সর্বশেষ সংবাদ-
২১ মে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে শেষ মুহূর্তে প্রচারনায় সরগরম দেবহাটাতালায় ধানের ট্রাক উল্টে ২ শ্রমিক নিহত : আহত ১০শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে সাতক্ষীরা জেলা শ্রমিকলীগের র‌্যালিসাতক্ষীরার শ্যামনগরে সাপের কামড়ে শিশুর মৃত্যু।সাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় ভ্যানচালক নিহতসাতক্ষীরার রাজ্জাক পার্কে সাশ্রয়ী মূল্যে মাসব্যাপী বসুন্ধরা পন্য বিক্রি শুরুসাতক্ষীরায় প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তার বাড়িতে ডাকাতির ঘটনার ৫ দিন পার না হতেই একই এলাকায় আবারো ডাকাতিএস এস সি পরীক্ষায় সাতক্ষীরা জেলায় প্রথম আহনাফ তাহসিনকারিগরি শিক্ষাকে মর্যাদা প্রদান ও ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষাকে বিএসসি সমমান মর্যাদা ঘোষনার উদ্যোগে বিদ্বেষী কার্যক্রমের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলনদেবহাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ উদযাপন

কলারোয়া ডেস্ক : ৫০ নম্বরের মধ্যে এক শিক্ষার্থী পেলো ৬৩ নম্বর! তাও আর এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে। অতিসম্প্রতি ঘোষিত এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে এমনই ঘটনা দেখা গেছে সাতক্ষীরার কলারোয়ার একজন পরীক্ষার্থীর মার্কসিটে বা গ্রেডসিটে। কলারোয়া সরকারি কলেজ থেকে সে ২০১৭সালের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ৪.১৭ গ্রেড পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে- কলারোয়া সরকারি কলেজে ছাত্র সুদিপ্ত কুমার সরদার ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের নিয়মিত শিক্ষার্থী হিসেবে যশোর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২০১৭ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে অংশ নেয়। তার রোল নং- ৪০৮৬৩৯, রেজি:নং- ১২১৩৬৭৪০৭০। তার পিতার নাম- পূর্ণ চন্দ্র সরদার, মাতার নাম- প্রমিলা রানী সরদার। গত ২৩ জুলাই বোর্ডের প্রকাশিত ফলাফলে ওই শিক্ষার্থী উচ্চতর গণিত বিষয়ের ২য় পত্রের রচনামূলক (সৃজনশীল) অংশে ৬৩ নম্বর পেয়েছে। অথচ ওই অংশের মোট নম্বর ৫০। অর্থাৎ ৫০ নম্বরের মধ্যে পেয়েছে ৬৩নম্বর! সেখানে নৈব্যক্তিক অংশে ২৫নম্বরের মধ্যে সে পেয়েছে ৮নম্বর ও ২৫ নম্বরের ব্যবহারিক অংশে পেয়েছে ২৪নম্বর। সেখানে ২য়পত্রের ওই ৬৩নম্বরসহ উচ্চতর গণিতে ১ম ও ২য় পত্র মিলিয়ে সে মোট পেয়েছে ১৬৪নম্বর আর উচ্চতর গণিতে গ্রে এ+।
বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে নানা গুঞ্জনের সৃষ্টি হয়েছে। ফেসবুকে ওই রেজাল্টসিটের স্ক্রিনশটও প্রকাশিত হয়েছে। যশোর শিক্ষাবোর্ডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ফলাফলেও একই চিত্র- ৫০নম্বরের মধ্যে ৬৩!
এ বিষয়ে কলারোয়া সরকারি কলেজের গণিত বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক শাহনেওয়াজ করিম জানান- ‘উচ্চতর গণিতের ২য়পত্রের মোট ১০০ নম্বরের মধ্যে রচনামূলক অংশে ৫০ নম্বর, নৈব্যক্তিক অংশে ২৫ ও ব্যবহারিক অংশে ২৫ নম্বর। সেখানে রচনামূলক অংশে ৬৩ নম্বর প্রাপ্তের বিষয়টি বোর্ডের ভুল হয়ে থাকতে পারে।’
কলারোয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর বাসুদেব বসু জানান- ‘বিষয়টি বোর্ডের এখতিয়ার। এ বিষয়ে তার কোন বক্তব্য নেই।’
এদিকে, ৫০ নম্বরের মধ্যে ৬৩ নম্বর প্রাপ্তকে বোর্ড কিংবা সংশ্লিষ্ট পরীক্ষকের ভুল বলে মনে করছেন শিক্ষা সংশ্লিষ্ট অনেকে। তাদের ধারণা হয়তোবা ৩৬ উল্টেগিয়ে ৬৩ হয়ে থাকতে পারে। তবে ওই বিষয়ে মোট যোগফল করা হয়েছে প্রাপ্ত ৬৩ নম্বর দিয়েই।
বিষয়টি কলারোয়ায় অনেকের মাঝে মুখরোচক বিষয়েও পরিণত হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

কলারোয়া ডেস্ক : কলারোয়ায় মাদকবিরোধী র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার সকাল ১১টার দিকে র‌্যালি শেষে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ওই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস ২০১৭ উদযাপন উপলক্ষ্যে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
‘আগে শুনুন: শিশু ও যুবাদের প্রতি মনোযোগ দেয়াই তাদের নিরাপদ বেড়ে উঠার প্রথম পদক্ষেপ’ শীর্ষক ওই অলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলারোয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উত্তম কুমার রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক এমএ ফারুক, কলারোয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জিয়াউর রহমান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আবদুল হামিদ, সমবায় অফিসার নওশের আলী, কলারোয়া রিপোটার্স ক্লাবের সভাপতি আজাদুর রহমান খাঁন চৌধুরী পলাশ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা, এনজিও কর্মীরাসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবুল হোসেন বলেছেন, সামনে নির্বাচন। এ সময় সন্ত্রাসীরা প্রস্তুতি নেয়। এটা অস্ত্র আসার মৌসুম। গরুর সাথে অস্ত্র চোরাচালান হয়। আমাদেরও প্রস্তুত থাকতে হবে।

বুধবার বেলা ১১ টায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার বাখের আলী সীমান্তে বিজিবির ৫৯ ব্যাটালিয়ন আয়োজিত ‘সীমান্ত অপরাধ, চোরাচালান ও মাদক প্রতিরোধে জনসচেতনতামূলক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।

গরু চোরাচালান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভারতে বিপুল পরিমাণ গরু পালিত হয়। ওই সব গরু তাদের দিতেই হবে। আমরাও চাই গরু আসুক। কিন্তু বাংলাদেশি রাখালরা যেন সীমান্ত অতিক্রম করে গরু আনতে না যায়। শূন্যরেখা থেকে গরু নিয়ে আসে। রাখালদের করিডোরের মাধ্যমে রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে। সীমান্তে কেউ হত্যার শিকার হলে করিডোর বন্ধ করে দিব।

সীমান্ত অঞ্চলের আর্থসামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ সহযোগিতা দেবে বিজিবি পরিচালিত সীমান্ত ব্যাংক- এ আশ্বাস দিয়ে বিজিবি মহাপরিচালক আরো বলেন, সরকার সীমান্ত সড়ক নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। এ সড়ক নির্মিত হলে এ অঞ্চলে কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়বে।

তিনি সীমান্তে অস্ত্র, মাদক চোরাচালান ও নারী-শিশু পাচার বন্ধে প্রশাসনসহ সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

ভারতে ৫০ কোটির মত মানুষের জন্য পর্যাপ্ত শৌচাগার নেই, ফলে বিরাট সংখ্যক জনগোষ্ঠী মল-মূত্র ত্যাগ করেন খোলা জায়গায়, মাঠে, জঙ্গলে, ফসলের ক্ষেতে।

খোলা স্থানে মলত্যাগ করার কারণে অনেক নারীকেই দেশটিতে যৌন হয়রানির শিকার হতে হয় বলে অভিযোগ – এমনকি অনেকে ধর্ষণের শিকারও হয়েছেন।

এবার এই বিষয়টিকে নিয়ে একটি সিনেমা তৈরি হয়েছে দেশটিতে, যেটির নাম ‘টয়লেট-এক প্রেম কথা’।

এমন একটি সময়ে সিনেমাটি বানানো হয়েছে, যখন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাড়িতে বাড়িতে আরো শৌচাগার তৈরির উদ্যোগ নিয়েছেন।

টয়লেট-এক প্রেম কথা’ একটি প্রেমের সিনেমা, আর এখানে খলনায়ক হচ্ছে টয়লেট।

“সিনেমাটি আসলে অনেক মজার। কিন্তু এর মধ্যেই সমাজের খুব বড় একটা সমস্যাকে তুলে ধরা হয়েছে”, বলছিলেন সিনেমাটির মূল নারী চরিত্র ভূমি পেডনেকার।

তিনি এই সিনেমায় অভিনয়ের অভিজ্ঞতা উল্লেখ করতে গিয়ে বলেন, “অভিনয়ের জন্য খোলা স্থানে কাপড় তুলে মলমূত্র ত্যাগ করতে গিয়ে আমি বুঝতে পারলাম এটা কতখানি অস্বস্তিকর। আমার মনে হল আমার ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘিত হচ্ছে”।

সিনেমাটি নির্মাণ করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘স্বচ্ছ ভারত’ প্রচারণার প্রেক্ষাপটে।

২০১৪ সালে তিনি ঘোষণা করেন ভারতের লক্ষ লক্ষ বাড়িতে তিনি শৌচাগার নির্মাণ করে দেবেন।

এই সিনেমাটিকেও তিনি অনুমোদন দিয়েছেন।

সিনেমার অভিনেতা অক্ষয় কুমার জানান প্রধানমন্ত্রীর সাথে তার দেখা হয়েছে এবং এই সিনেমার বিষয়বস্তু শুনে খুশি হয়েছেন।

কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর প্রচারণা সফল করার জন্য বলিউডে সিনেমা বানানোর দরকার হল কেন?

অক্ষয় কুমার বলেন, “ভারতে একসময় ৬৩ শতাংশ মানুষের শৌচাগার ছিল না। এখন সেটা ৫৩ শতাংশ। অবস্থার পরিবর্তন হচ্ছে ধীরে ধীরে। এটা শুধু বলিউডের অন্য আরেকটা সিনেমার মত না। ভারতকে পরিষ্কার রাখতে একটা ছোট প্রয়াস বলতে পারেন”।

কিন্তু ভারতের মানুষ বাড়িতে টয়লেট বানায় না কেন?

অভিনেত্রী ভূমি দিচ্ছেন নিজের ব্যাখ্যা।

“আমাদের সিনেমার ট্রেলারে একটা ডায়লগ আছে .. যে বাড়িতে তুলসী গাছ আছে, সেই বাড়িতে শৌচাগার থাকবে কিভাবে। অর্থাৎ যেখানে প্রার্থনা করা হয়, সেখানে মলমুত্র ত্যাগ কেন”?

সূত্র : বিবিসি বাংলা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

আগস্ট মাসে দেশে বড় ধরনের বন্যার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন পানিসম্পদমন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘এ বছরের অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে আগামী আগস্ট মাসে দেশে বড় ধরনের বন্যা হতে পারে। সেই আশঙ্কা আমাদের আছে। এ বিষয়টি মাথায় রেখে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও জেলা প্রশাসনকে সতর্ক থেকে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং বন্যার আগে বাঁধগুলো মেরামত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

বুধবার সকাল সাড়ে ১২টায় সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) সম্মেলনের দ্বিতীয়দিনের তৃতীয় অধিবেশন শুরু হয়। অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন পানিসম্পদমন্ত্র ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী। অধিবেশন শেষে বের হওয়ার সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পানিসম্পদমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, ‘প্রকৃত বন্যা বলতে যা বোঝায় সেটি এখনও আমাদের দেশে হয়নি। যখন পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা নদীর পানি এক সঙ্গে বাড়ে তখনই প্রকৃত বন্যা হয়। তবে বন্যা হয়েছে ভারতে, সেখানে মানুষ মারা গেছে। কিন্তু আমাদের দেশে এমন দুঃখজনক ঘটনা ঘটেনি।’

ডিসিদের কী নির্দেশনা দিয়েছেন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ডিসিরা বন্যার বিষয়ে কোনও কথা বলেননি। তারা নদী ভাঙন রোধ নিয়ে আলোচনা করেছেন। আমরা তাদের বলেছি, এখন থেকে মন্ত্রণালয়ের যে বরাদ্দ থাকে তার অর্ধেক ব্যয় করবো নদী শাসন কাজে। এ কাজ করতে ডিসিদের কর্মপরিকল্পনা প্রস্তুতের নির্দেশ দিয়েছি। এছাড়া পানি নেমে গেলে বাঁধ সংরক্ষণ করতে ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘এখন দেশের বিভিন্ন এলাকায় যে পানি বেড়েছে তা মূলত বৃষ্টি ও জলাবদ্ধতার পানি। আমাদের দেশে সাধারণত বন্যা হয় আগস্ট মাসের প্রথম বা দ্বিতীয় সপ্তাহে। কিন্তু এবার যেটা হয়েছে তা মূলত বৃষ্টি ও অতিবৃষ্টির ফল। ইতোমধ্যে অন্য বছরের তুলনায় ২/৩ গুণ বৃষ্টি হয়েছে। সে কারণে অনেক জায়গায় জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

অপ্রতিম রহমান : বিরল রোগে আক্রান্ত সাতক্ষীরার শিশু মুক্তামনিকে প্রয়োজনে বিদেশ পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরই জের ধরে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের সাথে যোযোগ শুরু করেছেন ডা. সামন্ত লাল সেন। তিনি বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি। প্রধানমন্ত্রী আমাকে বলেছেন, মুক্তামনিকে যদি বিদেশ পাঠানোর দরকার হয় তবে যেন তাই করা হয়। প্রধানমন্ত্রী মুক্তামনির ছবি দেখেছেন। ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন- ওর চিকিৎসায় যেন কোনও গাফিলতি না হয়।’
প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে বের হয়ে এরইমধ্যে ডা. সামন্ত লাল সেন সিঙ্গাপুরের জেনারেল হাসপাতালে যোগাযোগও শুরু করেছেন বলেও জানান তিনি।
সামন্ত লাল বলেন, ‘আমরা সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে যোগাযোগ করেছি। সেখানে কাগজপত্র পাঠানো হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারপর মুক্তামনিকে সেখানো পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
কবে নাগাদ পাঠানো হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে নিশ্চিত হয়েই তাকে পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে।’
প্রসঙ্গত, বিরল রোগে আক্রান্ত সাতক্ষীরার শিশু মুক্তামনিকে ১১ জুলাই ঢামেকের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়।তার চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলায় চার শিশু হত্যার দায়ে মামলার তিন আসামিকে ফাঁসির দণ্ডাদেশ এবং আরো দুজনকে সাত বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল। এ মামলায় অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় তিনজন খালাস পেয়েছেন।

আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ট্রাইব্যুনালের বিচারক মকবুল আহসান এ মামলার রায় ঘোষণা করেন বলে জানিয়েছেন মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কিশোর কুমার কর।

আইনজীবী আরো জানান, ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্তরা হলেন হাবিবুর রহমান আরজু, রুবেল মিয়া ও উস্তার মিয়া। সাত বছরের সশ্রম দণ্ড দেওয়া হয়েছে জুয়েল মিয়া ও শোয়েব আহমেদ বশিরকে। আর খালাস পেয়েছেন আবদুল আলী বাগাল, বিল্লাল মিয়া ও বাবুল মিয়া।

তাঁদের মধ্যে উস্তার মিয়া, বাবুল মিয়া ও বিল্লাল পলাতক। বাকিরা রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

মামলার রায়কে কেন্দ্র করে আজ সকাল থেকে আদালত চত্বরে কড়া নিরাপত্তা নেওয়া হয়। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কারাগারে থাকা পাঁচ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়।

গত ১২ ফেব্রুয়ারি বাহুবল উপজেলার ভাদেশ্বর ইউনিয়নের সুন্দ্রাটিকি গ্রামের চার শিশু নিখোঁজ হয়। ১৭ ফেব্রুয়ারি সকালে গ্রামের অদূরে বালিমাটিতে পুঁতে রাখা অবস্থায় তাদের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

এই শিশুরা হলো—সুন্দ্রাটিকি গ্রামের মো. ওয়াহিদ মিয়ার ছেলে সুন্দ্রাটিকি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র জাকারিয়া আহমেদ শুভ (৮), তার দুই চাচাতো ভাই আবদুল আজিজের ছেলে একই বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র তাজেল মিয়া (১০) ও আবদাল মিয়ার ছেলে একই বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্র মনির মিয়া (৭) এবং তাদের প্রতিবেশী আবদুল কাদিরের ছেলে সুন্দ্রাটিকি মাদ্রাসার ছাত্র ইসমাঈল হোসেন (১০)।

এ ঘটনায় বাহুবল থানায় নয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন মনির মিয়ার বাবা আবদাল মিয়া। শুরুতে এ মামলা দেখভাল পুলিশ করলেও পরে তা তদন্তের জন্য জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। একই বছরের ২৯ এপ্রিল ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মুক্তাদির নয়জনের বিরুদ্ধে হবিগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

মামলার আসামিরা ছিলেন আবদুল আলী বাগাল, হাবিবুর রহমান আরজু, রুবেল মিয়া, জুয়েল মিয়া, শোয়েব আহমেদ বশির, বিল্লাল মিয়া, উস্তার মিয়া ও বাবুল মিয়া। এ ছাড়া এ মামলার আসামি বাচ্চু মিয়া মামলা চলাকালে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মারা যান।

অভিযোগপত্র গ্রহণের পর একই বছরের ৭ সেপ্টেম্বরে মামলাটির বিচার শুরু হয়। হবিগঞ্জ আদালতে মামলার ৫৭ সাক্ষীর মধ্যে ৪৫ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। ২০১৭ সালের ১৫ মার্চ মামলাটি সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়। এখানে আরো সাতজনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়।

আসামিদের মধ্যে চারজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

সুন্দ্রাটিকি গ্রামের দুই পঞ্চায়েত আবদাল মিয়া তালুকদার ও আবদুল আলী বাগালের মধ্যে পারিবারিক বিরোধের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয় বলে মামলার তদন্ত ও আসামিদের দেওয়া স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে পুলিশ জানিয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

একসঙ্গে ২৫ স্ত্রী রাখায় কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়ায় এক ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। এক দশক ধরে বিচার কাজ চলার পর গত সোমবার ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার সর্বোচ্চ আদালত এ রায় দেন। বিচ্ছিন্ন একটি বহুগামী সম্প্রদায়ের সাবেক ওই নেতার নাম উইন্সটন ব্ল্যাকমোর (৬০)। তার সন্তান সংখ্যা ১৪৬।

উইন্সটন ব্ল্যাকমোর বরাবরই বহুগামিতাকে (একাধিক নারীর সঙ্গে সম্পর্ক) বৈধ করার বিপক্ষে ছিলেন। তার মতে, বহুগামিতাকে বৈধ করলে নারীরা আরও বেশি নিপীড়ণের শিকার হবেন। আবার তিনিই ২৫ নারীর সঙ্গে একই সময়ে সংসার করতেন। আর এজন্য নিজেকে দোষীও মনে করেন না।

সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের পর উইন্সটন ব্ল্যাকমোর বলেন, ‘নিজের ধর্মে বিশ্বাস রাখার জন্য এবং সে মতে জীবনযাপন করার জন্য আমাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। আমি কখনই বিষয়টি অস্বীকার করিনি। ‘

উইন্সটন ব্ল্যাকমোরই শুধু নন, সোমবার আদালত বহুগামী সম্প্রদায়ের আরও এক নেতাকে একই কারণে দোষী সাব্যস্ত করেছে। জেমস ওলার (৫৩) নামের ওই ব্যক্তি উইন্সটন ব্ল্যাকমোরেরই আত্মীয় (স্ত্রীর ভাই)। ওলারের সংসারে স্ত্রীর সংখ্যা পাঁচ। সূত্র : ফক্স নিউজ ও টেলিগ্রাফ

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest