সর্বশেষ সংবাদ-
দেবহাটা উপজেলা জামায়াতের সুধী সমাবেশপ্রাণসায়ের খাল বাঁচাতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন ও সমাবেশদিনে ভোট, রাতে নয় আমার ভোট আমি দেব : আফরোজা আব্বাস অন্যায় কাজে কাউকে প্ররোচিত করবো না, উন্নয়নই হবে মূল লক্ষ্য : সাবেক এমপি হাবিবশোভনালীতে মানব পাচার প্রতিরোধ ও নিরাপদ অভিবাসন ডেস্ক উদ্বোধনআশাশুনির গোয়ালডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মানববন্ধনজবাবদিহিতা ও মানবাধিকার সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিতে গোলটেবিল সভাতালায় টিআরএম কার্যক্রমের বকেয়া ক্ষতিপূরণের দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলনপুজামণ্ডপে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে ব্যবস্থা: সাতক্ষীরার পুলিশ সুপারজলবায়ু পরিবর্তনে মানবাধিকার নিশ্চিতকরণে শ্যামনগরে এনগেজ প্রকল্পের অবহিতকরণ সভা

কলারোয়া উপজেলা চেয়ারম্যান স্বপনকে নিয়ে ফেসবুকে অশ্লীল মন্তব্য; থানায় অভিযোগ

আসাদুজ্জামান : সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ সভাপতি ফিরোজ আহম্মেদ স্বপনকে নিয়ে ফেসবুকে অশ্লীল মন্তব্য করায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন নিজে বাদি হয়ে রোববার দুপুরে উক্ত অভিযোগটি দায়ের করেন।
তবে, বিষয়টি তথ্য প্রযুক্তি সংক্রান্ত হওয়ায় কলারোয়া থানা পুলিশ নতুন নিয়মে মামলাটি নেয়ার জন্য উর্দ্ধতন কর্র্তৃপক্ষের অনুমোতি চেয়ে পাঠিয়েছেন। নির্দেশনা পেলে পুলিশ লিখিত অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানা গেছে।
কলারোয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন তাঁর লিখিত অভিযোগে বলেন, গত ১৯ আগষ্ট বেলা তিনটার দিকে ‘সত্যের পথিক, নামের ফেসবুক আইডি থেকে তার কলেজ শিক্ষক স্ত্রীসহ তাঁর নামে বিভিন্ন কুরুচিপূর্ন মন্তব্য ও ছবি এডিট করে পোষ্ট করা হয়েছে। সত্যের পথিক আইডি ও তার বন্ধুদের তথ্য যাচাই করে দেখা যায় সত্যের পথিক আইডির ফেসবুক ব্যবহার কারীর নাম জাকির হোসেন বাপ্পী। সে উপজেলার কেরালকাতা ইউনিয়নের নাকিলা গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে। এ ধরনের উদ্দেশ্যমূলক মিথ্যা ও কুরূচিপূর্ণ মন্তব্যে তাঁর পরিবার, উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা আওয়ামীলীগকে হেয় প্রতিপন্ন করা হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, বিষয়টি নিয়ে আইনগত প্রক্রিয়া চলছে। উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা গ্রহণ করার পর লিখিত এজারটি মামলা হিসাবে রেকর্ড করা হবে।

1 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
খাজরার চেয়ারম্যান ডালিমসহ ১২ জনের নামে এবার ডাকাতি মামলা

আসাদুজ্জামান : বসত বাড়িতে ডাকাতি করার অভিযোগ এনে এবার আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউপি চেয়ারম্যান শাহ নেওয়াজ ডালিমসহ ১২ জনের নামে আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যান ডালিম অবশ্য জানিয়েছেন তিনি আশাশুনি ইউপি চেয়ারম্যান এবিএম মোস্তাকিমের ষঢ়যন্ত্রের শিকার।

আশাশুনি উপজেলার পিরোজপুর গ্রামের মৃত ওমর আলি সরদারের ছেলে ইসমাইল হোসেন বাদি হয়ে বিজ্ঞ আমলি (আশাশুনি) আদালতে সিআরপি ১২৪/১৭ এ মামলাটি দায়ের করেন। আদালত আগামী ৩ অক্টোবর সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারকে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বলেছেন।
মামলার আসামিরা হলেন খাজরা ইউপি চেয়ারম্যান ও ১ নং আসামি শাহ নেওয়াজ ডালিম, আবু বাশার চিশতী, কামরুল ইসলাম, লাভলু গাজী, লিটন, মহসিন, সাইফুল ইসলাম, রিপন সরদার, সুব্রত গোলদার, মিজান, কবির সরদার ও রায়হান।

মামলার এজাহারে বলা হয়, এক নং আসামি শাহ নেওয়াজ ডালিমের নেতৃত্বে তার বাহিনী চলতি বছরের ১২ জুন তারিখ গভীর রাতে ইসমাইল হোসেনের বাড়িতে অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে প্রবেশ করে। তারা অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে বাদির ছোট ভাই তছমাইল সরদার ও ফজলু সরদারকে মারপিট করে বেধে ফেলে। এবং বাড়ির দোতলায় প্রবেশ করে ৩০ ভরি স্বর্নের অলংকার নগদ ১ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা, টিভি ও মোটরসাইকেল লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনা কাউকে বললে তাদের জীবন নাশের হুমকি দেয়া হয়। ডাকাতি করার সময় বাদির ভাই ও মেয়ে ডাকাতদের চিনতে পারেন এবং তাদের নিয়ে গেলে খাজরা বাজারে পৌছালে টহলরত পুলিশের উপস্থিতি টের পেলে ডাকাতরা তাদের ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় পরদিন থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা না নিয়ে টালবাহানা করতে থাকে। এক পর্যাযে বাদি ন্যায় বিচার পাওয়ার আশায় পরে গত জুলাই মাসের ৩০ তারিখে আদালতে এ মামলটি দায়ের করেন।
এদিকে, মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে খাজরা ইউপি চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ হোসেন ডালিম জানান, “আমি আশাশুনি উপজেলা চেয়ারম্যান এবিএম মোস্তাকিমের ষঢ়যন্ত্রের শিকার। ইতিপূর্বে এ বিষয়ে ডিআইজি, খুলনা বরাবর এরাই মিথ্যা অভিযোগে লিখিত দরখাস্ত করেছিল। সার্কেল এএসপি তদন্ত করে ঘটনার কোন সত্যতা পাননি। অথচ আমাকে হয়রানি করার জন্য সেই একই মিথ্যা অভিযোগে আদালতে মামলা করেছে। এসব কিছুর পিছনে আছেন আশাশুনি উপজেলা চেয়ারম্যান এবিএম মোস্তাকিম। তিনিই বারবার আমার বিরুদ্ধে ষঢ়যন্ত্র করে যাচ্ছেন।”

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মৃত সদস্যের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা ও সঞ্চয়ের অর্থ ফেরত

মাহফিজুল ইসলাম আককাজ : সাতক্ষীরা জেলা টেক্সি, অটোরিক্সা, অটোটেম্পু, মিশুক, বেবীটেক্সি, টেক্সিকার মালিক সমিতির উদ্যোগে মৃত সদস্যের পরিবারকে মরনোত্তর আর্থিক সহায়তা ও সঞ্চয়ের জমাকৃত টাকা ফেরত প্রদান করা হয়েছে। রোববার বিকালে কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনাল সংলগ্ন সমিতির অস্থায়ী কার্যালয়ে লাইন পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. জাহিদ হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা এম.এ খালেক। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা টেক্সি, অটোরিক্সা, অটোটেম্পু, মিশুক, বেবীটেক্সি, টেক্সিকার মালিক সমিতির সভাপতি মো. মাসুম বিল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক মো. গাউস আলী প্রমুখ। বক্তারা বলেন, ‘সাতক্ষীরা জেলা টেক্সি, অটোরিক্সা, অটোটেম্পু, মিশুক, বেবীটেক্সি, টেক্সিকার মালিক সমিতির মাধ্যমে অসহায় দুস্থ এবং ক্ষতিগ্রস্থ চালকদের উন্নয়নে কাজ করে যচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্থ চালকদের মাঝে অনুদান ও সঞ্চয়ের টাকা ফেরত প্রদান করা হচ্ছে। আগামী দিনে এ সংগঠনের মাধ্যমে চালকদের উন্নয়নে বিভিন্ন কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানান বক্তারা।’ এসময় উপস্থিত ছিলেন সানাউল্লাহ বাবু, শহিদুল ইসলাম, মো. সেলিম গাজী, শেখ মোস্তাফিজুর রহমান, রকিব মোল্যা, মনিরুজ্জামান বাসারসহ সমিতির সদস্যরা। এসময় মৃত আবুল বাসারের পরিবারের হাতে আর্থিক সহায়তার অর্থ ও তার সঞ্চয়কৃত অর্থ তুলে দেওয়া হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সৈকত বাদ, ফিরলেন মুমিনুল

মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত খেলতে পারবেন কিনা, তা নিয়ে কিছুটা সংশয় ছিলই। চোখের সমস্যার কারণে তাঁকে বিশ্রামে থাকতে হবে অন্তত এক থেকে দুই সপ্তাহ। তাই বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট এই তরুণ অলরাউন্ডারকে নিয়ে ঝুঁকি নিতে চায়নি। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টের দল থেকে তাঁকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তাই প্রথমে বাদ দেওয়ার পর আবার দলে ফিরিয়ে আনা হয়েছে অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মুমিনুল হককে।

গতকাল শনিবার ঘোষিত ১৪ সদস্যের দলে রাখা হয়নি মুমিনুল হককে। তা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়ে যায়। তাই শেষ পর্যন্ত আবার দলে ফেরানো হয় ২২ টেস্ট খেলা এই ব্যাটসম্যানকে।

মুমিনুলকে দলে ফেরানো সম্পর্কে জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘চোখের সমস্যার কারণে সৈকতকে বেশ কিছুদিন বিশ্রামে থাকতে হবে, তাই মুমিনুলকে আবার দলে ফেরানো হয়েছে। অবশ্য সে আমাদের পরিকল্পনায় সবসমই ছিল।’

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্ট হবে আগামী ২৭-৩১ আগস্ট, মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে। এরপর ৪-৮ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট।

দল : তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, ইমরুল কায়েস, সাকিব আল হাসান, মুমিনুল হক, নাসির হোসেন, মুশফিকুর রহিম, সাব্বির রহমান, মেহেদী হাসান মিরাজ, শফিউল ইসলাম, তাইজুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ ও লিটন কুমার দাস।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় সিজার করতে গিয়ে নবজাতকের মাথা কেটে ফেললো চিকিৎসক

আব্দুল জলিল : সাতক্ষীরায় চিকিৎসকের অসর্তকতায় ভূমিষ্ঠ হতে গিয়েই মৃত্যু মুখে পড়লো এক নবজাতক। একদিকে অপুষ্টি নিয়ে পৃথিবীর আলো দেখা, অন্যদিকে সিজারের সময় চিকিৎসকের অসর্তকতায় মাথায় বেশ কিছুটা কেটা যাওয়ায় জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে ওই নবজাতক এখন সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

রোববার দুপুরে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে এমন চিত্র। আর তাই দিশেহারা সাতক্ষীরা সদর উপজেলার এল্লারচরের আবুল হোসেন ও সোমা খাতুন দম্পতি।
আবুল হোসেন জানান, গত ১৮ আগস্ট সন্তান সম্ভবা স্ত্রীকে কেশব নামে এক গ্রাম্য ডাক্তারের পরামর্শে শহরের সংগ্রাম প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে সেখানেই শনিবার দুপুরে সোমা খাতুনের সিজার করেন ডা. সুতৃষ্ণা। ভূমিষ্ঠ হয় একটি ফুটফুটে ছেলে সন্তান। কিন্তু বিপদ ঘটে যায় চিকিসৎকের অসর্তকতায়। সিজার করতে গিয়ে বাচ্চার মাথার বাম পাশে কেটে ফেলে চিকিৎসক। তাৎক্ষণিক তাকে সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়। সদর হাসপাতাল থেকে তাকে খুলনায় পাঠানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখন কি করবো বুঝতে পারছি না।

এ ব্যাপারে ডা. ডা. সুতৃষ্ণার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বাচ্চাটি অপুষ্টি নিয়ে জন্মগ্রহণ করেছে। হওয়ার সাথে সাথে তাকে সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তার মাথায় কেটে যাওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে, আমি আবার খোঁজ নিয়ে দেখছি।

সংগ্রাম প্রাইভেট হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাবের রেজা জানান, এটি একটি অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা। সিজার করতে গিয়ে নয়, সম্ভবত পরিষ্কার করতে গিয়ে কেটে যেতে পারে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় সড়ক সংস্কার ও পানি নিষ্কাষণ নিয়ে আলোচনা

মাহফিজুল ইসলাম আককাজ : সাতক্ষীরা জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সড়ক সংস্কার ও পানি নিষ্কাষণসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সার্বিক আলোচনা হয়েছে।
রোববার সকালে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির উপদেষ্টা সাতক্ষীরা-০২ আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ.এন.এম মঈনুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আব্দুল হান্নান, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর বিশ^াস সুদেব কুমার, সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আব্দুল খালেক, সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. কাজী হাবিবুর রহমান, সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মেরিনা আক্তার, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান বাবু, শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তালা উপজেলা চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ কাজী আব্দুল মান্নান, সাতক্ষীরা সড়ক ও জনপদের নির্বাহী প্রকৌশলী মনজুরুল করিম, সাতক্ষীরা সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ জিয়াউল হক প্রমুখ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী অপূর্ব কুমার ভৌমিক, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নূর হোসেন সজল, কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার উত্তম কুমার রায়, কালিগজ্ঞ উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোলাম মাঈনুদ্দিন, দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাফিজ আল- আসাদ, শ্যামনগর উপজেলা চেয়ারম্যান ভারপ্রাপ্ত এস.এম মহসীন-উল-মূলক, আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুষমা সুলতানা, তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফরিদ হোসেন, জেলা শিক্ষা অফিসার এস.এম ছায়েদুর রহমান, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শেখ অহিদুল আলম, সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার রবীন্দ্রনাথ দাস, জেলা স্কাউটস্ সম্পাদক এম ঈদুজ্জামান ইদ্রিস, পৌর কাউন্সিলর শেখ শফিক উদ দৌলা সাগর, জেলা পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপ পরিচালক রওশন আরা জামান, জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ পরিচালক দেবাষিস চৌধুরী প্রমুখ।
সাতক্ষীরা জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় ভবিষ্যৎ জটিলতা এড়াতে পৌরসভার মধ্যে যে কোন অবকাঠামো বা রাস্তার কাজ করার সময় গণপূর্ত বিভাগ ও সড়ক ও জনপদ কর্তৃপক্ষকে সাতক্ষীরা পৌরসভার সাথে সমন্বয় করা, প্রাণসায়র খালের বর্জ অপসারণ করতে হবে। জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও এবং চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এলাকার পানি নিষ্কাষণের পদক্ষেপ নেওয়া, গুণগতমান বজায় রেখে শহরের প্রধান সড়কসমূহ নির্মাণ/মেরামতের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। শহর বাইপাস সড়কের কাজের অগ্রগতি বিষয়ে প্রধান প্রধান সিদ্ধান্ত সমুহের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় অনুদান ও রোগীদের মাঝে চেক বিতরণ

মাহফিজুল ইসলাম আককাজ : ‘সমাজসেবা যে জন করে, পা বাড়ালেই পূর্ণ বাড়ে’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে বাংলাদেশ জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিষদ কর্তৃক সাধারণ স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে অনুদান ও ক্যান্সার, কিডনী, লিভার সিরোসিস, স্ট্রোকে প্যারালাইজড ও জন্মগত হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীর মাঝে আর্থিক সহায়তার চেক বিতরণ করা হয়েছে। রোববার সকালে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা সমাজ কল্যাণ পরিষদের আয়োজনে জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা ০২ আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আব্দুল খালেক, জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ পরিচালক দেবাশিস, জেলা পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপ পরিচালক রওশন আরা জামান, সদর উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মো. রোকনুজ্জামান প্রমুখ। জেলার ৭২টি সাধারণ স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ৭ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকার চেক ও ২১ জন ক্যান্সার, কিডনী, লিভার সিরোসিস, স্ট্রোকে প্যারালাইজড ও জন্মগত হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীদের মাঝে ১০ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার চেক বিতরণ করা হয়। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন শহর সমাজসেবা অফিসার শেখ সহিদুর রহমান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় ২০১৩ সালের নাশকতাকারীরা ফের সংঘটিত হচ্ছে, নিয়মিত হচ্ছে গোপন বৈঠক

সাতক্ষীরায় ’১৩ সালের নাশকতাকারীরা ফের সংঘটিত হচ্ছে, নিয়মিত হচ্ছে গোপন বৈঠক
নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরায় নাশকতা সৃষ্টিকারী জামাত-শিবিরের ক্যাডাররা এতদিন আত্মগোপনে থাকার পর ফের সংঘটিত হচ্ছে। গোপন বৈঠক করছে প্রায় রাতে। ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সাতক্ষীরায় দাঙ্গা সৃষ্টিকারী ও তাদের ক্যাডাররা প্রকাশ্যে চলাফেরা শুরু করেছে।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের মধ্যে জামাত শিবির অধ্যুষিত যে কয়টি ইউনিয়ন আছে তার মধ্যে ফিংড়ি ইউনিয়ন অন্যতম। ২০১৩ সালে সাতক্ষীরা জেলায় জামাত শিবিরের নেতৃত্বে যারা ছিলেন তাদের অধিকাংশের বাড়ি ফিংড়িতে। প্রতিদিন ইঞ্জিন ভ্যান, নছিমন, করিমন ও পিকআপ ভ্যানে করে শত শত সশস্ত্র ক্যাডার সাতক্ষীরা শহরে দাঙ্গা সৃষ্টি করেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর প্রতিরোধের কারণে কিছুদিনের মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। পরবর্তীতে জেলার ৭৮ টি ইউনিয়নের যৌথ বাহিনী জামাত শিবিরের ক্যাডারদের গ্রেফতার অভিযান চালালেও অদৃশ্য কারণে আশানুরুপ কোনো অভিযান পরিচালিত হয়নি ফিংড়ীতে। যার কারণে জেলার অন্যান্য ইউনিয়নের দাঙ্গা সৃষ্টিকারীরা ফিংড়ী ইউনিয়নকেই তাদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল বলে মনে করে। ফিংড়ী ইউনিয়নকে বর্তমানে তারা তাদের গোপন বৈঠক এবং মিলন কেন্দ্র হিসাবে বেছে নিয়েছে বলে এলাকার একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে।
আত্মরক্ষার্থে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সুত্রগুলো বলছে, প্রায় গভীর রাতে মটরসাইকেল, মাইক্রোযোগে দাড়ি-টুপি পরা অপরিচিত ব্যক্তিরা এলাকায় এসে চিহ্নিত জামাত নেতা ও নাশকতায় নেতৃত্বদানকারীদের সাথে মিলিত হচ্ছে আবার ওই রাতেই চলে যাচ্ছে। ফিংড়ী ইউনিয়নের গাভা গ্রামের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় শান্তিবাহিনীর (পিচ কমিটি) কমান্ডার সাজ্জাত হাজী এসময় ফিংড়ী, গাভা, ব্যাংদহা এলাকায় হিন্দুদের বাড়ি ঘর লুটপাট করে এবং আগুন ধরিয়ে দেয়। এখনও হিন্দু পাড়াগুলো সাজ্জাত হাজীর তা-বের কথা মনে পড়লে শিউরে উঠে। এসময়ের লটুপাটের অর্থ দিয়েই আজ শত শত বিঘা জমির মালিক সে। তার পুত্র জামাতের দুর্ধর্ষ ক্যাডার আব্দুল হক। ২০১৩ সালে নাশকতা সৃষ্টিকারীদের নেতৃত্বদানকারী এই ক্যাডার এখন প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। ফিংড়ী ইউনিয়নের জামাত-শিবিরের এই নেতার নেতৃত্বে প্রায় রাতে গোপন বৈঠক হয় গাভা দাখিল মাদ্রাসায়। কারণ ওই মাদ্রাসার শিক্ষক জামাত ক্যাডার আব্দুল হক। মাদ্রাসার সুপার গাভা গ্রামের ওয়াজেদ মোড়লের ছেলে মাওঃ আজাদুল ইসলাম নাশকতা মামলার আসামি। কয়েকদিন পূর্বে সে আদালতে আত্মসমর্পণ করে কারাগারে আছে।
শেখ জাফর আলী পিতা মৃত শাহীন ঢালী সাং- গোবড়দাড়ি একই গ্রামের রফিক ঢালীর পুত্র এর আশরাফ আলীর শ্বশুর বুধহাটা ইউনিয়নের নওয়াপাড়া গ্রামের কুখ্যাত রাজাকার কমান্ডার আব্দুর রাজ্জাক। আশরাফ আলী জামাতের একজন দুর্ধর্ষ ক্যাডার। গোবরদাড়ি গ্রামের শফিউর রহমান, পিতা মৃত বেলায়েত সানা। বালিথা গ্রামের আপিল উদ্দীনের ছেলে রাজাকার কমান্ডার আনোয়ার উদ্দীন স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ভারতে যাওয়ার পথে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর আক্রমণ করে সর্বস্ব করে লুট করে। হিন্দু নারীদের উপর অত্যাচার করার একাধিক অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। জোড়দিয়া গ্রামের জাফর আলীর ছেলে আকতারুল ইসলাম ও দক্ষিণ ফিংড়ী গ্রামের জুম্মান আলী জামাত ইসলামীর রোকন।
ফিংড়ী ইউনিয়নের তিন গ্রামের ২০১৩ সালে নাশকতা নেতৃত্বদানকারী এসব নেতারা বর্তমানে ইউনিয়নব্যাপী দাপিয়ে সাংগঠনিক কর্মকা- চালিয়ে বেড়াচ্ছে বলে সূত্রগুলো জানিয়েছে। তারা আরো জানান, প্রায়ই গভীর রাতে অপরিচিত দাড়ি-টুপিওয়ালা লোকেরা এদের সাথে বৈঠক করে। ঘটনাগুলো স্থানীয় গ্রামবাসীরা জানলেও প্রাণের ভয়ে কেউই বলতে সাহস পায় না। ফিংড়ী ইউনিয়েন জামাত-শিবিরের ক্যাডাররা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছ। জামাত শিবিরের তালিকাভুক্ত এই সব ক্যাডারদের বিরুদ্ধে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কোনো আইনি পদক্ষেপ না নেওয়ায় তারা ফের সংঘটিত হচ্ছে বলে স্থানীয়রা জানায়।
এব্যাপারে ফিংড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সামছুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমিও শুনেছি জামাত শিবির সংঘটিত হচ্ছে। বিষয়গুলো আমাদের দলীয় ফোরামে জানিয়েছি। উল্লেখিত ব্যক্তিরা জামাত শিবিরের রাজনীতির সাথে জড়িত বলে তিনি জানান। এদের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলোও সঠিক বলে জানিয়েছেন তিনি।
এব্যাপারে ফিংড়ী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি প্রাক্তন ইউপি মেম্বর লুৎফর রহমান জানান, উল্লেখিত ব্যক্তিরা জামাতের রাজনীতির সাথে জড়িত। এদের নেতৃত্বে ব্যাংদহা বাজারে হিন্দুদের দোকানে আগুন দিয়েছিল ২০১৩ সালে। এবং এরা ওই সময় সংঘটিত হয়ে ফিংড়ী বাজার অভিমুখে আসার সময় স্থানীয় জনগণকে সাথে নিয়ে আমরা প্রতিরোধ করি। এরা আমার বাড়ি ভাংচুর করতেও চেয়েছিল কিন্তু জনগণের প্রতিরোধের কারণে তারা পারেনি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest