সর্বশেষ সংবাদ-
নানা আয়োজনে সাতক্ষীরা মুক্ত দিবস উদযাপনজাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে সাংবাদিকদের সহযোগিতা প্রয়োজন: সাতক্ষীরায় নবাগত এসপিআশাশুনির আনুলিয়া ও কাপসন্ডায় সড়ক নির্মান কাজে দুর্নীতির অভিযোগবাঁশদহে স্বেচ্ছাসেবক দলের আয়োজনে বেগম জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়াকেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতাদের বিরুদ্ধে ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত তথ্য প্রচার’: সাতক্ষীরা শহর ছাত্রদলের নিন্দাসাতক্ষীরার আপন প্রেসিডেন্ট’স স্কাউট এ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছেমুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিগাঁথা দেবহাটা মুক্ত দিবসে র‌্যালি ও আলোচনা সভাআশাশুনি বকচরে মানবতার আলোর শীতবস্ত্র বিতরণসাতক্ষীরায় ৩৪তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস পালনসাতক্ষীরায় খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় ছাত্রদলের দোয়া

নীতিমালা না মেনে ইট ভাটা নির্মাণ: দেবহাটায় ছকিনা ব্রিকসকে পরিবেশ অধিদপ্তরের নোটিশ

আসাদুজ্জামান : সাতক্ষীরায় পরিবেশ অধিদপ্তরের নীতিমালা লংঘন করে ও প্রশাসনের পূর্বানুমতি ছাড়াই দেবহাটার দক্ষিণ কুলিয়া গ্রামে বসতবাড়ি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সন্নিকটে চার ফসলি জমিতে প্রস্তাবিত ছকিনা ব্রিকস নামের ইট ভাটা নির্মাণ কাজ অব্যহত রেখেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এলাকাবাসির অভিযোগে ভিত্তিতে ভাটা মালিক মোশারফ হোসেন মুসাকে আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর বেলা সাড়ে ১১টায় খুলনা পরিবেশ অধিদপ্তরে হাজির হওয়ার জন্য নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। একই সাথে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ভাটার যাবতীয় কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশও প্রদান করা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার মধ্যম একসরা গ্রামের দ্বীন আলী গাজির ছেলে শহরের ইটাগাছা কামার পাড়া (বউ বাজার) এলাকায় বসবাসকারি নব্য কোটিপতি মোশারফ হোসেন ওরফে মুসা দেবহাটা উপজেলার দক্ষিণ কুলিয়া গ্রামে বসতবাড়ি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সন্নিকটে চার ফসলি জমিতে প্রস্তাবিত ছকিনা ব্রিকস নামে একটি ইট ভাটা নির্মাণ কাজ শুরু করেন। উচ্চমূল্যে হারির টাকা দিয়ে জমির মালিকদের প্রলুব্ধ করে তিনি ডিড নেয়ার চেষ্টা করেন। এছাড়া স্থানীয় কয়েকজন মাদকসেবি যুবকদের টাকা দিয়ে তিনি ভাটা নির্মাণের পক্ষে কাজ করাচ্ছেন। মুছার দ্বারা প্রভাবিত হয়ে তারা ডিডে স্বাক্ষর করার জন্য জমির মালিকদের উপর চাপ সৃষ্টি করছেন। একই সাথে তারা বর্গাচাষিদের জমি ছেড়ে দেয়ার জন্য হমকি দিচ্ছে। জমির ডিড না দিলে পুলিশ দিয়ে সংশ্লিষ্টদের ধরে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেয়া হচ্ছে। স্থানীয় জনগণ আপত্তি করা শর্তেও পরিবেশ অধিদপ্তরের নীতিমালা অমান্য করে ও প্রশাসনের পূর্বানুমতি ছাড়াই ইতিমধ্যে তিনি সেখানে ভাটার চিমনি ও মটর নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ করে ফেলেছেন। ভাটার বাকি কাজও দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে।
এলাকাবাসি জানান, সেকেন্দ্রা মাঠে ইটভাটা নির্মাণ করা হলে এই এলাকায় মারাত্মক পরিবেশ বিপর্যায় দেখা দেবে। এই এলাকায় আনসার আলি সরকারি প্রাইমারি স্কুল, কুলিয়া উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়, দক্ষিন কুলিয়া এবতেদায়ি মাদ্রাসা এবং কুলিয়া এলাহী বক্স দাখিল মাদ্রসা, কুলিয়া জামে মসজিদসহ কয়েকটি প্রতিষ্টান রয়েছে। এখানে ভাটা হলে কালো ধোয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। একই সাথে নষ্ট হবে এই এলাকার হাজার হাজার বিঘা জমির ফসল। এখানকার প্রতিটি জমিতে বছরে কমপক্ষে চারটি করে ফসল উৎপাদন হয়ে থাকে। এই ফসলি জমিতে ইটভাটা হলে তার ক্ষতিকর প্রভাবে সর্বশান্ত হবে এখানকার দীনমজুর, দরিদ্র কৃষক ও বর্গাচাষিরা। বসতবাড়ি ছেড়ে এলাকা ত্যাগ করতে হবে শতাধিক পরিবারের। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত হবে এলাকার প্রাণবৈচিত্র্য। বিপন্ন হবে মানুষের স্বাস্থ্য।
তারা অভিযোগ করে বলেন, ভাটা নির্মাণের ক্ষতিকর বিষয় সর্ম্পকে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকসহ স্থানীয় প্রশাসনকে লিখিতভাবে জানিয়ে কোন ফল হয়নি। প্রশাসন তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। বরং ভাটা মালিক মুসা প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দক্ষিন কুলিয়া এলাকায় ফসলি জমিতে প্রস্তাবিত ছকিনা ব্রিকস নামের ইট ভাটার নির্মাণ কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। একই সাথে ইট ভাটার বিরোধীতাকারি গ্রামবাসীদেরকে সন্ত্রাসীদের দিয়ে নানাভাবে হুমকি-ধামকি ও ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন।
এদিকে, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন মুসার ইট ভাটার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীর পক্ষে দেবহাটার দক্ষিন কুলিয়া গ্রামের মৃত হেবাজউদ্দিন গাজীর ছেলে মোঃ আজহারুল ইসলাম পরিবেশ অধিদপ্তর খুলনা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেন। এই অভিযোগের ভিত্তিতে প্রস্তাবিত ছকিনা ব্রিকস নামের ইট ভাটা মালিক মোশারফ হোসেন মুসাকে আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর বেলা সাড়ে ১১টায় খুলনা পরিবেশ অধিদপ্তরে হাজির হওয়ার জন্য নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। একই সাথে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ভাটার যাবতয়ি কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশও প্রদান করা হয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তর খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক মো. সাইদুর রহমান গত ২৯ আগস্ট তাকে এই নোটিশ প্রদান করেন। সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকেও এই নোটিশের অনুলিপি প্রদান করা হয়েছে। এরপরও তিনি ভাটার কার্যক্রম বন্ধ না রেখে দিনরাত চব্বিশ ঘণ্টা কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
এ বিষয়ে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন বলেন, আমরা তাকে ভাটা নির্মাণের কোন অনুমতি দেইনি। অভিযোগ পেয়ে সেখানে একজন অফিসারকে পাঠিয়েছিলাম কিন্তু এলাকার লোক অনেকেই ভাটার পক্ষে বিপক্ষে কথা বলেছেন। পরিবেশের অনুমতি নিয়েই ভাটার কাজ শুরু করার কথা থাকলেও এখানকার লোক উল্টোটা করে। এরপরও আমি পরিবেশ অধিদপ্তরের সাথে কথা বলবোÑ বলে তিনি জানান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশশুনির বেড়িবাঁধটি ৩ দিনেও সংস্কার হয়নি, ৫ গ্রামের মৎস্য ঘের ও ফসলি জমি প্লাবিত

আসাদুজ্জামান : সাতক্ষীরার আশাশুনির উপজেলার প্রতাপনগরের খোলপেটুয়া নদীর হরিষখালী নামক স্থানে পাউবো’র ৭/২ নং পোল্ডারে ভাঙন কবলিত বেড়িবাঁধটি গত তিন দিনেও সংস্কার করা সম্ভব হয়নি। তবে, সহস্্রাধিক এলাকাবসি বাঁধটি সংস্কারের জন্য প্রানপণ চেষ্ট চালিয়ে যাচ্ছেন। জোয়ারের প্রবল চাপে তা বার বার ভেঙ্গে যাচ্ছে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে বেড়ি বাঁধটি ভেঙ্গে যায়। বেড়ি বাঁধটি ভেঙ্গে ইতিমধ্যে প্রতাপনগর ইউনিয়নের ৫ টি গ্রামের নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ভেসে গেছে হাজার হাজার বিঘা মৎস্য ঘের ও ফসলি জমি। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে পাঁচ শতাধিক পরিবার।
স্থানীয় ইউপি মেম্বর রফিকুল ইসলাম বুলি জানান, গত তিন দিনে এলাকাবাসি সেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে বাঁধটি রক্ষার জন্য প্রাণপন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কোন রকম সংস্কার করা গেলেও খোলপেটুয়া নদীর প্রবল জোয়াররে চাপে বাঁধটি আবারও ভেঙ্গে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে ওই ইউনিয়নের প্রতাপনগর, হরিষখালি, মান্দারবাড়িয়া, তালতলা ও বন্যাতলানমাক ৫ টি গ্রামের নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এলাকাবাসি রোববার সকাল থেকেআবারও বাঁধটি সংস্কারের চেষ্টা চালাচ্ছেন। বাঁধটি সংস্কার করা না গেলে রাতের মধ্যে আরও নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হবে বলে তিনি আরো জানান।
প্রতাপনগর ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন জানান, গত তিনদিনে পাঁচটি গ্রামের হাজার হাজার বিঘা মৎস্য ঘের ও ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে পাঁচ শতাধিক পরিবার। ইতিমধ্যে কাঁচা ঘরবাড়ি ভাঙতে শুরু করেছে।
এ ব্যাপারে সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মোঃ মহিউদ্দীন জানান, ভাঙন কবলিত বেড়িবাঁধ সংস্কারের জন্য ইতিমধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শ্যামনগরে পরিবারের ১০সদস্যকে অচেতন করে ৯ম শ্রেণির মাদ্রাসা ছাত্রী উধাও!

শ্যামনগর ব্যুরো : শ্যামনগরে পরিবারের ১০জনকে চেতনাশক ঔষধ সেবন করিয়ে প্রেমিকের সাথে অজানারা উদ্দেশ্যে পাড়ি জমিয়েছে এক মাদ্রাসার ছাত্রী। স্থানীয় সূত্রে প্রকাশ, গত ৯ সেপ্টেম্বর বিকালে শংকরকাটি বাজার সংলগ্ন দেওল গ্রামে হাজী আবুল কাশেমের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। হাজী আবুল কাশেমের ছেলে জহুরুল ইসলামের কন্যা জুলেখা আক্তার আখি (১৫) খাবারের সাথে চেতনাশক ঔষধ মিশ্রত করলে উহা খেলে তাদের মেহমানসহ পরিবারের ১০ জন পর্যায় ক্রমে অচেতন হয়ে পড়ে। অচেতন হয়ে পড়েন- হাজী আবুল কাশেমের পুত্র জহুরুল ইসলাম (আখির পিতা),আব্দুল কাদের(৩৭),পুলিশ কর্মকর্তা আব্দুল হাকিম(৩৫), সাইফুল ইসলাম বাচ্চু(২০),পৌত্র হোসাইন(৮), মহিলা সহ অপর ২ জন মেহমান। স্থানীয়রা রাতে তাদের কে উদ্ধার করে শ্যামনগর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন। এ সুযোগে শংকরকাটি দাখিল মাদ্রাসার ৯ম শ্রেণির ছাত্রী জুলেখা আক্তার আখি বাড়ি থেকে চলে যায়। গুমানতলী গ্রামের দাউদ আলীর পুত্র মোহন আলীর সাথে আখির প্রেমজ সম্পর্ক থাকায় দু‘জনই নিখোঁজ রয়েছে। আখির পরিবার জানিয়েছেন মোহনই তার মেয়ে কে নিয়ে নিখোঁজ রয়েছে। স্থানীয়রা আরো জানান, কাশিমাড়ীর ধোনাই সরদারের পুত্র রাজগুলের মটর সাইকেলে একটি মেয়ে ও একটি ছেলে দ্রুত চলে যেতে দেখেছে। এ ব্যাপারে কাশিমাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান(ভারপ্রাপ্ত) জাহাংগীর কবীর লাকী জানান, আমি এ ধরনের ঘটনা পথিমধ্যে জানার পরে জানতে পারলাম তারা সবাই শ্যামনগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। শ্যামনগর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডাঃ আনিসুর রহমান জানান, এ রোগীদের অবস্থার উন্নতির দিকে রয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে রঙিন মাছ: রপ্তানি হচ্ছে বিদেশেও

আসাদুজ্জামান : সাতক্ষীরা জেলায় এবার বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে রঙিন মাছের। শখের বষে প্রথমে রঙিন মাছের চাষ শুরু করেন সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার সাইফুল ইসলাম। এই রঙিন মাছ চাষ করে পাল্টে গেছে তার জীবন জীবিকা। অর্থ উপার্জনের পাশাপাশি তাকে দেশব্যাপী পরিচিতিও এনে দিয়েছে। এখন তাকে সবাই চেনেন ‘রঙিন মাছের কারিগর’ হিসেবে।
কলারোয়া উপজেলার ব্রজবক্স গ্রামের সাইফুল ইসলাম জানান, সংসারের অভাবের তাড়না থাকলেও শখ তার পিছু ছাড়েনি। নানা সংকটের মাঝেও তিনি রঙিন মাছ চাষ করেছেন। ২০০৪ সালে এক বন্ধুর সহায়তায় প্রথমে তিনি ছয় জোড়া রঙিন মাছ ৬২০ টাকায় ক্রয় করে এই মাছ চাষ শুরু করেন। এক সময় তিনি শখের বসে রঙিন মাছ চাষ করলেও পরে একটি বেসরকারি সংস্থা থেকে তিনি ৫০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে পুকুর ইজারা নিয়ে রঙিন মাছ চাষের পরিধি বাড়ান। আজ তার মূলধনই প্রায় ২৫ লাখ টাকা।
সাইফুল ইসলাম জানান, এক সময় তার আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। অভাবের কারণে ভারতে গিয়েছিলেন কাজের সন্ধানে। সেখানে একটি রঙিন মাছ উৎপদনকারী প্রতিষ্ঠানে খুব কম বেতনে চাকরি শুরু করেন। বিদেশে ভালো না লাগায় কিছু দিন পর তিনি দেশে ফিরে আসেন। সংসার চালাতে রাজধানীর মিরপুরে একটি তৈরি পোশাক কারখানায় কাজ শুরু করেন। কিন্তু ওই বেতনে বাসাভাড়া দিয়ে সংসার চলে না। ফিরে আসেন তিনি গ্রামে। এক বন্ধুর সহায়তায় প্রথমে তিনি ছয় জোড়া রঙিন মাছ নিয়ে চাষ শুরু করেন। এভাবেই ধীরে ধীরে আজ তিনি বড় জায়গায় এসে পৌঁছেছেন।
সাইফুল ইসলাম আরো জানান, ২০১৪ সালে পুকুর ইজারা নিয়ে বেশি করে রঙিন মাছ চাষ শুরু করেন। বিশেষ পদ্ধতিতে উৎপাদন করা কমেট, কই কার্প, গোল্ড ফিস, অরেন্ডা, মিল্কি, সিল্কি কই কার্প, কিচিং গোরামিনসহ ২০ থেকে ২৫ প্রজাতির রঙিন মাছ তার পুকুরে উৎপাদন হচ্ছে। এই মাছ রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি হয়।
তিনি জানান, এক সময় এ সব মাছ বিদেশে থেকে আমদানি করতে হতো। কিন্তু এখন তার হ্যাচারিতে উৎপাদন করা মাছ সাতক্ষীরার চাহিদা পূরণ করে দেশের বিভিন্ন স্থানে যাচ্ছে। রঙিন মাছের জন্য দেশের সবচেয়ে বড় বাজার রাজধানীর কাঁটাবনের ব্যবসায়ীদের অনেকেই তর কাছ থেকে রঙিন মাছ নিয়ে যান।
বিশেষ পদ্ধতিতে মাছের রঙ পরিবর্তনও করার কথাও উল্লেখ করেন সাইফুল ইসলাম। রঙ বদলিয়ে সিল্কি নামের একটি মাছ তৈরি করেন তিনি। অনেকটা জরির মতোই দেখতে। সে জন্যই নাম দিয়েছেন সিল্কি। রঙ পরিবর্তন করা এ মাছের চাহিদাও রয়েছে।
তিনি আরো জানান, বর্তমানে ১৬টি পুকুর ইজারা নিয়ে তিনি রঙিন মাছ চাষ করছেন। প্রতিটি মাছ সর্বনিম্ন ১২ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১২০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। এই ব্যবসাকে ঘিরেই বড় ছেলের নামে ‘রেজা অ্যাকুরিয়াম ফিস’ নামের একটি আলাদা প্রতিষ্ঠানও তিনি শুরু করেছেন। এক সময় তিনি অন্যের শ্রমিক ছিলেন। এখন তার অধীনে ২৫ জন শ্রমিক কাজ করছেন।
সাফুল ইসলাম জানান, উৎপাদন বাড়িয়ে দেশে রঙিন মাছের চাহিদা মেটানো সম্ভব। সহজ শর্তে ব্যাংক ঋণ পেলে এ ব্যবসা আরও সম্প্রসারণের সুযোগ রয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতা পেলে ব্যাপকভাবে রঙিন মাছ চাষ করে বিদেশে রফতানি করা সম্ভব হবে। তার মতো অনেকেই এখন রঙিন মাছ চাষ শুরু করেছেন।
সাইফুলের স্ত্রী জেসমিন সুলতানা জানান, ২০০৪ সালে স্বামীর সঙ্গে মাছ চাষে সহযোগিতা করে আসছেন। তাদের উৎপাদন করা মাছ রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যাচ্ছে।
সাতক্ষীরা শহরের সুলতানপুর এলাকার অ্যাকুয়ামিয়ামে রঙিন মাছ সংগ্রহকারী মুবাশ্বের হোসেন জানান, রঙিন মাছ দেশে উৎপাদন হওয়ায় অ্যাকুয়ারিয়ামে এই মাছ আমদানি অনেকটাই কমে এসেছে। এই খাতে দেশ ধীরে ধীরে স্বয়ংসম্পূর্ণ হচ্ছে।
সাতক্ষীরা সুলতানপুর বড় বাজারের নাহার এন্টার প্রাইজের সত্ত্বাধিকারী আজমল হক জানান, সাইফুল ইসলাম রঙিন মাছ উৎপদন করার পর থেকে এখন খুব একটা বিদেশ থেকে এই মাছ আমদানি করতে হচ্ছে না। এছাড়া তার মাছ টেকসই ও প্রতিকূল আবহাওয়ার কারনে এটি অনেক সময় টিকে থাকে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশাশুনিতে ইজিবাইকের চাকায় পিষ্ট হয়ে শিশুর মৃত্যু

আসাদুজ্জামান : সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার তুয়ারডাঙ্গা গ্রামে ইজিবাইকের চাঁপায় পিষ্ট হয়ে সাহেব আলি (৫) নামে এক শিশু নিহত হয়েছে। রোববার দুপুরে খাজরা ইউনিয়নের তুয়ারডাঙ্গা বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। নিহত শিশু তুয়ারডাঙ্গা গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, শিশু সাহেব আলি রাস্তার পাশে খেলা করছিল। এ সময় দ্রুত গতি সম্পন্ন একটি ইজিবাইক তাকে চাঁপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে শিশুটি মারা যায়। পরে স্থানীয় এলাকাবাসি ইজিবাইকটি জব্দ করেছে। এদিকে, তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসছে।
আশশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিদুল ইসলাম শাহিন এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, শিশুটির লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রাম রহিমের ঘর থেকে মহিলা হোস্টেল পর্যন্ত গোপন সুড়ঙ্গ!

ভারতের কথিত ধর্মগুরু গুরমিত রাম রহিমের ব্যক্তিগত আবাস থেকে একটি সুড়ঙ্গের সন্ধান পাওয়া গেছে। ডেরা থেকে সুড়ঙ্গটি চলে গেছে সোজা সাধ্বী নিবাসের দিকে। বাইরে থেকে বোঝার কোনো উপায় নেই। এই গোপন পথের সন্ধান মিলল সিরসার ডেরায়। এটা ছাড়াও আরো একটা সুড়ঙ্গের হদিশ পেয়েছে গতকাল থেকে তল্লশি চালানো টিম।

হরিয়ানা সরকারের মুখপাত্র সতীশ মিশ্র জানিয়েছেন, “আমরা জানলার মতো চৌকোনা একটা সুরঙ্গপথ পেয়েছি যেটা ডেরা আবাস থেকে সাধ্বী নিবাস পর্যন্ত গিয়েছে।” দ্বিতীয় সুড়ঙ্গটা ডেরার ভিতর থেকে শুরু হয়ে পাঁচ কিলোমিটার বাইরে গিয়ে শেষ হয়েছে। এটা পুরোটাই মাটির। সম্ভবত দরকারে পালানোর পথ হিসেবেই এটা তৈরি রাখা হয়েছিল, মনে করছে পুলিশ।

শনিবার ছিল সিরসার ডেরা সচ্চা সৌদার সদর দফতরে পুলিশি তল্লাশির দ্বিতীয় দিন। এ দিনের তল্লাশিতে আস্ত একটি বিস্ফোরক কারখানার খোঁজ মিলেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে ৮০ কার্টুনের বেশি বিস্ফোরক। তল্লাশি অভিযান শুরুর ঘণ্টা খানেকের মধ্যেই খোঁজ মেলে কারখানাটির।

পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, এখানে বহু দিন ধরে তৈরি করা হত বিস্ফোরক। কারখানাটি সিল করে দেয়া হয়েছে। তদন্তের কাজে লাগানো হয়েছে রুরকি থেকে আসা ফরেন্সিক দলকে। বিস্ফোরকের প্রকৃতি এবং তা কতটা শক্তিশালী সে সব পরীক্ষা করা দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি, কারখানায় তৈরি বিস্ফোরক বাইরে বিক্রি করা হত কি না, সে বিষয়টিরও তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

জোড়া ধর্ষণ কাণ্ডে ‘রকস্টার বাবা’ গুরমিত রাম রহিম সিংহ জেলে যাওয়ার পর থেকেই সিরসায় ডেরার সদর দফতরে হানা দেয়া হবে বলে জানিয়েছিল পুলিশ। পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টের নির্দেশে ৭০০ একরের ডেরা চত্বরে তল্লাশি গতকাল থেকেই শুরু হয়েছে। তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ এবং সরকারি নানা বিভাগের ১০টি দল। রয়েছে ৪১ কোম্পানি আধাসামরিক বাহিনী, ফরেন্সিক দলও। পুরো বিষয়টি ভিডিও করে রাখতে লাগানো হয়েছে ৬০টিরও বেশি ক্যামেরা।

প্রথম দিনের তল্লাশিতে মিলেছিল ১ টাকার নীল, ১০ টাকার কমলা রঙের প্লাস্টিকের কয়েন। মিলেছে ১২০০টা নতুন নোট। বাতিল পাঁচশো-হাজারের ৭০০০টা নোট। পাওয়া গেছে ১৫০০ জোড়া জুতো, তিন হাজারেরও বেশি ডিজাইনার জামাকাপড়!

বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে অজস্র ল্যাপটপ, হার্ড ড্রাইভ। ডেরার সদর দফতরে বহু লাশ পোঁতা রয়েছে বলেও খবর মিলেছে। সে জন্য ইতিমধ্যেই জেসিবি মেশিন এনে মাটি খোঁড়া শুরু করেছে পুলিশ।

নিরাপত্তার খাতিরে এ দিনও তল্লাশির সময়ে জেলায় মোতায়েন রয়েছেন পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ। গতকালের মতো এ দিনও ডেরা সদর দফতরের বাইরে রয়েছে ডগ স্কোয়াড। রয়েছে বম্ব স্কোয়াড, দমকল, অ্যাম্বুল্যান্সও।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রোহিঙ্গা সংকট: বাংলাদেশের প্রচেষ্টার প্রশংসা যুক্তরাষ্ট্রের

মিয়ানমার থেকে আসা ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে মানবিক সহায়তা দেয়া ও সহায়তা পৌঁছানোর এই প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখায় বাংলাদেশের প্রশংসা করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

একই সাথে এক বিবৃতিতে রাখাইনে সন্ত্রাসী হামলা ও গ্রামগুলোতে ব্যাপক অগ্নিকাণ্ডের মতো ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের পটভূমিতে প্রায় ২ লাখ ৭০ হাজার রোহিঙ্গার বাংলাদেশে এসেছে বলে জাতিসংঘ যে খবর দিয়েছে তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দেশটি।

স্টেট ডিপার্টমেন্টের এক বিবৃতিতে বলা হয় বিষয়টি নিয়ে তারা জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন, রেডক্রসসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে।

বিবৃতিতে জানানো হয় ২০১৬ সালের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত ঝুঁকিপূর্ণ মানুষের মানবিক সহায়তায় এ পর্যন্ত প্রায় ৬৩ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দেয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার মুখপাত্র ভিভিয়ান ট্যান ৮ই সেপ্টেম্বর জানিয়েছিলেন গত দু সপ্তাহে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে ২ লাখ ৭০ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী।

মাত্র দুদিন আগেও জাতিসংঘের কর্মকর্তারা সর্বশেষ দফায় আসা শরণার্থীর সংখ্যা এক লাখ ৬২ হাজার বলে উল্লেখ করছিলেন।

মাত্র দুই দিনের ব্যবধানে শরণার্থীর সংখ্যা এক লাখ বেড়ে যাওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে ভিভিয়ান ট্যান বলেন, গত দুই দিনে তারা বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয়া আরও অনেক শরণার্থীদের সন্ধান পেয়েছেন, যাদের কথা তারা আগে জানতেন না।

তিনি বলেন, “সেপ্টেম্বরের ছয় ও সাত তারিখে জাতিসংঘের সব সংস্থা এবং বিভিন্ন এনজিওর একটি যৌথ দল সীমান্তের যেসব এলাকায় শরণার্থীরা এসেছে বলে খবর পাওয়া গেছে সেসব এলাকায় গেছে। সেসময় তারা অনেক নতুন শরণার্থী দলের সন্ধান পেয়েছেন। এসব শরণার্থীরা মূলত আছে বিভিন্ন সীমান্তবর্তী গ্রামে। তারা যেখানেই থাকার মতো জমি পেয়েছে, সেখানেই থাকছে।”

শরণার্থীদের যেভাবে স্থানীয় গ্রামবাসীরা আশ্রয় দিচ্ছেন তার প্রশংসা করে ভিভিয়ান ট্যান বলেছিলেন, তারা যথেষ্ট উদারতার পরিচয় দিচ্ছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ঋতুপর্ণার সঙ্গে প্রথম জুটি বাঁধছেন শুভ

প্রথমবারের মতো কলকাতার অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের সঙ্গে জুটি বাঁধছেন নায়ক আরিফিন শুভ। ‘একটি সিনেমার গল্প’ শিরোনামের ছবিটি পরিচালনা করছেন নায়ক আলমগীর। এফডিসিতে মহরতের মধ্য দিয়ে গতকাল শনিবার ছবির শুটিং শুরু হয়। মহরত শেষে আরিফিন শুভ জানান, ঋতুপর্ণার সঙ্গে অভিনয় করে অনেক কিছু শিখতে পারবেন তিনি।

শুভ বলেন, ‘ঋতুপর্ণার সাথে আমার কোনো কাজ করা হয়নি, তার মানে এমন নয় যে আমাদের দেখা হয়নি, আমাদের দেখা হয়েছে, অনেক আড্ডাও হয়েছে। বলতে পারেন আমাদের মাঝে সুন্দর একটা সম্পর্ক আছে। তিনি অনেক অভিজ্ঞ শিল্পী, এমন অভিজ্ঞতাসম্পন্ন মানুষের সাথে আমি সব সময়ই কাজ করতে চাই। আমি মনে করি ঋতুপর্ণার কাছে অনেক কিছু শেখার আছে।’

ছবির পরিচালক ও অভিনেতা আলমগীর সম্পর্কে শুভ বলেন, ‘নতুন ছবি শুরু হলে এমনিতেই ভালো লাগে। সেই ছবিটি যখন আমাদের চলচ্চিত্রের আইকন আলমগীর স্যারের মতো মানুষ পরিচালনা করেন, তখন আগ্রহ আরো বেড়ে যায়। আমি অনেক আশাবাদী ভালো একটি কাজের সাথে যুক্ত হতে পেরেছি। এই ছবিকে ভালো বলছি কারণ আলমগীর স্যার অনেক অভিজ্ঞ শিল্পী। তিনি চলচ্চিত্র বোঝেন।’

ছবিতে নিজের চরিত্র নিয়ে কিছু বলতে চাননি শুভ, শুধু বললেন, ‘এটা একটা সিনেমা তৈরির গল্প। আমরা যারা শিল্পী হিসেবে চলচ্চিত্রে কাজ করি, তাদের নিজেদের একটা জীবন আছে। আমরা যেহেতু রক্ত মাংসের মানুষ, তাই আমাদের দুঃখকষ্ট, ভালোবাসা সবই আছে। এসবই এই ছবির গল্পের মধ্য দিয়ে উঠে আসবে।’

ছবিটির শুটিং হবে আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। তারপর কিছুদিন বিরতি দিয়ে অক্টোবরে শুরু হবে পরের ধাপের শুটিং। আলমগীর, চম্পা, আরিফিন শুভ, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত ছাড়াও আরো অনেক পরিচিত মুখ অভিনয় করবেন ছবিটিতে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest