সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরায় চ্যাম্পিয়নশীপ ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন: ভোলা জেলাকে ৪-১ গোলে হারাল সাতক্ষীরাদেবহাটার নোড়ারচকে নাটক সাজিয়ে অস্ত্র মামলায় বৃদ্ধাকে গ্রেফতার করানোর অভিযোগসাতক্ষীরায় সংলাপ বক্তারা: আগামী নির্বাচনে সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিশ্রæতি চায়হাসানের পরিবারের দাপট অব্যাহত: পাটকেলঘাটায় মানববন্ধনে প্রকাশ্য হামলাচতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী স্মৃতিতে অম্লান চিকিৎসক ডা. আনিছুরসাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের পরিবারের অনুকুলে ২৬ লাখ টাকার চেক বিতরণশ্যামনগরে কাজী আলাউদ্দীনের উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পদেবহাটা উপজেলা জামায়াতের সুধী সমাবেশপ্রাণসায়ের খাল বাঁচাতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন ও সমাবেশদিনে ভোট, রাতে নয় আমার ভোট আমি দেব : আফরোজা আব্বাস 

রাখী উত্সব, তাই স্কুল ছুটি। আর এই সুযোগে কমলমতি ছেলে-মেয়েদের বিদ্যাপীঠকে বানিয়ে ফেলা হলো রঙ্গশালায়।
স্কুলঘরে চলল দেদার “ফুর্তি’। সঙ্গে ছিল ‘মদের ফোয়ারা’। আর সেই রঙ্গশালার স্বাদ নিতে সেখানে হাজির ছিলেন আশাপাশের ২৪টি গ্রামের মাতব্বরা। খবর জি নিউজের।

খবরে বলা হয়, ভারতের উত্তরপ্রদেশের মির্জাপুর জেলায় এ ঘটনা ঘটে। তবে ওই দিনের ঘটনার ভিডিও সামনে আসার পর দেশজুড়ে এখন তা বিতর্ক ছড়িয়েছে।

ভিডিওতে প্রকাশ কয়েকজন বার ড্যান্সারকে নিয়ে এসে ওই স্কুলঘরে নাচা, গান ও মদ পান করছিলেন।

স্কুলের প্রধান শিক্ষকের অভিযোগ, ওই গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান জোর করে তাঁর কাছ থেকে স্কুলের চাবি নিয়ে যান। ইতোমধ্যে গোটা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

আসাদুজ্জামান : সাতক্ষীরা জেলাব্যাপী পুলিশের সন্ত্রাস, নাশকতা ও মাদক বিরোধী বিশেষ আভিযানে ৯৬ জনকে আটক করা হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত জেলার আটটি থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এ সময় তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে ১৯টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আটককৃতদের মধ্যে, সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে ৫৫ জন, কলারোয়া থানা ৬ জন, তালা থানা ৪ জন, কালিগঞ্জ থানা ৭ জন, শ্যামনগর থানা ৪ জন, আশাশুনি থানা ৫ জন, দেবহাটা থানা ১১ ও পাটকেলঘাটা থানা থেকে ৪ জনকে আটক করা হয়।
সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতা ও মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নলতা প্রতিনিধি : পারিবারিক কলহের জের ধরে স্ত্রী কর্তৃক স্বামীর লিঙ্গ কর্তনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত সোমবার বেলা ১২ টার দিকে সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার নলতার মাঘুরালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত স্বামী সালাউদ্দিন (৩৩) সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার নলতার মাঘুরালী গ্রামের আব্দুল জলিলের পুত্র। সে কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছে।
সরেজমিনে যেয়ে ঘটনার বিবরণে আহত সালাউদ্দিনের মা ফজিলা খাতুনের কাছ থেকে জানা যায়, ১৪বছর আগে পার্শ্ববর্তী আবু বকরের মেয়ে আফরোজা খাতুনের বিবাহ হয়। সাংসারিক জীবনের তাদের ২টি সন্তান হয়। দিনমজুর সালাউদ্দিন সংসার চালাতে কর্মের তাগিতে স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে প্রায় ১ বছর আগে ঢাকায় কাজ করতে যায়। পরবর্তীতে ঈদের সময় তারা বাড়ি আসার পর সালাউদ্দিন আবারও ঢাকায় যেতে চাইলে তার স্ত্রী তার সাথে না যেতে চাইলে সে একা কাজ করতে যায়। দীর্ঘদিন পর সালাউদ্দিন গত রবিবার বাড়িতে চলে এসে বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পারে তার স্ত্রী আফরোজার সাথে বড় ভায়রা আক্তার সরদারের অবৈধ সম্পর্ক আছে। সে শশুড় বাড়িতে তার স্ত্রীর কাছে গেলে তাকে পাত্তাদিতে চায়নি স্ত্রী আফরোজা খাতুন। এসময় সালাউদ্দিন আফরোজার দুলাভাইয়ের সাথে অবৈধ সম্পর্কের বিষয়ে কথা বলার এক পর্যায়ে উভয়ের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এরই জেরধরে পরদিনে সোমবার দুপুর ১২ টার দিকে সালাউদ্দিন তার স্ত্রীর হাত ধরে নিজের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে স্ত্রী আফরোজা খাতুনের হাতে থাকা ছুরি দিয়ে স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলার উদ্যেশ্যে টান মারে। সালাউদ্দিন চিৎকার করলে তাকে ছেড়ে দিলে রক্তাক্ত অবস্থায় সে বাড়িতে আসে। রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে তার পরিবারের সদস্যরা কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। তার পুরুষাঙ্গে ৪টি সেলাই করতে হয়েছে বলে ভুক্তভোগি সালাউদ্দিন জানায়। সালাউদ্দিনের ভাই মাহবুবুর রহমান ও ভাবি সুফিয়া খাতুনও একই কথা বলেন। বিষয়টি নিয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে ভুক্তভোগীরা জানিয়েছে।
এব্যাপারে আফরোজা খাতুন জানায়, তার স্বামী (সালাউদ্দিন) দুলাভাইয়ের (আক্তার সরদার) সাথে অবৈধ সম্পর্কে মিথ্যা অভিযোগ নিয়ে আমার সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এরপর সে আমাকে ফাসাতে নিজের লিঙ্গ নিজেই কেটে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

আশাশুনি ব্যুরো: আশাশুনিতে গলায় ফাঁস দিয়ে হীরনময় সানা (২৪) নামে এক যুবক আতœহত্যা করেছে। সে বড়দল ইউনিয়নের বামন গাঙা গ্রামের জোতিস সানার পুত্র। পরিবার সূত্রে জানাগেছে, হীরনময় বুধবার দুপুরে স্ত্রীর সাথে শাড়ি কেনা নিয়ে ঝগড়া করে তার মৎস্য ঘেরে চলে যায়। যাওয়ার সময় বলে যায় এটাই বাড়ি থেকে শেষ যাওয়া। ফিরে আসবে তার লাশ। সে সময় ব্যাপারটাকে হালকা ভাবেই নিয়েছিল তারা। বাড়ি থেকে বের হওয়ার বেশ কিছু সময় পর বিকাল ৩:১০ মিনিটে তার মা বাড়ি থেকে আধা কিলোঃ দুরে ঘেরের বাসায় গিয়ে তাকে রশ্মিতে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। চিৎকার করে আশ-পাশের লোক ডেকে তাকে রশ্মি থেকে নামানোর আগেই তার মৃত্যু হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : জাতীয় শোক দিবসকে সামনে রেখে দলীয় নেতা-কর্মীদের কোন প্রকার চাঁদাবাজি না করার জন্য নির্দেশ দিয়েছে সাতক্ষীরা পৌর আ ’লীগ।
সাতক্ষীরা পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আবু সায়ীদ ও সাধারণ সম্পাদক মো: সাহাদাৎ হোসেন এক বিবৃতিতে বলেন, “বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং যোগাযোগ ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি’র নির্দেশ মোতাবেক ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪২তম শাহাদাৎবার্ষীকি ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সাতক্ষীরা পৌর আওয়ামীলীগের নামে কোন প্রকার চাঁদাবাজি করা যাবে না। যদি ১৫ আগস্টকে সামনে রেখে সাতক্ষীরা পৌর ও ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের কোন নেতা, কর্মী ও সমর্থক কোন প্রকার চাঁদাবাজি করেন, তবে তাৎক্ষণিকভাবে আমাদেরকে মোবাইল নম্বরে অভিযোগ জানানোর জন্য বিশেষভবে অনুরোধ জানানো হলো। কারো বিরুদ্ধে যদি কোন প্রকার চাঁদাবাজির অভিযোগ পাওয়া যায় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
মোবাইল নম্বর : সভাপতি -০১৭১১৮২৩৫১১/ সাধারণ সম্পাদক- ০১৭১১৫৭২০২৮।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

অপ্রতিম রহমান : সিরাজগঞ্জে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু হেনা মুস্তফা কামালকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সিরাজগঞ্জের মহাসড়কে খানা-খন্দ সংস্কার কাজে গাফিলতি, ৬ কোটি টাকার সরকারি বরাদ্দ নয়-ছয় ও ভাগ-বাটোয়ারার অভিযোগে তাকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন তিনি। অন্যদিকে এ খবর জানার পরে সাতক্ষীরার অনেক সাধারণ মানুষ ফেসবুকে মন্তব্য করেছেন সিরাজগঞ্জের ক্ষেত্রে প্রত্যাহার, আর সাতক্ষীরার ক্ষেত্রে কেন জামাই আদর!
বুধবার বিকেল পৌনে ৩টার দিকে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম পাড়ে সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল মোড়ে সড়কের কাজ পরিদর্শনে এসে কাজের ধীরগতি ও অনিয়ম দেখে সেতুমন্ত্রী এ নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে রাজশাহী অঞ্চলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু রোশন এবং পাবনা অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হাবিবুর রহমানকে শোকজ করা করেছেন ওবায়দুল কাদের। সেতুমন্ত্রী আগামী ১০ দিনের মধ্যে সিরাজগঞ্জের সব মহাসড়কে খানা-খন্দ সংস্কারের নির্দেশ দেন। এজন্য তিনি সওজ কর্মকর্তা ও কমর্চারীদেরও সতর্ক করেন।
এ সময় সিরাজগঞ্জ সদর (কামারখন্দ ও সিরাজগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য প্রফেসর ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না, জেলা প্রশাসক কামরুন নাহার সিদ্দীকা, পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহমেদ, হাইওয়ে পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের সংসদ সদস্য হাসিবুর রহমান স্বপনসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, সাতক্ষীরা জেলার প্রধান প্রধান সড়কগুলো বর্তমানে একেবারেই চলাচলের অনুপযোগী অবস্থায় আছে। দীর্ঘদিন ধরে এ অবস্থা চলতে থাকলেও সাতক্ষীরা সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের এ নিয়ে কোন মাথা ব্যাথা কখনও দেখা যায়নি। সময়মত সংস্কার করা দূরে থাক যখনই এ খাতে কোন বরাদ্দ এসেছে তখনই তা হরিলুট করে নিম্নমানের দায়সারা গোছের কাজ করা হয়েছে। যার ফলে জেলাবাসী শেষ কবে ভালো সড়কে যাতায়াত করেছিল তা ভুলতে বসেছে। বর্তমান সরকারের সকল উন্নয়নকে ম্লান করে দিয়ে সাতক্ষীরা জেলার প্রধান আলোচ্য বিষয় এখন চলাচলের অযোগ্য সড়ক। আর এই সড়ক রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে নিয়োজিতরা ক্রমাগত লুণ্ঠন করেছেন সরকারি অর্থ আর সাতক্ষীরা জেলার ২২ লক্ষ মানুষকে প্রতিদিন নাকানি-চোবানি খাওয়াচ্ছেন প্রধান প্রধান সড়কগুলোতে। অথচ এসব কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নীরব সরকারি দলের সংসদ সদস্যসহ বিভিন্ন পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিরা। যাদের ভোটের বাক্স পরবর্তী নির্বাচনে খালি হয়ে যেতে পারে এসব অনুন্নত রাস্তাঘাটের জন্য।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নিজস্ব প্রতিবেদক : কাটিয়ায় দোকান ঘর ডিড দিয়ে বিপাকে পড়েছেন প্রতিষ্ঠানের মালিক পক্ষ। কাটিয়ায় আমতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় দোকান উদ্ধারের জন্য আদালতে মামলা করেও প্রতিষ্ঠান ফিরে না পাওয়ার দুশ্চিন্তায় রয়েছে তারা। দোকানঘরের মালিক কাটিয়া আমতলা এলাকার মৃত রকিব উদ্দীনের আসাদুজ্জামান ও আশরাফুজ্জামান জানান, ১৯৯৫ সালে ২০ হাজার টাকা অগ্রিম নিয়ে মাসিক ২হাজার টাকা ভাড়া চুক্তিতে দোকানঘরটি ডিড দেন কাটিয়া মাঠপাড়া এলাকার আব্দুল আহাদের কাছে। ১৯৯৭ সালে আহাদ গোপনে ২ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ২৫ টাকার স্ট্যাম্পে এফিডেভিটের মাধ্যমে দোকানঘরটি বিক্রয় করেন মাহমুদপুর এলাকার কুয়েত প্রবাসী মিজানুর রহমানের কাছে। এরপর আহাদ গোপনে কুয়েতে চলে যায়। মিজানুর কুয়েত প্রবাসী হওয়ায় দোকানঘরটির দায়িত্ব দেন তার ভাই মাহফুজুর রহমান মিলনের কাছে। মিলন দোকানঘরটি বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে ভাড়া দেয়।

এদিকে, দোকানঘরটির মালিকরা দোকানঘর উদ্ধারের চেষ্টা করতে থাকেন। এনিয়ে সমাধানের জন্য প্রবাসী আহাদের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বারবার আশ্বাস দিলেও কোনো পদক্ষেপ গ্রহন করনেনি। উপায় না পেয়ে মৃত আব্দুর রকিবের মেঝো ছেলে ওয়াহেদুজ্জামান দোকানঘর উদ্ধারের জন্য ১৭ এপ্রিল ১৭ তারিখে সাতক্ষীরা আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। যার বিচারিক কার্যক্রম চলমান।
অপরদিকে, মিজানুরের ছোট ভাই মাহফুজুর রহমান মিলন দোকানঘরটির মালিকানা দাবি করে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সদর থানা পুলিশ বিষয়টি আমলে নিয়ে মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত দোকানঘরটি বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন এবং দোকান ঘরের চাবি নিয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর আব্দুস সেলিমের কাছে হস্তান্তর করেন। মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত চাবিটি কাউন্সিলর এর কাছে থাকার নির্দেশ দেন থানা পুলিশ। তবে, মিলন কৌশলে দোকানঘরটি চাবি সংগ্রহ করার পায়তারা চালাচ্ছেন বলে ধারণা করছেন ঘরটির মালিক পক্ষ। এছাড়া চাবি নিয়ে অন্যত্র ঘরটি ভাড়া দেওয়ার চেষ্টা করছে মিলন। এঘটনায় মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত চাবি কোনোভাবেই মিলন না নিতে পারে তার জন্য কাউন্সিলর আব্দুসন সেলিম ও সাতক্ষীরা থানা পুলিশের কাছে বিনীত অনুরোধ জানিয়েছেন মালিকপক্ষরা।
এবিষয় কাউন্সিলর আব্দুস সেলিম বলেন, উভয় পক্ষের মধ্যে মিমাংসা না হওয়া পর্যন্ত কোনো ভাবেই চাবি হস্তান্তর করা হবে না।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

শেখ তহিদুর রহমান ডাবলু : মাহমুদপুর আমিনিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে পূর্বের কর্মস্থলের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় ৩ বার তাকে টাকা প্রেরত দেওয়ার জন্য নোটিশ পাঠানো হলেও তিনি বহাল তবিয়তে।
জানাগেছে, মাহমুদপুর আমিনিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার অধ্যক্ষ নাসির উদ্দিন কয়েকবছর পূর্বে সাতক্ষীরা আহছানিয়া মিশন মাদ্রাসায় আরবি প্রভাষক পদে কর্মরত ছিলেন। সে সময় তিনি ও তার সহযোগী আড়–য়াখালী দাখিল মাদ্রাসার সুপার মোঃ আলতাফ হোসেন আহছানিয়া আলিম মাদ্রাসার ভবন নির্মাণের জন্য ২০১৪ সালে মাদ্রাসার ফান্ড থেকে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা গ্রহণ করেন। কিন্তু তারা প্রতিষ্ঠানের কোন কাজ করে টাকাগুলো আত্মসাত করেন। ইতোমধ্যে নাসির উদ্দীন মাহমুদপুর আমিনিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার অধ্যক্ষ যোগদান করেন। টাকা গুলো ফেরত দেওয়ার জন্য বারবার তাদের অনুরোধ জানানো হলে কোন কাজ হয়নি। উপায় না পেয়ে ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে পর পর ৩টি নোটিশও প্রদান করা হয়েছে। তারপরও নাসির উদ্দিন ও আলতাফ হোসেন টাকাগুলো ফেরত দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেননি।
এদিকে টাকা উদ্ধারের জন্য প্রতিষ্ঠার অধ্যক্ষ মাও. আব্দুল মজিদ সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এতেও কোন কাজ হয়নি। তারা টাকাগুলো ফেরত না দিয়ে মাদ্রাসার অধ্যক্ষসহ স্বাক্ষীদের মিথ্যা মামলায় আটকসহ বিভিন্ন হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে যাচ্ছেন। এঘটনায় প্রতিষ্ঠানের টাকা উদ্ধারের দাবিতে গত ৮ আগস্ট’১৭ তারিখে আহছানিয়া মিশন মাদ্রাসার সভাপতি সৈয়দ ফিরোজ কামাল শুভ্র মাহমুদপুর আমিনিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার সভাপতি বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অপরদিকে সদর থানার এস আই এনামুল জানান, অভিযোগটি তার কাছে রয়েছে। তবে অভিযোগে তার যে ঠিকানা উল্লেখ্য করা হয়েছে সে ঠিকানা অনুযায়ী তাকে পাওয়া যাচ্ছে না। যে কারণে একটু সময় লাগছে। তাকে খুজে পেলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উল্লেখ্য মাহমুদপুর আমিনিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার যোগদানের পর পরই অভিযোগ সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগে জেল হাজত ও খেটেছেন নাসির উদ্দিন। এছাড়া তার নামে নাশকতারও ২টি মামলা রয়েছে। অন্যদিকে প্রতিষ্ঠানের টাকা আত্মসাথের ঘটনায় সাতক্ষীরা সচেতন মহল তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। যে কারণে অবিলম্বে ওই নাসির উদ্দীনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest