সর্বশেষ সংবাদ-
অন্যায় কাজে কাউকে প্ররোচিত করবো না, উন্নয়নই হবে মূল লক্ষ্য : সাবেক এমপি হাবিবশোভনালীতে মানব পাচার প্রতিরোধ ও নিরাপদ অভিবাসন ডেস্ক উদ্বোধনআশাশুনির গোয়ালডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মানববন্ধনজবাবদিহিতা ও মানবাধিকার সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিতে গোলটেবিল সভাতালায় টিআরএম কার্যক্রমের বকেয়া ক্ষতিপূরণের দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলনপুজামণ্ডপে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে ব্যবস্থা: সাতক্ষীরার পুলিশ সুপারজলবায়ু পরিবর্তনে মানবাধিকার নিশ্চিতকরণে শ্যামনগরে এনগেজ প্রকল্পের অবহিতকরণ সভালাপা প্রকল্পের জেলা পর্যায়ে স্টেকহোল্ডার পরামর্শ সভাসাতক্ষীরায় যৌথবাহিনির অভিযানে অস্ত্র-মাদকসহ তিনজন আটকসাতক্ষীরা জেলা আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক মাসিক সভা

শেষ পর্যন্ত আত্মঘাতীই হলেন ২ শিশুসহ পাঁচ জঙ্গি

রাজধানীর দারুস সালামে জঙ্গি আস্তানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, ভবনে আগুণ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। পুরো এলাকা ধোঁয়া আচ্ছন্ন হযে পড়ে। সর্বশেষ খবরে জানা গেছে, ঘটনা স্থলে আহত হয়েছে র‍্যাবের ৪ সদস্য। তবে তাৎক্ষনিক ভাবে আহতদের নাম পাওয়া যাযনি। পুরো এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ঠিক রাত ১১: ৩০ মিনিট জানা গেছে ভেতরে থাকা ২ শিশুসহ পাঁচ জঙ্গি আত্মঘাতি হয়েছেন। এতে ২ শিশুসহ পাঁচ জঙ্গিই নিহত হয়েছেন।

উল্লেখ্য, এর আগে ৮ ঘণ্টা ধরে ঘিরে রাখা বাড়ির সন্দেহভাজন জঙ্গি আবদুল্লাহ কিছুক্ষণের মধ্যেই আত্মসমর্পণ করবে এমনটাই জানা গিয়েছিল। স্ত্রী সন্তানকে আস্তানার বাইরে পাঠিয়ে এমন তথ্য দিয়েছে জঙ্গি। র‌্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ঘটনাস্থলের কাছে উপস্থিত সাংবাদিকদের এক ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন। তিনি বলেন,“সাড়ে ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে সে আত্মসমর্পণ করবে বলে আমাদের জানিয়েছে। এর মধ্যে ধ্বংসাত্মক কিছু করতে চাইলে আমরা সেভাবে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি।” এমন পরিস্থিতিতে তাঁরা আত্মসমর্পন না করে ভয়াবহ বিস্ফোরণ টি ঘটায়।

টাঙ্গাইলে জঙ্গি আস্তানা থেকে দুজনকে গ্রেফতারের পর তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মিরপুরের বাসাটির পঞ্চম তলায় সন্দেহভাজন ব্যক্তি অবস্থান করছেন এমন তথ্যের ভিত্তিতে বাসাটিতে অভিযান শুরু করা হয়। জানা যায়, ইতিমধ্যে বাড়িটির গ্যাস,বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। তবে ভেতরে থাকা আব্দুল্লাহর সঠিক পরিচয় এখনো জানা যায়নি। আব্দুল্লাহ কাছে ৫০টির মতো আইডি আছে এমন তথ্যও জানা গেছে।

সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গার হাসান চিশতির নামের একব্যক্তির একতলা একটি বাড়িতে কয়েকজন জঙ্গি অবস্থান করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে বড়িটি ঘিরে রাখে র‌্যাব। এসময় ঐ বাড়িটিতে অভিযান চালিয়ে মাসুদ ও খোকন নামে দুইজনকে আটক করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) মিরপুরের দারুস সালাম এলাকায় অভিযান চালানো হয়। পরে ঐ বাসাটির পঞ্চম তলায় সন্দেহভাজন ব্যক্তি ও তার দুইসহযোগীসহ অবস্থান করছেন এমন তথ্য জানার পর বাসাটিতে অভিযান শুরু করে র‌্যাব।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
পাইকগাছায় মূল্যবান সীমানা পিলারসহ স্বামী-স্ত্রী আটক

পাইকগাছা ব্যুরো : পাইকগাছায় মূল্যবান সীমানা পিলারসহ প্রতারক চক্রের সদস্য স্বামী-স্ত্রীকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। এ ঘটনায় পাইকগাছা থানায় মামলা হয়েছে।
খুলনা জেলা ডিবি পুলিশের ওসি শিকদার আককাছ আলী (পিপিএম) জানিয়েছেন, সোমবার গভীর রাতে উপজেলার দেবদুয়ার গ্রামে অভিযান চালিয়ে ১৮১৮ সালের ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির নির্মিত একটি ধাতব সীমানা পিলার পাচারকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রেহানা ও তার স্বামী শফিকুল গাজীকে আটক করে। এসময় অন্যরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় মঙ্গলবার ডিবি পুলিশ পরিদর্শক এস,এম, আলমগীর কবির বাদী হয়ে আটক রেহানা ও তার স্বামীসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে পাইকগাছা থানায় মামলা করেছে। যার নং- ০৬।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দরগাহপুরের শাহিনুরকে বরগুনায় জবাই করে হত্যা

আশাশুনি ব্যুরো: আশাশুনি উপজেলার দরগাহপুর গ্রামের মৃত: শেখ ছবির আহম্মেদের পুত্র শেখ শাহিনুর রহমানকে তার স্ত্রী হালিমা খাতুন জবাই করে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
পরিবার সূত্রে জানাগেছে, শেখ শাহিনুর (৩৭) বরগুনায় বিয়ে করে সেখানে স্ত্রীকে নিয়ে সুখেই সংসার জীবন অতিবাহিত করে আসছিল। একসময় তার স্ত্রী চাকরির জন্য বিদেশে পাড়ি জমায়। বিদেশ থেকে দেশে আসার পর স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ঝগড়া-বিবাদ লেগেই ছিল। গত সোমবার রাতে প্রতিদিনের ন্যায় স্বামী-স্ত্রী ঘুমিয়ে যায়। কিন্তু সকালে ঘরে শাগিনুরের গলা কাটা লাশ পড়ে থাকতে দেখা গেলেও তার স্ত্রীকে খুজে পাওয়া যায়নি। শাহিনুরের পরিবারের ধারনা তার স্ত্রী হালিমা তাকে রাতে গলা কেটে মেরে ফেলে বাড়ি থেকে পালিয়েছে। মঙ্গলবার বরগুনা থেকে লাশ দরগাহপুর গ্রামে আনার পর শতশত নারী-পুরুষ দেখার জন্য ভীড় করতে থাকে। দরগাহপুর জামে মসজিদ চত্বরে বাদ জোহর নামাজে জানাযা শেষে পারিবারিক কবর স্থানে তাকে দাফন করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কিছুক্ষণের মধ্যেই আত্মসমর্পণ করবে ‘জঙ্গি’ আবদুল্লাহ

৮ ঘণ্টা ধরে ঘিরে রাখা বাড়ির সন্দেহভাজন জঙ্গি আবদুল্লাহ কিছুক্ষণের মধ্যেই আত্মসমর্পণ করবে। স্ত্রী সন্তানকে আস্তানার বাইরে পাঠিয়ে এমন তথ্য দিয়েছে জঙ্গি। র‌্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ঘটনাস্থলের কাছে উপস্থিত সাংবাদিকদের এক ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন। তিনি বলেন,“সাড়ে ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে সে আত্মসমর্পণ করবে বলে আমাদের জানিয়েছে। এর মধ্যে ধ্বংসাত্মক কিছু করতে চাইলে আমরা সেভাবে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি।” এর আগে, জঙ্গি আস্তানার ভেতর থেকে জঙ্গি আবদুল্লাহর বোন আত্মসমর্পণের করে।

টাঙ্গাইলে জঙ্গি আস্তানা থেকে দুজনকে গ্রেফতারের পর তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মিরপুরের বাসাটির পঞ্চম তলায় সন্দেহভাজন ব্যক্তি অবস্থান করছেন এমন তথ্যের ভিত্তিতে বাসাটিতে অভিযান শুরু করা হয়।

জানা যায়, ইতিমধ্যে বাড়িটির গ্যাস,বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। তবে ভেতরে থাকা আব্দুল্লাহর সঠিক পরিচয় এখনো জানা যায়নি। আব্দুল্লাহ কাছে ৫০টির মতো আইডি আছে এমন তথ্যও জানা গেছে।

উল্লেখ্য, সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গার হাসান চিশতির নামের একব্যক্তির একতলা একটি বাড়িতে কয়েকজন জঙ্গি অবস্থান করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে বড়িটি ঘিরে রাখে র‌্যাব। এসময় ঐ বাড়িটিতে অভিযান চালিয়ে মাসুদ ও খোকন নামে দুইজনকে আটক করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) মিরপুরের দারুস সালাম এলাকায় অভিযান চালানো হয়। পরে ঐ বাসাটির পঞ্চম তলায় সন্দেহভাজন ব্যক্তি ও তার দুইসহযোগীসহ অবস্থান করছেন এমন তথ্য জানার পর বাসাটিতে অভিযান শুরু করে র‌্যাব।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভারত কেন মিয়ানমারের পাশে?

নতুন করে রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে বিশ্বজুড়ে উদ্বেগের মাঝে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আজ (মঙ্গলবার) থেকে মিয়ানমার সফর করছেন।
তার সফরের সময় যত এগিয়েছে, ভারত সরকারের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গা বিরোধী কথাবার্তাও শোনা গেছে।
২৫মে আগস্ট রাখাইন রাজ্যের বেশ কটি পুলিশ ফাঁড়িতে সন্দেহভাজন রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের হামলার পর ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, “সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ভারত সবসময় মিয়ানমারের পাশে থাকবে।”
তারও আগে ভারতের বিজেপি সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেন রিজুজু ঘোষণা করেন, ভারতে বসবাসরত ৪০হাজার রোহিঙ্গার সবাইকে বহিষ্কার করা হবে। যদিও ভারতে রোহিঙ্গাদের মধ্যে ১৬০০০ জাতিসংঘ নিবন্ধিত শরণার্থী, তবুও মি রিজুজু বলেন, “জাতিসংঘের নিবন্ধনের কোনো অর্থ নেই। আমাদের কাছে ওরা সবাই অবৈধ।”
কলকাতায় বিবিসির সাবেক সাংবাদিক সুবীর ভৌমিক, যিনি বর্তমানে মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুনে রয়েছেন, বলছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদীর সফরের ঠিক আগে দিল্লির পক্ষ থেকে এসব বক্তব্য বিবৃতির মূল্য উদ্দেশ্য বৌদ্ধ অধ্যুষিত মিয়ানমারের সাথে অধিকতর ঘনিষ্ঠতা।
সংখ্যাগরিষ্ঠ বার্মিজদের রোহিঙ্গা বিরোধী কট্টর মনোভাবের সাথে একাত্ম হতে চাইছে ভারত। মি ভৌমিক বলছেন, রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে চীনের মৌনতার সুযোগ কাজে লাগাতে চাইছে বিজেপি সরকার।
ভারতের মনিপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মিয়ানমার স্টাডি সেন্টারের অধ্যাপক জিতেন নংথাওবামকে উদ্ধৃত করে সুবীর ভৌমিক বলছেন – “মুসলিমদের প্রশ্নে বার্মিজ জাতীয়তাবাদী এবং কট্টর বৌদ্ধরা মি মোদি এবং তার দল বিজেপির সাথে একাত্ম বোধ করে।”
ভারত যে সম্প্রতি বিশেষ অভিযানের জন্য মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথা বলেছেন, সেটাকেও দেখা হচ্ছে রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে মিয়ানমারের সেনা অভিযানের প্রতি দিল্লির সমর্থন হিসাবে।
মি ভৌমিক বলছেন, মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সাথে ভারত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরিতে উন্মুখ কারণ, ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলোতে বিদ্রোহী তৎপরতায় লিপ্ত যোদ্ধাদের অনেকেই মিয়ানমারের জঙ্গলে গিয়ে আশ্রয় নেয়। ফলে তাদের শায়েস্তা করতে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সহযোগিতা ভারতের প্রয়োজন।
মিয়ানমারে ভারত এখন কিছু গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো প্রকল্পের সাথে যুক্ত। রাখাইন রাজ্যেই ভারত একটি বন্দর এবং নদীপথ প্রকল্পে জড়িত। ভারতের মিজোরাম এবং রাখাইন রাজ্যের মধ্যে একটি সড়ক নির্মাণেও ভারত জড়িত।
সুবীর ভৌমিক বলছেন, ভারতের মূল উদ্দেশ্য মিয়ানমারে চীনের প্রভাব বলয়ে ফাটল ধরানো।
তার মিয়ানমার সফরে নরেন্দ্র মোদি বাগান এলাকায় ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত একটি প্যাগোডা দেখতে যাবেন। এই প্যাগোডাটি ভারত সংস্কার করে দিচ্ছে। স্থানীয় স্টেডিয়ামে তিনি একটি জনসভাতেও ভাষণ দেবন।
সম্ভাব্য উদ্দেশ্য – ধর্মীয় এবং রাজনৈতিক ভাবাবেগ ব্যবহার করে বার্মিজ জাতীয়তাবাদীদের সাথে ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা।
সূত্র : বিবিসি বাংলা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রোহিঙ্গা ইস্যুতে সু চিকে এরদোয়ানের টেলিফোন

মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির প্রধান ও স্টেট কাউন্সিলর অং সান সুচির সঙ্গে রোহিঙ্গা ইস্যুতে টেলিফোনে কথা বলেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।

তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কভুসগলু জানিয়েছেন, মঙ্গলবার দুই দেশের শীর্ষ পর্যায়ের নের্তৃবৃন্দের মধ্যে এ বিষয়ে কথা হয়।
এসময় এরদোয়ান মিয়ানমারের অারাকান রাজ্যে বসবাসরত রোহিঙ্গা নাগরিকদের উপর চলমান নির্যাতন ও মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

পাশাপাশি টেলিফোনে নিরপরাধ রোহিঙ্গা নাগরিকদের বিরুদ্ধে অভিযান ও সহিংসতার নিন্দা জানান এরদোয়ান। তিনি বলেন, রাখাইনের ঘটনা গুরুতর মানবিক সংকটে রূপ নিয়েছে, যা জনগুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। তুরস্কের এই প্রেসিডেন্ট রাখাইনে নিরপরাধ মানুষের ওপর অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ থেকে বিরত থাকতে সু চিকে আহ্বান জানান। একই সঙ্গে বেসামরিকদের সুরক্ষায় গুরুতর সংবেদনশীলতা দেখানোর আহ্বান জানান এরদোয়ান।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ ও জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্টনিও গুতেরাসের সঙ্গে আলোচনা করেছেন বলে টেলিফোনে সু চিকে জানান এরদোয়ান। মিয়ানমারের ডি ফ্যাক্টো সরকারের প্রধান সু চি দেশটির প্রধানমন্ত্রী সমমর্যাদার।

গত ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইনে সহিংসতা শুরুর পর দেশটির সেনাবাহিনীর অভিযানে নারী, শিশুসহ এখন পর্যন্ত এক লাখ ২০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়েছে। মিয়ানমার নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের বাড়ি-ঘর ধ্বংস ও অত্যধিক বলপ্রয়োগের মাধ্যমে তাড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। গত কয়েকদিনের সহিংসতায় রাখাইনে অন্তত ৪০০ রোহিঙ্গার প্রাণহানি ঘটেছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশাশুনিতে ১১ মামলার পলাতক আসামির মামলায় জেল খাটছেন ছেলে-বুড়ো সবাই

নিজস্ব প্রতিবেদক : তার ঘাড়ের ওপর ১১ টি নাশকতার মামলা। সাথে মন্দির ভাংচুরের মতো গুরুতর অপরাধের মতো মামলাও। পুলিশের খাতায় তিনি একজন পলাতক আসামি। আর এই পলাতক আসামিই শেষ পর্যন্ত তাক লাগানো বোমা ফাটিয়ে দিয়েছেন।
খবরে প্রকাশ, পুলিশের খাতায় পলাতক সেই আসামি খলিলুর রহমান শেখ আশাশুনি থানায় যেয়ে মামলা দায়ের করেছেন। আর এই মামলায় জেলা খাটছেন ছেলে, বুড়ো, নারী, পুরুষসহ বেশ কয়েকজন।
সাতক্ষীরার আশাশুনির বুধহাটা ইউনিয়নের বেউলা গ্রামের এ ঘটনায় মামলার আসামীরা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সমর্থক পরিবারের সদস্য। অপরদিকে মামলার বাদি খলিল শেখ জামায়াত সমর্থিত।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বেউলা গ্রামের অলোক অধিকারী কিছু জমি বিক্রি করেন একই গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে সাজেদুর রহমান, মাজেদুর রহমান ও আব্দুল ওয়াজেদের কাছে। এই জমি তারা দখল করতে গেলেই শুরু হয় বিপত্তি। জমির মালিক অলোক অধিকারীর সাথে জমি নিয়ে আগে থেকেই গোলমাল ছিল খলিল শেখের। সম্প্রতি সাজেদ মাজেদ ওয়াজেদ তাদের কেনা জমিতে গেলে বাধা দেন খলিল শেখ। এ ব্যাপারে খলিল শেখ সাতক্ষীরার একটি আমলি আদালতে অভিযোগ দেন। আদালত আশাশুনি থানার ওসিকে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন। কিন্তু তদন্ত দুরে থাক থানায় হাজির হন নাশকতাসহ ১১ মামলার আসামি খলিল শেখ। ওসি মামলাটি গ্রহন করেন এবং তদন্তের দায়িত্ব দেন এসআই বিশ্বজিতের ওপর । মামলার আসামিরা হলেন আবদুর রাজ্জাক (৭০) , তার স্ত্রী কোহিনুর বেগম, তাদের ছেলে সাজেদ, মাজেদ ও ওয়াজেদ এবং দুই পুত্রবধূ সালমা খাতুন, নার্গিস বেগম , আদর অধিকারী ও অলোক অধিকারী। তারা জানান অলোক অধিকারীর ১০ কাঠা জমির ওপর মন্দির রয়েছে। তিনি সে জমি বিক্রি করেন নি। অথচ খলিল শেখ মন্দিরের সেই জমি জোর করে দখল করতে চায়।
এ সংক্রান্ত মামলায় এখনও কয়েকজন জেলে আটক রয়েছেন। আর এই সুযোগে খলিল শেখ মন্দিরের ভেতরের মালামাল সরিয়ে ফেলেছেন। তিনি মন্দিরে থাকা মুর্তিও ভাংচুর করেছেন বলে অভিযোগ। এরপরও পুলিশের খাতায় পলাতক ১১ মামলার আসামি খলিল রয়েছেন বহাল তবিয়তে। আর জেল খাটছেন বৃদ্ধ আবদুর রাজ্জাকসহ তার পরিবারের নারী পুরুষ সবাই।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আহলে হাদীছ আন্দোলনের জেলা কমিটির পুনর্গঠন

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : গত ৫ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সকাল ১০টায় বাঁকাল দারুল হাদীছ আহমাদিয়া সালাফিয়া কমপ্লেক্সে আহ্লেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ সাতক্ষীরা সংগঠনিক জেলার উদ্যোগে আলহাজ্ব মাওঃ ফজলুর রহমানের সভাপতিত্বে এক কর্মী ও সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন আহ্লেহাদীছ আন্দোলনের প্রধান উপদেষ্ঠা প্রফেসর মোঃ নজরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সমাজ কল্যাণ সম্পাদক, আলহাজ্ব মোঃ গোলামু মোক্তাদির বাবু, কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক আলহাজ্ব মাওঃ মোঃ আলতাফ হোসেন, কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য অধ্যাপক শেখ মোঃ রফিকুল ইসলাম, আলহাজ্ব মোঃ আব্দুর রহমান সরদার, আলহাজ্ব মোঃ শফিকুল ইসলাম, আইন উপদেষ্টা এ্যাড. জিল্লুর রহমান-২ প্রমুখ। আলোচনা শেষে আলহাজ্ব মাওঃ মোঃ কে সভাপতি ও আলহাজ্ব মাওঃ আলতাফ হোসেন কে সাধারণ সম্পাদক করে দশ সদস্য বিশিষ্ট্য আহ্লেহাদীছ আন্দোলনের সাতক্ষীরা জেলা কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্যান্য সদস্য হলেন আলহাজ্ব মাওঃ মোঃ ফজলুল রহমান, সহ-সভাপতি অধ্যাপক মোঃ শাহীদুজ্জামান ফারুক, সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ কেরামত আলী, প্রচার সম্পাদক উপাধ্যক্ষ মাওঃ মোঃ মহিদুল ইসলাম, প্রশিক্ষণ সম্পাদক অধ্যাপক মোঃ মোফলেহুর রহমান সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক, মাওঃ মোঃ সিরাজুল ইসলাম সমাজ কল্যাণ সম্পাদক, মোঃ আব্দুর রহমান সানা দপ্তর সম্পাদক। অনুষ্ঠানে নেতৃবৃন্দু মিয়ানমার সরকারের মদতপুষ্ট নাসাকা বাহিনী কর্তৃক রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপরে বর্বর নির্যাতনের প্রতিবাদ ও অবিলম্বের দাবি জানান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest