সর্বশেষ সংবাদ-
গণভোটসহ ৫ দফা দাবিতে সাতক্ষীরা জামায়াতের বিক্ষোভসাতক্ষীরায় প্রকাশ্যে চেতনানাশক স্প্রে করে এক নারীর গহনা ও মোবাইল ছিনতাইসাতক্ষীরায় উপকূলীয় এলাকায় ক্রীড়া উৎসব১২ নভেম্বরকে ‘উপকূল দিবস’ ঘোষণার দাবিসড়ক দুর্ঘটনায় আহত জামায়াতে ইসলামী সাতক্ষীরা জেলা সেক্রেটারিসাতক্ষীরা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির নির্বাচন : জামায়াত সমর্থিত ৫টি পদে বিজয়সাতক্ষীরায় মুক্তিযোদ্ধার সনদ জালিয়াতির অভিযোগে চাকুরিচ্যুত দুই শিক্ষক ভ্রাতা চাকুরি ফিরে পেতে মরিয়াসাতক্ষীরায় অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকদের দ্রুত এমপিওর জন্য মতবিনিময় Master Your Game with These Winning Strategies at Kyngs Casinoসাতক্ষীরার চারটি আসনই ধানের শীষে ভোট দিয়ে বিজয়ী করতে হবে – হাবিবুল ইসলাম

নলতায় ঈদ পুনর্মিলনী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

তোষিকে কাইফ/তরিকুল ইসলাম লাভলু : সকল নেতাকর্মীদের ঐক্যতাবদ্ধ হয়ে কাজ করে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আবারও নির্বাচনে জয়ী করে দেশকে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। দেশ থেকে সন্ত্রাস, মাদক নির্মুল করতে হবে। এক অপরের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ তৈরি করতে হবে। আর দেশে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে পূর্বের ন্যায় আগামীতেও জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে সকলের প্রতি উদাত্ম আহবান জানান সাতক্ষীরা-৩ আসনের সংসদ সদস্য, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা কমিটির সদস্য আলহাজ্জ অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হক।
সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার নলতা শরীফ টাউন পাড়ায় সাতক্ষীরা-৩ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্জ অধ্যাপক ডাঃ আফম রুহুল হক’র নিজস্ববাসভবনের ৪ এপ্রিল সোমবার ঈদ পূর্ণমিলনী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,সাতক্ষীরা-৩ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্জ অধ্যাপক ডাঃ আফম রুহুল হক এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন, দেবহাটা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্জ আব্দুল গণি, কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মাঈনউদ্দিন হাসান, সাতক্ষীরা জেলা আ ’লীগের কোষাধ্যক্ষ আসাদুল হক, সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ সদস্য এস.এম আসাদুর রহমান সেলিম ও এসএম দেলোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি গোলাম রসুল বিপ্লব, দেবহাটা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুব আলম খোকন, দেবহাটা উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ শহীদুল ইসলাম শাহীন, আশাশুনি উপজেলা শ্রমিকলীগের আহবায়ক ঢালী শামসুল আলম, স্বেচ্ছা সেবকলীগের সভাপতি সাহেব আলী, দেবহাটা উপজেলার নওয়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্জ মুজিবর রহমান, সখিপুর ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন রতন, পারুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম। আশাশুনি উপজেলার দরগাপুর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ মিয়ারাজ আলী, বড়দল ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলিম,কাদাকাটি ইউপি চেয়ারম্যান দিপাঙ্কর সরকার।কালিগঞ্জ উপজেলার চম্পাফুল ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক, তারালী ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হোসেন ছোট।
এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন, নলতা ইউনিয়ন আ’লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নলতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মোনায়েম, কালিগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জিএম সাইফুল ইসলাম,আশাশুনি উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এসএম সেলিম রেজা, নলতা ইউনিয়ন আ’লীগের ১নং ওয়ার্ড সভাপতি আজিজ হাসান, সাধারণ সম্পাদক শমসের আলী, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ফিরোজ শাহরিয়ার, স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি জেডএইচ খান জফুসহ কালিগঞ্জ, দেবহাটা,আশাশুনি উপজেলার আ’লীগ, যুবলীগ,ছাত্রলীগ,স্বেচ্ছাসেবকলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী ও সুধীবৃন্দ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কালিগঞ্জে চারদলীয় টুর্নামেন্টে পিডিকে মিতালী সংঘ চ্যাম্পিয়ন

কালিগঞ্জ ডেস্ক: কালিগঞ্জের পারুলগাছা প্রগতি সংঘ আয়োজিত চারদলীয় ডাবল ফ্রিজ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা ৪ সেপ্টেম্বর সোমবার বিকেলে পারুলগাছা ফুটবল মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ফাইনালে একাধিক বিদেশী খেলোয়াড় নিয়ে পরস্পরের মুখোমুখি হয় কালিগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী পিডিকে মিতালী সংঘ ও দেবহাটার ঐতিহ্যবাহী গাজীরহাট প্রগতি সংঘ ফুটবল একাদশ। আক্রমণ ও পাল্টা আক্রমণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত খেলায় শেষ বাঁশি বাজার পূর্ব মুহূর্তে পিডিকে মিতালী সংঘের পক্ষে একমাত্র জয়সূচক গোলটি করেন ২০ নম্বর জার্সিধারী খেলোয়াড় ছিদ্দিকুর রহমান। জয়সূচক গোলদাতা হিসেবে ম্যান অব দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হন ছিদ্দিকুর রহমান এবং ম্যান অব দ্যা সিরিজ নির্বাচিত হন গাজীরহাট প্রগতি সংঘের ৭ নম্বর জার্সিধারী খেলোয়াড় মহানন্দ। প্রচুর সংখ্যক ক্রীড়ামোদী দর্শকের উপস্থিতিতে খেলা পরিচালনা করেন ফিফা রেফারী শেখ ইকবাল আলম বাবলু এবং সহকারী হিসেবে ছিলেন সুকুমার দাশ বাচ্চু, সৈয়দ মোমেনুর রহমান ও শাহিনুর রহমান। খেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ও খেলা শেষে চ্যাম্পিয়ন দলের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রধান অতিথি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি যুদ্ধকালীন কমান্ডার আলহাজ্জ্ব শেখ ওয়াহেদুজ্জামান এবং রানার্স আপ দলের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অনুষ্ঠানের সভাপতি ২নং বিষ্ণুপুর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ রিয়াজ উদ্দীন। প্রগতি সংঘের কর্মকর্তা অসীম কুমার রায় ও শাহ আলম ঢালীর সঞ্চালনায় পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ম্যান অব দ্যা সিরিজ, ম্যান অব দ্যা ম্যাচ ও পরিচালকদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন কৃষ্ণনগর ইউপি চেয়ারম্যান কেএম মোশারাফ হোসেন, কুশলিয়া ইউপি’র সাবেক চেয়ারম্যান কাজী মোফাখখারুল ইসলাম নীলু, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা জগন্নাথ বিশ^বিদ্যালয়ের প্রভাষক কাজী ফারুক হোসেন প্রমুখ।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মৌতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন, শ্যামনগরের সহকারী যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আনিছুর রহমান, জাতীয় শ্রমিক লীগ কালিগঞ্জ উপজেলা শাখার আহবায়ক শেখ শাহজালাল, যুগ্ম আহবায়ক আব্দুস সবুর, রতনপুর ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মাছুম বিল্যাহ সুজন, বিশিষ্ট সমাজসেবক বিশ^জিৎ সরদার, মিলিনিয়াম ইলেক্ট্রনিক্সের স্বত্ত্বাধিকারী সঞ্জয় কুমার ঘোষ, প্রগতি সংঘের কর্মকর্তা ও সদস্য যথাক্রমে তাপস মন্ডল, শাহাজান সিরাজ ঢালী, আব্দুস সামাদ গাজী, রেজাউল করিম, আব্দুল হান্নান মোড়ল, মেহেদী হাসান বাবু, আব্দুর রাজ্জাক রাজু প্রমুখ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কালিগঞ্জ পূজা উদযাপন সম্মেলন: সনৎ সভাপতি, মিলন সম্পাদক

কালিগঞ্জ ব্যুরো : বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ কালিগঞ্জ উপজেলা শাখার দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন-২০১৭ রোববার বেলা ১১ টায় উপজেলা অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের আহবায়ক সজল মুখার্জ্জীর সভাপতিত্বে সম্মেলনের প্রথম পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের আহবায়ক সুভাষ চন্দ্র ঘোষ। পূজা উদযাপন পরিষদের আহবায়ক কমিটির যুগ্ম আহবায়ক ব্যাংক কর্মকর্তা রনজিত সরকার ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী গোপীরঞ্জন অধিকারীর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক অসীম বরণ চক্রবর্তী, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক সনৎ কুমার গাইন, যুগ্ম আহবায়ক বরুণ কুমার ঘোষ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ডা. মিলন কুমার ঘোষ, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক গোবিন্দ মন্ডল, অধ্যাপক নারায়ন চন্দ্র চক্রবর্তী প্রমুখ। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি তপন রায়, বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক গোপাল মন্ডল, চাম্পাফুল ইউনিয়নের সম্পাদক ঠাকুরদাশ সরকার, দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের সভাপতি মনোরঞ্জন সরকার, কুশলিয়া ইউনিয়নের গোবিন্দ লাল সরদার, নলতা ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক পুরঞ্জন স্বর্ণকার, তারালী ইউনিয়নের সম্পাদক দেবপ্রসাদ ঘোষ, ভাড়াশিমলা ইউনিয়নের সম্পাদক জয়দেব দাশ, মথুরেশপুর ইউনিয়নের সভাপতি রবীন চন্দ্র লস্কার, ধলবাড়িয়া ইউনিয়নের সভাপতি বিশ^জিৎ ঘোরামী, রতনপুর ইউনিয়নের সম্পাদক ডা. তরুণ কুমার ঘোষ ও মৌতলা ইউনিয়নের সভাপতি গণেশ চন্দ্র চক্রবর্তী প্রমুখ। সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের আহবায়ক সুভাষ চন্দ্র ঘোষের সভাপতিত্বে ও সাবেক যুগ্ম সম্পাদক অসীম বরণ চক্রবর্তীর সঞ্চালনায় উপস্থিত কাউন্সিলদের মতামতের ভিত্তিতে অধ্যাপক সনৎ কুমার গাইনকে সভাপতি, ডা. মিলন কুমার ঘোষকে সাধারণ সম্পাদক এবং গোবিন্দ মন্ডলকে সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত করে ৫১ সদস্যবিশিষ্ট কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত হয়। কমিটির অন্যান্যরা হলেন, সহ-সভাপতি যথাক্রমে দুলাল চন্দ্র ঘোষ, কৃষ্ণপদ সরকার, সজল মুখার্জী, রনজিত সরকার, রনজিত সরকার, যুগ্ম সম্পাদক নারায়ন চন্দ্র চক্রবর্তী, রিপন কুমার দত্ত, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অসিত সেন, কোষাধ্যক্ষ বরুণ কুমার ঘোষ, সহ-কোষাধ্যক্ষ প্রশান্ত কুমার সাহা, প্রচার সম্পাদক গোপীরঞ্জন অধিকারী, দপ্তর সম্পাদক ঠাকুরদাশ কর্মকার, গণসংযোগ সম্পাদক তন্ময় মন্ডল, গ্রন্থ ও প্রকাশনা সম্পাদক সুকুমার দাশ বাচ্চু, সাংস্কৃতিক সম্পাদক রবীন্দ্রনাথ বাছাড়, সমাজকল্যাণ সম্পাদক বসন্ত কুমার সরকার, আইনবিষয়ক সম্পাদক দূর্গাপদ সরকার, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান সংরক্ষণ সম্পাদক শ্যামল কুমার বিশ^াস, মহিলা সম্পাদিক প্রমিলা বালা মন্ডল, পূজা সম্পাদক অমল কুমার আচার্য্য, সহ-পূজা সম্পাদক দিপালী ঘোষ এবং নির্বাহী সদস্য যথাক্রমে গুরুপদ সরকার, নিরঞ্জন পাল, সুশীল কুমার গায়েন , তপন রায়, দীপক হালদার, শিবদাস বৈদ্য, গোপাল মন্ডল, সত্যরঞ্জন বিশ^াস, ঠাকুরদাস সরকার, মনোরঞ্জন সরকার, কালিদাস সরকার, বিমল কুমার ঘোষ, গোবিন্দ লাল সরদার, নির্মল মন্ডল, পুরঞ্জন স্বর্ণকার, বিশ^নাথ ঘোষ, দেবপ্রসাদ ঘোষ, শান্তিগোপাল চক্রবর্তী, জয়দেব দাশ, রবীন চন্দ্র লস্কার, মধুসদন ঘোষ, বিশ^জিৎ ঘোরামী, সুদর্শন সরদার, হিমাংশু ঘোষ, তরুন কুমার ঘোষ, গণেশ চন্দ্র চক্রবর্তী ও বিশ^জিৎ চক্রবর্তী।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাব্বিরের ব্যাটিং কোহলির মতো, বললেন লায়ন

চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিনে লড়াইটা ভালোই হয়েছে সাব্বির রহমান ও নাথান লায়নের। দুজনই ছিলেন দুই দলের সেরা খেলোয়াড়। লায়নের ঘূর্ণিতে যখন বাংলাদেশের অন্য ব্যাটসম্যানরা একের পর এক সাজঘরে ফিরছেন, তখন সেই লায়নের বলই দাপটের সঙ্গে খেলেছেন সাব্বির। দিন শেষের সংবাদ সম্মেলনেও লায়নের কণ্ঠে উচ্চারিত হলো সাব্বিরের লড়াকু ব্যাটিংয়ের প্রশংসা। বাংলাদেশের তরুণ এই ব্যাটসম্যান লায়নকে নাকি মনে করিয়ে দিয়েছেন বিরাট কোহলির কথা।

লায়নের দুর্দান্ত বোলিংয়ে দিনের শুরুতেই বেশ বিপাকে পড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। স্কোরবোর্ডে ১১৭ রান জমা করতেই সাজঘরে ফিরেছিলেন প্রথম সারির পাঁচ ব্যাটসম্যান। এর মধ্যে চারটি উইকেটই গিয়েছিল লায়নের ঝুলিতে। বেশ চাপের মুখে উইকেটে আসলেও সাব্বিরের ইতিবাচক ব্যাটিং কুড়িয়েছে ভূয়সী প্রশংসা। আগ্রাসী ব্যাটিং করে তিনিই উল্টো চাপের মুখে ঠেলে দিয়েছিলেন অসি বোলারদের। সাত নম্বরে নেমে সাব্বিরই খেলেছিলেন বাংলাদেশের পক্ষে প্রথম অর্ধশতকের ইনিংসটি। ষষ্ঠ উইকেটে অধিনায়ক মুশফিকের সঙ্গে সাব্বিরের শতরানের জুটিটাই মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে প্রথম দিনের লড়াইয়ের।

দিনশেষের সংবাদ সম্মেলনে তাই সাব্বিরের ভূয়সী প্রশংসাই করতে হয়েছে মাঠের প্রবল প্রতিপক্ষ লায়নকে। ঠিক যেন এ সময়ের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান বিরাট কোহলির কথাই মনে পড়ে যাচ্ছিল অস্ট্রেলিয়ার ডানহাতি এই স্পিনারের, ‘সাব্বির অসাধারণ ব্যাটিং করেছে। ভালো শট খেলেছে। তার ব্যাটিং দেখে বিরাট কোহলির কথা মনে হচ্ছিল।’

৬৬ রানের ক্যারিয়ার-সেরা ইনিংসটি খেলার পর সাব্বির সাজঘরেও ফিরেছেন লায়নেরই শিকার হয়ে। সাব্বিরকে আউট করেই লায়ন পেয়েছেন ম্যাচের পঞ্চম উইকেটটি। দিনশেষের সংবাদ সম্মেলনে তাই সাব্বিরও অভিনন্দন জানিয়েছেন লায়নকে। আর কোহলির সঙ্গে তুলনার প্রসঙ্গটা মনে করিয়ে দেওয়াতে সাব্বিরের জবাব, ‘কোহলির মতো ব্যাটসম্যান আমি এখনো হতে পারিনি। কোহলি কোহলির মতো। আমি আমার মতো। কোহলির সঙ্গে তুলনার চেয়েও বড় ব্যাপার হচ্ছে আমি ভালো খেলতে চাই। দলের জন্য অবদান রাখতে চাই।’

সাব্বির সত্যিই যেন সেটা পারেন, সেই প্রত্যাশাই থাকবে বাংলাদেশের সমর্থকদের। সাব্বির আর মুশফিকের ব্যাটে ভর করে আজ প্রথম দিনের খেলায় বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে জমা হয়েছে ২৫৩ রান। সাব্বির আউট হয়েছিলেন ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে। তারপর আর কোনো উইকেট হারাতে হয়নি টাইগারদের।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় সোর্স নজরুল খুনের নেপথ্যে চোরাচালান সিন্ডিকেট!

নিজস্ব প্রতিবেদক : ভারত থেকে পাচার করা চোরাচালানের মালামাল ধরিয়ে দেওয়াই কি কাল হলো দেবহাটার নজরুল ইসলামের। নাকি আরও একটি বিয়ের কারণে তাকে প্রাণ দিতে হয়েছে তা এখনও রহস্যাবৃত।
নিহত নজরুলের পরিবারের সদস্যরা বলছেন ৩০ আগস্ট ঘটনার রাতে তার সাথে তাদের শেষ কথা হয়। এ সময় তিনি একটি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নাম করে বলেন ‘আমি তাদের সাথেই আছি। তবে আজ সোমবার সাতক্ষীরার আদালতে দায়ের করা মামলার বাদি নজরুলের বাবা মোক্তার মোড়ল বলেন ‘ঘটনার রাতে তিনি ভাইস চেয়ারম্যানের বাসায় আছেন বলে জানিয়েছিলেন। ওই রাতেই তার মরদেহ কে বা কারা দেবহাটার সখিপুর হাসপাতালে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। দেবহাটা থানা পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। ময়না তদন্ত শেষে শুক্রবার তাকে অজ্ঞাত পরিচয় হিসাবে শহরের রসুলপুর গোরস্থানে দাফন করা হয়। এদিকে লাশের ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ায় তার স্বজনরা তাকে নজরুল ইসলাম বলে শনাক্ত করেন।
নিহত নজরুল ইসলাম (৪৮) সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার দক্ষিণ কুৃলিয়া মোড়লপাড়ার মোক্তার মোড়লের ছেলে। তিনি নিজেকে কখনও বিজিবি আবার কখনও পুলিশের সোর্স হিসাবে পরিচয় দিতেন। তবে পুলিশ বলছে তার বিরুদ্ধে দেবহাটা থানায় অন্ততঃ চারটি চোরাচালানের মামলা রয়েছে। অপরদিকে তিনি সাতক্ষীরার বিজিবি সদস্য আবদুল জব্বার হত্যা মামলার চার্জশীটভূক্ত আসামি। নিজ এলাকায় তিনি ‘চিট নজরুল নামে বেশি পরিচিত।
নিহত নজরুলের ছেলে নাজমুল হোসেন জানান তার বাবা ৩০ আগস্ট রাত ৮টার দিকে তার কাকা রবিউল ইসলামের কাছে ফোন করে জানান, আমি দেবহাটার ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুবুল আলম খোকনের বাসায় আছি। এরপর রাত ৯ টার দিকে খবর পাওয়া যায় যে তার বাবার মরদেহ কে বা কারা দেবহাটার সখিপুর হাসপাতালে রেখে গেছে। তবে দেবহাটার ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুবুল আলম খোকন বলেন নজরুল আমার বাসায় ছিলেন না। নজরুলের লাশ যখন সখিপুর হাসপাতালে, তখন আমাকে ফোন করেন উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আবদুস সবুর। ততক্ষণে সেখানে পুলিশও পৌঁছেছে। খবর পেয়ে আমিও ঘটনাস্থলে যাই। তবে লাশটি যে নজরুলের তা প্রথমে বুঝা যায়নি। কারণ তখন বিদ্যুত ছিল না। আমি ফেসবুকে অজ্ঞাত লাশের কথা বলে একটি স্ট্যাটাস দেই। পরে জানা যায় লাশটি নজরুল ইসলামের।
স্থানীয়রা বলছেন নজরুল ইসলাম নিজেও একজন চোরাচালানি। দেবহাটায় ‘মনিরুল রবিউল নজরুল’ নামের একটি চোরাচালান সিন্ডিকেট আছে তাদের। এর মধ্যে নজরুল ইসলাম চোরাচালান ছাড়াও অন্যদের চোরাচালান পণ্য ধরিয়ে দিয়ে বিজিবি ও পুলিশের কাছ থেকে সোর্স সুবিধা আদায় করতেন। গ্রামবাসী জানান সম্প্রতি দেবহাটার কোমরপুর চোরাচালান ঘাট দিয়ে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় পণ্য বাংলাদেশে পাচার করে দেবহাটার আরেকটি চোরাচালান সিন্ডিকেট। ঈদ উপলক্ষে পাচার হওয়া মোটা টাকার এসব ভারতীয় পোশাক সামগ্রী সোর্স নজরুল ইসলাম গোপন তথ্য দিয়ে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার কাছে ধরিয়ে দেন। এ ঘটনার কয়েক দিনের মাথায় খুন হন নজরুল ইসলাম। তাদের ধারনা এই হত্যার সাথে চোরাচালানের সেই সিন্ডিকেটটি জড়িত রয়েছে যাদের পন্য খোয়া গেছে। তারা বলেন এই সিন্ডিকেটটি পরিচালিত হয় সাতক্ষীরা শহর থেকে। তবে এই হত্যার পর থেকে চোরাচালানের দুটি সিন্ডিকেট পরস্পর বিরোধী ভূমিকা নিয়ে একে অন্যের ওপর দোষ চাপাচ্ছেন। একই দল আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কোন্দলের মুখে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুবুল আলম খোকন জড়িয়ে পড়েছেন। ভারতীয় পণ্য হারানো সিন্ডিকেট সদস্যদের জ্ঞিাসাবাদ করলে প্রকৃত রহস্য বেরিয়ে আসতে পারে বলে ধারনা অনেকের।
হত্যার মোটিভ সম্পর্কে জানতে চাইলে দেবহাটা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শরিফুল ইসলাম বলেন ‘ঈদের ছুটিতে ছিলাম। ওসিও ছুটিতে। প্রকৃতপক্ষে তদন্ত এখনও সেভাবে এগোয়নি। তবে হত্যার পেছনে দুটি চোরাচালান সিন্ডিকেটের কোন একটি জড়িত আছে বলে প্রাথকিভাবে ধারণা করা যাচ্ছে।
এদিকে নজরুল হত্যার নেপথ্যে অন্য কোনো কারণ আছে কিনা জানতে চাইলে এলাকাবাসী জানান, নজরুল এ যাবত তিনটি বিয়ে করেছেন। কেউ কেউ বলেন তিনি ভারতে একটিসহ মোট ছয়টি বিয়ে করেছেন। এ নিয়ে পারিবারিক অশান্তিও রয়েছে। নজরুল প্রথম বিয়ে করেন সেকেন্দ্রা গ্রামের হাফিজা খাতুনকে। এর পর দ্বিতীয় বিয়ে করেন কুলিয়া পাটনিপাড়ার রেবেকা খাতুনকে। সর্বশেষ তিনি বিয়ে করেছেন শাকরার বাবুরবাগানে। তবে নজরুল ইসলামের ছেলে নাজমুল হোসেন বলেন তার বাবার দুই বিয়ে। তিনি আর কোথাও বিয়ে করেছেন এমন তথ্য তার জানা নেই। এই বিয়ে নিয়ে তাদের পারিবারিক অশান্তিও নেই বলে জানান তিনি।
এদিকে নজরুলকে কোথায় এবং কিভাবে হত্যা করা হয়েছে তা এখনও নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ। এ ব্যাপারে দেবহাটা থানা পুলিশ প্রথম দিনেই একটি অপমৃত্যু মামলা করে।
আজ সোমবার নিহত নজরুলের বাবা মোক্তার মোড়ল বাদি হয়ে সাতক্ষীরার আমলি আদালতে একটি মামলা করেছেন। এ মামলায় একজন জনপ্রতিনিধিসহ চোরাচালান সিন্ডিকেটের চার সদস্যের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও চারজনের কথা বলেছেন। আদালত মামলাটি এফআইআরভূক্ত করে তদন্ত শেষে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়াও ছেলে নজরুলের লাশ কবর থেকে তুলে ফের ময়না তদন্তের জন্য আবেদন করেছেন বাদি বাবা মোক্তার মোড়ল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
উত্তর কোরিয়ার বোমাটি কতটা শক্তিধর ছিলো?

উত্তর কোরিয়া বলছে তারা রোববার যে পারমানবিক বোমাটি পরীক্ষা করেছে সেটি হাইড্রোজেন বোমা অর্থাৎ যেটি ধ্বংসক্ষমতার বিচারে সাধারণ পারমানবিক বোমার চেয়ে কয়েকগুণ শক্তিধর।

পশ্চিমা বিশেষজ্ঞরা এখনও নিশ্চিতভাবে বলতে রাজী হচ্ছেন না যে বোমাটি হাইড্রোজেন বোমা। তবে তারা একযোগে স্বীকার করছেন, এখন পর্যন্ত উত্তর কোরিয়া যতগুলো পারমানবিক বোমার পরীক্ষা চালিয়েছে, এটি ছিল তার মধ্যে সবচেয়ে শক্তিধর।

মাটির নীচে দশ কিমি গভীরে এই বিস্ফোরণের পর রিক্টার স্কেলে ৬.৩ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে যা পার্শ্ববর্তী চীনের বেশ কিছু এলাকাতেও ভূকম্পনের সৃষ্টি করে।

বিস্ফোরণের পর ভূকম্পনের মাত্রা বিবেচনা করে অনেক বিশেষজ্ঞ বলছেন, উত্তর কোরিয়ার পরীক্ষা করা বোমাটির শক্তি ছিল ১০০ কিলোটনের মত।

অর্থাৎ ১৯৪৫ সালে জাপানের নাগাসাকি শহরে আমেরিকার যে পারমানবিক বোমা তাৎক্ষনিক ৭০,০০০ মানুষের জীবন নিয়েছিল, উত্তর কোরিয়ার আজকের বোমটির শক্তি তার চেয়ে পাঁচগুণ বেশি।

আমেরিকার ম্যাসাচুসেটস ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজির অধ্যাপক ভিপিন নারাং ব্লুমবার্গ সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন, বোমাটি হাইড্রোজেন বোমা হোক আর না হোক, এটি দিয়ে আমেরিকার যে কোনো বড় একটি শহর পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন করে ফেলা সম্ভব।

বিশ্বের ভয়াবহতম কিছু পারমানবিক বিস্ফোরণ

উত্তর কোরিয়ার পরীক্ষা করা বোমাটি যদি হাইড্রোজেন বোমা হয়ও, তার পরেও এখন পর্যন্ত বিশ্বে ভয়াবহ যেসব পারমানবিক বোমার পরীক্ষা হয়েছে, সেগুলোর সাথে এটির তুলনা কতটা করা যায়?

এখন পর্যন্ত পৃথিবীর বুকে মানুষের সৃষ্ট সবচেয়ে বড় বিস্ফোরণ হয়েছিল ১৯৬১ সালে যখন তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন ‘জার বোমবা’ বা ‘বোমার রাজা’ নামে একটি পারমানবিক বোমা পরীক্ষা করে।

ঐ হাইড্রোজেন বোমার শক্তি ছিল ৫০,০০০ কিলোটন।

আর্কটিক অঞ্চলে নোভায়া জেমলিয়া নামে দ্বীপপুঞ্জের যে জায়গায় ঐ দানবীয় বোমাটি পরীক্ষা করা হয়েছিল, তার ৩৫ মাইলের মধ্যে সমস্ত ভবন, স্থাপনা ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল।

এমনকী শত শত কিলোমিটার দুরেও ভবনে ক্ষতি হয়েছিল। ফিনল্যান্ড, নরওয়ের মত অনেক দুরের দেশগুলোতেও বহু বাড়ির জানালার কাঁচ ভেঙ্গে পড়েছিল।

তবে বিশ্বের প্রথমবারের মত হাইড্রোজেন বোমার পরীক্ষা করে যুক্তরাষ্ট্র ১৯৫২ সালে, প্রশান্ত মহাসাগরের মার্শাল দ্বীপে। সেটির শক্তি ছিল ১০,০০০ কিলোটন।

৫০ কিমি দুরে একটি জাহাজে বসে সেই পরীক্ষা পর্যবেক্ষণ করেছিলেন মার্কিন একজন পদার্থ বিজ্ঞানী হ্যারল্ড অ্যাগনিউ। তিনি পরে বলেছিলেন – “অত দূরে বসে যে তাপ সেদিন বোধ করেছিলাম তা জীবনেও ভুলবোনা। ক্রমাগত তাপ আসছিলো। ভীতিকর এক অভিজ্ঞতা ছিলো সেটি।”

পরীক্ষার পর ধোঁয়ার কুন্ডুলি ৫০ কিমি উপরে উঠে গিয়েছিল, ছড়িয়ে পড়েছিল ১০০ কিমি পর্যন্ত।

তবে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে শক্তিশালী পারমানবিক পরীক্ষা ছিল ১৯৫৪ সালে ঐ মার্শাল দ্বীপেরই বিকিনি অ্যাটল এলাকায়। শক্তি ছিল ১৫০০০ কিলোটন। পরীক্ষার পর ১১,০০০ কিমি পর্যন্ত তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়েছিলো।

শত শত বহু মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিলো, যারা আর কখনই বাড়িতে ফিরতে পারেনি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
‘আরো ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করতে যাচ্ছে উত্তর কোরিয়া’

দক্ষিণ কোরিয়া বলছে, তারা এমন আভাস পাচ্ছে যে উত্তর কোরিয়া আরো ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করতে যা্ছে, এবং সম্ভবত সেগুো হবে আন্ত:-মহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র।

দক্ষিণ কোরিয়া বলছে, ক্ষেপণাস্ত্রের আক্রমণ থেকে তাদের রক্ষার জন্য তারা যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি ‘থাড’ মিসাইল ডিফেন্স বসিয়েছে – তা এখন আরো শক্তিশালী করা হবে।

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বলেণ, তাদের দেশে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যে ঘাঁটি আছে তাতে আরো চারটি রকেট লাঞ্চার বসানো হবে – যাতে উত্তর কোরিয়ার ক্রমবর্ধমান ক্ষেপণাস্ত্র হুমকি মোকাবিলা করা যায়।

এ সপ্তাহ শেষে উত্তর কোরিয়া একটি হাইড্রোজেন বোমা পরীক্ষা করার কথা ঘোষণা করে। মাটির নিচে ঘটানো এ বিস্ফোরণের ফলে ৬ দশমিক ৩ মাত্রার যে ভূমিকম্প হয় তা চীন থেকেও অনুভব করা গেছে। বলা হয়, ১০০ কিলোটন ক্ষমতাসম্পন্ন ওই বোমাটি ছিল উত্তর কোরিয়ার পরীক্ষা করা এ পর্যন্ত সবচেয়ে শক্তিশালী বোমা।

উত্তর কোরিয়া বলেছে, এই বোমাটি এমন আকারের – যা একটি ক্ষেপণাস্ত্রের মাথায় বসিয়ে নিক্ষেপ করা সম্ভব।

এর পর দক্ষিণ কোরিয়া আসল গোলাবারুদ ব্যবহার করে এক সামরিক মহড়া চালায়।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হুমকি দিয়েছে যে , তাদের বা তাদের মিত্রদের ওপর যে কোন আক্রমণ হলে তার ‘ব্যাপক এবং সামরিক’ জবাব দেয়া হবে।

গত দু’মাসে উত্তর কোরিয়া আন্ত:মহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে, যার একটি জাপানের ওপর দিয়ে উড়ে গিয়ে প্রশান্ত মহাসাগরে পড়েছে। তারা প্রশান্ত মহাসাগরে গুয়াম দ্বীপে মার্কিন সামরিক ঘাঁটির দিকে ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়ার হুমকিও দেয়।

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ এ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য আজ সোমবার আরো পরের দিকে এক জরুরি সভা ডেকেছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
প্রথম দিন সমান-সমান

প্রথম দিন সমান-সমান

কর্তৃক Daily Satkhira

শেষ বিকেলে সাব্বির রহমানের আউট শঙ্কা জাগিয়েছিল। শেষের ঝড়ে না আবার গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ ইনিংস। তবে মুশফিকুর রহিম ও নাসির হোসেন নিরাপদে বাকি দিন পার করে দিয়েছেন। সপ্তম উইকেটে অপরাজিত ৩১ রান যোগ করেছেন এ দুজন। ৬ উইকেটে ২৫৩ রানে প্রথম দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ।
৮২তম ওভারে নাথান লায়নের পঞ্চম শিকার হয়ে ফিরেছেন সাব্বির। সম্ভবত দিনের সবচেয়ে নির্বিষ বলে আউট হয়েছেন ৬৬ রানে। লেগ স্টাম্পের বেশ বাইরের একটি শর্ট বল হাঁকাতে গিয়ে ভারসাম্য হারিয়েছেন। স্টাম্পিং করতে ভোলেননি ম্যাথু ওয়েড। তবে এর আগেই ফিফটি তুলে নিয়েছেন অধিনায়ক মুশফিক। এটি তাঁর ক্যারিয়ারের ১৮তম অর্ধশতক। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে ১০৫ রান যোগ করেছেন মুশফিক-সাব্বির।
১১৭ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়েছিল বাংলাদেশ। সেই বিপদ থেকে দলকে বের করেছেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম ও সাব্বির । সাব্বিরের ৬৬ রানের ইনিংসটিতে ৬টা চারের সঙ্গে ছিল একটি ছয়। মুশফিক তাঁর ইনিংসটি সাজিয়েছেন স্থিতধী ঢঙে। দেখে-শুনে ঠান্ডা মাথায় খেলছেন তিনি। মারার বলকে ‘শাস্তি’ দিচ্ছেন যথাযথভাবেই। ৬২ রানে অপরাজিত মুশফিক, নাসির আছেন ১৯ রানে।

তবে এর আগে সাকিব আল হাসান আর মুশফিকুর রহিমের জুটিটিও (৩২) স্বপ্ন দেখিয়েছিল। সাকিব ফিরে যান ২৪ রানে। এবার অবশ্য নাথান লায়ন নন, আঘাত হানলেন অ্যাশটন অ্যাগার। উইকেটের পেছনে ম্যাথু ওয়েডকে ক্যাচ দিয়েছেন ঢাকা টেস্টের ‘ম্যান অব দ্য ম্যাচ’।
মধ্যাহ্ন বিরতির আগে ৩৩ রানে ফিরেছিলেন সৌম্য সরকার। বিরতির পর ৩১ রান করে আউট মুমিনুল হক। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের কাছে এই মুহূর্তে ‘আতঙ্ক’ অস্ট্রেলীয় অফস্পিনার নাথান লায়ন। প্রথমে তামিমকে তুলে নিয়ে ধ্বংসযজ্ঞ শুরু করেছিলেন। ইমরুল ও সৌম্যর পর তুলে নিলেন মুমিনুলকেও। চার ব্যাটসম্যানকেই তিনি আউট করেছেন এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলে। ১৯৩৮ সালের পর এই প্রথম স্পিনার হিসেবে টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার বোলিংয়ের শুরুটা করেছেন এই লায়ন।

শুরুর বিপর্যয় সামলে সৌম্য সরকার আর মুমিনুল হক খেলছিলেন ভালোই। ৪৯ রানের জুটি গড়ে প্রায় জমে গিয়েছিলেন উইকেটে। কিন্তু নাথান লায়নের বলে মধ্যাহ্ন বিরতির ঠিক আগে এলবিডব্লু সৌম্য। তাঁর বিদায়ে ৩ উইকেটে ৭০ রান নিয়ে প্রথম সেশন শেষ করেছিল বাংলাদেশ।

এর আগে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে চট্টগ্রাম টেস্টের শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি বাংলাদেশের। লায়নের বলেই প্রথমে ফেরেন তামিম ইকবাল, এরপর ইমরুল। দুজনই আউট হয়েছেন এলবির ফাঁদে পড়ে। এখন পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার সব সাফল্যই নিজের করে নিয়েছেন লায়ন।

দলীয় ১৩ রানের মাথায় লায়নের বলে এলবির ফাঁদে পড়েন তামিম। এরপর ২১ রানে ইমরুল। লায়নের বলে সুইপ করতে গিয়েই নিজের বিপদ ডেকে আনেন ইমরুল। তাঁর বিরুদ্ধে এলবিডব্লুর আবেদন প্রথমে নাকচ করে দিয়েছিলেন আম্পায়ার নাইজল লং। কিন্তু রিভিউ নিয়ে সফল হন অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ।

শুরু থেকেই তামিম ইকবালকে মোটেও স্বচ্ছন্দ মনে হচ্ছিল না। প্যাট কামিন্সের অফ স্টাম্পের ওপর করা বলগুলোতে পরাস্ত হয়েছেন বেশ কয়েকবার। একবার তো কামিন্সের বলে খোঁচা দিয়েও ভাগ্যের জোরে বেঁচে যান। স্লিপে দাঁড়িয়ে তাঁর ক্যাচ ফেলে দেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। কিন্তু বেশিক্ষণ টিকতে পারলেন না। নাথান লায়নের বলে এলবিডব্লু হয়ে ফিরলেন ড্রেসিংরুমে। টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা একেবারেই ভালো হলো না বাংলাদেশের। তামিম আউট হয়েছেন ৯ রানে, ইমরুল ৪ রানে।
এখন পর্যন্ত ৬ বোলার ব্যবহার করেছে অস্ট্রেলিয়া—প্যাট কামিন্সের সঙ্গে চার স্পিনার, নাথান লায়ন, স্টিভ ও’কিফ, অ্যাশটন অ্যাগার আর ম্যাক্সওয়েল। সঙ্গে হিলটন কার্টরাইট।

সূত্র : প্রথম আলো।

 

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest