সর্বশেষ সংবাদ-
গণভোটসহ ৫ দফা দাবিতে সাতক্ষীরা জামায়াতের বিক্ষোভসাতক্ষীরায় প্রকাশ্যে চেতনানাশক স্প্রে করে এক নারীর গহনা ও মোবাইল ছিনতাইসাতক্ষীরায় উপকূলীয় এলাকায় ক্রীড়া উৎসব১২ নভেম্বরকে ‘উপকূল দিবস’ ঘোষণার দাবিসড়ক দুর্ঘটনায় আহত জামায়াতে ইসলামী সাতক্ষীরা জেলা সেক্রেটারিসাতক্ষীরা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির নির্বাচন : জামায়াত সমর্থিত ৫টি পদে বিজয়সাতক্ষীরায় মুক্তিযোদ্ধার সনদ জালিয়াতির অভিযোগে চাকুরিচ্যুত দুই শিক্ষক ভ্রাতা চাকুরি ফিরে পেতে মরিয়াসাতক্ষীরায় অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকদের দ্রুত এমপিওর জন্য মতবিনিময় Master Your Game with These Winning Strategies at Kyngs Casinoসাতক্ষীরার চারটি আসনই ধানের শীষে ভোট দিয়ে বিজয়ী করতে হবে – হাবিবুল ইসলাম

আশাশুনি পাইথালীতে মেয়াদোত্তীর্ণ কোমল পানীয় জব্দ

আশাশুনি ব্যুরো : আশাশুনি উপজেলার পাইথালী বাজারে এক মুদির দোকানে উপজেলা সেনেটারি কর্মকর্তার আকস্মিক অভিযানে বিভিন্ন ব্রান্ডের মেয়াদ উত্তীর্ণ কোমল পানীয় জব্দ করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী জানায়, বুধবার বিকালে উপজেলা সেনেটারি অফিসার গোলাম মোস্তফা উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়নের পাইথালী বাজারে অভিযান চালায়। এসময় পদ্ম-বৈউলা গ্রামের মৃত: মোমিন সরদারের পুত্র মোজাম্মেল সরদারের মুদির দোকান থেকে শতাধিক বোতল ফিজ আপ, ম্যাঙ্গালী জুস ও ব্লাকহর্সসহ বিভিন্ন ব্রান্ডের মেয়াদ উত্তীর্ণ কোমল পানীয় জব্দ করে। যে সকল পানীয়’র মেয়াদ ১৬ সালে শেষ হয়ে গেছে। পাইথালী বাজারের সাধারন ক্রেতাদের বক্তব্য এরকম ঘটনা প্রথম নয়। এর আগেও কয়েক বার বাজারে এরকম ঘটনা ঘটেছে। আইনানুক শাস্তির ব্যবস্থা করা হলে দোকান মালিকরা সচেতন হবে। তারা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। দোকান মালিক মোজাম্মেল সরদার জানান, অর্থনৈতিক কারনে তার দোকান বেশ কয়েক মাস নিয়মিত খুলছেন না। যে কারনে কিছু পানীয় মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেছে। এব্যাপারে উপজেলা সেনেটারি অফিসার গোলাম মোস্তফার সাথে কথা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে প্রতিবেদককে জানান, বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুষমা সুলতানাকে অবহিত করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুষমা সুলতানা জানান, সেনেটারি অফিসারকে বলেছি দোকানটিতে নতুন তালা দিয়ে বাজার কমিটির সভাপতির কাছে চাবি রেখে আসতে। বুধবার সরেজমিন তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে নৌকার জন্য -জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান

ধুলিহর প্রতিনিধি : মুজিব মানেই বাংলাদেশ। মুজিব মানেই লাল সবুজের পতাকা। বঙ্গবন্ধু মানে সোনার বাংলা। মহান স্বাধীনতার স্থপতি জাতির জনকের জন্যই পেয়েছি স্বাধীন একটি দেশ। ওরা পাকিস্থানের দোষর। তাইতো স্বপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেই চেয়েছিল সবকিছু স্তব্ধ করতে। কিন্তু পারেনি বাংলার মানুষের মুজিবীয় ভালবাসার জন্য। আবারও আওয়ামী লীগ সরকারকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এনে সাম্প্রদায়িকতা রক্ষা করতে হবে। সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে নৌকার জন্য। সব ভেদাভদ ভুলে এক কাতারে শামিল হতে হবে। নইলে এদেশে আবারও সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের উত্থান হবে। ২০১৩ সালের পুনরাবৃত্তি যেন না হয় এই বাংলায়। সকলকে সজাগ থেকে মিলেমিশে কাজ করার উদাত্ত আহবান জানান বক্তারা। বুধবার বিকেলে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ব্রহ্মরাজপুর বাজার বণিক সমিতির আয়োজনে বঙ্গবন্ধুর ৪২ তম শাহাদাৎ বার্ষিকীর আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। ব্রহ্মরাজপুর বাজার বণিক সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুর রশিদ সরদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারমান ও জেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব আসাদুজ্জামান বাবু, সদর উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাজান আলী, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক শেখ আব্দুর রশিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক গণেশ চন্দ্র মন্ডল, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মনিরুল ইসলাম মাসুম, ধুলিহর ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাবু ও ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি নিলীপ মল্লিক। এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ব্রহ্মরাজপুর বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শেখ আব্দুছ ছালাম, ধুলিহর যুবলীগ সভাপতি আজাহারুল ইসলাম, শেখ আব্দুল আহাদ প্রমূখ। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন ব্রহ্মরাজপুর বাজার জামে মসজিদের ইমাম মোজাম্মেল হক। অনুষ্ঠানের শেষে অতিথিবৃন্দ দোয়া অনুষ্ঠানের মিষ্টি বিতরন করেন। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ৬নং ওয়ার্ড আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুস।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দুর্নীতি রুখতে শ্রমিকের ছদ্মবেশে মেয়র

ন্যাশনাল ডেস্ক : চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকায় চলমান উন্নয়নকাজে ঠিকাদারের অনিয়ম রুখতে নির্মাণ শ্রমিকের ছদ্মবেশে পর্যবেক্ষণ করেছেন খোদ পৌর মেয়র ওবাইদুর রহমান চৌধুরী জিপু। তিনি গত কয়েকদিন ধরে পৌর এলাকার মহিলা কলেজপাড়া, হাজরাহাটি, বুজরুকগড়গড়িসহ কয়েকটি স্থানে চলমান উন্নয়নকাজ পর্যবেক্ষণ করেন। এমন খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশের পর সাংবাদিকদের নজরে আসে বিষয়টি।

চুয়াডাঙ্গা পৌর সভা সূত্র জানায়, গত ২৫ জুলাই চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকায় ২৫ কোটি ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে কয়েকটি উন্নয়নমূলক কাজের উদ্বোধন করা হয়। তৃতীয় নগর পরিচালন ও অবকাঠামো উন্নতিকরণ প্রকল্পের অর্থায়নে এ কাজের মধ্যে রয়েছে ১৪ দশমিক ৭৬ কিলোমিটার রাস্তা উন্নয়ন, ১৫ দশমিক ১৪ কিলোমিটার ড্রেন নির্মাণ ও ১০৮টি সড়কবাতির পোল স্থাপন। ইতিপূর্বে একযোগে এত বড় কাজ চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা করতে পারেনি। একটি সূত্র জানায়, পৌরসভার এ উন্নয়নকাজে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার যাতে কোনো অনিয়ম করতে না পারে, সেজন্য কখনো নির্মাণ শ্রমিক কখনো রিকশা চালকের ছদ্মবেশে সম্প্রতি পর্যবেক্ষণে নামেন পৌর মেয়র ওবাইদুর রহমান চৌধুরী। তিনি জরাজীর্ণ পোশাকে গামছা দিয়ে মুখ ঢেকে শ্রমিকদের সাথে কাজে যোগ দেন। ছদ্মবেশের বিষয়টি মঙ্গলবার প্রকৃত নির্মাণ শ্রমিকরা বুঝতে পারলে বিষয়টি জানাজানি হয়।

এ বিষয়ে পৌর মেয়র ওবাইদুর রহমান চৌধুরী জানান, ‘বর্তমান সরকার দেশের উন্নয়নের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। প্রায়ই শোনা যায়, ঠিকাদারদের অনিয়মের কারণে সেসব কাজ যথাযথভাবে সম্পন্ন করা হয় না। আমার পৌর এলাকায় যাতে এ ধরণের অনিয়ম না হয়, সেজন্যই আমি নিজে ছদ্মবেশের আশ্রয় নিই। ’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বানভাসি শিশুদের সাহায্যে অর্থ সংগ্রহের উদ্যোগ

মাহফিজুল ইসলাম আককাজ : মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ শিশু একাডেমী সাতক্ষীরার সহযোগিতায় বানভাসি শিশুদের সাহায্যার্থে অর্থ সংগ্রহের লক্ষ্যে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে বুধবার বিকালে ‘বানভাসি শিশুদের সাহায্যার্থে আমরা’ এই ব্যানারে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।

এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান বাবু। তিনি বলেন, ‘সাতক্ষীরা থেকে বন্যার্তদের জন্য বিভিন্ন মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করা হচ্ছে। আমরা এ উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। এতে বন্যার্তদের কিছুটা হলেও কষ্ট লাঘব হবে। বাংলাদেশের কয়েকটি জেলা বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। এই বন্যায় বেশি কষ্ট পাচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা। ঐসব অসহায় শিশুদের কল্যাণে আর্থিক সহায়তা এবং তাদের পাশে দাঁড়াতে এধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি এড. আবুল কালাম আজাদ, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা আবু জাফর মো. আসিফ ইকবাল। মানববন্ধনে জেলার বিভিন্ন শিশু ফোরামের শিশুরা উপস্থিত ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের দোয়া অনুষ্ঠান

মো: বশির আহমেদ : সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির ১নং ভবনের ২য় তলায় বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ, সাতক্ষীরা জেলা শাখার উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। পবিত্র কুরআন তিলায়াত, গীতা পাঠের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি, আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সাবেক সভাপতি ও সাতক্ষীরা ল’ কলেজের অধ্যক্ষ এস. এম হায়দার আলী। অনুষ্ঠানের আলোচনা পর্বের শুরুতে সভাপতি বিশেষ অতিথিদের নিয়ে ১৫ অগাস্ট এর শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ্যাড. এম. শাহ আলম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, জেলা আ’ লীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. অনিত মূখার্জী, জেলা আ’ লীগের অন্যতম সদস্য এ্যাড. আব্দুল লতিফ, এ্যাড. অরুণ ব্যানার্জী, এ্যাড. মোস্তফা নুরুল আলম, এ্যাড. নিজাম উদ্দীন, এ্যাড. অজয় কুমার সরকার, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইউনুস আলী, এ্যাড. আঃ জলিল, এ্যাড. নাজমুন নাহার ঝুমুর, এ্যাড. সৈয়দ জিয়াউর রহমান, এ্যাড. আব্দুর রহমান, এ্যাড. স. ম গোলাম মোস্তফা, এ্যাড. তৌহিদুর রহমান শাহিন, এ্যাড. সাহেদুজ্জামান সাহেদ, এ্যড.আল মাহমুদ পলাশ, এ্যাড. সাইদুজ্জামান জিকু, এ্যাড. নাদিরা পারভীন, এ্যাড. ফারুক হোসেন, এ্যাড. ফুয়াদ হাবিব টিটন।

আরো উপস্থিত ছিলেন এ্যাড. শাহনেয়াজ, এ্যাড. শম্ভুনাথ সিংহ, এ্যাড. আলী হোসেন, এ্যাড. আমিনুর রহমানসহ আরো অনেকে। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলা আ’লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক, আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও বিজ্ঞ পিপি এ্যাড. ওসমান গণি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রহস্যময় প্রশাসনের অন্দরমহল

টানা দুই মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ সরকারের জনপ্রশাসনে হঠাৎ করেই বেড়েছে বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত কর্মকর্তাদের দাপট। সরকারের গুরুত্বপূর্ণ একাধিক মন্ত্রণালয়ের বিশেষ পদগুলোয় বহাল এসব কর্মকর্তার কারণে অনেক ক্ষেত্রেই কোণঠাসা সরকার সমর্থকরা।

শুধু তাই নয়, সরকারের প্রভাবশালী মহলের আশীর্বাদও পাচ্ছেন বিএনপি-জামায়াত-সম্পৃক্তরাই। নানান কৌশলে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প পরিচালকের মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বও বাগিয়ে নিচ্ছেন তারাই। অনেক ক্ষেত্রে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে বর্ণচোরা এসব কর্মকর্তা সৃষ্টি করছেন সমন্বয়হীনতার। এ নিয়ে জনপ্রশাসনে এখন চলছে নীরব অসন্তোষ।

প্রশ্ন উঠেছে, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেও আসলে প্রশাসন নিয়ন্ত্রণ করছেন কারা? জানা যায়, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের অধীন চলমান উন্নয়নকাজের প্রকল্প পরিচালকদের রহস্যজনক আচরণে থমকে গেছে কাজের স্বাভাবিক গতি। জাতীয় নির্বাচন যখন আসন্ন তখন প্রশাসনের এসব কর্মকর্তা সরকারকে নানাভাবে বিব্রত করতে চাইছেন বলেও নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্রের আভাস। এসব কর্মকর্তাকে দ্রুত চিহ্নিত করতে না পারলে প্রশাসনে সরকারবিরোধী মহলের শক্ত অবস্থান তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে সংশ্লিষ্ট মহল। সূত্রমতে, প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু খোদ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়েই ঘাপটি মেরে আছেন সরকারবিরোধী একাধিক কর্মকর্তা। অভিযোগ রয়েছে, জনপ্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের শতাধিক কর্মকর্তা ভিন্ন মেরুর সমর্থক হলেও বর্তমান সরকারের আমলে দাপটের সঙ্গে কাজ করছেন। এক অনুসন্ধানে জানা গেছে, উপসচিব পর্যায়ের দুই কর্মকর্তা ছাত্রজীবনে ছিলেন বিএনপি সমর্থক। তাদের একজন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের কমিটিতে ছিলেন বলেও নিশ্চিত করেছে একাধিক সূত্র। বিএনপিপন্থি এ দুই কর্মকর্তা বর্তমান সরকারের আমলে সব সময়ই আছেন সুবিধাজনক অবস্থানে। তারা ধারাবাহিকভাবে কাজ করেছেন প্রশাসনের সবচেয়ে ক্ষমতাধর কর্মকর্তাদের আশীর্বাদে।

নির্ভরযোগ্য সূত্রমতে, শেরেবাংলানগর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একসময়ের শিবির নেতা বর্তমানে যুগ্ম-সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ে। বিতর্কিত এই কর্মকর্তার বাড়ি বাগেরহাটে। কৃষক লীগের সাবেক এক সাধারণ সম্পাদকের আপন ভায়রা হওয়ার সুবাদে প্রভাবশালী এই কর্মকর্তা নিজের পরিচয় লুকিয়ে সব ধরনের সুবিধা নিচ্ছেন প্রশাসন থেকে।

প্রশাসনের এক দাপুটে কর্মকর্তা যশোরের সাবেক জেলা প্রশাসক। অভিযোগ রয়েছে, এই কর্মকর্তা ছাত্রজীবনে সরাসরি জড়িত ছিলেন বিএনপি সমর্থিত ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে। যশোরে তাকে জেলা প্রশাসক বানাতে নেপথ্যে সহযোগিতা করেছেন তৎকালীন জনপ্রশাসনের দুই প্রভাবশালী কর্মকর্তা। এর মধ্যে একজন নিজেও একসময় শিবির ক্যাডার ছিলেন বলে প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে আলোচনা আছে। প্রশাসনে সরকার সমর্থিত কর্মকর্তাদের মধ্যে জোর গুঞ্জন রয়েছে, যশোরের সাবেক সেই জেলা প্রশাসককে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নীতিনির্ধারক পদ এপিডি হিসেবেও নিয়োগের চেষ্টা চলছে। সে ক্ষেত্রে একটি মহল জোর লবিং চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ। প্রশাসনের যুগ্ম-সচিব পদবির আরেক কর্মকর্তা একসময় ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিলেন।

গত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার আমলে তিনি ছিলেন সাবেক ভূমি উপমন্ত্রীর আস্থাভাজন। এই কর্মকর্তা এখনো দাপটের সঙ্গে কাজ করছেন। প্রশাসনের অষ্টম ব্যাচের অন্য এক কর্মকর্তার একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল বিএনপি সরকার আমলে। এক হুইপের পিএসের দায়িত্বে থাকা এই কর্মকর্তা বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের শেষ মুহূর্তে চলে আসেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে। এ বিভাগে থাকাবস্থায়ই তিনি পরপর দুটি গুরুত্বপূর্ণ পদোন্নতি পেয়ে এখন দায়িত্ব পালন করছেন। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে নবম ব্যাচের এক কর্মকর্তা বিএনপি সরকার আমলে ছিলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সুবিধাভোগী হিসেবে প্রশাসনের অভ্যন্তরে রয়েছে তার ব্যাপক পরিচিতি।

২০০১-০৬ সাল পর্যন্ত জোট সরকারের আমলে প্রশাসনে তার ছিল যথেষ্ট প্রভাব। বিতর্কিত এই কর্মকর্তা কয়েকবার উপসচিবের তালিকা থেকে বাদ পড়লেও বর্তমানে তিনি আবার দাপুটে কর্মকর্তা। প্রশাসনের ১৯৮৪ ব্যাচের এক কর্মকর্তা বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার আমলে ছিলেন সিলেট ও রাঙামাটির জেলা প্রশাসক। বর্তমানে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ১১ হাজার কোটি টাকার উন্নয়নকাজ বাস্তবায়নের প্রধান ভূমিকায় তিনিই রয়েছেন। প্রশাসনে ’৮৫ ব্যাচের এক কর্মকর্তা বর্তমানে কর্মরত রয়েছেন অর্থ মন্ত্রণালয়ে।

বিএনপি সমর্থিত এই কর্মকর্তাকে ঘিরে প্রশাসনের অভ্যন্তরে রয়েছে নানামুখী গুঞ্জন। অভিযোগ রয়েছে, তিনি মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসকের দায়িত্বে থাকাবস্থায় স্থানীয় আড়িয়ল বিলে বিমানবন্দর নির্মাণে কৌশলে অসহযোগিতা করেছিলেন। গুরুত্বপূর্ণ এক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব হিসেবে বর্তমানে কর্মরত এক কর্মকর্তা ছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকীর পিএস। প্রশাসনে ছিল তার অভাবনীয় প্রভাব। বর্তমান সরকার আমলেও তার প্রভাব বেড়েছে। সূত্রমতে, যুগ্ম-সচিবের সম্ভাব্য পদোন্নতির তালিকায় নিজের নাম নিশ্চিত করতে জোর লবিং চালাচ্ছেন তিনি।

৮২ ব্যাচের এক কর্মকর্তা বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার আমলে ছিলেন নরসিংদীর জেলা প্রশাসক। বর্তমানে তিনি ব্যাপক প্রভাবশালী। ৮২ ব্যাচের অন্য এক কর্মকর্তা বর্তমানে অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব। বিএনপি সমর্থিত কমকর্তা হিসেবে তৎকালীন জোট সরকারের আমলে তার ছিল ব্যাপক ক্ষমতা। ছিলেন পর্যায়ক্রমে কুড়িগ্রাম ও ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক। বিএনপি আমলে যেভাবে দাপিয়ে বেড়িয়েছেন সেই প্রভাব এখনো বহাল।

বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী সালাহ উদ্দিন আহমদের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত ছিলেন ’৮৫ ব্যাচের এক কর্মকর্তা, এ ছাড়া জোট আমলে কক্সবাজারের সাবেক দুই জেলা প্রশাসক বর্তমান সরকারের আমলেও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ পদে। এ ছাড়া বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ পদে দাপটের সঙ্গে কাজ করছেন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার আমলের সুবিধাভোগী কর্মকর্তারা। তাদের নিয়ে প্রশাসনে সরকার সমর্থিত কর্মকর্তাদের মধ্যে ক্ষোভ-অসন্তোষ তৈরি হয়েছে।

সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
৬০ কেজি ওজনের পা নিয়ে ঢাকা মেডিকেলে এক নারী

প্রতিবেশী আর সব কৃষক পরিবারের স্ত্রীদের মতই অত্যন্ত পরিশ্রমী ছিলেন সিলেটের রেজিয়া বেগম (৪০)। কৃষক পরিবারের হওয়ায় স্বামীর কাজে উদয়াস্ত তাকেই সাহায্য করতে হত। কিন্তু ১৮ বছর আগে দ্বিতীয় মেয়ের জন্মের পর তিনি প্রথম বুঝতে পারেন কোথাও একটা সমস্যা হচ্ছে।

এই ‘সমস্যা’ গত প্রায় দুই দশকে তার জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে। হাঁসমুরগি বা গবাদি পশু লালনপালন থেকে ঘরদোরের কাজে সেই অক্লান্ত রেজিয়া বেগম এখন বলতে গেলে কোনও কাজই করতে পারেন না। নিজের ছোটখাটো প্রয়োজনেও অন্যের সাহায্যের ওপর নির্ভর করতে হয়। গরীব পরিবারটির জন্য এখন অনেকটাই বোঝা হয়ে গেছেন তিনি।

রেজিয়া তার সমস্যার কথা জানাতে গিয়ে বলেন, দ্বিতীয় মেয়ের জন্মের সময় খেয়াল করি আমার পা ফুলে যাচ্ছে। অল্প চিকিৎসাতে সমস্যাটা সেরেও গিয়েছিল। কিন্তু বছর যেতে না যেতেই এটা আবার ফিরে আসে।

তার ডান পা ফুলতে ফুলতে এখন ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। তার আত্মীয়রা বলেন, রেজিয়ার পায়ের ওজন প্রায় দুই মণ। তাকে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিতে অন্তত তিন জন লোকের সাহায্য প্রয়োজন হয়।

রেজিয়ার দেবর আনা মিয়া বলেন, সে পরিবারের জন্য বোঝায় পরিণত হয়েছে। বাসার কোনও কাজ তাকে দিয়ে হয় না।

রেজিয়া বেগমের পায়ের চিকিৎসা করতে কম চেষ্টা করেননি তার স্বামী আব্দুল মালেক। সিলেটের ওসমানি নগর থানার ইয়োলা তেল গ্রামের এই দরিদ্র কৃষক গত ১৮ বছর ধরে বহু ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেছেন। কিন্তু কেউ তাকে আশার আলো দেখাতে পারেনি।

সম্প্রতি তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মুক্তামণির চিকিৎসার কথা জানতে পারেন। খবর শোনার পর শেষ আশা হিসেবে গতকাল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্ত্রীকে নিয়ে আসেন। হাসপাতালের বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের ব্লু ইউনিটে তাকে ভর্তি করা হয়েছে।

বার্ন ইউনিটের প্রধান সমন্বয়ক ড সামন্ত লাল সেন প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন রেজিয়া বেগমের এলিফেন্টিসিস হয়েছে। সার্জারি ও পরীক্ষানিরীক্ষার মাধ্যমে তার রোগের ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী ড সামন্ত লাল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
পিএন স্কুলের বরখাস্ত প্রধান শিক্ষক মাজেদ আবারও দায়িত্ব গ্রহণের পায়তারা চালাচ্ছে!

আসাদুজ্জামান : সাতক্ষীরার ঐতিহ্যবাহী পিএন স্কুল এন্ড কলেজের বহুল আলোচিত সাময়িক বরখাস্ত ও চাকরিচ্যুত সাবেক প্রধান শিক্ষক আব্দুল মাজেদ আবারও দায়িত্ব গ্রহণের জন্য জোর পায়তারা চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এর আগে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় অভিজ্ঞতা না থাকা, ভুয়া কাগজপত্র জমা ও অর্থ আতœসাতের অভিযোগে ২০১২ সালে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। তার বিরুদ্ধে স্কুলের ৫৫ হাজার অর্থ আতœসাতের অভিযোগে চিফজুডিশিয়াল আদালতে চলমান একটি মামলা রয়েছে। জুডিশিয়াল আদালতে মামলা থাকা অবস্থায় একজন বরখাস্তস্কৃত শিক্ষক কিভাবে আবার স্বপদে বহাল হবেন তা নিয়ে শহরব্যাপী আলোচনান ঝড় বইছে।
এ বিষয়ে পিএন মাধ্যমিক বিদ্যালযের ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সদস্য ও বহিস্কৃত প্রধান শিক্ষক আব্দুল মাজেদের বিরুদ্ধে চিফজুডিশিয়াল আদালতে দায়ের করা মামলার বাদী শেখ আলাউদ্দীন জানান, দুর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষক আব্দুল মাজেদের বিরুদ্ধে দায়ের করা অর্থ আতœসাতের মামলা ইতিমধ্যে জেলা শিক্ষা অফিসার একাধিকবার তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে আদালতে রিপোর্ট পেশ করেছেন। তিনি এ মামলায় বর্তমানে জামিনে আছেন। তার বিরুদ্ধে পি,এন স্কুলে বসে জামায়াতের গোপন বৈঠকসহ জঙ্গি সংগঠনের সাথে সম্পৃক্তার অভিযোগ রয়েছে বলে তিনি জানান। তিনি আক্ষেপ করে আরো জানান, দুর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষক আব্দুল মাজেদ জামিন পাওয়ার পর কিছু রাজনৈতিক ও প্রশাসনের লোকের সহায়তায় স্বপদে বহাল হওয়ার জন্য জোর পায়তারা চালাচ্ছেন।
ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সদস্য মইনুর রশিদ জানান, অর্থ আতœসাতের এই মামলার পরবর্তি স্বাক্ষীর দিন চলতি মাসের ২৭ তারিখ ধার্য রয়েছে। এরই মধ্যে প্রধান শিক্ষক আব্দুল মাজেদ স্বপদে বহাল থাকার জন্য দৌড়ঝাপ শুরু করেছেন। তিনি আরো জানান, যেহেতু তার বিরুদ্ধে একটি জুডিশিয়াল মামলা রয়েছে। সে কারণে তিনি আইনগতভাবে ওই পদে আর বহাল হতে পারবেননা। আমি ইতিমধ্যে বিষয়টি জেলা প্রশাসক মহাদয়কে অবহিত করেছি।
এ ব্যাপারে জানার জন্য সাময়িক বহিস্কৃত প্রধান শিক্ষক আব্দুল মাজেদের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য তার ব্যবহৃত ০১৭১৮-৫০২৮২৮ নাম্বারের মোবাইলে ফোনে বার বার ফোন দিলেও ফোন নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest