সর্বশেষ সংবাদ-
বাংলাদেশে চাঁদাবাজদের কোনো জায়গা হবে না: নাহিদ ইসলামসাতক্ষীরায় স্মার্ট মেডিকেল সেন্টারে ‘জুলাই বিপ্লব ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প’কলারোয়ায় এক ইজিবাইক চালকের লাশ উদ্ধারসাতক্ষীরায় দায়িত্বরত অবস্থায় স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে পুলিশ কর্মকর্তার মৃত্যুজিপিএ-৫ প্রাপ্তদের সাতক্ষীরা শহর ছাত্রশিবিরের সংবর্ধনাসাতক্ষীরায় আসছে জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় নেতারা : চলছে প্রস্তুতির শেষ মুহূর্তের কাজসাতক্ষীরায় নিয়ন্ত্রন হারিয়ে যাত্রীবাহী বাস মৎস্য ঘেরে : আহত ১৪তালায় জুলাই আহত ও নিহতদের স্মরণে আন্তঃইউনিয়ন ফুটবল টুর্নামেন্টসাতক্ষীরার বারটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় লাইব্রেরি উন্নয়নে বই বিতরণশ্যামনগরে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের জন্য ট্যাংক বিতরণ

পারুলিয়ায় ৭৫ বছরের বৃদ্ধের বিরুদ্ধে ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিনিধি: দেবহাটার উত্তর পারুলিয়া (গরু হাট) এলাকায় চতুর্থ শ্রেণির স্কুল ছাত্রীর যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। গত মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টায় উক্ত ঘটনা ঘটে। ভিক্টিমের পরিবার সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, উত্তর পারুলিয়া গরু হাট এলাকার মিজানুর রহমানের ১১ বছরের কন্যা চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী প্রতিদিন সকালে বাড়ির পার্শ্বে রানা নামের এক শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট পড়তে যায়। ঘটনার দিন সকাল ৭টার দিকে উক্ত ভিক্টিম প্রতিদিনের ন্যায় রানার বাড়িতে পড়তে যেয়ে রানা মাস্টারকে ঘুমাতে দেখে। মাস্টার ঘুমিয়ে থাকতে দেখে উক্ত স্কুল পড়–য়া ছাত্রী বাড়ির দিকে রওনা দেয়। সে বাড়ি ফেরার পথে পুকুর পড়ে উপস্থিত হলে একই এলাকার মৃত বরকত আলী বিশ্বাসের পুত্র হাজী মনতাজ আলী বিশ্বাস (৭৫) তাকে হাটের ঘরের পার্শ্বে ঝোপের আড়ালে টেনে নিয়ে যায়। সেখানে তার উপর যৌন নির্যাতন চালাতে থাকলে উক্ত স্কুল ছাত্রী চিৎকার করলে মনতাজ দ্রুত পালিয়ে যায়। ঐদিন বিকালে উক্ত স্কুল ছাত্রী খেলতে গেলে পুনঃরায় মনতাজ তার উপর যৌন নির্যাতন চালানোর চেষ্টা করে। এসময় উক্ত স্কুল ছাত্রী ভয়ে দৌঁড়ে বাড়িতে এসে তার মাকে ঘটনার কথা বলে। মা তার বাবা সহ অন্যান্যদের জানালে তারা অভিযুক্ত মনতাজ হাজীর ভাই ইন্তাজ মাস্টারকে জানাই। ইন্তাজ মাস্টার তাদেরকে উক্ত বিষয়ে সঠিক মিমংসা করার কথা বললেও কোন মিমাংসা না হওয়ায় গত বৃহস্পতিবার মিজানুর দেবহাটা থানায় অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ তাকে ঐ রাতে ধরে থানায় নিয়ে যায়। কিন্তু উক্ত অভিযুক্ত মনতাজ আলী প্রভাবশালী ও বয়স্ক হওয়ায় শুক্রবার সন্ধায় স্থানীয়দের সুপারিশে দুই পক্ষকে ডেকে লিখিত মুসলেকা দিয়ে এই ধরনের অসামাজিক কাজ করবেনা মর্মে কাগজে স্বাক্ষর করে তার পরিবারের পক্ষ থানা থেকে নিয়ে চলে আসে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ইতিপূর্বে উক্ত মনতেজ আলীর এলাকায় এ ধরনের নোংরা কাজ করার অভিযোগ আছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মিয়ানমার দূতাবাস ঘেরাও করবে গণজাগরণ মঞ্চ

ন্যাশনাল ডেস্ক : দিনের মধ্যে মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন বন্ধ না হলে সোমবার ঢাকার মিয়ানমার দূতাবাস ঘেরাও করবে গণজাগরণ মঞ্চ। শুক্রবার বিকেলে রোহিঙ্গা গণহত্যা ও জাতিগত নিপীড়ন বন্ধের দাবিতে ‘ঢাকা র‌্যালি’ শেষে এই ঘোষণা আসে।
রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের সামনে থেকে নাগরিক র‌্যালিটি হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড় হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ঘুরে আবার জাতীয় জাদুঘরের সামনে এসে শেষ হয়।
সমাবেশ শেষে গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার বলেন, শান্তির জন্য মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চিকে যে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে, সেই শান্তি বিনষ্ট করায় অবিলম্বে নোবেল পুরস্কার স্থগিত করা উচিত। মিয়ানমারে এ ধরনের নির্বিচারে মানুষ হত্যা, জাতিগত নিপীড়ন নোবেল কমিটির লজ্জা, সারা পৃথিবীর মানুষের জন্য লজ্জা।
এ সময় ইমরান এইচ সরকার পরবর্তী কর্মসূচি হিসেবে ১১ সেপ্টেম্বর বেলা ৩টায় গুলশান ২ নম্বর মোড় থেকে মিয়ানমার দূতাবাস ঘেরাওয়ের ঘোষণা দেন।
ঢাকা র‌্যালিতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। নারী ও শিশুদের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। তাঁরা ‘প্রাণ বাঁচাতে এগিয়ে এসো, রোহিঙ্গা নির্যাতন বন্ধ কর’, ‘হে বিশ্ব মানবতা জাগ্রহ হও’, ‘ধর্ম নয়, মানবতার বিচারে নারী ও শিশু হত্যা বন্ধের জন্য জাগ্রত হও’, ‘স্টপ রোহিঙ্গা জেনোসাইড’, ‘গিভ রোহিঙ্গা পিপল রাইট টু লিভ’, ‘রেইজ ইউর ভয়েস টু স্টপ এথনিক ক্লিনসিং অব রোহিঙ্গা’ এসব লেখা প্ল্যাকার্ড বহন করেন।
র‌্যালি থেকে মিছিল ওঠে ‘মিয়ানমারের গণহত্যা, বন্ধ কর, করতে হবে’, ‘মাতৃভূমির অধিকার, ফিরিয়ে দাও দিতে হবে’, ‘মিয়ানমারে শিশু হত্যা, বন্ধ কর, করতে হবে’ ইত্যাদি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ভারতের মাটিতে বাংলাদেশের মেয়েদের ৪০ সেকেন্ডে গোল

স্পোর্টস ডেস্ক : হাঁটি হাঁটি পা পা করে এখন দুর্দান্ত গতিতে এগোচ্ছে বাংলাদেশের নারী ফুটবল। এরই মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র দল হিসেবে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ। পাইপলাইন হিসেবে বিকেএসপিতে গড়ে উঠছে আরও এক ঝাঁক কিশোরী। বৃহস্পতিবার সুব্রত মুখার্জি কাপ আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ৪০ সেকেন্ডে গোল করে ভারতবাসীকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে তারা।
ম্যাচে ত্রিপুরা রাজ্যের বিপক্ষে ৫-০ গোলে জয় পায় বিকেএসপি অনূর্ধ্ব-১৭ নারী দল। দলটি টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছে। দিল্লির আমবেদকার স্টেডিয়ামে কিকঅফ বাঁশির ৪০ সেকেন্ডেই রিপার গোলে এগিয়ে যায় বিকেএসপি। এরপর রেহানা ও মুক্তা জোড়া গোল করে হাতের মুঠোয় নিয়ে আসে জয়। ২৬ ও ৪৫ মিনিটে গোল করেছে রেহানা। মুক্তার গোল দুটি হয়েছে ৫২ ও ৬০ মিনিটে।
সুব্রত কাপের (নারী বিভাগ) গত আসরে প্রথমবারের মতো অংশগ্রহণ করেছিল বিকেএসপি। সেবার কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নেয় তারা। চলতি আসরে অংশগ্রহণ করছে মোট ৩২ টি দল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
জীর্ণ শীর্ণ অবস্থায় মারা যাচ্ছে প্রসূতি মা ও শিশুরা

রম স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ে জীর্ণ শীর্ণ অবস্থায় মানবেতর দিন কাটাচ্ছেন মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের প্রসূতি মা ও শিশুরা। গত দুই সপ্তাহ অভুক্ত থেকে অসুস্থ হয়ে মারা গেছে অন্তত: ১৫০টি শিশু। প্রসূতি মা মারা গেছেন কমপক্ষে ১০ জন। দিন দিন মৃতের এ সংখ্যা বেড়েই চলেছে। কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতাল ও সীমান্তের বিভিন্ন মেডিক্যাল টিম সুত্র থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

মিয়ানমার সীমান্তবর্তী বাংলাদেশের তিন উপজেলা টেকনাফ, উখিয়া, নাইক্ষ্যংছড়ির সড়ক মহাসড়ক কিংবা গ্রামের পথে পথে এখন রোহিঙ্গাদের স্রোত। তারা প্রতিদিনই রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে কাদায় একাকার হয়ে সীমান্ত পাড়ি দিচ্ছে। তাদের সাথে থাকা শিশুরা অনাহারে-অর্ধাহারে কংকালসার হয়ে পড়েছে। মায়েরা অভুক্ত থেকে দীর্ঘ পথ হেটে বাংলাদেশে আসছেন। ফলে তাদের অবস্থাও গুরুতর। এ কারণে তারা শিশুকে বুকের দুধ দিতে না পারায় হাড্ডিসার অবস্থা শিশুদের। শত শত শিশুর শরীর জ্বরে পুড়ছে। কিন্তু কোলে নিয়ে বসে থাকা ছাড়া করার কিছু নেই হতভাগা মায়েদের। পানিবাহিত রোগ ডায়রিয়া, আমাশয়, নিমোনিয়ার প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়ছে সবখানে। সর্দি, কাশিসহ বিভিন্ন চর্মরোগেও আক্রান্ত শিশুরা। নানা কারণেই বাড়ছে রোহিঙ্গা শিশু মৃত্যুর হার।

গত দুই সপ্তাহে অন্তত: ১৫০টি শিশু ১০ জন প্রসূতি মা মারা গেছে। অনেক গর্ভবতী নারী সীমান্তের দূর্গম পথ পাড়ি দিতে গিয়ে অসময়ে সন্তান প্রসব করেছেন। নতুন আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের ঠিকমত চিকিৎসা করার সুযোগ নেই। কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতালের স্বাস্থ্য সেবা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। আন্তজার্তিক সম্প্রদায়ের শরণার্থীদের খাদ্য সংকট মোকাবেলার পাশাপাশি চিকিৎসা সেবার উপর জোর দেয়া প্রয়োজন বলে অনেকে মনে করছেন।

শরণার্থী শিবিরের এনজিওকর্মীরা জানিয়েছেন, তাদের জনবলের চেয়ে রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় স্বাস্থ্য সেবা দেয়া খুব কঠিন হয়ে পড়েছে। যারা শরণার্থী শিবিরের কাছাকাছি অবস্থান করছেন তারা দেরিতে হলেও চিকিৎসা পাচ্ছেন। কিন্তু যারা সীমান্তবর্তী গ্রামে এবং জিরো পয়েন্টে অবস্থান করছেন বিনা চিকিৎসায় তাদের স্বাস্থ্যহানী হচ্ছে।

রোহিঙ্গারা জানান, ত্রাণ বিতরকারী সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানগুলো ত্রাণ দেয়ার পাশাপাশি যদি ভ্রাম্যমাণ মেডিক্যাল টিম গঠন করে চিকিৎসা দেয় তবে অসুস্থ রোহিঙ্গাদের উপকার হবে। এদিকে মিয়ানমারে সেনবাহিনী ও তাদের সহযোগী বৌদ্ধ উগ্রপন্থিদের নির্মমতা থামার কোনো লক্ষণ নেই। প্রতিদিনই আরকানের রোহিঙ্গা অধ্যুষিত কোনো না কোনো গ্রামে আগুনের লেলিহান শিখা দেখা যাচ্ছে। শত শত ঘরবাড়ি পুড়ে ছাই হচ্ছে। প্রাণ বাঁচাতে তাই রোহিঙ্গারা খাল বিল নদী পার হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সীমান্তের নো ম্যান্স ল্যান্ডে জড়ো হচ্ছেন। বাংলাদেশে প্রবেশের জন্য নাফ নদী ও বঙ্গোসাগর পার হতে গিয়েও তারা লাশ হচ্ছে। রাতে নৌকায় পালিয়ে আসার সময় প্রতিদিনই নৌকা ডুবি হচ্ছে। নাফ নদী কিংবা টেকনাফ সমুদ্র উপকূলে প্রতিদিনই রোহিঙ্গাদের লাশ ভেসে আসছে।

কক্সবাজারের উখিয়া, টেকনাফ এবং বান্দরবনের নাইক্ষ্যংছড়ির সীমান্তে জুড়ে হাজার হাজার রোহিঙ্গা তাবু টাঙ্গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে।
ইতোমধ্যে বাংলাদেশে ঢুকে পড়েছে প্রায় তিন লাখ রোহিঙ্গা। বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা শরনার্থীর চাপে কক্সবাজার ও বান্দরবনসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় মানবিক বিপর্যয়ের আশংকা করছে স্থানীয়রা। হাজার হাজার রোহিঙ্গার মাঝে তীব্র খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। খাদ্যের জন্য তারা রাস্তায় বসে আছে।

কোনো গাড়ি দেখলেই ছুটে আসে। কোনো গাড়ি থেকে শুকনো খাবার দিতে দেখলে তা সংগ্রহ করতে শুরু হয় প্রতিযোগিতা। এ প্রযোগিতায় বৃদ্ধ ও শিশুদের প্রাণহানির আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা। দেশের মূল ভু-খণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন শাহপরীর দ্বীপে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা নারী ও শিশুদের মধ্যেও খাদ্য সংকট চরম আকার ধারন করেছে। দ্বীপের সাবরাং ইউনিয়ন সচিব শেখ ফরিদুল আলম জানিয়েছেন, গত ২৫ আগস্ট থেকে হাজার হাজার রোহিঙ্গা শাহপরীর দ্বীপে আসছেন। এখনও তা অব্যাহত রয়েছে।

দ্বীপের বাসিন্দা আবদুল হক জানান, রোহিঙ্গাদের দুঃখ-দুর্দশায় সহমর্মিতা ও সহানুভুতি দেখিয়ে দ্বীপের মানুষ যতটুকু সম্ভব সহায়তা করেছেন। এমনকি ফ্রিজে রাখা কোরবানির গোশত রান্না করে অনেকেই অভুক্ত রোহিঙ্গাদের দিয়েছে। বস্ত্রহীনদের কাপড় দিয়েছে। গাড়ি ভাড়ার ব্যবস্থা করেছে। কিন্তু মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ায় পর্যাপ্ত সরবরাহের অভাবে এই দ্বীপে চরম খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। চাল-ডাল তেল তরিতরকারীসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মুল্য এখন আকাশ ছোঁয়া।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সু চির নিন্দা করলেন ডেসমন্ড টুটু

দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী নেতা নোবেলজয়ী ডেসমন্ড টুটু রোহিঙ্গা নির্যাতন ও হত্যার ঘট্নায় মিয়ামনারের রাষ্ট্রীয় পরাদর্শদাতা অং সান সু চিকে নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন বন্ধে সু চির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

শান্তিতে নোবেলজয়ী সু চির উদ্দেশে টুটু বলেন, ‘নীরবতার মূল্য অত্যন্ত চড়া।’

গতকাল বৃহস্পতিবার সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করা এক খোলা চিঠিতে এসব কথা বলেন আর্চবিশপ ডেসমন্ড টুটু। সু চিকে তিনি বলেন, ‘আপনার নীরবতা যদি এমন হয়, মিয়ানমারের উচ্চ পদে আসীন হওয়ার রাজনৈতিক মূল্য চুকানো, তবে নিশ্চিতভাবে এ মূল্যটা খুব চড়া।’

চিঠিতে সু চির উদ্দেশে টুটু উল্লেখ করেন, রাখাইন রাজ্যে ‘সহিংসতা’ ও ‘নিধনযজ্ঞ’ চলার কারণে তাঁর প্রিয় মানুষটির বিরুদ্ধে (সু চি) কথা বলতে বাধ্য করেছে। অথচ, তিনি সু চিকে অত্যন্ত প্রিয় এক বোনের মতো দেখেন এবং প্রশংসা করে থাকেন।

চিঠিতে ডেসমন্ড টুটু উল্লেখ করেন, ‘চার বছর ধরে আমার ডেস্কের ওপর আপনার একটি ছবি ছিল। যে ছবি আমায় মনে করিয়ে দিত, মিয়ানমারের জনগণের প্রতি অঙ্গীকার ও ভালোবাসা থাকার জন্য আপনাকে কতটা ত্যাগ স্বীকার এবং অবিচার সহ্য করতে হয়েছে। আপনি ন্যায়পরায়ণতার প্রতীক হয়ে উঠেছিলেন।’

সু চির উদ্দেশে টুটু আরো উল্লেখ করেন, ‘জনজীবনে আপনার উত্থানের পর রোহিঙ্গা সহিংসতা ইস্যুতে আমাদের উদ্বেগ প্রশমিত হয়েছিল। কিন্তু এখনো রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ‘জাতিগত নিধনযজ্ঞ’ চলছে এবং অনেকের কাছে তা ‘গণহত্যা’, যা সম্প্রতি আরো বেড়ে গেছে।

একই সঙ্গে রোহিঙ্গাদের পক্ষে মুখ খোলার জন্য সু চির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন শান্তিতে নোবেলজয়ী মালালা ইউসুফজাই। একই সঙ্গে তিনি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে রক্ষার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

গত ২৫ আগস্ট রাতে রাখাইন রাজ্যে একসঙ্গে ২৪টি পুলিশ ক্যাম্প ও একটি সেনা আবাসে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। ‘বিদ্রোহী রোহিঙ্গাদের’ সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (এআরএসএ) এই হামলার দায় স্বীকার করে। এ ঘটনার পর মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী নিরস্ত্র রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ-শিশুদের ওপর নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞ চালাতে থাকে।

গত দুই সপ্তাহে মিয়ানমার থেকে দুই লাখ ৭০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
এবার বাংলা গানে সানি লিওনি (ভিডিও)

বলিউডের পর এবার ভারতের বাংলা ছবির আইটেম গানে ঠোঁট মেলালেন অভিনেত্রী সানি লিওনি। এর শিরোনাম ‘চাপ নিস না’। শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) জি মিউজিক বাংলার ইউটিউব চ্যানেলে উন্মুক্ত হয়েছে এটি। স্বপন সাহা পরিচালিত ‘শ্রেষ্ঠ বাঙালি’ নামের একটি ছবির জন্য তৈরি হয়েছে এই গান।

মুম্বাইয়ে সেট বানিয়ে ‘চাপ নিস না’র শুটিং হয়েছে। এ বছরের জুলাইয়ে কাজটি করেছেন সানি লিওনি। তার সঙ্গে পর্দায় নেচেছেন নবাগত রিজু। গানটি লিখেছেন লিপি, সংগীত পরিচালনায় বলিউডের সংগীত ত্রয়ী মিট-ব্রস-অঞ্জনের অঞ্জন ভট্টাচার্য। র্যা প অংশও তারই। এটি গেয়েছেন মমতা শর্মা ও দেব নেগি।

‘শ্রেষ্ঠ বাঙালি’ মুক্তি পাবে আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে। এতে রিজুর পাশাপাশি অভিনয় করেছেন বলিউড অভিনেতা রাজপাল যাদব, শক্তি কাপুর, উলকা গুপ্ত, লাবণী সরকার, কৌশিক ব্যানার্জি, সুভাষ মুখার্জি, বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী, রজতাভ দত্ত, সুমিত গাঙ্গুলী।

বলিউডের বেশ কয়েকটি ছবির আইটেম গানে নেচে দর্শক মাতিয়েছেন সানি লিওনি। এ তালিকায় আছে ‘লায়লা ম্যায় লায়লা’ (রইস), ‘পিয়া মোরে’ (বাদশাহো), ‘ট্রিপি ট্রিপি’ (ভূমি), ‘পিঙ্ক লিপস’ (হেট স্টোরি টু), ‘লায়লা’ (শুটআউট অ্যাট ওয়াদালা)। এছাড়া ‘জিসম টু’, ‘রাগিনি এমএমএস টু’, ‘মাস্তিজাদে’, ‘বেঈমান লাভ’, ‘ওয়ান নাইট স্ট্যান্ড’, ‘এক পাহেলি লীলা’, ‘জ্যাকপট’ প্রভৃতি ছবিতেও কাজ করে সাফল্য পেয়েছেন তিনি। নেচেছেন তামিল এবং কান্নাড়া ছবির আইটেম গানেও।

* দেখুন ‘চাপ নিস না’ গানের ভিডিও:

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
লক্ষ্মীপুরে প্রতিকী আদালতে সু চির ফাঁসি

মিয়ানমারে মুসলিম গণহত্যার প্রতিবাদে লক্ষ্মীপুরে আন্তর্জাতিক প্রতিকী আদালত তৈরী করে দেশটির রাষ্ট প্রধান অং সান সু চির ফাঁসি দেয়া হয়েছে। এসময় রায় কার্যকর করে পাথর নিক্ষেপসহ কুশপুত্তলিকা দাহ করে বিক্ষুব্ধরা।
শুক্রবার দুপুরে ঢাকা-রায়পুর মহাসড়কের জকসিন বাজারে এ কর্মসূচি পালন করে স্থানীয়রা।

প্রতিকী আদালতের বিচারক ছিলেন মো. অহিদুজ্জামান বাবলু। সহকারি বিচারক ছিলেন শেখ হারুন এবং আব্দুল আজিম শাকিল। এ আদালতের মামলার বাদী ছিল স্থানীয় বাঙ্গাখা ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান শাহজান ভূঁইয়া।

আয়োজকরা জানান, আন্তর্জাতিক আদালতে অং সান সু চির বিচারের দাবি ও বাংলাদেশের সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা ও মিয়ানমারে গণহত্যার প্রতিবাদসহ লক্ষ্মীপুরবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে দাঁড়াতে এমন ব্যাতিক্রমী আয়োজন করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মাথাপিছু জিডিপিতে পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ

স্বাধীনতা লাভের পর প্রায় সব ক্ষেত্রেই পাকিস্তানের চেয়ে পিছিয়ে ছিল বাংলাদেশ। সেই বাংলাদেশ এখন পাকিস্তানকে পেছনে ফেলতে শুরু করেছে। পাকিস্তানের চেয়ে বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু জিডিপি আয় এখন বেশি।

গত মাসে এ-সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদনে বাংলাদেশের এই ঘুরে দাঁড়ানোর চিত্র প্রকাশ পেয়েছে।

গত অর্থবছরের হিসাবে দেখা গেছে, বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু জিডিপি এক হাজার ৫৩৮ ডলার। অন্যদিকে, পাকিস্তানের ক্ষেত্রে তা ছিল এক হাজার ৪৭০ ডলার। এটা পাকিস্তানের চেয়ে বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ারই আভাস দিচ্ছে।

স্বাধীনতাযুদ্ধের পর বাংলাদেশের জিডিপিতে শিল্প খাতের অবদান ছিল মাত্র ৬-৭ শতাংশ, আর পাকিস্তানের ক্ষেত্রে ছিল ২০ শতাংশ। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশের জিডিপিতে শিল্প খাতের অবদান ২৯ শতাংশ।

গত ২৫ আগস্ট আদমশুমারির ফলাফল প্রকাশ করেছে পাকিস্তান। সেখানে তারা দেখিয়েছে, দেশটির বর্তমান জনসংখ্যা ২০৭.৮ মিলিয়ন, যা আগের থেকে ৯ মিলিয়ন বেশি। ব্রাজিলকে ছাড়িয়ে বর্তমানে পাকিস্তান বিশ্বের পঞ্চম জনবহুল দেশ। কিন্তু নতুন এই গণনায় পাকিস্তানের মানুষের মাথাপিছু জিডিপির পরিমাণ কমেছে ৪-৫ শতাংশ।

তবে মাথাপিছু জিডিপির পরিমাণ কম হলেও বাংলাদেশের চেয়ে পাকিস্তানের মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেশি।

বাংলাদেশের বর্তমান বার্ষিক প্রবৃদ্ধির গড় হার গত ১০ বছরের চেয়ে ৬ শতাংশ বেশি এবং গত দুই বছরে তা ৭ শতাংশের ওপরে দাঁড়িয়েছে। যে দেশটি একসময় কাপড়ের সংকটে ভুগত, সেই দেশ এখন ভারত-পাকিস্তানের চেয়ে বেশি পরিমাণ তৈরি পোশাক রপ্তানি করে। যদিও এ দেশে কাজের পরিবেশ এখনো উন্নত নয়, তারপরও আগের চেয়ে অনেক ভালো অবস্থানে আছে বাংলাদেশ।

১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধে বাংলাদেশের লাখ লাখ মানুষকে হত্যা করে পাকিস্তানি বাহিনী। যুদ্ধে বাংলাদেশের রাস্তা-ঘাট, শিল্পকারখানা, রেলপথ ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ ছাড়া ১৯৭০-এ সাইক্লোনে শত শত মানুষ মারা যাওয়ায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয় বাংলাদেশ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest