সর্বশেষ সংবাদ-
পণ্যগ্রাফি নিয়ন্ত্রন আইনের মামলার আসামীদের গ্রেফতারের দাবিতে প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দের বিবৃতিসাতক্ষীরায় গৃহবধু গণধর্ষণের মামলার আসামী গ্রেপ্তারআশাশুনি বাজারের পাশে বসবাসকারীরা নদী ভাঙ্গনে উদ্বিগ্ন: ইউএনওর পরিদর্শণসাতক্ষীরায় সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলায় ৩৩ জনের জামিনসাংবাদিকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ছয় দিন, থানার সামনেই প্রকাশ্যে ঘুরছেন আসামিরাভারতীয় পর্ন ভিডিওতে সাংবাদিকের ছবি জুড়ে ব্লাকমেইল করে চাঁদা দাবিকালিগঞ্জে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে দূধর্ষ ডাকাতিজুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে সাতক্ষীরায় এতিমদের মাঝে খাবার বিতরণভোমরার ইউপি চেয়ারম্যানকে ৪৮ ঘন্টা সময় বেঁধে দিলেন ইউনিয়নবাসীআশাশুনিতে শহীদের স্মরণে দুঃস্থদের মাঝে জামায়াতের খাবার বিতরণ

সৈকত বাদ, ফিরলেন মুমিনুল

মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত খেলতে পারবেন কিনা, তা নিয়ে কিছুটা সংশয় ছিলই। চোখের সমস্যার কারণে তাঁকে বিশ্রামে থাকতে হবে অন্তত এক থেকে দুই সপ্তাহ। তাই বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট এই তরুণ অলরাউন্ডারকে নিয়ে ঝুঁকি নিতে চায়নি। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টের দল থেকে তাঁকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তাই প্রথমে বাদ দেওয়ার পর আবার দলে ফিরিয়ে আনা হয়েছে অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মুমিনুল হককে।

গতকাল শনিবার ঘোষিত ১৪ সদস্যের দলে রাখা হয়নি মুমিনুল হককে। তা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়ে যায়। তাই শেষ পর্যন্ত আবার দলে ফেরানো হয় ২২ টেস্ট খেলা এই ব্যাটসম্যানকে।

মুমিনুলকে দলে ফেরানো সম্পর্কে জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘চোখের সমস্যার কারণে সৈকতকে বেশ কিছুদিন বিশ্রামে থাকতে হবে, তাই মুমিনুলকে আবার দলে ফেরানো হয়েছে। অবশ্য সে আমাদের পরিকল্পনায় সবসমই ছিল।’

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্ট হবে আগামী ২৭-৩১ আগস্ট, মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে। এরপর ৪-৮ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট।

দল : তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, ইমরুল কায়েস, সাকিব আল হাসান, মুমিনুল হক, নাসির হোসেন, মুশফিকুর রহিম, সাব্বির রহমান, মেহেদী হাসান মিরাজ, শফিউল ইসলাম, তাইজুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ ও লিটন কুমার দাস।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় সিজার করতে গিয়ে নবজাতকের মাথা কেটে ফেললো চিকিৎসক

আব্দুল জলিল : সাতক্ষীরায় চিকিৎসকের অসর্তকতায় ভূমিষ্ঠ হতে গিয়েই মৃত্যু মুখে পড়লো এক নবজাতক। একদিকে অপুষ্টি নিয়ে পৃথিবীর আলো দেখা, অন্যদিকে সিজারের সময় চিকিৎসকের অসর্তকতায় মাথায় বেশ কিছুটা কেটা যাওয়ায় জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে ওই নবজাতক এখন সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

রোববার দুপুরে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে এমন চিত্র। আর তাই দিশেহারা সাতক্ষীরা সদর উপজেলার এল্লারচরের আবুল হোসেন ও সোমা খাতুন দম্পতি।
আবুল হোসেন জানান, গত ১৮ আগস্ট সন্তান সম্ভবা স্ত্রীকে কেশব নামে এক গ্রাম্য ডাক্তারের পরামর্শে শহরের সংগ্রাম প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে সেখানেই শনিবার দুপুরে সোমা খাতুনের সিজার করেন ডা. সুতৃষ্ণা। ভূমিষ্ঠ হয় একটি ফুটফুটে ছেলে সন্তান। কিন্তু বিপদ ঘটে যায় চিকিসৎকের অসর্তকতায়। সিজার করতে গিয়ে বাচ্চার মাথার বাম পাশে কেটে ফেলে চিকিৎসক। তাৎক্ষণিক তাকে সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়। সদর হাসপাতাল থেকে তাকে খুলনায় পাঠানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখন কি করবো বুঝতে পারছি না।

এ ব্যাপারে ডা. ডা. সুতৃষ্ণার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বাচ্চাটি অপুষ্টি নিয়ে জন্মগ্রহণ করেছে। হওয়ার সাথে সাথে তাকে সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তার মাথায় কেটে যাওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে, আমি আবার খোঁজ নিয়ে দেখছি।

সংগ্রাম প্রাইভেট হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাবের রেজা জানান, এটি একটি অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা। সিজার করতে গিয়ে নয়, সম্ভবত পরিষ্কার করতে গিয়ে কেটে যেতে পারে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় সড়ক সংস্কার ও পানি নিষ্কাষণ নিয়ে আলোচনা

মাহফিজুল ইসলাম আককাজ : সাতক্ষীরা জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সড়ক সংস্কার ও পানি নিষ্কাষণসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সার্বিক আলোচনা হয়েছে।
রোববার সকালে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির উপদেষ্টা সাতক্ষীরা-০২ আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ.এন.এম মঈনুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আব্দুল হান্নান, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর বিশ^াস সুদেব কুমার, সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আব্দুল খালেক, সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. কাজী হাবিবুর রহমান, সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মেরিনা আক্তার, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান বাবু, শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তালা উপজেলা চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ কাজী আব্দুল মান্নান, সাতক্ষীরা সড়ক ও জনপদের নির্বাহী প্রকৌশলী মনজুরুল করিম, সাতক্ষীরা সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ জিয়াউল হক প্রমুখ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী অপূর্ব কুমার ভৌমিক, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নূর হোসেন সজল, কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার উত্তম কুমার রায়, কালিগজ্ঞ উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোলাম মাঈনুদ্দিন, দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাফিজ আল- আসাদ, শ্যামনগর উপজেলা চেয়ারম্যান ভারপ্রাপ্ত এস.এম মহসীন-উল-মূলক, আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুষমা সুলতানা, তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফরিদ হোসেন, জেলা শিক্ষা অফিসার এস.এম ছায়েদুর রহমান, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শেখ অহিদুল আলম, সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার রবীন্দ্রনাথ দাস, জেলা স্কাউটস্ সম্পাদক এম ঈদুজ্জামান ইদ্রিস, পৌর কাউন্সিলর শেখ শফিক উদ দৌলা সাগর, জেলা পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপ পরিচালক রওশন আরা জামান, জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ পরিচালক দেবাষিস চৌধুরী প্রমুখ।
সাতক্ষীরা জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় ভবিষ্যৎ জটিলতা এড়াতে পৌরসভার মধ্যে যে কোন অবকাঠামো বা রাস্তার কাজ করার সময় গণপূর্ত বিভাগ ও সড়ক ও জনপদ কর্তৃপক্ষকে সাতক্ষীরা পৌরসভার সাথে সমন্বয় করা, প্রাণসায়র খালের বর্জ অপসারণ করতে হবে। জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও এবং চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এলাকার পানি নিষ্কাষণের পদক্ষেপ নেওয়া, গুণগতমান বজায় রেখে শহরের প্রধান সড়কসমূহ নির্মাণ/মেরামতের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। শহর বাইপাস সড়কের কাজের অগ্রগতি বিষয়ে প্রধান প্রধান সিদ্ধান্ত সমুহের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় অনুদান ও রোগীদের মাঝে চেক বিতরণ

মাহফিজুল ইসলাম আককাজ : ‘সমাজসেবা যে জন করে, পা বাড়ালেই পূর্ণ বাড়ে’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে বাংলাদেশ জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিষদ কর্তৃক সাধারণ স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে অনুদান ও ক্যান্সার, কিডনী, লিভার সিরোসিস, স্ট্রোকে প্যারালাইজড ও জন্মগত হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীর মাঝে আর্থিক সহায়তার চেক বিতরণ করা হয়েছে। রোববার সকালে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা সমাজ কল্যাণ পরিষদের আয়োজনে জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা ০২ আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আব্দুল খালেক, জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ পরিচালক দেবাশিস, জেলা পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপ পরিচালক রওশন আরা জামান, সদর উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মো. রোকনুজ্জামান প্রমুখ। জেলার ৭২টি সাধারণ স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ৭ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকার চেক ও ২১ জন ক্যান্সার, কিডনী, লিভার সিরোসিস, স্ট্রোকে প্যারালাইজড ও জন্মগত হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীদের মাঝে ১০ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার চেক বিতরণ করা হয়। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন শহর সমাজসেবা অফিসার শেখ সহিদুর রহমান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় ২০১৩ সালের নাশকতাকারীরা ফের সংঘটিত হচ্ছে, নিয়মিত হচ্ছে গোপন বৈঠক

সাতক্ষীরায় ’১৩ সালের নাশকতাকারীরা ফের সংঘটিত হচ্ছে, নিয়মিত হচ্ছে গোপন বৈঠক
নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরায় নাশকতা সৃষ্টিকারী জামাত-শিবিরের ক্যাডাররা এতদিন আত্মগোপনে থাকার পর ফের সংঘটিত হচ্ছে। গোপন বৈঠক করছে প্রায় রাতে। ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সাতক্ষীরায় দাঙ্গা সৃষ্টিকারী ও তাদের ক্যাডাররা প্রকাশ্যে চলাফেরা শুরু করেছে।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের মধ্যে জামাত শিবির অধ্যুষিত যে কয়টি ইউনিয়ন আছে তার মধ্যে ফিংড়ি ইউনিয়ন অন্যতম। ২০১৩ সালে সাতক্ষীরা জেলায় জামাত শিবিরের নেতৃত্বে যারা ছিলেন তাদের অধিকাংশের বাড়ি ফিংড়িতে। প্রতিদিন ইঞ্জিন ভ্যান, নছিমন, করিমন ও পিকআপ ভ্যানে করে শত শত সশস্ত্র ক্যাডার সাতক্ষীরা শহরে দাঙ্গা সৃষ্টি করেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর প্রতিরোধের কারণে কিছুদিনের মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। পরবর্তীতে জেলার ৭৮ টি ইউনিয়নের যৌথ বাহিনী জামাত শিবিরের ক্যাডারদের গ্রেফতার অভিযান চালালেও অদৃশ্য কারণে আশানুরুপ কোনো অভিযান পরিচালিত হয়নি ফিংড়ীতে। যার কারণে জেলার অন্যান্য ইউনিয়নের দাঙ্গা সৃষ্টিকারীরা ফিংড়ী ইউনিয়নকেই তাদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল বলে মনে করে। ফিংড়ী ইউনিয়নকে বর্তমানে তারা তাদের গোপন বৈঠক এবং মিলন কেন্দ্র হিসাবে বেছে নিয়েছে বলে এলাকার একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে।
আত্মরক্ষার্থে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সুত্রগুলো বলছে, প্রায় গভীর রাতে মটরসাইকেল, মাইক্রোযোগে দাড়ি-টুপি পরা অপরিচিত ব্যক্তিরা এলাকায় এসে চিহ্নিত জামাত নেতা ও নাশকতায় নেতৃত্বদানকারীদের সাথে মিলিত হচ্ছে আবার ওই রাতেই চলে যাচ্ছে। ফিংড়ী ইউনিয়নের গাভা গ্রামের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় শান্তিবাহিনীর (পিচ কমিটি) কমান্ডার সাজ্জাত হাজী এসময় ফিংড়ী, গাভা, ব্যাংদহা এলাকায় হিন্দুদের বাড়ি ঘর লুটপাট করে এবং আগুন ধরিয়ে দেয়। এখনও হিন্দু পাড়াগুলো সাজ্জাত হাজীর তা-বের কথা মনে পড়লে শিউরে উঠে। এসময়ের লটুপাটের অর্থ দিয়েই আজ শত শত বিঘা জমির মালিক সে। তার পুত্র জামাতের দুর্ধর্ষ ক্যাডার আব্দুল হক। ২০১৩ সালে নাশকতা সৃষ্টিকারীদের নেতৃত্বদানকারী এই ক্যাডার এখন প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। ফিংড়ী ইউনিয়নের জামাত-শিবিরের এই নেতার নেতৃত্বে প্রায় রাতে গোপন বৈঠক হয় গাভা দাখিল মাদ্রাসায়। কারণ ওই মাদ্রাসার শিক্ষক জামাত ক্যাডার আব্দুল হক। মাদ্রাসার সুপার গাভা গ্রামের ওয়াজেদ মোড়লের ছেলে মাওঃ আজাদুল ইসলাম নাশকতা মামলার আসামি। কয়েকদিন পূর্বে সে আদালতে আত্মসমর্পণ করে কারাগারে আছে।
শেখ জাফর আলী পিতা মৃত শাহীন ঢালী সাং- গোবড়দাড়ি একই গ্রামের রফিক ঢালীর পুত্র এর আশরাফ আলীর শ্বশুর বুধহাটা ইউনিয়নের নওয়াপাড়া গ্রামের কুখ্যাত রাজাকার কমান্ডার আব্দুর রাজ্জাক। আশরাফ আলী জামাতের একজন দুর্ধর্ষ ক্যাডার। গোবরদাড়ি গ্রামের শফিউর রহমান, পিতা মৃত বেলায়েত সানা। বালিথা গ্রামের আপিল উদ্দীনের ছেলে রাজাকার কমান্ডার আনোয়ার উদ্দীন স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ভারতে যাওয়ার পথে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর আক্রমণ করে সর্বস্ব করে লুট করে। হিন্দু নারীদের উপর অত্যাচার করার একাধিক অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। জোড়দিয়া গ্রামের জাফর আলীর ছেলে আকতারুল ইসলাম ও দক্ষিণ ফিংড়ী গ্রামের জুম্মান আলী জামাত ইসলামীর রোকন।
ফিংড়ী ইউনিয়নের তিন গ্রামের ২০১৩ সালে নাশকতা নেতৃত্বদানকারী এসব নেতারা বর্তমানে ইউনিয়নব্যাপী দাপিয়ে সাংগঠনিক কর্মকা- চালিয়ে বেড়াচ্ছে বলে সূত্রগুলো জানিয়েছে। তারা আরো জানান, প্রায়ই গভীর রাতে অপরিচিত দাড়ি-টুপিওয়ালা লোকেরা এদের সাথে বৈঠক করে। ঘটনাগুলো স্থানীয় গ্রামবাসীরা জানলেও প্রাণের ভয়ে কেউই বলতে সাহস পায় না। ফিংড়ী ইউনিয়েন জামাত-শিবিরের ক্যাডাররা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছ। জামাত শিবিরের তালিকাভুক্ত এই সব ক্যাডারদের বিরুদ্ধে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কোনো আইনি পদক্ষেপ না নেওয়ায় তারা ফের সংঘটিত হচ্ছে বলে স্থানীয়রা জানায়।
এব্যাপারে ফিংড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সামছুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমিও শুনেছি জামাত শিবির সংঘটিত হচ্ছে। বিষয়গুলো আমাদের দলীয় ফোরামে জানিয়েছি। উল্লেখিত ব্যক্তিরা জামাত শিবিরের রাজনীতির সাথে জড়িত বলে তিনি জানান। এদের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলোও সঠিক বলে জানিয়েছেন তিনি।
এব্যাপারে ফিংড়ী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি প্রাক্তন ইউপি মেম্বর লুৎফর রহমান জানান, উল্লেখিত ব্যক্তিরা জামাতের রাজনীতির সাথে জড়িত। এদের নেতৃত্বে ব্যাংদহা বাজারে হিন্দুদের দোকানে আগুন দিয়েছিল ২০১৩ সালে। এবং এরা ওই সময় সংঘটিত হয়ে ফিংড়ী বাজার অভিমুখে আসার সময় স্থানীয় জনগণকে সাথে নিয়ে আমরা প্রতিরোধ করি। এরা আমার বাড়ি ভাংচুর করতেও চেয়েছিল কিন্তু জনগণের প্রতিরোধের কারণে তারা পারেনি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
এভারেস্টের চূড়ায় তরুণ-তরুণীর কাণ্ড : বিস্মিত দুনিয়া!

বিয়ে নিয়ে নানা খবর শোনা যায়। উদ্ভট সেই সব খবরের ভিড়ে এল নতুন এক খবর, যা পড়লে চট করে বিশ্বাস করা কঠিন। কিন্তু এমনও ঘটেছে। সম্প্রতি ক্যালিফোর্নিয়ার এক প্রেমিক যুগল যা করলেন, তাতে বিয়ে ব্যাপারটি এক নতুন পর্যায়ে পৌঁছে গেল।

পাত্রের নাম জেমস সিসম, বয়স ৩৫। পাত্রী অ্যাশলে স্কিসেডর, বয়স ৩২। দু’জনেই মার্কিন নাগরিক। বিয়ে করার ইচ্ছে ছিল পরিবার-বন্ধুদের মাঝেই। কিন্তু হঠাৎই সব কিছু পেছনে ফেলে তাঁরা চলে আসেন হিমালয়ের দেশে। তাদের ‘নতুন ইচ্ছে’ পূরণ করতে। বিয়ে তাঁরা করবেন ঠিকই, কিন্তু তা হবে পৃথিবীর সব থেকে উঁচু স্থানে। তাই তাঁদের পছন্দের জায়গা এভারেস্ট! খবর এবেলার।

এভারেস্টের চূড়ায় যাওয়ার দু’টি পথ রয়েছে— নেপালের দিক থেকে সাউথ বেস ক্যাম্প ও তিব্বতের দিক থেকে নর্থ বেস ক্যাম্প।

প্রায় তিন সপ্তাহ হাইক করে জেমস ও অ্যাশলে পৌঁছয় ১৭৫০০ ফুট উচ্চতার সাউথ বেস ক্যাম্পে। মাইনাস ৫ ডিগ্রি থেকে ৫ ডিগ্রি তাপমাত্রার মধ্যে বিয়ে করেন তাঁরা।

এতো ঠান্ডার মধ্যেও বর-বউয়ের পরণে ছিল বিয়ের প্রথাগত পোশাক। জেমস পরেছিলেন কালো স্যুট ও অ্যাশলে পরেছিলেন সাদা ওয়েডিং গাউন। বিয়ের সম্পূর্ণ অনুষ্ঠান শেষ হয় মাত্র এক ঘণ্টায়। তার পরে হেলিকপ্টারে করে তাঁরা ফিরে আসেন সমতলে।

এই অভূতপূর্ব বিয়ের অনুষ্ঠানের সাক্ষী ছিলেন অনেকেই। এবং গোটা ব্যাপারটা ক্যামেরাবন্দি করেন অ্যাডভেঞ্চার ওয়েডিং ফোটোগ্রাফার শার্লটন চার্চিল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
‘খানিকটা মারা যাচ্ছেন’ প্রতিদিনই : মৃত্যু সম্পর্কে ১০টি বিশেষ তথ্য

‘মৃত্যু কি সহজ, কি নিঃশব্দে আসে অথচ মানুষ চিরকালই জীবন নিয়ে গর্ব করে যায়’। মৃত্যু! ছোট্ট একটি শব্দ। এই সেই শব্দ, যা আমাদের নিয়ে যায় অজানা কোন রাজ্যে, যার সম্পর্কে আমরা প্রায় কিছুই জানিনা। সুন্দর এই পৃথিবী ছেড়ে যেতে কত না কষ্ট! মৃত্যুর থেকে অনিবার্য সত্য আর কিছুই হয় না।

এই দার্শনিক তত্ত্বকে মনে রেখেও আমরা মৃ্ত্যুকে ঘিরে ফেলি কথা-কল্পনা-কিংবদন্তিতে। তাকে ঘিরে কেউ রচনা করেন রোম্যান্স, কেউ বা মৃত্যুকে একটা ভয়ের ব্যাপার বলেই ধরে নেন। আর এসবের ঊর্ধ্বে উঠলে বিগতস্পৃহরা কেমন একটা বিভ্রান্ত চোখে তাকান মৃত্যুর প্রসঙ্গে উঠলে। এখানে মৃত্যু সম্পর্কে এমন কিছু নির্যস সত্যের সন্ধান দেওয়া হল, যার অনেকটাই আমাদের দৈনন্দিনের ধারণার বাইরে।

(এই তথ্যগুলি পপুলেশন রেফারেন্স ব্যুরো এবং সিআইএ-র ‘ওয়ার্ল্ড ফ্যাক্টবুক’-এর থেকে গৃহিত)

১. পৃথিবীতে হৃদরোগেই বেশিরভাগ মানুষ মারা যান।

২. কমবয়সি পুরুষদের অধিকাংশই মারা যান দুর্ঘটনায়।

৩. অল্পবয়সি মহিলাদের অধিকাংশই মারা যান সন্তান প্রসব করতে গিয়ে।

৪. প্রতি বছর প্রতি ১০০০ জনে ৮ জন মারা যান।

৫. প্রতি সেকেন্ডে যতজন শিশু জন্ম নেয়, তার দ্বিগুণেরও বেশি মানুষ মারা যায়।

৬. মৃত্যুর চার ঘণ্টা পরে দেহের পেশিগুলিতে রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলে সংকোচন ঘটে। দেহ শক্ত হতে আরম্ভ করে। একে ‘রিগর মর্টিস’ বলে। কিন্তু ৩৬ ঘণ্টা পরে রিগর মর্টিস উধাও হতে শুরু করে।

৭. মৃত্যুর পরে অগ্ন্যাশয় ও পাচনতন্ত্রের অন্যান্য অংশ হজমের সহায়ক এনজাইমে পূর্ণ হয়ে যায়। এতে ওই অঙ্গগুলিই ‘হজম’ হয়ে যেতে শুরু করে। তার পরে পুরো দেহতেই এই প্রক্রিয়া ছড়িয়ে পড়ে। এর নাম ‘অটোলাইসিস’।

৮. মৃত্যুর পরে নখের বৃদ্ধি ঘটে না।

৯. ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা মৃতদেহে লেগে থাকা পোকার চরিত্র দেখে মোটামুটিভাবে বলতে পারেন মৃত্যু ঠিক কতক্ষণ বা কত দিন আগে হয়েছে।

১০. প্রতি দিনই ‘খানিকটা করে মারা যাচ্ছি’ আমরা সবাই। প্রতিদিন দেহে প্রায় ৫০ বিলিয়ন কোষের মৃত্যু হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
নিজের স্ত্রীকেই ছয়বার বিয়ে করে তুফান!

বগুড়ায় ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রী ও তার মাকে নির্যাতনের পর মাথা ন্যাড়া করে দেয়ার ঘটনায় আলোচিত তুফান সরকার বিয়ে করেছে ছয়বার। তবে সেই বিয়ের কনে অন্য কেউ নয়, তার স্ত্রী আশা খাতুন।

৯ বছরের দাম্পত্যজীবনে তুফান সরকার স্ত্রী আশাকে পাঁচবার তালাক দিয়ে পুনরায় বিয়ে করেছে। বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে দাম্পত্যকলহ লেগেই ছিল। কথায় কথায় নিজেরা মারামারি করত।

এসব কারণে তুফান ক্ষিপ্ত হয়ে স্ত্রীকে তালাক দিত। বিভিন্ন সময় এ নিয়ে বিচার সালিশও হয়েছে। বারবার তালাক দিয়ে মৌলভী ডেকে আবারও তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছে। গ্রেফতারের পর পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তুফান সরকার নিজেই পুলিশকে এসব তথ্য দিয়েছে।

এদিকে ভর্তির কথা বলে ওই স্কুলছাত্রীকে গাড়ি পাঠিয়ে নিজের বাড়িতে ডেকে আনে তুফান। পরে কাগজপত্র সই করার নাম করে বেডরুমে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। এ সময় তুফানের পাঁচ বন্ধু পাহারায় ছিল।

ধর্ষণের পর তাকে জন্মনিয়ন্ত্রক ওষুধ খাওয়ানো হয়। পুলিশের কাছে দেয়া জবানবন্দিতে তুফান এসব কথা বলেছে। তুফানের ভাষ্য, সে বিভিন্ন সময় মোবাইল ফোনে মেয়েটিকে বিরক্ত করত।

তাকে খুশি করতে সে কলেজে ভর্তি করিয়ে দেয়ার কথা বলে। সে ওই ফাঁদে পা দেয়। তুফান ওই ছাত্রীর কাছে কাগজপত্র চায়। বন্ধু দীপুর মাধ্যমে তাকে কাগজপত্র এবং ৪ হাজার টাকা দেয় মেয়েটি।

১৭ জুলাই তুফান ওই কিশোরীকে জানায়, সে ঢাকা যাবে। ভর্তির জন্য কাগজপত্রে তার স্বাক্ষর লাগবে। সে আসতে অস্বীকৃতি জানালে দুই সহযোগী আতিক ও দীপু তাকে গাড়িতে করে নিয়ে আসে।

কাগজপত্রে স্বাক্ষর করার নাম করে মেয়েটিকে বেডরুমে নিয়ে ধর্ষণ করে তুফান। এ সময় তার পাঁচ বন্ধু আতিক, দীপু, রুপম, শিমুল ও মুন্না বাইরে পাহারা দিয়েছে। ধর্ষণের পর মেয়েটিকে জন্মনিয়ন্ত্রক ওষুধ খাওয়ায় তুফান। এসব স্বীকার করে পুলিশের কাছে তুফান সরকারের ভাষ্য, ধর্ষণের পর ওই মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে।

এ সময় আতিকের সহায়তায় রক্তক্ষরণ বন্ধ করা এবং জন্মনিয়ন্ত্রক ওষুধ আনিয়ে কিশোরীকে খাওয়ানো হয়। তারপর তুফান, আতিক ও জিতু প্রাইভেট কারে কিশোরীকে বাসায় পৌঁছে দেয়। তারপর তুফান ঢাকায় যায়।

তুফান পুলিশকে আরও বলেছে, বিষয়টি তার স্ত্রী আশা জেনে যায়। ২৮ জুলাই তার স্ত্রী আশা খাতুন, তার বোন বগুড়া পৌরসভার সংরক্ষিত কাউন্সিলর মার্জিয়া হাসান রুমকি, তুফানের শাশুড়ি রুমি, তুফানের বন্ধু আতিক, দীপু, রুপম, শিমুল ও মুন্না কৌশলে ওই স্কুলছাত্রী ও তার মাকে ডেকে আনে।

সেখানে মা-মেয়ের মাথা ন্যাড়া করার পাশাপাশি রড দিয়ে শারীরিক নির্যাতন করা হয়। নির্যাতনের সময় তুফান নিজের বাসায় ঘুমিয়ে ছিল বলে দাবি করে।

এ ঘটনার পর ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার কিশোরী বগুড়া সদর থানায় দুটি মামলা করে। বগুড়া সদর থানার ওসি এমদাদ হোসেন বলেন, কিশোরীকে ধর্ষণ এবং পরে তাকে ও তার মাকে নির্যাতনের ঘটনার তদন্তে অগ্রগতি হয়েছে। তদন্ত শেষ করে এ মামলায় দ্রুত অভিযোগপত্র দেয়া হবে।

তুফান কাশিমপুর কারাগারে, জেলে রাজকীয় জীবন নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন : বগুড়া ব্যুরো জানায়, বগুড়ায় ছাত্রী ধর্ষণ ও নির্যাতন মামলার প্রধান আসামি বহিষ্কৃত শ্রমিক লীগ নেতা তুফান সরকারকে গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারে পাঠানো হয়েছে। শনিবার দুপুরে তাকে কাশিমপুরে নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানিয়েছেন বগুড়ার জেল সুপার মোকাম্মেল হক।

শুক্রবার দেশের স্বনামধন্য একটি দৈনিকে ‘বগুড়া জেলে তুফান সরকারের রাজকীয় জীবনযাপন’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদে দর্শনার্থী কক্ষে পাইপ দিয়ে ফেনসিডিল সেবন ও কারাগারের প্রাচীর দিয়ে ফেনসিডিলের বোতল ভেতরে পাঠানো হয় বলে উল্লেখ করা হয়। এরপর তুফানকে হাসপাতাল থেকে ওয়ার্ডে সরিয়ে নেয়া হয়।

এ ঘটনায় কারা সদর দফতর থেকে রাজশাহীর ডিআইজি প্রিজন আলতাফ হোসেনকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়। ঘটনা তদন্ত করতে তিনি শনিবার দুপুরের পর বগুড়ায় এসে পৌঁছেছেন। সূত্র: যুগান্তর।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest