সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরায় ৩৪তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস পালনসাতক্ষীরায় খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় ছাত্রদলের দোয়াফেসবুক পোস্ট মুছে ফেলাকে কেন্দ্র করে সাতক্ষীরা সরকারি বালক বিদ্যালয়ে সংঘর্ষতালায় যৌতুকের দাবিতে নির্যাতনের পর তরুণীকে হত্যার অভিযোগক্ষতিকর কীটনাশকের ব্যবহার কমানোর দাবিতে শ্যামনগরে মানববন্ধনবেগম জিয়ার সুস্থতা কামনায় সাতক্ষীরায় দোয়াবারসিকের উদ্যোগে পরিবেশ সাংবাদিক ফোরামের ওরিয়েন্টেশনজামায়াত শুধু নিজেদের মানুষকেই চাকরি দেয়, তারা সার্বজনীন হতে শেখেনি: কাজী আলাউদ্দিনদেবহাটায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আহাদ আলীর রাস্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন উপকূলের মানুষের সংকট নিরসনের সুনির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতি নির্বাচনী ইশতেহারে অন্তর্ভুক্তির লক্ষ্যে নাগরিক সংলাপ

চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে সড়ক-মহাসড়ক সংস্কারের নির্দেশ

ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে ২৪ ঘন্টার মধ্যে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সড়ক-মহাসড়ক সংস্কারের নির্দেশ দিয়েছেন সড়ক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আজ সকালে যশোর সার্কিট হাউজে সড়ক বিভাগের খুলনা অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলীদের সাথে মতবিনিময়কালে সংশ্লিষ্টদের এ নির্দেশ দেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, বর্ষা-বাদলেও সংস্কার কাজ বন্ধ রাখা যাবে। ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে হবে। সেজন্য রোদের অপেক্ষায় থাকা যাবে না। বৃষ্টির মধ্যেও কাজ করতে হবে।

এসময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, কান্নাকাটি ছাড়া বিএনপির কোন রাজনীতি নেই। এজন্য আদালতের একটি পর্যবেক্ষণকে তারা ইস্যু হিসেবে নিয়ে রাজনীতি শুরু করেছে। এ রায়কে পুঁজি করে তারা এখন ক্ষমতায় যাওয়ারও স্বপ্ন দেখছে। ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, বিএনপির অবস্থা এখন ঢাল-তলোয়ারহীন নিধিরাম সর্দারের মতো।

মতবিনিময় সভায় খুলনা অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলীরা ছাড়াও যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, যশোর-৫ আসনের সংসদ সদস্য স্বপন ভট্টাচার্য, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন, সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার উপস্থিত ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সমাজসেবা কর্মকর্তা মিজানুর রহমানের অপসারণ দাবিতে প্রতিবন্ধীদের মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঘুষখোর, দুর্নীতিবাজ সমাজসেবা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান ও তার সহযোগীদের অপসারণ এবং প্রতিবন্ধী ভাতাভোগীদের তালিকা তৈরির ক্ষেত্রে দুর্নীতি, অনিয়ম ও প্রতিবন্ধী সংগঠনের ষড়যন্ত্রকারিদের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। রোববার সকাল ১০টায় সাতক্ষীরা শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কের সামনে প্রতিবন্ধী নাগরিক অধিকার পরিষদের আয়োজনে এ মানববন্ধন কর্মসূচিটি পালিত হয়। সংগঠনটির সভাপতি মোঃ শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে উক্ত মানবন্ধনে বক্তব্য রাখেন, জাতীয় অন্ধ সংস্থার সাতক্ষীরা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক শেখ আবুল কালাম আজাদ, জেলা বাস্তহারা লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ, ভূমিহীন উন্নয়ন সমিতির সভাপতি আব্দুস ছাত্তার, কালিগঞ্জ প্রতিবন্ধী পুর্নাবসন উন্নয়ণ সমিতির সভাপতি আব্দুল খালেক, জেলা ভুৃমিহীন সমিতির সভাপতি কওছর আলী, প্রতিবন্ধী নারী উন্নয়ন সমিতির সহ-সভানেত্রী নূর জাহান খাতুন, রেহেনা পারভীন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, প্রতিবন্ধীরাও এ সমাজের কোন বোঝা নয়। তাদেরও স্বাধীন ভাবে বেঁচে থাকার অধিকার আছে। কিন্তু বর্তমানে সমাজের প্রতিটি মানুষের কাছে তারা লাঞ্চিত, অপমানিত হয়ে থাকে। তারা তো নিজের ইচ্ছায় কেউ প্রতিবন্ধী হয়নি। তাহলে তাদের উপর কেন এ বৈষম্য। বক্তারা আরোও বলেন, সাতক্ষীরা সমাজসেবা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান একজন ঘুষখোর, দুর্নীতিবাজ ব্যক্তি। তিনি প্রতিবন্ধীদের যে সকল সুযোগ সুবিধা আছে সেটা না দিয়ে টাকা খেয়ে সুবিধাভোগীদের নামে তালিকা করে থাকেন। তাই অবিলম্বে এই দুর্নীতিবাজ সমাজসেবা কর্মকর্তার অপসারণ করা না হলে আগামীতে আরো কঠিন কর্মসূচি দেওয়া হবে তারা জানান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কলারোয়ায় ৫৫ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার

সাতক্ষীরার কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব দেবনাথের নির্দেশনায় থানা এলাকায় মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনাকালে পরিত্যক্ত অবস্থায় ৫৫ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। কলারোয়া থানার এসআই অমিত কুমার দাসসহ সঙ্গীয় সদস্যরা শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ওই ফেনসিডিল উদ্ধার করেন। থানা সূত্র জানায়া, উপজেলার সোনাবাড়িয়া ইউনিয়নের পূর্ব ভাদিয়ালি গ্রামের ভোজন আলির ছেলে রুহুল কুদ্দুসের বাড়ির পিছনে ধান ক্ষেত থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ৫৫ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
গোপালগঞ্জে বাস খাদে, বাবা-ছেলেসহ নিহত ৩

ডেস্ক রিপোর্ট :  ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে গোপালগঞ্জের বেদগ্রাম এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি নৈশকোচ খাদে পড়ে বাবা-ছেলেসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন যানটির অন্তত ৩০ যাত্রী।

রবিবার ভোর চারটার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, ঢাকা থেকে গোল্ডেল লাইন পরিবহনের একটি নৈশকোচ পিরোজপুর যাচ্ছিল। গোপালগঞ্জের বেদগ্রাম এলাকায় আসার পর চালক যানটির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে সেটি রাস্তার পাশের খাদে পড়ে যায়।

এতে বাসটির নিচে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই এক শিশুসহ তিনজন নিহত হয়। আহত হয় অন্তত ৩০ জন। আহতদের উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

নিহতদের মধ্যে দুইজনের নামপরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন মহিউদ্দিন মৃধা (৩৫) ও তার ছেলে রাহাত মৃধা (৫)। তাদের বাড়ি পিরোজপুরের লাহুড়ি গ্রামে।

দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোপালগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের পরিদর্শক নিয়ামূল হুদা। তিনি জানান, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে হতাহতদের উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শহরের পলাশপোল এলাকা থেকে এক নবজাতকের লাশ উদ্ধার

আসাদুজ্জামান : সাতক্ষীরা শহরের পলাশপোল এলাকা থেকে এক নবজাতকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে পলাশপোল এলাকার মেরী ষ্টোপস ক্লিনিকের পিছনের একটি পুকুরের ধার থেকে তার লাশটি উদ্ধার করা হয়। স্থানীয়রা জানান, কে বা কারা রাতের আধারে নবজাতকের লাশটি মেরী ষ্টোপস ক্লিনিকের পিছনের একটি পুকুরের ধারে ফেলে রেখে যায়। নবজাতকটি কলাপাতা দিয়ে ঢাকা ছিল। সকালে উঠে স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ যেয়ে নবজাতকটির লাশ উদ্ধার করে। সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মারুফ আহমেদ এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সশস্ত্র রোহিঙ্গা মুসলিম গোষ্ঠী ‘আরসা’র নেপথ্যে কারা?

শুক্রবার যে সশস্ত্র হামলার পর মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশ আবার অশান্ত হয়ে উঠেছে তার জন্য মিয়ানমারের সরকার দোষারোপ করছে ‘আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি’ নামে একটি সংগঠনকে।

এর আগে গত বছরের অক্টোবরেও রাখাইনে পুলিশ ফাঁড়ির ওপর হামলার ঘটনার জন্য দায়ী করা হচ্ছিল এই সশস্ত্র গোষ্ঠীটিকে।

রোহিঙ্গাদের মধ্যে এরকম সশস্ত্র গোষ্ঠীর তৎপরতা আগেও শোনা গেছে, কিন্তু এই সংগঠনটির নাম এর আগে কেউ শোনেননি।

মিয়ানমারের সরকারের দিক থেকে রোহিঙ্গা মুসলিমরা ধারাবাহিকভাবে যে বৈষম্য-অত্যাচার-নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন, এর ফলে তাদের অনেকে কি এখন সশস্ত্র জঙ্গী মতাদর্শের দিকে ঝুঁকে পড়ছে?

পেছনে কারা?

আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি আগে ইংরেজীতে ‘ফেইথ মুভমেন্ট’ নামে তাদের তৎপরতা চালাতো। স্থানীয়ভাবে এটি পরিচিত ছিল ‘হারাকাহ আল ইয়াকিন’ নামে।

মিয়ানমারের সরকার ইতোমধ্যে রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মিকে একটি সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী বলে ঘোষণা করেছে।

মিয়ানমার বলছে, এই গ্রুপটির নেতৃত্বে রয়েছে রোহিঙ্গা জিহাদীরা, যারা বিদেশে প্রশিক্ষণ পেয়েছে। তবে সংগঠনটি কত বড়, এদের নেটওয়ার্ক কতটা বিস্তৃত, তার কোন পরিস্কার ধারণা তাদের কাছেও নেই।

মিয়ানমারের কর্মকর্তাদের ধারণা, এই গোষ্ঠীর নেতৃত্বে রয়েছে ‘আতাউল্লাহ’ নামে একজন রোহিঙ্গা। তার জন্ম করাচীতে, বেড়ে উঠেছে সৌদি আরবে।

আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থা ‘ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ’ তাদের এক রিপোর্টে বলছে, সংগঠনটি মূলত গড়ে উঠেছে সৌদি আরবে চলে যাওয়া রোহিঙ্গাদের দ্বারা।

মক্কায় থাকে এমন বিশ জন নেতৃস্থানীয় রোহিঙ্গা এই সংগঠনটি গড়ে তোলে। বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং ভারতে এদের যোগাযোগ রয়েছে।

সংগঠনটির নেতা আতাউল্লাহ ‘আবু আমর জুনুনি’ নামেও পরিচিত। আতাউল্লাহর বাবা রাখাইন থেকে পাকিস্তানের করাচীতে চলে যান। সেখানেই আতাউল্লাহর জন্ম। তিনি বেড়ে উঠেছেন মক্কায়। সেখানে মাদ্রাসায় পড়াশোনা করেছেন। ইউটিউবে তার একটি ভিডিও থেকে ধারণা করা হয়, রাখাইনের রোহিঙ্গারা যে ভাষায় কথা বলে সেটি এবং আরবী, এই দুটি ভাষাই তিনি অনর্গল বলতে পারেন। ২০১২ সালে আতাউল্লাহ সৌদি আরব থেকে অদৃশ্য হয়ে যান। এরপর সম্প্রতি আরাকানে নতুন করে সহিংসতা শুরু হওয়ার পর তার নাম শোনা যায়।

আরাকানে যারা এই সংগঠনটির সঙ্গে যুক্ত, তাদের আধুনিক গেরিলা যুদ্ধের প্রশিক্ষণ আছে বলে মনে করা হয়। স্থানীয় রোহিঙ্গাদের মধ্যে এই সংগঠনটির প্রতি সমর্থন এবং সহানুভূতি আছে।

আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি বা ‘আরসা’ গত মার্চে এক বিবৃতিতে একেবারে খোলাখুলিই জানিয়েছে তারা মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিমদের অধিকার রক্ষায় কাজ করছে এবং তাদের ‘আত্মরক্ষা-মূলক’ হামলার মূল টার্গেট হচ্ছে মিয়ানমারের ‘নিপীড়নকারী শাসকগোষ্ঠী।’

আরসার প্রধান দাবি হচ্ছে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিমদের নাগরিকত্ব এবং সমান মর্যাদা দিতে হবে।

‘আরসা’ তাদের এই বিবৃতিতে আরও বলেছে, তারা বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে কোন ধরণের সন্ত্রাসবাদী কাজে লিপ্ত নয়। তাদের অধিকার আদায়ের জন্যও তারা সন্ত্রাসবাদে বিশ্বাসী নয়। বিশ্বের কোন সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর সঙ্গেও তাদের কোন সম্পর্ক নেই।

এমনকি তারা রাখাইনের বিভিন্ন ধর্মের ও জাতির মানুষকে এবং তাদের ধর্মীয় উপাসনার স্থানের নিরাপত্তার নিশ্চয়তাও দিচ্ছে।

লন্ডন ভিত্তিক একটি রোহিঙ্গা সংগঠন আরাকান ন্যাশনাল রোহিঙ্গা অর্গেনাইজেশনের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বিবিসি বাংলাকে বলেন, গত অক্টোবরে প্রথম রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির কথা সবাই জানতে পারে। তারা তখন একটি পুলিশ ফাঁড়ির ওপর হামলা চালিয়েছিল।

তাঁর মতে যারা এই সংগঠনে যুক্ত হয়েছে, তারা মরিয়া হয়ে এরকম একটা পথ বেছে নিয়েছে।

“মাঝে মধ্যে ইন্টারনেটে এদের বক্তব্য-বিবৃতি দেখি। এরা আরাকানে রোহিঙ্গাদের অধিকার এবং স্বাধীনতার জন্য লড়ছে।”

“এরা জঙ্গীও নয়, কোন আন্তর্জাতিক জঙ্গী গোষ্ঠীর সঙ্গেও এদের সম্পর্ক নেই। এরা আরাকানে বেড়ে উঠা একটি গোষ্ঠী যারা রোহিঙ্গাদের জন্য লড়ছে বলে দাবি করে।”

ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ বলছে, রোহিঙ্গাদের মধ্যে সংগঠিত সশস্ত্র গোষ্ঠীর উত্থান পুরো আরাকানের পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলতে পারে। মিয়ানমারের সরকার যদি রাজনৈতিক সমাধানের পরিবর্তে নির্বিচার সামরিক বল প্রয়োগের মাধ্যমে এদের দমন করতে যায়, তাতে বরং সেখানে চক্রাকারে সহিংসতার মাত্রা আরও বাড়বে।

সূত্র : বিবিসি বাংলা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রাতে যা পান করলে ওজন কমবে!

স্বাস্থ্য ও জীবন : মূলত রাতে বিছানায় যাবার পূর্বে ২ থেকে ৩ ঘণ্টা আগে রাতের আহার শেষ করতে বলা হয়। কিন্তু এই ২-৩ ঘণ্টা পার করতে গেলে আবার ক্ষুধা লাগে। তাই রাতে হালকা পাতলা কিছু পানীয় পান করলে ওজন বাড়ার সম্ভাবনা তো থাকেই না, উল্টো ওজন কমে যায়। সেরকম কিছু পানীয় নিয়ে আজ আমাদের আলোচনা-
১। গরম দুধ: দুধ ক্যালসিয়ামের সব চাইতে ভালো উৎস। ক্যালসিয়াম আমাদের দাঁত ও হাড়ের গঠন মজবুত করে। এছাড়াও ক্যালসিয়াম ভিটামিন ডি এর সাহায্যে আমাদের হাড় ও দাঁতে শোষিত হয়ে হাড় ও দাঁতের গড়ন দৃঢ় করে এবং দাঁতের ক্ষয়রোধ করে। রাতে এক গ্লাস দুধ পান করলে অন্যান্য খাবারের চাহিদা কমে যায়, তাই দুধ পান করলে ওজন কমে।
২। সয় দুধ: গরুর দুধ আপনার প্রতিদিনের ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করা ছাড়াও অনেক ধরনের ভিটামিন ও খনিজ প্রদান করে। আলমন্ড দুধ দারুণ স্বাস্থ্যকর। তাই বলে সয় দুধের কথা ভুলে গেলে চলবে না। সয়বিন ভিজিয়ে, পিষে এবং সেদ্ধ করে সয় দুধ বানানো হয়। শক্তি ও প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান প্রদানে সয় দুধ দারুণ এক পানীয়। রক্তের লিপিড অংশকে সমৃদ্ধ করে এবং আনস্যাটুরেটেড ফ্যাট প্রদান করে দেহে। উদ্ভিদজাত দুধের মধ্যে এটা সেরাদের অন্যতম। সয় দুধে গরুর দুধের চেয়ে কম পরিমাণ চিনি থাকে। ফলে যারা ওজন কমাতে চান তাদের জন্য আদর্শ। এই দুধ দেহকে ক্যালসিয়াম গ্রহণে সহায়তা করে।
৩। আপেল সিডার: অনেকেই জানেন না আপেল সিডার স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ উপকারী। এই পানীয় পাস্তুরিত থাকে না। ফিল্টারও করা হয় না। একে থাকে প্রাকৃতিক চিনি। দেহের বিষাক্ত উপাদান তাড়াতে এই পানীয় খুবই কার্যকর। আছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। ক্যান্সার, হৃদরোগ, টাইপ-২ ডায়াবেটিস এবং স্ট্রোক সামলাতে আপেল সিডার বেশ উপকারী।
৪। আঙুরের রস: আঙুরের রস বা জুসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা বিপাকক্রিয়া ঠিক রাখে। সৌন্দর্য ও লাবণ্য ধরে রাখতে আঙুরের রসের জুড়ি নেই। তাছাড়া পোলাউ বা চালের জর্দা জাতীয় খাবারে সামান্য আঙুরের রস এনে দেয় রসালো ভাব ও স্বাদ। কিছুটা কিশমিশের ‘টেস্ট’। বিপাক ক্রিয়া ঠিক রেখে এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ইসরায়েলি বাসযাত্রীর ১০ হাজার ডলার ফিরিয়ে দিলেন ফিলিস্তিনি চালক

ইসরায়েলের দখলকৃত পূর্ব জেরুজালেম থেকে দেশটির বিনেই ব্র্যাক শহর পর্যন্ত চলাচলকারী একটি বাসে ১০ হাজার ডলার ফেলে এসেছিলেন অতি গোঁড়া এক ইহুদি যাত্রী। বিপুল এই অর্থ কোথায়, কীভাবে হারিয়েছেন, তার যখন কোনো হদিস পাচ্ছিলেন না সেই ব্যক্তি, ঠিক সেই সময়ে ত্রাণকর্তার ভূমিকায় হাজির হলো ইসরায়েলি পুলিশ। বিনেই ব্র্যাকের স্থানীয় একটি পত্রিকায় পুলিশের ছাপানো বিজ্ঞাপন দেখে ইসরায়েলের ওই নাগরিক তাঁর হারানো ডলারগুলোর সন্ধান পান। কিন্তু পেছনের গল্প হলো, বিপুল এই অর্থ পুলিশ পর্যন্ত পৌঁছানোর ব্যবস্থা করেছেন ওই বাসের চালক, যিনি একজন ফিলিস্তিনি।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েলের খবরে জানানো হয়, আফিকিম নামের একটি বাস কোম্পানির ওই চালকের নাম রামাদান জামজৌম (৩৫)। তিনি পূর্ব জেরুজালেমের কাছাকাছি বেইত হানিনা এলাকার বাসিন্দা।

গত বুধবার বাসে রাবার দিয়ে বাঁধা একটি ডলারের ব্যান্ডেল পান রামাদান। এরপর তিনি সেটি বাস কোম্পানিকে জানান। এরপর কোম্পানির লোকজন পুলিশের কাছে অর্থগুলো পৌঁছে দেন।

ডলারগুলো মালিকের কাছে পৌঁছে দেওয়ার বিষয়ে রামাদান বলেন, ‘আমি দেখি ইহুদি এক যাত্রীর ব্যাগ থেকে বান্ডেলটি পড়ে যায়। ওই যাত্রী মোবাইলে কথা বলতে বলতে বাস থেকে নামছিলেন। আমি তাঁকে পেছন থেকে ডেকেছিলাম। কিন্তু তিনি তা শুনতে পাননি। পরে এই ঘটনাটি কোম্পানিকে জানাই এবং ওই বান্ডেলটি জমা দিই।’

‘এই টাকাগুলো আমাকে লোভে ফেলতে পারেনি। টাকা ফেরত দেওয়া আমার দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে। নৈতিক ও ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকেও কাজটি করা আমার দায়িত্ব মনে করি’, যোগ করেন রামাদান।

গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, মহান এই কীর্তির জন্য রামাদানকে বাস কোম্পানির পক্ষ থেকে বিশেষ কোনো পুরস্কার দেওয়া হয়নি। তবে তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়ে একটি সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest