সর্বশেষ সংবাদ-
দেবহাটার সরকারি কর্মকর্তা-সুধীজনদের সাথে ডিসির মতবিনিময়সাতক্ষীরার ১৮৫টি ভোটকেন্দ্রের স্কুল সংস্কারে বরাদ্দ প্রায় ৬৪ লাখ টাকাসাতক্ষীরা জেলা রোভারের ৪১ তম কোর্স ফর রোভারমেট এর মহাতাঁবু জলসাশ্যামনগরে বুনো শাকের রান্না প্রতিযোগিতাসাতক্ষীরায় দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে রাস্তা সংস্কার কার্যক্রমের উদ্বোধনতারেক রহমানের জন্মদিনে সাতক্ষীরায় শিক্ষার্থীদের মাঝে ছাত্রদলের শিক্ষা উপকরণ বিতরণদেবহাটায় উপজেলা মাসিক আইনশৃঙ্খলা ও উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভামহেশ্বরকাটি বাজারে বিএনপির প্রার্থী কাজী আলাউদ্দিনের লিফলেট বিতরণ৯৪ হাজার মুক্তিযোদ্ধাকে আমরা আড়াই লক্ষ করেছি বলেই মুক্তিযোদ্ধারা যথাযথ সম্মান পান না আলিপুরে জামায়াতের নির্বাচনী পথ সভা

কালিগঞ্জে সাক্ষরতা দিবস উ‌‌‌দযাপন

কালিগঞ্জ ব্যুরো : ‘সাক্ষরতা অর্জন করি ডিজিটাল বিশ্ব গড়ি’ এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে কালিগঞ্জে র‌্যালি ও শিক্ষার্থীদের সুন্দর হাতের লেখা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। দিবসটি পালন উপলক্ষে শুক্রবার সকাল ১০টায় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে পরিষদ প্রাঙ্গণ থেকে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র ছাত্রী, এনজিও প্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা, সাংবাদিক ও সুধীবৃন্দের অংশগ্রহণে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আর্ন্তজাতিক স্বাক্ষরতা দিবস উদ্যাপনে শিক্ষার্থীদের সুন্দর হাতের লেখা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
৩টি গ্রুপের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারী শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রধান অতিথি থেকে পুরস্কার বিতরণ করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নূর আহমেদ মাছুম। সোহরাওয়ার্দী পার্ক কমিটির সদস্য সচিব এ্যাড. জাফরুল্লাহ ইব্রাহিমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা এমএ নাহার, উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন, প্রকাশ বিশ্বাস, কালিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি শেখ আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সুকুমার দাশ বাচ্চু প্রমুখ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দেবহাটায় সক্ষরতা দিবসে র‌্যালি ও আলোচনা

দেবহাটা ব্যুরো : দেবহাটায় আন্তর্জাতিক স্বাক্ষরতা দিবস উপলক্ষ্যে র‌্যালি, আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রশাসনের আয়োজনে শুক্রবার সকাল ৯.৩০ টায় উপজেলা চত্বর হতে র‌্যালি বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা পরিষদ সভা কক্ষে আলোচনা সভা ও বিভিন্ন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরনের মধ্যে দিয়ে দিবসটি পালিত হয়। আলোচনা সভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাফিজ আল আসাদের সভাপতিত্বে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাজমুন নাহারের সঞ্চলনায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রনজিত কুমার রায়, রিসোর্স সেন্টারের ইন্সট্রক্টার সাইদুর রহমান হক, হাজী কেয়ামউদ্দীন মহিলা কলেজের অধ্যাক্ষ আবুল কালাম, দেবহাটা মডেল হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষক গৌর ঘোষ, দেবহাটা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অনুপ কুমার, সহকারী শিক্ষক প্রশান্ত কুমার প্রমুখ। অন্যান্যদের মধ্যে সমাজসেবা কর্মকর্তা অধীর কুমার গাঈন, প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা সোহাগ হোসেন, একাডেমিক সুপার ভাইজার মিজানুর রহমান, পল্লী দারিদ্র বিমোচন কর্মকর্তা অশিত বরণ রায়, খান বাহাদুর আহ্ছান উল্লা কলেজের অধ্যাক্ষ রিয়াজুল ইসলাম, দেবহাটা কলেজেরে অধ্যাক্ষ একেএম আনিসউজ্জামান, দেবহাটা মডেল হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মদন মোহন পালসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষিকা, ছাত্র-ছাত্রীরা উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভা শেষে চিত্রাঙ্কন, রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার প্রদান করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রোহিঙ্গা হত্যা ও নির্যাতনের প্রতিবাদে পাইকগাছায় মানববন্ধন

বাবুল আক্তার : মায়ানমারের রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের উপর বর্বরোচিত হামলা, হত্যা ও নির্যাতনের প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। শুক্রবার জুম্মাবাদ পৌর সদরের প্রধান সড়কে নাগরকি কমিটির ব্যানারে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে শতশত ধর্মপ্রাণ মুসলমান অংশগ্রহণ করেন। সংগঠনের সভাপতি মোস্তফা কামাল জাহাঙ্গীরের সভাপতিত্বে ও সম্পাদক গাজী সালামের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথি ছিলেন পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর। বক্তব্য রাখেন, ষোলআনা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোর্তজা জামান আলমগীর রুলু, কাউন্সিলর কামাল আহমেদ সেলিম নেওয়াজ, পাইকগাছা প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি মোঃ আব্দুল আজিজ, ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম, জাপানেতা গাজী আব্দুস সামাদ, মাওঃ নুরুজ্জামান ও মাওঃ আব্দুল কাদির। মানববন্ধনে বক্তারা শরণার্থী রোহিঙ্গা সম্প্রদায়কে আশ্রয় দেয়ার জন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানান। একই সাথে মায়ানমারের সঙ্গে সকল কুটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে চাল আমদানি বন্ধের জন্য সরকারের প্রতি দাবী জানান। অনুরূপভাবে মায়ানমারকে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ঘোষণা দিয়ে অং সান সুচির নোবেল পুরস্কার প্রত্যাহার, রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের উপর বর্বরোচিত হত্যা ও নির্যাতন বন্ধের দাবী জানিয়ে জাতিসংঘ এবং ওআইসি’র হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দুবাইতে দারুণ সময় কেটেছে : বর্ষা

তারকা দম্পতি অনন্ত জলিল ও বর্ষা এবার ঈদের ছুটি দুবাইতে কাটিয়েছেন। ঈদের পরদিন গত রোববার ঢাকা থেকে দুবাইতে তাঁরা বেড়াতে যান। সেখানে পাঁচদিন ঘুরে ঢাকায় ফিরেছেন তাঁরা গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়।

দুবাইতে সময় কেমন কেটেছে জানতে চাইলে বর্ষা বলেন, ‘দুবাইতে আমাদের দারুণ সময় কেটেছে। আরিজও আমাদের সঙ্গে ছিল। ছেলের সঙ্গে অনেক মজা করে আমরা ঘুরেছি।’

বর্তমানে বর্ষা সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা। এ খবর তাঁর ভক্তদের কাছে অজানা নয়। আসছে নভেম্বরে আবার মা হতে চলেছেন তিনি। ঈদের কিছুদিন আগে থাইল্যান্ডে বামরুনগ্রাদ ইন্টারন্যাশনাল হসপিটালে গিয়ে নিজের চেক-আপ করিয়েছেন বলে জানান বর্ষা।

অনন্ত জলিল ও বর্ষা একসঙ্গে জুটি বেঁধে বেশ কিছু ছবিতে অভিনয় করে আলোচিত হয়েছেন। তাঁদের অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবিগুলো হলো ‘মোস্ট ওয়েলকাম’, ‘নিঃস্বার্থ ভালোবাসা’, ‘খোঁজ দ্য সার্চ’ ও ‘হৃদয় ভাঙ্গা ঢেউ’।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বাইরে গোমাংস খেয়ে ভারতে ঢোকার পরামর্শ মন্ত্রীর!

বিদেশি পর্যটকদের ভারতে ঢোকার আগে গোমাংস খেয়ে ঢোকার পরামর্শ দিয়েছেন দেশটির কেন্দ্রীয় পর্যটনমন্ত্রী কে জে অ্যালফন্স। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে গরুর মাংসের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় দেশটির পর্যটন ব্যবসায় এর প্রভাব পরবে কি না—এমন এক প্রশ্নের জবাবে বৃহস্পতিবার মন্ত্রী এ কথা বলেন। খবর এনডিটিভির।

ভুবনেশ্বরে ইন্ডিয়ান ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশনের এক অনুষ্ঠানে নতুন পর্যটনমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বের প্রাচীনতম সভ্যতা হলো ভারত। এই সভ্যতা দেখতে সারা পৃথিবীর মানুষের উচিত আমাদের এখানে আসা। আমাদের ইতিহাস ও দেশকে অবশ্যই আমাদের ভালোবাসতে হবে। আমরা তাদের বলব…এখানে এসে দেখুন, এটি সুন্দর এক দেশ।’

সরকারি কর্মকর্তা থেকে রাজনীতিবিদ হয়ে ওঠা কেরালার ৬৪ বছর বয়সী এই নেতা কয়েক দিন আগে মোদি সরকারের নতুন মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। গত সোমবার তিনি এনডিটিভিকে বলেছিলেন, ক্ষমতাসীন বিজেপি কোনো রাজ্যের জন্য ‘ফুড কোড’ নির্ধারণ করে দেয়নি। বিজেপি শাসিত গোয়ায় মানুষ গরুর মাংস খায়। কেরালাতেও মানুষ গরুর মাংস খাওয়া চালিয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে বিজেপির সত্যিই কোনো সমস্যা নেই।

কিন্তু তাঁর ওই বক্তব্যের মাত্র দুই দিন পরই, বিদেশিদের প্রতি তাঁর এ ধরনের উপদেশ একটি ভিন্ন ইঙ্গিত বহন করে। এ সময় সাংবাদিকেরা তাঁর আগের বক্তব্যের কথা স্মরণ করিয়ে দিলে তিনি চিৎকার করে ওঠেন। বলেন, ‘এটা একটা গাঁজাখুরি গল্প…আমি খাদ্যমন্ত্রী নই…আমি পর্যটন মন্ত্রী।’

সূত্র : প্রথম আলো।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ঘোষণাপত্রে রোহিঙ্গাদের নিয়ে উদ্বেগ, সরে দাঁড়াল ভারত

মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করায় একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশ নিয়েও তার ঘোষণাপত্রের সঙ্গে একমত হতে পারেনি ভারত। রাখাইনে চলমান সহিংসতার বিষয়টিকে ‘অযথার্থ’ আখ্যা দিয়ে ঘোষণাপত্র থেকে নিজেদের সরিয়ে নেয় নয়াদিল্লি।

ভারতের বার্তা সংস্থা পিটিআই জানায়, ইন্দোনেশিয়ায় ‘ওয়ার্ল্ড পার্লামেন্টারি ফোরাম অন সাসটেনেবল ডেভেলপমেন্ট’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে গতকাল বৃহস্পতিবার ‘বালি ঘোষণাপত্র’ গৃহীত হয়। মিয়ানমারের প্রতি সংহতি জানিয়ে লোকসভার স্পিকার সুমিত্রা মহাজনের নেতৃত্বাধীন ভারতীয় সংসদীয় প্রতিনিধিদল ‘বালি ঘোষণাপত্র’ থেকে নিজেদের সরিয়ে নেয়।

পরে এ বিষয়ে লোকসভার সচিবালয় থেকে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, সম্মেলনের ঘোষণাপত্রটি বৈশ্বিকভাবে স্বীকৃত টেকসই উন্নয়ন নীতিমালার সঙ্গে যায় না। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নের বিষয়ে পারস্পরিক ঐক্যে আসাই ছিল এই সম্মেলনের উদ্দেশ্য। কিন্তু প্রস্তাবিত ঘোষণাপত্রে রাখাইনে সহিংসতার বিষয়টির উল্লেখ ঐকমত্যের ভিত্তিতে আসেনি। আর তা অযথার্থ।

ঘোষণাপত্রের একটি অংশে মিয়ানমারের রাখাইনে চলমান সহিংসতা বিষয়ে গভীর উদ্বেগের কথা আছে। এই অংশের ব্যাপারে ভারত আপত্তি জানায়।

ঘোষণাপত্রে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে রাখাইনে স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা পুনঃপ্রতিষ্ঠার আহ্বান জানানো হয়। সহিংসতা বন্ধে সর্বোচ্চ আত্মনিয়ন্ত্রণের কথা বলা হয়। রাখাইনের সব মানুষের মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর আহ্বান জানানো হয়। এ ছাড়া মানবিক সহায়তাকারীদের রাখাইনে প্রবেশ ও নিরাপদে কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি দিতে বলা হয়।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মিয়ানমার সফরে গিয়ে রাখাইনে উগ্রপন্থী সহিংসতার বিরুদ্ধে দেশটির সরকারের অবস্থানের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেন।

গত ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের কয়েকটি তল্লাশিচৌকিতে উগ্রবাদীদের হামলার সূত্র ধরে রাখাইনে দমন অভিযান শুরু করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও পুলিশ। এরপর থেকেই প্রাণভয়ে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের ঢল নামে। পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা সীমান্তের ওপারে সেনাবাহিনীর হত্যা, ধর্ষণ, ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও পরিকল্পিত দমন অভিযানের বিবরণ দিচ্ছে।

সূত্র : প্রথম আলো।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশাশুনিতে খোলপেটুয়ার বেড়িবাঁধ ভেঙে দুই গ্রাম প্লাবিত

আসাদুজ্জামান : সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নে খোলপেটুয়া নদীর বেঁড়িবাঁধ ভেঙ্গে দুই গ্রামের নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে ভেসে গেছে শতাধিক বিঘা মৎস্য ঘের ও ফসলি জমি। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে প্রতাপনগরের হরিশখালি পয়েন্টে খোলপেটুয়া নদীর ২০০ ফুট বেড়িবাঁধ ভেঙে যায়। এতে হরিশখালী ও মাদারবাড়িয়া গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। শুক্রবার সকাল থেকে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে ভাঙনকবলিত বাধ সংস্কারের কাজ শুরু হলেও দুপুরের জোয়ারে তা আবারও তলিয়ে যায়।
প্রতাপনগর ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন হোসেন জানান, দীর্ঘদিন খোলপেটুয়া নদীর বেঁড়িবাধ জরাজীর্ণ ছিল। পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বারবার বললেও তারা কোন পদক্ষেপ নেয়নি। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে নদীর প্রবল জোয়ারের চাপে বাধ ভেঙে যায়। এতে হরিশখালি ও মাদারবাড়িয়া গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ভেসে গেছে শতাধিক বিঘা মৎস্য ঘের ও ফসলি জমি।
তিনি আরও জানান, শুক্রবার সকালে স্থানীয় এলাকাবাসীকে নিয়ে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে বাঁধটি সংস্কার করার কাজ শুরু হলেও দুপুরের জোয়ারে পানির প্রবল স্রোতে তা আবারও তলিয়ে যায়।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডকে ঘটনাটি রাতেই বলা হলেও তারা এখন পর্যন্ত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেননি।
এ ব্যাপরে পানি উন্নয়ন বোর্ড ২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী অপূর্ব ভৌমিকের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশাশুনিতে পুলিশকে মারধর করে আসামি ছিনতাই, ৪ পুলিশ আহত

আসাদুজ্জামান : সাতক্ষীরার আশাশুনিতে পুলিশের কাছ থেকে আসামি ছিনতাই নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। কেউ বলছেন এ ঘটনা প্রতাপনগর ইউপি চেয়ারম্যান পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনাটি ঘটিয়েছেন। কেউ বলছেন আসামি ছিনতাইয়ের নামে নাটক করে পুলিশ তার কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়েছে। অপরদিকে সেই ছিনতাই হওয়া ব্যক্তি বলছেন, চেয়ারম্যানের পরামর্শে পুলিশ আমাকে ফাঁসাতে চেয়েছিল। কিন্তু জনগনের প্রতিরোধের মুখে তা পারেনি।
শুক্রবার সাতক্ষীরার আশাশুনির তালতলা বাজারে ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম বুলিকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার এ ঘটনা ঘটে। এ সময় চার পুলিশ সদস্য আহত হন।
প্রতাপনগর ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন জানান, তার ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য রফিকুল ইসলাম বুলি একজন সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে নাশকতার মামলাসহ বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। আমি নিজেও তার বিরুদ্ধে মামলা করেছি। পুলিশ তাকে আজ আটক করার চেষ্টা করলে তার সন্ত্রাসী বাহিনী পুলিশের ওপর হামলা করে বুলিকে ছিনিয়ে নিয়েছে’। চেয়ারম্যান বলেন বুলির সন্ত্রাসের কারণে গত দুই মাস যাবত আমি নিজে ইউনিয়ন পরিষদে যেতে পারিনা। তার কারণে ১৪ টি ভূমিহীন পরিবার পালিয়ে গেছে। তার কারণে বেশ কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীও বাড়িতে থাকতে পারছেন না। এসব কারণে পুলিশ তাকে ধরতে এসেছিল।

তবে ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম বুলি বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে খোলপেটুয়া নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে যায়। চেয়ারম্যান সেখানে আসেন নি। আমি লোকজন নিয়ে দেড় লাখ টাকা ব্যয় করে বাঁধ সংস্কার করেছি। রাতে আবারও বাঁধটি ভেঙ্গে গেলে দুটি গ্রাম হুমকির মুখে পড়ে। আজ শুক্রবার সকালে এক থেকে দেড় হাজার লোক নিয়ে সেখানে বাঁধ সংস্কার কাজ করছিলাম। এতে ঈর্ষান্বিত হয়ে পড়েন চেয়ারম্যান জাকির হোসেন। তার পরামর্শে এসআই নয়ন চৌধুরী কোনো গ্রেফতারি পরোয়ানা ছাড়াই এসে আমাকে বলেন ‘ ওসি সাহেব আপনাকে ডেকেছেন। থানায় চলুন’। তিনি তাকে সাদা পোশাকে থাকা তিন ব্যক্তিকে দেখিয়ে বলেন তাদের মোটর সাইকেলে উঠুন। বুলি বলেন ‘আমি রাজি হইনি, কারণ তারা আমার পরিচিত নন। তারা আমাকে অপহরন করতে পারে। আমি এসআইয়ের গাড়িতে উঠতে সম্মত হই।’
এ সময় শতশত নারী পুরুষ আমাকে নিয়ে যেতে বাধা দেন। তবে কোনো পুলিশের ওপর তারা হামলা করেনি। রফিকুল ইসলাম বুলি আরও বলেন এ ঘটনার নেপথ্যে রয়েছেন আমার ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন। তিনি বর্তমান সময়ে নানা কারণে হালে পানি পাচ্ছেন না। তিনি আওয়ামী লীগের নেতা, অথচ তার সঙ্গে আওয়ামী লীগের কেউ নেই। ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস পালন অনুষ্ঠানে চেয়ারম্যানের ডাকে হাতে গোনা কিছু লোক গিয়েছিলেন অথচ আমার অনুষ্ঠানে এসেছিলেন কয়েক হাজার মানুষ। এসব কারণে আমার ওপর ক্ষুব্ধ চেয়ারম্যান। বুলি আরও বলেন আমি এক সময় যুবদল করতাম। গত ২০১৬ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি আমি আওয়ামী লীগে যোগদান করি। এর পর থেকে চেয়ারম্যান জাকির আমার প্রতি শত্রুভাবের আচরণ করে আসছেন। তিনি আমার বিরুদ্ধে ২০১৩ সালে একটি নাশকতার মামলা করান। তিনি আরও বলেন চেয়ারম্যানের সাথে আমার শ্রীপুরে একটি মাছের ঘের নিয়ে বিরোধ রয়েছে। এসব কারণে চেয়ারম্যান প্রতিশোধ নিতে পুলিশ দিয়ে আমাকে হয়রানি করার চেষ্টা করেছেন। এর পরপরই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মিছিল করেছে জনগন।

এসআই নয়ন চৌধুরী বলেন, আমরা বুলি মেম্বরকে গ্রেফতারের জন্য যাই। গ্রেফতারের চেষ্টা করতেই হামলা হয় আমাদের ওপর’। স্থানীয় লোকজন বলছেন এসআই নয়ন চৌধুরী কোনো গ্রেফতারি পরোয়ানা দেখাতে পারেন নি। তিনি চেয়ারম্যানের কথা মতো বুলিকে ফাঁসাতে চেয়েছিলেন। অথচ সেই নয়ন চৌধুরী বুলি মেম্বরের কাছ থেকে ভয় দেখিয়ে বেশকিছু টাকা নিয়ে আসামি ছিনতাইয়ের নাটক করেছেন

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিদুল ইসলাম শাহিন বলেন, আমি ঘটনাস্থলে আছি। পুরো বিষয়টি তদন্ত করছি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest