সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরার ৪টি সংসদীয় আসনে বিএনপির ২ বিদ্রোহী প্রার্থীসহ ২৯ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিলসাতক্ষীরা-০১ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আ’লীগ নেতা মুজিবের মনোনয়ন জমাসাতক্ষীরা জেলা কিন্ডার গার্টেন এ্যাসোসিয়েশনের ফলাফল প্রকাশExploring the Flavorful Journey of Ground Beef Enchiladasজেলা ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি গঠনচোরের উপদ্রবে অতিষ্ঠ কাটিয়া রেজিস্ট্রি অফিসপাড়ার বাসিন্দারা : মিথ্যা মামলার অভিযোগসাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের পিতার মৃত্যুতে শােকসাতক্ষীরায় পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা: আসামী ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগশ্যামনগরে কোস্টগার্ডের অভিযানে ভারতীয় মদ জব্দআশাশুনিতে জলবায়ু-স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ক যুব নেতৃত্বাধীন প্রচারনা

8qnGEg_afrদক্ষিণ আফ্রিকার পূর্ব প্রেটোরিয়ায় ২৩ বছরের এক তরুণকে অপহরণ করে তিনদিন ধরে লাগাতার গণধর্ষণ করল ৩ যুবতী। পুলিশ জানিয়েছে, জোর করে এনার্জি ড্রিঙ্ক খাইয়ে রোজ বারবার ধর্ষণ করা হয়েছে ওই তরুণকে। একটি মাঠে প্রায় নগ্ন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়।

একটি ১৫ আসনের ট্যাক্সিতে উঠেছিলেন ওই তরুণ। সেখানেই ওই ৩ নারীর সঙ্গে তার প্রথম দেখা হয়। ট্যাক্সিটি ভুল রাস্তায় নিয়ে গিয়ে ওই তরুণকে সামনের আসনে যেতে বলা হয়। এরপর জোর করে একটি ইঞ্জেকশন দেওয়ার পরই তিনি অচৈতন্য হয়ে পড়েন। জ্ঞান ফেরার পর তিনি দেখেন একটি অপরিচিত ঘরে সিঙ্গল বেডে শুয়ে রয়েছেন তিনি। তখনই তাকে জোর করে এনার্জি ড্রিঙ্ক খাওয়ানো হয়।

ছেলেটি পুলিশকে জানিয়েছেন, তিনদিন তাকে ঘুমোতেও দেওয়া হয়নি। পুলিশ জানিয়েছে, অপরাধী পুরুষ হোক না নারী, দক্ষিণ আফ্রিকা পুলিশ যে কোনও যৌন নিগ্রহকেই যথেষ্ট গুরুত্ব দেয়। দোষীদের খুঁজে বের করে শাস্তি দিতে গভীর তদন্ত করা হবে। সূত্র-কলকাতা২৪

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

tJOLTk_pmmuhit42131২০১৭-১৮ অর্থবছরের জন্য ৪ লাখ ২৬৬ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট জাতীয় সংসদে পেশ করছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। নতুন মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ আগামী ১ জুলাই থেকে বাস্তবায়ন হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

নতুন আইনে আমদানি ও স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদিত প্রায় তিন হাজারের অধিক পণ্য ও সেবা ভ্যাটের আওতামুক্ত রাখা হয়েছে। ফলে ওইসব পণ্যের দাম কমবে।
যেসব পণ্যের দাম কমবে:

আমদানি করা সাবান, শ্যাম্পু, জেল, তেল, টাইলস, সিরামিক পণ্য, টয়লেট সামগ্রী, রান্নাঘরের সামগ্রী, তাস, রেডিও ক্যাসেট প্লেয়ার, সব ধরনের পার্টিক্যাল বোর্ড, ওরিয়েন্টেড স্ট্রান্ড বোর্ড, ফাইবার বোর্ড, হার্ডবোর্ড, প্লাইউড দরজা, জানালা, ফাইবারযুক্ত পেপার ও পেপার বোর্ড, করোগেডেপ পেপার, পেপার বোর্ডে তৈরি বাক্স, কার্টন, বস্তা ইত্যাদি।
যেসব পণ্যের দাম বাড়বে:

মিষ্টি বিস্কুট, ওয়েফার, পটেটো চিপস, হাত-নখ-পায়ের প্রসাধন সামগ্রী, প্লাস্টিকের বাক্স, পলিমারের বস্তা, সিলিং ফ্যান, দেয়াল ফ্যান, জুতা তৈরির উপকরণ, স্যানিটারি ন্যাপকিন, ব্যাটারি, রঙিন টেলিভিশন, টেলিভিশনের পার্টস, সিমকার্ড, ব্রাশ, আমদানি করা শুটকি মাছ, আপেল, আঙুর, জিরা, এলাচ, লবঙ্গ, দারচিনি, চকলেট, জ্যাম, জেলি, ফলের রস, শিশুখাদ্য, বিট লবন, সিমেন্ট, সালফিউরিক অ্যাসিড, টুথপেস্ট, ডিটারজেন্ট, দিয়াশলাই, মশার কয়েল, অ্যারোসল, চামড়া ও কাপড়ের তৈরি ব্যাগ, স্যুটকেস, শপিং ব্যাগ, হাতব্যাগ, পশমি কম্বল, ফেব্রিক্স, আসবাবপত্র, কাচের আয়না, হীরা, জুয়েলারি, ইমিটেশনের গহনা ইত্যাদি।

এদিকে এ বাজেটে শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে গত অর্থবছরের তুলনায় ১৫১৫২ কোটি টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব রাখা হয়েছে। গত অর্থবছরে শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে ৫০,২৯২ কোটি টাকা (সংশোধিত) বরাদ্ধ থাকলেও এবারে তা বাড়িয়ে ৬৫৪৪৪ কোটি টাকার প্রস্তাব করা হয়েছে।

বাজেটের অর্থ সংগ্রহের মূল উৎস ধরা হয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) নিয়ন্ত্রিত কর। এ খাত থেকে অর্থ আসবে ২ লাখ ৪৮ হাজার ১৯০ কোটি টাকা, যা বাজেট আকারের ৬২ শতাংশ।বাকি অর্থ আসবে অভ্যন্তরীণ ঋণ, বৈদেশিক ঋণ, বৈদেশিক অনুদান, এনবিআর বহির্ভূত কর এবং কর ব্যতীত প্রাপ্তি থেকে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

XNuai6_3সালাদ একটি জনপ্রিয় মিশ্র খাবার যা প্রধানত ফল এবং কাঁচা সবজি দিয়ে তৈরি করা হয়। বাংলাদেশে প্রধানত শসা, গাজর, টমেটো ইত্যাদি দিয়ে সালাদ তৈরি করা হলেও পৃথিবীজুড়ে সালাদের জন্য বিভিন্ন উপকরণ ব্যবহার করা হয়। প্রতিদিন ইফতারে তো ভাজাপোড়া খাওয়া হয় বেশি, এবার না হয় সালাদ যোগ করে দেখুন।

#গ্রিলড চিকেন সালাদ

উপকরণ:

গ্রিল চিকেনের জন্য: মুরগির বুকের মাংস ৪ পিস। লেবুর রস ২ টেবিল-চামচ। রসুনবাটা ১ টেবিল-চামচ। গোলমরিচের গুঁড়া স্বাদ অনুযায়ী। লবণ স্বাদমতো।
ড্রেসিংয়ের জন্য: ভিনেগার ৩ টেবিল–চামচ। রসুনকুচি ১ চা-চামচ। অলিভ ওয়েল ২ টেবিল-চামচ। মধু ১ টেবিল-চামচ। গোলমরিচ ১ চিমটি। লবণ স্বাদমতো। সব একসঙ্গে মিশিয়ে রাখুন।

সালাদের জন্য: টমেটো, শসা, গাজর, আপেল, আঙুর, স্ট্রবেরি, লেটুস, পেঁয়াজ— সব ছোট কিউব করা।

পদ্ধতি:

লেবুর রস, রসুন বাটা, লবণ ও গোলমরিচ মুরগির সঙ্গে মিশিয়ে নিন। ফ্রিজে দুই ঘন্টা ম্যারিনেইট করে রাখুন। তারপর গ্রিডেল প্যানে মাংস গ্রিল করে নিন। এবার সার্ভিং ডিশে গ্রিলড করা মুরগি টুকরা করে এরসঙ্গে টমেটো, শসা, গাজর, আপেল, আঙুর, স্ট্রবেরি, লেটুস, পেঁয়াজ টুকরাসহ ড্রেসিং দিয়ে মিশিয়ে পরিবেশন করুন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

PbSNsM_18814nখাদ্য তালিকায় ফল রাখা জরুরি, বিশেষ করে যখন ওজন কমানোর চিন্তা করছেন তখন। ফলে রয়েছে প্রোটিন, ভিটামিন, বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান এবং প্রাকৃতিক চিনি। এটি পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে এবং শরীরকে কর্মক্ষম রাখে। কিছু ফল রয়েছে যেগুলো ওজন কমাতে খুবই কার্যকরী।

আপেলঃ প্রতিদিন একটি আপেল খেলে ওজন কমে। আপেল এর মধ্যে থাকা পানি ও আঁশ ওজন কমাতে বেশ আদর্শ ফল। আপেল কেবলমাত্র ওজন কমানোর জন্যই নয়, স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও প্রতিদিন খেতে পারেন এই ফল।

পেয়ারাঃ বিপাক ক্ষমতা বাড়াতে এই ফল অনেক সহায়ক। এ জন্য এটি ওজন কমাতে কাজ করে। এর মধ্যে রয়েছে প্রয়োজনীয় প্রোটিন ও ভিটামিন। ওজন কমাতে চাইলে এই ফল আপনার খাদ্যতালিকায় নিয়মিত রাখতে পারেন।

তরমুজঃ এই রসালো গ্রীষ্মকালীন ফলটি শরীরকে আর্দ্র রাখে এবং ক্ষুধা কমাতে কাজ করে পাশাপাশি ওজন কমানোর কাজ করে। নিয়মিত এই ফল খেলে শরীরের বিষাক্ত পদার্থ দূর হয়। পাশাপাশি চর্বিও ঝরে।

কিউইঃ কিউইর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সি, সলিউবল ও ইনসলিউবল ফাইবার। এটি হজম ভালো করতে সাহায্য করে, ওজন কমাতেও সাহায্য করে।

বাতাবিলেবুঃ বাতাবিলেবু শরীরের অতিরিক্ত চর্বি ঝড়াতে সাহায্য করে। তাই যাঁরা ওজন কমাতে চান তাঁরা নিয়মিত এই ফল খেতে পারেন।

টমেটোঃ টমেটো ক্যানসার প্রতিরোধ করে, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে। তাই ওজন কমাতে এই ফলটিও খেতে পারেন। তাই ওজন কমাতে খাদ্য তালিকায় এটিও রাখতে পারেন। সূত্রঃ বোল্ডস্কাই।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

7273পাটকেলঘাটা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা থেকে প্রকাশিত দৈনিক আজকের সাতক্ষীরা পত্রিকার অফিসে সাতক্ষীরা সদর এমপি’র ভাইদের হামলা, ভাংচুর এবং সাব-এডিটর তহিদুল রহমান ডাবলু ও ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হাফিজুর রহমান মাসুমের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন পাটকেলঘাটা কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ যথাক্রমে সৈয়দ মাসুদ রানা, ডাঃ হেলাল উদ্দিন, খান হামিদুল ইসলাম, হাসান গফুর, বিশ্বজিৎ চকক্রবর্ত্তি, খলিলুর রহমান, শাহিনুর রহমান, রোকুনুজ্জামান, সুমন চক্রবর্তি, নাজমুল হক, সৈয়দ রুবেল ইসলাম, বাবলা সরদার, অমিত কুমার, নজরুল ইসলাম রাজুসহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

photo-1464888645ঠিকানা আহমাদিয়া প্রেস। ১ কেবি আহছানউল্লাহ রোড, সাতক্ষীরা। বহু পুরনো এই ঠিকানাটি আজকের প্রজন্মের অনেকেরই অচেনা হলেও প্রবীণদের মুখে মুখে রয়েছে । কারণ এই ঠিকানায় দিনরাত বসতো জমজমাট আড্ডা। শীত গ্রীষ্ম বর্ষা ঝড় সব দিনেই খোলা থাকতো আহমাদিয়া প্রেসের দরজা। হাসির ফোয়ারা উঠতো। কখনও বা বিষাদে ভারাক্রান্ত হয়ে পড়তো আড্ডাটা। আর এ সবের  পেছনে জড়িত রয়েছে প্রেসের অতি পরিচিত ম্যানেজার  আবুল কাসেমের নামটিও। বহুল পরিচিত আহমাদিয়া প্রেসটি এখনও আছে। তবে নতুন রুপে। আজ আর নেই শুধু  সেই আড্ডাটা । নেই সেই আড্ডার মধ্যমনিও।
সাতক্ষীরা শহরের নারকেলতলা থেকে পাকাপুলের মোড় আসার  শহীদ নাজমুল সরণি বরাবর দক্ষিনমুখী সড়কের বামধারের ছোট রাস্তাটিই ১ কেবি আহছানউল্লাহ রোড। এখানেই গড়ে উঠেছিল  এক মোহনা।  যেন  অবিরাম জন ¯্রােতোধারার একটি  মিলনমুখ। যেখানে মিলিত হতো হাজার প্রাণ, প্রাণে প্রাণে প্রাণময় হয়ে থাকতো সারাক্ষন। প্রেসটির দেয়ালে সাঁটা থাকতো অভিনন্দনপত্র, মানপত্র।এমনকি কিছু বাঁধানো ছবিও। যে কেউ তার কক্ষে ঢুকে দেখতে পেতেন মোতালেব সাহেবের প্রশস্তি গাওয়া  সেই সব মানপত্রগুলি। হে ক্ষনিকের অতিথি , হে বিদ্যানুরাগী , হে মহানুভব এমনসব  নানা বিশেষণে ভূষিত করে সুন্দর হস্তলিখিত প্রশস্তিপত্র পড়ে যে কেউ তার  মর্যাদা ও সম্মান সম্পর্কে ধারনা পেতে পারতেন।  স্কুল কলেজ যেখানেই যেতেন তিনি  প্রধান অথবা বিশেষ অতিথি হয়ে, সেখানেই তাকে সম্মানিত করা হতো অভিনন্দনপত্র দিয়ে ।
প্রেসের অফিস কক্ষে গায়ে গায়ে ঠাঁসা গোটা পনের  চেয়ার। সামনে টেবিল । সেখানেই বসতেন একটি কুশন চেয়ারে , তিনিই এই প্রেসের মালিক,নাম আবদুল মোতালেব। যার নাম  ডাক ছিল খুব। এক নামেই মানুষ জানতো যাকে তিনিই  আবদুল মোতালেব। টেবিলে  এক গাদা বাংলা ইংরেজী খবরের কাগজ রেখে চেয়ারে বসে থাকা মানুষগুলোর সাথে পান চিবুতে চিবুতে অবিরাম গল্প গুজব করা। পানের সাথে সাথে চা। কখনও হাসি কখনও বিষাদে ভরে উঠতো সামনের সারিতে বসে থাকা মুখগুলো। আবার হাসির ফোয়ারা উঠতো মাঝে মাঝে। অনবরত মানুষ আসছে , কথা বলে চলে যাচ্ছে । কারও চাকুরি চাই। কারও একটি স্কুল চাই। কেউ চান এলাকায় দরিদ্র মানুষের মাঝে রেড ক্রিসেন্টের ত্রাণ সামগ্রী বিতরন। কেউ  কম্বল , কেউ টিন, কেউ বা গুড়ো দুধ। কেউ বা আসতেন পুলিশের বালা মসিবতের  হাত থেকে রক্ষা পেতে। প্রেস অফিস কক্ষটির বাইরের  দেয়ালে টানানো একটি চিঠির বাক্স। বহুদিন হওয়ায় জীর্নতার ছাপে নড়বড়ে হয়ে দাঁত ভেংচি কাটা লেটার বক্স।  রানার আসতো , বক্স খুলে চিঠি নিয়ে যেতো । আর ডেলিভারি দিতো অনেক চিঠি। অন্যের নামের চিঠি। লেখা থাকতো কেয়ার অব আবদুল মোতালেব , আহমাদিয়া প্রেস। যার নামের চিঠি তিনি তো এই প্রেসের কেউ নন। সাতক্ষীরার দুরগ্রাম , যেখানে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম দুই চাকার হেলিকপ্টার , আর নদী পারাপার সেখানকার গ্রামে কবে পৌছাবে এই চিঠি তার হিসাব কেউ বলতেই পারতো না । গ্রামে চিঠি বিলি হতো সপ্তাহের একদিন হাটবারে। এক হাটবারে না পাওয়া গেলে পরের হাটবার দিন।হয়তো চিঠি নেওয়ার জন্য মৌখিক খবর যেতো প্রাপকের বাড়িতে।  এভাবে কতো হাট যে কেটে যেতো তার ঠিক ছিলনা।  আর তাই প্রত্যন্ত এলাকার প্রিয়জনরা ব্যবহার করতেন কেয়ার অব আবদুল মোতালেব , আহমাদিয়া প্রেস , ১ কেবি আহছানউল্লাহ রোড। নিরাপদে চিঠি পৌঁছাতো। প্রাপক খবরও পেতেন তাড়াতাড়ি।
মোতালেব সাহেব বহু স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা  চেয়ারম্যান। আমার জানা মতে এ সংখ্যা ৯০ টিরও বেশি। এ ছাড়া কলেজ মাদ্রাসা তো আছেই। ১৯৭১ এ মহান মুক্তিযুদ্ধের পর তিনি স্কুল তৈরির অভিযানে মাঠে নেমেছিলেন। প্রাথমিক এবং মাধ্যমিকও। তালার কুমিরায় তিনি নারী শিক্ষার প্রদীপ প্রজ্বলন করেছিলেন।  নিজ হাতে গড়ে তোলেন কুমিরা গার্লস হাইস্কুল , কুমিরা মহিলা কলেজসহ নানা প্রতিষ্ঠান। নতুন স্কুল কলেজের  প্রাথমিক ভিত্তি তৈরি করে তিনি কাগজপত্র প্রস্তুত করাতেন । আর তা ঢাকায় নিয়ে স্কুলটির রিকগনিশন আদায় করতেন। এভাবে একের পর এক স্কুল প্রতিষ্ঠান করতে থাকায় তার সুনাম চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। তিনি হয়ে ওঠেন জেলার অন্যতম শ্রেষ্ঠ শিক্ষানুরাগী। এরপর যতো স্কুল প্রতিষ্ঠা লাভ করতো তার সবগুলিতে প্রতিষ্ঠাতা হিসাবে নাম থাকতো আবদুল মোতালেবের। কারণ তারা জানতেন তাকে ছাড়া রিকগনিশন প্রাপ্তির অসাধ্য কাজ আর কারো দ্বারা সাধ্য নয়। স্কুল তৈরির সাথে সাথে চাকুরিও পেয়ে গেছেন অগনিত বেকার যুবক। আজও চাকুরিতে বহাল তবিয়তে রয়েছেন তারা। আবার কেউ কেউ অবসরে গেছেন। চিরদিন তারা স্মরণে রেখেছেন তাকে । কারণ তিনিই তাদের রুটি রুজির ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।
আবদুল মোতালেব একজন নন্দিত নেতা ছিলেন। তার রাজনৈতিক বিশ্বাস ছিল আওয়ামী লীগের প্রতি । কিন্তু দলীয় কোনো পদ গ্রহন করেননি তিনি। তবে রাজনীতি নিয়ন্ত্রন করেছেন। জেলার রাজনীতির অন্যতম নীতি নির্ধারকও ছিলেন তিনি। একদিকে তিনি ছিলেন দৈনিক কাফেলার প্রতিষ্ঠাতা ও সম্পাদক। অন্যদিকে নিজে ছিলেন বাংলাদেশ অবজারভারের সাতক্ষীরা ডিস্ট্রিক্ট করেসপনডেন্ট।  ছিলেন বাংলাদেশ টেলিভিশনের সাতক্ষীরা জেলা সংবাদদাতা। বন্যা ও ঝড়ের সময় বিটিভিতে তার কন্ঠ শোনা যেতো। টিভিতে ভেসে আসতো দুর্যোগ কবলিত মানুষের দুর্ভোগের কথা , ত্রাণ বিতরনের কথা ।  তিনি ছিলেন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের  প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। বহু দফায় তিনি সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের মূল ভবনটি তিনিই আদায় করেছিলেন তৎকালিন এসডিও শহিদুল আলমের কাছ থেকে। বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতির তিনি ছিলেন সভাপতি। ৬০ এর দশকে সাংবাদিকতায় প্রবেশ করে তিনি নিজেকে দেশজুড়ে পরিচিত করে তুলেছিলেন।  জেলার সাংবাদিকদের পথপ্রদর্শক ছিলেন তিনি। তার তৎকালিন সাপ্তাহিক কাফেলায় ( পরবর্তীতে দৈনিক কাফেলা ) কিংবা তার প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষ সহযোগিতায় সাংবাদিকতায় প্রবেশ করেছেন সাতক্ষীরার অগনিত সংবাদকর্মী। তার কাছেই সাংবাদিকতায় হাতে খড়ি হয়েছে অনেকের ।  তিনি ছিলেন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির জাতীয় কমিটির বিভিন্ন সময়ের সদস্য। সাতক্ষীরা জেলা রেড ক্রিসেন্টের তিনি  ছিলেন সম্পাদক। রেড ক্রিসেন্টের বর্তমান ভবনটি তিনি স্বাস্থ্য বিভাগের কাছ থেকে গ্রহন করেছিলেন। আবদুল মোতালেবের বিচরন ছিল এক .সংবাদ জগতে , দুই .শিক্ষা ভূবনে , তিন.  রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিতে। ফলে সকল সময়ই তাকে জনগনের পাশে থাকতে হতো। জনগনের সমস্যা শুনতে হতো । সমাধান দিতে হতো তাকে। ২০০০ সালের অক্টোবর মাস। ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে সাতক্ষীরার পশ্চিম জনপদ  ভয়াবহ অকাল বন্যার কবলে পড়ে ভারতীয় পানিতে ভাসছিল। রাষ্ট্রপতি বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমেদ  সাতক্ষীরার বন্যা পরিস্থিতি দেখতে এসেছিলেন। সার্কিট হাউসের হলরুম সামরিক বেসামরিক কর্মকর্তাদের  ভিড়ে ঠাঁসা। রাষ্ট্রপতি হলে ঢুকতেই সবাই উঠে দাঁড়িয়ে সালাম জানালেন। আর রাষ্ট্রপতিও দাঁড়িয়ে গেলেন । বললেন ‘এখানে মোতালেব সাহেব নেই। মোতালেব সাহেব যিনি টিভিতে খবর দেন তিনি কোথায়’। হতবাক সবাই। অডিয়েন্স থেকে জবাব এলো তিনি ঢাকায় রয়েছেন। এরপর যশোর সেনানিবাসের জিওসি মেজর জেনারেল আশফাক রাষ্ট্রপতিকে বন্যার ওপর ব্রিফ করেন।  একজন রাষ্ট্রপতি যিনি কোনো রাজনৈতিক দলের নন তিনি সাতক্ষীরায় এসে আবদুল মোতালেবকে খুঁজছেন এটা কম কথা নয়। তার পরিচিতি এতোটাই  যার প্রমান হতে পারে এটি।  মোতালেব সাহেবের পরিচিতি   এতোটাই তুঙ্গে ছিল যে সাতক্ষীরায় শীর্ষ পর্যায়ের সকল কর্মকর্তাই এখানে যোগ দিয়ে অথবা যোগদানের আগে  তার সাথে কথা বলতেন। দেখা করতেন। সাতক্ষীরাকে বুঝবার চিনবার চেষ্টা করতেন।  দায়িত্ব পালন কালে তারা তার সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলতেন।
দেশ সেরা সমাজকর্মী ছিলেন  আবদুল মোতালেব। তাকে একজন সমাজ সংস্কারক হিসাবে আখ্যায়িত করা যায়। কোনো কিছু প্রাপ্তির জন্য নয় , জীবনব্যাপী তিনি সমাজ কর্মের মধ্যে মানুষকে শুধু দিয়েই গেছেন। জেলায় এমন কোনো স্কুল কলেজ খুঁজে পাওয়া যাবেনা যে প্রতিষ্ঠানে তার যাদুস্পর্শ পড়েনি। একজন স্কাউট কমিশনার হিসাবে তিনি ছিলেন বিরল কৃতিত্বের অধিকারী । তার বাড়িতেই বসতো দাদা ভাই রোকনুজ্জামানের  কচি কাঁচার মেলা। এই মেলা সাতক্ষীরার শিশুর সাংস্কৃতিক উন্নয়নে অনবদ্য ভূমিকা রেখেছে। জেলা শিল্পকলা  একাডেমি ,জেলা সাংস্কৃতিক সংস্থা এসব কিছু  প্রতিষ্ঠার পুরোধা আবদুল মোতালেব। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা আন্দোলনে  তিনি ছিলেন অগ্রগামী সৈনিক। জেলাব্যাপী তিনি শুধু জমি খুঁজতেন । সরকারি জমি কিংবা বাড়ি । যেমনটি তিনি খুঁজে পেয়েছিলেন জ্ঞানমন্দির । যেখানে তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন দিবা নৈশ উচ্চ বিদ্যালয়। সরকারের কাছ থেকে এসব জমি আদায়ের সব কলা কৌশল তারা জানা ছিল। এভাবেই তিনি জেলার  উন্নয়নে অপ্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে ওঠেন। এ কারণে তিনি হয়ে ওঠেন সব আলোচনার মধ্যমনি। তেমনি জমে থাকতো তার আহমাদিয়া প্রেস। ১৯৫২ তে যে প্রেসের জন্ম। এই প্রেসই ছিল সাধারন মানুষেরও ঠিকানা।
শুধু সাংবাদিকতা নয় শিক্ষা বিশেণ করে  নারী শিক্ষার প্রতি ছিল তার গভীর আগ্রহ ।  সাতক্ষীরার প্রত্যন্ত এলাকায়  তৃণমুল পর্যায়ে তিনি গড়ে তুলেছেন প্রাথমিক  ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় , মাদ্রাসা ও কলেজ ।  সাতক্ষীরায় একটি পলিটেকনিক ইন্সিটিটিউট , সরকারি বিএড কলেজ , কৃষি কলেজ , ল’ কলেজ , এমনকি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার স্বপ্নও দেখেছিলেন তিনি ।  তার সেই দীর্ঘ লালিত স্বপ্নের অনেকটাই বাস্তবায়িত হয়েছে । অনেকটাই এখন বাস্তবায়নের দ্বার প্রান্তে । আবার আলোর মুখ দেখেনি অনেকগুলি । খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের পুরোধাদের অন্যতম  ছিলেন তিনি।  এরই মধ্যে তার জাদুষ্পর্শে জন্ম নিয়েছে  সাতক্ষীরা দিবা নৈশ কলেজ , নৈশ বিদ্যালয় , ছফুরেন্নসা কলেজ ।  এভাবে অগনিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে  সেখানে চাকুরি দিয়ে   তিনি বেকারত্ব দুরীকরনের   পাশাপাশি  শিক্ষিত ও আলোকিত সমাজ গঠনে ব্রতী হয়ে চিরস্মরনীয় হয়ে রয়েছেন । তার সমস্ত কর্ম তৎপরতা পরিচালিত হতো এই আহমাদিয়া প্রেস থেকে।
ঠিকানা আহমাদিয়া প্রেসের আরেকটি বৈশিষ্ট্য ছিল। প্রতিদিন দুপুরে সন্ধ্যায় মুড়ি চানাচুর আসতো মোতালেব সাহেবের টেবিলে। সাথে বাদাম চলতো বেশ। সেই সাথে গরম গরম চা। দুধ চা। মোতালেব সাহেব দক্ষিন দিকে মুখ করে চেয়ারে বসতেন। তার ডান পাশে টুলের ওপর থাকতো টেলিফোন। অনেকেরই মনে থাকবার কথা, ফোন নম্বরটি ছিল  থ্রী সেভেন ফাইভ(৩৭৫)। সাতক্ষীরার বাইরে কথা বলতে টেলিফোন এক্সচেঞ্জে বুকিং দিতেন তিনি। ওয়ান সেভেনে বার বার রিমাইন্ডার দিতেন। অনবরত ফোন আসতো, ফোন করতেন তিনি। প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে রিসিভার উঁচু করে কথা বলতেন তিনি। অনবরত কথা বলা  আর গল্প করা সম্ভবতঃ তার হবি ছিল। আর মাঝে মাঝে হুংকার দিতেন ‘কাসেম, চা নিয়ে আয়’। ম্যানেজার আবুল কাসেম ফ্লাক্স নিয়ে যেতেন চা আনতে ,সিরাজের চা দোকানে। পেছনে থাকা কাপে ঢালতেন , হাতে হাতে দিয়ে দিতেন। আর পেছনে খট খট করতো ছাপাখানা, লেটার প্রেস। ছাপা হতো নিজের সম্পাদিত দৈনিক কাফেলা। ছাপা হতো অন্যান্য পোস্টার লিফলেট এমনকি প্রশ্নপত্রও। এ কথা সবার মনে থাকবার কথা। শুধু গল্পে গুজবে হাস্যরসিক নন, তিনি ছিলেন ভোজন রসিকও।
আজ  সেই  ২ জুন । প্রবাদ প্রতিম  নন্দিত সাংবাদিক নেতা , অবিসংবাদিত শিক্ষানুরাগী , দুর্যোগে  দুর্বিপাকে মানুষের একান্ত সাথী আবদুল মোতালেবের ১৬ তম মৃত্যু বার্ষিকী আজ । তাঁকে মনে পড়ছে বারবার । আর তাঁকে ঘিরে  ঠিকানা আহমাদিয়া প্রেসের  জমজমাট আড্ডার কথাও ভুলিনি। প্রেসটি আছে । লেটার যুগের শেষ হয়েছে। এসেছে নতুন ডিজিটাল প্রেস । কিন্তু  সেই আড্ডাটা আজ আর নেই। নেই সেই মধ্যমনি আবদুল মোতালেবও।
সুভাষ চৌধুরী : সাংবাদিক, এনটিভি ও দৈনিক যুগান্তর, সাতক্ষীরা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

1470464455নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরা জেলাব্যাপী পুলিশের বিশেষ অভিযানে ২৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে আজ সকাল পর্যন্ত জেলার আটটি থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ জানায়, সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে ১০ জন, কলারোয়া থানা ০৫ জন,তালা থানা ০২ জন, কালিগঞ্জ থানা ০৫ জন,শ্যামনগর থানা ০১ জন, আশাশুনি থানা ০৩ জন,দেবহাটা থানা ০২ ও পাটকেলঘাটা থানা থেকে ০১ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
সাতক্ষীরা জেলা পুলিশর বিশেষ শাখার পরিদর্শক মিজানুর রহমান গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতা ও মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

IMG_20170601_090801কাশিমাড়ী (শ্যামনগর) প্রতিনিধি : বৃহস্পতিবার সকাল ৮ টায় সাতক্ষীরার শ্যামনগরের ঘোলা আশ্রয়ন প্রকল্প সংলগ্ন নদীর ধারে ‘এন.এস শিক্ষা কেন্দ্রের’ শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। রেবেকা ইমতিয়াজ ট্রাস্ট কর্তৃক সার্বিক পরিচালনায় এ শিক্ষাকেন্দ্রের উদ্বোধনীয় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এই স্কুলের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন অবসর প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আলহাজ্ব নাসিরউদ্দীন। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ০৬ নং ওয়ার্ডের (ঘোলা) ইউপি সদস্য রাজগুল ইসলাম, প্রাক্তন ইউপি সদস্য আনিছুজ্জামান, মাওলানা আব্দুল আজিজ প্রমুখ। উদ্বোধন শেষে অত্র উপকূলবর্তী এলাকার অসহায় ও সুবিধা বঞ্চিত ছেলে-মেয়েদের মধ্যে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে বই বিতরন করে পাঠদান কে আরও ত্বরান্বিত করা হয়। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন জিয়াউর রহমান। এ কেন্দ্রে অনুর্ধ ৬ বছর বয়সের ছেলে-মেয়েকে নৈতিক ও নাগরিক শিক্ষা দান মূল উদ্দেশ্য, সাথে সাথে প্রাথমিক বাংলা, আরবি, ইংরেজী ও অংক শিক্ষা দান করবে। রেবেকা ইমতিয়াজ ট্রাস্ট’র প্রতিষ্ঠাতা অত্র এলাকার কৃতি সন্তান, বর্তমানে লন্ডন প্রবাসী ডাঃ ইমতিয়াজ উদ্দীন মুঠোফোনে জানান, ২০০৮ সালে ভয়াবহ সিডর আঘাত হানে দেশের দক্ষিণ-পূর্ব জেলা গুলোতে। এরপর ২০০৯ সালে প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় ‘আইলা’র আঘাত হানে বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলাসহ দেশের দক্ষিণাঞ্চলে। উপকূলবর্তী শ্যামনগর উপজেলায় আঘাত হেনে ল– ভ- করে দেয় সবকিছু। মানুষের জীবন বিপন্ন হয়। এসব দূর্যোগ কবলিত এলাকায় বহু ঘর-বাড়ি নষ্ট হয়। এসব দূর্যোগ কবলিত এলাকার মানুষেরা এখনও স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারেনি। পৃথিবীতে আবহাওয়ার পরিবর্তনের ফলে এ দুর্ভোগগ্রস্থ মানুষের সেবায় আমি সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত উদ্যোগে আমার পরিবার নিয়ে ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে রেবেকা ইমতিয়াজ ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা করি।  ttp://Www.rebekaemtiaztrust.org.uk  এই লিংকের মাধ্যমে এই ট্রাস্ট সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest