সর্বশেষ সংবাদ-
নানা আয়োজনে সাতক্ষীরা মুক্ত দিবস উদযাপনজাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে সাংবাদিকদের সহযোগিতা প্রয়োজন: সাতক্ষীরায় নবাগত এসপিআশাশুনির আনুলিয়া ও কাপসন্ডায় সড়ক নির্মান কাজে দুর্নীতির অভিযোগবাঁশদহে স্বেচ্ছাসেবক দলের আয়োজনে বেগম জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়াকেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতাদের বিরুদ্ধে ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত তথ্য প্রচার’: সাতক্ষীরা শহর ছাত্রদলের নিন্দাসাতক্ষীরার আপন প্রেসিডেন্ট’স স্কাউট এ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছেমুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিগাঁথা দেবহাটা মুক্ত দিবসে র‌্যালি ও আলোচনা সভাআশাশুনি বকচরে মানবতার আলোর শীতবস্ত্র বিতরণসাতক্ষীরায় ৩৪তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস পালনসাতক্ষীরায় খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় ছাত্রদলের দোয়া

তালা জালালপুরে রাস্তা দখল করে বালির ব্যবসা; জনভোগান্তি চরমে

তালা প্রতিনিধি : উপজেলার জালালপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্নে তালা-শালিখা রাস্তা দখল করে দীর্ঘদিন ধরে জমজমাট ভাবে বালির ব্যবসা করা হচ্ছে। রাস্তা ছাড়াও স্কুলের খেলার মাঠের কিছু অংশ বালি ব্যবসার জন্য দখল করা হয়েছে। জনগুরুত্বপূর্ণ পিচের রাস্তা ও খেলার মাঠ দখল করে বালির ব্যবসা করলেও বিষয়টি প্রশাসনের নজরে না আসায় মানুষের মাঝে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, শ্রীমন্তকাঠি গ্রামের মৃত. জোনাব মোড়লের ছেলে বাবলু মোড়ল জালালপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী হিসেবে কর্মরত। সেই সুযোগে সিলেট এবং কুষ্টিয়া থেকে ট্রাক ট্রাক বালি এনে বিদ্যালয়ের খেলার মাঠের একাংশ এবং তালা-শালিখা সড়কের পিচের রাস্তার একাংশ দখল করে নিয়ে সেখানে বালির পাহাড় (!) বানিয়েছে। প্রায় ২ মাস ধরে বালি ব্যবসার সাইনবোর্ড তুলে এখানে জমজমাট ব্যবসা চলছে। এতে রাস্তা ও খেলার মাঠ বন্ধ হয়ে যাওয়াসহ বাতাশে বালি উড়ে এসে পথচারীদের চোখে-মুখে যাচ্ছে। জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি দখলের ফলে রাস্তা ছোট হয়ে যাওয়ায় সড়ক দুর্ঘটনার আশংকা দেখা দিয়েছে। জনভোগান্তি সৃষ্টির ফলে স্থানীয়রা রাস্তা দখল করে বালির ব্যবসার প্রতিবাদ করলেও তাতে কোনও লাভ হয়নি। উল্টো প্রতিবাদকারীদের হুমকি দেয়া হয়েছে। যে কারনে রাস্তা ও খেলার মাঠ দখল মুক্ত করাসহ রাস্তার উপর থেকে বালির পাহাড় অপসারনের জন্য এলাকাবাসী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ফরিদ হোসেন এর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
পশ্চিমাদের তেল-গ্যাসের ক্ষুধা মেটাতেই রোহিঙ্গানিধন-ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির বিবৃতি

রাখাইন রাজ্যের বিপুল প্রাকৃতিক সম্পদের নিয়ন্ত্রণ ‘ক্ষুধার্ত’ পশ্চিমা করপোরেট গোষ্ঠীর হাতে তুলে দিতেই মিয়ানমারের সরকার সেনাবাহিনীর মাধ্যমে নিধনযজ্ঞ চালিয়ে রোহিঙ্গাদের স্বভূমি থেকে বিতাড়ণের ‘কৌশল’ নিয়েছে বলে মনে করে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিআই)।

মিয়ানমার ভারতেরও প্রতিবেশী। দেশটির সঙ্গে ভারতের এক হাজার ৬০০ কিলোমিটারের বেশি সীমান্ত রয়েছে। ভারতে প্রায় ৪০ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী হিসেবে বসবাস করছে। এদের মধ্যে ১৬ হাজার জাতিসংঘের নিবন্ধিত।

ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির এই বিবৃতি এমন একটি সময়ে এল, যার একদিন আগেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মিয়ানমার সফর করে দেশটির পরামর্শদাতা অং সান সু চির সঙ্গে বৈঠক করেন। মোদি ‘রাখাইন রাজ্যে চরমপন্থী সহিংসতা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর হামলা, নিরীহ জনগণের জীবন আক্রান্ত হওয়ার ব্যাপারে’ উদ্বেগ প্রকাশ করলেও মিয়ানমানের সেনাবাহিনীর নির্যাতন নিয়ে টু শব্দটি পর্যন্ত করেননি।

সিপিআই সাধারণ সম্পাদক সুধারাম রেড্ডি ভারতের প্রধানমন্ত্রীর এই অবস্থানের কঠোর সমালোচনা করে বলেন, ‘বোঝা যায়, এতে মোদি নিজস্ব সাম্প্রদায়িক-ভেদনীতির বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন।’

গত ২৪ আগস্ট রাতে রাখাইন রাজ্যে একসঙ্গে ২৪টি পুলিশ ক্যাম্প ও একটি সেনা আবাসে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। ‘বিদ্রোহী রোহিঙ্গাদের’ সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (এআরএসএ) এই হামলার দায় স্বীকার করে। এ ঘটনার পর মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী নিরস্ত্র রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ-শিশুদের ওপর নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞ চালাতে থাকে। সেখান থেকে পালিয়ে আসার রোহিঙ্গাদের দাবি, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী নির্বাচারে গ্রামের পর গ্রামে হামলা নির্যাতন চালাচ্ছে। নারীদের ধর্ষণ করছে। গ্রাম জ্বালিয়ে দিচ্ছে।

জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার হিসাব মতে, নতুন করে সহিংসতা সৃষ্টির পর প্রায় দুই লাখ ৭০ হাজার রোহিঙ্গা এরই মধ্যে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। বিপদসঙ্কুল নদী ও সমুদ্রপথ পাড়ি দিতে গিয়ে মারা গেছেন শতাধিক মানুষ।

রোহিঙ্গাদের অবস্থা তুলে ধরতে গিয়ে সিপিআই সাধারণ সম্পাদক তাঁর বিবৃতিতে বলেন, ‍“গত কয়েক বছর ধরেই রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর উপর ধারাবাহিকভাবে হামলা-নির্যাতন চালানো হচ্ছে, কিন্তু এখন এটা ‘জাতিগত নিধনে’র পর্যায়ে পৌঁছেছে। তাতে শুধু হাজার হাজার নীরিহ সাধারণ মানুষকেই হত্যা করা হচ্ছে না উপরন্তু লাখ লাখ মানুষ যাতে বিতাড়িত হয়ে বাংলাদেশ ও ভারতে আশ্রয় নেয় সেই ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে।”

‘রোহিঙ্গাদের সেখান থেকে বিতাড়িত করার পেছনের কারণ হচ্ছে, পশ্চিমা করপোরেটের ক্ষুধা। তাঁরা রাখাইন রাজ্যের বিপুল তেল ও প্রাকৃতিক সম্পদ চুরি করতে চায়। হামলা-হত্যা-হুমকির মাধ্যমে রাখাইন রাজ্য থেকে রোহিঙ্গাদের বিতাড়নের মাধ্যমে মিয়ানমানের সেনাবাহিনী ও রাজনৈতিক নেতারা পশ্চিমা করপোরেট গোষ্ঠীর সেই দাবিই মেটাতে চান’, যোগ করে সিপিআই।

শান্তিতে নোবেলজয়ী মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় পরামর্শদাতা অং সান সু চির সমালোচনা করে সিপিআই নেতা বলেন, ‘অবিশ্বাস্যভাবে সু চি শুধু এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থই হননি, তাঁর নীরব দর্শকের ভূমিকা সেখানে বড় ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের সুযোগ করে দিয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদির প্রথম দ্বিপাক্ষিক মিয়ানমার সফরের কথা উল্লেখ করে সুধারক রেড্ডি বলেন, ‘সফরের সময় নরেন্দ্র মোদি এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ কোনো আলোচনা না করেই মিয়ানমার সরকারের ভাষ্যকেই সমর্থন করেছেন, যেন এটি একটি উগ্রপন্থা ও সন্ত্রাসের সমস্যা। বেশ বোঝা যায়, এতে নরেন্দ্র মোদি নিজস্ব সাম্প্রদায়িক-ভেদনীতির বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন।’

সমস্যার স্থায়ী সমাধান হিসেবে রাখাইন রাজ্যবিষয়ক জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনান কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের উপর জোর দিয়েছে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি। এ ব্যাপারে ভারতকে উপযুক্ত কূটনৈতিক পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানানো হয়।

ভারত তাঁর দেশে আশ্রিত ৪০ হাজার রোহিঙ্গাকে স্বদেশে ফেরত পাঠানোর যে উদ্যোগ নিয়ে সেটার বিরোধিতা করে সুধাকর রেড্ডি বিবৃতিতে আরো বলেন, ‘ভারতরকে এই অবস্থান পরিত্যাগ করতে হবে। স্থায়ী সমাধান না হওয়া পর্যন্ত রোহিঙ্গারা ভারতের শরণার্থীর মর্যাদায় অবস্থান করবে এবং আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী তাদের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা ভোগের অধিকার দিতে হবে।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আবার পয়েন্ট খোয়াল রিয়াল মাদ্রিদ

লা লিগার বর্তমান চ্যাম্পিয়ন তাঁরা। সেই রিয়ার মাদ্রিদ কিনা মৌসুমের শুরুতেই অনেকটাই চাপে পড়ে গেছে। প্রথম তিন ম্যাচের মধ্যে তারা জিতেছে মাত্র একটি ম্যাচে। প্রথম ম্যাচে দেপোর্তিভো লা করুনার বিপক্ষে জয় পাওয়া দলটি পরের ম্যাচে ভ্যালেন্সিয়ার সঙ্গে ড্র করে। তৃতীয় ম্যাচেও জয়ের ধারায় ফিরতে পারেনি মাদ্রিদের দলটি। সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে আসরের তৃতীয় ম্যাচে লেভান্তের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছে জিনেদিন জিদানের দল।

বার্নাব্যুতে এদিন শুরুতে গোল করে এগিয়ে যায় লেভান্তে। ম্যাচের তখন ১২তম মিনিট চলছে। ইভান লোপেজের পা থেকে বল পেয়ে গোল করেন ইভি। রিয়াল গোলরক্ষক ক্যাসিলা কিছুই করতে পারেননি। গোল খাওয়ার পর সেটা শোধে মরিয়া হয়ে ওঠে রিয়াল। তবে লেভান্তের জমাট রক্ষণভাগ ভাঙতে পারছিল না রোনালদোবিহীন রিয়ালের রক্ষণভাগ।

এই অর্ধেই সমতায় ফেরে রিয়াল। ৩৬তম মিনিটে টনি ক্রুসের পাসে বল পেয়ে হেড করেন রামোস। সেটা অবশ্য আটকে দেন লেভান্তের গোলরক্ষক। ফিরতি আক্রমণে অবশ্য লুকাস ভাসকেসের বাঁ পায়ের শটটা আর ঠেকাতে পারেননি লেভান্তে রক্ষক রাউল।

সমতায় থেকেই থেকেই বিরতিতে যায় মাদ্রিদ। বিরতির পর আরো বেশি মরিয়া হয়ে ওঠেন অ্যাসেনসিও-মার্সেলোরা। ইনজুরিতে পড়া করিম বেনজমাকে বসিয়ে গ্যারেথ বেলকে মাঠে নামান জিদান। কেবল তাই নয় ইকসো, কোভাচ্চিকেও মাঠে নামান রিয়াল বস। তাতেও কাজ হয়নি। শেষমুহূর্তে মার্সেলো লাল কার্ড দেখে মাঠ থেকে বেরিয়ে গেলে রিয়ালে জয়ের স্বপ্নটা অধরাই থেকে যায়।

এই ড্রয়ে শিরোপা ধরে রাখার মিশনটা ভালোভাবে শুরু করতে পারল না রিয়াল মাদ্রিদ। তিন ম্যাচে পাঁচ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের চারে থাকল জিদানের দল। দুটি ম্যাচ জিতে ছয় পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে রিয়াল সোসিয়েদাদ ও বার্সেলোনা। দুটি জয়ে সমান পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে লেগানেস।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
পাইকগাছায় শিল্প ও বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন

পাইকগাছা ব্যুরো : পাইকগাছায় বহুপ্রতিক্ষিত মাসব্যাপি শিল্প ও বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন হয়েছে। শনিবার বিকেলে পাইকগাছা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ মেলার উদ্বোধন করেন পৌর মেয়র মোঃ সেলিম জাহাঙ্গীর। এ সময় পৌর কাউন্সিলর, ব্যবসায়ী, আয়োজক কমিটিসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। আয়োজকরা জানিয়েছেন, মাসব্যাপি এ মেলায় হস্ত, বস্ত্র ও কঠির শিল্পসহ বিভিন্ন পণ্য সামগ্রীর প্রায় অর্ধশত স্টল বসানো হয়েছে। শিশু ও কিশোরদের জন্য চিত্ত বিনোদনে নাগরদোলা, ইলেকট্রিন ট্রেন, নৌকা, হেলিকপ্টার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কৃষ্ণনগর শ্রমিকলীগের কমিটিতে জামায়াত-বিএনপির ছড়াছড়ি !

নিজস্ব প্রতিবেদক : জামায়াত, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের সমন্বয়ে কালিগঞ্জের কৃষ্ণনগর শ্রমিকলীগের কমিটি গঠন করার অভিযোগ উঠেছে। শ্রমিকলীগের প্রকৃত কর্মীরা এ কমিটিতে স্থান না পাওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তবে কমিটি গঠন উপলক্ষ্যে কোন প্রকার আলোচনা সভা ছাড়াই নামের তালিকা প্রস্তুত করে স্বাক্ষর করেই এ কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে একাধিক নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন।
এলাকাবাসী জানান, গত ৮ সেপ্টেম্বর কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন শ্রমিকলীগের ৪৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়। উক্ত কমিটিতে দীর্ঘদিনের স্থান পাওয়া অধিকাংশ ব্যক্তিই জামাত, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির নেতাকর্মী। অথচ যারা প্রকৃত বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাস এবং শ্রমিকলীগ ত্যাগী তারা উক্ত কমিটিতে স্থান পাননি।
এলাকাবাসী আরো জানান, উক্ত কমিটির সভাপতি আব্দুল জলিল এলাকার চিহ্নিত ডাকাত হিসাবে পরিচিত। গত ইউপি নির্বাচনে কালিগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান অহেদুজ্জামানের সহযোগিতায় মেম্বর নির্বাচিত হয়েছেন। কিন্তু সে কখনো আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল না। এছাড়া জলিল অহেদুজ্জামানের পোষ্য পুত্র দাবি করে এলাকায় বিভিন্ন ধরনের অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে।
কমিটির সহ-সভাপতি আফছার উদ্দিন মেম্বর জাতীয় পার্টি, সাধারণ সম্পাদক নজরুল মেম্বর বিএনপি, দপ্তর সম্পাদক নুরুল আমিন জাতীয় পার্র্টির সাথে দীর্ঘদিন ধরে জড়িত ছিলেন। সুযোগ বুঝে তারা এখন শ্রমিকলীগের বড় বড় পদ দখল করেছেন। জাতীয় শ্রমিকলীগের মত সংগঠনের এসব জামায়াত বিএনপি নেতাকর্মীদের স্থান দেওয়ার বিষয়ে এলাকাবাসী জেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এবিষয়ে কৃষ্ণনগর শ্রমিকলীগের নব গঠিত কমিটির সভাপতি আব্দুল জলিল এর ব্যবহৃত ০১৭১১০৭৯৪৪৩ নাম্বারে শনিবার সন্ধ্যায় সাড়ে ৬টায় যোগাযোগ করলে তিনি রিসিভ করেননি।
এবিষয়ে কালিগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক শেখ শাহাজালালের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, জলিল মেম্বর ৪ বছর তরুণলীগের সাথে জড়িত ছিলো, তবে নজরুল জাতীয় পার্টি করতো এটা সঠিক। এছাড়া উক্ত কমিটিতে ২/১ জন জামায়াত বিএনপি থাকতে পারে। এটা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। সাধারণ সভা ডেকে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে তাদের বাদ দিয়ে দেওয়া হবে। জলিল মেম্বর ডাকাত ছিলেন এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি কিছুটা নিরব হয়ে বলেন এসব তথ্য কোথা থেকে পেয়েছেন? আমাদের তো জানা নেই।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কলারোয়ায় কলেজ অধ্যক্ষকে পিটিয়ে বের করে দিলেন ইউপি চেয়ারম্যান!

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরার কলারোয়ার বোয়ালিয়া মুক্তিযোদ্ধা কলেজের অধ্যক্ষকে মারপিট করে তার কক্ষ থেকে বের করে দিয়েছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও তার সহযোগীরা। এতে বাধা দিতে গিয়ে মার খেয়েছেন কলেজের পিয়ন শফিকুল ইসলাম। পরে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে আনেন। শনিবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।
কলেজ গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান হিসাবে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. মেসলেমউদ্দিনকে নিয়োগ না করা পর্যন্ত তাকে কলেজে ঢুকতেও বারণ করে দিয়েছেন তারা। কলেজ অধ্যক্ষ মো. ফারুক হোসেন এ অভিযোগ করেন।
তবে কেড়াগাছি ইউপি চেয়ারম্যান আফজালুর রহমান হাবিল বলেন, আমি মারধর করিনি। আমি কলেজে যাবার আগে তাকে মারা হয়েছে। তবে আমি তাকে মুক্তিযোদ্ধা মোসলেম কমান্ডারকে গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান না করা পর্যন্ত কলেজে আসতে না করেছি।
অধ্যক্ষ মো. ফারুক হোসেন বলেন, আমি সকাল সাড়ে ৮ টায় কলেজে গেছি। চেয়ারে বসতে না বসতেই ৭/৮ জন লোক আমার রুমে ঢুকে আমাকে মারপিট করে । তারা আমাকে কিল চড় ঘুষি মারতে মারতে বের করে আনে। আমি মার খেতে খেতে দৌড়ে পালাই। পাশে একটি বাড়িতে ঢুকে আশ্রয় গ্রহণ করি। এ সময় তারা বলেন, মোসলেম কমান্ডারকে চেয়ারম্যান করবি, তবে কলেজে আসবি। অন্যথায় তোর হাড় ভেঙে দেবো। তিনি বলেন, এই হামলার নেতৃত্ব দেন কেড়াগাছি ইউপি চেয়ারম্যান আফজালুর রহমান হাবিল। তার সাথে পরিচিতদের মধ্যে ছিলেন ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম ও মহিলা মেম্বরের স্বামী পাঁচপোতা গ্রামের আবদুল কুদ্দুস। তিনি বলেন, আমার ওপর হামলা হচ্ছে দেখে ছুটে আসে কলেজের পিয়ন শফিকুল ইসলাম। চেয়ারম্যান ও তার সঙ্গীরা তাকেও বেদম মারধর করেছে। তিনি বলেন হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে এসেছি। ইউপি চেয়ারম্যানের ইচ্ছা অনুযায়ী কলেজ গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান না করায় এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটি কলারোয়া থানা পুলিশকে জানালে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে আনে।
এ প্রসঙ্গে ইউপি চেয়ারম্যান আফজালুর রহমান হাবিল বলেন ‘তালা কলারোয়ার সাংসদ অ্যাড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. মোসলেমউদ্দিনকে কলেজ চেয়ারম্যান করতে ডিও লেটার দিয়েছেন। কিন্তু অধ্যক্ষ তা লুকিয়ে রেখে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ভুট্টোলাল গাইনকে চেয়ারম্যান করে এনেছেন। এতেই আমরা ক্ষুব্ধ।’
তবে অধ্যক্ষ মো. ফারুক হোসেন জানান, এবারের গভর্নিং বডি তৈরির কাজ শুরু হয় ৪ মে তারিখে। ১৫ মে তারিখে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক সাংসদ মুনসুর আহমেদ এবারের কমিটিতে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ভুট্টো লাল গাইনকে চেয়ারম্যান করা পক্ষে একটি ডিও লেটার দেন। ভুট্টো লাল গাইন আগের কমিটিরও চেয়ারম্যান ছিলেন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ২৪ জুলাই তারিখে ভুট্টোলাল গাইনকে আবারও চেয়ারম্যান করে কমিটির অনুমোদন দেয়। তিনি জানান এ ঘটনার পর কলারোয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমেদ স্বপন তাকে ডেকে পাঠিয়ে বলেন ‘২ জুলাই তারিখে সংসদ সদস্য অ্যাড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ একটি ডিও লেটার ইস্যু করেছেন। এতে তিনি কলারোয়ার মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. মোসলেমউদ্দিনের নাম উল্লেখ করেছেন। আপনি তাকে চেয়ারম্যান করুন।’ অধ্যক্ষ তাকে বলেন এ প্রক্রিয়া তো শেষ হয়ে গেছে। এখন কোনো ডিও লেটার এমনিতেই লাগে না। তাছাড়া মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোসলেমউদ্দিন গুরুতর অসুস্থ হয়ে শয্যাশায়ী। তাকে চেয়ারম্যান করা হলে তো তিনি একদিনও কলেজে আসতে পারবেন না।
অধ্যক্ষ আরও বলেন বিষয়টি নিয়ে চারদিকে কমবেশি বাদানুবাদ হচ্ছিল। হঠাৎ করেই তারা এসে তাকে মারপিট করে কক্ষ থেকে বের করে দিল। আর বললো, মোসলেম কমান্ডারকে চেয়ারম্যান না করে কলেজে উঠবি না। তিনি বলেন সন্ধ্যার পরও আমাকে উপজেলা চেয়ারম্যান বলেছেন, আমার শ্বশুর মোসলেম কমান্ডারকে কেনো চেয়ারম্যান করলেন না। অধ্যক্ষ তার জবাবে বলেন গভর্নিং বডির ১৪ সদস্যের মধ্যে ১২ জনই ভুট্টো লাল গাইনের পক্ষে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কলারোয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমেদ স্বপন বলেন, অধ্যক্ষ ফারুক সংসদ সদস্যের দেওয়া ডিও লেটার চেপে রেখে ভুট্টোলাল গাইনকে কলেজের চেয়ারম্যান করায় জনগণ ক্ষিপ্ত হয়ে সম্প্রতি প্রতিবাদ সমাবেশ করে। আজ তারা তাকে মারপিট করেছে। তবে চেয়ারম্যান হাবিল ঠেকিয়ে দিয়েছেন।
অন্যদিকে, অধ্যক্ষ ফারুক হোসেন বলেন, হামলায় তার পা ও হাতে গুরুতর জখম হয়েছে। তিনি এর প্রতিকার দাবি করেন এবং কলেজে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সকলের সহায়তা কামনা করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
জেলা তাঁতীলীগের উন্নয়ন শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক : স্রষ্টার এবাদত সৃষ্টির সেবা ও কর্মসেবা প্রগতিকে বুকে ধারণ করে সাতক্ষীরা জেলা তাঁতীলীগ আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের বিজয়ের লক্ষে ও জননেত্রী শেখ হাসিনাকে পুনরায় প্রধানমন্ত্রী করতে তৃণমূল পর্যায়ে উন্নয়ন শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার শহরের তুফান কনভেনশন সেন্টারে জেলা তাঁতীলীগের সভাপতি মীর আজাহার আলী শাহিনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ তাঁতীলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সদস্য শ্রীমতি শিখা রাণী দাস। জেলা তাঁতীলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ তৌহিদ হাসানের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা সহ-সভাপতি শাওকিত হাসান রনি, নাসির উদ্দিন, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক শেখ আজিম হোসেন জেলা তাঁতীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুজ্জামান খান তুহিন, অর্থ সম্পাদক আব্দুল মালেক, কালিগঞ্জ উপজেলা তাঁতীলীগের সভাপতি আমির আলী, দেবহাটা উপজেলার আহবায়ক নাসির উদ্দিন, আশাশুনি উপজেলার আহবায়ক সেলিম রেজা, কলারোয়া উপজেলার আহবায়ক অধ্যক্ষ বেলাল হোসেন আবির, পৌর তাঁতীলীগের সহ-সভাপতি নুর জাহান সাদিয়া, সাধারণ সম্পাদক ক্যাপ্টেন হোসেন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক মাসুদ আলীসহ জেলার ৬টি উপজেলার সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকসহ পৌর ৫ ও ৬নং ওয়ার্ড তাঁতীলীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, সাতক্ষীরা জেলায় মোট ২৪ হাজার তাঁতী পরিবার আছে। এ জেলার এ সকল অবহেলিত তাঁতীদের উন্নত প্রশিক্ষনের মাধ্যমে এই শিল্পকে আরো উন্নত করতে হবে। আর এ কাজটি একমাত্র শেখ হাসিনার মত মেধা সম্পন্ন রাষ্ট্র প্রধান দ্বারা সম্ভব। এজন্য আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক কে আবারও বিজয়ী করে এ শিল্পকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বের মাধ্যমে আরো উৎজীবীত করে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে হবে। আর এ শিল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশ যাতে রাজস্ব আয় বাড়াতে পারে সে লক্ষে তাঁতীলীগকে বেশি বেশি করে কাজ করতে হবে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীককে বিজয়ী করায় তাঁতীলীগের মূল লক্ষ্য। সকল ভেদাভেদ ভুলে আগামী সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক কে বিজয়ী করে শেখ হাসিনার হাতকে আরো শক্তিশালী করতে হবে। তাহলে বাংলাদেশ থেকে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ক্ষুধা দারিদ্র মুক্ত, রাজাকার ও জঙ্গীমুক্ত সোনার বাংলা গড়া সম্ভব হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
অবশেষে রোহিঙ্গা ঢলে দিল্লির উদ্বেগ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতির কারণে সেখান থেকে এই অঞ্চলে বিপুলসংখ্যক শরণার্থীর ঢলে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে ভারত। রাখাইনে সহিংসতা বন্ধ করে দ্রুত স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনার ওপর ভারত জোর দিয়েছে।
ভারতের পররাষ্ট্র্র মন্ত্রণালয় শনিবার মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের চলমান সহিংসতা নিয়ে এই প্রতিক্রিয়া জানায়। রাতে মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রবীশ কুমারের টুইটে এই বিবৃতি প্রচার করা হয়েছে।
রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মুয়াজ্জেম আলী শনিবার ভারতের পররাষ্ট্রসচিব এস জয়শঙ্করের সঙ্গে দেখা করেছেন। রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের অন্তহীন স্রোত বাংলাদেশকে কী দুঃসহ পরিস্থিতির মুখে দাঁড় করিয়েছে, হাইকমিশনার তা জয়শঙ্করকে জানান। বাংলাদেশ চায়, পরিস্থিতি মোকাবিলায় ভারত তাদের পাশে থাকুক।
উদ্বেগ জানিয়ে ভারতের বিবৃতি:
ভারতের পররাষ্ট্র্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতির কারণে সেখান থেকে এই অঞ্চলে বিপুলসংখ্যক শরণার্থীর ঢলে ভারত গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রবীশ কুমার বিবৃতিতে বলেন, ‘আমরা এর আগে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর সন্ত্রাসী হামলার কঠোর নিন্দা জানিয়েছিলাম। দুই দেশ এরই মধ্যে সন্ত্রাসবাদ দমনে তাদের কঠোর অঙ্গীকারের কথা জানিয়েছে এবং কোনো যুক্তিতেই সন্ত্রাসবাদকে প্রশ্রয় দেবে না।’
সম্প্রতি মিয়ানমার সফরের সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য ও নিরপরাধ লোকজনের মৃত্যুতে উদ্বেগ জানিয়েছেন। শান্তি, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, ন্যায়বিচার, মর্যাদা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে তিনি সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর সফরের সময় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে রাখাইন রাজ্যের উন্নয়ন কর্মসূচিতে সহায়তা দেবে ভারত।
রবীশ কুমার বলেন, ‘আমরা সংযতভাবে এবং পরিপক্বতার সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর পাশাপাশি বেসামরিক লোকজনের কল্যাণের বিষয়টিতে গুরুত্ব দিয়ে রাখাইনের পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার আহ্বান জানাই। রাজ্যটিতে সহিংসতা বন্ধ করে দ্রুত স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনা জরুরি।’
ভারতকে পাশে চায় বাংলাদেশ :
রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মুয়াজ্জেম আলী আজ দেখা করেছেন ভারতের পররাষ্ট্রসচিব এস জয়শঙ্করের সঙ্গে। রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের অন্তহীন স্রোত বাংলাদেশকে কী দুঃসহ পরিস্থিতির মুখে দাঁড় করিয়েছে, হাইকমিশনার তা জয়শঙ্করকে জানান। বাংলাদেশ চায়, পরিস্থিতি মোকাবিলায় ভারত তাদের পাশে থাকুক।
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, মুয়াজ্জেম আলীকে জয়শঙ্কর বলেছেন, সাম্প্রতিক এই গোলমালের পর কয়েক হাজার রোহিঙ্গা ভারতেও চলে এসেছে।
রোহিঙ্গাদের যেভাবে রাখাইন রাজ্য থেকে মিয়ানমার পুলিশ ও সামরিক বাহিনী উৎখাত করছে, সে বিষয়ে ভারত এখনো নীরব। সম্প্রতি সেই দেশ সফরের সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই বিষয়ে একটি কথাও বলেননি। উল্টো রোহিঙ্গাদের পক্ষ থেকে যে সন্ত্রাসবাদী আক্রমণ চালানো হয়েছিল, ভারত তার নিন্দা করে মিয়ানমার সরকারের পাশে দাঁড়ায়। বালি ঘোষণাপত্রেও রোহিঙ্গা সমস্যার উল্লেখ থাকায় ভারত তাতে সই করেনি।
বাংলাদেশের আর্থসামাজিক পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গা সমস্যা কী বিপুল প্রভাব ফেলেছে, জয়শঙ্করকে মুয়াজ্জেম আলী তা বোঝান। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে চলা এই সমস্যার সমাধান হওয়া একান্তই জরুরি। আঞ্চলিক স্বার্থেই একটা গ্রহণযোগ্য সমাধান প্রয়োজন।
ভারতে ইতিমধ্যে প্রায় ৪০ হাজার রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে। সরকারি সিদ্ধান্ত, এদের চিহ্নিত করে ফেরত পাঠানো হবে। সরকারের এই উদ্যোগ রুখতে রোহিঙ্গাদের পক্ষে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থে মামলা করা হয়েছে। পাল্টা মামলা করেছেন বিজেপির সাবেক শীর্ষ কর্তা কে এনগোবিন্দ চারিয়া।
রোহিঙ্গাদের সন্ত্রাসবাদী কাজকর্মের বিরুদ্ধে বাংলাদেশও। সে কথা জয়শঙ্করকেও বলা হয়েছে। পাশাপাশি সমস্যার মানবিক দিকটাও তুলে ধরা হয়েছে। বাংলাদেশ চায় পরিস্থিতি মোকাবিলায় ভারত সক্রিয়ভাবে তাদের পাশে থাকুক।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest