সর্বশেষ সংবাদ-
নানা আয়োজনে সাতক্ষীরা মুক্ত দিবস উদযাপনজাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে সাংবাদিকদের সহযোগিতা প্রয়োজন: সাতক্ষীরায় নবাগত এসপিআশাশুনির আনুলিয়া ও কাপসন্ডায় সড়ক নির্মান কাজে দুর্নীতির অভিযোগবাঁশদহে স্বেচ্ছাসেবক দলের আয়োজনে বেগম জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়াকেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতাদের বিরুদ্ধে ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত তথ্য প্রচার’: সাতক্ষীরা শহর ছাত্রদলের নিন্দাসাতক্ষীরার আপন প্রেসিডেন্ট’স স্কাউট এ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছেমুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিগাঁথা দেবহাটা মুক্ত দিবসে র‌্যালি ও আলোচনা সভাআশাশুনি বকচরে মানবতার আলোর শীতবস্ত্র বিতরণসাতক্ষীরায় ৩৪তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস পালনসাতক্ষীরায় খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় ছাত্রদলের দোয়া

রোহিঙ্গা ইস্যুতে উত্তাল কাশ্মির, পুলিশের গাড়িতে আগুন

মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর নির্যাতনের প্রতিবাদে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে জম্মু-কাশ্মিরের বিভিন্ন এলাকা। এদিন শ্রীনগর, ত্রাল, সোপর, পামপোর, অনন্তনাগসহ বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।

শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) জুমা নামাজ শেষে অনন্তনাগ জেলায় বিক্ষোভরত জনতা ও নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। বিক্ষুব্ধ জনতা পুলিশ গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে দু’জন কর্মকর্তাসহ ছয় পুলিশ আহত হন। আহত পুলিশ সদস্যদের শ্রীনগর জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়।

পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, বিক্ষোভকারী জনতা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষে পুলিশ কর্মকর্তা মুহাম্মদ ইউসুফকে উত্তেজিত জনতা মারধর করে ও তার বুলেটপ্রুফ গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।

জুমা নামাজ শেষে বিপুলসংখ্যক প্রতিবাদী জনতা বিক্ষোভে অংশ নিলে পুলিশ তাদের বাধা দেয় ও সেখান থেকে চলে যেতে বলে। এ সময় ক্ষুব্ধ জনতা পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়লে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। নিরাপত্তা বাহিনী কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটিয়ে মারমুখী জনতাকে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা চালায়।

রোহিঙ্গা মুসলিমদের গণহত্যা বন্ধের দাবি ও নির্যাতনের প্রতিবাদে গতকাল উত্তর কাশ্মিরের বারামুল্লার চোরা সোপর এলাকায় বিক্ষোভ মিছিলে শামিল হন প্রতিবাদী জনতা। তারা বিভিন্ন লেখা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড বহন করে মিয়ানমার বিরোধী স্লোগান দেন।

এদিকে, শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে উত্তর কাশ্মিরের সোপর এলাকায় গেরিলা ও নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে ‘বন্দুকযুদ্ধ’ শুরু হয়েছে। কর্তৃপক্ষ সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে সংশ্লিষ্ট এলাকায় ইন্টারনেট বন্ধ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
অক্সিজেন সংকটে ৩ মাসে ১৩৫ শিশুর মৃত্যু!

আবারও প্রকাশ পেলো ভারতে অক্সিজেন সংকটে শিশু মৃত্যুর ঘটনা। এবার, মহারাষ্ট্রের নাসিক সরকারি হাসপাতালে তিন মাসে ১৩৫ শিশুর মৃত্যুর তথ্য দিলেন এক চিকিৎসক।

ডাক্তার জি এম হোল জানান, কেবল আগস্ট মাসেই অক্সিজেন সংকটে প্রাণ হারায় অন্তত ৫৫ নবজাতক। তার দাবি, শুধু নাসিক নয় গোটা মহারাষ্ট্রের কোনো সরকারি হাসপাতালের শিশু বিভাগেই অক্সিজেনের সুব্যবস্থা নেই। অবশ্য, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এই অভিযোগ অস্বীকার করছে।

গেলো এক মাসে, ভারতের গোরাখপুর ও ফারুখাবাদে অক্সিজেন সংকটে শিশু মৃত্যুর ঘটনা বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করে। দুই শহরের হাসপাতালগুলোতে প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধার অভাবে প্রাণ হারিয়েছে দেড় শতাধিক নবজাতক।

উল্লেখ্য, ভারতে জিডিপি’র মাত্র এক শতাংশ ব্যয় করা হয় চিকিৎসা খাতে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
‘চোখের সামনে ছেলেকে গুলি করল ওরা’

জাতিসংঘ বলছে, দুই সপ্তাহ আগে রাখাইন রাজ্যে সহিংসতার পর থেকে এ পর্যন্ত মিয়ানমারের প্রায় ২ লাখ ৭০ হাজার সংখ্যালঘু মুসলিম রোহিঙ্গা সীমান্ত পার হয়ে বাংলাদেশে ঢুকেছে।

ফেরা যাক জুনায়েদের বাবার কাছে। মংডু থেকে পালিয়ে আসার সময় জুনায়েদের বাবা নবী ও তাঁর ছয় সন্তান বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তবে নবী শুনেছেন, তাঁর সন্তানেরা সীমান্ত পার হতে পেরেছে।

নবীর সবচেয়ে ছোট ছেলে বশির উল্লাহ। ১৪ বছরের রোহিঙ্গা কিশোর বশির উল্লাহরও পায়ে গুলি লেগেছে। সীমান্তের কাছে বেসরকারি একটি হাসপাতালে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ব্যথায় কাতরাতে কাতরাতে বশির উল্লাহ এএফপিকে বলে, ‘প্রাণ বাঁচাতে যখন আমরা ছুটছিলাম, তখন তাঁরা (মিয়ানমারের সেনাবাহিনী) নির্বিচারে গুলি ছোড়ে। আমি মাটিতে পড়ে যাই। পায়ে গুলি এসে লাগে। আমি সৌভাগ্যবান। গুলি লাগলেও আমার খুব বেশি রক্তক্ষরণ হয়নি। গ্রামে আরও অনেককে হত্যা করা হয়েছে।’

নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন মিয়ানমার সরকার সহিংসতার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। সু চি এই সহিংসতার জন্য রোহিঙ্গা জঙ্গিদের দায়ী করেছেন।

২২ বছরের রোহিঙ্গা তরুণ হোসেন জহুর বলেন, ‘মাঝরাতে সেনারা আমার গ্রামে ঢোকে। তারা আমাকে ও আমার পরিবারকে বাড়ি থেকে টেনেহিঁচড়ে বের করে। সেনারা আমাদের মারধর করে এবং অত্যাচার চালায়। একপর্যায়ে আমি পালানোর চেষ্টা করি। কিন্তু এক সেনা আমার দিকে বোমা ছোড়ে। বোমা বিস্ফোরণে আমার হাতের কিছু অংশ উড়ে যায়।’

আঘাত সত্ত্বেও জহুর হেঁটে সীমান্ত পার হন। তিনি এখন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। জহুর বলেন, ‘মিয়ানমার সেনাবাহিনী আমাদের সঙ্গে কুকুরের মতো আচরণ করে। আমাদের পূর্বপুরুষেরা শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে সেখানে বসবাস করছে। তারপরও সেনারা রোহিঙ্গাদের উচ্ছেদ করতে চায়।’
সূত্র: প্রথম আলো।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল থেকে রোগী ভাগিয়ে নিয়ে রমরমা ক্লিনিক ব্যবসা!

মাহফিজুল ইসলাম আককাজ : চিকিৎসকের অবহেলা ও ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুর খবর ইদানিং খুব বেশি ঘটছে। পত্রিকা খুললেই এই দুঃসংবাদটি চোখে পড়ে। যেখানে সরকার মাতৃমৃত্যু এবং শিশুমৃত্যু রোধ করার জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। সেই সময়ে কিছু অসাধু ডাক্তার ও নার্স পারস্পারিক যোগসাজোসে সরকারি হাসপাতাল থেকে রোগী ভাগিয়ে প্রাইভেট ক্লিনিকে গরীব অসহায় প্রসূতি রোগীদের জিম্মি করে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা যা খুবই বেদনাদায়ক।
সাতক্ষীরায় চিকিৎসকের অবহেলা, ভুল চিকিৎসায় জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৯ মাসে ১৯ জন প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ রয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ১৮টি নবজাতকের। দেখা গেছে বেশির ভাগ মৃত্যু হয়েছে বেসরকারি বা প্রাইভেট ক্লিনিকে। সরকারি হাসপাতালে রোগীকে সেবা দেওয়ার নামে বেশি অবহেলা করা হয় বলে রোগীরা তাদের প্রাইভেট ক্লিনিকে যেতে বাধ্য হয়।
সরকারি হাসপাতাল এখনো প্রসূতি সেবায় অনেক ভূমিকা রাখলেও কিছু অসাধু ডাক্তার, নার্স ও পোষা দালালের খপ্পরে পড়ে বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে রোগী যেতে বাধ্য হয়। ফলে মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যুর যে খবর পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে তা বেশির ভাগ প্রাইভেট হাসপাতালে ঘটেছে। প্রাইভেট হাসপাতালগুলি তাদের ব্যবসার জন্য রোগীদের ভাল চিকিৎসা সেবা দেবার নাম করে ভুলিয়ে ক্লিনিকে নিয়ে গিয়ে অপচিকিৎসা দিয়ে, অবহেলা করে এবং ভুল চিকিৎসা দিয়ে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে। সহশ্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে এই মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যু রোধ করা অবশ্যই প্রয়োজন।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের গাইনি কনসালট্যান্ট ও সার্জন ডা. এহেছেন আরার বিরুদ্ধে সরকারি হাসপাতালের প্রসূতি রোগীদের ভাগিয়ে নিয়ে তার নিজস্ব সানজানা নার্সিং হোম এন্ড ক্লিনিকে রোগীর পরিবারকে জিম্মি করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। সরকারি চিকিৎসক হয়েও তিনি বেনামে চালাচ্ছেন ব্যক্তিগত ক্লিনিক ব্যবসা। সম্প্রতি শহরের রসুলপুর এলাকার রজব আলীর স্ত্রীর প্রসব বেদনা উঠলে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়। তাড়াহুড়ো ও অসাবধানতায় অপারেশনের এক পর্যায়ে ঐ রোগীর পেটে গজ ব্যান্ডেজ রেখে সেলাই করে দেন ডা. এহেছেন আরা। পরবর্তীতে সমস্যা দেখা দিলে আলট্রাসোনো করে দেখা যায় ঐ রোগীর পেটে গজ ব্যান্ডেজ এর কারণে পঁচন ধরেছে। অসহায় রোগীর অবস্থা খারাপ হলে শহরের ইসলামী ব্যাংক কমিউনিটি হাসপাতালে ভর্তি করে। পরবর্তীতে রোগীর অবস্থা আরো খারাপ হলে খুলনা মেডিকেল হাসপালে ভর্তি করে রোগীর পরিবার।
অপরদিকে ৬ সেপ্টেম্বর শহরের সুলতানপুর এলাকার তরকারি ব্যবসায়ী নূর ইসলামের স্ত্রী নাজমা বেগম সদর হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে ভর্তি হতে গেলে গাইনি বিভাগের কিছু নার্স ও সদর হাসপাতালের গাইনী কনসালট্যান্ট ও সার্জন ডা. এহেছেন আরার পোষা দালাল ঐ রোগীর পরিবারের হাতে একটি কার্ড ধরিয়ে দিয়ে বলে সদর হাসপাতালে সিজার হবে না, সানজানা নার্সিং হোম এন্ড ক্লিনিকে নিয়ে যাও। সেখানে রোগী ভর্তি করলে প্রথমে ৫০০ টাকা ও পরে দালালেরা ২০০ টাকা নেয় এবং বিভিন্ন পরীক্ষা-নীরিক্ষার নাম করে ২ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়।
ডা. এহেছেন আরা তার প্রাইভেট ক্লিনিকে সিজারের জন্য ১২ হাজার টাকা লাগবে বলে জানিয়ে দেন। ঐ গরিব অসহায় রোগীর পক্ষে ১২ হাজার টাকা দেওয়া খুবই কষ্ট সাধ্য হয়ে দাড়ায়। এক পর্যায়ে ভিটাবাড়ির জমি বিক্রি করে ১০ হাজার টাকা দিতে রাজি হয় রোগীর পরিবার। তখন গাইনি ডাক্তার সাফ জানিয়ে দেয় ১২ হাজার টাকাই তাকে দিতে হবে। মূমুর্ষূ অবস্থায় রোগীকে ফিরিয়ে আনা হয়।
বিষয়টি সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডা. তওহীদুর রহমানকে জানালে তিনি বলেন, রোগীকে আমার কাছে পাঠান আমি শুনে-বুঝে ব্যবস্থা নেব। এব্যাপারে সিভিল সার্জন ডা. তওহীদুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, সরকারি হাসপাতালের কোন ডাক্তার নিজস্ব ক্লিনিক চালাতে পারে না। উনি হয়তো অন্য নামে সানজানা নার্সিং হোম এন্ড ক্লিনিকটি চালাচ্ছেন। এব্যাপারে ভুক্তভোগী রোগী ও সচেতন মহলের দাবি সরকারি হাসপাতালের কোন ডাক্তারের প্রইভেট ক্লিনিক চালাতে পারবেনা এবং তারা যদি এভাবে প্রাইভেট ক্লিনিক চালায় তবে সরকারি হাসপাতালের সেবা ব্যহত হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশাশুনিতে বেড়িবাঁধ ভেঙে ৪ গ্রামের নিন্মাঞ্চল প্লাবিত, ভেসে গেছে সহস্রাধিক বিঘা মৎস্য ঘের ও ফসলি জমি

আসাদুজ্জামান : আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নে খোলপেটুয়া নদীর বেঁড়িবাঁধ ভেঙ্গে ৪টি গ্রামের নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে ভেসে গেছে সহস্রাধিক বিঘা মৎস্য ঘের ও ফসলি জমি। গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে প্রতাপনগরের হরিশখালি পয়েন্টে খোলপেটুয়া নদীর ২০০ ফুট বেড়িবাঁধ ভেঙে গেলেও গত দুই দিনেও সেটি সংস্কার করা সম্ভব হয়নি। এর ফলে হরিশখালী, মাদারবাড়িয়া, তালতলা ও প্রতাপনগর গ্রামের নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে ভাঙনকবলিত বাধ সংস্কারের কাজ শুরু হলেও দুপুরের জোয়ারে তা আবারও তলিয়ে যায়। এরপর আজ শনিবার সকাল থেকে সেখানে সহ¯্রাধিক লোক স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে ভাঙনকবলিত বেড়িবাধ সংস্কারের কাজ করছেন।

প্রতাপনগর ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন হোসেন জানান, দীর্ঘদিন খোলপেটুয়া নদীর বেঁড়িবাধ জরাজীর্ণ ছিল। পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বারবার বললেও তারা কোন পদক্ষেপ নেয়নি। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে নদীর প্রবল জোয়ারের চাপে বাধ ভেঙে যায়। এতে প্রথমে হরিশখালি ও মাদারবাড়িয়া গ্রাম প্লাবিত হয়। এরপর শুক্রবার তালতলা ও প্রতাপনগর নামে আরো দুটি গ্রাম প্লাবিত হয়। গত দুই দিন যাবত সেখানে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে ভাঙনকবলিত বেড়িবাধ সংস্কারের কাজ চলছে।

তিনি আরও জানান, শুক্রবার সকালে স্থানীয় এলাকাবাসীকে নিয়ে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে বাঁধটি সংস্কার করার কাজ শুরু হলেও দুপুরের জোয়ারে পানির প্রবল স্রোতে তা আবারও তলিয়ে যায়। এরপর শনিবার সকাল থেকে আবারও শুরু হয়েছে বেড়িবাধ সংস্কারের কাজ।

তিনি আরো বলেন, আশাশুনি পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসও সুনিল কুমার ঘটনাস্থল পরিদমর্শনে আছেন।

এ ব্যাপরে পানি উন্নয়ন বোর্ড ২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী অপূর্ব ভৌমিকের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি তার ফোনটি রিসিভ না করে কেটে দেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
একে একে ১১ পুরুষকে বিয়ে করে টাকা নিয়ে চম্পট!

দুই বছরের কম সময়ে একের পর এক ১১ জন পুরুষকে বিয়ে করেছেন তিনি। এর পর তাঁদের কাছ থেকে বেশ কিছু অর্থ হাতিয়ে নিয়ে তুচ্ছ অজুহাতে পলায়নের পর অবশেষে তিনি নজরে এসেছেন পুলিশের। ‘পলায়নপর কনে’ হিসেবে পরিচিতি পাওয়া থাইল্যান্ডের ৩২ বছর বয়সী এই নারীর নাম জারিয়াপর্ন নাম্মন বুয়াআই।

পুলিশের বরাত দিয়ে থাইল্যান্ডের স্থানীয় কিছু গণমাধ্যম জানিয়েছে, বিয়ের পর পালানোর আগে ওই নারী তাঁর প্রত্যেক স্বামীর কাছ থেকে থাই রীতি অনুযায়ী যৌতুক হিসেবে ছয় হাজার থেকে ৩০ হাজার ডলারের মতো অর্থ নিয়েছেন। প্রতিবারই তিনি কিছু তুচ্ছ অজুহাত দেখিয়েছেন। এর মধ্যে ছিল, তাঁকে নিজ বাড়িতে ফলের ব্যবসার দেখভাল করতে হবে কিংবা তাঁর রাশিফল বলছে, এই অসময়ে বিয়ে করা উচিত হয়নি।

পুলিশের বরাত দিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো আরো জানায়, এই কাজে জারিয়াপর্ন এতটাই পটু ছিলেন যে, তিনি আগস্ট মাসেই চারবার বিয়ে করেন।

শুরুতে পুলিশ জানিয়েছিল, জারিয়াপর্নকে বিয়ের দাবি করেন ১২ পুরুষ। পরে সেই সংখ্যা ১১তে নেমে আসে।

থাই গণমাধ্যমগুলোর খবর অনুযায়ী, ফেসবুকে একটি পোস্টের পর ভুক্তভোগীরা থানায় গিয়ে একে একে অভিযোগ করেছেন। তবে কে পোস্টটি করেছে, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, ১১ স্বামীর একজন সেই পোস্টটি করেন।

ভুক্তভোগী পুরুষদের একজন আইনজীবীর বরাত দিয়ে থাইল্যান্ডের ইংরেজি সংবাদপত্র দ্য ন্যাশনের খবরে বলা হয়, প্রত্যেকের ক্ষেত্রে প্রায় একই কৌশল ব্যবহার করতেন ওই নারী। তিনি একজন পুরুষকে ফেসবুকে বন্ধু বানাতেন, তাঁর সঙ্গে দেখা করতেন, শারীরিক সংসর্গে লিপ্ত হতেন। এর পর তাঁকে বিয়ে করে টাকা নিয়ে উধাও হয়ে যেতেন।

থাইল্যান্ডের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ব্যাংকক পোস্টের খবরে বলা হয়, ফলের বাগানের জন্য বিখ্যাত দেশটির নাখন পাথম প্রদেশ থেকে বৃহস্পতিবার রাতে জারিয়াপর্নকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সেই সঙ্গে তাঁর কথিত আসল স্বামী থিতিরাত নংঘানপিতাককেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, ওই নারীকে এখনো অভিযুক্ত করা হয়নি। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিয়ে বাংলাদেশ কঠিন পরিস্থিতিতে পড়েছে: যুক্তরাষ্ট্র

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিয়ে বাংলাদেশ কঠিন পরিস্থিতিতে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র হিদার নোয়ার্ট। বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে এক নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

সংবাদ সম্মেলনে তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানানো হবে কি না? উত্তরে হিদার নোয়ার্ট বলেন, ‘আমি জানি অন্য যে কোনও দেশের মতোই শরণার্থীদের গ্রহণে বাংলাদেশ কঠিন পরিস্থিতিতে পড়েছে।’

হিদার নোয়ার্ট বলেন, রাখাইনে জনগণের ওপর কি ঘটছে সে ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র সচেতন রয়েছে। সেখানে যা ঘটছে তাতে আমরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন।

মানবাধিকার লঙ্গনের জন্য মিয়ানমারের ওপর কোনও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি সরাসরি কোনও মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান। তবে যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি এ ব্যাপারে মিয়ানমারের সঙ্গে কূটনৈতিক সংলাপ চালিয়েছে বলে জানান হিদার নোয়ার্ট।

প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা আবারও বার্মার নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর মারাত্মক হামলার নিন্দা জানাই। কিন্তু আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে ওই বাহিনীর প্রতি আরও সহিংসতা প্রতিরোধের এবং স্থানীয় মানুষদের সুরক্ষা দেওয়ার আহ্বান জানাই।’

হিদার নোয়ার্ট বলেন, ২৫ আগস্ট থেকে বাংলাদেশের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলে পালিয়ে আসা হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিকদের সহায়তার জন্য যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার মাধ্যমে কাজ করছে।

রাখাইনে অস্থিরতা বৃদ্ধি পায়, এমন কোনও কিছু করা থেকে বিরত থাকতেও সবার প্রতি আহ্বান জানান হিদার নোয়ার্ট। তিনি বলেন, ‘আক্রান্ত জনগোষ্ঠীকে জরুরি মানবিক সহায়তা দিতে দ্রুত তাদের কাছে পৌঁছানোর সুযোগ করে দিতে কর্তৃপক্ষের প্রতি আমাদের আহ্বান রইলো।’

এদিকে যুক্তরাষ্ট্র গভীরভাবে মিয়ানমার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে বলে জানিয়েছেন হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি সারাহ স্যান্ডার্স। মিয়ানমারের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের ব্যাপারে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

রাখাইন পরিস্থিতি নিয়ে সারাহ স্যান্ডার্স বলেন, ‘আমার জানামতে এটি এমন একটি বিষয় যা আমরা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি।’ তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানাননি স্যান্ডার্স। অন্যদিকে, মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর বলেছে, তারা চলমান পরিস্থিতিতে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন এবং বিষয়টি মিয়ানমারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে উত্থাপন করা হবে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, গত ২৫ আগস্ট একটি নিরাপত্তা চৌকিতে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (এআরএসএ) হামলার পর পরিপ্রেক্ষিতে রাখাইন রাজ্যে সহিংসতার খবর এবং ওই রাজ্যের রোহিঙ্গা সম্প্রদায়সহ বেসামরিক জনগণের ওপর এর প্রভাব নিয়ে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। এ খবরগুলোর মধ্যে রয়েছে— নিরাপত্তা বাহিনী ও বেসামরিকদের বিরুদ্ধে সহিংসতা সৃষ্টির অভিযোগ, পাশাপাশি এআরএসএ’র হামলা।’

ওই কর্মকর্তা বলেন, মার্কিন দূতাবাস নিবিড়ভাবে চলমান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। তবে বর্তমান নিরাপত্তা পরিস্থিতি এবং রাখাইন রাজ্যে গণমাধ্যম ও বেসরকারি সংস্থাগুলোর প্রবেশে কড়াকড়ি থাকায় রোহিঙ্গাদের নিয়ে যেসব খবর উঠে আসছে, সেগুলো যাচাই করাটাও কঠিন।

এক প্রশ্নের জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘রাখাইন রাজ্যের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ রেখে চলেছি। এছাড়া দেশটির সর্বোচ্চ পর্যায়েও আমরা প্রকাশ্যে ও ব্যক্তিগতভাবে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। মিয়ানমারের প্রতিবেশী দেশগুলো ও সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গেও আমরা যোগাযোগ রেখে চলেছি।’

রাখাইন রাজ্যে সহিংসতার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনার জন্য কাজ করে যাচ্ছে মিয়ানমার সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এটা করতে গিয়ে যেন আইনের ব্যত্যয় না ঘটে, সেদিকে নজর রাখার আহ্বান জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তারা এই বিচারকাজ এমনভাবে পরিচালনর আহ্বান জানিয়েছে যেন এটি স্বচ্ছ হয় এবং মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতার সুরক্ষা দেয়। এছাড়া, মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীসহ বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নির্যাতনের যে অভিযোগ উঠেছে, সেগুলোর তদন্তেরও আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

সূত্র: ইউএস স্টেট ডিপার্টমেন্ট, ভয়েস অব আমেরিকা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মেক্সিকোর ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬১

মেক্সিকোতে গত এক শতাব্দীর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬১ জ৮নে দাঁড়িয়েছে। এতে ২শ’ জন গুরুতর আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট এনরিক পেনা নিয়েটো জানিয়েছেন, এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৮ দশমিক ১।

ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল মেক্সিকোর পিজিয়াপান থেকে ৮৭ কিলোমিটার দূরে প্রশান্ত মহাসাগরে। ভূমিকম্পের পর মেক্সিকো ছাড়াও গুয়াতেমালা, এল সালভাদর, কোস্টারিকা, নিকারাগুয়া, পানামা ও হন্ডুরাসে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মেক্সিকোর কয়েকটি রাজ্যে ভূমিকম্পে মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে।

মেক্সিকোর অন্তত পাঁচ কোটি মানুষ এই ভূমিকম্প টের পেয়েছেন। প্যাসিফিক সুনামি ওয়ার্নিং সেন্টার বলেছে, এই ভূমিকম্পের প্রভাবে সমুদ্রের স্বাভাবিক জোয়ারের চাইতে তিন মিটার উঁচু ঢেউ সৃষ্টি হতে পারে। শক্তিশালী এ ভূমিকম্পের পর গুয়েতেমালা, এল সালভেদর, কোস্টারিকা, নিকারাগুয়া, পানামা, হন্ডুরাস ও ইকুয়েডরেও সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এরইমধ্যে প্রশান্ত মহাসাগরের মেক্সিকো উপকূলে এক মিটার উচ্চতার সুনামি আঘাত হেনেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠের ৬৯ কিলোমিটার গভীরে। ভূমিকম্পে ভবনগুলো কেঁপে উঠলে আতঙ্কিত বাসিন্দারা ঘর ছেড়ে রাস্তায় বেরিয়ে আসেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ছবিতে দেখা গেছে, বিভিন্ন স্থানে ঘরবাড়িসহ অনেক স্থাপনা ভেঙে পড়েছে।

১৯৮৫ সালের পর মেক্সিকো উপকূলে এটিই সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প। ওই ভূমিকম্পে ১০ হাজারেরও বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest