সর্বশেষ সংবাদ-
দেবহাটা উপজেলা জামায়াতের সুধী সমাবেশপ্রাণসায়ের খাল বাঁচাতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন ও সমাবেশদিনে ভোট, রাতে নয় আমার ভোট আমি দেব : আফরোজা আব্বাস অন্যায় কাজে কাউকে প্ররোচিত করবো না, উন্নয়নই হবে মূল লক্ষ্য : সাবেক এমপি হাবিবশোভনালীতে মানব পাচার প্রতিরোধ ও নিরাপদ অভিবাসন ডেস্ক উদ্বোধনআশাশুনির গোয়ালডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মানববন্ধনজবাবদিহিতা ও মানবাধিকার সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিতে গোলটেবিল সভাতালায় টিআরএম কার্যক্রমের বকেয়া ক্ষতিপূরণের দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলনপুজামণ্ডপে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে ব্যবস্থা: সাতক্ষীরার পুলিশ সুপারজলবায়ু পরিবর্তনে মানবাধিকার নিশ্চিতকরণে শ্যামনগরে এনগেজ প্রকল্পের অবহিতকরণ সভা

নায়করাজের নায়িকারা

ঢালিউডে নায়ক হিসেবে রাজ্জাকের প্রথম ছবি জহির রায়হানের ‘বেহুলা’ (১৯৬৬)। ‘বেহুলা’য় লখিন্দরের ভূমিকায় অভিনয়ের সুযোগ পান তিনি।
আর তার প্রথম নায়িকা সুচন্দা। বেহুলা ব্যবসা সফল হওয়ায় আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি রাজ্জাককে।

১৯৬৫ সালে পাক-ভারত যুদ্ধের পর ঢাকায় ভারতীয় ছবি আসা বন্ধ হয়ে যায়। বাংলা সিনেমার এখানকার দর্শক সেদিন উত্তম-সুচিত্রা জুটির পর রাজ্জাক-সুচন্দা জুটিকেই সাদরে নিয়েছিল। সামাজিক-পারিবারিক ছবি বা সে সময়ের লোককথার ছবিতে এ জুটি সমাদৃত হন।

ষাট দশকের সেই রোমান্টিক নায়িকা সুচন্দার সঙ্গে রাজ্জাকের দর্শকনন্দিত সিনেমাগুলো—আনোয়ারা (১৯৬৭), দুই ভাই (১৯৬৮), সুয়োরানী দুয়োরানী (১৯৬৮), কুচবরণ কন্যা (১৯৬৮), মনের মত বউ (১৯৬৯), সখিনা (১৯৬৯), জুলেখা (১৯৬৮), যোগ বিয়োগ (১৯৭০), জীবন থেকে নেয়া (১৯৭০), যে আগুনে পুড়ি (১৯৭০), সংসার (১৯৬৮), প্রতিশোধ (১৯৭২), জীবন সংগীত (১৯৭২) এবং অশ্রু দিয়ে লেখা (১৯৭২)।

সুদর্শন রাজ্জাক সুচন্দার পর শবনম, কবরী, ববিতা, শাবানাসহ তখনকার প্রায় সব অভিনেত্রীকে নিয়ে একের পর এক ব্যবসা সফল চলচ্চিত্র দেন ঢালিউডকে।

সুভাষ দত্ত পরিচালিত ‘আবির্ভাব’চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বাংলা সিনেমায় আবির্ভাব ঘটে রাজ্জাক-কবরী জুটির। একের পর এক ছবিতে অভিনয় করেছেন তারা। ‘নীল আকাশের নীচে’, ‘ময়নামতি’, ‘ক খ গ ঘ ঙ’, ‘ঢেউ এর পরে ঢেউ’এবং স্বাধীনতার পর ‘রংবাজ, ‘বেঈমান’সহ বিভিন্ন সফল ছবি উপহার দেন এই জুটি।

রাজ্জাক সবচেয়ে বেশি ছবিতে অভিনয় করেছেন শাবানার বিপরীতে। ১৯৭০ সালে ‘মধুমিলন’ ছবি দিয়ে রূপালি পর্দায় জুটি বাঁধেন তাঁরা। তারপর ‘অবুঝ মন’, ‘সাধু শয়তান’, ‘মাটির ঘর’, ‘দুই পয়সার আলতা’সহ অনেক সিনেমায় অভিনয় করেছেন তাঁরা।

রাজ্জাক-ববিতা জুটিকে নিঃসন্দেহেই বলা চলে ঢাকাই ছবির অন্যতম সেরা রোমান্টিক জুটি। এই জুটির সবচেয়ে আলোচিত ও সমাদৃত সিনেমা ‘অনন্ত প্রেম। এ সিনমায় চিত্রায়িত হয়েছিল বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের প্রথম চুম্বন দৃশ্য।

রাজ্জাক-ববিতা অভিনীত ‘অনন্ত প্রেম’ মুক্তি পায় ১৯৭৭ সালে। সেই সময়ের তুলনায় ছবিটি ছিল দারুণ সাহসী। ছবির শেষ দৃশ্যে নায়ক নায়িকার গভীর চুম্বনের দৃশ্য ছিল যা সেই সময়ে রীতিমতো হইচই ফেলে দিয়েছিল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
গাজরের যত গুণ

গাজরের যত গুণ

কর্তৃক Daily Satkhira

শীতকালীন সবজি হলেও গাজর সারাবছরই পাওয়া যায়। এটি খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমনি এর স্বাস্থ্যগত ও পুষ্টিগত উপকারিতাও অনেক বেশি। গাজর সর্বোৎকৃষ্ট মানের পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খাদ্য। যা বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। গাজরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ডি, ই, কে, বি১ এবং ভিটামিন বি৬। এছাড়াও এতে রয়েছে প্রচুর বায়োটিন, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, অর্গানিক সোডিয়াম এবং অন্যান্য খনিজ।

গাজরের ক্ষারীয় উপাদান রক্তের অম্লতা ও সুগারের সামঞ্জস্য ঠিক রাখে।

 রক্তে বিষক্রিয়ার ফলে সৃষ্ট হয় ব্রণ। গাজরের বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান ব্রণ প্রতিরোধে সহায়তা করে।

গাজরের এন্টি-অক্সিজেন্ট বিভিন্ন রোগ সংক্রামক থেকে শ্বাস-প্রশ্বাস পদ্ধতিকে নিরাপদে রাখে।

প্রতিদিন খাবারের সঙ্গে একটি করে গাজর খেলে ক্যান্সারের ঝুঁকি দূর করে।

গাজর মানব দেহের রক্ত কণিকা উৎপাদনে খুবই কার্যকর।

গাজরের জুস নিয়মিত পান করলে হৃদরোগ ও স্ট্রোক প্রতিরোধ করে।

গাজরের সার বস্তু রক্তের জলীয় ভাগ এবং কোলস্টেরলের মাত্রা কম রাখে

গাজরের জুস কফ, সাইনোসাইটিস, কণ্ঠনালীতে শ্লেষ্মাসহ বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করে।

গাজরের জুস নিয়মিত পানে শারীরিক অবসন্নতা দূর হয়।

গাজর শরীরে বিভিন্ন প্রজ্বলন ভাব, বাত রোগ ও গেঁটেবাত থেকে রক্ষা করে।

প্রতিদিন গাজরের জুস পান করলে সিগারেটের ধোঁয়ার ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে জীবন রক্ষা করে।

গাজরের পুষ্টিকর উপাদান চক্ষু সম্বন্ধীয় ক্রিয়া-পদ্ধতিকে উৎকৃষ্ট অবস্থায় রাখে।

গাজরের জুসের পুষ্টিকর উপাদান কিডনিকে পরিষ্কার ও পরিশ্রাবণ করতে সাহায্য করে।

গাজরে ভিটামিন সি এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান ত্বককে কোমল রাখে, ত্বকের শুষ্কভাব দূর করে এবং অন্যান্য সমস্যা দূর করে।

গর্ভাবস্থায় বিশেষ করে শেষের কয়েক মাস নিয়মিত গাজরের জুস পান করলে বাচ্চার জন্ডিসের সম্ভাবনা দূর হয়ে যায়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আমলকির যত গুণ

আমলকির যত গুণ

কর্তৃক Daily Satkhira

আমলকির ভেষজ গুণ রয়েছে অনেক। ফল ও পাতা দুটিই ওষুধরূপে ব্যবহার করা হয়। আমলকিতে প্রচুর ভিটামিন ‘সি’ থাকে। পুষ্টি বিজ্ঞানীদের মতে, আমলকিতে পেয়ারা ও কাগজি লেবুর চেয়ে তিন গুণ ও দশ গুণ বেশি ভিটামিন ‘সি’ রয়েছে। আমলকিতে কমলা লেবুর চেয়ে ১৫ থেকে ২০ গুণ বেশি, আপেলের চেয়ে ১২০ গুণ বেশি, আমের চেয়ে ২৪ গুণ এবং কলার চেয়ে ৬০ গুণ বেশি ভিটামিন ‘সি’ রয়েছে। এই আমলকি বিভিন্ন অসুখ সারানো ছাড়াও রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা গড়ে তুলতে দারুণ সাহায্য করে। আমলকির গুণাগুণের জন্য আয়ুর্বেদিক ওষুধেও এখন আমলকির নির্যাস ব্যবহার করা হচ্ছে।

আমলকি খাওয়ার উপকারিতা
ভিটামিন সি’সমৃদ্ধ আমলকিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান রয়েছে। আমলকি ত্বক, চুল ও চোখ ভাল রাখার জন্য উপকারী। এতে রয়েছে ফাইটো-কেমিক্যাল যা চোখের সঙ্গে জড়িও ডিজেনারেশন প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। আমলকি হজমে সাহায্য করে ও স্টমাকে আসিডের ব্যালেন্স বজার রাখে। আমলকি লিভার ভাল রাখে, ব্রেনের কার্যকলাপে সাহায্য করে ফলে মেন্টাল ফাংশনিং ভাল হয়।

আমলকি ব্লাড সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে রেখে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। কোলেস্টেরল লেভেলেও কম রাখাতে যথেষ্ট সাহায্য করে। হার্ট সুস্থ রাখে, ফুসফুসকে শক্তিশালী করে তোলে। শরীর ঠাণ্ডা রাখে, শরীরের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে, মাসল টোন মজবুত করে। লোহিত রক্তকণিকার সংখ্যা বাড়িয়ে তুলে দাঁত ও নখ ভাল রাখে। জ্বর, বদহজম, সানবার্ন, সানস্ট্রোক থেকে রক্ষা করে। আমলকির জুস দৃষ্টি শক্তি ভাল রাখার জন্য উপকারী। ছানি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। ব্রণ ও ত্বকের অন্যান্য সমস্যায় উপকারী। পেটের জ্বালাভাব কম রাখে। লিভারের কার্যকলাপে সাহায্য করে, পাইলস সমস্যা কমায়। শরীরের অপ্রয়োজনীয় ফ্যাট ঝরাতে সাহায্য করে। ব্রঙ্কাইটেসও এ্যাজমার জন্য আমলকির জুস উপকারী।

আমলকি গুঁড়োর সঙ্গে সামান্য মধু ও মাখন মিশিয়ে খাওয়ার আগে থেকে পারেন। খিদে বাড়াতে সাহায্য করে। এক গ্লাস দুধ বা জলের মধ্যে আমলকি গুঁড়ো ও সামান্য চিনি মিশিয়ে দিনে দু’বার খেতে পারেন। অ্যাসিডিটির সমস্যা কম রাখতে সাহায্য করবে। আমলকিতে সামান্য লবণ, লেবুর রস মাখিয়ে রোদে রাখুন। শুকিয়ে যাওয়ার পর খেতে পারেন। খাবারের সঙ্গে আমলকির আচার খেতে পারেন। হজমে সাহায্য করবে।

আমলকি মাঝারি আকারে টুকরো করে নিয়ে ফুটনত্ম জলের মধ্যে দিন। আমলকি নরম হলে তা নামিয়ে ঝরিয়ে লবণ, আদা কুঁচি, লেবুর রস মাখিয়ে রোদে রেখে দিতে পারেন। সারা বছরই ভাল থাকবে। এছাড়াও, প্যানক্রিয়াটাইটিস রোগের পরে ক্ষতিগ্রস্ত প্যানক্রিয়াস (অগ্ন্যাশয়) -এর ক্ষত সারাতে আমলকি কার্যকর। আমলকির ফল, পাতা ও ছাল থেকে তৈরি পরীক্ষামূলক ওষুধে কিছু রোগ নিরাময়ের প্রমাণ পাওয়া গেছে যেমন- ডায়াবেটিস, ক্যান্সার, প্রদাহ এবং কিডনি-রোগ।

আমলকি মানুষের রক্তের কোলেস্টেরল-মাত্রা হ্রাস করতে পারে বলে প্রমাণ রয়েছে ডায়াবেটিক ইঁদুরের উপর চালানো এক গবেষণায় দেখা গেছে, আমলকির রস রক্তের চিনির মাত্রা কমাতে পারে এবং লিভারের কর্মক্ষমতা পুনরোদ্ধারে সাহায্য করতে পারে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মুম্বাইয়ে ইভটিজিংয়ের শিকার ইলিয়ানা

ভারতের মুম্বাইয়ের রাস্তায় ভয়াবহ অভিজ্ঞতার শিকার হলেন অভিনেত্রী ইলিয়ানা ডি ক্রুজ। রাস্তায় নায়িকার গাড়ি আটকে ছয় তরুণ হেনস্থা করে এই অভিনেত্রীকে।
গাড়ির কাচ ও বনেটে ধাক্কা দেয় ইভটিজাররা। এমনকী, অভিনেত্রীকে ভয় পেতে দেখে হাসাহাসিও করে তারা। পুলিশে অভিযোগ না জানিয়ে, টুইটারে নিজের ক্ষোভ জানিয়েছেন নায়িকা নিজেই।

কয়েক দিন আগে মুম্বাইয়ে এক ফ্যাশন শো-তে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন ইলিয়ানা। যাওয়ার পথে এক ট্র্যাফিক সিগন্যালে দাঁড়ায় তাঁর গাড়ি। নায়িকার অভিযোগ, আচমকাই ছ’জন তরুণ তাঁর গাড়ির সামনে এসে দাঁড়ায়। গাড়ির জানলায় ধাক্কাধাক্কি করা শুরু করে। এমনকী গাড়ির বনেটের উপর উঠে বসে পড়ে তারা। গাড়িতে কোনও দেহরক্ষী না থাকায় স্বাভাবিক ভাবেই ভয় পেয়ে যান অভিনেত্রী।

ইলিয়ানা জানিয়েছেন, তাঁকে ভয় পেতে দেখে ইভটিজাররা আরও বেশি অসভ্য আচরণ শুরু করে। অভিনেত্রীকে নিরুপায় দেখে চলতে থাকে হাসাহাসিও।

এর পর সিগন্যাল সবুজ হতেই বেরিয়ে যায় নায়িকার গাড়ি। কিন্তু, তার পরেও চলে হেনস্থা। বেশ কিছুটা পথ বাইক নিয়ে ওই ইভটিজাররা তাঁর গাড়ির পিছনে ধাওয়া করে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।

ইলিয়ানা পুলিশের কাছে কোনও অভিযোগ না জানালেও, টুইটারে তাঁর অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘ভীষণ খারাপ একটা পৃথিবীতে আমরা বাস করি। আমি অত্যন্ত পরিচিত মুখ। … কিন্তু তার মানে এই নয় যে, আমার সঙ্গে কোনও পুরুষের খারাপ ব্যবহার করার অধিকার জন্মে যায়’!

এ ধরনের অসভ্যতাকে কখনওই ভক্তদের পাগলামি বলা চলে না বলেও টুইটারে মন্তব্য করেন ইলিয়ানার। এই ঘটনায় নিন্দার ঝড় উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। নায়িকার পাশে দাঁড়িয়েছেন শাহরুখ, নার্গিস ফাকরি, বরুণ ধাওয়ান থেকে দীপিকা পাড়ুকোন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
স্বাস্থ্য সুরক্ষায় চাল ধোয়া পানির ব্যবহার!

বাঙালিরা মাছে ভাতে বাঙালি। ভাত-মাছ বাঙালিদের প্রধান খাবার। বাঙালিরা তৃপ্তি করে ভাত খান। ভাত রান্নার আগে চাল ধুয়ে পানি অনেকে ফেলে দেন। এখন থেকে আর তা ফেলবেন না। বরং তা কাজে লাগান। ত্বক থেকে স্বাস্থ্য— সব কিছুরই খেয়াল রাখবে চাল ধোয়া পানি।

চাল-ধোয়া-পানিতে নির্দিষ্ট মাত্রার প্রোটিন, ভিটামিন ও অন্যান্য পুষ্টি-উপাদান থাকে। বিশেষ করে প্রথম ও দ্বিতীয়বার ধোয়ার সময় চাল থেকে প্রচুর পটাসিয়াম বের হয়ে যায়। এ পটাসিয়ামসমৃদ্ধ পানি ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। এই পানি কাচের বোতলে ভরে ফ্রিজে রেখেও ব্যবহার করা যাবে। জেনে নিন চাল ধোয়া পানির অজানা ব্যবহার-

১। ভাল করে চুল শ্যাম্পু করুন। এর পর কন্ডিশনারের মতো চুলে চাল ধোয়া পানি লাগিয়ে রাখুন। কয়েক মিনিট অপেক্ষা করার পর ধুয়ে ফেলুন। চালের প্রোটিন চুল গোঁড়া মজবুত করবে।

২। ত্বকে সংক্রমণ বা জ্বালাপোড়া থাকলে দিনে অন্তত দু’বার ১৫ মিনিট করে চাল ধোয়া পানিতে গোসল করুন। এতে শরীরের জ্বালাপোড়া দূর হবে। গোসলের সময় নিয়মিত চাল ধোয়া পানি ব্যবহার করলে ত্বকের পুষ্টির জোগান দেবে। ত্বক হবে আরো মসৃন। বয়সের ছাপও ত্বকে পড়বে দেরিতে।

৩। চাল ধোয়া পানিতে আট রকমের অ্যামিনো অ্যাসিড রয়েছে। যা মানুষের স্বাস্থ্য ভাল রাখে। তাই প্রতিদিন চাল ধোয়া পানি খেতেও পারেন। এতে স্বাস্থ্যর উপকার হবে অনেকটা।

৪। আমরা অনেকেই ব্রণের সমস্যায় ভুগে থাকি। ব্রণের সমস্যা দূর করতে চাল ধোয়া পানি খুবই উপকারী। তুলোয় করে এই জল দিয়ে ব্রণ-র উপরে লাগিয়ে রাখুন। ব্রণ তাড়াতাড়ি সেরে যাবে।

৫। ডায়রিয়ারও পথ্য চাল ধোয়া পানি। এক গ্লাস পানিতে সামান্য লবণ মিশিয়ে তা খেয়ে নিন। কারো ডায়রিয়া হলে ডাক্তার রাইস স্যালাইন পথ্য হিসেবে দিয়ে থাকেন। বাজারে তো রাইস স্যালাইন পাওয়াই যায়, তবে বাসাতেও কিন্তু আপনি অজান্তেই তা বানাচ্ছেন এবং ফেলেও দিচ্ছেন। ভাত হওয়ার পর তার পানিতে সামান্য লবন মিশিয়ে নিলেই কিন্তু তৈরি হচ্ছে স্বাস্থ্যকর রাইস স্যালাইন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ভেজাল প্যারাসিটামল সেবনে ২৮ শিশুর মৃত্যু;  স্বাস্থ্য সচিবকে হাইকোর্টে তলব

ভেজাল প্যারাসিটামল সেবনে ২৮ শিশু মৃত্যুর মামলায় ঔষধ প্রশাসনের দুই কর্মকর্তার গাফিলতিতে ব্যবস্থা না নেওয়ার বিষয়ে ব্যাখ্যা জানাতে স্বাস্থ্য সচিবকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। সোমবার (২১ আগস্ট) বিকেলে বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আগামী ২৩ আগস্ট সকাল সাড়ে ১০টায় স্বাস্থ্য সচিব সিরাজুল হককে আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে এক সম্পূরক আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ৩ আগস্ট ভেজাল প্যারাসিটামল সেবনে ২৮ শিশুমৃত্যুর ঘটনায় করা মামলা পরিচালনায় ‘অদক্ষতা ও অযোগ্যতার’ কারণে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের দুই কর্মকর্তার বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা জানাতে বলেছিলেন হাইকোর্ট।

এর ধারাবাহিকতায় স্বাস্থ্য সচিবের পক্ষ থেকে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো.আলতাফ হোসেন ও সহকারী পরিচালক মো. শফিকুল ইসলামকে সতর্ক করা হয়েছে। যদিও ইতিপূর্বে তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, সার্বিক প্রেক্ষাপট ও কাগজপত্র পর্যালোচনায় ওই দুই কর্মকর্তা আইনানুগভাবে কার্যক্রম সম্পন্ন করতে সক্ষম হননি। কিছু ক্ষেত্রে আইনের ব্যত্যয় ঘটেছে। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।

পরে মনজিল মোরসেদ সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনার পর তদন্ত কমিটির রিপোর্টে ওই দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গাফিলতির সত্যতা পাওয়া যায়। ইতিপূর্বে আদালত তাঁদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা জানাতে বলেছিলেন। স্বাস্থ্য সচিবের প্রতিবেদনে দেখা যায়, তাঁদের সতর্ক করে মাফ করে দেওয়া হয়েছে। এ অবস্থায় ওই দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, সে বিষয়ে ব্যাখ্যা জানাতে স্বাস্থ্য সচিবকে ২৩ আগস্ট সকাল সাড়ে ১০টায় আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ক্যান্সার প্রতিরোধ করবে দারুচিনি!

রয়েছে রান্নায় দারুচিনির বহুল ব্যবহার। প্রায় সবাই রান্নার সময় এই মসলা ব্যবহার করে থাকেন। দারুচিনিতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ফাইবার, আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ এবং কয়েক ধরনের এসেনশিয়াল অয়েল। দারুচিনিতে রক্তের শর্করার রোধক সহ উন্নত অসাধারণ ঔষধি গুণাবলী রয়েছে যা , প্রদাহ কমাতে এবং স্নায়বিক স্বাস্থ্য উন্নীত করতে সহায়তা করে।

এছাড়াও দারুচিনির অনেকে গুণাবলী রয়েছে, চলুন জেনে নেওয়া যাক সে সম্পর্কে-

ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণঃ
টাইপ-টু ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য দারুচিনি খুব উপকারি। কারণ, এটি রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। এছাড়াও দারুচিনি ব্লাডার ইনফেকশন কমাতে সাহায্য করে।

ওজন নিয়ন্ত্রণঃ
দেহের রক্ত তরল থাকতে সাহায্য করে দারুচিনি। রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে। মাত্র ২ ঘণ্টার মধ্যে রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ প্রায় ১০ শতাংশ কমিয়ে দিতে পারে দারুচিনি। দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে।

ব্যথা কমায়ঃ
ব্যাথা কমাতে দারুচিনি ও মধু দারুন কাজ করে । হাড়ের জোড়ায় ব্যথা হলে হাল্কা গরম পানিতে এক চামচ মধু এবং দারুচিনি গুড়ো মিশান এবং যে স্থানে ব্যাথা সে স্থানে আস্তে আস্তে মালিশ করুন। ২-৩ বার মালিশ করলেই ব্যাথা কমবে।

ক্ষত সারায়ঃ
বিশ্বের সেরা ৭ অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবারের তালিকায় রয়েছে দারুচিনি। শরীরের বিভিন্ন অংশের ক্ষত সারিয়ে তুলতে এই মশলা কার্যকর।

ক্যান্সার প্রতিরোধকঃ
গ্যাস্ট্রিক আলসার, মেলানোমা বা ত্বকের মেলানিন কোষ মিলে যে টিউমার হয়, তার সম্ভাবনা কমায় দারুচিনি। লিউকোমিয়া ও লিমফোমা ক্যানসারের কোষগুলির প্রভাব কমায়।

খাদ্য-বিষক্রিয়া রোধঃ
পাকস্থলীর ব্যাকটেরিয়া ও ফাঙ্গাস দমন করে দারুচিনি। অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল হিসাবে কাজ করে এই দারুচিনি। দারুচিনি ও মধু পেটে ব্যথা কমায় ও অ্যাসিডিটি দূর করে। রাতে ঘুমনোর আগে দারুচিনির সঙ্গে হরীতকীর গুঁড়ো মিশিয়ে খেলে পেট পরিষ্কার হয়। সূত্রঃ হেলথ লাইন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রাজ্জাক থেকে যেভাবে নায়করাজ

নায়করাজের মৃত্যুতে শোকাহত চলচ্চিত্র পরিবার। রাজ্জাকের মৃত্যুতে শোকাহত ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। কিংবদন্তি নায়করাজ রাজ্জাক সোমবার (২১ আগষ্বট) সন্ধ্যায় না ফেরার দেশে চলে গেছেন। সন্ধ্যা ৬টা ১৩ মিনিটে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৬বছর।

নায়করাজ দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত অসুখে ভুগছিলেন। এর আগে বেশ কয়েক দফা তিনি চিকিৎসা নিয়েছিলেন ইউনাইটেড হাসপাতালে। সম্প্রতি আবার শরীর খারাপ হলে তার পরিবার তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। অবশেষে আজ সোমবার তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, সন্তানসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

নায়করাজ বলতে এক জনকেই বোঝানো হয়। তিনি হলেন বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি নায়ক আবদুর রাজ্জাক। তিনি শুধু অভিনেতাই ছিলেন না, তিনি একাধারে প্রযোজক ও পরিচালক হিসেবে চলচ্চিত্র অঙ্গনে ভূমিকা পালন করেছেন।

ষাটের দশকের মাঝের দিকে তিনি চলচ্চিত্র অভিনেতা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। ষাটের দশকের বাকি বছরগুলোতে এবং সত্তরের দশকেও তাকে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পের প্রধান অভিনেতা হিসেবে বিবেচনা করা হত।

রাজ্জাক কলকাতার টালিগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। কলকাতার খানপুর হাইস্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ার সময় স্বরসতী পূজা চলাকালীন সময়ে মঞ্চ নাটকে অভিনয়ের জন্য তার গেম টিচার রবীন্দ্রনাথ চক্রবর্তী তাকে কেন্দ্রীয় চরিত্রের (নায়ক) জন্য বেছে নেন। এরপর থেকে তিনি কলকাতার মঞ্চ নাটকে জড়িয় পড়েন।

১৯৬৪ সালের দাঙ্গার উত্তাল সময়ে নতুন জীবন গড়তে একজন সাধারণ মানুষ হিসাবে তিনি পরিবারসহ ঢাকায় চলে আসেন।

রাজ্জাক তৎকালীন পাকিস্তান টেলিভিশনে ‘ঘরোয়া’ নামের ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করে দর্শকদের কাছে জনপ্রিয় হন। নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে তিনি আবদুল জব্বার খানের সঙ্গে সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করার সুযোগ পান।

সালাউদ্দিন প্রোডাকশন্সের তেরো নাম্বার ফেকু ওস্তাগড় লেন চলচ্চিত্রে ছোট একটি চরিত্রে অভিনয় করে সবার কাছে নিজ মেধার পরিচয় দেন রাজ্জাক। পরবর্তীতে কার বউ, ডাক বাবু, আখেরী স্টেশন-সহ আরও বেশ কয়েকটি ছবিতে ছোট ছোট চরিত্রে অভিনয়ও করে ফেলেন।

পরে ১৯৬৬ সালে বেহুলা চলচ্চিত্রে তিনি নায়ক হিসেবে ঢালিউডে উপস্থিত হন সদর্পে। কঠোর পরিশ্রম আর জীবনের প্রতিটি মহুর্তের সঙ্গে সংগ্রাম করে উপাধি পেয়েছেন নায়ক রাজ নাজ্জাক।

নায়ক রাজ প্রায় ৩০০টি বাংলা ও উর্দু চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। পরিচালনা করেছেন প্রায় ১৬টি চলচ্চিত্র।

১৯৯০ সাল পর্যন্ত বেশ দাপটের সঙ্গেই ঢালিউডে সেরা নায়ক হয়ে অভিনয় করেন রাজ্জাক। এর মধ্য দিয়েই তিনি অর্জন করেন নায়করাজ রাজ্জাক খেতাব। অর্জন করেন একাধিক সম্মাননা। এছাড়াও রাজ্জাক জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের শুভেচ্ছা দূত হিসেবে কাজ করেছেন।

সেরা অভিনয়ের জন্য এ কিংবদন্তি নায়ক তিনি বেশ কয়েকবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। ১৯৭৬, ১৯৭৮, ১৯৮২, ১৯৮৪, ১৯৮৮ সালে শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার পান। এছাড়া তাকে ২০১৩ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অনুষ্ঠানে আজীবন সম্মাননা দেয়া হয়।

পাশাপাশি সেরা অভিনয়ের জন্য নায়করাজকে ২০০৩ ইন্দো-বাংলা কলা মিউজিক পুরস্কার, খান আতাউর রহমান আজীবন সম্মাননা, ২০০৯ বাচসাস আজীবন সম্মাননা (চলচ্চিত্র), ২০১২ ইফাদ ফিল্ম ক্লাব আজীবন সম্মাননা, একই বছর ব্যাবিসাস আজীবন সম্মাননা ও ২০১৪ মেরিল প্রথম আলো আজীবন সম্মাননা দেয়া হয়।

রাজ্জাকের সেরা সিনেমাগুলোর মধ্যে রয়েছে- আখেরি স্টেশন, বেহুলা, আগুন নিয়ে খেলা, এতটুকু আশা, নীল আকাশের নীচে, ক খ গ ঘ ঙ, জীবন থেকে নেয়া, নাচের পুতুল, অশ্রু দিয়ে লেখা, অবুঝ মন, রংবাজ, আলোর মিছিল, কি যে করি, বাহাদুর, অনন্ত প্রেম, অশিক্ষিত, অগ্নিশিখা, ছুটির ঘণ্টা, মহানগর, বড় ভাল লোক ছিল, নাজমা, চন্দ্রনাথ, শুভদা, রাজলক্ষী শ্রীকান্ত, যোগাযোগ, অন্ধ বিশ্বাস, বাবা কেন চাকর

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest