সর্বশেষ সংবাদ-
অন্যায় কাজে কাউকে প্ররোচিত করবো না, উন্নয়নই হবে মূল লক্ষ্য : সাবেক এমপি হাবিবশোভনালীতে মানব পাচার প্রতিরোধ ও নিরাপদ অভিবাসন ডেস্ক উদ্বোধনআশাশুনির গোয়ালডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মানববন্ধনজবাবদিহিতা ও মানবাধিকার সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিতে গোলটেবিল সভাতালায় টিআরএম কার্যক্রমের বকেয়া ক্ষতিপূরণের দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলনপুজামণ্ডপে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে ব্যবস্থা: সাতক্ষীরার পুলিশ সুপারজলবায়ু পরিবর্তনে মানবাধিকার নিশ্চিতকরণে শ্যামনগরে এনগেজ প্রকল্পের অবহিতকরণ সভালাপা প্রকল্পের জেলা পর্যায়ে স্টেকহোল্ডার পরামর্শ সভাসাতক্ষীরায় যৌথবাহিনির অভিযানে অস্ত্র-মাদকসহ তিনজন আটকসাতক্ষীরা জেলা আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক মাসিক সভা

বাহুবলীর প্রভাষের সাথে শ্রদ্ধার সন্ধি

নিজেদের মধ্যে সন্ধি করে ফেললেন বাহুবলী ছবির তারকা প্রভাষ এবং বলিউডের শ্রদ্ধা কাপুর ‘সাহো’ ছবির জন্য। নিজেদের প্রয়োজনেই নাকি তারা এমন সন্ধি করলেন। ‘সাহো’ ছবির হিন্দি ভার্সনের জন্য প্রভাষ হিন্দি শিখবেন শ্রদ্ধার কাছে। অন্যদিকে তেলেগু ভার্সনে শ্রদ্ধাকে তেলেগু শিখতে সাহায্য করবেন প্রভাষ।

যদিও ছবির সেটে তাদেরকে ভাষা শেখানোর জন্য টিউটর নিয়োগ দেয়া হয়েছে, তবু এর বাইরে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে কাজটাকে আরো এগিয়ে নেয়ার জন্য সন্ধি করেছেন তারা।

‘সাহো’ ছবিটি হবে হিন্দি এবং তেলেগু দুই ভাষাতে। তাই উভয় ভাষায় সমান পারদর্শী হতে হবে এই জুটিকে। ছবিটি পরিচালনা করেছেন সুজিত রেড্ডি এবং প্রযোজিত হবে ইউভি ক্রিয়েশনস এর ব্যানারে। আগামী বছর ছবিটি মুক্তি দেয়া হবে বলে সংশ্লিষ্ট সুত্র জানিয়েছেন। ডেকান ক্রনিকল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রোহিঙ্গা ইস্যুতে সু চির নিন্দায় সরব বিশ্ব

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নতুন করে দেশটির সামরিক বাহিনীর অভিযান শুরুর পর ইতিমধ্যে মৃত্যুভয়ে সেখান থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে অন্তত ৯০ হাজার রোহিঙ্গা। উদ্ভূত প্রেক্ষাপটে মিয়ানমারের ‘গণতন্ত্রকামী নেত্রী ও মানবাধিকারের চ্যাম্পিয়ন’ বলে পরিচিত অং সান সু চির সমালোচনায় সরব হয়েছে বিশ্ব। দেশে দেশে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ থেকে শান্তিতে এই নোবেলজয়ীর পুরস্কার ফিরিয়ে নেওয়ার দাবি তোলা হয়েছে।

গত ২৫ আগস্ট ২০টি তল্লাশিচৌকিতে হামলার ঘটনায় আবার শুরু হয় সহিংসতা। দুটি হামলার জন্যই উগ্রপন্থী রোহিঙ্গাদের দায়ী করা হয়।

এদিকে মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চি এখন পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের ওপর সম্প্রতি শুরু হওয়া নির্যাতনের বিষয়ে মুখ খোলেননি। প্রসঙ্গত, পশ্চিমা দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কাছে সু চি ছিলেন একবিংশ শতাব্দীর গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রতীক। তাঁকে এমন একটি স্থানে অধিষ্ঠিত করা হয়, যেখানে খুব কম মানুষই ঠাঁই পান।

মিয়ানমারের মানবাধিকার বিষয়ে জাতিসংঘের বিশেষ দূত ইয়াংঘি এ সপ্তাহের শুরুর দিকে বলেন, হাজারো রোহিঙ্গা মানবাধিকার লঙ্ঘনের মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে আছেন। গত সোমবার ভারতের গণমাধ্যমে ইয়াংঘিকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, মিয়ানমারের বর্তমান পরিস্থিতি ‘সম্ভবত সবচেয়ে খারাপ’।

এদিকে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে সংযত আচরণ করার আহ্বান জানিয়েছেন। এক বিবৃতিতে এক মুখপাত্র তা জানিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর চলা নির্যাতন-নিপীড়নকে ‘গণহত্যা’র সঙ্গে তুলনা করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। তিনি বলেন, চলতি মাসের শেষে নিউইয়র্কে অনুষ্ঠেয় জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে এই ইস্যুটি তিনি তুলবেন।

সোমবার মালদ্বীপ মিয়ানমারের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা জানায়। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর নৃশংসতার প্রতিক্রিয়ায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ এক টুইট বার্তায় বলেন, মিয়ানমারের জাতিগত নির্মূল অভিযান বন্ধ করতে চাইলে আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।

এর আগে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ার পক্ষ থেকে মিয়ানমারের সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান বন্ধ করতে দেশটির প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের প্রতিবাদে সোমবার রাশিয়ার চেচনিয়াতেও হয় একটি বিক্ষোভ সমাবেশ।

সূত্র: প্রথম আলো।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আবার বিদ্যুতের দাম বাড়ছে

আবারও বিদ্যুতের দাম বাড়ছে। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) ইতিমধ্যে কোম্পানিগুলোর প্রস্তাব যাচাই-বাছাই শেষ করেছে। পাইকারিতে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম প্রায় ১৫ শতাংশ এবং গ্রাহক পর্যায়ে ৬ থেকে সাড়ে ১৪ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব এসেছে।
এই প্রস্তাবের ওপর ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে গণশুনানি শুরু হবে। বিইআরসি আইন, ২০০৩ অনুযায়ী গণশুনানির পর ৯০ কার্যদিবসের মধ্যে বিইআরসি সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবে। ২০১০ সালের ১ মার্চ থেকে ২০১৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছয় বছরে পাইকারি পর্যায়ে পাঁচবার এবং খুচরা গ্রাহক পর্যায়ে সাতবার বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে।
এবার দাম বাড়ানোর বিষয়ে জানতে চাইলে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা এম শামসুল আলম বলেন, দাম বাড়ানোর বর্তমান প্রক্রিয়া অযৌক্তিক। কারণ, বিইআরসির নির্দেশনা অনুযায়ী সরকার কম খরচে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পথ অনুসরণ করছে না, বরং বেশি দামের তেলভিত্তিক বিদ্যুতের উৎপাদন বাড়ানো হচ্ছে। সব বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ফার্নেস তেলের দাম বাজারদর অনুযায়ী করে দিলেও উৎপাদন ব্যয় অনেকখানি কমত। তা–ও করা হচ্ছে না। পদ্ধতিগত লোকসান (সিস্টেম লস) কমিয়ে মুনাফা বাড়ানোর কার্যক্রমও যথেষ্ট সফল নয়। এগুলো করা হলে দাম বাড়ানোর প্রয়োজন হবে না, বরং কমানো সম্ভব হবে।
বিইআরসির সূত্র জানায়, এবার বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) বিতরণ কোম্পানিগুলোর কাছে পাইকারি বিক্রির ক্ষেত্রে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ৭২ পয়সা (প্রায় ১৫ শতাংশ) বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে। আর বিভিন্ন বিতরণ কোম্পানি গ্রাহক পর্যায়ে ৬ থেকে সাড়ে ১৪ শতাংশ প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে।
বিতরণ কোম্পানিগুলোর দাবি, প্রতিবারই পাইকারির তুলনায় খুচরা পর্যায়ে দাম বাড়ানো হয়েছে কম। ফলে তাদের পক্ষে কোম্পানি চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে।
তবে বিইআরসিতে উপস্থাপন করা বিতরণ কোম্পানিগুলোর প্রস্তাব পর্যালোচনা করে দেখা যায়, বর্তমানে দেশের ছয়টি বিতরণ কোম্পানির মধ্যে একমাত্র পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) লোকসান দিচ্ছে। অন্য চারটি কোম্পানি লাভজনক। এই কোম্পানিগুলো হচ্ছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) বিতরণ অঞ্চল, ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ডিপিডিসি), ঢাকা বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানি (ডেসকো) এবং পশ্চিমাঞ্চল বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানি (ওজোপাডিকো)।
এ ছাড়া উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানি (নওজোপাডিকো) নতুন গঠিত হয়েছে। পিডিবির রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের সম্পদ ও দায়দেনা নিয়ে গত বছরের অক্টোবরে কাজ শুরু করা এ কোম্পানি এবারই প্রথম বিইআরসির কাছে আসছে।
পাইকারি দাম বাড়ানোর জন্য পিডিবির দেওয়া প্রস্তাবে বলা হয়েছে, বর্তমানে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানিগুলোর কাছে সরবরাহ করতে গড়ে ব্যয় হয় ৫ টাকা ৫৯ পয়সা। কিন্তু বর্তমানে প্রতি ইউনিটের দাম নির্ধারিত আছে ৪ টাকা ৮৭ পয়সা। এখন দাম বাড়িয়ে এই ৭২ পয়সার ব্যবধান ঘোচানো দরকার। না হলে পিডিবির পক্ষে এই অর্থের সংস্থান সম্ভব নয়।
গ্রাহক পর্যায়ে ডিপিডিসি ৬ দশমিক ২৪ শতাংশ, ডেসকো ৬ দশমিক ৩৪ শতাংশ, ওজোপাডিকো ১০ দশমিক ৩৬ শতাংশ, আরইবি ১০ দশমিক ৭৫ শতাংশ এবং পিডিবি ১৪ দশমিক ৫ শতাংশ দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে। এ ছাড়া দু-একটি বিতরণ কোম্পানি গ্রাহক পর্যায়ে ডিমান্ড চার্জ ও সার্ভিস চার্জ বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে বলে বিইআরসির সূত্র জানায়। বর্তমানে কোম্পানিভেদে প্রতিটি মিটারে প্রতি মাসে ৩০ টাকা পর্যন্ত ডিমান্ড চার্জ ও ২০ টাকা পর্যন্ত সার্ভিস চার্জ ধার্য আছে বলে জানা গেছে।
লাভজনক বিতরণ কোম্পানিগুলোও যে দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে, তার যৌক্তিকতা সম্পর্কে জানতে চাইলে বিইআরসির সদস্য (বিদ্যুৎ) মো. মিজানুর রহমান বলেন, কোম্পানিগুলোর লাভ-লোকসানের সব তথ্যই গণশুনানিতে প্রকাশিত হবে। তার ভিত্তিতেই বিইআরসি সিদ্ধান্ত নেবে। প্রস্তাব করলেই যে দাম বাড়ানো হবে, বিষয়টি এমন নয়।
তবে পিডিবির সূত্র বলেছে, বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে। অনেক বিদ্যুৎকেন্দ্রকে তেলও (ফার্নেস অয়েল) কিনতে হচ্ছে বেশি দামে। ফলে বিদ্যুতের উৎপাদন মূল্য বিক্রয়মূল্যের চেয়ে বেশি পড়ছে। তাই দাম বাড়ানোর বিকল্প নেই।
ক্যাব এবং বেসরকারি বিশেষজ্ঞদের মতে, দাম বাড়ানোর কার্যকর বিকল্প আছে, তা হলো বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত জ্বালানি তেলের (ফার্নেস) দাম বাজারমূল্যে সরবরাহ করা। বর্তমান বাজারদরে ফার্নেস তেল থেকে উৎপাদিত প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম পড়ছে ছয় টাকার মতো। যে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকে সরকার ফার্নেস তেল আমদানি করার লাইসেন্স দিয়েছে, তারা বর্তমানে এই দামে সরকারের কাছে বিদ্যুৎ বিক্রি করছে।
অন্যদিকে যে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) কাছ থেকে সরকার নির্ধারিত দামে ফার্নেস তেল নিচ্ছে, তাদের উৎপাদিত প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম পড়ছে ১২ টাকার বেশি। কারণ, আন্তর্জাতিক বাজারদর অনুযায়ী বর্তমানে প্রতি লিটার ফার্নেস তেলের দাম ২২ থেকে ২৪ টাকা, আর বিপিসি বিক্রি করে ৪২ টাকা।

সূত্র: প্রথম আলো।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রাখাইন সমস্যা নিরসনে জরুরি হস্তক্ষেপ চাইলেন ড. ইউনূস

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মানবিক সমস্যা নিরসনে জরুরি হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের কাছে খোলা চিঠি দিয়েছেন নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়া ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এখানে সে চিঠি দেওয়া হলো:

নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতি ও সদস্যবৃন্দ,
আপনারা অবগত আছেন যে, মিয়ানমারের রাখাইন এলাকায় মানবীয় ট্র্যাজেডি ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ একটি ভয়ংকর রূপ নিয়েছে, যে বিষয়ে অবিলম্বে জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।
বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর আক্রমণে শত শত রোহিঙ্গা জনগণ নিহত হচ্ছে। লক্ষ লক্ষ মানুষ বাস্তুচ্যুত হচ্ছে। বহু গ্রাম সম্পূর্ণ জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে, নারীরা ধর্ষিত হচ্ছে, বেসামরিক মানুষকে নির্বিচারে আটক করা হচ্ছে এবং শিশুদের হত্যা করা হচ্ছে। আতঙ্কের বিষয়, মানবিক সাহায্য সংস্থাগুলোকে এই এলাকায় প্রায় একবারেই প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না, যার ফলে দারিদ্র্যপীড়িত এই এলাকায় মানবিক সংকট ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। স্থানীয় সরকারি সূত্রগুলোর হিসাবে, গত ১২ দিনে এক লক্ষ কুড়ি হাজারেরও বেশি মানুষ বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। মৃত্যুর মুখে নারী, পুরুষ ও শিশুদের এই ব্যাপক বাস্তুচ্যুতি ও অভিবাসন থেকে সৃষ্ট পরিস্থিতি প্রতিদিন আরও খারাপ হচ্ছে।
গত বছরের শেষে পরিস্থিতির বেশ অবনতি ঘটলে বেশ কয়েকজন নোবেল লরিয়েট ও বিশ্বের বিশিষ্ট নাগরিকবৃন্দসহ আমি এ বিষয়ে জরুরি হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়ে আপনাদের নিকট যৌথভাবে অনুরোধ জানিয়েছিলাম। আপনাদের হস্তক্ষেপ সত্ত্বেও পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি। এবার পরিস্থিতির ক্রমাগত অবনতির পরিপ্রেক্ষিতে নিরীহ নাগরিকদের ওপর অত্যাচার বন্ধ এবং রাখাইন এলাকায় স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট ও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আমি আপনাদের নিকট আবারও অনুরোধ জানাচ্ছি।
আমি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে সম্ভাব্য সকল উপায়ে জরুরিভাবে হস্তক্ষেপের জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। আমি আপনাদের কাছে জরুরি পদক্ষেপের অনুরোধ জানাচ্ছি যাতে নিরীহ বেসামরিক মানুষদের ওপর নির্বিচার সামরিক আক্রমণ বন্ধ হয়, যার কারণে এই অসহায় মানুষগুলোকে নিজ দেশ ছেড়ে অন্যত্র পালিয়ে গিয়ে রাষ্ট্রহীন মানুষে পরিণত হতে না হয়।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপের মুখে মিয়ানমার সরকার ২০১৬ সালে যে ‘রাখাইন অ্যাডভাইজরি কমিশন’ গঠন করেছিল, তার সুপারিশগুলো বাস্তবায়নে মিয়ানমার সরকারকে উদ্বুদ্ধ করতে আপনারা যেন জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করেন, সে জন্য আমি বিশেষভাবে আপনাদের অনুরোধ জানাচ্ছি। কফি আনানের সভাপতিত্বে গঠিত এই কমিশন যার অধিকাংশ সদস্যই ছিলেন মিয়ানমারের নাগরিক—রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব প্রদান, অবাধ চলাচলের সুযোগ, আইনের চোখে সমান অধিকার, রোহিঙ্গাদের স্থানীয় প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা, যার অভাবে স্থানীয় মুসলিমরা তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছিল এবং নিজ ভূমিতে ফিরে আসা মানুষদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জাতিসংঘের সহায়তা নিশ্চিত করার সুপারিশ করেছিল।
দশকের পর দশক ধরে চলা নির্যাতন র‍্যাডিকালাইজেশনের জন্ম দিচ্ছে, যা ‘রাখাইন অ্যাডভাইজরি কমিশন’ যথাযথই উপলব্ধি করেছে। এই ভীতি থেকে র‍্যাডিকেলদের দ্বারা মিয়ানমার নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর আক্রমণ একটি বাস্তবতায় পরিণত হয়েছে। ফলে এই এলাকায় স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গঠনশীল উদ্যোগ নেওয়া না হলে পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি ঘটতে থাকবে, যা পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর নিরাপত্তার জন্যও হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।
রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে এই ক্রমাগত সহিংসতা বন্ধ করতে জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কর্মপন্থায় সাহসী পরিবর্তনের প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি। মিয়ানমার সরকারকে জানিয়ে দেওয়া দরকার যে, সে দেশের জন্য আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক ও অর্থায়ন রোহিঙ্গাদের প্রতি মিয়ানমার সরকারের নীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ও ইতিবাচক পরিবর্তনের ওপর নির্ভরশীল। মিয়ানমার সরকারকে জানিয়ে দেওয়া দরকার যে, অপপ্রচার, ঘৃণা ও সহিংসতার উসকানি বিশেষ করে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় সহিংসতা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে, নিবর্তনমূলক বিভিন্ন নীতি ও আইন বাতিল করতে হবে এবং কফি আনান কমিশনের সুপারিশগুলো অবিলম্বে বাস্তবায়ন করতে হবে।
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ এই এলাকায় স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা ও মানবীয় সমস্যা সমাধানে তার ভূমিকা পালন করেছে, এটা দেখার জন্য বিশ্ববাসী অপেক্ষা করছে।

আপনাদের বিশ্বস্ত,
মুহাম্মদ ইউনূস

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ডায়াবেটিস হলেও মিষ্টি জাতীয় ফল খাওয়া যাবে, তবে…

ডায়াবেটিস হলে মিষ্টি জাতীয় ফল খাওয়া যাবে না। আমরা সাধারণত এই ধারণার সাথেই পরিচিত।
তবে এমন কথা প্রচলিত থাকলেও কথাটা একেবারেই ভুল।

আসলেই মিষ্টি জিনিসটা পুরোটাই কার্বোহাইড্রেট। কিছু ফল আছে যেগুলোতে বেশি কার্বহাইড্রেট থাকে। রক্তের সুগার লেভেল তখনই বাড়বে যখন আপনি একটা নির্দিষ্ট পরিমাণের চেয়ে বেশি কার্ব খাবেন। আর সে ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে যে ফল থেকে প্রাপ্ত মোট কার্বের পরিমাণ যেন ১৫ গ্রামের বেশি না হয়।

সুতরাং ফল খাওয়ার সময় ফলে কি পরিমাণ কার্ব আছে, তার উপরই নির্ভর করছে সেই ফল আপনি কতটুকু খেতে পারবেন। আপনি যদি এমন ফল খান যাতে কার্বের পরিমাণ কম থাকে, তাহলে সুবিধা হলো বেশি ফল আপনি বেশি খেতে পারছেন এবং অন্য দিকে বেশি করে প্রোটিন জাতীয় খাবার খেতে পারবেন।

যাই হোক, লো-কার্ব বা হাই-কার্ব ফল কোন ব্যাপার না। যতক্ষণ না আপনি ১৫ গ্রামের বেশি কার্ব খাচ্ছেন ততক্ষণ রক্তে সুগার লেভেল একই থাকবে। সেক্ষেত্রে ফল খেতে কোন সমস্যা হবে না।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কনস্টেবলের সঙ্গে পালিয়েছে ধর্ষকগুরুর কন্যা হানিপ্রিত

ভারতের আলোচিত ধর্ষকগুরু ডেরা সাচ্চা সৌধাপ্রধান গুরমিত রাম রহিম সিংয়ের পালিত কন্যা হানিপ্রিত ইনসান ছেড়ে পালাতে পারেন সন্দেহে নেপাল সীমান্তে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। তবে এরই মধ্যে গুজব ছড়িয়ে পড়েছে যে, হানিপ্রিত পুলিশের এক কনস্টেবলের সঙ্গে পালিয়ে গেছেন।

এদিকে সোমবার হরিয়ানার পঞ্চকুলা জেলা থেকে সতপাল সিংহ নামে এক ক্যামিস্টকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের বিশেষ তদন্ত দল। হানিপ্রিতকে সহযোগিতা করার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পঞ্চকুলার সেক্টরে টোয়েন্টিতে সতপালের ওষুধের দোকান রয়েছে। ২৫ আগস্ট হারিয়ানাজুড়ে তাণ্ডব চালানোর পেছনে তার ভূমিকা ছিল বলে দাবি করেছে পুলিশ। সতপালকে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদ করে হানিপ্রিতের খোঁজ পাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।

অপরদিকে সামাজিকমাধ্যমে হানিপ্রিত স্বাক্ষরিত একটি চিঠি ছড়িয়ে পড়েছে। গত ২৫ আগস্ট লেখা এ চিঠিতে বলা হয়েছে, ফতেহাবাদের পুলিশ কনস্টেবল বিকাশের সঙ্গে হানিপ্রিত যাচ্ছেন। তবে পুলিশ হানিপ্রিতের চিঠিকে ভুয়া বলে ধারণা করছে। চিঠিটি প্রকাশ্যে আসার পর থেকে হানিপ্রিতের নাম আর মুখে আনছেন না ধর্ষকগুরু। অথচ কয়েকদিন আগেই তাকে নিজের কাছে রাখার আবেদন করেছিলেন গুরমিত।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মাহফুজে মুগ্ধ তসলিমা নাসরিন!

নিজ মালিকানাধীন চ্যানেল এটিএন বাংলায় প্রচারিত একটি অনুষ্ঠানে গান গাইলেন মাহফুজুর রহমান। তার গানের গলা ও কথা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বিশেষ করে ফেসবুকে রীতিমতো ঝড় তুলেছেন অনেকে। তবে এই ঝড়ের পুরোটাই সমালোচনা তথা নেতিবাচক দৃষ্টিকোণ থেকে। অনেকে বলছেন, গান গাওয়ার ন্যূনতম যোগ্যতা না থাকা সত্বেও মালিকানার জোরে এটিএন বাংলায় গান গেয়েছেন তিনি।

অনেকে আবার এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তার স্ত্রী ইভা রহমানের গান নিয়েও টানাটানি করেছেন। তবে এক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম নির্বাসিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন। এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে মাহফুজুর রহমানের গান গাওয়ার কিছু ইতিবাচক দিকের অনুসন্ধান করেছেন তিনি এবং গুনে গুনে তিনি পাঁচটি দিক পেয়েও গেছেন। নিচে তুলে ধরা হলো তসলিমা নাসরিনের পুরো স্ট্যাটাসটি-

“ফেসবুকে বাংলাদেশের মানুষ কাল থেকে হাসছে। হাসতে হাসতে গড়িয়ে পড়ছে। কারণ এটিএম চ্যানেলের কর্ণধার মাহফুজুর রহমান গান না জেনেই গান গেয়েছেন চ্যানেলে।বাজে লিরিক, বাজে সুর, বাজে কণ্ঠ। টাকা আছে বলে টপ মডেলদের দিয়ে অভিনয় করিয়েছেন। গানের কথার সঙ্গে মিলিয়ে হাত পা নেড়েছেন, সোজা কথায় আউটডেটেড। সব মানছি। কিন্তু কিছু পজিটিভ জিনিস ভাবছি।

১। কোটিপতিরা টাকা কামানোর ধান্দায় থাকে্ন। মদ আর ‘মেয়েমানুষ’ নিয়ে প্রমোদ তরী ভাসান। দূর্নীতি দুষ্কর্ম এত করেন যে পাবলিকের সামনে পারতপক্ষে আসেন না। তাঁদের গান গাওয়ার শখ টখ থাকে না। এই লোকটি শিল্প সাহিত্যে মন প্রাণ ঢেলে দিয়েছেন। ইনি আর সব কোটিপতির চেয়ে ভিন্ন।

২। গানের কথাগুলো সবই কোনও নারীকে নিয়ে, যাঁকে তিনি খুব ভালোবাসেন। তাঁর সব গানই ভালোবাসা আর বিরহের গান। কোনও নারীকে ভালোবাসেন তিনি, যাঁকে খুব মিস করছেন, যাঁকে ফিরে আসতে বলছেন। যাঁকে ছাড়া তাঁর কিছু ভালো লাগছে না। সেই নারীর সঙ্গে ছিল তাঁর সুখের জীবন। সেই সুখের জীবন এখন আর নেই তাঁর। ফিলদি ধনীরা সাধারণত এমন স্বীকারোক্তি করে না। তাদের এক গেলে আরেক আসে। কারো জন্য তারা কাঁদে না। এই লোকটি ভিন্ন। লোকটি প্রেমিক। উদার। সংবেদনশীল।

৩। ধনীদের অনেক রকম স্বপ্ন বা সংকল্প থাকে। কোনও প্রাসাদ বা কোনও জাহাজ বা কোনও ক্যাসিনো কিনে ফেলা। বা বিশাল কোনও জুয়োয় জিতে যাওয়া বা কাউকে ঠকানো, বা কোনও জাতশত্রুকে খুন করা। কিন্ত এই লোকটি ওসব কিছু চাইছেন না, তাঁর নিজের চ্যানেলে একটু গান গাইতে চেয়েছেন, এই যা।

৪। লোকটি ভাল গান গাইতে পারেন না বলে সুটিঙ বা এডিটিং-এর সময় তাঁর কর্মচারীরা নিশ্চয়ই তুমুল হেসেছে। তিনি তাদের হাসির শব্দ শুনতে পাননি। তাঁকে নিশ্চয়ই মিথ্যে প্রশংসা করে বোকা বানানো হয়েছে। এত প্রতাপশালী হয়েও মানুষ যে তাঁকে নিয়ে হাসাহাসি করছে তা বুঝতে পারছেন না। বড় সরল সোজা তিনি, বড় সাদাসিধে।

৫। গান গাইতে জানেন না, তারপরও আবেগ তাঁর এত বেশি যে তর সইলো না। গেয়ে দিলেন। একটুও ভাব্লেন না লোকে যে মন্দ বলবে। এর মানে তাঁর ইমোশান মাত্রাছাড়া। এত ইমোশান ফিলদি ধনীদের সাধারণত থাকে না। তারা বুঝে শুনে চিন্তা ভাবনা করে প্রতিটা স্টেপ ফেলে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
২৪ ঘন্টায় বাংলাদেশে ৩৫ হাজার রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ: জাতিসংঘ

কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ব্যাপক আগমনের কারণে নতুন একটি শরণার্থী শিবির তৈরির জন্য সরকারের কাছে জমি বরাদ্দ চেয়েছে জেলা প্রশাসন।

জাতিসংঘের রিপোর্ট অনুযায়ী জেলায় শরণার্থীদের আগমন অব্যাহত রয়েছে এবং গত ২৪ ঘন্টায় আরো নতুন করে ৩৫ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খালেদ মোহাম্মদ এই আগমন প্রতিরোধে মিয়ানমারের প্রতি কূটনীতিকদের প্রবল চাপ রয়েছে উল্লেখ করে সাংবাদিকদের বলেন, ‘বর্তমানে চালু শিবিরগুলোতে আর কোন শরণার্থীর স্থান সংকুলান হবে না বিধায় আমরা এই অনুমোদন চেয়েছি। ’

জাতিসংঘের কর্মকর্তারা জানান, সোমবার থেকে আরো ৩৫ হাজার রোহিঙ্গা মুসলিম বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। সেখানে পাহাড়ি সীমান্তে আরো হাজারো রোহিঙ্গা মুসলিম এদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে এবং বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষীরা তাদের প্রতিহত করার চেষ্টা করছে।

ইউএনএইচসিআর-এর মুখপাত্র ভিভিয়ান টুন কক্সবাজারে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের হিসাব মতে, আগস্টের ২৫ তারিখ থেকে প্রায় ১ লাখ ২৫ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে । গত ২৪ ঘণ্টায় প্রবেশ করেছে ৩৫ হাজার। ’

গত ২৫ আগস্ট সর্বশেষ মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চল রাখাইন রাজ্যে সহিংসতার কারণে নতুন করে আবারো এখানে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রবেশ ঘটছে।

এর আগে রাখাইনে সংগ্রামরত রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে যৌথ নিরাপত্তা ক্যাম্পেইনের প্রস্তাব দিয়েছিল বাংলাদেশ। অথচ ‘নিরীহ বেসামরিক’ লোকদের রক্ষায় মিয়ানমার সরকার কোন উদ্যোগ নেয়নি এবং এদেশে শরণার্থী প্রবেশের পরিস্থিতি সৃষ্টি করে।
সর্বশেষ পরিস্থিতি সৃষ্টির আগেই নিবন্ধন ও অনিবন্ধনকৃত রোহিঙ্গা ক্যাম্পসমূহে ৪ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী রয়েছে। নতুন করে আসা বিপুল সংখ্যক শরণার্থী মানবিক বিপর্যয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বর্তমানে শত শত রোহিঙ্গা বনে ও মিয়ানমার সীমান্ত সংলগ্ন সড়কে ঘর তৈরি করে তাদের ছোট-ছোট ছেলে-মেয়েদের নিয়ে খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাচ্ছে।

স্থানীয় একজন বাসিন্দা বলেন, ‘কক্সবাজারের জনগণ রোহিঙ্গাদের প্রতি সাধারণতঃ অতিথি পরায়ণ। কিন্তু বর্তমান অবস্থায় যেভাবে শরণার্থী আসছে তাতে তাদের খাবার দিয়ে সাহায্য করার মতো অবস্থা নেই। ’বাসস

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest