সর্বশেষ সংবাদ-
অপরিপক্ষ আম খাদ্য হিসাবে গ্রহণে সাতক্ষীরার ডিসি’র সতর্কতাআলীপুর ইউপিতে বিএনপির বহিস্কৃত নেতা রউফ বিজয়ীআশাশুনির মরিচ্চাপ সেতুর অধিকরনকৃত জমি জবরদখল: অবৈধ স্থাপনা নির্মানের হিড়িকসাতক্ষীরায় ঘরে-বাইরে তীব্র তাপদাহে জনজীবন বিপর্যস্ত: বিপাকে নি¤œ আয়ের মানুষকালিগঞ্জে রাসায়নিক দ্রব্যে পাকানো ৪শ’ কেজি আম জব্দব্যবসায়ীকে মারধরের ঘটনার ভিডিও করায় সাংবাদিকদের মারপিটের অভিযোগ ডা; ফয়সালের বিরুদ্ধেতাপদাহে রিকশাচালক-পথচারী‌দের‌ মাঝে ড্রিম সাতক্ষীরার পা‌নি ও স্যালাইন বিতরণআন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে র‌্যালি ও আলোচনাসাতক্ষীরা সদর সাব রেজিষ্ট্রি অফিস চত্বরে মরা শিশু গাছে ঝুঁকি বাড়ছেকলারোয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী আলতাফ হোসেন লাল্টুর গণ সমাবেশ

বিনোদন ডেস্ক: খুব শিগগিরই নাকি প্রেমিক আনন্দ আহুজার সাথে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন বলিউড অভিনেত্রী সোনম কাপুর। ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে।

সোনমের সঙ্গে আনন্দ আহুজার সম্পর্কের বিষয়টি এ অভিনেত্রীর পরিবারের সকলেরই জানা। তাই পরিবারের সদস্যরা চাইছেন যত দ্রুত সম্ভব বিয়েটা হোক। কিন্তু আনন্দের সঙ্গে বিয়ের বিষয়ে সোনম একটু সময় নিচ্ছেন বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে সোনমের পরিবারের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘যেহেতু আনন্দ আহুজার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের বিষয়ে সোনম নিশ্চিত, তাই তার বাবা অনিল কাপুর বিয়ের ব্যাপারে দেরি করতে চাইছেন না। অবশ্য বন্ধুরা সোনম ও তার বাবাকে বোঝাচ্ছেন যে, এতে করে এ অভিনেত্রীর অভিনয় ক্যারিয়ারে খারাপ প্রভাব পড়তে পারে। কিন্তু এ নিয়ে মোটেও ভাবছেন না সোনম। তাদের কিছু বিষয় সমাধান হলেই তারা বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন।’

দিল্লির ব্যবসায়ী আনন্দ আহুজার সঙ্গে অনেকদিন ধরেই সোনমের প্রেমের গুঞ্জন চলছে। প্রায়ই বিভিন্ন স্থানে দেখা যায় তাদের। এছাড়া পরস্পরের প্রতি ভালোলাগার বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্টসহ বিভিন্নভাবে প্রকাশ করেন তারা। সোনমের পারিবারিক অনুষ্ঠানেও নিয়মিত অতিথি হিসেবে থাকেন আনন্দ। যদিও প্রেমের বিষয়টি এখনো শিকার করেননি এ কথিত প্রেমিক জুটি।

অভিনয়ের দিক থেকে সোনমের পরবর্তী সিনেমা ‘বীরে দি ওয়েডিং’। সিনেমাটি পরিচালনা করবেন এ অভিনেত্রীর বোন রিয়া কাপুর। এ সিনেমার মাধ্যমে দীর্ঘ বিরতির পর আবারো বড় পর্দায় হাজির হবেন কারিনা কাপুর। সিনেমাটিতে আরো অভিনয় করবেন স্বারা ভাস্কর।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

দুদিন আগে বিসিবিতে পেসার মোহাম্মদ শহীদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানান তার স্ত্রী ফারজানা আক্তার। বিসিবির কাছে তার দেওয়া অভিযোগপত্রে দেখা গেছে, শহীদের বিরুদ্ধে ফারজানার অভিযোগ আসলে নারীঘটিত। স্বাভাবিকভাবেই এতে উদ্বিগ্ন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। যে ক্রিকেট নিয়ে বাংলাদেশের এত গর্ব, তাতে লাগছে কলঙ্কের কালি।

আজ নাজমুল হাসান পাপন জানিয়েছেন, ক্রিকেটারদের এ ধরনের কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে আরও কঠোর হচ্ছে বিসিবি।

বিসিবি সভাপতি সংবাদমাধ্যমকে বললেন, ‘একজন ভালো খেলোয়াড় হলে চলবে না, ভালো মানুষও হতে হবে। আমরা চেষ্টা করছি তাদের নিয়ন্ত্রণ করার। আমরা আগের চেয়ে অনেক বেশি কঠোর হয়েছি। সমস্যা হচ্ছে যখন খেলা থাকে না, এখান থেকে চলে যাচ্ছে, তখন ওদের ব্যক্তিগত বিষয়গুলো ধরতে পারছি না। তবে যে ধরনের ঘটনাগুলো ঘটছে, আমাদের নজরে আছে। আমরা কেউ এগুলো মানতে পারছি না।’

নাজমুল হাসান খেলোয়াড়দের সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ভবিষ্যতে এমনটা ঘটলে আরও কঠিন সিদ্ধান্ত নেবে বিসিবি। তিনি বলেন, ‘এর আগে যত ঘটনা ঘটেছে, আমরা সাপোর্ট দূরে থাক, উল্টো ব্যবস্থা নিয়েছি। খেলা থেকে বহিষ্কারও করা হয়েছে। এখনো তাই হবে। আমরা চাই, সবকিছু ঠিকঠাক হয়ে যাক। যদি না হয়, ভবিষ্যতে আরও কঠিন পদক্ষেপে যেতে বাধ্য হব।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

আশাশুনি ব্যুরো: আশাশুনির বুধহাটায় সুপ্তিয়ারা পিয়া নামে ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীর রহস্যজনক মৃৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আশাশুনি থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে রোববার রাতে উপজেলার বুধহাটা গ্রামে। সে বুধহাটার নজরুল ইসলামের কন্যা ও উপজেলার বুধহাটা বি বি এম কলেজিয়েট স্কুলের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। পরিবারের পক্ষে থেকে থানায় লিখিতভাবে জানানো হয়েছে, সাংসারিক বিষয় নিয়ে মা বকনি দিলে মায়ের উপর অভিমান করে গলায় উড়না পেচিয়ে ঘরের আড়ার সাথে ওড়না বেঁধে আতœহত্যা করেছে। এ ঘটনায় এসআই আব্দুর রাজ্জাক এ প্রতিবেদককে জানান, তিনি অভিযোগের ভিত্তিতে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরিকালে মৃত পিয়ার থুতুলের নিচে ডান পার্শে বৃদ্ধাঙ্গুলের ন্যায় রক্তজমাট কালশিরা যুক্ত একটি মারাত্বক আকারের দাগ দেখতে পায়। তাছাড়া গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যার তেমন কোন চি‎হ্ন দেখতে না পেরে সন্দেহ হয়। বাধ্য হয়ে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে ময়না তদন্তের জন্য শতবার বাধ সাধার সত্ত্বেও এসআই রাজ্জাক সকল বাঁধা উপেক্ষা করে নিহাতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা মর্গে প্রেরণ করেন। তিনি বলেন ময়না তদন্ত রিপোর্ট শেষে আত্মহত্যা নাকি অন্য কোন সমস্যা সে বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নিজস্ব প্রতিনিধি : কলারোয়ায় ভগ্নিপতির বাড়িতে বেড়াতে এসে শ্যালক নিখোঁজ হয়েছে। নিখোঁজ তাপস সূত্রধর ঢাকা জেলার ধামরাই থানার পরান সূত্রধরের পুত্র। সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১০টর দিকে বাড়িতে থেকে বের হয়ে সে আর ফিরে আসে নি। মঙ্গলবার দিনভর বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজির পরেও তার সন্ধান না পেয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর এ ঘটনায় নিখোঁজের ভগ্নিপতি স্বর্ণ কারিগর কমল সূত্রধর কলারোয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। জিডি নং- ৪১১, তাং- ১১/৭/১৭ইং।
জিডি সূত্র ও নিখোঁজের ভগ্নিপতি কমল সূত্রধর জানান- কাজের সূত্রে তিনি দীর্ঘ প্রায় ৫বছর যাবত কলারোয়ায় বসবাস করছেন। তিনি ঢাকা জেলার ধামরাই থানার মৃত গোবিন্দ সূত্রধরের পুত্র। কলারোয়া বাজারের বাজারের বালা হাউস এন্ড জুয়েলার্সের স্বর্ণ কারিগর হিসেবে তিনি কর্মরত। পরিবারসহ তিনি বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন কলারোয়া ক্যামিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতির সভাপতি সামছুর রহমানের ডাকবাংলা এলাকার বাড়িতে। গত ৮জুলাই শনিবার তার শ্যালক তাপস সূত্রধর কলারোয়ার ভাড়া বাসায় বেড়াতে আসে। ভগ্নিপতি, বোন-ভাগ্নেদের নিয়ে ২দিন সে বেশ ভালোই সময় কাটায়। ১০ জুলাই রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে ভগ্নিপতির কর্মস্থল বালা হাউস এন্ড জুয়েলার্সের দোকান থেকে বোন-ভগ্নিপতির ভাড়া বাসায় যাওয়ার জন্য সে বের হয়। কাজ শেষে গভীররাতে ভগ্নিপতি কমল সূত্রধর বাসায় ফিরে জানতে পারেন শ্যালক তাপস বাসায় ফেরেনি। তখন থেকে মঙ্গলবার দিনভর সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজাখুজি করেও তার কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরে মঙ্গলবার সন্ধ্যার পরে শ্যালক তাপসের নিখোঁজের বিষয়টি অবগত করে কলারোয়া থানায় জিডি করেন ভগ্নিপতি কমল সূত্রধর।
২১বছর বয়সি নিখোঁজের গায়ের রং শ্যামলা। ওজন আনুমানিক ৭০কেজি। উচ্চতা ৫ফুট ৭ইঞ্চি। নিখোঁজের সময় তার পরনে ছিলো নেভিব¬ু রংএর জিন্স প্যান্ট ও কালো রংএর গেঞ্জি (টি-শার্ট)।
কেউ তার সন্ধান পেলে নিকটস্থ থানায় যোগাযোগের জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

আসাদুজ্জামান : সাতক্ষীরার তালা উপজেলা পরিষদের জমিতে দোকান নির্মানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নাম ভাঙ্গিয়ে দুই ব্যবসায়ির নিকট থেকে অবৈধভাবে ৪ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা চাঁদা নেয়ার অভিযোগে এক আওয়ামীলীগ নেতাসহ দুই জনের বিরুদ্ধে চাাঁদাবাজি মামলা দায়ের হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: ফরিদ হোসেন বাদি হয়ে ওই দুই জনের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার বিকেলে তালা থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন। মামলা নং-৭। মামলায় যাদের আসামি করা হয়েছে তারা হলেন, সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ সদস্য ও তালা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর জাকির হোসেন ও তার সহযোগী সৈয়দ তরিকুল ইসলাম।
তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: ফরিদ হোসেন জানান, তালা উপজেলা পরিষদের প্রাচীরের পাশের জায়গা দখল করে সম্প্রতি দোকান ঘর নির্মান করেন হারান সাধু নামে এক ব্যবসায়ী। এ জন্য ওই ব্যবসায়ীর নিকট থেকে আমাকে (ইউএনওর) ম্যানেজ করতে জেলা পরিষদের সদস্য মীর জাকির হোসেন ও তার সহযোগী তরিকুল ইসলাম ২ লক্ষ টাকা নেন। এছাড়া অপর এক পাট ব্যবসায়ী কুমারেশ ঘোষের কাছে থেকে আরও ২ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা নেন তারা। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উক্ত ঘর নির্মাণে বাঁধা দিলে একপর্যায়ে বিষয়টি জানাজানি হয়। পরে ওই দুই ব্যবসায়ী আমার কাছে বিষয়টি স্বীকার করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরও জানান, বিষয়টি জানার পর তিনি তাৎক্ষণিকভাবে ওই দুই জনের নামে তালা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে মীর জাকির হোসেনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি নিয়ে লেখা-লেখির কিছু নেই বলে জানান। তিনি আরো জানান, বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা চলছে।
তালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান হাফিজুর রহমান এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: ফরিদ হোসেনের নাম ভাঙিয়ে তালা বাজারের দুই ব্যবসায়ীর নিকট থেকে ৪ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা চাঁদা গ্রহণ করায় তিনি বাদি হয়ে উক্ত দুই জনের নামে মামলা দায়ের করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

দৌলতদিয়া যৌনপল্লির এক যৌনকর্মীর দায়ের করা মামলায় রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম মাহাবুব রাব্বানীকে (৪২) কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে আদালতে আত্মসমর্পণ করে পুনরায় জামিন আবেদন করেন মাহাবুব। আদালতের বিচারক আবেদনটি নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আদালত-সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দৌলতদিয়া যৌনপল্লির একজন যৌনকর্মী নিজেকে গোলাম মাহাবুব রাব্বানীর স্ত্রী এবং তাঁদের নয় বছর বয়সী একটি ছেলে রয়েছে বলে দাবি করে গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর রাজবাড়ীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা করেন। ওই মামলায় মাহাবুব হাইকোর্ট থেকে চার সপ্তাহের নেন। জামিনের মেয়াদ শেষ হলে মাহবুব দুপুরে আইনজীবীর মাধ্যমে রাজবাড়ীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ করেন।
এর আগে আদালত এ বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানকে নির্দেশে দিয়েছিলেন। এরপর ইউপি চেয়ারম্যান চলতি বছরের ২৯ জানুয়ারি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, ‘মামলার তদন্তের জন্য অভিযুক্ত গোলাম মাহাবুব রাব্বানীকে নোটিশ দিয়ে হাজির হতে বললে তিনি লোক মারফত সময় নিয়ে কালক্ষেপণ করলেও হাজির হননি। তদন্তে প্রতীয়মান হয়, যৌনপল্লিতে আসা-যাওয়ার সুবাদে কয়েক বছর আগে গোলাম মাহাবুব রাব্বানীর সঙ্গে এক যৌনকর্মীর সঙ্গে সখ্য গড়ে ওঠে এবং তাঁরা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। অতঃপর ওই যৌনকর্মীর গর্ভে একটি পুত্রসন্তান জন্মগ্রহণ করে। এ ছাড়া তিনি যৌনপল্লি থেকে অন্যত্র বসবাসের প্রলোভন দেখিয়ে মেয়েটির যৌনপল্লিতে থাকা মায়ের বাড়ি বিক্রি করাসহ ছয় লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। পরবর্তী সময়ে স্ত্রী ও সন্তানের মর্যাদা না দিয়ে তাঁকে নানাভাবে নির্যাতন করতেন।’

তবে, গোলাম মাহবুবের স্ত্রী গোয়ালন্দ পৌরসভার কাউন্সিলর আফরোজা রাব্বানী সাংবাদিকদের কাছে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, কয়েক বছর আগে দৌলতদিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জুলহাসকে দুর্বৃত্তরা হত্যা করে। জুলহাস ছিল মাহবুবের চাচাতো ভাই। এ নিয়ে দৌলতদিয়া ইউপির চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম মণ্ডলের সঙ্গে মাহবুবের বিরোধ সৃষ্টি হয়। ওই বিরোধের অংশ হিসেবে দৌলতদিয়া যৌনপল্লির একজন যৌনকর্মী দিয়ে আদালতে মিথ্যা মামলা করা হয়। যে মামলায় মাহবুবকে কারাগারে যেতে হলো।

সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) উজির আলী শেখ বলেন, যৌনকর্মীর দায়ের করা মামলায় মাহাবুব রাব্বানী উচ্চ আদালত থেকে চার সপ্তাহের জামিন নেন। জামিনের মেয়াদ শেষ হলে উচ্চ আদালত তাঁকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। মেয়াদ শেষ হওয়ায় আজ তিনি আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে আদালত তা নাকচ করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

যুক্তরাজ্যের ‘প্রথম মুসলিম’ হিসেবে সমকামী বিয়ে করেছেনে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত যুবক জাহেদ চৌধুরী। যুক্তরাজ্যের পশ্চিম মিডল্যান্ডের ওয়ালসাল শহরে জাহেদ চৌধুরী ও সিন রোগান বিয়ে করেন। মুসলিম সঙ্গীর অংশগ্রহণে এটিই যুক্তরাজ্যের প্রথম সমাকামী বিবাহ বলে দাবি করা হচ্ছে। খবর টেলিগ্রাফের।

খবরে বলা হয়, ওয়ালসাল শহরের বিবাহ রেজিস্ট্রি অফিসে পাঞ্জাবী-পাজামা পরে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন জাহেদ ও রোগান। তাদের বিয়ের ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে অনলাইনে। ওয়েস্ট মিডল্যান্ডসে বিয়ের পরে জাহেদ বলেছেন, ‘গোটা বিশ্বকে দেখাও যে তুমি চাইলে মুসলিম হয়েও সমকামী হতে পারো। ‘

বিয়ের পর ২৪ বছর বয়সী জাহেদ মিডিয়াকে বলেন, পরিবারের কাছ থেকে সহায়তা পেতেন না তিনি। তা ছাড়া স্কুলে লাঞ্ছনার শিকার হতেন জাহেদ। এমনকি স্থানীয় মসজিদে তার প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হয় বলেও জানান তিনি। পরবর্তীতে জাহেদ নিজের লিঙ্গ পরিবর্তনের চেষ্টা করেন। তার যৌণগত আচরণ পরিবর্তনের জন্য গার্লফ্রেন্ডের ব্যবস্থা করা হয়, পরিবার তাকে হজ্ব পালনে সৌদি আরবে নিয়ে যান। বাংলাদেশে এনেও ধর্মীয় নিয়ম-কানুন পালনে সচেষ্ট করা হয় তাকে। এক পর্যায়ে তিনি আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেন।

সে সময় রোগানের সাথে দেখা হয় তার। রোগানকে দেখে জীবনের মানে খুঁজে পান তিনি। তারা ২০১৫ সাল থেকে একসাথে থাকা শুরু করেন। পরবর্তীতে জাহেদ গত বছর স্বামী রোগানের জন্মদিনে তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন।

জাহেদের স্বামী ১৯ বছর বয়সী রোগান বলেন, প্রত্যেকটা পদক্ষেপে সঙ্গীর পাশে দাঁড়াবেন তিনি। তিনি বলেন, সমকামী হওয়া ভুল কিছু নয়। এটা কোন ধাপ নয়। মানুষের শুধু কিছুটা সমর্থণ দরকার।

এদিকে এ ঘটনার পর থেকে ব্রিটেনের মুসলিম কমিউনিটিতে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। অনেক মুসলিম পরিবার চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। এছাড়া বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোলপাড় শুরু হয়েছে।

উল্লেখ্য, ব্রিটেনের মুসলিম কাউন্সিল, যা ৫শ’ টিরও বেশি সংগঠন ও মসজিদের প্রতিনিধিত্ব করে, ২০১৩ সালে ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে চার্চ অফ ইংল্যান্ডের যৌন বিবাহের বৈধতার বিরোধীতা করে। এদিকে স্কটল্যান্ডে একই বিবাহের বৈধতা পায় কিন্তু উত্তর আয়ারল্যান্ডে বেআইনী হয়, যেখানে সরকার ও ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন বিরোধী দলের মধ্যে জোটের ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশের প্রেক্ষিতে প্রচারাভিযানীরা পরিবর্তনের দাবি জানাচ্ছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

মশা থেকে বাঁচতে দিনে দুপুরে এই যুবক মশারির ভিতরে গিয়ে বসে পড়েছে। ঘটনাটি আফ্রিকায়। যানা যায় আফ্রিকায় প্রতি মিনিটে ম্যালেরিয়ায় ভুগেই মারা যায় অন্তত দু’জন শিশু। তাই মশার কামড় থেকে মানুষকে বাঁচাতে সারা দিনমান কাজ করছে তাঞ্জানিয়ার ছোট্ট শহর ‘সিটি অফ মসকিটো’, অর্থাৎ ‘মশার নগর’৷

তাঞ্জানিয়ার প্রত্যন্ত এক শহর ইফাকারা। ইফাকার শব্দের অর্থ ‘যেখানে আমি মৃত্যু বরণ করি’। নামেই বোঝা যায় বসবাসের জন্য শহরটি আসলে কেমন। মানুষ যেন সেখানে জীবন উপভোগের কথা, সুখে-স্বাচ্ছ্যন্দে কিছুদিন বাঁচার কথা ভাবতেই পারে না, জন্মের পর থেকে আসল কাজই যেন মশার কামড়ে রোগাক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর অপেক্ষা করা।

সেখানে মশার কবল থেকে মানুষ বাঁচাতে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে ইফাকারা হেল্থ ইন্সটিটিউট (আইএইচআই)। তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে মশা এবং মশাবাহিত রোগে মৃত্যুহার অনেক কমেছে৷ কতটা কমেছে তা জানানোর আগে শহরটিতে মশা কত বেশি ছিল সে সম্পর্কে একটু ধারণা নেয়া যাক৷ আইএইচআই-এর গবেষক বলছিলেন, ‘‘আমি যখন এখানে কাজ শুরু করি, তখন আলোর ফাঁদ পেতে যে মশাগুলো ধরা হতো, সেগুলো গুনে শেষ করা যেত না। প্রতিদিন ওজন করা হতো। কোনো কোনো রাতে মশা সংগ্রহের ব্যাগ ভরে মশা উপচে পড়তো।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest