সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরা জজ কোর্টের সাবেক পিপি  লতিফ ও তার ছেলে রাসেল আটকসাংবাদিক মোমিনের সুস্থ্যতা কামনায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের বিবৃতিশ্যামনগরে কোস্ট গার্ডের অভিযানে অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ মাদক জব্দসাতক্ষীরায় ব্যবসার দ্বন্দ্বের জেরে প্রতিপক্ষের ছোঁড়া বিস্ফোরক দ্রব্যে আহত-২সাতক্ষীরায় বাস ইজিবাইক সংঘর্ষে একজনের মৃত্যু : আহত ৭তালায় খাবারের সাথে চেতনা নাশক ঔষধ মিশিয়ে দুর্ধর্ষ চুরিকোটি টাকা চাঁদার দাবিতে অপহরণ করে নির্যাতনের অভিযোগ: সাতক্ষীরার সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা ও পিপিসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলাসমাজকে এগিয়ে নিতে হলে নারীকেও এগিয়ে নিতে হবে- সাতক্ষীরার ডিসিসাতক্ষীরার জুলাই যোদ্ধা মোহিনী অদম্য নারী পুরস্কারে ভূষিতসাতক্ষীরায় প্রতিপক্ষের হামলায় জখম-২

কৃষ্ণনগর শ্রমিকলীগের কমিটিতে জামায়াত-বিএনপির ছড়াছড়ি !

নিজস্ব প্রতিবেদক : জামায়াত, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের সমন্বয়ে কালিগঞ্জের কৃষ্ণনগর শ্রমিকলীগের কমিটি গঠন করার অভিযোগ উঠেছে। শ্রমিকলীগের প্রকৃত কর্মীরা এ কমিটিতে স্থান না পাওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তবে কমিটি গঠন উপলক্ষ্যে কোন প্রকার আলোচনা সভা ছাড়াই নামের তালিকা প্রস্তুত করে স্বাক্ষর করেই এ কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে একাধিক নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন।
এলাকাবাসী জানান, গত ৮ সেপ্টেম্বর কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন শ্রমিকলীগের ৪৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়। উক্ত কমিটিতে দীর্ঘদিনের স্থান পাওয়া অধিকাংশ ব্যক্তিই জামাত, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির নেতাকর্মী। অথচ যারা প্রকৃত বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাস এবং শ্রমিকলীগ ত্যাগী তারা উক্ত কমিটিতে স্থান পাননি।
এলাকাবাসী আরো জানান, উক্ত কমিটির সভাপতি আব্দুল জলিল এলাকার চিহ্নিত ডাকাত হিসাবে পরিচিত। গত ইউপি নির্বাচনে কালিগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান অহেদুজ্জামানের সহযোগিতায় মেম্বর নির্বাচিত হয়েছেন। কিন্তু সে কখনো আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল না। এছাড়া জলিল অহেদুজ্জামানের পোষ্য পুত্র দাবি করে এলাকায় বিভিন্ন ধরনের অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে।
কমিটির সহ-সভাপতি আফছার উদ্দিন মেম্বর জাতীয় পার্টি, সাধারণ সম্পাদক নজরুল মেম্বর বিএনপি, দপ্তর সম্পাদক নুরুল আমিন জাতীয় পার্র্টির সাথে দীর্ঘদিন ধরে জড়িত ছিলেন। সুযোগ বুঝে তারা এখন শ্রমিকলীগের বড় বড় পদ দখল করেছেন। জাতীয় শ্রমিকলীগের মত সংগঠনের এসব জামায়াত বিএনপি নেতাকর্মীদের স্থান দেওয়ার বিষয়ে এলাকাবাসী জেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এবিষয়ে কৃষ্ণনগর শ্রমিকলীগের নব গঠিত কমিটির সভাপতি আব্দুল জলিল এর ব্যবহৃত ০১৭১১০৭৯৪৪৩ নাম্বারে শনিবার সন্ধ্যায় সাড়ে ৬টায় যোগাযোগ করলে তিনি রিসিভ করেননি।
এবিষয়ে কালিগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক শেখ শাহাজালালের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, জলিল মেম্বর ৪ বছর তরুণলীগের সাথে জড়িত ছিলো, তবে নজরুল জাতীয় পার্টি করতো এটা সঠিক। এছাড়া উক্ত কমিটিতে ২/১ জন জামায়াত বিএনপি থাকতে পারে। এটা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। সাধারণ সভা ডেকে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে তাদের বাদ দিয়ে দেওয়া হবে। জলিল মেম্বর ডাকাত ছিলেন এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি কিছুটা নিরব হয়ে বলেন এসব তথ্য কোথা থেকে পেয়েছেন? আমাদের তো জানা নেই।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কলারোয়ায় কলেজ অধ্যক্ষকে পিটিয়ে বের করে দিলেন ইউপি চেয়ারম্যান!

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরার কলারোয়ার বোয়ালিয়া মুক্তিযোদ্ধা কলেজের অধ্যক্ষকে মারপিট করে তার কক্ষ থেকে বের করে দিয়েছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও তার সহযোগীরা। এতে বাধা দিতে গিয়ে মার খেয়েছেন কলেজের পিয়ন শফিকুল ইসলাম। পরে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে আনেন। শনিবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।
কলেজ গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান হিসাবে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. মেসলেমউদ্দিনকে নিয়োগ না করা পর্যন্ত তাকে কলেজে ঢুকতেও বারণ করে দিয়েছেন তারা। কলেজ অধ্যক্ষ মো. ফারুক হোসেন এ অভিযোগ করেন।
তবে কেড়াগাছি ইউপি চেয়ারম্যান আফজালুর রহমান হাবিল বলেন, আমি মারধর করিনি। আমি কলেজে যাবার আগে তাকে মারা হয়েছে। তবে আমি তাকে মুক্তিযোদ্ধা মোসলেম কমান্ডারকে গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান না করা পর্যন্ত কলেজে আসতে না করেছি।
অধ্যক্ষ মো. ফারুক হোসেন বলেন, আমি সকাল সাড়ে ৮ টায় কলেজে গেছি। চেয়ারে বসতে না বসতেই ৭/৮ জন লোক আমার রুমে ঢুকে আমাকে মারপিট করে । তারা আমাকে কিল চড় ঘুষি মারতে মারতে বের করে আনে। আমি মার খেতে খেতে দৌড়ে পালাই। পাশে একটি বাড়িতে ঢুকে আশ্রয় গ্রহণ করি। এ সময় তারা বলেন, মোসলেম কমান্ডারকে চেয়ারম্যান করবি, তবে কলেজে আসবি। অন্যথায় তোর হাড় ভেঙে দেবো। তিনি বলেন, এই হামলার নেতৃত্ব দেন কেড়াগাছি ইউপি চেয়ারম্যান আফজালুর রহমান হাবিল। তার সাথে পরিচিতদের মধ্যে ছিলেন ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম ও মহিলা মেম্বরের স্বামী পাঁচপোতা গ্রামের আবদুল কুদ্দুস। তিনি বলেন, আমার ওপর হামলা হচ্ছে দেখে ছুটে আসে কলেজের পিয়ন শফিকুল ইসলাম। চেয়ারম্যান ও তার সঙ্গীরা তাকেও বেদম মারধর করেছে। তিনি বলেন হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে এসেছি। ইউপি চেয়ারম্যানের ইচ্ছা অনুযায়ী কলেজ গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান না করায় এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটি কলারোয়া থানা পুলিশকে জানালে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে আনে।
এ প্রসঙ্গে ইউপি চেয়ারম্যান আফজালুর রহমান হাবিল বলেন ‘তালা কলারোয়ার সাংসদ অ্যাড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. মোসলেমউদ্দিনকে কলেজ চেয়ারম্যান করতে ডিও লেটার দিয়েছেন। কিন্তু অধ্যক্ষ তা লুকিয়ে রেখে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ভুট্টোলাল গাইনকে চেয়ারম্যান করে এনেছেন। এতেই আমরা ক্ষুব্ধ।’
তবে অধ্যক্ষ মো. ফারুক হোসেন জানান, এবারের গভর্নিং বডি তৈরির কাজ শুরু হয় ৪ মে তারিখে। ১৫ মে তারিখে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক সাংসদ মুনসুর আহমেদ এবারের কমিটিতে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ভুট্টো লাল গাইনকে চেয়ারম্যান করা পক্ষে একটি ডিও লেটার দেন। ভুট্টো লাল গাইন আগের কমিটিরও চেয়ারম্যান ছিলেন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ২৪ জুলাই তারিখে ভুট্টোলাল গাইনকে আবারও চেয়ারম্যান করে কমিটির অনুমোদন দেয়। তিনি জানান এ ঘটনার পর কলারোয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমেদ স্বপন তাকে ডেকে পাঠিয়ে বলেন ‘২ জুলাই তারিখে সংসদ সদস্য অ্যাড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ একটি ডিও লেটার ইস্যু করেছেন। এতে তিনি কলারোয়ার মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. মোসলেমউদ্দিনের নাম উল্লেখ করেছেন। আপনি তাকে চেয়ারম্যান করুন।’ অধ্যক্ষ তাকে বলেন এ প্রক্রিয়া তো শেষ হয়ে গেছে। এখন কোনো ডিও লেটার এমনিতেই লাগে না। তাছাড়া মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোসলেমউদ্দিন গুরুতর অসুস্থ হয়ে শয্যাশায়ী। তাকে চেয়ারম্যান করা হলে তো তিনি একদিনও কলেজে আসতে পারবেন না।
অধ্যক্ষ আরও বলেন বিষয়টি নিয়ে চারদিকে কমবেশি বাদানুবাদ হচ্ছিল। হঠাৎ করেই তারা এসে তাকে মারপিট করে কক্ষ থেকে বের করে দিল। আর বললো, মোসলেম কমান্ডারকে চেয়ারম্যান না করে কলেজে উঠবি না। তিনি বলেন সন্ধ্যার পরও আমাকে উপজেলা চেয়ারম্যান বলেছেন, আমার শ্বশুর মোসলেম কমান্ডারকে কেনো চেয়ারম্যান করলেন না। অধ্যক্ষ তার জবাবে বলেন গভর্নিং বডির ১৪ সদস্যের মধ্যে ১২ জনই ভুট্টো লাল গাইনের পক্ষে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কলারোয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমেদ স্বপন বলেন, অধ্যক্ষ ফারুক সংসদ সদস্যের দেওয়া ডিও লেটার চেপে রেখে ভুট্টোলাল গাইনকে কলেজের চেয়ারম্যান করায় জনগণ ক্ষিপ্ত হয়ে সম্প্রতি প্রতিবাদ সমাবেশ করে। আজ তারা তাকে মারপিট করেছে। তবে চেয়ারম্যান হাবিল ঠেকিয়ে দিয়েছেন।
অন্যদিকে, অধ্যক্ষ ফারুক হোসেন বলেন, হামলায় তার পা ও হাতে গুরুতর জখম হয়েছে। তিনি এর প্রতিকার দাবি করেন এবং কলেজে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সকলের সহায়তা কামনা করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
জেলা তাঁতীলীগের উন্নয়ন শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক : স্রষ্টার এবাদত সৃষ্টির সেবা ও কর্মসেবা প্রগতিকে বুকে ধারণ করে সাতক্ষীরা জেলা তাঁতীলীগ আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের বিজয়ের লক্ষে ও জননেত্রী শেখ হাসিনাকে পুনরায় প্রধানমন্ত্রী করতে তৃণমূল পর্যায়ে উন্নয়ন শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার শহরের তুফান কনভেনশন সেন্টারে জেলা তাঁতীলীগের সভাপতি মীর আজাহার আলী শাহিনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ তাঁতীলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সদস্য শ্রীমতি শিখা রাণী দাস। জেলা তাঁতীলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ তৌহিদ হাসানের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা সহ-সভাপতি শাওকিত হাসান রনি, নাসির উদ্দিন, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক শেখ আজিম হোসেন জেলা তাঁতীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুজ্জামান খান তুহিন, অর্থ সম্পাদক আব্দুল মালেক, কালিগঞ্জ উপজেলা তাঁতীলীগের সভাপতি আমির আলী, দেবহাটা উপজেলার আহবায়ক নাসির উদ্দিন, আশাশুনি উপজেলার আহবায়ক সেলিম রেজা, কলারোয়া উপজেলার আহবায়ক অধ্যক্ষ বেলাল হোসেন আবির, পৌর তাঁতীলীগের সহ-সভাপতি নুর জাহান সাদিয়া, সাধারণ সম্পাদক ক্যাপ্টেন হোসেন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক মাসুদ আলীসহ জেলার ৬টি উপজেলার সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকসহ পৌর ৫ ও ৬নং ওয়ার্ড তাঁতীলীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, সাতক্ষীরা জেলায় মোট ২৪ হাজার তাঁতী পরিবার আছে। এ জেলার এ সকল অবহেলিত তাঁতীদের উন্নত প্রশিক্ষনের মাধ্যমে এই শিল্পকে আরো উন্নত করতে হবে। আর এ কাজটি একমাত্র শেখ হাসিনার মত মেধা সম্পন্ন রাষ্ট্র প্রধান দ্বারা সম্ভব। এজন্য আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক কে আবারও বিজয়ী করে এ শিল্পকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বের মাধ্যমে আরো উৎজীবীত করে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে হবে। আর এ শিল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশ যাতে রাজস্ব আয় বাড়াতে পারে সে লক্ষে তাঁতীলীগকে বেশি বেশি করে কাজ করতে হবে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীককে বিজয়ী করায় তাঁতীলীগের মূল লক্ষ্য। সকল ভেদাভেদ ভুলে আগামী সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক কে বিজয়ী করে শেখ হাসিনার হাতকে আরো শক্তিশালী করতে হবে। তাহলে বাংলাদেশ থেকে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ক্ষুধা দারিদ্র মুক্ত, রাজাকার ও জঙ্গীমুক্ত সোনার বাংলা গড়া সম্ভব হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
অবশেষে রোহিঙ্গা ঢলে দিল্লির উদ্বেগ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতির কারণে সেখান থেকে এই অঞ্চলে বিপুলসংখ্যক শরণার্থীর ঢলে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে ভারত। রাখাইনে সহিংসতা বন্ধ করে দ্রুত স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনার ওপর ভারত জোর দিয়েছে।
ভারতের পররাষ্ট্র্র মন্ত্রণালয় শনিবার মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের চলমান সহিংসতা নিয়ে এই প্রতিক্রিয়া জানায়। রাতে মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রবীশ কুমারের টুইটে এই বিবৃতি প্রচার করা হয়েছে।
রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মুয়াজ্জেম আলী শনিবার ভারতের পররাষ্ট্রসচিব এস জয়শঙ্করের সঙ্গে দেখা করেছেন। রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের অন্তহীন স্রোত বাংলাদেশকে কী দুঃসহ পরিস্থিতির মুখে দাঁড় করিয়েছে, হাইকমিশনার তা জয়শঙ্করকে জানান। বাংলাদেশ চায়, পরিস্থিতি মোকাবিলায় ভারত তাদের পাশে থাকুক।
উদ্বেগ জানিয়ে ভারতের বিবৃতি:
ভারতের পররাষ্ট্র্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতির কারণে সেখান থেকে এই অঞ্চলে বিপুলসংখ্যক শরণার্থীর ঢলে ভারত গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রবীশ কুমার বিবৃতিতে বলেন, ‘আমরা এর আগে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর সন্ত্রাসী হামলার কঠোর নিন্দা জানিয়েছিলাম। দুই দেশ এরই মধ্যে সন্ত্রাসবাদ দমনে তাদের কঠোর অঙ্গীকারের কথা জানিয়েছে এবং কোনো যুক্তিতেই সন্ত্রাসবাদকে প্রশ্রয় দেবে না।’
সম্প্রতি মিয়ানমার সফরের সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য ও নিরপরাধ লোকজনের মৃত্যুতে উদ্বেগ জানিয়েছেন। শান্তি, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, ন্যায়বিচার, মর্যাদা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে তিনি সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর সফরের সময় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে রাখাইন রাজ্যের উন্নয়ন কর্মসূচিতে সহায়তা দেবে ভারত।
রবীশ কুমার বলেন, ‘আমরা সংযতভাবে এবং পরিপক্বতার সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর পাশাপাশি বেসামরিক লোকজনের কল্যাণের বিষয়টিতে গুরুত্ব দিয়ে রাখাইনের পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার আহ্বান জানাই। রাজ্যটিতে সহিংসতা বন্ধ করে দ্রুত স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনা জরুরি।’
ভারতকে পাশে চায় বাংলাদেশ :
রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মুয়াজ্জেম আলী আজ দেখা করেছেন ভারতের পররাষ্ট্রসচিব এস জয়শঙ্করের সঙ্গে। রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের অন্তহীন স্রোত বাংলাদেশকে কী দুঃসহ পরিস্থিতির মুখে দাঁড় করিয়েছে, হাইকমিশনার তা জয়শঙ্করকে জানান। বাংলাদেশ চায়, পরিস্থিতি মোকাবিলায় ভারত তাদের পাশে থাকুক।
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, মুয়াজ্জেম আলীকে জয়শঙ্কর বলেছেন, সাম্প্রতিক এই গোলমালের পর কয়েক হাজার রোহিঙ্গা ভারতেও চলে এসেছে।
রোহিঙ্গাদের যেভাবে রাখাইন রাজ্য থেকে মিয়ানমার পুলিশ ও সামরিক বাহিনী উৎখাত করছে, সে বিষয়ে ভারত এখনো নীরব। সম্প্রতি সেই দেশ সফরের সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই বিষয়ে একটি কথাও বলেননি। উল্টো রোহিঙ্গাদের পক্ষ থেকে যে সন্ত্রাসবাদী আক্রমণ চালানো হয়েছিল, ভারত তার নিন্দা করে মিয়ানমার সরকারের পাশে দাঁড়ায়। বালি ঘোষণাপত্রেও রোহিঙ্গা সমস্যার উল্লেখ থাকায় ভারত তাতে সই করেনি।
বাংলাদেশের আর্থসামাজিক পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গা সমস্যা কী বিপুল প্রভাব ফেলেছে, জয়শঙ্করকে মুয়াজ্জেম আলী তা বোঝান। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে চলা এই সমস্যার সমাধান হওয়া একান্তই জরুরি। আঞ্চলিক স্বার্থেই একটা গ্রহণযোগ্য সমাধান প্রয়োজন।
ভারতে ইতিমধ্যে প্রায় ৪০ হাজার রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে। সরকারি সিদ্ধান্ত, এদের চিহ্নিত করে ফেরত পাঠানো হবে। সরকারের এই উদ্যোগ রুখতে রোহিঙ্গাদের পক্ষে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থে মামলা করা হয়েছে। পাল্টা মামলা করেছেন বিজেপির সাবেক শীর্ষ কর্তা কে এনগোবিন্দ চারিয়া।
রোহিঙ্গাদের সন্ত্রাসবাদী কাজকর্মের বিরুদ্ধে বাংলাদেশও। সে কথা জয়শঙ্করকেও বলা হয়েছে। পাশাপাশি সমস্যার মানবিক দিকটাও তুলে ধরা হয়েছে। বাংলাদেশ চায় পরিস্থিতি মোকাবিলায় ভারত সক্রিয়ভাবে তাদের পাশে থাকুক।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় ভূয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে অর্ধকোটি টাকা লুট

এম. বেলাল হোসাইন : পত্রিকায় আকর্ষণীয় বেতনে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ভূয়া নিয়োগপত্র প্রদান করে একটি চক্র হাতিয়ে নিয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকা। ভুক্তভোগীরা এ ব্যাপারে র‌্যাব ও গোয়েন্দা বিভাগের সহযোগিতা কামনা করেছেন। বেকার এসব নারী পুরুষরা জানান, সাতক্ষীরা থেকে প্রকাশিত দৈনিক দৃষ্টিপাত পত্রিকায় গত ১০ আগস্ট তারিখে একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকার অনুমোদিত আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও দারিদ্র বিমোচনের লক্ষ্যে উপজেলা মা ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্র খুলনা বিভাগের সাতক্ষীরা, যশোর, বাগেরহাট, নড়াইল ও খুলনা জেলার প্রতিটি থানা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে পুষ্টি, মা ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্র, কৃষি, নার্সারী ও বনায়ন, পরিবার পরিকল্পনা ডেনমার্কের আর্থিক ও কারিগরী সহযোগিতায় বাস্তবায়নের লক্ষ্যে উপজেলা মা ও শিশু স্বাস্থ্য কাজ করতে আগ্রহী বাংলাদেশী পুরুষ ও মহিলাদের নিকট দরখাস্ত আহ্বান করা যাচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে থানা ব্যবস্থাপক পদে ১৯ জন (বেতন ১৯ হাজার টাকা মাসে)
অফিস সহকারী পদে ৫২জন (বেতন মাসে ১২ হাজার টাকা), ইউনিয়ন পরিদর্শক পদে ৭৮জন (বেতন ১৪হাজার টাকা), প্রোগ্রাম অফিসার পদে ৩৯জন (বেতন ১২ হাজার ৫০০ টাকা) এবং স্বাস্থ্যকর্মী পদে ১২০ জন (বেতন প্রতিমাসে ১০হাজার ৫০০টাকা) নিয়োগ দেওয়ার কথা উল্লেখ করে ২০আগস্টের মধ্যে ১৬৬, মজিদপুর, সাভার, ঢাকা-১৩৪০ এই ঠিকানায় বিধি মোতাবেক ছবি, শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদের ফটোকপি ও নাগরিক সনদ/ জন্ম নিবন্ধন সনদের ফটোকপি সহ আবেদন করতে বলা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে একটি ফোন নং ও দেওয়া হয়। নাম্বার হলো ০১৮২৯৮৮৬৭৭৯।
আবেদনের সময় উত্তীর্ণ হবার পর ঢাকার সাভারের ওই অফিস থেকে নিজকে রিয়া পরিচয় দিয়ে ০১৭৯০৭৩৩২৪১ নং মোবাইল ফোন থেকে প্রত্যেক আবেদনকারীর কাছে কথা বলে তাদের চাকরি হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন। তিনি আবেদনকারীদের বলেন দু’এক দিনের মধ্যে সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে নিয়োগপত্র পাবেন। নিয়োগপত্র পাবার আগে অফিস খরচ বাবদ ০১৭১৫৯৯০৬০৯ নং মোবাইল ফোনে বিকাশে ৬৫০ টাকা পাঠাতে বলা হয়। চাকরি প্রার্থী প্রত্যেকেই ওই নাম্বারে নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা পাঠিয়ে সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস থেকে নিয়োগপত্র উত্তোলন করেন। নিয়োগ পত্রে ১০সেপ্টেম্বর যোগদানের কথা উল্লেখ থাকলেও কোথায় কোন অফিসে যোগদান করতে হবে তার কোনো উল্লেখ নেই। ৯ সেপ্টেম্বর নিয়োগপত্র নিয়ে প্রার্থীরা মা ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ঠিকানা জানার জন্য সাংবাদিকদের কাছে ফোন করেন। তারা সরকারি মা ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গিয়েও ঠিকানা ম্যানেজ করতে না পেরে ঢাকার সাভারের ওই অফিসের নাম্বারে ফোন করলে বিকাশ নাম্বারটি ছাড়া অন্য দুটি নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়।
এদিকে তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে, সাতক্ষীরা জেলার ৮টি থানা ও ৭৮টি ইউনিয়ন, যশোর জেলার ৮টি উপজেলা ও ৯২টি ইউনিয়ন, বাগেরহাট জেলার ৯টি উপজেলা ও ৭৭টি ইউনিয়ন, নড়াইলের ৩টি উপজেলা ও ৩৭টি ইউনিয়ন এবং খুলনার ৯টি উপজেলা, ৫টি মেট্রোপলিটন থানা, ৩১টি সিটি কর্পোরেশন ওয়ার্ড ও ৭৪টি ইউনিয়ন থেকে ৫টি পদে কয়েক হাজার বেকার ব্যক্তি আবেদন করেন। প্রত্যেক আবেদনকারির নিকট থেকে বিকাশের মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে ৬৫০টাকা করে। সূত্র জানায়, ৩৫৮টি ইউনিয়ন, ৩৬টি উপজেলা ও ৫টি মেট্রোপলিটন থানা থেকে কমপক্ষে ৪হাজার বেকার যুবক আবেদন করে। প্রত্যেকের নিকট নিয়োগপত্র পাঠিয়ে চক্রটি হাতিয়েছে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা। এদিকে ঢাকার সাভারের সেই অফিসে হিসাব বিভাগের ০১৭১৫৯৯০৬০৯নং মোবাইল ফোনে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে কেউ ফোন রিসিভ করেননি। কথিত রিয়া ম্যাডামের ০১৭৯০৭৩৩২৪১ এবং অফিসের ০১৮২৯৮৮৬৭৭৯ নাম্বারের ফোন দুটি বন্ধ পাওয়া যায়। তবে রিয়া ম্যাডামের মোবাইল ফোন শুক্রবার রাত থেকে বন্ধ রয়েছে। এর আগে তার নাম্বারটি খোলা ছিলো বলে জানান ভুক্তভোগীরা।
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডা. তৌহিদুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ধরনের কোনো নিয়োগ সম্পর্কে তার জানা নেই। সাতক্ষীরায় ওই ধরনের কোনো অফিস আছে কি না সেটিও তার জানার বাইরে।
বেসরকারি সংস্থা আরা’র নির্বাহী পরিচালক আবুল কালাম বলেন, পত্রিকায় লোভনীয় বিজ্ঞাপন দিয়ে একটি চক্র এভাবে প্রতারণার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা লুটে নিচ্ছে। এতে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি এব্যাপারে আইন প্রয়োগ সংস্থার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
পাটকেলঘাটায় মাদক সম্রাট ফেন্সি মজিদসহ গ্রেফতার ৪

পাটকেলঘাটা প্রতিনিধি : পাটকেলঘাটার মাদক সম্রাট ফেন্সি মজিদসহ তার প্রধান সহযোগী সুশান্তকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে বিভিন্ন মেয়াদী সাজা ও আরো দু’অপরাধীকে অর্থদ- প্রদান করেছে।
সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ইয়াবা ও গাঁজা (মাদক) বিক্রিকালে শুক্রবার রাতে নিজ বাড়ী থেকে গ্রেফতার হওয়া যুগীপুকুরিয়া গ্রামের আকরম আলী মোড়লের পুত্র আব্দুল মজিদ (৫০) সহযোগী একই গ্রামের ভবেন্দ্রনাথ সরকারের পুত্র সুশান্ত সরকার (৩৮) এছাড়া ধানদিয়া কৃষ্ণনগর গ্রামের সবুর খার পুত্র জসিম খাঁ (২২), মৃত জয়নাল সরদারের পুত্র কালাম সরদার (২০) কে আটক করে পুলিশ।
পরে তাদেরকে তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ হোসেনের আদালতে হাজির করলে বিচারক মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ১৯৯০ এর ১৯ টেবিলের ৭(ক) ধারায় মজিদকে ১ বছর ৩ মাস ও সুশান্তকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদ- প্রদান করেন। এছাড়া মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ২৬ ধারায় জমিস খা ও কালাম সরদারকে ১০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ প্রদান করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশাশুনিতে আসামি ছিনতাইয়ের অভিযোগে বুলিসহ ৫৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা

আসাদুজ্জামান : সাতক্ষীরার আশাশুনিতে পুলিশের হাত থেকে একাধিক মামলার আসামী ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম বুলিকে ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে তাকে প্রধান আসামী করে ৫৪ জনের নামে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। আশাশুনি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নয়ন চৌধুরী বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন।
তবে স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার সকালে রফিকুল ইসলাম বুলির নেতৃত্বে প্রতাপনগর ইউনিয়নের হরিসখালি এলাকায় পাউবো’র ভাঙ্গন কবলিত বেড়িবাঁধ মেরমাতের কাজ করা সময় আশাশুনি থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা করলে ক্ষুব্ধ জনগণ কাজ বন্ধ করে দেয়। গ্রেফতারের কারন জানতে চাইলে অভিযোগ আছে বলে জানান এস আই নয়ন চৌধুরী। এসময় শত শত নারী পুরুষ তাকে গ্রেফতারে বাধা দেয়। এক পর্যায় জনরোসের মুখে পড়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে চলে আসলেও জনগণ বাঁধ মেরমাতের কাজ বন্ধ করে দেয়। এদিকে বাঁধ মেরামতের কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ক্ষুব্ধ জনগণ ফেরার পথে হরিসখালি থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে তালতলা বাজার এলাকায় এসআই নয়ন চৌধুরীসহ তার সঙ্গীয় ফোর্সদের ঘিরে ধরে বাঁধ মেরামতরে ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি জানান। এসময় জনরোষের মুখে এসআই তার হাতে থাকা রিভলবর উচিয়ে ভয় দেখানোর চেষ্টা করলে জনগণের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এসময় হুড়োহুড়ি মধ্যেপড়ে এসআই নয়ন চৌধুরী হাতে সামান্য ব্যাথা পান। এক পর্যায় দারোগা সঙ্গীয় ফোর্সদের নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে চলে আসেন।
তবে উপপরিদর্শক (এসআই) নয়ন চৌধুরী জানান, একাধিক মামলার আসামি রফিকুল ইসলাম বুলিকে গ্রেফতারের জন্য তারা তালতলা বাজারে আসেন। গ্রেফতারের আগেই তাদের ওপর হামলা করে বুলির লোকজন। এতে তিনি নিজে, এএসআই তুহিন, কনস্টেবল জাহাঙ্গির ও কনস্টেবল মুস্তাফিজ আহত হন। এঘটনায় এসআই বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
আশাশুনি থানার ওসি শাহিদুল ইসলাম শাহিন বলেন, সরকারি কাজে বাধা প্রদানের অপরাধে আসামী রফিকুল ইসলাম বুলিকে ৫৪ জনের নাম উল্লেখ করে দুইশ থেকে আড়াইশ জনকে অজ্ঞাত করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
তালা ইসলামকাটিতে সরকারি খাস খালে পানি নিষ্কাশনের পথে বাঁধ ও নেট-পাটা দিয়ে মৎস্য চাষ

নিজস্ব প্রতিবেদক : পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ করে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার চল্লিশা বিলের সরকারি খাস খালে বাঁধ ও নেট-পাটা দিয়ে মৎস্য চাষ করা হচ্ছে। ফলে বর্ষা মৌসুমে পানি নিষ্কাশনে চরম ভাবে বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় এলাকাবাসী সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিলেও তা কোন কাজে আসেনি। পরে ক্ষুদ্ধ এলাকাবাসি খালের বাধ কেটে ও নেটপাটা তুলে দেয়।
স্থানীয় এলাকাবাসির অভিযোগ, পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ করে বাঁধ ও নেট-পাটা দেওয়ায় সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী উচ্ছেদ করে দেয়। পরে ঘের মালিক ভাড়াটিয়া লোকজন এনে তাদের জিম্মি করে আবারও নেট-পাটা দিয়ে মৎস্য চাষ শুরু করেছে। এনিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।
তালা উপজেলার পার্শ্ববর্তী কেশবপুর এলাকার মধু ও মোস্তাক নামে দুই ঘের ব্যবসায়ী এ খালটি গত ছয় মাস ধরে দখল করে নেট-পাটা দিয়েছে। এতে এলাকার পানি নিষ্কাশন বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তালা উপজেলার ইসলামকাটি গ্রামে উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া প্রায় তিন কিলোমিটার এ খালটি। খালটি চল্লিশা বিল থেকে সরাসরি কপোতাক্ষ নদে গিয়ে মিশেছে। বর্ষা মৌসুমে ইসলামকাটি, তালা সদর, কুমিরা ও তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন বিলের পানি এ খাল দিয়ে নিষ্কাশন হয়।
মৎস্য ঘের ব্যবসায়ী মধু জানান, পানি নিষ্কাশনের খাল বন্ধ করা হয়েছে। পানি যে পানি সরানোর সে পানি সরিয়ে বাঁধ ও নেট-পাটা দেওয়া হয়েছে। তবে এলাকার পানি নিষ্কাশনে কোনো ক্ষতি হবে না।
ইসলামকাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অধ্যাপক সুভাষ চন্দ্র সেন জানান, কেশবপুর এলাকার মধু ও মোস্তাক নামে দুই মৎস্য ব্যবসায়ী মানুষের কাছে থেকে জমি লিজ নিয়ে ঘের করছে। তবে পানি নিষ্কাশনের পথে বাঁধ ও নেট-পাটা দেওয়া আমি দেখেছি। এলাকাবাসি ওই বাঁধ ও নেট-পাটা উচ্ছেদ করে দেয়। পরে তারা আবার ওই বাঁধ ও নেট-পাটা দিয়েছে কিনা তার তার জানা নেই। তবে পানি নিষ্কাশনের পথে কোনো বাঁধা থাকতে দিবো না।
তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফরিদ হোসেন জানান, তার দপ্তরে কেউ অভিযোগ দেয়নি। তবে পানি নিষ্কাশনের পথে কোনো বাঁধা থাকতে দেওয়া হবে না। চলতি বছর বর্ষা মৌসুমে কোনো স্থানে জলাবদ্ধতা নেই। শেষের দিকে এসে পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ করে ব্যক্তি স্বার্থে কোনো মৎস্য ঘের করতে দেওয়া হবে না।
সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) আসনের সংসদ সদস্য এ্যাডভোকেট মুস্তফা লূৎফুল্লাহ বলেন, ব্যক্তি স্বার্থে কেউ পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোন প্রকার জলাবদ্ধতার সৃষ্টি করতে তাদের আইনের আওতায় আনার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest