলাতক দেখিয়ে সদর থানায় মাদক আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের উপছে পড়া ভিড়ে জমে উঠেছে গুড়পুকুর মেলা

মাহফিজুল ইসলাম আককাজ : জমে উঠেছে সাতক্ষীরার ঐতিহ্যবাহী গুড়পুকুর মেলা। শিশুর হাতে বেলুন বাঁশি, তরুণীর হাতে চুড়ি, খোঁপায় রঙ্গীন ফুল। বৃদ্ধের কাঁধে গাছের কলম, গৃহিনীর কাঁধে মাটির কলস, কাঠের বাসন। লোকজ সংস্কৃতির বিরল নিদর্শন ইতিহাস খ্যাত গুড়পুকুর মেলার সেই পুরনো দিন হয়তো আর নেই। তবু নতুন করে যেনো প্রাণ পেয়েছে এ মেলা। গুড়পুকরের মেলা থেকে কেউ ফেরে না খালি হাতে এমন দিনটি হারিয়ে যেতে যেতে আবার কিন্তু সমহিমায় ফিরে এসেছে। বোমা সন্ত্রাস আর ধর্মান্ধ শক্তির দাপটে হারিয়ে যাওয়া বাঙ্গালি সংস্কৃতির অন্যতম নিদর্শন সাতক্ষীরার ঐতিহাসিক গুড়পুকুর মেলা জমে উঠেছে আবারও। মেলার অন্যতম আকর্ষণ ইলিশ উঠেছিল দর্শণার্থীদের হাতে হাতে। মাঝে মাঝে হরদম বিকিকিনি হয়েছে নাগালের মধ্যে আসা ইলিশ। ৩শ বছরের ঐতিহ্যবাহী গুড়পুকুরের মেলা আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে গত ১৮ সেপ্টেম্বর। প্রধান অতিথি হিসেবে ফিতা কেটে এ মেলা উদ্বোধন করেন সাতক্ষীরা-০২ আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। এ মেলা চলবে মাসব্যাপি। তবে ভাল পরিবেশ ও ক্রেতাদের চাহিদার উপর নির্ভর করে এ মেলার সময় আরো বাড়বে বলে জানিয়েছে মেলা কর্তৃপক্ষ। প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মেলায় ভীড় একটু কম হলেও দুপুর গড়িয়ে বিকেল হবার সাথে সাথে মেলায় ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভীড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সাতক্ষীরা শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে পৌর দীঘির পাড়ে নান্দনিক রূপ আর সৌন্দর্যের পেখম খুলে বসেছে গুড়পুকুরের মেলা। দর্শনার্থীদের চিত্তবিনোদনে মেলায় নাগরদোলা, নৌকা, ট্রেন ভ্রমণসহ রয়েছে নানা আয়োজন। শিশু-কিশোর, তরুণ-তরুণী, যুব-বৃদ্ধ সবাই ঐতিহ্যবাহী এ মেলা আনন্দ উপভোগ করছেন। স্বজনদের নিয়ে নাগরদোলায় উঠে উপভোগ করছেন অনাবিল আনন্দ। শিশুরা চড়ছে চরকায়। শিশু-কিশোর, যুব-বৃদ্ধ, সবাই ট্রেন ভ্রমণ করে দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর প্রয়াস চালাচ্ছেন। মেলায় দা, বটি, কোদাল, খাট-পালং, বাহারী, পোশাক ও জুতার পশরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানীরা। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ব্যবসায়ীরা ঐতিহ্যবাহী গুড়পুকুরের মেলায় স্টল দিয়েছেন। স্টলগুলো সাজানো হয়েছে নান্দরিক রূপে। শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্ক ও পৌর দীঘির পাড়কে মুড়ে দেয়া হয়েছে সৌন্দর্যের মোড়কে ও নিরাপত্তার চাদরে। দোকানীরা বলছে তারা বহু-দুর থেকে এসে এ মেলায় স্টল দিয়েছেন। সকল খরচ মিটিয়ে ব্যবসায় লাভবান হতে কম পক্ষে এ মেলা দুই মাস চালানোর দাবী জানিয়েছেন।
২০০৩ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর ঐতিহ্যবাহী এ মেলা চলাকালে রকসি সিনেমা হলে এবং যাত্রা প্যান্ডেলে বোমা হামলা চালায় দূবৃত্তরা। বোমা হামলায় নিহত হয় ৩ জন। আহত হয় অর্ধ শতাধিক। ২০০৩ সালের পর থেকে গুড়পুকুরের মেলায় দর্শনার্থীদের ভাটা পড়ে। গত কয়েক বছর নতুন আঙ্গিকে মেলা উদযাপনের সিদ্ধান্ত নেয় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন ও পৌর কর্তৃপক্ষ। কঠোর নিরাপত্তা ও চাঁদাবাজমুক্ত পরিবেশে সুষ্ঠুভাবে মেলার আয়োজন করে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন ও পৌর কর্তৃপক্ষ। মেলায় রয়েছে নিñিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা। মেলায় আসছেন সব বয়সের নারী পুরুষ শিশু। তারা ঘুরে ঘুরে দেখছেন, কেনাকাটা করছেন। বিনোদনের সব সুযোগগুলিও ব্যবহার করছেন তারা। ভিড়ে ঠাসা এ মেলায় দোকানপাট বসেছে অসংখ্য। মেলার ব্যাপারে মেলার দোকানদের চেয়ারম্যান মানিক শিকদার বলেন, বেচাকেনা ভাল হচ্ছে। মেলায় কোনো সন্ত্রাস নেই, চাঁদাবাজি নেই। মেলায় নিশ্চিন্তে ও নির্বিঘেœ বেচাকেনা করছেন তারা। আর প্রাণ ভরে লোকজ মেলা উপভোগ করছেন উৎসব প্রিয় বাঙালি। দীঘির জলে আনন্দ ভেলায় মেতে উঠেছেন শিশু কিশোর থেকে সব বয়সের মানুষ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দেবহাটার ঐতিহ্যবাহী বনবিবিতলা পরিদর্শনে মন্ত্রীপরিষদ সচিব শফিউল আলম

আরাফাত হোসেন লিটন : দেবহাটার ঐতিহ্যবাহী বনবিবিতলা ও রুপসী ম্যানগ্রোভ পরিদর্শন করলেন মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম। শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরুপ দৃশ্য সম্বলিত সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটা উপজেলার বিভিন্ন অপরুপ দৃশ্য তিনি স্বস্ত্রীক পরিদর্শন করেছেন। তিনি সড়ক পথে সকালে শ্যামনগরের সুন্দরবন পরিদর্শন করে বিকালে দেবহাটা আসেন। এসময় মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের সচিবের সফরসঙ্গী হিসেবে ছিলেন তার সহধর্মীনি, মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংষ্কার বিভাগের সচিব এন.এম জিয়াউল আলম, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়া, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দীন, জেলা প্রশাসক পতœী ও দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাফিজ-আল আসাদ, দেবহাটা থানার ওসি কাজী কামাল হোসেনসহ বিভিন্ন কর্মকর্তাবৃন্দ। মন্ত্রীপরিষদ সচিব দেবহাটা বনবিবিতলা পরিদর্শন শেষে রুপসী ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট এবং টাউনশ্রীপুরের নদীর পাশে ভারতের টাকী অবলোকন করেন। তিনি এসময় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরুপ দৃশ্য দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ভারতে যাওয়ার পথে সাতক্ষীরায় নারী ও শিশুসহ ১৩ রোহিঙ্গা আটক

আসাদুজ্জামান : সাতক্ষীরার কলারোয়া থেকে নারী ও শিশুসহ ১৩ রোহিঙ্গাকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার দুপুরে কলারোয়া বাস ষ্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। আটককৃত রেহিঙ্গারা দালালের মাধ্যমে কাজের সন্ধানে ভারতে যাচ্ছিলেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
তবে, থানা হাজতে আটক রোহিঙ্গারা জানান, তারা কাজের সন্ধানে রোহিঙ্গা শিবির থেকে পালিয়ে দেশের দক্ষিনাঞ্চলে চলে আসলে স্থীয় লোকজন তাদের আটক করে পুলিশের সোপর্দ করেছেন।
আটককৃত রোহিঙ্গা শরণার্থীরা হলেন, মো: নবী হোসেন (২৭), মোছা:দিলদার বেগম (২১), তার ছেলে আব্দুল রহমান (০১), মো: করিম (২৫), মোছা: আমেনা বেগম (২০), তার ছেলে মো: আলী নূর (০১) তার স্বামী:-আব্দুল করিম, শহীদুল ইসলাম (২৪), জিনু আক্তার (২০), তার মেয়ে সাবিকুন্নাহার (০৩), সালমা খাতুন (২১), তার ছেলে নুর হোসেন (০২), তার ছেলে নুর হায়াত (০১) ও জমির হোসেন (১৮)।
তারা সবাই বার্মার আরাকান রাজ্যের মন্ডুই জেলার মেসেরেনাই থানার মিদ্দাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। গত ১৮ দিন আগে তারা সে দেশের সেনা সদস্যদের নির্যাতনের মুখে সম্ভ্রম হারিয়ে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশ ভূখন্ডে প্রবেশ করেন।
কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার নাথ জানান, স্থানীয় সাংবাদিকদের মাধ্যমে জানতে পারেন প্রাণভয়ে মায়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের একটি দল কলারোয়া উপজেলা সদরে অবস্থান করছেন এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে থানার এসআই অমিত কুমার দাস অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় কলারোয়া সরকারি কলোজ বাসষ্টান্ড থেকে তাদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তিনি আরো জানান, আটককৃতদের পুলিশ হেফাজতে রেখে জেলা পুলিশের মাধ্যমে কক্সবাজারে অবস্থিত রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্পে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
এবারও ইছামতিতে দুই বাংলার সীমান্তে মিলন মেলা: সিদ্ধান্ত পতাকা বৈঠকে

কেএম রেজাউল করিম : নানা জটিলতায় এবারও বন্ধ হল দুদেশের মিলন মেলা। দুই বাংলার মিলন মেলার ভেলা না ভাসলোও নিজ নিজ সীমারেখায় ভাসবে আনন্দের ভেলা। দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সবচেয়ে বড় ও ঐতিহ্যবাহী প্রতিমা বিসর্জনাস্থল দেবহাটার ইছামতি নদী। দেবী দুর্গার প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সর্ব বৃহৎ উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজা। এই বিসর্জন কে ঘিরে অনুষ্ঠিত হয় মিলন মেলা। কিন্তু উভয় দেশের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে এবং অনাকাঙ্খিত দূর্ঘটনা এড়াতে বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বিজিবি, ও ভারতের সীমান্তরক্ষী বিএসএফ ও উভয়দেশের উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে পতাকা বৈঠাক অনুষ্ঠিত হয়। শুক্রবার বাংলাদেশ ও ভারত সীমানার মধ্যবর্তী স্থানে উক্ত বৈঠাক অনুষ্ঠিত হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন ১৭ বিজিবির ইন্ট অফিসার মেজর আব্দুল্লা আল মামুন, কালিগঞ্জ সার্কেলেরর এএসপি মির্জা সালাউদ্দিন আহম্মেদ, দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাফিজ আল আসাদ, দেবহাটা থানার ওসি কাজী কামাল হোসেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুব আলম খোকন, দেবহাটা সদর ইউপি চেয়ারম্যান আবু বকর গাজী, টাউন শ্রীপুর বিজিবি ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার আক্তার হোসেন এবং ভারতের পক্ষে এসএ(এএল) মিনা, এএফসি অভিজিৎ ব্যানার্জি, আইএনএসপি মনোজ কুমার সিংহ, ওসি দেব দুলাল মন্ডল, অরুবিন্দু কুমার মুখার্জি, এসআই মেরিন আল পাল, টাকি পৌর সভার চেয়ারম্যান সোম নাথ প্রমূখ। ইছামতি নদী বাংলাদেশ ও ভারতের শারদীয় দূর্গাপূজার বিসর্জনস্থল হওয়ায় উভয়দেশের শান্তি বজায় রাখতে বিভিন্ন বিষয়েও আলোচনা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest