সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরায় প্রকাশ্যে চেতনানাশক স্প্রে করে এক নারীর গহনা ও মোবাইল ছিনতাইসাতক্ষীরায় উপকূলীয় এলাকায় ক্রীড়া উৎসব১২ নভেম্বরকে ‘উপকূল দিবস’ ঘোষণার দাবিসড়ক দুর্ঘটনায় আহত জামায়াতে ইসলামী সাতক্ষীরা জেলা সেক্রেটারিসাতক্ষীরা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির নির্বাচন : জামায়াত সমর্থিত ৫টি পদে বিজয়সাতক্ষীরায় মুক্তিযোদ্ধার সনদ জালিয়াতির অভিযোগে চাকুরিচ্যুত দুই শিক্ষক ভ্রাতা চাকুরি ফিরে পেতে মরিয়াসাতক্ষীরায় অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকদের দ্রুত এমপিওর জন্য মতবিনিময় Master Your Game with These Winning Strategies at Kyngs Casinoসাতক্ষীরার চারটি আসনই ধানের শীষে ভোট দিয়ে বিজয়ী করতে হবে – হাবিবুল ইসলামসাতক্ষীরা সদরের দত্তবাগ টাইগার ক্লাবের নাইট ক্রিকেট টুর্ণামেন্টের উদ্বোধন

আশাশুনিতে যুবদল সভাপতি বুলি আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক : আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি রফিকুল ইসলাম বুলিকে (৪০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার তালতলা বাজার থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

এ ব্যাপারে আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিদুল ইসলাম শাহিন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ তালতলা বাজারে অভিযান চালিয়ে রফিকুল ইসলাম বুলিকে গ্রেফতার করেছে। তার বিরুদ্ধে নাশকতাসহ একাধিক মামলা রয়েছে বলেও জানান ওসি।

রফিকুল ইসলাম প্রতাপনগর ইউনিয়নের কুড়িকাউনিয়া গ্রামের বাসিন্দা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ফেসবুক গুগল

মার্কিন শক্তির অন্যতম ভিত্তি তরুণরা। যার অধিকাংশই প্রবাসী।
দেশটিতে অনিবন্ধিত তরুণ অভিবাসীদের সুরক্ষাসংক্রান্ত নীতিও রয়েছে। যাকে বলা হয় ‘ড্রিমার’। কিন্তু প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময়ই ‘ডাকা’ বা ‘ড্রিমার’ প্রকল্প বাতিলের অঙ্গীকার করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ প্রকল্প মঙ্গলবার বাতিল ঘোষণা করে বিতর্কের ঝড় তুলেছেন ট্রাম্প। ‘ড্রিমার’ প্রকল্প বাতিলের প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি শহরে বিক্ষোভ হয়েছে। ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্তের বিপক্ষে একাট্টা হয়ে প্রচারণা শুরু করেছে ফেসবুক, গুগল, অ্যাপল ও আমাজনের মতো ‘জায়ান্ট’ প্রতিষ্ঠানগুলো। ‘ড্রিমার’ প্রকল্প বাতিলের ফলে দুই বছর ছাড়ের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর কাজ বা পড়ালেখার সুযোগ হারাবেন অন্তত ৮ লাখ অভিবাসী তরুণ। সিদ্ধান্তটির বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের দুই টেক-জায়ান্ট অ্যাপল ও মাইক্রোসফট। নিজেদের অভিবাসী কর্মীদের সুরক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ‘ড্রিমার’ প্রকল্প বহাল রাখতে কংগ্রেসের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে অ্যাপল ও মাইক্রোসফট। মাইক্রোসফটের সভাপতি ব্রাড স্মিথের কাছে কর সংস্কারের চেয়েও ‘ড্রিমার’ প্রকল্পের গুরুত্ব বেশি। এখানেই শেষ নয়। যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকশ বড় ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান গতকাল একটি খোলা চিঠি পাঠিয়েছে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে। এ চিঠিতে ‘ড্রিমার’ প্রকল্প বহাল রাখার আহ্বান জানিয়েছেন এসব প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা। ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ ও প্রধান অপারেটিং অফিসার শেরিল স্যান্ডবার্গ, অ্যাপলের প্রধান নির্বাহী টিম কুক, আমাজনের চেয়ারম্যান জেফ বেজোস, গুগলের প্রধান নির্বাহী সুন্দর পিচাইয়ের সই রয়েছে সেই চিঠিতে। ফেসবুকে ৯ কোটি ৬০ লাখ অনুসারী রয়েছেন জুকারবার্গের। বুধবার সামাজিক এ যোগাযোগ মাধ্যমে ‘লাইভ’-এ আসেন তিনি। ‘ড্রিমার’ প্রকল্প বাতিলের বিপক্ষে অনুসারীদের সঙ্গে নিয়ে প্রতিবাদ জানান তিনি। ৪৫ মিনিটব্যাপী এ প্রচারণায় জুকারবার্গের সঙ্গে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত তিনজন অবৈধ (কাগজপত্র ছাড়া) অভিবাসী। ২০১২ সালে ‘ড্রিমার’ প্রকল্প চালু করেছিলেন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। এ প্রকল্পের আওতায় সুরক্ষা পেয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে আসা প্রায় আট লাখ অবৈধ অভিবাসী। ট্রাম্প প্রশাসনের এ প্রকল্প বাতিল করার সিদ্ধান্তকে ‘নিষ্ঠুর’ ও ‘ভুল’ হিসেবে অভিহিত করেছেন ওবামা। ইউএসএ টুডে, এবিসি, সিএনএন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ক্যানসার প্রতিরোধ করে লাল চা!

অনেকের কাছেই রং চা বা লাল চা বেশি পছন্দের নয়। স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকি থাকলেও দুধ চা পান করতেই বেশি পছন্দ করি আমরা। কিন্তু প্রতিদিন রং চা পান করলে শরীরের অনেক উপকার হয়।

রং চায়ে পলিফেনল নামের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে যা আমাদের শরীরের কোষকে উজ্জীবিত করে। এছাড়াও শরীরের ডিএনএ অক্ষত রাখে এই রং চা। আসুন জেনে নেয়া যাক রং চায়ের অজানা সব উপকারিতা সম্পর্কে-

১. কার্ডিওভাস্কুলার স্বাস্থ্যের জন্য ভাল:
লাল চা হার্টের জন্য ভালো। গবেষণায় বলা হয়, লাল চা খাওয়া কার্ডিওভাসকুলার সমস্যা প্রতিরোধে সাহায্য করে। এর মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের জারিত হওয়া প্রতিরোধে কাজ করে। নিয়মিত লাল চা খেলে হৃৎপিণ্ড ভালো রাখে।

২. মুখের স্বাস্থ্য ভালো রাখে:
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মুখের ক্যানসার প্রতিরোধ করে। এর মধ্যে থাকা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান দাঁতের ক্ষয় তৈরি কারী ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ করে। এছাড়া এর মধ্যে থাকা ফ্লোরাইড মুখের দুর্গন্ধ দূর করে।

৩. হজম ভালো করে:
লাল চায়ের মধ্যে থাকা ট্যানিন হজম প্রক্রিয়াকে সাহায্য করে। এটি অন্ত্রের সমস্যা এবং গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার সঙ্গে লড়াই করে। লাল চা অন্ত্রের প্রদাহ প্রতিরোধেও কাজ করে।

৪. এস্থেমা:
লাল চায়ের মাঝে এমন কিছু ক্যাফেইন রয়েছে, যা এস্থেমার রোগীদের জন্য অনেক উপকারী। এতে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা ফুসফুসের শ্বাস নেয়ার কষ্ট দূর করে।

৫. ক্যানসার প্রতিরোধে:
লাল চায়ের মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রেক্টাল, জরায়ুর ক্যানসার, ফুসফুস ও ব্লাডার ক্যানসার প্রতিরোধ করে। এটি স্তন ক্যানসার, প্রোস্টেট ক্যানসার ও পাকস্থলীর ক্যানসারও প্রতিরোধে কাজ করে।

৬. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়:
লাল চা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এর মধ্যে থাকা ট্যানিন ফ্লু, ঠান্ডা, ইনফ্লুয়েঞ্জা আক্রমণ থেকে দেহকে সুরক্ষা দেয়। চার কাপ লাল চা প্রতিদিন গ্রহণ করলে প্রদাহ কমে।

৭. মস্তিষ্ক ও স্নায়ু পদ্ধতিকে উদ্দীপ্ত করে:
লাল চা রক্তের পরিবহনকে উন্নত করে। এটি মস্তিষ্ককে শিথিল করতে সাহায্য করে এবং কাজে মনোযোগ বাড়ায়। প্রতিদিন চার কাপ লাল চা খেলে মানসিক চাপ কমে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
চিনি নয়, এ যেন সাদা মৃত্যু!

চিনির স্বাদ মিষ্টি হলেও এটি শরীরের জন্য এক প্রকার বিষ বলা চলে। চিনি জাতীয় কোন খাবার গ্রহণ করার সাথে সাথে আমাদের শরীরের বেটা এন্ডরফিন নামের একটি উপাদানের গতি আরও দ্রুততর হয়।

এটি সরাসরি মস্তিষ্কে পৌঁছে বলে আমাদের শরীরেও প্রশান্তি বয়ে যায়। কিন্তু এই চিনি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য কতটা ক্ষতিকর আসুন জেনে নেয়া যাক-

১) পেশীর প্রোটিনে আক্রমণ করে: অতিরিক্ত চিনি খেলে শরীরে গ্লুকোজ-৬ ফসফেট এর পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। এতে করে পেশীর প্রোটিনে পরিবর্তন আসে। এতে করে হার্ট দুর্বল হয়ে যায় এবং হার্ট অ্যাটাকের কারণ হয়ে দাড়ায়।

২) বয়স বৃদ্ধি করে: ২০০৯ সালের একটি জরিপ থেকে জানা যায়, চিনি খাওয়ার ফলে টিস্যু এবং মস্তিষ্কের বয়স বৃদ্ধি পায়।

৩) লিভারের সর্বনাশ করে: মাত্রাতিরিক্ত চিনি খাওয়া অভ্যাস লিভারকে অতিরিক্ত কাজ করতে বাধ্য করে। বলাই বাহুল্য যে অতিরিক্ত কাজের ফলে লিভারের ফাংশনে জটিলতা তৈরি হয়। এতে লিভারের কার্যক্ষমতা নষ্ট পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে।

৪) প্যানক্রিয়েটিক ক্যান্সারের জন্য দায়ী: মাত্রাতিরিক্ত চিনি গ্রহণ করলে তার ফলে প্যানক্রিয়েটিক ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

৫) ইনসুলিন হরমোনের কার্যকারিতা নষ্ট করে: খাবারকে দেহের ব্যবহারযোগ্য এনার্জিতে রূপান্তর করতে সহায়তা করে ইনসুলিন হরমোন। অতিরিক্ত চিনি খাওয়া দেহে এই হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে। দেহে ইনসুলিনের মাত্রা কমে বা বেড়ে গেলে মারাত্মক সব শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।

৬) বাতের ব্যথা বাড়ায়: চিনিতে আছে ইউরিক অ্যাসিড, যা যে কোন ধরণের বাতের ব্যথার সমস্যা বৃদ্ধি করতে ভূমিকা রাখে। বিশেষ করে গেটে বাতের জন্য চিনি এক সর্বনাশের নাম।

৭) কিডনির রোগ বাড়ায়: অতিরিক্ত চিনি, বিশেষ করে কোমল পানীয়ের সাথে গ্রহণ করা বাড়তি চিনি কিডনির রোগের জন্য দায়ী। -সূত্রঃ টাইম্‌স ফুড।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ধূমপান করলে চিরতরে দৃষ্টিশক্তি হারাবে!

ধূমপান স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। জানেন সকলেই। কিন্তু, সুখটানের আকর্ষণ এড়াতে পারেন না অনেকেই। তবে এবার বোধহয় সাবধান হয়ে যাওয়াই ভাল। এইমসের চিকিৎসকরা জানিয়েছে, ক্যানসারই নয়, দীর্ঘদিন ধরে বিড়ি, সিগারেট খেলে চিরতরে দৃষ্টিশক্তি হারাতে হতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে চিকিৎসা করেও দৃষ্টিশক্তি আর ফেরানো যায় না। এ খবর প্রকাশ করেছি ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সংবাদ প্রতিদিন।

সাধারণভাবে স্কুল বা কলেজে পড়ানোর সময়ে নেহাতই কৌতুহলবশে কিংবা বন্ধুদের পাল্লার পড়ে ধূমপান করা শুরু করেন বেশিরভাগ যুবক-যুবতী। পরবর্তীকালে নেশার কবলে পড়ে যান তাঁরা। চেষ্টা করেও ধূমপানের নেশা আর ছাড়তে পারেন না অনেকেই। কিন্তু, নেশা যতই থাকুক না কেন, শরীরের কথা চিন্তা করে ধূমপান যে বর্জন করা উচিত, সেকথা ফের একবার স্মরণ করিয়ে দিলেন দিল্লির এইমস হাসপাতালের চিকিৎসকরা।

চিকিৎসকরা বলছেন, গবেষণায় দেখা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে যাঁরা বিড়ি, সিগারেট খান বা তামাক জাতীয় দ্রব্যের নেশা করেন, তাঁদের চোখে ছানি পড়ার আশঙ্কা অনেকটাই বেশি।

এমনকী, ৫-১০ বছর বা তার বেশি ধরে যাঁরা ধূমপান করছেন বা তামাকজাত দ্রব্য চিবোচ্ছেন, তাঁদের চোখের স্নায়ুর ক্ষতি হতে পারে। সেক্ষেত্রে অন্ধত্ব অস্বাভাবিক কিছু নয়। বস্তুত, সিগারেট, বিড়ি বা তামাকজাত দ্রব্য থেকে যে হৃদরোগ ও ক্যানসারের সম্ভাবনা বাড়ে, একথা তো সকলে জানেন। আর সেক্ষেত্রেও দৃষ্টিশক্তি হারানোর আশঙ্কা আছে বলে জানিয়েছে চিকিৎসকরা। জানা গিয়ে্ছে, এখনও পর্যন্ত দিল্লির এইমস হাসপাতালে যতজন দৃষ্টিশক্তিহীন রোগী এসেছেন, তাঁদের পাঁচ শতাংশ তামাকের কারণেই দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু-র পরিংসখ্যান বলছে, সারা বিশ্বের ২০ শতাংশ দৃষ্টিহীন মানুষের বাস ভারতে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ছানির কারণেই দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন তাঁরা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মেক্সিকোতে ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প, সুনামী সতর্কতা

মেক্সিকোর দক্ষিন উপকূলে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত করেছে। আজ শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০:৪৯ মিনিটের দিকে এ ঘটনা ঘটে। মার্কিন ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা জানিয়েছে, ওই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৮। ভূমিকম্প আঘাত হানার পর আশেপাশের ৭টি দেশে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়।

এদিকে ভূমিকম্পে দেশটির রাজধানীতে ভবন ধসের ঘটনা ঘটেছে। মার্কিন ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা জানিয়েছে, ভূমিকম্প-প্রবণ লাতিন আমেরিকার ওই দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমে পিজিজিআন শহরে ওই ভূমিকম্প আঘাত হানে। ইউএসজিএস জানায়, এর মাত্রা ছিল ৩৩ কিলোমিটার (২১ মাইল) দক্ষিণ-পশ্চিমে ২৫ কিমি (৭৬ মাইল) গভীরে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
এ দফায় রোহিঙ্গা শরণার্থীর সংখ্যা তিন লাখ ছাড়াতে পারে

বাংলাদেশের ভেতর মিয়ানমার থেকে পালানো রোহিঙ্গাদের ঢল অব্যাহত রয়েছে এবং আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থাগুলো ধারণা করছে, শরণার্থীর সংখ্যা তিন লাখ ছাড়িয়ে যেতে পারে। এদের আশ্রয় বা খাবার জোগাড়ে প্রশাসন হিমশিম খাচ্ছে।

এই রোহিঙ্গাদের বড় অংশই রাস্তার ধারে বা খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছে। বাংলাদেশের সরকার নতুন আসা এই রোহিঙ্গাদের তালিকা নিবন্ধনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে যাতে তারা দেশের অন্যত্র ছড়িয়ে না পড়ে।

রোহিঙ্গাদের এই স্রোত কোথায় গিয়ে ঠেকবে, তা নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে উদ্বেগ রয়েছে। তবে সীমান্ত পরিস্থিতি এবং রোহিঙ্গাদের আসার ধারা পর্যালোচনা করে জাতিসংঘ, বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি এবং রেড ক্রসসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো আশংকা প্রকাশ করেছে যে, এই দফায় শরণার্থীর সংখ্যা তিন লাখ ছাড়িয়ে যেতে পারে।

ঢাকায় বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির মুখপাত্র দিপায়ন ভট্টচার্য বলেছেন, “আপনি যদি গত বছর মিয়ানমারের নাগরিকদের বাংলাদেশে ঢোকার প্রবণতা দেখেন, তাহলে লক্ষ্য করবেন, তখন অক্টোবর এবং নভেম্বর মিলিয়ে দুই মাসে ৭৫ হাজার বাংলাদেশে এসেছিল। এবার দশ থেকে এগার দিনের মধ্যেই এক লাখ ষাট হাজার বাংলাদেশে এসেছে। এবং আরও ৫০ হাজারের মতো সীমান্তের অপর পাড়ে অপেক্ষা করছে।সেজন্য আমাদের বড় একটি সংখ্যা বিবেচনায় নিয়ে পরিকল্পনা থাকা প্রয়োজন। সেই বিবেচনায় তিল লাখ যে সংখ্যাটি বলা হচ্ছে, তা বাস্তবসম্মত।”

হাজার হাজার রোহিঙ্গার আশ্রয় এবং খাদ্য সাহায্যের ব্যবস্থাপনা নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে।

কুতুপালং এবং নোয়াপাড়ায় শরণার্থী শিবিরগুলোতে নতুন আসা রোহিঙ্গাদের একটা অংশকে নেয়া হয়েছে। কিন্তু মানুষের গাদাগাদি অবস্থায় শিবিরগুলোতেও আর জায়গা নেই।

কুতুপালং শরণার্থী শিবির এলাকার ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নুরুল আফসার চৌধুরী বলছিলেন, কুতুপালং এবং বালুখালী শিবিরের বাইরে খোলা জায়গা রাস্তাঘাট সবজায়গায় শুধু মানুষ আর মানুষ। তাদের একটা নিয়ম বা পদ্ধতির মাধ্যমে খাদ্য বা মানবিক সাহায্য দেয়ার ব্যবস্থা এখনও হয়নি বলে তিনি উল্লেখ করেছেন।

“পথে-ঘাটে, স্কুল মাদ্রাসা বা পরিত্যক্ত জায়গায় রোহিঙ্গারা যে যেভাবে পারে আশ্রয় নিয়েছে। এমন অবস্থা হয়েছে যে, রাস্তা-ঘাটসহ সর্বত্র শুধু রোহিঙ্গা আর রোহিঙ্গা। তাদের খাবারের বেশ কষ্ট হচ্ছে। নিয়মিত খাবার কেউ দিচ্ছে না। স্থানীয় লোকজন অনেক সময় খাবার এনে দিলে তারা সেটা খাচ্ছে। রোহিঙ্গাদের অনেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের বাড়ি ঘরে ঘিয়ে খাবার চেয়ে নিচ্ছে।”

সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, এবার আসা রোহিঙ্গার সংখ্যা তাদের সব ধারণাকে ছাড়িয়ে গেছে। ফলে আশ্রয় বা খাদ্য সহায়তার ব্যবস্থাপনায় কিছুটা ঘাটতি হয়েছে বলে কর্মকর্তারা স্বীকার করেন তাদের এক জায়গায় নেয়ার কথাও সরকার বলছে।

কিন্তু সেই জায়গা নির্বাচনের প্রক্রিয়াই এখনও শেষ হয়নি। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: শাহ কামাল বলেছেন, কুতুপালং এবং বালুখালি শিবিরের পাশে দুটি জায়গা জরিপ করা হয়েছে।দু’একদিনের মধ্যে তারা জায়গটি চূড়ান্ত করবেন।

রোহিঙ্গারা ছড়িয়ে ছিটিয়ে গ্রামে বা লোকালয়েও আশ্রয় নিচ্ছেন। এবং তাতে নিরাপত্তা নিয়েও অনেকে প্রশ্ন তুলছেন।

সরকারের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গাদের তালিকা তৈরির কথা বলা হয়েছে। তবে সেই কাজ এখনও শুরু করা যায়নি। স্থানীয় কর্মকর্তারা বলছেন, সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে রোহিঙ্গারা এসেছে। ফলে পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে তালিকা করা বা অন্য বিষয়গুলোতে ঘাটতি হয়েছে।

তবে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার ড: ইকবাল হোসেন বলেছেন, “বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে রোহিঙ্গাদের নিবন্ধনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। রোহিঙ্গাদের এক জায়গায় নিয়ে আগামী সপ্তাহে এই নিবন্ধনের কাজ শুরুর চেষ্টা আমরা করছি।”

এদিকে তুরস্কের ফার্স্ট লেডি এমিনে এরদোয়ান এবং দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রী আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সফরে এসে কক্সবাজারের কুতুপালং শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করেছেন।

তারা সেখানে মিয়ানমার থেকে এবার আসা রোহিঙ্গাদের সাথে কথা বলেছেন এবং ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেছেন।

বিকেলে তারা ঢাকায় এসে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে বৈঠক করেছেন।বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব বিবিসিকে জানিয়েছেন, তুরস্ক রোহিঙ্গা ইস্যুকে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ফোরামে তুলে ধরবে।

এছাড়া এই ইস্যুতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশ কোনো পদক্ষেপ নিলে, তুরস্ক তাতে সমর্থন দেবে – তুরস্কের ফার্স্টলেডি এমন আশ্বাস দিয়েছেন।

সূত্র: বিবিসি বাংলা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় ঐতিহ্যবাহী দাড়িয়াবান্ধা টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত

আব্দুল জলিল : সাতক্ষীরায় গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী আট দলীয় দাড়িয়াবান্ধা (গাদন) টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকালে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার দক্ষিণ তলুইগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়।
ফাইনালে অংশ নেয় দক্ষিণ তলুইগাছা দল ও উত্তর তলুইগাছা দল। তবে, তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এ ফাইনাল ম্যাচ ১-১ পয়েন্টে (গাদনে) ড্র হয়েছে।
ফাইনালে ম্যাচ রেফারি ছিলেন স্থানীয় শিক্ষক মোতাহার হোসেন।
আয়োজকরা জানান, ম্যাচটি ড্র হওয়ায় পরবর্তীতে আবার দিনক্ষণ ঠিক করে পুনরায় ফাইনাল ম্যাচ আয়োজন এবং নিষ্পত্তি করা হবে।
স্থানীয়রা জানান, দক্ষিণ তলুইগাছা গাদন কমিটি প্রতিবছর এই টুর্নামেন্টের আয়োজন করে। গ্রাম বাংলার মানুষের বিনোদনের খোরাক এই খেলা আগে অনেক এলাকায় হলেও দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। আমরা চেষ্টা করছি আমাদের ঐতিহ্য ধরে রাখার।
এবারের আয়োজনও সার্থক হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আশপাশের বহু গ্রামের মানুষ ফাইনাল ম্যাচ দেখতে এসেছে এবং বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে খেলা উপভোগ করেছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest