সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরায় ৩৪তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস পালনসাতক্ষীরায় খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় ছাত্রদলের দোয়াফেসবুক পোস্ট মুছে ফেলাকে কেন্দ্র করে সাতক্ষীরা সরকারি বালক বিদ্যালয়ে সংঘর্ষতালায় যৌতুকের দাবিতে নির্যাতনের পর তরুণীকে হত্যার অভিযোগক্ষতিকর কীটনাশকের ব্যবহার কমানোর দাবিতে শ্যামনগরে মানববন্ধনবেগম জিয়ার সুস্থতা কামনায় সাতক্ষীরায় দোয়াবারসিকের উদ্যোগে পরিবেশ সাংবাদিক ফোরামের ওরিয়েন্টেশনজামায়াত শুধু নিজেদের মানুষকেই চাকরি দেয়, তারা সার্বজনীন হতে শেখেনি: কাজী আলাউদ্দিনদেবহাটায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আহাদ আলীর রাস্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন উপকূলের মানুষের সংকট নিরসনের সুনির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতি নির্বাচনী ইশতেহারে অন্তর্ভুক্তির লক্ষ্যে নাগরিক সংলাপ

ঢাকায় আশকোনা ক্যাম্পে হজযাত্রীদের বিক্ষোভ মিছিল

এজেন্সিগুলোর বিরুদ্ধে প্রতারণার নানা অভিযোগে আশকোনার হজ ক্যাম্পে বিক্ষোভ মিছিল করছেন হজযাত্রীরা। আজ বেলা দুইটার দিকে ব্যানার নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁরা।
মিছিলে প্রতারক হজ এজেন্সির মালিকদের বিচার ও হজে যাওয়ার নিশ্চয়তার দাবি তোলেন হজযাত্রীরা। তাঁরা জানান, মদিনা এয়ার ইন্টারন্যাশনাল অ্যাভিয়েশন, আল বালাক, সানজিদ ট্রাভেল, ইকো ট্রাভেলসহ কয়েকটি এজেন্সি যাত্রীর কাছ থেকে টাকা নিয়েও টিকিট দেয়নি। এ বছরের হজযাত্রার শেষ মুহূর্তে গতকাল শুক্রবার এজেন্সিগুলোর বিরুদ্ধে প্রতারণার নানা অভিযোগ নিয়ে হজযাত্রীরা জড়ো হন আশকোনার হজ ক্যাম্পে। এজেন্সিকে টাকা দিয়েও হজে যেতে না পারার অনিশ্চয়তায় মুষড়ে পড়েছেন তাঁরা।

আজ সকালে হজ পরিচালকের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ধর্ম মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বজলুল হক হারুন। তিনি বলেন, যেসব এজেন্সির বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে, তাদের বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। তারা যদি দুই দুনের মধ্যে হজযাত্রী পাঠানোর ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে জিডি থেকে মামলা করা হবে।

বাংলাদেশ থেকে এবার ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের পবিত্র হজ পালন করতে যাওয়ার কথা। ৯৫১ জনের পাসপোর্ট শেষ দিনেও জমা না পড়ায় তাঁদের ভিসা পাওয়ার আর সুযোগ নেই। তাই এবার বাংলাদেশ থেকে হজে যাচ্ছেন ১ লাখ ২৬ হাজার ২৪৭ জন। গতকাল পর্যন্ত সৌদি আরবে পৌঁছেছেন ১ লাখ ৯ হাজার ৯৬ জন হজযাত্রী। হজ ফ্লাইট সূচি অনুযায়ী, বিমানের শেষ প্রাক্-হজ ফ্লাইট আজ শনিবার। সৌদি এয়ারলাইনসের শেষ প্রাক্-হজ ফ্লাইট আগামী সোমবার। এই সময়ের মধ্যে ভিসা পাওয়া ১৭ হাজার ১৫১ জন হজযাত্রীকে সৌদি আরবে পাঠাতে হবে। প্রায় তিন হাজার হজযাত্রীর সৌদি আরবে যাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা এখনো কাটেনি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
তিন মাসে ফরাসি প্রেসিডেন্টের সাজগোজের খরচ ২০ লক্ষ টাকা!

তিন মাসে ফরাসি প্রেসিডেন্টের সাজগোজের খরচ ২৬ হাজার ইউরো। টাকার হিসেবে যা প্রায় ২০ লক্ষের কাছাকাছি।
সাজগোজের জন্য এই আকাশছোঁয়া খরচের জেরে ইতিমধ্যেই সমালোচনার মুখে পড়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাকরঁ।

সংবাদমাধ্যমের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বা বিদেশ সফরে গিয়ে সাধারণত মেকআপ শিল্পীর সাহায্য নেন রাষ্ট্রনেতারা। তেমনই প্রেসিডেন্ট মাক্রনেরও ব্যক্তিগত মেকআপ শিল্পী রয়েছেন। একটি ফরাসি পত্রিকায় প্রকাশিত খবর, প্রেসিডেন্টের দফতর থেকেই জানানো হয়েছে সাজগোজের পিছনে এত বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করেন দেশের তরুণ প্রেসিডেন্ট।

এই খবর প্রকাশিত হওয়ার পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে। বাজেট বরাদ্দে ছাঁটাইয়ের পরে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ক্রমশ নীচের দিকে নেমেছে মাক্রনের জনপ্রিয়তা। তার মধ্যে ব্যক্তিগত সাজগোজের পিছনে এই বিপুল খরচের তথ্য বিপদ বাড়িয়েছে মাক্রনের।

তবে স্থানীয় ওই পত্রিকাটির দাবি, মাক্রনের তুলনায় ঢের বেশি ছিল সাবেক প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদের সাজগোজের খরচ। মাসিক বেতন ১০ হাজার ইউরো দিয়ে নিজের জন্য এক জন মেকআপ শিল্পী নিয়োগ করেছিলেন ওলাঁদ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রাম রহিমের প্রশংসা করে মোদির ট্যুইট ভাইরাল

ভারতের হিন্দুত্ববাদী ধর্মীয় সংগঠন ‘ডেরা সচ্চা সৌদা’র প্রধান গুরমিত রাম রহিম সিং ধর্ষণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর ক্ষোভে ফুঁসছে পাঞ্জাব ও হারিয়ানার বড় অংশ। রাম রহিম ভক্তদের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ চলছে পুলিশের।
ঘটেছে প্রাণহানির ঘটনাও।

এমন সময়েই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হল গুরমিত রাম রহিম সিংকে নিয়ে করা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একটি পুরানো ট্যুইট। ওই ট্যুইটে রাম রহিমের প্রশংসা করেছেন মোদি।

সেই ধর্মগুরুর প্রশংসা করে ২০১৪ সালের ২৯ অক্টোবর ট্যুইট করেছেন নরেন্দ্র মোদী। তিনি লিখেছিলেন,”বাবা রাম রহিম ও তার দল প্রশংসা‌যোগ্য কাজ করেছেন। গোটা দেশজুড়ে মানুষকে স্বচ্ছ ভারতে উৎসাহ দেবে। ” প্রসঙ্গত হারিয়ানায় বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে সমর্থন দিয়েছিলেন রাম রহিম।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
যেভাবে বাবা রাম রহিমের উত্থান

ভারতের হরিয়ানা প্রদেশে আলোচিত হিন্দুত্ববাদী ধর্মীয় সংগঠন ‘ডেরা সচ্চা সৌদা’র প্রধান গুরমিত রাম রহিম সিংহের বিরুদ্ধে ওঠা ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ভারতসহ প্রতিবেশী দেশগুলোতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। আগামী সোমবার তার বিরুদ্ধে সাজা ঘোষণা করবে দেশটির একটি আদালত।
তবে তার আগে ধর্মীয় সংগঠনের লেবাসে এমন অনৈতিক কাণ্ডে তার সম্পৃক্ততা চারদিকে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। একই সঙ্গে তার বিপুল সম্পত্তি নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন।

ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর, রাজস্থানের শ্রী গঙ্গানগর জেলার অখ্যাত গ্রাম গুরুসর মোদিয়ায় জন্ম গুরমিত রাম রহিম সিংয়ের। সন্ন্যাসী, তবু সেই কাপড়ে তাঁকে দেখা যায় না কখনোই। বরং গোলাপি রঙের বাহারি জোব্বা গায়ে চাপিয়ে কখনো তিনি মিউজিক ভিডিওয় নাচছেন, কখনো আবার ঝলমলে পোশাকে প্রকাণ্ড মোটরবাইকে চেপে ঢুকে পড়েছেন ধর্মসভায়। বাস্তব ও ফিল্মের অদ্ভূত মিশেল গুরমিত রাম রহিম ডেরা সচ্চা সৌদার দায়িত্ব পান মাত্র ২৩ বছর বয়সে।

১৯৪৮ সালে ডেরা সচ্চা সৌদার প্রতিষ্ঠা করেন মাস্তা বালুচিস্তানি। গুরমিত দায়িত্ব পান ১৯৯০ সালে। সে বছর তৎকালীন ডেরা-প্রধান সতনাম সিংহ একটি সভায় তাঁকে প্রধান হিসেবে নির্বাচিত করেন। তিনিই তৃতীয় ডেরা প্রধানের নাম দেন ‘গুরমিত রাম রহিম’। হাইস্কুলের গণ্ডি পেরোনো এই ডেরা প্রধানের দুই মেয়ে ও এক ছেলে। পরে একটি মেয়েকে দত্তক নেন তিনি। প্রত্যেকেই বাবার মতো নামের শেষে লেখেন ‘ইনসান’।

প্রতিষ্ঠানের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির সঙ্গে-সঙ্গেই বাড়তে থাকে গুরমিতের জনপ্রিয়তা। ‘লভ চার্জার’ নামে একটি মিউজিক ভিডিও আন্তর্জাতিক স্তরে ‘খ্যাতি’ এনে দেয় তাঁর। গুরমিতের এই ভিডিও সম্পর্কে গত বছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেিমুলুকে ‘দ্য টুনাইট শো’ নামে একটি অনুষ্ঠানে সঞ্চালক জিমি ফ্যালকন মজা করে বলেছিলেন, ‘ভুলেও শুনবেন না’ গানের তালিকায় এটি বোধহয় শীর্ষে। গুরমিত অবশ্য দাবি করেছিলেন, মিউজিক ভিডিওটির ৩০ লক্ষ কপি বিক্রি হয়েছে তিন দিনে। শতাধিক রক শো-তে ‘রিলিজিয়াস রক’ গেয়েছিলেন তিনি। দু’টি ফিল্মে মূল চরিত্রে অভিনয়ও করেছেন গুরমিত। ‘মেসেঞ্জার অব গড’ (এমএসজি) ও ‘মেসেঞ্জার অব গড-২’। সহকারী-লেখক হিসেবে তিনি ছবি দু’টির চিত্রনাট্যও লিখেছিলেন।

গুরমিতের অগাধ প্রতিপত্তি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে আগেই। সিরসায় ৮০০ একর জমিতে তাঁর প্রকাণ্ড আশ্রম। তা ছাড়া বিভিন্ন রাজ্যে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা শাখা সংগঠন অগণিত। সম্পত্তি নিয়ে ধর্মগুরুর বক্তব্য, সবই তিনি উপার্জন করেছেন ওই সব মিউজিক ভিডিও, ফিল্ম থেকে। তা ছাড়া ব্যবসা তো রয়েইছে। তাঁর ‘এমএসজি’ ব্র্যান্ডের ‘স্বদেশি ও জৈবসারজাত’ জিনিসের ‘সুখ্যাতি’ নাকি দেশজোড়া।

ডেরা সচ্চা সৌদার দাবি, পাঞ্জাব-হরিয়ানার গাঁ-গঞ্জের অলিগলিতে তাদের ভক্ত। ভোট-ব্যাংক ধরতে তাই রাজনৈতিক দলগুলোও গুরমিতকে ‘ভক্তি’ করে চলে। শুরুর দিকে কংগ্রেস-ঘেঁষা বলে শোনা গেলেও ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচন বা পরে হরিয়ানা ভোটে তাকে বিজেপির হয়ে প্রচার করতে দেখা যায়। ডেরা সচ্চার ‘স্বচ্ছতা অভিযানে’ মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টরসহ বহু ভিভিআইপি নেতার দেখা গেছে। শোনা যায়, বিহার ভোটে বিজেপির হয়ে প্রচার করতে ৩ হাজার ভক্তের একটি দল পাঠিয়েছিলেন ডেরা প্রধান। পাঞ্জাবের বিজেপি-অকালি দলের সঙ্গেও তাঁর ঘনিষ্ঠতা রয়েছে।

যদিও বেআইনি অস্ত্র রাখা, ধর্ষণ, খুন, সাধুদের লিঙ্গচ্ছেদ— বহু অভিযোগ গুরমিতে বিরুদ্ধে। গুরু গোবিন্দ সিংহের সাজপোশাক নকল করে শিখদের তোপের মুখে পড়েন। ২০০৮
সালে ডেরা সচ্চার শোভাযাত্রায় বিস্ফোরণ ঘটায় খালিস্তান লিবারেশন ফোর্স। সেই থেকে ‘জেড প্লাস’ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গুরমিতের। বুলেটপ্রুফ গাড়িতে যাতায়াত করেন। গত কয়েক দশক ধরে বিলাসবহুল জীবনে অভ্যস্ত তার গ্যারাজে রয়েছে বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ডের কয়েকশো গাড়ি ও মোটরবাইক। এছাড়া নিজস্ব জেটও রয়েছে। আর সে সবই তার নিজস্ব নকশায় সাজানো হয়েছে বলে ভক্তদের দাবি।

ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর, পঞ্চাশের এই গুরুর মূল শক্তি আসলে বিশ্বজোড়া কয়েক লাখ ভক্ত। সারা দুনিয়ায় তার কোটি কোটি ডলার মূল্যের সম্পত্তি ছড়িয়ে রয়েছে। আদালতে যতই তার বিরুদ্ধে বিবিধ অপরাধের অভিযোগ উঠুক না কেন, বিশ্বাসীদের চোখে তিনি একই অঙ্গে একজন সমাজ সংস্কারক, আধ্যাত্মিক শিক্ষক, কৃষি বিজ্ঞানী এবং চিন্তাবিদ।

সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা ও এই সময়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
চাঞ্চল্যকর গৌতম হত্যা মামলার প্রধান আসামি জামশেদ আটক

আসাদুজ্জামান : সাতক্ষীরায় চাঞ্চল্যকর কলেজ ছাত্র গৌতম হত্যা মামলার প্রধান আসামী মোঃ জামশেদকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার দুপুরে খুলনা মহানগীরর দৌলতপুর এলাকা সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশ তাকে আটক করে। আটক জামশেদ সাতক্ষীরা সদর উপজেলার মহাদেবনগর গ্রামের মোঃ রিয়দ আলীর ছেলে। বর্তমানে তিনি খুলনা মহানগীরর দৌলতপুর থানার মহেশ্বরপাশা এলাকায় বসবাস করেন।
পুলিশ জানায়, সদর উপজেলার মাহমুদপুর সীমান্ত আদর্শ কলেজের মেধাবী ছাত্র গৌতম হত্যা মামলার প্রধান আসামী জামশেদ খুলনার দৌলতপুরে অবস্থান করছেন এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দৌলতপুর থানার সহযোগিতায় শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। এ সময় সেখান থেকে আটক করা হয় এ মামলার প্রধান আসামী জামশেদকে।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মারুফ আহমেদ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খুলনা মহানগরীর দৌলতপুর এলাকা থেকে চাঞ্চল্যকর কলেজ ছাত্র গৌতম হত্যা মামলার প্রধান আসামী মোঃ জামশেদকে আটক করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, তাকে খুলনা থেকে এখন সাতক্ষীরায় আনা হচ্ছে।
উল্লেখ্য ঃ ২০১৬ সালের ১৩ ডিসেম্বর সদর উপজেলার মহাদেবনগর গ্রামের বাড়ি থেকে মাহমুদপুর সীমান্ত আদর্শ কলেজের ছাত্র গৌতম অপহরণ হয়। এরপর ১৭ ডিসেম্বর বাড়ির পার্শ্ববর্তী পুকুর থেকে তার মরাদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় তার বাবা গনেশ সরকার বাদী হয়ে ছয়জনের নাম উল্লেখ করে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-৩১, তারিখ-১৬.১২.১৬। পরে মামলাটি তদন্তের জন্য ডিবি পুলিশে হস্তান্তর করা হয়। এর আগে এ মামলার গ্রেফতারকৃত আসামি নাজমুল ও শাহাদাত ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় অটোরাইচ মিলের কালো ধোঁয়ায় পরিবেশের ক্ষতির প্রতিবাদে মানববন্ধন

আসাদুজ্জামান : সাতক্ষীরায় অটোরাইচ মিলের কালো ধোঁয়া, ছাই ও নির্গত বর্জ্য পদার্থের ফলে কৃষি জমি এবং পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতির প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় শহরের অদূরে ত্রিশমাইল অটোরাইচ মিল সংলঙ্গ বঙ্গবন্ধু পেশা ভিত্তি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে ঘন্টা ব্যাপি এ মানববন্ধন কর্মসূচিটি পালিত হয়। এলাকাবাসির আয়োজনে তালা উপজেলার নগরঘাটা ইউপি সদস্য লক্ষ্মী কান্ত সরকারের সভাপতিত্বে মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন, জেলা ওয়র্কার্সা পার্টি নেতা ফাহিমুল হক কিসলু, নগরঘাটা ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান লিপু, বঙ্গবন্ধু পেশাভিত্তিক স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা লায়লা পারভীন সেঁজুতি, সাতক্ষীরা কলেজ শিক্ষক সমিতির সভাপতি আব্দুর রহমান, বঙ্গবন্ধু পেশাভিত্তিক স্কুলের শিক্ষক বাবু রামকৃষ্ণ মন্ডল প্রমুখ।
বক্তরা বলেন, মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে অবিলম্বে আবাসিক এলাকায় উক্ত রাকিব অটো রাইসমিলটি বন্ধের দাবী জানান। তারা আরো বলেন, রাকিব অটো রাইস মিলের বর্জ্য পাশের বেতনা ও কপোতাক্ষ নদের পানিতে মিশে মারা যাচ্ছে দেশীয় প্রজাতির মাছ। এই বর্জ্য মিশ্রিত পানি আশাপাশের মৎস্য ঘের ও পুকুরে মিশে দুর্ষিত হচ্ছে পানি। এর ফলে শুধু মাছ মারা যাচ্ছেনা, মানবদেহেরও নানা সমস্যা দেখা দিচ্ছে। আর এই মিলের ছাই বাতাসে উড়ে এস পাশ^বর্তী বঙ্গবন্ধু পেশা ভিত্তিক স্কুল ও কাপাশডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা একদিকে, ক্লাস করতে পারছে না অন্যদিকে, শিক্ষর্থীদের মারাতকœ শারিরীক সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তাই অবিলম্বে আবাসিক এলাকায় উক্ত রাকিব অটো রাইসমিলটি বন্ধের জন্য বক্তারা প্রশাসনের আশু হস্তেক্ষেপ কামনা করেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
জেলে যেভাবে রাত কাটালেন ধর্মগুরু রাম রহিম

জেলখানার বিশেষ সেলে ভিআইপি ব্যবস্থাপনায় রাত কাটালেন ভারতের স্বঘোষিত আধ্যাত্মিক ধর্মগুরু গুরমিত সিংহ রাম রহিম। এই ধর্মগুরুর জন্য জেল এলাকার এক কিলোমিটারজুড়ে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার রাতে জেলের বিশেষ সেলে ধর্মগুরুর জন্য মিনারেল ওয়াটারের (বিশুদ্ধ পানি) ব্যবস্থা ছাড়াও তাঁর দেখভালের জন্য রাখা হয় একজন সহকারীও। ধর্মগুরুর কোনো অসুবিধা না হয় সে জন্য বিশেষভাবে নজর রাখে জেল কর্তৃপক্ষ।

এর আগে শুক্রবার আদালত থেকে হেলিকপ্টারে করে ধর্মগুরু রাম রহিমকে প্রথমে হরিয়ানা রাজ্যের রোহতাকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পুলিশের একটি অতিথি নিবাসে তাঁকে রাখা হয়। পরে সেখান থেকে গভীর রাতে তাঁকে রোহতাক জেলের বিশেষ সেলে নিয়ে যাওয়া হয়।

এদিকে, ধর্ষণ মামলায় শুক্রবার ডেরা সাচা সৌদা প্রধান গুরমিত সিংহ রাম রহিমকে হরিয়ানা রাজ্যের পাচকুলার বিশেষ আদালত দোষী সাব্যস্ত করার পর থেকে ছড়িয়ে পড়া সংঘর্ষে হরিয়ানা ও পাঞ্জাবজুড়ে এ পর্যন্ত ৩১ জনের প্রাণহানি হয়েছে। সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডেও।

আগামী সোমবার স্বঘোষিত ধর্মগুরু গুরমিত সিংহ রাম রহিমের সাজা ঘোষণা করবেন আদালত।

আজ শনিবার সকাল থেকে হরিয়ানার পাঁচকুলা ও এর আশপাশের এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সহিংসতা এড়াতে বিভিন্ন রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় কারফিঊ ও ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। রোহতকের অনেক ট্রেন চলাচল বাতিল করা হয়েছে।

শনিবার উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদ ও বাঘপাতে সমস্ত স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কড়া সতর্কতা জারি হয়েছে হরিয়ানা, পাঞ্জাব ও উত্তরপ্রদেশে। শুধু হরিয়ানা ও পাঞ্জাবে ১৫ হাজার আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। শনিবার সকালে আরো দুই কোম্পানি সেনা ও ১০ কোম্পানি আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। পাঁচকুলায় বন্ধ রাখা হয়েছে ইন্টারনেট।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বৈকারীতে ইউপি সদস্যের সহযোগিতায় বাল্য বিয়ে!

নিজস্ব প্রতিবেদক : যেখানে সরকারসহ সামাজিক প্রতিষ্ঠানগুলো বাল্য বিবাহ বন্ধ করার বিষয় নিয়ে সামাজিক গণআন্দোলন গড়ে তুলছে, জনপ্রনিধিদের সার্বক্ষণিকভাবে সরকার ও সামাজিব প্রতিষ্ঠানগুলো বাল্য বিবাহের বিরুদ্ধে গণসচেতনা সৃষ্টির আহবান জানাচ্ছে এবং বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ কমিটি গঠন করে প্রতিরোধের ব্যবস্থা করছেন- সেখানে সাতক্ষীরার বৈকারীতে স্বয়ং ইউনিয়ন পরিষদে মেম্বরের সহযোগিতায় আর্থিক সুবিধা নিয়ে বাল্য বিবাহ সম্পন্ন করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনা জানাজানি হলে ইউনিয়ন পরিষদের অধিকাংশ মেম্বর, সংরক্ষিত মহিলা মেম্বররা সহযোগিতাকারী ওই মেম্বরকে গালি-গালাজ করে তিরষ্কার করে। বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ কমিটি নাবালক ও নাবালিকার বয়স বৃদ্ধি করার ভূয়া এভিডেবিড এর কপি উদ্ধার করেছে। বিষয়টি উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় উত্থাপিত হলেও প্রতিকার হয়নি।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বৈকারী ইউনিয়নের মাঝের পাড়া (৫নং ওয়ার্ড) গ্রামের আফসার গাজীর শিশু কন্যা তানিয়া খাতুন(১৪) এর সাথে একই গ্রামের আব্দুর মুজিদ এর ছেলে আব্দুল হান্নান(১৯) এর সাথে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে গ্রামের লোকেরা একত্রিত হয়ে ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি ও ওয়ার্ড মেম্বর আনসার আলীর বাড়িতে এক শালিস বৈঠকে মিলিত হয়। শালিসে কন্যা তানিয়া ও হান্নানের অভিভাবকরাও উপস্থিত ছিলেন। শালিসে ছেলে ও মেয়েকে বিবাহ দেওয়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একই গ্রামের আব্দুর রউফ, আমজের আলীসহ গ্রামবাসীরা জানায় এই সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে গত ১১ জুলাই ২০১৭ তারিখ বয়স বৃদ্ধির একটি ভূয়া এভিড এভিড করে তাদের বিবাহ দেওয়া হয়।
এলাকাবাসী আরো জানায়, মেয়ের পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভালো না থাকায় যে কোন অজুহাতে বিবাহ বন্ধ করার জন্য ছেলের (হান্নান) পরিবারের পক্ষ থেকে আনসার মেম্বরকে ৬৮ হাজার টাকা দেওয়া হয়। অপর দিকে এই মেয়েকে ওই ছেলের সাথে বিবাহ দেওয়ার স্বার্থে আনসার মেম্বরকে প্রথমে ২৫ হাজার পরে ৪০ হাজার টাকা দেয় মেয়ের অভিভাবক। মেয়ের অভিভাবকরা গরু বিক্রি করে এই টাকা দেয় বলে তারা জানায়। বাল্য বিবাহ সম্পূর্ণ হওয়ার পর বৈকারী ইউনিয়নের মেম্বর ও সংরক্ষিত মহিলা মেম্বররা ফুঁসে উঠে। তারা আনসার মেম্বরকে অর্থের বিনিময়ে বাল্য বিবাহে সহযোগিতা করায় গালি-গালাজ ও তিরস্কার করে। ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান অসলে বিদেশে থাকায় সকলে অপেক্ষায় ছিলো। আনসার মেম্বর সরকার দলীয় লোক এবং ইউপি মেম্বর হওয়ায় ছেলের অভিভাবক এবং গ্রামবাসী প্রতিবাদ করার সাহস পায়নি। এদিকে বাল্য বিবাহের এই ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর জেলা বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ কমিটির একটি তদন্ত টিম এলাকায় যায়। তদন্ত টিমে ছিলেন এ্যাড. শাহনেওয়াজ পারভীন মিলি, এ্যাড. সেলিনা পারভীন শেলি, হাসিবুর রহমান ও স ম হাবিবুর হাসান।
তদন্ত টিম এলাকাবাসীর স্বাক্ষাৎকার গ্রহণ করে এবং ভূয়া এভিড এভিড এর মূল কপি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। ঘটনাটি এলাকায় এবং জেলা শহরে ছড়িয়ে পড়লে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় উত্থাপিত হয়। এ সভায় তদন্তটিমের কয়েকজন সদস্য ভিডিও ক্যামেরায় ধারণকৃত ঘটনাগুলো নিয়ে উপস্থিত ছিলো। বিষয়টি উত্থাপিত হওয়ার পর বৈকারী ইউপি চেয়ারম্যান সদর থানা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি, জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য আসাদুজ্জামান অসলে তার মেম্বরকে নির্দোষ দাবি করেন। তদন্ত টিমসহ উপস্থিত সকলে এতে হতবাক হয়ে যায়।
ঘটনাটি জানতে এড. শাহনেওয়াজ পারভীন মিলির সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আমাদের তদন্তে এলাকাবাসীর বক্তব্য, ভুয়া এভিডেভিট, মেম্বর আনসারের বিরুদ্ধে অর্থ নিয়ে বাল্য বিবাহের সহযোগীতা করার অভিযোগ প্রমাণ পেয়েছি। এর পরেও চেয়ারম্যান অসলে ভায়ের মিটিংয়ের ভূমিকা রহস্যাবৃত। বিষয়টি নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন বলে তিনি জানান।
বৈকারী ইউনিয়নের অধিকাংশ ইউপি মেম্বর ও সংরক্ষিত মহিলা মেম্বররা এই প্রতিবেদককে নাম প্রকাশ না করার শর্তে মোবাইলে জানান, আনসার মেম্বর অর্থের বিনিময়ে ওই বাল্য বিবাহের সহযোগিতা করেছে এটা সঠিক। ওই সময় আমরা এর প্রতিবাদও করেছিলাম এটাও সঠিক। কিন্তু যেকোনো কারণে এখন আমরা প্রকাশ্যে মুখ খুলতে পারছিনা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest