সর্বশেষ সংবাদ-
কালিগঞ্জের সাবেক সমাজসেবা অফিসার শহিদুরের বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধীর নামে বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাতের অভিযোগসাতক্ষীরায় চ্যাম্পিয়নশীপ ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন: ভোলা জেলাকে ৪-১ গোলে হারাল সাতক্ষীরাদেবহাটার নোড়ারচকে নাটক সাজিয়ে অস্ত্র মামলায় বৃদ্ধাকে গ্রেফতার করানোর অভিযোগসাতক্ষীরায় সংলাপ বক্তারা: আগামী নির্বাচনে সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিশ্রæতি চায়হাসানের পরিবারের দাপট অব্যাহত: পাটকেলঘাটায় মানববন্ধনে প্রকাশ্য হামলাচতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী স্মৃতিতে অম্লান চিকিৎসক ডা. আনিছুরসাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের পরিবারের অনুকুলে ২৬ লাখ টাকার চেক বিতরণশ্যামনগরে কাজী আলাউদ্দীনের উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পদেবহাটা উপজেলা জামায়াতের সুধী সমাবেশপ্রাণসায়ের খাল বাঁচাতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন ও সমাবেশ

যশোরের বেনাপোল বন্দরে ভারত থেকে আমদানি করা দুই কোটি টাকা মূল্যের ক্যাপিটাল মেশিনারিজের একটি চালান আটক করেছেন শুল্ক গোয়েন্দারা।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বন্দরের ওপেন ইয়ার্ড থেকে খালাসের সময় ওই চালান আটক করা হয়।

বেনাপোল শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের পরিচালক (ডিসি) সাদেক হোসেন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি করা ক্যাপিটাল মেশিনারিজের একটি চালান খালাস নেওয়া হবে। চালানটির ওজন ও এইচ এস কোডের ব্যাপক গরমিল আছে। সে অনুযায়ী শুল্ক গোয়েন্দারা বন্দরে নজরদারি বাড়ায়। একপর্যায়ে বন্দরের ওপেন ইয়ার্ডে থাকা ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইলেকট্রিক ফার্নেস ঘোষণায় আনা ক্যাপিটাল মেশিনারিজের পণ্য চালানটি আটক করা হয়। পরে সেটি আবার পরীক্ষা করে গরমিল পাওয়া যায়। আমদানিকারকের ঘোষণা অনুযায়ী পরীক্ষণ ও শুল্কায়ন কার্যক্রম সম্পন্ন করে খালাসের আদেশ দেওয়া হয়। কিন্তু শুল্ক গোয়েন্দাদের হস্তক্ষেপে চালানটির খালাস কার্যক্রম স্থগিত করা হয়।

সাদেক হোসেন আরো জানান, আমদানিকারকের ঘোষণা অনুযায়ী চালানটিতে ২০০ কেজি ট্রান্সফরমার অয়েল থাকার কথা থাকলেও সেখানে ৮৩৬ কেজি পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ৫০ কেজি লুব্রিকেন্টের জায়গায় ২৫ হাজার ২০ কেজি গ্রিজ পাওয়া গেছে। এসবের মূল্য প্রায় দুই কোটি টাকা, যার শুল্কের পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৭০ লাখ টাকা। কিন্তু আমদানিকারীরা মাত্র ১২ লাখ টাকা শুল্ক পরিশোধ করে চালানটি খালাস করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন।

শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তরের এই কর্মকর্তা আরো জানান, এ কাজে যাঁরা সহযোগিতা করেছেন, তাঁদের বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।

বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার শওকত হোসেন জানান, চালানটি শুল্ক ফাঁকি দিয়ে খালাস করতে যেসব কর্মকর্তা সহায়তা করেছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এরই মধ্যে এর আমদানির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান সিঅ্যান্ডএফ, এজেন্ট গনি অ্যান্ড সন্সের লাইসেন্স বাতিল করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এর আগে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট গনি অ্যান্ড সন্সের বিরুদ্ধে রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগে একাধিকবার লাইসেন্স সাময়িক বাতিল করা হয়েছিল। তবে এবার স্থায়ীভাবে লাইসেন্স বাতিল করার জন্য বলা হয়েছে বলে কমিশনার জানান।

এ ঘটনায় শুল্ক আইন অনুযায়ী একটি মামলা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

সরকারি কর্মচারীদের চেয়ে সাংবাদিকদের বেতন বেশি বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। আর এই যুক্তিতে সাংবাদিকদের জন্য নতুন ওয়েজবোর্ডের প্রয়োজন নেই বলে মনে করেন তিনি।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নোয়াবের প্রতিনিধি ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।
মুহিত বলেন, দেশে প্রয়োজনের চেয়ে টেলিভিশন চ্যানেলের সংখ্যা বেশি। এগুলোর কয়েকটি সামনেই মরে যাবে।
ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম, প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানসহ নোয়াব প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে সংবাদপত্র শিল্পের জন্য নবম ওয়েজবোর্ড গঠনের বিষয়ে আলোচনা করেন অর্থমন্ত্রী। তবে এ বিষয়ে বৈঠকে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি বলে বৈঠক শেষে বেরিয়ে জানান তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।

এ সময় সংবাদপত্রের জন্য কোনো নতুন ওয়েজবোর্ডের প্রয়োজনীয়তা দেখছেন না বলে জানান অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘বিকজ ইওর স্যালারি স্কেলস আর মাচ বেটার দ্যান দ্য গভর্নমেন্ট স্যালারি স্কেলস। দেয়ারফর ইট ইজ আননেসেসারি (কারণ আপনাদের বেতন সরকারি বেতন স্কেলের চেয়ে বেশি। সে কারণেই এটি অপ্রয়োজনীয়) ।’

এ সময় উপস্থিত সাংবাদিকরা মন্ত্রীকে বলেন, যারা সরকারি চাকরি করেন তাঁরা পেনশন পান এবং তাঁদের প্রভিডেন্ট ফান্ড আছে। সাংবাদিকরা বেশির ভাগই এই সুবিধা পান না।

আরেক সাংবাদিক অর্থমন্ত্রীর কাছে জানতে চান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স পাস করা একজন ব্যক্তি ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় আট হাজার টাকা বেতনে চাকরি শুরু করেন। সরকারি চাকরিতেও কি মাস্টার্স পাস করে আট হাজার টাকা বেতনে চাকরিতে প্রবেশ করেন কি না?

জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘মাস্টার্স পাস করা আমাদের পিয়নও আছে।’

সংবাদপত্রের সংখ্যার প্রসঙ্গ টেনে আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, ‘৫০০ কাগজ আপনারা এক্সিস্ট করেন? দে ডু নট এক্সিস্ট (এগুলোর অস্তিত্ব নয়)। একটি ফলস নাম্বার (মিথ্যা সংখ্যা) এবং এটা সব চুরি করা। ঢাকায় কয়টা কাগজ আছে? দৈনিক কাগজ?’

উপস্থিত সাংবাদিকরা জবাব দেন, ২০১টি। উত্তরে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘রাবিশ, দ্যাটস মাই আনসার টু ইউ। (রাবিশ, এটাই আপনাদের আমার উত্তর) রাবিশ, ২০১! ১৫টা হবে কি না আমার সন্দেহ আছে। ২০টা হতে পারে বড়জোর। ৫০০ কতটা কী আছে খবরের কাগজ, অল বোগাস। ওদের জন্য বেতন স্কেল ঠিক করব? নো, দ্যাট উই ডোন্ট (এটা আমরা করব না)।’

বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর ক্ষেত্রে কী হবে জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, একই কথা এক্ষেত্রে প্রযোজ্য। তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, তাহলে কয়টা টেলিভিশন চ্যানেল মরে যাবে। হুইচ ইজ ডিজায়ারেবল ফর দ্য কান্ট্রি (যেটা এই দেশের জন্য ঠিক আছে)। মারা যাবে। দুনিয়ার কোনখানে এতগুলো টেলিভিশন স্টেশন আছে? কোন দেশে?’

এ প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ইলেকট্রনিক মিডিয়ার জন্য এখন পর্যন্ত কোনো আইন তৈরি হয়নি। ওয়েজবোর্ড হচ্ছে খবরের কাগজের জন্য। সেই ব্যাপারে মাননীয় অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে আমরা খবরের কাগজের মালিকদের সঙ্গে বসেছিলাম। সমগ্র সংবাদপত্র শিল্পের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করার জন্য। সে ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’

প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, বেশির ভাগ পত্রিকা যেগুলো নিয়মনীতি অনুসরণ করে প্রকাশিত হচ্ছে না, সেগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে। আর যেগুলো সঠিকভাবে প্রকাশিত হচ্ছে, তাদের জন্য ওয়েজবোর্ডের প্রয়োজন আছে কি না সেই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করতে সাংবাদিক সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলেও জানান তিনি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

সৌদি যুবরাজ সালমান বিন সাদ বিন আবদুল্লাহ বিন টার্কি আল সৌদ ইন্তেকাল করেছেন। এক রাষ্ট্রীয় বিবৃতিতে আজ মঙ্গলবার এ কথা জানিয়েছে সৌদি রয়েল কোর্ট। পরে রয়েল কোর্টের বরাত দিয়ে খবরটি প্রকাশ করে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা এসপিএ।

বিবৃতিতে জানানো হয়, স্থানীয় সময় বাদ আসর রিয়াদ নগরীর ইমাম টার্কি বিন আবদুল্লাহ মসজিদে যুবরাজের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। তবে যুবরাজ কখন মারা গেছেন তা বিবৃতিতে জানানো হয়নি।

১৯৭১ সালের ২১ অক্টোবর আবদুল্লাহ বিন টার্কি আল সৌদ জন্মগ্রহণ করেন। সৌদি রাজপরিবারের এ সদস্য ২০১৩ থেকে ১৪ সাল পর্যন্ত রিয়াদের ডেপুটি গভর্নর ও ২০১৪ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত রিয়াদের গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় রাকায় যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোটের একাধিক বিমান হামলায় ২৯ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের পক্ষ থেকে এমন দাবি করা হয়েছে।

অবজারভেটরি জানায়, সোমবার সন্ধ্যা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় চালানো বিমান হামলায় নয় নারী ও ১৪ শিশু নিহত হয়েছে।

সংগঠনটির দাবি, নিহত ১৪ জন একই পরিবারের সদস্য। তারা জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) একসময়কার ঘাঁটি পালমিরা থেকে পালিয়ে রাকায় গিয়েছিল।

অবজারভেটরি আরো জানায়, বিমান হামলায় বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছে। তাই মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।

সম্প্রতি ইরাকের মসুল শহর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন বাহিনী আইএসকে হটিয়ে দেয়। এর পর থেকে যৌথ বাহিনী সিরিয়ায় আইএসের কার্যত রাজধানী রাকায় নজর দেয়। শহরটিতে যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত আরব-কুর্দি যোদ্ধাদের জোট আইএসের সঙ্গে তুমুল লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। এরই মধ্যে শহরটির ৪৫ শতাংশ দখলে নিয়েছে যৌথ বাহিনী।

সোম ও মঙ্গলবার চালানো বিমান হামলাগুলোর বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোটের কোনো মুখপাত্রের বক্তব্য নিতে পারেনি আলজাজিরা।

এর আগে জোটের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, তারা যেকোনো মূল্যে বেসামরিক মানুষের মৃত্যু এড়াতে চায়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

বয়স পঞ্চাশ ছুঁই ছুঁই। অথচ চেহারার তার কোনো লক্ষণ নেই।

উল্টো বয়স যেন দিন দিন। এদের মধ্যে কাউকে আবার টিনএজারের মতোও দেখতে। আবার কাউকে দেখলে মনে হয় যেন নিজের মেয়ের বয়সি! মার্কিন শোবিজ অঙ্গনের এই সব তারকাদের দেখে মানুষের মধ্যে অনেক প্রশ্ন, কীভাবে তারা বার্ধক্য আটকে নিজেদের সৌন্দর্য ধরে রাখেন। চলুন এক নজরে দেখে নেওয়া যাক।

সিন্ডি ক্রফোর্ড
গত ৩০ বছর ধরে যেন একই চেহারা ধরে রেখেছেন আমেরিকার এই মডেল-অভিনেত্রী। দুই সন্তানের মা সিন্ডি ক্রফোর্ড তাঁর রূপ-রহস্য নিয়ে কথা বললেই তিনি বলেন, ‘‘দ্য সিক্রেট ইজ, দেয়ার ইজ নো সিক্রেট’’। যেগুলো সবাই জানে, সেই নিয়মগুলো মেনে চললেই হয়। যেমন পানি বেশি পান করা, ধূমপান না করা, পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম, খোশমেজাজ ইত্যাদি। তবে নিজের তৈরি প্রডাক্ট লাইনের বিউটি প্রডাক্ট ব্যবহার করেন সিন্ডি। সকালে উঠেই সুপারফুড স্মুদি খান আর চাইনিজ মেডিসিনের উপর ভরসা রাখেন। তবে তিনি এও বলেছেন, কম সময়ের মধ্যে এই নিয়মগুলো কাজে দেবে না। ৩০ বছর বয়স থেকে ত্বকের যত্ন নেওয়া শুরু করলে তাঁর ফল পঞ্চাশের পর পাওয়া যাবে। তাই ধৈর্য হারালে চলবে না।

 

জেনিফার অ্যানিস্টন
রুপচর্যায় যেসব শোবিজ তারকা সবচেয়ে বেশি খরচ করেন, তাদের মধ্যে প্রথম দিকেই থাকবেন জেনিফার অ্যানিস্টন। অনেকেই মনে করেন, ৪৮ বছর বসয়ী মার্কিন এই অভিনেত্রীর ত্বক আগের চেয়ে বেশি উজ্জ্বল। নানা রকম লেজার ট্রিটমেন্ট, ফেশিয়াল, বিউটি ট্রিটমেন্ট করাতেই থাকেন তিনি। যোগ ব্যায়াম, এক্সারসাইজ আর ডায়েটের মধ্যে থাকেন সব সময়।

 

হ্যালি বেরি
হাজার হাজার টাকা খরচ করে হাই-এন্ড বিউটি প্রডাক্ট কেনার পক্ষপাতী নন আমেরিকার অভিনেত্রী হ্যালি বেরি। তার চেয়ে পেশাদারদের সাহায্য নেওয়াই পছন্দ করেন ৫০ বছর বয়সী এই শোবিজ তারকা। তাই সারা বছর তিনি ক্লিনজিং-টোনিং-ময়েশ্চারাইজিং করেন। কিন্তু বছরে অন্তত চার বার তাঁর প্রিয় বিউটি ক্লিনিকে গিয়ে যাবতীয় ট্রিটমেন্ট করিয়ে নেন। সারাদিন প্রচুন পরিমাণে পানি পান করেন। আর ডায়েটে চিনি একেবারেই রাখেন না।

জেনিফার লোপেজ
বয়স পঞ্চাশ ছুঁই ছুঁই। কিন্তু দেখে বোঝার উপায় নেই সেটা। তার একটা বড় কারণ অবশ্য জেনিফার লোপেজের ঈর্ষণীয় ফিগার। হলিউড তারকার মতে, ওয়ার্কআউটই তাঁর সবচেয়ে বড় প্রায়োরিটি। তাছাড়া কঠিন ডায়েটের মধ্যে থাকেন জেনিফার লোপেজ। নিজের তৈরি হেল্থ ফুড আর সাপ্লিমেন্টসের উপরই তার ভরসা করেন। ত্বকের জন্য নাকি আর পাঁচজনের মতোই সামান্য ময়েশ্চারাইজিং ক্রিম ব্যবহার করেন। তবে ঘুমোতে যাওয়ার আগে নিয়ম করে মেকআপ তুলে ফেলেন প্রতিদিন।

রিজ উইদারস্পুন
আমেরিকান এই অভিনেত্রী বয়স চল্লিশ পেরিয়ে গেছে। তিন সন্তানের জননী রিজ উইদারস্পুন কোনো কোনো ইভেন্ট মেয়েকে নিয়ে হাজির হন। কিন্তু পাশাপাশি দাঁড়ালে কে মেয়ে আর কে মা এটা আলাদা করা যেকোনো মানুষের পক্ষে কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়। ত্বকের সৌন্দর্য ধরে রাখার জন্য নিয়মিত এক্সারসাইজ করেন ‘লিগালি ব্লন্ড’ তারকা। আর স্বাস্থ্যকর ডায়েট মেনে চলেন নিয়মিত। তাঁর বিউটি রেজিমও খুব একটা জটিল না। একসঙ্গে অনেক প্রডাক্ট ব্যবহার না করে শুধু শ্যানেলের হাইড্রেটিং ময়েশ্চারাইজার নিয়মিত ব্যবহারে বিশ্বাসী তিনি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

খেতে খুব তেতো, কিন্তু করলার গুণ অনেক৷ যা কিনা দূর করতে পারে অনেক কঠিন রোগ৷ চলুন জেনে নেওয়া যাক, প্রতিদিন করলা খেলে কী কী উপকার পাবেন!

১। এ ক্ষেত্রে চার চা-চামচ করলা বা করলার পাতার রস একটু গরম করে সেই সঙ্গে এক-দেড় চা চামচ বিশুদ্ধ গাওয়া ঘি মিশিয়ে ভাতের সাথে খেতে হয়।
বাতের ক্ষেত্রে খুবই উপকারি এই পদ্ধতি ৷

২। অনেক সময় ম্যালেরিয়া জ্বরেও পিত্ত শ্লেষ্মার বিকার হয়। এর প্রধান উপসর্গ হলো, পিপাসা ও বমি; এ ক্ষেত্রে করলার পাতার রস এক চা চামচ একটু গরম করে অথবা গরম পানির সঙ্গে মিশিয়ে সারা দিনে ২-৩ বার করে খেলে জ্বরের উপসর্গগুলো চলে যাবে ও জ্বরের প্রকোপও কমে যাবে।

৩। গুঁড়ো কৃমি এ ক্ষেত্রে করলার পাতার রস বয়স্ক হলে ১-২ চা চামচ এবং শিশু হলে আধা চা চামচ সকালে ও বিকেলে অল্প পানিতে মিশিয়ে খেতে হয়।

৪। এ রোগের লক্ষণ হলো বিকেলে চোখ-মুখ জ্বালা করা, নাক-মুখ দিয়ে গরম নিঃশ্বাস-বের হওয়া, মুখে স্বাদ না থাকা। নোনা স্বাদ ও ভাজাপোড়া জিনিসে রুচি বেশি এ ক্ষেত্রে বুঝতে হবে, রক্তবহ স্রোত দূষিত হচ্ছে এবং এর আধার প্লীহা বিকারগ্রস্থ হচ্ছে। এ সময় করলা বা করলা পাতার রস দুই চা চামচ একটু গরম করে সিকি কাপ পানিতে মিশিয়ে দিনে দু-তিন বার খেতে হয়। এভাবে পাঁচ-ছয় দিন খেলে অসুবিধাগুলো আস্তে আস্তে চলে যাবে।

৫। পিত্ত শ্লেষ্মাজনিত এ বাত রোগের লক্ষণ হলো অমাবস্যা, পূর্ণিমা এবং একাদশী এলে হাত-পা-কোমর, সারা শরীরে ব্যথা যন্ত্রণা হয়; ব্যথা নিবারক বড়ি খেয়ে চলাফেরা করতে হয়; শীতকাল এলে কথাই নেই, তবে গরম বেশি পড়লে ব্যথা-বেদনা ও যন্ত্রণা একটু কম হয়। এ ক্ষেত্রে করলা বা তার পাতার রস ৩ চা চামচ গরম করে অল্প জলে মিশিয়ে দিনে ২ বার করে খেলে এ অসুবিধা চলে যায়।

৬। বৈদিক শাস্ত্র মতে, পিত্ত শ্লেষ্মার বিকার না হলে অরুচি রোগ হয় না। এ ক্ষেত্রে এক চা চামচ করে করলার রস সকাল ও বিকেলে খেলে দোষটা চলে যায়।

৭। যাদের কোনো জ্বালা-যন্ত্রণা ছাড়াই পায়খানার সাথে টাটকা রক্ত পড়ে, অথচ অর্শ্বরোগ নেই এ ক্ষেত্রে রক্ত পিত্ত যে আছে তা নিশ্চিত করে বলা যায়। এতে করলা বা করলার ফুল ৮-১০টা নিয়ে দিনে ৩ বার খেতে হয়।

৮। বীজ বাদ দিয়ে পুরো শাঁসের রস ছেঁকে একটু গরম করে প্রতিদিন সকাল ও বিকেলে খেলে অগ্নিমান্দ্য রোগ সেরে যায়।

৯। পোড়া ঘায়ে করলা পাতার রস লাগালে তা সারে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই)-এর এক সদস্যকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এক আমেরিকান নাগরিককে অভিযুক্ত করেছে দেশটির আদালত। খবর রয়টার্স।

অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম নীলাশ দাশ (২৫)। তার বিরুদ্ধে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামী স্টেটকে সহযোগিতা করারও অভিযোগ এনেছে আদালত। আগ্নেয়াস্ত্র বহনের অপরাধেও অভিযুক্ত করা হয়েছে তাকে।

 ২০১৬ সালে এক মার্কিন সেনাকে আক্রমণের প্রস্তুতি নেয়ার সময় নীলাশকে আটক করে এফবিআই।

বিচার বিভাগের বিবৃতিতে বলা হয়, নীলাশ দাশ একজন বাংলাদেশি নাগরিক এবং একই সঙ্গে তিনি যুক্তরাষ্ট্রেরও বৈধ নাগরিক। ২০১৫ সালের অক্টোবর থেকে ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ইসলামী স্টেটকে সহযোগিতা করার অপরাধে তিনি অভিযুক্ত।

এফবিআই সদস্যকে হত্যাচেষ্টায় নীলাশ দাশের বিরুদ্ধে কি ধরনের চার্জ গঠন করা হয়েছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত বলা হয়নি আদালতের বিবৃতিতে।

আটকের পর নীলাশ এফবিআইকে বলেন, তিনি সামরিক বাহিনীর একজন সদস্যকে আক্রমণ করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিলেন এবং এটাই তার জীবনের লক্ষ্য।

বর্তমানে নীলাশ দাশ পুলিশ হেফাজতে আছেন। যদি এই তিন অভিযোগে তিনি দোষী সাব্যস্ত হন তাহলে তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে। তবে এ বিষয়ে নীলাশের আইনজীবী কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরা সদর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে দলিল লেখকদের দুর্নীতি, অফিসের নাম করে সরকারি রাজস্বের অতিরিক্ত অর্থ আদয় করার একাধিক অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতিদিন ৫/৬ লক্ষ টাকারও অধিক আদায় করছেন জমির ক্রেতারদের নিকট থেকে। দলিল লেখক সমিতির নামে এবং অফিসের নাম ভাঙিয়ে এই অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হচ্ছে।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলা রসুলপুর গ্রামে আলিম উদ্দীন, বাঁকাল গ্রামের মাগফুর হোসেন, লাবসা গ্রামের মফিজ উদ্দীন, ঘোনা মাঝেরপাড়া গ্রামের তকিমউদ্দীন, মাহম্মুদপুর গ্রামের ফজর আলী জানান, তারা নিজেরা এবং তাদের আত্মীয় স্বজনদের জমি ক্রয় করতে সদর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে গেলে দলিল লেখকরা পৌর এলাকার বাহিরে দলির রেজিস্ট্রি করার জন্য প্রতি ১ লক্ষ টাকার দলিলে ১২ হাজার টাকা আদায় করছে। অথচ সরকারি রাজস্ব প্রতি ১ লক্ষ টাকার দলিলে ৯ হাজার টাকা। অতিরিক্ত প্রতি ১ লক্ষ টাকার দলিলে ৩ হাজার টাকা করে তারা আদায় করছে। পৌর এলাকার বাহিরে প্রতি বিঘার জমির দাম ১০ লক্ষ টাকা হয় সে ক্ষেত্রে সরকারি রাজস্ব আসে ৯০ হাজার টাকা। দলিল লেখকরা আদায় করছে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা। অতিরিক্ত ৩০ হাজার টাকা তাদের সমিতি এবং অফিস খরচের নামে আদায় করা হচ্ছে বলে তারা জানায়। তারা আরোও জানায় পৌর এলাকার জমি প্রতি ১ লক্ষ টাকার দলিলে সরকারি রাজস্ব আসে ১১ হাজার টাকা। সেখানে ক্রেতারদের কাজ থেকে আদায় করা ১৪ হাজার টাকা। সাতক্ষীরা পৌর এলাকার ১ কাটা জমির মূল্য (এলাকা ভেদে) ১০/১৫ লক্ষ টাকা। সপ্তাহে ৪ কার্য্য দিবসে ৬ থেকে ৮ কোটি টাকার জমি বেচা-কেনার দলিল রেজিস্ট্রি হয় (কোন কোন দিন এর বেশিও হয়)। সেই হিসাবে সপ্তাহে ৪ কার্যদিবসে ১৮ থেকে ২৪ লক্ষ টাকা অতিরিক্ত আদায় করছে দলিল লেখকরা। সপ্তাহের বৃহস্পতিবার সাব-রেজিস্ট্র্রার বদলি অফিস করেন।
দানপত্র দলিলে ১% বাদে সমপরিমাণ টাকা আদায় করা হয় বলে তারা জানায়। এছাড়াও প্রতিটি দলিলে ৩৪০ টাকা সরকারি রেভিনিউ জমা দিতে হয়। প্রতিটি হেবানামা দলিলে সরকারি রাজস্ব স্ট্যাম্পসহ ৯০০ শত টাকা, দলিল লেখকরা আদায় করছে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা।
এ ব্যাপারে কয়েকজন দলিল লেখক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানায়, অতিরিক্ত আদায়কৃত টাকায় একটি বড় অংশ তাদের সমিতিতে জমা দিতে হয়। অফিসে কোন খরচ দিতে হয় কি না জানতে চাইলে তারা কোন উত্তর দেয়নি। দলিল লেখকরা জানায় তাদের সমিতির সদস্য সংখ্যা ১০৯ জন। ৭০ জন প্রতিদিন দলিল রেজিস্ট্রির করে থাকেন এবং ৭০ জনের নামে সমিতির পক্ষ থেকে ডিপিএস করা আছে। ডিপিএস এর মেয়াদ শেষ হওয়ার পথে। সমিতিতে কত টাকা জমা আছে জানতে চাইলে তারা কোন টাকা জমা নেই বলে জানায়। তবে এখন থেকে ব্যাংকে টাকা জমা হওয়ার কথা আছে বলে তারা জানায়। সমিতির ইতিপূর্বে লক্ষ লক্ষ টাকার কোন হিসাব নেই বলে তারা জানান। এ ব্যাপারে সদর দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির কাছে মুঠো ফোনে জানতে চাইলে তিনি তথ্য গোপন করে বলেন, ৭০ জনের মতো দলিল লেখক আছে সদর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে। কোন অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হয় না বলে তিনি দাবি করেন। সমিতির কোন টাকা তারা আত্মসাৎ করেননি বলেও তার দাবি। কেউ যদি অতিরিক্ত টাকা আদায়ের কোন অভিযোগ করেন তাহলে সেই সমস্ত দলিল লেখকদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ব্যাপারে সদর সাব-রেজিস্ট্রির লুৎফর রহমান মোল্ল্যার নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, অফিস কোন টাকা গ্রহণ করে না। দলিল লেখকরা কোন ক্রেতার কাছ থেকে কত টাকা আদায় করছে এটা অফিসের জানার বিষয় না। সদর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে কোন কর্মচারী অবৈধ অর্থে গ্রহণ করে না।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest