সর্বশেষ সংবাদ-

আসাদুজ্জামান : সদর উপজেলা টাইলস মোজাইক শ্রমিক ইউনিয়নের যুগ্ম সম্পাদক আক্তার হোসেন বুধবার সারা দিনের পরিশ্রম শেষে রাতে বাড়ি এসে খেয়ে দেয়ে রাস্তার পাশে দোকানের কাছে দাঁড়িয়েছিলেন। এ সময় সাতক্ষীরা থানার পুলিশ এসে তাকে বাজ পাখির মতো ছোঁ মেরে তুলে নিয়ে গেল। পরদিন সকালে তাকে দুই বোতল ফেনসিডিল দিয়ে চালান দিলো পুলিশ। এখন তিনি জেল হাজতে।
এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তার সংগঠনের নেতারা বলেন, আলিপুর গ্রামের আবদুল মাজেদের ছেলে আক্তার জীবনে কখনও ফেনসিডিল খায়নি, ছোঁয়নি, কেনেনি, ব্যবহারও করেনি। পুলিশ অন্য এক ব্যক্তিকে ধরে এনে তার কাছে পাওয়া ফেনসিডিলের দুই বোতল আক্তারের কাছে দিয়ে তাকে ফেনসিডিলখোর বানানোর চেষ্টা করেছে। আর এর পেছনে রয়েছে এলাকার ইউপি মেম্বর বহু টাকাওয়ালা মানুষ রফিকুল, যাকে এলাকার মানুষ ঘৃণা করে।
শনিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে টাইলস মোজাইক শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি রবিউল ইসলাম তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমরা সরকারি জমিতে জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের একটি অফিস তৈরি করতে চাইছিলাম। মেম্বর রফিকুল তাতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এবারের ইউপি নির্বাচনে আক্তার হোসেন রফিকুলকে সমর্থন দেন নি। এ সব কারণে তার সাথে আমাদের দ্বন্দ্ব চলছে। তাই ক্ষিপ্ত হয়ে ক্ষমতাধর রফিকুল আমাদের নেতা আক্তার হোসেনকে ষড়যন্ত্র করে পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দিয়েছে। রফিকুলের বিরোধীতা করায় এর আগেও জিয়াদ ও মনিরুলকে মিথ্যা মামলার শিকার হতে হয়েছিল। বিদেশ খেটে আসা এই রফিকুল এখন অনেক টাকার মালিক। এই টাকার জোরে সে সম্প্রতি জাহিদ হাসান নামের এক ব্যক্তিকে জামায়াত বানিয়ে পুলিশকে ম্যানেজ করে গ্রেফতার করায়। পরে তদন্তে দেখা যায় তিনি মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান। পুলিশ তাকে সসম্মানে ছেড়ে দেয়। রফিকুল মেম্বর নানা অপকর্মের হোতা উল্লেখ করে তারা সংবাদ সম্মেলনে বলেন তার দুই স্ত্রীই তার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। এলাকার মানুষ কাওরা মেম্বর না বললে চেনে না তাকে। আমরা তার কবল থেকে রক্ষা পেতে চাই। পুলিশ যেনো তাকে পাত্তা না দেয়। কারণ সে অসৎ ব্যক্তি। সে আস্ফালন করে বলেছে আমাদের সংগঠনের নেতাকর্মীদের এক এক করে পুলিশে ধরিয়ে পথে বসাবে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন রফিকুল মেম্বরের চক্রান্তের কারণে নিরীহ টাইলস মিস্ত্রী আক্তার গ্রেফতার হওয়ায় তার পাঁচ বছরের শিশুপুত্রকে নিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছেন তার স্ত্রী। আমরা অবিলম্বে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা থেকে আক্তার হোসেনের মুক্তি চাই। একই সাথে দুষ্ট ও অসৎ মানুষ এবং নানা অপরাধের হোতা রফিকুলকে গ্রেফতার করে তার শাস্তি দাবি করছি। কারণ তার অত্যাচারে এলাকার শান্তিপ্রিয় মানুষ শান্তিতে ঘুমাতে পারছে না।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাধারন সম্পাদক শামীম হোসেন বাবু, আবদুল হাকিম, আবদুল আলিম, শরিফুল ইসলাম, শেখ বাবু, সুজন ইসলাম, কবির হোসেন প্রমুখ নেতা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

মাহফিজুল ইসলাম আককাজ : সাতক্ষীরা পৌরসভার নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ীরা হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে মার্কেট সংস্কারের কাজ করায় পৌর কর্তৃপক্ষ ও পুলিশের বাধার মুখে তা পরিত্যক্ত হয়েছে।
উল্লেখ্য স্থানীয় সরকার ও সমবায় মন্ত্রণালয় থেকে গত ইং- ০৪/০৪/২০১৭ তারিখে উপ-সচিব মো. আব্দুর রউফ মিয়া ৪৬.০০.০০০০.০৬৩.৩১.০০৯.১২-৩৯৫ নং স্মারকে সাতক্ষীরা নিউ মার্কেটটি কনডেম বা পরিত্যাক্ত ঘোষণা করে। পৌর কর্তৃপক্ষ মার্কেটটি ভেঙে নতুন বহুতল মার্কেট নির্মাণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে এবং নোটিশের মাধ্যমে দেড় মাস সময় বেধে দেয় এবং ব্যবসায়ীদের দোকান ঘরের মালামাল সরিয়ে নিতে বলা হয়। কিন্তু ব্যবসায়ীরা এর বিরুদ্ধে গত-ইং- ২০/০৬/২০১৭ তারিখে ব্যবসায়ীদের পক্ষে শহরের মুনশিপাড়া গ্রামের মৃত মুজিবুর রহমানের ছেলে আবুল হোসেন বাদি হয়ে হাইকোর্টে ৬১২৯/২০১৭ নং রিট পিটিশন দাখিল করে। ০৫/০৭/২০১৭ তারিখে সুপ্রীম কোর্ট বিচারপতি নাইমা হায়দারের ডিবিশন বেঞ্চ স্থগিতাদেশ দেন এবং সাময়িকভাবে উভয় পক্ষকে স্থীতিশীল অবস্থানে থাকার নির্দেশ দেন। হাইকোর্টের এ নির্দেশ অমান্য করে শনিবার সকাল ৯ টায় নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি দাউদ হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বুলুর নির্দেশে ব্যবসায়ীদের মতামতের ভিত্তিতে রাজ-মিস্ত্রি দিয়ে ছাদের ফাটলসহ সংস্কার কাজ করছিল। নিউ মার্কেট কনডেম ঘোষণার বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীরা মার্কেটের ছাদের ফাটল সংস্কার করছে। এমন খবর পেয়ে পৌর কর্তৃপক্ষ সরেজমিনে প্যানেল মেয়র মো. আব্দুস সেলিম, কাউন্সিলর সৈয়দ মাহমুদ পাপা, পৌরসভার প্রধান হিসাব রক্ষক প্রশান্ত ব্যানার্জী, সহকারী প্রকৌশলী সাগর দেবনাথ, সার্ভেয়ার মামুনার রশিদসহ পৌর কর্তৃপক্ষ সংস্কার কাজ বন্ধ করে দেয় এবং সদর থানা পুলিশকে অবগত করলে ঘটনাস্থলে মার্কেট সংস্কারের কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জাম জব্দ করে পুলিশ।
এব্যাপারে সাতক্ষীরা নিউ মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি দাউত হোসেন বলেন, ছাদের কয়েকটি স্থানে ফাটল দিয়ে পানি পড়ছিল সে কারণে ব্যবসায়ীরা কমিটিকে জানালে আমরা সংস্কারের অনুমতি দিয়েছি।
এব্যাপারে সাতক্ষীরা পৌর মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতি বলেন, “সাতক্ষীরা পৌরসভার নিউ মার্কেটটি অত্যন্ত জরাজীর্ণ বহু পুরাতন একটি বিল্ডিং। বর্তমানে ব্যবসায়ীরা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ব্যবসা পরিচালনা করছে। যে কোন মুহুর্তে একটি বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। বিল্ডিংটি ধ্বসে ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষের প্রাণহানী ঘটতে পারে। ইতিমধ্যে আমরা জেনেছি বিল্ডিংয়ের ছাদে বড় বড় ফাটল ও মসজিদের ছাদ ধ্বসে পড়েছে। সাধারণ মানুষ ও ক্রেতারা এই মার্কেটে যেতে চাই না। এ বিষয়টি নিয়ে সকলের মাঝে আতংঙ্ক বিরাজ করছে। সচেতন মহল মনে করছে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ও সাধারণ মানুষের প্রাণহানী ঘটার আগেই জরুরি ভিত্তিতে পরিত্যক্ত নিউ মার্কেটটি ভেঙে সাতক্ষীরা শহরের শোভা বর্ধনে একটি নান্দনিক বহুতল ভবন নির্মাণ করা দরকার।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

মাহফিজুল ইসলাম আককাজ : সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠি হরিজন, বেদে, ঋষি ও হিজড়াদের কল্যাণে প্রতিষ্ঠিত সংগঠন বাংলাদেশ দলিত পরিষদ জেলা শাখার উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে শহরের মুনজিতপুরস্থ মীর মহলে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক গৌরপদ দাশের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সদর-০২ আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। এসময় বক্তব্য শ্যামনগর উপজেলা সভাপতি কাশি নাথ দাশ, সাধারণ সম্পাদক মতিন্দ্রনাথ দাশ, কালিগঞ্জ উপজেলা সভাপতি পঞ্চানন দাশ, সাধারণ সম্পাদক সুশান্ত দাস, তালা উপজেলা সভাপতি প্রবীর দাস, সদর উপজেলা সাধারণ সম্পাদক গণেশ দাশ, আশাশুনি উপজেলা সভাপতি স্বপন দাশ প্রমুখ। বাংলাদেশ দলিত পরিষদ জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেন তারা খুবই অবহেলিত। সরকারের যে সব সংগঠন সমাজের পিছিয়ে পড়া জন-গোষ্ঠিকে নিয়ে তাদের সমাজ, শিক্ষা ও জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে তাদের সাথে সমন্বয়হীনতা রয়েছে। তাদের সংঠনের সদস্যদের সরকারের এ সব সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। সাংসদের কাছে দাবি জানান তারা যেন তাদের অধিকার থেকে আর বঞ্চিত না হয়। এসময় বাংলাদেশ দলিত পরিষদ জেলা ও উপজেলা শাখার নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

জনসাধারণের নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর। কিন্তু সেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীই যদি হয়ে যায় আতঙ্কের কারণ তাহলে জনসাধারণের নিরাপত্তা কোথায়। দিনে দিনে সাধারণ মানুষের আস্থা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর কমে যাচ্ছে বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

শনিবার (১২ আগস্ট) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে মৌলিক অধিকার সুরক্ষা কমিটি আয়োজিত ‘আইনের শাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনায় এমনটি উঠে আসে।

আলোচনা সভায় বলা হয়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য থেকে শুরু করে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ের লোকেরা আইন লংঘন করলে তাদের বিচার কিভাবে হবে সেটিও নিয়ে প্রশ্ন তোলেন আলোচকেরা। এসব বিষয় সমাধানে ন্যায়পাল নিয়োগের বিধান কার্যকর করার দাবি তোলা হয় আলোচনা সভা থেকে।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়ার সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফর উল্লাহ চৌধুরী, আইন ও সালিস কেন্দ্রের সাবেক নির্বাহী পরিচালক নূর খান লিটন, ঢাবির আইন বিভাগর অধ্যাপক ড. রেদওয়ানুল হক, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, মানবাধিকার কর্মী শিরীন হকসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের সংবিধানের ৭৭ নং অনুচ্ছেদে ন্যায়পাল নিয়োগের ক্ষমতা সংসদকে দেয়া হয়েছে। ১৯৭২ সাল থেকে সংবিধানে ন্যায়পালের বিধান রয়েছে। ন্যায়পালের কাজ সম্পর্কে ওই আইনের ৬ ধারায় বলা হয়েছে মন্ত্রণালয়সহ সকল সরকারি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আনীত তদন্ত ও বিচার করবে।

আয়োজক সংগঠনের সদস্য ও আইন ও সালিশ কেন্দ্রের সাবেক নির্বাহী পরিচালক নূর খান লিটন বলেন, ‘স্বজ্ঞানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিবর্তে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলা হয়েছে। কারণ বাহিনীর সঙ্গে রক্ষাকারী শব্দটা আর যায় না। সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের স্বামী আবু বকর সিদ্দিককে অজ্ঞাতপরিচয় লোকজন অপহরণ করে তিন বছর আগে। অপহরণের পরপরই থানায় মামলা দায়ের করলেও কারা এর পেছনে ছিল সে সম্পর্কে তদন্তে কিছু জানা যায়নি।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ড. জাফরউল্লাহ চৌধুরী বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দলীয়করণের কারণে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিসহ আইনের শাসন বিঘ্নিত হবার মত ঘটনার সৃষ্টি হচ্ছে। আমরা সবাই হতাশায় ভুগছি। একটা স্বাধীন কমিশন গঠন করে এই সমস্যার কিছুটা সমাধান করা যেতে পারে। আর এই বিচারপতিকে কি কিছু করা যায় না? আমি কিংবা আসিফ নজরুল তো আদালত অবমাননা করি নাই। অবমাননা করছেন সাবেক প্রধান বিচারপতি খাইরুল হক।

বেলার নির্বাহী প্রধান রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘টেলিভিশন টক শোতে দেখলাম খুব কথা। যারা অপহৃত হয়ে যাচ্ছেন তারা আর কথা বলেন না। এটা বুঝবার বুদ্ধি নেই আপনাদের? কথা কেমন করে বলবে? যদি একটা অপহরণের ঘটনাই শেষ অপহরণের ঘটনা হতো, তাহলে অবশ্যই যারা অপহৃত হয়েছেন তারা এবং তাদের পরিবার কথা বলতেন। একটা অপহরণের ঘটনা সারতে না সারতেই যদি দেখেন, সাতজন অপহরণ হয়েছেন, তাও আবার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দিয়ে এবং এমন পর্যায় থেকে যাকে আপনি ফেলে দিতে পারবেন না।এটা তো আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর কালচারের ভেতরে ঢুকে গেছে।’

তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ একটা ‌‘বিপদে পড়ার কালচারের’ মধ্যে ঢুকে গেছে। মানুষ এখন প্রতিবাদ করতে গেলে পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়, প্রতিবাদ করতে গিয়ে বিপদে পড়ো না। জনগণের অনাস্থা, অবিশ্বাসের জায়গাগুলো শনাক্ত করে, আস্থা ও বিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে হবে বলে মনে করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, ‌‘যেসব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আস্থাহীনতা চরম, অবিশ্বাস চরম, সেখান থেকে মুক্তি পেতে হলে, কোনো আইন বাতিল করতে হলে আমাদের বাতিল করতে হবে। যদি বিডিআরের নাম বদলে যেতে পারে, যে সে মূল্যবোধ নিয়ে ব্যাজ পরতে পারছে না, তাহলে র‍্যাবের ব্যাপারেও আসলে আমাদের চিন্তা করতে হবে।’

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের মতে, নাগরিকেরা হারিয়ে গেলে নির্বাচনে জেতা যাবে না। ‌জাতীয় পরিচয়পত্রধারী নাগরিকেরা হারিয়ে যায়। কেউ বলতে পারে না। পুলিশ, র‍্যাব, সেনাবাহিনী বলতে পারবে না এটা তো দিনের পর দিন হতে পারে না। এটা কোনো কথা? ন্যুনতম জবাবদিহিটুকু থাকবে না? তারা সমানে গ্রেপ্তার করতে পারে, জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে, অ্যারেস্ট করতে পারে, কেউ তো বাধা দিচ্ছে না, কিন্তু আমরা হারিয়ে যাব কেন? তাহলে এই পরিচয়পত্র দিয়ে আমাদের লাভটা কি হলো? এটা আমাদের সুরক্ষাকবচ। আর নাগরিকেরা হারিয়ে গেলে কি হবে, আগামী নির্বাচনে জেতা যাবে? কোনোভাবেই সম্ভব না। বরং নাগরিকেরা যদি থাকতে পারে তাহলেই আগামি নির্বাচনে জেতা সম্ভব।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. আসিফ নজরুল বলেন, বিচারপতি খায়রুল হক ত্রয়োদশ সংশোধনীর সংক্ষিপ্ত রায়ের ১৬ মাস পরে নিজের রায় পরিবর্তন করে যে, রায় দিয়েছেন সেটা ছিল ফৌজদারী অপরাধ। আমি মনে করি যে, কোন বিচারে এটা একটি প্রতারণা। এটা জাতির সাথে প্রতারণা। এর খেসারত আমাদেরকে কতভাবে দিতে হচ্ছে। আমার যেটা মনে হয়েছে শুধু মানুষ গুম হয়নি। গুম হয়েছে আইনের শাসন, গণতন্ত্র। এমনকি রাষ্ট্রও গুম হওয়ার পথে রয়েছে।

৫৭ ধারার আইনকে বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে জঘন্যতম কালো আইন উল্লেখ করে আসিফ নজরুল বলেন, এর থেকে কালো আইন বাংলাদেশের ইতিহাসে হয়নি।

৫৭ ধারা এবং আদালত অবমাননার আইনের প্রয়োগে দেশে যে বৈষম্য হচ্ছে তা নজিরবিহীন আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, এর চেয়ে বৈষম্যমূলক প্রয়োগ আর হতে পারে না। সরকার বা তাদের কারো বিরুদ্ধে কথা বললেই মামলা হয়। অথচ দিনের পর দিন দেখি সরকার পক্ষের লোকজন সবার সম্পর্কে আজে বাজে বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। ড. কামাল হোসেন, ড. ইউনুস, এবিএম মূসা বলেন কাউকে বাদ দেয়নি। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা হলে আদালতের গ্রহণ করার ক্ষমতা আছে কি এমন প্রশ্ন করেন তিনি।

সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী সুব্রত চৌধুরি বলেন, সাম্প্রতিক কালে ঢাকা শহরে যেমন চিকনগুনিয়া নামক রোগে আক্রান্ত হয়েছে, ঠিক তেমনি পুরো বাংলাদেশ যেন চিকনগুনিয়ায় আক্রান্ত। আপিল বিভাগ যে রায় দিয়েছেন তাতে কেউ সংক্ষুব্দ হলে রিভিউ করতে পারে। কিন্তু সব পক্ষ যেভাবে এটার পিছু লেগেছে, একজন সাবেক প্রধান বিচারপতি ক্ষমার অযোগ্য কাজ করেছেন। ওনার (খায়রুল হক) নিজের কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন আছে আর সেগুলো উনি এখন জনগনের সামনে আনছেন। আইন কমিশনে বসে কিছু করতে পারছেন না, এখান তিনি কথা বলা শুরু করেছেন।

সুব্রত চৌধুরী আরো বলেন, এটা নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে বিচার বিভাগের প্রতি মানুষের অনাস্থা তৈরি হতে পারে। এই একটা জায়গাই আছে। এটা নষ্ট করবেন না। আমাদের মৌলিক অধিকার নিচে নেমে যাচ্ছে সেটা নিয়ে আপিল বিভাগ পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন। আগামিকাল সাত খুন হত্যা মামলার হাইকোর্টের রায়। এটাও তো হত না। এই ঘটনায় জড়িতদের যার যার স্ব স্ব বাহিনীতে ফেরত পাঠানো হয়েছিল। হাইকোর্টে মামলা করে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের ব্যবস্থা করতে হল।

আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রেদওয়ানুল হক। প্রবন্ধে তিনি বলেন, গণতন্ত্র ছাড়া আইনের শাসন হবে না, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও তাদের ভূমিকা পালন করতে পারবে না। নির্যাতন, বিনা ওয়ারেণ্টে গ্রেফতার এগুলোর কোন আইনগত ভিত্তি নেই। দীর্ঘদিন যাবত মামলার তদন্ত হয় না, হলেও ধীর গতি, মাইনোরিটিদের নিরাপত্তার কোন ব্যবস্থা নেই। বর্তমানে ঘরের ভেতর আলোচনা করলেও অনুমতি নিতে হয়, ৫৭ ধারার মত আইন এবং এর বৈষম্যমূলক ব্যবহার এবং দ্রুত রেসপন্স এর অভাব। এসব কারনে আইনের শাসন ব্যহত হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর অপরাধে জড়িয়ে পরার প্রবণতা বেড়েছে। জবাবদিহিতার সাথে আইনের শাসনের ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আমাদের দেশে জবাবদিহিতার অভাব রয়েছে। রাজনৈতিক কারনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যবহার যতদিন বন্ধ না হবে ততদিন আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব হবে না।

আলোচনা সভার সমন্বয়ক সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, যখন কোনো ব্যক্তি কোনো ব্যক্তিকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। তখন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে, তারা কোনো আইনী প্রক্রিয়া ছাড়াই গ্রেপ্তার করছে। সে কারণে গ্রেপ্তারের পরিবর্তে তুলে নিয়ে যাওয়া, উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার মতো বেআইনি শব্দগুলো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যবহার হচ্ছে। যেহেতু আইনি প্রক্রিয়া না মেনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, তার বিরুদ্ধে কোনো আইনগত প্রতিকার আসলে নেই বলে মন্তব্য করেন জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।

আলোচনা সভায় গুম হওয়া সাতক্ষিরার সেই পল্লী ডাক্তারে স্ত্রী জেসমিন নাহারও তার বক্তব্য উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, আমার স্বামীকে পুলিশ গুম করেছে। আমার স্বামীকে আমি ফিরে পাবো কিনা জানিনা। তবে আমি এই জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছি যাতে আর কোন পরিবারকে এই ধরনের ঘটনার স্বীকার হতে না হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

বাংলাদেশের তারকা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ও যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী উম্মে আহমেদ শিশির বিয়ে করেন ২০১২ সালে। বিয়ের আগে অবশ্য কিছুদিন শিশিরের সঙ্গে প্রেম করেন সাকিব। ২০১০ সালে শিশিরের সঙ্গে সাকিবের প্রথম পরিচয় হয়। এরপর প্রেম ও বিয়ে। তাদের ঘরে রয়েছে দুই বছর বয়সী এক কন্যা সন্তান।

শুক্রবার নিউইয়র্কে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে নিজের প্রেম এবং বিয়ে নিয়ে কথা বলেন সাকিব। এসময় ভক্তদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডার।

সাকিব জানান, শিশিরের সঙ্গে তার পরিচয় ফেসবুকের মাধ্যমে। শিশিরের ছবি দেখে অভিভূত হয়ে যান সাকিব। প্রথমদিকে অবশ্য শিশিরের ফেসবুক আইডিটাকে ফেক বলে মনে হয়েছে সাকিবের।

সাকিবের কথায়, ‘এত সুন্দর মেয়ে, ছবি দেখেই অভিভূত হই। প্রথমে মনে হয়েছিল যে, এটি হয়তো কোনো ফেইক আইডি। কিন্তু বাস্তবেই যে সে …ছিল।
লন্ডনে খেলার সময় দেখা হয় দু’বার। এরপরই বিয়ে। প্রেম করার তেমন সুযোগ হয়নি। তবে তাকে বিয়ে করার সিদ্ধান্তটি ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে ভালো এবং সময়োপযোগী একটি সিদ্ধান্ত। কারণ, বিয়ের পর আমি আরও বেশি উৎসাহ পাচ্ছি ক্রিকেটের প্রতি।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
প্রাণঘাতী হয়ে যায় যেসব খাবার!

অনেকেই আছেন যাঁরা খাবার নিয়ে পরীক্ষা নিরিক্ষা করতে ভালবাসেন। নতুন নতুন খাবার খেয়ে দেখতে রান্না করতে পছন্দ করেন। তা সে অভ্যাস মন্দ নয়। কিন্তু এই ধরনের পরীক্ষা নিরিক্ষার কারনে অনেক সময় সমস্যাও হতে পারে।

আবার অনেক সময় খাবারটি পরিচিত হলেও খাবারের ধরণের কারনেও সমস্যা হতে পারে। আবার এমন অনেক খাবার রয়েছে, যা লোভনীয়। মার্জিত পরিমানে খেলে কোনও সমস্যাও হয় না। কিন্তু অতিরিক্ত পরিমানে খাওয়া হলে তা সমস্যা তো তৈরি করেই, এমনকী কিছু কিছু সময়ে তা প্রাণঘাতীও হতে পারে। বিশ্বের এমনই প্রাণঘাতী কিছু খাবারের তালিকা দেখে নিন-

– কাঁচা কাজুবাদামঃ কাজুবাদামের নাম শুনে অনেকেই হয়ত চমকে উঠতে পারেন। গবেষণায় দেখা গেছে, কাঁচা কাজু বাদামে অ্যালার্জির সম্ভাবনা বেশি থাকে। আর যদি বেশি পরিমানে কাঁচা কাজুবাদাম খাওয়া হয় তাহলে তা প্রাণঘাতীও হয়ে উঠতে পারে।

– জংলি মাসরুমঃ মাসরুম সাধারণত অনেক রকমের হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে ক্ষতিকারক মাসরুম হয় জংলি মাসরুম। অনেকসময় এই ধরণের মাসরুমের এক কামড়ও খুব সাংঘাতিক হতে পারে। এক কামড়ে বমি বমি ভাব হতে পারে। এমনকী বেশি পরিমানে খেলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

– ফুগু মাছঃ ফুগু মাছ যা বিশ্বে পাফার মাছ নামেও পরিচিত। যদি এই মাছ ভাল করে রান্না করা না হয়ে থাকে তাহলে তার জন্য মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

– স্প্রাউটঃ জার্মানিতে দেখা গিয়েছে, স্প্রাউটেই কোলি থাকে। যা শরীরের পক্ষে অত্যন্ত ভয়ঙ্কর। এই কোলি বহু ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে মৃত্যুর কারণ হয়েছে। অনেকক্ষেত্রে এই স্প্রাউট দীর্ঘমেয়াদী অসুস্থতার কারণও হয়েছে।

– অ্যাকিঃ অ্যাকি একধরণের ফল যা জ্যামাইকাতে পাওয়া যায়। এই ফল বীজ বের করে শউধু শাঁসটুকুই খেতে হয়। কারণ এই ফলের বীজে এমন বিষাক্ত উপকরণ আছে যা শরীরের ভয়ানক ক্ষতি করে।

– কাঁচা দুধঃ কাঁচা দুধেই কোলির পরিমাণ যথেষ্ট পরিমাণে থাকে। যা শরীরের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকারক। এছাড়াও কাঁচা দুধে প্রচুর পরিমাণে ব্যাকটেরিয়া থাকে যা শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক।

– স্টার ফুড/কামরাঙ্গাঃ স্টার ফুড সুস্বাদু হলেও তা শরীরের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর। বিশেষ করে তা কিডনির পক্ষে আরও বেশি ক্ষতিকর।

– বাদামঃ অনেকেই জানেন না বাদামে অ্যালার্জির উপকরণ প্রচুর পরিমাণে থাকে। যাদের অ্যালার্জির সমস্যা থাকে। তাদের ক্ষেত্রে এই বাদাম প্রাণঘাতী হতে পারে। সূত্রঃ এমএসএন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

গত এক সপ্তাহ ধরে গভীর সমুদ্রগামী জেলের জালে ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে রূপালী ইলিশ। বরগুনার পাথরঘাটার বিএফডিসি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এখন ইলিশে সয়লাব। বিক্রি হচ্ছে পানির দামে। সমুদ্র থেকে ফিরে আসা জেলেরা বলছে, সমুদ্রে নেই কোন জলদস্যুর উৎপাত।

প্রশাসনের দাবি, মা ইলিশ রক্ষা এবং অবৈধ জাল বন্ধে কঠোর অভিযান পরিচালনা করায় জেলেরা আজ এতো ইলিশ পাচ্ছে।

সকাল সন্ধ্যা কিংবা রাত সমুদ্রে ইলিশ শিকার করে ট্রলার বোঝাই করে ফিরছে জেলেরা। মাছ বিক্রি করে রসদ সামগ্রী নিয়ে ইলিশ শিকারে আবার সমুদ্রে ছুটছে তারা। গত এক সপ্তাহ ধরে এক একটি ট্রলারে ৫ হাজার থেকে ২৫ হাজার পর্যন্ত ইলিশ পেয়েছে। প্রতিমণ ১৪ হাজার থেকে ১৮ হাজার পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

বাংলাদেশের বৃহত্তম পাথরঘাটা বিএফডিসি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র ইলিশে সয়লাব থাকায় জেলে ট্রলার মালিক পাইকার ও আড়ৎদারদের পদচারণায় এখন মুখরিত। তাদের ব্যস্ততা এখন এতটাই যেন ধম ফেলার সুযোগ নেই। ২৪ ঘন্টাই চলছে ইলিশ কেনাবেচা।

বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে যাচ্ছে ট্রলার ও ট্রাক বোঝাই ইলিশ। বিদ্যুতের সমস্যা থাকায় যে পরিমাণ বরফের চাহিদা রয়েছে সেই পরিমাণ বরফ উৎপাদন করতে পারছে না স্থানীয় বরফকলগুলো। বিগত দিনে প্রশাসন জলদস্যু বাহিনীদের দমন করায় এখন পর্যন্ত জলদস্যুর হামলার শিকার হয়নি কোন ট্রলার। পর্যাপ্ত ইলিশ পাওয়াতে জেলেরা ট্রলার মালিক ও শ্রমিকরা বিগত দিনের ধার দেনা যে ভাবে জড়জড়িত হয়েছিল তা থেকে হয়তো এখন তাদের মুক্তি মেলবে।

তবে আবহাওয়া খারাপ না হওয়াতে এবং বাতাস না থাকায় বলেশ্বর, বিশখালী, পায়রায় ও সাগর মোহনায় যে সব প্রান্তিক জেলেরা মাছ শিকার করে তাদের জালে এখন পর্যন্ত তেমন কোন ইলিশ শিকার করতে পারেনি। পূর্ণিমার পরে হয়তো এ সকল প্রান্তিক জেলেদের জালেও ধরা পরতে পারে প্রচুর ইলিশ এবং প্রশাসনের নজরদারিতার কারণে এত ইলিশ পাচ্ছে জেলেরা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

চলমান উত্তেজনার মধ্যেই চীনের সঙ্গে পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্ত এলাকায় সেনা সংখ্যা বাড়িয়েছে ভারত। একই সঙ্গে দেশটির পক্ষ থেকে ওই এলাকায় সতর্কতার মাত্রাও বাড়ানো হয়েছে। সরকারি বিশ্বস্ত কিছু সূত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়ার (পিটিআই) খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সূত্রের বরাত দিয়ে পিটিআই জানিয়েছে, চীনের আগ্রাসী বাক্যবিনিময়ের ও বর্তমান দ্বন্দ্বাবস্থার সতর্ক বিশ্লেষণ করেই ভারত নতুন তৎপরতা শুরু করেছে। দুই মাস আগে সিকিম সীমান্তের দোকলাম মালভূমিতে ঢুকে চীনের সেনাদের সড়ক নির্মাণকাজে বাধা দেয় ভারতের সেনারা। এরপর থেকেই মুখোমুখি হয় দুই দেশ। এর পর থেকে কোনো পক্ষই পিছু হটার কোনো আলামত দেখায়নি। চীনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দোকলাম মালভূমি (যেটিকে তারা দোংলাং বলে) তাদের ভূখণ্ডের অংশ। সেখানে সড়ক নির্মাণের পূর্ণ অধিকার তাদের আছে। কিন্তু ভারত ও ভুটানের দাবি, এই অঞ্চলটি হিমালয় সাম্রাজ্যের অংশ।

দিল্লির পক্ষ থেকে চীনকে হুঁশিয়ার করে বলে দেওয়া হয়েছে, এই অঞ্চলে সড়ক নির্মাণ মারাত্মক নিরাপত্তা উদ্বেগ তৈরি করবে। কারণ সড়ক নির্মিত হলে ভুটান, ভারত ও চীনের সীমান্তবর্তী এলাকাটির স্থিতাবস্থা থাকবে না।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest