সর্বশেষ সংবাদ-
কালিগঞ্জে পুকুরের পানিতে দুই শিশুর মৃত্যুদেবহাটায় ৪০ জন উপকার ভোগীর মাঝে ছাগল বিতরণদেবহাটার সরকারি কর্মকর্তা-সুধীজনদের সাথে ডিসির মতবিনিময়সাতক্ষীরার ১৮৫টি ভোটকেন্দ্রের স্কুল সংস্কারে বরাদ্দ প্রায় ৬৪ লাখ টাকাসাতক্ষীরা জেলা রোভারের ৪১ তম কোর্স ফর রোভারমেট এর মহাতাঁবু জলসাশ্যামনগরে বুনো শাকের রান্না প্রতিযোগিতাসাতক্ষীরায় দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে রাস্তা সংস্কার কার্যক্রমের উদ্বোধনতারেক রহমানের জন্মদিনে সাতক্ষীরায় শিক্ষার্থীদের মাঝে ছাত্রদলের শিক্ষা উপকরণ বিতরণদেবহাটায় উপজেলা মাসিক আইনশৃঙ্খলা ও উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভামহেশ্বরকাটি বাজারে বিএনপির প্রার্থী কাজী আলাউদ্দিনের লিফলেট বিতরণ

কলারোয়ায় ফেনসিডিলসহ এক যুবক আটক

রাজিবুল ইসলাম, কলারোয়া : কলারোয়ায় ৬ বোতল ফেনসিডিলসহ এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার রাত পৌনে ১২টার দিকে পৌরসদরের হাসপাতাল রোড এলাকার নছিমন-মহেন্দ্র স্ট্যান্ড থেকে তাকে আটক করা হয়। আটক শরিফ হোসেন (২৩) উপজেলার মাহমুদপুর গ্রামের মৃত জামসেদ আলী মোড়লের ছেলে। থানা সূত্র জানায়- থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপ্লব দেবনাথের নির্দেশনায় সেকেন্ড অফিসার আমিনুল ইসলাম ও এএসআই রফিকুল ইসলাম মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে ৬ বোতল ফেনসিডিলসহ শরিফ নামের ওই যুবককে আটক করেন। এ ব্যাপারে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানা যায়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শ্যামনগরে দুর্গোৎসবের প্রস্তুতি সভা ও চাউল বিতরণ

শ্যামনগর ব্যুরো : শ্যামনগরে উপজেলা সম্মেলন কক্ষে আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উদ্যাপন উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা ও জি আর প্রকল্পের চাউল বিতরণ করা হয়। গত ২১ সেপ্টেম্বর সকাল ১০ টায় শ্যামনগর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ কামরুজ্জামান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের সংসদ সদস্য এস এম জগলুল হায়দার। বিশেষ অতিথি ছিলেন ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান মহসীন উল-মুলক, আওয়ামীলীগ শ্যামনগর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আতাউল হক দোলন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নুরজাহান পারভীন ঝর্ণা, থানা তদন্ত কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সেলিম খান,উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান,পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি শিক্ষক রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাস, সাধারন সম্পাদক এ্যাডঃ কৃষ্ণপদ মন্ডল। সনাতন ধর্মালম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় অনুষ্ঠানকে সুষ্ঠ শান্তিপুর্নভাবে সম্পন্ন করতে প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গৃহীত হয়। অনুষ্ঠানে নিছিদ্র নিরাপত্তার বলয়ের মধ্যে পূজার সার্বিক কর্মকান্ড সম্পন্ন করার বিষয়টি আলোচনায় প্রাধান্য পায়। অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে উপজেলার ৬২ টি পূজা মন্ডপের সভাপতি ও সম্পাদকের হাতে সরকারের পক্ষ থেকে জি আর এর চাউলের ডিও তুলে দেওয়া হয়। প্রতিটি পূজা মন্ডপের জন্য ৫ শত কেজি চাউল বরাদ্দ দেওয়া হয় এবং এমপি এস এম জগলুল হায়দার নিজ তহবিল থেকে প্রতিটি পূজা মন্ডপের জন্য নগত ১ হাজার টাকা প্রদান করেন। উপজেলা পূজা উদ্যাপন কমিটির নেতৃবৃন্দ সহ ৬২ টি পূজা মন্ডপের সভাপতিও সম্পাদক অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকে। এছাড়া ৩৪ বিজিবির প্রতিনিধি, বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তা, সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ, ইউপি চেয়ারম্যান বৃন্দ, রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক বৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শ্যামনগরে ‘সামস্’ এর আলোচনা সভা

শ্যামনগর ব্যুরো: শ্যামনগরে রিলিফ ইন্টারন্যাশনাল এর আর্থিক সহযোগিতায় সুন্দরবন আদিবাসী মুন্ডা সংস্থা (সামস) এর আয়োজনে বাংলাদেশের সুন্দরবন অঞ্চলে বসবাসরত মুন্ডা জনগোষ্ঠির আর্থ সামাজিক উন্নয়নের দাবিতে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টায় শ্যামনগর উপজেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে সামস এর সভাপতি গোপাল চন্দ্র মুন্ডার সভাপতিত্বে সামস এর নির্বাহী পরিচালক কৃষ্ণপদ মুন্ডা স্বাগত বক্তব্য রাখেন। প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন শ্যামনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আতাউল হক দোলন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, ঠিকাদার সমিতির নব নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক আওয়ামীলীগ নেতা স.ম আব্দুস সাত্তার, জাতীয় পার্টির উপজেলা সাধারন সম্পাদক কামরুজ্জামান সাগর, আওয়ামীলীগ নেতা সুশান্ত বিশ্বাস (বাবুলাল), সহকারী সমাজ সেবা কর্মকর্তা কিরন চ্যাটার্জী, কৃষকলীগের সভাপতি এ বি এম মন্জুর এলাহী, সাধারন সম্পাদক আনিছুর রহমান প্রমুখ। বক্তাগনের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী মুন্ডাদের দাবী সমূহ ছিল সমাজের সকল স্তরের মানুষের সাথে মুন্ডা মানবাধিকার কর্মীদের যোগাযোগ স্থাপন করা, ক্ষুদ্র নৃগ্ষ্ঠোীর জন্য বরাদ্দকৃত সুযোগ সুবিধা সুষম বন্টন ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা, বর্ণ বৈশম্য দূরীকরনে সহযোগিতা করা, সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনা নিশ্চিত করা, বিশেষ করে তাদের জাতি ও গোষ্ঠীর নাম পরিবর্তন না করা সহ বিভিন্ন দাবী সমূহ উপস্থাপন করা হয়। আদিবাসী মুন্ডা সম্প্রদায়ের নারী পুরুষরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন দিপঙ্কর বিশ্বাস।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় বাংলালিংক কাস্টমার কেয়ার’র উদ্বোধন

নিজস্ব প্রতিবেদক : ‘নতুন কিছু করো’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বাংলালিংক কাস্টমার কেয়ার এন্ড সার্ভিসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে খুলনা রোড এলাকায় কাজী মার্কেটে বাংলালিংক কাস্টমার কেয়ার এন্ড সার্ভিসের সাতক্ষীরা প্রধান কার্যালয় ফিতা কেটে ও কেক কেটে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাতক্ষীরা-০২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলালিংক খুলনা রিজিওনাল হেড মো. নাইমুল হাসান, বাংলালিংক এর রিজিওনাল বিজনেন্স ম্যানেজার মহিবুর রহমান, জোনাল ম্যানেজার আব্দুল্লাহ আল মামুন, এরিয়া ম্যানেজার মার্কেটিং এ.এফ.এম সাঈদ, রিজিওনাল ট্রেড মার্কেটিং মোস্তাক আলী, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি রাফিজুল এহছান, মনিরুল ইসলাম, এ.এফ.এম আতিক হোসেন প্রমুখ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কালিগঞ্জে বাল্য বিবাহ নির্মূলে র‌্যালি ও সভা

কালিগঞ্জ ব্যুরো: কালিগঞ্জে বাল্য বিবাহ নির্মূলে র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণ থেকে শিক্ষার্থীসহ সকলের অংশ গ্রহণে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। র‌্যালি পরবর্তী বিদ্যালয় চত্ত্বরে ইউএসএআইডি এর অর্থায়নে, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের সহযোগিতায়, বে-সরকারি উন্নয়ন সংস্থা সুশীলনের বাস্তবায়নে নবযাত্রা প্রকল্পের জেন্ডার কম্পেটনেণ্ট ১৮‘র আগে বিয়ে নয়, বাল্য বিবাহ নির্মূলে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রবিন্দ্রনাথ বাছাড়। সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন নবযাত্রা প্রকল্পের ফিল্ড কো-অডিনেটর আশীষ কুমার হালদার। জেন্ডার অর্গানাইজার মাফুজার রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন (খুলনা বিভাগের শ্রেষ্ঠ নির্বাহী কর্মকর্তা) কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মাঈনউদ্দিন হাসান। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন থানার অফিসার ইনচার্জ লস্কর জায়াদুল হক, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা এমএ নাহার, রোকেয়া মনসুর মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ কেএম জাফরুল আলম বাবু, প্রেসক্লাবের সভাপতি শেখ সাইফুল বারী সফু, সহ-সভাপতি শেখ আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সুকুমার দাশ বাচ্চু, বিদ্যালয়ে ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী আনিকা জামান, বাল্য বিয়ের শিকার হাসিনা খাতুন। এসময় অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন থানার ওসি (তদন্ত) রাজিব হোসেন, প্রেসক্লাবের তথ্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক এসএম, আহম্মাদ উল্যাহ বাচ্ছু, অনলাইন রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি ইমরান আলী, সাধারণ আতিকুর রহমান, ওয়ার্ল্ড ভিশন উপজেলার জেন্ডার অফিসার লাইলী আরজুমান খানম প্রমুখ। অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, সাংবাদিক, সূধি, সুশীলন ও ওয়ার্ল্ড ভিশনের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভার শুরুতে প্রজেক্টরের মাধ্যমে “বাল্য বিয়ের প্রেক্ষিত বাংলাদেশ” ভিডিও চিত্র উপস্থাপন করেন সুশীলনের উপজেলা কো-অডিনেটর হাবিবুর রহমান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কালিগঞ্জে কর্মচারীদের বেঁধে ঘের লুটের অভিযোগ

কালিগঞ্জ ব্যুরো : কালিগঞ্জ উপজেলার নলতার বিলকাজলা কামারচকে মৎস্য ঘের কর্মচারীদের বেঁধে রেখে লুট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার দিবাগত রাত অনুমান তিনটার দিকে বিলকাজলা কামারচক এলাকায়। লুট হওয়া ঘের মালিক নলতা গ্রামের মৃত অম্মত আলীর ছেলে জাকির হোসেন জানান, কামারচকে ৪০ বিঘা জমি লীজ নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত মৎস্য ঘের করে আসছেন। বুধবার রাতে মুখোশ পরা ৭/৮ জন দূর্বৃত্ত ঘেরের তিন কর্মচারি ফারুক হোসেন, শহিদ হোসেন ও আকবর আলীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাদের হাত-পা বেঁধে প্রায় ৩০ কেজি বাগদা চিংড়ি, একটি বিদেশী টর্চ লাইট ও নগদ সাড়ে তিন হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়। পরে তাদের ডাক চিৎকারে পার্শ্ববর্তী ঘেরের লোকজন এসে তাদের উদ্ধার করে। ভূক্তভোগিরা আরো জানান, শুধু জাকির হোসেনের মৎস্য ঘের নয় আশে পাশ এলাকার প্রায়ই মৎস্য ঘেরে প্রতিনিয়ত লুট হচ্ছে। গোন মুখে দূর্বৃত্তরা বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে জোর পূর্বক আটল ঝেড়ে মাছসহ ঘেরের বাসার বিভিন্ন মালামাল নিয়ে যাচ্ছে যার ফলে মৎস্য ঘের মালিকরা অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। প্রতিকার চেয়ে ভুক্তভোগি ঘের মালিকরা প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। বিষয়টি নিয়ে কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইন-চার্জ লস্কর জায়াদুল হকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন এব্যাপারে থানায় এসে কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
তালায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের কমিটি গঠন

তালা প্রতিনিধি : বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের তালা উপজেলা শাখার আহবায়ক কমিটি গঠিত হয়েছে। বরেন্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম শেখ আবুল খায়ের এর পুত্র শেখ জাহিদুর রহমান লিটুকে আহবায়ক এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম শেখ আব্দুস সামাদ’র পুত্র শেখ আলমগীর হোসেনকে সদস্য সচিব করে আহবায়ক কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার উক্ত কমিটিকে অনুমোদন দেন সাতক্ষীরা জেলা কমিটি।
জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সদস্য সচিব লাইলা পারভীন সেজুতি জানান, তালা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধ সংসদ সন্তান কমান্ডের ১১ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি বৃহস্পতিবার অনুমোদন দেয়া হয়েছে। উক্ত কমিটিতে শেখ জাহিদুর রহমান লিটুকে আহবায়ক, জাহিদুল ইসলাম রিপনকে যুগ্ম আহবায়ক এবং শেখ আলমগীর হোসেনকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। এছাড়া সদস্য হিসেবে আছাদুল্লাহ মিঠু, নিহার রঞ্জন সরকার, অজয় কুমার ঘোষ বাবলু, তৌহিদুর রহমান মোল্যা, শেখ রাকিবুল ইসলাম মানি, তৌহিদুর রহমান, শাপলা এবং সোয়েব সাদী নয়ন নির্বাচিত হন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মানুষ মানুষের জন্য -মুহম্মদ জাফর ইকবাল

গত বেশ কিছুদিন হলো পত্রপত্রিকার পৃষ্ঠার দিকে আর তাকানো যাচ্ছে না। মানুষের নিষ্ঠুরতার কথা পড়তে ভালো লাগে না। এ রকম খবর পত্রপত্রিকায় ছাপা হলে নিজের অজান্তেই চোখ ফিরিয়ে নিই। একাত্তর সালে আমাদের এ রকম নিষ্ঠুরতার ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছিল। তখন চোখ ফিরিয়ে নেওয়ার কোনো উপায় ছিল না। আমাদের চারপাশেই ওই ঘটনাগুলো ঘটেছিল। মনে হচ্ছে, ওই দিনগুলো বুঝি আবার ফিরে এসেছে। আমি না চাইলেও আবার ওই রকম ঘটনাগুলো দেখতে হচ্ছে, শুনতে হচ্ছে।

এক মা তার মৃত সন্তানের মুখের সঙ্গে মুখ লাগিয়ে শূন্যদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন। এ রকম দৃশ্য সহ্য করা কঠিন! কিন্তু এখন আমরা সবাই জানি, খবরের কাগজের ওই রকম একটি ছবির পেছনে এর চেয়েও ভয়ঙ্কর নির্মম আরও হাজারটি কাহিনি আছে। রোহিঙ্গাদের গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে, মেয়েদের ধর্ষণ-গণধর্ষণের শিকার হতে হয়েছে, নারী-পুরুষ-শিশুদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। ওই ভয়ঙ্কর অত্যাচার থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য এক-দুইজন নয়, ৪ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে বাংলাদেশে। এত অল্প সময়ে এত বেশি শরণার্থী আর কোথাও প্রাণ বাঁচানোর জন্য হাজির হয়েছে বলে আমার জানা নেই।

রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে থাকত। এই মুহূর্তে রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গার সংখ্যা কমে হাতে গোনা পর্যায়ে চলে এসেছে। তাদের বেশিরভাগই সেখান থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে। বহুদিন থেকে মিয়ানমার এটিই করতে চেয়েছিল। তারা শেষ পর্যন্ত এটি করতে পেরেছে। পৃথিবীর মানুষের সমালোচনা কিংবা ধিক্কার এক কান দিয়ে শুনে অন্য কান দিয়ে বের করে দিয়ে মিয়ানমার তাদের বহুদিনের কাঙ্ক্ষিত চূড়ান্ত সমাধানটি শেষ পর্যন্ত করে ফেলতে পেরেছে।

পৃথিবী ইতিহাসে এ রকম চূড়ান্ত সমাধানের কোনো আভাস নেই। ইসরায়েল নামক রাষ্ট্রটি এর সবচেয়ে স্পষ্ট উদাহরণ। জোর করে একটি জায়গা থেকে সব অধিবাসীকে সরিয়ে দিয়ে সেখানে ইসরায়েল রাষ্ট্রটি তৈরি করা হয়েছে। বিশ্ববিবেকের এতে একটি আঁচড়ও পড়েনি। কাজেই হঠাৎ করে রোহিঙ্গাদের জন্য পৃথিবীর মানুষ ব্যাকুল হয়ে উঠবে, আমি একবারও সেটি মনে করি না।

আমরা নিজের চোখেই দেখতে পাচ্ছি, ওই রোহিঙ্গা বিপর্যয় নিয়ে আমাদের পাশের দেশ ভারতবর্ষের কোনো মাথাব্যথা নেই। চীন ও রাশিয়া মোটামুটি স্পষ্ট করে বলে দিয়েছে, তারা মিয়ানমারের পক্ষে। একাত্তরে যখন বাংলাদেশ গণহত্যা চলছিল, আমাদের চোখের সামনে শুধু মানুষের লাশ আর লাশ, ঠিক তখনও আমরা শুনতে পেতাম এটি ‘পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়’।

এতদিন পর ওই একই ভাষায় একইভাবে আমরা শুনতে পাচ্ছি, রোহিঙ্গা গণহত্যার ব্যাপারটি হচ্ছে মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিষয়। ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেশ আমেরিকার ‘রিফিউজি’ বা ‘শরণার্থী’ নিয়ে রীতিমতো অ্যালার্জি আছে। তাই বাংলাদেশের রোহিঙ্গা শরণার্থী নিয়ে তাদের কোনো গরজ থাকার কথা নয়। নিউইয়র্ক থেকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেটি সোজা ভাষায় আমাদের জানিয়ে দিয়েছেন।

সদা হাস্যময় মিনামারের জেনারেল সাহেব ইউরোপের খুবই জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব। সারা পৃথিবীতে তিনি খুবই দাপটের সঙ্গে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। অং সান সু চিকে সাধারণ মানুষ ইন্টারনেটে একটু গালমন্দ করছে। চোখ, নাক, মুখ বন্ধ করে এ সময়টা পার করে দিলেই পৃথিবীর মানুষ ওই কথা ভুলে যাবে। আমি প্রতিদিন ইন্টারনেটে বিবিসিতে একবার চোখ বুলিয়ে দেখি।

এর মধ্যেই প্রাত্যহিক খবরে এখন রোহিঙ্গাদের কোনো খবর নেই। প্রাণ বাঁচানোর জন্য লাখ লাখ নারী-শিশু ও পুরুষের নিজ বাসভূমি ছেড়ে অন্য দেশে আশ্রয় নেওয়ার ঘটনাটির গুরুত্ব বিশেষ অবশিষ্ট নেই। কাজেই মোটামুটি অনুমান করা যায়, মিয়ানমার তাদের রাখাইন রাজ্যটি মোটামুটি ঝামেলামুক্ত করে ফেলেছে। সেখানে আর কোনো রোহিঙ্গা নেই। কাজটি করতে হয়তো অনেক সময় লাগত। কিন্তু অনেক দ্রুত করে ফেলা গেছে।

পুলিশ-মিলিটারির ঘাঁটি আক্রমণ করে অল্প কিছু পুলিশ-মিলিটারিকে মেরে রোহিঙ্গাদের চরমপন্থি দল ‘আরসা’ পুরো কাজটি খুব সহজ করে দিয়েছে। এখন মিয়ানমারের বিশাল মিলিটারি বাহিনী খুবই ‘যৌক্তিক’ভাবে রোহিঙ্গাদের গণহত্যা করতে পারছে। এভাবে যে গণহত্যা করা যায়, আমাদের চোখের সামনেই সেটি অনেকবার হতে দেখেছি আমরা।

দুই.
শান্তির জন্য নোবেল পুরস্কার পাওয়া ভদ্রমহিলা অং সান সু চি সেদিন তাদের টেলিভিশনে একটা ভাষণ দিয়েছেন। ভাষণে তিনি কী বলবেন মোটামুটি অনুমান করা গিয়েছিল এবং সেটিই বলেছেন। একাত্তরে বাংলাদেশের এক কোটি শরণার্থী ভারতবর্ষে আশ্রয় নিয়েছিল। পৃথিবীর বেশকিছু দেশ যখন তা নিয়ে পাকিস্তানের ওপর চাপ দিয়েছিল, তখন কোনো একপর্যায়ে শরণার্থীদের ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছিল পাকিস্তানের মিলিটারি। ওই আহ্বান শুনে একটা শরণার্থীও ফিরে যায়নি। কেন যাবে?

পাকিস্তানের মিলিটারিরাও জানত, সেটি ফাঁকা বুলি। শরণার্থীরাও জানত এটা ধাপ্পাবাজি। নিজের জীবন নিয়ে কে ধাপ্পাবাজির ফাঁদে পা দেবে? মিলিটারির গুলি খেয়ে মারা যাওয়ার থেকে অনাহারে, রোগে, শোকে, কলেরায় মারা যাওয়াটাই তাদের কাছে বেশি গ্রহণযোগ্য মনে হয়েছিল। শরণার্থী ক্যাম্পে তখন প্রায় ৮ লাখ থেকে ১০ লাখ মানুষ মারা গিয়েছিল।

এবারে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়া ভদ্রমহিলা পাকিস্তানের মিলিটারি থেকে এক কাঠি সরেস! তিনি ঘোষণা দিয়েছেন, যাচাই-বাছাই করে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ফেরত নেওয়া হবে। যাচাই-বাছাই করার প্রক্রিয়াটি কী, আমরা এখনো তা জানি না। যারা প্রাণ নিয়ে পালিয়ে এসেছে, তাদের কাছে কী কাগজপত্র প্রমাণ হিসেবে আছে তা আমার জানা নেই।

সবচেয়ে বড় কথা, ওই রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর কোনো নাগরিকত্ব নেই। ব্যাপারটি বুঝতেই পারি না, একজন মানুষ একটি দেশে থাকে। কিন্তু সে ওই দেশের নাগরিক নয়! কোনো দেশের সংবিধানে কথাগুলো লেখা থাকে ওই দেশের নাগরিকের জন্য। কাজেই যারা ওই দেশের নাগরিক নয়, তাদের জন্য রাষ্ট্রের কোনো দায়দায়িত্ব নেই। এর অর্থ রোহিঙ্গা শিশু লেখাপাড়া করতে পারবে না, অসুস্থ হলে চিকিৎসা পেতে পারবে না, বাস-ট্রেনে উঠতে পারবে না, দেশের এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে পারবে না।

সবচেয়ে ভয়ঙ্কর কথা, দেশের সুনাগরিকরা যদি দা-চাপাতি হাতে নিয়ে রোহিঙ্গাদের কেটে টুকরো টুকরো করে ফেলে, তাহলে সেটি অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা হবে না। রোহিঙ্গা মেয়েরা যেহেতু নাগরিক নয়, সেহেতু তাদের ধর্ষণ করাও নিশ্চয়ই গুরুতর অপরাধ নয়। যে রাষ্ট্রের অনেক মানুষের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়, ওই দেশের সংবিধানটি দেখার আমার খুবই কৌতুহল।

শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়া ভদ্রমহিলা শরণার্থীদের যাচাই-বাছাই করে ফিরে যাওয়ার প্রক্রিয়ার কথা বলে অবশ্য স্বীকার করে ফেলেছেন, শরণার্থী বলে কিছু একটা আছে। আমি ভেবেছিলাম, তিনি সেটিও অস্বীকার করবেন। চীন, রাশিয়া ও ভারতবর্ষ পাশে থাকলে যে কোনো মিথ্যা কথা খুব জোর দিয়ে বলা যায়।

নাফ নদীর এপার থেকে যখন দেখা যায় রাখাইন রাজ্যে গ্রামে গ্রামে আগুন জ্বলছে, তখন আগুনটাকে অস্বীকার করা একটু কঠিন হয়ে যায়। এখন রাখাইন রাজ্যের কর্মকর্তারা বলছেন, তারা নিজেরাই নিজেদের বাড়িতে আগুন দিয়েছে। এর চেয়ে নিষ্ঠুর কৌতুক আর কী হতে পারে!

শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়া ভদ্রমহিলার বক্তব্যের সবচেয়ে চমকপ্রদ বক্তব্য হচ্ছে, তাদের দেশের মিলিটারিরা ৫ সেপ্টেম্বরের পর আর কিছু করেনি। বক্তব্যটিকে সোজা বাংলায় অনুবাদ করলে এ রকম শোনাবে ‘২৪ আগস্ট থেকে আমাদের মিলিটারি রোহিঙ্গাদের নির্বিচারে হত্যা করেছে, মেয়েদের ধর্ষণ করেছে, বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিয়েছে, রোহিঙ্গারা প্রাণ বাঁচানোর জন্য বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে।

মোটামুটি সবাইকে যেহেতু তাড়িয়ে দেওয়া গেছে, এখন হত্যা করার জন্য আর কাউকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সেহেতু ৫ সেপ্টেম্বর থেকে হত্যা, ধর্ষণ, বাড়ি জ্বালানো বন্ধ আছে।’ তবে এ কথাটি নির্জলা মিথ্যা। ৫ সেপ্টেম্বরের পরও রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের গ্রাম পোড়ানো হয়েছে। তাদের ওপর হামলা হয়েছে।

সবচেয়ে বড় কথা, শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়া ভদ্রমিহলার বক্তব্য শুনে মনে হলো, ৫ সেপ্টেম্বর মিলিটারি অ্যাকশন বন্ধ করার জন্য সারা পৃথিবী থেকে তিনি এক ধরনের বাহবা কিংবা সম্ভব হলে শান্তির জন্য দ্বিতীয় আরেকটি নোবেল পুরস্কার আশা করছেন! তা না হলে এত বড় গলায় এত বড় একটা মিথ্যা কথা কীভাবে বলা হয়?

মিয়ানমারে ছুটে গিয়েছিলেন আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। সামরিক শাসন শেষ হয়ে মিয়ানমার গণতান্ত্রিক দেশ হয়ে গেছে। ওই আনন্দে সারা পৃথিবী উদ্বাহু হয়ে নৃত্য করেছে। রোহিঙ্গা বিপর্যয়ের কারণে আমরা এখন মিয়ানমারে গণতন্ত্রের প্রকৃত ছবিটা দেখতে পাচ্ছি। তাদের সংসদের শতকরা ২৫ ভাগ আসন মিলিটারিদের জন্য।

শুধু তা-ই নয়, কোনো বিল পাস করতে হলে শতকরা ৭৫ ভাগ ভোট পেতে হয়। এর অর্থ কোন বিল পাস হবে এবং কোন বিল পাস হবে না, সেটি ওই দেশের মিলিটারি ঠিক করে দেয়। মজা এখানেই শেষ নয়, সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করে মিলিটারি। কিন্তু দেশটিকে পৃথিবীর সামনে উপস্থাপন করার জন্য রয়েছেন শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়া সারা পৃথিবীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় সিক্ত ফটোজেনিক এক ভদ্রমহিলা। কী মজা!

আমি দেশ, রাজনীতি, অর্থনীতি কিছুই বুঝি না। সাধারণ মানুষের কমনসেন্স দিয়ে সবকিছু বোঝার চেষ্টা করি। একেবারে মৌলিক যে বিষয়গুলো সাধারণ জ্ঞান দিয়ে বুঝতে হবে, সেটি হচ্ছে এই পৃথিবীতে সব মানুষের সম্মান নিয়ে বেঁচে থাকার অধিকার আছে।

পৃথিবীটা নানা দেশে ভাগ করা আছে। সব দেশের দায়িত্ব নিজের দেশের মানুষকে সুখ-শান্তিতে বেঁচে থাকার জন্য সাহায্য করা। গায়ের রং, মুখের ভাষা কিংবা ধর্মের জন্য কাউকে পছন্দ না হলেই তাকে দেশ থেকে বের করে দেওয়া যাবে না। ইসরায়েল কিংবা মিয়ানমার সেটি করতে পারবে না। তাদের যত বড় খুঁটির জোরই থাকুক না কেন, সেটি অন্যায় এ কথাটি আমরা উচ্চকণ্ঠে বলতে পারব।

আমার ‘উচ্চকণ্ঠ’ আমার চারপাশের মানুষের কান পর্যন্ত পৌঁছায়। কিন্তু যখন এক ডজন নোবেল পুরস্কার পাওয়া মানুষ ওই একই কথা বলেন, তখন এ কথাটি সারা পৃথিবীর বিবেককে নাড়া দেয়। জাতিসংঘের পক্ষ থেকে যখন বলা হয়, এটি হচ্ছে একটি জাতি নিঃশেষ করে দেওয়ার ধ্রুপদি প্রক্রিয়া তখন একটুখানি হলেও পৃথিবীর সব মানুষের ওপর বিশ্বাস আরও একটুখানি ফিরে আসে।

এর মধ্যে আরও একটি ব্যাপার আছে। পৃথিবীর বৈচিত্র্য হচ্ছে সৌন্দর্য। একটি দেশের মানুষের ভেতর যত বৈচিত্র্য থাকবে, ওই দেশটি হবে তত সম্ভাবনাময়। এর সবচেয়ে বড় উদাহরণ হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ওই দেশে পৃথিবীর সব দেশের সব জাতির মানুষ রয়েছে। সত্যি কথা বলতে কী এটি একটি বড় দেশ নয়, এটি একটি ছোট পৃথিবী। এ কারণে ওই দেশটি এত উন্নত হতে পেরেছে (এই মুহূর্তে ডোনাল্ড ট্রাম্প অবশ্য দেশটির প্রকৃত সৌন্দর্য অস্বীকার করে এটিকে বৈচিত্র্যহীন দেশে পরিণত করার চেষ্টা করছে!)।

আমাদের দেশের মানুষের মধ্যে বৈচিত্র্য খুব বেশি নয়। এ জন্য অল্প যে কয়েক আদিবাসী বা ভিন্ন কালচারের মানুষ রয়েছে, আমাদের বুক আগলে তাদের রাখার চেষ্টা করতে হয়। মিয়ানমারের জন্যও এ কথাটাই সত্যি। তাদের দেশের শতকরা ৯০ ভাগ মানুষ বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী। কাজেই ভিন্ন ধর্মের অল্প যে কয়েকজন রয়েছে, তাদের মূল্যবান সম্পদের মতো বুক আগলে রক্ষা করার কথা ছিল! মিয়ানমারের জেনারেলদের ওই সৌন্দর্য অনুভব করার ক্ষমতা নেই।

রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী তাদের কাছে আপদ-বালাই। তাদের নিশ্চিহ্ন করে দিলেই তাদের শান্তি। বলতে কোনো দ্বিধা নেই, তারা আধুনিক পৃথিবীর মানুষ এখনো হতে পারেনি। তাদের জন্য আমাদের করুণা হয়।

বাংলাদেশি হিসেবে আজ আমি অনেক গর্ব অনুভব করি যখন দেখতে পাই, আমাদের দেশটি হতভাগ্য রোহিঙ্গাদের বুক আগলে রক্ষা করার জন্য এগিয়ে এসেছে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী তাদের দেখতে শরণার্থী শিবিরে গিয়েছিলেন। তখন বিদেশি এক সাংবাদিক তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, ‘এই রোহিঙ্গাদের আপনি কতদিন রাখবেন?’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘কতদিন? তারা সবাই মানুষ!’ পৃথিবীর সবাই লাভ-ক্ষতির হিসাব কষছে! আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী ওই লাভ-ক্ষতির হিসাব করেননি। একেবারে পরিস্কারভাবে বলেছেন, তিনি মানুষ হিসেবে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন!

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আমার কৃতজ্ঞতার শেষ নেই!

মুহম্মদ জাফর ইকবাল: কথাসাহিত্যিক ও অধ্যাপক, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest