সর্বশেষ সংবাদ-
গণভোটসহ ৫ দফা দাবিতে সাতক্ষীরা জামায়াতের বিক্ষোভসাতক্ষীরায় প্রকাশ্যে চেতনানাশক স্প্রে করে এক নারীর গহনা ও মোবাইল ছিনতাইসাতক্ষীরায় উপকূলীয় এলাকায় ক্রীড়া উৎসব১২ নভেম্বরকে ‘উপকূল দিবস’ ঘোষণার দাবিসড়ক দুর্ঘটনায় আহত জামায়াতে ইসলামী সাতক্ষীরা জেলা সেক্রেটারিসাতক্ষীরা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির নির্বাচন : জামায়াত সমর্থিত ৫টি পদে বিজয়সাতক্ষীরায় মুক্তিযোদ্ধার সনদ জালিয়াতির অভিযোগে চাকুরিচ্যুত দুই শিক্ষক ভ্রাতা চাকুরি ফিরে পেতে মরিয়াসাতক্ষীরায় অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকদের দ্রুত এমপিওর জন্য মতবিনিময় Master Your Game with These Winning Strategies at Kyngs Casinoসাতক্ষীরার চারটি আসনই ধানের শীষে ভোট দিয়ে বিজয়ী করতে হবে – হাবিবুল ইসলাম

সাতক্ষীরা শিল্প ও বণিক সমিতি নিয়ে একটি অশুভ চক্র খেলছে — সভাপতির প্রেস ব্রিফিং

আসাদুজ্জামান : সাতক্ষীরা শিল্প ও বণিক সমিতি নিয়ে একটি অশুভ চক্র খেলা খেলছে উল্লেখ করে সংগঠনটির সভাপতি নাসিম ফারুক খান মিঠু বলেন, শিল্প ও বণিক সমিতিকে আরও এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে আমরা আলাপ আলোচনা ও সমঝোতার মাধ্যমে একটি গ্রহণযোগ্য কমিটি গঠন করতে চাই। আর এর সভাপতিও হবেন এমন একজন ব্যক্তি যিনি রাজনৈতিক নয় বরং চেম্বারের সহায়তায় কাজ করবেন।
শুক্রবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এসে এক অনির্ধারিত প্রেস ব্রিফিংয়ে নাসিম ফারুক খান মিঠু একথা বলেন। এ সময় তার সাথে আরও উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা চেম্বারের সাবেক সভাপতি আবদুল মান্নান, মো. গোলাম আাযম, মনিরুল ইসলাম মিনি, সৈয়দ শাহিনুর আলি, মো. মনিরুজ্জামান মুকুল, মহসিন হোসেন প্রমুখ পরিচালকবৃন্দ।
মিঠু খান আরও বলেন, আগামী ডিসেম্বরে সাতক্ষীরা চেম্বারের নির্বাচন। আমরা ভোটাভুটি না করে সমঝোতা সৃষ্টির লক্ষ্যে কর্মকর্তা তাহমিদ শাহেদ চয়ন, আবদুল মান্নান, মনিরুল ইসলাম মিনি ও সৈয়দ শাহিন আলির ওপর সমিতির পক্ষ থেকে দায়িত্ব দিয়েছিলাম। কিন্তু তাদের সব প্রচেষ্টা প্রাথমিকভাবে ব্যর্থ হয়ে গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কিছু সদস্য বলছেন তাহমিদ শাহেদ চয়নকে সভাপতি করা হলে সমঝোতা হবে, অন্যথায় নয়। তিনি আরও বলেন, এটা কোনো সমঝোতামূলক প্রস্তাবনা হতে পারে না।
নিজে পর পর তিনবার সাতক্ষীরা চেম্বারের সভাপতি ছিলেন উল্লেখ করে মিঠু খান বলেন, চেম্বার পরিচালিত হয় ট্রেড অরগানাইজেশন রুল ও গঠনতন্ত্র অনুযায়ী। সরকার এখানে ১০০ টাকাও দেয় না জানিয়ে তিনি বলেন, সব টাকা আসে সদস্যদের নবায়ন ফিসের মাধ্যমে। তিনি বলেন এখানে দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ লোপাট করার কোনো সুযোগ নেই। সাতক্ষীরা চেম্বারে ১০০০ থেকে ১২০০ সদস্য ও ২০ জন পরিচালক রয়েছেন। আমি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলছি আগামি নির্বাচনে আমি প্রতিদ্বন্দ্বী হবো না। বরং একজন জ্যেষ্ঠ পরিচালককে আমরা আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সভাপতি বানাতে চাই। তিনি বলেন, তার সময়কালে সাতক্ষীরা বিসিকে ৭১ লাখ টাকা এসেছে। মিঠু খান বলেন, ভোমরা বন্দরের প্রতিষ্ঠাতা প্রাণপুরুষ শহিদ স ম আলাউদ্দিনের প্রতিটি মৃত্যুবার্ষিকী চেম্বারে পালিত হয়েছে। ভোমরা বন্দর নানাভাবে বৈষম্যের শিকার উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভোমরা বন্দরে সব পণ্য আমদানি রফতানির সুযোগ নেই।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশুরার দিনে দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন নয় : মমতা

এবার হিন্দুদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজার শেষ দিন অর্থাৎ বিজয়া দশমী ৩০ সেপ্টেম্বর। এর পরদিন ১ অক্টোবর মুসলিমদের শোকের দিন পবিত্র আশুরা।

এ অবস্থায় আশুরার দিন পশ্চিমবঙ্গে দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন না করার নির্দেশনা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী।

দেশের জনপ্রিয় একটি গণমাধ্যম এনডিটিভির বরাত দিয়ে জানা যায়, বুধবার দুর্গাপূজার আয়োজক, মুসলিম ও অন্য ধর্মাবলম্বী নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে এ নির্দেশনা দেন মমতা।

তিনি বলেন, বিজয়া দশমীর দিন সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত প্রতিমা বিসর্জন চলবে। তবে পরদিন আশুরা উপলক্ষে বিসর্জন বন্ধ থাকবে। এর পরদিন ২ অক্টোবর থেকে প্রতিমা বিসর্জন চলবে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আশুরার দিনের শোক পালনের প্রস্তুতি আগের দিন সন্ধ্যা থেকেই শুরু হয়। পরদিন চলে তাজিয়া মিছিলসহ নানা ধর্মীয় কর্মসূচি। এসময় যেকোনো ধরনের সমস্যা এড়ানোর জন্য ও ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখতেই দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন বন্ধ থাকবে।

এদিকে মমতা ব্যানার্জীর এ সিদ্ধান্তের পরপরই এর বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া আসতে থাকে। কেউ কেউ তাকে সংখ্যালঘু তোষণকারী মুখ্যমন্ত্রীও বলেছেন। বিষয়টি নিয়ে রাজনীতির মাঠও বেশ গরম হয়ে উঠেছে।

বিজেপির পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের প্রধান দিলিপ ঘোষাল রূঢ় প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ কি তালেবানি শাসনের দিকে ধাবিত হচ্ছে? স্কুলে স্কুলে স্বরস্বতী পূজা বন্ধ করা হচ্ছে, দুর্গা পূজায় প্রতিমা বিসর্জন বারবার বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, বাংলায় উর্ধু-আরবি শব্দের (আব্বা, আম্মা, আসমানি) ব্যবহার বাড়ছে… এসব তো তারই প্রমাণ। এরপর দিদিমনিকে (মমতা ব্যানার্জি) আমাদের উর্দুতে আপা বলতে হবে।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
৩৯ মণের ষাঁড় রাজা বাবুও উঠবে কোরবানির হাটে

ঈদুল আজহার কোরবানির হাটে ওঠাতে খুব আদর-যত্নে রাজা বাবুকে বড় করেছেন স্কুলছাত্রী ইতি আক্তার ও তার বাবা-মা। এক বছরেই ষাঁড়টির ওজন বেড়ে হয়েছে প্রায় ৩৯ মণ!

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার দেলুয়া গ্রামের বাসিন্দা ইতির বাবা খান্নু মিয়া গত বছর ঢাকার কেরাণীগঞ্জ থেকে ফিজিয়ান জাতের ষাঁড়টি কিনে আনেন। বাড়িতে ঢোকামাত্রই ইতি সেটির নাম দেয় রাজা বাবু।
এখন সেই রাজা বাবুই সাটুরিয়ার সবচেয়ে বড় কোরবানির পশুতে পরিণত হয়েছে। ইতিদের পরিবারের জীবন-জীবিকার অবলম্বন ষাঁড়টিকে বিক্রি করে ভালো লাভবান হওয়ার আশা করছেন তার বাবা খান্নু মিয়া।
দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ইতি বাবা-মায়ের পাশাপাশি অবসর সময়ে বেশ যত্ন নেয় রাজা বাবুর। ঈদের বাকি মাত্র আর সপ্তাহ খানেক। এ সময়ের মধ্যেই বিদায় দিতে হবে আদরের ষাঁড়টিকে। তাই বছরের অন্য সময়ের চেয়ে রাজা বাবুকে নিয়ে এখন অনেক বেশি ব্যস্ত ইতি।
বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) বিকেলে সরেজমিনে গেলে ইতি আক্তার জানায়, রাজা বাবু নামে ডাকলেই সাড়া মেলে ওই ষাঁড়টির। ওর প্রতিদিনের খাবারেই ব্যয় হয় হাজার টাকার বেশি। তালিকায় থাকে কুড়া, ভূষির পাশাপাশি মিষ্টি লাউ, দেশি লাউ, সবরি কলা ও বিচি কলা, ছোলা, ভূট্টা, খড় ও কাঁচা ঘাস।
ইতির মা পরিস্কার বিবি জানান, রাজা বাবুর মাথার ওপরে সব সময়ই ঘোরে বিদ্যুৎ চালিত দু’টি ফ্যান। বিদ্যুৎ না থাকলে নিজেরাই হাতপাখা দিয়ে বাতাস করেন। সকালে একবার পরিষ্কার করতে হয়, দুপুরে প্রতিদিন একই সময়ে শ্যাম্পু দিয়ে গোসল করিয়ে পুরো শরীর মুছে দিতে হয় খুব ভালোভাবে। দিনের বিভিন্ন সময়ে ব্যায়ামও করাতে হয় তাকে।
খান্নু মিয়া জানান, গরু-ষাঁড় লালন-পালন ও দু’টি গাভির দুধ বিক্রি করেই চলে তার সংসার। রাজা বাবু ছাড়াও ছোট ছোট আরও দু’টি ষাঁড় গরুও রয়েছে তাদের।
সাটুরিয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. খোরশেদ আলম জানান, কোরবানিতে বিক্রি করতে প্রায় ৭ হাজার গরুকে মোটা-তাজা করা হয়েছে। সর্বশেষ পরিমাপ অনুসারে রাজা বাবুর ওজন প্রায় ৩৯ মণ, যা উপজেলার সর্বোচ্চ।
সাটুরিয়া উপজেলায় এমন বড় আকৃতির আর কোনো ষাঁড় নেই বলেও জানান তিনি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দুর্নীতির দায়ে ‘স্যামসাং প্রধান’র ৫ বছর কারাদণ্ড

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দুর্নীতির দায়ে স্যামসাং গ্রুপের ‘আপাতত-প্রধান’ লি জি ইয়ংকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির একটি আদালত। একই দুর্নীতির অভিযোগেই ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিল প্রেসিডেন্ট পার্ক জুন-হাইকে।
শুক্রবার (২৫ আগস্ট) বিচারিক আদালত এ রায় দেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ইংলাক সিনাওয়াত্রার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : থাইল্যান্ডের ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে দেশটির সর্বোচ্চ আদালত। দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগে দায়ের হওয়া একটি মামলায় আদালতে হাজির না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে এ পরোয়ানা জারি করা হয়।
শুক্রবার (২৫ আগস্ট) দেশটির সুপ্রিম কোর্ট এ রায় দেয়। ওইদিন মামলার রায় দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অসুস্থতার কারণে ইংলাক এদিন আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি।
আদালতের হাজির না হওয়ার বিষয়ে ইংলাকের আইনজীবীরা তার অসুস্থতার কথা বলেন। এ সময় আইনজীবীরা বলেন, কানের সমস্যায় ভুগছেন ইংলাক। তাই আদালতে হাজির হতে পারেননি। এ জন্য সময়ের আবেদন করছি।
তবে এর স্বপক্ষে আদালতে কোনো ধরনের চিকিৎসার কাগজপত্র দেখাতে পারেননি আইনজীবীরা। তাদের ব্যাখ্যা খারিজ করে দিয়ে ইংলাকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
এদিকে দেশটির লাকসি জেলায় আদালতের সামনে হাজারো সমর্থক জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করছেন। বৃহস্পতিবার সমর্থকদের ইংলাক বলেন, শুক্রবার তিনি বাড়িতেই থাকবেন, আদালতে যাবেন না।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
পাকিস্তান সফরে বিশ্ব একাদশ ঘোষণা

আগামী মাসে লাহোরে তিনটি টি-২০ খেলতে পাকিস্তান সফর করার জন্য ফাফ ডু প্লেসিসকে বিশ্ব একাদশের অধিনায়ক পদে নিযুক্ত করা হয়েছে।

১৪ সদস্যের স্কোয়াডের ভিতরে, হাশেম আমলা, মরনে মরকেল, ডেভিড মিলার ও ইমরান তাহির দক্ষিণ আফ্রিকার খেলোয়াড়। অস্ট্রেলিয়ার  থেকে তিন জন খেলোয়াড় খেলবেন তারা হলেন – জর্জ বেইলি, বেন কাটিং এবং উইকেটকিপার টিম পেইন এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেকে দুই জন  ব্যাটসম্যান  খেলবেন। ড্যারেন স্যামি এই বছরের শেষ দিকে পিএসএল ফাইনাল খেলছেন। আর ইংল্যান্ড, বাংলাদেশ, নিউজিল্যান্ড এবং শ্রীলংকা থেকে এক জন করে খেলোয়াড় রয়েছে।

তিনটি টি-২০ ম্যাচের সিরিজটি ১২সেপ্টেম্বর শুরু হবে, আগামী ১৩ ও ১৫ সেপ্টেম্বর পরের দুটি টি-২০ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। জিম্বাবুয়ের সাবেক অধিনায়ক ও ইংল্যান্ডের কোচ অ্যান্ডি ফ্লাওয়ারকে বিশ্ব একাদশের কোচ করা হয়েছে।

বিশ্ব একাদশঃ

ফাফ ডু প্লেসিস (অধিনায়ক), হাশিম আমলা, স্যামুয়েল বদ্রি, জর্জ বেইলি, পল কলিংউড, বেন কাটিং, গ্রান্ট ইলিয়ট, তামিম ইকবাল, ডেভিড মিলার, মরনে মরকেল, টিম পেইন, থিসারা পেরেরা, ইমরান তাহির, ড্যারেন স্যামি।

 সূত্রঃ ইএসপিএন ক্রিকইনফো

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাকে নিয়ে টেলিগ্রাফের রিপোর্ট

বাংলাদেশে বিচার বিভাগ ও জাতীয় সংসদের মধ্যে বিরোধ পূর্ণাঙ্গ সঙ্কটে রূপ নিয়েছে। পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট সম্প্রতি সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফকে অযোগ্য ঘোষণা করেছেন। বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা সে বিষয়টি পুনরুল্লেখ করায় তার তীব্র সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্য দিয়ে ওই সঙ্কট তীব্র আকার ধারণ করেছে। ২২ শে আগস্ট ভারতের অনলাইন দ্য টেলিগ্রাফে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব কথা লিখেছেন সাংবাদিক দেবাদীপ পুরোহিত।

‘জাজ ফেসেস হাসিনাজ আয়্যার- চিফ জাস্টিসেস শরীফ রেফারেন্স স্পার্কস আউস্টার কলস’ শীর্ষক প্রতিবেদনে তিনি আরো লিখেছেন, প্রধানমন্ত্রীর সুরে সুর মিলিয়েছেন তার সমর্থকরা। প্রধান বিচারপতির পদত্যাগ দাবি করা হয়েছে। বাংলাদেশে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের আইনজীবীদের সংগঠনের এক মিটিংয়ের পরে দ্য টেলিগ্রাফকে আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক শ.ম. রেজাউল করিম বলেছেন, পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফকে অযোগ্য ঘোষণা করেছে। তা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হুমকি দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। প্রধান বিচারপতিকে পদত্যাগ করতে হবে।

রিপোর্টে আরো লেখা হয়েছে, সন্ধ্যার দিকে ঢাকা থেকে বিভিন্ন সূত্র নিশ্চিত করেছেন যে, প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার পদত্যাগ অথবা ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র। রেজাউল করিম জানান, আদালতের ক্ষমতার বিষয়ে শুনানিতে ( সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী) প্রধান বিচারপতি পাকিস্তানে নওয়াজ শরীফকে বরখাস্তের প্রসঙ্গ তুলেছেন। তাই তার ওপর পদত্যাগের চাপ বাড়াতে দল ধারাবাহিক প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে যাবে। সরকার এবং সুপ্রিম কোর্টের মধ্যে এই দ্বন্দ্বের মূল কারণ হলো প্রধান বিচারপতি নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চের একটি সিদ্ধান্ত। সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করে দেয়া হয় ওই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে। ওই সংশোধনীতে সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের অভিশংসনের ক্ষমতা জাতীয় সংসদের হাতে দেয়ার প্রস্তাব ছিল। রাজনৈতিক বিষয়ে এই রায়ে বেশ কিছু পর্যবেক্ষণ ছিল। এটা নিয়ে ক্ষমতাসীন দলের নেতারা অসন্তুষ্ট হয়েছেন।

ওই রায় হওয়ার পরে প্রকাশ্যে বিচারপতি সিনহার সমালোচনা করেছেন আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা। সুপ্রিম কোর্টের সূত্র বলেছেন, কেন পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টের রায়কে উদ্ধৃত করেছেন প্রধান বিচারপতি তা ব্যাখ্যার চেষ্টা করেছেন প্রধান বিচারপতি। কিন্তু তাতেও সেই অবস্থার উন্নতি হয় নি। একটি মামলার শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমকে উদ্দেশ্য করে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেছেন, বিচার বিভাগ অত্যন্ত ধৈর্য ধরেছে। আমরা অনেক ধৈর্য ধরছি। পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট  (সেখানকার) প্রধানমন্ত্রীকে সরিয়ে দিয়েছে। তা নিয়ে কি কোনো সমালোচনা হয়েছে? না (হয় নি)। আমি যেটা বলতে চাইছি তা হলো আমাদেরকে আরো পরিপক্ব হতে হবে।

পাকিস্তানকে রেফারেন্স হিসেবে তুলে ধরায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। পাকিস্তানকে এখনও সংখাগরিষ্ঠ বাংলাদেশি প্রতিপক্ষ হিসেবে মনে করে। ওই দেশকে রেফারেন্সে তুলে ধরায় নীরবতা ভেঙেছেন প্রধানমন্ত্রী হাসিনা। তিনি প্রধান বিচারপতির সমালোচনা শুরু করেছেন। তিনি বলেছেন, আমরা সব কিছু সহ্য করতে পারি। কিন্তু পাকিস্তানের সঙ্গে (বাংলাদেশকে) তুলনা? এটা মোটেও সহ্য করার মতো নয়।

প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর এমন প্রতিজবাবে বিরোধে এক নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। কয়েক ডজন সম্ভাব্য পরিণতি নিয়ে ঢাকায় গুজব ডালপালা মেলেছে। আওয়ামী লীগপন্থি শিবির থেকে বলা হচ্ছে, প্রধান বিচারপতি চলে যাওয়ার পথে রয়েছেন। বাংলাদেশে সরকার ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সংঘাত বা দ্বন্দ্ব নতুন কিছু নয়। ৯ মাসের রক্তাক্ত স্বাধীনতা লড়াইয়ের মাধ্যমে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা লাভ করে এ দেশটি। এরপর গত ৪৬ বছরে এখানে কয়েকজন প্রেসিডেন্টকে হত্যা করা হয়েছে। রক্তাক্ত অভ্যুত্থান হয়েছে। সেনা শাসকরা ক্ষমতায় এসেছেন। এসেছে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকার। ক্ষমতায় এসেছে সেনা সমর্থিত বেসামরিক সরকার।

তবে আগস্ট মাসটি নানা কারণে ব্যতিক্রমী। প্রথমত: দীর্ঘ দিন একই অবস্থানে ছিলেন সাংবিধানিক দুই শীর্ষ প্রধান শেখ হাসিনা ও বিচারপতি এসক কে সিনহা। প্রধান বিচারপতিকে তার পদে তুলে এনেছেন হাসিনা। বাংলাদেশে সুপ্রিম কোর্টের প্রথম কোনো হিন্দু প্রধান বিচারপতি বানিয়েছেন তাকে। কিন্তু পরিস্থিতি কেন এমন হলো। এর মধ্যে কি এর চেয়েও বেশি কিছু রয়েছে?
দ্বিতীয়ত: ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করে দেয়ার পর উত্তেজনা নিরসনে বাংলাদেশে ক্ষমতার করিডোরের বেশ কিছু নিয়ামক প্লেয়ারের ( কী প্লেয়ার) চেষ্টা সত্ত্বেও সুপ্রিম কোর্ট এবং গণভবনের মধ্যে দূরত্ব বেড়েছে। গণভবন হলো প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন।

আওয়ামী লীগের একজন নেতা বলেছেন, সংশোধনী বাতিল হওয়ার পর প্রেসিডেন্ট (আবদুল হামিদ) ও সিনিয়র মন্ত্রীরা একটি সমঝোতার চেষ্টা করেছিলেন। এই অবস্থায় প্রধান বিচারপতি ওই রকম একটি বিবৃতি দিয়েছেন। এটা বিস্ময়কর।

শেষ পর্যন্ত, এ সঙ্কট প্রকাশ হয়েছে এমন এক সময়ে যখন বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে পরবর্তী জাতীয় নির্বাচনের দিকে। আগামী বছর ২০১৮ সালের শেষের দিকে এ নির্বাচন হওয়ার কথা। ঢাকায় অবস্থানরত একজন কূটনীতিক বলেছেন, যা ঘটছে তা দুর্ভাগ্যজনক। এটা দেশের বিষয়গুলোকে শুধু জটিলই করবে। নির্বাচনকে সামনে রেখে সুবিধা পাবে শুধু বিএনপি নেতৃত্বাধীন বিরোধীরা।

বিরোধীরা প্রায় ১১ বছর ক্ষমতার বাইরে। তাদের সাংগঠনিক সক্ষমতাও দুর্বল হয়েছে। তারা উদ্ভুত পরিস্থিতিকে ব্যবহার করছে সরকারকে ঘায়েল করতে, সরকার প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণে পড়েছে বিব্রতকর অবস্থায়।  বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সংশোধনের পথ পরিহার করে সরকার আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে সুপ্রিম কোর্টের ওপর। বিচার বিভাগের স্বাধীনতাকে খর্ব করার চেষ্টা করছে সরকার। এ বিষয়টি আমরা বিশ্বকে জানাবো। ওদিকে ব্যবস্থাপনা বিষয়ক বিশেষজ্ঞ ও আওয়ামী লীগপন্থি ভাষ্যকার মোহাম্মদ এ আরাফাত মনে করেন, বিএনপির এই অভিযোগ অসঙ্গত বা পরস্পরবিরোধী। তিনি বলেন, বিচার বিভাগের ওপর যদি সরকারের নিয়ন্ত্রণই থাকতো তাহলে এমন ভিন্নমত বেরিয়ে আসতো না।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
নৌকা-ধানের শীষই ভরসা শরিকদের

নৌকা ও ধানের শীষে ভর করেই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যেতে চায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতৃত্বাধীন দুই জোটের শরিক দলগুলো। এর আগেও ছোট দলগুলোর মধ্যে এই প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে।

নিজ দলের প্রতীকে নির্বাচনে গেলে তাদের জামানত হারানোর আশঙ্কা রয়েছে। দলের নিবন্ধন ঝুঁকিও বাড়তে পারে। তা ছাড়া আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রতীক নিয়ে ভোটে অংশ নিলে ভোট পাওয়ার সম্ভাবনাও থাকে বেশি। সবকিছু বিবেচনায় প্রধান দুই দলের হাইকমান্ডের সঙ্গে বোঝাপড়া করে নিজ দলের প্রতীক বিসর্জন দিয়ে অন্যের কাঁধে ভর করতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন খণ্ড-বিখণ্ড দলের নেতারা। আগামী নির্বাচনেও ‘নাম ও প্যাড সর্বস্ব’ দলগুলো সেই প্রস্তুতি নিয়ে এগোচ্ছে। সংশ্লিষ্ট দলের একাধিক নেতার সঙ্গে আলাপ করে এ তথ্য জানা গেছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ‘নির্বাচন কমিশনের এমন বিধি করা উচিত, কোনো নিবন্ধিত দল নিজ দল থেকে ভোটে অংশ না নিয়ে অন্যের কাঁধে ভর করে অংশ নিলে ওই দলের নিবন্ধন বাতিল হয়ে যাবে। বিশেষ করে কোনো দলের যিনি সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক হবেন—তাদের ক্ষেত্রে এটা ছাড় দেওয়া উচিত নয়। তবে দুর্ভাগ্যজনক হলো প্রধান দুই দলও নিজেদের বৃহৎ স্বার্থে ছোট দলগুলোর হাতে নিজের প্রতীক তুলে দেয়। ’

এ প্রসঙ্গে সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘কেউ যদি স্বেচ্ছায় নিজের প্রতীক দিয়ে দেয়, সেক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন কি করতে পারে? সেটা ওই দলকেই দায়িত্ব নিতে হবে। নির্বাচনী বিধিতে রয়েছে, একটি দল পরপর দুবার নির্বাচন না করলে তার নিবন্ধন বাতিল হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে ছোট ছোট দলগুলো নৌকা-ধানের শীষের প্রতীকে দুই চারজনকে দাঁড় করিয়ে দিয়ে নিবন্ধন রক্ষা করে। তারা একভাগও ভোট পায় না। এর আগে একটা বিধি ছিল, কেউ তিন বছর একটি দলে না থাকলে তাকে ওই দলের প্রতীক দেওয়া যাবে না। সেটা উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন আর কোনো  বাধ্যবাধকতা নেই। ’

সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদারের মতে, ‘আমাদের দেশের বাস্তবতায় প্রধান দুই দলেরই সারা দেশে জনসমর্থনে এগিয়ে আছে। অন্য যেসব রাজনৈতিক দল আছে তাদের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সমর্থন নেই। নিজস্ব প্রতীকে নির্বাচন করলে বিজয়ী নয়, জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়ার জোর সম্ভাবনাও বেশি। সে কারণে তারা জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করে। জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করে তারা আসন পায় ও ক্ষমতার অংশীদার হয়। না হলে তাদের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়ে। ’

তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, ‘ছোট ছোট দলগুলো জানে, নিজের দল থেকে তারা জিতবে না। এমনকি তথাকথিত বামদলগুলোর নেতারাও জানেন, তাদের কোনো অবস্থাতেই নিজ দলের স্বকীয়তায় নির্বাচনে জেতার সম্ভাবনা নেই। বর্তমান মন্ত্রিসভার কয়েকজন সদস্যেরও একই অবস্থা। তাদের মধ্যে কারও কারও অতীতে এমনও হয়েছে যে জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। তাদের নিজস্ব কোনো শক্তি নেই। তাই তারা নৌকা বা ধানের শীষে সওয়ার হয়। তবে এটা নির্বাচন কমিশনের অনুমোদন দেওয়া উচিত নয়। এমন আইন করা উচিত, যদি কেউ নিজ দলের প্রতীক বাদ দিয়ে অন্য দলের প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নেয়, তাদের নিবন্ধন বাতিল হয়ে যাবে। বিশেষ করে যারা সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক হবেন তাদের ক্ষেত্রে এটা করা উচিত। ’

জানা যায়, দুটি জোটের শরিকদেরই কর্মী ও সমর্থকের অভাব রয়েছে। তার ওপর রয়েছে জনসমর্থন ও ভোটার সংকট। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধিত হওয়া সত্ত্বেও এসব দলের আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নির্বাচনী প্রতীকই ভরসা। তবে তারা দুর্বল হলেও এরাই নির্বাচনী আসন নিয়ে দর কষাকষিতে ব্যস্ত এখন। কোনো কোনো নামসর্বস্ব দল দাবি করছে, জোটের কাছে তারা ১০০ আসন চাইবেন।

আবার  কেউ ১০টি থেকে শুরু করে ৫০টি আসন পর্যন্ত নিয়ে দর কষাকষি করার চিন্তাভাবনা করছেন। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি ৪০টি আসন ছাড় দিলেও এবার তাদেরকেই ১০০টি ছেড়ে দেওয়ার চাপ আসছে। তবে ২০০৮ সালে জামায়াত বাদে বিএনপি জোটের অন্য দলগুলো ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করে। অন্যদিকে ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জোটের শরিকদের জন্য ৩৫টি আসনে ছাড় দেয়। শুধু জাতীয় পার্টি ছাড়া জাসদ ও ওয়ার্কার্স পাটির্র শীর্ষ নেতারাসহ অন্য সবাই নৌকা মার্কায় নির্বাচন করেন।

এর মধ্যে সর্বশেষ দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ জোটে শরিকদের মধ্যে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে জয়ীরা হলেন, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন (ঢাকা-৮), সাধারণ সম্পাদক ফজলে হাসান বাদশা (রাজশাহী-২), শেখ হাফিজুর রহমান (নড়াইল-২), মোস্তফা লুত্ফুল্লাহ (সাতক্ষীরা-১), জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু (কুষ্টিয়া-২), জায়েদুল কবির (নরসিংদী-২), শিরিন আখতার (ফেনী-১), মঈনউদ্দিন খান বাদল (চট্টগ্রাম-৮) এবং বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী (চট্টগ্রাম-২) ও এম এ আউয়াল (লক্ষ্মীপুর-২)। ওই নির্বাচন বর্জন করে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট।

তবে একাদশ নির্বাচনে জোটের শরিক দলগুলো ধানের শীষে ভর করেই নির্বাচনে যাওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। দলগুলোর মধ্যে রয়েছে, জামায়াতে ইসলামী, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি—এলডিপি, ইসলামী ঐক্যজোটের একাংশ, জাতীয় পার্টি (জাফর), খেলাফত মজলিশ, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি—বিজেপি, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি, জাতীয় গণতান্ত্রিক দল—জাগপা, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি—এনপিপি, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি—এনডিপি,  বাংলাদেশ লেবার পার্টি, ইসলামিক পার্টি, ন্যাপ-ভাসানী, বাংলাদেশ ন্যাপ, মুসলিম লীগ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, পিপলস লীগ, ডেমোক্রেটিক লীগ, সাম্যবাদী দল। এ দলগুলোর মধ্যে জামায়াত বা এলডিপি বাদে সবাই ধানের শীষে নির্বাচন করতে আগ্রহী।

সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest