সর্বশেষ সংবাদ-
দেবহাটা উপজেলা জামায়াতের সুধী সমাবেশপ্রাণসায়ের খাল বাঁচাতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন ও সমাবেশদিনে ভোট, রাতে নয় আমার ভোট আমি দেব : আফরোজা আব্বাস অন্যায় কাজে কাউকে প্ররোচিত করবো না, উন্নয়নই হবে মূল লক্ষ্য : সাবেক এমপি হাবিবশোভনালীতে মানব পাচার প্রতিরোধ ও নিরাপদ অভিবাসন ডেস্ক উদ্বোধনআশাশুনির গোয়ালডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মানববন্ধনজবাবদিহিতা ও মানবাধিকার সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিতে গোলটেবিল সভাতালায় টিআরএম কার্যক্রমের বকেয়া ক্ষতিপূরণের দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলনপুজামণ্ডপে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে ব্যবস্থা: সাতক্ষীরার পুলিশ সুপারজলবায়ু পরিবর্তনে মানবাধিকার নিশ্চিতকরণে শ্যামনগরে এনগেজ প্রকল্পের অবহিতকরণ সভা

নারিকেলের জন্য হাইকোর্টে কয়েদির আর্জি!

ভারতের আহমেদাবাদের সাবরমতি জেলখানার গৌতম রামানুজ নামের এক কয়েদির আর্জি আদালতের কড়া নেড়েছে। তিনি দাবি জানান, জেলবন্দি থাকলেও তাকে যাতে ধর্মীয় আচার পালনের সুযোগ দেওয়া হয়।

প্রসঙ্গত, তার ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালনে শুকনো নারিকেলের প্রয়োজন পড়ায় তিনি এই আবেদন জানান। কিন্তু শুকনো নারিকেলে জেলখানার মতো স্থানে নিষিদ্ধ এখন। কারণ, একে তো এই ফলটি ছুঁড়ে মেরে কাউকে আহত করা যায় তার ওপরে এটা ভাঙলে এর টুকরোগুলোও কাউকে আহত করার কাজে ব্যবহৃত হতে পারে। কিন্তু তারচেয়েও বড় ঝুঁকি হচ্ছে নারিকেলের ভেতরে ভরে বোমাও আনা হতে পারে- জেল কর্তৃপক্ষ তাই মনে করে।

জানা গেছে, রামানুজের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের গুজরাত হাইকোর্টের বিচারক এ জে দেশাই জেল কর্তৃপক্ষকে প্রশ্ন করেছেন- হঠাৎ নারিকেল দেওয়া বন্ধ করা হলো কেন? কয়েদিদের পূজা পালনে এতদিন যাবত শুকনো নারিকেল বরাদ্দের রেওয়াজ ছিল। তবে নারিকেলের খরচ দিতে হত কয়েদিকে আর তা এনে দিত কারারক্ষীরা। তবে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে কারা কর্তৃপক্ষ তা বন্ধ করে দেয়।

জানা গেছে, জেল কর্তৃপক্ষকে আগের মতোই কয়েদিদের নারিকেল সরবরাহের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়াও আদালত আগামী ৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এ সংক্রান্ত জবাব দিতেও বলা হয়েছে কারা কর্তৃপক্ষকে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শিশিরের অবদানে ধন্য সাকিব

২০০৬ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক সাকিব আল হাসানের। ক্রিকেট মাঠে বহু কীর্তি গড়ে আজ তিনি বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। নিজের অর্জনের পেছনে স্ত্রী উম্মে আহমেদ শিশিরের অবদানের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করলেন সাকিব।

আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের যুগপূর্তিতে সাকিবকে সংবর্ধনা দিয়েছে ‘ষোলো কোটি মানুষের প্রাণ, সাকিব আল হাসান’ নামে একটি সংগঠন। রবিবার অনুষ্ঠানটি হয়েছে মিরপুর এক নম্বরে সাকিবেরই রেস্টুরেন্টে। সেখানে স্ত্রীর অবদান প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তার মন্তব্য, ‘আমার ক্যারিয়ার এত দূর আসার পেছনে স্ত্রীর অনেক অবদান আছে। আর মেয়ের জন্মের পর আমাদের পুরো জীবনটাই বদলে গেছে।’

স্ত্রীর পাশাপাশি বন্ধু-আত্মীয়-সাংবাদিক এবং ভক্তদের কথাও বলেছেন সাকিব। ভক্তদের ধন্যবাদ জানিয়ে তার মন্তব্য, ‘ভক্তরা শুধু আমাকে নয়, পুরো বাংলাদেশ দলকে অনুপ্রাণিত করে। অনেক সমস্যার মধ্যেও ভক্তরা যেভাবে সমর্থন দেয়, তা অকল্পনীয়। খারাপ সময়ে সমর্থন অনেক কাজে আসে, আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেয়। ক্রিকেট বোর্ড সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা আর আপনারাও (সাংবাদিকরা) অনুপ্রাণিত করেন আমাকে।’

বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে সাকিবের আক্ষেপও আছে কিছুটা, ‘আমরা যে  টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠেছিলাম, সেটা জিততে পারলে ভালো হতো। তবে সুযোগ এখনও শেষ হয়ে যায়নি। আমাদের উন্নতির ধারা ঊর্ধ্বমুখী। আশা করি, ভবিষ্যতে ট্রফি জিততে পারবো।’

ক্যারিয়ারের ১১ বছর পেরিয়ে গেলেও আরও দীর্ঘ দিন দেশের হয়ে খেলতে চান তিনি, ‘যতদিন পারফর্ম করতে পারবো, ততদিনই খেলবো। জানি না আর কতদিন খেলতে পারবো। তবে আশা করি, আরও ৮-১০ বছর খেলা চালিয়ে যেতে পারবো।’

অনুষ্ঠানে ‘আলাদীনের চেরাগ হাতে পেলে কী করবেন?’ এমন প্রশ্ন রাখা হয় সাকিবের সামনে। কিছুক্ষণ ভেবে নিয়ে তারকা অলরাউন্ডারের সপ্রতিভ উত্তর, ‘এটা সত্যি চিন্তা করার বিষয়। টাকা যে চাইবো, এটা নিশ্চিত। কারণ টাকা থাকলে সব কিছু করা সম্ভব। দেশকে কীভাবে সুন্দর করে সাজানো যায়, ক্রিকেটে আরও উন্নতি করা যায় এসবই চাইবো।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরা পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের ৫টি মসজিদে সৌর প্যানেল বিতরণ

মাহফিজুল ইসলাম আককাজ : ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে সাতক্ষীরা পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন মসজিদে সৌর প্যানেল বিতরণ করা হয়েছে। সোমবার সকালে সাতক্ষীরা পৌরসভা প্রাঙ্গণে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রাণালয় প্রদত্ত এ সৌর প্যানেল বিতরণ করা হয়। এসময় পৌর কাউন্সিলর শেখ শফিক উদ দৌলা সাগর বলেন, ৯নং ওয়ার্ডের কোন এলাকার মানুষ অন্ধকারে থাকবেনা। আমার প্রত্যাশা সকল ঘর আলোকিত হবে। ‘সাতক্ষীরা পৌর সভার ৯নং ওয়ার্ডের ৫টি মসজিদে সৌর প্যানেল বিতরণ করা হয়েছে। এর আগেও কয়েকটি মসজিদ ও মন্দিরে সৌর প্যানেল দেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে পৌর সভার অন্যান্য মসজিদ, মন্দির ও প্রতিষ্ঠানে সৌর প্যানেল বিতরণ করা হবে’ এসময় রসুলপুর পূর্বপাড়া জামে মসজিদ, পলাশপোল আহলে হাদিস জামে মসজিদ, মেহেদিবাগ খাদিজাতুল কোবরা জামে মসজিদ, বাস টার্মিনাল আমিনিয়া জামে মসজিদ, পলাশপোল আল আকসা জামে মসজিদের সভাপতি/সাধারণ সম্পাদকের হাতে এ সৌর প্যানেল তুলে দেন। সৌর প্যানেল বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন পৌর সভার শহর পরিকল্পনাবিদ শুভ্র চন্দ্র মহলী, সার্ভেয়ার মামুনার রশীদ, মসজিদের সভাপতি মহসিন আলী, কবির হোসেন, খান রবিউল ইসলাম প্রমুখ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
নেইমারের নৈপুণ্যে পিএসজির গোল উৎসব

প্যারিস সেন্ত জার্মেইতে নেইমারের অভিষেক হয়েছিল গুইনগাম্পের মাঠে। আর রবিবার প্রথম তিনি নামলেন ক্লাবের হোম ভেন্যু পার্ক ডি প্রিন্সেস স্টেডিয়ামে। ব্রাজিলিয়ান তারকার দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের সাক্ষী হলো ঘরের দর্শকরা। লিগ ওয়ানে তুলোসের বিপক্ষে পিএসজির গোল উৎসবের দিনে নেইমার করেছেন দুটি গোল, বানিয়ে দিয়েছেন দুটি। এছাড়া আদায় করেছেন একটি পেনাল্টি। তার নৈপুণ্যে ৬-২ গোলে তুলোসকে উড়িয়ে দিয়েছে গতবারের রানার্সআপরা।
শুরুতে পিছিয়ে পড়েছিল পিএসজি। নজরের বাইরে থাকা ম্যাক্স গ্রাডেলের ভলিতে ১৮ মিনিটে গোলমুখ খোলে তুলোস। ৩১ মিনিটের গোলে দলকে সমতায় ফেরান নেইমার। চার মিনিট পর আদ্রিয়েন র‌্যাবিয়টকে দিয়ে গোল করিয়ে পিএসজিকে এগিয়ে নেন তিনি।
বিরতির পর ছোটখাটো ধাক্কা খায় সাবেক চ্যাম্পিয়নরা। ২১ মিনিট বাকি থাকতে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মার্কো ভারেত্তি মাঠ ছাড়েন। পিএসজি হয়ে যায় ১০ জনের। তাতে কোনও সমস্যা হয়নি। তুলোসের ডিবক্সে এন্ডি ডেলোর্টের ফাউলের শিকার হন নেইমার। পেনাল্টি থেকে ৭৫ মিনিটে দলের তৃতীয় গোল করেন এডিনসন কাভানি। ৭৮ মিনিটে থিয়াগো সিলভার আত্মঘাতী গোলে পিএসজির সঙ্গে তুলোসের ব্যবধান কমে দাঁড়ায় ৩-২ গোলে, ম্যাচে ফেরে উত্তেজনা। তবে বদলি নামা হাভিয়ের পাস্তোরের ৮২ মিনিটের চমৎকার গোলে সব শঙ্কা মুছে যায়। দুই মিনিট পর কুরজাওয়াকে অ্যাক্রোবেটিক গোল বানিয়ে দেন নেইমার। আর ইনজুরি সময়ে প্রতিপক্ষের কফিনে শেষ পেরেক ঠুঁকে দেন এ ব্রাজিলিয়ান।
টানা তিন জয়ে মোনাকো ও সেন্ত এতিয়েন্নের সঙ্গে যৌথভাবে লিগ ওয়ানের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে পিএসজি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
২১ আগস্ট: নৃশংসতম হামলার ১৩তম বার্ষিকী আজ

আজ সোমবার, রক্তাক্ত ও কলঙ্কময় ২১ আগস্ট। বাংলাদেশের ইতিহাসের এক নারকীয় সন্ত্রাসী হামলার ১৩তম বার্ষিকী আজ। ২০০৪ সালের এইদিনে রাজধানী ঢাকায় আওয়ামী লীগের সমাবেশে চালানো হয় নজিরবিহীন এক হত্যাযজ্ঞ। তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভায় গ্রেনেডের দানবীয় ত্রাস আক্রান্ত করে মানবতাকে। গুলিস্তানের বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কথা বলতে গিয়ে ভয়াবহ হামলার শিকার হন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। হামলার ধরন ও প্রচণ্ডতা থেকে  স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল যেকোনও মূল্যে শেখ হাসিনাকে হত্যা করাই ছিল ওই গ্রেনেড ও গুলিবর্ষণের উদ্দেশ্য। ওই সময় আওয়ামী লীগের নেতারা শেখ হাসিনাকে ঘিরে ধরে মানববর্ম রচনা করে রক্ষা করেছিলেন। তবে নিহত হন দলের মহিলা বিষয়ক সম্পদক ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের সহধর্মিনী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নেতা-কর্মী। আহত হন পাঁচ শতাধিক নেতা-কর্মী। তাদের অনেকেই আজও পঙ্গু অবস্থায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন।

ভয়াবহ ওই হামলার ১৩তম বার্ষিকীতে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক,সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।

ওই সময় ক্ষমতায় ছিল বিএনপি-জামায়াতের চারদলীয় জোট সরকার। সেদিন ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ‘সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতি বিরোধী’ শান্তি মিছিলের আয়োজন করেছিল আওয়ামী লীগ। দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা এতে প্রধান অতিথি ছিলেন। সন্ত্রাসবিরোধী শান্তি মিছিলের আগে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ট্রাকের ওপর বানানো মঞ্চে দাঁড়িয়ে বক্তৃতা করেন শেখ হাসিন। বক্তৃতা শেষ হওয়ার পরপরই তাকে লক্ষ্য করে উপর্যুপরি গ্রেনেড হামলা শুরু হয়। বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হতে থাকে একের পর এক গ্রেনেড। কিছু বোঝে ওঠার আগেই মুহুর্মুহু ১৩টি গ্রেনেড বিস্ফোরণের বীভৎসতায় মুহূর্তেই মানুষের রক্ত-মাংসের স্তূপে পরিণত হয় সমাবেশস্থল। বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ পরিণত এক মৃত্যুপুরীতে।  রক্তের স্রোত বয়ে যায় রাজপথে। গ্রেনেডের স্প্লি­ন্টারের আঘাতে মানুষের হাত-পাসহ বিভিন্ন অংশ ছিন্নভিন্ন হয়ে চারদিকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে। সভামঞ্চ ট্রাকের চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকতে দেখা যায় রক্তাক্ত নিথর দেহ। মুহূর্তের মধ্যে পুরো এলাকা ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে যায়। মুমূর্ষুদের কাতর আর্তনাদে অবর্ণনীয় মর্মান্তিক এক দৃশ্যের অবতারণা হয় সেদিন। রাজধানীর হাসপাতালগুলোয় আহতদের তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না।

নারকীয় গ্রেনেড হামলায় অলৌকিকভাবে প্রাণে বেঁচে গেলেও শেখ হাসিনার দুই কানের শ্রবণশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঘাতকরা তাদের প্রধান লক্ষ্য শেখ হাসিনা বেঁচে গেছেন দেখে তার গাড়ি লক্ষ্য করে ১২ রাউন্ড গুলি করে। তবে তা ভেদ করতে পারেনি তাকে বহনকারী বুলেটপ্রুফ গাড়ির কাঁচ। হামলার পরপরই শেখ হাসিনাকে কর্ডন করে গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় তার বাসভবন সুধা সদনে।

২১ আগস্টের রক্তাক্ত ঘটনায় ঘটনাস্থলেই নিহত হন ১৬ জন। পরে সব মিলিয়ে নিহতের সংখ্যা দাঁড়ায় ২৪ জনে। রক্তাক্ত-বীভৎস ওই ভয়াল গ্রেনেড হামলায় আইভি রহমান ছাড়াও সেদিন নিহত হন ল্যান্স করপোরাল (অব.) মাহবুবুর রশীদ, হাসিনা মমতাজ, রিজিয়া বেগম, রফিকুল ইসলাম (আদা চাচা), রতন শিকদার, মোহাম্মদ হানিফ ওরফে মুক্তিযোদ্ধা হানিফ, মোশতাক আহমেদ, লিটন মুনশি, আবদুল কুদ্দুছ পাটোয়ারী, বিল্লাল হোসেন, আব্বাছ উদ্দিন শিকদার, আতিক সরকার, মামুন মৃধা, নাসিরউদ্দিন, আবুল কাসেম, আবুল কালাম আজাদ, আবদুর রহিম, আমিনুল ইসলাম, জাহেদ আলী, মোতালেব ও সুফিয়া বেগম। গ্রেনেডের স্প্লিন্টারের সঙ্গে লড়ে এক সময় ঢাকার মেয়র মোহাম্মদ হানিফসহ আরও কয়েকজন পরাজিত হন।

হামলায় আওয়ামী লীগের পাঁচ শতাধিক নেতা-কর্মী গুরুতর আহত হয়ে শরীরে  স্প্লিন্টার নিয়ে আজও মানবেতর জীবন-যাপন করছে। আহত হয়েছিলেন বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরাও। অনেক নেতা-কর্মী দেশে-বিদেশে চিকিৎসা নিলেও তারা এখন পর্যন্ত পুরোপুরি সুস্থ্ হয়ে উঠেননি।

এদিকে, ওই গ্রেনেড হামলার পর ভয়,শঙ্কা ও ত্রাস গ্রাস করে পুরো রাজধানীকে। এই গণহত্যার উত্তেজনা ও শোক আছড়ে পড়ে দেশ-বিদেশে। হামলার পরপরই আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা নিজে বাঁচতে ও অন্যদের বাঁচাতে যখন ব্যস্ত, ঠিক তখনই পুলিশ বেধড়ক লাঠি-টিয়ার শেল চার্জ করে। এতে সেই রোমহর্ষক হামলার অনেক আলামত নষ্ট হয়। পরবর্তী সময়ে রাষ্ট্রীয় ‍পৃষ্ঠপোষকতা ও প্রত্যক্ষ মদদে ওই ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার নানা চেষ্টা চলে। জজ মিয়া নাটক সাজিয়ে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করাসহ হেন কোনও কাজ নেই যা করেনি বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার।

রাষ্ট্রপতির বাণী: একুশে আগস্ট উপলক্ষে এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, গণতন্ত্রকে অর্থবহ করতে হলে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও সহমর্মিতার পাশাপাশি পরমতসহিষ্ণুতা অপরিহার্য। তিনি দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে বেগবান করতে সব রাজনৈতিক দলকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখার আহ্বান জানান। রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘ঘাতকচক্রের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশ ও আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বহীন করে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে রুখে দেওয়া এবং দেশে স্বৈরশাসন ও জঙ্গিবাদ প্রতিষ্ঠা করা। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ তা হতে দেয়নি।’

প্রধানমন্ত্রীর বাণী:  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একুশে আগস্টের শোককে শক্তিতে পরিণত করে সন্ত্রাস ও জঙ্গিমুক্ত একটি শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়তে দেশের সব নাগরিককে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘একুশে আগস্টের হামলাকারী, পরিকল্পনাকারী, নির্দেশদাতা এবং মদদদাতাদের সুষ্ঠু বিচারের মাধ্যমে দেশ থেকে হত্যা, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের চির অবসান হবে। আইনের শাসন সুপ্রতিষ্ঠিত হবে। এই দিনে এটাই আমার প্রত্যাশা।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ হামলার মূল লক্ষ্য ছিল স্বাধীনতা, গণতন্ত্র, শান্তি ও উন্নয়নের ধারাকে স্তব্ধ করে দেওয়া। বাংলাদেশকে নেতৃত্বশূন্য করে হত্যা, ষড়যন্ত্র, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও দুঃশাসনকে চিরস্থায়ী করা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করাই ছিল এই হামলার উদ্দেশ্য।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এ নারকীয় হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করে বিচার করা ছিল সরকারের নৈতিক দায়িত্ব। কিন্তু তৎকালীন বিএনপি-জামাত জোট সরকার তা না করে হত্যাকারীদের রক্ষার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে। হামলাকারীদের পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেয়। অনেক আলামত ধ্বংস করে। তদন্তের নামে এই নৃশংস ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে। কিন্তু পরবর্তীকালে তদন্তে বেরিয়ে আসে বিএনপি-জামাত জোটের অনেক কুশীলব এই হামলার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিল।’

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার দেশে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। দেশ-বিদেশের সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে কুখ্যাত অনেক যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসির রায় কার্যকর করা হয়েছে। গত সাড়ে আট বছরে আমাদের সরকার সব সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ প্রতিহত করে দেশে শান্তি ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করেছে।’

কর্মসূচি: একুশ আগস্ট উপলক্ষে সোমবার বিকাল ৪টায় আওয়ামী লীগের উদ্যোগে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। দলীয় সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে সভাপতিত্ব করবেন। দলের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় দেশবাসীকে সঙ্গে নিয়ে পালন করার জন্য আওয়ামী লীগ এবং তার সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের সবস্তরের নেতা-কর্মী, সমর্থক, শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ভবিষ্যতে বলিউড মাতাবে শ্রীদেবীর এই কন্যা!

ভবিষ্যতে বলিউডে ‘পাওয়ার বিহাইন্ড দ্য থ্রোন’ কে হয়ে উঠছেন? এই নিয়ে নানা বিতর্ক থাকলেও সম্ভবত সে তালিকাতে শীর্ষে থাকবেন শ্রীদেবী কন্যা জাহ্নবী কাপুর। বলিউডে পা রাখতে যাচ্ছেন সাইফ আলি খানের কন্যাও।
তাকে নিয়ে আলোচনা কম নয়। কোন পরিচালকের কোন ছবিতে তাঁর আবির্ভাব হবে, তা নিয়ে বিস্তর জল্পনা চলেছিল।

এদিকে মাধুরী থেকে দীপিকা-প্রিয়াঙ্কা হয়ে এই মুহূর্তে বলিউড মাতিয়ে রেখেছেন আলিয়া-শ্রদ্ধারা। কিন্তু এর মধ্যেই তৈরি হয়ে গেছে পরবর্তী প্রজন্মও। সে ব্যাপারে বেশ এগিয়েই জাহ্নবী। এককালে বলিপাড়াকে প্রায় নিজের অনুনকরণীয় ভঙ্গিতে শাসনে রেখেছিলেন মা শ্রীদেবী। তাঁর কন্যাও কিন্তু কোন অংশে পিছিয়ে নেই। জাহ্নবী ও খুশি, দুই জনকে নিয়েই বহু আলোচনা। তবে সম্প্রতি নজর কেড়েছেন জাহ্নবী।

কয়েক দিন আগে শ্রীদেবীর জন্মদিন উপলক্ষে বসেছিল চাঁদের হাট। শ্রীদেবী তো ছিলেনই। রেখা, রানি মুখার্জি কে না ছিলেন সে চাঁদের হাটে! তবে এ তারকা সমাবেশে স্বাতন্ত্রে ঝলমলে হয়ে উঠলেন জাহ্নবী। হ্যাঁ, তার বিশেষ পোশাক তো একটা কারণ বটেই। নিষ্পাপ সৌন্দর্যে যে তিনি পুরুষ হৃদয় লহমায় ঢেউ তুলতে পারেন তাও সত্যি। তবে সকলে মুগ্ধ হয়েছেন, জাহ্নবীর অ্যাটিটিউডে। পোশাক সাহসী। তবে এই বয়সে তা যেভাবে ক্যারি করেছেন জাহ্নবী, সে সহজাত দক্ষতায় সরলতার সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছেন নায়িকা সুলভ আবেদন, তাতে বিস্মিত তাবড় নায়িকারা। সে ছবি নেটদুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়ায় অনেকেই বলছেন, বলিপাড়ায় পা রাখলে এ মেয়ে যে অচিরেই সিনেদুনিয়া শাসন করবে তা বলাই যায়।

তাছাড়া কিছুদিন আগে তারকা বাবার পাশে নিজের বোল্ড আউটফিটের জোরে আলোচনায় এসেছিলেন শাহরুখ কন্যা সুহানাও। সাইফ আলি কন্যা তো আছেই। শ্রীদেবীর দুই কন্যাও প্রায় তৈরি। বলিপাড়া যতই স্বজনপোষণের অভিযোগে সরগরম থাকুক, সিনেপর্দাতে এঁদের দেখা থেকে কেউই বোধহয় বঞ্চিত হতে চাইবেন না।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বার্সেলোনায় হামলার ঘাঁটি শনাক্ত, ১২০ গ্যাস সিলিন্ডার উদ্ধার

স্প্যানিশ পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১২ জনের একটি শক্তিশালী সন্ত্রাসী ঘাঁটি থেকে ১২০টি গ্যাস সিলিন্ডার উদ্ধার করেছে। পুলিশের দাবি, এ ঘাঁটিগুলো থেকেই দেশটিতে গত দুইদিন আগে দুই হামলা পরিচালনা করা হয়েছিল এবং আরও গাড়ি হামলার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছিল।

এ ব্যাপারে কাতালান পুলিশ চিফ যোসেফ লুইস ত্রাপেরো জানান, এ ঘাঁটিতে নিশ্চিতভাবে ১২ জন সন্ত্রাসী ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে হামলার পরিকল্পনা নেয়। যাদের মধ্যে মূল ব্যাক্তিকে এখনো গ্রেফতার করা যায়নি, চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং দুইজনকে শনাক্ত করা যায়নি। বাকী পাঁচজন নিহত হন ক্যামব্রিলসে।

ত্রাপেরো আরও জানান, আমরা স্পষ্টই দেখতে পাচ্ছি এখান (আলকানার হাউজ) থেকেই তারা বার্সেলোনাতে এক বা একাধিক বিস্ফোরণ হামলার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিল। তার দাবি, হামলার মূল ব্যক্তি হচ্ছে ভ্যানচালক। আমরা তার পরিচয় জানতে পেরেছি কিন্তু সঙ্গত কারণে সেটা প্রকাশ করছি না।

তবে পুলিশ নিশ্চিত করেছে তারা মরক্কো বংশোদ্ভূত ইউনেস আবু ইয়াকুবকে (২২) খুঁজছেন। অন্যদিকে স্প্যানিশ গণমাধ্যম বলছে, তিনিই হচ্ছেন ভ্যানচালক।

এদিকে পুলিশ এখনো বার্সেলোনার গাড়ি হামলার ভ্যানচালক খুঁজছে, এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ছিল ১৩।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারের বার্সেলোনার গাড়ি হামলার কয়েক ঘণ্টা পরেই শুক্রবার সকালে ক্যামব্রিলসের আরেক গাড়ি হামলায় একজন নারী নিহত হন, পাশাপাশি পুলিশের গুলিতে নিহত হন ৫ জন সন্ত্রাসী।

সূত্র: বিবিসি

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দোপার্তিভোকে বিধ্বস্ত করে লিগ শুরু রিয়ালের

লা লিগার সূচনাটা দুর্দান্ত হলো রিয়াল মাদ্রিদের। প্রথম ম্যাচে দোপার্তিভো লা করুনাকে ৩-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে জিনেদিন জিদানের দল।

রবিবার রাতে দোপার্তিভোর মাঠে আলোচিত মার্কো আসেনসিওকে নামাননি জিদান। তবে রিয়ালের হয়ে গোল পান গ্যারেথ বেল, কাসামিরো আর টনি ক্রস। প্রসঙ্গত, স্প্যানিশ সুপার কাপের দুই লেগেই প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনার জালে দুই গোল দিয়ে আলোচনায় আসেন মার্কো।

দোপার্তিভোর বিপক্ষে ২০ মিনিটেই গোলকিপারের ভুলে সুযোগ পায় রিয়াল। লুকা মদ্রিচের শট সোজা হাতে গেলেও তা রাখতে পারেননি তিনি। ফাঁকা পোস্ট পেয়ে বল জালে পাঠান বেল। সাত মিনিট পরেই আরেকটি গোল। এবার নিজেদের মধ্যে দেওয়া নেওয়া করে ইস্কোর আর মার্সেলো বল জোগান দেন কাসামিরোকে। বল জালে পাঠাতে কোন ভুল হয়নি তার।

বিরতি থেকে ফিরে ৬২ মিনিটে বেলের কাছ থেকে বল পেয়ে জোরালো শটে লক্ষ্যভেদ করেন জার্মান মিডফিল্ডার টনি ক্রুজ। অবশেষে ৩-০ ব্যবধানে জয় পায় রিয়াল।

উল্লেখ্য, নিষেধাজ্ঞার কারণে মাঠে নামতে পারেননি রোনালদো।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest