সর্বশেষ সংবাদ-
জেলা ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি গঠনচোরের উপদ্রবে অতিষ্ঠ কাটিয়া রেজিস্ট্রি অফিসপাড়ার বাসিন্দারা : মিথ্যা মামলার অভিযোগসাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের পিতার মৃত্যুতে শােকসাতক্ষীরায় পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা: আসামী ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগশ্যামনগরে কোস্টগার্ডের অভিযানে ভারতীয় মদ জব্দআশাশুনিতে জলবায়ু-স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ক যুব নেতৃত্বাধীন প্রচারনাসাতক্ষীরা জেলা স্কাউট ভবন এর উর্ধ্বমুখি সম্প্রসারণ কার্যক্রম উদ্বোধনখুলনায় এনসিপি নেতা গুলিবিদ্ধ: সাতক্ষীরা সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদারশ্যামনগরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনিয়ম ‌দুর্নীতির অভিযোগল স্টুডেন্টস ফোরাম এর নবনির্বাচিত কমিটি নির্বাচন কমিশনের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়

সাতক্ষীরায় ৪৫ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকার অনুদান দিলজেলা পরিষদ

মাহফিজুল ইসলাম আককাজ : সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ ১০০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সংগঠন ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন কাজের জন্য মোট ৪৫ লক্ষ ৯৫ হাজার ৯শ টাকার অনুদান দিয়েছে। জেলা পরিষদ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের এ চেক বিতরণ অনুষ্ঠান সোমবার দুপুরে জেলা পরিষদের আয়োজনে জেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। এতে জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ.এন.এম মঈনুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম।
এসময় তিনি বলেন, ‘সাতক্ষীরার বিভিন্ন মসজিদ, মন্দির, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, রাস্তাঘাট, ব্রিজ, কালভার্ট কবরস্থান, শশ্মানসহ বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের উন্নয়নে জেলা পরিষদ কাজ করে যাচ্ছে। এখানে কোন বৈষম্য বা স্বজনপ্রীতির সুযোগ নেই। সাধারণ মানুষের উন্নয়নে জেলা পরিষদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) এস.এস খলিলুর রহমান ও জেলা পরিষদের সহকারী প্রকৌশলী মো. আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, সাতক্ষীরা ১০০ টি প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের অনুকুলে ৪৫ লক্ষ ৯৫ হাজার ৯শ টাকার চেক বিতরণ করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান সৈয়দ আমিনুর রহমান বাবু, ডালিম কুমার ঘরামী, জেলা পরিষদের সদস্য আল ফেরদৌস আলফা, মো. আমজাদ হোসেন, ওবায়দুর রহমান লাল্টু, মীর জাকির হোসেন, মো. মনিরুল ইসলাম, মো. দেলোয়ার হোসেন, মো. মহিতুর রহমান, এস.এম আসাদুর রহমান, মো. নুরুজ্জামানসহ জেলা পরিষদের কর্মকর্তা ও সদস্যরা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
যশোরে বউ বদল করে দুই যুবকের সুখী জীবন!

যশোরের মনিরামপুরে বিয়ের মাধ্যমে বউ বদলের ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

উপজেলার লাউড়ী গ্রামে মালয়েশিয়া প্রবাসী এক যুবকের স্ত্রী ও অপর এক যুবকের স্ত্রীর মধ্যে এ ঘটনা ঘটেছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মুজিবর রহমান এতথ্য জানান।

জানা যায়, উপজেলার লাউড়ী গ্রামের মোজাহার মোড়লের ছেলে ইসলাম হোসেনের (২৮) বিয়ের ৫ বছর পর সংসারের স্বচ্ছলতা আনতে বছর তিনেক আগে মালয়েশিয়া পাড়ি জমান। এক মাস আগে তিনি দেশে আসেন। ইসলাম দেশের আসার ১৫ দিন আগেই তার স্ত্রী একই গ্রামের মৃত আশরাফ আলী সানার ছেলে ২ সন্তানের জনক মাহবুব হোসেনের হাত ধরে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেন।

ইসলাম তার স্ত্রীকে বাড়িতে ফেরত আনতে মাহবুবের বাড়িতে যান। এক পর্যায় পরিচয় হয় মাহবুবের স্ত্রীর সঙ্গে। এরপর ঘটনার একর্যায়ে ১০ দিন আগে মাহবুবের স্ত্রীকে বিয়ে করে বাড়িতে নিয়ে যান ইসলাম।

বর্তমান উভয় যুবক তাদের স্ত্রীদেরকে নিয়ে ঘর সংসার করছেন। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে মাহবুব জানান, ইসলামের ছেলে ও তার মেয়ে একই স্কুলে পড়ার সুবাদে দুই পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরই জেরে দুই পরিবারের সদস্যরা একে অপরের বাড়িতে যাতায়াত করতো। তা থেকেই ঘটনার শুরু।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
চুল গজাতে সাহায্য করে পেয়ারা পাতা!

চুল পড়া বন্ধ করা এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে পেয়ারা পাতা। পেয়ারা ভিটামিন সি সমৃদ্ধ এই ফলটি ত্বকের জন্য বেশ উপকারী। শুধু পেয়ারা নয়, পেয়ারা গাছের পাতা চুলের জন্যও অনেক ভাল। পেয়ারা পাতা চুল পড়া বন্ধ করতে অনেক কার্যকরী।

পেয়ারা পাতায় অ্যান্টি ইনফ্লামেটরী, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল উপাদান রয়েছে। এসব উপাদান মাথার তালু সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এমনকি চুলের খুশকি হওয়া রোধ করতেও সাহায্য করে। ভিটামিন সি মাথার তালুতে ফলিক অ্যাসিডের ভারসাম্য বজায় রেখে নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।

যেসব উপাদান প্রয়োজন হবেঃ

১। এক মুঠো পেয়ারা পাতা।
২। এক লিটার বিশুদ্ধ পানি।

পদ্ধতিঃ

১। একটি পাত্রে পানি ফুটিয়ে গরম করে নিতে হবে। এবং পানি ফুটে আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
২। পানি গরম হয়ে গেলে, এখন পানিতে পেয়ারা পাতা গুলো সিদ্ধ করতে হবে।
৩। পেয়ারা পাতা গুলো ২০ মিনিট ধরে পানিতে ফুটিয়ে নিতে হবে।
৪। ২০ মিনিট পরে পেয়ারা পাতা গুলো নামিয়ে নিন।

ব্যবহার পদ্ধতিঃ

১। প্রথমে চুল ভাল করে শ্যাম্পু করে নিন। চুলে শ্যাম্পু করার পর কন্ডিশনার ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।
২। চুল কিছুটা শুকিয়ে গেলে চুল বেনী করে আলাদা করুন। এরপর পেয়ারা পাতা ফুটানো পানি মাথায় ঢালুন।
৩। পানিটি মাথার তালুতে কমপক্ষে ১০ মিনিট ধরে ম্যাসাজ করুন।
৪। মিশ্রণটি চুলে দুই ঘন্টা লাগিয়ে রাখুন। তারপর কুসুম গরম পানি দিয়ে চুলে ধুয়ে ফেলুন।

কার্যকারিতাঃ

পেয়ারা পাতায় প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি রয়েছে যা মাথার তালুর ত্বকে কোলাজেন এর পরিমান বৃদ্ধি করে। পেয়ার পাতায় উপস্থিত অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। এতে লিকোফেইন নামক উপাদান রয়েছে যা সূর্যের আলট্রাভায়োলেট রশ্মি থেকে মাথার তালুকে রক্ষা করে। এছাড়াও পেয়ারা পাতা চুলকে শাইনি, সিল্কি করে তোলে। সূত্রঃ স্টাইল ক্রেইজ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : সোমবার সকাল ১০টায় মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদের কাটিয়া টাউন বাজারের নিকটস্থ স্থায়ী কার্যালয়ে সংগঠনের এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা শাখার সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু বক্কার সিদ্দিক। সভায় সংগঠনের সাংগঠনিক কার্যক্রমকে গতিশীল করার জন্য সংগঠনের জেলা শাখা, শহর শাখা ও সদর শাখার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ হাসান ইমাম, সদর খানার আহবায়ক রিয়াজ উদ্দীন, পৌর শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ হোসেন ইমাম, আব্দুল আলিম, বাদশা, টগর সরকার প্রমুখ। সভায় সকল নেতৃবৃন্দের সম্মতিক্রমে মোঃ হাফিজুল ইসলামকে কে আহবায়ক ও মোঃ আব্দুর রহিম কে যুগ্ম আহবায়ক করে ৪১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি অনুমোদন করা হয়। কমিটিকে আগামী ৯০ দিনের মধ্যে সম্মেলন করে পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠনের নির্দেশ প্রদান করা হয়। কমিটি জেলা শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষর করে অনুমোদন করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
চুলের কন্ডিশনার মধু!

নিয়মিত মধু ব্যবহার করলে ত্বক হয় উজ্জ্বল ও সুন্দর। ত্বকের প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে মধু। এতে রয়েছে অ্যান্টি-ফাঙ্গাল, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ভাইরাল উপাদান। এছাড়া ব্রণ, বলিরেখা ও রোদে পোড়া দাগ দূর করতে পারে এ প্রাকৃতিক উপাদান। জেনে নিন কীভাবে মধু আমাদের ত্বকের উপকারে অত্যন্ত কার্যকর-

১. ব্রণ দূর করে:
কিশোরী থেকে শুরু করে মোটামুটি সব বয়সের মানুষের জন্য ব্রণ একটি চিন্তার কারণ। মধুর অ্যান্টিফাঙ্গাল এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান ত্বকের লালচেভাব ও জ্বালাপোড়া কমিয়ে ত্বক ব্রণের হাত থেকে রক্ষা করবে। আক্রান্ত স্থানে মধু লাগিয়ে ১০-১৫ মিনিট পর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।

২. লোমকূপে জমে থাকা ময়লা পরিষ্কার করে
মধুতে আছে এনজাইম যা ত্বক ও লোমকূপের গভীরে জমে থাকা ময়লা পরিষ্কার করে। এছাড়াও মধুতে বিদ্যমান অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান, জজবা বা নারকেল তেল ত্বককে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়ার হাত থেকে রক্ষা করে। মধু এক ধরনের প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার। এটি বাতাস থেকে জলীয়কণা ত্বকের ভিতরে টেনে নেয় যা ত্বকের গভীরে নমনীয়তা ধরে রাখতে সাহায্য করে। দীর্ঘসময় ত্বকের নমনীয়তা ধরে রাখতে মধু দারুণ উপকারী।

৩. ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে:
এক টেবিল-চামচ জজবা তেল বা নারকেল তেলের সঙ্গে ১ টেবিল-চামচ বিশুদ্ধ মধু ভালোভাবে মিশিয়ে চোখের চারপাশের ত্বক বাদ দিয়ে মিশ্রণটি পরিষ্কার ও শুষ্ক ত্বকে হালকাভাবে হাত ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে মালিশ করতে হবে। তারপর কুসুম গরম পানিতে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে।

৪. ত্বকের কালো দাগ দূর করে:
বিভিন্ন কারণে ত্বকে দাগ হতে পারে যা ত্বকের সৌন্দর্য নষ্ট করে। মধু দাগ উঠিয়ে ত্বক করে উজ্জ্বল। এর ভেতরে থাকা অ্যান্টিইনফ্ল্যামটরি ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান ত্বকের কালো দাগ কমাতে এবং টিস্যু পুনর্গঠনে সাহায্য করে।

৫. চুলের কন্ডিশনার হিসেবে:
মধুতে থাকা এনজাইম অনুজ্জ্বল চুলকে উজ্জ্বল করে। পাশাপাশি নারকেল তেল চামড়ার বাহিরের স্তরে পুষ্টি জোগাতে সাহায্য করে। ১ টেবিল-চামচ বিশুদ্ধ মধুর সঙ্গে ২ টেবিল-চামচ নারকেল তেল মিশিয়ে রূক্ষ্ম চুলে ভালোমতো মালিশ করতে হবে। ২০ মিনিট রেখে তারপর ভালোভাবে মাথা পরিষ্কার করে ফেলুন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
হৃৎপিণ্ডে রক্ত চলাচলে সাহায্য করে আমড়া!

আমড়াতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, ফাইবার রয়েছে। আমড়া মাঝারি আকারের দেশি ফল। কাঁচা ফল টক বা টক মিষ্টি হয়, তবে পাকলে টকভাব কমে আসে এবং মিষ্টি স্বাদ পাওয়া যায়। আমড়া কাঁচা ও পাকা রান্না করে বা আচার বানিয়ে খাওয়া যায়। আমড়া জুলাই-আগস্টে বাজারে আসে আর থাকে অক্টোবর পর্যন্ত।

আমড়ায় প্রায় ৯০ শতাংশই পানি, ৪-৫ শতাংশ কার্বোহাইড্রেট ও সামান্য প্রোটিন থাকে। প্রতি ১০০ গ্রাম আমড়ায় ভিটামিন-সি পাওয়া যায় ২০ মিলিগ্রাম, ক্যারোটিন ২৭০ মাইক্রোগ্রাম, সামান্য ভিটামিন-বি, ক্যালসিয়াম ৩৬ মিলিগ্রাম, আয়রন ৪ মিলিগ্রাম। আমড়ায় যথেষ্ট পরিমাণ পেকটিনজাতীয় ফাইবার এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট জাতীয় উপাদান বিদ্যমান। সব উপাদান আপনার শরীরকে রাখে নানা রোগ থেকে মুক্ত।

আসুন জেনে নেয়া যাক আমড়ার কার্যকারীতা সম্পর্কে-

.চর্বি বা কোলস্টেরল কমিয়ে, হৃৎপিণ্ডে সঠিকভাবে রক্ত চলাচলে সাহায্য করে আমড়া। ওজন নিয়ন্ত্রণে আনতে খাবার টেবিলে অনায়াসে স্থান পাবে আমড়া। এতে চিনির পরিমাণ খুব কম। তাই উচ্চরক্তচাপ, ডায়াবেটিসের রোগীরাও খেতে পারেন নিশ্চিন্তে।

.দাঁতের মাড়ি শক্ত করে, দাঁতের গোড়া থেকে রক্ত, পুঁজ, রক্তরস বের হওয়া প্রতিরোধ করে আমড়া। আমড়ার ভেতরের অংশের চেয়ে বাইরের খোসাতে রয়েছে বেশি ভিটামিন সি আর ফাইবার বা আঁশ, যা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে করে দ্বিগুণ শক্তিশালী। আর আঁশজাতীয় খাবার পাকস্থলী (স্টমাক), ক্ষুদ্রান্ত, গাছহদন্ত্রের (পেটের ভেতরের অংশবিশেষ) জন্য আশীর্বাদ স্বরূপ।

.আমড়া খাবারের অরুচি দূর করে। শরীরের অতিরিক্ত উত্তাপ দূর করতে আমড়া অনেক কাজে লাগে। নিয়মিত আমড়া খেলে চুল, নখ, ত্বক অনেক সুন্দর থাকে। আমড়া পিত্ত ও কফ নিবারণ করে থাকে, কণ্ঠস্বর পরিষ্কার করে। এ ছাড়া রক্ত জমাট বাঁধার ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। সর্দি কাশির ক্ষেত্রেও এটি বেশ উপকারী ফল।

.ডায়াবেটিসের রোগীরা পাকা আমড়া পরিহার করুন। কারণ পাকা আমড়ায় সুগারের পরিমাণ কাঁচার তুলনায় বেশি থাকে। আমড়ায় প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা ক্যান্সার এবং কিছু মারাত্মক রোগ প্রতিরোধে অনেক সহায়তা করে থাকে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ভ্যালেন্সিয়ায় আটকে গেল রিয়াল মাদ্রিদ

দেপোর্তিভো লা করুনার বিপক্ষে ৩-০ গোলের জয় দিয়ে লা লিগার এবারের মৌসুমের শুরুটা ভালোভাবেই করেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। তবে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচেই ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে ২-২ গোলে ড্র করে হোঁচট খেয়েছে জিনেদিন জিদানের দল। শেষমুহূর্তে মার্কো অ্যাসেনসিও সমতাসূচক গোলটি না করতে পারলে হারের হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হতো রিয়ালকে।

নিজেদের মাঠে অবশ্য শুরুটা ভালোভাবেই করেছিল গতবারের শিরোপাজয়ীরা। ১০ মিনিটের মাথায় গোল করে দলকে এগিয়ে দিয়েছিলেন অ্যাসেনসিও। খুব বেশিক্ষণ অবশ্য এই লিড ধরে রাখতে পারেনি রিয়াল। ১৮ মিনিটের মাথায় গোল করে ম্যাচে সমতা ফিরিয়েছিলেন ভ্যালেন্সিয়ার তরুণ মিডফিল্ডার কার্লোস সোলের। প্রথমার্ধটাও শেষ হয়েছিল এই ১-১ ব্যবধানের সমতা দিয়ে।

দ্বিতীয়ার্ধে দারুণ আরেকটি গোল করেন লা লিগায় অভিষেক হওয়া জিওফ্রে কোনদোবিয়া। ৭৭ মিনিটের মাথায় রিয়ালের জালে বল জড়িয়ে দেন ভ্যালেন্সিয়ার এই মিডফিল্ডার। এ সময় হয়তো হারের আশঙ্কাই চেপে বসেছিল রিয়াল সমর্থকদের মনে। তবে শেষপর্যায়ে দলকে উদ্ধার করেছেন সেই অ্যাসেনসিও। ৮৩ মিনিটে তিনি করেছেন সমতাসূচক গোলটি। ফলে হোঁচট খেলেও অন্তত একটি পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়তে পেরেছে রিয়াল।

দুই ম্যাচ শেষে চার পয়েন্ট নিয়ে রিয়াল এখন নেমে গেছে পয়েন্ট তালিকার পঞ্চম স্থানে। সমানসংখ্যক পয়েন্ট নিয়ে তাদের ঠিক ওপরেই আছে আতলেতিকো মাদ্রিদ। আর দুই ম্যাচের দুটিতেই জয় দিয়ে প্রথম তিনটি স্থানের দখল নিয়েছে রিয়াল সোসিয়েদাদ, বার্সেলোনা ও লেগানেস।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মুসলিম প্রতিবেশীর সঙ্গে থাকতে নারাজ ইউরোপের নাগরিকেরা

রতিবেশী হিসেবে মুসলিমদের একেবারেই পছন্দ করছেন না ইউরোপিয়ানরা। সাম্প্রতি পাঁচ দেশের ১০ হাজার মানুষের উপর চালানো এক সমীক্ষায় এমন তথ্যই উঠে এসেছে।

ইউরোপের দেশগুলোতে ধর্মের গুরুত্ব ঠিক কতটা? কিংবা কেমন রয়েছে মুসলিম সমাজ? এই নিয়ে ধর্মীয় পর্যবেক্ষণ ২০১৭ নামের একটি প্রকল্পের অধীনে সমীক্ষা চালানো হয়। এই সমীক্ষার দায়িত্বে ছিল জার্মানির ব্রেটেলসম্যান স্টিফটাং ফাউন্ডেশন।

জার্মানি, অস্ট্রিয়া, সুইজারল্যান্ড, ফ্রান্স এবং ইংল্যান্ডের ১০ হাজার লোকের উপরে চালানো হয় সমীক্ষা। এই সমীক্ষা থেকে জানা গেছে, ইউরোপের প্রতি পাঁচ জন নাগরিক চায় না যে তাদের প্রতিবেশী হোক মুসলিম পরিবার।

ব্রেটেলসম্যান স্টিফটাং ফাউন্ডেশনের মতে, ‘সমীক্ষায় অংশ নেওয়া শতকরা ২০ ভাগ মানুষ বলেছেন তারা মুসলিম প্রতিবেশী সঙ্গে নিয়ে বাস করতে আগ্রহী নয়। ‘ যদিও মুসলিম প্রেস নামক একটি সংস্থার দাবি উক্ত পাঁচ দেশের ৩১ শতাংশ নাগরিক প্রতিবেশী হিসেবে ইসলাম ধর্মের বিশ্বাসী মানুষদের পছন্দ করে না। ইউরোপ মহাদেশের মধ্যে অস্ট্রিয়াতে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের সংখ্যা সব থেকে বেশি (২৮ শতাংশ)। অন্যদিকে, সব থেকে ১৪ শতাংশ মুসলিম নাগরিক নিয়ে কনিষ্ঠ স্থানে রয়েছে ফ্রান্স।

ব্রেটেলসম্যান স্টিফটাং ফাউন্ডেশনের করা সমীক্ষায় উঠে এসেছে আরও চাঞ্চল্যকর নানাবিধ তথ্য। ইংল্যান্ড ছাড়া ইউরোপের সর্বত্র চাকরির ক্ষেত্রে চরমভাবে অবহেলিত মুসলিমরা। শুধুমাত্র ধর্মের কারণে যোগ্যতা থাকলেও উপযুক্ত চাকরি দেওয়া হয় না মুসলিমদের। এই প্রবণতা সব থেকে বেশি দেখা যায় জার্মানিতে।

তবে আগের তুলনায় এখন ইউরোপের দেশগুলোতে অবস্থার উন্নতি হচ্ছে মুসলিমদের। এই তথ্যও পাওয়া গেছে ব্রেটেলসম্যান স্টিফটাং ফাউন্ডেশনের সমীক্ষায়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest