ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’র বিপদ এড়াতে সারা দেশে নৌচলাচল বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ- পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। সোমবার বেলা ১টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নৌ চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বিআইডব্লিউটিএ-এর জনসংযোগ কর্মকর্তা মোবারক হোসেন মজুমদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেছেন, দুপুর ১টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সারাদেশে নৌ চলাচল বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। ঘূর্নিঝড় ‘মোরা’র কারণে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ সোমবার দুপুর ১২ টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৮০ কিঃ মিঃ দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৪০০ কিঃ মিঃ দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৪০ কিঃ মিঃ দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্ব এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৭০ কিঃ মিঃ দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্ব দিকে অবস্থান করছিল।

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের বিহার রাজ্যে বজ্রপাতে অন্তত ২৩ জন মারা গেছে। আটটি জেলায় বজ্রপাতে ১৮ জন প্রাণ হারিয়েছে। অন্যরা রাজ্যের ওয়েস্ট চাম্পারান জেলায় ঝড়ের কারণে দেয়াল ধসে মারা গেছে।
মাহফিজুল ইসলাম আককাজ : সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরিষদের মাসিক সাধারণ সভা ও ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে সদর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে সদর উপজেলা ডিজিটাল কর্ণারে সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান বাবু’র সভাপতিত্বে বাজেট অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা-০২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের বাজেট ঘোষণা করেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নূর হোসেন সজল। ‘বাজেট অধিবেশনে সদর উপজেলার ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে রাজস্ব খাতে মোট প্রাপ্তি দেখানো হয়েছে ৩ কোটি ৫ লক্ষ ৫৭ হাজার টাকা এবং ব্যয় দেখানো হয়েছে ১ কোটি ৬০ লক্ষ ৫৮ হাজার টাকা। উদ্বৃত্ত টাকার পরিমাণ ১ কোটি ৪৪ লক্ষ ৯৯ হাজার টাকা। উন্নয়ন খাতে মোট প্রাপ্তি দেখানো হয়েছে ৩ কোটি ৪৯লক্ষ ৯৯ হাজার টাকা এবং ব্যয় দেখানো হয়েছে ৩ কোটি ৪৯ লক্ষ টাকা। উদ্বৃত্ত টাকার পরিমাণ ৭ লক্ষ ৪৯ হাজার টাকা।’ বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কোহিনুর ইসলাম প্রমুখ।
মাহফিজুল ইসলাম আককাজ : সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকালে সদর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে সদর উপজেলা ডিজিটাল কর্ণারে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নূর হোসেন সজলের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা-০২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মোস্তাক আহমেদ রবি। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান বাবু, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কোহিনুর ইসলাম, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মারুফ আহমেদ, সদর থানার তদন্ত কর্মকর্তা মো. আবুল হাশেম, জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান মমতাজুন্নাহার ঝর্ণা প্রমুখ। এ ছাড়া সদর উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা, সদর উপজেলা মাসিক রাজস্ব সভা, সদর উপজেলা নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির সভা, সদর উপজেলা মানব পাচার প্রতিরোধ কমিটির সভা ও সদর উপজেলা চোরাচালান প্রতিরোধ কমিটির ও সদর উপজেলা পরিষদের মাসিক সভাসহ পৃথক পৃথক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মার্চ ও এপ্রিল-২০১৭ মাসে সদর থানায় মোট মামলা হয়েছে ৭৫টি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হাসানুল ইসলাম, সদর উপজেলা কৃষি অফিসার মো. আমজাদ হোসেন, সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জাহিদুর রহমান, সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসার মো. নকিবুল হাসান, সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. জালাল উদ্দিন, সদর উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার মো. রোকনুজ্জামান, বৈকারী ইউপি চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান অছলে, ঘোনা ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ ফজলুর রহমান, বল্লী ইউপি চেয়াম্যান মো. বজলুর রহমান, ফিংড়ী ইউপি চেয়ারম্যান মো. সামছুর রহমান, শিবপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. আব্দুল মজিদ, ব্রক্ষ্মরাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. শহিদুল ইসলাম, আলিপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান, ধুলিহর ইউপি চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান, ব্রক্ষ্মরাজপুর ইউপি সদস্য এস.এম রেজাউল ইসলাম, ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স এর সাতক্ষীরা অফিস ইনচার্জ শরিফুল ইসলাম, খুরশিদ জাহান শিলা, লাবসা ইউপি সচিব মো. আব্দুর রাজ্জাকসহ সদর উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও কমিটির সংশ্লিষ্ট নেতৃবৃন্দ।
ডেস্ক রিপোর্ট : ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’। আর এজন্য উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা ও এর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ৫ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
মাহফিজুল ইসলাম আককাজ : কারিগরি শিক্ষাব্যবস্থার মধ্যে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটগুলো অন্যতম ভূমিকা পালন করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখেছে সাতক্ষীরা সরকারি পলিটেকনিক ইন্সস্টিটিউট। পড়াশোনার পাশাপাশি নিয়মিত ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক ও স্বেচ্ছাসেবী কার্যক্রম এবং খেলাধুলায় অংশ নেন এ কলেজের শিক্ষার্থীরা। সাতক্ষীরা শহরের লাবসা এলাকায় ২.০৫ একর জমির উপর ২০০২/২০১৪ সালে নির্মিত হয় সাতক্ষীরা সরকারি পলিটেকনিক ইন্সস্টিটিউট। এ জেলার কারিগরী শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরো এক ধাপ এগিয়ে নেওয়ার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে কলেজের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী জি.এম আজিজুর রহমানসহ শিক্ষকমন্ডলী। সাতক্ষীরা সরকারি পলিটেকনিক ইন্সস্টিটিউট ক্যাম্পাসটি অত্যন্ত সুন্দর ও মনোরম পরিবেশে অবস্থিত। এ কলেজের শিক্ষার মান উন্নয়নসহ সৌন্দর্য আরো বৃদ্ধির জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছে কলেজের অধ্যক্ষ। কম্পিউটার, ইলেকট্রনিকস, এনভায়রনমেন্ট ও আরএসি বিভাগে বর্তমানে ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে ১ম শিফটে মোট ছাত্র-ছাত্রী ৫৯৯জন এবং ২য় শিফটে মোট ছাত্র-ছাত্রী ৫৯৭ জন। বর্তমানে এ প্রতিষ্ঠানে ২৯ জন শিক্ষক ও ২৮ জন কর্মচারী কর্মরত আছে। সাতক্ষীরা সরকারি পলিটেকনিক ইন্সস্টিটিউটে অধ্যক্ষ প্রকৌশলী জি.এম আজিজুর রহমান ১৬ এপ্রিল ২০০৭ সালে যোগদান করেন। তিনি যোগদান করার পর থেকে এ কলেজের সাহিত্য-সাংস্কৃতি, ক্রীড়া ও বিভিন্ন জাতীয় কর্মসূচিতে এ প্রতিষ্ঠান সাফল্য অর্জন করে চলেছে। এছাড়াও বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবসের আয়োজন করা হয় এ কলেজ ক্যাম্পাসে। ২০১৪ সালে কম্পিউটার বিভাগে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৫৩ জন। পাশের হার ১০০%। ইলেকট্রনিক্স বিভাগে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৬৭ জন। পাশের হার ৯৮.০৫%। আরএসি বিভাগে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৬২ জন। পাশের হার ৯৫.৬১%। এনভায়রনমেন্ট বিভাগে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৫৫ জন। পাশের হার ৯৬.৩৬%। ২০১৫ সালে কম্পিউটার বিভাগে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৫৩ জন। পাশের হার ১০০%। ইলেকট্রনিক্স বিভাগে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৬৭ জন। পাশের হার ছিল ৯৮.০৫%। আরএসি বিভাগে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৬২ জন। পাশের হার ৯৫.৬১%। এনভায়রনমেন্ট বিভাগে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৫৫ জন। পাশের হার ৯৬.৩৬%। ২০১৬ সালে কম্পিউটার বিভাগে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৮২ জন। পাশের হার ৯১.৪৬%। ইলেকট্রনিক্স বিভাগে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৮৪ জন। পাশের হার ৯৪.০৪%। আরএসি বিভাগে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৭৭ জন। পাশের হার ৯৭.৪০%। এনভায়রনমেন্ট বিভাগে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৫৯ জন। পাশের হার ৮৯.৮৩%। কলেজের শিক্ষার্থী রুমানা ইয়াসমিন, স্বপ্না পাল, কামরুল ইসলামসহ শিক্ষার্থীরা জানান, আমাদের কলেজের লেখা পড়ার মান অনেক ভালো এবং অধ্যক্ষ স্যারসহ সকল স্যারেরা আন্তরিকতার সাথে পাঠদান করান। কিন্তু আমাদের কালেজের একটি প্রধান সমস্যা হলো কলেজের হোস্টেল নেই। এছাড়া একটি খেলার মাঠ ও মসজিদ নির্মাণ আবশ্যক। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন শিক্ষার্থীরা। সাতক্ষীরা সরকারি পলিটেকনিক ইন্সস্টিটিউটের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী জি.এম আজিজুর রহমান বলেন, শিক্ষার পাশাপাশি বাস্তব ও কর্মমুখী শিক্ষা দেওয়া হয়। এটি বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড এর অধীনে পরিচালিত হয়। আগামী দিনেও এ কলেজের শিক্ষার মানোন্নয়ন এবং ভালো ফলাফল অর্জনের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
আসাদুজ্জামান : ঘূর্ণিঝড় মোরার সম্ভাব্য আঘাত মোকাবেলায় সাতক্ষীরায় ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে জেলাব্যপী বিশেষ করে উপকূলীয় উপজেলা শ্যামনগর ও আশাশুনির সব ইউনিয়নে মাইকিং করে জনগনকে সতর্ক রাখার কাজ শুরু হয়েছে। শ্যামনগরে ২০০০ এবং আশাশুনিতে ১৩০০ স্বেচ্ছাসেবীকে সতর্ক রাখা হয়েছে। এছাড়া হাসপাতালে ওষুধপত্র রিজার্ভ রাখা হয়েছে। বিভিন্ন উপজেলায় পৃথক মেডিকেল টীম গঠন করা হয়েছে। শুকনো খাবার এবং প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য যানবাহন বিশেষ করে নৌযান প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সাইক্লোন সেন্টারগুলি এবং বিভিন্ন স্কুল কলেজ খোলা রাখা হয়েছে। এই দুই উপজেলায় সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারিদের ছুটি আপাততঃ বাতিল করা হয়েছে। বিপদ সংকেত আরও বৃদ্ধি পেলে গ্রামবাসীকে সরিয়ে নেওয়ার ঘোষনা দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসক আবুল কাসেম মো. মহিউদ্দিন জানান সুন্দরবনে মাছ ও মধু আহরনকারীদের দ্রুত উপকূলে ফিরে আসার অনুরোধ জানানো হয়েছে। জেলার ১৩২টি সাইক্লোন সেন্টার প্রস্তুত রয়েছে। শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কামরুজ্জামান জানান আজ স্থানীয় সংসদ সদস্য এসএম জগলুল হায়দারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় সব ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বরকে নিজ নিজ এলাকার জনগনকে সতর্ক রাখার পাশাপাশি তাদের সহায়তা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুষমা সুলতানা জানান তার এলাকার সব সাইক্লোন সেন্টার খোলা রাখা হয়েছে। পরিস্থিতির অবনতি হলে গ্রামবাসীকে সরিয়ে নেওয়া হবে।
দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও এর তৎসংলগ্ন এলাকায় সৃষ্ট নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। এর নাম রাখা হয়েছে ‘মোরা’। ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’-র কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ‘সাত নম্বর বিপদ সংকেত’ দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর। সোমবার (২৯ মে) সকালে আবহাওয়া অধিদফতরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।