সর্বশেষ সংবাদ-
জেলা ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি গঠনচোরের উপদ্রবে অতিষ্ঠ কাটিয়া রেজিস্ট্রি অফিসপাড়ার বাসিন্দারা : মিথ্যা মামলার অভিযোগসাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের পিতার মৃত্যুতে শােকসাতক্ষীরায় পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা: আসামী ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগশ্যামনগরে কোস্টগার্ডের অভিযানে ভারতীয় মদ জব্দআশাশুনিতে জলবায়ু-স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ক যুব নেতৃত্বাধীন প্রচারনাসাতক্ষীরা জেলা স্কাউট ভবন এর উর্ধ্বমুখি সম্প্রসারণ কার্যক্রম উদ্বোধনখুলনায় এনসিপি নেতা গুলিবিদ্ধ: সাতক্ষীরা সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদারশ্যামনগরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনিয়ম ‌দুর্নীতির অভিযোগল স্টুডেন্টস ফোরাম এর নবনির্বাচিত কমিটি নির্বাচন কমিশনের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়

জেনেরিক নয়, ব্র্যান্ড নামই পছন্দ চিকিৎসকদের!

দেশের বেশিরভাগ চিকিৎসকই রোগীদের দেওয়া ব্যবস্থাপত্রে (প্রেসক্রিপশন) ওষুধের জেনেরিক নাম লিখছেন না। এ ক্ষেত্রে চিকিৎসকরা ওষুধের ব্র্যান্ড নাম ব্যবহার করছেন। তাই নিজের পছন্দ অনুযায়ী ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের নাম লিখে দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। অভিযোগ উঠেছে, এতে করে অনেক নিম্নমানের প্রতিষ্ঠানের ওষুধও নিতে হচ্ছে রোগীদের।

চলতি বছর ৯ জানুয়ারি রোগীর ব্যবস্থাপত্রে ওষুধের জেনেরিক নাম লিখতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি হয়। এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই রুল জারি করেন।

এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য সচিব ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে চার সপ্তাহের মধ্যে জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। তবে ওই ব্যাপারে শুনানি এখন পর্যন্ত হয়নি।

জেনেরিক নাম
যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনের (এফডিএ) দেওয়া ধারণা অনুযায়ী ওষুধের জেনেরিক নাম হচ্ছে কোনো নির্দিষ্ট ওষুধের রাসায়নিক নাম। ওই নাম বললে ওই ওষুধকে বিশ্বের যেকোনো জায়াগায় চেনা যাবে। ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান এসব ওষুধের ব্র্যান্ড নাম দেয়। কিন্তু এর নিচে লেখা থাকে ওষুধটির জেনেরিক নাম।

উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, একটি ওষুধের জেনেরিক নাম প্যারাসিটামল। এই প্যারাসিটামল তৈরি করেছে ওষুধ প্রস্তুতকারী অনেক প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে একটি প্রতিষ্ঠান নাম দিয়েছে এইস। একই ওষুধ অন্য একটি প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছে নাপা নামে। এখানে নাপা ও এইস হচ্ছে ব্র্যান্ড নাম। আর প্যারাসিটামল হলো জেনেরিক নাম।

অভিযোগ উঠেছে চিকিৎসকরা ব্যবস্থাপত্রে জেনেরিক নাম না লিখে ব্র্যান্ড নামই লিখছেন। আর এতে সরাসরিই চিকিৎসক কোনো না কোনো প্রতিষ্ঠানের ওষুধ লিখে দিচ্ছেন।

অভিযোগ উঠেছে, ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ও বিক্রয় প্রতিনিধিদের (মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভ) চাপেই জেনেরিক নাম লিখছেন না চিকিৎসকরা।

এ বিষয়ে কথা হয় একাধিক বিক্রয় প্রতিনিধির। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তাঁদের একজন বলেন, ‘জেনেরিক নামে ওষুধ লিখলে তো ডাক্তারদের আয় কমে যাবে। তখন উনারা আর কোম্পানির লোকদের কাছে পেইড ডাক্তার থাকবেন না।’

‘এটা লেখা নিয়ে কোনো নির্দেশনা নেই’
জেনেরিক নাম লেখা হয় কি না এ ব্যাপারে একাধিক চিকিৎসকের সঙ্গে এ প্রতিবেদকের কথা হয়। তাঁদের একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আসলে এটা লেখা নিয়ে আমাদের তেমন কোনো নির্দেশনা নেই। বাংলাদেশে জেনেরিক নাম লিখলেও সমস্যা না লিখলেও সমস্যা। এই অবস্থায় কি করা হবে সেটা পরিচালকরাই ভেবে দেখবেন।’

এ ব্যাপারে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক মো. গোলাম কিবরিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই জেনেরিক নামে ওষুধ লেখা উচিত। তবে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এটা বেশ কঠিন কাজ। জেনেরিক নামে লেখা শুরু হয়ে গেলে অনেকগুলো তুলনা মূলক খারাপ ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাবে কারণ তখন সবাই শুধু ভালো প্রতিষ্ঠানের দিকেই ঝুঁকবে। তবে তখন কিছু অসৎ ব্যবসায়ী বেশি মুনাফার জন্য যে কোনো তুলনা মূলক খারাপ ওষুধ বিক্রি করবে না এটা ভাবা যাবে না। এ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারে আমরা মহাপরিচালকের সঙ্গে কথা বলব।

শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া বলেন, ‘বাংলাদেশে ওষুধের শুধু জেনেরিক নাম লেখা বেশ কঠিন একটা ব্যাপার। ওষুধের দোকানের লোকজন তো বেশি শিক্ষিত না যে তাদের উপর সব কিছু ছেড়ে দেওয়া ঠিক হবে।’

‘জেনেরিক নামে প্রেসক্রিপশন হলে তো খারাপ না’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) আব্দুর রব বলেন, ‘এ বিষয় নিয়ে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করবো। আমরা শুধু সরকারি হাসপাতালগুলোতে ভালো ভাবে দেখতে পারব কিন্তু বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে সেভাবে তদারকি করতে পারব না।’

বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দীন বরেন, ‘যেহেতু ব্যবস্থাপত্রে ওষুধের জেনেরিক নাম লিখতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। সেহেতু এটা নিয়ে আমাদের ভাবা উচিত।’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য ডা. কামরুল হাসান খান বলেন, বর্তমান সময়ে বিশ্বব্যাপী মাল্টি ন্যাশনাল বিজনেস সিস্টেমের কারণে এটা করা বেশ কঠিন কাজ তবে অসম্ভব নয়। জেনেরিক নামে প্রেসক্রিপশন হলে তো খারাপ হয় না। যার যার ইচ্ছে মতো ওষুধ কিনতে পারবে।’

গত ২ জানুয়ারি চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্র সম্পর্কে হাইকোর্টে রিট করেন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে (এইচআরপিবি) আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।

এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ৯ জানুয়ারি ব্যবস্থাপত্রে ওষুধের জেনেরিক নাম লিখতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

এ ব্যাপারে মনজিল মোরসেদ বলেন, ‘বিষয়টি এখনো বিচারাধীন। বিচারকার্য শেষ হলেই আশা করছি ওষুধের জেনেরিক নাম লিখতেও হাইকোর্ট নির্দেশনা দেবেন।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
পুলিশি ঝামেলায় রানি মুখার্জি

অনেকদিন অভিনয়ে নেই। বিয়েশাদী করে ঘর সংসারে মনযোগী হয়েছেন এক সময়ের সাড়া জাগানো অভিনেত্রী রানি মুখার্জি। বর আদিত্য চোপড়ার সঙ্গে সুখের দাম্পত্যে এক কন্যার জননী তিনি। সবকিছু সামলে শোনা যাচ্ছিলো শিগগিরই পর্দা কাঁপাতে কামব্যাক করছেন রানি।

কিন্তু এরইমধ্যে জানা গেল, পুলিশি ঝামেলার মুখে পড়েছেন তিনি। নিজের জুহুর বাংলো ‘কৃষ্ণা রাম’র কাছেই একটা বেআইনি কনস্ট্রাকশনের জন্য রানিকে নোটিশ পাঠিয়েছে বৃহন্মুম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন।

 জানা গেল, কর্পোরেশনের প্রতিনিধিরা সরেজমিন তদন্ত করতে রানির বাড়িতে যায়। কিন্তু তাদের প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। রানির প্রতিনিধি অবশ্য এই ঘটনা স্বীকার করেনি। তিনি জানিয়েছেন, নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় সার্টিফিকেট ২০১৪ সালেই নিয়ে নেওয়া হয়েছিল। প্রতি বছর সেটাকে ভ্যালিডেটও করানো হয়। আর বিএমসি’র তরফে যে নোটিস পাঠানো হয়েছিল, পরের দিনই তার জবাব দেওয়া হয়েছে।

এদিকে বিএমসি’র তরফে নাকি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে প্রতিনিধিরা আবার যাবেন রানির বাড়িতে। সঙ্গে যাবে পুলিশও। ভালো বিপাকে পড়েছেন এই অভিনেত্রী।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে পারুলিয়ার পশুরহাট জমজমাট

কেএম রেজাউল করিম : জেলার অন্যতম এবং দেবহাটা উপজেলার বৃহৎ পশুর কেনা-বেচার হাট পারুলিয়ার গরুহাট। আগামী শনিবার ১০ জিলহাজ্ব আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেবহাটায় শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে পশুরহাট। সপ্তাহের রবিবার এখানে হাট বসে। রবিবার কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে পশুর ব্যাপক সমাগম ঘটে। কিন্তু দিনটির শুরুতে সকাল থেকে থেমে থেমে হালকা ও মাঝারি আকারে বৃষ্টিতে হাটের পরিবেশ কিছুটা ব্যহত হলেও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাফিজ আল আসাদ এবং দেবহাটা থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী কামাল হোসেনের দক্ষ নের্তৃত্বে ব্যাপক নিরাপত্তা ও সুস্থ, সুন্দর পরিবেশে সম্পন্ন হয়। জানাগেছে, বিগত বছরগুলোর তুলনায় এবছর সরকার ধায্যকৃত মূল্য না পাওয়ায় সরকারি ভাবে উক্ত হাট নিয়ন্ত্রন করা হচ্ছে। তবে, ক্রেতা-বিক্রেতা ও দর্শানাথীরা এবছর হাটের খাজনার পরিমাণ কম থাকায় এবং পরিবেশ সুন্দর হওয়ায় ধন্যবাদ প্রকাশের পাশাপাশি স্বস্থির নিশ্বাস ফেলেছে। তাছাড়া সকাল থেকে দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাফিজ আল আসাদ, দেবহাটা থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী কামাল হোসেন, ওসি(তদন্ত) শরিফুল ইসলাম, সেকেন্ড অফিসার উজ্বল দত্ত, এসআই, এএসআই, পুলিশ ও গ্রাম পুলিশের সদস্যদের উপস্থিতে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়িয়ে, যানজট নিরাশন করে হাটের পরিবেশ স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করেন।
এদিকে, জেলা ও জেলার বাইরে থেকে পশু ক্রেতা, বিক্রেতা ও দর্শনার্থীদের কিছুটা গতি পিছিয়ে দেয় বৃষ্টির কারণে। এবার ঈদের শেষ হাটে ছোট ও মাঝারি আকারের গরুর চাহিদা থাকলেও দাম কম ছিল না বড় গরুর। এবার দাম গত বছরের তুলনায় কিছুটা কম। তবে তাতে সন্তুষ্ট খামার, গরু ব্যবসায়ীরা ও ক্রেতারা। যথেষ্ট মূল্য পাওয়াতে লোকসান গুনতে হচ্ছে না তাদেরকে। অন্যদিকে ক্রেতাদের সাধ ও সাধ্যের সমন্বয় ঘটিয়ে ধর্মীয় কাজটি সমাধা করতে পশু কিনছে মানুষ। তাই বিক্রিতেও রয়েছে প্রতিযোগীতা। তবে এবার হাটে ভারতীয় পশু না থাকায় দেশিয় পশুর আগমন কয়েকগুন বেশি হওয়ায় স্বস্থি ফেলেছেন বিক্রেতারা।
পবিত্র ঈদুল আযহার আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। এ ঈদের দিনটিতে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় মানুষ কোরবানি দিয়ে থাকেন। এজন্য প্রয়োজন হৃষ্টপুষ্ট পশু। দেশে প্রায় ৯০ ভাগ মুসলমানের দেশ হওয়ায় বিপুল সংখ্যক মানুষ প্রতি বছর কোরবানি দিয়ে থাকেন। এ চাহিদাকে সামনে রেখে সারাদেশে অসংখ্য পশুর হাট বসে থাকে। তেমনি রবিবার দেবহাটা উপজেলার গরুহাটে গিয়ে দেখা গেছে হাটের হাল চিত্র। গরুর পাশাপাশি পশুর মধ্যে মহিষ ও ছাগল। তবে এর সাথে ভেড়াও যোগ হয়েছে। হাটে বেচাকেনাও অনেকটা জমে উঠেছে। এর মধ্যে দেশী গরুর সংখ্যাই বেশি। গরুর বেপারিরা জানান, জেলার অন্য পশুরহাটগুলোতে এবার বিভিন্ন এলাকা থেকে দেশী পশু আসছে। তবে ভারত, নেপাল ও ভুটান থেকে গরু কম আসায় দাম মোটামুটি স্থিতিশীল রয়েছে বলে সাধারণের অভিমত। বিশেষ করে গত বছর বাজারে মাংসের কেজি ছিল ৩৫০টাকা থেকে ৪০০টাকা। সেখানে এ বছর মাংসের কেজি ৪৫০ টাকা থেকে ৫০০টাকা। সেই হিসেবে পশুর দাম গত বছরের তুলনায় কম। হাটে ছাগলের আগমনও যথেষ্ট। আছে ভারতের রাজস্থান থেকে আনার পরে বাড়িতে পালিত মহিষ। এ হাটে গত কয়েকহাটের তুলনায় বিক্রিও বেশী। হাটে ২৫ হাজার থেকে শুরু করে দেড় লক্ষ টাকা পর্যন্ত দাম চাইছে বিক্রেতারা। তবে সর্বচ্চ ১ লাখ ৩৩ হাজার টাকার গরু ও ২০ হাজার টাকার ছাগল বিক্রি হতে দেখা গেছে। এছাড়া ২৫ হাজার থেকে ৪৫ হাজার টাকা দামের গরু বেশী বিক্রি হয়েছে। ৫৫-৬৫ হাজার টাকার মধ্যেও বেশকিছু গরু বিক্রি হয়েছে। খাসি ছাগলও বিক্রি হচ্ছে তুলনামূলক। দাম ৪ হাজার টাকা থেকে ৩০ হাজার টাকার মধ্যে। তবে ৬/৮ হাজার টাকা দামের ছাগল বেশী বিক্রি হচ্ছে। পারুলিয়া গড়িয়াডাঙ্গা গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক জানান, তিনি ১ লাখ ৩৩ হাজার টাকায় গরু বিক্রয় করেছেন। আশাশুনি উপজেলার শোভনালি গ্রামের পরিতোষ কুমার জানায়, তার চাহিদা ছিল এক লাখ ২৪ হাজার কিন্তু তিনি ১ লাখ ২৩ হাজার টাকায় গরু বিক্রয় করেছেন। অপরদিকে, পারুলিয়া গ্রামের আমিরুল ইসলাম ১ লাখ ১৫ হাজার টাকা চাহিদা থাকলেও ক্রেতাদের দাম ছিল ১লাখ ১০হাজার। অপরদিকে, গরুর দাম তুলনামূলক ভালো হলেও ছাগলের দাম তেমন বেশি সন্তোষজনক হয়নি। সখিপুরের কোঁড়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছাগলের দাম ৩০ হাজার টাকা চাইলেও ক্রেতারা দাম দিতে চাইছিল ২৫/২৮ হাজার টাকা। নওয়াপাড়ার হাদিপুর গ্রামের ইউসুফ আলী তার ছাগলের দাম ৩৬ হাজার টাকা চাইলেও ক্রেতারা ২৮ হাজারের উপরে দিতে নারাজ, নলতা গ্রামের শম্ভুনাথ ২০হাজার টাকা চাইলে ক্রেতারা ১৫ হাজার টাকা টাকার উপরে দিতে রাজি হয়নি।
তাছাড়া অসংখ্য গরুর মালিকের গরু বিক্রিয় করতে পেরে আনন্দে বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে গেছে। কিন্তু হাটে যে দাম উঠছে তাতে খরচ উঠানোর পর অনেকটা স্বস্থি ফিরেছে তাদের। আবার অনেকে পশু বিক্রয় করতে না পেরে বাকি দিনগুলোতে কোনো রকম খরচ উঠলেই পরিমানমত দামে বিক্রি করে দিবেন বলে জানান অনেকে। এজন্য উপজেলা প্রশাসনের সিদ্ধাস্ত অনুযায়ী আগামি বৃহস্পতিবার আরো একবার হাট বসানোর প্রস্তুতি চলছে। হাটে শুল্ক আদায়কারী উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার বাবলুর রহমান জানান, ভারতীয় গরু না থাকায় দেশি গরুর সমাগম বেশি। তাই ক্রেতা-বিক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে দাম থাকায় স্বস্তি ফিরেছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
তালায় শেখ রাসেল শিশু-কিশোর পরিষদ’র কমিটি

তালা প্রতিনিধি : শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদ তালা উপজেলা শাখার কমিটি গঠন হয়েছে। গঠিত কমিটির সভাপতি হিসেবে তালা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ সদস্য সাংবাদিক মীর জাকির হোসেনকে সভাপতি এবং আওয়ামীলীগ নেতা মোড়ল রফিকুল ইসলামকে সাধারন সম্পাদক করা হয়েছে।
আগামী ২ বছরের জন্য ৬৯ সদস্য বিশিষ্ট উক্ত কমিটি ২৭ আগষ্ট অনুমতি দেওয়া হয়েছে। শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদ সাতক্ষীরা জেলা সভাপতি মো. রাশেদুজ্জামান রাশি ও সাধারন সম্পাদক মো. মোস্তাফিজুর রহমার স্বাক্ষরিত উক্ত কমিটির সহ-সভাপতি হিসেবে মো. রফিকুল ইসলাম, গোলদার আব্দুস সামাদ, ডা. গিয়াস উদ্দীন, মিজানুর রহমান সরদার, সুজিত কুমার হোড়, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক স্বজল কুমার নন্দী, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক অমল সেন, প্রচার সম্পাদক মীর কল্লোল, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক জুলফিকার রায়হান, মহিলা সম্পাদিকা নাছিমা আক্তার ময়না, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক মীর আব্রাহাম লিংকন, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল গফুর গোলদার, শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক অরবিন্দু মন্ডল ও ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক তোফায়েল আহম্মেদকে সহ-সম্পাদকীয় ম-লীর সদস্য ৩৯ জন এবং সদস্য করা হয়েছে ৩০জনকে। এছাড়া প্রধান পৃষ্টপোষক, পৃষ্টপোষক, প্রধান উপদেষ্টাসহ ১০ সদস্য বিশিষ্ট উপদেষ্টাম-লী গঠন করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বন্যার্তদের জন্য সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ রোভার এর সাহায্য ক্যাম্প

জান্নাতুল ফেরদৌস : বন্যার্তদের জন্য সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ রোভার স্কাউট গ্রুপের পক্ষ থেকে দুই দিনব্যাপী সাহায্য ক্যাম্প করা হয়েছে। শনিবার ক্যাম্পের উদ্বোধন করেন সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর বিশ্বাস সুদেব কুমার। এসময় উপস্থিত ছিলেন উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক আমানুল্লাহ আল হাদী ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান আ. ফ. ম. গাউসার রেজা। দেশের বিভিন্ন উপকূলীয় অঞ্চল বন্যায় প্লাবিত হয়ে গেছে। সেখানে বিপদগ্রস্ত মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য অধ্যক্ষ এর অনুমতি নিয়ে রোভাররা এ ক্যাম্প করে।
কলেজের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং কলেজ এলাকার সাধারণ মানুষদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করা হয়। সকলের পক্ষ থেকে সাতক্ষীরা জেলা রোভার স্কাউটের সদস্যরা এই অর্থ এবং ত্রাণ নিয়ে ২/১ দিনের মধ্যে চলে যাবে বন্যার্তদের কাছে।

জান্নতুল ফেরদৌস : ডেইলি সাতক্ষীরার মুক্তিযোদ্ধা মিজানুর রহমান ইন্টার্নশিপ কর্মসূচির একজন ইন্টার্ন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সংস্কারের অভাবে রামেরডাঙ্গা-মাধবকাটি রাস্তাটির বেহাল দশা

বাঁশদহা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা সদর উপজেলার রামেরডাঙ্গা শিশু তলা মোড় হতে মাধবকাটির বাজার পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিন কি. মি. রাস্তাটি সংস্কারের অভাবে বেহাল দশা। যেন দেখার কেউ নেই। যার সংস্কার একান্ত প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। রাস্তাটির অধিকাংশ স্থানে খানা খন্দকে পরিনত। এমনকি রাস্তাটির খোয়া বালু ও পিচ উঠে কার্পেটিংয়ের লেশ মাত্র নেই। এই রাস্তা দিয়ে পার্শবর্তী বাঁশদহা, তলুইগাছা, কেড়াগাছি, বেলেডাঙ্গা, সোনাবাড়িয়া গ্রামের হাজার হাজার পথযাত্রী প্রতিনিয়ত যাতায়াতে চরম দূরভোগে পোহাতে হচ্ছে। আর বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ চাকুরীজীবি, ব্যাবসাজীবি, কৃষিজীবি, দিনমুজুরী সহ- রয়েছে এ রাস্তার সাথে প্রতক্ষ যোগাযোগ । তার মধ্যে কমলমতি শিশু সহ স্কুল- কলেজ পড়–য়া ছাত্র/ছাত্রীদের যাতায়াতের এটিই হলো এক মাত্র কেন্দ্র স্থলের পথ। আর বর্ষা এলেই হাটু পানি জমে আছে যেন রাস্তায় চলতে গেলে জানটা হাতের মুঠোয় নিয়ে চলতে হয়। কখন না জানি কোন বিপদ ঘটে। সরোজমিনে দেখা গেল এ রাস্তাটির অধিকাংশ স্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে প্রধান এ সড়কটি যান চলাচল বন্ধ হওয়ায় উপক্রম প্রায়। ইতি মধ্যেই হয়ত দূরঘটনা এড়াতে পরিত্যক্ত ঘোষনা হতে পারে। বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই এমন অবস্থা যে, বর্ষার মাঝে ও শেষের দিকে এমনিতে রাস্তাটি দিয়ে সকল যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যাবে বলে ধারনা করেছেন সর্ব মহল। আর রাস্তার এমন বেহাল দশার কারণে রোড পরিবর্তন করে বেশী পথ পাড়ি দিয়ে পথ চলতে শুরু করেছে অধিকাংশ মানুষ। এতে করে জীবন যাত্রায় ব্যায় ভার বেড়ে গেছে অনেক গুনে। এ বিষয়ে সদর উপজেলা প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আশা রাখি আগামী জানুয়ারি ফেব্রুয়ারি মাসে হয়ত কাজে হাত দিতে পারি। সচেতন এলাকা বাসির সংশ্লিষ্ঠ কতৃপক্ষের প্রতি আশু হস্তপেক্ষ কামনা করেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদের সদর থানার কমিটি গঠন আহবায়ক রিয়াজুল ॥ যুগ্ম আহবায়ক মোরতোজা

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : রবিবার বিকাল ৫টায় মু্িক্তযোদ্ধা সংহতি পরিষদের কাটিয়া টাউন বাজার স্থায়ী কার্যালয়ে এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা শাখার সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা সদর কমান্ডার আবু বক্কর সিদ্দিকি সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ হাসান ইমাম, সহ জেলা, সদর ও শহর শাখার নেতৃবৃন্দ সভায় সর্বসম্মতিক্রমে শেখ রিয়াজুল ইসলামকে আহবায়ক এবং মোরতোজা গাজি বাবলুকে যুগ্ম আহবায়ক করে ৪১ সদস্য বিশিষ্ট সদর থানা মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদের আহবায়ক কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয় এবং উক্ত কমিটিকে ৯০ দিনের মধ্যে সম্মেলন করে পূর্নাঙ্গ কমিটি দেয়ার নির্দেশ প্রদান করা হয়। মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদের জেলা শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত এ কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
খুলনায় ৩ কোচিং সেন্টারে প্রশাসনের তালা; সাতক্ষীরায় কবে?

ডেস্ক রিপোর্ট : খুলনা, সাতক্ষীরার নিকটতম জেলা। সেখানে জনপ্রশাসন এক অনন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, শিক্ষাকে শ্রেণি কক্ষে ফেরত আনার জন্য। কঠোর অভিযান চালানো হচ্ছে স্কুল চলাকালীন সময়ে চলা কোচিং সেন্টারের বিরুদ্ধে। কিন্তু সাতক্ষীরায়
সর্বশেষ আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও এখনও অনেক কোচিং সেন্টারে স্কুল চলাকালীন সময়ে কোচিং চলছেই। এমনকি অভিযোগ রয়েছে সাতক্ষীরার অনেক সরকারি ও এমপিওভূক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ রেখে কোচিং চললেও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয় না। আর ব্যাঙের ছাতার মত গজিয়ে ওঠা কোচিং সেন্টারগুলোতো আছেই।
খুলনা নগরের বিভিন্ন কোচিং সেন্টারে অভিযান চালিয়ে তিনটি কোচিং সেন্টারে তালা লাগিয়ে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। আজ রোববার জেলা প্রশাসনের নির্বাহী হাকিম মো. জাকির হোসেন এ অভিযান পরিচালনা করেন।

অভিযানে দৌলতপুরের ইংলিশ টিউটোরিয়াল হোম, বানরগাতি বাজারের সামিট কোচিং ও করোনেশন স্কুলের সামনের ইন্টারএইড কোচিং সেন্টারে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়।

জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, গত জুলাই মাসে অনুষ্ঠিত বিভাগীয় আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় স্কুল চলাকালীন সময়ে কোনো কোচিং চলতে পারবে না সংক্রান্ত একটি সিদ্ধান্ত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল শনিবার এ ব্যাপারে খুলনা নগরের বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করে সবাইকে বিষয়টি জানিয়ে দেয় জেলা প্রশাসন। রোববার থেকে অভিযানে নামে।

এ ব্যাপারে নির্বাহী হাকিম মো. জাকির হোসেন বলেন, অভিযানকালে দৌলতপুরে অবস্থিত ইংলিশ টিউটোরিয়াল হোম সেন্টারে প্রায় ৪০ জন শিক্ষার্থী পাওয়া যায়। অভিযানের খবর শুনে পালিয়ে যান সেখানকার শিক্ষক। প্রায় ৪৫ মিনিট অপেক্ষা করেও শিক্ষককে হাজির করা যায়নি। পরে শিক্ষার্থীদের বের করে তালা ঝুলিয়ে জেলা প্রশাসনের অনুমোদন ছাড়া চালু না করার নোটিশ টানিয়ে দেওয়া হয়। এ ছাড়া প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করায় বানরগাতি বাজারের সামিট কোচিং ও করোনেশন স্কুলের সামনে ইন্টারএইড কোচিং সেন্টার তালাবদ্ধ করা হয়।

নির্বাহী হাকিম মো. জাকির হোসেন, শিক্ষার সুস্থ পরিবেশ নিশ্চিতকরণে এবং স্কুল চলাকালীন কোচিং-বাণিজ্য বন্ধে জেলা প্রশাসনের এ অভিযান চলবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest