সর্বশেষ সংবাদ-
আশাশুনিতে শহীদের স্মরণে দুঃস্থদের মাঝে জামায়াতের খাবার বিতরণদেবহাটায় বিয়ের প্রলোভনে কলেজ শিক্ষার্থীর সাথে অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগে থানায় মামলাস্বৈরাচার ঠেকিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার এনসিপিরসাতক্ষীরায় দ্রুতগামী পিকআপের চাপায় ভ্যান চালকের মৃত্যুকোন সাংবাদিক যেন হয়রানির শিকার না হয়–সাতক্ষীরায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাবিব দীর্ঘদিন কাজ করেও সরকারি স্বীকৃতি মেলেনি বিআরটিএ’র সীল মেকানিকদেররাষ্ট্রপতির ক্ষমার আগে ভুক্তভোগী ও পরিবারের মতামত নেওয়ার প্রস্তাবতালায় ‘পার্টনার ফিল্ড স্কুল কংগ্রেস’ অনুষ্ঠিতভোমরায় জামায়াতের হুইল চেয়ার বিতরণসাতক্ষীরায় জলাবদ্ধতা নিরসনে ইটাগাছা এলাকা পরির্দশনে সদর ইউএনও

গ্রিন টি পানে ভুল করছেন না তো?

গ্রিন টিকে বলা হয় ‘পাওয়ার ড্রিংক।’ এনার্জির যোগান দেওয়ার পাশাপাশি গ্রিন টি ওজন কমাতেও সাহায্য করে। এছাড়া সুস্থ থাকতে প্রতিদিন গ্রিন টি পান করার পরামর্শ দেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তবে অনেকেই নিয়ম না মেনে এমনভাবে গ্রিন টি পান করেন যা শরীরের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। গ্রিন টিতে থাকা ভিটামিন ও মিনারেল নষ্ট হয়ে যেতে পারে যদি সঠিক উপায়ে এটি পান না করেন।

জেনে নিন গ্রিন টি পান করার আগে কী কী বিষয়ের উপর লক্ষ রাখতে হবে-

দুপুর কিংবা রাতের খাবারের পরপরই গ্রিন টি পান করবেন না। খাবার খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এটি পান করলে মাত্র খাওয়া প্রয়োজনীয় ক্যালোরি গায়েব হয়ে যেতে পারে বেমালুম!
একদম গরম গ্রিন টি পান করবেন না। এতে পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়। কুসুম গরম গ্রিন টি পান করুন।
অনেকে গ্রিন টি এর সঙ্গে মধু মিশিয়ে পান করেন। তবে অতিরিক্ত গরম গ্রিন টিতে মধু মেশানো উচিৎ নয়। এতে মধুর গুণ নষ্ট হয়ে যায়। সামান্য ঠাণ্ডা হওয়ার পর তারপর মেশান মধু।
গ্রিন টি এর পাতা দীর্ঘক্ষণ গরম পানিতে ফেলে রাখবেন না।
গ্রিন টি এর সঙ্গে অন্যান্য ফ্লেভাবের চা মেশাবেন না।
তাড়াহুড়া করে গ্রিন টি পান না করাই ভালো। গ্রিন টি খাবার হজমে সাহায্য করার পাশাপাশি মস্তিষ্ক সুস্থ রাখে। তাই খুব ধীরে সুস্থে পান করুন এটি।
টিন অথবা পলিথিনে গ্রিন টি পাতা সংরক্ষণ করবেন না। এতে গ্রিন টির পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়।
সকালে পান করতে পারেন গ্রিন টি। এটি সতেজতা নিয়ে আসবে।

তথ্য: টাইমস অব ইন্ডিয়া

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সুষ্ঠু নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্য চান গণমাধ্যম প্রতিনিধিরা

সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সব রাজনৈতিক দলের ঐক্যের ওপর দিয়েছেন গণমাধ্যম প্রতিনিধিরা। একইসঙ্গে তারা দলগুলোর অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কথাও বলেছেন। তারা বলেন, কমিশনের প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে—সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণের ভিত্তিতে একটি নির্বাচন অনুষ্ঠান করা। প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো অংশ না নিলে সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করা সম্ভব হবে না। এ কারণে   সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য রাজনৈতিক ঐক্য জরুরি। বর্তমান ইসি এখন মাত্র টেস্ট-প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে। রাজনৈতিক দলের আস্থা অর্জনে তাদের আরও অনেক পথ যেতে হবে। বুধবার (১৬ আগস্ট) আগাওগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে সংলাপে অংশ নিয়ে তারা এই আহ্বান জানান।

সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের মতো গণমাধ্যমের শীর্ষ ব্যক্তিরাও নির্বাচনে সেনা মোতায়েন ও ‘না’ ভোট চালুর সুপারিশ করেছেন। দুই/একজন সরাসরি বিরোধিতা করলেও বেশিরভাগই জাতীয় নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের কথা বলেছেন। তবে কেউ কেউ এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য কমিশনের ওপর দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছেন।

বৈঠক শেষে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল সাংবাদিকদের  বলেন, ‘বেশিরভাগ ব্যক্তিই সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার কথা বলেছেন। ইসিকে রাজনৈতিক দলগুলোর আস্থা অর্জন করতে হবে, যেন সবাই নির্বাচনে আসে।’ সেনাবাহিনী মোতায়েন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সার্বিকভাবে অনেকেই মনে করছেন, সেনাবাহিনী মোতায়েনের প্রয়োজন নেই। অনেকেই বলেছেন, অনেক দেশে সেনাবাহিনী সুষ্ঠূ নির্বাচন পরিচালনার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখছে। তাহলে আমাদের দেশে সমস্যা কিসের? তবে আমি বলেছি, এটি সিভিল প্রশাসনের বিষয়, সেনা মোতায়েন দরকার নেই। তবে তারা স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে থাকতে পারে।’

মনজুরুল আহসান বুলবুল আরও বলেন, ‘‘আলোচনায় ‘না’ ভোটের বিষয় এসেছে। অনেকে ‘না’ ভোট চালুর বিষয়ে একমত পোষণ করেছেন। কেউ কেউ বিরোধিতাও করেছেন। একটি বিষয়ে আমরা সবাই একমত হয়েছি যে, নির্বাচনে গণমাধ্যমকে সম্পৃক্ত করতে হবে। আমরা সুনির্দিষ্টভাবে বলেছি, ইসি প্রার্থীদের হলফনামা প্রকাশ না করার সিদ্ধান্তের কথা বলেছে। কিন্তু আমরা প্রকাশ করার দাবি করেছি। গণমাধ্যম যদি হলফনামা পর্যালোচনা করতে পারে, তাহলে প্রাথমিক পর্যায়ে প্রার্থীদের বিষয়ে একটি যাচাই করা যাবে। কেউ যেন সাংবাদিক বা পর্যবেক্ষক পরিচয় দিয়ে পরিস্থিতি ঘোলাটে করতে না পারে, সেই বিষয়টিও ইসিকে খেয়াল রাখতে হবে। এ বিষয়ে ইসিও আমাদের সঙ্গে একমত হয়েছে।’

মানবজমিনের সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘‘নির্বাচনে সেনাবাহিনী, ‘না’’ ভোট, সীমানা পুনঃনির্ধারণসহ বিভিন্ন ষিয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমি সেনাবাহিনী মোতায়েনের পক্ষে মত দিয়েছি। বলেছি, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করা হয়। আমরা কোনও বিচ্ছিন্ন দ্বীপের বাসিন্দা নই যে, আমাদের এখানে সেনা মোতায়েন করা যাবে না।’’

বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে যে প্রস্তাবগুলো এসেছে, সেগুলো হলো—কিভাবে নির্বাচন সুষ্ঠু করা যায়। সব দলের অংশগ্রহণের ভিত্তিতে একটি নির্বাচন অনুষ্ঠান করা। একইসঙ্গে নির্বাচনে সেনাবাহিনী থাকবে কিনা, তা নিয়েও কথা হয়েছে। ইসি যদি মনে করে সেনাবাহিনীর দরকার, তাহলে মোতায়েন করবে, না চাইলে নয়। তবে, আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকাকে বলিষ্ঠভাবে তুলে ধরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের কথা বলেছি।’

এছাড়া জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগ নিশ্চিত করে কালো টাকার পথ নিয়ন্ত্রণের কথাও বলেন নঈম নিজাম।  নির্বাচনি আসন পুনর্বিন্যাস সম্পর্কে তিনি বলেন,  ‘কিছু আসন পুনর্বিন্যাস করা দরকার।’

নির্বাচনে সেনা মোতায়েনে বিপক্ষে মত দিয়েছেন প্রেসক্লাবের সভাপতি শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে নয়, সেনা মোতায়েন হতে পারে একমাত্র জাতীয় বিপর্যয়কালে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যথেষ্ট। ২০০১ সালের নির্বাচনে সেনাবাহিনী ছিল। সেনাবাহিনী থাকার পরও সেখানে দেখেছি নির্বাচনের পরপরই জামায়াত-শিবির ও বিএনপি সংখ্যালঘুদের ওপর হামলে পড়েছিল। কাজেই নিয়মিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেভাবে জঙ্গি দমনে ভূমিকা রাখছে, তেমনি সুষ্ঠু নির্বাচনেও তারা যথেষ্ট। নির্বাচন কমিশনই এসব বিষয়ে ভূমিকা রাখবে। আমি কমিশনকে অযোগ্য মনে করি না।’

সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমুলক নির্বাচনের জন্য রাজনৈতিক ঐক্য জরুরি উল্লেখ করে ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, ‘আমরা অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কথা বলার চেষ্টা করেছি। সুষ্ঠু ও নিরেপক্ষ নির্বাচনের পূর্বশর্ত হলো—সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। এ জন্য রাজনৈতিক ঐকমত্য খুবই জরুরি। রাজনৈতিক দলগুলোর আস্থা অর্জনে কমিশনকে প্রাধান্য দেওয়া উচিত। কারণ কমিশন এখন মাত্র টেস্ট প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে। আস্থা অর্জনে তাদের আরও অনেক পথ যেতে হবে। নির্বাচনের প্রধান স্টেক হোল্ডার হলো রাজনৈতিক দল। তাদের সঙ্গে সংলাপ করাটা বেশি জরুরি। একজন সাংবাদিক হিসেবে দেখি, একটি নির্বাচন করতে হলে যে ধরনের পরিবেশ দরকার, সেটি এখনও তৈরি হয়নি। কমিশন আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এমন আচরণ করবে, যেন জনগণের আস্থা তৈরি হয়।’ সেনা মোতায়েন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আসল কথা হলো একটি সুষ্ঠু নির্বাচন। সে জন্য সেনাবাহিনী কেন, যেকোনও বাহিনী দরকার হলে মোতায়েন করতে হবে, সেটিই গুরুত্বপূর্ণ।’

সিনিয়র সম্পাদক মাহফুজউল্লাহ বলেন, ‘সংলাপে ৫ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এই ধরনের নির্বাচন যেন ভবিষ্যতে না হয়, সে জন্য কমিশনকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। নির্বাচনের আগে মাঠ প্রশাসনকে ঢেলে সাজাতে বলা হয়েছে। সেক্ষেত্রে নির্বাচনের আগের তিন বছরে মাঠপর্যায়ে দায়িত্ব পালন করেননি এমন কর্মকর্তাদের পদায়নের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সংলাপে অংশগ্রহণকারী দুই/একজন ছাড়া সবাই সেনাবাহিনী মোতায়েনের কথা বলেছেন।’

বিএফইউজে একাংশের মহাসচিব এম আবদুল্লাহ তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রধান দুই দল—আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের পন্থা বের করতে হবে। দল নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে কেবল গ্রহণযোগ্য একটি জাতীয় নির্বাচন সম্ভব। নির্বাচনের আগে অবশ্যই চলতি সংসদ ভেঙে দিতে হবে। নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। পোলিং এজেন্ট ও ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। ‘না’ ভোটের বিধান রাখতে হবে। নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহে সাংবাদিকদের ওপর কোনও বিধি-নিষেধ আরোপ করা যাবে না।’

প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, ‘নির্বাচনে নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার কথা বলেছি। প্রত্যেক দল যেন ৩৩ শতাংশ নারীর নেতৃত্বের বিষয়টি নিশ্চিত করে, সে বিষয়ে কমিশনকে পদক্ষেপ নিতে বলেছি। ভিন্ন কোনও নামে যেন জামায়াত নিবন্ধিত হতে না পারে, কমিশনকে তার জন্য সতর্ক থাকতে বলেছি।’

সিনিয়র সাংবাদিক আমানুল্লাহ কবীর তার প্রস্তাবনায় সেনা মোতায়েন ও নির্বাচনে লেভেং প্লেইয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করার প্রস্তাব দেন। তিনি বিএনপির নাম উল্লেখ করে বলেন, ‘বর্তমানে ওই দলটির অনেক নেতার নামে মামলা রয়েছে। ওই মামলার সূত্র ধরে নির্বাচনের সময় তাদের যেন হয়রানির শিকার হতে না হয়, তার জন্য নির্বাচনকালে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য তাদের মামলার হয়রানি থেকে রেহাই দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।’ তিনি সেনা মোতায়েনের পক্ষে মত দেন।

গণমাধ্যমের সঙ্গে দুই দিনব্যাপী সংলাপের প্রথম দিনে (বুধবার) প্রিন্ট মিডিয়ার সম্পাদক/প্রতিনিধি, সিনিয়র সাংবাদিক ও সাংবাদিক সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে ইসি। বুধবার সকাল সোয়া ১০টায় শুরু হয়ে বেলা দুটো পর্যন্ত সংলাপ চলে। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধান নির্বাচন কমিশন কে এম নূরুল হুদা। প্রথম দিন গণমাধ্যমের ৩৭জন প্রতিনিধিতে আমন্ত্রণ জানানো হলেও উপস্থিত ছিলেন ২৬জন। সমকাল সম্পাদক গোলাম সারওয়ার, প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান, ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম, সিনিয়র সাংবাদিক আবেদ খানসহ বেশ কয়েকজন সিনিয়র সাংবাদিক আমন্ত্রণ পেলেও সংলাপে অংশ নেননি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৩৩ লাখ মানুষ; দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়

ন্যাশনাল ডেস্ক : দেশে চলমান বন্যায় প্রায় ৩৩ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের সচিবের চলতি দায়িত্বে থাকা গোলাম মোস্তফা বুধবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে কয়েকজন সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।
গোলাম মোস্তফা বলেন, এবারের বন্যায় ২১ জেলায় ৩২ লাখ ৮৭ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এক লাখ ৭২ হাজার ২১৭ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সাত লাখ ৫২ হাজার পরিবার আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৩৭ জন মারা গেছে।
বন্যার সর্বশেষ তথ্য জানিয়ে এই কর্মকর্তা বলেন, ‘এ পর্যন্ত ১ হাজার ৫৯৯টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এই আশ্রয় কেন্দ্রে চার লাখ ১১ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।
গত ৯ আগস্ট থেকে বন্যায় ত্রাণ হিসেবে ৩ হাজার ২৫০ মে. টন চাল দেয়া হয়েছে। ১ কোটি ৩২ লাখ নগদ টাকা দেয়া হয়েছে। ১৬ হাজার শুকনো খাবার প্যাকেট দেয়া হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে সচিবের দায়িত্বে থাকা এই কর্মকর্তা বলেন, ‘কেউ যদি সরকারের ত্রাণ না পায় তাহলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি যেন ইউপি চেয়ারম্যান এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন।’
বন্যা মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতির কথা জানিয়ে এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। আশা করছি কোনো ধরনের সংকট হবে না।’
সচিব জানান, বন্যার্তদের সহযোগিতায় ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় অব্যাহতভাবে কাজ করছে। বানভাসি মানুষের কষ্ট লাঘবে স্থানীয় প্রশাসনকে আন্তরিক হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
গত এপ্রিলে হাওর এলাকায় এবং পরে জুনে সিলেট অঞ্চলের পাশাপাশি উত্তরাঞ্চলে আরেক দফা বন্যা হয়। আর গত এক সপ্তাহ ধরে উত্তরাঞ্চল ও সিলেটে আবার বন্যা পরিস্থিতির তৈরি হয়। বিভিন্ন এলাকায় বাঁধ ভেঙে বা উপচে পানি ঢুকে পড়ে লোকালয়ে। পথঘাট ডুবে যাওয়ায় বা রেললাইন ভেসে যাওয়ায় বিভিন্ন স্থানে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
হ্যাথাওয়ের নগ্ন ছবি ফাঁস, সামাজিক মাধ্যমে ঝড়

‘হ্যাকিং’-এর মাধ্যমে হলিউড তারকা অ্যান হ্যাথাওয়ের ব্যক্তিগত কিছু ছবি প্রকাশ হয়েছে ইন্টারনেটে। আজ বুধবার এই ঘটনা ঘটে। তাঁর নগ্ন ছবির লিংক প্রথম প্রকাশ করা হয় দুটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ‘টাম্বলার’ ও ‘রেডিট’-এ। সেখান থেকে ভাইরাল হয়ে পড়ে অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
সঙ্গে সঙ্গে ‘প্রিন্সেস ডায়েরি’ তারকাকে নিয়ে টুইটারে যেন ঝড় শুরু হয়ে যায়। টুইটার ব্যবহারকারীদের আলোচনায় এখন অ্যান হাথাওয়ে শীর্ষ তালিকায় আছেন। তবে বেশির ভাগ মানুষ তাঁর পক্ষেই বলছেন।
হ্যাথাওয়ের ভক্তরা সোচ্চার হয়ে এই ‌‘হ্যাকিং’-এর বিরুদ্ধে টুইট করছেন। কেউ বলছেন, এটা প্রযুক্তি-সন্ত্রাস। ব্যক্তিগত গোপনীয়তায় আঘাত।
তারকা বা হলিউড হ্যাংকিয়ের শিকার হচ্ছে নিয়মিত। সনির সার্ভার থেকে অনেক গোপন তথ্য চুরি হয়ে গিয়েছিল। জনপ্রিয় টিভি সিরিজ গেম অব থ্রোনসের নতুন মৌসুমের বেশ কিছু পর্বও চলে এসেছে ইন্টারনেটে। তারকাদের গোপন ছবিও এখন আর গোপন থাকছে না।
গত এপ্রিলে হ্যাকিংয়ের শিকার হয়েছিলেন মার্কিন পপ তারকা মাইলি সাইরাস। ২০১৪ সালের ৩১ আগস্ট বিভিন্ন তারকার প্রায় ৫০০টি ব্যক্তিগত ছবি তাঁদের অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে ইন্টারনেটে প্রকাশ করা হয়। সেগুলো খুব দ্রুত ছড়িয়েও পড়ে। হ্যাকিংয়ের শিকার তারকাদের অধিকাংশ ছিলেন নারী, বেশির ভাগ ছবিই ছিল খুবই স্পর্শকাতর। সেই ‌‌‘আতঙ্ক’ এখনো পিছু ছাড়েনি বলে জানান ‘হাঙ্গার গেমস’ খ্যাত তারকা জেনিফার লরেন্স। হিন্দুস্তান টাইমস।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ষোড়শ সংশোধনী রায়কে কেন্দ্র করে সাতক্ষীরায় আওয়ামী ও বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের পাল্টাপাল্টি সমাবেশ

আসাদুজ্জামান : সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় নিয়ে সাতক্ষীরায় বিএনপি ও আওয়ামীপন্থী আইনজীবীদের পাল্টাপাল্টি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির সামনে ও শহিদ মিনার চত্বরে পাল্টাপাল্টি এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের পরিপ্রেক্ষিতে সাবেক প্রধান বিচারপতি, বর্তমান আইন কমিশনের চেয়ারম্যান ও সরকারের মন্ত্রী, সংসদ সদস্যসহ সরকারদলীয় অন্যান্য সদস্য ও কর্মকর্তা কর্তৃক সুপ্রিম কোর্টের রায় অবমাননার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বিএনপি পন্থী বাংলাদেশ জাতিয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম। অপরদিকে, ষোড়শ সংশোধনী রায়ের বিরুদ্ধে পাল্টা প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে আওয়ামীপন্থী বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ।
আওয়ামী আইনজীবী পরিষদে সভাপতি এড. হায়দার আলীর সভাপতিত্বে আওয়ামীপন্থী প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও সাতক্ষীরা জজ কোর্টের পিপি এড. ওসমান গণি, এড. আজহারুল ইসলাম, এড. আলী হোসেন, এড. তহিদুর রহমান শাহিন, এড. হাবিব ফেরদৌস শিমুল, তামিম আহমেদ সোহাগ প্রমুখ।
বক্তারা এ সময়, সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের পূর্ণাঙ্গ রায়ে অসাংবিধানিক বক্তব্য সংযোজন করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন।

সাতক্ষীরায় বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের সমাবেশ

অন্যদিকে, বাংলাদেশ জাতিয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি এড. আবুল হোসেনের সভাপতিত্বে বিএনপিপন্থী প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এড. সৈয়দ ইফতেখার আলী। সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, এড. মো শহিদুল্লাহ, এড. তোজাম্মেল হোসেন তোজাম, এড. নুরুল হক, এড. আকবর আলী, এড. অসিম কুমার প্রমুখ।
বক্তারা এ সময়, ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের পরিপ্রেক্ষিতে সাবেক প্রধান বিচারপতি, বর্তমান আইন কমিশনের চেয়ারম্যান ও সরকারের মন্ত্রী, সংসদ সদস্যসহ সরকারদলীয় অন্যান্য সদস্য ও কর্মকর্তা কর্তৃক সুপ্রিম কোর্টের রায় অবমাননার বিরুদ্ধে জোর প্রতিবাদ জানান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

বিশ্ব ক্রিকেট আরো একবার থমকে গেল। ফের ক্রিকেট মাঠে প্রাণ গেল। আরো একবার ব্যথাতুর হলেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। পাকিস্তানের তরুণ উদীয়মান খেলোয়াড় জুবায়ের আহমেদ বাউন্সারের আঘাতে প্রাণ হারান।

সোমবার নিজ শহর মারদানে ফখর জামান একাডেমির হয়ে খেলার সময় বাউন্সারের আঘাতে লুটিয়ে পড়েন জুবায়ের। পরে তাকে হাসপাতালে নেয়া হলেও আর বাঁচানো যায়নি।

পাকিস্তানি গণমাধ্যমগুলো জানায়, কোয়েটা বিয়ার্সের হয়ে চারটি লিস্ট এ ম্যাচ এবং টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে জুবায়েরের। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) তাদের অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্টে এই মর্মান্তিক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

কোয়েটা বিয়ার্সের হয়ে খেলার পথে ২০১৪ সালে টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ১১১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছিলেন জুবায়ের। এমন একজন প্রতিভাবান ক্রিকেটারের মর্মান্তিক মৃত্যুতে পিসিবির পক্ষ থেকে গভীর শোক প্রকাশ করা হয়।

অবশ্য ক্রিকেট মাঠে প্রাণহানির এটাই প্রথম ঘটনা নয়। ২০১৪ সালে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলার সময় অস্ট্রেলিয়া জাতীয় দলের সাবেক ওপেনার ফিলিপ হিউজ বাউন্সারের আঘাতে লুটিয়ে পড়েছিলেন। শত চেষ্টা করেও চিকিৎসকরা তাকে বাঁচাতে পারেননি। ক্রিকেটবিশ্বকে কাঁদিয়ে এই অজি ক্রিকেটার চলে যান না ফেরার দেশে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সেলাই খোলা হয়েছে তোফা-তহুরার

অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে আলাদা জীবন পাওয়া ১০ মাসের শিশু তোফা ও তহুরার সেলাই খুলে দেওয়া হয়েছে। বুধবার সকালে শিশু সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শাহনুর ইসলাম জানান, সেলাই দেওয়া জায়গায় কোনো ধরনের সমস্যা দেখা দেয়নি। তোফা ও তহুরা অনেক ভালো আছে।

গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর তোফা ও তহুরার জন্ম হয়। গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার দহবন্দ ইউনিয়নের ঝিনিয়া গ্রামের রাজু মিয়া তোফা ও তহুরার বাবা। মা শাহিদা বেগম।

চলতি বছরের ২১ এপ্রিল দ্বিতীয়বারের মতো ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয় জোড়া লাগা শিশু তোফা ও তহুরাকে। ১ আগস্ট ঢামেক হাসপাতালে দীর্ঘ সাড়ে ছয় ঘণ্টার অস্ত্রোপচার শেষে শিশু তোফা ও তহুরাকে আলাদা করা হয়। এরপর তাদের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আনিসুল হক গুরুতর অসুস্থ হয়ে লন্ডনের একটি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন আছেন।

গত ১৩ আগস্ট ব্রেন স্ট্রোক করলে তাকে সেন্ট্রাল লন্ডনের এক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
গত দুইদিন ধরে আইসিইউতে আছেন তিনি। গত দুইমাস ধরে মেয়র আনিসুল হকের শারীরিক অবস্থা তেমন ভালো ছিল না।

মেয়রের ব্যক্তিগত সহকারী মিজানুর রহমান বুধবার রাতে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মেয়রের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, তিনি সেরিবেল ভ্যাসকিউলিটিস নামে একটি মস্তিষ্কজনিত রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। যেটি ঢাকার চিকিৎসকরা সনাক্ত করতে পারেননি। গত দুইমাস ধরে তিনি এই রোগে আক্রান্ত। সোমবার তার দেশে ফেরার কথা ছিল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest