সর্বশেষ সংবাদ-
আশাশুনিতে শহীদের স্মরণে দুঃস্থদের মাঝে জামায়াতের খাবার বিতরণদেবহাটায় বিয়ের প্রলোভনে কলেজ শিক্ষার্থীর সাথে অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগে থানায় মামলাস্বৈরাচার ঠেকিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার এনসিপিরসাতক্ষীরায় দ্রুতগামী পিকআপের চাপায় ভ্যান চালকের মৃত্যুকোন সাংবাদিক যেন হয়রানির শিকার না হয়–সাতক্ষীরায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাবিব দীর্ঘদিন কাজ করেও সরকারি স্বীকৃতি মেলেনি বিআরটিএ’র সীল মেকানিকদেররাষ্ট্রপতির ক্ষমার আগে ভুক্তভোগী ও পরিবারের মতামত নেওয়ার প্রস্তাবতালায় ‘পার্টনার ফিল্ড স্কুল কংগ্রেস’ অনুষ্ঠিতভোমরায় জামায়াতের হুইল চেয়ার বিতরণসাতক্ষীরায় জলাবদ্ধতা নিরসনে ইটাগাছা এলাকা পরির্দশনে সদর ইউএনও

ভারত ও চীনের মধ্যকার লাদাখ সীমান্তের পানগং হৃদের পাড় দিয়ে মঙ্গলবার ভারতের মধ্যে প্রবেশের চেষ্টা করে চীনের পিপল’স লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) সেনারা। এ সময় দুই দেশের বাহিনীর মধ্যে পাথর ছোঁড়াছুড়ির ঘটনা ঘটেছে।
টাইমস অব ইন্ডিয়া অনলাইনের এক খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ভারতের ৭১তম স্বাধীনতা দিবসে মঙ্গলবার সকাল ৬টা-৯টার মধ্যে লাদাখের ফিঙ্গার ফোর ও ফিঙ্গার ফাইভ এলাকা দিয়ে দুইবার সীমান্ত ডিঙানোর চেষ্টা করে পিএলএর সেনারা। কিন্তু ভারতের সতর্ক সেনাদের প্রতিরোধে তাদের চেষ্টা উভয়বারই ভণ্ডুল হয়ে যায়।

মানববন্ধন তৈরি করে চীনা সেনাদের সীমান্ত পার হওয়ার চেষ্টায় বাধা সৃষ্টি করে ভারতীয় সেনারা। বাধার মুখে ভারতীয় সেনাদের লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়তে শুরু করে তারা। জবাবে ভারতীয় বাহিনীও পাথর ছোঁড়ে। এসময় উভয় বাহিনীর কয়েকজন আহত হন।

ভারতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এ ঘটনায় উভয় দেশের কয়েকজন সামান্য আহত হয়েছেন। তবে কিছুক্ষণের মধ্যে দুই দেশের বাহিনী পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে নিজ নিজ অবস্থানে ফিরে গেলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

ডোকালাম সীমান্তে দুই দেশের সেনাবাহিনীর টানা অবস্থানের মধ্যেই এ ধরনের ঘটনা ঘটল। তবে এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি নয়াদিল্লিতে সেনাবাহিনীর মুখপাত্র।

প্রসঙ্গত, ওই এলাকার মালিকানা দাবি করে আসছে ভারত ও চীন উভয়েই। ফিঙ্গার ফোরে চীন একটি সড়ক নির্মাণ করেছে, যা দুই দেশের সীমারেখা লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল (এলএসি) থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে। পানগং হৃদের উত্তর ও দক্ষিণ পাড় টহলের জন্য ব্যবহার করে থাকে চীন। এই হৃদের ৪৫ কিলোমিটার পাড় ভারতের এবং ৯০ কিলোমিটার পাড় চীনের মধ্যে পড়েছে। এই হৃদকে কেন্দ্র করে দুই দেশের বাহিনীর মধ্যে প্রায়ই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
তিন সৌদি যুবরাজকে অপহরণ

বিবিসির এক তদন্তে উঠে এসেছে যে ভিন্ন মতাবলম্বী এক সৌদি রাজপুত্রকে অপহরণ করে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।কয়েকজন পশ্চিমা সাক্ষী এই বিষয়ে কথা বলেছেন। এরা গত বছর প্রিন্স সুলতান বিন তুর্কী বিন আব্দুল আজিজের এক সফরের সঙ্গী ছিলেন। তারা ভেবেছিলেন বিমানে চড়ে তারা ফ্রান্স থেকে মিশরে যাচ্ছেন। কিন্তু প্রাইভেট জেট বিমান অবতরণ করে সৌদি আরবে। এরপর থেকে যুবরাজের কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। এই অভিযোগের ব্যাপারে সৌদি সরকার মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।খবর-বিবিসি বাংলা।

বিবিসির সংবাদদাতা রেদা আল মাওয়ি বলছেন, ইউরোপে বাস করতেন এমন তিনজন সৌদি যুবরাজ গত দু’বছরে নিখোঁজ হয়েছেন। এরা তিনজনই সৌদি সরকারের সমালোচক ছিলেন। এমন প্রমাণ আছে যে এই তিনজনকেই অপহরণ করা হয়েছে এবং বিমানে করে সৌদি আরবে নিয়ে যাওয়া হয়েছে – এবং তার পর থেকে এদের কোন খোঁজখবর পাওয়া যায় নি।

জেনেভা শহরের উপকণ্ঠে ২০০৩ সালের ১২ই জুন একজন সৌদি প্রিন্সকে গাড়িতে করে একটি প্রাসাদে নিয়ে যাওয়া হয়। এই প্রিন্সের নাম সুলতান বিন তুরকি বিন আবদুলআজিজ। প্রাসাদটি হচ্ছে তার চাচা প্রয়াত বাদশাহ ফাহদের। আর যিনি এই প্রিন্সকে প্রাতরাশের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন, তিনি হলেন বাদশাহ ফাহদের প্রিয় পুত্র প্রিন্স আবদুলআজিজ বিন ফাহদ।
আবদুলআজিজ সুলতানকে বললেন, সৌদি আরবে ফিরে যেতে – কারণ সুলতান সৌদি নেতৃত্বের যে সমালোচনা করেছেন তা নিয়ে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে এবং তার নিষ্পত্তি করতে হবে।
সুলতান তা মানলেন না। এর পর প্রিন্স আবদুলআজিজ একটা ফোন করতে ঘরের বাইরে গেলেন। তার সাথেই ঘর থেকে বেরিয়ে গেলেন সৌদি আরবের ইসলাম বিষয়ক মন্ত্রী শেখ সালেহ আল-শেখ। কয়েক মুহূর্ত পরই ঘরে ঢুকলো মুখোশধারী কয়েকজন লোক। তারা সুলতানকে মারধর করলো, তার হাতে পরিয়ে দিল হাতকড়া। এর পর তার ঘাড়ে ঢুকিয়ে দেয়া হলো একটা ইনজেকশনের সূঁচ।সুলতান সংজ্ঞা হারালেন। তাকে দ্রুত নিয়ে যাওয়া হলো জেনেভা বিমানবন্দরে। সেখানে অপেক্ষা করছিল একটি বিমান। অনেক বছর পর সুলতান সুইজারল্যান্ডের এক আদালতে এ ঘটনার বর্ণনা দেন।

প্রিন্সি সুলতান কি করেছিলেন যে তার পরিবারের লোকেরাই তাকে এভাবে অপহরণ করলো? এর আগের বছর ইউরোপে চিকিৎসার জন্য এসে প্রিন্স সুলতান সৌদি সরকারের মানবাধিকার রেকর্ড, যুবরাজ ও কর্মকর্তাদের দুর্নীতির সমালোচনা করে কিছু সাক্ষাৎকার দেন, এবং কিছু সংস্কারের আহ্বান জানান।

সৌদি আরবে ১৯৩২ সালে বাদশাহ আবদুলআজিজ ইবনে সৌদ ক্ষমতাসীন হবার পর থেকেই দেশটি একটি রাজতন্ত্র এবং এখানে ভিন্নমত সহ্য করা হয় না। রাজপরিবারের অভ্যন্তরীণ বিবাদের কারণে প্রভাবশালী প্রিন্স তুরকি বিন বান্দার এর আগে জেল খেটেছেন। ছাড়া পাবার পর তিনি প্যারিসে পালিয়ে যান এবং সৌদি আরবে সংস্কার দাবি করে ইউটিউবে ভিডিও ছাড়েন।

তখন তার ওপর চাপ দেয়া হয় দেশে ফেরার জন্য। তাকে ফোন করেন ডেপুটি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আহমেদ আল-সালেম। সেই টেলিফোন আলাপ রেকর্ড করে রাখেন প্রিন্স, এবং পরে তা অনলাইনে প্রকাশ করেন। আলাপটি ছিল এইরকম: “সবাই আপনার প্রত্যাবর্তনের জন্য অপেক্ষা করছে। জাযাকআল্লাহ খায়ের।””আমার ফেরার জন্য? তোমার অফিসাররা যে আমাকে চিঠি লিখেছে ‘বেশ্যার সন্তান, তোকে আমরা সুলতান বিন তুরকির মতো টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যাবো।'”

“ওরা আপনার গায়ে হাত দেবে না”- ডেপুটি মন্ত্রী আশ্বাস দিলেন। তুরকি বললেন, “না, ওরা তোমারই লোক, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ওদের পাঠায়।”প্রিন্স তুরকি ২০১৫ সালের জুলাই পর্যন্ত ভিডিও পোস্ট করেন। তার কিছুদিন পরই তিনি হঠাৎ উধাও হয়ে যান। সৌদি ব্লগার ওয়ায়েল আল-খালাফ বলেন, “পরে আমি একজন কর্মকর্তার কাছে শুনেছি যে তুরকি বিন বান্দার তাদের সাথেই আছেন। তার মানে তাকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পরে মরক্কোর এক পত্রিকায় দেখেছি তাকে মরক্কোতেই গ্রেফতার করা হয়, এবং সৌদি আরবের অনুরোধে সেথানে পাঠিয়ে দেয়া হয়।”

একই সময় প্রিন্স সৌদ বিন সাইফ আল-নাসর নামের আরেক জন যুবরাজেরও একই পরিণতি হয়। তিনি ইউরোপের ক্যাসিনো এবং ব্যয়বহুল হোটেল পছন্দ করতেন। ২০১৪ সালে তিনি সউদি রাজতন্ত্রের সমালোচনা করে টুইট করতে শুরু করেন।তার ভাষায় যেসব সৌদি কর্মকর্তা মিশরের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোরসিকে উৎখাত করায় সমর্থন দিয়েছিলেন – তাদের বিচার দাবি করেন তিনি।

এর পর ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তিনি আরো দুঃসাহসিক কাজ করেন। বাদশাহ সালমানকে উৎখাত করার আহ্বান জানিয়ে দুটি চিঠি লেখেন এক অজ্ঞাত যুবরাজ, এবং প্রিন্স আল-নাসর তাকে প্রকাশ্যে সমর্থন জানান। রাজপরিবারে কেউ এর আগে এ কাজ করেন নি, এবং এটা ছিল রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল। এর কয়েকদিন পরই তার টুইটার একাউন্টটি নিরব হয়ে যায়।

প্রিন্স খালেদ বিন ফারহান নামে আরেকজন ভিন্নমতাবলম্বী সৌদি যুবরাজ খালেদ বিন ফারহান ২০১৩ সালে জার্মানি পালিয়ে যান। কিন্তু সেখান থেকে তাকে কৌশলে রিয়াদে নিয়ে যায় সম্ভবত সৌদি গোয়েন্দারা – বলেন ব্লগার আল-খালাফ।

ইতিমধ্যে বন্দী অবস্থায় প্রিন্স সুলতান অসুস্থ হয়ে পড়ায় ২০১০ সালে রাজপরিবার তাকে আমেরিকার বস্টন শহরে চিকিৎসার জন্য যাবার অনুমতি দেয়। আর সেখান থেকেই প্রিন্স সুইস কোর্টে এক মামলা ঠুকে দেন – এবং তাতে তিনি তাকে অপহরণের জন্য প্রিন্স আবদুলআজিজ বিন ফাহদ, এবং শেখ সালেহ আল-শেখকে দায়ী করেন।

তবে সুইস সরকার এ মামলায় তেমন কোন উৎসাহ দেখায় নি। কিভাবে সুইস বিমানবন্দর থেকে তাকে বিমানে করে তুলে নিয়ে যাওয়া হলো তার তেমন কোন তদন্তও হয় নি।
গত বছর জানুয়ারি মাসে সুলতান ছিলেন প্যারিসের একটি হোটেলে। তিনি কায়রোতে তার পিতাকে দেখতে যাচ্ছিলেন। তখন সৌদি কনস্যুলেট তার যাত্রার জন্য একটি প্রাইভেট জেট বিমান দেবার প্রস্তাব দেয়। ২০০৩ সালের ঘটনা সত্বেও প্রিন্স তা গ্রহণ করেন। তার সাথে ছিলেন তার নিজস্ব ডাক্তার এবং প্রায় ইউরোপীয় ও আমেরিকান দেহরক্ষী সহ ১৮ জন লোক। পরে – নাম প্রকাশ না করার শর্তে – ওই দলের দুজন বর্ণনা করেছেন যে বিমানে কি হয়েছিল।

“আমরা একটি বিশাল বিমানে উঠলাম, তার গায়ে সৌদি আরবের নাম লেখা ছিল। আমরা দেখলাম তাতে প্রচুর ক্রু আছেন, এবং তারা সবাই পুরুষ। আমাদের কেমন যেন লাগলো।”
“বিমানের ভেতরে মনিটরে দেখা যাচ্ছিল আমরা কায়রো যাচ্ছি। কিন্তু আড়াই ঘন্টা পর মনিটরগুলো অন্ধকার হয়ে গেল।”

“প্রিন্স সুলতান ঘুমোচ্ছিলেন, তবে ল্যান্ডিংএর এক ঘন্টা আগে তিনি জেগে উঠলেন। জানলা দিয়ে তাকালেন। তাকে উদ্বিগ্ন মনে হলো।” “আরোহীরা যখন বুঝতে পারলেন যে তারা সৌদি আরবে অবতরণ করতে যাচ্ছেন, তখন সুলতান ককপিটের দরজায় বার বার করাঘাত করতে লাগলেন, সাহায্যের জন্য চিৎকার করতে লাগলেন। ক্রুদের একজন প্রিন্সের সঙ্গীদের সিটে বসে থাকতে বললো।”

বিমান নামার পর রাইফেলধারী কিছু লোক বিমানটি ঘিরে ফেললো। সৈন্য এবং কেবিন ক্রুরা মিলে সুলতানকে বিমান থেকে টেনে হিঁচড়ে নামালো। তিনি চিৎকার করে তার দলকে বলছিলেন আমেরিকান দূতাবাসে ফোন করতে।

প্রিন্স এবং তার চিকিৎসকদের একটি ভিলায় নিয়ে সশস্ত্র প্রহরায় আটকে রাখা হলো। তার সফর সঙ্গীদের তিনদিন হোটেলে আটকে রাখার পর যার যার দেশে ফেরত পাঠানো হলো।
এ ঘটনার পর থেকে প্রিন্স সুলতানের কোন খোঁজ পাওয়া যায় নি। এই অপহরণের অভিযোগের ব্যাপারে সৌদি সরকার মন্তব্য করতেও অস্বীকার করে। প্রিন্স খালেদ যিনি এখনো জার্মানিতে আছেন, আশংকা করছেন তাকেও একদিন জোর করে রিয়াদে নিয়ে যাওয়া হবে।

তার কথা, সৌদি রাজপরিবারের সমালোচনা করেছে এমন ওই পরিবারের চারজন সদস্য ইউরোপে ছিল। তিনি বলেন, “তিনজনকে অপহরণ করে সৌদি আরবে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। শুধু আমিই বাকি।” এর পর কি তার পালা?

“আমি নিশ্চিত যে তাই। অনেক দিন ধরেই। তারা যদি পারতো এতদিনে কাজটা করেও ফেলতো। আমি খুবই সাবধানে থাকি, তবে এটা আমার স্বাধীনতার মূল্য।”

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
যেসব লক্ষণ একদমই অবহেলা নয়

কিছু কিছু শারিরীক লক্ষণ একদমই অবহেলা করা ঠিক নয়। এমন কয়েকটি লক্ষণ রয়েছে, যেসব অবহেলা করলে তা মারাত্মক বিপদ ডেকে আনতে পারে। নিচের লক্ষণগুলো দেখা দিলে সতর্ক হয়ে দ্রুত চিকিৎসা নেওয়া পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা—

১. কোনো কারণ ছাড়াই হঠাৎ করে শরীরের ওজন কমে যাওয়া। এটি ক্যানসারের মতো মারাত্মক রোগের লক্ষণ হতে পারে, যা উপেক্ষা করলে মৃত্যুঝুঁকি বয়ে আনতেপারে।

২. হালকা কোনো শারিরীক পরিশ্রমে (যেমন- সিঁড়ি দিয়ে উঠা) দ্রুত ক্লান্ত হয়ে পড়লে- এটা হতে পারে রক্তাল্পতা, ডায়াবেটিস, থাইরয়েড সমস্যা, ডিপ্রেসনের লক্ষণ।

৩. হাতের লেখা বদলে যাওয়া হতে পারে পার্কিনসন্স ডিজিজ বা স্নায়ুর সমস্যার লক্ষণ।

৪. স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বা কম প্রস্রাব হলে সতর্ক হোন। এটি ডায়াবেটিস বা প্রস্টেট ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে। আর প্রস্রাব ঘন হলুদ রঙ ধারণ করলে লিভারের সমস্যা হতে পারে।

৫. শরীরের কোনো অঙ্গ হঠাৎ করে ফুলে গেলে বা পানি এলে অবহেলা করবেন না। রক্তাল্পতা, কিডনি বা লিভারের সমস্যার কারণে এমনটা হতে পারে।

৬. ঘুমের মধ্যে দাঁত দাঁত লেগে যাওয়া স্ট্রেস বা মানসিক চাপের লক্ষণ। অতিরিক্ত নেশাজাতীয় দ্রব্য বা পানীয় সেবন বা পান করা এবং পেটে কৃমির কারণেও এমন হতে পারে।

৭. ঘন ঘন পেটের সমস্যা হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এটি কোলোন বা ওভারিয়ান ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে।

৮. অনেকেই আছে অতিরিক্ত ঘামের যন্ত্রণায় অস্থির। কী করবেন বুঝে উঠতে পারেন। এটা হতে পারে হাইপারহাইড্রোসিস রোগের লক্ষণ। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কফি পান করলেই বাড়বে আয়ু!

কফি পানের উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে বিতর্কের শেষ নাই। শহুরে জীবনে পানীয় হিসেবে কফি বেশ জনপ্রিয়। কাজের ফাঁকে লাটে কফি আর সন্ধ্যার আড্ডায় কাপুচিনো— এখন অনেকেরই জীবনের অংশ। অফিসে থাকলেই, কাজের মাঝে বারবার কফি মেশিন আপনাকে টানে? তাহলে জেনে নিন এক অদ্ভুত তথ্য৷

সাম্প্রতিক কিছু গবেষণায় নাকি উঠে এসেছে কফির থেকেই নাকি আপনার অনেক সমস্যার সমাধান হবে৷ যা আপনার আয়ু বাড়াতেও পরোক্ষভাবে সাহায্য করবে৷

কয়েকটি গবেষণায় নিয়মিত কফি পানের পরামর্শ দিয়ে বলা হয়েছে, কফি খেলে আয়ু বাড়তে পারে। আর এর উদাহরণ হিসেবে ২০১৫ সালে প্রকাশিত একটি গবেষণার প্রতিবেদনে বলা হয়, কখনও কফি পান করেনি এমন ব্যক্তির চেয়ে দৈনিক ১ থেকে ৫ কাপ কফি পান করেছে এমন ব্যক্তির মৃত্যুর ঝুঁকি কম।

ডায়াবেটিক কন্ট্রোল: বিভিন্ন হার্ট ডিজিজ আর ডায়বেটিস অনেকটা কমে যায় যদি নিয়মিত অল্প পরিমাণে কফি পান করেন। তবে মাথায় রাখবে কফিটি হতে হবে চিনি ছাড়া।

স্কিন ক্যানসারের হাত থেকে বাঁচায়: নিয়মিত কফি পান স্কিন ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটা কমিয়ে দেয়। সেইসঙ্গে দেহের অন্য অংশেও ক্যান্সারের আশঙ্কা কমায় ।

পার্কিনসন্স ডিসিজের সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়: দিনে কয়েক কাপ কপি খেলে পার্কিনসন্স ডিসিজ হওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশে কমে যায়।

অ্যালজাইমারস হতে দেয় না: বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই রোগটি দেখা দেয়। একটি সমীক্ষা বলছে এইসময় যদি কফি খাওয়ার পরিমাণ বাড়িয়ে দেন তা হলে অ্যালঝাইমারস হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

স্ট্রেস কমায়: যাঁরা কাজের স্ট্রেসের কারণে রাতে ভাল করে ঘুমোতে পারেন না তারা শোয়ার আগে কিছুক্ষণ অন্তত কফির গন্ধ শুঁকুন। কফির অ্যারোমা কিন্তু নিমেষে আপনার স্ট্রেস কমিয়ে দেবে।

কোলোন সার্জারি তাড়াতাড়ি সারিয়ে তোলে: কোলোন সার্জারি হলে পেট পরিষ্কার রাখা খুব জরুরি। রোজ কফি খেলে আপনার পেট পরিষ্কার থাকবে আর তাড়াতাড়ি সেরে উঠবেন।

আবার, দিনে তিন কাপ কফি কমাতে পারে আপনার হার্ট অ্যাটাকের সম্ভবনা৷ লন্ডনের একটি গবেষণায় জানা গিয়েছে, এক দিনে তিন থেকে পাঁচ কাপ কফি খেলে হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের সম্ভবনা ২০ শতাংশ কমে৷ ‘ইনস্টিটিউশন ফর সায়েন্টিফিক ইনফরমেশন অন কফি’ নামের একটি জার্নালে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, যাঁরা প্রতিদিন তিন কাপ করে কফি খান তারাই সব থেকে কম হৃদরোগের শিকার৷

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বিশ্বের সবথেকে আকর্ষণীয় শিক্ষিকা ! (ভিডিও)

বিশ্বের উষ্ণতম অঙ্কের শিক্ষিকা তিনিই । তাঁকে দেখলে অঙ্কে মন বসতে বাধ্য। কঠিন অঙ্কের সমাধান হবে অনায়াসেই। তাঁর ক্লাস নেওয়ার ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই হইচই পড়ে গিয়েছে।

ভিডিওতে তিনি অঙ্ক শেখাতে শুরু করতেই যুবকদের শরীরে জাগছে বিশ্বউষ্ণায়ন। বেলারুশের এই গণিত শিক্ষিকার নাম ওকসানা নেভেসেলায়া।

ফেসবুক প্রোফাইলে নিজের সম্পর্কে তিনি লিখেছেন ‘যৌন আবেদন ও বুদ্ধিমত্তা হাতে হাত রেখে চলে।’

ইনস্টাগ্রামে তাঁর ক্লাস নেওয়ার ভিডিয়ো পোস্ট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ২,২৩,০০০ ফলোয়ার তৈরি হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই তাঁদের অধিকাংশই পুরুষ। তাঁর অমন চাঁচাছোলা ফিগারে বোকা ভোলা হয়ে গিয়েছে বহু পুরুষ।

এক ভিডিওতে কামাল করেই থেমে যাননি ওকসানা। তাঁর পোস্টে ১০,০০০ লাইক পড়ার পরে ভক্তদের ধন্যবাদও জানিয়েছেন। আপাতত মালয়েশিয়ায় ছুটি কাটাচ্ছেন এই হট গণিত শিক্ষিকা।

ছুটির মেজাজে তাঁর হটনেস আরও বেড়ে গিয়েছে। সেখান থেকে পোস্ট করে চলেছেন বিকিনি পরিহিত ছবি। সেই সব ছবি নতুন করে তাঁর উদ্বেল করে তুলেছে তাঁর ভক্তদের।

ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন…

https://www.youtube.com/watch?v=90itSUdGBas

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শাহরুখ কন্যা সুহানার ছবি নিয়ে তোলপাড়!

বয়স মাত্র ১৭। কিশোরী থেকে যৌবনের হাতছানি যেন ডাকছে তাকে। এখনও তাকে রুপালী পর্দায় দেখা যায়নি। কিন্তু তরুণদের মনে হিল্লোল জাগাতে যে তিনি তৈরি, তা বুঝিয়ে দিয়েছেন শাহরুখ কন্যা সুহানা খান।

কিছুদিন আগে বলিউড সুপারস্টার শাহরুখ খানের সঙ্গে একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে রীতিমত সংবাদমাধ্যমের নজর কাড়ে শাহরুখকন্যা সুহানা খান।

সে অনুষ্ঠানে সুহানা যে আকর্ষণীয় পোশাক পরে এসেছিল সেটা নিয়েও কম কথা হয়নি মিডিয়া পাড়ায়। সেই পোশাকের দম কত ছিল, কোথায় থেকে কেনা সেসব নাড়ি-নক্ষত্রও উদ্ধার করে সংবাদমাধ্যম।

এবার ১৭ বছরী বয়সী এই মোহনীয় কন্যা সুহানা তার ইনস্টাগ্রামে একটি ছবি পোস্ট করেছেন, যা নিয়ে তোলপাড়া শুরু হয়ে গেছে অনলাইন দুনিয়ায়। ছবিটা আহামরি কিছু নয় কালো রঙের সিম্পিল পোশাক। দুই ঘাড়ের ওপর দিয়ে বুকের দুই পাশে সিল্কি চুলের ঝিলিক। এক হাত কোমরে রেখে টানা-টানা মায়াবি চোখের চাহনি। পেছনে হালকা সবুজ পাতাছাড়া গাছের সমাহার।

আর এতেই খুন হয়েছেন এ প্রজন্মের তরুণ-যুবকরা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আপনি প্রশাসনের সঙ্গে আপস করে চলছেন: অ্যাটর্নি জেনারেলকে প্রধান বিচারপতি

ন্যাশনাল ডেস্ক : অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমকে উদ্দেশ করে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেছেন, ‘আপনি তো প্রশাসনের সঙ্গে আপস করে চলছেন।’ বুধবার (১৬ আগস্ট) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা সংক্রান্ত মামলার আপিল শুনানির সময় প্রধান বিচারপতি এ কথা বলেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা মামলার শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম আদালতকে বলেন, ‘এখনও কারেন্ট জাল দিয়ে মাছ ধরা হচ্ছে।’ তখন প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘কেন আমরা তো আদেশ দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছি।’

এসময় অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘আমার বাড়ি পদ্মার পাড়ে। আমি তো এখনও দেখি, কারেন্ট জাল দিয়ে মাছ ধরা হচ্ছে।’

এর জবাবে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর না হলে আমাদের কী করার আছে। আমি শুনলাম, আপনি নির্বাচন করছেন তাইতো এলাকায় যান। আপনি তো প্রশাসনের সঙ্গে আপস করে চলছেন।’

প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, ‘আমরা তো ইলিশের গন্ধ পাই না। যত তাড়াতাড়ি এটা ( নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা) ঠিক করবেন, ততই সরকারের লাভ।’

এর আগে প্রধান বিচারপতি অ্যাটর্নি জেনারেলকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘আমি আপনাকে একটা তালিকা দেবো। সিআরপিসি’র সঙ্গে এর কয়েকটি ধারা সাংঘর্ষিক। এগুলো ঠিক হওয়া উচিত। আমরা আইনের বাইরে বিচার করবো না। আইনের অধীনেই বিচার করবো।’

অ্যাটর্নি জেনারেল সময় আবেদন জানিয়ে বলেন, ‘আমার প্রস্তুতির জন্য সময় দরকার।’ পরে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ ১০ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জেতা সম্ভব: মাশরাফি

স্পোর্টস ডেস্ক : প্রায় এক যুগ পর আবার বাংলাদেশ সফরে আসছে অস্ট্রেলিয়া। ২০০৬ সালের পর প্রথম টেস্ট খেলতে আসছে তারা পুরো শক্তির দল নিয়ে। স্টিভেন স্মিথদের বিপক্ষে তাই কঠিন পরীক্ষার সামনে পড়তে হবে মুশফিকুর রহিমদের। যদিও ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা আশাবাদী। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দেশের মাটির টেস্ট সিরিজে যেমন পারফরম করেছে বাংলাদেশ, ঠিক সেটার পুনরাবৃত্তি করতে পারলে মুশফিকদের জেতা সম্ভব বলে জানিয়েছেন ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ‘ক্রিকইনফো’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে।

শ্রীলঙ্কার মাটিতে গিয়ে তাদের হারিয়ে এসেছে বাংলাদেশ। তার আগে টেস্ট ক্রিকেটের অন্যতম শক্তিশালী দল ইংল্যান্ডকে ঘরের মাঠে হারিয়ে দেয় টাইগাররা। চট্টগ্রামে প্রথম টেস্টে লড়াই করে ২২ রানে হারলেও মিরপুরে স্বাগতিকরা দুর্দান্ত জয় তুলে নেয় ১০৮ রানে। ১০ মাস আগের ওই পারফরম্যান্স আবার মাঠে দেখাতে পারলে অস্ট্রেলিয়াকেও হারানো সম্ভব বলে মনে করছেন মাশরাফি। তাই বলে আবার খেলোয়াড়দের ওপর কোনও চাপও তৈরি করতে চাইলেন না ‘ক্রিকইনফো’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে, ‘খেলোয়াড়দের ওপর অযথা কোনও চাপ তৈরি করতে চাই না, তবে চমৎকার একটা টেস্ট সিরিজের আশা করছি। অস্ট্রেলিয়া হলো বিশ্বের সবচেয়ে আবেগী টেস্ট দল, আর এবার তাদের সেরা দলটাই আসছে বাংলাদেশে। (প্যাট) কামিন্স, (জশ) হ্যাজেলউড ও (নাথান) লিওনের মতো বোলারদের নিয়ে গড়া তাদের বোলিং লাইন-আপ।’

তবে নিজেদের সেরাটা দিলে বাংলাদেশের পক্ষে জেতা সম্ভব বলে মনে করছেন মাশরাফি, ‘কাজটা মোটেও সহজ হবে না আমাদের দলের জন্য। তবে আমরা যদি এক লেভেল উপরে পারফম করি, যেমনটা করেছি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে, তাহলে জেতা সম্ভব। যদিও ফলের ব্যাপারে কোনও ধরনের চাপ তৈরি করতে চাই না।’ ক্রিকইনফো

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest