সর্বশেষ সংবাদ-
গণভোটসহ ৫ দফা দাবিতে সাতক্ষীরা জামায়াতের বিক্ষোভসাতক্ষীরায় প্রকাশ্যে চেতনানাশক স্প্রে করে এক নারীর গহনা ও মোবাইল ছিনতাইসাতক্ষীরায় উপকূলীয় এলাকায় ক্রীড়া উৎসব১২ নভেম্বরকে ‘উপকূল দিবস’ ঘোষণার দাবিসড়ক দুর্ঘটনায় আহত জামায়াতে ইসলামী সাতক্ষীরা জেলা সেক্রেটারিসাতক্ষীরা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির নির্বাচন : জামায়াত সমর্থিত ৫টি পদে বিজয়সাতক্ষীরায় মুক্তিযোদ্ধার সনদ জালিয়াতির অভিযোগে চাকুরিচ্যুত দুই শিক্ষক ভ্রাতা চাকুরি ফিরে পেতে মরিয়াসাতক্ষীরায় অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকদের দ্রুত এমপিওর জন্য মতবিনিময় Master Your Game with These Winning Strategies at Kyngs Casinoসাতক্ষীরার চারটি আসনই ধানের শীষে ভোট দিয়ে বিজয়ী করতে হবে – হাবিবুল ইসলাম

১৬৬৩ পদে ব্যাংকে নিয়োগ

ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির সদস্যভুক্ত ব্যাংকের মধ্যে সাতটি ব্যাংক একযোগে  নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। এই ব্যাংকগুলো হচ্ছে—সোনালী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক লিমিটেড, রূপালী ব্যাংক লিমিটেড, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেড, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশন ও ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি)। প্রতিষ্ঠানগুলো ‘ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা’ (সাধারণ) পদে নিয়োগ দেবে।

পদের নাম
‘ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা’ (সাধারণ)
যোগ্যতা

স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যেকোনো বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অথবা চার বছর মেয়াদি স্নাতক/স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রিপ্রাপ্তরা আবেদন করতে পারবেন। মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট/সমমান এবং তদূর্ধ্ব পরীক্ষাগুলোয় ন্যূনতম ২ (দুই) টিতে প্রথম বিভাগ বা শ্রেণি থাকতে হবে। শিক্ষাক্ষেত্রে কোনো তৃতীয় বিভাগ গ্রহণযোগ্য হবে না। চাকরির বয়সসীমা ৩০ বছর।

বেতন
২২০০০-২৩১০০-২৪২৬০ থেকে ৪৮১২০-৫০৫৩০-৫৩০৬০ টাকা এবং নিয়মানুযায়ী অন্যান্য সুবিধা প্রদান করা হবে।

আবেদন প্রক্রিয়া
প্রার্থীরা শুধু বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইট (www.erecruitment.bb.org.bd)-এর Online Application Form পূরণের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবে।

আবেদনের সময়সীমা
আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ পর্যন্ত আবেদন করা যাবে।

সূত্র : বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইট (www.erecruitment.bb.org.bd)

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সুন্দরবনের ১০ কিলোমিটারের মধ্যে নতুন শিল্পকারখানা নয়

সুন্দরবনের চারপাশে ১০ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে নতুন শিল্পকারখানা স্থাপন না করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জেবিএম হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই নির্দেশ দেন।

সুন্দরবনের চারপাশে ১০ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে কতটি শিল্প প্রতিষ্ঠান আছে, তার তালিকা আগামী ৬ মাসের মধ্যে দাখিলেরও নির্দেশ দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার শেখ মোহাম্মদ জাকির হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।

চলতি বছরের এপ্রিলে সুন্দরবনের চারপাশে ১০ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে স্থাপিত শিল্প কারখানাসহ অন্যান্য স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়। একই সঙ্গে ১০ কিলোমিটারের মধ্যে যেসব কলকারখানা স্থাপনের অনুমতি বা ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে তা বাতিলের আবেদন জানানো হয়।

‘সেভ দ্য সুন্দরবন ফাউন্ডেশন’ নামের একটি সংস্থার সভাপতি শেখ ফরিদুল ইসলাম হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ৪ এপ্রিল রিট আবেদন দাখিল করেন।

রিট আবেদনে পরিবেশ সচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) ও সুন্দরবনের আশপাশের জেলাগুলোর দায়িত্বরত জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) বিবাদী করা হয়।

রিট আবেদনে বলা হয়, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় ১৯৯৯ সালের ৩০ আগস্ট এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সুন্দরবনকে সংরক্ষিত বন এবং এর চারপাশে ১০ কিলোমিটার এলাকাকে পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা হিসেবে ঘোষণা করে। এ প্রজ্ঞাপন অনুসারে সুন্দরবনের চারপাশে ১০ কিলোমিটার এলাকায় ভূমি, পানি, বায়ু ও শব্দ দূষণকারী শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা যাবে না। কিন্তু গণমাধ্যমে খবর এসেছে, পরিবেশ অধিদপ্তর ইতিমধ্যে প্রায় ১৫০টি শিল্প প্রতিষ্ঠানকে প্রকল্প করার জন্য অবস্থানগত ছাড়পত্র দিয়েছে, যার মধ্যে জাহাজ ভাঙা শিল্পসহ পরিবেশ দূষণকারী প্রকল্প রয়েছে। এসব শিল্পকারখানা স্থাপনের অনুমোদন দেওয়া সংবিধানের ১৮(ক) অনুচ্ছেদ ও পরিবেশ আইন ১৯৯৫-এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। তা ছাড়া এসব শিল্প কারখানা সুন্দরবনের জন্য হুমকিস্বরূপ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে পেয়ারা

পেয়ারা একটি পুষ্টিকর ফল। সকলের কাছেই পেয়ারা বেশ পছন্দের ফল। এতে প্রচুর ভিটামিন ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান থাকায় অনেকেই একে ভিটামিনের খনি বলে থাকে। পেয়ারার খোসায় কমলায় চেয়ে পাঁচগুণ বেশি ভিটামিন সি থাকে। এই ফলে লৌহ উপাদানও পর্যাপ্ত পরিমাণে বিদ্যমান। পুষ্টিমানের বিবেচনায় কমলার মান যেখানে ১৮৬ পয়েন্ট সেক্ষেত্রে পেয়ারার পুষ্টি মূল্যমান ৪২১ পয়েন্ট। পেয়ারাতে প্রচুর পরিমাণে এন্টিঅক্সিডেন্ট ও পলিফেনল আছে যা ক্যান্সার প্রতিরোধক। পাশাপাশি বহু রোগ প্রতিরোধে ও পেয়ারা ভূমিকা রাখে।

জেনে নিন পেয়ারার গুণসমূহ:

১) ত্বকের নানান সমস্যা দূর করে পেয়ারা। পেয়ারার প্রায় ৮১%ই পানি তাই পেয়ারা খেলে দেহ জলশূন্যতার হাত থেকে রক্ষা পায়, ত্বক সুস্থ থাকে। পেয়ারায় থাকা ভিটামিন সি ত্বকের কোলাজেন টিস্যুর সুরক্ষাতেও কাজ করে। এছাড়া পেয়ারায় থাকা ভিটামিন এ, বি, সি, পটাশিয়াম এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকে বয়সের ছাপ পড়া রোধ করে।

২) পেয়ারার বেশ কিছু ভিটামিন ও পুষ্টি উপাদান ঠাণ্ডা সমস্যা প্রতিরোধ করে। এছাড়া সর্দি-কাশিতে কচি পেয়ারার পাতা রস করে হালকা গরম পানির সাথে মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়।

৩) চুল পড়া রোধ করে পেয়ারা। পেয়ারায় থাকা ভিটামিন সি চুল পড়া রোধে বিশেষভাবে কার্যকরী। এছাড়া নতুন চুল গজাতেও সহায়তা করে পেয়ারা।

৪) মস্তিষ্কের সুরক্ষায় কাজ করে পেয়ারা। পেয়ারায় থাকা ভিটামিন মস্তিষ্কের নার্ভ রিলাক্স করতে সহায়তা করে। এতে মস্তিস্কের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

৫) নার্ভ ও মাংসপেশি শিথিল করে পেয়ারা। পেয়ারেতে থাকে প্রচুর পরিমাণের ম্যাগনেসিয়াম যা অনেক কঠিন পরিশ্রমের পরেও মাংসপেশি শিথিল রাখতে সহায়তা করে। এছাড়াও নার্ভ রিলাক্স করে পেয়ারা।

৬) উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে পেয়ারায় থাকা পটাশিয়াম।

৭) দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে, পেয়ারায় থাকা ভিটামিন এ।

৮) পেয়ারা পরিপাকতন্ত্রকে শক্তিশালি ও সুগঠিত করে তোলে। এটি বিভিন্ন প্রকার সংক্রামক রোগ ও জীবাণুর আক্রমণকে প্রতিহত করে। আমাশয় নিরাময়ে পেয়ারা খুবই কার্যকর। পাকা পেয়ারা আতিরিক্ত আঁশ সমৃদ্ধ হওয়ায় কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়া পেয়ারা কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধেও সাহায্য করে।

৯) ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে পেয়ারা ভূমিকা রাখে। পেয়ারাতে ফাইবার এবং কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্স থাকার কারণে এটি খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে আর তাই ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুকি কমে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আসছে টি-১০ ক্রিকেট!

আসছে টি-১০ ক্রিকেট!

কর্তৃক Daily Satkhira

ক্রিকেট খেলা আরও সংক্ষিপ্ত হতে যাচ্ছে। ওয়ানডের পরে এসেছে টি-২০ ক্রিকেট। সেই ধারাবাহিকতায় টি-২০ ক্রিকেটের পর এবার টি-১০ ক্রিকেট। আর নতুন ধাঁচের এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে যাচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাত।

ফুটবলের মতোই ৯০ মিনিটের মধ্যে খেলা শেষ হয়ে যাবে। ইতিমধ্যে টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়ার ব্যাপারে সবুজ সংকেত দিয়েছেন বীরেন্দ্র শেবাগ, ক্রিস গেইল, শহীদ আফ্রিদি, কুমার সঙ্গাকারা।

টেন ক্রিকেট লিগ নামে এই প্রতিযোগিতার সভাপতি শাজি উল মুলক বলেছেন, ‘শারজা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ২১ থেকে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে এই টুর্নামেন্ট। আমরা এই নতুন ধাঁচের ক্রিকেট নিয়ে আশাবাদী। ক্রিকেট এবার ৯০ মিনিটের খেলা হয়ে যাচ্ছে। এতদিন আমরা টি-২০ ম্যাচ উপভোগ করেছি। এবার টি-১০ উপভোগ করার অপেক্ষা।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কা‌লিগ‌ঞ্জে সা‌বেক ইউপি সদস্য মুন্সী আফজাল হো‌সে‌নের ইন্তেকাল

ভ্রাম্যমাণ প্র‌তি‌নি‌ধি, কা‌লিগঞ্জ: কা‌লিগঞ্জ উপ‌জেলার মৌতলা ইউনিয়‌নের ২ নং ওয়া‌র্ডের সা‌বেক ইউপি সদস্য আফজাল হো‌সেন (৭০) বৃহস্প‌তিবার সকাল ১১ টায় হৃদ‌রোগ জনিত কার‌নে তার নিজস্ব বাসভব‌নে ইন্তেকাল ক‌রে‌ছেন। সে ম‌ৌতলা ইউনিয়‌নের মুন্সী পাড়া গ্রা‌মের মৃত মুন্স‌ী রাহবার হো‌সেনের ছে‌লে এবং বর্তমান ২নং ওয়া‌র্ডের ইউপি সদস্য মুন্সী ম‌শিউর রহমান পলা‌শের পিতা। পা‌রিবা‌রিক সু‌ত্রে জানা যায় আফজাল হো‌সেন সকা‌লে গোসল সে‌রে এসে ভিজা লু‌ঙ্গি উঠা‌নের দ‌ড়ি‌তে মেলা‌তে যায় এসময় সে মাথা ঘু‌রে মা‌টি‌তে প‌ড়ে যায় সা‌থে সা‌থে তার স্ত্রী এবং প‌রিবারের সদস্যরা ঘ‌রে নি‌য়ে আসে। চি‌কিৎসার জন্য স্থানীয় ডাক্তার নেছার আহ‌ম্মেদ খবর দি‌লে তি‌নি এসে তা‌কে মৃত ঘোষনা ক‌রেন। তি‌নি মৃতকা‌লে স্ত্রী দুই পুত্র ও তিন কন্যা সন্তান এবং না‌তি না‌তিন সহ অসংখ্যা গু‌ণি গ্রাহী রে‌খে গে‌ছেন। তার মৃত্যু‌তে প‌রিবার আত্বীয় স্বজন ও এলাকায় শো‌কের ছায়া বিরাজ কর‌ছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
নাইকোর সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

কানাডাভিত্তিক তেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান নাইকোর সঙ্গে বাপেক্স ও পেট্রোবাংলার যৌথ চুক্তি অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে নাইকোর সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে বৃহস্পতিবার (২৪ আগষ্ট ) এই রায় ঘোষণা করা হয়। বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেসুর রহমান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা শুরু ১ নভেম্বর

অষ্টম শ্রেণির সমাপনী জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও মাদরাসার জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা শুরু হবে আগামী ১ নভেম্বর থেকে। শেষ হবে ১৮ নভেম্বর।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পর আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক উপ-কমিটি জেএসসি এবং মাদরাসা বোর্ড জেডিসি পরীক্ষার সূচি প্রকাশ করেছে।

 জেএসসি-জেডিসির সবগুলো পরীক্ষা সকাল ১০টা থেকে শুরু হবে।

এবার থেকে নিয়মিত পরীক্ষার্থীদের কর্ম ও জীবনমুখী শিক্ষা, শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য এবং চারু ও কারুকলা বিষয়ের পরীক্ষা নেয়া হবে না।

জেএসসির বিস্তারিত সূচি
১ নভেম্বর বাংলা প্রথম পত্র, ২ নভেম্বর বাংলা দ্বিতীয় পত্র, ৫ নভেম্বর ইংরেজি প্রথম পত্র, ৬ নভেম্বর ইংরেজি দ্বিতীয় পত্র।

ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা, হিন্দুধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা, বৌদ্ধধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা, খ্রিস্টধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা বিষয়ের পরীক্ষা ৭ নভেম্বর।

এছাড়া ৮ নভেম্বর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, ৯ নভেম্বর বিজ্ঞান, ১১ নভেম্বর কর্ম ও জীবনমুখী শিক্ষা (অনিয়মিত পরীক্ষার্থীদের জন্য প্রযোজ্য), ১২ নভেম্বর গণিত, ১৩ নভেম্বর শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য (অনিয়মিত পরীক্ষার্থীদের জন্য প্রযোজ্য) বিষয়ের পরীক্ষা নেয়া হবে।

১৪ নভেম্বর হবে কৃষি শিক্ষা, গার্হস্থ্য বিজ্ঞান, আরবি, সংস্কৃত এবং পালির পরীক্ষা।

১৬ নভেম্বর বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় এবং ১৮ নভেম্বর চারু ও কারুকলার (অনিয়মিত পরীক্ষার্থীদের জন্য প্রযোজ্য) পরীক্ষা নেয়া হবে।

জেডিসি বিস্তারিত সূচি
১ নভেম্বর কুরআন মাজিদ ও তাজবিদ, ২ নভেম্বর আকাইদ ও ফিকহ, ৪ নভেম্বর আরবি প্রথম পত্র, ৫ নভেম্বর আরবি দ্বিতীয় পত্র, ৬ নভেম্বর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, ৭ নভেম্বর বাংলা প্রথম পত্র, ৮ নভেম্বর বাংলা দ্বিতীয় পত্র।

এছাড়া ৯ নভেম্বর কৃষি শিক্ষা ও গার্হস্থ্য অর্থনীতি, ১১ নভেম্বর গণিত, ১২ নভেম্বর কর্ম ও জীবনমুখী শিক্ষা এবং শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য (অনিয়মিত পরীক্ষার্থীদের), ১৩ নভেম্বর ইংরেজি প্রথম পত্র, ১৪ নভেম্বর ইংরেজি দ্বিতীয় পত্র, ১৬ নভেম্বর বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় এবং বিজ্ঞান বিষয়ের পরীক্ষা ১৮ নভেম্বর।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ভারতীয় গরুতে দেশি খামারিদের আশাভঙ্গ

ঢালাওভাবে ভারতীয় গরু দেশে প্রবেশ করছে। এ খবরে খামারিরা দারুণভাবে হতাশ। কোরবানি ঈদ সামনে রেখে দেশের সব খামারি ও কৃষক সারা বছর ধরে পশু লালন-পালন করেন। একটু লাভের আশায় তাদের এ পরিশ্রম। কিন্তু আশায় গুড়ে বালি পড়ছে ভারতীয় গরু আসার খবরে।

কৃষকরা বলছেন, ঢালাওভাবে ভারতীয় গরু এলে আমাদেরই সর্বনাশ হবে। লাভের গুড় ভারতীয় গরুতে খেয়ে যাবে। গরুর ব্যবসায় এবারও লোকসান হলে ব্যবসা গুটিয়ে ফেলতে হবে।

ভারতীয় গরু বাংলাদেশে প্রবেশের বিষয়ে প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. আইনুল হক বলেন, আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠকে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ভারতীয় গরু প্রবেশ বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়েছে।

দেশের কৃষক ও খামারিদের স্বার্থে ভারতীয় গরু যাতে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য বিজিবি মহাপরিচালককেও বিষয়টি দেখার অনুরোধ করা হয়েছে। একই সঙ্গে সীমান্তের প্রতিটি জেলা-উপজেলায় প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদেরও বিষয়টির প্রতি নজর দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

নির্দেশনায় ভারতীয় পশু যাতে দেশে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের পক্ষ থেকে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে একজন সাংবাদিক জানান, কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে জেলার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় গরু বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। দেশটি থেকে গরু আসা অব্যাহত থাকলে কোরবানি পশুর দাম আরও কমবে বলে মনে করছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা।

অন্যদিকে ভারত থেকে গরু আসার কারণে আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কায় রয়েছেন জেলার খামার মালিকরা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শিবগঞ্জ উপজেলার অহেদপুর ও রঘুনাথপুর সীমান্তের দুটি বিট বা খাটাল দিয়ে প্রতিদিন প্রায় সাড়ে তিন হাজার গরু আসছে। খাটাল ছাড়াও সীমান্তের বিভিন্ন জায়গা দিয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে বন্যার পানিতে গরু ভাসিয়ে নিয়ে আসছে চোরাকারবারিরা।

জেলার সর্ববৃহৎ তর্তিপুর পশুহাটসহ মনাকষা পশুহাট, খাসেরহাট, সোনাইচন্ডি পশুহাট, বটতলা হাট, রামচন্দ্রপুর হাটসহ বিভিন্ন পশুহাটে দেশি গরুর পাশাপাশি ভারতীয় গরু বিক্রি হচ্ছে। ভারতীয় গরু থাকায় দেশি গরুর দাম এবার গতবারের চেয়ে অনেক কম বলেও মনে করছেন ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা।

কাস্টমস সূত্র জানায়, ২০১৬ সালের জুলাই ও আগস্ট- দুই মাসে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে গরু এসেছিল প্রায় ১৩ হাজার। আর এ বছর শুধু জুলাই মাসে গরু এসেছে সাড়ে ৬৮ হাজার। জেলায় এ বছর কোরবানির জন্য যে সংখ্যক দেশি গরু রয়েছে; তা জেলার চাহিদা মিটিয়ে বাইরে পাঠানো যাবে বলে খামার মালিকরা জানান।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের খামার মালিক হাসানুল হক বান্না জানান, এ বছর ২৬টি গরু কোরবানি ঈদে বিক্রির জন্য মোটাতাজা করেছেন। গরুর দাম ৭০ হাজার থেকে এক লাখ ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত। গরুর খাবারের দাম ও শ্রমিকের মজুরি বেশি হওয়ায় অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর গরু লালন পালন খরচ বেশি হয়েছে।

জেলার রাজনগর, দেবীগঞ্জ উপজেলার ভাউলাগঞ্জ ও তেঁতুলিয়া উপজেলার শালবাহান হাটসহ জেলার প্রধান গরুর হাটগুলো এখন ভারতীয় গরুর দখলে। ভারতীয় বড় আকারের গরুর আগ্রাসনে দেশি গরুর ন্যায্যমূল্য পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ স্থানীয় কৃষক ও খামার মালিকদের।

শুধু চাঁপাইনবাবগঞ্জ নয়, সাতক্ষীরাসহ দেশের অন্যান্য জেলায়ও ভারতীয় গরুর আধিক্যের কারণে স্থানীয় হাটগুলোতে বাইরে থেকে আসা বেপারিদের সংখ্যাও কম। উপযুক্ত দাম না পেয়ে ক্ষুব্ধ খামারি আর কৃষকরা গৃহপালিত গরু হাটে নিয়ে যাচ্ছেন না।

পঞ্চগড় : জেলার রাজনগর, শালবাহান, ভাউলাগঞ্জসহ বিভিন্ন পশুর হাট ঘুরে অধিকসংখ্যক ভারতীয় গরুর অস্তিত্ব পরিলক্ষিত হয়েছে। ফলে কমে গেছে দেশি গরুর দাম।

সদর উপজেলার ৩নং সদর ইউনিয়নের ডুডুমারি এলাকার কৃষক ফয়জুল ইসলাম বলেন, কোরবানির হাটে বিক্রির জন্য দুটি গরু প্রায় দুই বছর ধরে লালন-পালন করেছি। ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা করে প্রতিটি গরুর দাম হওয়ার কথা। কিন্তু ক্রেতারা ৫০ হাজার টাকার ওপর দাম বলছেন না। এই দামে বিক্রি করলে গরুর পেছনের খরচও উঠবে না।

স্থানীয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ- বিজিবির দাবি, পঞ্চগড়ে করিডোরের ব্যবস্থা না থাকায় ভারতীয় গরু কোনো সীমান্ত দিয়েই প্রবেশ করছে না। বিজিবি সদর দফতর থেকে গরু প্রবেশ ঠেকানো বন্ধে কোনো নির্দেশনাও তারা পাননি বলে পঞ্চগড় বিজিবি-১৮ সূ্ত্রে জানা যায়।

জামালপুরের ইসলামপুর পৌরসভার কৃষক কামরুজ্জামান। কোরবানির জন্য প্রতি বছরই তিনি চার-পাঁচটি গরু মোটাতাজা করেন। এবারও পাঁচটি গরু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করেছেন।

তিনি বলেন, এবার গরু পালনে খরচ অনেক বেশি পড়েছে। গরুর প্রধান খাবার ভূষির দাম অন্যান্য বারের তুলনায় এবার অনেক বেশি। সে হিসেবে গরু মোটাতাজা করতে খরচও অনেক বেড়ে গেছে।

তিনি বলেন, ভারতীয় গরু বাজারে এলে আমাদের মতো ছোট খামারিদের সর্বনাশ হবে। লাভের গুড় ভারতীয় গরুতে খেয়ে যাবে। মাঝখানে সর্বস্ব হারাতে হবে আমাদের।

কুষ্টিয়ার কাজী খামারের মালিক কাজী শওকত কোরবানি ঈদ সামনে রেখে এবার ১০০টি গরু প্রস্তুত করেছেন। তিনি বলেন, কোরবানির চাহিদা মেটানোর জন্য আমাদের দেশি গরুই যথেষ্ট। এ দেশে ভারতীয় গরুর কোনো প্রয়োজন নেই। দেশটি থেকে গরু আনা বন্ধে সরকারকেই কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।

ঢালাওভাবে ভারতীয় গরু এলে আমাদের খামারি ও কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বলেও জানান তিনি।

প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের কর্মকর্তা ডা. আবদুল হালিম এ প্রসঙ্গে বলেন, ভারতীয় গরু যাতে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে এজন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয়া হয়েছে। আশা করছি তারা পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।

তিনি আরও বলেন, কিছু ভারতীয় গরু এলেও দেশি গরুর চাহিদা কমবে না।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest