সর্বশেষ সংবাদ-
কোন সাংবাদিক যেন হয়রানির শিকার না হয়–সাতক্ষীরায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাবিব দীর্ঘদিন কাজ করেও সরকারি স্বীকৃতি মেলেনি বিআরটিএ’র সীল মেকানিকদেররাষ্ট্রপতির ক্ষমার আগে ভুক্তভোগী ও পরিবারের মতামত নেওয়ার প্রস্তাবতালায় ‘পার্টনার ফিল্ড স্কুল কংগ্রেস’ অনুষ্ঠিতভোমরায় জামায়াতের হুইল চেয়ার বিতরণসাতক্ষীরায় জলাবদ্ধতা নিরসনে ইটাগাছা এলাকা পরির্দশনে সদর ইউএনওপ্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদসাতক্ষীরায় শিক্ষার্থীদের জন্য ছাত্রদল নেতার ব্যতিক্রমী উদ্যোগ !জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আশিকুর রহমানের পিতার মৃত্যুখুলনার নাছিরপুর খাল উন্মুক্ত হলো: ২০ গ্রামের মানুষের উচ্ছ্বাস উল্লাস

মিষ্টিআলু সেঁকে, ভাপ দিয়ে, সেদ্ধ করে, পুড়িয়ে নানা ভাবে খাওয়া যায়। মিষ্টিআলু খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমনি খাওয়ার প্রক্রিয়াও সহজ। মিষ্টিআলুতে ভিটামিন এ, বিটা-ক্যারোটিন, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন সি, ভিটামিন ডি, খনিজ ম্যাগনেসিয়াম পাওয়া যায় প্রচুর পরিমাণে। এছাড়া মিষ্টিআলু দিয়ে রুটি, বিস্কুট, পায়েস, স্যুপ, তরকারি করেও খাওয়া যায়।

হার্ট অ্যাটাক, ফ্লু ভাইরাস, ক্যান্সার, বিষক্রিয়াগত মাথাব্যথা থেকে মুক্তি দেয় মিষ্টিআলু। হাড়, স্নায়ু, চামড়া, দাঁত, লোহিত ও শ্বেত কণিকা গঠনেও দারুণ ভূমিকা মিষ্টিআলুর। চলুন জেনে নিই, মিষ্টিআলুতে থাকা পুষ্টিগুণ-

১. মিষ্টিআলুর বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন সি জাতীয় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের সজীবতা রক্ষায় সহায়তা করে, ত্বক সুন্দর রাখে।

২. মিষ্টিআলুতে থাকা প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ চোখের জ্যোতি ভালো রাখে।

৩. মিষ্টিআলুতে স্যাচুরেটেড ফ্যাট, কোলস্টেরল, সোডিয়াম কম পরিমাণে থাকে। সঙ্গে ভিটামিন বি৬ যথেষ্ট পরিমাণে থাকায় তা হার্টের জন্য ভালো।

৪. মেদ ঝরাতে মিষ্টিআলু খুবই সাহায্য করে।

৫. দেহকে শক্তিশালী করতে, প্লীহা ও পাকস্থলির ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে মিষ্টিআলু সাহায্য করে।

৬. গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, মিষ্টিআলু রক্তের সুগারের ভারসাম্য বজায় রাখে।

৭. ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের জন্য মিষ্টিআলু খুবই উপকারী।

৮. মিষ্টিআলু অস্টিওআর্থ্রাইটিস, রিউমেটিক আর্থ্রাইটিস, অ্যাজমার মতো রোগে ব্যথা ও অস্বস্তি উপশমে সাহায্য করে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

উত্তরটা ‘না’ হওয়াটাই স্বাভাবিক। কারণ সমীক্ষা বলছে দক্ষিণ এশিয়ার বাসিন্দারের মধ্যে যাদের বয়স ৩০-এর কম তারা খুব একটা সবজি খেতে পছন্দ করে না। বরং তাদের প্লেটে বেশি করে মাংস আর ভাজাভুজি জাতীয় খাবারের প্রাধান্যই বেশি চোখে পরে। তাই লাল শাক জেন ওয়াইদের কাছে যে একটা এলিয়ান সম খাবার, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।

সেই কারণেই তো আজ এই প্রবন্ধে লাল শাকের সম্পর্কে এমন কিছু তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করলাম, যা পড়ার পর এই শাকটির প্রতি আপনাদের ধরণাই বদলে যাবে। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে লাল শাকের শরীরে এমন কিছু উপকারি উপদান রয়েছে, যা ৩০-এর পর থেকে শরীরের ভাঙন আটকানোর পাশাপাশি একাধিক রোগকে দূরে রাখতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই তো প্রতিদিন যদি এই শাকটি খাওয়া যায়, তাহলে আয়ু তো বাড়েই, সেই সঙ্গে সুস্থ জীবনের পথ অনেকাংশেই প্রশস্ত হয়। লাল শাক খেলে সাধারণত যে যে উপকার পাওয়া যায়। যেগুলি হল…

হজম শক্তির উন্নতি হয়:
এতে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ফাইবার, যা হজমে সহায়ক অ্যাসিডের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়। সেই সঙ্গে বাওয়েল মুভমেন্ট যাতে ঠিক মতো হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বদ-হজমের আশঙ্কা কমে। সেই সঙ্গে গ্যাস-অম্বলের প্রকোপও হ্রাস পায়।

কিডনি ফাংশনের উন্নতি ঘটে:
একাধিক সমীক্ষায় দেখা গেছে নিয়মিত লাল শাক খেলে একদিকে যেমন কিডনির কর্মক্ষমতা বাড়ে, তেমনি অন্যদিকে রক্তে উপস্থিত একাধিক ক্ষতিকর উপাদান শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। ফলে রক্ত পরিশুদ্ধ হয়। ফলে নানাবিধ রোগের প্রকোপও কমে।

সাপের বিষের তেজ কমায়:
এই নিয়ে এখনও গবেষণা চলছে ঠিকই, তবে প্রাথমিক অনুসন্ধানের পর দেখা গেছে সাপ বা কোনও সরিসৃপ কামড়ানোর পর যদি ক্ষতস্থানে লাল শাক বেঁটে লাগানো যায়, তাহলে বিষের প্রভাব অনেকটাই কমে। সেই সঙ্গে একাধিক অঙ্গের উপর বিষেয়র কুপ্রভাব পরার আশঙ্কাও হ্রাস পায়।

ক্যান্সারকে দূরে রাখে:
লাল শাকে উপস্থিত অ্যামাইনো অ্যাসিড, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, ভিটামিন ই, পটাশিয়াম এবং ভিটামিন সি শরীরে উপস্থিত একাধিক টক্সিক উপাদানের ক্ষতি করার ক্ষমতাকে কমিয়ে দেয়। সেই সঙ্গে ক্যান্সার সেল যাতে জন্ম নিতে না পারে, সেদিকেও খেয়াল রাখে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই এই মারণ রোগ শরীরে বাসা বাঁধার কোনও সুযোগ পায় না।

জ্বরের প্রকোপ কমায়:
ওয়েদার চেঞ্জের কারণে যারা জ্বরে ভুগছেন, তারা এই ঘরোয়া পদ্ধতিটির সাহায্য নিতে পারেন। এক্ষেত্রে একটা প্যানে পরিমাণ মতো জল নিয়ে তাতে এক মুঠো লাল শাক ফেলে দিন। তারপর জলটা ফোটাতে শুরু করুন। যখন দেখবেন ফুটতে ফুটতে জলের পরিমাণ অর্ধেক হয়ে গেছে, তখন আঁচটা বন্ধ করে দিন। এরপর জলটা টান্ডা করে সেটা পান করুন। এমনটা কয়েকদিন করলেই দেখবেন জ্বর দে ছুট লাগিয়েছে।

অ্যানিমিয়ার চিকিৎসায় কাজে লাগে:
‘লাল শাক খেলে রক্ত বাড়ে শরীরে’ এই কথাটা নিশ্চয় আপনিও ছোট বেলায় শুনেছেন? হ্যাঁ শুনেছি তো! কিন্তু পাতা থেকে কীভাবে রক্ত তৈরি হয়, তা যদিও আজ পর্যন্ত বুঝে উঠতে পারিনি! আসলে বন্ধু পাতা থেকে রক্ত তৈরি হয় না। বরং লাল শাকে এমন কিছু উপাদান থাকে, যা শরীরে লোহিত রক্ত কণিকার মাত্রা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই তো অ্যানিমিয়া রোগীদের এই শাকটি খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা। প্রসঙ্গত, ২ আঁটি লাল শাককে পিষে রস সংগ্রহ করে তার সঙ্গে ১ চামচ লেবুর রস এবং ১ চামচ মধু মিশিয়ে যদি নিয়মিত খেতে পারেন, তাহলে শরীরে কখনও রক্তের অভাব হবে না।

দাঁতের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে:
লাল শাকের মূল দিয়ে দাঁত মাজার পর নুন জল দিয়ে কুলকুচি করলে দাঁতের হলুদ ভাব কেটে যায়। সেই সঙ্গে পোকা লাগা সহ মাড়ি এবং দাঁত সম্পর্কিত নানাধিক রোগ ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না।

চুল পড়া কমে:
এক আঁটি লাল শাঁক ভাল করে বেটে একটা পেস্ট বানিয়ে ফেলুন। তারপর তাতে ১ চামচ নুন মিশিয়ে ভাল করে নারান। যখন দেখবেন দুটি উপাদান ঠিক মতো মিশে গেছে, তখন মিশ্রনটি ছেঁকে নিয়ে পান করুন। এমনটা প্রতিদিন করলে চুল পড়ার হার অনেক কমবে।

দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটায়:
লাল শাকে উপস্থিত ভিটামিন সি রেটিনার ক্ষমতা বৃদ্ধির মধ্যে দিয়ে সার্বিকভাবে দৃষ্টিশক্তির উন্নতিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই যারা চোখে কম দেখেন বা পরিবারে গ্লকোমার মতো রোগের ইতিহাস রয়েছে, তারা সময় নষ্ট না করে আজ থেকেই লাল শাক খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন অল্প দিনেই উপকার পাবেন। সূত্র-ইন্ডিয়া নিউজ

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নুসরাত ফারিয়া মাজহার একজন বাংলাদেশি অভিনেত্রী। অভিনয়ের দক্ষতা দিয়ে ওপার বাংলাতেও হয়েছেন বেশ জনপ্রিয়। নায়িকা মাহিয়া মাহীর সাথে জাজ মাল্টিমিডিয়ার সম্পর্কের অবনতি ঘটলে জাজ মাল্টিমিডিয়া তাদের নতুন নায়িকা হিসেবে নুসরাত ফারিয়াকে সবার সামনে তুলে ধরেন এবং বাংলাদেশ-ভারত যৌথ প্রযোজনার ছবি প্রেমী ও প্রেমী’র নায়িকা হিসেবে ঘোষণা করেন।

সম্প্রতি ‘ইন্সপেক্টর নটি.কে’ নামের নতুন একটি ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন নুসরাত। আশোক পতি পরিচালিত ছবিটিতে টলিউডের নায়ক জিৎ’র বিপরীতে অভিনয় করবেন তিনি। আবার জিৎ’র সঙ্গে কাজ করতে যাচ্ছেন নুসরাত। ছবিতে পুলিশের চরিত্রে ফারিয়া অভিনয় করবেন। অন্যদিকে, জিতকেও ছবিটিতে পুলিশের ভূমিকায় দেখা যাবে।

ছবিটি প্রসঙ্গে ফারিয়া গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাতে বলেন, ‘আমার প্রথম ছবি ‘আশিকী’র পরিচালক অশোক দাদার সঙ্গে আবার কাজ করতে যাচ্ছি। তাঁর সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা অনেক ভালো ছিল। আশা করছি, এই ছবিও অনেক ভালো হবে’।

আগামী ১৭ আগস্ট থেকে ইতালিতে ছবিটির শুটিং শুরু হবে বলে জানান ফারিয়া। ইতালি ছাড়াও বাংলাদেশ ও ভারতে ছবিটির শুটিং হওয়ার কথা রয়েছে। ছবিটি যৌথভাবে প্রযোজনা করছে জিতের নিজস্ব প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জিৎ ফিল্ম ওয়ার্কস ও ওয়ালজেন মিডিয়া। ভারতের যৌথ প্রযোজনার ছবি দুটি বেশ আলোচিত হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

পর্নো ভিডিও ধারণ করে নারীদের সাথে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া কথিত পীর আহসান হাবীব পেয়ারকে (২৮) নিয়ে তার জন্মস্থান নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলায়ও চলছে আলোচনা সমালোচনা। গত ১ আগষ্ট তাকে রাজধানীর খিলগাঁও থানা এলাকার তিলপাড়ার ৮১৯/এ এর ফ্ল্যাট থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষ সংস্থা তাকে গ্রেফতার করে।

জানা যায়, যে ফ্ল্যাট থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয় সে ফ্ল্যাটটি পেয়ার গত বছর তিনেক আগে ৭০ লাখ টাকা দিয়ে ক্রয় করে। এছাড়া ওই ফ্ল্যাটের নিচে রাখা তার মালিকানাধীন ১টি প্রাইভেট কার ও ১টি নোয়া ব্রান্ডের মাইক্রোবাসের সন্ধান পান আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। প্রায় প্রতিদিনিই তাকে নিয়ে একের পর এক চমকপ্রদ প্রতিবেদন আসছে দেশের শীর্ষ প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ায়। আলোচিত সমালোচিত আহসান হাবীব পেয়ারের জন্ম নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার বদলকোটে।

স্থানীয়ভাবে খবর নিয়ে জানা যায়, তার বাবা ছিলেন একজন হাক্কানী আলেম। তিনি কোথাও কুট্টি মাওলানা নামে আবার কোথাও বোডে মাওলানা নামে পুরো উপজেলায় পরিচিত। কুট্টি মাওলানা মোট তিনটি বিয়ে করেন। তার মোট ৮ ছেলে ৯ মেয়ের মধ্যে পেয়ার ছিল সবার ছোট।

গত কয়েক বছরে তার অর্থনৈতিক এমন উত্থানের পরও সে কখনো তার অন্যান্য ভাই বোনদের সহযোগিতা করতো না বলে দাবী করেছেন তার ভাইয়েরা।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, কয়েক বছর আগে তার বাবা মারা যান। তার ভাইয়েরা কেউ রিকশা চালক, কেউ মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন এবং মাদ্রাসার শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন।

পেয়ার শিশুবেলা থেকে স্থানীয় কওমি মাদ্রাসায় পড়াশোনা শেষ করে চট্রগ্রামের হাটহাজারি মাদ্রাসাতে পড়া অবস্থায় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তাকে মাদ্রাসা থেকে বহিষ্কার করা হয়। পরে সে ঢাকাতে পড়াশোনা করার জন্য যায় এবং পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ উপার্জনের পথ বেছে নেয়।

পেয়ার খুব বাকপটু এবং আকর্ষনীয় চেহারার অধিকারী হওয়ায় সহজেই মানুষকে আয়ত্ত্ব করে ফেলতে পারতো বলে স্থানীয়রা জানান। তবে তাকে পীর বলা হলেও তার এলাকার মানুষ তাকে পীর বলতে নারাজ।

তারা বলেন, সে কখনো এলাকায় পীরগিরি দেখাননি। তবে সে নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিতে ভালবাসতো। এক সময় সে নিজেকে ইসলামিক টেলিভিশনের সাংবাদিক বলে পরিচয় দিত। পরে সে ইউটিউবে এ এইচ পি টিভি নামক টিভি চ্যানেল খুলে নিজেকে টেলিভিশনের মালিক বলে দাবী করতো।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তার এলাকায় তার এক বন্ধু জানান, পেয়ার সবসময় পাগড়ী পরে থাকলেও সে ঠিকমত নামাজ আদায় করতো না। এমনকি গত রমজান মাসেও তাকে সে রোজা রাখতে দেখেনি। ফেসবুকে তার ৩ লাখেরও বেশি ফলোয়ার থাকায় সে নিজেকে ফেসবুক সেলিব্রেটি বলে গর্ববোধ করতো। পেয়ারকে ধর্মীয় বিষয় নিয়ে বিভিন্ন নাটকে অভিনয় করতেও দেখা গেছে বলে তার বন্ধুরা জানান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

বাংলা চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়ক সালমান শাহ মৃত্যু কীভাবে হলো, তা নিয়ে বিগত ২১ বছরেও ঘোর কাটছে না। ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকার নিউ ইস্কাটনের নিজ বাসা থেকে সালমানের লাশ উদ্ধারের ঘটনা নিয়ে এখন পর্যন্ত কম জল ঘোলা হয়নি। তবুও পরিষ্কার হচ্ছে না প্রয়াত এই অভিনেতার মৃত্যুর রহস্য।

১১/বি নিউ ইস্কাটনের বাসার নিজ কক্ষে ফ্যানের মধ্যে ঝুলন্ত মরদেহ পাওয়া যায় সালমান শাহ’র। সেদিন সকাল ৭টার দিকে সালমানের সঙ্গে দেখা করতে তার বাবা কমর উদ্দিন চৌধুরী সেখানে যান। কিন্তু ছেলের দেখা করতে না পেরেই ফিরে আসতে হয়েছে তাকে। এমনটাই সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন সালমান শাহ’র মা নীলা চৌধুরী।

শুরুতেই সেদিন সালমানের বাবাকে বাসায় ঢুকতে বাধা দেন দারোয়ান জানিয়ে নীলা চৌধুরী বলেন, ‘বলেছে স্যার এখনতো উপরে যেতে পারবেন না। কিছু প্রবলেম আছে। আগে ম্যাডামকে (সালমান শাহ’র স্ত্রীকে) জিজ্ঞেস করতে হবে। এক পর্যায়ে উনি (সালমান শাহ’র বাবা) জোর করে উপরে গেছেন। কলিং বেল দেবার পর দরজা খুলে সামিরা (সালমান শাহ’র স্ত্রী)’।

তিনি আরও বলেন, ‘উনি (সালমান শাহ’র বাবা) সামিরাকে বললেন ইমনের (সালমান শাহ’র ডাক নাম) সাথে কাজ আছে, ইনকাম ট্যাক্সের সই করাতে হবে। ওকে ডাকো। তখন সামিরা বলল, আব্বা ও তো ঘুমে। তখন উনি বললেন, ঠিক আছে আমি বেডরুমে গিয়ে সই করিয়ে আনি। কিন্তু যেতে দেয় নাই। আমার হাজব্যান্ড প্রায় ঘণ্টা দেড়েক বসে ছিল ওখানে।’

এরপর বেলা ১১টার দিকে তাকে টেলিফোন করে জানানো হয়, সালমান শাহকে দেখতে হলে তখনই যেতে হবে। এরপর দ্রুত তিনি ছুটে গিয়ে সালমানকে বিছানায় দেখতে পান। নীলা চৌধুরী বলেন, ‘খাটের মধ্যে যেদিকে মাথা দেবার কথা সেদিকে পা। আর যেদিকে পা দেবার কথা সেদিকে মাথা। পাশেই সামিরার (সালমান শাহ’র স্ত্রী) এক আত্মীয়ের একটি পার্লার ছিল। সে পার্লারের কিছু মেয়ে ইমনের হাতে-পায়ে সর্ষের তেল দিচ্ছে। আমি তো ভাবছি ফিট হয়ে গেছে।’

‘আমি দেখলাম আমার ছেলের হাতে পায়ের নখগুলো নীল। তখন আমি আমার হাজব্যান্ডকে বলেছি, আমার ছেলে তো মরে যাচ্ছে,’ বলেন সালমানের মা। এরপর সালমান শাহকে হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে নেওয়া কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে এ ঘটনায় সালমান শাহ’র বাবা কমর উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেন।

পরে ১৯৯৭ সালের ১৯ জুলাই সালমানের বাবার বাসায় রিজভী আহমেদ ওরফে ফরহাদ নামের এক যুবক মিথ্যা পরিচয়ে ঢুকতে চেষ্টা করলে তাকে ক্যান্টনমেন্ট থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে আরও একটি মামলা করা হয়।

ওই মামলায় রিজভীকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে সালমান শাহ হত্যার কথা স্বীকার করে। সালমান শাহ’কে কিভাবে হত্যা করা হয়েছে দেখুন ভিডিওতে।

https://www.youtube.com/watch?v=7XS6_91ranA

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

মুক্তামণির অস্ত্রোপচার শুরু হয়েছে। আজ শনিবার সকাল সোয়া আটটায় অস্ত্রোপচারের কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। পৌনে নয়টা থেকে অস্ত্রোপচার শুরু হয়েছে।

রক্তনালির টিউমারে আক্রান্ত মুক্তামণি এখন সবার কাছে পরিচিত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন। সব ধরনের খোঁজ-খবর নিচ্ছেন।

সাতক্ষীরায় জন্মের দেড় বছর বয়স থেকে মুক্তামণির ডান হাতের সমস্যার শুরু। প্রথমে হাতে টিউমারের মতো হয়। ছয় বছর বয়স পর্যন্ত টিউমারটি তেমন বড় হয়নি। কিন্তু পরে তার ডান হাতটি ফুলে অনেকটা কোলবালিশের মতো হয়ে যায়। সে বিছানাবন্দী হয়ে পড়ে। মুক্তামণির রোগ নিয়ে সম্প্রতি গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তুমুল আলোচনা শুরু হয়। গত ১১ জুলাই মুক্তামণিকে ভর্তি করা হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে।

মুক্তামণির অস্ত্রোপচারের জন্য সিঙ্গাপুরের জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার কথা হয়েছিল। তবে সেখানকার চিকিৎসকেরা ভিডিও কনফারেন্স করে ও বিভিন্ন রিপোর্ট দেখে জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা মুক্তামণির অস্ত্রোপচার করতে পারবেন না। কিন্তু ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বিশেষ করে বার্ন ইউনিটের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক আবুল কালামসহ অন্যরা হাল ছাড়েননি। তাঁরা সাহস করে এগিয়ে এসেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

অপ্রতিম রহমান : বিরল রোগে আক্রান্ত ঢাকা মেডিকেল (ঢামেক) কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কামারবায়সা গ্রামের শিশু মুক্তামনির হাতে অস্ত্রোপচার করা হচ্ছে আজ। সকাল আটটায় তাকে অপারেশন থিয়েটারে নেয়া হবে। আর এজন্য সব দিক দিয়ে প্রস্তুত রয়েছেন চিকিৎসকরা। যদিও এতে অনেক ঝুঁকি ও রক্তপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে অস্ত্রোপচারের আগে শিশুটি যেন মানসিকভাবে শক্ত এবং খুশি থাকে, সে লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী তার জন্য হাসপাতালে চকলেট ও টাকা পাঠিয়েছেন। মুক্তামনির জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় কিক্রেট দলের অধিনায়ক(টেস্ট) মুশফিকুর রহিম। অন্যদিকে, শুক্রবার সন্ধ্যায় মুক্তামনিকে দেখতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু। এসময় তার সাথে ছিলেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় উপ-কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ওসমান গনি, মাস্টার দা’ সূর্যসেন হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাহিদ হাসান শাহিনসহ বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সংসদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃত্বে থাকা সাতক্ষীরা জেলার শিক্ষার্থীরা।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, “শনিবার মুক্তামনির অস্ত্রোপচার করা হবে। সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ৮টার মধ্যে এ অস্ত্রোপচার শুরু হবে। এজন্য আমাদের মেডিকেল বোর্ড সম্পূর্ণ প্রস্তুত। তবে এতে অনেক ঝুঁকি ও রক্তপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।” তিনি আরো বলেন, আমরা আগে থেকেই মুক্তামনির জন্য রক্ত সংগ্রহ করে রেখেছি। আমরা সব ধরনের সতর্কতার সঙ্গে অপারেশন থিয়েটারে ঢুকবো। অপারেশন ছাড়া তার আর কোনও চিকিৎসা নাই। এত বড় হেমানজিওমাতে অপারেশন ছাড়া আর কিছু করার নাই। যদি এমন অবস্থা হয় যে তার জীবন বাঁচাতে হাত কেটে ফেলতে হবে আমরা তাই করবো। এক্ষেত্রে তার পরিবারেরও সমর্থন রয়েছে।
এদিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন মুক্তামনির জন্য চকলেট পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে বার্ন ইউনিটে গিয়ে মুক্তামনির হাতে এগুলো তুলে দেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক ডা. জুলফিকার লেনিন।
ডা. জুলফিকার লেনিন বলেন, “প্রধানমন্ত্রী খবর পাঠালেন। তিনি বললেন, শনিবার মুক্তামনির অপারেশন। তিনি আমাকে মুক্তামনির জন্য চকলেট নিয়ে যেতে বলেন। অপারেশনের আগে শিশুটি যেন মানসিকভাবে শক্ত থাকে, ওর মন যেন খুশি থাকে, সেজন্যই প্রধানমন্ত্রী আমাকে ওর কাছে উপহার দিয়ে পাঠান।” ডা. লেনিন আরো বলেন, শনিবার অপারেশন, সে কথা ভেবে প্রধানমন্ত্রী ওর খুশি থাকার কথা চিন্তা করেছেন, এটা তো বিশাল ব্যাপার।
প্রধানমন্ত্রী কিছু টাকাও দিয়েছেন, যা মুক্তামনির বাবার কাছে দিয়েছেন ডা. লেনিন। তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী সবসময় মুক্তামনির চিকিৎসার খোঁজখবর রাখছেন। তার জন্য দোয়া করছেন।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিরল চর্মরোগে আক্রান্ত সাতক্ষীরার শিশু মুক্তাকে নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তার যাবতীয় চিকিৎসার ব্যয়ভার বহনের দায়িত্ব নেন। এরই মধ্যে মুক্তার চিকিৎসার জন্য একটি বোর্ড গঠনসহ সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে ঢামেক কর্তৃপক্ষ।
প্রসঙ্গত, সাতক্ষীরার কামারবাইশালের মুদি দোকানদার ইব্রাহিম হোসেনের দুই জমজ মেয়ে হীরামনি ও মুক্তামনি। জন্মের দেড় বছর পর থেকে মুক্তামনির সমস্যা শুরু। প্রথমে হাতে টিউমারের মতো হয়। ছয় বছর বয়স পর্যন্ত টিউমারটি তেমন বড় হয়নি। কিন্তু পরে তা ফুলে কোলবালিশের মতো হয়ে যায়। বিছানাবন্দি হয়ে পড়ে মুক্তামনি।
সাতক্ষীরা, ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় নানা চিকিৎসা চলে। তবে ভালো হয়নি বা ভালো হবে, সে কথাও কেউ কখনো বলেননি। গণমাধ্যমকর্মীদের মাধ্যমে খবর প্রকাশ, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুমুল আলোচনায় আসে মুক্তামনির খবর।
গত ১১ জুলাই মুক্তাকে ভর্তি করানো হয় বার্ন ইউনিটে। তারপরই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তামনির চিকিৎসার দায়িত্ব নেন। ওই দিনই ঢাকা মেডিকেলে মুক্তামনির চিকিৎসার জন্য ডা. সামন্ত লাল সেনের নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মিসরে দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে অন্তত ৩৬ যাত্রী নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরো শতাধিক যাত্রী। স্থানীয় সময় শুক্রবার দেশটির উত্তরাঞ্চলের সমুদ্রতীরবর্তী শহর আলেকজান্দ্রিয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম আল আরহামের বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, দেশটির রাজধানী কায়রো থেকে ছেড়ে আসা একটি ট্রেন ও পোর্ট সৈয়দ থেকে আসা আরেকটি ট্রেনের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ২০ জন নিহত হয়। আহত হয় আরো শতাধিক।
হাসপাতালে নেওয়ার পর আহতদের মধ্যে আরো ১৬ জন নিহত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে বিবিসি। নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আলেকজান্দ্রিয়ার স্বাস্থ্য বিভাগের একজন চিকিৎসকের বরাতে জানিয়েছে বিবিসি।
মিসরের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল ‘নীল টিভি’তে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে, দুর্ঘটনায় একটি ট্রেনের সামনের অংশ প্রায় দুমড়ে গেছে।
এ ছাড়া ঘটনার পরপরই আলেকজান্দ্রিয়া শহরে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। দেশটির পরিবহনমন্ত্রী এ ঘটনায় জরুরি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে শহরটির সব হাসপাতালে উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
এ ছাড়া শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মিসরের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দুর্ঘটনায় মোট নিহত বা আহতের সঠিক সংখ্যা এখনো নির্দিষ্ট করা সম্ভব হয়নি।
মিসরে অবশ্য প্রাণঘাতী রেল দুর্ঘটনা নতুন কিছু নয়। এর আগে ২০১৩ সালে কায়রোতে একটি ট্রেন মিনিবাসকে আঘাত করলে ৫১ জন নিহত হয়। এ ছাড়া ২০০২ সালে কায়রোতে আরেকটি যাত্রীবাহী ট্রেনে অগ্নিকা-ের ঘটনায় ৩৭০ জন মারা যায়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest