সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরায় প্রকাশ্যে চেতনানাশক স্প্রে করে এক নারীর গহনা ও মোবাইল ছিনতাইসাতক্ষীরায় উপকূলীয় এলাকায় ক্রীড়া উৎসব১২ নভেম্বরকে ‘উপকূল দিবস’ ঘোষণার দাবিসড়ক দুর্ঘটনায় আহত জামায়াতে ইসলামী সাতক্ষীরা জেলা সেক্রেটারিসাতক্ষীরা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির নির্বাচন : জামায়াত সমর্থিত ৫টি পদে বিজয়সাতক্ষীরায় মুক্তিযোদ্ধার সনদ জালিয়াতির অভিযোগে চাকুরিচ্যুত দুই শিক্ষক ভ্রাতা চাকুরি ফিরে পেতে মরিয়াসাতক্ষীরায় অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকদের দ্রুত এমপিওর জন্য মতবিনিময় Master Your Game with These Winning Strategies at Kyngs Casinoসাতক্ষীরার চারটি আসনই ধানের শীষে ভোট দিয়ে বিজয়ী করতে হবে – হাবিবুল ইসলামসাতক্ষীরা সদরের দত্তবাগ টাইগার ক্লাবের নাইট ক্রিকেট টুর্ণামেন্টের উদ্বোধন

ধর্ষক ধর্মগুরুর ডেরায় নরকঙ্কাল!

ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের সিরসায় দুই ভক্তকে ধর্ষণের দায়ে ২০ বছরের কারাদণ্ড পাওয়া ধর্মগুরু গুরমিত রাম রহিম সিংয়ের আস্তানা ডেরা সাচ্চা সৌদায় নরকঙ্কালের সমাধি পাওয়া গেছে।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ডেরার মুখপাত্র ‘সাচ কাহন’ নামের সংবাদপত্রের খবরে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।

রাজ্য সরকার ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের সম্ভাব্য তল্লাশি অভিযান শুরুর আগে সাচ কাহন এমন সংবাদ জানাল। আদালতের একজন কমিশনারের নেতৃত্বে ডেরায় আজ অভিযান শুরু হতে পারে।

ডেরার সংবাদপত্রে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপকদের সিদ্ধান্তের সাফাই গেয়ে বলা হয়েছে, মৃত লোকজনের দেহাবশেষ নদীতে ফেলে পরিবেশ নষ্ট না করতে ভক্তদের উপদেশ দিতেন রাম রহিম। তাঁর কথামতো ভক্তরা ডেরায় কঙ্কাল দান করত। আর সেই কঙ্কালের সমাধি হতো ডেরার ভেতরেই। এর ওপর লাগানো হতো গাছ।

ডেরার সঙ্গে একসময় সম্পৃক্ত থাকা কিছু ব্যক্তির অভিযোগ, যেসব ভক্ত রাম রহিমের কর্মকাণ্ডের বিরোধিতা করেছেন, তিনি তাঁদের হত্যা করেছেন। এরপর তিনি তাঁদের লাশ ৭০ একর ক্যাম্পাসের ভেতর তাঁদের শ্রাদ্ধ করতেন।

১৯৯৯ সালে দুই নারী ভক্তকে ধর্ষণের দায়ে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরোর (সিবিআই) বিশেষ আদালত ২৫ আগস্ট রাম রহিমকে দোষী সাব্যস্ত করেন। তাঁকে ২০ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন। এর পর থেকে তিনি হরিয়ানার রোহতকের সোনারিয়া কারাগারে আছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাদাসিধে কথা: কয়েকটি মন খারাপ করা ঘটনা

০১.
আগস্ট মাসটি মনে হয় সত্যিই বাংলাদেশের জন্য অশুভ একটা মাস। কীভাবে কীভাবে জানি এই মাসটিতে শুধু মন খারাপ করা ঘটনা ঘটতে থাকে। দুঃসময় নিশ্চয়ই এক সময় কেটে যাবে, তার পরও যখন ঠিক এই সময়টির ভেতর দিয়ে যেতে হয় তখন মন খারাপ হয়ে যায়।

শুরু হয়েছে বন্যা দিয়ে। বিস্তীর্ণ এলাকা বন্যার পানিতে ডুবে গেল, মাঠে-ঘাটে পানি, স্কুলে পানি, বাড়ির ভেতর পানি। আমরা যারা পুরো সময়টা শুকনো মাটিতে কাটিয়েছি তারা নিশ্চয়ই কল্পনাও করতে পারি না পানিতে ডুবে যাওয়া এলাকায় দিনরাত চব্বিশ ঘণ্টা সময় কাটাতে কেমন লাগে। নিঃশ্বাস বন্ধ করে বসে আছি কখন বন্যার পানি পুরোপুরি নেমে যাবে, দেশের মানুষ আবার আগের জীবনে ফিরে যাবে।

শুধু যে নদীর পানির ঢলে বন্যা হয়েছে তা নয়, ঢাকা শহরের অনেক জায়গা জলাবদ্ধতার কারণে পানিতে ডুবে আছে। মানুষজন সেই পানি ভেঙে যাতায়াত করছে, ধরেই নিয়েছে এটাই জীবন। এসব জায়গায় যারা থাকে তারা গরিব মানুষ, সাধারণ মানুষ তাই তাদের কণ্ঠস্বর খুব বেশিদূর যেতে পারে না। তারা মেনেই নিয়েছে এভাবেই বেঁচে থাকতে হবে।

প্রতিবছরই বন্যা আসে এবং প্রতিবছরই আমি এক ধরনের বিস্ময় নিয়ে চিন্তা করি, কোনো একটি রহস্যময় কারণে আমাদের বাংলা ভাষায় ‘বন্যা’ শব্দটি কিন্তু নেতিবাচক নয়। যদি এটা নেতিবাচক শব্দ হতো তা হলে আমাদের দেশের বাবা-মায়েরা কিন্তু তাদের মেয়েদের নাম কখনই বন্যা রাখতেন না! কখনো কোনো মানুষের নাম খরা, ভূমিকম্প বা ঘূর্ণিঝড় হতে দেখিনি কিন্তু বন্যা নামটি যথেষ্ট জনপ্রিয় এবং মিষ্টি একটি নাম।

মনে হয়, এই দেশের মানুষ বন্যার পানিতে বেঁচে থাকার পদ্ধতি বহু বছর থেকে জানে। ব্যাপারটি টের পাওয়া গেছে টেক্সাসের বন্যা দেখে। আমাদের দেশের পত্রপত্রিকার সাদা চামড়ার মানুষের জন্য মায়া মনে হয় একটু বেশি তাই দেশে বসে টেক্সাসের বন্যার খুঁটিনাটি আমরা জেনে গেছি! দেশটি যে এ রকম দুর্যোগ সামলাতে পারে না, সেটি খুবই স্পষ্ট।

যে বিষয়টি আমার চোখে আলাদাভাবে পড়েছে সেটি হচ্ছে বন্যাকালীন কারফিউ। সেই দেশে বন্যার পানিতে ঘরবাড়ি ছেড়ে যাওয়ার পর মানুষজন বাড়িঘর লুট করতে শুরু করল এবং সেটা বন্ধ করার জন্য কারফিউ জারি করতে হলো! বন্যার সময় আমাদের দেশে হাজারো রকমের সমস্যা হয় কিন্তু বাড়িঘর রক্ষা করার জন্য কারফিউ দিতে হয় সেটি কখনো শুনিনি!

আমেরিকার জন্য এটি অবশ্য নতুন কিছু নয় একবার নিউইয়র্ক শহরে কয়েক ঘণ্টার জন্য ব্ল্যাক আউট হয়েছিল, তখন পুরো শহর লুটপাট হয়ে গিয়েছিল। আমাদের দেশে ব্ল্যাক আউট নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা, ভাগ্যিস আমরা এখনো আমেরিকান কায়দা-কানুনে দিন কাটানো শিখিনি।

০২.
আগস্ট মাসের মন খারাপ করা বড় ঘটনাটি সবাই জানে। রূপা নামের এক কলেজছাত্রীকে বাসের ভেতর ড্রাইভার, কন্ডাক্টর, হেল্পার সবাই মিলে গণধর্ষণ করে এক ধরনের পৈশাচিক নিষ্ঠুরতায় হত্যা করেছে। প্রথম যেদিন খবরটি পত্রিকায় বের হয়েছে, আমি দেখেও না দেখার ভান করে চোখ সরিয়ে নিয়েছি।

আমি দুর্বল প্রকৃতির মানুষ, এ ধরনের খবরগুলো আমি সহ্য করতে পারি না, তাই সেগুলো থেকে চোখ সরিয়ে নিয়ে নিজেকে রক্ষা করতে চাই। কিন্তু মানুষ উটপাখি নয় যে, বালির ভেতর মুখ গুঁজে রাখলেই পৃথিবীর সব নিষ্ঠুরতা থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারবে তাই ধীরে ধীরে আমাকেও রূপা নামের এই অল্পবয়সী কলেজছাত্রীর ঘটনাটি জানতে হয়েছে।

ঘটনাটি জেনেছি কিন্তু যারা ঘটনাটি ঘটিয়েছে তারা কেমন করে এ ধরনের একটি ঘটনা ঘটাতে পারে সেই বিষয়টি কোনোভাবেই বুঝতে পারি না। বিচ্ছিন্নভাবে একজন বা দুজন মানুষ যারা বিকৃত এক ধরনের মানসিকতা নিয়ে মানসিক রোগী হিসেবে বড় হয়েছে তারা কোনো ধরনের অপরাধবোধ ছাড়াই এ রকম ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটাতে পারে কিংবা ঘটিয়ে আনন্দ পায় সেটা আমরা জানি।

কিন্তু একেবারেই পারিবারিক কয়েকজন মানুষ মিলে এ ধরনের নিষ্ঠুরতা করতে পারে সেটা আমি কিছুতেই বুঝতে পারি না। তবে কি আমাদের মেনে নিতে হবে এ রকম ঘটনা সব সময়ই ঘটছে এবং যারা ঘটাচ্ছে তারা বেশিরভাগ সময়ই পার পেয়ে যাচ্ছে। তাই সমাজের একশ্রেণির মানুষ এটাকে খুবই সহজ-স্বাভাবিক ঘটনা হিসেবে মেনে নিয়েছে?

আমরা শুধু একটি-দুটি ঘটনার কথা জানি, তাই সমাজের আসল ছবিটি আমাদের চোখের আড়ালে রয়ে গেছে! যেগুলোর কথা পত্রপত্রিকায় আসে সেগুলোরও কি বিচার হয়? অপরাধী শাস্তি পায়? এ দেশের অনেক বড় আলোড়িত ঘটনা হচ্ছে তনু হত্যাকাণ্ড ক্যান্টনমেন্টের ভেতরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল বলে কী তনুর হত্যাকারীর বিচার হয়নি? হবে না?

আমাদের ডিকশনারিতে গণধর্ষণ শব্দটি ছিল না (কী কুৎসিত একটি শব্দ, লিখতে গিয়ে কলম সরতে চায় না)। আমরা শুধু পাকিস্তানে এই  ঘটনা ঘটার খবর পেতাম এবং শুনে হতবাক হয়ে যেতাম। কীভাবে কীভাবে জানি এই ঘটনাটি বাংলাদেশেও ঘটতে শুরু করেছে। এখন এটি একটি নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

দিল্লিতে একটা বাসের ভেতরে এক মেয়েকে এভাবে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছিল, ঠিক তার পরপরই আমাদের দেশের বাসে এ ধরনের ঘটনা ঘটতে শুরু করল। নৃশংসতা কি অনুকরণ করতে হয়? এটা কি একটা শেখার বিষয়? মনোবিজ্ঞানীরা কি এটা নিয়ে গবেষণা করে বিষয়গুলো আমাদের বোঝাতে পারবেন?

আজকাল খবরের কাগজগুলো খোলা যায় না। মনে হয় পুরো খবরের কাগজটাই বুঝি ধর্ষণের খবর দিয়ে বোঝাই। ছাত্রলীগ কিংবা যুবলীগের নেতাদের ধর্ষণ, নানার নাতনিকে ধর্ষণ, ঈদের দিনে আনন্দোৎসবে ধর্ষণ, বান্ধবীকে ধর্ষণ, স্বামীকে বেঁধে রেখে গৃহবধূকে ধর্ষণ, কমবয়সী শিশুকে ধর্ষণ শুধু খবরের শিরোনাম পড়েই একজন মানুষ অসুস্থ হয়ে যাবে।

আমি মনোবিজ্ঞান বা সমাজবিজ্ঞানের মানুষ নই, তাই বিচ্ছিন্ন একজন মানুষ বা একটি সমাজ কীভাবে অন্যায় করে কিংবা অন্যায়কে প্রতিহত করে সেটা জানি না। কিন্তু কিছু বিষয় সব সময়ই আমাকে বিভ্রান্ত করে এসেছে। আমি একবার এক মসজিদে ঈদের নামাজ পড়তে গিয়েছি, নামাজ শেষে ইমাম দোয়া করতে করতে এক সময় বললেন, যারা এই দোয়ায় শামিল হয়েছে তাদের সবার ‘গোনাহ’ যেন ‘সওয়াবে’ পরিণত করে দেওয়া হয়।

আমি রীতিমতো চমকে উঠলাম, কারণ সত্যিই যদি একদিন শুধু দোয়া করে জীবনের সব পাপকে পুণ্যে পাল্টে দেওয়া যায় তাহলে সেটা কী মানুষকে অন্যায় করতে প্রলুব্ধ করবে না? সারাজীবন খুন, জখম, চুরিচামারি, অত্যাচার, অনাচার, ধর্ষণ করে জীবনের শেষপ্রান্তে কোনো একটা প্রক্রিয়ায় যদি তার সব পাপকে পুণ্যে পরিণত করে ফেলা যায় সেটি নিশ্চয়ই অনেক পুণ্য লাভের সবচেয়ে শর্টকাট পদ্ধতি।

ধর্মের এই ব্যাখ্যা সমাজের কত গভীরে, কত ব্যাপকভাবে প্রবেশ করেছে আমি জানি না। সেটি এই দেশের মানুষের চিন্তাভাবনার জগৎকে কীভাবে প্রভাবিত করেছে সে সম্পর্কেও আমার কোনো ধারণা নেই। (আমি অবশ্য পারিবারিকভাবে ধর্মের অনেক সুন্দর এবং মানবিক একটা ব্যাখ্যা শুনে বড় হয়েছি। আমি জেনে এসেছি প্রত্যেকটা মানুষের ওপর খোদার একটা হক আছে এবং মানুষেরও একটা হক আছে। খোদার হক পালন না করলে, খোদার কাছে কান্নাকাটি করে মাফ চাইলে খোদা চাইলে মাফ করে দিতেও পারেন। কিন্তু মানুষের হক পালন না করলে সেই মানুষটি যতক্ষণ পর্যন্ত মাফ না করবে ততক্ষণ কোনো মুক্তি নেই! ধর্মের এই ব্যাখ্যায় সারাজীবন পাপ করে শেষ বয়সে সব পাপকে পুণ্যে পাল্টে দেওয়া কিংবা পাপকে মুছে দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই!)

যারা রূপা মেয়েটির ওপর এই নৃশংস অত্যাচার করেছে তাদের সবাইকে ধরা হয়েছে। মানুষগুলোর বাবা-মাও তীব্র অপরাধবোধে ভুগছেন, বলেছেন তাদের সত্যিকারের শাস্তি হওয়া উচিত। তাদের কী শাস্তি হবে আমরা জানি না, আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে বের হয়ে যাবে কিনা সেটাও আমরা জানি না।

ছাত্রলীগের ছেলেরা প্রকাশ্যে টেলিভিশন ক্যামেরার সামনে বিশ্বজিৎকে কুপিয়ে হত্যা করেছে, তার পরও যারা ধরা পড়েছে তাদের ফাঁসির আদেশ মওকুফ হয়ে গেছে। কয়েক বছরের ভেতরেই তারা নিশ্চয়ই আরও বড় নেতা হিসেবে বের হয়ে আসবে!

কাজেই রূপার হত্যাকারী এই মানুষগুলোর ভবিষ্যৎ কী আমরা জানি না, জেলহাজতে বসে বসে তারা কী ভাবে, তাদের বিবেক দংশন করে কিনা কিংবা কোনোরকম অপরাধবোধে ভোগে কিনা সে সম্পর্কে আমি কিছু জানি না, কিছু অনুমানও করতে পারি না।

কিন্তু মৃত্যুর আগ মুহূর্তে রূপার মনে কী ভাবনা কাজ করেছিল, সেটি আমরা কল্পনা করতে পারি। কমবয়সী এই মেয়েটির বুকের ভেতর নিশ্চয়ই ছিল গভীর হতাশা এবং এই বিশাল পৃথিবীর ওপর তীব্র অভিমান। এই দেশ, এই রাষ্ট্রযন্ত্র, এই সমাজ কোনো কিছু তাকে রক্ষা করতে পারল না কী ভয়ঙ্কর একটি কষ্ট আর যন্ত্রণা নিয়ে তাকে পৃথিবী থেকে বিদায় নিতে হলো। আমি সেই কষ্টের কথা কল্পনাও করতে পারি না।

০৩.
আগস্ট মাসের আরও একটি মন খারাপ করা ঘটনা হচ্ছে আমাদের পাশের দেশ মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর অত্যাচার। রোহিঙ্গা চরমপন্থিরা পুলিশ-মিলিটারি ক্যাম্প আক্রমণ করার পর তার প্রতিশোধ নেওয়া হচ্ছে সাধারণ রোহিঙ্গা মানুষদের ওপর। বাংলাদেশে পাঁচ লাখের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী হিসেবে এক দশকের বেশি সময় ধরে বসবাস করছে।

গত কয়েকদিনে রোহিঙ্গাদের ওপর রীতিমতো গণহত্যা শুরু হওয়ার পর প্রায় দেড় লাখ রোহিঙ্গা প্রাণ বাঁচানোর জন্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে ছুটে এসেছে। এটি অনেক বড় একটি ঘটনা, সারা পৃথিবীতে এটা নিয়ে তোলপাড় হচ্ছে। আমরা জানি এসব নিয়ে তোলপাড় হয় কিন্তু শেষ পর্যন্ত কিছু হয় না।

রোহিঙ্গাদের নিয়েও হইচই হবে কিন্তু শেষ পর্যন্ত কেউ আর দায়িত্ব নেবে না, এই অসহায় মানুষগুলোকে অসহায়ভাবে এ দেশে মানবেতর জীবন কাটাতে হবে। একাত্তরের পর বিহারিরা পাকিস্তানের নাগরিক হিসেবে কত যুগ জেনেভা ক্যাম্পে কাটিয়ে দিয়েছে মনে আছে?

এই রোহিঙ্গাদের মৃত্যু উপত্যকায় ফিরিয়ে না দিয়ে মানবিক কারণে বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়া হচ্ছে দেখে আমি একটুখানি শান্তি পাচ্ছি। আমি কিছুতেই ১৯৭১-এর ঘটনা ভুলতে পারি না, এ দেশের প্রায় এক কোটি মানুষ শরণার্থী হিসেবে ভারতে আশ্রয় নিয়েছিল, যদি ভারতবর্ষ তখন আমাদের আশ্রয় না দিত তা হলে আমাদের কী হতো? ১৯৭১ সালে আগরতলার মোট জনসংখ্যা থেকে বাংলাদেশের শরণার্থীর সংখ্যা বেশি ছিল।

সেই কৃতজ্ঞতাবোধ থেকে মৃত্যুভয়ে কাতর অসহায় মানুষদের একটুখানি আশ্রয় দেওয়া অনেকখানি বড় কাজ। মানুষ হিসেবে অন্য মানুষদের জন্য সেটা যদি না করি তা হলে কেমন করে হবে?

যে নোবেল কমিটি মিয়ানমারের জননেত্রী অং সান সু চি’কে শান্তির জন্য নোবেল পুরস্কার দিয়েছিল এখন তারা মাথা চাপড়াচ্ছেন কিনা সেটি আমার খুব জানতে ইচ্ছা করে।

লেখক : অধ্যাপক, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
অস্ত্র ডাকাতিসহ একাধিক সহিংসতা মামলার আসামি মোসলেমকে আটক করেছে সদর পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরা সদর থানার অভিযানে অস্ত্র, বিষ্ফোরকদ্রব্যসহ একাধিক সহিংসতা মামলার আসামী মোসলেম আলী শেখ (৫৫) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সে উপজেলার বকচরা গ্রামের মৃত চান শেখের ছেলে। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মারুফ আহম্মদ সাংবাদিকদের জানান, একাধিক সহিংসতা মামলার আসামি মোসলেম আলী শেখকে বৃহষ্পতিবার রাত ৮টায় গ্রেফতার করা হয়েছে। তার নামে একাধিক ডাকাতি, সহিংসতাসহ অস্ত্র, বিষ্ফোরকদ্রব্যে মামলাও রয়েছে এছাড়া সে যশোর ও বাঁগআচড়া থানার বিভিন্ন মামলার আসামি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাকিবের বিরুদ্ধে বল টেম্পারিংয়ের অভিযোগ!

সাকিব আল হাসানের বিপক্ষে বল টেম্পারিংয়ে অভিযোগ আনা হয়েছে। বিদেশি বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করছে। ফক্স স্পোর্টস, টেলিগ্রাফসহ অস্ট্রেলিয়ার বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ মাধ্যম সাকিবের বিপক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আইসিসির দৃষ্টি আকর্ষণও করেছে। এমনকি বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের আচরণ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে গণমাধ্যমগুলো।

গতকাল বুধবার চট্টগ্রাম টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংসের ৮১তম ওভারে নতুন বল পায় বাংলাদেশ। নতুন বল শক্ত ও মসৃন থাকায় টার্নের জন্য বলটা মাটিতে ঘষে নেন সাকিব। আম্পায়ার নাইজেল লংয়ের ঠিক পেছনেই এমনটি করেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।

বল টেম্পারিং আইনে বলা আছে, কোনো অবস্থাতেই বলের স্বাভাবিক অবস্থা বিকৃত করা যাবে না। ক্রিকেট আইনের ৪২ নম্বর অনুচ্ছেদের ৩ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, বল মাটিতে ঘষা, কিংবা বলের উজ্জ্বলতা নষ্ট করলে সেটা টেম্পারিংয়ের আওতাভুক্ত হবে।

বল টেম্পারিংয়ের সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, ‘বলের স্বাভাবিকতা বজায় রাখতে কৃত্রিম কিছু যেমন থুতু বা ঘাম ব্যবহার করা যাবে। বলে কাদা লাগলে বা ভিজে গেলে সেটা শুকনো কাপড় দিয়ে মোছা যাবে। এর বাইরে কোনো কিছু করাই হবে বল টেম্পারিং। নখ দিয়ে খোঁচা দেওয়া বা আচড় দেওয়া, বলে কামড় দেওয়া, পায়ের বুটের সুচালো অংশ দিয়ে আঘাত করা, প্যান্টের জিপারের সাহায্যে বলে দাগ কাটনোর চেষ্টা, ভ্যাসলিন, ক্রিম, কৃত্রিম লালা ব্যবহার করা যাবে না। এমনটা হলে সেটা বল টেম্পারিং বলে গণ্য হবে। মাটিতে সাকিবের বল ঘষার বিষয়টি অবশ্য আম্পারের নজর এড়িয়ে যায়।

অভিযোগ প্রমাণিত হলে কড়া শাস্তির মুখে পড়তে পারেন এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। হতে পারে জরিমানা, নিষিদ্ধ হতে পারেন ম্যাচও। অবশ্য এ বিষয়ে ম্যাচ রেফারি এখনো কোন ব্যাখা দেননি। আইসিসিও এ বিষয়ে কিছুই জানায়নি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
জামায়াতের শীর্ষ নেতা ফিংড়ীর মাও. হাবিবের সহযোগী দুর্ধর্ষ ক্যাডার ওহাব আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশের অভিযানে ছাত্রলীগ নেতা মামুন হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলার আসামি জেলা জামায়াতের শীর্ষ নেতা ফিংড়ীর মাও. হাবিবুর রহমানের একান্ত সহযোগী দুর্ধর্ষ জামায়াত ক্যাডার মাও. আব্দুল ওহাব বিশ্বাসকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সে সদরের ফিংড়ী ইউনিয়নের বালিথা এলাকার মৃত মাও. মুছা বিশ্বাসের ছেলে ও জামায়াতের রোকন।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মারুফ আহম্মদ জানান, সদর থানার অভিযানে বৃহষ্পতিবার সন্ধ্যায় ফিংড়ি ইউনিয়ন জামায়াতের রোকন আব্দুল ওহাব বিশ্বাসকে বালিথা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি আরো জানান, ওহাব বিগত ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী সময়ে বালিথা-এল্লাচর রাস্তায় গাছ ফেলে ও রাস্তা কেটে প্রতিবন্ধকতাসহ বিভিন্ন ধরনের সহিংসতার সাথে জড়িত, সে জামায়াত কর্মীদের সংগঠিত করে বালিথাসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে সহিংসতার সময় নেতৃত্ব দিতো। সে জেলা জামায়াতের শীর্ষ নেতা মাও. হাবিবুর রহমানের একান্ত সহযোগী।
এদিকে, দুর্ধর্ষ এই জামাত ক্যাডার ওহাবকে এতদিন ধরে ফিংড়ী আওয়ামীলীগেরই একটি প্রভাবশালী অংশ শেল্টার দিয়ে আসছিল। ইউনিয়ন আ ’লীগের একজন নেতা যিনি একই সাথে জনপ্রতিনিধি, তিনি ওহাবকে পুলিশের হাত থেকে ছাড়াতে আদাজল খেয়ে চেষ্টা চালান। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পুলিশ এই দুর্ধর্ষ নাশকতাকারী জামাত ক্যাডার ওহাবকে আটক করায় ২০১৩ সালের সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত আ ’লীগ নেতাকর্মীরা পুলিশকে সাধুবাদ জানিয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আয়লান কুর্দি থেকে রোহিঙ্গা শিশু, নাফ নদীতে ভাসছে মানবতা

ন্যাশনাল ডেস্ক : ২০১৫ সালের এক বিকেল। ভূমধ্যসাগরের তুরস্কের উপকূলে ভেসে আসে এক শিশুর মৃতদেহ। জানা যায় শিশুটির নাম আয়লান কুর্দি। যুদ্ধকবলিত সিরিয়া থেকে নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে ইউরোপের পথে পরিবারসহ যাচ্ছিল শিশুটি। পথে নৌকা ডুবে সলিলসমাধি ঘটে শিশুটির।

এরপর সৈকতের বালুতে মুখ থুবড়ে পড়ে থাকা আয়লান হয়ে ওঠে বিশ্বমিডিয়ার চাঞ্চল্যকর খবর। ইউরোপ শরণার্থী হিসেবে গ্রহণ করতে থাকে সিরিয়া সংকটে পড়া হাজারো মানুষকে।

ভূমধ্যসাগরের ভেসে যাওয়া এক আয়লান কুর্দির সৈকতে ভেসে উপড়ে পড়ার নিথর দেহের ছবিটি যেন বিশ্ববাসীকে ইঙ্গিত দিয়ে জানান দিয়েছিল, মানবতা যেন সাগরতীরেই ভাসছে।

সম্প্রতি মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নিপীড়নে প্রাণভয়ে একই কায়দায় নৌকায় চেপে সাগর ও নদী পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে আসছে রাখাইনের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী। পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। তবে জলপথের ঝুঁকির এ যাত্রায় প্রতিনিয়ত নৌকাডুবির ঘটনায় সাগরতীরে ভেসে আসছে একের পর এক রোহিঙ্গা শিশুর লাশ। গত কদিনে দেখা মিলেছে অন্তত ত্রিশের বেশি বেওয়ারিশ রোহিঙ্গা শিশুর লাশ। সবার প্রাণ গেছে নৌকাডুবিতে। এসব ফুটফুটে চেহারার নিষ্পাপ শিশুর অপ্রত্যাশিত মৃতদেহ যেন স্থবির করে দেয় গোটা পৃথিবীকে।

মিয়ানমারে সহিংসতায় এ পর্যন্ত অন্তত বিশের বেশি নৌকাডুবির খবর পাওয়া গেছে। সবচেয়ে মর্মান্তিক দৃশ্যের অবতারণা হয়েছে গত ৩০ আগস্ট রাত ১২টার দিকে শাহপরীর দ্বীপের পাশে নৌকাডুবিতে ১৯ রোহিঙ্গা নারী-শিশুর লাশের মিছিলে। সেদিন গভীর রাতে সাগরের ঢেউয়ে ভেসে আসে ১০ শিশুর মৃতদেহ। একেবারে কোলের শিশু থেকে সাত-আট বছর বয়সী শিশুর মৃতদেহও ভেসে এসেছিল সেদিন।

এর পরও থামেনি সেই মৃত্যুর মিছিল। রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ আসা থামেনি, নৌকাডুবিও ঘটছে নিয়মিত। প্রতিটি ভোরেই নাফ নদ অথবা সৈকতে মিলছে কোনো না কোনো রোহিঙ্গা শিশুর মৃতদেহ। প্রতিটি শিশুর লাশের দৃশ্যে যেন পুরো দুনিয়ার আকাশ-বাতাস ভারী করে তুলছে।

একের পর এক রোহিঙ্গা শিশুদের ভেসে আসা মৃতদেহ দেখে যে কারো হৃদয় কেঁপে উঠবে। নাফ নদীর এ পারের মানুষগুলোর সঙ্গে রোহিঙ্গা শিশুরা অপরিচিত, অনাত্মীয়। তবু এই রোহিঙ্গা শিশুর লাশ দেখে এপারের বহু মানুষের চোখের জল গড়িয়ে মিশেছে সাগরজলে।

রাষ্ট্রহীন, পরিচয়হীন রোহিঙ্গা বলেই বিশ্ববাসীর কাছে মূল্যহীন এই শিশুরা! শত শিশু সাগরে ডুবে মরছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
‘বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীন করেছেন বলেই প্রধান বিচারপতি হতে পেরেছি’

ন্যাশনাল ডেস্ক : বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ স্বাধীন করেছিলেন বলেই নিজে প্রধান বিচারপতি হতে পেরেছেন বলে মন্তব্য করেছেন সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীন না করলে দেশের কে কী হতে পারতেন জানি না, তবে আমি প্রধান বিচারপতি হতে পেরেছি। তিনি দেশ স্বাধীন না করলে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত অভাবনীয় উন্নয়নও হতো না।’
বৃহস্পতিবার দুপুরে পৌর মৌলভীবাজার জনমিলন কেন্দ্রে জেলা বারের পাঁচতলা ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা এসব কথা বলেন।
দেশের প্রথাগত বিচার ব্যবস্থার সংস্কারের ওপর গুরুত্বারোপ করে অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন দেশের আইনে পরিবর্তন আসছে। গ্লোবালাইজেশনের ফলে মেধার বিকাশ ঘটছে। এ পরিস্থিতিতে সাইবার আইনসহ বিভিন্ন আইনের সংস্কার ও উন্নয়নে গুরুত্ব দেওয়া জরুরি।’
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা তার পেশাগত জীবন শুরু করেছিলেন মৌলভীবাজারে। সেই মৌলভীবাজারের জেলা বারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করার দিনটিকে নিজের জীবনের স্মরণীয় একটি দিন হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।
এসময় আইনজীবীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘মৌলভীবাজারসহ দেশের সব জেলার আইনজীবীদের মেধার বিকাশ ঘটাতে আরও বেশি পড়ালেখা করতে হবে। আইনের শাসন নিশ্চিত করতে আইনজীবীদের ভূমিকা রয়েছে।’
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘দেশের সব আদালতে ঝুলে থাকা ৩০ লাখ মামলার নিষ্পত্তিতে আইনজীবীদের সহযোগিতা জরুরি। সরকারি সম্পদ রক্ষায় সরকারি প্রসিকিউটরদের আরও সচেতন হতে হবে। আদালতের কার্যক্রম গতিশীল করতে বিচারক ও আইনজীবীদের মধ্যে পারস্পারিক সমন্বয়ে গুরুত্ব দিতে হবে।’ কোনও কারণে বিচার বিভাগ ও আইনজীবীদের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব হলে আদালত বর্জন না করে তার শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দেন প্রধান বিচারপতি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প

দেশের বিভিন্ন স্থানে মৃদ ভুমিকম্প অনুভূত হয়েছে। জামালপুর ও শেরপুরে বেশি অনূভূতি হয়েছে।

জানা যায়, ভারতের মেঘালয়ে এই ভুমিকম্পের উৎপত্তিস্থল। এর মাত্রা ছিল ৭.৪। তবে দেশের উত্তরাঞ্চলে কিছু ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবণা রয়েছে। ভারত থেকে জামালপুর ও শেরপুর কাছে হওয়ায় এই দুই জেলায় বেশি ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

ভূমিকম্প টের পেয়ে অনেকে ঘর থেকে বের হয়ে আসে। তবে এতে কোনো হতাহত হয়েছে কিনা তা জানা যায়নি।

তবে এই ভূমিকম্পে ভরতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest