সর্বশেষ সংবাদ-
পণ্যগ্রাফি নিয়ন্ত্রন আইনের মামলার আসামীদের গ্রেফতারের দাবিতে প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দের বিবৃতিসাতক্ষীরায় গৃহবধু গণধর্ষণের মামলার আসামী গ্রেপ্তারআশাশুনি বাজারের পাশে বসবাসকারীরা নদী ভাঙ্গনে উদ্বিগ্ন: ইউএনওর পরিদর্শণসাতক্ষীরায় সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলায় ৩৩ জনের জামিনসাংবাদিকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ছয় দিন, থানার সামনেই প্রকাশ্যে ঘুরছেন আসামিরাভারতীয় পর্ন ভিডিওতে সাংবাদিকের ছবি জুড়ে ব্লাকমেইল করে চাঁদা দাবিকালিগঞ্জে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে দূধর্ষ ডাকাতিজুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে সাতক্ষীরায় এতিমদের মাঝে খাবার বিতরণভোমরার ইউপি চেয়ারম্যানকে ৪৮ ঘন্টা সময় বেঁধে দিলেন ইউনিয়নবাসীআশাশুনিতে শহীদের স্মরণে দুঃস্থদের মাঝে জামায়াতের খাবার বিতরণ

বিচার বিভাগ যথেষ্ট ধৈর্য ধরছে, ঝড় তো আপনারাই ওঠাচ্ছেন: অ্যাটর্নি জেনারেলকে প্রধান বিচারপতি

প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেছেন, ‘আমরা বিচার বিভাগ ধৈর্য ধরছি। যথেষ্ট ধৈর্য ধরছি।’

অধস্তন আদালতের বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধি চূড়ান্ত করার বিষয়ে আজ রোববার রাষ্ট্রপক্ষের সময়ের আবেদনের শুনানিতে প্রধান বিচারপতি এসব কথা বলেন। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ বিষয়টির ওপর পরবর্তী আদেশের জন্য আগামী ৮ অক্টোবর তারিখ রেখেছেন।

সবশেষ ৬ আগস্ট রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে অধস্তন আদালতের বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধি চূড়ান্ত করতে আপিল বিভাগ ২০ আগস্ট (আজ) পর্যন্ত সময় দিয়েছিলেন। এর ধারাবাহিকতায় আজ বিষয়টি আপিল বিভাগে ওঠে।

শুরুতেই অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সময়ের আবেদন দাখিল করেন।

প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেন, গত তারিখে কী করা হবে, বলা হয়েছিল। আলাপ-আলোচনার কথা বলা হয়েছিল। কার সঙ্গে, কে কে থাকবেন?

জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, আইনমন্ত্রী।

আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহাব মিয়া বলেন, আপিল বিভাগের সব বিচারপতির সঙ্গে।

প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আলাপ-আলোচনার কথা। আপনারা আলাপ-আলোচনা পর্যন্ত করলেন না।’

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘নীতিনির্ধারণী বিষয়ে আমার কী করার আছে।’

প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আপনারা মিডিয়াতে অনেক কথা বলবেন, কোর্টে এসে অন্য কথা বলবেন। আপনাকে বলছি না, আপনাদের কথা বলছি।’

অ্যাটর্নি জেনারেলকে উদ্দেশ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আপনি বলেন, কবে রাখব (পরবর্তী তারিখ)। সবাই বসবেন।’

একপর্যায়ে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, সব বিষয় নিয়ে ঝড় উঠে গেছে।

প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আমরা তো কোনো মন্তব্য করছি না। সব তো আপনারাই করছেন। পরবর্তী (তারিখ) কবে চান?’

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, বন্ধের এক সপ্তাহ পর।

প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আপনার মতোই আমরা রাখলাম। ৮ অক্টোবর তারিখ রাখলাম।’

এ পর্যায়ে অধস্তন আদালতের বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধির গেজেট প্রণয়নের প্রক্রিয়ার বিষয়ে বক্তব্য উপস্থাপনের জন্য দাঁড়ান মাসদার হোসেন মামলার অন্যতম কৌঁসুলি ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম।

প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আপনার আবেদনটি আছে। আমরা বিচার বিভাগ ধৈর্য ধরছি। যথেষ্ট ধৈর্য ধরছি। পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্ট…করেছেন। শুধু বলব, আমাদের আরও কিছু পরিপক্বতার দরকার আছে।’

১৯৯৯ সালের ২ ডিসেম্বর আপিল বিভাগ মাসদার হোসেন মামলায় ১২ দফা নির্দেশনা দিয়ে রায় দেন। রায়ের আলোকে নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলাসংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়নের নির্দেশনা ছিল।

আপিল বিভাগের নির্দেশনার পর ২০১৫ সালের ৭ মে আইন মন্ত্রণালয় বিধিমালার একটি খসড়া তৈরি করে সুপ্রিম কোর্টে পাঠায়। ওই বিধিমালা সংশোধন করে দেন আপিল বিভাগ। ওই খসড়া আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। সেই বিধিমালা গেজেট আকারে জারি করে তা দাখিল করতে গত বছরের ২৮ আগস্ট আইন মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ। এরপর থেকে রাষ্ট্রপক্ষ দফায় দফায় সময় নিয়েছে। সবশেষ সংশোধিত খসড়া প্রধান বিচারপতির কাছে জমা দেয় আইন মন্ত্রণালয়। এই খসড়া সুপ্রিম কোর্টের সুপারিশ অনুসারে হয়নি বলে জানিয়ে দেন আপিল বিভাগ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় ১০ জনের ফাঁসি

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় ২০০০ সালে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার মামলায় ১০ জনের ফাঁসির রায় দিয়েছেন আদালত। রায়ে আদালত বলেছেন, আসামিদের ফাঁসিতে ঝুলিয়ে অথবা হাইকোর্টের অনুমোদন সাপক্ষে গুলি করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা যাবে।

রবিবার বেলা ১১টার দিকে এ রায় দেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মমতাজ বেগম।

এছাড়া কোটালীপাড়ার ওই ঘটনায় বিস্ফোরক আইনে দায়ের করা অপর মামলায় ১০ আসামিকে ২০ বছর করে কারাদণ্ড ও এক জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

উল্লেখ্য,  ২০০০ সালের ২০ জুলাই কোটালীপাড়ায় তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশ স্থলের পাশে ৭৬ কেজি ওজনের বোমা পুঁতে রাখা হয়। শেখ লুৎফর রহমান মহাবিদ্যালয়ের উত্তর পাশের একটি চায়ের দোকানের পেছনে এ বোমা বিস্ফোরণের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। এ ঘটনায় তৎকালীন কোটালীপাড়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নূর হোসেন একটি মামলা দায়ের করেন। ২০০১ সালের ৮ এপ্রিল আট জনকে আসামি করে মামলার চার্জশিট দেওয়া হয়। পরে ২০০৯ সালের ২৯ জুন আরও নয় জনকে আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে সম্পূরক চার্জশিট দেওয়া হয়। এরপর ২০১০ সালে মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ঢাকা-২ ট্রাইবুনালে পাঠানো হয়। শেখ হাসিনাকে এ পর্যন্ত ১৯ বার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। ঢাকার আদালতেই এ ধরনের পাঁচটি মামলা বিচারাধীন। আজ রায় ঘোষণা হলে, এটাই হবে শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলার প্রথম রায়। এমনটাই জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ কৌঁসুলি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ব্রিটিশ হাইকোর্টে প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বিচারপতি

প্রথমবারের মতো ব্রিটিশ হাইকোর্টে বিচারক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে একজন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিককে। ৫০ বছর বয়সী আখলাকুর রহমান চৌধুরী ১৯৯২ সালে ব্যারিস্টারি পাস করে আইন পেশায় যোগ দেন। এ পেশায় থাকা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত দুইজন কুইনস কাউন্সেলের (কিউসি) মধ্যে তিনি একজন। অন্যজন হলেন- ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কিউসি। শুক্রবার (১৮ আগস্ট) যুক্তরাজ্যের বিচার বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হাই কোর্টের বিচারপতি হিসেবে আখলাকুর রহমান চৌধুরী কিউসির নিয়োগ রানী এলিজাবেথ অনুমোদন করেছেন। আগামী ২ অক্টোবর থেকে নিয়োগ কার্যকর হবে।

আখলাকুর এর আগে হাই কোর্টের ডেপুটি বিচারক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে স্ত্রী সফিনা ও তিন সন্তানকে নিয়ে তিনি লন্ডনে বসবাস করছেন।

এর আগে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত সপ্নারা খাতুন যুক্তরাজ্যের ক্রাউন কোর্ট ও ফ্যামিলি কোর্ট বিচারক হিসেবে নিয়োগ পেলেও আখলাকুর রহমানই ব্রিটিশ হাই কোর্টের প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বিচারক।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
যশোরের সাবেক এমপি খান টিপু সুলতান আর নেই

যশোর-৫ (মনিরামপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট খান টিপু সুলতান আর নেই। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে গত বুধবার থেকে রাজধানীর ধানমণ্ডির সেন্ট্রাল হাসপাতালে তাঁকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিআই) রাখা হয়েছিল। চিকিৎসকরা আজ শনিবার রাত সাড়ে ৯টায় তাঁর লাইফ সাপোর্ট খুলে দেন ও তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

খান টিপু সুলতানের ছেলে সাদাব হুমায়ুন সুলতান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সাদাব জানান, রোববার বেলা ১১টায় খান টিপু সুলতানের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় সংসদ প্লাজায়। এরপর মরদেহ নেওয়া হবে সুপ্রিম কোর্টি প্রাঙ্গণে। সেখানে বাদ জোহর জানাজা শেষে তাঁকে যশোর নেওয়া হবে। বাদ আসর যশোর শহরে জানাজা শেষে মরদেহ নেওয়া হবে মরহুমের সংসদীয় এলাকা মনিরামপুরে। সেখানে বাদ মাগরিব জানাজা শেষে লাশ নেওয়া হবে তাঁর জন্মস্থান খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলায়। বাদ এশা ডুমুরিয়ায় জানাজা শেষে সেখানে তাঁকে দাফন করা হবে।

১৯৫০ সালে জন্ম নেওয়া বীর মুক্তিযোদ্ধা খান টিপু সুলতান ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালে যশোর-৫ (মনিরামপুর) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। এর আগে তিনি যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ডুবছে সরকারি প্রতিষ্ঠান ; রেল বিমান বিটিসিএল শিক্ষা সব খাতে একই চিত্র

অনিয়ম-অব্যবস্থাপনায় ডুবছে সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশ বিমান, রেলওয়ে, বিটিসিএল, ডাক বিভাগ, টেলিটক, বিআরটিসি, সরকারি হাসপাতাল, শিক্ষা খাত থেকে শুরু করে বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশন, বাংলাদেশ রাসায়নিক শিল্প সংস্থা (বিসিআইসি), স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি) এখন সমস্যায় ভারাক্রান্ত প্রতিষ্ঠান।
সরকার যায় সরকার আসে, কিন্তু এই প্রতিষ্ঠানগুলোর অবস্থা উন্নত হয় না। বরং দিনের পর দিন প্রতিষ্ঠানগুলো ভয়াবহভাবে পথে বসতে শুরু করেছে।

দেশে বেসরকারি উড়োজাহাজগুলো যখন ইতিবাচক অবস্থান তৈরি করছে, তখনই বিমানের অবস্থা বেহাল। ইউএস বাংলা, রিজেন্ট এয়ার, নভোএয়ার এখন দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিদেশেও প্রশংসা অর্জন করছে। অন্যদিকে বিমান এখন ডানাভাঙা প্রতিষ্ঠান। নিজেদের অব্যবস্থাপনা, অনিয়ম, দুর্নীতি ও সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে অবহেলায় একের পর এক আন্তর্জাতিক রুট তারা গুটিয়ে নিচ্ছে। বিমানের সার্ভিস নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে যাত্রীদের মধ্যে। বিমান আজ পর্যন্ত রুটগুলোর সময়সীমাই ঠিক করতে পারেনি। গতকালও লন্ডন ফ্লাইট পাঁচ ঘণ্টা পর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আকাশে উড্ডয়ন করে। এভাবে নয়টার বিমান কয়টায় যাবে কেউ জানে না। অথচ সামান্য পরিকল্পনা নিলেই বিমানের এ চিত্র বদলানো সম্ভব। পুরনো বিমান লিজে এনে প্রতিষ্ঠানটিকে লোকসানি খাতে পরিণত করা হয়েছে। যে দামে বিমান লিজে আনা হয়েছে, একই দামে নতুনই কেনা সম্ভব। বিমান নিয়ে খামখেয়ালিপনা চলছেই। বিমানের মতোই রেলওয়ের অবস্থাও বেহাল। যেভাবে সামনের দিকে পথ চলার কথা, তা চলছে না। রেলকে পৃথক মন্ত্রণালয় করার পর এ খাতে সরকার গত পাঁঁচ বছর ধরে পৃথক বরাদ্দ দিচ্ছে। কিন্তু যেভাবে রেলের উন্নয়ন হওয়ার কথা, তা বাস্তবে হচ্ছে না। শুধু কাগজে-কলমে বড় বড় প্রকল্প গ্রহণ করেই দেখানো হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটির উন্নয়নের চিত্র। বাস্তবে রেলে অনিয়মের শেষ নেই। রেলে জমি লিজ থেকে শুরু করে ঘাটে ঘাটে অভিযোগের শেষ নেই। তবে একটা জায়গায় রেলের উন্নতি ঘটেছে। আগে যেখানে ট্রেনের সময়সীমা সঠিক ছিল না, সেখানে গত দুই বছরে সময়সীমার দিক দিয়ে রেল অনেক এগিয়েছে। এখন অধিকাংশ ট্রেনই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে চলাচল করছে। সরকারের আরেক প্রতিষ্ঠান বিটিসিএল। এই প্রতিষ্ঠানটি নিয়ে অপার বিস্ময় বিভিন্ন মহলে। বেসরকারি ফোন কোম্পানিগুলো লাভ করলেও সরকারি এই প্রতিষ্ঠানটি দিনের পর দিন শুধুই লোকসান গুনছে। বেসরকারি সব মোবাইল অপারেটরের চেয়ে নেটওয়ার্কে কয়েক গুণ শক্তিশালী হচ্ছে টেলিটক। অথচ এটিই এখন দুর্বল প্রতিষ্ঠান। ঢাকার বাইরে বিভিন্ন জেলায় বা প্রত্যন্ত অঞ্চলে গেলেই টেলিটকের দুর্বলতা ফুটে ওঠে। অথচ সব জেলায়-উপজেলায় টেলিটকের নেটওয়ার্ক রয়েছে। একইভাবে লোকসান বাড়ছে বিটিসিএলে। বছর বছর এখন যেভাবে যাচ্ছে, একসময় প্রয়োজনীতা ফুরিয়ে যাবে বিটিসিএলের। অথচ ল্যান্ডফোনের ডিমান্ড এখনো গ্রাহকের মধ্যে ব্যাপক। দুর্নীতির কারণে প্রতিনিয়ত ডুবতে থাকা সরকারের বৃহৎ এই প্রতিষ্ঠানের গ্রাহক-ক্ষমতা ছিল প্রায় ১৩ লাখ। কিন্তু দুর্নীতির কারণে গত কয়েক বছরে এই প্রতিষ্ঠানের গ্রাহক কমতে কমতে অর্ধেকে নেমে এসেছে। গত বছরও এর গ্রাহকসংখ্যা ছিল সাত লাখের ওপরে। আর চলতি বছর সেটি ছয় লাখের কিছু বেশি। প্রতিদিনই গ্রাহকরা সারেন্ডার করছেন শুধু অনিয়ম, দুর্নীতি ও হয়রানির কারণে। স্বাস্থ্যসেবায় সরকারি হাসপাতালগুলোর অবস্থা খুবই করুণ। উন্নমানের সেবা না পাওয়া, হাসপাতালে রোগীদের সঙ্গে চিকিৎসক-কর্মচারীদের দুর্ব্যবহারের কারণে সরকারি হাসপাতালগুলোর প্রতি মানুষের অনাগ্রহ দিনে দিনে বাড়ছে। ঢাকার নামীদামি বেসরকারি হাসপাতালে ঢুকে পরিবেশ দেখলেই মন ভালো হয়ে যায়। চিকিৎসায় গলাকাটা দাম থাকলেও চকচকে-ঝকঝকে পরিবেশ রাখেন তারা। ঠিক এর বিপরীত চিত্র হচ্ছে সরকারি হাসপাতালের। নোংরা পরিবেশ, চিকিৎসায় অবহেলা, উন্নত মানের খাবার না দেওয়াসহ নানা অভিযোগ রয়েছে সরকারি হাসপাতালগুলোর বিরুদ্ধে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ, পঙ্গু হাসপাতাল, শিশু হাসপাতাল, হূদরোগ, মিটফোর্ড, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়সহ রাজধানীর প্রায় সব কটি সরকারি হাসপাতালের অবস্থা এক। কাগজে-কলমে এসব হাসপাতালে চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা-কর্মচারীর অভাব নেই। অভাব শুধু চিকিৎসাসেবার ক্ষেত্রে। রোগীরা সরকারি হাসপাতালে ছুটে গেলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পড়ে থাকতে হয় হাসপাতালের বারান্দায় বা মেঝেতে। চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকদের দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হয়। ফলে ভোগান্তির শেষ নেই সরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসাসেবা নিতে যাওয়া রোগীদের। সর্বোপরি হাসপাতালগুলোর ব্যবস্থাপনায় ত্রুটির শেষ নেই। চিকিৎসাসেবার বাইরে কেনাকাটা নিয়েও রয়েছে সরকারি হাসপাতালগুলোর বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ। দীর্ঘদিন ধরে এসব অভিযোগ থাকলেও এগুলোর বিরুদ্ধে সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরের ব্যবস্থা নেওয়ার নজির খুব কমই দেখা যায়। একই অবস্থা বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশনের। এখানে চলছে নানা অনিয়ম-দুর্নীতি। ফলে ডুবতে বসেছে সরকারের এই প্রতিষ্ঠানটিও। সর্বশেষ নিয়োগ নিয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে। কোনো রকম নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে এবং চাকরিবিধি অমান্য করে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ২৯ জন কর্মচারীকে। বিএসইসির একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট এ নিয়োগ প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। লোকসান গুনছে বাংলাদেশ রাসায়নিক শিল্প সংস্থা (বিসিআইসি)। সংস্থাটির ১৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৯টিতে গত অর্থবছরে ৩৩৮ কোটি ৭৬ লাখ টাকা লোকসান হয়েছে। আর বাকি চারটি প্রতিষ্ঠানের লাভ হিসাব করলেও সব মিলিয়ে লোকসান প্রায় ৭৮ কোটি টাকা। অথচ এর আগের বছরও প্রতিষ্ঠানটি ৯৩ কোটি টাকা লাভ করেছিল। বিসিআইসির কর্মকর্তারা বলছেন, বর্তমান চেয়ারম্যান ও পরিচালনা পর্ষদের অদক্ষতা, গাফিলতি ও অনিয়ম-দুর্নীতির কারণেই ডুবতে বসেছে বিসিআইসি এবং এর অধীন ১৩টি প্রতিষ্ঠান। এর ফলে হতাশায় আছেন এখানকার আট হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী। অভিযোগ উঠেছে, বিসিআইসি লোকসান করলেও অতিরিক্ত গাড়ি ব্যবহারসহ চেয়ারম্যান নানা ধরনের অনৈতিক সুবিধা নিচ্ছেন। বিসিআইসির তথ্য অনুযায়ী, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ২১৭ কোটি টাকা লাভ করেছিল বিসিআইসি। কিন্তু ২০১৪ সালের ১২ অক্টোবর মোহাম্মদ ইকবাল যোগ দেওয়ার পরই দুর্নীতি, অনিয়ম ও একের পর এক ভুল সিদ্ধান্তে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে লাভ কমে নেমে আসে ৯৩ কোটি ৪৪ লাখে। আর পরের বছরই লোকসান হয় ৭৭ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে এ লোকসান আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা। দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের বিরুদ্ধেও। ফলে গ্রামীণ রাস্তাঘাটের উন্নয়নে সরকারের যে বরাদ্দ রয়েছে, সেগুলোর যথাযথ ব্যবহার হচ্ছে না। এলজিইডির মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ পর্যায় পর্যন্ত কর্মকর্তারা ঠিকাদারদের সঙ্গে যোগসাজশ করে প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করার কারণে অধিকাংশ রাস্তাঘাটই দ্রুততম সময়ে নষ্ট হয়ে যায়। ডাক বিভাগে তো চিঠির সংখ্যা কমেই গেছে। মানুষ নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে বেসরকারি কুরিয়ার সার্ভিসের প্রতি। সরকারের এই প্রতিষ্ঠান প্রতিবছরই লোকসান গুনছে। যদিও এটিকে টেনে তোলার জন্য নানামুখী চেষ্টা করছে সরকার। বিআরটিসির করুণ অবস্থা দেখা যায় রাস্তায় নামলেই। সরকার নগরবাসীর যাতায়াত সুবিধা নিশ্চিত করতে দফায় দফায় সরকারি অর্থায়নে বিআরটিসির অধীনে যানবাহন নামালেও সেগুলো কিছুদিন চলার পর মুখ থুবড়ে পড়ে। যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিলেই ফেলে রাখা হয় বিআরটিসির কোটি কোটি টাকা মূল্যের গাড়ি। সেখান থেকে ধীরে ধীরে সেসব গাড়ির যন্ত্রাংশ খুলে বিক্রি করে বিআরটিসির একশ্রেণির কর্মকর্তা-কর্মচারী। ফলে লাভের মুখ আর দেখা হয় না এই প্রতিষ্ঠানটির। শিক্ষা খাতের দুর্নীতি-অনিয়মের কারণে অনেক প্রকল্পই সঠিকভাবে ও সঠিক সময়ে শেষ হয় না। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর এমন দৈন্যদশা সম্পর্কে জানতে চাইলে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠানের সেবার মান কমার অন্যতম কারণ হচ্ছে অনিয়ম-দুর্নীতি এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে জবাবদিহির ভয় না থাকা। বিশেষ করে সরকারি কোনো প্রতিষ্ঠানের বড় কর্তাদের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতি বা স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠলে তা আমলে না নিয়ে বরং তাদের পুরস্কৃত করা হয়। এতে দুর্নীতিবাজরা আরও উৎসাহিত হয়। অথচ একই সঙ্গে বেসরকারি খাতের প্রতিষ্ঠানের মধ্যে থাকে সেবার মান বাড়িয়ে মুনাফা অর্জনের লক্ষ্য। ফলে সেটা তারা করতেও পারে। কেননা বেসরকারি খাতের প্রতিষ্ঠানে অনিয়ম-দুর্নীতি করলে শাস্তির বিধান কঠোরভাবে মেনে চলা হয়, যা সরকারি প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে হয় না। ফলে যে কোনো ধরনের সরকারি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের সেবার মান বাড়াতে হলে সবার আগে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে। জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। অপরাধের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। আর বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, যে কোনো সরকারি প্রতিষ্ঠানের সেবার মান বাড়াতে হলে সে প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মকর্তাদের মধ্যে জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। হাসপাতাল, ক্লিনিক, ব্যাংক-বিমার কর্মীদের কাজ করতে হবে সেবার মানসিকতা নিয়ে। যদি কারও বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠে, এর সঠিক তদন্ত হবে। কর্মীদের মধ্যে এই মানসিকতা সৃষ্টি করাতে হবে যে, ভালো কাজ করলে যেমন পুরস্কার পাওয়া যাবে, খারাপ কাজ করলে বা অনিয়ম-দুর্নীতি করলে বা দায়িত্বে অবহেলা করলে তিরস্কারের মুখোমুখি হতে হবে। এমনকি কঠোর শাস্তির বিধানগুলোকে কার্যকর করতে হবে। অন্যথায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সেবার মানের সঙ্গে সরকারি প্রতিষ্ঠান সব সময়ই হেরে যাবে বলে মনে করেন তিনি।

সূত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মুমিনুলের বাদ পড়া নিয়ে হাজারো প্রশ্ন?

২০১৩ সালে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক হওয়া মুমিনুল হক এই প্রথমবারের মতো দল থেকে বাদ পড়লেন। আর তার বাদ পড়ার বিষয়টি কোনওভাবেই মেনে নিতে পারছেন না ক্রিকেট ভক্তরা।
অবশ্য না মেনে নেওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে ভক্তদের। কারণ এই লিটল মাস্টারের ব্যাট থেকে ক্যারিয়ারের ২২ টেস্টে গড় রান এসেছে ৪৬.৮৮ করে। এসেছে ১১টি হাফ সেঞ্চুরি ও ৪টি সেঞ্চুরি। ক্যারিয়ারের শুরুতে কেউ কেউ তাকে ডন ব্র্যাডম্যানের সঙ্গেও তুলনা করেছিলেন। আর এই মুমিনুলই বাদ পড়লেন পারফরম্যান্সের অজুহাতে!

‘সৌম্য সরকার কোনো যুক্তিতে মুমিনুল হক কিংবা মাহমুদুল্লাহর চেয়ে টেস্টে ভালো ব্যাটসম্যান কেউ কী বুঝাতে পারবেন?’ ফেসবুকে এভাবেই মন্তব্য প্রকাশ করছেন নয়ন নামের এক ক্রিকেট প্রেমী।

মেহেদি হাসান নামে একজন স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘আমাদের ডন ব্র্যাডম্যান মমিনুল হক। টেস্টে এই লিটল মাস্টারের ব্যাটিং গড় ছিলো প্রায় ৬৩। আর তাকেই স্কোয়াডে রাখলেন না নির্বাচকরা। ‘

ইশতিয়াক নামের একজন লিখেছেন,’মুমিনুল হক এর মতন খেলোয়াড় ১৪ জনের স্কোয়াডেই নেই… ভাবতে খুব খারাপ লাগতেছে যে এখন বাংলাদেশের সবচে বেশি গড় কিন্তু তার। ‘

এরকম হাজারো সমালোচনার ঝড় বইছে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে সবই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশ দলের স্কোয়াড থেকে মুমিনুল ও মাহমুদউল্লাহর বাদ পড়া নিয়ে।

এদিকে, টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান মুমিনুল হকের বাদ পড়ায় দেশের ক্রিকেটাঙ্গনে শুরু হয় তুমুল আলোচনা-সমালোচনা। ক্রিকেটপ্রেমীদের পাশাপাশি সংবাদকর্মীদের কাছেও মুমিনুলের বাদ পড়া ছিল প্রধান একটি প্রশ্ন। সেই প্রশ্নের জবাব দিতে সংবাদ সম্মেলনে হিমশিম খেত হল প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিনকে। বলা বাহুল্য যে, নির্বাচক হিসেবে প্রথমবার এমন অভিজ্ঞতার মুখে পড়লেন জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক।

মুমিনুল বাদ প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাচক বলেন, পারফর্মেন্সের জন্যই বাদ পড়েছেন মুমিনুল। তার ভাষায়, ‘মুমিনুলের সামগ্রিক যে ফর্ম, আমাদের কাছে যে পরিসংখ্যান আছে… জানুয়ারি থেকে শ্রীলঙ্কা সিরিজ পর্যন্ত, ছয় ইনিংসে ওর একটি মাত্র ফিফটি। এ পারফরম্যান্সের জন্যই ওকে রাখা হয়নি। তারপরও আমাদের পরিকল্পনায় আছে, প্রস্তুতির মধ্যেই আছে। যখন-যাকে দরকার, তখন ব্যবহার করা হবে। ‘

এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানের বাদ পড়ার পেছনে অন্য কোনো কারণ আছে কিনা সেই প্রশ্নও ওঠে সংবাদ সম্মেলনে। কিন্তু মিনহাজুল আবেদিন তা সরাসরি নাকচ করে দেন।

তিনি বলেন, একমাত্র কারণ হলো পারফর্মেন্স। কিন্তু ঘরের মাঠে ইংল্যন্ডের বিপক্ষে ম্যাচ জেতানো ইনিংস ছিল মুমিনুলের। আর অজিরাও খেলতে এসেছে বাংলাদেশেই। এটা মনে করিয়ে দিতেই প্রধান নির্বাচক বললেন, ‘সেটা এক বছর আগে, এরপর আমরা বেশ কিছু টেস্ট খেলেছি। সামগ্রিক পারফরম্যান্স বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ‘
এমন সময় প্রশ্ন আসে, মুমিনুলকে বাদ দেওয়া আসলে কার সিদ্ধান্ত? নির্বাচকমন্ডলী নাকি টিম ম্যানেজম্যান্টের? এই প্রশ্নটির উত্তর বেশ সাবধানেই দিলেন তিনি। বললেন, ‘আমাদের প্রধান কোচ কিন্তু নির্বাচক প্যানেলের অন্তর্ভুক্ত। টিম ম্যানেজমেন্ট চাইলেই পারবে না। সবার সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ‘

প্রশ্নোত্তর পর্বের এক পর্যায়ে কিছুটা রেগে গিয়ে মিনহাজুল আবেদিন বলেন, আপনারা মুমিনুলকে নিয়ে যদি এভাবে জিজ্ঞেস করেন, তাহলে কিন্তু উত্তর দিতে পারব না। কারণ অনেক কিছু আলোচনা করে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একজনকে নিয়ে এভাবে জিজ্ঞেস করতে পারেন না।

এক পর্যায়ে তাকে মনে করিয়ে দেওয়া হয় ১৯৯৯ বিশ্বকাপের কথা। ওই বিশ্বকাপের দল থেকে প্রথমে বাদ পড়েছিলেন তখনকার জাতীয় দলের ক্রিকেটার মিনহাজুল আবেদিন। শেষ পর্যন্ত জনতার দাবি আর সংবাদমাধ্যমের চাপে তাকে বিশ্বকাপ দলে অন্তর্ভূক্ত করা হয়। সেই ঘটনা যদি সমালোচনার জন্ম দিয়ে থাকে তাহলে আজ মুমিনুলের বাদ পড়া সমালোচনার জন্ম দেবেনা কেন?

মিনহাজুল সরাসরি প্রশ্নটির কোনো উত্তর না দিয়ে অনেকটা অধৈর্য্য হয়ে বললেন, এভাবে আমাকে বললে সেটা ঠিক হবে না। আমাদের প্রধান কোচ এখানে আছেন, উনাকেও ব্যাপারটি জিজ্ঞেস করতে পারেন।

কিন্তু সাংবাদিকদের তোপ থামল না। সর্বশেষ দুই টেস্টে হাফ সেঞ্চুরি করতে পারেননি মুমিনুল। কিন্তু তার আগের ১১ টেস্টে টানা পঞ্চাশোর্ধ ইনিংস আছে তার। যেটা একটা রেকর্ডও বটে। এছাড়া তার জায়গায় যে দুজনকে ভাবা হচ্ছে, সোম্য আর সাব্বির, তারাও তো দীর্ঘদিন ফর্মহীনতায় ভুগছিলেন। তাদের ফর্মে ফেরানোর জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ দেওয়া হয়েছে। তাহলে মাত্র দুটি ম্যাচের জন্য বাদ পড়বেন মুমিনুল?

জবাবে আবারও পরিসংখ্যানের আশ্রয় নিলেন প্রধান নির্বাচক। বললেন, ‘মুমিনুলের প্রসঙ্গে আপনারা ওর পরিসংখ্যানের দিকে যাচ্ছেন না। গত এক বছরে ওর গড় ২৮-এ নেমে এসেছে। ও যেভাবে ওর ক্যারিয়ার শুরু করেছিল, সেই মাত্রায় কিন্তু নেই। একজন ক্রিকেটারকে নিয়ে এরকম আলোচনা আসলে ঠিক নয়। ওকে নিয়ে কিন্তু আমাদের সামনে অনেক চিন্তা ভাবনা আছে। দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে ওকে যেন নিতে পারি সেজন্য আলোচনা করছি। এমন নয় যে ওর ক্যারিয়ার আমরা এখানেই শেষ করে দিচ্ছি। ‘

শেষের দিকে মিনহাজুল আরও বললেন, তারা মুমিনুলের ফর্ম ফিরিয়ে আনতে খুব চেষ্টা করছেন। দেশের মাটিতে মুমিনুল দুর্দান্ত খেলেছে সেটাও মেনে নিলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, মুমিনুলকে কিন্তু মোরালি আমরা সব সময় সাপোর্ট করেছি। আমি, হাবিবুল বাশার সুমন সব সময় ওকে সাপোর্ট করি, আলোচনা করি। ওর ব্যাটিং দেখি। যথেষ্ট আলোচনা করি। শ্রীলঙ্কা থেকে ওকে ফিরিয়ে আনি ওকে আমরা ইমার্জিং কাপে খেলার সুযোগ তৈরি করে দেই। বিকল্প হিসেবে সবসময় ওকে চিন্তা ভাবনা করেছি। সামনে দেখবেন আমরা ওকে নিয়ে কী করি। হয়ত পরের সিরিজেই ওকে দেখতে পারেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
এবার গরুর উপর নিষ্ঠুরতার অভিযোগে বিজেপি নেতা গ্রেফতার!

গরুর উপর নিষ্ঠুরতার অভিযোগ এনে ভারতে বন্ধ করা হয়েছে গরু জবাই। এমনকি এর জন্য ক্ষমতাসীন দল বিজেপি ও কট্টরপন্থী হিন্দু মৌলবাদী সংগঠনের তথাকথিত গো-রক্ষক বাহিনীর হাতে বহু নিরপরাধ মানুষ হতাহত হয়েছেন।
সামান্য অজুহাতে মুসলিম এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজনকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছে তারা।

কিন্তু এবার ছত্তিশগড় রাজ্যের খোদ এক বিজেপি নেতাকেই পুলিশ গরুর উপর নিষ্ঠুরতার দায়ে গ্রেফতার করেছে। খবর বিবিসির

হরিশ ভার্মা নামের ওই নেতা একদিকে যেমন একটি পৌর এলাকার সহ-সভাপতি, তেমনই সরকারি অনুদান নিয়ে গোশালাও চালাতেন। সরকারি অনুদানের টাকার সম্পূর্ণ সদ্বব্যহারও তিনি করেননি বলেও অভিযোগ জমা পড়েছে পুলিশের কাছে।

ছত্তিশগড়ের পুলিশ বলছে, রাজ্য গো সেবা কমিশনই পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিল যে -ভার্মা দুর্গ জেলায় যে গোশালাটি পরিচালনা করেন সেখানে গত কয়েকদিনে অন্তত ত্রিশটি গরু মারা গেছে।

সেই অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ার পরেই পশু নির্যাতন রোধ আইন, গবাদি পশু রক্ষা আইন ও ভারতীয় দণ্ডবিধির বেশ কয়েকটি ধারা অনুযায়ী হরিশ ভার্মাকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়।

গো হত্যার অভিযোগ ছাড়াও ওই বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে গো সেবা কমিশন এটাও বলেছে, গোশালায় থাকা প্রায় ৫০০ গরু দেখভালের জন্য যে সরকারি অনুদান দেয়া হয়েছিল ভার্মাকে, সে অর্থও নয়ছয় করেছেন তিনি।

ভারতে এখন প্রায় ২৫ হাজার গোশালা রয়েছে, যার একটা খুব ছোট অংশই সরকারি অনুদান পায়। বাকি প্রায় ৯৫ ভাগ গোশালা হয় বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বা স্থানীয় কৃষকরা পরিচালনা করেন।

এগুলিতে যেমন নানা ধরণের গরু প্রজনন ও বিক্রির ব্যবস্থা থাকে, তেমনই বয়স হয়ে যাওয়া যেসব গরুকে পালন করতে অপারগ হন কৃষকরা- সেগুলো ওই গোশালাগুলিতে রেখে আসা হয়।

ভারতীয় গোরক্ষা দলের প্রধান পওয়ন পন্ডিত বলছিলেন বিজেপি ক্ষমতায় আসার পরে গত তিন চার বছরে প্রায় ৫ হাজার নতুন গোশালা তৈরি হয়েছে বিভিন্ন রাজ্যে।

তবে ছত্তিশগড়ের গোশালায় গরু-মৃত্যু নিয়ে পন্ডিত বলছেন- দেশের হাজার হাজার গোশালার মধ্যে হাতে গোনা কয়েকটিতেই এরকম ঘটনা ঘটলেও এটা ব্যতিক্রম সার্বিক চিত্র নয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
প্রধান বিচারপতিও রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগ পেয়েছিলেন : খাদ্যমন্ত্রী

প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাকে ১৯৯৯ সালে রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী মো. কামরুল ইসলাম।

বিচারপতিদের রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগ দেওয়া উচিত নয়, প্রধান বিচারপতির দেওয়া এমন মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে আজ শনিবার রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন খাদ্যমন্ত্রী।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তিনি (প্রধান বিচারপতি) যে কথাগুলো বলছেন, বিশেষ করে বিচার বিভাগে নিয়োগ দেওয়ার ব্যাপারে আইন হওয়া উচিত, এই হওয়া উচিত, সেই হওয়া উচিত, ইমপারশিয়াল হওয়া উচিত, রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগ না হওয়া উচিত। তিনিও কিন্তু রাজনৈতিক বিবেচনায় ১৯৯৯ সালে নিয়োগ পেয়েছিলেন।’

‘তিনি রাজাকার না বলেই, বা মুক্তিযুদ্ধে বিরোধী শক্তির প্রতিনিধিত্ব করেন না বলেই কিন্তু আমরা বিচারপতি নিয়োগ করেছিলাম এবং প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দিয়েছিলাম।’

কামরুল ইসলাম আরো বলেন, ‘এই পাঁচ মাস, সাত মাস তিনি আরো প্রধান বিচারপতি হিসেবে আসীন আছেন, তিনি একটি গ্রুপের ১/১১-এর কুশীলবদের ক্রীড়নক হিসেবে কাজ করছেন, এটা বহুল প্রচলিত। আজকের বাজারে এ কথাটা আছে এবং এ কথাটা যদি সত্যি হয়, তাহলে তাঁর কাছ থেকে আরো বড় আঘাত সামনে আসতে পারে।’

সরকারের এই মন্ত্রী বলেন, ‘জানি না মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মহামান্য রাষ্ট্রপতির সঙ্গে পরামর্শ করে কী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কিন্তু একটা বিহিত, ব্যবস্থা করা উচিত।’

শনিবারের আলোচনা সভায় সাবেক বিচারপতি বর্তমানে আইন কমিশনের চেয়ারম্যান এ বি এম খায়রুল হক বলেন, ‘যে জজ সাহেব অনুরাগ বা বিরাগের বশবর্তী হয়ে, যদি এটা অনুরাগ বা বিরাগ বলে মনে করেন আপনারা, যে কথাগুলো আমি বললাম যে, পার্লামেন্ট ইজ ইমম্যাচিওর, ডেমোক্রেসি ইজ ইমম্যাচিওর, পার্লামেন্ট আমাদের ডাইরেকশন শোনেনি… এ কথাগুলো যদি অনুরাগ-বিরাগের মধ্যে চলে আসে, তাহলে সেই জজ সাহেবের পজিশনটাই বা কী হবে। তিনি কি আর ওর্থ বাউন্ড থাকছেন কি না। সেটাও আপনারা বিচার বিবেচনা করে দেখুন।’

সাবেক এই বিচারপতি আরো বলেন, প্রধান বিচারপতিসহ অন্যান্য বিচারপতিরা রাগ বা বিরাগের বশবর্তী হয়ে কোনো কিছু করবেন না বলে যে শপথ গ্রহণ করে থাকেন, সেই শপথ ভঙ্গ করলে তারা ওই পদে আর বহাল থাকতে পারেন না। ষোড়শ সংশোধনীর রায়ের মধ্য নিয়ে সে রকমই একটি পরিস্থিতি প্রধান বিচারপতিসহ অন্যান্য বিচারপতির বেলায় হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা দরকার।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest