সর্বশেষ সংবাদ-
ব্যবসায়ীকে মারধরের ঘটনার ভিডিও করায় সাংবাদিকদের মারপিটের অভিযোগ ডা; ফয়সালের বিরুদ্ধেতাপদাহে রিকশাচালক-পথচারী‌দের‌ মাঝে ড্রিম সাতক্ষীরার পা‌নি ও স্যালাইন বিতরণআন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে র‌্যালি ও আলোচনাসাতক্ষীরা সদর সাব রেজিষ্ট্রি অফিস চত্বরে মরা শিশু গাছে ঝুঁকি বাড়ছেকলারোয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী আলতাফ হোসেন লাল্টুর গণ সমাবেশএডভোকেসি নেটওয়ার্ক এবং সিভিল সোসাইটি অর্গানাইজেশন সদস্যদের ত্রৈমাসিক সমন্বয় সভাশ্যামনগরের কৈখালী পোলের খাল খনন কর্মসূচির উদ্বোধনশ্যামনগরে সালাতুল ইস্তেকার নামাজ আদায়তীব্র তাপদাহে পুড়ছে উপকুলীয় জেলা সাতক্ষীরা, তাপমাত্রা আজ সর্বোচ্চ ৩৯.৩ ডিগ্রিদেবহাটায় উন্নয়ন কার্যক্রমে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্তি বিষয়ক মতবিনিময়

জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটে (আইএস) কিভাবে শিশুদের যুক্ত করা হয়, যুদ্ধ ও হত্যার প্রশিক্ষণ দেয়া হয় সে বিষয়ে সংগঠনটির প্রাক্তন এক শিশু জঙ্গি ন্যাটো সম্মেলনে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেছে। নাম ও পরিচয় প্রকাশ না করা ১৫ বছর বয়সী এ প্রাক্তন আইএস সদস্য শনিবার লাটভিয়ায় নিরাপত্তা বিষয়ক ন্যাটোর এক সম্মেলনে নানা অভিজ্ঞতার কথা বলে।

এসময় শিশুটি জানায়, ‘একটি গোপন ঘাঁটিতে মাত্র এক মাসের সামরিক প্রশিক্ষণ নেয় সে। সেখানে সিনিয়র যোদ্ধারা তরুণদের বর্বরোচিত কাজে যুক্ত করার জন্য নানা ধরণের কৌশল নির্ধারণে নিযুক্ত ছিল। ‘ সে আরো জানায়,’অস্ত্র নিয়ে অনেক ধরণের প্রশিক্ষণ দেয়া হত এখানে। প্রকৃত অস্ত্র হাতে নিতে গিয়ে কেউ যদি দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে যায় তাহলে তারা তার হাত অস্ত্রের ব্যারেলে এমনভাবে চেপে ধরত আঙ্গুলগুলো ভেঙ্গে যেত। ‘

কিভাবে একটি শিশুকে হত্যাকান্ডের প্রশিক্ষণ দেয়া হত সে সম্পর্কে শিশুটি জানায়, ‘তারা একটি শিশুকে ট্রাকের মধ্যে তুলে নিয়েছিল এবং তাকে বলেছিল যে সে একজন কাফেরের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে যাচ্ছে। তার হাতে একটি ছুরি দিয়ে তারা বন্দীর কাছে নিয়ে গেল। এভাবে হাত বাঁধা বন্দীকে শিরোচ্ছেদ করা হয়েছিল। এ সময় কয়েকজন উদ্বিগ্ন হয়ে হয়ে পড়লেও তারা নিরব থাকে তবে কাউকে যখন মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়, সবাই খুশি প্রকাশ করে এবং ‘আল্লাহু আকবার’ ধ্বনি দেয়। ‘

বন্দীদের ওপর আইএসের নির্যাতনের নানা ঘটনা বর্ণনা করতে যেয়ে সে আরো জানায়, ‘তারা খাঁচার মধ্যে ৫/৬ বন্দীকে ঢুকিয়ে ডুবে যাওয়ার আগ মুহুর্ত পর্যন্ত পানিতে খাঁচাটি নামিয়ে আনা হত আবার তোলা হত। এভাবে তাদের ওপর নির্যাতন চলত। কেউ তাদেরকে চিনত না, জানতো না তারা কে। ‘

তবে জঙ্গিদের এসব নৃশংস কর্মকান্ড তাকে আইএসের বিরুদ্ধে নিয়ে যায়। সে জানায়, ‘আমি জানতাম যে, ছোট বড় এসব মানুষকে আসলে হত্যা করা হচ্ছে এবং তা অন্যায়। আমি আমার দেশকে হারিয়েছি, সব কিছু। ‘ এসময় সকল শিশুদের প্রতি সে আহবান করে, ‘আমি এই সংগঠনে যোগদান না করার জন্য বিশ্বের সব শিশুকে বলবো, এরা মুসলিম নয়, তারাই ধর্ম অবিশ্বাসী যারা নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করে। তারা মুসলিম হতে ভান করে কিন্তু তারা শুধু আত্মঘাতী হামলা করার শিক্ষা দেয় এবং আপনাকে বলে যে আপনি জান্নাতে যাচ্ছেন – কিন্তু কিছুই তা সত্য নয়। ‘

সূত্র: দ্য এন আরব

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

সম্প্রতি বাংলা ছবির অন্যতম সেরা জুটি হলো আবির চট্টোপাধ্যায় ও জয়া আহসান। বিসর্জনে তাঁদের অনস্ক্রিন কেমিস্ট্রি রীতিমতো তাক লাগিয়ে দিয়েছিল দর্শকদের। আবারও বড়পর্দায় ফিরতে চলেছে এই জুটি। ছবির নাম ‘আমি জয় চ্যাটার্জ্জী’। তবে এই ছবিতে যে তাঁদের রসায়ন ‘বিসর্জন’-এর থেকে একেবারেই আলাদা তা বোঝা গেল সদ্য মুক্তি পাওয়া ছবির ট্রেলার দেখে।

‘হ্যালো কলকাতা’, ‘ডামাডোল’ ও ‘এইট্টি নাইন’-এর পর আবারও ফিরছেন পরিচালক মনোজ মিশিগান। এবার সাইকোলজিকাল থ্রিলারকেই ছবির বিষয় হিসাবে বেছে নিয়েছেন তিনি। ‘আমি জয় চ্যাটার্জ্জী’ আসলে ব্যবসায়ী জয় চ্যাটার্জ্জীর গল্প। নাম ভূমিকায় দেখা যাবে অভিনেতা আবির চট্টোপাধ্যায়কে। যিনি স্বভাবে খুবই উদ্ধত। শুধু উদ্ধতই নয়, জয় আসলে খুবই স্বার্থপর। নিজের ব্যবসার বাইরে, নিজের উন্নতির বাইরে আর কোনও কিছুকেই গুরুত্ব দেন না তিনি। তাঁর কাছে তিনি নিজেই একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ। এরকম একজন আত্মমগ্ন, আত্মকেন্দ্রিক জয় পাত্তা দেন না কারোর আবেগ, অনুভূতির। কিন্তু একদিন হঠাৎই হারিয়ে যান তিনি। কেউ কি তাঁকে অপরহণ করল, নাকি এমনিই গা ঢাকা দিলেন জয়? সেই তদন্তে নামে পুলিশ। পুলিশ অফিসারের চরিত্রে অভিনয় করেছেন শতাফ ফিগার। অন্যদিকে হারিয়ে যাওয়ার পরই জয় চ্যাটার্জ্জী অনুভব করেন যে, আসলে ‘আমি’ ব্যাপারটা খুবই অস্থায়ী, খুব সহজেই একটা মানুষ হারিয়ে যেতে পারে। এই টানাপোড়েন নিয়েই দানা বেঁধেছে ছবির চিত্রনাট্য।

শুটিং হয়েছে কলকাতা ও সিকিমে। ছবির ট্রেলার দেখেই বাড়ছে প্রত্যাশা। এর আগেও থ্রিলারে দেখা গিয়েছে আবিরকে। তবে সেইসব ছবির থেকে যে বেশ আলাদা ‘আমি জয় চ্যাটার্জ্জী’, তার আঁচ পাওয়া গেল ছবির ট্রেলার থেকেই। তবে এ তো শুধু ট্রেলার, বড়পর্দায় ছবির অপেক্ষায় দর্শকরা। সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

এম. শাহীন গোলদার : সাতক্ষীরা জেলাব্যাপী পুলিশ নাশকতা ও মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে ৪১ জনকে গ্রেফতার করেছে। এসময় সাড়ে ৭ কেজি ভারতীয় নূপুর ও ২০ পিচ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।
রবিবার সন্ধ্যা থেকে আজ সকাল পর্যন্ত জেলার আটটি থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সকল ঘটনায় ০৬ টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ জানান, সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে ১২ জন, কলারোয়া থানা ০২ জন, তালা থানা ০৭ জন, কালিগঞ্জ থানা ০৩ জন,শ্যামনগর থানা ০৫ জন, আশাশুনি থানা ০৫ জন, দেবহাটা থানা ০২ ও পাটকেলঘাটা থানা থেকে ০৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক মিজানুর রহমান তাদের গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতা ও মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

উত্তর লন্ডনের ক্যামডেন লক মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় সময় রোববার রাতে ওই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। তবে আগুনে এখনো কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। খবর গার্ডিয়ানের।

আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট কাজ করছে। মার্কেটটির কয়েকটি তলায় আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। এক হাজরেরও বেশি দোকান রয়েছে ওই মার্কেটে।

দমকল বাহিনী লোকজনকে ওই এলাকা এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছে। তবে অগ্নিকাণ্ডের সঠিক কারণ এখনও জানা যায় না।

সামাজিক মাধ্যমে অগ্নিকাণ্ডের ছবি ছড়িয়ে পড়েছে। মার্কেটের কাছের একটি গিটারের দোকান থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

মেট্রোপলিটন পুলিশ জানিয়েছে, রোববার মধ্যরাত ১২টা ১০ মিনিটে ক্যামডেন লক মার্কেট থেকে অগ্নিকাণ্ডের খবর জানিয়ে তাদের সাহায্য চাওয়া হয়। ইতোমধ্যেই সেখানে লন্ডন ফায়ার ব্রিগেডের কর্মীরা উপস্থিত হন। পুলিশ জানিয়েছে, তাদের কাছে হতাহতের কোনো খবর এখনও পৌঁছায়নি। তারা পুরো পরিস্থিতি জানার চেষ্টা করছেন।

দমকলের এক কর্মী জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত সেখানে কেউ আহত হয়নি। দমকলের কর্মীরা এখনও ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছেন।

এর আগে ২০০৮ সালে লন্ডনের জনপ্রিয় ক্যামডেন মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় একটি বড় অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

মালয়েশিয়ায় অবৈধ অভিবাসী শ্রমিক আটকে চলমান সাঁড়াশি অভিযানে আটকের তালিকায় শীর্ষে অবস্থান করছে বাংলাদেশ । মালয়েশিয়ার অভিবাসী শ্রমিক আটকে বিগত দিনগুলোর রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে এবার বাংলাদেশ ।

বিগত সময়গুলোতে কয়েকমাসেও যেখানে এত বাংলাদেশি আটক হয়নি সেখানে গত ৩০জুন মধ্যরাত থেকে শুরু হওয়া এই অভিযানে গত নয় দিনেই তা এগারশ ছাড়িয়ে গেছে।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি শুরু হয় মালয়েশিয়ায় বসবাসরত অবৈধ বিদেশি শ্রমিকদের বৈধকরণ ই-কার্ড প্রক্রিয়া। এ প্রক্রিয়ার মেয়াদ ৩০ জুন শেষ হওয়ার পর বিদ্যমান অবৈধ শ্রমিক ধরতে দেশব্যাপী সাঁড়াশি অভিযান শুরু হয়।

গত ৩০ জুন মাঝরাত থেকে শুরু হওয়া এ অভিযানে এখন পর্যন্ত চার হাজারের ও বেশি অবৈধ বিদেশি শ্রমিককে আটক করেছে দেশটির ইমিগ্রেশন পুলিশ। যার মধ্যে ১১০১ জন বাংলাদেশী নাগরিক ৬৫৮ জন ইন্দোনেশিয়া,২২৩ জন মায়ানমার বাকিরা অন্যান্য দেশের। পাশাপাশি অবৈধ শ্রমিক রাখার অপরাধে ২৭ জন মালিককেও আটক করা হয়েছে।

এ সাঁড়াশি অভিযানের ফলে বৈধ-অবৈধ বিদেশি শ্রমিকদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। অনেকেরই জীবন কাটছে আবার অনাহারে-অর্ধাহারে। অভিযানের ভয়ে অনেকেই আশ্রয় নিয়েছেন পাহাড়ে ও জঙ্গলে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ইরাকির প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এ খবর জানিয়েছে। মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের বিমান হামলার সহযোগিতা নিয়ে মসুল দখলমুক্ত করতে গত বছর ১৭ অক্টোবর থেকে ইরাকি সেনাবাহিনী অভিযান শুরু করে। কুর্দি পেশমারগা যোদ্ধা, আরব সুন্নি উপজাতি ও শিয়া মিলিশিয়ারা মসুল দখলমুক্ত করার অভিযানে অংশ নেয়।

২০১৪ সালের জুন মাসে আইএস যোদ্ধারা ইরাকের সুন্নি মুসলিমদের প্রধান শহর মসুল দখল করে খিলাফত ঘোষণা করে। পরে তা ইরাক ও সিরিয়ায় বিস্তৃত হয়।

রবিবার শহরটিতে বিচ্ছিন্নভাবে গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে এবং আকাশে ধোঁয়ার কুণ্ডুলিও দেখা গেছে বলে বিবিসির খবরে বলা হয়েছে। পুরনো শহরটির বিভিন্ন পকেটে অবস্থান নেওয়া আইএস জঙ্গিদের সঙ্গে লড়াই করছিল ইরাকি সেনারা।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রবিবার মসুলে চূড়ান্তভাবে আইএসকে পরাজিত করার পর প্রধানমন্ত্রী সেখানে পৌঁছান। তিনি সেনা সদস্য ও ইরাকি জনগণকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। শিগগিরই এই বিজয় নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ভাষণ দেবেন তিনি।

ইরাকের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইরাকি সেনারা টাইগ্রিস নদীর দিকে এগিয়ে গেলে নদীতে লাফিয়ে পড়ে অন্তত ৩০ জন আইএস যোদ্ধা নিহত হয়েছে।

এর আগে জানুয়ারিতেই ইরাক মসুলকে মুক্ত করার কথা জানিয়েছিল। কিন্তু শহরটি পশ্চিমাঞ্চলের কিছু এলাকায় আইএসের উপস্থিতি ছিল। এ অঞ্চল দখলমুক্ত করতে ইরাকি সেনা বাহিনীকে বেশ বেগ পেতে হয়।

২০১৪ সালের পর থেকে মসুলের প্রায় ৯ লাখ মানুষ ঘর-বাড়ি হারিয়েছেন। ত্রাণ সংস্থার মতে, এটা মসুলের অর্ধেক জনসংখ্যা। সূত্র: বিবিসি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে জোট সম্প্রসারণের নীতি গ্রহণ করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এটি নিয়ে জোটের শরীকদের মধ্যে চলছে ‘মনোমালিন্য’। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে।
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের শরীক নেতারা বলছেন, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট একটি আদর্শিক জোট। আমরা চাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে বিশ্বাসী রাজনৈতিক দলগুলোই এই জোটে থাকুক। সেক্ষেত্রে এই আদর্শে বিশ্বাসী যেকোনো দল জোটে যোগ দিতে পারে। সেই রাজনৈতিক দলের গঠনতন্ত্র ও ঘোষণাপত্র যাচাই করে তবেই জোটে অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন বলেন, ১৪ দলের কলেবর বাড়তে পারে। জোটের আদর্শ মেনে কেউ যদি আসতে পারে তাহলে তো অসুবিধা নেই। আর আদর্শিক জোট ও নির্বাচনী জোটে পার্থক্য আছে। ১৪ দল একটি আদর্শিক জোট।
আদর্শিক জোটে নতুন কোনো দল আসার প্রয়োজন নেই বলে মনে করেন জোটের কোনো কোনো শরীক। তবে আওয়ামী লীগ যদি নির্বাচনী জোট সম্প্রসারণ করতে চায় তাতে শরীকদের আপত্তি নেই বলে জানিয়েছেন কেউ কেউ।
১৪ দলীয় জোটে নতুন কোনো দল আনার প্রয়োজন নেই বলে মনে করেন সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া। তিনি বলেন, ‘১৪ দলে নতুন কোনো দলের প্রয়োজন নেই। এমন কোনো দল নেই যে তারা ভোটে বা আন্দোলনে গতি বাড়িয়ে দেবে। তাই নতুন করে কাউকে অন্তর্ভুক্তির প্রয়োজন নেই।’
এ বিষয়ে জোটের শীর্ষনেতা ও গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে। ক্ষমতায় যেতে তারা অনেক কৌশল নিতে পারেন। নির্বাচনে জিততে অন্যান্য দলের সঙ্গে কথা বলতেই পারেন। জোটের ২-৩টি দল সরকারে আছে, বাকিরা নেই। কিন্তু আমরা ঐক্যবদ্ধ আছি নির্দিষ্ট ২৩ দফার ভিত্তিতে।
‘আমরা কঠিন সময়ে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলাম। এখন এর কলেবর বৃদ্ধি হলে সেটা জোটের আদর্শ মেনেই হতে হবে, আলোচনার ভিত্তিতে’- যোগ করেন তিনি।
মূলত গত মে মাসে ইসলামী ফ্রণ্ট বাংলাদেশ’র ১৪ দলীয় জোটে যোগদানের প্রস্তাব নিয়ে জোটনেতাদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে জোট সম্প্রসারণের বিষয়টি সামনে আসে। এর আগে, ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের হয়ে নির্বাচনে অংশ নিলেও দলটির সভাপতি সৈয়দ বাহাদুর শাহ মোজাদ্দেদী জয়লাভ করতে পারেননি। তবে বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে নিয়মিতই সরব ছিল দলটি।
১৪ দলীয় জোটের আলোচনায় দলটির অন্তর্ভুক্তির প্রথম বিরোধিতা করে জোটের আরেক ইসলামী দল ‘তরিকত ফেডারেশন’। গত সংসদ নির্বাচনের আগে ১৪ দলে আসা দলটি ইসলামী ঐক্যফ্রন্টের আদর্শসহ অন্যান্য বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তোলে।
গত ২ জুলাই ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ-কে ১৪ দলীয় জোটে অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে আলোচনায় বসেন জোটের নেতারা।
সেখানে জোটের শরীক বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি, বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের ১৪ দলে অন্তর্ভুক্তি নিয়ে আবারও আপত্তি তোলেন।
ওই বৈঠকে তিনি বলেন, ‘ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ-কে ১৪ দলের অন্তর্ভুক্ত করতে হলে তাদের গঠনতন্ত্র-ঘোষণাপত্র ভালো করে যাচাই-বাছাই করা উচিত। ১৪ দলের সঙ্গে আদর্শিক পার্থক্য থাকলে সেটি বিশেষ ভাবে দেখতে হবে। আমাদের জোট অক্ষুণ্ন রাখতে হবে।’
জানা গেছে, ৩ জুলাই ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের নেতারা ১৪ দলীয় জোটের কাছে দলীয় গঠনতন্ত্র ও ঘোষণাপত্র উপস্থাপন করেন। এ বিষয়ে বৈঠকের সিদ্ধান্ত মোতাবেক, ১৪ দলীয় জোটে ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে না, তবে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন নির্বাচনী জোটে দলটি যোগ দিতে পারে- বলে জানানো হয়।
এ বিষয়ে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জাসদ (একাংশ) সভাপতি শরীফ নূরুল আম্বিয়া বলেন, ‘আমি ওই বৈঠকে ছিলাম না। তবে জোটনেতাদের কাছ থেকে শুনেছি ১৪ দলীয় জোটে ইসলামিক ফ্রন্টকে নেয়া হচ্ছে না। তবে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী জোটে দলটি থাকতে পারে।’
২০০৪ সালের ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার পর আওয়ামী লীগের জোট গঠনের উদ্যোগ থেকে পরের বছর ২৩ দফার ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধ হয় ১৪ দল। তবে জাসদ ও ন্যাপের সঙ্গে এই জোটে আসা বাম-প্রগতিশীল জোটের ১১ দলের মধ্যে সিপিবি, বাসদসহ চারটি দল পরে বেরিয়ে যায়। এছাড়া পরবর্তী সময়ে গণফোরামকে বাদ দেয়া হয়।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ১৪ দলে নেয়া হয় তরিকত ফেডারেশন ও জাতীয় পার্টি (জেপি)-কে। এবার একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত আরও কয়েকটি দলকে জোটে নেয়ার বিষয়ে আলোচনা চলছে। অবশ্য ১৪ দলে বর্তমানে চারটি অনিবন্ধিত রাজনৈতিক দল রয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আন্তর্জাতিক সম্মেলন বা অনুষ্ঠানে কোন দেশের রাষ্ট্রনায়কের জন্য নির্ধারিত আসনে অন্য কারো বসার নিয়ম নেই। এমনকি তার সন্তান বা একান্ত উপদেষ্টা হলেও না। কিন্তু প্রচলিত এই সাধারণ নিয়ম না মেনে জি২০ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আসনে তার মেয়ে ও উপদেষ্টা বসায় তোপের মুখে পড়েছেন তিনি।

এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ট্রাম্পের স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠেছে। একইসঙ্গে ইভানকা কূটনৈতিক যোগ্যতার ব্যাপারেও বিশ্বজুড়ে ব্যাপক ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ হচ্ছে।

ব্লুমবার্গ নিউজ এজেন্সি জানায়, শি জিনপিং, ভ্লাদিমির পুতিন, রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান, অ্যাঙ্গেলা মেরকেল এবং টেরেসা মে’র সঙ্গে শনিবার অন্তত দু’টো অধিবেশনে ইভানকা একই টেবিলে বাবার আসনে বসেন। কিন্তু তিনি কোন বক্তব্য দেননি।

ইভানকার এক মুখপাত্র এর জবাবে ব্লুমবার্গকে জানিয়েছে, তিনি প্রথম থেকেই অধিবেশন চলা রুমে পেছনের দিকে বসেছিলেন। কিন্তু ইন্দোনেশিয়ান নেতার সাথে সাক্ষাতের কারণে শনিবারের ওই বৈঠকের সময় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প উঠে গেলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি হিসেবে তিনি বাবার আসনে বসেন।

ইভানকা ট্রাম্প বিনা বেতনে হোয়াইট হাউজে মার্কিন প্রেসিডেন্টেরেউপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এ কারণে বেশ প্রশংসিত হলেও এভাবে একটি দেশের প্রেসিডেন্টের বিকল্প হিসেবে তার আসনে বসার মাধ্যমে প্রচুর নিন্দার মুখে পড়েছেন ইভানকা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest