সর্বশেষ সংবাদ-

সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় নিয়ে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে আরও কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আলোচনা এখনও শেষ হয়নি।
আরও আলোচনা হবে। শেষ হওয়ার আগে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না।

রবিবার সন্ধ্যায় গুলিস্তানে শেখ রাসেল রোলার স্কেটিং কমপ্লেক্সে এক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।

এর আগে, শনিবার রাতে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

ওবায়দুল কাদের বলেন, গতকাল আমি মাননীয় প্রধান বিচারপতির বাসায় গিয়েছিলাম। আলোচনা হয়েছে, আমি তার সঙ্গে ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ে যে পর্যবেক্ষণ, তার যে অবজারভেশন ছিল, সেগুলো নিয়ে আমি আমার পার্টির বক্তব্য তাকে জানিয়েছি। ‘

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

কেএম রেজাউল করিম : উপজেলার শ্রেষ্ঠ কাব শিক্ষক হিসেবে আব্দুল আজিজ মনোনীত হয়েছেন। দেবহাটা উপজেলা শিক্ষা পদক বাছাই কমিটি কর্তৃক উপজেলার শ্রেষ্ঠ কাব শিক্ষক হিসাবে তাকে মনোনয়ন করেছেন। আব্দুল আজিজ সখিপুর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা দীন আলী গাজীর পুত্র। সে উপজেলার সদরের দেবহাটা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন। তিনি একজন দক্ষ শিক্ষক এবং গুণী কণ্ঠ শিল্পী জনপ্রিয় হয়ে আছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ঝাউডাঙায় বিত্তশালী ও চাকরিজীবীদের দেয়া হয়েছে সোলার প্যানেল সংযোগ!

নিজস্ব প্রতিবেদক : টিআর ও কাবিটা প্রকল্পের আওতাধীন মসজিদ, মন্দির ও দুঃস্থ ব্যক্তিদের জন্য বরাদ্দকৃত সোলার প্যানেল নিয়মবহির্ভূতভাবে বিত্তশালী ও চাকুরিজীবীদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।
অভিযোগ, প্রত্যেকের কাছ থেকে আড়াই হাজার টাকা নিয়ে এক কাজ করেছেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙা ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড সদস্য মফিজুল ইসলাম।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অফিস সূত্রে জানা গেছে, টিআর, কাবিখা ও কাবিটা প্রকল্পে রাস্তা সংস্কার, মন্দির ও মসজিদ সংস্কারের বরাদ্দ চাল ও টাকার অর্ধেকাংশ সরাসরি প্রদান ও বাকি অর্ধেক বাবদ এক একটি প্রকল্পে একটি করে সোলার প্যানেল দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য প্রাপক প্রতিষ্ঠান বা দুঃস্থদের তালিকা তৈরি করে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অফিসে জমা দেবেন। সে অনুযায়ী সরকারিভাবে বরাত পাওয়া ইটকল সোলার কোম্পানি তালিকা অনুযায়ি সোলার প্যানেল নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানে বা বাড়িতে লাগিয়ে দেবেন। ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যরা তা দেখে ছাড়পত্র দিলেই ওই কোম্পানি বিল পাবেন।
ঝাউডাঙা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের যুগরাজপুর গ্রামের ধোনা সানার ছেলে মোসলেম আলী ও আতিয়ার রহমান বাবু জানান, গত জুন মাসে টিআর ও কাবিটা প্রকল্পের আওতাধীন সোলার প্যানেল পাওয়ার জন্য ইউপি সদস্য মফিজুল ইসলাম ২৫ জনের তালিকা তৈরি করেন। ওই তালিকা তৈরিতে অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে তিনি সরকারি চাকুরিজীবী ও বাড়িতে পল্লী বিদ্যুতের মিটার আছে, বিত্তশালী যাদের বাড়িতে পল্লী বিদ্যুতের মিটার আছে এমন লোকদের অন্তর্ভুক্ত করেন। এ জন্য তিনি প্রতি সোলার প্যানেল গ্রহীতার কাছ থেকে আড়াই হাজার করে টাকা নিয়েছেন। এমনকি একই পরিবারের পাঁচ ভাই এ সোলার প্যানেল পেয়েছেন যাদের প্রত্যেকের বাড়িতে পৃথক পৃথক মিটার আছে। এ ছাড়া বৈদ্যুতিক মিটার থাকার পরও নিজের ভাই ও চাচাত ভাই এমন পাঁচজনকে গত তিন চার দিনের মধ্যে সোলার প্যানেল লাগানোর ব্যবস্থা করেছেন।
সরেজমিনে শনিবার সকালে যোগরাজপুর গ্রামে যেয়ে দেখা গেছে পল্লী বিদ্যুতের মিটার থাকা আব্দুল খালেকের ছেলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে কর্মরত মেহেদীর বাড়িতে, জুডিশিয়াল কোর্টের পেশকারের পিওন রোজেন ইসলামের বাড়িতে, যোগরাজপুর পশ্চিমপাড়ার ইমান আলী মাস্টারের ছেলে শরিফুল্লাহ মোড়ল, আহসানউল্লাহ মোড়ল, শফিকুল্লাহ, আতাউল্লাহ ও ইমদাদ মোড়লের বাড়ি, বাবর আলীর ছেলে জালাল ও খোকনের বাড়িতে বৈদ্যুতিক মিটার থাকার পর ও সোলার প্যানেল লাগানো হয়েছে। একইভাবে বাবর আলীর ছেলে বিত্তশালী জালালউদ্দিন ও খোকনের বাড়িতে সোলার প্যানেল লাগানো হয়েছে। আব্দুল বারির ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান ও হাফিজুর রহমানের বাড়িতে লাগানো হয়েছে সোলার প্যানেল।
উত্তর দেবনগর গ্রামের অরুন ম-ল, অমল ম-ল, ছাতিয়ানতলা গ্রামের হরিপদ দাসসহ কয়েকজন জানান, তাদের মত অসহায় দরিদ্র পরিবারের সংখ্যা এ ওয়ার্ডে কম নয়। দুর্গম এলাকা হওয়ায় ইচ্ছা করলেই তারা টাকা খরচ করে বৈদ্যুতিক মিটার লাগাতে পারবেন না। তারা সোলার প্যানেল দাবি করলেও টাকা দিতে না পারায় তাদেরকে দেওয়া হয়নি। এ ছাড়া মফিজ মেম্বর স্বজন পোষন করে সোলার প্যানেল লাগিয়েছেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ঝাইডাঙা ইউপি সদস্য মফিজুল ইসলাম সোলার প্যানেল লাগানোর তালিকা তৈরিতে অনিয়ম হয়নি এমন কথা অস্বীকার করেই বলেন টাকা নেওয়ার ও ঢালাওভাবে অনিয়মের অভিযোগ ঠিক নয়।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরিষদের প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জালালউদ্দিন জানান, এ ধরণের অনিয়মের কথা তার জানা নেই। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

আসাদুজ্জামান : সাতক্ষীরার দৈনিক পত্রদুত সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ স.ম আলাউদ্দীন হত্যা মামলার জব্দ তালিকার একজন স্বাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহন করেছে আদালত। রোববার জনার্কীন আদালতে জেলা দায়ারা জজ জোয়াদ্দার আমিরুল ইসলাম উক্ত জবানবন্দি গ্রহন করেন। তবে ইতিপূর্বে জব্দ তালিকার অপর সাক্ষী শেখ নুরুল হকের সাক্ষ্য সম্পন্ন না হওয়ায় ২১ তম সাক্ষী শেখ আজমল হককে জেরা করেন নি আসামীপক্ষ। আগামী ২০ আগস্ট রোববার আদালত সাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন।
১৯৯৬ সালের ১৯ জুন দৈনিক পত্রদুত অফিসে কর্মরত অবস্থায় ঘাতকের গুলিতে প্রাণ হারাণ স্থানীয় দৈনিক পত্রদূত পত্রিকার সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ স.ম আলাউদ্দীন। এঘটনায় নিহতের ভাই স.ম নাসির উদ্দীন বাদি হয়ে অজ্ঞাত নামাদের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার ৫দিন পর পুলিশ শহরের সুলতানপুর থেকে যুবলীগ কর্মী কাজী সাইফুল ইসলামকে গ্রেফতার করে। সাইফুলের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী হত্যাকাণ্ডে ব্যবহত অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ। দীর্ঘ তদন্ত শেষে সিআইডি সুলতানপুরের সাইফুল্লাহ কিসলু (বর্তমানে মৃত) তার ভাই খলিলুল্লাহ ঝড়–, তার আর এক ভাই মোমিন উল্লাহ মোহন, আলিপুরের আব্দুস সবুর, নগরঘাটার আব্দুর রউফ, তার শ্যালক আবুল কালাম, সুলতানপুরের কাজী সাইফুল, আতিয়ার রহমান, এসকেন্দার মির্জা ও প্রাণসায়রের সফিউর রহমানকে আসামি করে চার্জশীট দাখিল করে।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করছেন পিপি এড. ওসমান গনি। তাকে সহায়তা করেন এড. এসএম হায়দার, এড. ফাহিমুল হক কিসলু, এড. তপন কুমার দাস। আসামী পক্ষের আইনজীবি ছিলেন, এড. আব্দুল মজিদ, জিএম লুৎফার রহমান প্রমুখ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
‘পুলিশকে আগে দু’বার দিয়েছি, আর টাকা দিতে পারবো না’

আব্দুল জলিল : ‘পুলিশকে আগে দ্ইুবার টাকা দিয়েছি। আমরা আর দিতে পারবো না। তাতে যদি আমার স্বামীকে মেরেও ফেলেন, তবে তার লাশটি আমার বাড়ি পৌঁছে দেবেন’।’
শনিবার রাতে পুলিশকে একথা বলেছেন সাতক্ষীরার সীমান্ত গ্রাম তলুইগাছার মাওলা বকসের স্ত্রী শাহানারা খাতুন। তিনি বলেন পুলিশ বাড়ি ঘর তল্লাশি করে কোনো কিছুই পায়নি। তবু তাকে ধরে নিয়ে গেছে।
শহানারা খাতুন অভিযোগ করে বলেন আমার স্বামী দীর্ঘদিন আগে বিভিন্ন মালামাল পারাপার করতো। কয়েক বছর আগে ছেড়েও দিয়েছে সে কাজ। গত বছর সাতক্ষীরা থানার এসআই আবুল কালাম তাকে ধরতে আসেন। তিনি বলেন ‘তোর ঘরে ১০ কেজি সোনা আছে। তুই সোনা পাচারকারী। গ্রেফতার হবি, না টাকা দিবি।’ শাহানারা বলেন শেষ পর্যন্ত রফা হয় দেড়লাখ টাকায়। জমি বন্ধক রেখে টাকা জোগাড় করে পুলিশকে দিয়েছিলাম। আক্ষেপ করে তিনি আরও বলেন এ ঘটনার মাস দুয়েক পর ফের আমার স্বামীকে গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেবার দিতে হয়েছিল আশি হাজার টাকা। রোববার রাতে আমার বাড়িতে ফের পুলিশ আসলে আমি বলি ‘আমার স্বামী আর টাকা দিতে পারবে না। তার কোনো অপরাধ নেই’।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে রোববার রাতে একদল পুলিশ মাওলা বকসের বাড়িতে হানা দেয়। রাতে ঘরের দরজা না খুলে মাওলা বকস নিজের লুঙ্গি গলায় পেচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তারপরও পুলিশের কবল থেকে নিজেকে রক্ষার জন্য ঘরের টিন উল্টে অপর একটি ঘরের চালে উলঙ্গ অবস্থায় উঠে পড়েন তিনি। এ সময় পুলিশ তাকে জানায় ‘তুমি নেমে এসো। তোমার ঘর তল্লাশি করে কিছু না পেলে চলে যাবো’। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন মাওলা বকস পুলিশের প্রতি আস্থা রেখে নেমে আসেন। এ সময় তার ঘর তল্লাশি করা হয়। কিন্তু ঘরে কিছুই পাওয়া যায়নি। পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাতক্ষীরা সদর থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হাসান বলেন ‘মাওলার বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসার অভিযোগ রয়েছে। এই অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে মাওলা বকস পুলিশের সাথে প্রতারণার লক্ষ্যে নিজ ঘরে আত্মহত্যার ভান করে। পরে ঘরের টিনের চাল উল্টে মাদকদ্রব্য সরিয়ে রেখে উলঙ্গ অবস্থায় চালের ওপর অবস্থান নেয়। আমরা পরে তাকে গ্রেফতার করি।’ এসআই নাজমুলের সাথে থাকা পুলিশের এএসআই সায়মুল ইসলাম জানান, ‘মাওলা বকস খুব খারাপ মানুষ। সে একজন মাদক পাচারকারী। তার স্ত্রী এবং মেয়েও এই ব্যবসা করে বলে অভিযোগ রয়েছে’। এ কারণেই তাকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মাওলা বকসের স্ত্রী শাহানারা কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন ‘আমার এক ছেলে বজলু মালয়েশিয়ায় থাকে। আরেক ছেলে মজনু চোখে দেখে না। এক মেয়ে স্কুলে পড়ে। সেও অসুস্থ। তাদের তো ভবিষ্যত আছে। আমি টাকা জোগাড় করে স্বামীকে বাড়ি আনলেই তো পুলিশ কাল আবার তাকে ধরে নিয়ে যাবে। তাই কোনো যোগাযোগ করিনি। থাকুক পুলিশের কাছে’।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

আসাদুজ্জামান : সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলায় বিজিবি মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ৫৫ বোতল বিদেশী মূল্যবান মদ জব্দ করেছে। রোববার সকালে উপজেলার উত্তর হাড়দ্দা কারিগর পাড়া এলাকা থেকে উক্ত মদ গুলো জব্দ করা হয়। জব্দকৃদ বিদেশী মদের (পিনকন) মূল্য ৮২ হাজার ৫’শ টাকা। তবে, এ ঘটনায় বিজিবি কোন চোরাকারবারীকে আটক করতে সক্ষম হননি।
বিজিবি জানায়, দেবহাটা সীমান্ত এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় মূল্যবান মদ আনা হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ১৭ বিজিবি ব্যাটেলিয়নের শাখরা বিওপির কমান্ডার নায়েব সুবেদার আব্দুর বারিক খান-এর নেতৃত্বে একটি টহল দল সকালে উপজেলার উত্তর হাড়দ্দা কারিগর পাড়া এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় সেখান থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ৮২ হাজার ৫’শ টাকা মূল্যের ৫৫ বোতল বিদেশী মদ জব্দ করা হয়। পরে জব্দকৃত মাদকদ্রব্যসমূহ ১৭ বিজিবি ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরে জমা রাখা হয়।
বিজিবি ১৭ ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন এ ঘটনা নিশ্চিত করে জানান, জব্দকৃত মাদকদ্রব্য সমুহ পরবর্তী যৌথ পর্ষদের উপস্থিতিতে বিশেষ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ধ্বংস করা হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

ঢালিউডের আলোচিত অভিনেতা সালমান শাহ হত্যা মামলার সাত নম্বর আসামি রাবেয়া সুলতানা রুবি পালিয়েছেন। আমেরিকার ফিলাডেলফিয়া থেকে পালিয়ে তিনি এখন নিউইয়র্কে আছেন।
সালমান শাহর মৃত্যু নিয়ে একাধিক ভিডিওবার্তায় পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দিয়ে আলোচনায় আসা রুবি নিজেই নিজের পালানোর তথ্য সবাইকে জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এখন যেখানে আশ্রয় পাবেন সেখানেই থাকবেন তিনি।

গতকাল শনিবার নিউ ইয়র্ক ভিত্তিক বাংলা টেলিভিশন চ্যানেল টাইম টিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রুবি জানান, তার দ্বিতীয় স্বামী জিন চেন । ১৯৮৬ সাল থেকে ১০ বছর জন চেনের সঙ্গে লিভ টুগেদার করেন এবং ১৯৯৭ সালে তারা বিয়ে করেন বলে উল্লেখ করেন। তার প্রথম স্বামী প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান হত্যাকাণ্ডের দায়ে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত ক্যাপ্টেন জামিল।

সাক্ষাৎকারে রুবি জানান, নিজে একসময় মদ্যপান করলেও এখন এসব বাদ দিয়ে ধর্মকর্ম করে শান্তি পাচ্ছেন। কিন্তু নিজের স্বামী এবং ছেলে তাকে চিকিৎসার জন্য এখন মানসিক রোগী হিসেবে দেখাতে চায়। তার ভাই রুমি এবং স্বামী জন চেন সালমান শাহ হত্যার সঙ্গে জড়িত বলে তিনি সন্দেহ করেন। তার সন্দেহ, সাক্ষী শেষ করে দেওয়ার জন্য তার ভাই রুমিকেও পরে হত্যা করা হয়েছে।

দেশে গিয়ে এসব ঘটনার কিছু জানা থাকলে তিনি জানাতে আগ্রহী কি না-এমন প্রশ্নের উত্তরে রুবি দেশে যাবেন না বলে জানান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

চিকিৎসকরা বারবারই বলেছিলেন, জীবন বাঁচাতে বাধ্য হলে মুক্তামনির আক্রান্ত ডান হাতটি কেটে ফেলতে হতে পারে। একইসঙ্গে তারা এও বলেছিলেন, কোনও প্লাস্টিক সার্জনই শরীরের কোনও অঙ্গ কেটে ফেলার পক্ষপাতী নন, তাদের কাছে মানুষ আসে অঙ্গ জোড়া দিতে। শনিবার (১২ আগস্ট) মুক্তামনির যে অপারেশন হয় তাতে তার হাতটি কাটার প্রয়োজন হয়নি, এ হাত অক্ষত রেখেই তিন কেজি ওজনের অতিরিক্ত মাংসপিণ্ড কেটে ফেলতে পেরেছেন তারা।

হাত না কেটে অস্ত্রোপচার সম্পন্ন করাকে চিকিৎসকরা দেখছেন সফলতা হিসেবেই। অস্ত্রোপচার শেষে তারা বলেছেন, ‘অপারেশন সফল হয়েছে। মুক্তামনি ভালো আছে। তার হাতের ডিজিজ পোরশন (রোগাক্রান্ত অংশ) কেটে ফেলতে আমরা সক্ষম হয়েছি। তবে এক অপারেশনেই এটা শেষ হবে না। আরও অন্তত ছয়টি অপারেশন করা লাগবে। মুক্তামনির জ্ঞান ফিরেছে, কথা বলেছে। এ সাফল্য আমাদের একার নয়। বার্ন ইউনিটসহ জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের (এনআইসিভিডি) সমন্বিত সাফল্য এটি। তার হাত ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে আসবে। প্রাথমিক সাফল্য বললেও এটা এখানেই শেষ নয়। ইটস লং ওয়ে টু গো।’

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের প্লাস্টিক সার্জন ও অ্যানেসথেসিয়া বিভাগ, ঢামেক হাসপাতালের অ্যানেসথেশিয়া বিভাগ এবং জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের ভাসকুলার সার্জারি বিভাগের চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত ৩০ জনের একটি চিকিৎসক দল এই অস্ত্রোপচারে অংশ নেন।

অস্ত্রোপচারে নেতৃত্ব দেন ঢামেক হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের পরিচালক ও বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম। তার সঙ্গে ছিলেন একই ইউনিটের সমন্বয়কারী ডা. সামন্ত লাল সেন, অধ্যাপক সাজ্জাদ খোন্দকার, অধ্যাপক রায়হানা আউয়াল, সহযোগী অধ্যাপক ডা. লুৎফর কাদের লেনিন, সহযোগী অধ্যাপক ডা. সালমা আনাম, সহকারী অধ্যাপক ডা. তাহমিনা সাত্তার, সহকারী অধ্যাপক রবিউল করিম খান, সহকারী অধ্যাপক ডা. শরীফ আশফিয়া রহমান, সহকারী অধ্যাপক ডা. তানভীর আহমেদ, সহকারী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হেদায়েত আলী খান, সহকারী অধ্যাপক প্রদীপ চন্দ্র দাস, সহকারী অধ্যাপক ডা. সালেক বিন ইসলাম, বার্ন ইউনিটের আবাসিক সার্জন হোসাইন ইমাম, জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. আবু ফয়সাল মো. আরিফুল ইসলাম নবীন ও ডা. শারমিন আক্তার সুমি, সহকারী রেজিস্ট্রার ডা.মাহবুব হাসান ও ডা. নুরুন নাহার লতা।

ছিলেন বার্ন ইউনিটের অ্যানেসথেসিয়া বিভাগের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ডা.মো. জাহাঙ্গীর কবীর, সহকারী অধ্যাপক ডা. মলয় কুমার দাস, জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মৌমিতা তালুকদার, ডা. রেবেকা সুলতানা ও ডা. মো. আনিসুর রহমান। ঢামেক হাসপাতালের অ্যানেসথেসিয়া বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মোজাফফর হোসেনসহ সহযোগী অধ্যাপক ডা. রাবেয়া বেগম, সহকারী অধ্যাপক ডা. সুব্রত কুমার মণ্ডল ও ডা. তানভীর আলম এবং সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. শফিকুল আলমও ছিলেন।

জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালের ভাসকুলার সার্জারি বিভাগের অ্যানেসথেসিয়া অধ্যাপক ডা. নরেশ চন্দ্র মণ্ডল ও সহযোগী অধ্যাপক ডা. মকবুল হোসেনও উপস্থিত ছিলেন।

মুক্তামনির এই সফল অস্ত্রোপচারের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম চিকিৎসকদের ধন্যবাদ জানান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest