সর্বশেষ সংবাদ-
গণভোটসহ ৫ দফা দাবিতে সাতক্ষীরা জামায়াতের বিক্ষোভসাতক্ষীরায় প্রকাশ্যে চেতনানাশক স্প্রে করে এক নারীর গহনা ও মোবাইল ছিনতাইসাতক্ষীরায় উপকূলীয় এলাকায় ক্রীড়া উৎসব১২ নভেম্বরকে ‘উপকূল দিবস’ ঘোষণার দাবিসড়ক দুর্ঘটনায় আহত জামায়াতে ইসলামী সাতক্ষীরা জেলা সেক্রেটারিসাতক্ষীরা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির নির্বাচন : জামায়াত সমর্থিত ৫টি পদে বিজয়সাতক্ষীরায় মুক্তিযোদ্ধার সনদ জালিয়াতির অভিযোগে চাকুরিচ্যুত দুই শিক্ষক ভ্রাতা চাকুরি ফিরে পেতে মরিয়াসাতক্ষীরায় অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকদের দ্রুত এমপিওর জন্য মতবিনিময় Master Your Game with These Winning Strategies at Kyngs Casinoসাতক্ষীরার চারটি আসনই ধানের শীষে ভোট দিয়ে বিজয়ী করতে হবে – হাবিবুল ইসলাম

তালায় এক কৃষকের পানের বরজ তছনছ করে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা, ছয় লক্ষ টাকার ক্ষতি

নিজস্ব প্রতিবেদক : হারি করে জমি নিয়ে বরজ করছিলাম। এজন্য এনজিও লোন আর ধার-দিনা করে এ বরজ করেছিলাম। তাদের দিনা শোধ করতে পারেনি। এরমধ্যে শত্রুতার বলি হয়েছে পানের বরজ। ১০ মিনিটেই ভেঙ্গে তছনছ করে দিয়েছে ভূক্তভোগীরা। এ ভাবেই কথা গুলো বলছিলেন সাতক্ষীরার তালা উপজেলার ঘোষনগর গ্রামের রবিন হরি ভোলা।
তিনি আক্ষেপ করে বলেন,‘দেনা শোধ করতে পারেনি। মানুষ টাকা নিতে বাড়ি আসছে। ওই পানের বরজ চাষ করে চলতো তার সংসার। এখন আমি দিশেহারা।’ বুবধার বিকালে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার ঘোষনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
তালা উপজেলার ঘোষনগর গ্রামের রবিন হরি ভোলা জানান, তিনি প্রায় ত্রিশ বছর ধরে ঘোষনগর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা অমল কান্তি ঘোষ’র ১৯শতক জমি হারি নিয়ে পানের চাষ করে আসছে । ঐ জমিটি নিয়ে অমল ঘোষ’র ভাই দুলাল ঘোষ’র সাথে তাদের দীর্ঘদিন বিরোধ চলছে। ওই জের ধরে ঘটনার দিন বিকালে দুলাল কান্তি ঘোষের কন্যা স্বামী পরিত্যক্তা মঞ্জুশ্রী ঘোষ মিত্রসহ সংবদ্ধ দল দেশিয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ইজারাকৃত পানের বরজটি তছনছ করে দিয়েছে। এতে অসহায় কৃষক’র প্রায় ছয় লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এতে ঐ কৃষক পরিবার পরিজন নিয়ে অসহাত্বের মধ্যে দিনাতিপাত করছে ।
এরপূর্বে ঐ জমি নিয়ে বিরোধ হলে রবিন হরি ভোলা চলতি বছরের ৫ মে তালা থানায় একটি সাধারন ডাইরি করেন । যার নং ১৭৭ । পরবর্তীতে তালা থানা পুলিশ সালিশী বৈঠকে সিদ্ধান্ত মতে রবিন হরি ভোলাকে পানের বরজ চাষ করার সিদ্ধান্ত দেয়। সেই মতে সে পানের বরজ চাষ করে আসছে। এ সালিশ অমান্য করে মঞ্জুশ্রী ঘোষ মিত্র ঐ জমি থেকে ১৪ আগষ্ঠ তারিখে প্রায় এক লক্ষাধিক টাকার ফসল চুরি করে নেয়। তা লোকমুখে জানাযানি হলে আকস্মিক ভাবে বুধবার বিকাল ৩টার সময় সংবদ্ধ দূর্বৃত্তদের সাথে নিয়ে প্রকাশ্যে পানের বরজ তছনছ করে দেয়। স্থানীয় মেম্বর প্রকাশ দালাল বলেন, ওই মহিলা আসলেই বেপরোয়া, সে কাউকেই ভয় পায় না। এব্যাপারে অসহায় কৃষক প্রশাসনের কাছে সহযোগিতা কামনা করেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
প্রথম দিন শেষে বাংলাদেশ ২৫৩/৬

ন্যাথান লায়নের স্পিনে ৮৫ রানে প্রথম চার ব্যাটসম্যানকে হারানো বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ক্যারিয়ার সেরা ব্যাটিং করা সাব্বির রহমানের সঙ্গে শতরানের জুটিতে দলকে মুশফিকুর রহিম নিয়ে গেছেন ভালো অবস্থানে।
আশা হয়ে টিকে আছেন অধিনায়ক। এরই মাঝে পেয়েছেন অর্ধশতক। সঙ্গী নাসির হোসেনও খেলছেন আস্থার সঙ্গে।
প্রথম দিন শেষে বাংলাদেশের স্কোর ২৫৩/৩। মুশফিক ৬২ ও নাসির ১৯ রানে খেলছেন। অবিচ্ছিন্ন সপ্তম উইকেটে দুই জনে গড়েছেন ৩১ রানের জুটি।
৭৭ রানে ৫ উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সেরা বোলার অফ স্পিনার লায়ন। অন্য উইকেকটি নেন বাঁহাতি স্পিনার অ্যাশটন অ্যাগার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৯০ ওভারে ২৫৩/৬ (তামিম ৯, সৌম্য ৩৩, ইমরুল ৪, মুমিনুল ৩১, সাকিব ২৪, মুশফিক ৬২*, সাব্বির ৬৬, নাসির ১৯*; কামিন্স ০/৩৩, লায়ন ৫/৭৭, ও’কিফ ০/৭০, অ্যাগার ১/৪৬, ম্যাক্সওয়েল ০/৬, কার্টরাইট ০/১৬)

টেস্টে নাসিরের হাজার রান
ন্যাথান লায়নকে কাভার দিয়ে চার হাঁকিয়ে নিজের রান চার অঙ্কে নিয়ে গেছেন নাসির হোসেন। অফ স্পিনিং অলরাউন্ডারের লেগেছে ৩১ ইনিংস। বাংলাদেশের চতুর্দশ ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্টে হাজার রানে গেলেন তিনি।

সাব্বিরকে ফিরিয়ে লায়নের পাঁচ
দ্বিতীয় নতুন বলে বাংলাদেশের প্রতিরোধ ভেঙেছে অস্ট্রেলিয়া। বোলিংয়ে ফিরেই সাব্বির রহমানকে ফিরিয়ে সিরিজে দ্বিতীয়বারের মতো পাঁচ উইকেট নিয়েছেন ন্যাথান লায়ন।
অফ স্পিনারের বল পুল করতে গিয়ে পারেননি সাব্বির। ভারসাম্য হারানোয় উঠে যায় পেছনের পা, সামনের পা ছিল লাইনের ওপরে। ম্যাথু ওয়েড স্টাম্প ভেঙে দেওয়ার সময় লাইনের ভেতরে কোনো অংশ ছিল না।
৬৬ রান করা সাব্বির ফেরার সময় বাংলাদেশের স্কোর ২২২/৬। তার সঙ্গে ১০৫ রানের জুটি গড়া মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে ক্রিজে যোগ দিয়েছেন নাসির হোসেন।

মুশফিকের অর্ধশতক, জুটির শতক
স্টিভেন ও’কিফের বলে দুই রান নিয়ে অর্ধশতকে পৌঁছেছেন মুশফিকুর রহিম। সঙ্গে সাব্বির রহমানের সঙ্গে জুটির রান নিয়ে গেছেন তিন অঙ্কে। ইনিংসে এটাই বাংলাদেশের প্রথম শতরানের জুটি।
১২৪ বলে ৪টি চারে অর্ধশতকে পৌঁছান বাংলাদেশের অধিনায়ক।
১৯৫ বলে এসেছে মুশফিক-সাব্বির জুটির শতক। এতে অধিনায়কের অবদান ৩৫। নিজের আগের সেরা ৬৪ ছাড়িয়ে যাওয়া সাব্বিরের ৬৫।

বাংলাদেশের দুইশ
সাব্বির রহমান ও মুশফিকুর রহিমের ব্যাটে প্রথম ইনিংসে দুইশ ছাড়িয়েছে বাংলাদেশের সংগ্রহ। অবিচ্ছিন্ন ষষ্ঠ উইকেটে দুই জনে গড়েছেন অর্ধশত রানের জুটি। ৪০তম ওভারে তিন অঙ্ক ছুয়েছিল স্বাগতিকদের স্কোর। দুইশ রানে গেছে ৭৩তম ওভারে।

সাব্বিরের অর্ধশতক
সহজাত ব্যাটিংয়ে ৬২ বলে অর্ধশতকে পৌঁছান সাব্বির রহমান। সিরিজে নিজের প্রথম অর্ধশতকে পৌঁছাতে পাঁচটি চার ও একটি ছক্কা হাঁকান এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান।
গত বছর অভিষেকের পর নিজের প্রথম ছয় ইনিংসে তিনটি অর্ধশতক পেয়েছিলেন সাব্বির। পরের আট ইনিংসে ছিল না একটাও। এবার দলের ভীষণ প্রয়োজনের সময় পেলেন ফিফটি।

 

শফিউলের জায়গায় মুমিনুল
এক পেসার নিয়ে খেলছে স্বাগতিকরা। দুই ম্যাচ পর একাদশে ফিরেছেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান মুমিনুল হক। বাদ পড়েছেন পেসার শফিউল ইসলাম। প্রথম টেস্টের বাংলাদেশ দল পরিবর্তন একটিই। অলরাউন্ডার মিলিয়ে ৯ ব্যাটসম্যান নিয়ে খেলছে মুশফিকুর রহিমের দল।

বাংলাদেশ দল: তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, ইমরুল কায়েস, সাব্বির রহমান, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, নাসির হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান, মুমিনুল হক।

ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সোমবার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। টানা দুই টেস্টেই টস হারল অস্ট্রেলিয়া, দ্বিতীয়বারের মতো অতিথিরা পেল ফিল্ডিং।

অস্ট্রেলিয়াকে হোয়াইটওয়াশের স্বপ্ন
ঢাকা টেস্ট জিতে আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে বাংলাদেশ। চট্টগ্রামেও অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিততে চায় মুশফিকুর রহিমের দল।
এমন চাপে অস্ট্রেলিয়া সব সময় থাকে না, এমন সুযোগ সব সময় বাংলাদেশের সামনে আসে না। তাই সুযোগ দুই হাতে কাজে লাগানোর তাগিদ দিয়েছেন মুশফিক।
বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচে জেতার পর কখনও টেস্ট সিরিজ হারেনি বা ড্র করেনি। দুইবার জিম্বাবুয়ে ও একবার হারিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত ভিসি হলেন আখতারুজ্জামান

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামানকে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের দায়িত্ব দিয়েছে সরকার। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আজ সোমবার এই সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা আফরাজুর রহমান। তিনি বলেছেন, অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামানকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের দায়িত্ব দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এটি একটি সাময়িক নিয়োগ।

বিস্তারিত আসছে…

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সৌদি আরবে অনলাইনে নারী গৃহকর্মীর কালোবাজার

সৌদি আরব এবং উপসাগরীয় আরব দেশগুলোকে বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপে নারী গৃহকর্মী কেনা-বেচা হচেছ।
সরকারি নিয়ম-কানুন বিধি-নিষেধ এড়িয়ে অন-লাইনে বিদেশী নারী গৃহকর্মী বেচা-কেনার কালো বাজার তৈরি হয়েছে।
এরকম একটি ফেসবুক গ্রুপ বিবিসির নজরে এসেছে যেখানে মানুষজন গৃহকর্মী চেয়ে পোস্টিং দিচ্ছেন।
তার পোস্টে এক ব্যক্তি লিখেছেন – “ডিসেম্বরে বিদেশ ভ্রমণে যাওয়ার আগে এক, দুই বা তিনমাসের জন্য জরুরী ভিত্তিতে একজন গৃহকর্মী প্রয়োজন।”
আরেকজন পোস্ট দিয়েছেন, “ভ্রমণ বা পর্যটন ভিসায় এসেছেন, এমন কাউকে গৃহকর্মী হিসাবে খুঁজছি। সর্বক্ষণ বাড়িতে থাকতে হবে।”
এই প্রবণতা এতটাই বিস্তৃত হচ্ছে যে সৌদি আরবে ইতিমধ্যেই এ ব্যাপারে তদন্ত হয়েছে এবং কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। সৌদি আরব এবং উপসাগরীয় দেশগুলোতে লোকজন রিক্রুটিং এজেন্টদের মাধ্যমেই সাধারণত বিদেশ থেকে নারী গৃহকর্মীদের আনে। অধিকাংশই আসে এশিয়া এবং আফ্রিকার কিছু গরীব দেশ থেকে। তবে পাশাপাশি তৈরি হয়েছে অনলাইনে কালো বাজার।

বিদেশী শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে কাজ করে কাতার-ভিত্তিক এমন একটি সংস্থা মাইগ্র্যান্ট রাইটসের বানি সরস্বতী বলছেন, “রিক্রুটমেন্ট এজেন্সির মাধ্যমে গৃহকর্মী নিয়োগ অনেক খরচের ব্যাপার, অনেক মানুষ তাই অনলাইনে সোশ্যাল মিডিয়ার আশ্রয় নিচ্ছেন।”

একজন গৃহকর্মী নিয়োগের জন্য ২৫০০ থেকে ৫০০০ ডলার পর্যন্ত ফি দিতে হয়। অনলাইনে লোক পাওয়া গেলে, এই টাকাটা বাঁচে।

সৌদি আরবে অভিবাসী শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে কাজ করেন এমন একজন বলেছেন, অনেক গৃহকর্মীও রিক্রুটিং এজেন্টকে পাশ কাটিয়ে কালো বাজারে কাজ নিতে আগ্রহী। “তারা বেশি মজুরী আদায় করতে পারে। যেহেতু তাদের মনিবদের রিক্রুটিং এজেন্টকে ফি দিতে হয়না, ফলে তারা কিছু বেশি মজুরি দিতে প্রস্তুত থাকে।”

নাওয়াল আল হাউসায়ি নামে একজন সৌদি নারী বলছেন, সোশ্যাল মিডিয়ার ফলে বৈধ পথে গৃহকর্মী আনা কঠিন হয়ে পড়ছে। “গৃহকর্মীরা বৈধভাবে একবার ঢুকে পড়লে, সে চুক্তি ভেঙ্গে চাকরি ছেড়ে দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে অন্যত্র দ্বিগুণ মজুরীতে কাজ নিয়ে চলে যাচ্ছে।”

তবে একজন গৃহকর্মী বিবিসিকে বলেছেন, সময়মত বেতন না দেওয়া, শারীরিক-মানসিক নির্যাতন বন্ধ না হলে, গৃহকর্মীরা পালিয়ে অবৈধভাবে হলেও অন্যত্র কাজ নেওয়ার চেষ্টা করবেই।

কিভাবে অনলাইনে তারা কাজ জোটান? “আপনি যখন একজনকে জানান, আপনার কাজ চাই, সে তখন ফেসুবকে আপনার ফোন নম্বর পোস্ট করবে, অবৈধ কিন্তু এভাবে আমরা সোশ্যাল মিডিয়ারে মাধ্যমে কাজ জোগাড় করি।”

সৌদি শ্রম মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র খালেদ আবা আলখাইল বলেন, সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে এধরণের অবৈধ রিক্রুটমেন্ট এজেন্সি খোলা বেআইনি এবং এমন কাজে জড়িত লোকজনকে ধরতে পারলে তাদের বিচার হবে।

তিনি জানান, গত কমাসে সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করা এরকম ৯০টি বিজ্ঞাপন তদন্ত করা হয়েছে। কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
সূত্র : বিবিসি বাংলা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
জেলখানায় মাদকবাহী কবুতরকে গুলি আর্জেন্টিনায়

কবুতরের সাহায্যে অর্জেন্টিনার জেলখানাগুলোতে মাদক সরবরাহ করা হচ্ছে – এরকম সন্দেহ বেশ কিছুদিন ধরেই পুলিশ করছিলো।

এ নিয়ে তারা তদন্তও শুরু করেছিলো।

তার ভেতরেই সানতা রোসা শহরের কারাগারের ভেতর হাতেনাতে ধরা পড়ে যায় একটি মাদক-বাহি কবুতর।

একটি কবুতরকে জেলখানার ভেতরের মাঠে নামতে দেখে সন্দেহ হয় পুলিশের। গুলি করার পর কবুতরটির পিঠে বাঁধা একটি ব্যাগপ্যাকের ভেতর ৪৪টি ঘুমের বড়ি, সাড়ে সাত গ্রাম গাজা এবং একটি ইউএসবি ড্রাইভ পাওয়া যায়।

গত কয়েক বছর ধরেই আর্জেন্টিনার জেলখানাগুলোকে সাবধান করা হচ্ছে যে পাচারকারীরা কবুতর ব্যাবহার করে কয়েদিদের কাছে মাদক পাঠাচ্ছে।

একেকটি প্রশিক্ষিত কবুতর দিনে মাদক নিয়ে ১৫ বার পর্যন্ত কারাগারে উড়ে যায়।

২০১৩ সালে একটি তদন্তের পর তিনজন মাদক পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করে তাদের কাছ থেকে ১৫টি কবুতর আটক করা হয়েছিল।

শুধু আর্জেন্টিনা নয়, কবুতর ব্যবহার করে মাদক পাচারের প্রমাণ বিশ্বের আরও অনেক দেশেই পাওয়া গেছে।

এ বছরের গোঁড়ার দিকে কুয়েত ও ইরাকের সীমান্তে একটি কবুতরকে ধরা হয় যার পিঠে ১৭৮টি নেশার বড়ি বাঁধা ছিলো।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রয়টার্সের প্রতিবেদন: মিয়ানমার থেকে ৯০ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে

মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নির্যাতন-হামলা আর ধর্ষণের মুখে রাখাইন রাজ্য থেকে বিপদসংকুল পথ পাড়ি দিয়ে জীবন বাঁচিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করা রোহিঙ্গা মুসলমানের সংখ্যা ৯০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

গত মাসের শেষ সপ্তাহে নতুন করে ছড়িয়ে পড়া সহিংসতার পর যেসব রোহিঙ্গা বাংলাদেশ উপকূলবর্তী কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন শরণার্থী ক্যাম্প ও আশপাশের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে, তাদের দেখভালের দায়িত্বে থাকা জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিদের কাছ থেকে এ তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। সীমান্তের নো-ম্যানস ল্যান্ডে এখনো হাজার হাজার রোহিঙ্গা খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছে বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায়।

মিয়ানমারে জাতিগত সহিংসতার শিকার হয়ে গত কয়েক দশকে বিভিন্ন সময়ে প্রায় পাঁচ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে, যাদের একটি বড় অংশ উপকূলের বিভিন্ন ক্যাম্পে নিবন্ধিত বা অনিবন্ধিত শরণার্থী হিসেবে অবস্থান করছেন। এদের মধ্যে অনেকে আবার কক্সবাজার, পার্বত্য তিন জেলাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়েও পড়েছে।

এই বিপুল রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে অবস্থানের মাঝেই গত বছরের অক্টোবরে আবার নতুন করে সহিংসতা দেখা দেয় বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীতে সংখ্যাগরিষ্ঠ মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে। তখন আরো প্রায় ৮৭ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আসে। এবার ২৫ আগস্ট থেকে এখন পর্যন্ত সর্বশেষ ৯০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করল। অর্থাৎ গত ১১ মাসে বাংলাদেশে প্রায় পৌনে দুই লাখ রোহিঙ্গা প্রবেশ করেছে। প্রতি দিনই এ সংখ্যা বাড়ছে।

সীমান্তে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোরভাবে তৎপর রয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের পক্ষ থেকে। প্রতিদিনই নৌকায় বা সীমান্ত পথে আসা রোহিঙ্গা আটক করে পরে তাদের ফের নিজ দেশে পাঠাচ্ছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। ঝুঁকি নিয়ে বাংলাদেশ প্রবেশ করার সময় নৌকা ডুবে এখন পর্যন্ত অর্ধশতাধিক রোহিঙ্গা মারা গেছেন।

এদিকে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হামলা-নির্যাতন ক্রমাগতভাবে বাড়তে থাকার মুখে নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে সহিংসতার শিকার রোহিঙ্গা মুসলিম জনগোষ্ঠীর মধ্যে জরুরি খাদ্য সরবরাহ কর্মসূচি স্থগিত করেছে জাতিসংঘ।

২০১২ সাল থেকে রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের খাদ্য সহযোগিতা দিয়ে আসছিল জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)। এতে আড়াই লাখ মানুষের খাদ্যের সংস্থান হতো। কিন্তু এ কর্মসূচি স্থগিত করায় তাদের খাদ্য নিরাপত্তায় চরম অনিশ্চয়তা তৈরি হলো।

গত শনিবার ডব্লিউএফপির এক বিবৃতিতে বলা হয়, রাখাইন রাজ্যে সহিংসতায় অভ্যন্তরীণভাবে গৃহহীন দুই লাখ ৫০ হাজার এবং অন্যান্য অতিদরিদ্র মানুষের মধ্যে যে খাবার সাহায্য দেওয়া হতো, তা স্থগিত করা হলো। এদের মধ্যে রাখাইন রাজ্যেই বিভিন্ন ক্যাম্পে থাকা এক লাখ ২০ হাজার মানুষ ডব্লিউএফপির খাবারের ওপরই নির্ভর করত, যাদের অধিকাংশই রোহিঙ্গা।

যারা জীবন বাঁচিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে, তাদের অবস্থাও করুণ। অনেককে শরণার্থী ক্যাম্পে আশ্রয় পেলেও খাবারের তীব্র সংকটের মধ্যে রয়েছেন। অনেকে আশ্রয় নিয়েছেন স্থানীয় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। অনেক রোহিঙ্গা পরিবার মাথা গোঁজার ঠাঁই করতে উপকূলের পাশে বন-জঙ্গল সাফ করে বাঁশ-প্লাস্টিক দিয়ে ছাউনি তৈরির চেষ্টা করছে।

রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে পরিবার নিয়ে চার দিন আগে বাংলাদেশে এসেছেন যুবক মোহাম্মদ হোসাইন। তিনি বলেন, ‘আমরা এখানে একটা ঘর তোলার চেষ্টা করছি। কিন্তু জায়গার সংকট। কিন্তু এখনো জায়গা দেখে যাচ্ছি।’

‘কিছু বেসরকারি সংস্থার লোকজন এখানে এসে আমাদের দেখে গেছে। কিন্তু কোনো খাবার আমাদের নেই। অনেক গর্ভবতী নারী খোলা আকাশের নিচে রাস্তার পাশে সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। অসুস্থ শিশুদের চিকিৎসার কোনো ব্যবস্থাও এখানে নেই’, যোগ করেন মোহাম্মদ হোসাইন।

গত অক্টোবরের পর থেকেই বালুখালীর অনিবন্ধিত শরণার্থীর ক্যাম্প বাইরের দিকে নাটকীয়ভাবে বাড়তে শুরু করে। সেখানেই রাস্তার পাশের মাটি কেটে বাঁশ দিয়ে ঝড়-বৃষ্টি থেকে নিজেদের বাঁচার মতো ছাউনি তৈরির চেষ্টা করছেন রোহিঙ্গারা।

গত ২৪ আগস্ট রাতে রাখাইন রাজ্যে একসঙ্গে ২৪টি পুলিশ ক্যাম্প ও একটি সেনা আবাসে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। ‘বিদ্রোহী রোহিঙ্গাদের’ সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (এআরএসএ) এই হামলার দায় স্বীকার করে। এ ঘটনার পর মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী নিরস্ত্র রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ-শিশুদের ওপর নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞ চালাতে থাকে। সেখান থেকে পালিয়ে আসার রোহিঙ্গাদের দাবি, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী নির্বাচারে গ্রামের পর গ্রামে হামলা নির্যাতন চালাচ্ছে। নারীদের ধর্ষণ করছে। গ্রাম জ্বালিয়ে দিচ্ছে।

মিয়ানমার সরকারের বরাত দিয়ে জাতিসংঘ গত ১ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করে, মিয়ানমারে সহিংসতা শুরুর পর গত এক সপ্তাহে ৪০০ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৩৭০ জন ‘রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী’, ১৩ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, দুজন সরকারি কর্মকর্তা এবং ১৪ জন সাধারণ নাগরিক।

মিয়ানমার সরকারের আরো দাবি, ‘বিদ্রোহী সন্ত্রাসীরা’ এখন পর্যন্ত রাখাইনের প্রায় দুই হাজার ছয়শ বাড়িঘরে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। তাদের ধরিয়ে দেওয়ার জন্য এখনো রাখাইন রাজ্যে থাকা মুসলিমদের মধ্যে মাইকে প্রচার চালাচ্ছে সরকারের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রাস্তায় প্রকাশ্যে তরুণীকে চুমু কিসিং ‘বাবা’র, অতঃপর…

জোড়া ধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত হয়ে এখন জেলে ভারতের স্বঘোষিত গুরু বাবা গুরমিত রাম রহিম সিং। তারপর থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভারতের এমন ‘বাবা’দের কীর্তি নিয়ে চলছে জোর চর্চা।
এরমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে গেরুয়া বসনধারী ‘কিসিং’ বাবার ছবি।

ছবিতে দেখা ‌যাচ্ছে, হাইওয়ের ধারে প্রকাশ্যে এক ‌তরুণীকে চুমু খাচ্ছেন তিনি। তা নিয়ে ইতিমধ্যেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ছবিটি ভাইরাল হওয়ার পর প্রথমবার সামনে এসেছেন সেই তরুণী। ‌যারা ছবিটি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছে, পুলিশের কাছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করেছেন তিনি।

জানা গেছে, ওই তরুণী দিল্লির বাসিন্দা। ৩০ আগস্ট হজ কাজি থানায় অভি‌যোগ দায়ের করেছেন তিনি। তরুণীর দাবি, তার সামনে বিয়ে। তার আগে তাকে বদনাম করার জন্য ছবিটি পোস্ট করা হয়েছে। ছবিতে ওই তরুণীর সঙ্গে ছিলেন বাবা হরমেল দাস। তাকে অবশ্য চেনেন বলে জানিয়েছেন সেই তরুণী।

তার অভি‌যোগ, কয়েকদিন প্রতিবেশীদের সঙ্গে ঝগড়া হয়েছিল। সেই আক্রোশ মেটাতে প্রতিবেশী ‌যুবক ছবিটি ভাইরাল করেছে। এদিকে হরমেল বাবাকে আশ্রম থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে তার দাবি, তিনি নির্দোষ। কেউ তাকে ফাঁসাতে কেউ এমন কাজ করেছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
‘৮৬ হিন্দু রোহিঙ্গাকে হত্যা করেছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী’

মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর নির্যাতনের শিকার হয়ে রোহিঙ্গা মুসলিমদের পাশাপাশি হিন্দু রোহিঙ্গারাও বাংলাদেশে আসছেন। হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন অন্তত ৮৬ জন হিন্দু রোহিঙ্গা। এক সপ্তাহে সপরিবার পালিয়ে এসেছে সাড়ে ৫শ’ সনাতন ধর্মাবলম্বী রোহিঙ্গা।

৪ দিন আগে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা এ হিন্দু রোহিঙ্গারা আশ্রয় নিয়েছেন কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং উচ্চ বিদ্যালয়ের পশ্চিম পাশে হিন্দু পাড়ার একটি পরিত্যক্ত মুরগী খামারে।

তারা বলছেন, মুসলিমদের পাশাপাাশি হিন্দুদের উপরও হামলা নির্যাতন হচ্ছে মিয়ানমারে। জ্বালিয়ে দেয়া হচ্ছে বাড়িঘর, লুটপাট হচ্ছে সম্পদ। দিশেহারা হয়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে বাংলাদেশের দিকেই আসছেন তারা।

তারা জানিয়েছেন, অন্তত ৮৬ জন হিন্দু রোহিঙ্গাকে হত্যা করেছে বর্মি বাহিনী। আশ্রয় নেয়া হিন্দু রোহিঙ্গাদের খোঁজ নিতে যায় হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের প্রতিনিধিদল।

রোববার রাতে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের নাফ নদী থেকে ১৬৪ জন রোহিঙ্গাকে আটক করেছে কোস্টগার্ড। সেসময় রোহিঙ্গা বোঝাই ৯টি নৌকা জব্দ করা হয়েছে। এসব রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পাশাপাশি বিভিন্ন গ্রামে আশ্রয় নিচ্ছে।

গত কয়েকদিনে সীমান্তের কক্সবাজার টেকনাফের নাফ নদী ও বান্দরবানের নাইক্ষংছড়ির ঘুমধুম থেকে ৫৪ জন রোহিঙ্গা নারী ও শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। জাতিসংঘের তথ্যমতে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সহিংসতায় গত আট দিনে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে প্রায় ৭৩ হাজার রোহিঙ্গা।

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে গত ২৪ আগস্ট নিরাপত্তা চৌকিতে সন্ত্রাসী হামলার পর সেনা অভিযানের কারণে হাজার হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশ সীমান্তে জড়ো হতে থাকে। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি’র কড়া নজরদারি সত্ত্বেও সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে বহু রোহিঙ্গা ঢুকে পড়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest