সর্বশেষ সংবাদ-

চিনি নয়, এ যেন সাদা মৃত্যু!

চিনির স্বাদ মিষ্টি হলেও এটি শরীরের জন্য এক প্রকার বিষ বলা চলে। চিনি জাতীয় কোন খাবার গ্রহণ করার সাথে সাথে আমাদের শরীরের বেটা এন্ডরফিন নামের একটি উপাদানের গতি আরও দ্রুততর হয়।

এটি সরাসরি মস্তিষ্কে পৌঁছে বলে আমাদের শরীরেও প্রশান্তি বয়ে যায়। কিন্তু এই চিনি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য কতটা ক্ষতিকর আসুন জেনে নেয়া যাক-

১) পেশীর প্রোটিনে আক্রমণ করে: অতিরিক্ত চিনি খেলে শরীরে গ্লুকোজ-৬ ফসফেট এর পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। এতে করে পেশীর প্রোটিনে পরিবর্তন আসে। এতে করে হার্ট দুর্বল হয়ে যায় এবং হার্ট অ্যাটাকের কারণ হয়ে দাড়ায়।

২) বয়স বৃদ্ধি করে: ২০০৯ সালের একটি জরিপ থেকে জানা যায়, চিনি খাওয়ার ফলে টিস্যু এবং মস্তিষ্কের বয়স বৃদ্ধি পায়।

৩) লিভারের সর্বনাশ করে: মাত্রাতিরিক্ত চিনি খাওয়া অভ্যাস লিভারকে অতিরিক্ত কাজ করতে বাধ্য করে। বলাই বাহুল্য যে অতিরিক্ত কাজের ফলে লিভারের ফাংশনে জটিলতা তৈরি হয়। এতে লিভারের কার্যক্ষমতা নষ্ট পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে।

৪) প্যানক্রিয়েটিক ক্যান্সারের জন্য দায়ী: মাত্রাতিরিক্ত চিনি গ্রহণ করলে তার ফলে প্যানক্রিয়েটিক ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

৫) ইনসুলিন হরমোনের কার্যকারিতা নষ্ট করে: খাবারকে দেহের ব্যবহারযোগ্য এনার্জিতে রূপান্তর করতে সহায়তা করে ইনসুলিন হরমোন। অতিরিক্ত চিনি খাওয়া দেহে এই হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে। দেহে ইনসুলিনের মাত্রা কমে বা বেড়ে গেলে মারাত্মক সব শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।

৬) বাতের ব্যথা বাড়ায়: চিনিতে আছে ইউরিক অ্যাসিড, যা যে কোন ধরণের বাতের ব্যথার সমস্যা বৃদ্ধি করতে ভূমিকা রাখে। বিশেষ করে গেটে বাতের জন্য চিনি এক সর্বনাশের নাম।

৭) কিডনির রোগ বাড়ায়: অতিরিক্ত চিনি, বিশেষ করে কোমল পানীয়ের সাথে গ্রহণ করা বাড়তি চিনি কিডনির রোগের জন্য দায়ী। -সূত্রঃ টাইম্‌স ফুড।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ধূমপান করলে চিরতরে দৃষ্টিশক্তি হারাবে!

ধূমপান স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। জানেন সকলেই। কিন্তু, সুখটানের আকর্ষণ এড়াতে পারেন না অনেকেই। তবে এবার বোধহয় সাবধান হয়ে যাওয়াই ভাল। এইমসের চিকিৎসকরা জানিয়েছে, ক্যানসারই নয়, দীর্ঘদিন ধরে বিড়ি, সিগারেট খেলে চিরতরে দৃষ্টিশক্তি হারাতে হতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে চিকিৎসা করেও দৃষ্টিশক্তি আর ফেরানো যায় না। এ খবর প্রকাশ করেছি ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সংবাদ প্রতিদিন।

সাধারণভাবে স্কুল বা কলেজে পড়ানোর সময়ে নেহাতই কৌতুহলবশে কিংবা বন্ধুদের পাল্লার পড়ে ধূমপান করা শুরু করেন বেশিরভাগ যুবক-যুবতী। পরবর্তীকালে নেশার কবলে পড়ে যান তাঁরা। চেষ্টা করেও ধূমপানের নেশা আর ছাড়তে পারেন না অনেকেই। কিন্তু, নেশা যতই থাকুক না কেন, শরীরের কথা চিন্তা করে ধূমপান যে বর্জন করা উচিত, সেকথা ফের একবার স্মরণ করিয়ে দিলেন দিল্লির এইমস হাসপাতালের চিকিৎসকরা।

চিকিৎসকরা বলছেন, গবেষণায় দেখা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে যাঁরা বিড়ি, সিগারেট খান বা তামাক জাতীয় দ্রব্যের নেশা করেন, তাঁদের চোখে ছানি পড়ার আশঙ্কা অনেকটাই বেশি।

এমনকী, ৫-১০ বছর বা তার বেশি ধরে যাঁরা ধূমপান করছেন বা তামাকজাত দ্রব্য চিবোচ্ছেন, তাঁদের চোখের স্নায়ুর ক্ষতি হতে পারে। সেক্ষেত্রে অন্ধত্ব অস্বাভাবিক কিছু নয়। বস্তুত, সিগারেট, বিড়ি বা তামাকজাত দ্রব্য থেকে যে হৃদরোগ ও ক্যানসারের সম্ভাবনা বাড়ে, একথা তো সকলে জানেন। আর সেক্ষেত্রেও দৃষ্টিশক্তি হারানোর আশঙ্কা আছে বলে জানিয়েছে চিকিৎসকরা। জানা গিয়ে্ছে, এখনও পর্যন্ত দিল্লির এইমস হাসপাতালে যতজন দৃষ্টিশক্তিহীন রোগী এসেছেন, তাঁদের পাঁচ শতাংশ তামাকের কারণেই দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু-র পরিংসখ্যান বলছে, সারা বিশ্বের ২০ শতাংশ দৃষ্টিহীন মানুষের বাস ভারতে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ছানির কারণেই দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন তাঁরা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মেক্সিকোতে ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প, সুনামী সতর্কতা

মেক্সিকোর দক্ষিন উপকূলে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত করেছে। আজ শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০:৪৯ মিনিটের দিকে এ ঘটনা ঘটে। মার্কিন ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা জানিয়েছে, ওই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৮। ভূমিকম্প আঘাত হানার পর আশেপাশের ৭টি দেশে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়।

এদিকে ভূমিকম্পে দেশটির রাজধানীতে ভবন ধসের ঘটনা ঘটেছে। মার্কিন ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা জানিয়েছে, ভূমিকম্প-প্রবণ লাতিন আমেরিকার ওই দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমে পিজিজিআন শহরে ওই ভূমিকম্প আঘাত হানে। ইউএসজিএস জানায়, এর মাত্রা ছিল ৩৩ কিলোমিটার (২১ মাইল) দক্ষিণ-পশ্চিমে ২৫ কিমি (৭৬ মাইল) গভীরে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
এ দফায় রোহিঙ্গা শরণার্থীর সংখ্যা তিন লাখ ছাড়াতে পারে

বাংলাদেশের ভেতর মিয়ানমার থেকে পালানো রোহিঙ্গাদের ঢল অব্যাহত রয়েছে এবং আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থাগুলো ধারণা করছে, শরণার্থীর সংখ্যা তিন লাখ ছাড়িয়ে যেতে পারে। এদের আশ্রয় বা খাবার জোগাড়ে প্রশাসন হিমশিম খাচ্ছে।

এই রোহিঙ্গাদের বড় অংশই রাস্তার ধারে বা খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছে। বাংলাদেশের সরকার নতুন আসা এই রোহিঙ্গাদের তালিকা নিবন্ধনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে যাতে তারা দেশের অন্যত্র ছড়িয়ে না পড়ে।

রোহিঙ্গাদের এই স্রোত কোথায় গিয়ে ঠেকবে, তা নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে উদ্বেগ রয়েছে। তবে সীমান্ত পরিস্থিতি এবং রোহিঙ্গাদের আসার ধারা পর্যালোচনা করে জাতিসংঘ, বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি এবং রেড ক্রসসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো আশংকা প্রকাশ করেছে যে, এই দফায় শরণার্থীর সংখ্যা তিন লাখ ছাড়িয়ে যেতে পারে।

ঢাকায় বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির মুখপাত্র দিপায়ন ভট্টচার্য বলেছেন, “আপনি যদি গত বছর মিয়ানমারের নাগরিকদের বাংলাদেশে ঢোকার প্রবণতা দেখেন, তাহলে লক্ষ্য করবেন, তখন অক্টোবর এবং নভেম্বর মিলিয়ে দুই মাসে ৭৫ হাজার বাংলাদেশে এসেছিল। এবার দশ থেকে এগার দিনের মধ্যেই এক লাখ ষাট হাজার বাংলাদেশে এসেছে। এবং আরও ৫০ হাজারের মতো সীমান্তের অপর পাড়ে অপেক্ষা করছে।সেজন্য আমাদের বড় একটি সংখ্যা বিবেচনায় নিয়ে পরিকল্পনা থাকা প্রয়োজন। সেই বিবেচনায় তিল লাখ যে সংখ্যাটি বলা হচ্ছে, তা বাস্তবসম্মত।”

হাজার হাজার রোহিঙ্গার আশ্রয় এবং খাদ্য সাহায্যের ব্যবস্থাপনা নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে।

কুতুপালং এবং নোয়াপাড়ায় শরণার্থী শিবিরগুলোতে নতুন আসা রোহিঙ্গাদের একটা অংশকে নেয়া হয়েছে। কিন্তু মানুষের গাদাগাদি অবস্থায় শিবিরগুলোতেও আর জায়গা নেই।

কুতুপালং শরণার্থী শিবির এলাকার ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নুরুল আফসার চৌধুরী বলছিলেন, কুতুপালং এবং বালুখালী শিবিরের বাইরে খোলা জায়গা রাস্তাঘাট সবজায়গায় শুধু মানুষ আর মানুষ। তাদের একটা নিয়ম বা পদ্ধতির মাধ্যমে খাদ্য বা মানবিক সাহায্য দেয়ার ব্যবস্থা এখনও হয়নি বলে তিনি উল্লেখ করেছেন।

“পথে-ঘাটে, স্কুল মাদ্রাসা বা পরিত্যক্ত জায়গায় রোহিঙ্গারা যে যেভাবে পারে আশ্রয় নিয়েছে। এমন অবস্থা হয়েছে যে, রাস্তা-ঘাটসহ সর্বত্র শুধু রোহিঙ্গা আর রোহিঙ্গা। তাদের খাবারের বেশ কষ্ট হচ্ছে। নিয়মিত খাবার কেউ দিচ্ছে না। স্থানীয় লোকজন অনেক সময় খাবার এনে দিলে তারা সেটা খাচ্ছে। রোহিঙ্গাদের অনেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের বাড়ি ঘরে ঘিয়ে খাবার চেয়ে নিচ্ছে।”

সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, এবার আসা রোহিঙ্গার সংখ্যা তাদের সব ধারণাকে ছাড়িয়ে গেছে। ফলে আশ্রয় বা খাদ্য সহায়তার ব্যবস্থাপনায় কিছুটা ঘাটতি হয়েছে বলে কর্মকর্তারা স্বীকার করেন তাদের এক জায়গায় নেয়ার কথাও সরকার বলছে।

কিন্তু সেই জায়গা নির্বাচনের প্রক্রিয়াই এখনও শেষ হয়নি। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: শাহ কামাল বলেছেন, কুতুপালং এবং বালুখালি শিবিরের পাশে দুটি জায়গা জরিপ করা হয়েছে।দু’একদিনের মধ্যে তারা জায়গটি চূড়ান্ত করবেন।

রোহিঙ্গারা ছড়িয়ে ছিটিয়ে গ্রামে বা লোকালয়েও আশ্রয় নিচ্ছেন। এবং তাতে নিরাপত্তা নিয়েও অনেকে প্রশ্ন তুলছেন।

সরকারের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গাদের তালিকা তৈরির কথা বলা হয়েছে। তবে সেই কাজ এখনও শুরু করা যায়নি। স্থানীয় কর্মকর্তারা বলছেন, সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে রোহিঙ্গারা এসেছে। ফলে পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে তালিকা করা বা অন্য বিষয়গুলোতে ঘাটতি হয়েছে।

তবে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার ড: ইকবাল হোসেন বলেছেন, “বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে রোহিঙ্গাদের নিবন্ধনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। রোহিঙ্গাদের এক জায়গায় নিয়ে আগামী সপ্তাহে এই নিবন্ধনের কাজ শুরুর চেষ্টা আমরা করছি।”

এদিকে তুরস্কের ফার্স্ট লেডি এমিনে এরদোয়ান এবং দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রী আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সফরে এসে কক্সবাজারের কুতুপালং শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করেছেন।

তারা সেখানে মিয়ানমার থেকে এবার আসা রোহিঙ্গাদের সাথে কথা বলেছেন এবং ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেছেন।

বিকেলে তারা ঢাকায় এসে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে বৈঠক করেছেন।বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব বিবিসিকে জানিয়েছেন, তুরস্ক রোহিঙ্গা ইস্যুকে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ফোরামে তুলে ধরবে।

এছাড়া এই ইস্যুতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশ কোনো পদক্ষেপ নিলে, তুরস্ক তাতে সমর্থন দেবে – তুরস্কের ফার্স্টলেডি এমন আশ্বাস দিয়েছেন।

সূত্র: বিবিসি বাংলা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় ঐতিহ্যবাহী দাড়িয়াবান্ধা টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত

আব্দুল জলিল : সাতক্ষীরায় গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী আট দলীয় দাড়িয়াবান্ধা (গাদন) টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকালে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার দক্ষিণ তলুইগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়।
ফাইনালে অংশ নেয় দক্ষিণ তলুইগাছা দল ও উত্তর তলুইগাছা দল। তবে, তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এ ফাইনাল ম্যাচ ১-১ পয়েন্টে (গাদনে) ড্র হয়েছে।
ফাইনালে ম্যাচ রেফারি ছিলেন স্থানীয় শিক্ষক মোতাহার হোসেন।
আয়োজকরা জানান, ম্যাচটি ড্র হওয়ায় পরবর্তীতে আবার দিনক্ষণ ঠিক করে পুনরায় ফাইনাল ম্যাচ আয়োজন এবং নিষ্পত্তি করা হবে।
স্থানীয়রা জানান, দক্ষিণ তলুইগাছা গাদন কমিটি প্রতিবছর এই টুর্নামেন্টের আয়োজন করে। গ্রাম বাংলার মানুষের বিনোদনের খোরাক এই খেলা আগে অনেক এলাকায় হলেও দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। আমরা চেষ্টা করছি আমাদের ঐতিহ্য ধরে রাখার।
এবারের আয়োজনও সার্থক হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আশপাশের বহু গ্রামের মানুষ ফাইনাল ম্যাচ দেখতে এসেছে এবং বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে খেলা উপভোগ করেছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ধর্ষক ধর্মগুরুর ডেরায় নরকঙ্কাল!

ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের সিরসায় দুই ভক্তকে ধর্ষণের দায়ে ২০ বছরের কারাদণ্ড পাওয়া ধর্মগুরু গুরমিত রাম রহিম সিংয়ের আস্তানা ডেরা সাচ্চা সৌদায় নরকঙ্কালের সমাধি পাওয়া গেছে।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ডেরার মুখপাত্র ‘সাচ কাহন’ নামের সংবাদপত্রের খবরে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।

রাজ্য সরকার ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের সম্ভাব্য তল্লাশি অভিযান শুরুর আগে সাচ কাহন এমন সংবাদ জানাল। আদালতের একজন কমিশনারের নেতৃত্বে ডেরায় আজ অভিযান শুরু হতে পারে।

ডেরার সংবাদপত্রে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপকদের সিদ্ধান্তের সাফাই গেয়ে বলা হয়েছে, মৃত লোকজনের দেহাবশেষ নদীতে ফেলে পরিবেশ নষ্ট না করতে ভক্তদের উপদেশ দিতেন রাম রহিম। তাঁর কথামতো ভক্তরা ডেরায় কঙ্কাল দান করত। আর সেই কঙ্কালের সমাধি হতো ডেরার ভেতরেই। এর ওপর লাগানো হতো গাছ।

ডেরার সঙ্গে একসময় সম্পৃক্ত থাকা কিছু ব্যক্তির অভিযোগ, যেসব ভক্ত রাম রহিমের কর্মকাণ্ডের বিরোধিতা করেছেন, তিনি তাঁদের হত্যা করেছেন। এরপর তিনি তাঁদের লাশ ৭০ একর ক্যাম্পাসের ভেতর তাঁদের শ্রাদ্ধ করতেন।

১৯৯৯ সালে দুই নারী ভক্তকে ধর্ষণের দায়ে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরোর (সিবিআই) বিশেষ আদালত ২৫ আগস্ট রাম রহিমকে দোষী সাব্যস্ত করেন। তাঁকে ২০ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন। এর পর থেকে তিনি হরিয়ানার রোহতকের সোনারিয়া কারাগারে আছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাদাসিধে কথা: কয়েকটি মন খারাপ করা ঘটনা

০১.
আগস্ট মাসটি মনে হয় সত্যিই বাংলাদেশের জন্য অশুভ একটা মাস। কীভাবে কীভাবে জানি এই মাসটিতে শুধু মন খারাপ করা ঘটনা ঘটতে থাকে। দুঃসময় নিশ্চয়ই এক সময় কেটে যাবে, তার পরও যখন ঠিক এই সময়টির ভেতর দিয়ে যেতে হয় তখন মন খারাপ হয়ে যায়।

শুরু হয়েছে বন্যা দিয়ে। বিস্তীর্ণ এলাকা বন্যার পানিতে ডুবে গেল, মাঠে-ঘাটে পানি, স্কুলে পানি, বাড়ির ভেতর পানি। আমরা যারা পুরো সময়টা শুকনো মাটিতে কাটিয়েছি তারা নিশ্চয়ই কল্পনাও করতে পারি না পানিতে ডুবে যাওয়া এলাকায় দিনরাত চব্বিশ ঘণ্টা সময় কাটাতে কেমন লাগে। নিঃশ্বাস বন্ধ করে বসে আছি কখন বন্যার পানি পুরোপুরি নেমে যাবে, দেশের মানুষ আবার আগের জীবনে ফিরে যাবে।

শুধু যে নদীর পানির ঢলে বন্যা হয়েছে তা নয়, ঢাকা শহরের অনেক জায়গা জলাবদ্ধতার কারণে পানিতে ডুবে আছে। মানুষজন সেই পানি ভেঙে যাতায়াত করছে, ধরেই নিয়েছে এটাই জীবন। এসব জায়গায় যারা থাকে তারা গরিব মানুষ, সাধারণ মানুষ তাই তাদের কণ্ঠস্বর খুব বেশিদূর যেতে পারে না। তারা মেনেই নিয়েছে এভাবেই বেঁচে থাকতে হবে।

প্রতিবছরই বন্যা আসে এবং প্রতিবছরই আমি এক ধরনের বিস্ময় নিয়ে চিন্তা করি, কোনো একটি রহস্যময় কারণে আমাদের বাংলা ভাষায় ‘বন্যা’ শব্দটি কিন্তু নেতিবাচক নয়। যদি এটা নেতিবাচক শব্দ হতো তা হলে আমাদের দেশের বাবা-মায়েরা কিন্তু তাদের মেয়েদের নাম কখনই বন্যা রাখতেন না! কখনো কোনো মানুষের নাম খরা, ভূমিকম্প বা ঘূর্ণিঝড় হতে দেখিনি কিন্তু বন্যা নামটি যথেষ্ট জনপ্রিয় এবং মিষ্টি একটি নাম।

মনে হয়, এই দেশের মানুষ বন্যার পানিতে বেঁচে থাকার পদ্ধতি বহু বছর থেকে জানে। ব্যাপারটি টের পাওয়া গেছে টেক্সাসের বন্যা দেখে। আমাদের দেশের পত্রপত্রিকার সাদা চামড়ার মানুষের জন্য মায়া মনে হয় একটু বেশি তাই দেশে বসে টেক্সাসের বন্যার খুঁটিনাটি আমরা জেনে গেছি! দেশটি যে এ রকম দুর্যোগ সামলাতে পারে না, সেটি খুবই স্পষ্ট।

যে বিষয়টি আমার চোখে আলাদাভাবে পড়েছে সেটি হচ্ছে বন্যাকালীন কারফিউ। সেই দেশে বন্যার পানিতে ঘরবাড়ি ছেড়ে যাওয়ার পর মানুষজন বাড়িঘর লুট করতে শুরু করল এবং সেটা বন্ধ করার জন্য কারফিউ জারি করতে হলো! বন্যার সময় আমাদের দেশে হাজারো রকমের সমস্যা হয় কিন্তু বাড়িঘর রক্ষা করার জন্য কারফিউ দিতে হয় সেটি কখনো শুনিনি!

আমেরিকার জন্য এটি অবশ্য নতুন কিছু নয় একবার নিউইয়র্ক শহরে কয়েক ঘণ্টার জন্য ব্ল্যাক আউট হয়েছিল, তখন পুরো শহর লুটপাট হয়ে গিয়েছিল। আমাদের দেশে ব্ল্যাক আউট নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা, ভাগ্যিস আমরা এখনো আমেরিকান কায়দা-কানুনে দিন কাটানো শিখিনি।

০২.
আগস্ট মাসের মন খারাপ করা বড় ঘটনাটি সবাই জানে। রূপা নামের এক কলেজছাত্রীকে বাসের ভেতর ড্রাইভার, কন্ডাক্টর, হেল্পার সবাই মিলে গণধর্ষণ করে এক ধরনের পৈশাচিক নিষ্ঠুরতায় হত্যা করেছে। প্রথম যেদিন খবরটি পত্রিকায় বের হয়েছে, আমি দেখেও না দেখার ভান করে চোখ সরিয়ে নিয়েছি।

আমি দুর্বল প্রকৃতির মানুষ, এ ধরনের খবরগুলো আমি সহ্য করতে পারি না, তাই সেগুলো থেকে চোখ সরিয়ে নিয়ে নিজেকে রক্ষা করতে চাই। কিন্তু মানুষ উটপাখি নয় যে, বালির ভেতর মুখ গুঁজে রাখলেই পৃথিবীর সব নিষ্ঠুরতা থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারবে তাই ধীরে ধীরে আমাকেও রূপা নামের এই অল্পবয়সী কলেজছাত্রীর ঘটনাটি জানতে হয়েছে।

ঘটনাটি জেনেছি কিন্তু যারা ঘটনাটি ঘটিয়েছে তারা কেমন করে এ ধরনের একটি ঘটনা ঘটাতে পারে সেই বিষয়টি কোনোভাবেই বুঝতে পারি না। বিচ্ছিন্নভাবে একজন বা দুজন মানুষ যারা বিকৃত এক ধরনের মানসিকতা নিয়ে মানসিক রোগী হিসেবে বড় হয়েছে তারা কোনো ধরনের অপরাধবোধ ছাড়াই এ রকম ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটাতে পারে কিংবা ঘটিয়ে আনন্দ পায় সেটা আমরা জানি।

কিন্তু একেবারেই পারিবারিক কয়েকজন মানুষ মিলে এ ধরনের নিষ্ঠুরতা করতে পারে সেটা আমি কিছুতেই বুঝতে পারি না। তবে কি আমাদের মেনে নিতে হবে এ রকম ঘটনা সব সময়ই ঘটছে এবং যারা ঘটাচ্ছে তারা বেশিরভাগ সময়ই পার পেয়ে যাচ্ছে। তাই সমাজের একশ্রেণির মানুষ এটাকে খুবই সহজ-স্বাভাবিক ঘটনা হিসেবে মেনে নিয়েছে?

আমরা শুধু একটি-দুটি ঘটনার কথা জানি, তাই সমাজের আসল ছবিটি আমাদের চোখের আড়ালে রয়ে গেছে! যেগুলোর কথা পত্রপত্রিকায় আসে সেগুলোরও কি বিচার হয়? অপরাধী শাস্তি পায়? এ দেশের অনেক বড় আলোড়িত ঘটনা হচ্ছে তনু হত্যাকাণ্ড ক্যান্টনমেন্টের ভেতরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল বলে কী তনুর হত্যাকারীর বিচার হয়নি? হবে না?

আমাদের ডিকশনারিতে গণধর্ষণ শব্দটি ছিল না (কী কুৎসিত একটি শব্দ, লিখতে গিয়ে কলম সরতে চায় না)। আমরা শুধু পাকিস্তানে এই  ঘটনা ঘটার খবর পেতাম এবং শুনে হতবাক হয়ে যেতাম। কীভাবে কীভাবে জানি এই ঘটনাটি বাংলাদেশেও ঘটতে শুরু করেছে। এখন এটি একটি নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

দিল্লিতে একটা বাসের ভেতরে এক মেয়েকে এভাবে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছিল, ঠিক তার পরপরই আমাদের দেশের বাসে এ ধরনের ঘটনা ঘটতে শুরু করল। নৃশংসতা কি অনুকরণ করতে হয়? এটা কি একটা শেখার বিষয়? মনোবিজ্ঞানীরা কি এটা নিয়ে গবেষণা করে বিষয়গুলো আমাদের বোঝাতে পারবেন?

আজকাল খবরের কাগজগুলো খোলা যায় না। মনে হয় পুরো খবরের কাগজটাই বুঝি ধর্ষণের খবর দিয়ে বোঝাই। ছাত্রলীগ কিংবা যুবলীগের নেতাদের ধর্ষণ, নানার নাতনিকে ধর্ষণ, ঈদের দিনে আনন্দোৎসবে ধর্ষণ, বান্ধবীকে ধর্ষণ, স্বামীকে বেঁধে রেখে গৃহবধূকে ধর্ষণ, কমবয়সী শিশুকে ধর্ষণ শুধু খবরের শিরোনাম পড়েই একজন মানুষ অসুস্থ হয়ে যাবে।

আমি মনোবিজ্ঞান বা সমাজবিজ্ঞানের মানুষ নই, তাই বিচ্ছিন্ন একজন মানুষ বা একটি সমাজ কীভাবে অন্যায় করে কিংবা অন্যায়কে প্রতিহত করে সেটা জানি না। কিন্তু কিছু বিষয় সব সময়ই আমাকে বিভ্রান্ত করে এসেছে। আমি একবার এক মসজিদে ঈদের নামাজ পড়তে গিয়েছি, নামাজ শেষে ইমাম দোয়া করতে করতে এক সময় বললেন, যারা এই দোয়ায় শামিল হয়েছে তাদের সবার ‘গোনাহ’ যেন ‘সওয়াবে’ পরিণত করে দেওয়া হয়।

আমি রীতিমতো চমকে উঠলাম, কারণ সত্যিই যদি একদিন শুধু দোয়া করে জীবনের সব পাপকে পুণ্যে পাল্টে দেওয়া যায় তাহলে সেটা কী মানুষকে অন্যায় করতে প্রলুব্ধ করবে না? সারাজীবন খুন, জখম, চুরিচামারি, অত্যাচার, অনাচার, ধর্ষণ করে জীবনের শেষপ্রান্তে কোনো একটা প্রক্রিয়ায় যদি তার সব পাপকে পুণ্যে পরিণত করে ফেলা যায় সেটি নিশ্চয়ই অনেক পুণ্য লাভের সবচেয়ে শর্টকাট পদ্ধতি।

ধর্মের এই ব্যাখ্যা সমাজের কত গভীরে, কত ব্যাপকভাবে প্রবেশ করেছে আমি জানি না। সেটি এই দেশের মানুষের চিন্তাভাবনার জগৎকে কীভাবে প্রভাবিত করেছে সে সম্পর্কেও আমার কোনো ধারণা নেই। (আমি অবশ্য পারিবারিকভাবে ধর্মের অনেক সুন্দর এবং মানবিক একটা ব্যাখ্যা শুনে বড় হয়েছি। আমি জেনে এসেছি প্রত্যেকটা মানুষের ওপর খোদার একটা হক আছে এবং মানুষেরও একটা হক আছে। খোদার হক পালন না করলে, খোদার কাছে কান্নাকাটি করে মাফ চাইলে খোদা চাইলে মাফ করে দিতেও পারেন। কিন্তু মানুষের হক পালন না করলে সেই মানুষটি যতক্ষণ পর্যন্ত মাফ না করবে ততক্ষণ কোনো মুক্তি নেই! ধর্মের এই ব্যাখ্যায় সারাজীবন পাপ করে শেষ বয়সে সব পাপকে পুণ্যে পাল্টে দেওয়া কিংবা পাপকে মুছে দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই!)

যারা রূপা মেয়েটির ওপর এই নৃশংস অত্যাচার করেছে তাদের সবাইকে ধরা হয়েছে। মানুষগুলোর বাবা-মাও তীব্র অপরাধবোধে ভুগছেন, বলেছেন তাদের সত্যিকারের শাস্তি হওয়া উচিত। তাদের কী শাস্তি হবে আমরা জানি না, আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে বের হয়ে যাবে কিনা সেটাও আমরা জানি না।

ছাত্রলীগের ছেলেরা প্রকাশ্যে টেলিভিশন ক্যামেরার সামনে বিশ্বজিৎকে কুপিয়ে হত্যা করেছে, তার পরও যারা ধরা পড়েছে তাদের ফাঁসির আদেশ মওকুফ হয়ে গেছে। কয়েক বছরের ভেতরেই তারা নিশ্চয়ই আরও বড় নেতা হিসেবে বের হয়ে আসবে!

কাজেই রূপার হত্যাকারী এই মানুষগুলোর ভবিষ্যৎ কী আমরা জানি না, জেলহাজতে বসে বসে তারা কী ভাবে, তাদের বিবেক দংশন করে কিনা কিংবা কোনোরকম অপরাধবোধে ভোগে কিনা সে সম্পর্কে আমি কিছু জানি না, কিছু অনুমানও করতে পারি না।

কিন্তু মৃত্যুর আগ মুহূর্তে রূপার মনে কী ভাবনা কাজ করেছিল, সেটি আমরা কল্পনা করতে পারি। কমবয়সী এই মেয়েটির বুকের ভেতর নিশ্চয়ই ছিল গভীর হতাশা এবং এই বিশাল পৃথিবীর ওপর তীব্র অভিমান। এই দেশ, এই রাষ্ট্রযন্ত্র, এই সমাজ কোনো কিছু তাকে রক্ষা করতে পারল না কী ভয়ঙ্কর একটি কষ্ট আর যন্ত্রণা নিয়ে তাকে পৃথিবী থেকে বিদায় নিতে হলো। আমি সেই কষ্টের কথা কল্পনাও করতে পারি না।

০৩.
আগস্ট মাসের আরও একটি মন খারাপ করা ঘটনা হচ্ছে আমাদের পাশের দেশ মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর অত্যাচার। রোহিঙ্গা চরমপন্থিরা পুলিশ-মিলিটারি ক্যাম্প আক্রমণ করার পর তার প্রতিশোধ নেওয়া হচ্ছে সাধারণ রোহিঙ্গা মানুষদের ওপর। বাংলাদেশে পাঁচ লাখের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী হিসেবে এক দশকের বেশি সময় ধরে বসবাস করছে।

গত কয়েকদিনে রোহিঙ্গাদের ওপর রীতিমতো গণহত্যা শুরু হওয়ার পর প্রায় দেড় লাখ রোহিঙ্গা প্রাণ বাঁচানোর জন্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে ছুটে এসেছে। এটি অনেক বড় একটি ঘটনা, সারা পৃথিবীতে এটা নিয়ে তোলপাড় হচ্ছে। আমরা জানি এসব নিয়ে তোলপাড় হয় কিন্তু শেষ পর্যন্ত কিছু হয় না।

রোহিঙ্গাদের নিয়েও হইচই হবে কিন্তু শেষ পর্যন্ত কেউ আর দায়িত্ব নেবে না, এই অসহায় মানুষগুলোকে অসহায়ভাবে এ দেশে মানবেতর জীবন কাটাতে হবে। একাত্তরের পর বিহারিরা পাকিস্তানের নাগরিক হিসেবে কত যুগ জেনেভা ক্যাম্পে কাটিয়ে দিয়েছে মনে আছে?

এই রোহিঙ্গাদের মৃত্যু উপত্যকায় ফিরিয়ে না দিয়ে মানবিক কারণে বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়া হচ্ছে দেখে আমি একটুখানি শান্তি পাচ্ছি। আমি কিছুতেই ১৯৭১-এর ঘটনা ভুলতে পারি না, এ দেশের প্রায় এক কোটি মানুষ শরণার্থী হিসেবে ভারতে আশ্রয় নিয়েছিল, যদি ভারতবর্ষ তখন আমাদের আশ্রয় না দিত তা হলে আমাদের কী হতো? ১৯৭১ সালে আগরতলার মোট জনসংখ্যা থেকে বাংলাদেশের শরণার্থীর সংখ্যা বেশি ছিল।

সেই কৃতজ্ঞতাবোধ থেকে মৃত্যুভয়ে কাতর অসহায় মানুষদের একটুখানি আশ্রয় দেওয়া অনেকখানি বড় কাজ। মানুষ হিসেবে অন্য মানুষদের জন্য সেটা যদি না করি তা হলে কেমন করে হবে?

যে নোবেল কমিটি মিয়ানমারের জননেত্রী অং সান সু চি’কে শান্তির জন্য নোবেল পুরস্কার দিয়েছিল এখন তারা মাথা চাপড়াচ্ছেন কিনা সেটি আমার খুব জানতে ইচ্ছা করে।

লেখক : অধ্যাপক, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
অস্ত্র ডাকাতিসহ একাধিক সহিংসতা মামলার আসামি মোসলেমকে আটক করেছে সদর পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরা সদর থানার অভিযানে অস্ত্র, বিষ্ফোরকদ্রব্যসহ একাধিক সহিংসতা মামলার আসামী মোসলেম আলী শেখ (৫৫) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সে উপজেলার বকচরা গ্রামের মৃত চান শেখের ছেলে। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মারুফ আহম্মদ সাংবাদিকদের জানান, একাধিক সহিংসতা মামলার আসামি মোসলেম আলী শেখকে বৃহষ্পতিবার রাত ৮টায় গ্রেফতার করা হয়েছে। তার নামে একাধিক ডাকাতি, সহিংসতাসহ অস্ত্র, বিষ্ফোরকদ্রব্যে মামলাও রয়েছে এছাড়া সে যশোর ও বাঁগআচড়া থানার বিভিন্ন মামলার আসামি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest