মোস্তফা কামাল : ‘প্রধান মন্ত্রীর নির্দেশ, লাগাও গাছ-বাঁচাও পরিবেশ, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ দেশের সকল উপকূলীয় এলাকায় সবুজ বেষ্টনী গড়ে তুলতে হবে,গাছ মানুষের সাথে বেঈমানী করে না, বৃক্ষ মানুষকে সুস্থ্য থাকতে সহায়তা করে, ফলদ বৃক্ষের সুস্বাদু ফল আমাদের পুষ্টি যোগায়, বৃক্ষ প্রকৃতির ভারসাম্য বজায় রাখে, বৃক্ষ প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে আমাদের রক্ষা করে’- নকিপুর পাইলট বালিকা বিদ্যালয়ে ফলদবৃক্ষ বিতরণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন সাতক্ষীরা ৪ আসনের সংসদ সদস্য এস এম জগলুল হায়দার। ২৯ আগষ্ট শ্যামনগর উপজেলা প্রশাসনের অর্থায়নে,কৃষি বিভাগের পরিকল্পনায়,নকিপুর পাইলট বালিকা বিদ্যালয়ের আয়োজনে পুষ্টিগুণ সম্পন্ন দেশীয় ফলের চারা বিতরণ কালে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন-ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) মহসীন উল-মুলক, নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ কামরুজ্জামান, শ্যামনগর থানা অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ মান্নান আলী, কৃষিকর্মকর্তা মোঃ আবুল হোসেন, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কালাম মোঃ রফিকুজ্জামান, মৎস্য কর্মকর্তা ফারুক হোসেন সাগর, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ইসমাইল হোসেন, প্রধান শিক্ষক কৃষ্ণানন্দ মুখার্জী, প্রেসক্লাব উপদেষ্টা শেখ আফজাল, সেক্রেটারি জাহিদ সুমন, জনপ্রতিনিধি, অভিভাবকবৃন্দ। প্রায় ৭ শত ছাত্রীদের মধ্যে কদবেল ও ছফেদা গাছের চারা বিতরণ করা হয়। এসময় প্রধান অতিথি এমপি জগলুল হায়দার বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে একটি হাইব্রিট জামরুলের চারা রোপন করে ছাত্রীদের মধ্যে গাছ লাগানোর প্রতি উদ্বুদ্ধ করেন।

শুক্রবার রাতে ছোঁয়া পরিবহনের যে বাস বগুড়া থেকে ময়মনসিংহ গিয়েছিল, সেই একই বাস সোমবার মধুপুর অতিক্রম করার সময় পুলিশ আটকায়। এরপর ওই বাসের চালক হাবিব (৪৫), সুপারভাইজার সফেদ আলি (৫৫) এবং বাসের সহকারী শামীম (২৬), আকরাম (৩৫) ও জাহাঙ্গীরকে (১৯) আটক করে পুলিশ। থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে বাসের তিন সহকারী রূপাকে ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে জানিয়েছে, ওই দিন বাসে রূপাসহ ছয় থেকে সাতজন যাত্রী ছিলেন। অন্য যাত্রীরা সিরাজগঞ্জ মোড় এবং বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম প্রান্তে নেমে যান। বঙ্গবন্ধু সেতু পার হওয়ার সময় রূপা একাই বাসে ছিলেন। বাসটি টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার কাছাকাছি এলে বাসের সহকারী শামীম জোর করে রূপাকে বাসের পেছনের আসনে নিয়ে যায়। এ সময় রূপা তাঁর কাছে থাকা পাঁচ হাজার টাকা ও মুঠোফোন শামীমকে দিয়ে দেন এবং ক্ষতি না করতে অনুরোধ করেন। সেই অনুরোধ উপেক্ষা করে শামীম, আকরাম ও জাহাঙ্গীর তাঁকে ধর্ষণ করে। রূপা চিৎকার শুরু করলে ধর্ষকেরা তাঁর মুখ চেপে ধরে। একপর্যায়ে ঘাড় মটকে রূপাকে হত্যা করা হয়। পরে মধুপুর উপজেলা সদর পেরিয়ে বন এলাকা শুরু হলে পঁচিশ মাইল এলাকার রাস্তার পাশে লাশটি ফেলে দেওয়া হয়।
