সর্বশেষ সংবাদ-
দেবহাটায় জাতীয় প্রাণি সম্পদ সপ্তাহ ও প্রাণি সম্পদ প্রদর্শনীর উদ্বোধনসাতক্ষীরায় জাতীয় দৈনিক রুপালী বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনসাতক্ষীরার মিঠু খানের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করল বিএনপিকালিগঞ্জে পুকুরের পানিতে দুই শিশুর মৃত্যুদেবহাটায় ৪০ জন উপকার ভোগীর মাঝে ছাগল বিতরণদেবহাটার সরকারি কর্মকর্তা-সুধীজনদের সাথে ডিসির মতবিনিময়সাতক্ষীরার ১৮৫টি ভোটকেন্দ্রের স্কুল সংস্কারে বরাদ্দ প্রায় ৬৪ লাখ টাকাসাতক্ষীরা জেলা রোভারের ৪১ তম কোর্স ফর রোভারমেট এর মহাতাঁবু জলসাশ্যামনগরে বুনো শাকের রান্না প্রতিযোগিতাসাতক্ষীরায় দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে রাস্তা সংস্কার কার্যক্রমের উদ্বোধন

আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক কমিটির সভা অনুষ্ঠিত: অনুপস্থিত অনেক গুরুত্বপূর্ণ সদস্য

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরা জেলার মাসিক আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সুষ্ঠুভাবে শারদীয় দূর্গা পুজা উদযাপনে নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা হয়। পাশাপাশি সভার সিদ্ধান্ত পরবর্তী সভায় লিপিবদ্ধ করে সদস্যদের দেওয়া, আশাশুনিতে নিয়োগ বাণিজ্য বন্ধ, বিদ্যুতের লোডশেডিং নিরসন, যানজট নিরসন, জঙ্গি তৎপরতা রোধ সংক্রান্ত, রাস্তাঘাট সংস্কার সংক্রান্ত, সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এছাড়া আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর দৃঢ়তায় বর্তমানে জেলায় নাশকতাকারী জামাত-শিবির চক্র এবং জঙ্গিবাদ দমন করা গেলেও কিছু অত্যুৎসাহী পুলিশ সদস্যের কারণে বর্তমান সরকার ও আ ’লীগের ভাবমূর্তি জনগণের নিকট প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে বলে মত প্রকাশ করা হয়। জেলার সর্বত্র আ ’লীগের নেতা-কর্মী এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে অহেতুক সাধারণ মানুষকে ভয়-ভীতি প্রদর্শন ও আটকের বিষয়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হচ্ছে বলে জানানো হয়।
এছাড়াও সভায় সাতক্ষীরা পৌরসভা কর্তৃক অবৈধভাবে অতিরিক্ত ৫ হাজার টাকা নিয়ে ইজিবাইক চালকদের নিবন্ধন দেয়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। এ ব্যাপারে বিআরটিএ সাতক্ষীরা সার্কেলের সহকারী পরিচালক তানভীর আহমেদ চৌধুরী বলেন, ইজিবাইক রেজিস্ট্রেশনের ব্যাপারে বিআরটিএর কোন অনুমোদন নেই। এটা অবৈধ যানবাহন। এটা যদি কেউ রেজিস্ট্রেশন দেয় তাহলে আইনগতভাবে বিআরটিএ দায়ী থাকবে না। সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা।
জেলার থানা ওয়ারী মামলা অনুযায়ী আগস্ট ২০১৭ মাসে মামলা হয়েছে ২শ’ ২৬টি।
এদিকে, জেলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই কমিটির সভার গুরুত্বপূর্ণ সদস্যদের অনেকেই অনুপস্থিত থাকায় প্রশ্ন উঠেছে এই সভা তার গুরুত্ব হারাচ্ছে কিনা। গতকালের সভায় জেলার ৭টি উপজেলা পরিষদের ৫জন চেয়ারম্যানই অনুপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত দুই উপজেলা চেয়ারম্যানের একজন আবার সভার শুধুমাত্র শেষ ১৫ মিনিট উপস্থিত ছিলেন। ৭জন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অর্ধেকের বেশি জন অনুপস্থিত ছিলেন। সংসদ অধিবেশন শুরু হওয়ায় অবশ্য কমিটির কোন উপদেষ্টা অর্থাৎ সংসদস সদস্যদের কেউই উপস্থিত ছিলেন না। এছাড়া জেলা শিল্প ও বণিক সমিতিসহ একাধিক সংগঠনের কোন প্রতিনিধিই একাধিক সভায় অনুপস্থিত ছিলেন বলে সভার একাধিক সদস্য আমাদেরকে নিশ্চিত করেছেন।
এত গুরুত্বপূর্ণ একটি সভায় অনুপস্থিত থাকার কারণ জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সদস্য আমাদেরকে বলেন, “প্রায় প্রতিটি সভায়ই একই ধরনের বিষয় নিয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কিন্তু অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তই বাস্তবায়িত হয় না। এমনও হচ্ছে যে, কোন একটি বিশেষ বিষয়ে টানা কয়েকটি সভায় বারবার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হচ্ছে কিন্তু বাস্তবায়িত হচ্ছে না। এটিও সভায় অনেকের অনুপস্থিত থাকার অন্যতম কারণ।”
গতকালের সভায় বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আব্দুল হান্নান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল লতিফ খান, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর বিশ^াস সুদেব কুমার, সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আব্দুল খালেক, অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার কে.এম আরিফুল হক, সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডা. তাওহীদুর রহমান, সাতক্ষীরা এনএসআইয়ের উপ-পরিচালক মো. মোজাম্মেল হক, তালা উপজেলা চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ, কলারোয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমেদ স্বপন, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল বারী, দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাফিজ আল আসাদ, কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোলাম মাঈনুদ্দিন, তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফরিদ হোসেন, বিআরটিএ সাতক্ষীরা সার্কেলের সহকারী পরিচালক তানভীর আহমেদ চৌধুরী, জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি জিয়াউদ্দিন আহমেদ, সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার রবীন্দ্রনাথ দাস, সাতক্ষীরা সড়ক ও জনপদের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সৈয়দ গিয়াস উদ্দিন, জেলা শিক্ষা অফিসার এস.এম ছায়েদুর রহমান, জেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার অলোক কুমার তরফদার, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আতিকুল হক, সদর সহকারী কমিশনার (ভূমি) দেবাশীষ চৌধুরী, বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদ জেলা সভাপতি মনোরঞ্জন মুখার্জী, জেলা কৃষকলীগের সভাপতি বিশ^জিৎ সাধু, পৌর কাউন্সিলর জ্যোৎন্সা আরা, পৌর কাউন্সিলর শেখ আব্দুস সেলিম, জেলা আনসার ভিডিপি’র জেলা কমান্ডিং প্রতিনিধি নুর ইসলাম কাগজি প্রমুখ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রোহিঙ্গাদের পক্ষেই সারা বিশ্ব : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেছেন, আজ সমগ্র বিশ্ব রোহিঙ্গাদের পাশে রয়েছে। এ ধরণের হত্যা গ্রহণযোগ্য নয়, এটি বন্ধ করতে হবে। রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে ব্রিফি এ তিনি এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চলছে। প্রচেষ্টাগুলো পাবলিকলি বললে পরিকল্পনা নষ্ট হয়ে যায় এমন মন্তব্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অভিযোগ উঠেছে গতমাসে মিয়ানমার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যের উপর রোহিঙ্গারা হামলা চালিছে। ধরে নিলাম রোহিঙ্গা হামলাও চালিয়েছে, সেজন্য সবগুলো রোহিঙ্গাদের ঘর বাড়ি জ্বালিয়ে দিতে হবে। এটি কোন ধরণের নীতি? কোন ধরণের মন মানসিকতা।

মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গাদের সর্বশেষ অবস্থা নিয়ে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় আজ রোববার বিকেল চারটার দিকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের কূটনৈতিকদের ব্রিফ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। প্রথমে পাশ্চাত্যের দেশগুলোর কূটনীতিকদের সঙ্গে এবং পরে মুসলিম দেশের কূটনীতিকদের আলাদাভাবে ব্রিফ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

ব্রিফিং শেষে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, নরওয়ের শীর্ষ কূটনীতিকেরা প্রথম আলোকে জানান, এ পর্যন্ত বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ায় বিভিন্ন দেশ বাংলাদেশের প্রশংসা করেছে। রোহিঙ্গাদের নিয়ে এখন যে সমস্যা তৈরি হয়েছে, তা দূর করতে কীভাবে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করা যায়, এ নিয়ে ব্রিফিংয়ে আলোচনা হয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এ সমস্যা মোকাবিলায় বাংলাদেশের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

জাতিসংঘের হিসাব মতে, গত দুই সপ্তাহে ২ লাখ ৭০ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে এসেছে। বাংলাদেশের শরণার্থীশিবিরগুলোতে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের থাকার মতো যথেষ্ট জায়গা হচ্ছে না।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কপোতাক্ষ নদে ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা

তালা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার তালায় রবিবার বিকালে গ্রাম বাংলার বহু পুরাতন দিনে ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে দশটি দল অংশগ্রহণ করেন।
নৌকাবাইচ অনুষ্ঠানে তালা সদর ইউপি চেয়ারম্যান সরদার জাকির হোসেন’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফরিদ হোসেন।
বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের যুগ্ন-সাধারণ সস্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা মহা-বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ মো. এনামুল ইসলাম, তালা থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ হাসান হাফিজুর রহমান, তালা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও তালা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সরদার মশিয়ার রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, তালা কপোতাক্ষ নদে নৌকাবাইচ এ ১০টি দল স্বতঃস্ফূর্ত্বভাবে অংশগ্রহণ করেন। পরপর ৩টি বাইচ অনুষ্ঠিত হয় তার মধ্যে মহিষাডাঙ্গা নৌকাবাইচ দল ১ম স্থান, তালা চরগ্রাম নৌকাবাইচ দল ২য় স্থান এবং কুলপোতা নৌকাবাইচ দল ৩য় স্থান অধিকার করেন। প্রথম স্থান অধিকারকারী দলকে ৫ হাজার টাকা, ২য় স্থান অধিকারকারী দলকে ৪ হাজার টাকা এবং ৩য় স্থান অধিকারকারী দলকে ৩ হাজার টাকা পুরুষ্কৃত করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রোহিঙ্গাদের রক্ষায় ওআইসি সদস্যদের হস্তক্ষেপ চাইলেন রাষ্ট্রপতি

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ মিয়ানমারের সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিম জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ওআইসির সদস্যদের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন। তিনি বলেছেন, নিজ দেশে রোহিঙ্গাদের ওপর বারবার অত্যাচারের ফলে তাদের অস্তিত্ব যেমন হুমকির মুখে পড়ছে এবং তেমনি বাংলাদেশকে বিপুল অসহায় রোহিঙ্গার বোঝা বহনের মতো মারাত্মক সংকটের সম্মুখীন হতে হচ্ছে।

আজ রোববার কাজাখস্তানের রাজধানী আস্তানায় দ্য প্যালেস অব ইন্ডিপেন্ডেন্সে অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের (ওআইসি) প্রথম ‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্মেলন’-এ ভাষণ দানকালে রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন।

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, ‘মানবিক বিবেচনায় বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে।’ তিনি আরো বলেন, নিজ দেশের নাগরিকত্বসহ সব ধরনের অধিকার থেকে বঞ্চিত অসহায় রোহিঙ্গা মুসলিম জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ব্যাপারে আমি আপনাদের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। এই রোহিঙ্গারা উপর্যুপরি নির্মমতা ও বাস্তুচ্যূতির শিকার।

রাষ্ট্রপতি বলেন, রোহিঙ্গা সংকট বাংলাদেশের ওপর ‘সরাসরি বিরূপ প্রভাব’ সৃষ্টি করেছে। রাখাইন রাজ্যে তাদের নির্মমভাবে ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদ করা হচ্ছে। ফলে প্রাণ রক্ষার্থে পার্শ্ববর্তী দেশে বিপুল রোহিঙ্গা শরণার্থী আশ্রয় নিতে বাধ্য হচ্ছে।

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ মিয়ানমারের এই সংখ্যালঘু মুসলিম জনগোষ্ঠীর অধিকার রক্ষায় সম্মিলিত প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

কাজাকস্তানের রাজধানীতে এই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্মেলনে ওআইসি সদস্য দেশগুলোর রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা অংশ নিয়েছেন।

বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিও মুসলিম বিশ্বকে প্রযুক্তি ব্যবহারকারীদের জগতে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে সম্মিলিত প্রচেষ্টার ওপর জোর দিয়েছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
নীতিমালা না মেনে ইট ভাটা নির্মাণ: দেবহাটায় ছকিনা ব্রিকসকে পরিবেশ অধিদপ্তরের নোটিশ

আসাদুজ্জামান : সাতক্ষীরায় পরিবেশ অধিদপ্তরের নীতিমালা লংঘন করে ও প্রশাসনের পূর্বানুমতি ছাড়াই দেবহাটার দক্ষিণ কুলিয়া গ্রামে বসতবাড়ি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সন্নিকটে চার ফসলি জমিতে প্রস্তাবিত ছকিনা ব্রিকস নামের ইট ভাটা নির্মাণ কাজ অব্যহত রেখেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এলাকাবাসির অভিযোগে ভিত্তিতে ভাটা মালিক মোশারফ হোসেন মুসাকে আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর বেলা সাড়ে ১১টায় খুলনা পরিবেশ অধিদপ্তরে হাজির হওয়ার জন্য নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। একই সাথে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ভাটার যাবতীয় কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশও প্রদান করা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার মধ্যম একসরা গ্রামের দ্বীন আলী গাজির ছেলে শহরের ইটাগাছা কামার পাড়া (বউ বাজার) এলাকায় বসবাসকারি নব্য কোটিপতি মোশারফ হোসেন ওরফে মুসা দেবহাটা উপজেলার দক্ষিণ কুলিয়া গ্রামে বসতবাড়ি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সন্নিকটে চার ফসলি জমিতে প্রস্তাবিত ছকিনা ব্রিকস নামে একটি ইট ভাটা নির্মাণ কাজ শুরু করেন। উচ্চমূল্যে হারির টাকা দিয়ে জমির মালিকদের প্রলুব্ধ করে তিনি ডিড নেয়ার চেষ্টা করেন। এছাড়া স্থানীয় কয়েকজন মাদকসেবি যুবকদের টাকা দিয়ে তিনি ভাটা নির্মাণের পক্ষে কাজ করাচ্ছেন। মুছার দ্বারা প্রভাবিত হয়ে তারা ডিডে স্বাক্ষর করার জন্য জমির মালিকদের উপর চাপ সৃষ্টি করছেন। একই সাথে তারা বর্গাচাষিদের জমি ছেড়ে দেয়ার জন্য হমকি দিচ্ছে। জমির ডিড না দিলে পুলিশ দিয়ে সংশ্লিষ্টদের ধরে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেয়া হচ্ছে। স্থানীয় জনগণ আপত্তি করা শর্তেও পরিবেশ অধিদপ্তরের নীতিমালা অমান্য করে ও প্রশাসনের পূর্বানুমতি ছাড়াই ইতিমধ্যে তিনি সেখানে ভাটার চিমনি ও মটর নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ করে ফেলেছেন। ভাটার বাকি কাজও দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে।
এলাকাবাসি জানান, সেকেন্দ্রা মাঠে ইটভাটা নির্মাণ করা হলে এই এলাকায় মারাত্মক পরিবেশ বিপর্যায় দেখা দেবে। এই এলাকায় আনসার আলি সরকারি প্রাইমারি স্কুল, কুলিয়া উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়, দক্ষিন কুলিয়া এবতেদায়ি মাদ্রাসা এবং কুলিয়া এলাহী বক্স দাখিল মাদ্রসা, কুলিয়া জামে মসজিদসহ কয়েকটি প্রতিষ্টান রয়েছে। এখানে ভাটা হলে কালো ধোয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। একই সাথে নষ্ট হবে এই এলাকার হাজার হাজার বিঘা জমির ফসল। এখানকার প্রতিটি জমিতে বছরে কমপক্ষে চারটি করে ফসল উৎপাদন হয়ে থাকে। এই ফসলি জমিতে ইটভাটা হলে তার ক্ষতিকর প্রভাবে সর্বশান্ত হবে এখানকার দীনমজুর, দরিদ্র কৃষক ও বর্গাচাষিরা। বসতবাড়ি ছেড়ে এলাকা ত্যাগ করতে হবে শতাধিক পরিবারের। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত হবে এলাকার প্রাণবৈচিত্র্য। বিপন্ন হবে মানুষের স্বাস্থ্য।
তারা অভিযোগ করে বলেন, ভাটা নির্মাণের ক্ষতিকর বিষয় সর্ম্পকে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকসহ স্থানীয় প্রশাসনকে লিখিতভাবে জানিয়ে কোন ফল হয়নি। প্রশাসন তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। বরং ভাটা মালিক মুসা প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দক্ষিন কুলিয়া এলাকায় ফসলি জমিতে প্রস্তাবিত ছকিনা ব্রিকস নামের ইট ভাটার নির্মাণ কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। একই সাথে ইট ভাটার বিরোধীতাকারি গ্রামবাসীদেরকে সন্ত্রাসীদের দিয়ে নানাভাবে হুমকি-ধামকি ও ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন।
এদিকে, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন মুসার ইট ভাটার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীর পক্ষে দেবহাটার দক্ষিন কুলিয়া গ্রামের মৃত হেবাজউদ্দিন গাজীর ছেলে মোঃ আজহারুল ইসলাম পরিবেশ অধিদপ্তর খুলনা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেন। এই অভিযোগের ভিত্তিতে প্রস্তাবিত ছকিনা ব্রিকস নামের ইট ভাটা মালিক মোশারফ হোসেন মুসাকে আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর বেলা সাড়ে ১১টায় খুলনা পরিবেশ অধিদপ্তরে হাজির হওয়ার জন্য নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। একই সাথে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ভাটার যাবতয়ি কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশও প্রদান করা হয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তর খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক মো. সাইদুর রহমান গত ২৯ আগস্ট তাকে এই নোটিশ প্রদান করেন। সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকেও এই নোটিশের অনুলিপি প্রদান করা হয়েছে। এরপরও তিনি ভাটার কার্যক্রম বন্ধ না রেখে দিনরাত চব্বিশ ঘণ্টা কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
এ বিষয়ে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন বলেন, আমরা তাকে ভাটা নির্মাণের কোন অনুমতি দেইনি। অভিযোগ পেয়ে সেখানে একজন অফিসারকে পাঠিয়েছিলাম কিন্তু এলাকার লোক অনেকেই ভাটার পক্ষে বিপক্ষে কথা বলেছেন। পরিবেশের অনুমতি নিয়েই ভাটার কাজ শুরু করার কথা থাকলেও এখানকার লোক উল্টোটা করে। এরপরও আমি পরিবেশ অধিদপ্তরের সাথে কথা বলবোÑ বলে তিনি জানান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশশুনির বেড়িবাঁধটি ৩ দিনেও সংস্কার হয়নি, ৫ গ্রামের মৎস্য ঘের ও ফসলি জমি প্লাবিত

আসাদুজ্জামান : সাতক্ষীরার আশাশুনির উপজেলার প্রতাপনগরের খোলপেটুয়া নদীর হরিষখালী নামক স্থানে পাউবো’র ৭/২ নং পোল্ডারে ভাঙন কবলিত বেড়িবাঁধটি গত তিন দিনেও সংস্কার করা সম্ভব হয়নি। তবে, সহস্্রাধিক এলাকাবসি বাঁধটি সংস্কারের জন্য প্রানপণ চেষ্ট চালিয়ে যাচ্ছেন। জোয়ারের প্রবল চাপে তা বার বার ভেঙ্গে যাচ্ছে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে বেড়ি বাঁধটি ভেঙ্গে যায়। বেড়ি বাঁধটি ভেঙ্গে ইতিমধ্যে প্রতাপনগর ইউনিয়নের ৫ টি গ্রামের নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ভেসে গেছে হাজার হাজার বিঘা মৎস্য ঘের ও ফসলি জমি। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে পাঁচ শতাধিক পরিবার।
স্থানীয় ইউপি মেম্বর রফিকুল ইসলাম বুলি জানান, গত তিন দিনে এলাকাবাসি সেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে বাঁধটি রক্ষার জন্য প্রাণপন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কোন রকম সংস্কার করা গেলেও খোলপেটুয়া নদীর প্রবল জোয়াররে চাপে বাঁধটি আবারও ভেঙ্গে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে ওই ইউনিয়নের প্রতাপনগর, হরিষখালি, মান্দারবাড়িয়া, তালতলা ও বন্যাতলানমাক ৫ টি গ্রামের নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এলাকাবাসি রোববার সকাল থেকেআবারও বাঁধটি সংস্কারের চেষ্টা চালাচ্ছেন। বাঁধটি সংস্কার করা না গেলে রাতের মধ্যে আরও নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হবে বলে তিনি আরো জানান।
প্রতাপনগর ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন জানান, গত তিনদিনে পাঁচটি গ্রামের হাজার হাজার বিঘা মৎস্য ঘের ও ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে পাঁচ শতাধিক পরিবার। ইতিমধ্যে কাঁচা ঘরবাড়ি ভাঙতে শুরু করেছে।
এ ব্যাপারে সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মোঃ মহিউদ্দীন জানান, ভাঙন কবলিত বেড়িবাঁধ সংস্কারের জন্য ইতিমধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শ্যামনগরে পরিবারের ১০সদস্যকে অচেতন করে ৯ম শ্রেণির মাদ্রাসা ছাত্রী উধাও!

শ্যামনগর ব্যুরো : শ্যামনগরে পরিবারের ১০জনকে চেতনাশক ঔষধ সেবন করিয়ে প্রেমিকের সাথে অজানারা উদ্দেশ্যে পাড়ি জমিয়েছে এক মাদ্রাসার ছাত্রী। স্থানীয় সূত্রে প্রকাশ, গত ৯ সেপ্টেম্বর বিকালে শংকরকাটি বাজার সংলগ্ন দেওল গ্রামে হাজী আবুল কাশেমের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। হাজী আবুল কাশেমের ছেলে জহুরুল ইসলামের কন্যা জুলেখা আক্তার আখি (১৫) খাবারের সাথে চেতনাশক ঔষধ মিশ্রত করলে উহা খেলে তাদের মেহমানসহ পরিবারের ১০ জন পর্যায় ক্রমে অচেতন হয়ে পড়ে। অচেতন হয়ে পড়েন- হাজী আবুল কাশেমের পুত্র জহুরুল ইসলাম (আখির পিতা),আব্দুল কাদের(৩৭),পুলিশ কর্মকর্তা আব্দুল হাকিম(৩৫), সাইফুল ইসলাম বাচ্চু(২০),পৌত্র হোসাইন(৮), মহিলা সহ অপর ২ জন মেহমান। স্থানীয়রা রাতে তাদের কে উদ্ধার করে শ্যামনগর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন। এ সুযোগে শংকরকাটি দাখিল মাদ্রাসার ৯ম শ্রেণির ছাত্রী জুলেখা আক্তার আখি বাড়ি থেকে চলে যায়। গুমানতলী গ্রামের দাউদ আলীর পুত্র মোহন আলীর সাথে আখির প্রেমজ সম্পর্ক থাকায় দু‘জনই নিখোঁজ রয়েছে। আখির পরিবার জানিয়েছেন মোহনই তার মেয়ে কে নিয়ে নিখোঁজ রয়েছে। স্থানীয়রা আরো জানান, কাশিমাড়ীর ধোনাই সরদারের পুত্র রাজগুলের মটর সাইকেলে একটি মেয়ে ও একটি ছেলে দ্রুত চলে যেতে দেখেছে। এ ব্যাপারে কাশিমাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান(ভারপ্রাপ্ত) জাহাংগীর কবীর লাকী জানান, আমি এ ধরনের ঘটনা পথিমধ্যে জানার পরে জানতে পারলাম তারা সবাই শ্যামনগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। শ্যামনগর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডাঃ আনিসুর রহমান জানান, এ রোগীদের অবস্থার উন্নতির দিকে রয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে রঙিন মাছ: রপ্তানি হচ্ছে বিদেশেও

আসাদুজ্জামান : সাতক্ষীরা জেলায় এবার বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে রঙিন মাছের। শখের বষে প্রথমে রঙিন মাছের চাষ শুরু করেন সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার সাইফুল ইসলাম। এই রঙিন মাছ চাষ করে পাল্টে গেছে তার জীবন জীবিকা। অর্থ উপার্জনের পাশাপাশি তাকে দেশব্যাপী পরিচিতিও এনে দিয়েছে। এখন তাকে সবাই চেনেন ‘রঙিন মাছের কারিগর’ হিসেবে।
কলারোয়া উপজেলার ব্রজবক্স গ্রামের সাইফুল ইসলাম জানান, সংসারের অভাবের তাড়না থাকলেও শখ তার পিছু ছাড়েনি। নানা সংকটের মাঝেও তিনি রঙিন মাছ চাষ করেছেন। ২০০৪ সালে এক বন্ধুর সহায়তায় প্রথমে তিনি ছয় জোড়া রঙিন মাছ ৬২০ টাকায় ক্রয় করে এই মাছ চাষ শুরু করেন। এক সময় তিনি শখের বসে রঙিন মাছ চাষ করলেও পরে একটি বেসরকারি সংস্থা থেকে তিনি ৫০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে পুকুর ইজারা নিয়ে রঙিন মাছ চাষের পরিধি বাড়ান। আজ তার মূলধনই প্রায় ২৫ লাখ টাকা।
সাইফুল ইসলাম জানান, এক সময় তার আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। অভাবের কারণে ভারতে গিয়েছিলেন কাজের সন্ধানে। সেখানে একটি রঙিন মাছ উৎপদনকারী প্রতিষ্ঠানে খুব কম বেতনে চাকরি শুরু করেন। বিদেশে ভালো না লাগায় কিছু দিন পর তিনি দেশে ফিরে আসেন। সংসার চালাতে রাজধানীর মিরপুরে একটি তৈরি পোশাক কারখানায় কাজ শুরু করেন। কিন্তু ওই বেতনে বাসাভাড়া দিয়ে সংসার চলে না। ফিরে আসেন তিনি গ্রামে। এক বন্ধুর সহায়তায় প্রথমে তিনি ছয় জোড়া রঙিন মাছ নিয়ে চাষ শুরু করেন। এভাবেই ধীরে ধীরে আজ তিনি বড় জায়গায় এসে পৌঁছেছেন।
সাইফুল ইসলাম আরো জানান, ২০১৪ সালে পুকুর ইজারা নিয়ে বেশি করে রঙিন মাছ চাষ শুরু করেন। বিশেষ পদ্ধতিতে উৎপাদন করা কমেট, কই কার্প, গোল্ড ফিস, অরেন্ডা, মিল্কি, সিল্কি কই কার্প, কিচিং গোরামিনসহ ২০ থেকে ২৫ প্রজাতির রঙিন মাছ তার পুকুরে উৎপাদন হচ্ছে। এই মাছ রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি হয়।
তিনি জানান, এক সময় এ সব মাছ বিদেশে থেকে আমদানি করতে হতো। কিন্তু এখন তার হ্যাচারিতে উৎপাদন করা মাছ সাতক্ষীরার চাহিদা পূরণ করে দেশের বিভিন্ন স্থানে যাচ্ছে। রঙিন মাছের জন্য দেশের সবচেয়ে বড় বাজার রাজধানীর কাঁটাবনের ব্যবসায়ীদের অনেকেই তর কাছ থেকে রঙিন মাছ নিয়ে যান।
বিশেষ পদ্ধতিতে মাছের রঙ পরিবর্তনও করার কথাও উল্লেখ করেন সাইফুল ইসলাম। রঙ বদলিয়ে সিল্কি নামের একটি মাছ তৈরি করেন তিনি। অনেকটা জরির মতোই দেখতে। সে জন্যই নাম দিয়েছেন সিল্কি। রঙ পরিবর্তন করা এ মাছের চাহিদাও রয়েছে।
তিনি আরো জানান, বর্তমানে ১৬টি পুকুর ইজারা নিয়ে তিনি রঙিন মাছ চাষ করছেন। প্রতিটি মাছ সর্বনিম্ন ১২ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১২০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। এই ব্যবসাকে ঘিরেই বড় ছেলের নামে ‘রেজা অ্যাকুরিয়াম ফিস’ নামের একটি আলাদা প্রতিষ্ঠানও তিনি শুরু করেছেন। এক সময় তিনি অন্যের শ্রমিক ছিলেন। এখন তার অধীনে ২৫ জন শ্রমিক কাজ করছেন।
সাফুল ইসলাম জানান, উৎপাদন বাড়িয়ে দেশে রঙিন মাছের চাহিদা মেটানো সম্ভব। সহজ শর্তে ব্যাংক ঋণ পেলে এ ব্যবসা আরও সম্প্রসারণের সুযোগ রয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতা পেলে ব্যাপকভাবে রঙিন মাছ চাষ করে বিদেশে রফতানি করা সম্ভব হবে। তার মতো অনেকেই এখন রঙিন মাছ চাষ শুরু করেছেন।
সাইফুলের স্ত্রী জেসমিন সুলতানা জানান, ২০০৪ সালে স্বামীর সঙ্গে মাছ চাষে সহযোগিতা করে আসছেন। তাদের উৎপাদন করা মাছ রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যাচ্ছে।
সাতক্ষীরা শহরের সুলতানপুর এলাকার অ্যাকুয়ামিয়ামে রঙিন মাছ সংগ্রহকারী মুবাশ্বের হোসেন জানান, রঙিন মাছ দেশে উৎপাদন হওয়ায় অ্যাকুয়ারিয়ামে এই মাছ আমদানি অনেকটাই কমে এসেছে। এই খাতে দেশ ধীরে ধীরে স্বয়ংসম্পূর্ণ হচ্ছে।
সাতক্ষীরা সুলতানপুর বড় বাজারের নাহার এন্টার প্রাইজের সত্ত্বাধিকারী আজমল হক জানান, সাইফুল ইসলাম রঙিন মাছ উৎপদন করার পর থেকে এখন খুব একটা বিদেশ থেকে এই মাছ আমদানি করতে হচ্ছে না। এছাড়া তার মাছ টেকসই ও প্রতিকূল আবহাওয়ার কারনে এটি অনেক সময় টিকে থাকে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest