সর্বশেষ সংবাদ-
দেবহাটা উপজেলা জামায়াতের সুধী সমাবেশপ্রাণসায়ের খাল বাঁচাতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন ও সমাবেশদিনে ভোট, রাতে নয় আমার ভোট আমি দেব : আফরোজা আব্বাস অন্যায় কাজে কাউকে প্ররোচিত করবো না, উন্নয়নই হবে মূল লক্ষ্য : সাবেক এমপি হাবিবশোভনালীতে মানব পাচার প্রতিরোধ ও নিরাপদ অভিবাসন ডেস্ক উদ্বোধনআশাশুনির গোয়ালডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মানববন্ধনজবাবদিহিতা ও মানবাধিকার সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিতে গোলটেবিল সভাতালায় টিআরএম কার্যক্রমের বকেয়া ক্ষতিপূরণের দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলনপুজামণ্ডপে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে ব্যবস্থা: সাতক্ষীরার পুলিশ সুপারজলবায়ু পরিবর্তনে মানবাধিকার নিশ্চিতকরণে শ্যামনগরে এনগেজ প্রকল্পের অবহিতকরণ সভা

আশাশুনির কুল্যায় জলাবদ্ধতা নিরসনে ইউএনও’র পদক্ষেপ

আশাশুনি ব্যুরো: আশাশুনি উপজেলার কুল্যা ইউনিয়নের গুনাকরকাটিতে জলাবদ্ধতা নিরসনে উপজেলা নির্বাহী নির্বহী অফিসার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহন করেছেন। সোমবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুষমা সুলতানা এলাকা পরিদর্শনকালে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
গুনাকরাকটি (পশ্চিমপাড়া) গ্রামের ডাঃ গোবিন্দ প্রসাদ চৌধুরী, অবঃ শিক্ষক পবন চৌধুরীসহ গ্রামের ৩০টি পরিবার বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধাতার মানবেতর জীবন যাপন করছিলেন। এনিয়ে প্রতিকার প্রার্থনা করা হলে ইউএনও ঘটনাস্থানে গিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য ইব্রাহিম হোসেন, আওয়ামীলীগ নেতা আবু সাইদ ঢালীসহ এলাকাবাসির ্উপস্থিতিতে জলাবদ্ধাতার কারণ ঘের মালিক আব্দুল্লাহর নিয়ন্ত্রনে থাকা রাস্তার পাইপের মুখ খুলে দেওয়া হয়। ফলে পানি নিস্কাশনের প্রতিবদ্ধকতা দূর হয়ে যায়। একই সাথে সড়কের পাশ দিয়ে ভবিষ্যতে ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও পাইপ স্থাপন এবং সাদুল্লাহ চৌধুরীর সীমানা বাঁধ অপসারনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে গুনাকরকাটি (পূর্ব পাড়া) দীর্ঘকালের পয়ঃ নিস্কাশন পথ (ভাঙাড়) স্থানীয় জালাল উদ্দিন দিং আটকে দেওয়ায় এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। আবু তালেব দিং প্রতিকারের দাবীতে ইউএনও বরাবর আবেদন করেন। বুধহাটা ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা আঃ বারী সরকারি আমিন নিয়ে জমি পরিমাপ করে খাস জমি অবৈধ দখলের ফলে জলাবদ্ধতার প্রমান পান। ঘটনাস্থানে উপস্থিত হয়ে সরেজমিন পর্যবেক্ষন ও উভয় পক্ষের কথা শুনে ইউএনও সুষমা সুলতানা স্বেচ্ছায় নালা কেটে পথ খুলে দিতে আদেশ করেন। অমান্য করা হলে পুনরায় জমি মেপে লাল পতাকা উঠিয়ে খাস জমি অবমুক্ত করার সিদ্ধান্ত প্রদান করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
প্রধান বিচারপতির সরে যাওয়া উচিত ছিল : প্রধানমন্ত্রী

ষোড়শ সংবিধান বাতিলের রায়ে করা প্রধান বিচারপতির মন্তব্যের প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘রাষ্ট্রপতি নিয়োগ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতিকে। উনাকে এসব কথা বলার আগে ওই পদ থেকে সরে যাওয়া উচিত ছিল বা বলেই সরে যাওয়া উচিত ছিল।’

আজ সোমবার ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ১৩ তম বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটি ওই আলোচনা সভার আয়োজন করে।

প্রধান বিচারপতির সমালোচনা করে  শেখ হাসিনা বলেন, ‘এ পার্লামেন্ট যেহেতু  মহিলা এমপি করতে পারবে না, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করতে পারবে না। এ রাষ্ট্রপতি যেহেতু আমাকে নিয়োগ দিয়েছে আমি ওই পদে থাকব না। বলে দিলেই তো হলো। উনার লেখা রায়ে অনেক কনট্রাডিকশন আছে। আমি পড়ছি, অস্বাভাবিক লাগছে। আমি নোট নিচ্ছি। পার্লামেন্টে এটা বলতে পারব।’

‘পার্লামেন্ট সদস্যদের ক্রিমিনাল বলা হচ্ছে’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এখন দেখতে পাচ্ছি, হঠাৎ করে উচ্চ আদালত থেকে নানা ধরনের বক্তব্য, রাজনৈতিক কথাবার্তা ও হুমকি-ধমকি। মাঝে মাঝে অবাক হই, যাদের আমরাই নিয়োগ দিয়েছি, মহামান্য রাষ্ট্রপতি নিয়োগ দিয়েছেন। এ নিয়োগ পাওয়ার পর হঠাৎ তাদের বক্তব্য শুনে, পার্লামেন্ট সম্পর্কে যেসব কথা বলা হচ্ছে, পার্লামেন্ট সদস্য যারা, তাদের ক্রিমিনাল বলা হচ্ছে। সেখানে ব্যবসায়ী আছে সেটাও বলা হচ্ছে। ব্যবসা করাটা কি অপরাধ? কোনো ব্যবসায়ী মামলা করলে উচ্চ আদালত কি তাদের পক্ষে রায় দেয় না? রায় তো দেয়। বিচার তো তারাও পায়। তারা যদি সংসদ সদস্য হয় তাহলে অপরাধটা কোথায়? পার্লামেন্টকে হেয় করা, পার্লামেন্টকে নিয়ে নানা ধরনের মন্তব্য করা, এর অর্থটা কী? অনেক সংগ্রাম করে রক্ত দিয়ে এ দেশে আমরা গণতান্ত্রিক ধারা এনেছি। ৭৫-এর পর উনিশটা ক্যু হয়েছে। হাজার হাজার সামরিক বাহিনীর অফিসার সৈনিকদের হত্যা করা হয়েছে। হাজার হাজার আমাদের নেতাকর্মীদের খুন করা হয়েছে। গুম হয়েছে। সে অবস্থা থেকে একটা সুস্থা অবস্থায় নিয়ে এসেছি।’

‘যেটা মূল সংবিধানে ছিল তা উনার পছন্দ না’
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘প্রধান বিচারপতির রায়ে পার্লামেন্ট সম্পর্কে বক্তব্য, সংসদ সদস্যদের সম্পর্কে বক্তব্য, এমনকি রাষ্ট্রপতির ক্ষমতায়ও কেড়ে নেওয়ার প্রচেষ্টা, এটা কোন ধরনের কথা। আমাদের সংবিধান আছে। যে সংবিধান ৩০ লাখ শহিদের রক্তের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি। যেটা মূল সংবিধানে ছিল সেটাও উনার পছন্দ না। পছন্দ কোনটা? ওই যে জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে,  এটা হাইকোর্টেরই রায় যে জিয়ার ক্ষমতা অবৈধ করে মার্শাল ল অর্ডিন্যান্সের মাধ্যমে যে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল করে দিয়েছেন সেটা উনার পছন্দ। কিন্তু গণপরিষদ যে সংবিধান তৈরি করেছেন সেটা উনার পছন্দ না। উনি চাচ্ছেন মার্শাল ল যেটা করে দিয়েছেন সেটা।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
২১ আগস্ট’র ষড়যন্ত্রকারীদের ফাঁসির দাবিতে যুবলীগের বিক্ষোভ ও সমাবেশ

খন্দকার আনিসুর রহমান : ২১ আগস্ট হত্যাকারী ও ষড়যন্ত্রকারীদের দ্রুত ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বিকালে জেলা, সদর উপজেলা ও পৌর যুবলীগের আয়োজনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করে জেলা যুবলীগের আহবায়ক আব্দুল মান্নান। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন, সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, শেখ সাহিদ উদ্দীন, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি আবু সায়ীদ,সাধারণ সম্পাদক শাহাদৎ হোসেন, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাজান আলী, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি শেখ মারুফ হাসান মিঠু। এছাড়া বক্তব্য রাখেন, সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান, পৌর যুবলীগের সভাপতি মনোয়ার হোসেন অনু, সাধারণ সম্পাদক তুহিনুর রহমান প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, সদর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক ময়নুল হাসান। এসময় বক্তারা ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, ওই ঘটনায় যারা জড়িত তাদের দ্রুত ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদ- কার্যকর করতে হবে। যাতে আর কোন ষড়যন্ত্রকারী যেন জননেত্রীকে হত্যার পরিকল্পনাও করতে না পারে। এছাড়া আগামী নির্বাচনে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে পুনরায় ক্ষমতায় আনতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
চিকিৎসকের অবহেলায় মারা গেল মাথা কেটে যাওয়া সেই নবজাতক!

আব্দুল জলিল: চিকিৎসকের অসতর্কতায় সিজারে কপালে অস্ত্রের আঘাত নিয়ে জন্ম নেয়া শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সকালে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। এর আগে রোববার রাত ৯টার দিকে শিশুটির অক্সিজেন মাক্স খুলে দিয়ে তাকে খুলনায় পাঠানোর জন্য চাপ প্রয়োগ করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এমন অভিযোগ শিশুটির পরিবারের। এদিকে পত্রপত্রিকায় এই রিপোর্ট প্রকাশে ক্ষুব্ধ হয়ে সংগ্রাম প্রাইভেট হাসপাতাল কতৃপক্ষ শিশুটির মা সোমা খাতুনকে সোমবার সকালে জোর করে প্রাইভেট হাসপাতাল থেকে রিলিজ করে দিয়েছে।
সোমা খাতুনের মামা আইয়ুব আলি জানান, সোমা খাতুনকে সংগ্রাম হাসপাতলে রেখে বাচ্চাটিকে ডাক্তারের পরামর্শে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে ডাক্তারের অবহেলায় বাচ্চাটি মারা গেছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, এ ঘটনা কেন আমরা সাংবাদিকদের বলেছি তাই হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার সামসুর রহমান রোববার রাতে রাগান্নিত হয়ে বাচ্চাটির মুখের মাসক খুলে দিয়ে খুলনায় নিয়ে যেতে বলে। তিনি আরও বলেন, আমারা ডাক্তারের বারবার অনুরোধ করার পরও তিনি আমাদেরে কথা না শুনে চলে যান। সোমবার ভোরে বাচ্চাটি মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ে।
সোমা খাতুনের স্বামী আবুল হোসেন বলেন, সদর হাসপাতালের ডাক্তারের অবহেলায় আমার বাচ্চাটি মারা গেছে। এদিকে প্রাইভেট ক্লিনিক সংগ্রাম হাসপাতাল কতৃপক্ষ তাদের কে বলে তোমরা এক্ষুনি হাসপাতাল থেকে চলে যাও। তোমাদেরকে আর হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা দেওয়া হবে না। এক প্রকার জোর করে হাসপাতাল থেকে আমাদেরকে জোর করে বের করে দেয়। সোমা খাতুনের স্বামী আরও বলেন ডা: সুদেষ্ণা সিজারিয়ান ডাক্তার না। তিনি তিন মাসের একটি কোর্স করে এসে শহরের বিভিন্ন কিøিনকে সিজার করে থাকেন।
সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার শামসুর রহমান জানান, চিকিৎসকের অবহেলায় বাচ্চাটি মারা যায়নি। বাচ্চাটির অক্সিজেন খুলে দেওয়া বিষয়টি তিনি অস্বিকার করেন। তবে কেন বাচ্চাটি মারা গেছে তা তিনি বলতে পারেননি।
তবে সাতক্ষীরার সিভিল সার্জন ডা: তওহিদুর রহমান সিজারে অস্ত্রের আঘাতে শিশুর মৃত্যু হয়নি দাবি করে বলেন, শিশশুটি প্রি ম্যাচিউড ছিল। প্রিম্যাচিউড শিশুটি কেন ইনকিউবেটরে রাখা হয়নি এমন প্রশ্নের উত্তরে সিএস বলেন, এটি সংশ্লিষ্ট ডাক্তার বলতে পারেন।
এ ব্যাপারে ডাক্তার সুদেষœা বলেন, বাচ্চাটি মারা গেছে আমি শুনেছি। তবে অপুষ্টিজনিত কারণে মারা যেতে পারে।
উল্লেখ্য গত ১৮ আগস্ট সন্তান সম্ভবা স্ত্রীকে কেশর নামে এক গ্রাম্য ডাক্তারের পরামর্শে শহরের সংগ্রাম প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে সেখানেই শনিবার দুপুরে সোমা খাতুনের সিজার করেন ডা. সুদেষ্ণা। ভূমিষ্ঠ হয় একটি ফুটফুটে ছেলে সন্তান। কিন্তু বিপদ ঘটে যায় চিকিসৎকের অসর্তকতায়। সিজার করতে গিয়ে বাচ্চার মাথার বাম পাশে কেটে ফেলে চিকিৎসক। তাৎক্ষণিক তাকে সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
নায়করাজ রাজ্জাক আর নেই

বাংলাদেশের খ্যাতিমান নায়ক রাজ রাজ্জাক ইত্তেকাল করেছেন। আজ সোমবার সন্ধ্যায় (২১ আগষ্ট) রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন।

প্রাথমিক জীবন
রাজ্জাক পশ্চিমবঙ্গের (বর্তমান ভারতের) কলকাতার টালিগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। কলকাতার খানপুর হাইস্কুলে সপ্তম শ্রেণীতে পড়ার সময় স্বরসতী পূজা চলাকালীন সময়ে মঞ্চ নাটকে অভিনয়ের জন্য তার গেম টিচার রবীন্দ্রনাথ চক্রবর্তী তাঁকে বেছে নেন নায়ক অর্থাৎ কেন্দ্রীয় চরিত্রে। শিশু-কিশোরদের নিয়ে লেখা নাটক বিদ্রোহীতে গ্রামীণ কিশোর চরিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়েই নায়ক রাজের অভিনয়ে সম্পৃক্ততা।

অভিনয় জীবন
তিনি ১৯৬৪ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে পাড়ি জমান। প্রথমদিকে রাজ্জাক তৎকালীন পাকিস্তান টেলিভিশনে “ঘরোয়া” নামের ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করে দর্শকদের কাছে জনপ্রিয় হন। নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে তিনি আব্দুল জব্বার খানের সাথে সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করার সুযোগ পান। সালাউদ্দিন প্রোডাকশন্সের তেরো নাম্বার ফেকু ওস্তাগড় লেন চলচ্চিত্রে ছোট একটি চরিত্রে অভিনয় করে সবার কাছে নিজ মেধার পরিচয় দেন রাজ্জাক। পরবর্তীতে কার বউ, ডাক বাবু, আখেরী স্টেশন-সহ আরও বেশ ক’টি ছবিতে ছোট ছোট চরিত্রে অভিনয়ও করে ফেলেন। পরে বেহুলা চলচ্চিত্রে তিনি নায়ক হিসেবে ঢালিউডে উপস্থিত হন সদর্পে। তিনি প্রায় ৩০০টি বাংলা ও উর্দু চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। পরিচালনা করেছেন প্রায় ১৬টি চলচ্চিত্র।

পুরস্কার ও সম্মাননা
১৯৯০ সাল পর্যন্ত বেশ দাপটের সাথেই ঢালিউডে সেরা নায়ক হয়ে অভিনয় করেন রাজ্জাক। এর মধ্য দিয়েই তিনি অর্জন করেন নায়করাজ রাজ্জাক খেতাব। অর্জন করেন একাধিক সম্মাননা। এছাড়াও, রাজ্জাক জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের শুভেচ্ছা দূত হিসেবে কাজ করছেন।

জন্মদিন জন্ম ২৩ জানুয়ারি ১৯৪২ (বয়স ৭৫)। টালিগঞ্জ, কলকাতা, ব্রিটিশ ভারত (এখন ভারত)।

বাসস্থান: ঢাকা, বাংলাদেশ।

জাতীয়তা: বাংলাদেশী।

নাগরিকত্ব: বাংলাদেশ।

পেশা: অভিনেতা, প্রযোজক, পরিচালক।

কার্যকাল: ১৯৬৪–২০১৭।
সন্তান বাপ্পারাজ (রেজাউল করিম)
নাসরিন পাশা শম্পা।
রওশন হোসাইন বাপ্পি।
আফরিন আলম ময়না।
সম্রাট (খালিদ হোসাইন)।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কাশ্মীর প্রশ্নে পাকিস্তানকে কখনই সমর্থন নয় : ইসরায়েল

কাশ্মীর ইস্যুতে এবার সরাসরি ভারতের পাশে দাঁড়াল ইসরায়েল। কোনও পরিস্থিতিতেই কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তানকে সমর্থন করবে না তারা।
সে কথা স্পষ্ট জানিয়ে দিল ইসরায়েল। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।

আমেরিকান জিউইস কমিটি (এজেসি)-র উদ্যোগে ভারতের সাংবাদিক এবং রাজনীতিকদের একটি প্রতিনিধি দল ইসরায়েল সফরে গিয়েছেন। ইসরায়েল সরকারের শীর্ষ প্রতিনিধিদের সঙ্গে ভারতীয় সাংবাদিকদের বৈঠক ছিল। বৈঠকে কাশ্মীর প্রসঙ্গ নিয়ে ইসরায়েলের অবস্থান জানতে চান সাংবাদিকেরা। তখনই এ বিষয়টি স্পষ্ট করেন ইসরায়েল সরকারের কর্তারা।

কাশ্মীর নিয়ে ইসরায়েলের এই মনোভাব যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন কূটনীতিকরা। কারণ, ভারতের পাশে দাঁড়িয়ে ইসরায়েল সন্ত্রাস সমস্যা নিয়ে সরব হলেও, সাম্প্রতিক অতীতে কখনও কাশ্মীর প্রসঙ্গ নিয়ে মুখ খোলেনি।

গত শতকে ন’য়ের দশক থেকেই ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয় ইসরায়েলের। তারপর একবারই শুধুমাত্র কাশ্মীরকে ভারতের অংশ বলেছিল ইসরায়েল। কিন্তু ২০০৩ সাল থেকে পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি হয় ইসরায়েলের। সে বছরই ইসরায়েলের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল শ্যারন ভারতে আসেন। তখনও ভারত-পাকিস্তান কাশ্মীর সমস্যা নিয়ে কোনও আলোচনা করেননি তিনি। এমনকী সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ইজরায়েল সফরে যান। সেখানেও তাঁদের আলোচনায় কাশ্মীর সমস্যা উঠে আসেনি।

তবে কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতের পাশে দাঁড়ানোর মধ্যে দিয়ে ইসরায়েল আর একটা কূটনৈতিক চাল দিয়ে রাখল বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ফিলিস্তিন ইস্যুতে ভারতকে আরও ‘নিরপেক্ষ’ অবস্থানের দিকে ঠেলতে চায় নেতানইয়াহুর দেশ। কাশ্মীর নিয়ে সমর্থনের লাইন নিয়ে, ভারতকে আরও কাছে টানতে চাইছে তারা, মনে করছেন অনেকেই।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
এশিয়া কাপে বাংলাদেশের গ্রুপে ভারত-পাকিস্তান

আগামী অক্টোবরে বাংলাদেশে বসছে এশিয়া কাপ হকি টুর্নামেন্ট। আট জাতির এই টুর্নামেন্টের কঠিন গ্রুপে পড়েছে বাংলাদেশ। ভারত, পাকিস্তান ও জাপানের মতো দল স্বাগতিকদের গ্রুপে রয়েছে। তাদের মোকাবিলা করেই পরের পর্বে ওঠা লাল-সবুজের দলের জন্য কঠিনই বটে।

আগামী ১১ থেকে ২২ অক্টোবর আসরটি বসছে মওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়ামে। আসরের ‘এ’ গ্রুপে পড়েছে বাংলোদেশ। উদ্বোধনী ম্যাচে স্বাগতিকরা মুখোমুখি হবে শক্তিশালী পাকিস্তানের।

এরপর ১৩ অক্টোবর দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ভারত। গ্রুপের তৃতীয় শেষ ম্যাচে স্বাগতিকরা লড়বে জাপানের সঙ্গে। ২২ অক্টোবর আসরের ফাইনাল ম্যাচ। অবশ্য বেশ কয়েকটি স্থান নির্ধারণী ম্যাচও হবে এই সময়ে।

টুর্নামেন্টের টাইটেল স্পন্সর হয়েছে ভারতের হিরো মটোকর্প। তাই আসরটির নাম হচ্ছে ‘হিরো এশিয়া কাপ’।

এশিয়া কাপের আট দল : বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, জাপান (‘এ’ গ্রুপ)। মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, চীন ও ওমান (‘বি’ গ্রুপ)।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

২০২২ সালের বিশ্বকাপ ফুটবলের আয়োজক কাতার। আর এই বিশ্বকাপে চমক দেখাতে চায় দেশটি। সে লক্ষ্যেই এখন চলছে নতুন একটি স্টেডিয়াম নির্মাণের কাজ।

তবে আর ১০টি সাধারণ স্টেডিয়ামের মতো দেখতে হবে না এটি। আরবের নাগরিকদের ঐতিহ্যবাহী হাতে বোনা টুপি ‘গাহফিয়া’র আদলে তৈরি করা হচ্ছে স্টেডিয়ামটি।

গতকাল রোববার কাতারের বিশ্বকাপ আয়োজক কমিটির প্রধান হাসান আল-থাওয়াহাদি জানিয়েছেন, সৌদি জোটের অবরোধের মধ্যেই বিশ্বকাপ ফুটবল আয়োজনের সব ধরনের প্রস্তুতি চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা।

ইরানের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা এবং জঙ্গি সংগঠনগুলোকে সমর্থন, অর্থায়ন ও লালন-পালনের অভিযোগে গত ৫ জুন কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে সৌদি আরব। তবে এসব অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছে দোহা।

অবরোধের কারণে স্থলপথে কোনো পণ্য আমদানি করতে না পারলেও সমুদ্র ও আকাশপথে ইরান, তুরস্ক ও ওমানের কাছ থেকে খাদ্য এবং বিশ্বকাপের প্রয়োজনীয় কাঁচামাল আমদানি করছে কাতার। এই বিশ্বকাপ আয়োজনকেই বিশ্বব্যাপী নিজেদের পরিচিত করার কৌশল হিসেবে গ্রহণ করেছে দেশটি।

মিডল ইস্ট মনিটর জানিয়েছে, টুপির আদলে দোহার আল থুমামা স্টেডিয়ামটির নকশা করেছেন একজন কাতারি স্থাপত্যকার। ঐতিহ্যবাহী টুপি ‘গাহফিয়া’র আকৃতির এই বিশ্বকাপের একটি কোয়ার্টার ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে। মোট ৪০ হাজার দর্শক মাঠে বসে খেলা দেখতে পারবেন।

হাসান আল-থাওয়াহাদি বলেন, এই নকশা আরব ও মুসলিমদের ঐক্যবদ্ধতার প্রতীক হিসেবে তুলে ধরা হবে। মধ্যপ্রাচ্যে প্রথম বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য শ্রদ্ধাও জানানো হবে এই নকশার মধ্য দিয়ে।

২০২২ সালের বিশ্বকাপ আয়োজনে কাতার আটটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত স্টেডিয়াম নির্মাণ, নতুন বন্দর এবং ৩৫ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করে মেট্রোরেল চালুসহ নানা ধরনের নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ করছে। এসব অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য প্রায় ২০০ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ের পরিকল্পনা রয়েছে দেশটির।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest