সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরায় স্মার্ট মেডিকেল সেন্টারে ‘জুলাই বিপ্লব ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প’কলারোয়ায় এক ইজিবাইক চালকের লাশ উদ্ধারসাতক্ষীরায় দায়িত্বরত অবস্থায় স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে পুলিশ কর্মকর্তার মৃত্যুজিপিএ-৫ প্রাপ্তদের সাতক্ষীরা শহর ছাত্রশিবিরের সংবর্ধনাসাতক্ষীরায় আসছে জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় নেতারা : চলছে প্রস্তুতির শেষ মুহূর্তের কাজসাতক্ষীরায় নিয়ন্ত্রন হারিয়ে যাত্রীবাহী বাস মৎস্য ঘেরে : আহত ১৪তালায় জুলাই আহত ও নিহতদের স্মরণে আন্তঃইউনিয়ন ফুটবল টুর্নামেন্টসাতক্ষীরার বারটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় লাইব্রেরি উন্নয়নে বই বিতরণশ্যামনগরে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের জন্য ট্যাংক বিতরণ

মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশ ভূখণ্ড লক্ষ্য করে গুলি!

মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) সদস্যরা বাংলাদেশ ভূখণ্ড লক্ষ্য করে গুলি ছুড়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ শনিবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে বান্দরবান-মিয়ানমার সীমান্তের তুমব্রু বিজিপি ক্যাম্প থেকে এই গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে।

এই ঘটনায় কেউ হতাহত না হলেও এর ফলে সীমান্তে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। দিনদুপুরে বাংলাদেশ ভূখণ্ড লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণের ঘটনায় সীমান্ত এলাকার লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশের দিকে পালিয়ে আসা যে রোহিঙ্গা দুই দেশের মধ্যবর্তী শূন্যরেখায় অবস্থান করছেন, মূলত তাদের লক্ষ্য করেই গুলি ছোড়ে বিজিপি। তবে বিজিবির ৩৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মনজুরুল হাসান খানের দাবি, বাংলাদেশ ভূখণ্ডের দিকে নয়, মিয়ানমারের ভেতরেই গুলি ছোড়ার ঘটনা ঘটেছে।

তবে যে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবির) পক্ষ থেকে সীমান্ত এলাকায় অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, মিয়ানমারের তুমব্রু, বুচিডং, ঢেকিবনিয়াসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় বিজিপি ক্যাম্পে রোহিঙ্গা বিচ্ছিন্নতাবাদী একটি সংগঠনের হামলার ঘটনার পর সীমান্ত এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। নারী-শিশুসহ হাজার হাজার রোহিঙ্গা সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া অতিক্রম করে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে ভারি বৃষ্টিপাত হওয়ার কারণে ঘরবাড়ি ছেড়ে চলে আসা রোহিঙ্গারা সীমান্ত এলাকা থেকে সীমান্তের কাছাকাছি আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে। এদিকে আজ সকাল থেকে রোহিঙ্গারা আবার সীমান্ত এলাকায় জড়ো হতে শুরু করেছে।

এই রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে প্রবেশ ঠেকাতে স্থানীয় জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সীমান্ত এলাকায় কড়া প্রহরা অব্যাহত রেখেছে বিজিবি।

এ পর্যন্ত সীমান্ত এলাকা দিয়ে কোনো রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি বলে জানান বিজিবির ৩৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মনজুরুল হাসান খান। তিনি জানান, সীমান্ত পরিস্থিতি এখন অনেকটা শান্ত।

মিয়ানমার সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গত বৃহস্পতিবার রাতে রাখাইন রাজ্যে একসঙ্গে ২৪টি পুলিশ ক্যাম্প ও একটি সেনা আবাসে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে।

এরপর ‘সন্ত্রাসীদের’ সঙ্গে দেশটির নিরাপত্তাকর্মীদের সংঘর্ষে মোট ৭১ জন নিহত হয়। এর মধ্যে ১২ জন নিরাপত্তাকর্মী ও ৫৯ জন ‘বাঙালি সন্ত্রাসী’ রয়েছেন বলে গতকাল শুক্রবার মিয়ানমারে রাষ্ট্রীয় পরামর্শদাতার কার্যালয় জানিয়েছে।

বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, ১২ নিরাপত্তাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। এ ছাড়া ৫৯ জন ‘বাঙালি সন্ত্রাসীর’ লাশ সেখানে পাওয়া গেছে।

এই ঘটনার পর অনেক রোহিঙ্গা প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশের দিকে ছুটে আসছে। শুক্রবার বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকালে সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে ১৪৬ জনকে পুশব্যাক করা হয়। অন্তত এক হাজার রোহিঙ্গাকে বাধা দেয় বিজিবি। সীমান্তে বিজিবির পক্ষ থেকে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মিথ্যা অপবাদ দেয়ায় অপমানে সাতক্ষীরার স্কুল ছাত্রী রিমার আত্মহনন

আসাদুজ্জামান : মিথ্যা অনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে সামাজিক অপমান সহ্য করতে না পেরে আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছে সাতক্ষীরার স্কুল ছাত্রী রিমা খাতুন। এর আগে সালিশ করে তার বিচার করা হবে বলে হুমকিও দিয়েছিল গ্রামের মোড়লরা। তার আগেই শনিবার ভোরে বাড়ির পাশে একটি আম গাছের ডালে ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আতœহত্যা করেছে নবম শ্রেণির ছাত্রী রিমা।
রিমা সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বল্লী গ্রামের কাঠ মিস্ত্রি জাকির হোসেনের মেয়ে। সে একই গ্রামের মুজিবর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে পড়তো।
রিমার মা ফজিলা খাতুন জানান, এক মাস আগে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে পাশের বাড়ির মহব্বত আলি রিমার ঘরে ঢোকে। রিমা তাকে অপমান করে তাড়িয়ে দেয়। এ ঘটনা মহব্বতের বাড়িতে জানানো হলে মহব্বত ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। সে রিমার ক্ষতি করার জন্য রাস্তাঘাটে উত্ত্যক্ত করতে থাকে। এমনকি প্রতিশোধ নিতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে সে।
ফজিলা খাতুন জানান, শুক্রবার রাতে রিমার প্রাইভেট শিক্ষক রেজাউল ইসলামকে বাড়িতে দাওয়াত করা হয়। রাতে রেজাউল ইসলাম এসে ঘরে খাওয়া দাওয়া করতে থাকেন। তিনি বলেন, এ সময় সবার অজান্তে মহব্বত আলি ওই ঘরের দরজার শিকল বাইরে থেকে লাগিয়ে গ্রামবাসীকে খবর দেয়। সে প্রচার দেয় রিমা ও রেজাউল অনৈতিক কাজে লিপ্ত হয়েছে। পাড়ার লোকজন এসে রিমা ও রেজাউলকে ঘর থেকে বের করে।
তিনি আরো জানান, এ সময় সেখানে উপস্থিত হন বল্লী ইউপি চেয়ারম্যান বজলুর রহমানের ভাই বিল্লাল, হাফিজুল ইসলাম এবং অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট মিজানুর রহমানসহ অনেকেই। তারা সালিশ করে তাদেরকে শাস্তি দেওয়ার ঘোষণা দেন। এরই মধ্যে রেজাউল সেখান থেকে গা ঢাকা দেন।
এদিকে, শনিবার ভোরে রিমাকে দেখা যায় বাড়ির পাশে একটি আম গাছের ডালে নিজের ওড়নায় ঝুলতে। সকালে খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
সালিশ বিষয়ে জানতে চাইলে সেনা বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট বল্লী গ্রামের মিজানুর রহমান বলেন, রাতে আমাকে কয়েকজন লোক বাড়ি থেকে ডেকে আনে। ততক্ষণে সালিশ বিচার হয়ে গেছে। তবে কোনো টাকা লেনদেনের কথা শুনিনি।
রিমার মা আরও জানান, সালিশ করে টাকা আদায় করা হবে এমন ঘোষণা দিয়েছিল বিল্লাল ও তার সহযোগীরা। এতে অপমান বোধ করে তার মেয়ে আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছে বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মারুফ আহমেদ জানান, ময়না তদন্তের পর বিষয়টি তদন্ত করা হবে। মেয়েটির মৃত্যুর জন্য যারা দায়ী তারা ছাড় পাবে না।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
অর্ধকোটি পরিবারকে ১০ টাকা কেজিতে চাল দেওয়া হবে: প্রধানমন্ত্রী

বন্যাকবলিত এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত ৫০ লাখ পরিবারকে ১০ টাকা কেজি দরে চাল দেওয়া বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগামী নতুন ফসল না উঠা পর্যন্ত প্রত্যেক পরিবারের খাদ্য নিশ্চিত করা হবে। কেউকে যেন না খেয়ে থাকতে হয়, সে ব্যবস্থা ইতিমধ্যেই নেওয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ প্রতিটি পরিবার ১০ টাকা দরে চাল কিনতে পারবে।

শনিবার গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শনের সময় প্রধানমন্ত্রী এ আশ্বাস দিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বন্যার পানি নামার সঙ্গে সঙ্গে ধানের পাশাপাশি যেন অন্যান্য ফসল উৎপাদন করা যায় সে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কৃষকদের কাছে এরই মধ্যে ধানের চারা পৌঁছে গেছে। বন্যায় বেশি ক্ষতিগ্রস্থ স্কুলগুলো মেরামতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং শিক্ষার্থীদের নতুন করে বই-খাতা দেওয়া হবে। ক্ষতিগ্রস্থ রাস্তা-ঘাট মেরামতের জন্য দ্রুত কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে। এলাকায় যেন রোগের প্রার্দুভাব দেখা না দেয় সেজন্য মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। তারা প্রত্যেক এলাকায় বিনা চিকিৎসার সেবা প্রদান করে থাকবে।

আওয়ামী লীগ সরকার প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করতে সক্ষম এমন মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশে বন্যা-বৃষ্টি জলোচ্ছ্বাস নিয়ে আমাদের বাঁচতে হবে। এটিতে ভয় পেলে চলবে না। দেশের বন্যা দেখা দেয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিদেশে থেকে খাদ্য কেনা হয়েছে। প্রতিটি মানুষ খেয়ে বাঁচতে পারে সে কাজটি আমরা করছি।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার দেশের উন্নয় করে গেছে। অন্যদিকে বিএনপি জামায়াত দেশকে ধ্বংস করেছে। আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়েছে, গাছ পুড়িয়েছে, রেল লাইন পুড়িয়েছে। দেশের উন্নয়নকে ক্ষতিগ্রস্থ করেছে। কিন্তু আমরা দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করেছি এখনও করে যাচ্ছি।

এসময় প্রধানমন্ত্রী শিক্ষক- অভিভাবক, মাদ্রাসার ইমাম, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্দেশ্যে বলেন, শিক্ষার্থীরা যেন সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ ও মাদকাসক্তি থেকে দূরে থাকতে পারে সেজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এমন কি তারা কোথায় যায়, কি করে কার সঙ্গে মিশে সেগুলো বিশেষভাবে নজর দিতে হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রাম রহিমের কাছে ধর্ষণের মানে ছিল ‘ক্ষমালাভ’

ধর্মীয়গুরু ডেরা সচ্চা সৌদা-র প্রধান গুরমিত রাম রহিম সিংকে (৫০) শুক্রবার ধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত করায় উত্তাল হয়ে উঠে ভারতের হরিয়ানা, পাঞ্জাব। দিল্লীসহ আরো কয়েকটি রাজ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। একাধারে ধর্মপ্রচারক, সমাজ সংস্কারক, গায়ক, সিনেমার নায়ক ও পরিচালক এই চমকপ্রদ ব্যক্তিত্ব গড়ে তুলেছিলেন এক অন্ধকার জগত। সিবিআই বিচারকের সামনে ধর্ষণের অভিযোগ তোলা দুই নারী ভক্তের সাক্ষ্যে উঠে আসে সেই চিত্র। ধর্ষণকে সেই ডেরায় বলা হতো ‘ক্ষমালাভ’।

গুরমিত রাম রহিমকে দোষী সাব্যস্ত করার পরপরই হরিয়ানা ও পাঞ্জাবে রীতিমতো যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়। এতে নিহত হয় কমপক্ষে ৩০ জন। আহতের সংখ্যা কয়েকশ। ধীরে ধীরে অন্যান্য শহরেও এই সংঘর্ষ ছড়িয়ে পরে। এই পরিস্থিতিতে পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, এই ক্ষয়ক্ষতির পুরো খরচ আদায় করতে হবে ডেরা সচ্চা সৌদার কাছ থেকে।

গুরমিত রাম রহিম সিং-এর পরিচয়
শিখ, হিন্দু, মুসলিম সব ধর্মের চেতনার মিশেলে তৈরি হয়েছে গুরমিতের ধর্মীয় সম্প্রদায়। ডেরা সাচ্চা সৌদার প্রতিষ্ঠা হয়েছিল ১৯৪৮ সালে। শাহ মস্তানা নামের এক ধর্মগুরু এর পত্তন করেন। বর্তমান প্রধান গুরমিত সিং ১৯৯০ সালে সম্প্রদায়ের নেতৃত্বের ভার নেন।

হরিয়ানা-পাঞ্জাবে অন্তত ৫ লক্ষ সরাসরি ভক্ত আছে গুরমিত রাম রহিমের। তাদের দাবি, সারা বিশ্বে গুরু রাম রহিমের ছয় কোটি ভক্ত আছে।

গুরমিত রাম রহিম সিং তিনটি সিনেমা তৈরি করেছেন। এর একটি এমএসজি: মেসেঞ্জার অফ গড। হরিয়ানার সিরসায় তার ডেরা সাচ্চা সৌদা আশ্রমের প্রাঙ্গণে নিয়মিত বসে পপ কনসার্ট। সেখানে গান ডেরার প্রধান, গুরমিত রাম রহিম সিং নিজেই – তার তুমুল জনপ্রিয় ‘ইউ আর মাই লাভ চার্জারে’র মতো আরও অনেক গান!

যত অভিযোগ
ধর্ষণ ছাড়াও দৈনিক ‘পুরা সচ’ (সম্পূর্ণ সত্য) এর সম্পাদক রামচন্দ্র ছত্রপতিকে হত্যা, বিচারককে হুমকি, শিখ সম্প্রদায়ের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে গুলি চালানো, প্রাক্তন ম্যানেজার ফকির চাঁদকে খুনের পর গুম, আশ্রমের ৪০০ সাধুকে নপুংসক (খোজা) করে দেওয়ার মতো অভিযোগ রয়েছে গুরমিতের এবং তার সমর্থকদের বিরুদ্ধে।

ক্ষমালাভ মানে ধর্ষণ
২০০৯ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত সময়ে সিবিআই-এর বিচারকের সামনে সাক্ষ্য দেন ধর্ষণের শিকার দুই নারী। তাদের সাক্ষ্যের অনুলিপির ভিত্তিতে একটি প্রতিবেদন করেছে টাইমস অব ইন্ডিয়া। তাদের বিস্তৃতি বিবরণে উঠে আসে, এই ‘ক্ষমতাধর বাবা’ কিভাবে তাদের এবং ডেরার অন্যান্য নারীদের গুফায় (আন্ডারগ্রাউন্ড চেম্বারে ধর্মগুরুর থাকার জায়গা) প্রায়ই ধর্ষণ করতো। গুরমিতের আন্ডারগ্রাউন্ড কোয়ার্টারগুলোতে শুধুমাত্র নারী অনুগামীদেরকেই গার্ড হিসেবে নিয়োগ করা হতো।

সেই বিবৃতিতে নারীরা বলেন, ধর্ষণের সময় গুরমিত তার প্রবল ক্ষমতা জাহিরের জন্য নিজেকে ‘ইশ্বর’ হিসেবেও অভিহিত করতো। নারী ভক্তরা নিজেদের মধ্যে কথা বলার সময় ধর্ষণকে ‘মাফি’ (ক্ষমালাভ) শব্দে উল্লেখ করতো।

সেই নারীরা জানান, আধ্মাতিক নেতা হিসেবে গুরমিতের মর্যাদা এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের অন্ধ ভক্তির কারণেই নারীরা ডেরার থাকতো।

২০০৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি বিশেষ সিবিআই বিচারক এ কে ভার্মার সামনে হরিয়ানার ইয়ামুনানগরের একজন নারী বলেন, ১৯৯৯ সালের জুলাই মাস থেকে তার ভাইয়ের জন্য তিনি ডেরায় থাকতে শুরু করেন। পরে বোনের জন্য ন্যায়বিচার চাওয়ায় তার সেই ভাইকে হত্যা করা হয়।

সেই নারী ভক্ত জানান, অন্যান্য নারী ভক্তরা যখন তাকে জিজ্ঞেস করতো “পিতাজি কি তোমার ক্ষমা মঞ্জুর করেছে” প্রথম প্রথম তিনি তা বুঝতে পারতেন না। কিন্তু পরে যখন ১৯৯৯ সালের ২৮/২৯ আগস্ট তাকে গুফার ভেতরে ডেকে নিয়ে গুরমিত ধর্ষণ করে তখন তার কাছে বিষয়টি পরিষ্কার হয়।

ডেরার অারেকজন সেবিকা ২০১০ সালের ৯ সেপ্টেম্বর সাক্ষ্য দেন, ১৯৯৮ সালের জুনে তিনি ডেরায় যোগ দেন। গুরমিত তাকে নাজাম নাম দেন। সিরসার বাসিন্দা এই নারী তার অভিভাবকের জন্যই গরমিতের অনুসারী হন। ডেরায় তিনি পড়াতেন।

১৯৯৯ সালের সেপ্টেম্বরে যখন তিনি গুফা প্রহরায় ছিলেন ডেরা প্রধান তাকে ভেতরে ডেকে নিয়ে যায় এবং ধর্ষণ করে। তাকে হুমকিও দেয়া হয় এই বিষয়ে কাউকে কিছু না বলতে।

গুরমিতের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ তুলে প্রধানমন্ত্রীর কাছে বেনামী চিঠি
২০০২ সালের মে মাসে ডেরা সাচ্চা সৌদার এক নারী ভক্ত গুরমিত রাম রহিমের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ তুলে প্রধানমন্ত্রীর কাছে বেনামী চিঠি পাঠান। তার একটি প্রতিলিপি পাঞ্জাব-হরিয়ানা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছেও পাঠান ওই নারী ভক্ত।

এর দুমাসের মধ্যেই ডেরা সাচ্চা সৌদার পরিচালন সমিতির এক সদস্য রণজিৎ সিং খুন হয়ে যান। পরিচালন সমিতির সদস্যরা সন্দেহ করতেন যে সিং-ই তার বোনকে দিয়ে ওই বেনামী চিঠি লিখিয়েছিলেন। তার বোন ওই আশ্রমের এক সাধিকা ছিলেন।

ওই চিঠির ভিত্তিতেই হাইকোর্ট সিবিআই কে তদন্তের নির্দেশ দেয়। এরপর ২০০৭ সালে এই ধর্মগুরুর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের শুনানি শুরু হয়। শুক্রবার গুরমিত রাম রহিম সিং-কে বিশেষ সিবিআই আদালত দোষী সাব্যস্ত করে রায় দেন। সাজা ঘোষণা হবে ২৮ তারিখ। এতে অন্তত ৭ বছর জেল, এমনকী যাবজ্জীবনও হতে পারে গুরমিতের।

রোহতকের সুনারিয়া জেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে গুরমিতকে।ডেরা সচ্চা সৌদা-র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাবে তারা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
পুরুষদের ধরে নিয়ে গুলি, নারীদের নির্যাতন! -পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের বর্ণনা

সহিংসতার মধ্যে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা এক রোহিঙ্গা নারী দাবি করেছেন, সেখানকার সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতে রাতের আঁধারে কালো আর মিলিটারির পোশাক পরা ব্যক্তিরা গুলি চালিয়েছে। গুলি আর বোমা বর্ষণের একপর্যায়ে প্রাণভয়ে নাফ নদী দিয়ে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে চলে আসে বলে জানাল পালিয়ে আসা অনেক নারী-পুরুষ।

গত বৃহস্পতিবার রাতে রাখাইন রাজ্যে সহিংসতা শুরুর পর শত শত রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ পালিয়ে বাংলাদেশের দিকে আসতে থাকে। সীমান্তে তাদের বাধা দেয় বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গতকাল শুক্রবার ১৪৬ জন এবং আজ শনিবার আরো ৭৩ জনকে পুশব্যাক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

পালিয়ে আসা নারী-পুরুষদের অনেকেই সীমান্ত এলাকায় বসে আছে। নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে অসহায় জীবন-যাপন করছে তারা। আজ কক্সবাজারের পালংখালি এলাকার সীমান্তে অবস্থান করা এসব রোহিঙ্গা মুসলিম নাগরিকের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তারা সেদিনের রাতের বর্ণনা দেয়।

রাখাইনে কখন থেকে গোলাগুলি শুরু হয়েছে জানতে চাইলে মিয়ানমারের ঢেকিবুনিয়া এলাকার বাসিন্দা এক তরুণ বলেন, গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে গুলি-বোমা বর্ষণ শুরু হয়। ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে তা।

মিয়ানমার থেকে আসা এক বয়স্ক ব্যক্তি জানান, ঘটনার দিন রাত ১২টার পর কিছু সময় বিরতি ছিল। পরে রাত ৩টা থেকে আবারও গোলাগুলি শুরু হয়, চলে ভোর পর্যন্ত। এরপরও থেমে থেমে গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। ফলে অন্য সবার মতো প্রাণভয়ে পালিয়েছেন তাঁরা।

গুলিবর্ষণকারী সৈন্যরা কেমন পোশাকে এসেছিলেন জানতে চাইলে মধ্যবয়সী এক রোহিঙ্গা নারী জানান, কিছু এসেছিল কালো পোশাকে। আর কারো কারো পরনে ছিল মিলিটারির (সেনাবাহিনী) পোশাক।

সীমান্তে অবস্থান করা আরেক নারী বলেন, হামলাকারীরা গুলি করছিল। নারীদের অত্যাচারও করছিল। এ ছাড়া পুরুষদের ধরে নিয়ে গিয়ে গুলি করছিল। এই ভয়ে সব রোহিঙ্গা পুরুষরা পালিয়ে যায়। ফলে শিশু আর বৃদ্ধদের নিয়ে বিপদে পড়ে নারীরা। ছিল না খাবারের সংস্থান। পানির মধ্যে বহু গুলি খাওয়া লাশ ভাসতে দেখেছেন বলেও জানালেন তিনি। একপর্যায়ে কোনো রকমে পালিয়ে বাংলাদেশে এসেছেন।

ঘটনা সম্পর্কে পালংখালীর বাসিন্দা স্থানীয় আইনজীবী আব্দুল মান্নান জানান, রাত ৩টার দিকে মিয়ানমারে গোলাগুলি হচ্ছে বলে খবর পান। তিনি জানান, এর পরই দ্রুত এলাকায় আসেন তিনি। এসে দেখতে পান তাঁর নিজের চিংড়ি মাছের ঘেরসহ অন্য সব ঘেরে মিয়ানমারের প্রচুর মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। মিয়ানমারে অত্যাচারিত হয়ে এসেছে বলে তারা জানিয়েছে।

স্থানীয় এক তরুণ জানালেন, শুক্রবার ভোর থেকেই মিয়ানমারের বহু নাগরিক সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। তবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা তাঁদের নির্দিষ্ট এলাকার বাইরে বের হতে দিচ্ছে না। মিয়ানমারের এসব নাগরিক খাদ্য ও পানীয় সংকটে রয়েছে বলেও জানান ওই তরুণ।

মিয়ানমার সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গত বৃহস্পতিবার রাতে রাখাইন রাজ্যে একসঙ্গে ২৪টি পুলিশ ক্যাম্প ও একটি সেনা আবাসে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে।

এরপর ‘সন্ত্রাসীদের’ সঙ্গে দেশটির নিরাপত্তাকর্মীদের সংঘর্ষে মোট ৭১ জন নিহত হয়। এর মধ্যে ১২ জন নিরাপত্তাকর্মী ও ৫৯ জন ‘বাঙালি সন্ত্রাসী’ রয়েছেন বলে গতকাল শুক্রবার মিয়ানমারে রাষ্ট্রীয় পরামর্শদাতার কার্যালয় জানিয়েছে।

বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, ১২ নিরাপত্তাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। এ ছাড়া ৫৯ জন ‘বাঙালি সন্ত্রাসীর’ লাশ সেখানে পাওয়া গেছে।

এই ঘটনার পর অনেক রোহিঙ্গারা প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশের দিকে ছুটে আসছে। শুক্রবার বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকালে সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে ১৪৬ জনকে পুশব্যাক করা হয়। অন্তত এক হাজার রোহিঙ্গাকে বাধা দেয় বিজিবি। সীমান্তে বিজিবির পক্ষ থেকে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ঢাকায় আশকোনা ক্যাম্পে হজযাত্রীদের বিক্ষোভ মিছিল

এজেন্সিগুলোর বিরুদ্ধে প্রতারণার নানা অভিযোগে আশকোনার হজ ক্যাম্পে বিক্ষোভ মিছিল করছেন হজযাত্রীরা। আজ বেলা দুইটার দিকে ব্যানার নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁরা।
মিছিলে প্রতারক হজ এজেন্সির মালিকদের বিচার ও হজে যাওয়ার নিশ্চয়তার দাবি তোলেন হজযাত্রীরা। তাঁরা জানান, মদিনা এয়ার ইন্টারন্যাশনাল অ্যাভিয়েশন, আল বালাক, সানজিদ ট্রাভেল, ইকো ট্রাভেলসহ কয়েকটি এজেন্সি যাত্রীর কাছ থেকে টাকা নিয়েও টিকিট দেয়নি। এ বছরের হজযাত্রার শেষ মুহূর্তে গতকাল শুক্রবার এজেন্সিগুলোর বিরুদ্ধে প্রতারণার নানা অভিযোগ নিয়ে হজযাত্রীরা জড়ো হন আশকোনার হজ ক্যাম্পে। এজেন্সিকে টাকা দিয়েও হজে যেতে না পারার অনিশ্চয়তায় মুষড়ে পড়েছেন তাঁরা।

আজ সকালে হজ পরিচালকের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ধর্ম মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বজলুল হক হারুন। তিনি বলেন, যেসব এজেন্সির বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে, তাদের বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। তারা যদি দুই দুনের মধ্যে হজযাত্রী পাঠানোর ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে জিডি থেকে মামলা করা হবে।

বাংলাদেশ থেকে এবার ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের পবিত্র হজ পালন করতে যাওয়ার কথা। ৯৫১ জনের পাসপোর্ট শেষ দিনেও জমা না পড়ায় তাঁদের ভিসা পাওয়ার আর সুযোগ নেই। তাই এবার বাংলাদেশ থেকে হজে যাচ্ছেন ১ লাখ ২৬ হাজার ২৪৭ জন। গতকাল পর্যন্ত সৌদি আরবে পৌঁছেছেন ১ লাখ ৯ হাজার ৯৬ জন হজযাত্রী। হজ ফ্লাইট সূচি অনুযায়ী, বিমানের শেষ প্রাক্-হজ ফ্লাইট আজ শনিবার। সৌদি এয়ারলাইনসের শেষ প্রাক্-হজ ফ্লাইট আগামী সোমবার। এই সময়ের মধ্যে ভিসা পাওয়া ১৭ হাজার ১৫১ জন হজযাত্রীকে সৌদি আরবে পাঠাতে হবে। প্রায় তিন হাজার হজযাত্রীর সৌদি আরবে যাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা এখনো কাটেনি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
তিন মাসে ফরাসি প্রেসিডেন্টের সাজগোজের খরচ ২০ লক্ষ টাকা!

তিন মাসে ফরাসি প্রেসিডেন্টের সাজগোজের খরচ ২৬ হাজার ইউরো। টাকার হিসেবে যা প্রায় ২০ লক্ষের কাছাকাছি।
সাজগোজের জন্য এই আকাশছোঁয়া খরচের জেরে ইতিমধ্যেই সমালোচনার মুখে পড়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাকরঁ।

সংবাদমাধ্যমের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বা বিদেশ সফরে গিয়ে সাধারণত মেকআপ শিল্পীর সাহায্য নেন রাষ্ট্রনেতারা। তেমনই প্রেসিডেন্ট মাক্রনেরও ব্যক্তিগত মেকআপ শিল্পী রয়েছেন। একটি ফরাসি পত্রিকায় প্রকাশিত খবর, প্রেসিডেন্টের দফতর থেকেই জানানো হয়েছে সাজগোজের পিছনে এত বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করেন দেশের তরুণ প্রেসিডেন্ট।

এই খবর প্রকাশিত হওয়ার পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে। বাজেট বরাদ্দে ছাঁটাইয়ের পরে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ক্রমশ নীচের দিকে নেমেছে মাক্রনের জনপ্রিয়তা। তার মধ্যে ব্যক্তিগত সাজগোজের পিছনে এই বিপুল খরচের তথ্য বিপদ বাড়িয়েছে মাক্রনের।

তবে স্থানীয় ওই পত্রিকাটির দাবি, মাক্রনের তুলনায় ঢের বেশি ছিল সাবেক প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদের সাজগোজের খরচ। মাসিক বেতন ১০ হাজার ইউরো দিয়ে নিজের জন্য এক জন মেকআপ শিল্পী নিয়োগ করেছিলেন ওলাঁদ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রাম রহিমের প্রশংসা করে মোদির ট্যুইট ভাইরাল

ভারতের হিন্দুত্ববাদী ধর্মীয় সংগঠন ‘ডেরা সচ্চা সৌদা’র প্রধান গুরমিত রাম রহিম সিং ধর্ষণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর ক্ষোভে ফুঁসছে পাঞ্জাব ও হারিয়ানার বড় অংশ। রাম রহিম ভক্তদের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ চলছে পুলিশের।
ঘটেছে প্রাণহানির ঘটনাও।

এমন সময়েই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হল গুরমিত রাম রহিম সিংকে নিয়ে করা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একটি পুরানো ট্যুইট। ওই ট্যুইটে রাম রহিমের প্রশংসা করেছেন মোদি।

সেই ধর্মগুরুর প্রশংসা করে ২০১৪ সালের ২৯ অক্টোবর ট্যুইট করেছেন নরেন্দ্র মোদী। তিনি লিখেছিলেন,”বাবা রাম রহিম ও তার দল প্রশংসা‌যোগ্য কাজ করেছেন। গোটা দেশজুড়ে মানুষকে স্বচ্ছ ভারতে উৎসাহ দেবে। ” প্রসঙ্গত হারিয়ানায় বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে সমর্থন দিয়েছিলেন রাম রহিম।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest