সর্বশেষ সংবাদ-
কোটি টাকা চাঁদার দাবিতে অপহরণ করে নির্যাতনের অভিযোগ: সাতক্ষীরার সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা ও পিপিসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলাসমাজকে এগিয়ে নিতে হলে নারীকেও এগিয়ে নিতে হবে- সাতক্ষীরার ডিসিসাতক্ষীরার জুলাই যোদ্ধা মোহিনী অদম্য নারী পুরস্কারে ভূষিতসাতক্ষীরায় প্রতিপক্ষের হামলায় জখম-২সখিপুরে জামায়াতের এমপি প্রার্থী মুহাদ্দিস আব্দুল খালেকের পথসভাসাতক্ষীরায় বিবিসি মিডিয়া অ্যাকশনের তিন দিনব্যাপী প্রশিক্ষণনানা আয়োজনে সাতক্ষীরা মুক্ত দিবস উদযাপনজাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে সাংবাদিকদের সহযোগিতা প্রয়োজন: সাতক্ষীরায় নবাগত এসপিআশাশুনির আনুলিয়া ও কাপসন্ডায় সড়ক নির্মান কাজে দুর্নীতির অভিযোগবাঁশদহে স্বেচ্ছাসেবক দলের আয়োজনে বেগম জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া

কালিগঞ্জে পুষ্টি বিষয়ক প্রশিক্ষণের সমাপ্তি

কালিগঞ্জ ব্যুরো : কালিগঞ্জ মাঠ পর্যায়ে সেবাদানকারীদের পুষ্টি বিষয়ক মৌলিক প্রশিক্ষনের সমাপনি অনুষ্ঠান মঙ্গলবার দুপুর ১ টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের হলরুমে অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের আয়োজনে ও নবযাত্রা ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের সহযোগিতায় ৬ টি ব্যাচের প্রশিক্ষণের সমাপনি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মাঈনউদ্দিন হাসান। পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আব্দুস সেলিমের সভাপতিত্বে নবযাত্রা প্রকল্পের মিনহাজ উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের সভাপতি শেখ সাইফুল বারী সফু, সহ-সভাপতি শেখ আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সুকুমার দাশ বাচ্চু প্রমুখ। ২৪ জুলাই থেকে ২৯ আগষ্ট পর্যন্ত ৬ টি ব্যাচে মোট ১৪৯ জন স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী পরিদর্শক, স্বাস্থ্য সহকারী, পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা, পরিবার কল্যাণ সহকারী, উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার ও পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শকদের পুষ্টি বিষয়ক মৌলিক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। এর পূর্বে সপ্তাহ ব্যাপি প্রশিক্ষণের উদ্বোধন ঘোষণা করেন পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক রওশনারা জামান। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মাঈনউদ্দিন হাসান, স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডা: শেখ আকছেদুর রহমান, পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আব্দুর সেলিম, ডা: ফয়সাল আহম্মেদ, নবযাত্রা ওয়াল্ড ভিশনের ফির্ল্ড কো-অডিনেটর আশিষ কুমার হালদার প্রমুখ। উপজেলার ১২ ইউনিয়নে ২৪ কেন্দ্রে মা ও শিশু স্বাস্থ্য সচেতনতা বাস্তবায়নে নাটক প্রদর্শন চলছে। যা সচেতনতা বিষয়ে মাঠ পর্যায়ে গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশাশুনিতে উন্নয়নের শিক্ষা বৃত্তির টাকা বিতরণ

আশাশুনি ব্যুরো : আশাশুনিতে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউ-েশনের সহযোগিতায় এবং উন্নয়ন সংস্থার আয়োজনে অতিদরিদ্র কার্যক্রমভুক্ত সদস্যর মেধাবী সন্তানদের শিক্ষাবৃত্তি ২০১৫ এবং ২০১৬ প্রদান করা হয়েছে। এ উপলক্ষে মঙ্গলবার আশাশুনি সদর ইউপি চেয়ারম্যান এর কার্যালয়ে ও শোভনালী ইউপি চেয়ারম্যান এর কার্যালয়ে পৃথক দুটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আশাশুনি সদরে বিতরন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আশাশুনি ইউপি চেয়ারম্যান, স ম সেলিম রেজা মিলন। সভাপতিত্ব করেন উন্নয়ন সংস্থার সমৃদ্ধি কর্মসূচি সমন্বয়কারী আশাশুনি ইউনিয়ন, মো: তারিকুর রহমান। অন্যদের মধ্যে আশাশুনি ইউনিয়নের শাখা ব্যবস্থাপক অতীশ দিপঙ্কর মন্ডল, সহকারী হিসাবরক্ষক তাপসী তরফদার, সমৃদ্বি স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ইকবাল কবির, সমাজ উন্নয়ন কর্মকর্তা জাবের হোসেন, মাঠকর্মী মিজান, করিম, শঙ্কর, রাজ্জাক, হানিফ এবং স্থানীয় মেম্বারগণ ও গুণীব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। এসময় ছয় জন মেধাবী ছাত্র ছাত্রীদের প্রত্যেকের হাতে বার হাজার টাকা করে সর্বমোট বাহাত্তর হাজার টাকার চেক তুলে দেন। শোভনালীতে পৃথক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শোভনালী ইউপি চেয়ারম্যান প্রফেসর ম. মোনায়েম হোসেন। সভাপতিত্ব করেন উন্নয়ন সংস্থার সমৃদ্ধি কর্মসূচি সমন্বয়কারী আশাশুনি ইউনিয়ন তারিকুর রহমান। অন্যদের মধ্যে শোভনালী ইউনিয়নের শাখা ব্যবস্থাপক মো: আরাফাতুর রহমান, সহকারী হিসাবরক্ষক সাজ্জাদ হোসেন, মাঠকর্মী মিজান, করিম, শঙ্কর, রাজ্জাক, হানিফ এবং স্থানীয় মেম্বারগণ ও গুণীব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে এগার জন মেধাবী ছাত্র ছাত্রীর প্রত্যেকের হাতে বার হাজার টাকা করে সর্বমোট এক লক্ষ বত্রিশ হাজার টাকার চেক তুলে দেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরা সাব রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক সমিতিতে চলছে তুঘলকি কাণ্ড!

এম. বেলাল হোসাইন : গ্রাহকদের কাছ থেকে অধিক অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে সাতক্ষীরা সদর সাব রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক সমিতি নেতবৃন্দের বিরুদ্ধে। এছাড়া সমিতির অর্থ তছরুপসহ নানা অভিযোগ রয়েছেই। এসব ঘটনায় ইতোমধ্যে অবশ্য দলিল লেখক সমিতির নেতৃবৃন্দের ব্যাপক অনিয়ম আর দুর্নীতির অভিযোগে ৬ জন্য সাধারণ সদস্য পদত্যাগও করেছেন। সূত্রে জানাগেছে, জমি রেজিস্ট্রি করতে প্রতি লাখে ইউনিয়নে হলে খরচ ৯ হাজার টাকা ও পৌরসভার মধ্যে হলে খরচ হয় ১১ হাজার টাকা। সেখানে দলিল লেখক সমিতির নেতৃবৃন্দ ইউনিয়ন পরিষদের জমি রেজিস্ট্রি করতে নেয় সাড়ে ১১ হাজার টাকা আর পৌরসভার মধ্যে রেজিস্ট্রি করতে নেয় সাড়ে ১৩ হাজার টাকা। একটি সার্টিফাই কপি তুলতে খরচ হয় ৪৫০ টাকা। কিন্তু গ্রাহকদের কাছ থেকে নেওয়া হয় ১৫ থেকে ১৭ শত টাকা। এসব অতিরিক্ত টাকা সমিতিতে জমা না দিয়ে কিছু প্রভাবশালী দলিল লেখকরা নিজেদের পকেটে ভরেন। গ্রাম থেকে আসা দূর্বল প্রকৃতির দলিল লেখকরা বঞ্চিত হন। অসহায় দলিল লেখকের মাথায় ভর করে দলিল লেখক সমিতির কতিপয় কর্মকর্তা আজ লক্ষ লক্ষ টাকার মালিক হয়েছে বলে জানিয়েছেন সমিতির কতিপয় সদস্যরা। সমিতির বাইরে থাকা কিছু দলিল লেখক দলিল করতে গেলে সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দলিল গ্রহিতা এবং দাতাদের সামনে অশ্লীল ভাষা গালিগালাজ করেন। পরবর্তীতে উক্ত দলিল লেখকের কাছে দাতা গ্রহিতা তো দূরের কথা কেউ কোন কাজের জন্য আসতে চায় না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সদস্য জানান, দলিল লেখক সমিতি কতিপয় কর্মকর্তার হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে। তারা ইচ্ছেমত নিজ স্বার্থে সমিতিকে ব্যবহার করছেন। সমিতি রেজিস্ট্রিশনকৃত হলেও আজও পর্যন্ত সমিতির নামে সমবায় অফিসে কোন একাউন্ট খোলা হয়নি। এ পর্যন্ত অডিট ও জমা দেননি তারা। এছাড়া সমিতির বর্তমান সভাপতি কুদ্দুস ও সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি সমিতিকে ব্যবহার করেন নিজ স্বার্থে এবং সমিতির অনেক অর্থ তারা তছরুপও করেছেন তারা। বিশেষ করে সমিতির সভাপতি কুদ্দুস সাহেব ও সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি ৪লক্ষ ৮০ হাজার টাকা আত্মসাথ করেন। তবে তা থেকে মাত্র ১ লক্ষ টাকা সমিতির গত ২২ আগস্ট মিটিংয়ের রেজুলেশনের মাধ্যমে ফিরিয়ে দিতে সম্মত হয়েছেন তারা। আর ৩ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা মাফ করে দেওয়া হয়েছে। এবিষয়ে বার বার পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিতহ হলে সাব রেজিস্ট্রার ও জেলা রেজিস্ট্রার সমিতির কর্মকর্তাদের সতর্ক করলে তারা সাব রেজিস্ট্রার ও জেলা রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মানববন্ধনসহ বিভিন্ন হয়রানির ভয় দেখিয়ে তাদের জিম্মি করে রাখা হয়। সম্প্রতি একটি মারামারির ঘটনায় সমিতিতে ১ লক্ষ ৬১ হাজার টাকা খরচ দেখানো হয়েছে এবং তার মধ্যে থেকে বর্তমান ২জন কাউন্সিলরের নামেও খরচ দেখানো হয়েছে। সমিতির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ এসব ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং ৫ জন পদত্যাগ করার পর দলিল লেখক সমিতির নাসির, ইসতিয়াক ও মনি সকলের কাছে মাফ চেয়ে পুনরায় সকলকে সংগঠিত করার চেষ্টা করছেন।
অপরদিকে সমিতির নামে কালেকশনগুলো করে থাকেন সমিতির উপদেষ্টা আবুল কাসেম। তিনি দলিল প্রতি ১০০ টাকা দীর্ঘ ৮ বছর যাবত এই কালেকশনের দায়িত্ব পালন করেন। এ থেকে তিনি ১৬ সালের ফেব্রয়ারী থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ১৮ থেকে ১৯ লক্ষ টাকা আত্মসাত করেছেন বলে জানিয়েছেন একটি সূত্র।
এছাড়া দলিলের কালেকশন করে থাকেন কাশেমেরই সহকারী সাচ্চু। তিনি শুধু কালেকশনই নয় তিনি শহরের বিভিন্ন মহলকে ম্যানেজও করে থাকেন। যাতে তাদের এই নিরব চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে না পারেন। এছাড়া নকল তুলতে গেলে নকল নবিস সমিতির সভাপতি সুমন নামের এক ব্যক্তির হাতে টাকা না পৌছানো পর্যন্ত নকল তোলা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন রেজিস্ট্রি অফিসের একটি গোপন সূত্র।
এব্যাপারে দলিল লেখক সমিতির সভাপতি কুদ্দুসের এর সাথে মঙ্গলবার রাত ৮.৪৫ মিনিটের সময় যোগাযোগ করলে টাকা আত্মসাতের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমাদের মধ্যে কিছু লোক রয়েছে যারা সমিতির বিরুদ্ধে বিভিন্ন কথাবার্তা ছাড়া। আর বিস্তারিত জানতে তার সাথে সাক্ষাৎ করার জন্য বলেন।
সমিতির উপদেষ্টা আবুল কাশেমের সাথে রাত ৯টার দিকে যোগযোগ করলে তিনি বলেন, আমি দীর্ঘ ৪ বছর যাবত হার্টের সমস্যায় রয়েছি। সুতরাং এধরনের টাকা পয়সায় বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। সভাপতির টাকা আত্মসাতের বিষয়ে তিনি বলেন, ৫ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা আত্মসাত করেছেন এটা সঠিক নয়। তিনি কোন আত্মসাত করেননি। কিন্তু তিনি ১ লক্ষ ৭২ হাজার টাকার হিসাব দিতে পারছিলেন না। তবে যেহেতু সকলের টাকা তাই তিনি ১লক্ষ টাকা দিতে সম্মত হয়েছেন। তিনিও অফিসে চা খাওয়ার দাওয়াত দিয়েছেন। নকল নবিস সুমনের ব্যবহৃত ০১৭১৭ ১৪৯৪৯৮০২ নাম্বারে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কলারোয়ায় ২টি ক্লিনিককে ভ্রাম্যমাণ আদালতের জরিমানা

কলারোয়া অফিস : কলারোয়ায় দুটি ক্লিনিকে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। উপজেলার কাজীরহাট এলাকার দুটি বেসরকারি ক্লিনিকে মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়। জানাগেছে- কাজীরহাটের জননী ক্লিনিক ও রহিমান নার্সিং হোমে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে ১৫হাজার টাকা করে তাৎক্ষনিক জরিমানা আদায় করা হয়। মেয়াদোত্তীর্ন কাগজপত্র, ডিপ্লোমা নার্স না থাকা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন না থাকা, ডিগ্রিধারী প্যাথলোজিস্ট না থাকা, নিয়মিত এমবিবিএস ডাক্তার না থাকাসহ অন্যান্য কারণে ওই জরিমানা করা হয়। তাদেরকে আগামি ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে কাগজপত্র ও সার্বিক অন্যান্য বিষয়গুলো সমাধান নিশ্চিত করার শর্ত দেয়া হয় বলে জানা গেছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সাতক্ষীরার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাসরিকা জাহান। এসময় তাঁর সাথে উপস্থিত ছিলেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. ইকবাল মাহমুদসহ অন্যরা। এদিকে, মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে কর্মকর্তা চলে যাওয়ার ১৫মিনিট পরেই অজ্ঞানের ডাক্তার ছাড়াই রহিমা নার্সিং হোমে দুটি অপারেশন করার সময় স্থানীয় মানুষের বাধার মুখে তা বন্ধ হয়ে যায়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কালিগঞ্জে চিকিৎসা সহায়তার চেক প্রদান

ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি, কালিগঞ্জ : কালিগঞ্জ উপজেলার কুশুলিয়া ইউনিয়নের বাজারগ্রাম এলাকার বাসিন্দা গুরুতর অসুস্থ রফিকুল ইসলামকে সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে ১০ হাজার টাকার চিকিৎসা সহায়তার চেক প্রদান করেছেন জেলা পরিষদের ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য নুরুজ্জামান জামু। মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের কার্যালয়ে চেক প্রদানকালে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ৫ নং কুশুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার শেখ মেহেদী হাসান সুমন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর আহম্মেদ উজ্জ্বল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুরুল হক, মথুরেশপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আলাউদ্দীন গাজী, মথুরেশপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা জামিল আহমেদ সুমন, আশরাফুল ইসলাম কদম প্রমুখ। জেলা পরিষদ সদস্য নুরুজ্জামান জামু অসহায় পঙ্গু রফিকুল ইসলামকে জেলা পরিষদ প্রদত্ত ১০ হাজার টাকার চেক প্রদান করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় সরকারিকরণকৃত কলেজ শিক্ষকদের স্মারক লিপি

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরা সরকারিকরণকৃত কলেজ শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে ৪ দফা দাবিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মোঃ মহিউদ্দীন এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ। এসময় উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরা জেলা সরকারিকরণকৃত কলেজ শিক্ষক সমিতির আহবায়ক কেবিএ কলেজের সহকারী অধ্যাপক শেখ মিজানুর রহমান, সদস্য সচিব কালিগঞ্জ কলেজের প্রভাষক শেখ আব্দুল কাদের, সদস্য প্রভাষক শাহানুর রহমান, প্রভাষক শচীন্দ্রনাথ মন্ডল, প্রভাষক সঞ্জয় কুমার মন্ডল, প্রভাষক শরিফুল ইসলাম, প্রভাষক রিতা রানী, প্রভাষক রেশমা সুলতানা, প্রভাষক শামীমা পারভীন, শরিফুজ্জামান প্রমুখ। স্মারকলিপিতে জননেত্রী এই মহান উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে ৪টি দাবি জানানো হয়। দাবি সমূহ হলো, বেসরকারি আমলে সরকারি বিধি মোতাবেক নিয়োগপ্রাপ্ত এমপিওভক্ত ও নন-এমপিওভুক্ত সকল শিক্ষককে শিক্ষা ক্যাডারে অন্তর্ভক্তকরণ। প্রজ্ঞাপনের দিন থেকে চাকুরি স্থায়ীকৃত শিক্ষকদেরকে চাকুরি নিয়মিত করণ। চাকুরিতে যোগদানের দিন থেকে অভিজ্ঞতা গণনা করে কার্যকরী চাকুরিকাল নির্ধারণ। জাতীয়করণকৃত কলেজ শিক্ষক ও অ-শিক্ষক কর্মচারী আত্তীকরণ বিধি ২০০০ অধিকতর সংশোধন পূর্বক শিক্ষক বান্ধব নীতিমালা প্রণয়ন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দেবহাটার বটতলা; বখাটেদের অত্যাচারে ঐতিহ্য হারাতে বসেছে

দেবহাটা প্রতিনিধি : জেলা শহরের কয়েক কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত দেবহাটা উপজেলা। আর এই উপজেলার প্রাণ কেন্দ্রে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী বটবৃক্ষ বিনোদন কেন্দ্র। যেখানে প্রতিদিন জেলা ও জেলার বাহিরে থেকে বটবৃক্ষের প্রাকৃতিক সৌন্দয্য উপভোগ ও বিনোদনের জন্য আসেন হাজার হাজার মানুষ। কিন্তু আজ সেটি মাদকসেবী আর বখাটেদের অত্যাচারে ঐতিহ্য হারাতে বসেছে। বটবৃক্ষ দেখতে আসা কয়েকজন জানিয়েছেন, স্থানীয় একটি প্রভাবশালী ব্যাক্তির সাঙ্গপাঙ্গ ও স্থানীয় মাদকসেবী বখাটে যুবকদের হাতে প্রতিনিয়ত লাঞ্চিত ও অপমানিত হচ্ছেন। আবার অপরিচিতদের ধরে অর্থ ও মূল্যবান জিনিসপত্র আদায় করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। এমনকি নারীদের বিভিন্নভাবে উত্যাক্ত করার পাশাপাশি মোবাইল ফোনে ছবি তোলা হচ্ছে। স্থানটি খুবই নিরাপদ ও নিরিবিলি হওয়ায় প্রশাসনের চোখে ফাঁকি দিয়ে এমন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটছে। উল্লেখ্য যে, বিগত ১৪ সালের দিকে দেবহাটা বটতলা ও ম্যানগ্রোভ বন এলাকায় প্রশাসনের কিছু অস্বাধু ব্যক্তিদের সহযোগীতায় বখাটেদের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে ওঠে। এসময় দর্শানার্থীদের কাছ থেকে নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার, মোবাইল ফোন সহ বিভিন্ন জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটার পর প্রশাসনের তৎপরতায় সেটি বন্ধ হয়। কিন্তু বর্তমান সময়ে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলে ঐতিহ্য হারাবে দেবহাটা বটতলা ও ম্যানগ্রোভ পর্যটন কেন্দ্র। সম্প্রতিক সাতক্ষীরা শহরের বাসিন্দা এমন পরিস্থিতিতে শিকার হওয়া নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক একজন ব্যক্তি জানান, শুক্রবার ছুটির দিন বেড়াতে আসেন দেবহাটা বটতলায়। সেখানে স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তির সাঙ্গপাঙ্গরা তাদের বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখায়। শিকার হওয়া উক্ত ব্যক্তি স্থানীয় কয়েকজনকে আতœীয় বলে পরিচয় দিলে বখাটেরা স্থান ত্যাগ করে। তাই পূর্বের ঘটে যাওয়া এসব ঘটনা পুনরায় আর যেনো না ঘটে এবং ঈদ-পূজাকে সমানে রেখে সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ভুক্তভোগী ও সচেতনমহল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শ্যামনগরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু

শ্যামনগর ব্যুরো : শ্যামনগর উপজেলার নকিপুর গ্রামে সালাউদ্দীন (১৮) নামের একযুবকের বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মৃত্যু বরণ করেন। সে উপজেলার মাজাট গ্রামের মোঃ ইকবাল হোসেনের পুত্র। পরিবার সূত্রে জানাযায়, গত ২৯ আগষ্ট সকাল ৮ টায় সালাউদ্দীন তার মামা নকিপুর গ্রামের মোঃ ফজের আলীর বাড়িতে বেড়াতে আসে। মামার শয়ন কক্ষে একটি বৈদ্যুতিক বাল্বের লাইন সংযোগ দিতে গেলে অসাবধানতা বসত তার হাতে বিদ্যুৎতের তার জড়িয়ে যায়। এ সময় তার নানী সালাউদ্দীনকে ছাড়াতে চেষ্টা করে এবং পরিবারের অন্যান্যদের সহযোগীতায় তাকে দ্রুত শ্যামনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়। হাসপাতালের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ ওমর ফারুক চৌধুরী তাকে মৃত ঘোষনা করে। মৃত সালাউদ্দীন তার পিতার একমাত্র পুত্র সন্তান। বিকাল ৫ টায় তার পারবারিক গোরস্থানে দাফন করা সম্পন্ন করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest